এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • raatri | 59.93.198.138 | ০৩ নভেম্বর ২০০৬ ২০:২৮560797
  • টুংকাই সবার মত চেয়ারে বসবে না,টেবিলে বসবে।বারণ করলে বলবে 'এটাই তেয়ার,একানে দিদান বতে'।বসে বিপজ্জনকভাবে এদিক ওদিক করবে,দেখে আমার প্রাণপাখি উড়ে যাওয়ার জোগাড়।আমাকে নার্ভাস করতে পেরে মহানন্দে তখন বলবে 'আমি পড়ার চেষ্‌তা করথি'!!
  • Tina | 205.188.116.67 | ০৪ নভেম্বর ২০০৬ ০২:৪৮560798
  • যে read করে সে যদি reader হয়, যে write করে সে যদি writer হয় তাহলে যে cook করবে সে কেনো cooker হবে না?

    ঋজু কে স্কুলে আনতে গেলে তার টীচার বললেন যে ঋজু তাকে বলেছে "my mommy cooks well, he is a good cooker"। একচোট হাসলাম আমি আর তার টীচার দুজনে মিলে।

  • Paramita | 143.127.3.10 | ০৪ নভেম্বর ২০০৬ ০৩:২১560799
  • মেঘ সম্পর্কের জটিলতার অ-আ-ক-খ বুঝতে শিখছে - "ছন্দাবাবা - দাদু", আমায় এসে বলেছে সেদিন। ছন্দা মেঘের ঠাকুমার নাম। ঠাম্মার যে কারেস্পন্ডিং বাবা সেই হলো গিয়ে দাদু।

    এছাড়া আমাদের ডাকার সময় "বাবা" বা "মা" কিন্তু রেফার করার সময় "পামিতা মা" আর শেষ পর্যন্ত ডেকে ডেকে সাড়া না পেলে "পামিতা, পামিতা!" তারপরেই ফিকফিকিয়ে হাসি কারন আমি উত্তর দেবো না বা ভীষণ রেগে যাবো। এরপর কাছে এসে আমার গায়ে হাত বুলিয়ে "নাইস" করে দিয়ে মেকাপ দেওয়ার চেষ্টা। সঙ্গে ব্যাক টু "মা"।

    কলম, ক্রেয়ন থেকে শুরু করে শুয়োর, হাঁস, রাজকন্যার বই সবের মধ্যে একজন প্রিনছেচ মেঘ, একজন পামিতা মামা আর একজন কিং বাবা। আর উদ্বৃত্ত ক্যারেকটার বা বস্তু থাকলে আজ্জি, ঠাম্মা, দাদু এক একটা রোল পেতেও পারেন। আর বই পড়ে দেবার সময় কোন রাজকন্যার নাম মেঘ বলতে ভুলে গেলে, প্রচন্ড রেগে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেবে "মেঘ বরণী বাছু"। পুরো নাম - ভুলের কোন অবকাশ নেই।

    এছাড়া মেঘ "রিশেশশাল"(রিহার্সাল) করতেও বিশেষভাবে আগ্রহী আজকাল। তুমি নাটক করবে? "ইয়েশ"। কি নাটক? "পুজু"। পুজোটাকে কেন জানিনা ও একটা নাটক মনে করছে।
  • Suchetana | 59.93.201.242 | ০৬ নভেম্বর ২০০৬ ০০:৪৮560800
  • শিশুটির বয়স তখন আড়াই, ডাক্‌নাম ঋভু । বাবা-মা-দাদুর সাথে বইয়ের দোকানে গেছে। বাবা-মা-দাদু তকে কিড্‌স সেক্‌শনে ছেড়ে দিয়ে নিজেরা বিভিন্ন দিকে চলে গেছে। হঠাৎ কচি গলার চিৎকার এয় সবাই চমকে উঠল "মৌলিনাথ গাঙ্গুইই-বাবা, নীতীশ-দাদা, তোমরা কি আছ, নাকি চলে গেছ?" মা তাড়াতাড়ি গিয়ে উদ্ধার করে অসহায় শিশুটিকে। যখন তাকে প্রশ্ন করা হয় "তুই তো এতদিন শুধু বাবা বা দাদা বোলেই ডাকতিস, আজকে হঠাৎ নাম ধরে মৌলিনাথ গাঙ্গুইই-বাবা, নীতীশ-দাদা বোলে ডাকছিস কেন?"
    অসহায় শিশুর উত্তর "শুধু বাবা, দাদা বলে ডাকলে অন্য বেবির বাবা-দাদা চলে আসে যদি?"
  • Suchetana | 59.93.201.242 | ০৬ নভেম্বর ২০০৬ ০১:২৫560801
  • সাড়ে তিন বছরের ঋভুর দিদিমা লক্ষীপুজো করছেন। আল্পনা দেওয়া হয়েছে, নৈবেদ্যর থালা সাজানো হয়েছে, এমন সময়ে ঋভুবাবুর আগমন। এসেই দাবি "আমাকে পোসাদ দাও"।
    মা বলল "পুজো হয়ে যাক, আগে ঠাকুর খাক, তারপর তুমি খাবে"।
    এবারে সরাসরি দিদাকে প্রশ্ন, "মা আমকে বকলে তুমি কেন বল 'ও আমার গোপালঠাকুর, ওকে বকিস না'? আমি তো তোমার ঠাকুর, দাও আমাকে ও পোসাদ দাও"।
    এই লজিকে পরাজিত দিদিমা আবির্ভূত গোপাল্‌ঠাকুর-টির সামনেও একটি নৈবেদ্যর থালা নিবেদন করেন।
    নতুন খাদ্যসম্ভার দেখেই তিলের নাড়ুতে এক কামড়, সুবিধে করতে না পেরে উপদেশ দিল "এটা তো লক্ষীঠাকুর-ও খেতে পারবে না, এটা তুমি লক্ষীঠাকুরের প্যাঁচা কেই দিয়ে দাও।"
  • Suchetana | 59.93.201.242 | ০৬ নভেম্বর ২০০৬ ০২:১৪560802
  • ঋভুবাবু তার মা-এর সাথে মা-এর ইস্কুলে গেছেন। মায়ের ইস্কূলের সিস্টার-রা, দিদি-রা ঋভুকে নিয়ে এক প্রস্থ গাল টেপা, আদর করার পর বিস্ময় প্রকাশ করেছেন, ঋভুবাবুর মায়ের মত worthless মায়ের হাতে পড়ে ঋভুবাবুর কি হাঁড়ির হালটাই না হচ্ছে, ঋভুবাবুর মায়ের মত ভুলো আর দুষ্টু মেয়ে তাঁরা তাঁদের ২০-৩০ বছরের teaching experience এ কখনো দেখেন নি ইত্যাদি। ঋভুবাবু দেখলেন, শুধু ঋভুবাবুই নন, আরো অনেকেই আছেন, যারা ঋভুবাবুর মাকে বিশেষ পছন্দ করেন না। আনন্দিত হয়ে সুর মেলালেন, "ছিছ্‌টার জানো তো মা আমাকে খেতে দেয় না, আমাকে লিখতে দেয় না"। Sisterরা তো আরো একটা সুযোগ পেলেন দুধের শিশুর নালিশের বিচার করার। সম্মিলিত বকুনির চোটে পৃথিবীর cruelest মা বেচারি নিজের alma mater-এ বেশিখন টিকতে না পেরে তাড়াতাড়ি পালিয়ে বাঁচলেন। মায়ের school এর বাইরে এসে ঋভুববুর ফিকফিক হাসি আর থামেই না, "আমি বলি নি তুমি আমাকে coke খেতে দাও না, wallয়ে লিখতে দাও না, আমি শুধু বলেছি তুমি আমাকে খেতে দাও না, লিখতে দাও না। মা আমি কি হাসাই তাই না, কি মজা করি, তাই না?"
    বাড়ি ফিরে দিদিমাকে report "মা এতো বড় হয়ে গেছে, তাও মা-এর ma'am-রা মাকে খুব বকে। আমার ma'am-রাও আমাকে এতো বকে না।"
  • Ishan | 67.173.95.163 | ০৬ নভেম্বর ২০০৬ ১১:১২560803
  • "যদি অন্য বেবিদের বাবা-মারা চলে আসে' টা ব্যাপক :-)
  • dam | 202.54.214.198 | ০৬ নভেম্বর ২০০৬ ১৪:০৮560804
  • বাবাকে নাম ধরে বাবা ডাকার গল্প এবং যদি অন্য বাবারা এসে পড়ে - শিব্রাম চক্রবর্তীর লেখায় পড়েছি।

    ঠাকুরকে ভোগ দেবার সময়ে "আমাকে যে গোপাল বল" জাতীয় কথা এবং তারপর বাড়ীর লোকের ভোগ দেওয়া -- রামকৃষ্ণ কথামৃত আবা রামকৃষ্ণ রিলেটেদ কোন গল্পে পড়েছি বলে মনে হচ্ছে।

    এই ঋভু শিশুটি কত বয়স্ক? এখনই এই গল্পগুলি পড়ে ফেলেছে? রীতিমত ইম্প্রেসিভ।
  • amik | 61.95.167.91 | ০৬ নভেম্বর ২০০৬ ১৫:২৬560805
  • ঋভুর প্রথম গল্পটা তো গোপাল ভাঁড়ের।
  • Suchetana | 59.93.208.64 | ০৬ নভেম্বর ২০০৬ ১৯:০৫560807
  • এতো দেখছি ভয়ন্‌কর কান্ড । ঋভুর আড়াই বছর এর গল্প এটা। এবঙ্গ্‌ সেই দিন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত্য ঋভু বাইরে গেলেই নাম add করে মা-বাবা বলে ডাকে আমাদের। আর সত্যি কথা বলতে গেলে আমি যদি জানতাম শিব্রাম, গোপাল ভাড়ের এই ধরন এর গল্প অছে, তাহলে এই গল্প এখানে লেখার চেষ্টা করতাম না। কারন আমি ধরেই নিতাম কেউ সত্যি বলে বিশ্বাস করবে না।
  • ® | 124.7.98.95 | ০৬ নভেম্বর ২০০৬ ২১:৫১560808
  • সুচেতনা, গুরু তে স্বাগত। লিখুন আরো।
    পাড়ার ছোট্ট পার্ক, ঘাস নেই আছে ধুলো
    ঘাসের অভাব পরোয়া করেনা সবুজ বাচ্চা গুলো
  • supriya | 140.181.71.146 | ০৭ নভেম্বর ২০০৬ ১৪:০১560810
  • খবরে প্রকাশ রোদ্দুর টিভিতে ছদ্মবেশী সিনেমায় উত্তমকুমার আর মাধবীর গাড়ীতে যাওয়ার দৃশ্য দেখে বলেছে - বাবা মাম্মাম। নতুন প্রজন্ম এগিয়ে চলেছে...

    (ভুল বুঝবেন না, মজা টা কিন্তু বাবা আর মাকে উত্তমকুমার কি মাধবী মুখার্জী বলাতে নয়, মজা টা ঐ আইডেন্টিফিকেশন দেখে)

    সুপ্রিয়
  • J | 160.62.4.10 | ০৭ নভেম্বর ২০০৬ ২০:৪১560811
  • একজন মা বা বাবা কি নিজের সন্তান সম্পর্কে বানিয়ে বানিয়ে এসব গপ্পো লিখতে পারেন, নিজের সন্তানকে বেশি বুদ্ধিমান প্রমাণ করতে? কখনই না।
    এই অনুভূতি বুঝতে হলে আগে মা/বাবা হওয়া দরকার। নইলে জাস্ট অসম্ভব বোঝা, সন্তান কি বস্তু।

  • tan | 131.95.121.127 | ০৭ নভেম্বর ২০০৬ ২০:৪৬560812
  • বলো কি? পারে না? আরে পোচ্চুর পারে।
    অবশ্যই সবাই না,কেউ কেউ।
    আরে মিথ্যে কেন,এগুলো হলো উইশফুল থিনকিং,মিথনির্মাণ!
    নইলে ওয়েবসাইট তৈরী করে ফ্যালে সদ্যোজাত বাচ্চা নিয়ে?

  • J | 160.62.4.10 | ০৭ নভেম্বর ২০০৬ ২০:৪৮560813
  • এই পোস্টটা খুব দরকার ছিলো।
    সুচেতনা যা লিখেছেন ঋভুর নতুন নতুন মজার মজার ঘটনা, সেটা যদি অন্য কেউ লিখতেন মানে যারা আগে থেকেই লিখছেন এই থ্রেডে, তবে এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করবার সাহসই হয়ত কারো হতো না। কিন্তু উনি কিনা নতুন, তায় এখনো কোনো দলভূক্ত হতে পারেন নি, তাই ছোট্ট ঋভুর মিষ্টি গল্পগুলোতেও কাদা এসে লাগল।
  • tan | 131.95.121.127 | ০৭ নভেম্বর ২০০৬ ২০:৫৪560814
  • ঠিক।
    এ সুতো তো বানানোরই সুতো,যারা লিখছেন সকলেই কিছু কিঞ্চিৎ বানাচ্ছেন!
    তা এতে তো দোষের কিছু নেই,এখানে তো আদালত বসে নি!
  • rimi | 168.26.191.166 | ০৭ নভেম্বর ২০০৬ ২১:০৬560815
  • আমি তোমার গল্প বিশ্বাস করেছি সুচেতনা। ছোটোরা এভাবেই ভাবে। আমার আত্মীয় একটি তিন বছরের বাচ্চা মেয়ে তার পাশের বাড়ির বন্ধুর মাকে হঠাৎ করে "পলিমা" বলে ডাকতে লাগল। ওকে যখন প্রশ্ন করা হল "পলিমা" বলছিস কেন, ওর উত্তর:"মৌলির মাকে আমিও মা ডাকলে আমার মা ভাববে মাকেই ডাকছি।" মৌলির মার ডাক নাম পলি, অতএব পলিমা। এই ধরনের যুক্তি বাচ্চাদের মাথাতেই আসা সম্ভব। :-))))
  • supriya | 140.181.71.146 | ০৭ নভেম্বর ২০০৬ ২১:০৮560816
  • tan,

    সত্যি নাকি? বানিয়ে বলা গল্পের জন্যেই এই সুতো? দু:খিত ভাই, বুঝতে পারিনি তাই এসে পড়েছিলাম ভুল ক'রে।

    চললাম।

    সুচেতনা সমবেদনা রইলো। আর J, লড়ে যাও যদি পারো, শুভেচ্ছা তোমার জন্য।

    সুপ্রিয়
  • rimi | 168.26.191.166 | ০৭ নভেম্বর ২০০৬ ২১:১১560818
  • আর সুচেতনা, ঋভুর গল্প আরো লেখো, পড়তে খুবই ভালো লাগছে।
  • Paramita | 64.105.168.210 | ০৭ নভেম্বর ২০০৬ ২২:২৩560819
  • আমি আমার মায়ের ইশকুলে কিছুদিন পড়েছিলাম। প্রথম দিন ক্লাসের শেষে মার সঙ্গে বাড়ি ফেরার কথা, কিন্তু মা আর আসে না আমায় নিতে। ভীরু পারে কমন রুমে গিয়ে জিগেশ করলাম "অনিতাদি আছেন?" সারা ঘরে হাসির হল্লা উঠলো। তখন ঐ যুক্তি খেলা করেছিলো মাথায়। অবশ্য আমি তখন মোটামুটি বড়ো, ক্লাস ফাইভে পড়ি।

    আমার মেয়ের বয়েস দুই, আগের এক পোস্টে লিখেছি, সে সম্পর্ক ও নামের পার্থক্য বুঝতে শিখেছে। সামনাসামনি ডাকার বেলায় বাবা, মাম্মা কিন্তু অন্য কারুর কাছে আমাদের নিয়ে কিছু বক্তব্য থাকলেই "পামিতা মার কাছে", "ছোম্বিত বাবা যাবো" ইত্যাদি। অ্যাটেনশান ড্র করতে গেলেও ঐ করছে আজকাল। এমনকি পরিচিতা কাকু বা মাসিদেরও ঐভাবে রেফার করে "উষুবাবা", "তৃয়া মাম্মা" (মেঘের বন্ধু উষু অথবা তৃয়া) - কেন এমন বলছে তার ব্যাখ্যা ট্যাখ্যা অবশ্য দিতে পারেনা। হয়তো ঐ একই লজিক হয়তো মেঘের মনে খেলা করছে কোথাও। কিন্তু অন্য কোন বাচ্চা, যার এক্সপ্রেশান ক্ষমতা বা বয়স একটু বেশী, তা পারতেই পারে, ইনক্লুডিং ঋভু ও গোপাল ভাঁড়ের গপ্পের উৎস বাচ্চাটি।
  • Ishan | 130.36.62.140 | ০৭ নভেম্বর ২০০৬ ২২:২৮560820
  • এটাতো গোয়েন্দাগপ্পের থ্রেড নয়, যে সত্য-মিথ্যা-হত্যাকারী কে জানতে না পারলে চলছেনা। ওটা বাদ দিন, আর জমিয়ে শিশু টক লিখুন।
  • dam | 61.246.152.26 | ০৭ নভেম্বর ২০০৬ ২২:৪০560821
  • ওরেব্বাসরে! জল অনেকদূর গড়িয়েছে দেখছি।

    সুচেতনা এখানে নতুন নিশ্চয়, তবে অপরিচিত হবেন কেন? উনি তো আমাদের রাত্তির, মানে সঙ্গীতার বন্ধু। কি সুচেতনা, তাই তো?

    যাক, এই ঋভুর গল্প পড়ে এবং প্রথম দুটো গল্প আগেই পড়া থাকাতে এবং তৃতীয়টাও বেশ চেনা লাগাতে আমার মনে হয়েছিল ছেলেটি অন্তত ৭-৮ বছর বয়সী। প্রচুর বই পড়ে এবং একটু বেশী কল্পনাপ্রবণ। এর কোনটাই দোষ নয়, বরং গুণ। তো ওয়েবসাইট দেখে বুঝলাম, না অত বড় নয়।

    তো তাই নিয়ে এত ফাউপ্যাচাল কেন রে বাপু?
  • dri | 199.106.103.254 | ০৮ নভেম্বর ২০০৬ ০০:৫৩560822
  • এদেশে তো একেবারে ছোটবেলায় জল খেতে বারণ করে। ছমাসে পড়ার পর মেয়েকে প্রথম জল খাওয়ানোর চেষ্টা হয়। প্রথম প্রথম জল খেতে চাইত না। দেখলেই মুখ ঘুরিয়ে নিত। জলে ইন্টারেস্ট আনার জন্য আমরা ওর সামনে জল খেয়ে বলতাম, 'আ:'। সেই দেখে দেখে ও জল খেতে শুরু করল। তেষ্টা মিটে গেলে বলত আ:।

    এখন সেই আ: ব্যাকফায়ার করেছে। দুধের বোতল দেখলেই বলে আ:!
  • m | 67.173.95.163 | ০৮ নভেম্বর ২০০৬ ০২:১৮560823
  • টিনটিন অবশেষে কিছু একটা জিনিস কে অপছন্দ/ভয় করতে শুরু করেছে, অন্ধকারে ফায়ার অ্যালার্ম এর সবুজ আলো টা তার পছন্দ নয়,অবধারিত ভাবে শোবার ঘর থেকে বেরিয়েই ঐ দিকে চোখ যাবে,আর পটাপট আলো জ্বালাবে।আমি একদিন বল্লাম,ঐ টা কে ভয় পাবার কি আছে,সেও মাথা নেড়ে দিলো,বেবি ওকে "ঘয়" পাবার কি আছে?আমরা শুনে খুব হাসলাম-শোবার ঘরের দিকে যেতে হলেই সে বলে,ঘয় পাবার কি আছে,বলে আবার ঘয় পায়।
    একদিন রাতে ফিরছি,বল্লো বাবান গাড়িতে গ্যাস ঘরবে।বাবা বল্লো,ইশ্‌,বেবি কিছু ই বলতে পারে না,ভ বলতে পারে না,ঘ বলে,ভয় বলতে পারে না ঘয় বলে।এহেন হাসির কথা শুনেই বেবির দ্রুত উত্তর,কিছু ই জানিস না,ভয় বলতে পারিস না ঘয় বলিস:))
  • m | 67.173.95.163 | ০৮ নভেম্বর ২০০৬ ০২:৩৬560824
  • আমি রান্না ঘরে কিছু করছি হয়তো,টিনটিন পেছন থেকে কিছু একটা দরকারি জিনিসে হাত দিলো।আমি চোখ পাকিয়ে বল্লাম,নটি সিটে কি তুমি বসতে চাও,দ্রুত উত্তর আসবে,এইটা তে হাত দিয়ে না বেবি,মাম্মা বলছে তুমি অন্য টা নিয়ে খেলা করো,চামচ টাতে হাত দিতে মানা করেছি,তাই ছুরি টা নিয়ে নিলো।

    খুব রেগে গেলে আমি বলি তোর লজ্জা নেই,হতে পারে এক কাপ জল কার্পেটে ঢেলে দিলো(জলের জন্যে এখন সোজা বাথরুমে গিয়ে বাথটবের কল খুলে জল নিয়ে আসে,আমার এক মুহুর্তের অমনোযোগ ই যথেষ্ট),জল ফেলে সামনে এসে বলবে,তোর লজ্জা নেই,সারাদিন খালি দুষ্টাপ(দুষ্টুমি)।
    আজ সকালে কি বোর্ডের বাক্স এর ওপর চড়ে বসেছে,আমাকে দেখেই বলেই বলে,বেবি বেঞ্চে বসেছে,ক্ল্যাপ,ক্ল্যাপ,ক্ল্যাপ করছে-হাসি হাসি মুখে আমার দিকে তাকিয়ে হাততালির ফোয়ারা,আমি বল্লাম ঠিক আছে,তখন সেই হাততালি বন্ধ হলো।
    বিছানায় উঠে লাফাচ্ছে,আমি তাকানো মাত্র বল্লো।টিচার বলেছে,বেবি জাম্প-
    টিচার সর্বশক্তিমান-মাও তার আদেশের কাছে জব্দ।
  • m | 67.173.95.163 | ০৮ নভেম্বর ২০০৬ ০৩:৪৮560825
  • সুচেতনা,
    আপনি ঋভু র কথা আরো লিখুন।বাচ্চা রা কেউ কেউ অত্যন্ত পাকা হয়,কেউ গুছিয়ে কথা বলে,কেউ যুক্তিবাদী-সব রকম ই আছে।আপনার ছেলের কথা পড়ে মনে হয়ছিলো যে এও আমার ছেলের মত একটা পাকা।আর এই থ্রেডে সব পাকা পাকা বাচ্চাদের কথাই সবাই লিখেছে বা লিখবে।

    যে কোনো মা-বাবার কাছেই অন্য বাচ্চার পাকামি খুব ই সহজবোধ্য,এবং এত টুকুও আরোপিত নয়।আমাদের জন্যেই ঋভুর কথা আরো লিখুন।আর কিছু জিনিস কে অতি সহজে ঝেড়ে ফেলে দিন।

  • raatri | 59.93.207.90 | ০৮ নভেম্বর ২০০৬ ১৮:০৪560826
  • সুচেতনা খুব বিচ্ছু ছিলো ছোটোবেলায়।বিদঘুটে সব বুদ্ধি খেলতো ওর মাথায়।মৌলিনাথও ফাটাফাটি ছত্র।ওদের ছেলে বুদ্ধিমান হবে না তো কে হবে!!ঋভুরও কাজেই ভীষণ বুদ্ধি।কিন্তু,অনেকের সেটা বিস্বাস হোলো না।সেটা তাদের সমস্যা।তুই আরো আরো লেখ সুচেতনা।তোকে গুরুচন্ডালীর দরকার।আমি তোকে ডেকে কোনো অন্যায় করিনি।কিন্তু তোর কাছে একটু লজ্জাই পাচ্ছি এখন।
  • Tirthankar | 76.17.114.63 | ০৮ নভেম্বর ২০০৬ ২০:১৭560827
  • চারদিন পরে বাড়ী ফিরে আমার প্রিয় এই টইটা খুলে খুবই আপসেট লাগল।

    একটি বিনীত আবেদন: টক-মিষ্টি ঝলমলে শিশুদের সৃষ্টিশীল ও অনাবিল মজার কীর্তিকলাপের টুকরো টুকরো মুহূর্ত নিয়ে গড়া কোলাজটায় কেউ কোন মালিন্য লাগতে দেবেন না প্লিজ।

    সুচেতনা, ঋভুর পরবর্তী মজাদার গল্পগুলি শোনান তাড়াতাড়ি।
  • Suchetana | 59.94.2.175 | ০৯ নভেম্বর ২০০৬ ১১:৩৩560829
  • অনেক অনেক অভয় পেয়ে আবার লিখতে বসেছি। সত্যি আমি এখানে নতুন এবং এক-দুই জন ছাড়া বাকিদের সাথে পরিচিত নই। যেটুকু বুঝলাম তা হল --
    ১। ঋভু আড়াই বছর থেকেই এমন সব কথা বলছে যা নিয়ে কয়েকজন অসাধারন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ বহু বছর আগেই ভেবেছেন এবং লিপিবদ্ধ করে গেছেন। নিজের ছেলের বুদ্ধিমত্তায়ে নিজেই এখন চমৎকৃত।
    ২। অন্য সত্যিটা হল মিথনির্মাণের চেষ্টা করতে গিয়ে আমি এন্তার শিব্রাম, গোপাল ভাঁড়, রামকৃষ্ণ আউরে যাচ্ছি বামাল্‌সমেত ধরা পড়ার ভয় না করেই। নিজের বুকের পাটা ঈর্ষা করার মত।

    যাই হোক, ঋভুর প্রথম দুটো গল্পতেই ঋভুর বয়স লেখা আছে। আর tan-কে একটা অনুরোধ করার আছে, সদ্যোজাত বাচ্চার website বানিয়ে যখন মিথনির্মাণ করেই ফেলেছি, ভাই guestbook য়ে sign করে, নির্মিত মিথ টা একটু পোক্তো করে দিন না please? অনেকদিন ধরে siteটায়ে কোনো traffic ছিল না, এক ধাক্কায়ে দেখলাম দুইদিনে ৬০-র উপর hit পেয়ে গেলাম। tan আপনি নিজের সদ্যোজাত বাচ্চার জন্য যতক্ষন না নিজে website বানাচ্ছেন, ততক্ষন ঠিক জানতে পারবেন না wishful thinking ছাড়াও আর কি কি ধরণের thinking হতে পারে। যদিও আপনার জানার কোনো দরকার নেই, সেকথাও মেনে নিচ্ছি।

    J, m, Ishan, (R), Supriya, rimi, paramita, raatri, tirthankar সবাই-কে ধন্যবাদ অভয় দেওয়ার জন্য। ঋভুর আরো গল্প লিখতে আমার-ও খুব নিশপিশ করছিল, তোমরা সাহস দেওয়ায়ে খুব সাহস পেয়ে গেছি, লিখেই ফেলছি পরের কয়েকটা post
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক প্রতিক্রিয়া দিন