এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বেদ-উপনিষদ এবং ইত্যাদি

    Somnath
    অন্যান্য | ২৯ জুন ২০০৬ | ১৩৭০৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Somnath | 210.212.137.6 | ২৯ জুন ২০০৬ ১৯:৫৮634747
  • অগাধ সমুদ্র, যত খুশি সাঁতার কাটো, কিন্তু সাবধানে।

    আলোচনা বাদ প্রতিবাদ তো আছেই।
  • Somnath | 210.212.137.6 | ২৯ জুন ২০০৬ ২০:২০634858
  • কেন শুরু করলাম। শুক্লযজুর্বেদের ২৩ অধ্যায় থেকে পাওয়া একটা-দুটো শ্লোক থেকে শুরু, কিন্তু বাড়ি ফিরে আসল জায়গাটা পড়ে আমি তো অবাক!! অনেকদিন থেকেই আমার এরম ধারণা, হয়তো কোনোদিন কারো মুখ থেকে শুনেও থাকবো, অশ্বমেধ যজ্ঞ হল আসলে ইন্দ্রিয়মেধ যজ্ঞ। উপনিষদে যেখানেই ব্যাখ্যা কি টীকা দেওয়া দেখি সর্বত্র অশ্বকে ইন্দ্রিয়ের রূপক বলেছে। মানে সেই চূড়ান্ত ভোগ কর তাপ্পর ত্যাগ কর গোছের ফাণ্ডা আর কি। ধ্যানে বস, মন কে ছেড়ে দাও। আর পিছন থেকে ফলো কর। অ্যালিয়েনেশন। নিজেকে মন থেকে আলাদা করে নাও। যেন মন একটা ঘোড়া, তুমি ছুটতে দিয়েছো, আর তুমি হলে অধ্বর্যু, সেনাগোছের যোদ্ধা আরকি। পিছন পিছন ছুটছো। যেখানে গিয়ে মন আটকে যাবে, বা যে মনকে আটকে রাখবে তার থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসবে। ( সে যদি সন্তান হয়, তুমি কাকা, রামচন্দ্র যজ্ঞাসনে বসে, লক্ষ্মণ তীর-ধনুক হাতে ছুটে মোলো)। দরকার হলে জোর করে। সে হতচ্ছাড়া মন, ঘোড়াই যেন, এত জোরে দৌড়য়, এমন এমন জায়গায় যেতে চায়, যায়, দেখে তুমি হাঁ! যেখানে যত পানু ব্যপার স্যাপার সব ধ্যানে বসলেই মনে আসতে থাকে। তা আসুক, বাধা দিয়ো না, কিন্তু যদি দেখ আটকে গেছে, তো মন কে জোর করে টেনে ছাড়িয়ে আন, তারপর আবার চলতে দাও খেয়াল খুশি মত। যত অপ্রাপ্ত ইন্দ্রিয়সুখ মনে মনে চরিতার্থ করে নিয়ে, তারপর সে শান্ত হবে, স্থির হবে, দেবভোগ্য হবে। অর্থাৎ এইবার তুমি সত্যিকারের ফাণ্ডু চিন্তা ভাবনা করতে পার। মন বা ইন্দ্রিয়সুখের অভিলাস এখন অমন ছটফটে নয় আর। যার ভোগস্পৃহা চলে গেছে সে তো দৈব। এরম সব চিন্তা ভাবনা। এবার ঘোড়াটাকে আগুনে দেওয়া হবে। ওর আর দরকার নেই। কামনা বাসনাহীন মন সে তো মৃত।

    তা মোটামুটি কাছাকাছি জিনিসই পেলাম, আর পেয়ে চমকে গেলাম, তাই গুচ্ছ টাইপ করেই ফেললাম। :-)))
    =================================

    ত্রয়োবিংশ অধ্যায়
    ========

    হিরণ্যগর্ভ প্রজাপতি প্রাণীসকলের উৎপত্তির পূর্বে স্বয়ং শরীর ধারী ছিলেন। তিনি জাতমাত্র সমস্ত জগতের একমাত্র ঈশ্বর। তিনি দ্যুলোক, ভূলোক ও অন্তরিক্ষলোক ধারণ করে আছেন। সে প্রজাপতি দেবতার উদ্দেশে আমরা হবি প্রদান করছি। ১। তুমি পাত্রে গৃহিত হয়েছ, প্রজাপতির উদ্দেশে প্রিয় তোমায় গ্রহণ করছি। এ তোমার স্থান, তোমার মহিমা দীপের প্রভার মত। যে তোমার মহিমা দিনে ও সংব্‌ৎসর উৎপন্ন হয়েছে, বায়ুতে ও অন্তরিক্ষে তোমার যে মহিমা, স্বর্গে ও সূর্যে তোমার যে মহিমা, সে মহিমাযুক্ত প্রজাপতি ও দেবগণের উদ্দেশ স্বাহা মন্ত্রে আহুতি দিচ্ছি, আমাদের যাগ সিদ্ধ হোক। ২। যিনি স্বমহিমায় প্রাণ ও নিমেষসম্পন্ন জগতের একমাত্র রাজা, যিনি দ্বিপদ ও চতুষ্পদ বিশিষ্ট প্রাণীসকলের নিয়ামক, সে প্রজাপতিদেবের উদ্দেশে আমরা হবি প্রদান করছি। ৩। তুমি পাত্রে গৃহিত হয়েছ, প্রজাপতির জন্যে প্রিয় তোমায় গ্রহণ করছি। এ তোমার দীপ্তিস্থান, ছন্দ্রমা তোমার দীপ্তি। যে তোমার মহিমা রাতে ও সংব্‌ৎসর উৎপন্ন হয়েছে, পৃথিবী ও অগ্নিতে তোমার যে মহিমা, নক্ষত্রসকল ও চন্দ্রে তোমার যে মহিমা, সে মহিমান্বিত প্রজাপতি ও দেবগণের উদ্দেশে স্বাহা মন্ত্রে আহুতি দিচ্ছি, আমাদের যজ্ঞ সিদ্ধ হোক। ৪। কর্মের জন্য স্থিত ঋত্বিকগণ ক্রোধরহিত আদিত্য ( অশ্ব ) রথে যোজনা করছে। আদিত্যের দীপ্তি আকাশে প্রকাশ পাচ্ছে। ৫।

    ঋত্বিকগণ কামনাপূরক, বিবিধ শরীরধারী, রক্তবর্ণ, প্রগল্‌ভা মানুষের বাহন অশ্বদ্বয়কে রথে যোজনা করেছেন। ৬। যেহেতু বায়ুর মত বেগবান অশ্ব ইন্দ্রের প্রিয় শরীর লাভ করেছে, হে অধ্বর্যুগণ, আমাদের অশ্ব এ পথে গিয়েছে তাকে ফিরিয়ে আন। ৭। বসুগণ গায়ত্রী ছন্দে তোমাকে স্নিগ্‌ধ করুন, রুদ্রগণ ত্রিষ্টুপ ছন্দে তোমাকে স্নিগ্‌ধ করুন। আদিত্যগণ জগতী ছন্দে তোমাকে স্নিগ্‌ধ করুন। হে ভূর্ভুব:স্ব: (অগ্নি বায়ু ও সূর্য) দেবগণ, লাজ সমূহ, সক্তুসমূহ, যবসমূহ ও গব্যবস্তুসমূহ, তোমরা ভক্ষণ কর। হে প্রজাপতি, এ অন্ন ভক্ষণ কর। ৮। কে একাকী বিচরণ করছে? কে বিনষ্ট হয় আবার জন্মে? হিমের ঔষধ কি? মহ্‌ৎ বপনস্থান কি? । ৯। সূর্য একাকী বিচরণ করেন, চন্দ্রমা আবার জন্ম নেয়, অগ্নি হিমের ঔষধ, ভূমি মহ্‌ৎ বপনস্থান। ১০।

    সকলের প্রথম চিন্তার বিষয় কি ছিল? কে মহান পক্ষী ছিল? সব চেয়ে চিকন কে ছিল? রূপকে কে গিলে ফেলেছিল? । ১১। বৃষ্টিই সকলের প্রথম চিন্তার বিষয় ছিল, আশ্বমেধিক অশ্বই মহান পক্ষী ছিল, পৃথিবী সবচেয়ে চিকন ছিল, রাত্রি রূপকে গিলে ফেলে অর্থাৎ রাত্রিতে সমস্ত রূপ ঢেকে যায়। ১২। বায়ু তোমাকে পাকের দ্বারা রক্ষা করুক, অগ্নি তোমার পঞ্চাদশ অঙ্গ রক্ষা করুক, ন্যগ্রোধ সোমপাত্রের দ্বারা তোমাকে রক্ষা করুক, শাল্মলি বৃক্ষ বৃদ্ধির দ্বারা তোমাকে রক্ষা করুক। রথে গমনযোগ্য এ অভিষিক্ত অশ্ব চারপায়ে এসেছে। চন্দ্র আমাদের রক্ষা করুক। অগ্নির প্রতি নমস্কার। ১৩। রথ রশ্মির দ্বারা শোভিত হয়েছে, অশ্ব রশ্মির দ্বারা শোভিত হয়েছে, জলজাত অশ্ব জলের দ্বারা শোভিত হয়েছে, পরিবৃঢ় অশ্ব সোমের অগ্রগামী হয়েছে । ১৪। হে অশ্ব, যেরূপ ইচ্ছা তোমার রূপ গ্রহণ কর, নিজে যজ্ঞ কর, নিজের ইষ্টস্থান লাভ কর, কেহ তোমার মহিমা লাভ করতে পারে না। ১৫।

    হে অশ্ব, আমাদের দ্বারা লুক্কায়িত হয়েও তুমি মর না বা বিনষ্ট হও না। শোভন গমনযোগ্য দেবযান পথে তুমি দেবতার কাছে যাও। সুক্লত ব্যক্তিগণ যেখানে অবস্থান করেন, সুক্লতকারী জনগণ যেখানে যান, সবিতা দেব তোমাকে সে লোকে স্থাপন করুন। ১৬। সৃষ্টিদেবগণের অগ্নি পশু ছিল, সে অগ্নিরূপ পশুর দ্বারা দেবতারা যজ্ঞ করেছিলেন। সে পশুভাবপ্রাপ্ত অগ্নি এ পৃথিবীলোক জয় করেছিল। যে লোকে অগ্নি, হে অশ্ব, সে লোক তোমার হবে, সে লোক তুমি জয় করবে, এ জল পান কর। বায়ু পশু ছিল, সে বায়ুরূপ পশুর দ্বারা দেবতারা যজ্ঞ করেছিলেন। সে পশুভাবপ্রাপ্ত বায়ু অন্তরিক্ষলোক জয় করেছিল। যে লোকে বায়ু, হে অশ্ব, সে লোক তোমার হবে, সে লোক তুমি জয় করবে, এ জল পান কর। সূর্য পশু ছিল, সে সূর্যরূপ পশুর দ্বারা দেবতারা যজ্ঞ করেছিলেন। সে পশুভাবপ্রাপ্ত সূর্য এ পৃথিবীলোক জয় করেছিল। যে লোকে সূর্য, হে অশ্ব, সে লোক তোমার হবে, সে লোক তুমি জয় করবে, এ জল পান কর। ১৭। প্রাণবায়ুর জন্য স্বাহা মন্ত্রে আহুতি দিচ্ছি, অপান বায়ুর জন্য স্বাহা মন্ত্রে আহুতি দিচ্ছি, ব্যানবায়ুর জন্য স্বাহা মন্ত্রে আহুতি দিচ্ছি। হে অম্বে, অম্বিকে, অম্বালিকে, আমাকে কেউ অশ্বের কাছে নিয়ে যায় না। কুৎসিত অশ্ব কাম্পীলবাসী সুভদ্রার সঙ্গে শুয়ে আছে। ১৮। গণগণের মধ্যে গণপতি তোমাকে আহ্বান করি, প্রিয়গণের মধ্যে প্রিয়পতি তোমাকে আহ্বান করি, নিধিগণের মধ্যে নিধিপতি তোমাকে আহ্বান করি, হে বসুরূপ অশ্ব, তুমি আমার পালক হও । গর্ভধারক রেত আমি আকর্ষণ করছি, তুমি তা ক্ষেপণ কর। ১৯। আমরা উভয়ে চার পা প্রসারিত করব, তোমরা যমভূমিতে বস্ত্র আচ্ছাদন কর। রেতধারক অশ্ব আমাতে বীর্য ধারণ করুক। ২০।

    হে বর্ষণকারী অশ্ব, তুমি বীর্য ধারণ কর, যা রমণীগণের জীবন ও ভোজন স্বরূপ। ২১। ক্ষুদ্রপক্ষীর মতো কুমারী হলে হলে শব্দ করে যাচ্ছে। হে অধ্বর্যুগণ, পক্ষীর মতো তোমাদের মুখই শব্দ করছে আমাদের প্রতি এরূপ বলো না। ২৩। তোমার মাতা ও পিতা কাষ্টময় মঞ্চকের অগ্রভাগ রোহন করেছিলেন। ২৪। তোমার মাতা ও পিতা পূর্বে মঞ্চকের আগে ক্রিয়া করেছিল। তোমার মুখ যেন আরও বলতে চায়, , হে ব্রাহ্মণ, আর বহু কথা বলো না। ২৫।

    পর্বতে ভারবাহী ব্যক্তি যেমন পর্বতের উপর ভার রেখে উপরে উঠে সেরূপ একে উপরে তোল। ঠাণ্ডা বাতাসে কৃষক যেমন ধান ঝেরে ধান্যপাত্র উপরে রাখে, সেরূপ একে উপরে রাখ। ২৬। পর্বতে ভারবাহী ব্যক্তি যেমন পর্বতের উপর ভার রেখে উপরে উঠে, সেরূপ হে নর, উদ্‌গাতাকে ঊর্ধে রাখ। শীতল বায়ুতে কম্পমান লোকের মতো একে কাঁপাও। ২৭। জলপূর্ণ গাভীর খুরে ম্‌ৎস্য যেমন কাঁপে, সেরূপে হস্ব্র ও স্থূল শিশ্ন যোনি প্রাপ্ত হয়ে কাঁপে। ২৮। যখন দেবগণ ক্রীড়া করে, তখন চোখে দেখা প্রত্যক্ষের মতো নরীর উরু দেখা যায়। ২৯। হরিণ ক্ষেত্রস্থ ধান্য ভক্ষণ করলে ক্ষেত্রপতি যেমন সুখী হয় না, সেরূপ শুদ্রা স্ত্রী বৈশ্যগামীনী হলে তার পতি সুখী হয় না। ৩০।

    হরিণ ক্ষেত্রস্থ ধান্য ভক্ষণ করলে ক্ষেত্রপতি যেমন সুখী হয় না, সেরূপে শুদ্র বৈশ্যারমণীতে আসক্ত হলে বৈশ্য ক্লেশ অনুভব করে। ৩১। জয়শীল শীঘ্রগামী নরখাদক অশ্বের সংস্কারের জন্য আমরা যে অশ্লীলভাষণ করলাম, যজ্ঞ আমাদের মুখ সুগন্ধ করুক ও আমাদের জীবন বর্ধন করুক। ৩২। হে অশ্ব, গায়ত্রী, ত্রিষ্টুপ, জগতী, পংক্তির সাথে বৃহতী, উষ্ণিষের সাথে ককুপ্‌ - এ ছন্দোগুলি সূচীর দ্বারা তোমার সংস্কার করুক। ৩৩। দ্বিপদ, চতুষ্পদ, ছন্দহীন, ছন্দযুক্ত সকল ছন্দজাতি, হে অশ্ব, সূচীর দ্বারা তোমার সংস্কার করুক। ৩৪। সকল প্রাঈর ধারণে সমর্থ সাক্বরী, রেবতী, ঋক্‌, যুক্ত দিকসকল ও মেঘ থেকে উত্থিত বিদ্যুতের মতো বেদবাক্যসকল, হে অশ্ব, সূচীর দ্বারা তোমার সংস্কার করুক। ৩৫।

    মানুষের স্ত্রীগণ মনের দ্বারা তোমার লোমসকল পৃথক করুন, দেবপত্নীগণ ও দিকসকল সূচীর দ্বারা তোমার সংস্কার করুক। ৩৬। সোনা, রূপা ও লোহময় দিক্‌রূপ সূচীসকল কর্মের দ্বারা যুক্ত হয়ে বেগবান অশ্বের ত্বকে সীমারেখা করে সংস্কার করুক। ৩৭। বহুযবযুক্ত কৃষকগণ তাদের যবময় শস্যগুলি যেমন ক্রমে ক্রমে ছেদন করে, সোম, তুমিও সেইরূপ বহু যজমানের ভোজ্য যে যজমান কুশের উপর থেকে তোমার অন্ন নিয়ে যাগ করছে, তাকে দাও। ৩৮। হে অশ্ব, প্রজাপতি তোমায় ছিন্ন করে, বিযুক্ত করে , তোমার গাত্র হবিযুক্ত করে মেধাবী প্রজাপতি তোমার শময়িতা, তিনি সবই করেন, আমি নই। ৩৯। হে অশ্ব, শমিতা ঋতুগণ কালে কালে সংব্‌ৎসর রূপ কালের তেজে তোমার অস্থি গ্রন্থি কর্মের দ্বারা ভিন্ন করুন, তোমাকে হবিযুক্ত করুন। ৪০।

    পক্ষের অভিমানী দেবগণ সংস্কার করে হে অশ্ব, গ্রন্থিগুলি ছেদন করুন। দিন ও রাতের অভিমানী দেবগণ তোমার অল্প অঙ্গ সন্ধান করুন । ৪১। হে অশ্ব, দেবগণের অধ্বর্যু অশ্বিদ্বয় তোমাকে ছেদন করুন ও হবিযুক্ত করুন, তোমার গাত্র প্রতি পর্বে সীমার দ্বারা সংস্কার করুন। ৪২। স্বর্গ পৃথিবী ও অন্তরীক্ষ লোকের অভিমানী দেবগণ (অগ্নি বায়ু সূর্য), শরীরস্থ বায়ু হে অশ্ব, তোমার ছিদ্র পূরণ করুক। নক্ষত্রযুক্ত সূর্য তোমায় উত্তম স্থান দিক। ৪৩। হে অশ্ব, তোমার মস্তক প্রভৃতি উচ্চ গাত্রে সুখ হোক, পা প্রভৃতি নিম্ন গাত্রে সুখ হোক, তোমার অস্থি ও মজ্জায় সুখ হোক, তোমার সকল গাত্রে সুখ হোক। ৪৪। কে একাকী বিচরণ করে, কে আবার জন্মে? হিমের ঔষধ কি? মহ্‌ৎ বপনস্থান কি? । ৪৫।

    সূর্য একাকী বিচরণ করে, চন্দ্র আবার জন্ম নেয়, অগ্নি হিমের ঔষধ, ভূমি মহ্‌ৎ বপনস্থান। ৪৬। সূর্যের মতো তেজ কি? সমুদ্রের মতো জলাশয় কি? পৃথিবী থেকে মহত্তর কি? কার ইয়ত্তা নেই? । ৪৭। ব্রহ্মা সূর্যসম জ্যোতি, অন্তরীক্ষ সমুদ্র সম জলাশয়, পৃথিবী থেকে ইন্দ্র বৃদ্ধতর, ধেনুর ইয়ত্তা নেই। ৪৮। হে দেবগণের মিত্র উদ্‌গাতা, জানবার জন্য তোমায় প্রশ্ন করছি, আমার প্রশ্নে মন দাও। বিষ্ণু যে তিন পদে যাগের দ্বারা অর্পিত হয়েছেন, তাতে কি সকল ভুবন ব্যেপে আছেন? । ৪৯। যে তিন পদে সকল ভুবন ব্যেপে আছেন, আমিও সেখানে আছি। পৃথিবী, স্বর্গ ও তার উপরিভাগ সদ্য মনের দ্বারা সে সকল আমি জানি। ৫০।

    হে ব্রহ্মা, পুরুষ কোন পদার্থ সকলে প্রবিষ্ট? পুরুষের মধ্যে কি কি বস্তু স্থাপিত - মুখ্যভাবে এ প্রশ্ন তোমাকে করছি। তুমি কি এর উত্তর দিবে? । ৫১। পঞ্চভুতে পুরুষ ( আত্মা ) প্রবিষ্ট। আত্মাতে সেগুলি স্থাপিত আছে। তোমার প্রশ্নে আমি এ উত্তর দিচ্ছি, তুমি আমা থেকে বুদ্ধিতে অধিক নও। ৫২। সকলের প্রথম স্মৃতির বিষয় কি ছিল? মহান পক্ষী কি ছিল? সব চেয়ে চিকন কি ছিল? রূপ কে কে গিলে ফেলেছিল? । ৫৩। বৃষ্টি প্রাণিগণের প্রথম স্মৃতির বিষয় ছিল, আশ্বমেধিক অশ্ব মহান পক্ষী ছিল, পৃথিবী চিকন ছিল, রাতে রূপসকল অন্তর্হিত হয়েছিল। ৫৪। হে হোতা, কে সকল রূপ আবৃত করে? কে শব্দ অনুকরণ করে মূল আদি অবয়ব গিলে ফেলে? কে লাফিয়ে চলে? কে কুটিলভাবে পথ চলে? ।৫৫।

    রাত্রি সকল রূপ আবৃত করে, সেধা শব্দ অনুকরণ করে, মূল আদি অবয়ব গিলে ফেলে। শশক লাফিয়ে লাফিয়ে চলে। সর্প কুটিলভাবে গমন করে । ৫৬। হে উদ্‌গাতা, যজ্ঞে অন্ন কত প্রকার? অক্ষর কতগুলি? হোম কতগুলি? সমিৎ কতগুলি? যজ্ঞের বেত্তা তোমাকে আমি জিজ্ঞাসা করছি, প্রতি ঋতুতে কতজন হোতা যজ্ঞ করে? । ৫৭। ছয় অন্ন, একশত অক্ষর, আশীটি হোম, তিনটি সমিৎ; যজ্ঞের জ্ঞনের জন্য তোমাকে প্রত্যুত্তর দিচ্ছি, ঋতুযাগে সাতজন হোতা যজ্ঞ করে। ৫৮। হে ব্রহ্মা, এ ভুবনের কারণ কে জানে? এ স্বর্গ, পৃথিবী ও অন্তরিক্ষ কে জানে? মহান সূর্যের জন্ম কে জানে? কে জানে চন্দ্রের উৎপত্তি কোথা হতে? । ৫৯। আমি জানি এ ভুবনের কারণ পরব্রহ্ম। স্বর্গ, পৃথিবী ও অন্তরিক্ষলোক সে ব্রহ্মের বিকার তা জানি। বৃহৎ সূর্যের উৎপত্তির কারণ ব্রহ্ম তা আমি জানি। পরমাত্মা থেকে চন্দ্র জাত, এ আমি জানি। ৬০।

    হে অধ্বর্যু, পৃথিবীর শেষ অবধি পর্যন্ত তোমাকে প্রশ্ন করছি, যেখানে প্রাণিসমূহের কারণ, তাও জিজ্ঞাসা করছি। বর্ষণশীল অশ্বের বীর্য কি তা তোমাকে জিজ্ঞাসা করছি। ত্রয়ীলক্ষণ বাণীর পরম উৎকৃষ্টস্থান কি তা তোমাকে প্রশ্ন করছি। ৬১। এ উত্তরবেদী পৃথিবীর শেষ অবধি, এ অশ্বমেধ যজ্ঞ প্রাণিসমূহের কারণ, এ সোম বর্ষণশীল অশ্বের বীর্য, এ ব্রহ্মা (ঋত্বিক ) ত্রয়ীরূপ বাক্যের পরম স্থান। ৬২। শোভন উৎপত্তিমান বিশ্বের উৎপাদক স্বয়ম্ভূ অনাদি-নিধন পুরুষ কল্পান্তকালীন সমুদ্রে ঋতুপ্রাপ্ত গর্ভ স্থাপন করেছিলেন, যে গর্ভ থেকে প্রজাপতি ব্রহ্মা জাত হয়েছেন। ৬৩। দৈব হোতা মহিমসংজ্ঞক সোমগ্রহ সম্বন্ধীয় প্রজাপতির যজ্ঞ করেছিলেন, সে প্রজাপতি সে সোম পান করুন। হে মনুষ্য হোতা, তুমিও যজ্ঞ কর। ৬৪। হে প্রজাপতি, তুমি ছাড়া আর কেউ এ বিশ্বের সৃষ্টি ও সংহার করতে সমর্থ নয়। অতএব যে কামনায় তোমার যজ্ঞ করছি, সে কামনা সিদ্ধ হোক, আমরা পরম ধনের অধিকারী হব। ৬৫।
  • tan | 131.95.121.251 | ২৯ জুন ২০০৬ ২১:৪৮634871
  • অধ্বর্যু কারা? ঘেমেঘুমে যারা যজ্ঞের আগুনে ঘি ঢালে?
    অধ্বর্যু কথাটাই বা এলো কোথা থেকে?
  • tan | 131.95.121.251 | ২৯ জুন ২০০৬ ২১:৫১634882
  • খুবই সান্ধ্যসূত্র,একেকটা লাইনের বেশ কটা অর্থ করা যায়।

  • Samik | 221.134.225.21 | ২৯ জুন ২০০৬ ২২:০৪634893
  • ওমনাথ,

    পুরোটা পড়ার পর আমার স্নায়বিক বৈকল্য দেখা দিয়েছে। মাথাটা কেমুন তাজঝিম তাজঝিম কর্চ্ছে, আর আন্তারা ফাঁচকলিয়ে গেছে। জিঞ্জিরিয়া হল বলে।
  • tan | 131.95.121.251 | ২৯ জুন ২০০৬ ২২:০৬634904
  • শমীক,সোজা সহজ সরল, আকাশে মেঘ জমেছে,বৃষ্টি পড়ছে,চাতক পাখী আনন্দে চিকির্মিকির করছে,এইভাবে ভাবো-এইভাবে ভাবো,এট্টুও মাথা তাজ্ঝিম তাজ্ঝিম করবে না।:-)))
  • Somnath | 210.212.137.6 | ২৯ জুন ২০০৬ ২২:১৩634915
  • অনেকবার আর আস্তে আস্তে পড়। কাল রাতে আমি বারোবার পড়েছি। কিছু টাইপো রয়েছে, সে আমার দোষ। তবে পুরোপুরি নয়, মামুর বিটা ভার্সান বাংলা এডিটর জার ফাইল ও দায়ি।

    মোদ্দা ব্যপারটা অশ্বমেধ যজ্ঞ চলছে, মন্ত্র পড়া হচ্ছে, সেই মন্ত্রগুলো। ছাল ছাড়ালে শাঁস বেরোবে।

    যাই হোক, এই থ্রেডে বেদ বেদান্ত উপনিষদ এসব নিয়ে পাঞ্জল আলোচনা হবে। যার যত ফাণ্ডা উজার করে দাও। কিন্তু ভাট বকা এখানে চলবে না। সে জন্যে অঢেল থ্রেড আর সর্বোপরি খোদ ভাটিয়া৯ আছে। দেখছো না আমি ওমনাথ নামে পোস্ট করছি না !
  • tan | 131.95.121.251 | ২৯ জুন ২০০৬ ২২:১৬634926
  • "হে বর্ষণকারী অশ্ব,তুমি বীর্য ধারণ করো,....জীবন ও ভোজনস্বরূপ" এই লাইনটার অর্থ তাহলে ভাঁজ ও প্যাঁচ খুলে বেরিয়ে এসে এই দাঁড়ায়-
    এ বৃষ্টিকারী আকাশ,তুমি জল ধারণ করো(মেঘের মধ্যে)যা কিনা এই পৃথিবীর সমস্ত জীবগণের জীবন ও ভোজনস্বরূপ।
  • tan | 131.95.121.251 | ২৯ জুন ২০০৬ ২২:১৭634937
  • টাইপো,এ নয় হে।:-)))
  • bozo | 129.7.154.89 | ২৯ জুন ২০০৬ ২২:২২634748
  • বেদের কথা তো ব্যাদেই আছে, উপনিষদের কথাও ব্যাদে-ই আছে।
  • tan | 131.95.121.251 | ২৯ জুন ২০০৬ ২২:৫৭634759
  • ওম্নাথ,পাঞ্জল আলুচান্না হবে?
    ভালো করে রেঁধো,লবণ বেশী দিও না,জলও দেখে দেখে হিসেব করে,লঙ্কাও তাই।আলু আর চানা যেন বেশ মাখোমাখো হয়!

  • dri | 199.106.103.254 | ৩০ জুন ২০০৬ ০০:০৪634770
  • এই খটমটটা আমি ক্ষেপে ক্ষেপে পড়ব। পুরোটা একসাথে পড়া আমার কর্ম নয়।

    অশ্বকে মেঘ ধরে নিলে পড়তে সুবিধে হচ্ছে। ঘোড়া ধরলে ব্যাপারটা ধাঁধা কাটিং এর হচ্ছে। এখানে আমার কয়েকটা প্রশ্ন আছে।

    গো -র পুরোন মানেটা যেমন কয়েকটা শব্দে এখনও লুকিয়ে আছে, অশ্বর সেরম কিছু আছে? পুরোন মানেটা জানা গেল কিকরে?

    এই শ্লোকগুলো অশ্বমেধ যজ্ঞের সেটা কিকরে বোঝা গেল? আমার কাছে ক্লিয়ার নয়। অশ্বমেধ যজ্ঞের মেইন উদ্দেশ্য কি ছিল, রাজ্য জয় এবং সাম্রাজ্যবাদ, নাকি আকাশ থেকে বৃষ্টি আনা? অশ্বমেধ, এই শব্দে অশ্ব মানে মেঘ নয় নিশ্চয়ই?

    ৫ নম্বর শ্লোকে অশ্বদ্বয়কে রথে যোজনা করার কথা আছে। এই অশ্ব মেঘ নয় নিশ্চয়ই। এই শ্লোকটা একটু আলোচনা করা যাবে? মানেটা ঠিক কি?

    ১১ নম্বরে আশ্বমেধিক অশ্বই মহান পক্ষী -- এটা কি ব্যাপার?

    মোর লেটার।
  • tan | 131.95.121.251 | ৩০ জুন ২০০৬ ০০:৪৯634781
  • আমারো দুটো প্রশ্ন আছে,অশ্বত্থ আর কপিত্থ শব্দ দুটো দুখানা গাছকে বোঝাচ্ছে,কিন্তু ত্থ এর আগে কপি(বানর)আর অশ্ব(ঘোড়া) বসছে। এর মানেটা কি?

  • Gaza | 170.213.132.252 | ৩০ জুন ২০০৬ ০০:৫৮634792
  • Somenath কি বাড়িতে বেদ পড়ে?
    গুরু, পা এর ধুলো দাও!
  • tan | 131.95.121.251 | ৩০ জুন ২০০৬ ০০:৫৯634803
  • দ্রি, শ্ব মানে কাল,যেমন পরশ্ব মানে পরশুদিন,আগামীকালের পরদিন।গত পরশু মানে গতকালের আগের দিন।
    এইবারে অশ্ব মানে কি দাঁড়াবে?
    কালাতীত! মানে কালের সঙ্গে যার পরিবর্তন হয় না,যার আগামীকাল বা গতকাল নাই। অনাদি অনন্ত।
    আকাশ তাই ই।

  • dri | 199.106.103.254 | ৩০ জুন ২০০৬ ০১:১০634814
  • তবে যে আপনারা অঙ্ক কষে আকাশের জন্মদিন বার করেছেন? আর আজ বলছেন গতকাল নেই।

    ফিজিসিস্টরা অ্যাতো গুল মারে কেন?
  • dri | 199.106.103.254 | ৩০ জুন ২০০৬ ০১:১৫634825
  • গজা, পর্নের গন্ধ পেলে লোকে বেদও পড়ে! তবে অশ্বের ভিন্ন অর্থে তো পর্নো তো এখন বিদায় নিতে বসেছে মনে হচ্ছে। এর পরও ইন্টারেস্ট থাকে কিনা সেটাই দেখার।
  • tan | 131.95.121.251 | ৩০ জুন ২০০৬ ০১:২২634836
  • দ্রি,আমরা জন্মদিন বার করি নাই,ওটি একটি মডেলমাত্র,যা দিয়ে অনেক কিছু ব্যাখ্যা করা গেলো।যেকোনো মডেল,যেমন নিউটনিয়ান ক্ল্যাসিকাল মেকানিক্স বা রিলেটিভিটি বা স্ট্যান্ডার্ড মডেল সবকিছুরই তাই উদ্দেশ্য।
    আসলে কি হয়েছিলো জানেন আল্লা!
    তাই এই মুক্তবুদ্ধি বৈদিক লোকেরা ও একটা যথাসম্ভব ভালো মডেল দিয়েছিলো যা কিনা বেশীরভাগ জিনিস ব্যখা করে দিয়েছে।
    যতদূর মনে হয় প্রথমে অশ্বমেধ ছিলো বৃষ্টি আহ্বানের যজ্ঞ,পরে পাল্টে যায় সমাজের পরিবর্তনে।
  • tan | 131.95.121.251 | ৩০ জুন ২০০৬ ০১:৪৯634847
  • দ্রি,গিলগামেশ কেমন লাগলো কাল?
    জানেন,এই এংকিডুকে ভুলিয়ে ভালিয়ে নগরে নিয়ে আসার গল্পটা একদম ঋষ্যশৃঙ্গ মুনিকে ভুলিয়ে ভালিয়ে নিয়ে আসার গল্পের মতন। এংকিডুকেও এক তরুণী বারাঙ্গনা গিয়ে ভুলিয়ে ভালিয়ে এনেছিলো।এংকিডু একেবারে নাইভ ছিলো,জঙ্গলে থাকতো,নদীতে মুখ দিয়ে জল খেতো,আঁজলায় তুলতে জানতো না।
    মহিলা একেবারে আস্তে আস্তে ধৈর্য ধরে সব শিখিয়ে তারপরে নগরে আনেন।

    কি মনে হয়? আমাদের গপ্পোটা ওরিজিনাল,ওরা পরে কপি করেছে আংশিক?
  • dri | 199.106.103.254 | ৩০ জুন ২০০৬ ০২:৪৩634859
  • গিলগামেশের দাদু দিদাকে খুব সুইট লাগলো। এতদিন একসাথে থাকার পরও দাদু কি সুন্দর দিদার কথা শোনে! দিদা বুঝিয়ে দিতেই দাদুর রাগ গলে জল। আর এইটা বোঝা গেল তখনকার দিনে মিলিটারিরা ছিল এখনকার দিনের ফিল্মস্টারদের মতন। এক এক জনের অনেক করে বউ থাকত। গিলগামেশ অবশ্য পলিগ্যামিস্ট না সিরিয়াল মনোগ্যামিস্ট সেটা বোঝা গেল না। আর এখনকার দিনের মিলিটারির মতই তাদের হয়ত কিছু কিছু গে এক্সপেরিয়েন্স থাকত। আর এখনকার মিলিটারিদের মত ওরাও নানান অ্যাসাইনমেন্টে বাড়ির বাইরে কাটাত আর নানান বীরত্ব ফলাত। গল্পটা একটু অ্যাব্রাপ্টলি শেষ হল। কিন্তু হেব্বি ভালো লাগল ঐ অমর হবার ফর্মুলাটা হারিয়ে যাওয়াটা। এই উইশটা ধরেও না ধরতে পারাটা।

    এংকিডুর সাথে ঋষ্যশৃঙ্গর তো দারুণ মিল। হতেই পারে টুকলি। এই টুকলির ডাইনামিক্সটা আমার জানার খুব ইচ্ছে। এক কালচারের গল্প আরেক কালচারে চোতা হয়ে যাচ্ছে কিভাবে। নিশ্চায়ই একটা যোগাযোগ ছিল। আদান প্রদান ছিল। ব্যবসা বাণিজ্য। সেইসব ডিটেইল্‌স খুব কম পাই আমরা। এই ধরুন এখন যদি রাতারাতি হলিউড সভ্যতা ধ্বংস হয়ে যায়, কিছুদিন পর বলিউড হয়ত কপি করা গল্পগুলো নিজেদের লেজেন্ড বলে চালিয়ে দেবে।
  • tan | 131.95.121.251 | ৩০ জুন ২০০৬ ০২:৫২634862
  • আরে দ্রি,টুকলির ডাইনামিক্স জানা সোজা না।
    এই তো সেদিন বললো,এক মহা ভলক্যানোর উৎপাতে নাকি অতি অল্প সংখ্যক মানুষই কোনোক্রমে আফ্রিকাতে টিঁকতে পেরেছিলো লাখ ষাটেক বছর আগে,তাদের থেকেই উদ্ভুত এই আজকের এত শো কোটি আমরা,সকলেরই ওরিজিন ঐ গুটিকয়! নইলে নাকি আরো বিরাট জেনেটিক ভেরিয়েশান থাকতো!
    ভাবুন একবার! এই সামান্য ভেরিয়েশানেই এত মার মার কাট কাট কান্ড,ঐ ভলক্যানো না জাগলে কি হতো! কেউ বাঁদরমুখো,কেউ কুমীরমুখো,কেউ বেড়ালমুখো,কেউ গাছে গাছে লাফায়,কেউ শীতঘুমে যায়,কেউ কচ্ছপের মতন খোলার মধ্যে আবৃত---কোনোরকম আপসেই কি আসতে পারতাম আমরা?
    সবসময় মহাপ্রলয় খারাপ নয়,কি বলেন?
  • dri | 199.106.103.254 | ৩০ জুন ২০০৬ ০৩:০৩634863
  • আরে ঐ কটা জিনেই তো একজন কালো, একজন বাদামী, কারো নাক বোঁচা, কালো চোখ বাদামের মত, কারো টাক, কারো ভুঁড়ি। ঐজন্যেই তো হিটলার জেনেটিক শুদ্ধতার কথা বলেছিলেন। আপনারা তো তাকে কথাটা বলতেই দিলেন না। মহাপ্রলয়, হলোকস্ট ফস্ট বলে হৈ হৈ করে উঠলেন।
  • tan | 131.95.121.251 | ৩০ জুন ২০০৬ ০৩:২৮634864
  • ৩২ থেকে ৪০ /৪১ পজ্জন্ত শ্লোকগুলোর আসল অর্থ অনুমান করে আমি একেবারে বজ্রাহত!
    আমি ভেবেছিলাম সেলেস্টিয়াল কো অর্ডিনেট সিস্টেম আধুনিক ধারনা!!!!!
  • dri | 199.106.103.254 | ৩০ জুন ২০০৬ ০৩:৩১634865
  • অদ্দুর অব্দি আমি পৌঁছইনি। তিন চার দিন লাগবে।
  • a_x | 192.35.79.70 | ৩০ জুন ২০০৬ ০৩:৪১634866
  • "উষ্ণিষের সাথে ককুপ"- ককুপ মানে কি? আর সাক্বরী মানে?
  • tan | 131.95.121.251 | ৩০ জুন ২০০৬ ০৬:২২634867
  • দ্রি,শ্লোক ৩ থেকে ৬ একবার দেখুন,সমস্ত পুর্বধারনা যদি মনে না রাখেন তাহলে স্পস্ট দেখতে পাবেন আকাশ,সূর্য তারা,আহ্নিক গতি স্পস্ট করে বোঝা যাচ্ছে কবিতার কুয়াশাটা সরাতে পারলে।
    রথে অশ্ব যোজনা করার কথা বার বার বলছে একটা গতি বোঝাতে,সেটা আকাশের আপাতগতি, যা আমরা আজ জানি পৃথিবীর আবর্তনের জন্য।
    সূর্য এই পথেই পুর্ব থেকে পশ্চিমে গিয়ে ডুবে যায়,তাকে ফিরিয়ে আনার কথা বলছে,সে আবার পরদিন সকালে পুবের দিকে আসে,কারণ ততক্ষণে পৃথিবী ঘুরে গেছে।আনুষঙ্গিক কথাগুলো কে একাকী বিচরণ করে,কে বাবার মরে বারবার জন্মায়--সুর্য,চন্দ্র--এইগুলো থেকে যদ্দুর মনে হচ্ছে গাগনিক বস্তুসমূহের গতিই বোঝানোর চেষ্টা হচ্ছে।
    কোনো ভুল থাকলে বলবেন প্লীজ।

    সোমনাথ,ধন্যবাদ দিই তোমাকে, এই আশ্চর্য জিনিস আরো একবার সামনে এনে দেবার জন্য।থ্যাংকু থ্যাংকু,আরো লেখো।

  • tan | 131.95.121.251 | ৩০ জুন ২০০৬ ০৬:২৪634868
  • টাইপো কিছু রয়ে গেলো,প্লীজ ঠিক করে নেবেন সুধী।
  • dri | 199.106.103.254 | ৩০ জুন ২০০৬ ০৭:১৬634869
  • হ্যাঁ, আমি ঐ প্রথম দশ বারোটা পড়লাম। প্রজাপতিকে খাবার দাবার ঘুষ দেওয়া হচ্ছে, বোধ হয় যাতে উনি খচে না যান। কারন তিনিই তো চন্দ্র সূর্য্য আগুন ফাগুন নিয়ে ইয়ো-ইয়ো খেলছেন। সবই ঠিক আছে। শুধু ৫ নম্বরে অশ্বকে ঘোড়াই ধরতে হচ্ছে, মেঘ নয়। ঘোড়ায় চড়ে সানগডের চ্যারিয়ট রেস। এছাড়া শীতের ওসুদ আগুনকে ধরা হয়েছে, বোঝাই যাচ্ছে বৈদিক মানুষেরা ওয়ার্মার, ক্লাইমেট ক®¾ট্রালার ইত্যাদির ব্যাবহার জানতেন না। সবচেয়ে ডুবিয়াস ক্যারাকটার হল মহান পক্ষী, শ্রী আশ্বমেধিক অশ্ব। ১২ স্লোক অব্দি, দ্যাট ইজ। অশ্ব তাহলে কখন হর্স, আর কখন হর্ষ (অ্যাজ ইন ঐ আসে ঐ অতি ...)?
  • Samik | 202.131.141.197 | ৩০ জুন ২০০৬ ১২:২০634870
  • কপিত্থ মানে ঠিক গাছ বোঝায় না। কপিত্থ মানে নারকোল। নারকোল গাছ নয়।
  • vikram | 134.226.1.136 | ৩০ জুন ২০০৬ ১৫:৫২634872
  • ১৯২১ সালে ভিক্টোরিয় যুগে অনূদিত একটি যজুর্বেদ নেটে ইংরাজিতে আছে। সেখানে অশ্বের যায়গায় লেখা পরের কিছু শ্লোকের অনুবাদ এই বইতে বাদ দেওয়া হলো। অর্থাৎ ওরাও বেস্টিয়ালিটি ধরে পড়েছিলো-আমার মতো পাপী মন। কিন্তু শ্লোকে সুভদ্রাকে বলা হয়েছে দুষ্ট ও অশ্বকে কুৎসিৎ - অথচ অনুবাদে লিখেছে wicked horse

    এবারে একটা প্রশ্ন, যজুর্বেদের পরের দিকে অনেক শ্লোকে তো নিহত অশ্বকে নিয়ে কি কি করা হবে স্বরলিপি বানা নো হবে কি না এসব অনেক কিছু লেখা - সেগুলোকে আকাশ ধরলে গল্পটা দাঁড়াচ্ছে না।

    বিক্রম
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে প্রতিক্রিয়া দিন