এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • এখানেও থাক

    kiki
    অন্যান্য | ১৫ জুন ২০১৪ | ৭৫২৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • byaang | 132.166.158.115 | ১৮ জুন ২০১৪ ১২:৩৮642413
  • এই কিকি হতচ্ছাড়িটা এমনি ভালো লেখে , কিন্তু এত কম লেখে যে কী বলব! বলি চটপট আরো কয়েক কিস্তি লিখবে নাকি কষিয়ে দেব দুইখান?
  • de | 69.185.236.53 | ১৮ জুন ২০১৪ ১৫:১২642414
  • ভারী সুন্দর লেখা হচ্ছে কিকি, লিখতে থাকো।
  • kiki | 122.79.37.47 | ১৮ জুন ২০১৪ ২০:৩৮642415
  • ১৬। বিকেলে গেলাম নমপেনের সুর্য্য বা সুরিয়া মার্কেটে। এটা একটা সুপার মার্কেট। এখানে ঘোরাঘুরি করছিলাম। এখান থেকেই আমার প্রথম মোবাইল কেনা হলো। নোকিয়া, কিন্তু মডেলের নাম্বার ভুলে গেছি। তখন সেটাই লেটেষ্ট মডেল। ক্যামেরা ওয়ালা মোবাইল তখন সবে বাজারে আসছে মনে হয়।তখন লোকে আধলা ইঁটের সাইজের মোবাইল নিয়ে ঘুরত। সে তুলনায় আমারটা বেশ ছোটখাটো, ছিমছাম আর কিউট, ঠিক আমার ই মতন। ( ) এই মোবাইল নিয়েই মনে হয় উপন্যাস হয়ে যেতে পারে।(খিঁক)। তখন মোটামুটি লোকজনের হাতে হাতে মোবাইল দেখা যাচ্ছে। এদিকে আমার একটাও নেই। মানিককে দেদার বলছি, ওরে, লোকে কি বলবে! আমার এন আর আই বর, এদিকে আমার মোবাইল নেই। সে হতচ্ছাড়াও তাতে কান দিচ্ছে না। একদিন ছেলেকে আনতে যাচ্ছি। তখন ছেলে যশোর রোডের রটকলের আদিত্য অ্যাকাডেমিতে পড়ে। রাস্তায় কাজ হচ্ছে বলে বাস খুব আস্তে যাচ্ছে। গাঁইতি দিয়ে একজন রাস্তা ভাঙছিলো, সে ও হঠাৎ দাঁড়িয়ে পরে গামছার আড়াল থেকে মোবাইল বার করে কথা বলছে। হায়রে! সেদিন এসে বললাম, চাইনা, নেহাত তোর ঘারের উপর চেপে আছি বই তো নয়, আমাচ্চেয়ে ওরাও অনেক এগিয়ে রয়েছে ( যতই বাবা তৃন থেকে হীন হয়ে , ইত্যাদি কানে ঢুকিয়ে দিক না কেন , নিজেকে নিয়ে তখনো চাট্টি অহঙ্কার থেকেই ছিলো, কি কান্ড! এখন আবিস্কার করলাম) সেসব বেচারীর মনে বড় দাগা দিয়েছিলো মনে হয়। তাই আমায় নিজের চেয়ে দামী মোবাইল কিনে দিলো। কিন্তু ঐ ভাগ্যে টিঁকলে তো।

    ঐ মোবাইল মানিক ই ভেঙে দিলো। ব্যাপারটা এরকম হলো, সেবার কলকাতা এসে আয়েশ করে বসে গল্প শোনালো সে নাকি এক সুন্দরীর পাশে বসে এলো, সেই বেত্যান্ত। তা বেশ! যার এই রকম গল্প শুনিয়ে আনন্দ তার তো শুনেও হজম করার ক্ষমতা থাকা দরকার।চিরকাল শুনে এলাম মেয়েরা হিংসুটে। এদিকে সেই ছোট থেকেই দেখে এলাম ছেলেগুলো কুচুক্কুটের হাড়হদ্দ। তা আমিও সেই মোবাইলে রেকর্ড করা, আমার এক বন্ধুর গলায়, "কুয়ার ধারে" কবিতাটা শুনিয়ে দিলাম। দিয়ে আমি মোটেই অত সুন্দরীর বর্ননা যেরকম শুনলাম, সেরকম কিছুই বলিনি, কেবল হালকা করে বললাম, কি সুন্দর ভয়েস, নারে! বলেই খানিক চোখ বুঁজে শুনলুম। ওমা, সে রাত্রেই অকারন ঝগড়া বাধালো আর সেই মোবাইল টুকরো করে ভেঙে দিলো, এমনকি ব্যাটারিটাও ঠুকে ঠুকে ভাঙলো, পারলে আমাকে ওভাবে ভাঙে। আমার অবশ্য বয়েই গেলো। ও মোবাইল তদ্দিনে একঘেয়ে হয়ে গেছে।

    তা বেচারী অনুশোচনায় পরের বার আরো দামী মোবাইল পাঠিয়ে দিলো, সেও নোকিয়ার। প্রথম ফ্রন্ট ক্যামেরা ওয়ালা মোবাইল। সেটা যেদিন নিয়ে বেরোলাম সেদিন রিক্সার চাকার তলায় চাপা পরলো( মরন আর কাকে বলে, শেষে রিক্সা) তারপরের টা বোধহয় জলে পরে গেলো, তার পরের টাকে আমিই আছাড় মারলাম। তো শেষ পর্যন্ত মানিক ক্ষেপে গেলো, তোকে যদি মাসকাবারি হিসেবে মোবাইল কিনে দিতে হয় তো আর এ ধরনের মোবাইল নয়। কিন্তু কি জ্বালা দেখো, আমার এখনকার মোবাইল টা সবচেয়ে কম দামের , অথচ কতবার ছুঁড়ে মেরেও এটাকে এখন ও বিগরোতে পারলুম না।

    কেবল ঋভু খুব রেগে গেলো, ওকে মোবাইল দেওয়া হলো না বলে। বেচারী গাল ফুলিয়ে হোটেলে ফিরে এলো। পরদিন আমরা সকাল সকাল যাবো রয়্যাল প্যালেশ দেখতে। তারপর মানিক চলে যাবে মিটিং এ। পরদিন সকালে হো চি মিন ফিরে যাবো। এবার আর সিয়েম রিপ যাওয়া হবে না। আঙ্কোরে নাকি খুব হেঁটে ঘুরতে হয়। আর তখন ও ঋভু একটু হেঁটেই কোলে বলে হাত বাড়িয়ে দেয়। এত কাছে এসে চলে যেতে হবে ব্যাপারটা খুব দুঃখের ই। কিন্তু পুরোনো জায়গা আমায় যেমন টানে, তেমন সবাইকে টানবে এমন কথা তো নেই। এটাই সব থেকে অবাক ব্যাপার, স্কুলে পড়ার সময় ইতিহাসকে যত অপছন্দ করতাম, ঠিক ততটাই ভালোবাসি যখন আর সেটা পরীক্ষা দিতে হবে না।
  • kiki | 122.79.37.47 | ১৮ জুন ২০১৪ ২০:৩৯642416
  • বেঙী,
    :P

    দে,
    থেঙ্কু।
  • san | 52.104.27.106 | ১৯ জুন ২০১৪ ১১:৪৭642417
  • ভাল্লাগছে।
  • সিকি | 131.242.29.88 | ১৯ জুন ২০১৪ ১২:০৭642418
  • কিকির লেখাটা ভারী উপাদেয় হচ্ছে।
  • kiki | 122.79.38.125 | ১৯ জুন ২০১৪ ২১:২০642419
  • স্যান্সিকি,
    থেঙ্কু। :P
  • Ishani | 116.216.161.144 | ১৯ জুন ২০১৪ ২৩:০৩642420
  • মুখবইতে পড়ছিলাম | এখানেও আবার | জ্জিও ! তবে কিকি , ফট করে আবার থামিয়ে দিও না বাপু ! তাহলে রেগে যাব খুব |
  • nina | 78.37.233.36 | ২০ জুন ২০১৪ ০৫:২১642421
  • কিকিয়া আগে বঢ়ো--
  • kiki | 122.79.36.162 | ২০ জুন ২০১৪ ১১:১২642423
  • তৃষা,
    ঃ)
    দিদিয়া,
    হুঁ। ঃ)
  • kumu | 52.104.25.118 | ২০ জুন ২০১৪ ১৩:২৬642424
  • কিকি, লেখো না।কবে লিখবে?মানিকের কথাগুলো খুব ভাল্লাগছে।
    অনেকবার পড়া হয়ে গেছে।
  • kiki | 122.79.36.93 | ২০ জুন ২০১৪ ১৫:১৬642425
  • ১৭। সকালে যথারীতি ব্রেকফাস্ট সেরে বেরোনোর, রয়াল প্যালেশ দেখতে যাবো। এর কিছুদিন আগেই মানিক এসেছিলো, তখন রাজার জন্মোদিনের জন্য খুব উৎসব হয়েছিলো, প্রচুর বাজি পুড়েছিলো শুনেছি। কিন্তু যে ক্যামেরায় সেসব ছবি তোলা হয়েছিলো তা বর্ডারে সিকিউরিটি চেকিং এর সময় অফিসারেরা তুলে নিয়েছিলো। যাচ্ছেতাই অবস্থা দেশটার। পুরো চোর ডাকাতে ভরা। কাজেই আমার আকন্ঠ আগ্রহ রয়াল প্যালেশ নিয়ে। এ নিয়ে বলি, এখনকার রাজা নরদম সিংহানুক শুনলাম গে। সেও এক টুকটুক চালকের থেকে । আগেরদিন রাত্রে সেই টুকটুকে করে ফেরার সময় অনেক গল্প হলো। বাচ্চা ছেলে। ইউনিভার্সিটি তে পড়ে। খুব দুঃখিত নিজের দেশ নিয়ে। সেই বললো, এই রাজবংশ বোধহয় এখানেই শেষ। আসলে রাজার আরো অনেক ছেলেপুলে আছে। তাদের কুইন আর কঙ্কুবাইনের তো শেষ নেই। কিন্তু নিয়ম অনুসারে পাটরানীর ছেলেই তো রাজবংশ এগিয়ে নিয়ে চলে। সেই হিসেবে রাজা সিংহানুক এর বংশ শেষ হয়ে যাবে, এরকম কিছু।

    আরো বললো, যে এ দেশে প্রস্টিটিউশন লিগাল , এবং মেয়ে হলে লোকজন খুব খুশী হয়ে যায়, বেশ কিছু পয়সা আসবে ভবিষ্যতে, এই ভেবে। মেয়েদের বিয়ে করতে হলে ছেলেদের খুব মোটা পন দিতে হয় মেয়ের বাবা মাকে। এমনকি , ভালোবাসার ক্ষেত্রেও ছাড় নেই। ব্যাপারটা এমন তুমি মেয়ের সাথে যা খুশী করে ফেলতে পারো, কিন্তু বাপু বিয়ে করতে হলে টাকা ফেলো। সেক্স নিয়ে ট্যাবু নেই, কিন্তু বিয়ের আগে বাচ্চা হওয়াটা নিন্দনীয় সমাজে। এই ছেলেটিও তার প্রিয়তমাকে কবে বিয়ে করতে পারবে ভেবে আকুল, কেন না তার বাবা ও বিরাট পন দাবী করে বসে আছে, যা আয় করতে ছেলেটির বেশ বয়স হয়ে যাবে। তবে এখানে কাজ চালানো ইংলিশে অনেকেই কথা বলতে পারে। সেই সময় ভিয়েতনামে বেশিরভাগ মানুষ ই ইংরাজী তে কথা বলতে পারতো না। আর দুই দেশেই , দেশের মুদ্রা আর ডলার দুই ই চলে।এখানে সন্ধ্যে সাতটার পর বিদেশীদের হোটেল থেকে বেরোনো তখন মানা ছিলো। কারন তখন এমনকি খোলা অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে গাড়ী করে গুন্ডা বাহিনী বের হয়, যাদের প্রশাসন শাসন করতে পারে না, বা করে না।

    যাহোক! আমরা রয়্যাল প্যালেশে চললাম। টিকেট কেটে ঢুকতে হয়। আর ঢোকার মুখেই দেখি গুচ্ছ টি শার্ট , প্যান্টু নিয়ে লোকজন বসে আছে। একিরে বাবা! রয়্যাল প্যালেশের ভিতরেও হকার! মনটা বেদম খারাপ হয়ে যাচ্ছিলো প্রায়। যাহোক! শুনলাম যে রয়্যাল প্যালেশে হাতকাটা বা হাঁটুর উপরে ওঠা কোন পোশাকে ঢুকতে দেওয়া হয় না। তাই ঐ জামা কাপড়ের বহর। ওখান থেকে ভাড়া নিয়ে পরে ভিতরে যাও। তা যাহোক ঋভু ছুট্টে ঢুকে পরলো, আমিও ওকে পাকড়াতে গিয়ে, ঐ আর কি ,ছুট লাগালাম। মানিক একটু নাক কোঁচকালো। বেচারী ছেলে আর বৌ এর গাঁওয়ার পনা নিয়ে মরমে মরে থাকে তখন। সে এক টোটাল কেলো অবস্থা। তখন ভিয়েতনামে এনারাই সম্প্রদায় বেজায় অভিজাত নিয়মকানুন মেনে চলে, আর সে নিয়ে বেজায় সজাগ ও থাকতো, অন্যরাও যাতে মেনে চলে। সেই চাপে চেপ্টে , আমার ছ বছুরে ছেলেটাও বলতো, ওগো ! তোমরা আমায় দরজায় তালা দিয়ে পার্টি তে যাও না। সেসময় আসলে বাচ্চা কাচ্চাদের মেডের কাছে রেখে যাওয়া, বা মেডকে ট্যাঁকে নিয়ে ঘোরাই দস্তুর ছিলো। আর আমাদের সে সঙ্গতি ও ছিলো না, প্রয়োজন ও ছিলো না অবশ্য। তার উপর সেই সময় ভিয়েতনামে কনসুলেট জেনারেল এলো এক বাঙালী। তার বাড়ীতে আবার সে বাঙালী নির্বিশেষে নেমন্তন্ন করে ফেললো। এবার কি চাপ! যেতে হবেই। আমরা যাওয়ার পর ই অভিজাত এনারাই সম্প্রদায় আঁতকালো প্রায়। আর আমি ও যেমন , জেনেরাল মশাই যেই বললেন তিনি চেতলাতে ছিলেন, আমিও আমি তো বেহালার বলে গল্প জুড়ে দিলাম, সেটা যে করতে নেই, ওহ! তাই ,বলে হালকা হেসে থেমে যেতে হয়, সেটা জানতাম না। সেখানে কি এক খালি বাসন্তি, বাসন্তি এরকম শুনি, পরে বুঝলাম সে আমাকেই বলা হচ্ছে। তা সেখানে ঋভুর পায়ে কিভাবে আঁচড় পরে গেলো, আর সাদা একটা দাগ হয়ে গেলো।বেচারী কি করবে ভেবে না পেয়ে, মনে করলো এ বুঝি তার বিরাট অপরাধ হয়ে গেছে, থুতু দিয়ে সেটা মুছে দেবার চেষ্টা করে ফেললো। সে কি মুস্কিল! পরে অবশ্য সেসব লোকজনের সাথে যখন আরো মিশলাম আর দেখলাম কাছে থেকে, তখন বলতে কি তাদের উপর করুনাই হলো। কি প্রচন্ড ইডিয়েট সব, আর কি বিশাল প্রানান্তকর চেষ্টা নিজেকে শ্রেষ্ঠ জায়গায় বসিয়ে রাখবার আর তা করতে গিয়ে জীবনের স্বাভাবিক আনন্দ নিতে পারার সব ক্ষমতাই হারিয়ে ফেলেছে।
  • kiki | 122.79.36.93 | ২০ জুন ২০১৪ ১৫:১৭642426
  • কুমু,
    ঃ) :P
  • kiki | 122.79.39.140 | ২০ জুন ২০১৪ ১৮:১২642427
  • ১৮। ইতিহাস বলে যে খমের রাজত্ব ( যা নাকি ভারতীয় সভ্যতার অংশ) গড়ে উঠেছিলো আঙ্কোরের কাছে, তোনলে স্যাপ লেকের উত্তরে কিছু ৮০২ শতাব্দীর কাছাকাছি সময়ে। সেখানে তাদের প্রধান কার্যালয় ছিলো প্রায় পঞ্চদশ শতাব্দী পর্যন্ত। সেখান থেকে খমের কোর্ট সরিয়ে নিয়ে আসা হয় নমপেনে ১৪৩৪ এর আশেপাশের সময়ে। কিন্তু কিছু দশক পরেই আবার তা সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়,প্রথমে ব্যাসান, তারপর লঙভেক ও পরে ঔডঙে। এবং ঊনবিংশ শতাব্দি পর্যন্ত নমপেনে রয়্যাল প্যালেশের কোন কথা শোনা যায় না। ১৮১৩ সালে রাজা অ্যান চান এখনকার প্যালেশের জায়গায় বানতিয়ে কেভ বা 'Crystal Citadel' বানান, কিন্তু সেখানে খুব কম দিন থাকেন। ১৮৩৪ সালে সিয়ামিস সৈন্যরা বানতেয়ি কেভ জ্বালিয়ে দেয়। ১৮৬৩ তে ঔডঙ থেকে রাজধানী আবার নমপেনে সরিয়ে আনা হয় এবং এখনকার রয়্যাল প্যালেশ বানানো হয়।

    পুরোনো বিল্ডিং ছিলো কাঠের তৈরী। ফ্রেঞ্চ প্রোটেকশনে তৈরী হয় এই নতুন রাজপ্রাসাদ। ১৮৬৫ সালে নমপেন নতুন রাজধানী ঘোষিত হয় এবং রয়্যাল প্যালেশের কলেবর ক্রমশঃ বৃদ্ধি পায়, একের পর এক বিল্ডিং তৈরী হয়। এই বিল্ডিং গুলো খমের ও থাই এর নিজস্ব স্থাপত্যের এক অসাধারন দৃষ্টান্ত। বিরাট উঁচু বিল্ডিং গুলো একতলা, আর ছাদগুলো ত্রিভুজের মতন, নীচের দিকে এসে ছড়িয়ে গিয়ে আবার খানিক বাঁকানো শিং এর মতন উপর দিকে উঠে গেছে। আর ত্রিভুজের মাথার মতন ছুঁচলো শীর্ষের মাঝে মাঝেই রয়েছে ক্রমশঃ সরু হয়ে যাওয়া খরগ বা হর্নের মতন কারুকাজ। বিরাট উঁচু পাঁচিলের আড়ালে বাগান ঘেরা এই প্রাসাদ যেন অন্য এক জগৎ যেখানে সেই প্রাচীন সময় থমকে আছে, একটা অদ্ভুত পুরোনো গন্ধ আছে সেখানে।

    এই কমপ্লেক্সকে চারটে ভাগে ভাগ করা হয়েছে, পুবদিকে অর্থাৎ কিনা নদীর দিকে মুখ করা এর দক্ষিন ভাগে রয়েছে সিলভার প্যাগোডা, উত্তরে খমেরিয়ান প্যালেশ, মাঝে থ্রোন হল আর পশ্চিমে ( যেখানে যাবার অনুমতি থাকে না) ইনার কোর্ট ।

    থ্রোন হল প্রথমে তৈরী হয়েছিলো কাঠ দিয়ে। পরে তা আবার নতুন করে তৈরী করা হয়। এখানে রাজার অভিষেক , অতিথী দের সাথে দেখা করা, গুরুত্বপুর্ন মিটিং ইত্যাদি হয়ে থাক।

    চানছায়া বা মুন লাইট প্যাভেলিয়ান ও রিবিল্ট করা হয়েছে পুরানোটার অনুকরনে, এর ও পুরানোটা কাঠের তৈরী ছিলো। এটা মূলত ব্যাঙ্কোয়েট হল হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

    হর সামরান ফিরান হলো রয়্যাল রেস্ট হাউস। এছাড়া রয়াল প্রসেসন যখন বেরোয় , তখন রাজা হাতীর পিঠে চড়ার জন্য এখানে অপেক্ষা করে।

    হর সামরিথ ফিমিয়েন এ একতলায় এখন রয়্যাল ড্রেস, ও নানান ব্যবহৃত জিনিস আছে। এখানে একটা মজার জিনিস দেখেছিলাম। রাজবাড়ীর পরিচারিকাদের ড্রেস ও কালার কোড থাকতো দিন অনুযায়ী। সাত দিনের সাত রকম ড্রেস ডিসপ্লে করা আছে। তাছাড়া রাজা রানীদের ট্রাডিশনাল ড্রেস ও রয়েছে।

    নেপোলিয়ান থ্রী প্যাভেলিয়ান , এদের মাঝে কেমন যেন খাপছাড়া ধরনের। চারিদিকে খমেরিয়ান বাড়ীগুলোর মাঝে হঠাৎ করে ইউরোপিয়ান ডল হাউস টাইপের সম্পুর্ন লোহার তৈরী বাড়ী। এটা নেপোলিয়ান থ্রী , তার বৌ এর জন্য বানায়, কিন্তু পরে তা রাজাকে গিফটায়। আর মজা হচ্ছে নেপোলিয়ানের নামাঙ্কিত এন লেখা দরজা বা অন্য জায়গা গুলো বদলানোর প্রয়োজন হয়নি, যেহেতু রাজাও নরদম, অর্থাৎ কিনা এন দিয়েই শুরু।

    এ ছাড়া রয়েছে ফোচানি হল, যেটা খোলা হল, যেখানে নাচ হয়,দামনাক চান আছে, যেটা কিনা রয়্যাল প্যালেশের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিস, যার ছাদের দিক খমেরিয়ান স্টাইলে কিন্তু বিল্ডিং ইউরোপিয়ান স্টাইলে তৈরী।এছাড়া রয়েছে খমেরিয়ান প্যালেশ, যেখানে রাজপরিবার থাকে, আর ভিলা, যেখানে গেস্ট রা থাকে।
  • kiki | 122.79.39.134 | ২০ জুন ২০১৪ ২২:৩০642428
  • ১৯। রাজবাড়ী দেখে আমরা ভিতরের একটা গেট দিয়ে দক্ষিনের সিলভার প্যাগোডা দেখতে ঢুকলাম। ঢুকেই দেখা যাবে ওয়াচ টাওয়ার এর মতন একখানা ঘরের মাথায় ঘন্টা ঘর। পিছনদিকে রয়েছে আঙ্কোরভাটের একটা রেপ্লিকা। সেটা দেখেই মন খারাপ হয়ে গেলো। যাহোক! আবার আসিব ফিরে ইত্যাদি বলে মনকে শান্ত করলাম।

    সিলভার প্যাগোডার আসল নাম অবশ্য টেম্পল অফ এমারেল্ড বুদ্ধা। এখানে সপ্তদশ শতাব্দীর এক ফুটের মতন মাপের বসে থাকা একটা পান্নার (সবুজটা পান্না তো? চুনী নয় তো! কি মুস্কিল!) বুদ্ধমুর্তি আছে, যেটা কিনা সবচেয়ে উঁচুতে রাখা আছে। তারজন্য এরকম নাম ছিলো। কিন্তু এই টেম্পলের মেঝেতে প্রায় সলিড রূপোর ৫৩২৯ টা টালি আছে, যা হাতে বানানো এবং যার একেকটার ওজন প্রায় 1.125 Kg । তাই এর নাম লোকমুখে হয়ে গেছে সিলভার প্যাগোডা। এই মন্দিরটাতে দামী জিনিসের প্রাচুর্য্য রয়েছে। খমের রুজের জমানায় নাকি এই পান্নার বুদ্ধমূর্তি টাকে কাদা মাখিয়ে লুকিয়ে রাখা হয়েছিলো। তবে যে কারনেই হোক, খমের বাহিনী এই বিশাল সম্পদকে ছাড় দিয়েছিলো। এখানে আছে প্রায় ১৬৫০ টা খুব দামী জিনিস, যার মধ্যে বিভিন্ন দেশের থেকে পাওয়া গিফট আছে। বেশীর ভাগই কৃস্টাল , সোনা , জেড পাথর ইত্যাদি দামী জিনিসের তৈরী বুদ্ধ। আর এমারেল্ড বুদ্ধের সামনে রয়েছে মৈত্রেয় বুদ্ধ, যা পাঁচফুট হাইটের , নব্বই কেজি সোনা দিয়ে তৈরী, পরনে রয়্যাল ড্রেস ( সেটা ঐ সোনার ই) এর গায়ে আছে নয়হাজার ২০৮৬টা ডায়মন্ড যার মধ্যে সবচেয়ে বড়টা পঁচিশ ক্যারেটের। আর এর মেঝে (বাইরের দিকে) ইটালিয়ান মার্বেল দিয়ে তৈরী। দেওয়ালে রামায়নের কাহিনী নিয়ে মুরাল রয়েছে। ভারী সুন্দর এই মন্দিরে ফটো তোলা মানা।

    মন্দিরে কিন্তু কোন মঙ্ক থাকে না। এখানে রাজা , যখন অনুষ্ঠান হয়, তখন মঙ্কদের থেকে ধর্মকথা শোনে, স্পেশাল অকেশনে। এছাড়া আছে ধম্মশালা, সেখানেও বুদ্ধের কাহিনী পড়া হয়। এছাড়া এক জায়গায় বুদ্ধের পায়ের ছাপ আছে। আরো আছে লাইব্রেরী, বিভিন্ন ধরনের স্তুপ, নম মন্ডপ, ঘোড়ায় চড়া রাজা নরদমের স্ট্যাচু ইত্যাদি।

    এরপর গেলাম মিউজিয়ামে। সেখানে মনে হলো প্রাচীন ভারতে পৌঁছে গেছি যেন! ঢোকার মুখেই একটা পাথরের তৈরী বিরাট গরুর মুর্তি। তাছাড়া ও রয়েছে প্রচুর প্রাচীন সব পাথর আর ধাতুর মুর্তি, পাত্র ইত্যাদি। মুর্তিদের মধ্যে ছিলো চার মুখ ওয়ালা বিষ্ণু, এমনকি শিব , লক্ষ্মী মুর্তি ও ছিলো। আর অন্য একটা ঘরে রাজাদের নৌকা ও দেখলাম। তারপর যখন বেরিয়ে এলাম, তখন কিছুতেই বিশ্বাস ই হচ্ছে না যে দুহাজার পাঁচে রয়েছি। কি মুস্কিলের ব্যাপার! সাধে কি মানিক রেগে যায়!
  • Suhasini | 212.62.70.2 | ২১ জুন ২০১৪ ০০:১৭642429
  • খুব ভালো লাগছে কিকি।
  • kk | 117.3.196.87 | ২১ জুন ২০১৪ ০১:৩৯642430
  • ন'বছর আগের কথাও কিকির কী পরিষ্কার মনে আছে ! মনে হচ্ছে যেন সবে বেড়িয়ে ফিরে লিখছ।
  • nina | 78.37.233.36 | ২১ জুন ২০১৪ ০৪:০৮642431
  • বহুত খুব ! লগে রহো কিকিয়া---
  • kiki | 122.79.37.72 | ২১ জুন ২০১৪ ১০:৪৮642432
  • সুহাসিনী,
    থেঙ্কু। অনেকদিন পর তোমার সাথে দেখা।ঃ)

    কলি,
    না, মোটেই তা নয়। ইতিহাসগুলো আমি উইকি , গুগল দেখে লিখছি, তবে যেহেতু আমি দেখেছি তাই সেগুলো মনে পরে যাচ্ছে,রিলেট করা সহজ হচ্ছে, অনেককিছু ওখানে থাকে না, যা লোকমুখে জানা যায়, সেগুলো জুড়ে দিতে পারছি। এই আর কি। চিন্তা নেই, শেষ হলে উইকি আর গুগল কে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দেবো। ঃ)

    দিদিয়া,
    ঃ)
  • kiki | 122.79.37.72 | ২১ জুন ২০১৪ ১১:৩৪642434
  • উপস! গুগল খুঁজতে হেল্প করে, সাইট গুলো বলে দেয়, তো সেই সাইট গুলোকে কৃতজ্ঞতা জানানো উচিত, তাই নয়? কিন্তু উইকি পিডিয়া ছাড়া আর কোথায় ঘুরেছি, সেসব তো মনে রাখিনি। ঃ(
  • sosen | 111.63.161.146 | ২১ জুন ২০১৪ ১৩:৩৪642435
  • পড়্ছি, বেশ লাগছে। কত মনে আছে, আমি তো এই বেড়িয়ে এসে এই ভুলে যাই
  • nina | 78.37.233.36 | ২১ জুন ২০১৪ ২১:৩৭642436
  • চটপট ঝটপট--চল রে কিকিয়া
  • kiki | 122.79.39.74 | ২১ জুন ২০১৪ ২২:৫৭642437
  • সোসেন,
    থেঙ্কু।

    দিদিয়া,
    আর ভাল্লাগছে না। তবে এবার শেষ করতে চাই। সব কিছু মাঝপথে ছেড়ে দিতে দিতে আর কথা শুনতে শুনতে আমি ক্লান্ত, এদিকে কিছু পরে আর ভাল্লাগেনা, খালি মনে হয় কি অবান্তর।দুদ্দুর!
  • Nina | 80.215.78.165 | ২১ জুন ২০১৪ ২৩:৩৬642438
  • ওমা অমন দুদ্দুর করেনা -- মাথা ঠন্ডা করে লিখ্তে থাক -- খুব ভাল্লাগছে-- খু উ ব
  • Ishani | 116.216.161.144 | ২২ জুন ২০১৪ ০৯:০১642439
  • কিকি,
    এই শুরু হল তো...ভাল্লাগছে না...ভাল্লাগছে না...ঘুম্পাচ্ছে...
    ও সব বাহানা ছাড়ো | মন দিয়ে লিখে যাও তো দেখি ! :)
  • kiki | 122.79.37.145 | ২২ জুন ২০১৪ ১১:০১642440
  • হুম্ম! :P :D
  • nina | 22.149.39.84 | ২৩ জুন ২০১৪ ২২:৪৩642441
  • কিকিয়া কই গেলি?
  • nina | 78.37.233.36 | ২৬ জুন ২০১৪ ১৮:৪২642442
  • কিকিয়া --রণে ভঙ্গ দিলি নাকি ?
  • kiki | 127.194.73.46 | ২৬ জুন ২০১৪ ১৮:৪৫642443
  • :P :P

    নাআআআআআআ।
  • kiki | 127.194.75.179 | ০৫ জুলাই ২০১৪ ১২:৩২642445
  • ২০। এবার ফিরে যাবার পালা, নমপেন থেকে উল্টো পথে হো চি মিন, সেখানেও আর বেশীদিন নয়। দুমাসের ছুটি হু হা করে ফুরিয়ে যাচ্ছে। ভালো সময়রা এত তাড়াতাড়ি চলে কেন কে জানে!

    অনেক অনুযোগ ছিলো যে আমি এত ঘুরতে ভালোবাসি, ভেবেছিলাম বিয়ের পর অসীম স্বাধীনতা পাবো, কেবল ঘুরে বেড়াবো। কিন্তু বাস্তব কিছু অন্য হলো, তার জন্য বেচারী পরের ছেলেটাকে প্রচুর গঞ্জনা দিয়েছি, তাই বোধহয় দুমাস সে নিজের ক্ষমতার শেষ সীমায় পৌঁছে আমাদের ঘুরিয়েছে।

    ফিরে আমরা চললাম হ্যানয়। সেখানে কিছু কাজ ছিলো মানিকের। আমাদের সঙ্গে জ্যাঙ আর ড্যুক ও চললো, এরI দুজন মানিকের তখনকার ব্যবসার পার্টনার ছিলো। জ্যাঙকে কলেজ থেকে তুলে এনে নিজের হাতে গড়েছিলো মানিক, ড্যুকের অবশ্য নিজের ব্যবসা ছিলো , এবং এদের ব্যবসায় ও যোগ দেয়। ড্যুকের ফ্যামিলি হ্যানয়ে, ওরা আমাদের সাথে সেখানে যোগ দেবে।জ্যাঙের তখন ও বিয়ে হয়নি। আমরা খুব সম্ভবতঃ ইভা এয়ারে হো চি মিন থেকে হ্যানয়ে গেলাম। খুব অল্প সময়ের ফ্লাইট। এটা ডোমেস্টিক ফ্লাইট, কাজেই ভিয়েতনামিসরাই বেশি ছিলো। সে এক টোটাল কাঁই কিচিরে ভরা এয়ারবাস। তারপর খেতে দিলো স্টিকি ভাত, সিদ্ধ শুয়োর আর কিসব যেন! গন্ধে আমি তো অক্কা পাই আর কি! সেই থেকে শুরু, যেখানেই যাই, নো মিট , নো মিট করে চিল্লামিল্লি করতে থাকি।

    হ্যানয়ে নেমে কি অবাক, একটা ব্রীজের মত দোতলা রাস্তা সটান এসে এয়ারপোর্টে ঢুকে পরেছে। আমরা বেরিয়েই সেইখান থেকে ট্যাক্সি নিলাম, হো চি মিনের মতই এখানকার রাস্তা গুলো ও। একইরকম বাড়ী। কিন্তু যতই শহরে ঢুকতে থাকি, কেমন যেন অন্যরকম গন্ধ। পুরোনো ,গোঁড়া একটা গন্ধ শহর জুড়ে, কিন্তু দূরে সরায় না , বেশ একটা কাছে টানা ভাব, আমাদের উত্তর কলকাতার মতন। আর হো চি মিন যেন অনেকটা বালিগঞ্জ ধরনের।এত লিবার‌্যাল হাবভাব তবু কিছুতেই কাছ ঘেঁষতে মন চায়্না।

    হো চি মিনে মেয়েরা খুব খোলামেলা পোশাকে অভ্যস্ত, অবশ্য সেসব চোখকে কষ্ট দেয়্না, কারন তাদের চেহারা গুলো ভারী মিষ্টি।আর চুল খোলা রাখে।যদিও বড় আর সোজা রেশমের মত চুল এদের হয় বেশিরভাগের ই।খুব কম ছোট চুলের মেয়ে দেখা যায়।গার্লি ব্যাপারটা খুব পছন্দ করে। আর তাছাড়া পোশাক নয়, শারিরীক ভাষাই বোধাই সময় সময় অস্বস্তি দেয় বেশী, আমার মনে হয়। হো চি মিন খুব গরমের জায়গাও বটে, সেখানে শীতকাল নেই। হ্যানয়ে আবার কলকাতার মতন চারটে ঋতু আছে শুনলাম। এখানে মেয়েরা সাধারনত ফুল হাত জামা আর ফুল প্যান্ট বেশী পরে।আর মাথার চুলে লম্বা বেনী বাঁধা, আর মাথায় ডোঙার মতন টুপি। এরা ভীষন স্কিনের ব্যাপারে সচেতন। রৌদ্রে বেরোলে মাথায় টুপি, হাতে লম্বা গ্লাভস মুখে স্কার্ফ দিয়ে বাঁধা আর পায়ে মোজা আর জুতো থাকবেই। অবশ্য অল্প বয়সী মেয়েদের ক্ষেত্রে , বয়স্ক মহিলারা দু জায়গায় ই সাধারনত ভিয়েতনামিস সিল্কের উপরে হাফ হাতা ঢিলে সামনে বোতামওয়ালা লম্বা শার্ট টাইপের পোশাক পরে আর সাথে ঐ সিল্কের তৈরী থ্রী কোয়াটার বা ফুল প্যান্ট। আর সরকারি কাজ করলে সাধারনত হাউজাই/আউজাই, ওদের জাতীয় পোশাক পরতে হয়, স্কুলের ক্ষেত্রেও। এটা অনেকটা আমাদের শালোয়ার , কুর্তি টাইপের পোশাক। উপরের কুর্তিটা কিন্তু একদম পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত ঝুলের হয়। একদম ফিটিংস আর কোমরের খানিক উপর থেকে কাটা থাকে দুপাশে। আর শালোয়ার দেখতে স্ট্রেট ঢিলে ট্রাউজারের ধরনের, অনেকটা বেলবটম প্যান্টের মতন। আর মজা হচ্ছে যখন ওরা বাইকে বসে , বা সাইকেল চালায় এই পোশাক পরে তখন কুর্তির নিচের অংশটা গুটিয়ে নিয়ে বসে, নইলে অত ঝুলের পোশাক অসুবিধে সৃষ্টি করবে, অনেকটা আমাদের আঁচল কোমরে জড়ানোর মত।

    এখানে বাইকের থেকে সাইকেলের সংখ্যা বেশী। বাড়ী ঘরদোর ও পরিস্কার হলেও পুরোনো । ঝাঁ চকচকে নয়। এমনকি বেশ কিছু সরু গলি ও দেখলাম। মনে হয় এই শহর তত প্ল্যানড নয়। আমরা আমাদের হোটেল কিমের কাছে চলে এলাম। এটা আগে থেকেই ঠিক করা ছিলো। গিয়েই আমরা চটপট ফ্রেস হয়ে নিলাম। খেতে বেরোতে হবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন