এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আসলে অক্সিজেনকে অম্লজান, আর নাইট্রোজেনকে সোরাজান বলতে শিখিনি বলেই বিজ্ঞানচর্চাটা ঠিকঠাক করা গেল না

    শাক্যজিত
    অন্যান্য | ২৯ নভেম্বর ২০১৪ | ৫২৮৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Reshmi | 129.226.173.2 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৩:৫৩656823
  • শব্দকোষ অনুযায়ী, সিলিন্ড্রিকাল হল নলাকার, আর সিলিন্ডার হল বেলন। কি জটিল!
  • Arpan | 37.56.174.12 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৩:৫৩656822
  • সিলিন্ডারের বাংলা বেলনই। অন্তত মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বইতে তাই ছিল।
  • Arpan | 37.56.174.12 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৩:৫৭656824
  • ঝিকির ১ঃ২৪ এর বক্তব্যে ক্ক।
  • sch | 192.71.182.106 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৪:২০656825
  • দেখুন হাতে সময় থাকলে অনেক তক্ক করা যায় - ক্ষতি নেই তাতে কিন্তু কিছু লাভও হয় না
    জীবনে বেঁচে থাকতে গেলে পয়সা লাগে আর পলিটিশিয়ান না হলে সেই পয়সাটা খেটে রোজগার করতে হর। রোজগারের উপায় হল চাকরি।
    একজন আর্টস গ্রাজুয়েট যদি মোটামুটি ভালো ইঙ্গরেজী জানে পাস করে বেরিয়ে অন্ততঃ একটা বিপিওর চাকরী পেতে পারে না হলে সেলসে। সেখানে ওই অম্লজান/সোরাজান বললে কাজ চলবে না তো।

    আর এসব না করে যে ইঞ্জিনিয়ার, দাক্তার, চার্তার্ড আকাউন্টেন্ট, আই টী প্রফেশানাল এসব কিছু হবে বা হায়ার স্টাডিসে যাবে সে তো শুধু বাঙ্গালীদের সাথে কাজ করবে এরকম আশাই করতে পারে না। কাজেই তাকেও প্রফেশানাল কাজ ইঙ্গরেজীতেই করতে হবে।

    বাংলা লোকে শিখবে অবশ্যই- কিন্তু অনাবশ্যক বাংলা টার্ম শিখে কি লাভ। দু'ভাগ হাইদ্রোজেন আর একভাগ অক্সিজেন মিশিয়ে জল তোইরী হয় - এমনটাই তো ছোটোবেলায় বাংলা মিডিয়াম স্কুলে পড়ে এসেছি। খারাপ তো লাগে নি। এমনকি পাতন, উর্ধপাতন ডিস্টিলেশান, সাবলিমেশান শব্দগুলো শুদ্ধু লেখা থাকত - না হলে পরে মহা সমস্যায় পড়তে হত

    আরো বেসিকে অক্সিজেন, নাইট্রোজেনের না হয় বাংলা করলেন এবার কি থোরিয়াম, প্লুটোনিয়ামেরও করবেন? এটা মেনে নিলেই তো হয় এই নামগুলো একেকটা জিনিসের - সেটা যার আবিষ্কার করেছেন তাদের নামেই থাক না - ঘাটানোর দরকার কি
  • pi | 24.139.221.129 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৫:০৩656826
  • সত্যি, স্লেট আর নেট এর শুধু এই পার্থক্য, সেটা জানা ছিল না। কত কিছু শিখি ঃ)
  • Arpan | 116.216.248.199 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৫:০৭656827
  • আমি দে'র বক্তব্যও ঠিক বুঝিনি। অম্লজান বা সোরাজান চালু করলেই কি গ্রামাঞ্চলে বিজ্ঞান পড়ার প্রতি আকর্ষণ বাড়ত? পড়ানোর পদ্ধতি, রোজকার জীবনে বিজ্ঞানমনস্কতা (এইটা ইংরেজিতে পড়েও আসে না) এইগুলি কোন কারণ নয়? এমনিতে তো এখনও উমা অব্দি বাংলাতেই বিজ্ঞান পড়া যায়, ঐ গহর বা ডহরজান বাদ দিয়ে অবশ্যই।
  • pi | 24.139.221.129 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৫:১০656828
  • pcm, নিজের অঞ্চলেই অনেক CSIR প্রতিষ্ঠান আছে, আঞ্চলিক ভাশায় পাশ করলে সেগুলোতে কাজ না করতে পারার কোন কারণ নেই। যে আঞ্চলিক ভাষায় পরীক্ষা দিতে চাইছে , সে তো নিজেই হয়তো অন্য অঞ্চলে যেতে চাইবেনা।

    আর এখন আন্তর্জাতিক গবেষণাপত্রের জন্য ইংরাজিতে পেপার লেখাও তেমন সমস্যার নয়। আমারই কিচু পরিচিত কাজ করে, তাদের কাছে শুনেছি, তাদের কাজই হল ভাল ইংরাজীতে পেপার লিখে দেওয়া। তাদের ক্লায়েন্ট মূলতঃ চাইনীজ, জাপানীজ। এরকম সিস্টেম চাইলেই তৈরি করা যায়। নেই, তাই হবেনা বলে হাত গুটিয়ে বসে থাকাটা অবশ্য সহজতর অপশন।
  • pi | 24.139.221.129 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৫:১২656829
  • আমাদের সাথে ক্লাসে পড়তো, এরকম অনেক খুব মেধাবী বিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রী দেখেছি, যাদের ইংরাজীতে পড়ার জন্যই উচ্চশিক্ষায় মার খেতে দেখেছি, বা যতটা ভাল করতে পারতো ততটা করতে পারেনি, বা যতটা করেছে, তার থেকেও অনেক ভাল করতে পারতো।
  • pcm | 212.54.102.201 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৬:১১656830
  • উচ্চতর শিক্ষার ক্ষেত্রে মাতৃভাষা ব্যবহার করলে আমার মনে হয় মতের আদানপ্রদান ব্যাহত হবে।
  • sswarnendu | 138.178.69.138 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৬:৩৬656652
  • এই উচ্চতর কথাটা বেশ ঝামেলার... মানে ঠিক কতদূর এটা জরুরি নয় আদৌ... কিন্তু কেউ কেউ বলবেন, যেমন ওপরে sch বললেন, ক্লাস টেন অবধি তো আছেই...আবার কি? অথচ নিজের অভিজ্ঞতার কথাই বলি, মাধ্যমিকের পরে নরেন্দ্রপুরে গিয়ে অনেককেই দেখেছিলাম সায়েন্স ও মুখস্থ করছে, কারণটা একদমই ইংরাজি... জিনিসটা বুঝলেও নিজের ভাষায় সেটা ইংরাজি তে লিখে আসা অসম্ভব তাদের পক্ষে তাই মুখস্থ করত... এতে ক্ষতিটা তো সায়েন্স শেখার ই হয়...

    আর তাছাড়া যদি কেউ মাস্টার্স অবধি বাংলায় সায়েন্স পড়ে নিজের অঞ্চলে বা নিজের রাজ্যে স্কুল-কলেজে শিক্ষক হবে ভাবে, তার সেটা করার সুযোগ না থাকাটা আদৌ কি ভাল দেশের পক্ষে? দেশের কত অংশ গবেষণায় যায় বা ন্যাশনাল ইন্সটিটিউটে পড়াতে বা পড়তে যায়? যারা যায় তারা ইংরাজি শিখবে, অসুবিধে কি? মাধ্যমিক অবধি বাংলা মাধ্যম এ পড়েছি বলে আমার ইংরাজি শিখতে সমস্যা হয় নি তো! ইউনিভার্সিটি লেভেলে বাংলায় পড়া যাবে এটা করাটা এখন যা পরিস্থিতি তাতে বহু দুরের ভাবনা... বিদেশেও দেখেছি অনেকেই যারা অ্যাকাডেমিয়া তে থেকে যেতে চায় আজকাল তাদের অনেকেই চায় ডক্টরাল থিসিসটা ইংরাজিতে লিখতে, ফ্রেঞ্চ এ নয় ( খুবই আজকালকার ভাবনা, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভাবনাই শুধু, কিন্তু তবু হচ্ছে ) ... কিন্তু যে দেশেই চাকরি করবে সে ফ্রেঞ্চ এই লেখে। প্রসঙ্গত, একাধিক ভাষা জানাটা শুধু ভারতে জরুরী এমন নয়, ইউরোপেও মোটামুটি অনেকগুলো ভাষা জানে ও জানতে হয় চাকরি-বাকরি করতে... তবে ভাষাগুলো ভারতীয় ভাষাগুলোর তুলনায় কাছাকাছি... এইটুকুই
  • pcm | 212.54.102.201 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৬:৫৯656653
  • কেন? উচ্চতর নিয়ে সমস্যা কেন? আসল উদ্দেশ্য কি? ঠিক কোন বাঁধা অতিক্রমের কথা বলা হচ্ছে সেটা বোঝা গেলেই হল। মতের আদানপ্রদানের বাধা পার হওয়া যখন জরুরী হবে তখন বহুজনগ্রাহ্য ভাষায় শিফ্ট করাই শ্রেয়।

    তবে ইংরিজি একেবারে শিখবনা বা ব্যবহার করবনা বলে গোঁ ধরলেও অসুবিধে আছে।
  • sch | 192.71.182.106 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৭:২৯656654
  • আমি পাই দিদির কথা বুঝলাম না। গেট বা নেটের স্লেটের মতো স্ররবভারতীয় পরীক্ষা আঞ্চলিক ভাষায় করা মানে তো আরো দুর্নীতির রাস্তা খুলে দেওয়া।

    প্রথমতঃ এতগুলো ভাষায় ঠিকঠাক করে প্রশ্ন পত্র করতে হবে। গেটের একটা বড়ো অংশ থাকে কোর ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্রছাত্রী। তাদের বিষয় আঞ্চলিক ভাষায় অনুবাদ করা খুব কঠিন।

    পরীক্ষকরা আঞ্চলিক হলে প্রচুর জালি হওয়ার সুযোগ। তাছাড়া যে সব বড়ো ইউনিভার্শিটির/আই আই টি'র পরীক্ষক খাতা দেখেন তাদের অনেকেই এই ধরণের আঞ্চলিক ভাষায় অভ্যস্ত হতে না পারেন।

    এবার আসল কথায় আসি - যারা রিসার্চ করবেন তাদের তো বিদেশের নানা পেপার পড়তে হবে, সেখানে সবসময় সাথে দোভাষী নিয়ে যাবেন? পেপারগুলো পড়ে দোভাষীরা তাদের বুঝিয়ে দেবেন?

    যারা বিদেশের সাথে তুলনা করছেন তারা একটা জিনিস বুঝে দেখুন, জাপান দেশের ভাষা জাপানী, চিনের ৭০% লোক মান্দারিন চাইনিজ বলে ওটাই তাদের রাষ্ট্রভাষা, জার্মানীদের জার্মান, ভারতবর্ষের তো সেরকম কোনো ভাষা নেই - সেক্ষত্রে ১৫ টা সংবিধান স্বীকৃত ভাষায় কোসচেন বানাতে হবে খাতা দেখতে হবে। সেটা সম্ভব??? আর এত্ত ঝামেলা করতে হবে কেন?

    জার্মান ভাষায় প্রচুর মৌলিক গবেষণা হয়েছে - একটাও বিডেশী পেপারের সাহায্য না নিয়ে তারা কোনো কোনো শাখায় নিজেদের দেশের ভাষাতেই সর্বোচ্চ লেভেল অব্দি কাজ হয়েছে শুধু দেশীয় বিজ্ঞানীদের গবেষণায়। ভারতের কোনো আঞ্চলিক ভাষায়, কোনো বিজ্ঞানের শাখায় সেরকম কোনো কাজ হয়েছে?

    যারা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে কাজ করেন তাদের মেধা থাকলে ইঙ্গরেজীর মতো ভাষা শেখা খুব কঠিন না মনে হয়। সাহিত্য রচনা করতে তো হবে না - হবে কাজ চালানোর মতো শিখতে। সেটা কি আকজন মেধাবী ছাত্রের পক্ষে খুব কঠিন?
  • sswarnendu | 138.178.69.138 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৭:৫১656655
  • "তবে ইংরিজি একেবারে শিখবনা বা ব্যবহার করবনা বলে গোঁ ধরলেও অসুবিধে আছে।"- সে কথা কেউই বলছে কি? ইংরাজি ব্যবহার করব নার গোঁ ফ্রেঞ্চ রাই রাখতে পারছে না...

    "মতের আদানপ্রদানের বাধা পার হওয়া যখন জরুরী হবে তখন বহুজনগ্রাহ্য ভাষায় শিফ্ট করাই শ্রেয়।"-- এতে একটুও দ্বিমত নেই আমার, কিন্তু যাদের সে বাধা অতিক্রমের দরকার সারা জীবনে বিশেষ নাও পড়তে পারে তাদের জন্যে এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগটা থাক না।

    "যারা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে কাজ করেন তাদের মেধা থাকলে ইঙ্গরেজীর মতো ভাষা শেখা খুব কঠিন না মনে হয়। সাহিত্য রচনা করতে তো হবে না - হবে কাজ চালানোর মতো শিখতে। সেটা কি আকজন মেধাবী ছাত্রের পক্ষে খুব কঠিন?"-- প্রথমত বিজ্ঞানের জন্য যে 'মেধা ' লাগে আর ভাষা শেখার 'মেধা' টা ঠিক এক নয় বোধহয়। আর দ্বিতীয়ত, একটা বয়সের পড়ে সমস্যা সত্যিই খানিক কম, কিন্তু বিজ্ঞান শেখার সময়েই ভাষাটা পথ আটকে দাঁড়ালে শেখাটাই ভাল করে হয় না, আগ্রহ উৎসাহও গজায় না বা চলে যায় এবং ভয় ঢুকে যায়।
  • sch | 192.71.182.106 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৮:০৯656656
  • উচ্চমাধ্যমিক অব্দি তো কোনো সমস্যা নেই - মাতৃভাষায় বিজ্ঞান চর্চা হোক। কিন্তু একটা জিনিস বলুন - আজকে কেউ তো ইচ্ছে করলে আঞ্চলিক ভাষায় গ্রাজুয়েশানও করতে পারেন - কিন্তু তারপর?

    এই যে সিকি বলেছেন একটু আগে ওনাদের অফিসে সায়েন্স গ্রাজুয়েট নেবে - ৫০% মারকস পেলেই হবে। এবার যদি সে সব ইঙ্রেজী পরিভাষা ঠিক মতো না জানে এরকম একটা আন্তর্জাতিক সংস্থায় চাকরী পাবে?

    মাধ্যমিকের পরের স্তরে যারা যান তাদেরই ইঙ্গরেজী ভাষায় অভ্যস্ত হতে হবে যদি না ক্যাডার হতে চান। ক্যাডার হলে আঞ্চলিক ভাষায় জোর দেওয়াই অনেক ভালো
  • pcm | 212.54.102.201 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৮:২২656657
  • স্কুলে শিক্ষক/শিক্ষিকারা মাতৃভাষায় পড়ান তাতে আমার কোন আপত্তি নেই, তবে তিনি নিজে ইংরিজি বই পড়ে বুঝতে না পারলে, উনি যে বই পড়বেন তার চয়েস কমে যাবে, ফলে পড়ানোতেও তার ছাপ পড়বে।
  • de | 24.97.18.167 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৮:২২656658
  • প্পন, অম্লজান, সোরাজানটা বক্তব্য নয় - আমি কি কোথাও সেটা লিখেছি? - মাতৃভাষায় বিজ্ঞানশিক্ষা টা জরুরী। অন্ততঃ বারো ক্লাস অব্দি।

    আর দেশ অর্থনৈতিক ভাবে উন্নত হয়ে তো আর আকাশ থেকে পড়বে না - তার একটা বুনিয়াদ থাকে, শুরুয়াত থাকে - দেশের অধিকাংশ মানুষকে অন্ধকারে রেখে সে কাজ তো শুরুই হবে না। কিসের কথা ভাবছি আমরা, কাদের কথা? শুরুটাই যেখানে করা গেলো না - সেখানে ফাইনাল রেজাল্ট নিয়ে মাথাব্যথা!
  • Arpan | 116.216.248.251 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৯:৩৫656659
  • দে, সেটা তো হচ্ছে এখনো? হচ্ছেনা কি?
  • Arpan | 116.216.248.251 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৯:৩৬656660
  • সেটা তো কেউ তুলে দিতেও বলছে না।
  • sm | 233.223.159.154 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ২০:২১656661
  • স্বর্নেন্দুর লাস্ট পোস্ট তার সঙ্গে সহমত। বিজয়ন শিক্ষা মাত্রই ভাষায় দিলে আউট পুত বেশি হবে, গ্রান্টি।তবে তা যেন সহজ সরল হয়।দরকার পড়লে ইংলিশ পরিভাষা বেশি ব্যবহার করা হয়। অক্সিজেন যেন অক্সিজেন থাকে; অম্লজান না হয়ে ওঠে।
    তবে উচ্চতর শিক্ষার ক্ষেত্রে ইংলিশ শেখা জরুরি। সেটা কাজ চালানোর মত, পাশা পাশি শিখলে ভালো হয়। মেধাবী ছাত্রদের অসুবিধে হবার কথা নয়। দরকার পড়লে, জি আর ই, আই এল টি এস এর উপরে কোর্স করানো যেতে পারে।এতে করে রথ দেখা কলা বেচা দুটিই হবে। দোনো হাত মে লাড্ডু!
    আর sch, সর্ব ভারতীয় পরীক্ষা আঞ্চলিক ভাষায় করলে কি অসুবিধে?পরিভাষার ফর্মাট তো করাই থাকবে। দরকার পড়লে বেশি ইংলিশ শব্দ ঢোকানো যেতে পারে। উত্তর হবে এম সি কিউ । খাতা দেখবে কম্পুটার। তাহলে একজামিনার বুঝবে কি বুঝবেনা, সেটা অবান্তর হয়ে যাচ্ছে।
  • sswarnendu | 138.178.69.138 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ২২:০৬656663
  • অক্সিজেন কে অক্সিজেন বলা নিয়ে আমার এমনিই কোন আপত্তি তো নেইই, খারাপ লাগাও নেই, বর্নালীকে স্পেকট্রাম বা সালোকসংশ্লেষ কে ফোটোসিন্থেসিস বলা নিয়ে সামান্য খারাপ লাগা থাকলেও আপত্তি নেই... এখানে অনেকেই মাতৃভাষায় শেখানোর প্রশ্নে একমত, পরিভাষা যাতে খুব বিদঘুটে না হয়ে পড়ে সেই নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন... তাতে আমার এইটুকু বলার যে অনেক পরিভাষাই চালু হয়ে গেলে হয়ত অতটা বিদঘুটে লাগত না আর এরকম অনেক শব্দ আছে যেগুলো আদৌ বিদঘুটে বা অপরিচিত নয় তবু ব্যবহার করা কমে আসছে আজকাল ( যেমন বর্নালী )...কিন্তু এসত্ত্বেও আদৌ বাংলা পরিভাষা না ব্যবহার করেও যদি বাংলায় পড়ানো হয় তাতেও কোনও আপত্তি নেই, বরং সেটা দরকার। যেটার সাথে প্রবল বিরোধিতা আমার আছে সেটা sch এর মতের সাথে... আর অতটা প্রবল না হলেও pcm এর মতটার সাথেও...
    pcm এর লাস্ট পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে বলি, বাংলায় ভাল বই লিখতে হবে, যারা ইংরেজি জানে তাদেরকে... তাহলেই প্রতিটি স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ইংরেজি বই পড়ে বুঝতে হবে এই দরকারটা থাকবে না।
    sch এর বক্তব্য নিয়ে কিছু বলতে ইচ্ছে করছে না ওনার পোস্টগুলো দেখে-- ওনার বোধহয় ধারণা দেশের সব মানুষ হয় ক্যাডার আর নইলে আন্তর্জাতিক সংস্থায় চাকরী করে।
  • jhiki | 149.194.228.58 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ২২:৫৬656664
  • ওয়েভ স্পেকট্রামকে তরঙ্গ বর্ণলি, রেসপন্স স্পেকট্রামকে কে প্রতিবর্ত বর্ণালি বললে পাতি বাংলা ভাষীরা বুঝবেন বলছেন?

    সব স্পেকট্রামকেই কি বর্ণালি দিয়ে প্রতিস্থাপিত করা যায়?
  • kc | 198.71.247.68 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ২৩:১৬656665
  • বিজ্ঞান পড়ার সময় এই পরিভাষা কেমন হওয়া বাঞ্ছনিয়, এই নিয়ে জাফর ইকবালের একটা খুব সুন্দর প্রবন্ধ আছে। বইটার নাম যথারীতি ভুলে গিয়েছি, না হলে চিপকে দিতাম। খুবই মনোজ্ঞ প্রবন্ধ।
  • সে | 188.83.87.102 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ২৩:১৯656666
  • একধারসে সর্বভারতীয় স্তরে সমস্ত কিছু হিন্দিতে করে দিলেই তো সমস্যা সলভড। ইন্ডিয়ান ন্যাশানাল ল্যাঙ্গুয়েজ হয়ে উটবে হিন্দি। কেবল ভাষাগুলো সেই ভাষাতেই পড়তে হবে, বাংলাটা বাংলায়, ইংরেজিটা ইংরেজিতে, টামিলটা টামিলে।
    যারা হিন্দিভাষী তারা উচ্চস্তরে বিজ্ঞান শিক্ষা কোন ভাষায় করছে? তাদের মডেলটাই ফলো করা হোক। দেশের লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা হিন্দি বানাতে যাদের উৎসাহ তারাও খুশ।
  • Abhyu | 85.137.12.226 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ২৩:২১656667
  • "বাংলাটা বাংলায়, ইংরেজিটা ইংরেজিতে, টামিলটা টামিলে"
    সেটা ভালো - আজকাল তো বাংলায় সংস্কৃত পড়ানো হয়।
  • সে | 188.83.87.102 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ২৩:২৬656668
  • আরে বাবা হাই লেভেলের বাংলায় ইংরেজিতেও লিখতে হয়। পেপার ফেপার। সমোস্‌কিতেও তাই।
    সমোস্‌কিতো পড়াতে বাংলা লাগবেই, কারন কোনো কিছু বোঝাতে গেলে সেটা সমোস্‌কিতো দিয়ে বোঝানো চাপ হয়ে যেতে পারে। সেম জিনিস ল্যাটিনের ক্ষেত্রেও।
  • avi | 113.252.164.92 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ২৩:২৭656669
  • নিজের ভাষা বাতিল হয়ে গেলে হিন্দির থেকে ইংরেজি তো আরো ভালো অপশন। মাঝখান থেকে হিন্দি এলে তো জটিলতা আবার আগের জায়গাতেই ফিরে গেল। দ্রাবিড় মুন্নোত্রি কাজাঘাই (?) তো এই নিয়েই আন্দোলনিয়েছিল।
  • Rit | 213.110.243.23 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ২৩:৩৯656670
  • সবাই মিডিয়াম নিয়ে কথা বলছে। কনটেন্ট নিয়েও কথা হোক। কনটেন্ট থাকলে বাংলায় লিখলেও অন্য দেশী রা অনুবাদ করে নেবে তাদের নিজেদের জন্যই। জে সি বোস ছাড়া তো এই পোড়া বাংলায় আর বিজ্ঞানীই জন্মালেন না।

    উদাহরনঃ রুশ ভাষায় লেখা ম্যাথ জার্নাল গুলো বা জার্মান ভাষায় লেখা ফিজিক্স, সাইকিয়াট্রি জার্নাল গুলো।
  • সে | 188.83.87.102 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ২৩:৪২656671
  • না না। তা কেন হবে। বাতিল কে করতে বলেছে। বাড়িতে কথাবার্তা বলবে। কিন্তু ইস্কুলে গেলেই হিন্দি। যারা পয়সাওয়ালা তারা দামি ইস্কুলে ইংরেজিতে পড়াবে। সেটা রুখতে যাওয়াটা সম্ভব নয়। কিন্তু আপামর সাধারন জনতার জন্যে থাকছে ওয়ান অ্যান্ড ওনলি অপশান। হিন্দি। পরিভাষা থেকে শুরু করে নেট গেট স্লেট ভেট সমস্তয় দুটো অপশন। হিন্দি বা ইংরেজি। কত খরচ কমবে সেটা ভেবে দেখেছেন? গাদা গাদা ডিকশানারী বাতিল। উঁহু, গুগুলের কাজ সেরকম কমবে না হয়তো। তারপরে পরিভাষা বানানো, বইলেখা, বিবিধ ভাষায় প্রশ্নপত্র, কিস্যু লাগবে না। কারন বিবিধের মাঝে হিন্দিই হবে মিলনের ভাষা। গোটা দেশ সেম সিলেবাস, সেম বইপত্তর।
    মাতৃভাষাটা হবে একটা বিষয়। সেতো এখনো। কটা বাচ্চা আজকাল মাতৃভাষা জানে পড়ে বোঝে? এটা তো আমাদের বেশ গর্ব গর্ব মেশানো অনুভূতি। আমাদের টাইমেও ছিলো। মায়েদের বন্ধুরা গর্ব করে বলতেন, আমার ছেলেটা/মেয়েটা না বাংলায় খুব উইক। কিংবা আমরা তো বাড়িতে চেষ্টা করি যতটা সম্ভব বাংলা শেখাতে, কিন্তু ও শিখবেই না। খালি ইংরিজি কমিক আর গল্পের বই।
    এই জিনিস তো বরাবরি হয়ে চলেছে। তারচেয়ে সক্কলে একটা ভাষা শিখুক যেটা আখেরে কাজে দেবে।
    বাড়িতে ভুলভাল বাংলা বলবে আর বাপ মায়ে গর্বে হেসে কুটিপাটি হবে। খারাপ কীসের? এরকমই তো হচ্ছে। আরেকটু বড়ো স্কেলে হোক।
  • Atoz | 161.141.84.164 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ২৩:৫০656672
  • ব্যতিচার ব্যাপারটা কেমন যেন ব্যাভিচার এর মতই বটে। ঃ-)
    ইয়ং সায়েবের ডবল স্লিট পরীক্ষা দেখলেই বোঝা যায়, লোকে শত শত বছর ধরে গলদঘর্ম হয়ে যাচ্ছে ঐ ব্যতিচারী ব্যাপার বুঝতে।
  • সে | 188.83.87.102 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ২৩:৫২656674
  • ভাষা নিয়েও এরকম ব্যাভিচার মানছি না মানবো না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন