এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পর্বে পর্বে কবিতা - তৃতীয় পর্ব

    pi
    অন্যান্য | ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ | ৫৬২৪৯ বার পঠিত | রেটিং ৪.৭ (৩ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ফরিদা | ২৯ জুলাই ২০১৫ ২২:৫৪507497
  • সামান্য জায়গায় অনেক কথারা এলে ঠেলাঠেলি হয়
    যেমন ভিড়ের ট্রেনে দূরে যেতে নিজেরই কথার ভারে
    বড় অসহায়। সমস্যা নামার সময়, খুঁজে পেতে দেখি
    হারিয়েছে অনেকেই। যে কথারা আমার সঙ্গে নেমেছে
    তাদের চিনি না আমি। কখনো দেখিনি কেউ তা শোনে না।
    ভার বেড়ে চলে, দেখো আমার অনেক কথা আমিও জানি না।

    কথারা তো জড় নয়, বলে দিলে তাও মানে হয়
    বাকিরা স্বাধীনচেতা ঘাড়ে চাপে মাথাতেও
    কামরার এ মাথা ও মাথা ছোটাছুটি করে দেখি
    তাদের বয়স কম আমারই মুশকিল হয় শুধু শুধু
    গুছিয়ে তুলতে প্রায় ভুল হয়ে যায়। যখন তোমার কাছে
    পৌছতে পারি ততদিনে সেইসব বদলে টদলে গিয়ে
    একাকার হয়ে ঘাড়ে পিঠে সারা গায়ে অর্থহীন ঘোরে
    কত কথা হারিয়েছে, যদি বোঝো এ মর সফরে।
  • ফরিদা | ৩০ জুলাই ২০১৫ ০৬:০৪507498
  • হাঁচি পেলে - সেদিন দেখাচ্ছিল এক জ্ঞানের চ্যানেলে
    কী করবেন আর কীই বা করবেন না।
    পাশের ঘরে দেখি গজগজ করে মানুষেরা
    তারা প্রত্যেকে নিজের চেয়ার থেকে
    কথার আঁকশি ছুঁড়ে অন্যকে নামাল।
    এটা কিন্তু খেলা নয়, খেলার চ্যানেলে তখন
    নাচ গান হচ্ছিল দিব্য
    শেষ পর্যন্ত কিছুই হলে না দেখি- হাঁচি পেলে
    ঠিক কী কী করণীয় সেটাও জানলাম না।
    সারাদিন বৃথা গেল, কবে যে কিছুটা শিখব?
  • ফরিদা | ৩০ জুলাই ২০১৫ ০৭:৪২507499
  • কবিতা লেখার পরে শ্বাস নিলে হালকা লাগে, তাও কিছুক্ষণের জন্য। তারপর বাইরে তাকালে দেখি রোদ ফুটে গেছে, পাখি টাখি দেখে ঢাউস মেঘেরা আকাশের বারান্দা থেকে। স্বপ্নের মতো শেষ লাইনের দু একটা শব্দ ঘাই মারে, মৃদু বুড়বুড়ি তুলে ডুবে গেল ঘুমের ভিতরে।

    বেশির ভাগ কবিতার কোথাও পৌছনর থাকে, আমি জানি কিন্তু যাকে যেখানে যেতে হত সে অন্য কোথাও যেতে চায়, কখনো বা বেরোতে চায় না, ঘরকুণো। অফিসে বেরোলো দেখি ফতুয়া পাজামায়

    একবার হাতছাড়া হলে, কিছুই ফেরে না আর। কবিতাও ভুল ঠিকানায় সারাদিন ঘুরে বিকেলে তামাদি। কেন এত তাড়াহুড়ো কেন এটা? ওটা কেন নয় - এইসব প্রশ্ন ইত্যাদি।

    কবিতা লেখার পরে হালকাই লাগে। হয়তো, ফিরে দেখা হবে না কখনো, যদি খুঁটে খেতে শিখে নিজে নিজে বাঁচে কিছুদিন - আর কিছু দিতে অপারগ। শুধু জন্ম দেওয়ার সুখে লালায়িত লেখনীর শুভেচ্ছা- এইটুকু জেনো।
  • ফরিদা | ৩০ জুলাই ২০১৫ ০৯:৫০507500
  • যেহেতু প্রতিটি চিন্তা একে অপরকে ঘুম বলে থাকে
    ঘেরা থাকে পৃথিবীতে জল আকাঙ্খার স্বাদু টুপটাপ
    কবেকার হলদে ছবিতে কত রোগা সাবলীল
    কী ভীষণ ছেলেমানুষি করেছে বলে নিজ নিজ ছাদে
    আয়না দেখেছে ভোরে।

    ছবিতে রঙেরা এলে দলবেঁধে কাকে দেখা যাবে বেশি?
    দুইজন এমন থাকে যার নাম মনে পড়ে নি আর।
    যেমন অনেক পরে আকাশে তাকালে মেঘেরা বদলে যায়
    বোধ হয় চাঁদের আস্তিনে লুকনো মারণ বিষ
    যেখানে নৌকাডুবি তার পাশে ছিল ধানজমি
    কীটনাশকেরা বাসা বাঁধে ঘুমের গভীরে।

    যেহেতু তেষ্টা পায়, চিরদিন শান্তি সময়ে
    টেলিফোনে উটকো ঝামেলা জল জমে ক্যাবলা শহরে
    শরীরে শিকড় নামে বহুদিন হল পরবাস
    অন্য ভাষার ঘুম আজকাল শুতে আসে এ মর শরীরে।
  • nabagata | 24.139.222.66 | ৩০ জুলাই ২০১৫ ১৩:১০507501
  • গোধূলি
    এসময় কয়েক মুহুর্তের জন্যে আকাশ বড় অকপট হয়
    আলো-অন্ধকারের বিভাজিকা থেকে অনাড়ম্বর মৃদু আলোয়
    জগতের এপার-ওপার দেখা যায়, কালের গভীর স্তর
    জেগে ওঠে স্পষ্ট, আটপৌরে রূপে। কয়েকটি মুহূর্ত কেবল,
    তারপরেই ক্লান্ত দিনের অবসাদ মোচন রঙের ফোয়ারায়
    রামধনু-সপ্তসুরে, সুরমা-টানা সন্ধ্যা আসবে চপল
    মোহিনী সাজে। আরো পরে, মধ্যযামে, মহাবিশ্বের
    অসীম স্বরূপ আবিষ্ট করবে মহত বিস্ময়ে
    অনন্ত শক্তির ঢেউয়ে বুদবুদ-তুচ্ছতায়। ভোরের উদাসী গৈরিক
    সেও বড় বৈরাগ্য-বিধুর, প্রত্যহের সমতল থেকে সুদূর
    সমাহিত মৌনী পাহাড়। গোধূলি, গোধূলি-ই শুধু
    কোনো মহত ভনিতা ছাড়া ত্রিকাল ও ত্রিলোকের সমস্ত
    মমতা ছেনে আকাশে ছবি আঁকে; হয়ে-ওঠা জীবনেরা
    না-হওয়া জীবনের হাত ধরে অনায়াসে, চোখে চোখ
    রাখে কুণ্ঠাহীন। কয়েকটি পল মাত্র, তবু প্রত্যহই
    স্বছতোয়া নদীর মতো ভালবাসায় এসময়
    আকাশ ও পৃথিবীর দেখা হয়। নিরুচ্চারে, আয়োজন ছাড়াই।
  • nabagata | 24.139.222.66 | ৩০ জুলাই ২০১৫ ১৩:১১507502
  • ছুঁয়ে থেকো
    ছুঁয়ে থেকো
    জীবনে জীবনে দিয়ে। অঙ্গাঙ্গী নয়, তবু অবিচ্ছিন্ন
    তন্ত্রীর স্পন্দনে; দিবস যেমন গোধূলি-গগনে
    রাত্রিকে স্পর্শ করে, সুদূর দ্বীপমালা
    ছুঁয়ে থাকে সৈকত-ভূমিকে
    মৃদু নিরুচ্চার ঢেউয়ে; পূর্ণ অন্ধকারে
    অনুজ্জ্বল বেগনি দিকচক্রবালে
    সমুদ্র আকাশকে ছোঁয় মায়াবী সংলাপে,
    গোপন অশ্রুকথা চাঁদ ভোরের শিশিরে
    লিখে যায় উষার উদ্দেশে; বাতায়নপথে
    উড়ে আসে দূরাগত হলদে পালক,
    স্থানু বৃক্ষ মাটির খবর পায়
    সোঁদা গন্ধের প্রগাঢ় নিশ্বাসে।

    ছুঁয়ে থেকো
    নিয়মিত নয়, তবু নিশ্চিত বিশ্বাসে
    ক্ষুদ্রতম তরঙ্গ-ও তো অমোঘ প্রত্যয়ে চেনে
    নিযুত আলোকবর্ষ, ছায়াপথ, এই কথা জেনে:
    ভালবাসা শেষ কথা বলে, জলে-স্থলে
    নভোতলে, অনিকেত সময়ের প্রতি অনু-পলে
  • nabagata | 24.139.222.66 | ৩০ জুলাই ২০১৫ ১৩:১২507503
  • বহ্নি - জাতক

    ``...While lying unborn in my mother's thigh, I heard the doleful cries of my mother and other women of the Bhrigu race who were then being exterminated by the Kshatriyas. ...It was then this wrath filled my soul! My mother and the other women of our race, each in an advanced stage of pregnancy, and my father, while terribly alarmed, found not in all the worlds a single protector!...The fire of my wrath...is ready to consume the world”

    Mahabharata, Chitra-ratha Parva

    উড়িয়ে গৈরিক ধ্বজা অভ্রভেদী রথে
    ওই যে তিনি, পুরুষোত্তম , একরোখা রাজপথে

    দেখতে পাচ্ছি তাঁর উজ্জ্বল উষ্ণীসে সুমহান প্রাচীন
    প্রভাত-সূর্য, ওই তাঁর রথচক্রে গুঁড়িয়ে গেল
    অধর্মের প্রাকার; বিজাতীয় বিষাক্ত আগাছা দলিত
    মথিত, তীব্র কটু ঘ্রাণ অবশ করছে সমস্ত ইন্দ্রিয়

    প্রগতির দুন্দুভি বাজে, আবাহন শাঁখে,
    সিগনালে বন্দী সুরে, পঁচিশে বৈশাখে!

    আকাশ ছুয়েছে দর্পিত কিরীট, জ্যোতির্মন্ডলি
    গ্রাস করে নিচ্ছে সকল নক্ষত্রের দীপ্তি, ওই যে
    সপ্তর্ষিগণ একে একে লীন হলেন তাঁর অগ্নিময়
    অবয়বে, মুছে গেলেন কালপুরুষ, ধ্রুব, অরুন্ধতী
    বিগত বৈশাখী পূর্নিমায় তাঁর আণবিক তেজে ভস্ম
    হয়েছিল মৈত্রেয়-করুনার কানন, আর বাউল-কবির
    জন্মতিথি তো আজ বেছে নিয়েছেন ইচ্ছে করেই,
    দোতারার মরমিয়া সুর ছিন্নভিন্ন রথচক্রের ঘর্ঘরে;

    চরণে প্রনত জাতি, এক দেহে লীন
    পথপার্শ্বে কৃপাপ্রার্থী বাম ও দক্ষিণ

    অশ্বক্ষুরধুলি কুন্ডলী পাকিয়ে উঠে দৃষ্টি
    আচ্ছন্ন করে, ফাঁকে ফাঁকে বিদ্যুত - বহ্নির ঝলকে
    দেখা যায় দাউ -দাউ জ্বলন্ত আকাশ, সংক্ষুব্ধ নীহারিকার
    করল গ্রাসে নিক্ষিপ্ত জাত ও অজাত নারী-পুরুষ,
    যাদের বিনাশ পূর্ব-নির্দিষ্ট। কম্পমান শিখার আবছায়ায়
    ভেসে উঠেই মিলিয়ে গেল শূলবিদ্ধ পূর্বজার ভ্রুণ
    ধর্ষিতা পিতামহীর দগ্ধ শরীর, পিতৃপুরুষের ছিন্নভিন্ন
    অসহায় শব ; লোলুপ লেলিহান অগ্নির তাড়নায়
    গহন অরণ্য থেকে ছুটে বেরোনো মানুষ, খান্ডব-উল্লাসে
    তাদের ঘিরে ফেলছে হিংস্র সশস্ত্র শ্বাপদ-বাহিনী।
    আর্তস্বর ক্ষীণ হয়ে এলো প্রলয়পয়োধীজলের কল্লোলে
    বিস্মৃতির ত্রিকালপ্লাবী তরঙ্গ, সম্মোহনী বাষ্পের মত
    সুষুপ্তির প্রগাঢ় মেঘ ঢাকলো চেতনাকে। তারপর ঢেউহীন
    নিস্পন্দ সমুদ্র। মৃত-মীনাক্ষী আকাশ। দৈবকণ্ঠে ওম শান্তি।

    দিকশুন্য প্রাণশূন্য এ ভুবনে কোথায় ধরাবো
    জাতিস্মর ক্রোধের দহন, সজীব উন্মাদ ঘৃণা

    সলিলে ডোবালে বাড়বাগ্নি হয়ে মাথা ফোঁসে
    আকাশে ভাসালে ফেটে পড়ে বজ্রগর্ভ মেঘের আক্রোশে
    ধরিত্রীর সহিষ্ণু বুকেও তোলে কম্পন নাগিনীর রোষে।

    ক্রোধের আঁচ থেকে ওম ধার নেবে
    গর্ভিণী সময়, সতর্ক মশাল জ্বেলে
    বিজন দ্বীপে, থাকব অতন্দ্র প্রহরায়
    যেখানে দগ্ধ অতীত পুনর্জন্ম চায়
    নাড়ি ছিঁড়ে বেরোবে এক আগ্নেয় সত্তায়।
  • Abhyu | 118.85.88.75 | ৩০ জুলাই ২০১৫ ১৩:২১507504
  • আজ্ঞে, নবাগত নামে কলকাতা থেকে একজন লেখেন/লিখতেন। ঘটনাচক্রে ভাটনগর পুরষ্কারপ্রাপ্ত সেই ভদ্রলোককে আরো দু একজন ভাটুরে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন। আপনি কি সেই একই ব্যক্তি? নইলে অন্য নাম নেওয়ার কথাও ভাবতে পারেন।
  • ফরিদা | ৩১ জুলাই ২০১৫ ০৫:৪০507505

  • হয়ত তেমন জটিল নয় সবকিছু, শুধু একটা ঘুম থেকে অন্য ঘুমে যাতায়াত চলে। দুঃস্বপ্ন দেখে ঘুম ভাঙলে তীব্র জল তেষ্টা। এখন তেষ্টা আর দঃস্বপ্ন কোনটা আগে আর কোনটা পরে সেটাই ভাবায়।


    সময় একটা ধারণা মাত্র। আপাততঃ যে ঘুমের মধ্যে রয়েছি সেটা এখানকার চালু মুদ্রা বৈ তো নয়। আমার পাঁচ মিনিট আর একটি এক মাস আয়ুওলা মশার সাপেক্ষে সেটাই তিন দিনে পৌছয়।"বাসস্টপে তিন মিনিট অথচ কাল স্বপ্নে বহুক্ষণ" বলে আলোচনা শুনে থাকবেন।


    স্তরের রকমফের আছে। তলের ও। পৃথিবীতে মানুষ ওপরের তলে ছড়ি ঘোরালো মানে সেটাই যে চরম তার মানে আছে কি? অন্য কোথাও হয়ত অন্যরা গ্রহেরা ভিতরে গর্ত করেই রয়ে গেছে। কে জানে?


    কিছুদিন পরে কথার সঙ্গে মানুষের ভয়ানক লড়াই হয়ে যাবে। এসপার নয় উসপার। যে কোনো একজন টিকে থাকবে। নিরপেক্ষতার বড় বালাই। এখন থেকেই একটা দলে সেঁধিয়ে গেলে হয় ভাবি।
  • ফরিদা | ৩১ জুলাই ২০১৫ ০৬:৪৮507507
  • লেখা অক্ষরগুলো চেপটে লেগে থাকে ফোনের পর্দায় কাগজে কাগজে
    অথচ ওদের জ্যান্ত করতে কোনো কসুর ছাড়িনি
    মাইল মাইল হেঁটে গেছি অফিস ছুটিতে পুরী দার্জিলিং কোডাইকানাল
    ছবিও অগুন্তি, মাটিতে গড়িয়ে গেছি পাহাড়ে পাহাড়ে
    বইতে যেমন থাকে লেখাগুলো ভ্রমনকাহিনী
    আচমকা রাস্তার বাঁকে সমুদ্র সামনে আসে দুরন্ত কিশোরী দুই বেণী-
    অনেক দিনের পর যেন তুমি গান গেয়ে ওঠো
    কেঁপেছে গাছের শাখা হাওয়ায় হাওয়ায়
    তেমন কিছুই দেখি না এই সমতলে
    এইসব অক্ষর লেখার সময়ে।
  • ফরিদা | ৩১ জুলাই ২০১৫ ২১:২৪507508
  • There's a reason why "once in a blue moon" is a saying and tonight will prove it.

    A blue moon is defined as any time there is a second full moon during a calendar month, according to NASA. While most years have 12 full moons, this year has 13.

    Don't let the name fool you, though. Blue moons are very rarely blue. Most are pale gray and white, resembling a moon on any other night.

    A truly blue colored moon can occur on rare occasions, according to NASA, with most being spotted after volcanic eruptions. It's also possible Friday's moon could be red.

    Source:
    http://abcnews.go.com/Technology/blue-moon-makes-fridays-moon-special/story?id=32789558

    এ মুহূর্তও কি অবিরল নেহাত্ই
    তোমার মুখোমুখি দিনশেষে ভীষণ পোশাকী সন্ধ্যায়
    তোমাকে আগলে রেখে হেঁটে চলে যায়।
    দূর থেকে বড় নীল লাগে তোমাকে দ্যোতনায়
    আজকেও বোধ হয় শেষ পর্যন্ত আটকেছ বলে দিতে কোনোমতে।
    আপাততঃ আকাশ যেভাবে মেঘের পর্দা দিয়ে
    বিরলতর নীল চাঁদ বুকে নিয়ে একলা হল ভরসন্ধ্যায়
    মাঝরাতে ঘুম ভেঙে দিয়ে খোঁজ নেব
    যদি কিছু বলে দিতে চায়।
  • শিঞ্জিনী | 53.224.156.82 | ০১ আগস্ট ২০১৫ ১০:৪৫507509
  • সুন্দর,খুব সুন্দর।শিঞ্জিনী
  • ফরিদা | ০১ আগস্ট ২০১৫ ১৩:০৩507510
  • এক আত্মপ্রসাদ সকালে থেকে পেয়ে বসে তোমাকে জ্বালিয়ে
    সকালেই ঘুম ভেঙে জলে থই থই, কাজের লোকের কোনো প্রশ্নই নেই আসার
    বাজারেও না গেলেই নয় একবার এমন অবস্থা
    হাত পা বেঁধে জলে ফেলে দিল কে যেন তোমাকে
    এদিকে এত মেঘ এত জল চারিদিকে, কালকের এঁটো বাসন ডাঁই হয়ে পড়ে রয়েছে উপছোনো সিঙ্কে
    সারা সপ্তাহের ছাড়া জামাকাপড় - মেসিন চালালেও শুকোবে কীভাবে?

    আমি তো বারণ শুনে থেমে গিয়েছিলাম এমনই এক বৃষ্টির দিনে
    সেইসব বৃষ্টি কিছু ফেরত পাঠালাম
    দেখি, তুমি কী করে সামলাবে?
  • ফরিদা | ০১ আগস্ট ২০১৫ ১৪:২১507511
  • যা কিছু আপাত নিস্প্রভ যেমন অনুপস্থিতি তোমার বিকেলে
    যা কিছু খরচা হয় স্বাদুতর সময় বেচলে
    চড়াদামে, হে অকিঞ্চিতকর
    আমাকে দেখাও কি আজকের জন্য কি রেঁধেছ ঈশ্বর?
    তন্দুরি গোলাপ আমি পছন্দ করি না, জানো
    তদ্রুপ ভাবনা বিলাসে নৌকা, পরিযায়ী ঘটনাপ্রবাহ
    আমাকে জাগিয়ে রাখে বংশানুক্রমের তীব্র মধুমেহ
    পৃথিবীর সব সমুদ্রতটে ভাসানের দিনে আমি সাবধানে রেখেছি অক্ষর
    যদি ভুলক্রমে চোখে পড়ে তোমার, সঙ্গীতময়, হে মাতাল ঈশ্বর।

    হাত থেকে হাতে ঘোরো, জানি, বদলিয়ে গিয়ে নয় তুলে দাও ঝড়
    এ হেন নিস্প্রভ দিন কালো করো- বৃষ্টিতে ভাজব পাঁপড়।
  • ফরিদা | ০১ আগস্ট ২০১৫ ১৪:৩৫507512
  • চার নম্বর লাইনে "দেখাও কি" র জায়গায় " দেখাও দেখি" পড়তে হবে।
    ভুল মার্জনীয়।
  • sosen | 34.49.119.28 | ০১ আগস্ট ২০১৫ ২০:১১507513
  • এখন হবে না কাল।
    এখন দীর্ঘদিন স্বয়ংভূমিতে
    জলের হুতোশশব্দ, প্রাকৃতবন্ধুর আনাগোনা
    সময়ব্যসন নেই কোনো।
    এখন হবে না কাল, সত্তর বছর
    মুঠোয় জড়িয়ে রাখো, পাকা দাড়ি, ফুটো গেঞ্জি, রুহ ভরে ওমর খৈয়াম
    ঘোলাটে কাঁচের নীচে অনবদ্য শ্যামল করুণ।
    গোপন গল্পের মধ্যে মিশে থাকে মাতৃকষ্ট, সেই শিশু
    সাদা-কালো ছবির আকাশ জুড়ে হেঁটে যায় যার গল্পরথ।
    চেয়েছিল অনেক কিছুই
    এখন শুধুই
    নরম চটির জ্বালা, অসফলতার গর্ব
    আর ভয়। ভালোবাসা কেহ তো বলে না
    এখন হোয়ো না কাল।অনুক্ত থেকে গেছে
    এযাবৎ কান্না,খতিয়ান
    বাবাকে উদ্দেশ করে একখানি চিঠি, একবার।
  • ফরিদা | ০২ আগস্ট ২০১৫ ০৮:১২507514
  • ছাদের ট্যাঙ্কে নাগাল এড়িয়ে ঘুড়ি
    হাতছানি দিয়ে দুলছে হাওয়ায় বেশ
    শূন্যস্থান পূরণের বাহাদুরি
    দ্বন্দে কাটছে দ্বিধার ছদ্মবেশ।

    যদিও শ্রাবণ দিনকাল ভালো নয়
    লাঠিসোঁটা নেই নিধিরাম সর্দার
    কখন আচমকা বৃষ্টিও এসে যায়
    বেলা পড়ে গেলে ইচ্ছেরা ছারখার।

    ঘুড়ি তবে নাকি আটকাবে জানলায়
    বিছানার পাশে গেলাসের জল শেষ
    যত ছোটাছুটি ফাঁক তবু রয়ে যায়
    দ্বন্দে দু-দিন, দ্বিধার ছদ্মবেশ।
  • ফরিদা | ০২ আগস্ট ২০১৫ ১১:২৫507515
  • ফ্রেন্ডশিপ ডে

    পূর্ণবয়স্ক মানুষের কাছে টানার শক্তি আর দূরে ঠেলার জোর
    মোটামুটি সমান সমান।
    চোখের ক্ষমতাও খানিকটা তেমন
    একটা সীমার বেশি কাছে থাকা দ্রষ্টব্যে মানুষ প্রায় অন্ধ।
    দৃষ্টিসীমার বাইরেও সে আবার দেখতে অপারগ।

    এই দুই ধারণাকে পাশাপাশি রেখে ব্যখ্যা করা সম্ভব-
    কেন সবচেয়ে কাছে থাকা মানুষেরাই
    পরস্পরের থেকে সবচেয়ে দূরে চলে যায়।
  • শ্ব | 229.64.71.224 | ০৩ আগস্ট ২০১৫ ০২:৫২507516
  • দৃ
    ~

    এইভাবে ,
    ধরে নাও
    একদিন আমাদের
    যন্ত্রগুলো ছুঁতে শিখবে সবকটা তার ,
    নিজে নিজে
    বেজে যাবে একা চেলো অন্ধ বেহালা ,
    অনেক
    দুরের ঘাসে , প্রতিটি ঘাসের মধ্যে কথা হবে প্যাকেটে প্যাকেটে ,
    ফেভারিট থীম জুড়ে তুঁতেরং বালিহাঁস কার্ট্রিজ , স্বচ্ছতার ভ্রম ।।
  • sinfaut | 11.39.80.78 | ০৩ আগস্ট ২০১৫ ০৯:০৬507518
  • একেই বলে দাদাগিরি। একজন নতুন এসে নবাগত নাম নিয়ে দুটো কবিতা লিখেই বিশাল চাপ খেয়ে গেল। কারন, এই নামে ভাটনগর পুরষ্কার প্রাপ্ত এবং এখানে কয়েকজনের পরিচিত এক ভদ্রলোক বছরে ২ ৩ বার লিখে থাকেন। এবং সেই ভাটনগর প্রাপ্ত ব্যক্তি অভ্যুর বিশেষ পরিচিত হলেও তিনি এমন কবিতা লেখেন কিনা সে ব্যাপারে অভ্যু নিঃসন্দেহ হতে পারছেননা। জ্জিও।
  • - | 109.133.152.163 | ০৩ আগস্ট ২০১৫ ১০:১৫507519
  • এই নিক রিসার্ভ করে রাখাটা এক্কেরে গুরু ইস্পেশাল ঃ-)
    নামের জায়গায় ড্যাশ রেখে তো কত জনই পোস্ট করেন। তাতে যে কি আসে যায়, কে জানে!
  • sosen | 78.105.152.253 | ০৪ আগস্ট ২০১৫ ০৫:৫২507520
  • একটা গাছের নীচে সে দাঁড়িয়েছিলো
    আরেকটা গাছের নীচে রোদ
    আরেকটা গাছের নীচে সময় ঝরে পড়লো টুপটাপ
    থালায় আলুসেদ্ধ-আঙুল কাঁচিয়ে নিয়ে দোদন ডাকলো
    ভাত খাবি আয়, দিদিভাই।

    একটা গাছের নীচে ওরা দাদুকে শুইয়ে রেখেছিলো
    আরেকটা গাছের তলায় অন্ধকার নামলো টিপিটিপি পায়ে
    ঘরোয়া জীবনকাল শোক হয় না, কান্না হয় শুধু
    তাই প্রত্যেকটা গাছের তলায় একেক জন কাঁদছিলো আছড়ে পড়ে
    ফুল-মেয়েটার সাথে রাগ করে দেখা হোলো না
    ফোন বেজেছিলো। ঠিক তার আগের দিন।

    গাছের নীচে আরো গাছ হয়।
    ফেসবুকে ছবি ওঠে, জঙ্গলে পা দিতে অস্বস্তি
    ফিসফিস করে মা ডাকলো
    সোনা, খেতে আয়।

    রক্তে ভেসে যাচ্ছে গল্পের বাগান, মহীরুহ
    আকাশ ভর্তি অ্যাসিড।
  • শ্ব | 229.64.71.223 | ০৬ আগস্ট ২০১৫ ০১:৪৮507521
  • ------------------------------------------
    আমি আড়বাঁশি বাজাতে পারি না # ৪
    ------------------------------------------

    মাঝে মাঝে এঘর ওঘর যাই
    মাঝে মাঝে ঘরের মধ্যে হাঁটি

    আয়না ভর্তি মথ দেয়ালময় পিউপা
    কালো বালিশটার ওয়ার জুড়ে সবুজ ছাতা
    সিংক উপচে তরকারির হাঁড়ি আর তার ভেতরে
    জেগে উঠছে মাছিদের ডিম কিছুদিন বাদে ওরা হাঁটবে

    এঘর ওঘর যাই

    ছাই ফেলি সর্বর্ত্র

    একোরিয়ামের মাছ ফুলে ওঠে

    থেকে থেকে সালফাইডের ঝাঁঝ
    ঘিরে নেয়
    বাতাসে স্পোরের গন্ধ তোশক কফিন
  • sosen | 177.96.4.132 | ০৬ আগস্ট ২০১৫ ০৪:১৫507522
  • একটা ছাপের মতো রয়ে যাচ্ছে।
    একটা নীল পোড়া দাগ
    কুপির সব-ভিতরের আগুনটার মতো
    সবচেয়ে বেশী ছ্যাঁকা দেয় যেখানে
    ক্ষারের হলদে দাগ
    নোখের পাশে উঠে যাওয়া চামড়া
    গায়ের থেকে ফেলে দেওয়া চাদর
    বাসি চুমু
    সোঁদা গন্ধের বাথরুম
    দাগ, সকালের ফেলে যাওয়া চায়ের
    কাপের গোল দাগ
    টেবিলের কাঁচে
    ছাপের মতো, সব রয়ে যাচ্ছে।
    মধুবনী স্ক্রোলের মতো
    টোল খাওয়া, ব্যাঁকা, অপূর্ণ চেষ্টার ছাপ সব
    লোকায়ত।

    এরকমই
    তোমার পাশে আমার বেঁচে থাকা
    বাঁ পায়ের আলতার ছাপ
    আর নিভিয়ে দেওয়া সিগারেটের পোড়া ছোপ
    আর আঙুলে লেগে থাকা কুমাসি নীল
    এই সবই রয়ে যাচ্ছে।
    এই চাদর কেউ কাচে না। অমঙ্গল হয়
  • sosen | 50.128.208.34 | ০৭ আগস্ট ২০১৫ ০৮:২৯507523
  • কি জানি কখন গেল
    দরজা তো খোলাই
    হাওয়ায় দুলছে ছেড়ে রাখা হাল্কা নীল জামা
    আরেকটু আড়মোড়া ভাঙলে সকালের মুখ আর ভার থাকবে না
    ডিম ভাজলে সুঘ্রাণ আসবে যথারীতি
    নতুন শাড়িটি খুঁজে পরা হবে, ভিজে চুলে
    এলোমেলো হয়ে থাকবে দ্রাঘিমার ভুল
    পথহারা মানুষটি উবু হয়ে বসে
    মুড়ি খাবে বেড়ার এধারে।
    আল্পনার মতো কিছু আঁকতে হবে জানালার নিচে
    সিরিয়ালে গ্রামের মুখ যেমন হয়
    দু একটি কালির আঁচড়ে
    একটা পথ , হারিয়ে গেলো ঐদিকে
    কাগজের ওপারে আর যেতে শিখিনি তো
    তাই সবটাই এইখানে শেষ।

    নীল জামা, ভ্যারেন্ডা, ভিজে চুল
    অক্সফোর্ডের ড্রয়িং খাতা, ভাঙা প্যাস্টেল।
    কাগজের ওপারে পা বাড়ালেই ভয়ঙ্কর খাদ
    মার্জিনের ধার ঘেঁষে
    হা-হা করে দুলতে থাকে। আর কিছু নেই।

    কি জানি কখন গেল। ভয়ে বুক কাঁটা হয়ে থাকে

    ওগো শুনছো, ফিরে এসো, কাগজের ওপারে যেও না
  • ফরিদা | 192.68.198.52 | ০৮ আগস্ট ২০১৫ ০৭:০৭507524
  • তোমায় জানতে গিয়ে শিকড় নামিয়ে গেছি
    দিনে রাতে, অনন্ত সময় বহুদিন। পাথরে বাধা পেলে
    থেমে গিয়ে অন্য পথ করে নেয় অন্ধরা যেভাবে
    লাঠি ঠুকে ঠুকে। পাড়ে দাঁড়িয়ে মানুষ তোবড়ানো
    লোহার বালতি দড়ি বেঁধে নামাতে থাকে জল পেতে
    জলে পৌছতে, বালতিটি জল ছুঁলে কাত হয়ে যায়।

    নানান কারণে আমি নিজে নামি না সচরাচর।
    কখনো শিকড়, কখনো বালতি, কখনো বারান্দা থেকে
    বাস ছাড়ে আধঘণ্টা পর পর। বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে
    তোমার যেসব ঘর, যেসব জানলা কখনো দেখিনা
    তার খোঁজে লোক পাঠিয়েছি, পাইক বরকন্দাজ
    কোথা থেকে পাই আর বলো? নদীর সামনে গিয়ে
    পাথর ছুঁড়েই বলি এটা কি তোমার? শিকড়েরা ঘর
    গেলে গাছেরা আকাশ ছোঁয়, থামলেই গন্তব্য পরস্পর।
  • sosen | 78.105.152.253 | ০৮ আগস্ট ২০১৫ ০৭:২৪507525
  • আলোর ফোঁটা একটু একটু ছুঁয়ে যায় কিন্তু ভিতরবাগে আছে সেই অন্ধকারের বীজ। তাকে কে ভয় পায় না? যে পায় না সে জানে না, সে আছে ঠাকুরের ভালোর হাতে, আদরের হাতে। আমার মতো নাকি, হেঁটে, শুয়ে, নষ্ট হয়ে , আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে মাটিতে মিশে আবার পুতুল হয়ে তাকে ওঠা? ওকে ঠাকুরের ভালোবাসা বলে? ছাই! সব মিছে, সব শুধু কানাকানি কথা।

    তোরাই তো বলেছিলি সখী, খুঁজে আনবি তাকে। আর আমাকে মোহনবেশ ধরতে হবে না, কুয়াশার মধ্যে একলা হেঁটে যুগোতে হবে না ন্যাকা কবিদের আখর। আমার শান্তি লাগে না, আমার দুয়োর ঘিরে বিষম বেদনা ভিড় করে। কিন্তু ও অন্ধকার বিনা, রাই তো কেউ নয়, কিছু নয়। ঐ যে বুকের মধ্যে ছলোছলো কালিন্দী ঘাই দিলো, তখনি তো কোত্থেকে সে ডাকে চিঠি ফেলেছিলো, কোন দূর থেকে কালো জলের আওয়াজ টেলিগ্রাফের তার বেয়ে গেলো ওর বুকের কাছটিতে, বোধহয় টের পেলো না সে। আমি ভয় পেলাম, মুখ গুঁজলাম কালো আঁধারটিতে, আপন আঁধারটিতে। আহা সেও যদি কালো হতো, নষ্ট হতো আমার মতন, তোদের কি আর সাধতাম? সে যে নষ্ট হলো না, ছিঁড়লো না, উড়লো পুড়লো না---আমি শরীর হয়ে জ্বললাম মিছিমিছি, কালো সে আর দেখতে পেলো না, আগুন দেখে ভাবলো সতী জ্বলে যাচ্ছে বুঝি। ছাই উড়ে উড়ে দিগন্তে মেঘ ঘনালো শুধু।
  • achintyarup | 125.187.53.53 | ০৮ আগস্ট ২০১৫ ১৩:৫১507526
  • হেমকূট পাহাড়চূড়ায়
    সারা রাত আলো জ্বলে।
    চুড়োয় দাঁড়িয়ে আমি দিনের নিভে যাওয়া দেখি।
    আমার পায়ের নিচে গুঁড়িয়ে যায় ইতিহাস, অলীক কথন, আর ভালোবাসা।

    মুঠি ভরে তুলে রাখি আদরের কথা, ছলনা, আর সান্ধ্যভাষা।
    আঁজলা করে এনে দেখি
    চোখের সম্মুখে।
    ভাল করে চেয়ে দেখি।
    আঙুলের ফাঁক বেয়ে গড়িয়ে যায় এক দুই শব্দ, সন্ধ্যাভাষায়, একটা দুটো অনৃতের ফোঁটা গড়িয়ে যায় কনুই বেয়ে।

    আবার গল্পের বাজারপথে ফিরে ফিরে যাই,
    টের পাই ইতিহাস গুঁড়োতে থাকে পায়ের তলায়।

    হেমকূট পাহাড়চূড়ায়, আমার একলা দাঁড়ানো,
    নেমে এসে পান-সুপারি পথে,
    বাজারের পথে ফের হেঁটে যাওয়া
    আলু-বেগুনের দাম জেনে জেনে,
    ইঁদুরের মতো খালে বিলে ভালোবাসা খুঁজে
    ভাষার শেকড় খুঁড়ে খুঁড়ে তুলে আনা তেতো কন্দমূল,
    রাজা রানি প্রাসাদের গল্প বেয়ে হেঁটে যেতে যেতে
    বাজারের পথে নেমে যাওয়া। এই সব।

    খুঁটে খুঁটে ভালোবাসা তুলি, জমাই।
    আঁজলা বেয়ে গড়িয়ে যায় দু ফোঁটা অনৃত।
    কিছু তার ভুলে যাই,
    কিছু লেগে থাকে বাহুতে, কনুইয়ে।

    হেমকূটে আলো নিভে যায়।
  • I | 120.224.221.230 | ০৮ আগস্ট ২০১৫ ১৯:০২507527
  • ওয়া,চিন্টুবাউ যে ছুপা রুস্তম জানা ছিল না!
  • kumu | 132.161.35.222 | ০৮ আগস্ট ২০১৫ ২৩:৪৫507529
  • অচিন্ত্যরূপ!!!!!!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন