এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ইস্কুলের গল্প

    Abhyu
    অন্যান্য | ১৩ জুন ২০১৩ | ৭৬১৭ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • টাঙন | 80.39.185.86 | ১৫ জুন ২০১৩ ১৭:০০613901
  • গঙ্গার উজান বেয়ে ফারাক্কা পেরিয়ে ইলেভেনে এসে ভর্তি হয়েছিল কেন কে জানে। চুঁচুরা থেকে এসেছিল বলেই কি ছন্দা চন্দ্রাহত ছিল? তাছাড়া আর কি বলব? নাক মুখ দিয়ে বেরন প্রতিটি উচ্চারণেই তার ঝাঁকে ঝাঁকে চন্দ্রবিন্দু ভর করত! প্রইস্যা বলত যে ছন্দার সাথে কথা বললেই নাকি তার নাক সুড়সুড় করে। এমনকি দুয়েকবার নাকি সে হেঁচেও ফেলেছে। প্রইস্যা হারামীকে অবশ্য বিশ্বাস করা যায়না। কিন্তু বাংলার বাঘ তারাপদ স্যার? হ্যাঁ, তারাপদ স্যার। তিনিও শেষমেস ছন্দাকে শাঁকচুঁন্নি বলে বসলেন! ধুতি পাঞ্জাবিতে হালকা পাতলা চেহারাই ছিল তাঁর, কিন্তু জাঁদরেল গোঁফ জোড়া গোঁফের জাগাটা ছেড়ে দুই ভূরুতে জাঁকিয়ে বসেছিল, কালো মোটা ফ্রেমের চশমাটা ভূরুতে ঝুলে থাকত আর কাঁচের ফাঁক দিয়ে ফোলা ফোলা চোখ দুটোতে চোখ পড়ে গেলে গুড বয়দেরও আত্মার আরাম খাঁচা ছাড়া হয়ে যেত। বেরসিক তিনি ছিলেননা, কিন্তু তিনিই ছিলেন একমাত্র শিক্ষক যিনি পড়া না পারলে সপাটে গালে থাপ্পর মারার প্রয়োজন বোধ করতেন। পাখির নীড়ের মত চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন, বলেই তিনি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিলেন, তা হ্যাঁ রে? নীড় মানে তো বাসা, তা পাখির বাসার মত কি চোখ হয় নাকি কারো? বলেই তিনি ব্যাখ্যা করে বুঝিয়েছিলেন। আশ্রয়। হাজার বছর হেঁটে হাল ভাঙ্গা নাবিক... সাঁঝের পাখিরা ফিরিল কুলায় মানে নীড়ে... ইত্যাদি ইত্যাদি। মানে আশ্রয়। ভ্রূগোঁফ জোড়া তখন তাঁর একটু একটু কাঁপছিল। এমত সময় ফার্স্ট বেঞ্চ থেকে আকুল কন্ঠে ছন্দার প্রশ্ন (চন্দবিন্দুগুলো আপনারা বসিয়ে নিন): কিন্তু স্যার, পাখিরা তো ডিম পাড়ার সময়ই জোড় বেধে বাসা বাধে, তাহলে শুধু কি... বাক্যের শেষটা ছন্দাকে গিলে নিতে হয়েছিল, কারন তারাপদ স্যারের বাবুই বাসা ভ্রূজোড়া দ্বিগুন কাঁপছিল কিন্তু ছন্দার চোখে রাখা চোখ ছিল ততোধিক স্থির। বিলম্বিত লয়ে তিনি উচ্চারণ করলেন: শাঁকচুঁন্নি। তারপর স্তম্ভিত ক্লাসরুমে সস্তি ফিরিয়ে একগাল হেসে তারাপদ স্যার সবার দিকে ফিরে বললেন: তাঁ, যাঁ কেঁন তুঁই, বাঁধনাঁ বাঁসাঁ, কে আটকেছে!
    মাঝের বেঞ্চ থেকে সসস..হ্যাঁচ্চো..রি সরি আওয়াজে সবাই হেসে উঠেছিল। প্রইস্যা হারামি এর মধ্যেই নাকে সুতোসুড়সুড়ির প্ল্যান ছকে ফেলেছিল!! সেদিনের পর থেকে তারাপদ স্যারকে ভয় পাবার আর কোন কারন ছিলনা।
  • siki | 132.177.17.203 | ১৫ জুন ২০১৩ ১৭:০২613902
  • অ্যাঃ, কুলায় নয়, কুলায়ে।
  • bb | 127.195.184.204 | ১৫ জুন ২০১৩ ১৭:২৭613903
  • শংকরদা ক্লাসে এসে বললেন -শোন তোরা আনন্দলোক পড়বি ওটা পড়া ভাল। একটু মিনমিন করে একজন বলল স্যার ওটা বোধহয় মেলা হবে। উত্তর এলো - বড্ড গোল করিস, যেখানে লোক সেখানেই তো মেলা।
    সবাই থ।
  • টাঙন | 80.39.185.86 | ১৫ জুন ২০১৩ ১৭:৩৮613904
  • ওয়াহ্, সিকি এবার আমার কিস্যু কিস্যু বোধগম্য মানে বুইতে শুরু করেছেন। শবালো হল।
  • হারিয়ে গিয়েছিল | 118.85.89.109 | ১৫ জুন ২০১৩ ২৩:২১613905
  • name: Lama mail: country:

    IP Address : 127.194.233.219 (*) Date:15 Jun 2013 -- 07:18 PM

    এদিকে তুষ্টু আজ হারিয়ে গিয়েছিল, আবার পাওয়া গেছে

    name: Lama mail: country:

    IP Address : 127.194.233.219 (*) Date:15 Jun 2013 -- 07:47 PM

    সেরকম কিছু না। শনিবার ওদের স্কুলেই একটা গানের ক্লাস থাকে। প্রতি সপ্তাহে আমি সকাল পৌনে এগারোটা নাগাদ দিয়ে আসি, ওর মা সোয়া বারোটা নাগাদ আনতে যায়। আজ ওদের একটু তাড়াতাড়ি ছেড়ে দিয়েছিল। ওর মা ওকে আনতে গিয়ে খুঁজে পাচ্ছিল না। তারপর স্কুলের লোকজন খুঁজতে খুঁজতে গিয়ে দেখে ক্লাস থেকে বেরিয়ে মাকে দেখতে না পেয়ে চুপচাপ অন্য একটা ঘরে বসেছিল। আমি খবর পেয়ে হন্তদন্ত হয়ে স্কুলে যাচ্ছিলাম। রাস্তায় থাকতে থাকতেই শুনলাম পাওয়া গেছে। আমার গলদঘর্ম অবস্থা দেখে অটোচালক ভাড়া নিলেন না।

    name: কৃশানু mail: country:

    IP Address : 213.147.88.10 (*) Date:15 Jun 2013 -- 07:54 PM

    আমি এই কীর্তি করেছিলাম ক্লাস টুতে। স্কুলবাসে ফিরতাম। আগের রাতে ব্রাজিল আর কোস্টা-রিকার খেলা ছিল। পরের দিন দশটা নাগাদ ক্লাস শেষ হয়। সারে দশটা নাগাদ ডে স্কুলের ছেলেদের নিয়ে বাস এসে মর্নিং স্কুলের ছেলেদের নিয়ে ফিরে যেত। বাস এর অপেক্ষা করতে করতে আমি স্কুল কম্পাউন্ড এর ঠিক মাঝখানে একটা বড় গাছ ছিল (বকুল কি? মনে নেই, পুরনো স্কুল বাড়িতে তিন-চার বছর ছিলাম, অভ্যু দা বা অরণ্য দা হয়ত বলতে পারবে) তার তলায় স্কুলবাক্স পেতে তার ওপর বসে ঘুমিয়ে পরেছি। উঠলাম যখন স্নিনিযৰ স্কুলের প্রেয়ার হচ্ছে। বুঝলাম বাস বেরিয়ে গ্যাছে।
    অল্প দুরে মামা-দাদুর বাড়ি, দশ মিনিট মত, ওদের গেট এর স্টাইল টা মনে ছিল । সেখানে চলে গেলাম। সন্দেশ - ডিমভাজা খেয়ে পম্পাপিসি (মামাদাদু-র মেয়ে) সাথে রিক্সায় ফিরছি দেখি স্কুল গেটের সামনে বাস। মা বসে করে ফিরে এসেছে, প্রচন্ড কাঁদছে।

    মনে আছে তারপর আর চার -পাঁচ দিন হাজার দুষ্টুমি করেও কোনো বকা খাই নি ;-)
  • কৃশানু | 213.147.88.10 | ১৫ জুন ২০১৩ ২৩:২৬613906
  • এটা তো অভ্যুদাই হবে। তা গাছটা কী ছিল বল না? ওটায় কুমিরডাঙা খেলতাম। গেট দিয়ে ঢুকে দান দিকে ছিল, টিচার্স রুম এর মুখোমুখি।
  • কৃশানু | 213.147.88.10 | ১৫ জুন ২০১৩ ২৩:২৮613907
  • এবং ওই দিনের প্র্য়িয়ারে তো তুমিও ছিলে। তখন তোমায় চিনলে আর এত সমস্যাই হত না :-)
  • Abhyu | 118.85.89.109 | ১৫ জুন ২০১৩ ২৩:৪৫613908
  • কি গাছ আমিও ভুলে গেছি। বিশা-আ-ল গাছ ছিল সেটা আমারো মনে পড়ে। একটা ঝড়ে উল্টে পড়েছিল। কোনো এক ছুটির আগের দিন। তাই সেবার এক্দিন আগেই ছুটি হয়ে গিয়েছিল।
  • Abhyu | 118.85.89.109 | ১৫ জুন ২০১৩ ২৩:৪৬613909
  • সামনের বিধান স্কুলের পাশের একটা মাঠেও খেলা হত। সেখানে একটা তেঁতুল গাছ ছিল। তাই মাঠটার নাম ছিল তেঁতুলতলা স্টেডিয়াম।
  • Abhyu | 118.85.89.109 | ১৬ জুন ২০১৩ ০৮:৫৯613911
  • এই টইতে রঞ্জনদা একটু লিখবেন না?
  • byaang | 132.178.252.142 | ১৬ জুন ২০১৩ ০৯:৩৮613912
  • এখনকার ছাত্রদের ইস্কুলের গল্প লিখি একটা।

    রোজ সকালে ইস্কুলে এসে ক্লাসে ব্যাগ নামিয়ে রেখে অ্যাসেমব্লি লাইনে যাওয়া নিয়ম। অ্যাসেমব্লি থেকে ফিরে ক্লাসে এসে আরো এক প্রস্থ প্রার্থনা করে তবে পড়াশুনোর পাট শুরু হয়। ক্লাস থ্রীয়ের এক দিদিমণি হঠাৎ একদিন শোনেন ক্লাসে এসে প্রার্থনা শেষ হওয়ার ঠিক পরেই রিনরিনে গলায় শোনায় যাচ্ছে "হোয়াই দিস কোলাভেরি, কোলাভেরি ডি?" বাকি ছাত্ররা তখনও দাঁড়িয়ে আছে, প্রার্থনা শেষ হওয়ার পরে দিদিমণি বলবেন বসতে, তবে তো তারা বসবে। কিন্তু "সিটডাউন" শোনার আগেই কেউ এই গানের কলিটি গেয়ে বসেছে। দিদিমণি আঁতকে ওঠেন, (কে জানে হাসিও পেয়ে যায় কিনা? তবু ছাত্রদের সামনে তো হেসে ফেলা যায় না, আঁতকে উঠতেই হয়।) । খুব কড়া গলায় বলে দেন "আর একদিন এই গান শুনলে ভালো হবে না কিন্তু। প্রিন্সিপালের ঘরে নিয়ে যাব।"

    দুই-তিন দিন বাদে আবার সেই একই সময়ে সেই একই গানের কলি ভেসে আসে। দিদিমণি এবারে বেজায় রেগে যান। ক্লাস থ্রীয়ের ছাত্রের একী আসপদ্দা!! ততক্ষণে এক নালিশকুটি ছাত্র নিজের জায়্গা ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে, অপরাধীর হাত ধরে টানতে টানতে দিদিমণির দিকে এগিয়ে আসছে। দিদিমণি দেখেন অপরাধী আর কেউ না, - হরিহরণ। হরিহরণ যে কিনা ছোটখাটো এক ছোট্টো ছেলে, দেখলেই মনে হয় কক্ষনো ভাজা মাছটি উল্টে খায় নি। দিদিমণি বিশ্বাসই করতে পারেন না এই ছেলের এত দুঃসাহস হয় কী করে। তিনি শুধান "এই বাজে গানটা কে গাইছিল? তুমি?" সে ছেলে বুক ফুলিয়ে বলে "হ্যাঁ আমি গাইছিলাম।" দিদিমণি তার সাহস দেখে অবাক হয়ে বলেন "তুমি জানতে তো, এই গান ক্লাসে গাওয়া যায় না? কেন গাইছিলে?" হরিহরণ নির্দ্বিধায় উত্তর দেয় "কারণ এই গানটা আমার জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনে।" এর পরে তো দিদিমণির আর কিছু করার থাকে না, তার কানটা মুলে দিয়ে তাকে ক্লাসের বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা ছাড়া।

    কিন্তু হরিহরণ নাছোড়বান্দা। সে তারপরে শুধু প্রার্থনার পরেই না, আরো বিভিন্ন সময়, যেমন উইকলি টেস্টের খাতা পাওয়ার সাময়ে, পিটি ক্লাসে লাইন করে যাওয়ার সময়ে, টিফিন বাক্স খোলার আগে এই একই গান গাইতে আরম্ভ করে। নালিশকুটিরা দিদিমণির কাছে নালিশ করে, দিদিমণিও তাকে বকতে থাকেন, আর হরিহরণও একই উত্তর দিতে থাকে, শুধুমাত্র সৌভাগ্যের আশায় সে এই গানটি গায়, তার আর কোনো উদ্দেশ্য নেই।টিফিন বাক্স খোলার আগে ঐ গান গাইলে নাকি টিফিন বাক্সে ভালো টিফিন থাকার সম্ভাবনা বাড়ে, পরীক্ষার খাতা পাওয়ার আগে ঐ গান গাইলে নাকি খাতায় ম্যাজিকের মতন নম্বর বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, পিটিক্লাসে যাওয়ার আগে গাইলে নাকি সেদিন তাকে পিটি করার থেকে মুক্তি দেন পিটিস্যার ইত্যাদি। হরিহরণের এই বিশ্বাস দিদিমণির সহ্যের বাইরে যেতে থাকে, আর হরিহরণের শাস্তির মাত্রাও বাড়তে থাকে। কিন্তু অমন সাহসী ছেলের কি আর শাস্তিতে ভয় পেলে চলে! ফলে চলতেই থাকে।

    আমাকে যে এই গল্পটা বলেছে, সে গল্পটা বলেটলে ভারি চিন্তিত হয়ে বলেছিল, "আমি কিছুতেই বুঝতে পারি না, হরিহরণ কেন ভাবে এই গানটা ওর জন্য সৌভাগ্য নিয়ে আসবে? রোজ তো এই গানটা ওর জন্য শাস্তি নিয়ে আসে। তবুও ও বোঝে না সেটা। কবে যে বুঝবে?"
  • টাঙন | 80.39.185.47 | ১৭ জুন ২০১৩ ০০:৩৯613913
  • কোন ক্লাসে যেন পুলিসের স্ত্রী লিঙ্গ জিগ্যেস করলে বলেছিল পুলিসানি। রামকৃষ্ণ মাস্টারের খ্যাঁক খ্যাঁক হাসি নাকি থামতেই চাইছিলনা, আর বুকে চিবুক গেঁথে ও মাটিতে মিশে যাচ্ছিল। আমরা যখন হাই স্কুলে উঠলাম শিখাদির তখন সেভেন, পুলিসানির গল্পটা ফিকে হয়ে গেলেও টিঁকে ছিল তখনো। কয়েক মাস, নাকি বছর, লজ্জায় গুটিয়ে যেতে যেতেও শেষতক পুলিসানি বলে খেপানোটা গা সওয়া হয়ে গেছিল শিখা শাঁখারীর। কিন্তু ইউরোপের নবজাগরণ শিখা শাঁখারীর জীবনে এভাবে আসবে তা কে জানবে! যাকে সবাই বলত দুধে আলতা, তেমনই দীঘল গায়ের রং, লম্বা বেনী দুলিয়ে মরা টাঙনের ওপার থেকে চার পার হয়ে মারডাঙ্গা রঘুনাথ হাই স্কুলে আসত অন্যদের সাথে। রুমালে বাঁধা বইখাতার বাণ্ডিল মেয়েরা কাঁখে নিত ঠিক বাচ্চা নেয়ার মত করে, ছেলেরা নিত ফাইল ধরার স্টাইলে। শিখাদি এমনিতেই ছিল স্কুলের সেরা সুন্দরী। তথাপি, ক্লাস এইটে ওঠার ক'মাস পর, দাদার রেজার দিয়ে নিখুঁত করে কামিয়ে ফেলে ভ্রূযুগল। শিখা শাঁখারী আর কখনো স্কুলে আসেনি। ঢিঢি পড়ে গেছিল চারিদিকে। বগুলায় মামা বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল ওকে। বছর দুয়েক বাদে স্বামীকে নিয়ে গাঁয়ে বেড়াতে এসেছিল যখন, তখন তো দেখেছিলাম শিখা শাঁখারীকে। কিন্তু ওর মুখটা আমি মনে করতে চাইলে ভিঞ্চির আঁকা ছবিটাই ভেসে ওঠে। দিদি ওর ক্লাসমেট ছিল বলে শিখা শাঁখারীর নবজাগরণের রহস্যটা জানা ছিল আমার।
  • pi | 118.12.167.200 | ১৭ জুন ২০১৩ ০১:২৪613914
  • ঃ)
  • প্রচার | 69.93.242.112 | ১৭ জুন ২০১৩ ১০:২৪613915
  • আমি আগেই স্বীকার করেছি কবিতা লেখা আমার কম্মো না । তবে কোন কোন সময়ে ছন্দ - সে যতই বাজে আর পড়ার অযোগ্য হোক - না করলে লেখা হয় না । এমন নয় যে লেখা হতেই হবে আর তা পড়াতেই হবে তবে কিছু চিন্তা বা স্মৃতি অন্যের সাথে শেয়ার করতে ইচ্ছে করে । অন্যেরা পড়ে তো এ্যাপ্রিসিয়েট করতেও পারে । তা সে রকমই একটা স্কুলের স্মৃতি , দুঃখের , কবিতার মত করে লেখা ।

    ভেটকি

    আমরা তখন ইলেভেনের সি-সেকশনে পড়ি,
    নতুন বাড়ির তিনতলার এক ঘরে ক্লাশ করি ।
    বি-সেকশনের ক্লাশ ওই তলারই আর এক ঘরে ,
    দুই ক্লাশের ছেলেরাই বিজ্ঞান বিভাগে পড়ে ।
    ঘরের সামনে খোলা পার্ক , মধ্যে খোলা বারান্দা ,
    প্রত্যেক পিরিয়ডের শেষে , পার্ক দেখার ধান্দা ।
    একদিন পিরিয়ড শেষে বারান্দায় এসে দেখি ,
    ছাতাসহ সুবলবাবু মানে ভেটকি ছুটছে , একি !
    বি-সেকশনের লক্কা তাঁর পিছনে পিছনে যাচ্ছে ,
    মাঝে মাঝে খুব জোরে ভেটকিস্যারকে ডাকছে ।
    হেডস্যার ও অন্যান্যরা পুরান স্কুলে বসতো ,
    হরিশ পার্ক , যাতায়াতে ব্যবহার করতে হোত ।
    ঘটনা যা যা শুনেছিলাম , তার যতটা মনে আছে ,
    পুরোটা ভুলে যাবার আগে , লিখে রাখছি নীচে ।
    আগের দিন রাজেনবাবু আয়োডিন পড়িয়েছিল ,
    তার পোড়ানর ক্ষমতায় সবাই অবহিত ছিল ।
    রাজেনবাবুর কাছ থেকে কিছু হয়েছিল জোগাড় ,
    তাই দিয়ে সাজানো হয়েছিল টেবিল ও চেয়ার ।
    সুবলবাবু ক্লাস নিয়ে , ফিরে টিচারস্‌ রুমে গেলে ,
    অন্যেরা হাসে , জামাকাপড় ফুটো হয়েছে বোলে ।
    রাজেনবাবু বুঝে , বলেন এ আয়োডিনের কাজ ,
    তিনি পড়িয়েছেন ইলেভেন বি –সেকশনে আজ ।
    পরের দিন সুবলবাবু ক্লাশে লক্কাকে খুব বকেন ,
    ক্লাশ-শেষে পুরান-বাড়ি নালিশ করতে ছোটেন ।
    লক্কা তাঁর পিছু পিছু যায় , কি হচ্ছে তা জানতে ,
    হেডস্যারকে বলেন উনি , শীঘ্র লক্কাকে তাড়াতে ।
    লক্কা তখন বলে , ব্যাপারটা উলটো হওয়া উচিৎ ,
    ওনাকেই ছাড়াতে হবে , আন্দোলন হবে নচেৎ ।
    আমি নাকি ওনার কাপড়ে ছড়িয়েছি আয়োডিন ,
    আমি কাল স্কুলেই আসিনি , রেজিস্টার দেখে নিন ।
    সুবলবাবু তাঁর ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে নিলেন ,
    এখনো কিন্তু জানা যায়নি কারা কারা ছড়ালেন ।
  • siki | 132.177.227.5 | ১৭ জুন ২০১৩ ১২:০৩613916
  • আপনার স্বীকারোক্তি সত্যিই অকপট আর সরল সত্য। কবিতা লেখা সত্যিই আপনার কম্মো নয়।

    কাটিয়ে দিন :)
  • প্রচার | 69.93.217.177 | ১৭ জুন ২০১৩ ১৩:২৩613917
  • [কাটিয়ে দিন :)]

    তা কাটাব কি করে ?
  • kumu | 69.178.57.251 | ১৭ জুন ২০১৩ ১৩:৪৪613918
  • আয়োডিন (কী ফর্মে???) দিয়ে টেবিল চেয়ার সাজানো সম্ভব কি? গন্ধ ও রং লুকোনো সম্ভব নয়।আর একজন শিক্ষক ছাত্রদের হাতে ক্ষতিকর কেমিক্যাল দেবেন না।
  • Abhyu | 118.85.89.109 | ১৭ জুন ২০১৩ ১৩:৪৭613919
  • কুমুদি আপনার স্কুলের গল্প লিখুন না একটু। মা হয় বানিয়েই লিখুন। সেই সত্য যা রচিবে ইঃ
  • kumu | 69.178.57.251 | ১৭ জুন ২০১৩ ১৩:৫১613920
  • না,সত্যি গল্পই লিখব,এট্টু টাইম দাও।
  • b | 135.20.82.164 | ১৭ জুন ২০১৩ ১৪:২৭613922
  • প্রচার এর কবিতা অন্তর থেকে বুগবুগিয়ে ওঠে। সিকি 'কাটিয়ে দিন' বললে হবে?
  • b | 135.20.82.164 | ১৭ জুন ২০১৩ ১৪:৪১613923
  • লিখব? বাংলা বয়েজ স্কুলে কি গপ্পের শেষ আছে কোনো? সেই যে ওয়ার্ক এডুকেশনের, সরি, কর্মশিক্ষার শিক্ষক ছিলেন মাধুরীবাবু, মাধুরী মোহন বসু, তাঁকে সারাজীবন 'পুং' নামটি সয়ে যেতে হল। নামটিতে কিঞ্চিৎ বেঁড়েপাকামো ছিলো, কারণ সচরাচর অত বুদ্ধি খাটিয়ে নামকরণ করা হয় না। ঢাকাইয়া বাঙাল মাধুরীবাবুর স্বভাব ছিলো প্রশ্নোত্তরে পড়ানো, যথা, "সাপে কা-আ-ম-অ-অড়াআনোর প্রাথমিক চিকিৎসা কি-ই-ই?" পেছন থেকে উত্তর এলো স্যার সাপকে গিয়ে কামড়ে দেওয়া'।

    সেই মাধুরীবাবু নবম শ্রেণী ক বিভাগে প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসে একটি দুর্বোধ্য প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছিলেন। কেউ পারি নি, এবং হাসতে গিয়ে বেদম ঠ্যাঙানী খেয়েছিলাম। এখনো স্ট্রেসড থাকলে স্বপ্নে দেখি সেই টেবিল, ওপারে একজন ইন্টারভিউয়ার বসে আছেন, আমার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম, আকাশ পাতাল ভেবে আমি খুঁজে চলেছি সেই প্রশ্নটির উত্তরঃ

    "কালি কাকে বলে"?
  • phutki | 131.241.146.122 | ১৭ জুন ২০১৩ ১৪:৫৫613924
  • সীমাদি অতি শান্ত শিষ্ট মানুষ। "দিদি , আজ পড়া করিনি" র উত্তরে বলতেন, "ঠিক আছে, কাল করে এসো।" সে কাল আর আসত না।
    ক্লাস সেভেনে, বাংলার র‌্যাপিড রীডারের ক্লাস নিতেন সীমাদি। পর পর উঠে দাঁড়াও আর প্রশ্নের উত্তর দাও গোছের খেলা খেলা পিরিয়ড চলছে। অনিন্দিতা উঠল। প্রশ্ন এল, "স্বামী বিবেকানন্দ দরিদ্র মানুষদের জন্য কী করেছিলেন?" উত্তর দিতে হবে এক্দম বইয়ের লাইনের সাথে লাইন মিলিয়ে। পেছন থেক প্রম্প্ট করা হল আর একদম সেটাই উত্তর গেল , "খিচুড়ি খাইয়েছিলেন"। সীমাদির প্রত্যুত্তর, " ছি। ওভাবে বলে না। তোমরা তো বড় হয়েছো। বলবে, তিনি দরিদ্র মানুষদের জন্য রামকৃষ্ণ মিশনের ছত্রছায়ায় দরিদ্রনারায়ণ সেবা করেছিলেন। বোসো। পরের জন ওঠো।"
  • b | 135.20.82.164 | ১৭ জুন ২০১৩ ১৫:৪৩613925
  • সবচেয়ে চাপের ছিলো ক্লাশ নয়, কেউ মারা গেলে দু মিনিটের নীরবতা পালন। ত্রিশ সেকেন্ড কাটতে না কাটতে, কাশির আওয়াজ, হাসি চাপবার নানাবিধ বিচিত্র ও ব্যর্থ প্রচেষ্টায় ঘোঁয়াক, ঘ্যাং, খং এরকম আওয়াজে দেশ বিদেশ মুখরিত হয়ে উঠতো।

    যে মার খেয়েছিলাম ক্লাস সেবেনে, (একজন প্রাক্তন শিক্ষক মারা গেছিলেন, এবং এখন বুঝি তিনি আমাদের ক্লাশ টিচারের খুব প্রিয়পাত্র ছিলেন, কারণ মারতে মারতে তিনি শুধু উন্মত্তের রিপিট করছিলেন "তোরা বাবা মারা গেলে হাসবি?") তা ভাবলে শিরদাঁড়া সুলসুলিয়ে ওঠে।
  • প্রচার | 69.93.205.151 | ১৭ জুন ২০১৩ ১৭:৩২613926
  • @কুমু
    [আয়োডিন (কী ফর্মে???) দিয়ে টেবিল চেয়ার সাজানো সম্ভব কি? গন্ধ ও রং লুকোনো সম্ভব নয়।আর একজন শিক্ষক ছাত্রদের হাতে ক্ষতিকর কেমিক্যাল দেবেন না।]

    লিখেছি যখন আমি তখন মনে হয় প্রশ্নগুলো আমাকেই করা । তা অত দিন আগের কথা তো সবটা তো আর সঠিক ভাবে মনে নেই । তার ওপরে আমি - সি সেকসানের ছেলে - শুধু দেখেছিলাম - কি ঘটেছিল বা কারা কি ভাবে ঘটিয়েছিল জানিনা । তাও যতটা পারি উত্তর দেই ।
    ১) কঠিন গুঁড়ো ফর্মে - যে রকম ভাবে পিওর আয়োডিন বাজারে কিনতে পাওয়া যায় । সাজান মানে কি কনে সাজান , জাস্ট টেবিল চেয়ারে ছড়ান । গন্ধ ও রঙ নিশ্চই হাসি আর দুষ্টুমি দিয়ে ছেলেরা লুকিয়ে রেখেছিল না হলে তার ওপরে বসে ভেটকিস্যারের জামাকাপড় ছিঁড়বে কেন ? অবশ্য এর বেশী জানতে গেলে ওপারে ভেটকিস্যারের সাথে দেখা করতে হবে ।
    ২) অনেকগুলো প্রশ্ন আমি পালটা করছি -
    ক) জামাকাপড় ছিঁড়ে গেলে সেটা কতটা ক্ষতিকর ও সেই ক্ষতি মানুষ মারা বিষের সাথে তুলনা করা যায় কিনা - মানে পুলিস কেস হলে ধারা কি এক হয় না অন্য হয় ? আমি জানলে জিজ্ঞাসা করতাম না , জানি না বলে করলাম ।
    খ) রাজেনবাবু দিয়েছিলেন , ওনাকে জিজ্ঞেশ করতে হয় যা দেওয়া যায় না - কি করেই বা সে সম্বন্ধে সিওর হওয়া যায় - তা কেন ও কিভাবে দিয়েছিলেন - হতে পারে ছাত্ররা জোর করে কেড়ে নিয়েছিল - কিন্তু তিনি ও তো ওপারে ।
    গ) যদি সিওর হওয়া যায় এটা শাস্তি যোগ্য অপরাধ তাহলে কি মৃত রাজেনবাবুর বিরুদ্ধে এখন পুলিসে এফ আই আর করা যায় ?
  • | 24.97.114.25 | ১৭ জুন ২০১৩ ১৭:৩৫613927
  • ধুত্তোর!
  • প্রচার | 69.93.205.151 | ১৭ জুন ২০১৩ ১৭:৪৩613928
  • @ দ

    [ধুত্তোর!]

    আমি সহমত । কিন্তু প্রশ্ন করলে উত্তর দেব না !
  • SG | 134.124.204.10 | ১৭ জুন ২০১৩ ১৭:৪৮613929
  • এই toi টাও গেল
  • SG | 134.124.204.10 | ১৭ জুন ২০১৩ ১৭:৫৪613930
  • সম্ভবত ক্লাস নাইন : ইতিহাস পরীক্ষা , প্রশ্ন "আলাউদ্দিন খিলজির রাজ্যবিস্তার ", তীর্থ (নাম অপরিবর্তিত ) লিখছে : প্রথম দু লাইন বই থেকে , তারপর " কি যুদ্ধ যুদ্ধ , যুদ্ধ আর থামে না , একবার এ মারে তো আর একবার ও , "এইরকম ভাবে লেখার পর পাতার লাস্ট লাইন দুটো আবার বই থেকে
  • VV | 12.51.146.88 | ১৭ জুন ২০১৩ ২৩:৩২613931
  • ক্লাস ১১ এ কেমিস্ট্রি প্রাক্টিক্যাল ক্লাস। সল্ট এর সলুইসন বানিয়ে চলছে পরীক্ষা নিরীক্ষা। আমি অল্প ডাইলুট এসিড মিসিয়ে দেখছি অল্প অল্প বুদ্বুদ বেরোচ্ছে। জিগালুম "স্যার কার্বোনেট আছে?" ঝাকিয়ে দেখ। সে নতুন কাগে গু খেতে শিখেছি। টেস্টটিউবের উপর টা আঙ্গুল দিয়ে চেপে দিলাম ঝাকানি। সামনে দিয়ে একটা স্ট্রিম গেল স্যার এর দিকে। স্যার পাশ কাটালেন, সোজা দেওয়ালে। আর একটি স্ট্রিম আমার ছোখে। জোরে চাপতে গেলাম, টেস্টটিউব গেল হাতে ফেটে। ছোখে প্রচুর জলের ঝাপটা মেরে লাল চোখ নিয়ে যখন স্যার এর সামনে এলাম - প্রথম প্রশ্ন - "কার্বোনেট ছিল?" এর পর থেকে বলা বাহুল্য কখোনো কার্বোনেট চিনতে ভুল হয় নি।
  • টাঙন | 80.39.185.33 | ১৮ জুন ২০১৩ ০৭:০৯613933
  • কেমিস্ট্রী ল্যাব মানে ঘটনার খনি, বিশেষত আমরা ছিলাম কো এড!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন