এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পর্বে পর্বে কবিতা - তৃতীয় পর্ব

    pi
    অন্যান্য | ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ | ৫৬৪৮৪ বার পঠিত | রেটিং ৪.৭ (৩ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ফরিদা | ০৭ জুলাই ২০১৫ ০৭:০৬507464
  • মনে হয় সারাদিন চায়ের কাপ সঙ্গে সঙ্গে থাকে
    খালি হয়, ভরে যায়, যেখানেই যাই, থাকি,
    এমনকি চলাচলে, যে যার চায়ের কাপ বইছে আসলে
    খালি কাপ নিয়ে দেখেছি ছুটছে কেউ, কেউ বুঝি
    ভরা কাপে বারান্দায় বসে থেকে কেউ পায় উত্তাপ
    গুণে গুণে গেছে ঢেউ আর কিছু ঠান্ডা চায়ের পাপ।

    সবারই আলাদা কাপ- মাপে মানে, গঠন শৈলীতে
    চায়ের বর্ণ, গন্ধ, উষ্ণতা এমনকি পাশে থাকা
    মানুষও (যদি থাকে) আকারে প্রকারে বদলায়
    অভ্যাস বা অবস্থাগতিকে পুরনো নতুন কাপে দেখেছি অনেকে
    মুখ তেতো করে খায়, বয়সের সঙ্গে চা ও কালো হয়ে যায়
    চিনি কমে দৈনিক জীবনযাত্রায়। বিষম খেতেও দেখি
    দেখি ফের সামলাতে। তবু ঝড় উঠে কারো বিস্কুট খানি
    চায়ের অতলে চলে যায়। সে চলে গেলে আমরাও জানি।
  • ranjan roy | 192.69.146.212 | ০৭ জুলাই ২০১৫ ১৩:৫৮507465
  • হিসেবরক্ষক
    ------------------
    সারাদিন ঝুঁকে থাকি একটা জাবদা খাতার উপরে।

    যেভাবে হিজবিজে মাটিকে দেখে অপলক শরতের মেঘ,
    অথবা ফলন্ত গাছ দেখে নেয় শেকড়ের বিস্তৃত আঙুল।
    আমি সেই অভ্যাসে সারাদিন ঝুঁকে থাকি
    একটা জাবদা খাতার উপরে।

    টুকে রাখি মেঘেদের আনাগোনা, বিদ্যুতের চকিতচমক।
    এন্ট্রি করি পৃথিবীর ফসলের আমদানী -রপ্তানী
    গতবছরের যত ধারদেনা বকেয়া হিসেব।

    যে গভীর প্রত্যয়ে প্রৌঢ়পুরুষ দেখে
    ভাতঘুমে অচেতন নারীটির নগ্ন নাভিমূল;
    আমি সেই আস্থায় লিখে রাখি রোজনামচা
    সমস্ত শপথ- ভাঙা নড়বড়ে দিনের।

    জানি, তোমরা কথা দিয়ে কথা রাখতে অনায়াসে ভুলে যেতে পারো,
    কিন্তু জানি একদিন শুনতে পাবো --বুড়ো!
    যাও সেই খাতা নিয়ে এস।
    তাই আমি নিকেলের চশমার ডাঁটি ঠিক করে
    আবার পড়েছি ঝুঁকে এক জাবদা খাতার উপরে।।
  • ফরিদা | ০৭ জুলাই ২০১৫ ২১:১২507466
  • কোনটি ছিল তোমার প্রিয়
    কোন শব্দ আটকেছিল
    কেই বা তোমায় ডাক পাঠাতো
    অকারণে দূরদুরান্তে? ঠিক জানিও?

    তার কয়েকটা আমার চেনা
    তখন তাদের বয়স অল্প
    রোদের মধ্যে দৌড়ে উঠত
    বাসের ছাদে। কি তাই না?

    ওদের সঙ্গে দেখা হয় কি?
    আছে কেমন? ভারিক্কি খুব?
    সংসারী প্রায় তোমার মতোন
    শব্দরাও তো মানুষ বৈকি।

    যা বলছিলাম এই ভনিতায়
    এই কদিনে অনেক শব্দ হারিয়ে গেল
    দমকা ঝড়ে। চিহ্নই নেই
    খুঁজে দেখবে তোমার খাতায়?
  • ফরিদা | ০৮ জুলাই ২০১৫ ২১:১৬507467
  • গাছের নিচে ছায়ার মতোন
    বৃষ্টিভেজা পাপড়ি যখন
    চোখ পড়তেই লজ্জা পেয়ে
    একটুখানি আড়াল নিল-

    তোমার কাছে, হে মাধুর্য
    প্রেমের কাছে সাহচর্য্য
    সন্ধে হলে লেখার খাতা
    অকারণে ছুঁয়েই দিল।

    বৃষ্টি যখন পড়ো পড়ো
    শেষ মূহূর্তে বলতে পারো
    দৃষ্টি সীমার ঠিক বাইরে
    রেলগাড়িটা থেমেই ছিল।
  • শ্ব | 24.96.187.215 | ০৯ জুলাই ২০১৫ ০২:৩৮507468
  • ফরিদা | 11.39.32.141 | ০৯ জুলাই ২০১৫ ০৬:১৪507469
  • সবার লেখাই পড়তে থাকি
    যখন দেখি তোমায় লেখা
    রোদ্দুর কী গাছের পাতার
    ছায়া আঁকলে যাচ্ছে দেখা-
    ওই ভ্রু ভঙ্গি শব্দচয়ন
    নাচলে ময়ুর প্রায় অকারণ
    মেঘ করে যায়, বৃষ্টি আসে।

    কি আশ্চর্য, সে অঞ্চলে
    যোগসাজশের খামখেয়ালে
    পালাও তুমি দূরে কোথাও
    কাচে লেখা শব্দসকল
    কোন জাদুতে হয় ফ্যাকাসে?

    যে লিখছে তার নিজের ছায়াই
    পড়ে থাকছে সেসব পাতায়
    ভোরের বাসে পালিয়ে এসে
    আমার পাশেই থাকছ বোধ হয়
    যখন খুঁজতে হন্যে আমি
    স্রেফ তোমাকেই অন্য লেখায়।
  • Kaju | 131.242.160.210 | ০৯ জুলাই ২০১৫ ১২:২৫507470
  • একুশ্ববাউ-র কবিতাটা সব থেকে ভাল্লাগলো। একুবাউ একেবারে খাপখোলা নতুন, অলওয়েজ। ঃ)
  • ranjan roy | 192.69.164.0 | ০৯ জুলাই ২০১৫ ২০:৪৪507471
  • ফরিদা,
    অসাধারণ!
  • ফরিদা | 192.68.101.147 | ১০ জুলাই ২০১৫ ২১:০২507472
  • বেশির ভাগ সময়ে-
    উত্তরগুলো যেন অনেকটা ল্যাজের মতো।
    চলতে ফিরতে থাকা প্রশ্ন এবং তাদের
    মাথাপিছু একটা করেই উত্তর দেখি সচরাচর।
    উত্তর ছাড়াও অনেকে আছেন,
    তারা বেশিরভাগই মানুষ

    প্রশ্নের পাশ কাটিয়ে দক্ষিণে গিয়ে তাঁরা বেঁচে যান।
  • ranjan roy | 132.176.183.89 | ১১ জুলাই ২০১৫ ১২:৫২507474
  • বহোৎ খুব! বহোৎ খুব!
  • ফরিদা | 11.39.34.111 | ১২ জুলাই ২০১৫ ০৮:০৮507475
  • জানি কত সময় নিয়ে যত্নে সাজাও তুমি আমায়
    হাত ও পায়ের আঙুলগুলো, গ্রীবাভঙ্গি মাথার চুলও
    মুখ চোখ নাক নিপাট নিখুঁত, রঙ করেছ যেইটা মানায়
    প্রদর্শনী ধন্য ধন্য, খুঁজে পায় নি একটি ভুলও
    আমিও ছিলাম ঠায় দাঁড়িয়ে করবে স্বীকার বদন্যতায়?

    শুধু যখন বৃষ্টি আসে জল পড়লেই রঙ ফ্যাকাসে
    চাঁদ দেখলেই হুক্কা জোড়ে নীলবর্ণ গল্পে শৃগাল
    আরো আরো বৃষ্টি এলে আমায় নিয়ে যাচ্ছে চলে
    তোমার থেকে দূরে বোধ হয় গতজন্মে- ভাঙলে দেয়াল
    ফিরলে না হয় আবার শুরু, বৃষ্টি শেষে তোমার খেয়াল।
  • ফরিদা | 192.68.161.59 | ১২ জুলাই ২০১৫ ১৩:৩০507477
  • তোমার থেকে মূহূর্ত্তকে
    সরিয়ে রাখলে জনান্তিকে
    বীজের থেকে বটের চারা
    ঢেকে ফেলছে সে সৌধকে

    ঝুল পড়েছে ঘরে এখন
    নাকি মেঘের স্বপ্নযাপন
    ও মূহূর্ত্ত যখন তখন
    ছুটিয়ে মারছে চতুর্দিকে।

    কোনখানে যাই রাস্তা কোথায়
    সমস্তদিন বৃষ্টি মাথায়
    প্রতি শব্দই তোমার কথায়
    ডাক দিয়েছে অনর্থকে।

    তোমার থেকে এক মূহূর্ত্ত
    শিকড় ছড়ায় প্রাচীন বুকে।
  • ফরিদা | 192.68.161.59 | ১২ জুলাই ২০১৫ ১৩:৩০507476
  • তোমার থেকে মূহূর্ত্তকে
    সরিয়ে রাখলে জনান্তিকে
    বীজের থেকে বটের চারা
    ঢেকে ফেলছে সে সৌধকে

    ঝুল পড়েছে ঘরে এখন
    নাকি মেঘের স্বপ্নযাপন
    ও মূহূর্ত্ত যখন তখন
    ছুটিয়ে মারছে চতুর্দিকে।

    কোনখানে যাই রাস্তা কোথায়
    সমস্তদিন বৃষ্টি মাথায়
    প্রতি শব্দই তোমার কথায়
    ডাক দিয়েছে অনর্থকে।

    তোমার থেকে এক মূহূর্ত্ত
    শিকড় ছড়ায় প্রাচীন বুকে।
  • অনিকেত পথিক | 24.139.222.45 | ১৩ জুলাই ২০১৫ ১৮:০২507478
  • সাদা কালো রঙে আঁকা বড় সহজ নয়
    পাশাপাশি ওড়ে সাদা পায়রা
    আর বোমারু বিমান ঝকঝকে আকাশে
    কাকের বাসায় অনায়াসে বড় হয় কোকিলের ছানা
    আমি পারিনা ওদের আলাদা করতে
    আমার কিচ্ছু করার নেই
    আমার সত্যিকথার মধ্যে চুপিচুপি বসে পড়ে কিছুটা পাপ
    আদরের মধ্যে ঠিক রয়ে যায় কয়েকটা আঘাত
    কবিতার মধ্যে ঢুকে যায় অপরিচিত ভাষা
    আর ভালবাসার মধ্যে একটু একটু করে মিশে যাচ্ছে একফোঁটা দুফোঁটা ঘৃণা
    আমার কিচ্ছু করার নেই !
  • ফরিদা | 192.68.131.93 | ১৩ জুলাই ২০১৫ ২০:৩৩507479
  • এইবার মধুরা যেই বুঝবে তাকে কেউ খেয়াল করছে না।
    ঠোঁট কামড়াবে একবার।
    ঠিক এই সময়টা
    এর জ্যামিতি পরিসংখ্যান আর্থ-সামাজিক পটভূমি
    মায় চায়ের গেলাসের দাগ অবধি আমি জানি।
    সন্দেহ দূর করার জন্য এলাকায় প্রতিটি লোকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তিনটে প্রশ্ন করি।
    যেকনো একটি উত্তর ফেলে আসি সেখানেই সামান্য অছিলায়
    বাকি সবার সব উত্তর গুলো মিলিয়ে দি - বেশ খোলতাই রং হয়।

    একটু বাজার যাই মাঝে সাজে, দুটো ছেলে পড়তে আসে
    তখন খানিক খবরের কাগজ. মুখের সামনে রেখে ঝিমোই।
    কিন্তু সর্বক্ষণ নজরে থাকে মধুরা- তাকে অসন্দিগ্ধ রাখতে রিক্সাওলার সঙ্গে ভাড়া নিয়ে ঝগড়াও করেছি,
    যতক্ষণ না তার সম্পূর্ণ আস্থা পাই তার - যেন তাকে কখনো দেখেনি।
    তাকে কেউ খেয়াল করছে না, কখনো লেখেনি কেউ কোনো কবিতায়

    আর ঠিক তখনি সে নিঃশংসয় হয়ে ঠোঁট কামড়ায় ।
  • apps | 122.79.35.87 | ১৯ জুলাই ২০১৫ ০২:৩৬507480
  • যাপন ও উদযাপন

    1.
    তোমার সাথে থাকার আমার
    ইচ্ছে ছিল অনেকদিনের
    ইচ্ছে ছিল, ইচ্ছেপূরণ,
    সাধ্য সাধন অনেকদিনের
    হিসেব যদি সব নিতে চাও
    বুঝিয়ে দেবো নিজের মতো
    অঙ্কে কাঁচা আশৈশবই
    অঙ্ক ছাড়া জীবন চলে?
    কিন্তু জীবন কেমন চলে
    সেসব নিয়ে ধন্দে ছিলাম
    দ্বন্দ্বে আছি সকাল বিকেল
    সঙ্গে আছে লেখার খাতা
    চাইলে আগুন দিতেই পারি
    জল পাথরে আর অক্ষরে
    নিলেই নাহয় দুহাত পেতে
    শব্দে যাকে আদর বলে
    দিলেই নাহয়, এর বেশি তো
    গাছের পাতাও শীতের কাছে
    খড়কুটোরাও স্রোতের কাছে
    চায়নি কিছুই... কখখনো না...

    2.
    ভালোবাসার কথা বললে
    আমরা এখন নিরুত্তর থাকি
    মাঝে মাঝে গলির ভিতর
    দু'একটা মোটরসাইকেল সশব্দে এসে থামে
    গোলগাল গিন্নি গলা তুলে হাঁকে-
    মনুর মাআআ
    কারখানার বাঁশি, দিনান্তে পুজোর ঘন্টা,
    রোজকার মতো অস্তিত্ব জানান দেয়

    ভালোবাসার কথা বললে
    এখন আমরা নিরুত্তর থাকি
    বরং বাসন কোসন কথা বলে পরস্পরে
    ঠাকুরদাদার আলমারির দু'দুটো পাল্লা
    বাতচিত করতে করতে
    কাছাকাছি আসে ফের
    ভাবে, এবার আশ্বিনে পাহাড় বা সমুদ্র

    সে ইস্তক আমিও জেগে থাকি
    যতক্ষণ না ওরা সিদ্ধান্তে এসে
    একে অন্যের ঠোঁটে ঠোঁট বোলায়,
    জেগে থাকি,
    আর ঘুম এসে গেলে শুনতে পাই
    দেশবন্ধু পার্কের রংচটা পুরনো বেঞ্চে বসে
    একজোড়া তারুণ্য
    গুনগুন করে গেয়ে চলেছে
    কেয়ামত সে কেয়ামত তকের গান
  • ফরিদা | 11.39.35.174 | ১৯ জুলাই ২০১৫ ০৬:৪৫507481
  • স্বীকারোক্তি

    অনেক ভাবনা চিন্তা করে ঠান্ডা মাথায়
    আমি বলতে চাইব -
    মেঘের মতো খাঁটি নিরপক্ষতা খুব একটা দেখিনি,
    জানিনা কেমন হয় মানুষ সম্পূর্ণ মেঘ হয়ে গেলে।
    মেঘ রঙা জামা খুব চলে আজকাল দেখি
    চট করে ঠান্ডা লাগার ধাত থাকলে মানুষ বিকেলের দিকে গায়ে চাপিয়ে
    লেকে হেঁটে আসে এক চক্কর।
    তাদের চারপাশে ভিড় করে থাকে ওম।
    যেন এতে কখনো ছোঁবে না তাকে যম।

    এদিকে ফাঁকা রাস্তায় আমার নিজস্ব পক্ষপাত নিয়ে একা একা ঘুরি।
    প্রতিপক্ষের সামনা সামনি হয়
    হার জিত লেগে যায় গায়ে।
    নিরপেক্ষ বাতেলা হলে খামোখাই
    আরশোলা চেটে দিয়ে যায়।
    তবু পক্ষপাতের ছাপ থাকলে
    জামাটামা খুব একটা লাগেনা, হয় না ভাবের ঘরে চুরি।
  • ফরিদা | 192.68.249.83 | ১৯ জুলাই ২০১৫ ১২:২০507482
  • মানুষের আজ যেন কোনো অনটন নেই
    গৃহঋণ নিয়ে ঘরছাড়া মানুষ গিয়েছে ভেসে
    উত্সবে সাবলীল স্রোতে। অনাবিল ভাবনা
    ভালোবাসা কুচি হেলায় ছড়িয়ে কোনোমতে
    হাসিমাখা খোমা তার যদি স্থান করে নেয়।
    পরিচ্ছন্নতর পৃথিবীর মেকী প্রেক্ষাপটে।

    কার্পেটের নীচে ক্রমে বহুতল বেড়ে ওঠে
    অনেকের অন্ধকার ভার বেশি বলে চাপা পড়ে
    ঘুমিয়ে রয়েছে নীচে। তাদের দেখিনা বহুকাল
    মনেও রাখিনা না আর। আমাদের সুখ স্বপ্নের ভার
    তারা কাঁধে নিয়ে এতদিনে মরে টরে ভুত।
    মাঝে মাঝে তাদের অদ্ভুত গল্প কথা মনে এলে
    ঝাড়াপোছা ছবি বের হয় - যাতে হেসেছিল
    অনটন অঘটন পাশে নিয়ে সাদামাটা বেঁচে ছিল।
  • pn | 178.235.200.190 | ২০ জুলাই ২০১৫ ২১:১১507483
  • চোখের কাজল যাছে ধুয়ে গড়িয়ে পরছে ঘাম /anchol তোমার চাটছে মাটি হয় boiahakher বদনাম / hate তোমার দামী ছাতা, সূর্য চায় মুখ দেখতে / চোরা ঠোটে দারুন দেখায়, যখন তুমি হাসলে / অকারণে ঘুরতে আসো গরিয়াহাটার মোর / কেমন আছ? অনেক দিন পর নিচ্ছি তোমার খবর ।
  • ফরিদা | 192.68.245.59 | ২০ জুলাই ২০১৫ ২১:৫৯507485
  • এক একটা মোড়ে ভিখিরিরা টোকা দেয় জানলার কাচে
    মোটাসোটা বুড়োটা স্কুটার ঘষটে দিয়ে বাম্পারে
    চশমাটা খুলে মুছে নিয়ে পরে। ভাবলেশ মুছে ফেলে
    আলোটা সবুজ হলে আগের গাড়িটা চালু হতে
    কেশে ওঠে ভয়ানক স্বরে। পিছনের হর্ণগুলো
    প্রতিবাদে গাল পাড়ে। বুড়োটাও ভাঙা ঘড়ঘড়ে স্কুটারে।

    মাঝে মাঝে থেমে গেলে বেশ লাগে তবু, মনে পড়ে
    অনেক পুরনো নাম, ঠিকানার স্মিত আশ্বাস
    ভুলে যাওয়া অকেজো ফোনের নম্বরগুলো
    পাশাপাশি বসে আছে বাসস্টপে যেন অপেক্ষায়
    যাকে ছুঁয়ে ফেলে আগুনের ছ্যাঁকা লেগেছিল হাতে
    কয়েকটি ইতি উতি কলেজের মুখ মৃদু জটলায়
    কেউ তাকিয়েছে দূরে, সময়ের নিভৃত আড়ালে
    আমিও যেখানে থামি, যদি কিছু কথা পড়ে জালে।
  • ফরিদা | 11.39.33.27 | ২১ জুলাই ২০১৫ ০৭:২১507486
  • কবিতার সঙ্গে ঘর করি আমি
    সকাল সন্ধে কবিতা আমার সঙ্গে বসে চা খায় কিছু বলে
    বাজারে পাঠায়। সব্জি পচা হলে উদ্দাম চেঁচায়।
    মুখ ভার হলে কবিতাই বারবার অফিসে ফোন করে বসে
    একথা সে কথায় খবর নেয় মনখারাপের তল।
    কবিতার সঙ্গে বৃষ্টি রৌদ্রকরোজ্জ্বল দিন কাটে রাত কাটে
    ফিরতে দেরি হলে কবিতা অপলক চেয়ে থাকে পথে।
    কথাটথা বলে না বিশেষ।
    সেই রাতে ঘুমোতে পারেনা- যতক্ষণ না সাধাসাধি করি-
    মাপ করো এমন হবে না আর- এইবারই শেষ।
  • ফরিদা | 192.68.83.251 | ২১ জুলাই ২০১৫ ২১:২০507487
  • যেমন ঘনায় মেঘের মতো
    যুদ্ধ আমার নিজের মধ্যে
    ছাতার নীচে ওতপ্রত
    পারস্পরিক মত বিরুদ্ধে।

    বলি রেখার হাজার ক্ষত
    বন্যা পলির সভ্যতাকে
    বাঁধছে আষ্টেপৃষ্ঠে যত
    সরছে মাটি পায়ের থেকে

    যখন কথা ছাড়বে মাটি
    রোদ খেলে ওই বৃদ্ধ ডানা
    শুকনো ডাঙার শক্ত ঘাঁটি
    ছাড়বে রেখে ভুল ঠিকানা।

    মেঘ রোদ্দুর এই আবহাওয়ায়
    নানান কথায় বুকের মধ্যে
    ছাতা হাতেই তর্ক জমায়
    পারস্পরিক মতবিরুদ্ধে।
  • ফরিদা | 192.68.83.251 | ২১ জুলাই ২০১৫ ২২:৫১507488
  • হ্যাঁ, অবসাদ বলছিলে,

    দেখেছ তো? পাহাড়ে পাহাড়ে বেড় দিয়ে রাস্তাটি উঠে গেছে কোনোমতে। ঝড় বৃষ্টি এলে তার মুঠো খুলে যায়, কেতরিয়ে পড়ে একধারে। কখনো গাছেরা থাকে, যার বুকে রাস্তাটি মাথা রাখে। টিকে থাকার জন্য। অবসাদ কোথায় রাখবে সে আর?

    প্রচণ্ড খিদে পেলে দেখিনি কি শহরের গ্রীষ্মের রাস্তায় দূরে পড়ে থাকে জল দেওয়া ঠান্ডা ভাত, আকাঙ্খার?

    নতুন জামায় কাদার ছিটে লাগে পুজোতে একেবারে সন্ধের মুখে।

    এদিকে সারাদিন কিছু না কিছু পিছু নিতে থাকে বাড়ি থেকে বেরোতে না বেরোতে। অফিসেও কাজ লাটে ওঠে। বাড়ি ফেরার পর সেইসব বেমালুম রূপ বদল করে মাথাধরা হল।

    একে অবসাদ বলো?

    তবে? এক টিপে পাথরটা ছুঁড়ে মারতে হবে আগুয়ান ষাঁড়ের দুটো চোখের ঠিক মাঝখানে। তবেই বাঁচব বলে কিছু লোক জানে।

    বিশ্বাস কোরো। এইটুকুই, এর চেয়ে বেশি নেই জীবনের মানে।
  • ফরিদা | 11.39.35.65 | ২৩ জুলাই ২০১৫ ০৮:২৭507489
  • শব্দ করুক স্পর্শ তোমায়
    বৃষ্টি হলে ছাতার দেওয়াল
    আটকে দিলেও জলের ছিটে
    ভেজাক বর্ষামুখর খেয়াল।

    স্পর্শ তোমায় শব্দ করুক
    নাছোড়বান্দা বহির্মুখী
    ছাতা হারায় যেমনধারা
    খেয়াল ঘরে মারলে টুকি –

    স্পর্শ শব্দে গন্ধ আসুক
    রান্নাঘরে ফোড়ণ তেলে
    নাচ দেখালে আসুক খিদে
    মিশতে থাকুক চালে-ডালে।

    স্পর্শ শব্দ ঘ্রাণ আস্বাদ
    দৃশ্য মিশলে পঞ্চবটী
    চড়ছে হরিণ হিরণ্যময় -
    যদি লিখতেন বিদ্যাপতি।
  • ফরিদা | 11.39.35.65 | ২৩ জুলাই ২০১৫ ০৯:২০507490
  • রোদ বেরোলে ধন্দ কাটে
    কাল অবধি জলমগ্ন
    রাস্তাগুলোর খানাখন্দ
    তোম্বা মুখে ভেঙচিয়েছে।

    চিড়বিড়িয়ে রোদ বেরোলে
    বাসী খিচুড়ি টকে গিয়েছে
    কাদায় কাদা ঘরবাড়িতে
    সাফাই চলছে শাপশাপান্ত।

    কাল অবধি জ্যান্ত ছিল
    ঝমঝম আর টাপুরটুপুর
    সকাল থেকে সারাদুপুর
    সন্ধে হতেই ব্যাং ডেকেছে পাল্লা দিয়ে।

    অফিস যাত্রী নতমস্তক
    চুন খসলেই ঝাঁঝিয়ে ওঠে
    সারারাস্তা খাঁ খাঁ প্যান্ডেল
    ভাসান গেছেন বৃষ্টিঠাকুর।
  • ফরিদা | 192.68.143.213 | ২৪ জুলাই ২০১৫ ২১:৩৭507491
  • গাছে গাছে দেবতা বসেছে
    সন্ধ্যায় ছুঁয়ে ফেলা মানা
    সারাদিন লাগে পৌছতে
    দেবতা কি সেকথা জানেনা?

    কেন গাছ বহুদূরে থাকে
    কেন জুঁই সন্ধ্যাবাসরে
    এলো চুলে তারা ফুটে গেলে
    আহ্বান করেছে সাদরে?

    গাছে গাছে দেবতা বসেছে
    স্বর্গ রয়েছে চোখ বুজে
    দেখা হলে ছুঁয়ে দেওয়া মানা
    সারাদিন ছায়া খুঁজে খুঁজে।
  • ফরিদা | ২৬ জুলাই ২০১৫ ০৮:১৩507492
  • দেওয়াল বেয়ে বেয়ে জলের ফোঁটার সঙ্গে নেমে যাব ভাবি
    বারান্দা থেকে অনায়াসে।
    ইঁদুরের দাঁতে এক জায়গায় থেকে থেকে ক্ষয়ে গেছে অজস্র সময়
    ইতিহাস হব নাকি? রাজা গজা রাস্তায় দাঁড়ায়, কাটাকাটি করে সুখে ও অসুখে
    মাঝে মাঝে প্রাসাদ দুর্গ থেকে কামানের গোলা
    ঝরে পড়ে বিদ্রোহী বুকে।

    এইবার বর্ষায় অনেক জলের ফোঁটা কাছ থেকে দেখেছি আমিও
    তাদের সবাইকে আলাদা আলাদা করে চিনি -
    বারান্দা মেঝেতে একলা গড়ালো কেউ।
    অন্যটি ঘুরপথে পিছু নিয়ে তাকে ধরে নেয়।
    মান অভিমান পালা চলে টিভি সিরিয়ালে
    অদ্ভুত সকালে এইসব খেলে যায় জলের ফোঁটায়।
    কেউ থেমে থেমে চলে। কেউ শুধুশুধু অনেক চলার পর অল্পই থামে।

    আর নয় অনেক হয়েছে এইবার নেমে যাবো
    দেওয়াল বেয়ে বেয়ে ঠিক যেভাবে বৃষ্টির পর জলের ফোঁটারা নামে।
  • ফরিদা | ২৬ জুলাই ২০১৫ ০৮:৫৭507493
  • একদিন পাখনা গজাবে ভাবি
    ভারহীন ধুলোবালি হাওয়ায় হাওয়ায় ভেসে
    উড়ে যাবো এখানে সেখানে
    সবার অলক্ষ্যে আমি
    তোমারই কাছেপিঠে হয়তো কোথাও।
    তোমার ঠিকানা জানি। জানি তুমি কখন কোথায়
    হেঁটে যাবে ভাবো একলা বিস্ময়ে।

    একদিন জল, একদিন সুখবর হব। আচমকা ছুটি পাবে তুমি যেন
    ভালবাসা আলস্যে গড়াবে তোমার উঠোনে সন্ধ্যায়।
    ক্রমে রাত বেড়ে যাবে। বড় রাস্তা থেকে ঘন ঘন ট্রাকের শব্দ পাবে,
    মাঝরাতে জল তেষ্টায়
    দেখো, জানলায় দাঁড়িয়েছে চাঁদ তোমাকে দেখার চেষ্টায়

    আমার পাঠানো অজস্র শান্তির ভিড়ে একদিন তোমায় ভোলাবো।
    যতই ইচ্ছা করো পড়বে না মনে আর মাটিমাখা হাত।
    দূর থেকে মাঝে মাঝে শব্দ পাঠাবো।
  • ফরিদা | ২৭ জুলাই ২০১৫ ০৫:৪৮507494
  • সন্ধের দিকে গতি একটু কম করলেই চলত।
    পৌছনর তো ছিল না কোথাও। আলো পড়ে এলে দৃশ্য দুর্লভ হয়
    তাছাড়া থেমে গিয়ে এ পর্যন্ত তোলা ছবি নিয়ে
    বসা যেত চায়ের গেলাস হাতে।

    অন্য কিছু হতে পারত। একটা শহর আসত যদি সন্ধের মুখে।
    একটা আশ্চর্য নদী বাহারি সেতু থেকে
    বেলুন ওলারা যেখানে বিক্রি না হওয়া
    বেলুন গুলো উড়িয়ে দেয়
    যা আবার সন্তর্পণে মা পাখিরা নিয়ে যায় নিজস্ব বাসায়।

    গ্রামের মেলা, বাউল আসর, নিদেন পক্ষে একটা আলসে দোকান ঘর।
    মানুষের জটলা কিছু তর্কে বিদ্ধ পরস্পর
    পাশাপাশি থাকে।

    হলে বেশ হত। তার বদলে অভ্যাসবশত ক্রমশঃ চলছে গাড়ি।
    দৃশ্য কোথাও নেই। পৌছনর ছিল না কোথাও - গাড়িটাই আপাততঃ বাড়ি।
  • ফরিদা | ২৮ জুলাই ২০১৫ ০৭:০৪507496
  • সমুদ্রের ঝোড়ো হাওয়ায় বাঁচিয়ে রাখেন বাবা মা
    অভাবের সংসারে দুর্মুল্য বাড়তি কেরোসিন
    গোটা কতক শুকনো রুটি এবং একটি নাম জমকালো
    তুমি সারারাত সমুদ্রের দাপুটে হাওয়ায় সেই মৃদু আলো
    আঁকড়ে ধরে থেকে একলাই পথ চলো আগুনে ডানায়
    এই সবই তোমাকে মানায়, যেন গল্প আদ্যন্ত কাহিনীময়।

    একের পর এক ব্রেকার পেরিয়ে গেছে মেছো নৌকাটি
    সেই কেরোসিন কূপী থেকে সারা দেশ, পৃথিবীও আলোকিত
    যারা হাল ছাড়ে না কিছুতেই, বই থেকে অক্ষর খুঁটে খুঁটে
    জেগে থাকে। তারাই উত্তর খুঁজে পায়- যারা প্রশ্নের মুখে
    লাল শালু বেঁধে রুখে দাঁড়িয়েছে চোখে চোখ রেখে।
    দেশের শিরোপা হলে ক্রমে, মানুষের পাশে থেকে
    চির ভাস্বর তোমার পুরনো নাম। পোখরান বোমা নয়,
    মানুষ রাখবে মনে তোমাকেই, এপিজে আবদুল কালাম।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় প্রতিক্রিয়া দিন