এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আসলে অক্সিজেনকে অম্লজান, আর নাইট্রোজেনকে সোরাজান বলতে শিখিনি বলেই বিজ্ঞানচর্চাটা ঠিকঠাক করা গেল না

    শাক্যজিত
    অন্যান্য | ২৯ নভেম্বর ২০১৪ | ৫২৮৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • PT | 213.110.243.21 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ১৯:০৩656756
  • KVPY ইত্যাদি থেকে প্রচুর পয়সা দেওয়া হচ্ছে বারো ক্লাশের ছাত্রছাত্রীদের। তার জন্য সব চাইতে উজ্জ্বল ছাত্রছাত্রীরা বিজ্ঞান পড়তে আসছে এমনটি হলপ করে বলা যাবে না।
  • sswarnendu | 198.154.74.31 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ১৯:১১656757
  • @PT
    একদম ঠিক, এটাও আর একটা দিক । সামাজিকভাবে কিভাবে দেখা হয়।
  • <> | 105.130.15.253 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ১৯:৪৭656758
  • আমরা হাতুড়িকে হাতুড়ি বলি অথচ চক্রদন্ডককে বলি স্ক্রু ড্রাইভার

    সবই ঔপনিবেশিক প্রঝুলন
  • Atoz | 161.141.84.164 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ২২:০৯656759
  • আজ্ঞে স্যর, অসুবিধা আছে। একে তো কণাবাদী ক্ষেত্র ব্যাপারটাই একটা দুর্বল ট্রানস্লেশন, তার উপরে ক্ষেত্র কথাটা কনফিউজিং, এটার নানাধরণের মানে। যেমন একটা মানে ক্ষেত, ধান্যক্ষেত্র ধানক্ষেত। আরেকটা মানে বিষয়, এই যেমন এই ক্ষেত্রে এই হচ্ছে ঐ ক্ষেত্রে ঐ হচ্ছে। আরো বহু ব্যবহার আছে ক্ষেত্রের। যেমন কিনা ক্ষেত্রজ সন্তান। ক্ষেত্রী।
    ওদিকে "ফিল্ড" একেবারে সেই ফ্যারাডের আমল থেকে সংজ্ঞায়িত, আইডিয়াটাই ফ্যারাডে দিয়েছেন নামসমেত। অন্য সাধারণ ব্যবহারের ফিল্ড এর সঙ্গে গোলাবে না।

    সালোকসংশেষ শুনতে চমৎকার, কিন্তু ভেঙে ভেঙে বিচার বিশ্লেষণ করুন। কনফিউজিং। সালোক অংশটা সোজা। আলো সহকারে। কিন্তু সংশ্লেষ? সাধারণ বাংলায় কথা বলা লোক এটার মানে অনেকেই জানে না। বেশ সমস্কিত টাইপ বাংলা জানা লোকেরা হয়তো জানে।
    কিন্তু সিন্থেসিস, ছোটো ছোটো জিনিস মিলিয়ে বড়ো জিনিস বানানো-এটা অনেকেই জানে। মানে সংশ্লেষ যত বাংলা ব্যবহারকারী জানে তার চেয়ে অনেকে বেশী ইংরেজী ব্যবহারকারী সিন্থেসিস কথাটা জানে অর্থসমেত।

    ভেক্টরকে সদিশ করলে দুর্বল একটা ট্রানস্লেশন হয়, কারণ দিশ(দিক) ভেক্টরের একটা প্রপার্টি, এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ প্রপার্টি আরো আছে। বিশেহ্ষ করে ভেক্টর যোগের ব্যাপারটা। ভেক্টর(ক্যারিয়ার) দিয়ে সেইটা সোজাসুজি ধরা যায়। এখন সেইজন্য যদি সদিশবাহক করতে চান বাংলায়, আরো ভজঘট অবস্থা হবে। ঃ-)
  • pi | 24.139.221.129 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ২২:১৪656760
  • বাংলা মাধ্যম থেকে এসে ইংরাজীতে পড়া চাপের তো। অনেকেরই চাপ হত। এই চাপটা না থাকলে অনেকেই আরো অনেক ভাল করতে পারতো।
  • PT | 213.110.246.23 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ২২:৪৫656761
  • এই টইটা আস্তে আস্তে এক কেলাস থেকেই ইন্জিরি শেখানো উচিতের দিকে পা বাড়াচ্ছে!!
  • pi | 233.176.62.220 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ২২:৫০656762
  • না না আপনি সেটা আনতেনই। সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন আরকিঃ), যাহোক আমার দিক দিয়ে ক্লিয়ার করে দি। আমার পোস্টে এক ক্লাসের ইঙ্গ্রাজী নিয়ে কোন বক্তব্য ছিল না।উচ্চশিক্ষায় বাংলা ভাষায় শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে ছিল।
  • PM | 233.223.159.97 | ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ২৩:২১656763
  • বিজ্ঞানে উচ্চ শিক্ষায় বাংলা ভাষা কি চলে আদৌ? সান্মানিকে কাউকে বাংলায় পড়তে দেখি নি। ফিনার, মরিসন বয়েড, অ্যাট্কিন্স ইত্যাদি সমতুল্য বই কি আছে বাংলায়? যদি বাংলা ভাষায় অনার্স বা মাস্টার ডিগ্রীতে কেউ না পড়ে তাহলে এই তর্কটার মনে কি?
  • Pi | 233.176.62.220 | ০১ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:৫৫656764
  • পড়েনা বলে বই নেই না বই নেই বলে পড়েনা ?
  • sthobre | ০১ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:১৪656766
  • মূল সমস্যটা হলো ইংরাজি ভাষার অপরিহার্যতা - এই দৃষ্টিভঙ্গির । পরিভাষা শব্দ গুলো সমস্ত ক্ষেত্রেই একটা ভাষা থেকে অনেক দুরের যেমন সালোকসংশ্লেষ বাংলা ভাষায় নিত্য ব্যবহৃত শব্দ গুলোর একটা নয় ,(যদিও আমার মনে হয় বাংলা ভাষা চর্চার প্রতি একটু যত্নবান হলে সালোকসংশ্লেষ শব্দ টা যখন প্রথম বার কেউ পড়বে সেটা ফটো সিনথেসিস এর থেকে অনেক বিষয়টিতে ঢোকার ক্ষেত্রে বা এই অতি প্রয়োজনীয় পারিভাষিক শব্দ টিকে মনে রাখার ক্ষেত্রে অনেক সহজ) । photo synthesis ও একটা নিত্য ব্যবহৃত শব্দ নয় ইংরাজী ভাষাভাষী দের কাছে । যেকোনো জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় শব্দ গুলো আলাদা করে শেখার ই। সমস্ত ভাষাভাষীর লোকেদের ই তাই করতে হয় । নিত্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে শব্দের যে অর্থ তার থেকে অর্থের ও বদল হয় যখন তা কোনো বিষয় এর terminology হয়। সেগুলো আলাদা করে শেখার ই । ইংরাজী ভাষা অপিরিহার্য এই বিজ্ঞান চর্চার জন্যে - এই বক্তব্য ঔপনিবেশিক নেশ্গ্রস্ততা ছাড়া আর কিছু নয়।
    @ AtoZ field শব্দ তা paddy field এর জন্যেও ব্যবহার হয় সুধু electric বা magnetic নয় । তা ছাড়া field এর গণিতে অন্য এক মানে । আরো আছে field experince field book field note এগুলোতে field এর মানে ও অন্য রকম ।আরো হাজার তা আছে । তাই সেটা কোনো সমস্যার নয় বাংলায় লেখা একটা পদার্থবিদ্যা র বই তে ক্ষেত্র এর মানে কি সেটা বোঝা।

    তেমনি ভাবে আমি চিরকাল জেনে এসেছি সিনথেসিস মানে সংশ্লেষ । সিনথেসিস তা আমাকে কষ্ট করে শিখতে হয়েছে । যদিও তার অসংখ্য অর্থ দাঁড়াতে পারে জ্ঞানচর্চার শাখা ভেদে।
    এটা সমস্ত পারিভাষিক শব্দের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

    এই যুক্তি তে ইংরাজি ভাষার অপরিহার্যতা প্রমান এর চেষ্টা আসলে হয় এক ধরণের ভ্রান্তি। বহুব্যবহারে সেগুলো হয়ত আর অত আনকোরা মনে হবে না । আর এটা বাংলা ভাষার দোষ নয় । সব ভাষার ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য ।
  • sthobre | ০১ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:৩৭656767
  • এটা হতে পারে যে, নিজের ভাষার প্রতি বহুকালের অযত্ন আর সাহেবী অনুকরণের প্রবল আগ্রহে কোনটা স্বাভাবিক , কোনটা সহজ , কোনটা জটিল , কোনটা স্বতঃপ্রতীয়মান এগুলো আমাদের ঘুলিয়ে গেছে । যেমন আমার গ্রাম এর সব গুলো রেশন কে বলে "কন্ট্রোল"(নানান উচ্চারণে) জানি না রেশন এর জায়গা কন্ট্রোল শব্দের শব্দ টা দিয়ে স্থানাতরিত হওয়ার ইতিহাস কি ? কিন্তু সেটা আজ তাদের কাছে স্বাভাবিক।

    এই ধরুন ভেক্টর শব্দ টার একাধিক মানে আছে । কিছু না একবার wikipedia তে গিয়ে একটু খুঁজলেই পাবেন । বায়োলজি তেও ভেক্টর আছে তার তিনটে সাব-discipline এ তিনটে মানে । অত ধান ভাঙ্গতে শিব এর গীত গেয়ে লাভ নেই । এমন কি গণিত এবং পদার্থ বিদ্যায় যে অর্থে ভেক্টর ব্যবহার হয় তাতেও বিস্তর ফারাক (কেবল মাত্র n ডাইমেনশন এ সাধারণীকরণ নয় ) ।
    তাই পারিভাষিক শব্দের অর্থ খুব চত্ব পরিসরে ঘোরাফেরা করে । তাই সেগুলো আলাদা করেই শিখতে হয়। ইংরাজি ভাষা তে শেখার সুবিধে একটি ই কারণ গত দুনিয়ায় প্রায় সেটা কে বিজ্ঞান চর্চার মাধ্যম হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছে ।
    তাই অপরিহার্য নয় কেবল মাত্র সুবিধা গত একটা যুক্তি খাড়া করা যেতে পারে । পারিভাষিক শব্দ টুকু স্বীকার করে নিয়ে বাকি আলোচনা স্থানীয় আদান প্রদান তাই অনেকংশে বিজ্ঞান চর্চা কে ছড়িয়ে দিয়ে সাহায্য করবে ।

    আর মাত্রই ভাষায় বিজ্ঞান চর্চার বহু সুবিধের মধ্যে প্রধানটি হলো, কোনো বিষয় এর যথার্থ অনুধাবন করতে একটা বিজাতীয় শব্দের সাহায্য না নিয়ে নিজের চেনা শব্দ ব্যবহার । তবে যেখানে অক্সিজেন একটি বহু প্রচলিত শব্দ সেটাকে অম্লজান দিয়ে স্থানান্তরিত করার বিশেষ মানে আমি দেখি না ।
  • sthobre | ০১ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:৩৯656768
  • *ছোটো পরিসরে
    *স্থানীয় ভাষায় আদান-প্রদান
  • sswarnendu | 198.154.74.31 | ০১ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:৫১656769
  • ভেক্টর যোগের ব্যাপারটা কি করে ভেক্টর(ক্যারিয়ার) দিয়ে সোজাসুজি ধরা যায় সেইটা অনেক মাথা চুলকেও ভেবে পেলুম না ।

    @sthobre
    "তবে যেখানে অক্সিজেন একটি বহু প্রচলিত শব্দ সেটাকে অম্লজান দিয়ে স্থানান্তরিত করার বিশেষ মানে আমি দেখি না ।"-- আমিও দেখিনা, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই সুবিধা গত একটা যুক্তিও নেই, শুধুই ইংরাজি ভাষার অপরিহার্যতা প্রমান এর চেষ্টা।
  • pcm | 212.54.102.201 | ০১ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৬:২০656770
  • ইংরিজি নয় একটি ভাষাতেই করা গেলে সুবিধা। এর কারণ ভাষা এখানে উদ্দেশ্য নয়। ঐ একটি ভাষার স্বাভাবিক চয়েস ইংরিজি।
  • সে | 188.83.87.102 | ০১ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৬:৩০656771
  • টইটি যিনি খুলেছেন তিনি কোনো পোস্ট করেন নি।
  • pcm | 212.54.102.201 | ০১ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৬:৩৩656772
  • শুকনো খড় দেখে আগুন ঠুকে কেটে পড়েছেন হয়তো। অবশ্য নিক পাল্টে পোস্ট করতে পারেন।
  • b | 135.20.82.164 | ০১ ডিসেম্বর ২০১৪ ১২:২৫656773
  • "কিন্তু সিন্থেসিস, ছোটো ছোটো জিনিস মিলিয়ে বড়ো জিনিস বানানো-এটা অনেকেই জানে"

    মাক্কালী বলছি, জানতুম না। তা, ঐ বাইগনকে প্রাণনাথের (এবং বিপরীতক্রমে) কেস।
  • Atoz | 161.141.84.164 | ০১ ডিসেম্বর ২০১৪ ২০:৩৩656774
  • অ।
    সংশ্লেষ মানেটা জানতেন বুঝি? ;-)
  • quark | 87.192.245.215 | ০২ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৪:১৩656775
  • ঠিক বুঝছি না।

    জার্মানরা তো এখনো ইংরেজি diffractionকে তাদের ভাষায় beugung ই বলে, কিম্বা calculationকে বলে berechnung। তাতে তাদের কি খুব কষ্ট হয় নাকি?

    এখন আমরা যদি "গণনা"র বদলে "ক্যালকুলেশন" বলে আনন্দ পাই আর বলি ও "গণনা" কথাটা আমাদের রোজকার কথাবার্তায় বলি না, তাইলে কিছু বলার নেই।

    আমাদের দু বাঙালীর বৈজ্ঞানিক আলোচনা খানিকক্ষণ হতভম্ব হয়ে শোনার পর পাশে বলা এক জার্মান বলেছিলেন, তোমরা এটা কোন ভাষায় কথা বলছ? ইউ ডোন্ট ইভেন রিয়্যালাইজ দ্যাট ইউ আর মিক্সিং টু ল্যাঙ্গুয়েজেস।
  • b | 135.20.82.164 | ০২ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৯:২৭656777
  • তা তো বলি নাই। আর ক্লাশ সিক্স থেকে ইংরিজি পড়িচি কি না, তাই সিন মানেও জানতুম নে, সিন-থেসিস তো পরের কতা।
    চালিয়ে নিচ্চি, অসুবিদা হয় নি।
  • de | 24.139.119.173 | ০২ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৬:০২656778
  • বাংলায় ঠিকঠাক বিজ্ঞান চর্চা করা গেলে শহরের ছেলেপিলেদের কিছুই আসবে যাবে না - তবে গ্রামে গঞ্জে আর দুচারটি ভালো ছেলে বিজ্ঞানটাকে ভালোবেসে শিখবে। অনেক সময়ে ইংরাজীর ভয়েই তারা পিছিয়ে যায়।

    সেভাবে বিজ্ঞানচর্চাকে মাতৃভাষায় ছড়িয়ে দেওয়া গেলো না - এটা আমাদের অপারগতা। বাংলাভাষার নয়। প্রায় সমস্ত ইউরোপিয়ান কান্ট্রি আর চীন-জাপান যখন এতো ভালোভাবে পেরেছে - আমাদেরও পারা উচিত ছিলো।
  • sswarnendu | 198.154.74.31 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৪:১৩656779
  • এখনো পারাই যেতে পারে, চেষ্টা অন্তত করাই উচিৎ।
  • সে | 188.83.87.102 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৪:২৩656780
  • আমার প্র্যাক্‌টিক্যাল অভিজ্ঞতা আছে এই চেষ্টার। আমি নিজে এটা করেছি। কলেজে। খুবই যন্ত্রণাদায়ক। খাতা দেখবার লোক নেই। টিচাররা কেউ বাংলায় পড়ান নি। উপরন্তু রেগে গেছেন বাংলায় লিখেছি বলে। বলেছেন, কী? বিপ্লব করতে চাও? বই ছিলো না তখন বাংলায়। মোট দুটো কি তিনটে বই ছিলো, তাও সমস্ত বিষয় কভার করত না।
    অথচ যখন ধুত্তোর বলে বিদেশে পড়তে চলে গেলাম সেখানে, ঐ আন্ডারগ্র্যাড স্তরেই মাতৃভাষায় সমস্ত পড়ানো হোতো। পোস্ট গ্র্যাড স্তরেও। কারন তাদের পরিকাঠামো আছে। পরিভাষা আছে। তারা উন্নত দেশ। পয়সা আছে তাদের।
    কোনো থিয়োরিটিকাল কথা বলছি না। এ আমার নিজের অভিজ্ঞতা। দেখে নয়, ঠেকে শেখা।
  • সে | 188.83.87.102 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৪:২৯656781
  • প্রশ্নপত্র ইংরিজিতে সেট হোতো, বাংলায় নয়। শিক্ষকরাই তো বাংলায় পরিভাষা জানতেন না। ডেফিনিশন গুলো তো বাংলায় নেই। ডেফিনিশন তো ঠিক "বুঝিয়ে বলো" নয়, ওটার গঠন অন্যরকম। ক্লাস টেস্টে বাংলায় লিখেছি, টিচারেরা রেগে কাঁই। তাছাড়া হাসি ঠাট্টা রগড়। ইংরিজি বই, ইংরিজি ক্লাস নোট বাংলায় অনুবাদ করে করে নিজের নোট বানাতাম বাংলায়। আগে বাংলায় পড়াবার শিক্ষক তৈরী হোক, বাংলায় বই হোক, তারপরে ছাত্র আসবে।
  • - | 109.133.152.163 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৪:৩৫656782
  • দে ৪টে২-কে কি একটা ঙ দিতে পারি? চীনে-জাপানে বা ইউরোপের যে দেশ গুলির কথা বলা হচ্ছে, সেখানে অ্যাটলিস্ট গোটা দেশটা একই ভাষায় কথা বলে। ভারতে সেই চেষ্টা করা যাবে কি করে?
    নেট-গেটেই পৌঁছাতে পারবে না কেউ।
    বরং বাংলাদেশ এক্ষপেরিমেন করে দেখতে পারে।
  • sswarnendu | 198.154.74.31 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৫:০২656783
  • "আগে বাংলায় পড়াবার শিক্ষক তৈরী হোক, বাংলায় বই হোক, তারপরে ছাত্র আসবে।" --- একদমই একমত। ছাত্র-ছাত্রীদের দোষ নেই তো। পরিকাঠামোটা দরকার ।
  • sswarnendu | 198.154.74.31 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৫:১৩656784
  • হ্যাঁ সেই... বাংলা নিয়ে আমরা আর ভেবে কি করব? আমরা এমনিই বাংলায় কথা বলিনা-- এসব শুনে আধা হিন্দি আধা ইয়াঙ্কি টানে " WTF!!! How ridiculous!!!! Dude, this is so uncool!! sab bakwas" বলব। বাংলা নিয়ে আমরা ভাবব কেন? বাংলাদেশ আছে কি করতে? :)
  • দেব | 111.221.128.125 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৭:৩১656785
  • আমার মনে হয় ব্যাপারটা আসলে উল্টো। বিজ্ঞানচর্চাতেই আমাদের সেরকম কোন উৎসাহ নেই এবং সেইজন্য বাংলা-ইংরিজি ভাষার ইস্যুটাই এখানে গৌণ। উৎসাহ থাকলে যেকোন বিষয়ের চর্চা নিজের থেকেই মাতৃভাষায় হয়। "শব্দগুলো শুনতে অদ্ভুত লাগে" - এটা কোন সমস্যাই নয়। নিয়মিত ব্যবহার করলেই আর লাগবে না। আমরা ইতিহাস, দর্শন বা রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করার সময় এই গুরুতেই গুচ্ছের ভারী ভারী শব্দ ব্যবহার করি।

    অবশ্য এটা ঠিক যে বাংলা ভাষার একটা মারাত্মক দুর্বলতা রয়েছে। বাংলাতে নতুন ক্রিয়াপদ বানানো কঠিন। 'প্রতিফলিত হয়ে' না বলে 'প্রতিফলিয়ে' বললে অনেক সোজা হয়। কিন্তু লোকে নেবে না।

    আসলে চর্চাটা হবে পশ্চিমে আর আমরা তার অনুবাদ করেই বাংলাতে বিজ্ঞানচর্চা টিকিয়ে রাখতে পারব এটা সম্ভবই না।
  • sm | 233.223.152.179 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৮:৩৭656786
  • ক্লাস টুএবেল্ভ অব্ধি সায়েন্স, প্রচুর লোকে বাংলায় পড়ে।কোনো অসুবিধে হয় বলে শুনিনি।আগে ফিসিক্স এ দত্ত পাল চৌধুরী র বই এর বাংলা ভার্সন ছিল না পরে সেটি প্রকাশিত হয়।
    দেখা যাক এই বই গুলো কিরকম ভাবে লেখা হয়। ধরুন কলন বিদ্যা বইতে লেখা থাকে, আমরা ক্যালকুলাস বলেই অভ্যস্ত।
    ত্রিগোনামেত্রী কে ত্রিকোণমিতি বলি। আবার ফটো সিনথেসিস কে সালোক সংশ্লেষ ই বলে থাকি।
    অক্সিজেন কে অক্সিজেন বলি, খামকা অম্লজান বলে জটিলতা বাড়াই না।
    কন্ডাক্টর কে পরিবাহী ও বলি আবার কন্ডাক্টর ও বলি। ফিসীয়লোজি কে শারীর বিদ্যা বললে ভালই শুনতে লাগে তো!
    অর্থাত ছাত্ররা নিজের মত এডাপ্ট করে নেয়। যারা বই লেখেন তাদের এই দিক টির দিকে নজর রাখা উচিত।
    যে টার্ম গুলি তে জিব্হভা সর গড় সেই টার্ম গুলি কেই বেশি ব্যবহার করা উচিত। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরো বেশি বাংলা টার্ম পরিচিতি পাবে।
    উচ্চ শিক্ষা তেও, অসুবিধে হবার কথা নয়। কারণ কেউ যদি কেমিস্ট্রি ( রসায়ন; দেখুন দুটি শব্দের সঙ্গেই আমরা পরিচিত ও অভ্যস্ত) তে পোস্ট গ্রয়াদ করে, সে দ্বাদশ শ্রেণী তেই ৯০ শতাংশ বাংলা পরিভাষার অলরেডি সঙ্গে পরিচিত হয়ে গেছে। বরঞ্চ জোর করে ইংরিজি চালু করা টা, তার পক্ষে বোঝা হয়ে দাড়ায়। অর্থাত ফিনার বা বয়েড এর বঙ্গানুবাদ ভালো রকম সম্ভব।আমার পোস্টেই দেখুন কত ইংরিজি শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। তাতে লেখা টা বেমানান লাগে না তো।
    বাংলা দেশে শুনেছিলাম কেউ গ্রে সাহেবের এনাটমি বই এর বঙ্গানুবাদ করেছেন। যদি করে থাকেন সাধু প্রচেষ্টা।

    সে যদি একটু বিশদে লেখেন, ইউরোপের দেশ গুলি প্রথম শ্রেণী থেকে উচ্চ শিক্ষা অবধি কি মাধ্যমে পড়াশোনা করে। তারা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ইংলিশ ভাষার সঙ্গে কিভাবে সর গড় হয় বা বিনিময় করে থাকেন?
  • ব্র্যাকেট | 56.165.223.217 | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৯:৪১656788
  • বন্ধনীর মধ্যে "সালোক সংশ্লেষ (Photo Synthesis)" একই শব্দ দু'ভাষায় কী লিখে দেয়া যায় না? ব্র্যাকেট আছে কী করতে?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন