এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • স্বামী বিবেকানন্দ-একটি নির্মোহ ব

    Biplab Pal
    অন্যান্য | ১৫ জানুয়ারি ২০১২ | ৭৬০৮৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • avi | 113.24.86.103 | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ১৩:২২516116
  • রাগের কিস্যু নেই। কিন্তু দুটোর প্যাথলজি এক, ওটা আমার বক্তব্য না, নিতান্তই আপনার নিজের মনের মাধুরী। নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদির জায়গাটা আবার পড়ুন, প্রিকনভিন্সড না থাকলে বোঝার কথা সেটা। নতুন লোক ভাবার ব্যাপারটা বুঝলাম না।
  • sm | 53.251.91.253 | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ১৩:৩২516117
  • আপনি ব্ল্যাক আউট আর TLEer তুলনা টা আনলেন তো , নাকি। কেন আনলেন? আত্মনিয়ন্ত্রণ বিঘ্নিত হয় না; এটাই বা বললেন কেমন করে। যেখানে ডেফিনিট EEG চেঞ্জ পাওয়া যায়।আর এটা সিম্পল নয় কমপ্লেক্স পার্শিয়াল সিজার। আপেল আর কমলালেবুর তুলনা করলে হবে। লোতুন লোক হলে তফাত নাও ধরতে পারে।
    আমি তো প্রথম থেকে আপনার ধারণা কি লিখতে বলছি। কোনো বিতর্ক নয়; তাও বলেছি.। পপিচু তো আফনেই শুরু করলেন, স্যার।
  • pi | 24.139.209.3 | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ১৮:৪৩516118
  • অরণ্যদা, ধর্ম মানা আর অলৌকিক কিছু মানা কি সেভাবে নন-ওভারল্যাপিং হতে পারে ? ঈশ্বর ব্যাপারটাই কি সেভাবে ভেবে দেখলে অলৌকিক নয় ? আর তাহলে ঈশ্বরে বিশ্বাসও অলৌকিকে বিশ্বাস নয় ?
  • Atoz | 161.141.85.8 | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ২০:৩৬516120
  • হুঁ।
    ইনি আরো মণিমুক্তো ছড়িয়ে গিয়েছেন হাটে মাঠে ভাটে।
    একদিন কইলেন যে মহিলারা নাকি হিসাবপত্রে কাঁচা, তাই বেতন কম পান।
    !!!!!!!
  • sm | 53.251.91.253 | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ২১:০০516121
  • কি রাগ রে বাবা! ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল।:-))
  • aranya | 154.160.226.95 | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ২১:১১516122
  • পাই, আমার তো তাই মনে হয়, ঈশ্বরে বিশ্বাস মানেই অলৌকিকে বিশ্বাস

    রঞ্জন-দাও লিখেছেন দেখলাম, বিভিন্ন পথে সিদ্ধিলাভ করা যায় -এরকম কিছু। কিন্তু সিদ্ধি-র সংজ্ঞা দেন নি।

    সিদ্ধিলাভ বলতে যদি কালী, মহম্মদ, যীশু - এদের চর্মচক্ষে দেখা হয়, তবে তা অলৌকিক ঘটনা বা হ্যালুসিনেশন, এই দুটো ই অপশন
  • ranjan roy | 24.99.151.162 | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ২২:১২516123
  • ১) এস এম কইলেন --বিজ্ঞান সবকিছু ব্যাখ্যা করতে পারে কি না?
    -- যে দিন বিজ্ঞান এই ক্লেইম করবে সেদিন সেটা আর বিজ্ঞান থাকবে না। কারণ এই সতত চলমান পরিবর্তনশীল জগতে সব সময় নতুন নতুন ফেনোমেননের উৎপত্তি/উদয়/আবির্ভাব হবে। সেগুলো কিছুদিন বোধবুদ্ধির বাইরে থাকবে; কালক্রমে তারও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আসবে। অর্থাৎ আজ যা অজ্ঞাত, কাল তা জ্ঞাত হবে।
    বেদান্তের মত কোন শ্বাশ্বত অপরিবর্তনীয় সত্য নেই--এটাই বক্তব্য।
    বরং বৌদ্ধমত( সবকিছুই ক্ষণিক , কারণ পরিবর্তনশীল) বা পূর্বমীমাংসার -মত (সমগ্র ব্রহ্মান্ড কখনই একসঙ্গে ধ্বংস বা সৃষ্ট হয় না; সর্বদাই এর কোন অংশ ধ্বংস বা সৃষ্ট হচ্ছে) অধিক গ্রহণীয় মনে হয়।
    এর বিপরীতে ধর্ম শুধু আস্থা বা বিশ্বাসের কথা বলে। ওটা কোন ব্যাখ্যা হল? সমস্ত ধর্ম /প্রতিষ্ঠান কিছু যুক্তির অবতারণা করে শেষে শেষ করে সেই বিশ্বাসের ভূমিতে।
    যেমন b বলেছেন--"ঈশ্বর নামক হাইপথেসিসটি নন ফলসিফায়েবল"। কাজেই প্রমাণ/অপ্রমাণের কথা ই ওঠে না। যদিও সাংখ্য বলছেন-- প্রমাণের অভাবে ঈশ্বর নামক কনসেপ্টটি অসিদ্ধ!
    এর বিপরীতে বিজ্ঞানের সমস্ত হাইপোথেসিসই ফলসিফায়েবল; তাই প্রমাণ নিয়ে কতা।

    ২) অরণ্য,
    অবশ্যই ঈশ্বরে বিশ্বাস মানে অলৌকিকে আস্থা।অবাঙমনসোগোচর।
    আমি যেটা অভ্যুকে বলেছি তা হল --হ্যাঁ, (ধর্মমত) অনুযায়ী কিছু গৌণ রিচুয়াল ছাড়াও (ধর্মমতে) সিদ্ধিলাভ করা যায়।
    আবার কিছু আচার/আচরণ বিশেষ বিশেষ সাধনপদ্ধতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, তাই অবশ্য পালনীয়। যেমন ইসলামে পাঁচ ওয়ক্ত নমাজ পড়া। তাই রামকৃষ্ণের অনুগামীদের লেখা বইয়ে যদি এই দাবি করা হয় যে ঠাকুর সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। তাহলে কোন কথাই নেই। যে যার বিশ্বাসের ভূমিতে।
    কিন্তু যদি এই দাবী করা হয় যে উনি ইস্লামিক সাধনের মাধ্যমে সিদ্ধিলাভ (ঈশ্বরদর্শন?) করেছিলেন তাহলে এককের প্রশ্ন ভ্যালিড-- অর্থাৎ ঈশ্লামিক সাধনার কোন মার্গ বা আচার পদ্ধতি উনি অবলম্বন করেছিলেন? ডেটা কই?
    অভ্যু বলছেন-- লীলাপ্রসঙ্গে ছড়িয়ে ছিটিয়ে কিছু ডেটা আছে।
    এই পর্য্যন্ত।
  • sm | 53.251.91.253 | ০১ এপ্রিল ২০১৬ ২২:৩০516124
  • সেগুলো কিছুদিন বোধবুদ্ধির বাইরে থাকবে; কালক্রমে তারও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আসবে। অর্থাৎ আজ যা অজ্ঞাত, কাল তা জ্ঞাত হবে।
    --
    মহা মুশকিল; যেটা লিখলেন; সেটাও তো আপনার বিশ্বাস নাকি?
    আমার তো বিশ্বাস একদিন বিজ্ঞান প্রমান করবে, ঈশ্বর এর অস্তিত্ব আছে; উল্টো টা নয়। এটাও একটা বিশ্বাস।
    আমি আগে যে কথা টা লিখেছিলাম , সেটার ব্যাখ্যা করুন,
    এই যে মানুষের ব্রেন, এত সুক্ষ যন্ত্র; নিজে নিজেই তৈরী হয়ে গেল? আবার তাঁর মধ্যে একটা "আমি" সত্বা এসে গেল? যেটা কিনা প্রত্যেক মানুষে, মানুষে ডিফারেন্ট?
  • ranjan roy | 24.99.151.162 | ০২ এপ্রিল ২০১৬ ০০:৪২516126
  • আপনার প্রথম স্টেটমেন্টটির আধার আদৌ বিশ্বাস নয়।
    মানুষের সভ্যতার ও বিজ্ঞানের অগ্রগতির ইতিহাসই এর সাক্ষী। যতদিন যাচ্ছে যা কাল রহস্যময় ও অসম্ভব ছিল কাল তা সম্ভব হচ্ছে।
    উদাহরণ, ক্লোন তৈরি করা।
    একটি আস্ত ভেড়া তার জটিল ব্রেন শুদ্ধু মানুষই তৈরি করল, কোন অদৃশ্য সৃষ্টিকর্তা নয়। বরং এর পরেও ভাবা বিজ্ঞান ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণ করবে একদিন-- এটাই বাস্তবভিত্তি হীন বিশ্বাস।

    আপনার প্রশ্নটি আধুনিক দর্শনচর্চার যে কোন বই খুললেই পেয়ে যাবেন -- বহু আলোচিত।
    তবু, আমি অধম সামান্য কিছু চেষ্টা করি।
    আপনার বক্তব্য যদি ঠিক বুঝে থাকিঃ
    অ) কোন জটিল জিনিস নিজে নিজে সৃষ্ট হতে পারে না, যেমন ব্রেন।
    ব) কাজেই এর কোন অতিবুদ্ধিমান বা অতিক্ষমতাশালী সৃষ্টিকর্তা থাকাটা যুক্তিসিদ্ধ।
    স) এমন সর্বজ্ঞ সর্বশক্তিমান কোন সত্তা ঈশ্বর ব্যতীত কিছু হতে পারে না।
    দ) অতঃ ঈশ্বর হলেন সেই আদি কারণ।
    QED।
    আমার বক্তব্যঃ
    অ) কোন জটিল জিনিস নিজে নিজে সৃষ্ট হতে পারে না,
    ব) অতএব, ঈশ্বর নামক এক জটিল সর্বজ্ঞ সর্বশক্তিমান সত্তাও নিজে নিজে সৃষ্ট হতে পারে না।
    স) তাহলে ঈশ্বরকেও কেউ সৃষ্টি করেছে।
    দ) অতঃ ঈশ্বর সেই আদি কারণ হতে পারেন না।
    QED।
  • ডারুইন | 178.26.197.46 | ০২ এপ্রিল ২০১৬ ০১:৩৯516127
  • মানুষের এত সূক্ষ্ম ব্রেন একদিনে তৈরী হয়েছে নাকি?
    ইস্কুলে পড়ায় নি তোমাদের যে মানুষের পূর্বপুরুষ ছিল বানর? পড় নি ন্যাচারাল সিলেকশনের মধ্যে দিয়ে কিভাবে বিবর্তন ঘটে?

    হায় হায় এত কষ্ট করে ইভলিউশন থিওরি খাড়া করলাম, আর দুশো বছর হতে চলল, এখনও মানুষ প্রশ্ন করে ব্রেনের এই সূক্ষ্মতা কেং কয়ে এল?

    এই নে বাছারা, সিনিমা দেখ বরম।

  • Abhyu | 138.192.7.51 | ০২ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৩৮516128
  • ছড়ানো ছেটানো নয়, এই অধ্যায়ে এক সঙ্গেই লেখা আছে যদি কারো পড়ার ইচ্ছেটা থাকে http://faculty.franklin.uga.edu/amandal/sites/faculty.franklin.uga.edu.amandal/files/sadhan.pdf
    ত্রিসন্ধ্যা নামাজ পড়ার কথাও এখানেই আছে।
  • aranya | 154.160.226.95 | ০২ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:০০516129
  • সিদ্ধি = ?

    যদি কেউ উত্তর দেন
  • Atoz | 161.141.85.8 | ০২ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:১৮516130
  • অরণ্যদা,
    = বোধিলাভ ?
  • aranya | 154.160.226.95 | ০২ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:৩২516131
  • বোধি = ?

    ধরে নিচ্ছি, হানু-র কথা বলা হচ্ছে না :-)
  • ranjan roy | 24.99.136.230 | ০২ এপ্রিল ২০১৬ ১০:৩৬516132
  • অভ্যু,
    রেগে যেও না। এই লিং আগেও দিয়েছিলে--কিন্তু যতবার চেষ্টা করেছি মাত্র একটি পাতাই খুলেছে।তাতে জনৈক জগদম্বা দাসীর অসুখ ও নিরাময়ের কথা আছে, হেডিং এ ইসলামিক সাধনের কথা আছে--কিন্তু পরের পাতাগুলো না খোলায় আর কিছু জানতে পারছি না।

    " ছড়িয়ে ছিটিয়ে" শব্দবন্ধ লীলাপ্রসঙ্গ দু'খন্ডে কী ভাবে ইসলামিক সাধনা খুঁজে পড়তে হবে নিয়ে তোমার স্যানকে বলা কথার প্রেক্ষিতে বলেছি।
  • ranjan roy | 24.99.136.230 | ০২ এপ্রিল ২০১৬ ১০:৩৯516133
  • সত্যিই তো! ডারউইনের ইভোলুশন থিওরি জটিল ও সূক্ষ্মের র সৃষ্টিকর্তা হিসেবে ঈশ্বরের কল্পনায় কবেই জল ঢেলে দিয়েছে!
    তবু কুহকিনী আশা বেঁচে থাকে যে একদিন বিজ্ঞান নিজেই ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণ করে ছাড়বে।
    "বিশ্বাসে মিলয়ে কৃষ্ণ তর্কে বহুদূর"।
  • ranjan roy | 24.99.136.230 | ০২ এপ্রিল ২০১৬ ১১:০৩516135
  • অরণ্য,
    সিদ্ধি=?
    যাদৃশীভাবনাযস্য সিদ্ধির্ভবতিতাদৃশী।
    যার যেমন ভাবনা তার তেমন সিদ্ধিলাভ।

    অর্থাৎ, সাধারণ অর্থে সিদ্ধিলাভ -মনস্কামনা পূরণ। ব্যক্তিভেদে দ্বিগুণ বিগুণ।
    "পঞ্চশিখ গন্ধর্বের গান" এ দেখা যাচ্ছে এক অপ্সরার প্রেমে পাগল গন্ধর্বটি ভগবান বুদ্ধের সামনে বীণা বাজিয়ে গাইছেঃ
    " উনি পাবেন তাঁর আকাঙ্ক্ষিত নির্বাণ; কিন্তু আমি চাই সেই অপ্সরার আলিঙ্গন, অন্ততঃ একবারের জন্যে"। দুজনের আলাদা আলাদা সিদ্ধি।
    আবার সিদ্ধিদাতা গণেশ ভক্তকে যার যার কাঙ্ক্ষিত সিদ্ধি দিয়ে দেন।
    যাঁদের সিদ্ধিলাভ হয়েছে তাঁদের অলৌকিক শক্তিকে বলে সিদ্ধাই।
    আবার আমার উত্তরের হিন্দিবলয়ের কিছু জেলার বন্ধুবান্ধব সন্ধ্যের দিকে সিদ্ধির শরবত খোঁজে, পেলে সিদ্ধিলাভ।
    যাঁর ঈশ্বরদর্শনের আকাঙ্ক্ষা তাঁর সিদ্ধি তো স্পষ্ট। কিন্তু ঠাকুরের ইস্লামিক মতে সাধনা করে সিদ্ধিলাভ মানে কী? আল্লার দর্শন। তিনি তো জ্যোতিস্বরূপ। হজরত মুহম্মদ তো শেষ নবী--প্রেরিত পুরুষমাত্র। তাহলে ঠাকুর ঠিক কী দেখেছিলেন?

    চিরপ্রশ্নের সম্মুখে দেখ চিরনির্বাক রহে
    বিরাট নিরুত্তর।
    ( কোটেশনের ভুল কেউ শুধরে দেবেন।)

    আমার আকাঙ্ক্ষা ছিল টইটাকে ভাট বকে ঘেঁটে দেওয়া-- সিদ্ধিলাভ হল না!!
  • Ekak | 212.62.91.51 | ০২ এপ্রিল ২০১৬ ২০:৫২516137
  • এগুলো কী ? রামকৃষ্ণ তথা মিশনের পেছন বাঁচানোর জন্যে এই ভুলভাল বামন চক্কোত্তি সুলভ ইশ্বর আছে কী নেই মার্কা রচনা আমদানি না করলে হচ্ছিল না ? এগুলো শুরু হলেই বেশ অমলিন অবাল্পনার রাস্তা খুলে যায় ।

    "পৃথিবীর বাইরে কী বুদ্ধিমান জীব আছে ? " এটা কোনো প্রশ্নই নয় । বিশুদ্ধ অবাল্পনা । প্রশ্ন শব্দটি ভাষাগত ভাবে অবজেক্টিভ । মহাবিশ্বের কোনো এক্সটার্নাল ভ্যের এনটিটি বসে আছে নাকি কোথাও যে তাকে প্রশ্ন করছেন অস্তি উদ্দেশ্যক " আছে " দিয়ে ? প্রশ্ন হলো "পৃথিবীর বাইরে কী বুদ্ধিমান জীব থাকার দরকার আছে ? " দরকার থাকলে থাকাতে হবে । না থাকলে জাস্ট হাটান। দরকার এর প্রশ্ন টা নিজেকে করা । যেখান থেকে সমস্ত অস্তি ও নাস্তি বোধ এর শুরু ও শেষ । কাজেই "ভগবান কী আছে ?" এটাও কোনো প্রশ্ন নয় । ভগবানের শ্বাশুড়ি বাড়ির উঠোনে বসে নেই বলার জন্যে যে বাড়িতে ভগবান আছে কী না । প্রশ্ন হলো ভগবান তত্বের দরকার আছে ? যার আছে তিনি বানিয়ে তাই নিয়ে নাচুন । যার নেই তিনি হাটান। সবকিছুই ইউটিলিটি থেকে উদ্ভুত মডেল । যদি ভগবান দরকার হয় তাহলে মডেল খাড়া করুন । ভগবান তৈরী হবে । তার সঙ্গে ফুর্তিফার্তা করুন । পেসাদ ফেসাদ খান । ভাব ফাব হোক । আবার লাথ মেরে মডেল ভেঙ্গে ফেলুন দরকার মিটে গেলে ।

    ঠিক কিরকম লজিকাল স্ট্যান্ড থেকে একদল লোক আছে / নেই তর্ক করে এটা ভাবতেই অদ্ভুত লাগে । আছে -নেই তো ভ্যয়ের লজিক । দ্রষ্টা বাইরে থেকে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে । এই লজিকে চলা মানে একচুয়ালি এরকম সিস্টেমের বাইরের দ্রষ্টা কেই বিশ্বাস করে বসা । সে আপনি নিজেকে নাস্তিক-আস্তিক যাই বলুন । এটুকু বোঝার জন্যে অত বেদান্ত-অদ্বিত -বিসিষ্টাদ্বিত কিচ্ছু হ্যাজাতে হয়না। যে লোকটা হাউমাউ করে তর্ক করছে ভগবান অমুক করেছেন তমুক করেছেন তার সঙ্গে তর্ক করব ক্যান ? সমস্ত ইউটিলিটির বেসিক হলো রিসোর্স অপ্তিমায়সেষণ। যার নলেজ এন্ড গ্রে সেল রিসোর্স এমন জায়গায় ভাঁটা পড়েছে যে ভগবান মডেল বানিয়ে ফুর্তিফার্তা করার পর আর লাথ মারতে পারছে না তাকে বড়জোর অনুকম্পা করা যায় । তর্কে যাওয়া যায় না । বরাহ এভাটার তার বাচ্চাদের ব্রেস্ট ফিড করাতে ব্যস্ত হয়ে পরেছিল , এভাটার যে জাস্ট একটা মডেল তা ভুলে গিয়ে । সেইরকম :)

    কাজেই এই শিশু সুলভ বাক্যবিলাস ছেড়ে , যে প্রসঙ্গে কথা হচ্ছিল তাই নিয়ে কিচ্ছু বলার থাকলে বলুন । কোনো বিশাল দর্শন নিয়েই কথা হচ্ছিল না । সিম্পলি ফেনমেনলোজিকাল এভিডেন্স ভিত্তিক কথা হচ্ছিল যে রামকৃষ্ণের যে এটাচমেন্ট হিন্দু সাধনায় ছিল সেটা ইসলাম ও ক্রিশ্চান সাধনায় কতটা । উনি কোথায় বলেছেন কালী নাম করা আর আল্লাহ নাম করা এক তা নয় । ফেনমেনলোজিকাল এভিডেন্স । সিম্পল ।
  • NB | 74.233.173.177 | ০২ এপ্রিল ২০১৬ ২২:৩৫516138
  • "ফেনমেনলোজিকাল এভিডেন্স" "আছে কী নেই?" তাই তো? :-)

    আমি বুঝিনা কেশী বইপত্রের লিং আপলোড না করে মেল এ দেয় কেন? খানিক লোকশিক্ষাও হয় আর এই "আছে কী নেই মার্কা বিশুদ্ধ অবাল্পনা"র ও দরকার হয় না । ঃ=)
  • sm | 53.251.91.253 | ০৩ এপ্রিল ২০১৬ ০১:০৭516139
  • রঞ্জন বাবু, একটু বোঝানোর চেষ্টা করি। আপনি লিখলেন,
    উদাহরণ, ক্লোন তৈরি করা।
    একটি আস্ত ভেড়া তার জটিল ব্রেন শুদ্ধু মানুষই তৈরি করল, কোন অদৃশ্য সৃষ্টিকর্তা নয়। বরং এর পরেও ভাবা বিজ্ঞান ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণ করবে একদিন-- এটাই বাস্তবভিত্তি হীন বিশ্বাস।

    মানুষ আদৌ ব্রেন শুধধু ভেঁড়া নতুন ভাবে সৃষ্টি করেনি;কারিকুরি করেছে মাত্র।
    ভেড়ার মত, যেকোনো প্রাণীর , দুরকম সেল থাকে। দেহ কোষ ও জনন কোষ। দেহ কোষে ক্রোমোসোম সংখ্যা ৪৬ আর শুক্রাণ ও ডিম্বানু নামক জনন কোষে ২৩ টি। নিষেকের সময় (শুক্রানু ও ডিম্বানু মিলিত হয় ) আর ক্রোমোসোম সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ২৩ +২৩; অর্থাত ৪৬। নিষিক্ত সেল টি ৪৬ ক্রোমোসোম হওয়া মাত্র, দিভাইদ করতে শুরু করে ও কালক্রমে পূর্ণাঙ্গ প্রাণীতে রুপান্তরিত হয়।
  • sm | 53.251.91.253 | ০৩ এপ্রিল ২০১৬ ০১:১৬516140
  • এই বার আসি, ক্লোন করার কারি কুরি।বিজ্ঞানীরা, ভেড়ার দেহের যেকোন দেহকোষ(যেমন ধরুন চামড়া) থেকে যন্ত্রের সাহায্যে ৪৬ টি ক্রোমোসোম তুলে নিল। এইবার কোনো ডিম্বানু থেকে ২৩ ক্রোমোসোম তুলে বাইরে ফেলে দিল।ওই ফাঁকা দিম্বানুতে, দেহ কোষের ৪৬ টি ক্রোমোসোম যন্ত্রের সাহায্যে প্রতিস্থাপিত করলো। যেই ওই ডিম্বানু টি ৪৬ টি ক্রোমোসোম মালিক হলো; অমনি বাই নেচার বিভাজন শুরু করলো; এবং কালক্রমে অবিকল একই নতুনপ্রাণী বা ক্লোনের সৃষ্টি হলো।
    আশ্চর্য্যের কিছু নেই; এটা অনেকটা প্ল্যাস্টিক সার্জারির মতন।
  • sm | 53.251.91.253 | ০৩ এপ্রিল ২০১৬ ০১:২৬516141
  • অর্থাত মানুষ নতুন কিছু তৈয়ারী করে দেখায় নি বা কোনো রকম বিকল্প ডি এন এ তৈয়ারী করেনি।
    এবার আসি;এভলুশনের কথায়। ওটা খালি প্রাণ সৃষ্টির পর থেকে কিভাবে জীবজগতের ক্রমোন্নতি ঘটছে তার পথ টি নির্দেশ করে মাত্র ; এর বেশি কিছু নয়।
    আর ঈশ্বর কে সৃষ্টি করেছে; সেটার চেয়েও ইম্পর্ত্যান্ট কিভাবে প্রাণী জগত সৃষ্টি হলো। আমি সত্ত্বা টি ঠিক কি বস্তু; সেটা জানা।
  • করঞ্জাক্ষ চাকলাদার | 203.55.36.75 | ০৩ এপ্রিল ২০১৬ ০১:৩৭516142
  • এ্যাঁ ভেড়ার ও ৪৬! মা রক্ষে কর।
  • sm | 53.251.91.253 | ০৩ এপ্রিল ২০১৬ ০১:৪২516143
  • সরি, ওটা ৫৪ হবে।
  • Ekak | 212.62.91.51 | ০৩ এপ্রিল ২০১৬ ১৯:৩৮516144
  • এনবি যে কি বলতে চান গোল গোল গোল গোল করে এখনো কিছু পরিস্কার হলনা :( "আছে কি নেই " এটা ফেনমেনলোজিকাল এভিডেন্স এর প্রস্ন্হে খাটে না । ইশ্বর সংক্রান্ত প্রশ্নে খাটে । কারণ একটা ফেনোমেনা আরেকটা এবসলিউট । ভাবলেন দিব্যি "আছে কি নেই " টা কোট করে বিশাল তীর মেরে ফেলেছেন । কোদ্দিয়ে আসে এসব :((
  • PM | 233.223.154.203 | ০৩ এপ্রিল ২০১৬ ২০:০৬516145
  • একক--আপনি কিছু ডেটা পয়েন্ট চেয়েছেন, NB আপ্নাকে লীলা প্রসংগ পড়তে বলেছেন--আমি যতটা বুঝলুম---- আপনি না পড়া করে এলে তর্কটা জমবে কি করে ?!! ঃ)
  • Ekak | 212.62.91.51 | ০৩ এপ্রিল ২০১৬ ২০:২০516146
  • পি এম
    এর উত্তর আগেই স্পাস্তভআবে দিয়েছি :) রামকৃষ্ণ কার কাছে সুফী ইসলামের দীখ্হা নিয়েছিলেন , কোথায় কার বাড়িতে কি দেখে যিশুর ভাব হয়েছিল এগুলো আদৌ ডেটা পয়েন্ট ই নয় । আমি কি জানতে চাইছি একটু পড়ুন , রেডিমেড চোথা ধরানোর আগে ।
  • PM | 233.223.154.203 | ০৩ এপ্রিল ২০১৬ ২০:৩৪516148
  • "সিম্পলি ফেনমেনলোজিকাল এভিডেন্স ভিত্তিক কথা হচ্ছিল যে রামকৃষ্ণের যে এটাচমেন্ট হিন্দু সাধনায় ছিল সেটা ইসলাম ও ক্রিশ্চান সাধনায় কতটা "--- এই হলো আপনার জিজ্ঞাস্য।

    এবার আপনি কি ধরনের এভিডেন্স চান ? দুটো মুল বই, কথামৃত আর লীলা প্রসংগ। থাকলে এদুটোতে আছে নতুবা নেই। এদুটো চোথা পড়ে না এলে তক্ক হবে ঈ করে? কোন চ্যাপটার পড়েতে হবে তাও তো বলে দিয়েছে।

    ( আমি তাক্ক্য কোনো পক্ষে নেই, শোনার আনন্দেই চাই তক্কোটা এগোক ঃ) )
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই প্রতিক্রিয়া দিন