এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ভাট : ভার্চুয়াল থেকে রিয়্যাল

    Tirthankar
    অন্যান্য | ২১ জুন ২০০৬ | ৩৯১৫৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kd | 59.93.242.166 | ১৬ অক্টোবর ২০১০ ০৩:০৩602882
  • না, আলাদা আলাদা শিকে। ভেজ শিকে বেল-পেপার, পেঁপে, আনারস ছিলো। মাটনএর শিক দ্যায়নি, শিক-কাবাব প্লেটে দিয়েছিলো। আনলিমিটেড। আমি খেয়াল করিনি যে অন্য খাবারও আছে, তাই গোটা দশ-কুড়ি শিক নাবিয়ে দিয়েছিলুম - পরে জানলুম, ওটা নাকি জাস্ট অ্যাপেটাইজার।

    মেন কোর্সে দু'রকমের বিরিয়ানি, ঘিভাত, নানরুটি, তিন-চার টাইপের স্যালাড। মাছের বোধহয় আর একটা ডিশ ছিলো। ভেজও তিন-চার রকমের ছিলো, শমিকের মতো আমিও ও'দিকে নজর দিইনি। আমি ওগুলো চোখেই দেখলুম, পেটে শুধু একটু মাংস-ভাত আর এক টুকরো রুটির জায়গা ছিলো। অবিস্যি ডেসার্ট আইলে গিয়ে কীকরে জানিনা তিনটে সন্দেশ, তিনটে মালপো আর চারটে রসোগোল্লা ঢুকে গেলো - পেটে নিশ্চয়ই নয়, মিস্টির জন্যে কোনো স্পেশাল চেম্বার আছে মনে হয়।

    কিন্তু দু:খের কথা, অতীব দু:খের কথা যে আজ ড্রাই ডে - কেননা অষ্টমী!!!!
    অদ্ভুত ব্যাপার। সেই ছোটোবেলা থেকে শুনে এসেছি
    বাঁচার শেষ কথা চা,
    মালের প্রথম কথা মা।
  • mg | 117.194.196.187 | ১৬ অক্টোবর ২০১০ ০৩:৩৭602883
  • শোনো শোনো বোন্ধু গোণ শোনো দিয়া মন
    পেট পুজ মন্ত্র আজ করিবো বর্ণন

    যা দিবি সর্ব-পাতে সু চোব্যরূপেণ সঙ্গস্থীতা
    নমস্ত্য-ই নমস্ত্য-ই নমস্ত্য-ই নম নমহ

    জা দিবি সর্ব-পাতে সু চোষ্যরূপেণ সঙ্গস্থীতা
    নমস্ত্য-ই নমস্ত্য-ই নমস্ত্য-ই নম নমহ

    যা দিবি সর্ব-পাতে সু লেহ্যরূপেণ সঙ্গস্থীতা
    নমস্ত্য-ই নমস্ত্য-ই নমস্ত্য-ই নম নমহ

    জা দিবি সর্ব-পাতে সু পেয়োরূপেণ সঙ্গস্থীতা
    নমস্ত্য-ই নমস্ত্য-ই নমস্ত্য-ই নম নমহ

    এটি ট্রায়াল ফুলভর্সনের জন্য দক্ষিণা ১০০০লগ ট্যন ৯০।
  • a x | 99.54.65.125 | ১৬ অক্টোবর ২০১০ ০৪:২৮602884
  • অষ্টমীর দিন মাল বিক্কিরি হয়না কলকেতায়?! কবে থেকে? কি কান্ড!!

    কিন্তু এই এলাহী কান্ড আনলিমিটেড কোথায়? বাফে? না সাবর্ণদের বেড়ালের বিয়ে?
  • kd | 59.93.242.166 | ১৬ অক্টোবর ২০১০ ০৫:১৮602885
  • সল্লেক সেক্টর ৫এর বারবিকিউ নেশন - মাথা পিছু ৬০০ টাকা। মাথা না থাকলেও একই রেট।
  • pi | 128.231.22.87 | ১৬ অক্টোবর ২০১০ ০৫:৪৭602886
  • ওরে বাবা ! এ রেট তো গলাকাটা !!
    মানে, তেমনি খাইয়ে না হলে তো ...
  • Samik | 117.194.1.114 | ১৬ অক্টোবর ২০১০ ০৮:০৭602887
  • আমি সৈকত কাব্লিদা কাল নিজেদের মাথাপিছু ছশো করে টাকা উশুল করে নিয়েছি। বাকিদের খবর জানি না।

    ও না, সৈকতেরটা ডাউটফুল। সে আবার মাছ খায় না। টিনটিন অনুযোগ করল। তারে জিগাইলাম, কী কী ভালো লাগল, সে কেমন পাজল্‌ড হয়ে গেল। সহজ করার জন্য জিজ্ঞেস করলাম, ইলিশ মাছ খাস নি? বাবার দিকে আঙুল তুলে বল্লো : "ও দিলো না তো! আমি কত করে বললাম মায়ের কাছে খাবো, মা মাছ খায়, কিন্তু বাবা আমাকে খাইয়ে দিল, বাবা মাছ খায় না, আমাকেও দেয় নি।'

    চার পাঁচ পিস ইলিশ মাছ ভাপা না খেলে আর পয়সা উশুল হল কী করে?
  • aka | 24.42.203.194 | ১৬ অক্টোবর ২০১০ ০৮:১৮602888
  • না: এত বোধহয় আর খেতে পারব না। আজকাল একটু খাওয়ার পরেই পেট ভরে যায়। দুদ্দুর। এই দোকানটার কথা আমিও শুনেছি। ৬০০ টাকা তো বেশ চীপ। সেই কবে মেইনল্যান্ড চায়নার বাফে ছিল ৫০০ টাকা। তাও এত খাওয়াত না।
  • a x | 99.54.65.125 | ১৬ অক্টোবর ২০১০ ০৮:২৩602889
  • ছবি কই?
  • Samik | 117.194.1.114 | ১৬ অক্টোবর ২০১০ ০৮:৩৫602890
  • আমি সক্কাল সক্কাল বেরিয়ে পড়েছিলাম। যেতে হবে অনেক দূর। সেই সল্লেক। আমার এক্সিট পয়েন্ট একটাই, হাওড়া টেশন।

    ব্যান্ডেল থেকে টেরেন ছাড়তে না ছাড়তেই জেএনইউ অনির্বাণের ফোন। সে বিবিকিউ নেশন চেনে না তাই ফোন করেছে। এদিকে আমিও চিনি না, কেবল জানি ইনফিনিটি টাওয়ারের কাছে। তাই বলে দিলাম, সে বলল, কী সব বাস ধরে রবীন্দ্রসদন, সেখান থেকে শাটল ধরে সল্লেক চলে যাবে।

    এই ফাঁকে আমি ভূতোকে ফোন করে আরেকবার রুট ঝালিয়ে নিতে গেলাম, তো দেখি ভূতোর ফোন বিজি। ভূতোর লাইন পেলাম সেই আমি যখন রিষড়ে ছাড়িয়ে কোন্নগর ঢুকছি, তখন।

    হাওড়ায় নেমেই দেখি সামনে S12 দাঁড়িয়ে রয়েছে। লালবাস। আমার খুব চেনা বাস। চিংড়িঘাটায় যখন পেয়িং গেস্ট থাকতাম তখন কত এই বাসে ফ্রি-তে যাতায়াত করেছি। সে প্রায় ১০ বচ্ছর আগেকার কথা। বাসে উঠে জানলাম সে বাস এখন নিকোপার্ক এসডিএফ পেরিয়ে উইপ্রো বিল্ডিং পর্যন্ত যায়। আগে বেলেঘাটার শেষমাথা পর্যন্তই যেত।

    তো, যাই হোক, এসডিএফে নেমে দুজনকে জিজ্ঞেস করে যখন বিবিকিউ নেশনে পৌঁছলাম, তখন বাজে মাত্র এগারোটা পঁয়ত্রিশ। মানে, আমি জাস্ট পঁয়তিরিশ মিনিটে হাওড়া স্টেশন থেকে সেক্টর পাঁচে এসেছি। অষ্টমীর সকালে। এত ফাঁকা রাস্তাঘাট।

    একে একে জেএনইউ অনির্বাণ, ভূতো, মিঠু সবাইকে ফোনালাম। অনির্বাণ বলল সে তখন সদনের সামনে শাটলের জন্য অপেক্ষা করছে। ভূতো বলল তারা কাব্লিদার গাড়িতে জাস্ট চেপেছে, সুমেরু সামরানকে নিয়ে আসছে, মিঠু অনেকক্ষণ ক্যালকুলেশন করার পরে দ্বিতীয়বার রিংব্যাক করে জানাল আর কুড়ি মিনিটের মধ্যে এসে পৌঁছবে।

    ঝাড়া পঞ্চাশ মিনিট একা একা বসে কাটাবার পরে প্রথমে অনির্বাণ এল, তারপরে এল সুমেরু-সামরান-ভূতো-কাব্লিদা। সুমেরুর সে কী ড্রেস!! ধাক্কাপাড়ের ধুতি, ওপরে হাফশার্ট, তারও ওপরে কাঁচাপাকা মোটা গোঁফ, তারও ওপরে মিশকালো সানগ্লাস, তারও ওপরে এলোমেলো একমাথা উড়ন্ত চুল। পুউরো মনে হল পোস্টার থেকে রজনীকান্ত বেরিয়ে এলেন। (ছবি দিল্লি ফেরার আগে আপলোডাতে পারব না)

    এর পর বারোটা পঁয়তিরিশে এল মিঠু-টিনটিন-সৈকত। নেশনের ভেতর ঢোকা গেল। মাঝে মৃগাঙ্ক এল। সন্দীপন এল। আরে হ্যাঁ, ভুলেই গেছিলাম, পিনাকী এসে গেছিল সৈকতদের আগেই, সপরিবারে। দিৎসা (পিনাকী-কন্যে) আর টিনটিনে বেশ জমে গেল।

    খাওয়া যখান মাঝামাঝি, বেশ ঝ্যাক্কাস শাড়ি পরে এক মহিলা এসে বসলেন। আমি আড়চোখে বেশ ঝারি মারছি, তখন ভূতো এসে বলল, ওটাই অধীশা। তা-বেশ, তা-বেশ।

    খাওয়া দাওয়া শেষ হল বিকেল তিনটে নাগাদ। কাব্লিদা পানাসক্তদের জন্য ডাব্বা খুলে পান বিতরণ করল। অত:পর সিটি সেন্টার।

    (শেষাংশ একটু পরে)
  • a x | 99.54.65.125 | ১৬ অক্টোবর ২০১০ ০৯:০০602892
  • ধুর আর কেউ ক্যামেরা নিয়ে যায়নি?

    পাই, ডলার কনভার্শন কর ;-)
  • raatri | 59.93.241.66 | ১৬ অক্টোবর ২০১০ ১০:৫৩602893
  • এই দিৎসা কোথায় থাকেন??বালিগঞ্জ নয়তো?গার্ডেন হাই-তে পড়েন নাকি?তার মায়ের নাম কি দেবযানী??
  • Arpan | 122.252.231.10 | ১৬ অক্টোবর ২০১০ ১১:০৯602895
  • ছশো টাকাটা কি স্পেশাল পুজো রেট? এমনিতে আরেকটু কম হয়।

    তবে ওই আর কী, ভালো খাইয়ে হলে ওই ছশো টাকা কখন উশুল হয়ে যায়!
  • Arpan | 122.252.231.10 | ১৬ অক্টোবর ২০১০ ১১:১০602896
  • ইলিশ টিলিশ ছিল তো। তার মানে পুজো স্পেশাল।
  • I | 14.96.201.101 | ১৬ অক্টোবর ২০১০ ১৯:৩৬602897
  • ইন্দো : সৈকতকে কী রাগী-রাগী লাগছে !
    রাত্রি : পুরো পাগলের মত।
    ইন্দো ( একমত হয়ে) : হ্যাঁ , হ্যাঁ, রাগী পাগল।
  • Samik | 117.194.3.204 | ১৬ অক্টোবর ২০১০ ২৩:১২602898
  • সিটি সেন্টারে গুরুচন্ডালি ছড়িয়ে তার চারপাশে জমিয়ে বসা হল। মিঠু গেল ড্রাইভারকে বাড়িতে ছেড়ে আসতে, আমরা বসে বসে মৃগাঙ্ককে কথা বলাবার চেষ্টা করতে লাগলাম। কিন্তু কী লাজুক ছেলে! দুটোর বেশি চাট্টে কথাই বলে না।

    শেষদিকে ন্যাড়াদা-পারমিতাদি-গুঞ্জা-মেঘ এল। টিনটিন-দিৎসার সঙ্গে এসেই তারা হুড়োহুড়ি খেলা লাগিয়ে দিল। পারমিতাদি আমার দিকে ভুরু কুঁচকে খানিকক্ষণ তাকিয়ে বলল: "আগুন?' আমার বদনে যে কীসের আগুন দেখল কে জানে, যখন আত্মপরিচয় ঘোষণা করলাম, পারমিতাদির ভুরু আরো কুঁচকে গেল; এটা শমীক? য্যা:, হতেই পারে না!!

    এর পরেই আমাকে চলে আসতে হল। জেএনইউ অনির্বাণ লাঞ্চে থাকতে পারে নি, তার অন্যত্র নেমন্তন্ন ছিল, সে-ও এসে গেল পরে সিটি সেন্টারে।

    অত:পর ট্যাক্সি ধরে হাওড়া টেশন। হাঁইহাঁই করে দৌড়চ্ছি তিন্নং প্ল্যাটফর্মের দিকে, বর্ধমান লোকালটা যদি ধরা যায়, বড়ঘড়ির সামনে আমার পথ আটকালো এক কিশোরী, তেমন সুন্দরী কিছু নয়, কিন্তু দুচোখ ভরা ছিল তার এক অদ্ভুত বিপন্ন বিস্ময়। আমার দিকে একটা পেন উঁচিয়ে বলল, এক্সকিউজ মি!

    এক্সকিউজ করতেই হল। তিনি, একটু দম নিয়ে তেমনি বিস্ময়ভরা চাহনি নিয়ে শুরু করলেন, অ্যাকচুয়েলি আমরা এসইউসিআইয়ের তরফ থেকে ...

    কিশোরীর কথা শেষ হল না, আমার মুখ থেকে ইমপ্রম্পচু বেরিয়ে গেল, "আমি নেই'। পাঁইপাঁই করে দৌড়। শেষরক্ষা হল না, চোখের সামনে দিয়ে বেরিয়ে গেল গ্যালপিং বর্ধমান লোকাল। পরের ব্যান্ডেল লোকালের জন্য দাঁড়িয়ে রইলাম আমি, ভিড়ের মাঝে একা।
  • Samik | 117.194.2.206 | ১৭ অক্টোবর ২০১০ ০৭:৫৯602899
  • আমার তরফের ছবি আপলোডিয়ে দিলাম। ক্যাপশন লিখব দিল্লি ফিরে।

    http://picasaweb.google.com/mukherjee.samik/CmQQhB

    আরে আমার কোনও ছবি তুলেছিল না কাবলিদা? শিক্কাবাব হাতে নিয়ে? সেটা কার ক্যামেরা ছিল? সেইসব ছবি কোথায়?
  • Samran | 117.194.98.149 | ১৭ অক্টোবর ২০১০ ১০:৫৪602900
  • রাত্তির,
    এই দিৎসা আম্রিগায় ছিল সবে দেশে এসেছে, চেন্নাইতে গিয়ে ইশ্‌কুল যাবে, মায়ের নাম নাম মৌ, বাবার নাম পিনাকী:-)

    পুজো আসছে পুজো আসছে। মায়ের ভক্তরা রাত্রি জেগে জেগে আগাম বন্দনা করেন, সারারাত্রি বন্দনা করেন। শেষমেশ পুজো এসেই গেল আর খুব স্বাভাবিক কিয়মেই বন্দনাও যায় বেড়ে। ভক্তকুল সারা রাত্রি মায়ের থানে থানে ঘুরে ঘুরে নাচা-গানা সহিত দেবীর ভজনা করেন, প্রসাদে পেটপুজো সারেন আর সকাল হলে বাড়ি ফিরে নিদ্রা যান।

    বেলা বারোটায় নাকি পার্ক সার্কাস যাওয়ার ফ্লাইওভারের সামনে থাকতে হবে, ওখান থেকে কাবলিদা আমাদের তুলে নেবেন। সকাল দশটার অ্যালার্ম বাজতে আমার সঙ্গী ভাটুরের ঘুম ভাঙ্গে ভাটে যওয়ার জন্যে। এখুনি বেরুতে হবে, তাড়াহুড়ো চলছে কিন্তু তাই বলে মাতৃবন্দনা হবে না এটা তো হতে পারে না, কাজেই সেও হল।

    অষ্টমী। বাড়িতে রান্নার পাট নেই। বাবু- আমার পুত্রের নেমন্তন্ন তার বন্ধু অনিন্দ্য-র বাড়িতে, ওদের বাড়ির পুজো, প্রতি অষ্টমীতেই থাকে এই নেমন্তন্ন। কন্যেটি প্রবাসী হয়েছে সদ্য, আমাদের খাওয়া সল্লেকে, ভাট সহযোগে।

    শুনতে পেলাম, সাহেব পরবেন ধুতি পাঞ্জাবী। তা বেশ। কিন্তু পাঞ্জাবী আর কিছুতেই পছন্দ হয় না, তো হঠাৎই মাথায় আসে, শার্টই পরা যাক। ধুতি, শার্ট, সাথে কালো চশমা আর মাথায় বগুড়ার তালকাঠির বোনা হ্যাট। বেশবাস দেখে আমি বসে পড়ি, আমি কিছুতেই যাব না তোমার সাথে। তুমি যাও, হয় আগে নয় পরে আমি ঠিক চলে যাব, গাড়িরও দরকার নেই, বাসে বাসেই যাব আমি। অবশেষে রফা হয় টুপি নামিয়ে রাখায়, আমরা রওয়ানা হই।

    কালো না হোক একখান রোদচশমার প্রয়োজন আমি বাড়ি থেকে বেরিয়েই বোধ করি। ঝাঁ ঝাঁ রোদ্দুরে চোখ ধাঁধিয়ে যায়, চোখ খুলে রাখা মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়, সাদা ধুতি-শার্টের সাথে কালো চশমা দেখে নিজের চশমার কথা মাথাতেই আসেনি। বেলা সাড়ে এগারোটায় ফাঁকা বাসস্টপে খানিক দাড়াতেই বাস মেলে, ঝকঝকে নতুন সিটিসি। কাবলিদা, ভুতো এসে পৌঁছুনোর আগেই আমরা পৌঁছে যাই জায়গা মত, এবং অপেক্ষা। বেমক্কা বাতাসে ধুতি উড় উড় যায়, বাঁচোয়া, খুব বেশিক্ষণ দাঁড়াতে হয়নি ওইরকম বিতিকিচ্ছিরি একটা জায়গায়। জায়গা মত পৌঁছুনো পর্যন্ত ভুতো সমানে চালিয়ে জায় সুমেরুর ড্রেস-বন্দনা। কাবলিদা সামনের আয়না সেট করে দেখে নেন সুমেরুকে।

    বার্বিকিউ নেশন। রাস্তার এপার হতেই চেনা যায় ক্যাফে কফি ডে-র বারান্দায় দাঁড়ানো শমীককে। ছবিও দেখা ছিল আর বন্নোনা তো এন্তার শোনা হয়েছে তার চেহারার। পিনাকীর সাথেও আগেই আলাপ হয়েছে, আরেকজনকে দেখা গেল ফ্রেঞ্চকাট দাড়িতে, আলাপ হল, অনির্বাণ। আলাপ হল মৌয়ের সাথে। ছোট্ট দিৎসা দেয়াল ঘেঁষে বসে থাকে তুমুল বাতাসে দাঁড়াতে না পেরে।
  • I | 14.96.95.116 | ১৭ অক্টোবর ২০১০ ১৪:৩২602901
  • শমীক,
    কাউকে কাউকে চিনতে পারছি না। বন্ননা দাও।
  • ranjan roy | 122.168.249.74 | ১৭ অক্টোবর ২০১০ ১৬:৫২602903
  • আরে শমীক,
    SUCI ভিলাইয়ের পূজোয়ও পেছন ছাড়ে নি।
    নবমীর বিকেল পাঁচটায় ভিলাইয়ের কালীবাড়ির বিশাল পূজো প্রাঙ্গণে আমরা ১৭জন প্রিমিয়াম কফি সহযোগে স্থানীয় কবি বীরভূমের রূপুসপুর্‌র জন্ম বাসবী রায়ের ও তাঁর মেয়ের মুখে জয় গোস্বামী ও সৃজন সেনের কবিতা আবৃত্তি শুনছিলাম। এমন সময় চোখে পড়ল জনাকয়েক প্রৌঢ় পাশেই বইয়ের স্টল লাগাচ্ছেন তাতে ব্যানার-- কম: শিবদাস ঘোষের রচনা পড়ুন।
    মাইরি! মার্ক্সীয় তান্ত্রিক/কাপালিক এসব দেখা অভ্যেস ছিল। এ যে দেখছি মার্ক্সীয় ""বালক ব্রহ্মচারী''!
  • Arpan | 122.252.231.10 | ১৭ অক্টোবর ২০১০ ২০:২৪602904
  • শমীকের ছবিতে ছবিতে যে দেখি রক্তচক্ষু ছয়লাপ।
  • Samik | 122.162.75.19 | ১৭ অক্টোবর ২০১০ ২১:১৫602905
  • সব ছবি আনপ্রসেস্‌ড। তাড়াহুড়ো করে তুলে দিয়েছি। একে একে সব ঠিক করে দেব। এখন তো পিকাসাতেই ছবি প্রসেস করা যায়। পিকনিক সহকারে।
  • pipi | 92.225.73.192 | ১৮ অক্টোবর ২০১০ ২১:৫৭602906
  • নভ ভাটের কোন খপর?
  • Somnath | 85.154.255.42 | ১৯ অক্টোবর ২০১০ ১৫:০২602907
  • ৪ তারিখের পরে যে কোনোদিন।
  • taniab | 12.167.106.163 | ২০ অক্টোবর ২০১০ ০৩:৪১602908
  • নভ ভাট ১১ থেকে ২৬ এর মধ্যে হলে আমিও হাত তুললাম।
  • til | 210.193.178.129 | ২০ অক্টোবর ২০১০ ০৬:২৮602909
  • নভে র ভাট ২৮শে বা তার পর হলে আমি আছি।
  • de | 134.105.166.235 | ২১ অক্টোবর ২০১০ ০১:০৩602910
  • তাইলে তো ডিসে ভাট --বা ডিশে ভাত ;-))
  • til | 210.193.178.129 | ২১ অক্টোবর ২০১০ ০৯:৪৮602911
  • ডিসেম বর ভাত?
    জাকগে মুখে ভাত হলেই চলবে!
    de কি এখনও DEতে?

  • til | 210.193.178.129 | ২১ অক্টোবর ২০১০ ০৯:৫১602912
  • ধ্যুস এখনও রপ্ত হল না!
    যাক গে* (আন্দাজে এই দশা)
  • omnath | 188.135.2.220 | ২১ অক্টোবর ২০১০ ১৪:২০602915
  • ডিসে ভাত হলে অমি মিস করব।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন