এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আসলে অক্সিজেনকে অম্লজান, আর নাইট্রোজেনকে সোরাজান বলতে শিখিনি বলেই বিজ্ঞানচর্চাটা ঠিকঠাক করা গেল না

    শাক্যজিত
    অন্যান্য | ২৯ নভেম্বর ২০১৪ | ৫২৮৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | 233.223.150.181 | ২৯ নভেম্বর ২০১৪ ১৮:০২656650
  • অক্সিজেন কে অম্লজান বললেই কি বিজ্ঞান চর্চাটা ঠিক ঠাক করা যেত? আমার তা মনে হয় না।
    প্রথম প্রশ্ন হল স্কুল লেভেলে বিজ্ঞান পড়া কে আমরা বিজ্ঞানচর্চা বলব কিনা। স্কুলে বিজ্ঞানের বিষয়ে আমাদের চেনানো হয় শুধুমাত্র কতকগুলো মাইলস্টোনকে। এবং সেগুলো বহু পুরোনো, এমন কী আইন্সটাইনের রিলেটিভিটিও (১৯০৫-এ আবিস্কৃত) চেনানো হয় না বাংলা বোর্ডে (১১ বা ১২-ক্লাসে)। কাজেই আমার সন্দেহ আছে স্কুলে আমরা কতটা বিজ্ঞানচর্চা করি। আর তাছাড়া স্কুলে বিজ্ঞান বাংলায় পড়া যায় (যদিও অক্সিজেন কে অক্সিজেন-ই বলি ওখানে)।

    কলেজ লেভেলে বিশেষ করে অনার্সে তুলনায় বিজ্ঞানের নতুন আবিস্কার গুলো পড়তে হয়। ঠিকমতো সুযোগ সুবিধা পেলে উৎসাহীরা নিজের মতন করে কিছুটা গবেষনাধর্মী পড়াও পড়তে পারেন। কিন্তু কলকাতা ইউনিভার্সিটির অনার্সের জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় সব বই-ই ইংরেজীতে লেখা। অক্সিজেন কে অম্লজান তো দূরস্থান পুরো সেন্টেন্সটাই ইংরেজীতে লেখা। বাংলা মিডিয়ামে পড়ে আসা স্টুডেন্টরা প্রথমেই এই মুশকিলটাতে পড়ে। ভাষা বাধা হয়ে দাঁড়ায়। বেশ, এবার ধরে নেওয়া যাক অনার্সও বাংলায় করা যায়, এমএসসি-ও (মানে অক্সিজেন কে ছোট থেকেই অম্লজান বলতে শিখলাম ধরা যাক)। কিন্তু তারপর? বিশ্বমানের বিজ্ঞান চর্চা করতে গেলে তো বিশ্বের বিজ্ঞানচর্চা পড়তে হবে, তাল রাখতে হবে তার সাথে। ছোটো থেকে যদি অক্সিজেন সহ বাকীদের অম্লজান-ই বলে আসি তাহলে কি মুশকিলে পড়ব না হিলিয়াম, অক্সিজেন, সোডিয়াম এদের নাম শুনে? শুধু তাই নয় বিশ্বমানের বিজ্ঞানচর্চার পুরোটাই প্রধানত ইংরেজী ভাষায়। অভ্যেস না থাকলে কি বিশ্বের বিজ্ঞানচর্চার সাথে তাল মেলাতে সমস্যা হবে না? নিজের দেশে নিজের ভাষায় বিজ্ঞানচর্চা করে বিজ্ঞান কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় না। বিজ্ঞান চর্চায় জানতে লাগে বিদেশী বিজ্ঞানীর অগ্রগতির খবর-ও। তাই প্রয়োজন হয়ে পড়ে একটি কমন ভাষার। ইংরেজ দের বিশ্বজোড়া উপনিবেশ স্থাপনের কারনে ইংরেজীটাই বেশী চলে এক্ষেত্রে। বলা যায়, ইংরেজ দের উপনিবেশ (তথাকথিতভাবে) পড়ে গেলেও, ইংরেজী ভাষার উপনিবেশ এখনো রমরমিয়ে চলেছে। কাজেই সারাজীবন বাংলায় বিজ্ঞান প'ড়ে, অক্সিজেন কে অম্লজান বললেই বিজ্ঞানচর্চা 'ঠিকঠাক' করা যেত কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ থাকে। এখানে যথাযোগ্যভাবে প্রশ্নের অবকাশ থাকে ইংরেজী ভাষার এই উপনিবেশীকরন আমরা কেন মানব। কিন্তু আমি মনে করি ঠিকঠাক বিজ্ঞানচর্চা করার ক্ষেত্রে আরো বড় একটি প্রশ্ন পড়ে আছেঃ-
    আমার মনে হয় আমরা বিজ্ঞানচর্চা টা ঠিক মত করতে পারিনি কারন আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় (একেবারে প্রাইমারি থেকে শুরু করে) বিজ্ঞান যে কায়দায় পড়ানো হয় তাতে বিজ্ঞানের সাথে জীবনের যোগ থাকে না। নিম্নবিত্ত পরিবারের স্টুডেন্ট দের ক্ষেত্রে একথা আরো বেশি করে সত্যি। ভাষা নয় বরং 'সিলেবাসের বিজ্ঞান'-ই বাধা হয়ে দাঁড়ায় তখন।
  • Atoz | 161.141.84.164 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ০৩:৩৯656743
  • আরোই করা যেত না।
    হাইড্রোজেনকে উদজান
    অক্সিজেনকে অম্লজান
    নাইট্রোজেনকে যবক্ষারজান
    ইঞ্জিনিয়ারিংকে অভিযান্ত্রিকী
    এক্সপেক্টেশন ভ্যালুকে প্রত্যাশামান---

    এই ধরণের পরিভাষা আরো দূরেই সরিয়ে দিত সত্যিকারের বিজ্ঞান থেকে।
    আমাদের কালচারটাই তো বিজ্ঞানের কাছাকাছি কিছু না। পুরো যেন ব্যাট প্যাড পরে আড়ষ্ট হয়ে "অন্যের খেলা" খেলতে নামা, খেলা হয়ে গেলেই সব খুলে রেখে শান্তিতে নিজেদের স্বভূমিতে ফিরে আসা।

    আসলে বিজ্ঞান শুধু ভাষানির্ভর না, এটা একটা পুরো প্যাকেজ। তত্ত্বে কী আছে, সেটা আসলে কী অর্থাৎ কিনা কীভাবে চেক করা যায় সেটা, যাচিয়ে দেখে তারপরে কী প্রশ্ন তোলা যায়, কোনো অনুসন্ধান কেমন করে শুরু করা যায়, কীভাবে সম্প্রসারণ করা যায় অনুসন্ধান ইত্যাদি আরো অনেক কিছু - এইসব নিয়েই হলো বিজ্ঞান। আমাদের সমাজের(আমাদের বলতে ভারতীয় উপমহাদেশ) স্কুল কলেজে যেভাবে বিজ্ঞান শেখানো হয়, তাতে এই উপরের স্টেপগুলোর কোনোটাই প্রায় নেই। গাঁতিয়ে মুখস্থ করে আর যাই হোক বিজ্ঞান হয় না, শুধু বিজ্ঞান কেন, কোনোরকম সত্যিকারের জ্ঞানই হয় না।

    শুধু ভাষাকে দায়ী করে লাভ নেই।
  • sswarnendu | 198.154.74.31 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ০৫:৩৯656754
  • ছোটবেলায় নিজের ভাষায় শিখলে বড় হয়ে অন্যটা শেখা যাবে না কেন বুঝলাম না? আর নিজেদের ভাষায় বিজ্ঞান পড়ে বিশ্বের বিজ্ঞানচর্চার সাথে তাল মেলাতে সমস্যা কোন ভাষাভাষী মানুষের হয়েছে? ফরাসী, জার্মান, ইতালীয়, রাশিয়ান এমনকি জাপানী ভাষার ক্ষেত্রেও ঠিক উলটটাই তো সত্যি। আর " বিশ্বমানের বিজ্ঞানচর্চার পুরোটাই প্রধানত ইংরেজী ভাষায়।" এইটা ঠিক হলেও একটা non-negligible অংশ ওপরের ভাষাগুলোয়। আর বিজ্ঞানের সাথে জীবনের যোগ মানে কি? quantum theory র সাথে জীবনের যোগ খুঁজে পাওয়াটা শক্তই হবে :)
  • Atoz | 161.141.84.164 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ০৫:৫৩656776
  • আরে কোয়ান্টাম না থাকলে সেলফোন স্মার্টফোন ইত্যাদি প্রভৃতি কিছুই কাজ করতো না। চাষবাসও করা যেত না, ফোটোসিন্থেসিস তো কোয়ান্টাম কেরামতি। ঃ-)
  • sswarnendu | 198.154.74.31 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ০৫:৫৩656765
  • অভিযান্ত্রিকী খুবই খটমট... আমি তো কারিগরী বিদ্যা জানতুম... বাকিগুলো ( এবং কারিগরী বিদ্যা টাও ) তো বেশ ভালই পরিভাষা...
    বাঙালির বাংলা জানলে মান-সম্মান যায়, তাই সদিশ এর থেকে vector বা চলরাশির থেকে variable কে বেশী পরিচিত শব্দ মনে হয়।
  • Atoz | 161.141.84.164 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ০৫:৫৮656787
  • পরিভাষা করতে গিয়ে ব্যাপারগুলো ভজঘট না করে সোজাসুজি নাম হিসাবেই রাখলে ক্ষতিটা কী সেত বিশেষ বোধগম্য হয় না আমার। ডিফ্র্যাকশনকে ব্যবর্তন বলে যে কী উদ্ধার হয় কেজানে! অথবা ইন্টারফেরেন্সকে ব্যতিচার বলে! শব্দগুলো দিয়ে তো বিশেষ কিছু লুসিড করা যাচ্ছে না জিনিসগুলোকে! প্রতিদিনের কথাবার্তাতে ব্যতিচার ব্যবর্তন এসব থাকলে নাহয় তবু একটা কথা ছিল।
  • Atoz | 161.141.84.164 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ০৬:০৮656798
  • আর এই ভেক্টর। এটাকে সদিশ বলেও খুব কিছু লুসিড করা যায় না। কারণ নামটা তো নামমাত্র, এইটার সঙ্গে যে প্রপার্টিগুলো জড়িত সেইগুলো ই হলো আসল কথা।
    যেমন ধরুন কোয়ান্টাম ফিল্ড থিওরি। এইটাকে যদি কণাবাদী ক্ষেত্রতত্ত্ব বলি, বাংলাকরণ হলো বটে কিন্তু জিনিসটা মোটেই সেভাবে স্পষ্টতর হলো না। কিংবা কোয়ান্টাম ইলেকেট্রোডাইনামিক্স-কণাবাদী তড়িৎগতিবিদ্যা অথবা কোয়ান্টাম ক্রোমোডাইনামিক্স কণাবাদী বর্ণগতিবিদ্যা-এসবে পরিভাষা আনতে গিয়ে আসল উদ্দেশ্যই যাচ্ছে আরো অস্পষ্ট হয়ে, জিনিসগুলো লুসিড হবার বদলে কেমন যেন অদ্ভুত অচেনা মতন হয়ে যাচ্ছে।
    তারচেয়ে সরাসরি নামগুলো রেখেই ব্যাপারগুলো কী থেকে কী হচ্ছে সেগুলো নিজের নিজের ভাষায় বোঝার ও বোঝানোর চেষ্টা করলে মনে হয় অনেক কাজের হয়।
  • সে | 188.83.87.102 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ০৬:১১656809
  • কম্পিউটারকে তবে যন্ত্রগনক বলে ডাকতে হবে।
    ফ্রেঞ্চরা আজকাল লর্দিনাতর এর বদলে কম্পিউটারই বলছে, জার্মানরাও রেখনার না বলে কন্পিউটার বলছে, রাশিয়ানরাও এভেএম না বলে.. ইত্যাদি। শব্দগুলোকে অত ট্রান্সলেট করবার দরকার নেই তো। শিক্ষার ভাষাটা মাতৃভাষায় থাকলে ঠিক আছে। অর্থাৎ বাক্য গঠন ইত্যাদি। কিন্তু প্রত্যেকটা শব্দের পরিভাষা বের করে সেটাকে ব্যবহার করলে সুবিধে বিশেষ নেই। বরং অসুবিধে আছে। সত্যেন বোস এই নিয়ে অনেক লড়েছেন। কিন্তু ওটা ছায়ার সঙ্গে লড়াই। মাতৃভাষার মাধ্যমে বিজ্ঞানচর্চা খুব ভালো। তাই বলে শব্দ কে শব্দ অনুবাদ করা উট্‌কো ঝামেলা।
  • - | 109.133.152.163 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ০৬:২৩656820
  • কোয়ান্টাম থিওরি বাংলা পরিভাষায় কি বলে?
  • - | 109.133.152.163 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ০৬:৩১656651
  • আতোজ ৬টা ৮, লাখ কথার এক্কথা " কারণ নামটা তো নামমাত্র, এইটার সঙ্গে যে প্রপার্টিগুলো জড়িত সেইগুলো ই হলো আসল কথা।" এই ব্যাপার্টা সব কিছুর ক্ষেত্রেই সত্যি। সেই ঈশ্বর বিশ্বাস পর্যন্ত। আপনার এই কথাটির অর্থ যে বুঝবে, সেইদিনই তার যাবতীয় সমস্যার অর্ধেক সমাধান হয়ে যাবে।
    বাকী অর্ধেকের জন্য এই বাক্যটিই রিরাইট করতে হবে "নাম" শব্দটিকে "রূপ" দিয়ে রিপ্লেস করে ঃ-)
  • Atoz | 161.141.84.164 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ০৬:৫৭656662
  • সে আর বলতে ড্যাশ!

    তখন

    রূপ লাগি আঁখি ঝুরে
    গুণে মন ভোর
    প্রতি অঙ্গ লাগি কাঁদে
    প্রতি অঙ্গ মোর।

    আর এক পা এগোলেই নির্বাণ। যাকে পরিভাষায় বলে মোক্ষ। ঃ-)
  • sswarnendu | 198.154.74.31 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ০৭:১৩656673
  • "কারণ নামটা তো নামমাত্র, এইটার সঙ্গে যে প্রপার্টিগুলো জড়িত সেইগুলো ই হলো আসল কথা।"--- সেইজন্যেই তো কণাবাদী ক্ষেত্রতত্ত্বকে কোয়ান্টাম ফিল্ড থিওরি লিখে কিভাবে lucid-ওতর হয় বুঝি না...
    "প্রতিদিনের কথাবার্তাতে ব্যতিচার ব্যবর্তন এসব থাকলে নাহয় তবু একটা কথা ছিল।" আজকের বাঙালির প্রতিদিনের কথাবার্তাতে বর্ণালীর থেকে spectrum ই বেশী পরিচিত শব্দ... নইলে আর ঠাকুরদা- ঠাকুমার দেওয়া আদরের নাম স্বাতীর জায়গায় সারা জীবন সোয়াতি বলে!
    diffraction শব্দটা বোধহয় উঠতে-বসতে ব্যবহার করে।
    "আরে কোয়ান্টাম না থাকলে সেলফোন স্মার্টফোন ইত্যাদি প্রভৃতি কিছুই কাজ করতো না। চাষবাসও করা যেত না, ফোটোসিন্থেসিস তো কোয়ান্টাম কেরামতি।"--- সে আর বলতে! rপকেটের স্মার্টফোন আর টবের গাছের দিকে তাকিয়েই না ছাত্রছাত্রীরা Hamiltonian operator লেখে, এই জীবনের যোগ খুঁজে না পেলে কি আর পারত?
    ও হ্যাঁ, সালোকসংশ্লেষ ও নির্ঘাত ভারী অপরিচিত আর খটমট শব্দ।
  • Atoz | 161.141.84.164 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ০৭:২৯656684
  • অন্তরকলনকে আবার সহ্য হতো না আমাদের এক স্যরের, কইতেন ব্যবকলন। ঃ-)

    ডিফ্র্যাকশন গ্রেটিং গুলো নিয়ে যারা কাজ করে নিত্য তারা শব্দটা ব্যবহার করে।

    চিন্তা করুন ওরে "ব্যবর্তন অভিজালিকা" গুলো নিয়ে আয় দেখি বলে চিৎকার করছেন মাস্টারমশাই আর ছাত্রেরা হতভম্ব। ঃ-)

    ক্রিয়েশন-অ্যানিহিলেশন অপারেটর কে যদি জোর করে সৃষ্টি-ধ্বংস অভিচালক করতে চান, লাভটা সেরকম কিছু হবে না।

    এইসব শব্দগুলো যেখানে যেই ভাষায় তৈরী হয়েছে, তার জোর এর উপরে রয়ে গেছে, জোরজার করে বদলালে খানিক সমস্কিত আর কবিতাচর্চা হবে, আসল কাজ হবে না।
  • Atoz | 161.141.84.164 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ০৭:৪০656695
  • সালোকসংশ্লেষ কথাটা বর্ণনায় যখন পড়ছেন তখন উচ্চশিক্ষিত বাড়ীর ছেলেপুলেদের অসুবিধা হবে না, কিন্তু এটাকে পুরো স্টেপ বা স্টেপ বায়োকেমিক্যাল পাথওয়ে দিয়ে যখন বুঝছেন তখন কিন্তু সবটায় পদে পদে প্রত্যেক জিনিসের ঐরকম সমস্কিতমার্কা পরিভাষা করতে গেলে মহা মুশকিল।

    আমাদের পুরো কালচারে বিজ্ঞান যে বাইরের জিনিস হয়ে রইলো সেটার কারণ খোঁজার চেষ্টা করি।
    এক তো মনে হয় মুখস্থ ধরণের শিক্ষা
    আর আরেকটা জিনিস মনে হয় এই পোষাকী ব্যাপারগুলো নিয়ে আটকে যাওয়া।

    আরো হয়তো অনেক কিছু আছে কেজানে!

    কণাবাদী ক্ষেত্রতত্ত্বের থেকে কোয়ান্টাম ফিল্ড থিওরি অনেক বেশী লুসিড যে সেটা তো স্বতঃপ্রতীয়মান।

    শব্দটাকে নিন, একে একে অংশগুলো বোঝাবার চেষ্টা করুন, তাহলেই বুঝতে পারবেন। কণাবাদী, ক্ষেত্র এইসব গুলোকে আলাদা করে সংজ্ঞা দেবার চেষ্টা করে দেখুন, প্রত্যেক ক্ষেত্রে পরিভাষা দিয়ে, বুঝবেন প্রথম শিখতে আসা ছাত্রছাত্রীরা কোথায় আটকাচ্ছে। বাক্সের ভিতরে বাক্স তো!
  • Atoz | 161.141.84.164 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ০৭:৪৯656706
  • আর স্বাতী কে সোয়াতি বললে কী অসুবিধা বুঝলাম না। কারণ বাঙালি উচ্চারণেই বরং ঐ ব-ফলাটা আসে না, স্রেফ সাতি হয়ে যায়। ঃ-)
    আরে ছোটোবেলা তো মুখে মুখে নাম শুনে ভাবতাম সাথী মনে হয় নাম, পরে লিখিত রূপ দেখে তবে বুঝলাম স্বাতী। ঃ-)
  • pcm | 212.54.102.201 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ০৭:৫৭656717
  • বিজ্ঞান নয় টই এর উদ্দেশ্য শতকরা একশভাগ দিশিবিজ্ঞান। যাতে অন্য কারু সাথে মতের আদানপ্রদানের গপ্পো নেই, যে যার ঘরে বসে অম্লজান সোরাজান মন্ত্র জপ করতে করতে দিশিবিজ্ঞান চর্চার শ্লাঘা লাভ করুন।
  • Atoz | 161.141.84.164 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ০৮:১৮656728
  • এই সোরাজান কথাটা এই প্রথম শুনলাম। এটা কি সোরা থেকে ?
  • PT | 213.110.246.230 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ০৮:৫০656739
  • নিজ ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার উদ্দেশ্য বোধহয় বাংলায় অম্লজান বা যবক্ষারজান জাতীয় শব্দ ব্যবহার করে থিসিস লেখা নয়। সাধারণ মানুষের মধ্যে বিজ্ঞানমনস্কতাকে ছড়াতে যাতে ভাষা বাধা হয়ে না দাঁড়ায় সেটাই এর প্রধান উদ্দেশ্য।

    নিজের ভাষায় বিজ্ঞান চর্চা করাটা যে জরুরী সেটা প্রফুল্ল চন্দ্র রায় বিশ্বাস করতেন আর সেই ঘরানায় অসীমা চ্যাটার্জীর পর্যন্ত বাংলা ভাষায় ভাল বই লেখার যথেষ্ট চেষ্টা হয়েছিল। সত্যেন বোস নাকি কঠিন ফিসিক্স বাংলায় পড়াতেন আর তাঁর সেই প্রয়াস যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিল।
  • h | 152.4.206.228 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ০৮:৫৮656742
  • আর বিজ্ঞানের সাথে জীবনের যোগ মানে কি? quantum theory র সাথে জীবনের যোগ খুঁজে পাওয়াটা শক্তই হবে - কিউবিটের যুগে দাঁড়িয়ে কেউ এরকম কথা বলতে পারে, ভাবাও দুষ্কর!
  • Siddh | 138.204.207.215 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ০৯:৪২656744
  • 'সোরা' মানে Nitre সম্ভবত @ Atoz
  • | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ১২:১৭656746
  • এই hকে তো হনু বলে হচ্ছে না। এ নির্ঘাৎ অন্য কেউ।
  • b | 135.20.82.164 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ১২:৪৫656747
  • কিন্তু শুধু বাঙলায় পড়ে যাওয়ার মধ্যে একটা অসুবিধা আছে। আমার এক আত্মীয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়াতেন। ওনার মুখে শুনেছি, হাঃ সেঃ, বি এ, এম এ-র বেড়া ডিঙ্গিয়ে যখন ছাত্রেরা পি এইচ ডি তে ঢোকে, তখন অকূল পাথারে। কারণ সারা জীবন শুধু বাঙলা বই, নোট ও সাজেশন পড়ে এসেছে। শুধু ইংরিজিতে মৌলিক লিখতে হবে, তা নয়, উপরন্তু গাবদা গাবদা বই পড়ে বুঝতেও হবে।

    আবার ধরুন, বাঙলায় (এম এ অবধি) সংস্কৃতের চর্চা হয় বাঙলা হরফে, দেবনাগরীর ধারকাছ না মাড়িয়ে। কিন্তু সর্বভারতীয় নেট ইত্যাদিতে হয় দেবনাগরী অথবা রোমান স্ক্রিপ্টে উত্তর লিখতে হয়। ফলঃ কলেজ সার্ভিস কমিশনে ও অন্যান্য জায়গায় বহিরাগত মধ্যমানের শিক্ষক, অথচ তার চেয়ে ঢের ভালো বাঙালী ক্যান্ডিডেটের আঙুল চোষা।

    আমি জানি না এর সমাধান কোথায়।
  • PM | 233.223.158.116 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ১২:৫২656748
  • আমি তো বাংলা মিডিয়াম এ পড়েছি। এই সব পিলে চমকানো টার্ম তো পড়ি নি? অ্যাসিডকে অ্যাসিড-ই বলতাম। অক্সিজেনকে অক্সিজেন।

    বাংলা ভাষা অলরেডি ভেন্টিলেসনে , অন্তত পঃবঃ এ। আর ছুরি ছোরা নাই মারলেন
  • avi | 213.110.243.23 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ১৩:১৭656749
  • এরকম ভয়াবহ পরিভাষা বাংলা বইতে খুব একটা নেই। এগুলো চালানোর কথা ভাবা হয়েছিল হয়তো। তবে চালানো শুরু হয়ে গেলে মনে হয় ততটা ভয়ংকর লাগবে না। 'সুনন্দর জার্নাল'এ পড়লাম তখ্ন ক্রিকেটের শব্দগুলোর হিন্দি অনুবাদ হচ্ছে, আর সেগুলো কি ভীষণ অড লাগছে, তাই নিয়ে খিল্লি। কিন্তু আজ এতবার ব্যবহারের পর ঐ বল্লেবাজী, সানদার শতক খুব অস্বাভাবিক লাগে না।
    একইরকম কিন্তু ইংরেজীতেও হয়েছে। ল্যাটিন থেকে ডিরেক্ট কত টার্ম এসেছে। সালোকসংশ্লেষ বাংলা থেকে যত দূর, ফোটোসিন্থেসিস চলতি ইংরেজী থেকেও বেশি কাছের না। জার্মান থেকে কিছু স্পেসিফিক অনুবাদ করতে গিয়ে এই 'সোরাজান' মার্কা ইংরেজী শব্দ-ও আমার সাবজেক্টে একগাদা পেয়ে থাকি, অনেকসময়েই পাশে ব্র্যাকেটে জার্মানটা লিখে দেয়।
  • PT | 213.110.246.22 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ১৪:১০656750
  • আমি তো অখ্যাত একটা স্কুলে বাংলায় পড়াশুনো করে তারপরে JU-তে প্রথম দিন থেকেই ইংরিজিতেই সব কিছু পড়লাম। আর আমার মত অনেকেই ছিল। প্রথম দু-এক মাস কথ্য ইংরিজি বুঝতে অসুবিধে হত। কিন্তু ইংরিজি বই পড়ে বিজ্ঞান বুঝতে তো কোন অসুবিধে হয়নি।
  • sswarnendu | 198.154.74.31 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ১৬:৫১656751
  • "আর বিজ্ঞানের সাথে জীবনের যোগ মানে কি? quantum theory র সাথে জীবনের যোগ খুঁজে পাওয়াটা শক্তই হবে - কিউবিটের যুগে দাঁড়িয়ে কেউ এরকম কথা বলতে পারে, ভাবাও দুষ্কর!"--- এ কথার উত্তর হয়না, যেটুকু হতে পারে সেটুকু আগেই লিখেছি... 'সে আর বলতে! পকেটের স্মার্টফোন আর টবের গাছের দিকে তাকিয়েই না ছাত্রছাত্রীরা Hamiltonian operator লেখে, এই জীবনের যোগ খুঁজে না পেলে কি আর পারত?'
    অনেকের নিশ্চয়ই quantum theory শেখার সময় এই 'জীবনের যোগ' টা দারুণ কাজে লাগে, কিমবা স্মার্টফোন ব্যবহার করতে quantum theory, আমি গোলা মানুষ, আমার লাগেনিকো।

    "কণাবাদী ক্ষেত্রতত্ত্বের থেকে কোয়ান্টাম ফিল্ড থিওরি অনেক বেশী লুসিড যে সেটা তো স্বতঃপ্রতীয়মান।

    শব্দটাকে নিন, একে একে অংশগুলো বোঝাবার চেষ্টা করুন, তাহলেই বুঝতে পারবেন। কণাবাদী, ক্ষেত্র এইসব গুলোকে আলাদা করে সংজ্ঞা দেবার চেষ্টা করে দেখুন, প্রত্যেক ক্ষেত্রে পরিভাষা দিয়ে, বুঝবেন প্রথম শিখতে আসা ছাত্রছাত্রীরা কোথায় আটকাচ্ছে। বাক্সের ভিতরে বাক্স তো!"---- একদমই বুঝতে পারি না, কণাবাদী বা ক্ষেত্র কথাগুলোর সংজ্ঞা আলাদা করে কঠিন কেন হত? সম্ভবত Coulomb's law পড়ার সময় প্রথমবার এইভাবে field কথাটা আসে,define ও করা হয়, ঠিক তেমনিভাবেই কুলম্বের সূত্র পড়ার সময় ক্ষেত্র কাকে বলে শিখত।

    avi র সাথে একদমই একমত, চালানো শুরু হয়ে গেলে মনে হয় ততটা ভয়ংকর লাগবে না।
    " 'সোরা' মানে Nitre সম্ভবত @ Atoz" দেখে ভীষণ হাসলাম, যেখানে বড় হয়েছি, সেখানের বাজারে এখনো সোরা আর গন্ধক বললে বার করে দেবে, nitre আর sulphur বললে ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকবে। "শ্লাঘা" যে কার ও কিসে সে তো দেখাই যাচ্ছে।
  • pcm | 212.54.102.201 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ১৭:৩০656752
  • স্বর্ণেন্দুর সব কথাই ঠিক, নিখুঁত যুক্তি, নাম ল্যাটিন থেকেই আসুক আর সংষ্কৃত সবই সমান। কিন্তু বাইরের দুনিয়ার সাথে আদান প্রদান হবে কি করে? অঙ্কের কটা পেপার আজ জার্মানে লেখা হয়? আমি স্বভাবগতভাবে একথাটি অতি সংক্ষেপে বলেছিলাম, এই বারে বুঝিয়ে বললাম। ভাষানয় স্টাইপেন্ড ভাল হলেই বিজ্ঞানচর্চা বাড়বে। অবশ্য এই সরকার মনে হয় ওতেও কোপ দেবে।
  • sswarnendu | 198.154.74.31 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ১৮:৫৬656753
  • @pcm
    সেটা তো আগেই লিখলাম যে এখন সত্যিই কমে আসছে, এবং সেটা আরও কমে আসবে, শুধু ইংরাজিকেই আন্তর্জাতিকভাবে এইরকম একটা ভাষা বলে মেনে নেওয়া এখনি হয়, আরও নিরঙ্কুশ ভাবেই হবে... ফলত আদানপ্রদান ইংরাজিতেই হবে। কম্বয়সে বাংলায় শিখলে ইংরাজিতে পরে শিখতে অসুবিধে হয় বলে সত্যিই আমার মনে হয় না। আমি মাধ্যমিক অবধি বাংলা মাধ্যম, উদজান কে দুষ্ট মৌল কেন বলা হয়? হাইড্রোজেন কে দুষ্ট মৌল কেন বলা হয়? হাইড্রোজেন কে রোগ এলিমেন্ট কেন বলা হয়? আর why is hydrogen called a rogue element? ---এর কোনটাই বুঝতে খুব সমস্যা কিন্তু হয়নি... কিন্তু ধরুন ক্লাস সেভেন এ পড়তে আমার ছোটকাকা আমাকে "পদার্থবিদ্যার বিবর্তন" বইটা কিনে দিয়েছিল... Einstein আর Infeld এর Evolution of physics এর অনুবাদ, শত্রুজিৎ দাশগুপ্ত র অনুবাদ। ওই বইটা আমি সে সময় ইংরাজিতে আদৌ পড়েই উঠতে পারতাম না... অথচ আমি অনেক কম বয়স থেকে ইংরাজিতে গল্পের বই পড়ি, reader's digest এর গল্প সংকলন পরি, তাও পারতাম না, কারণ জটিল জিনিসের সাথে অতটা টানা ইংরাজি গদ্য, আদৌ হত না। ছোটবেলায় নিজের ভাষায় শেখা জরুরী, আর তার জন্যে পরে বড় হয়ে একটা অন্য ভাষা কেন, একগাদা বিদেশী ভাষায় terminology জানতে একটুও অসুবিধে আদৌ হয় কি? আমার মনে হয় না।
    বাকি রইল পরিভাষা... সত্যি বলতে কি পরিভাষা নিয়ে আমার কোন দিকেই জোরাল মতামত নেই। কিন্তু কণাবাদী ক্ষেত্রতত্ত্বের জায়গায় কোয়ান্টাম ফিল্ড থিওরি বলার সুবিধে আছে এটাও বিশ্বাস করি না, যেটা খুশী ই বলা যেতে পারে... ক্ষেত্র কাকে বলে বুঝতে field বা ফিল্ড কাকে বলে বোঝার থেকে বেশী অসুবিধে হয় না। তাই যেটা খুশী সেটা করা যায়, কখনো এটা কখনো ওটাও। সালোকসংশ্লেষ বলব বলেই ক্লোরোফিল কে অন্য কিছু বলতে হবে তো কেউ বলেনি... কিন্তু বর্ণালীর জায়গায় আলাদা করেই spectrum বা স্পেকট্রাম বলব কেন? আর কিছু জায়গায় একদম আপত্তি আছে, যেমন ধরুন ভিবজিওর শেখানোয়, vibgyor বা বেনীয়াসহকলা শেখাই ভাল।
  • sswarnendu | 198.154.74.31 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ১৯:০০656755
  • আর স্টাইপেন্ড এখন বেশ ভাল, শেখানোর পদ্ধতিতে সমস্যা অনেক বেশী ( শুধু ভাষার দিক থেকে নয় ) ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন