এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আসলে অক্সিজেনকে অম্লজান, আর নাইট্রোজেনকে সোরাজান বলতে শিখিনি বলেই বিজ্ঞানচর্চাটা ঠিকঠাক করা গেল না

    শাক্যজিত
    অন্যান্য | ২৯ নভেম্বর ২০১৪ | ৫২৮৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Atoz | 161.141.84.164 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ২৩:৫৩656675
  • সিলিন্ডার সলিড কেন হবে শুধু? সিলিন্ডার ফাঁপা না হলে তো অক্সিজেন টক্সিজেন রাখতে পারবে না!
    আচ্ছা, গ্যাস সিলিন্ডারে রাখে কেন? বেশী ভারী হয়ে গেলে গড়িয়ে নিতে পারে যাতে ?
  • jhiki | 149.194.228.58 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ২৩:৫৬656677
  • ইভন প্রেসারেরের জন্য, ঘুম পেয়ে গেছে, বাংলা পরিভাষা লিখতে পারলামনা ঃ(
  • Atoz | 161.141.84.164 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ২৩:৫৬656676
  • এই ব্যাভিচার এর ব্যুৎপত্তি বুঝতে গিয়ে তো কেলেঙ্কারী! বি+অভিচার? অভিচার মানে কী?
    পুরাণে টুরানে আছে অভিচার একরকম মারণ উচাটন এর মতন ক্রিয়াপদ্ধতি, সেই করলে নাকি ইয়া ইয়া সব দৈত্য আসে। জ্বীন টিনও হতে পারে।
  • Dig | 116.212.104.32 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ২৩:৫৭656678
  • সে র প্রস্তাবটা কী ভুলভাল!!
  • sswarnendu | 198.154.74.31 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:০৭656679
  • " জে সি বোস ছাড়া তো এই পোড়া বাংলায় আর বিজ্ঞানীই জন্মালেন না।" !!!!!
  • সে | 188.83.87.102 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:০৭656680
  • ;-)
  • sswarnendu | 198.154.74.31 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:০৯656681
  • সে-র বক্তব্য সম্ভবত সারকাজম, অন্তত তাই আশা রাখি
  • Atoz | 161.141.84.164 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:১৪656682
  • এক ডাক্তার গ্রামে প্র্যাক্টিস করতেন, ভাষার ব্যাপারে খুবই বিশুদ্ধবাদী।
    তো এক লেঠেল, লাঠিবাজি ছেড়ে দিয়ে তার অস্থিরতা হাত পা জ্বালা অসুখ করেছে, ডাক্তার তাকে প্রেসক্রিপশন লিখে দিলেন, প্রাতরাশপূর্বক প্রাতঃভ্রমণ।
    সে বাড়ীতে নিয়ে পড়লো, পাতরাশপূর্ব কপাতভ্রমণ।
    এটা কি কোনো অসুখ নাকি কোনো ওষুধ, কিছুতেই সে ভেবে বার করতে পারলো না, তার বাড়ীর লোকেরাও না।
  • sswarnendu | 198.154.74.31 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:১৯656683
  • ইসস কি কাণ্ড !!! "Before breakfast, take a hike" লিখলেই বাড়ির কুকুরটা অবধি বুঝে যেত।
  • sch | 233.223.131.253 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:২৮656685
  • অন্যের বক্তব্য না বুঝে যুক্তিহীন ভাবে কিছু ভাট বকে গেলে আলোচনা হয় না।

    ১) আন্তর্জাতিক সংস্থা একটা উদাহরণ। আজ আঞ্চলিক ভাষায় বিজ্ঞান পড়ে এম এস সি ডিগ্রী নিয়ে একজন মাদ্রাজের কোনো ল্যাবে চাকরী পেল। সেখানে সে তার বাংলা জ্ঞান দিয়ে কথা বলতে পারবে? অতদূরেও যেতে হবে না - একজন প্যাথলজিস্ট কলকাতায় বসে আরেকজন মারাঠী দাক্তারের সাথে জাখন কথা বলবেন বা কেরালার নার্সের সাথে তখনও কি বাংলায় বলবেন না সাথে সবাই একটা করে ইন্টারপ্রিটার নিয়ে ঘুরবেন।

    ২) বাঙ্গলা বা যে কোনো আঞ্চলিক ভাষা না জানার মধ্যে কোনো গৌরব আছে মনে হয় কোথাও বলাও হয় নি - কিন্তু সেই ভাষা দিয়ে বিজ্ঞান চর্চা করতেই হবে এমন বাধ্যকতা রাখার কোনো কারণ নেই। আধুনিক বিজ্ঞান চর্চায় ভারতবর্ষ কোনো ক্ষেত্রেই এমন অসাধারণ উৎকর্ষ দেখায় নি যে কোনো আঞ্চলিক ভাষায় সেই একটি ক্ষেত্রের চর্চা লোকে করে যাবে বাইরের বিশ্বে কি হচ্ছে তা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে

    ৩) নেট/গেট জাতীয় পরীক্ষাগুলো যদি সবই ১০০% অবব্জেক্টিভ করা যেত তাহলে তো আর কোনো সমস্যাই থাকত না। কারণ অবজেক্টিভ টেস্টে তো উত্তর লেখার ভাষার সমস্যা নেই। আর যে ইঙ্গরেজী কোশ্চেন পেপার পড়ে বুঝতে পারবে না - সে তো ওই সব বিষয়্বের কোনো আন্তর্জাতিক পেপার ও পড়ে উঠতে পারবে না।

    ৪) CSIR এর গবেষণাগারগূলোতে অনেক পয়সার টানাটানি। দরকারী জিনিস কিনতে পারে না - সেখানে একগাদা ইন্টারপ্রিটার পুষতে যাবে কেন পয়সা দিয়ে যারা লেখা ট্রান্সলেট করে দেবে। যে ইংরেজিতে ভালো গবেষণা করতে পারবে সে ওয়েল্কাম - না হহলে কেটে পড়াই ভালো
    বাংলা ভাষায় WBSc মনে হয় এখন পুরোটাই দেওয়া যায় - সেজন্য মাঝে মাঝে এজকাল সরকারী আমলাদের ইংরেজীতে লেখা টেন্ডার দকুমেন্ট পড়ে দশ পাতার ক্লারিফিকেশান চাইতে হয়। এসব করে পেছনো যায় - এগোনো না

    চীনারা ইঙ্গরেজীর মাহাত্ম্য বুঝে গাঁতিয়ে ইংরেজী শিখতে আরম্ভ করার পর বি পিও মার্কেটের একটা বড়ো অংশ ভারতের হাতছাড়া হয়েছে - এবার এই সব শখের বিজ্ঞান চর্চা করলে ভবিষ্যতে ভালো সংস্থা/শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও আর ভারতীয়দের দেখা যাবে না
  • | 113.42.175.127 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:৩০656686
  • মাতৃভাষায় একটা দূর পর্যন্ত অবশ্যই বিজ্ঞান পড়া দরকার। কিন্তু আজকে দাঁড়িয়ে উচ্চমানের বিজ্ঞান পড়তে গেলে যে ভাষাটির চল সারা বিশ্বে, দুর্ভাগ্যজনকভাবে, তাকে জেনে নিতে বস্তুত বাধ্য আমরা। নইলে ওই বিদেশের বিজ্ঞান আমাদের হাতের বাইরেই থেকে যেতে পারে। (উচ্চমানের) বিজ্ঞানচর্চা না হয় ছেড়ে দেওয়া গেল কিন্তু ‘ঠিকঠাক বিজ্ঞানচর্চা’র একেবারে ভিত্তি যে সময়ে তৈরী হয় তখন? তখন তো মাতৃভাষা ছাড়া উপায় দেখি না (আর স্কুল লেভেলে তো ইচ্ছুকদের মাতৃভাষায় বিজ্ঞান পড়ানোর চল রয়েছে)। কিন্তু মাতৃভাষা নেসেসারি হলেও বিজ্ঞানের ভিত্তিপ্রস্তরটি দৃঢ় করার জন্য তা সাফিসিয়েন্ট নয় বলেই মনে হয়। জীবনে বিজ্ঞানমনস্কতা একটি অত্যন্ত জরুরী বিষয়। ধরুন, সেই ছোটোবেলার পরীক্ষাটির কথা, একটা প্লেটে কিছুটা জল নিয়ে, একটি জ্বলন্ত মোমবাতি দাঁড় করিয়ে গ্লাস উলটো করে চাপা দিয়ে দিলে মোমবাতি নিভে যাবে, খানিকটা জল উঠে আসবে গ্লাসে; এরকম করেই তো লেখা থাকে বইতে (ও, ছবিও থাকে বটে)! কিন্তু সত্যি সত্যি একটি বাচ্চা হাতে কলমে এই পরীক্ষাটি না করে দেখলে কেমন ভাবে তার মন এর ব্যাখ্যা আত্মস্থ করবে (আমরা ল্যাবে-ই প্রথমবার ঢুকতে পেরেছিলাম ক্লাস ১১তে)? বইএর ছাপা অক্ষরগুলোর মধ্যে যুক্তিও ফল্গুধারাই হয়ে থাকবে, এবং বর্তমানে তাই থাকে, লেখাগুলো মুখস্ত করে নামানোর দিকেই নজর বেশি আমাদের। বিজ্ঞান হাতে কলমে শেখা একটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কন্ডিশন। তবে এটিই শেষ নয় এরকম অসংখ্য সমস্যা রয়েছে। শুধুমাত্র মাতৃভাষার অভাবের দিক থেকে দেখলেই ‘ঠিকঠাক বিজ্ঞানচর্চা’র সমস্যার উপর সম্পূর্ণ আলোকপাত হয় না বলেই মনে করি। অথচ এই দিকগুলি নিয়েই সবচেয়ে কম কথা বার্তা চলে আমাদের মধ্যে। ‘ঠিকঠাক বিজ্ঞানচর্চা’য় পৌঁছনোর জন্য এই বিষয়গুলিতে আলোচনাও অত্যন্ত জরুরী বিষয়।
  • সে | 188.83.87.102 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:৪৪656687
  • যাক! বাঁচা গেল। জ এসেছেন শেষ পর্যন্ত।
  • Atoz | 161.141.84.164 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:৫৩656688
  • আফটার তো। আফ্টার ব্রেকফাস্ট, টেক আ হাইক।
    আগে প্রাতরাশ তারপরে প্রাতঃভ্রমণ। ঃ-)
    প্রাতরাশপূর্বক। ঃ-)
  • sthobre | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:৫৪656689
  • একটা জিনিস প্রথমে ঠিক করার ।।।। যদি মনে করেন দাসত্ব আমাদের শাশ্বত ভাগ্যলিপি - এই যেমন দেশী বিদেশী কোম্পানি র চাকুরে বা কল সেন্টার বা বি পি ও বা এইসব একধিক soft-skill based চাকরি শিক্ষার মূল লক্ষ্য তাহলে এই ব্যবস্থা টা যেটা চলছে আর কি সেটাকে আরো খুঁতহীন করে তোলাটাই কাজ আর যদি সেই ভাগ্যলিপি মেনে নেওয়াটাই এক মাত্র কাজ এমন মনে না করেন , তাহলে আত্মনির্ভরশীল আত্মসচেতন এবং আত্মমর্যাদা সম্পন্ন একটা শিক্ষা ব্যবস্থা চাই , আর ভাষা তাকে গুরুত্ব দিতে হবে তার জন্যে । সম্মানের সঙ্গে এবং ব্যাপক ও বহুল পরিমানে তার ব্যবহার সৃজনশীল কাজে করতে হবে । আর নাহলে চিরকাল নিজেদের অবস্থা নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগতে হবে । বৈজ্ঞানিক পরিভাষা কি হলো তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ এই অযৌক্তিক নির্ভরশীলতার চক্রব্যূহ থেকে বেরিয়ে আশা । এবং সেটা সম্ভব । শুধু এই ভারতবর্ষ নাম দেশ টাতে দিনকে দিন এই প্রতিরোধ দুর্বল হচ্ছে । আশার কথা, বাঙ্গালীরা এখনো এসব নিয়ে আলোচনা করে ভাবে ,সম্ভাবনা দেখে । অন্য প্রদেশ গুলো নতমস্তকে এই দাসত্ব কে ভাগ্যলিপি হিসেবে মেনে নিয়েছে । একটা ভয়ংকর ঘটনা আমাদের সময়ে ঘটে চলেছে , এই দেশ টাতে ।
  • sswarnendu | 198.154.74.31 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:৫৪656690
  • @sch

    "অন্যের বক্তব্য না বুঝে যুক্তিহীন ভাবে কিছু ভাট বকে গেলে আলোচনা হয় না।" একদমই!! :)

    "আজ আঞ্চলিক ভাষায় বিজ্ঞান পড়ে এম এস সি ডিগ্রী নিয়ে একজন মাদ্রাজের কোনো ল্যাবে চাকরী পেল। "-- ওপরে আমিও লিখেছি, পাই ও লিখেছেন যে যে অন্যত্র যেতে চাইবে কর্মসূত্রে সে ইংরাজিতেই পড়বে... অসুবিধে কি?
    " কিন্তু সেই ভাষা দিয়ে বিজ্ঞান চর্চা করতেই হবে এমন বাধ্যকতা রাখার কোনো কারণ নেই। আধুনিক বিজ্ঞান চর্চায় ভারতবর্ষ কোনো ক্ষেত্রেই এমন অসাধারণ উৎকর্ষ দেখায় নি যে কোনো আঞ্চলিক ভাষায় সেই একটি ক্ষেত্রের চর্চা লোকে করে যাবে বাইরের বিশ্বে কি হচ্ছে তা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে"--- এরকম কোন বাধ্যবাধকতার কথা কেউ কোথাও বলেনি। "অন্যের বক্তব্য না বুঝে যুক্তিহীন ভাবে কিছু ভাট বকে গেলে আলোচনা হয় না।"
    বরং সব্বাইকে ইংরেজিতেই পড়তে হবে এই বাধ্যবাধকতাটা না রাখারই কথা হচ্ছে।

    "আর যে ইঙ্গরেজী কোশ্চেন পেপার পড়ে বুঝতে পারবে না - সে তো ওই সব বিষয়্বের কোনো আন্তর্জাতিক পেপার ও পড়ে উঠতে পারবে না।"-- সব্বাইকার আন্তর্জাতিক পেপার পড়ার দরকার নাই থাকতে পারে। আর এমনিতেও যারা 'আন্তর্জাতিক পেপার' পড়তে পারেন এবং নেট-গেট দিচ্ছেন তাদের বেশিরভাগ অংশ সেইসব পেপার পড়ে কি বাঘটা মারেন এইরকম প্রশ্ন সৌজন্যবোধে করলাম না ।

    "যে ইংরেজিতে ভালো গবেষণা করতে পারবে সে ওয়েল্কাম - না হহলে কেটে পড়াই ভালো", "এসব করে পেছনো যায় - এগোনো না" এইসব যুক্তিহীন ভাট বকার উত্তর দেওয়াটা বাহুল্য।

    "এবার এই সব শখের বিজ্ঞান চর্চা করলে ভবিষ্যতে ভালো সংস্থা/শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও আর ভারতীয়দের দেখা যাবে না"-- আপনার এই লাইনটা থেকে স্পষ্ট যে যাদেরকে ভালো সংস্থা/শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে দেখা যায় তাদের বাইরে দেশের কোন অংশের মানুষের যে বিজ্ঞান শেখার দরকার আছে এটা আপনি মনে করেন না। কিছু মনে করবেন না, তাই যদি আপনার মতামত হয় তো এই টই টাকে ছাড়ান দিন না, এখানে ঠিক যাদেরকে ভালো সংস্থা/শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে দেখা যায় তাদের বিজ্ঞান শেখানোর পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে না।
  • Atoz | 161.141.84.164 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:০৩656691
  • এই তৎসম ধরণের "বইয়ের ভাষা" যে কী অসুবিধা করে গ্রামাঞ্চলে সেই নিয়ে একজন শিক্ষক বলছিলেন। পড়ানো টড়ানো সব বাংলাতেই হচ্ছে, এদিকে "সূর্যতাপে জলাশয় হইতে জল বাষ্পীভূত হইয়া আকাশে উঠিয়া যায়, সেই হইতে মেঘের সৃষ্টি হয়।" বেশ সোজাসাপ্টা ব্যাপার তো, না?
    একজনকে পড়া ধরা হলো, সে বললো "বাষ্প ভুত হয়ে আকাশে উঠে যায়, সেই থেকে মেঘের সৃষ্টি হয়"।
  • সে | 188.83.87.102 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:১০656692
  • আপনারা আলোচনা চালিয়ে যান। আমি এখন কলম্বো (ইংরেজিতে) দেখবো।
    সবকটা এপিসোড হাতে এসেছে।
  • Atoz | 161.141.84.164 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:১৩656693
  • আর আমি এখন দেখবো মঙ্ক। ঃ-)
  • sthobre | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:১৪656694
  • @AtoZ সেটা কিন্তু বাংলা ভাষায় না পড়ানোর যুক্তি হতে পারে না । কিভাবে বিজ্ঞান এর বই লেখা দরকার সেই শিক্ষার অভাব । ওই কথা গুলো ইংরাজী তে লেখা থাকলে কিন্তু বিজ্ঞান চর্চা খুব ভালো হবে না ।বরং বেশিরভাগ মানুষের কাছে আজ সেটা একটা প্রতিবন্ধকতা । চাকর-বকর মার্কা মনস্কতা নিয়ে যারা এই পরা দেশে এক ফালি সানফ্রান্সিসকো গড়ে তুলে বাঁচতে চান তাদের জন্যে এই মৌরুসী পাট্টা তা সুবিধের । কিন্তু কাল থেকে ভাষার বেড়া ডিঙিয়ে লোকে বিষয় গুলো কে বুঝতে শুরু করলে আর সস্তায় চাকর বাকর তো আর পাওয়া যাবে না - এই তা হলো আসল ভয় সুবিধাভোগী দের।
  • sthobre | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:১৫656696
  • *মানসিকতা
    ** পোড়া
  • Atoz | 161.141.84.164 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:১৯656697
  • সেই কথাটাই প্রথম থেকে বলতে চাইছি। বাংলাতে হোক সব বিদ্যার চর্চা, কিন্তু ভাষা যেন এমন হয় যে অচেনা ঠেকবে না, নিজের ভাষা দূর কোনো "গ্রন্থলোকের ভাষা" মনে হবে না। চেনা মনে হবে, প্রতিদিনের মনে হবে, মনে হবে আরে এ তো আমার মুখের ভাষা, এ তো চিনি!
    আর বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে যেসব বিজ্ঞান হাতেকলমে কাজের উপরে জোর দেওয়া বিজ্ঞান, সেখানে সেইভাবে শেখানো হোক। গ্রন্থলোকের ভাষা ভর্তি পুঁথি মুখস্থ করে ও জিনিস শেখা যায় না।
  • sthobre | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:২০656698
  • @AtoZ
    যদিও বিজ্ঞান চর্চার জন্যে এর সঙ্গেও আরো অনেক পরিকাঠামোগত পরিবর্তন প্রয়োজন । সেটা অনস্বীকার্য । কিন্তু দুটো ক্ষেত্রেই এক মূলগত মিল আছে । যে মানসিকতা শিক্ষার এই পরিকাঠামো র কারণ , সেই মানসিকতা ই ভাষা কে অবজ্ঞার কারণ । কারণ শিক্ষা ব্যবস্থাটাই চাকর-বাকর তৈরির ব্যবস্থা । এখানে সৃজনশীলতা উদ্ভাবন কতকগুলো শব্দ মাত্র। কেও ওগুলো বিশ্বাস করে না । তাই পরিকাঠামো ও সেইরকম ই । যদি সৃজনশীলতা, উদ্ভাবন এসব শিক্ষার লক্ষ্য হত তাহলে পরিকাথামটাও অন্যরকম হত ।সমস্যাটা ওই মানসিকতা।
  • sthobre | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:২২656699
  • আর সেটা হলে কাল থেকে বই ও লেখা হবে অন্যরকম । পদার্থবিদ্যার ক্লাস ও হবে অন্যরকম ।
  • sthobre | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:২২656700
  • *সেটার পরিবর্তন হলে
  • Atoz | 161.141.84.164 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:৩০656701
  • স্তোব্রে,
    যে সমাজে সর্বোচ্চ মানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার সুযোগ পাওয়া ছাত্রছাত্রীরা নিজেরাই পরিষ্কার বলে, পড়ে শুনে বুঝে ভেবে চিন্তে কিছু শিখতে তারা আসে নি, হাই কোয়ালিটি প্রতিষ্ঠানের ডিগ্রীটি বাগিয়ে মোটা মাইনের চাকরি বাগানোই তাদের উদ্দেশ্য-সেখানে যেকোনো ভাষাতে যেকোনো বিদ্যাই চর্চা করা হোক না কেন, ফলাফল একই।
  • sthobre | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:৪২656702
  • যে ব্যবস্থার লক্ষ্য "চাকর-বাকর" তৈরী সেই ব্যবস্থা যারা সেই মানসিকতা যত তাড়াতাড়ি শিখে নেবে তাদের উন্নতির সম্ভাবনা মানে উচ্চ মানের বিদ্যায়তনে এ প্রবেশের অধিকার এবং সম্ভাবনাও বেড়েই যাবে তাই তো স্বাভাবিক । কিন্তু কি বলুন তো ! ওই জায়গা গুলো আবার কুক্ষিগত করে রেখেছে এত বছর জ্ঞান চর্চার সামগ্রিক ফসল তাকেও , তাই কিছু ব্যতিক্রম পাবেন যাদের লক্ষ্য ওই টুকু হাতে পাওয়া বাকিদের মানসিকতা যে এরকম ই বা তার সঙ্গে সামান্য পার্থক্য নিয়ে মতের উপর একই হবে এর মধ্যে আমি কিছু আশ্চর্য দেখি না
  • sthobre | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:৪৩656703
  • * মোটের উপর
  • Atoz | 161.141.84.164 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:৪৭656704
  • এতো এক অলাতচক্র!
    যেখানে এতকালের জ্ঞান ইত্যাদি পুঞ্জীভূত সেখানে ঢুকতে গেলে নিজের মন-মানসিকতা ভোঁতা করে নিতে হবে। কিন্তু ভোঁতা অবস্থায় আর জ্ঞান পেয়েই বা কী না পেয়েই বা কী!
  • - | 109.133.152.163 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:৩৬656705
  • মাতৃভাষী না হলে প্রেমে পড়তে অসুবিধা হয়, এই প্রথম শুনলুম জীবনে! সে যে যাই বলুক, সইত্যের খাতিরে নিজের সীমাবদ্ধতাটুকু জানিয়েই গেলুম।
    বিজ্ঞান ভালোবাসলে ইংরিজিটা একটা সমস্যা?? বরং সেই ভাষাই তো ভালোবাসার ক্ষেত্রটিকে আরও বিস্তৃত করে দেবে!
  • Atoz | 161.141.84.164 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:৫৩656707
  • সেই তো ড্যাশ।
    এই দেখুন না, পাতি বাঙালি আমি সে এ এ এই এইটুকুনি বয়সে নিউটন সায়েবের প্রেমে পড়লাম, শেক্সপিরিয়ান ইংরেজীতে প্রেমালাপ কত্তে হবে সে আর ভাবলাম না! তার পর বলতেও লজ্জা লাগে, এক প্রেম থাকতে থাকতেই পড়ে গেলাম আর্কিমিডিস সায়েবের পেরেমে, গ্রীক ভাষায় যে পেরেমালাপ কত্তে হবে সেও ভাবলাম না। তারপরেই আর্কিবাবুকে ভুলে পড়ে গেলাম বাবর সায়েবের পেরেমে, ঘোড়ায় চড়ে তার পাশে পাশে চলেছি মনে মনে, তুর্কী ভাষার প্যাঁচ একেবারেই মাথায় নেই। আরেকটু হলেই চেঙ্গিজের পেরেমেও পড়ে গিছিলাম পেরায়। বাইপাস করে তৈমুরের নাতি উলুগের সঙ্গে কিছুদিন ঘুরে এলাম। ঃ-)
    --এইরকম সব ঘোর ব্যতিচারী ব্যাপার। ঃ-)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন