এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • হেঁশেল থেকে কিচেন – বাঙ্গালির দিন বদলের পালা

    Somen Dey লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ০৪ জানুয়ারি ২০১৫ | ২৭০৩৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Somen Dey | ০৪ জানুয়ারি ২০১৫ ১৭:০০667145
  • হেঁশেল থেকে কিচেন – বাঙ্গালির দিন বদলের পালা (১)
    --------------------------------------
    বাঙ্গালির নাকি পঁইষট্টি রকমের গান আছে । আর ব্যাঞ্জন যে কতরকমের আছে তার কোনো যথাযথ হিসেব নেই । তা নিয়ে কোনো গবেষণা হয়েছে বলে আমার জানা নেই।অথচ এই বিষয়টার মধ্যে কিন্তু বাঙ্গালির সমাজতত্ব , অর্থনীতি , নান্দনিক ভাবনা অনেক কিছুই লুকিয়ে আছে । এ পার ও পার বাংলার রান্নার চরিত্রগত ভেদাভেদ তো আছেই , তা ছাড়াও অঞ্চল ভিত্তিক নানা রকম সুক্ষ বৈশিষ্ঠও আছে ।তার ঠিকঠাক একটা ইতিহাস লিপিবদ্ধ করা বোধহয় খুব দরকার।
    আমি অবশ্য সে চেষ্টা করছি না ।নেহাত একজন ভোজন রসিক (পড়ুন পেটুক ) বাঙ্গালি হিসাবে বাঙ্গালির রন্ধন সংস্কৃতি ব্যাপারটাকে একটু বুঝবার চেস্টা করছি ।বাঙ্গালির রান্নাঘরে এই কিছুদিন আগে পর্যন্ত বাড়ির প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের প্রবেশ নিষেধ ছিল । যৌথ-পরিবার ভেঙ্গে যাওয়া আগের কালে পুরুষদের দায়িত্ব ছিল মাছ ও আনাজ ভর্তি বাজারের থলে রান্না ঘরের দোরে নামিয়ে দেওয়া অবধি । রান্না ঘর ছিল নিরঙ্কুশ নারী জগৎ ।
    একটা সময়ে রান্নাঘরই ছিল বাঙ্গালি বধুদের অঘোষিত কারাগার। রবি ঠাকুরের ‘মুক্তি’ কবিতার সেই বিখ্যাত লাইন তো সকলের জানা - ' রাঁধার পরে খাওয়া আবার খাওয়ার পরে রাঁধা , বাইশ বছর এক চাকাতেই বাঁধা ' এ দুটি লাইনেই সেই সময়ের সংসারে মেয়েদের একটি অতি সুস্পষ্ট অবস্থান সুন্দর আঁকা হয়ে যায়। সে প্রসঙ্গ এখন থাক । রান্নাঘরে ফিরে আসি । রবীন্দ্র নাথের গল্প রান্না ঘরে বিশেষ না ঢুকলেও শরৎ বাবু বার বার ঢুকেছেন । কারন তিনিই প্রথম হেঁশেলের অধিষ্টাত্রী বঙ্গনারীর কথা সাহিত্যে আমদানী করেছেন । তাদের আশা নিরাশা স্নেহ বাৎসল্য মান-অভিমানের কথা বলেছেন । কৃষ্ণকামিনী দেবী-রাসসুন্দরী-সৌদামিনী-নিরুপমাদেবী-আশাপূর্নাদেবীরা নিজেদের অভিজ্ঞতার আলোকে সেই রান্নাঘরের পটভুমিতে সেকালের সমাজের আরো স্পষ্ট ছবি এঁকেছেন ।
    বাংলা সিনেমায় রান্নাঘর অনেকবার অনেক ভাবে এসেছে । মৃনাল সেনের ‘চালচিত্র’ ছবিতে বাঙ্গালির রান্নাঘরে কয়লার উনোন থেকে গ্যাসের অভেনে উত্তরনের টানাপোড়েন নিয়ে একটি ছবি। তপন সিনহা পরিচালিত ‘গল্প হলেও সত্যি’ ছবিতে যৌথ পরিবারের রান্নাঘরের ছবি চমৎকার ভাবে দেখানো হয়েছিল । সেই বাড়ির সব শাশুড়ী-বৌরা মিলে রান্না ঘরের কাজ ভাগ করে নেওয়া , বাবা-কাকা-ভাইরা মিলে এক সঙ্গে আসন পেতে খেতে বসা সেই সব হারানো অতীতের একটি সুন্দর দলিল হয়ে আছে ছবিটি।

    কালের নিয়মে দিন পাল্টেছে ।বাড়ি হয়েছে ফ্ল্যাট ।খেতে বসার পিঁড়ে হয়েছে ডাইনিং টেবিল , খাবার রাখার মিটসেফ হয়েছে ফ্রিজ , কাঁসার বাসন হয়েছে স্টেনলেস স্টিল , হেঁশেল হয়েছে কিচেন ।এখনকার অনু পরিবারের একটি কিচেনে দু জন প্রমান সাইজের মানুষের একসঙ্গে ঢোকাই বেশ মুস্কিল ।অনেকে মিলে রান্না করারা প্রশ্নই ওঠেনা ।ভাঁড়ার ঘর বলে কিছু নেই । মডুলার কিচেনে স্পেস সেভিংস এর নানারকমের উদ্ভাবনী শক্তির প্রদর্শন । বাথরুমের মতই কিচেন ও একটি জৈবিক প্রয়োজন মেটানোর জায়গা। তাই যতটুকূ না হলে নয় ততটুকুই বরাদ্দ ওই দুটি জায়াগার জন্যে। কিচেন আর এখন ‘লেডিজ অনলি’ নেই ।স্বামী-স্ত্রী যে যখন সময় পায় চটজলদী রান্না বানিয়ে খেয়ে নেওয়া । এখন আর ' গৃহ কর্মে নিপুনা' পাত্রী খোঁজা হয় না । বরং গৃহকর্মে নিপুন পাত্র পেলে ভালো হয় হয়। প্রকাশ্যে অবশ্য সেটা বলা হয় না । তবে অনেক সদ্য বিবাহিতা মেয়েদের আজকাল বলতে শুনি তারা রান্না শিখেছে তাদের বরের কাছে। অতয়েব বাঙালি মেনে নিয়েছে নিজের বাড়িতে রান্না করা আর মোটেই অপৌরুষেয় কাজ নয় । হয়তো সেটা প্রগতির লক্ষন ।
    আর মাটিতে বসে খাওয়া সে তো কবেই উঠে গেছে । আসন বা পিঁড়ে কদিন পর মিউজিয়ামে দেখা যাবে । ইংরেজরা কিন্তু দুশো বছরের শাসন কালে বাঙ্গালিকে টেবিল চেয়ারে খেতে শেখাতে পারেনি । ইংরেজ যাবার পরেই বাঙালিবাড়িতে টেবিল চেয়ার ঢুকে পড়ে ।
    তবে বাঙ্গালির রন্ধনকলা কে যদি একটু পিছিয়ে গিয়ে ভালো করে নিরীক্ষন করার চেষ্টা করি তা হলে দেখবো সেখানে আছে আমাদের লোকশিল্প বা লোকগানের মত অকৃত্তিম সৃষ্টিশীলতার ছাপ । যে হেতু আমাদের রান্নাঘর ছিল পরিপূর্ন ভাবে মেয়েদের দখলে তাই আমাদের রন্ধনশিল্পে যা কিছু সৃষ্টিশীলতা তার সম্পুর্ন কৃতিত্ব মেয়েদের । পুরুষ মানুষরা প্রায়ই বলেন মেয়েদের আর যাই গুন থাক সৃষ্টিশীলতায় ছেলেরা অনেক এগিয়ে । তাই মেয়েরা ঘরে ঘরে গায়িকা হন বটে কিন্তু সুরকার হাতে গোনা । কারন ওটা সৃষ্টির জগত । এ ছাড়া চলচ্চিত্র-নাটক পরিচালনা , ছবি আঁকিয়ে , ছবি তুলিএ , উপন্যাস রচনা এ সব জায়গার মেয়েদের প্রতিনিধিত্ব ছেলেদের তূলনায় অনেক কম । কিন্তু মেয়েদের অসাধারন উদ্ভাবনী শক্তির পরিচয় পাওয়া যায় আমাদের রন্ধন সংস্কৃতিতে ।
    হয়তো এতে প্রমান হয় মেয়েদের হাতে কোনো কিছু সম্পুর্ন ভাবে ছেড়ে দিলে তবেই পাওয়া যায় তাদের উদ্ভাবনী শক্তির আসল পরিচয় ।
    আমাদের নারীদের কাছে রান্না ব্যাপারটা শুধু কান্নার জগত ই ছিলনা । ওটা তাদের আত্নপ্রকাশেরও জগত ছিল হয়তো ।

    রান্না যে শিল্প সেটা সুকুমার রায় স্বীকৃতি দিয়েছেন । খাইখাই কবিতার এক জায়গায় বলেছেন- ' রুটি লুচি ভাজাভুজি টক ঝাল মিস্টি
    ময়রা ও পাচকের যত কিছু সৃষ্টি'
    অর্থাৎ পাচকরা যা করেন তাকে সৃষ্টি বলে । উঁচু দরের শিল্পের সব গুনই রন্ধন শিল্পে আছে । আর আমাদের বাঙ্গালি রান্নাঘরে যা কিছু সৃষ্টি হয়েছে তার কদর ঠিক মত হয়নি এই কারনে যে আমাদের ব্যাঞ্জন গুলি ঠিক ' হাটে বিকোবার ধন নয় ' অর্থাৎ ব্যাবসার প্রয়োজনে নয় , শিল্পরসিকের প্রসংশা পাবার জন্যে নয় , সৃষ্টি হয়েছে পরিবারের ভালোবাসার মানুষগুলি কে খুশি করা জন্যে ।
    ইংরেজরা দুশো বছর এ দেশে থেকেও বাঙ্গালি রান্নায় যে আগ্রহ দেখান নি তার কারন বাঙ্গালির কীর্তন ভাটিয়ালি আউল বাউল এবং রবিঠাকুরের গানের মত বাঙ্গালির ব্যাঞ্জন গুলিরও রন্ধ্রে রন্ধ্রে আছে বাঙ্গালিয়ানা।আর এমনিতেও নাক উঁচু ইংরেজরা দুনিয়ার কারো কাছে কিছু নেওয়ার আছে বলে মনে করত না।
    এই তো কিছুদিন আগে পর্যন্ত একান্নবর্তী পরিবারে উঁকি মারলে দেখা যেত দাদু থেকে নাতি সবাই মিলে লম্বা বারান্দায় আসন পেতে খেতে বসেছে আর বাড়ির বৌ-ঝিরা পরিবেশন করছে । একেক বৌ একেকটি পদ রান্না করেছে , শাশুড়ির তদারকিতে ।
    কোনো পদ মুখে দিয়ে কর্তার মুখে 'বাহ' শুনলেই বৌটির আর আনন্দের সীমা নাই ।এর চেয়ে বেশি আর কিবা চাওয়ার ছিল তার । আমাদের আধুনিক হয়ে ওঠার মুল্য দিতে অবশ্য এই ছবি হারিয়ে গেছে আমাদের জীবন থেকে। এখন সেই বৌটির অনেক চাহিদা । একটি আলাদা ফ্ল্যাটে তার নিজের সংসার চাই । ঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসার স্বাধীনতা চাই । অন্য কারো হস্তক্ষেপ-বিহীন একটি রান্নাঘর , থুড়ি কিচেন চাই ।
    (প্রথম পর্ব )
  • | ০৪ জানুয়ারি ২০১৫ ২০:৫৭667240
  • খুবই ক্লিশে টাইপ লেখা। খুবই গতানুগতিক ধরণের চিন্তাধারা। একেবারেই পোষালো না লেখাটা। বরং শেষ প্যারা ও আরও কয়েক জায়গা পড়ে বেশ মোজা জ্বললো।

    "অতয়েব বাঙালি মেনে নিয়েছে নিজের বাড়িতে রান্না করা আর মোটেই অপৌরুষেয় কাজ নয় । হয়তো সেটা প্রগতির লক্ষন ।"
    হয়তো? হয়তো??

    লেখায় উল্লিখিত 'আগের কালে' মানে কোন টাইমফ্রেম? বল্লল সেন, লক্ষ্মণ সেন বা তারও আগে গোপাল, ধর্মপালেদের রাণীরা রান্না করত বলছেন? পাচক টাচক ছিল না?

    বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম দুটি রান্নার বই 'পাকরাজেশ্বর' ও 'ব্যাঞ্জন রত্নাকর'।

    ১৮৩১ সালের ১লা অক্টোবর 'সমাচার দর্পণ'এ 'নুতন গ্রন্থ' শিরোনামে 'পাকরাজেশ্বর'এর আবির্ভাব ঘোষণা করা হয়় বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশন প্রকল্প সম্পর্কে বলা হয়েছে বইটির উৎস "শ্রীযুক্ত বিক্রমাদিত্য মহারাজাধিকারে সংস্কৃত সুপশাস্ত্র সংক্ষেপে সংগ্রহর্ক্ত্তা শ্রীযুত ক্ষেমশর্ম্মাকৃত ক্ষেমকুতুহল নামক গ্রন্থ হইতে ও শ্রীযুত শাহজাহান বাদশাহের নিত্যভোজনের নেয়ামৎখান নামক পারসীয় পাকবিধি ও নওয়াব মহতাব জঙ্গের নিত্যভোজনের পাকবিধি হইতে সাধারণের দুস্কর পাক পরিত্যাগপূর্ব্বক সুলভ পাক যাহা অনায়াসে সম্পন্ন হয় তাহা গ্রহণ করিয়া ও বর্ত্তমান অনেকানেক সুপকুশল ব্যক্তিদের নিকট জ্ঞাত বিষয়ি ব্যক্তিসকলের সুগম বোধার্থ পরিমাণসহ পাকবিধি"ই এই বইয়ের প্রতিপাদ্য়অর্থাৎ বইটিতে প্রাচীন হিন্দু রান্নার সাথে দিল্লির বাদশাহী রান্নাই শুধু নয়, বর্ধমানরাজের ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দও পরিবেশিত হয়েছে় তবে লেখক রাজানুকূল্য লাভ করলেও তাঁর লক্ষ্য শুধু একজন রাজাবাহাদুর নন; 'বিষয়ি ব্যক্তিসকল'; অর্থাৎ উচ্চবিত্ত বাঙালী ভদ্রজন় সেইজন্যই তিনি বর্ধমান রাজ ছাড়াও 'অনেকানেক সুপকুশল' ব্যক্তিদের মতামত গ্রহণ করেছেন়
    তো, দেখা যাচ্ছে যে অন্তত ১৮৩১ সালে বর্ধমান রাজ সহ অনেকানেক সুপকুশল ব্যক্তি ছিলেন।
  • Arpan | 125.118.77.201 | ০৪ জানুয়ারি ২০১৫ ২১:০১667251
  • লেখাটা চলুক।

    কিন্তু ইংরেজরা দুশো বছর এ দেশে থেকেও বাঙ্গালি রান্নায় আগ্রহ দেখান নি এটা সর্বৈব সত্য নয়। অ্যাংলো ইন্ডিয়ান কুইজিন বা ব্রিটেনে কারি হাউসের ইতিহাস তো সুপ্রাচীন। এমনকী চাটনি শব্দের অক্সফোর্ডে অন্তর্ভুক্তিকরণও তো বহু পুরনো ঘটনা।
  • sosen | 113.225.178.130 | ০৪ জানুয়ারি ২০১৫ ২১:১৯667262
  • মুলাগাতানি সুপ? বালতি কারি?
  • sosen | 113.225.178.130 | ০৪ জানুয়ারি ২০১৫ ২১:২০667273
  • এটা কি বৌ নিয়ে লেখা না রান্নাঘর নিয়ে?
  • potke | 126.202.19.89 | ০৪ জানুয়ারি ২০১৫ ২১:৪৭667284
  • সেক্সিস্ট লেখা।
  • Somen Dey | ০৪ জানুয়ারি ২০১৫ ২১:৫২667295
  • মন্তব্য গুলি পড়লাম । এই লেখাটি বাঙালি রান্নার ইতিহাস নিয়ে কোনো গবেষণা নয় । তাই লেখায় প্রকাশিত লেখকের কোনো মত বা ধারনা নিয়ে মতভেদ থাতেই পারে । যেহেতু লেখার বিষয় ইতিহাস নয় তাই কোনো টাইম ফ্রেম বলা হয় নি ।কোথাও ‘ আগের কালে” বললেই সেখানে কত সালে বলে দিতে হবে , এটা তো তেমন কোনো আদালতে দেওয়া বয়ান নয় । নেহাতই একটি রম্য রচনা । কারো পড়তে ক্লিশে লাগলে না পড়লেই তো হয় । যাই হোক মতামতের জন্য ধন্যবাদ ।
  • b | 24.139.196.6 | ০৪ জানুয়ারি ২০১৫ ২২:২৫667306
  • না পড়লে ক্লিশে কি না সেটা বুঝবো কি করে?
  • pi | 233.176.16.83 | ০৪ জানুয়ারি ২০১৫ ২২:৪২667317
  • এটাই জিগাতে যাচ্ছিলাম। পাচকদের রন্ধনশৈলী নিয়ে কী বক্তব্য ?
  • সে | 188.83.87.102 | ০৪ জানুয়ারি ২০১৫ ২৩:০০667146
  • দ্বিতীয় পর্ব লিখুন। পড়ছি।
  • দেব | 111.221.135.65 | ০৪ জানুয়ারি ২০১৫ ২৩:২২667157
  • "আমাদের আধুনিক হয়ে ওঠার মুল্য দিতে অবশ্য এই ছবি হারিয়ে গেছে আমাদের জীবন থেকে। এখন সেই বৌটির অনেক চাহিদা।"

    এস্ট্যাবলিশমেন্ট ভাঙ্গা কত কঠিন।

    যাক, লিখুন।
  • pi | 192.66.27.125 | ০৫ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:০৪667168
  • শেষ প্যারাটা অব্দি তখন পড়ে উঠতে পারিনি। এই পড়লাম ঃ)

    যাহোক, লিখুন।
  • arindam | 127.194.32.178 | ০৫ জানুয়ারি ২০১৫ ০৬:২৭667179
  • লিখুন। পড়ছি।
  • ন্যাড়া | 172.233.205.42 | ০৫ জানুয়ারি ২০১৫ ০৯:১০667190
  • মুলিগাটানি সুপ, সেদিন পড়লাম, তামিল থেকে এসেছে। বালতি কারি-র কেসটা ভুলে গেছি। তপন রায়চৌধুরীর একটা লেখায় ছিল। কেউ মনে করিয়ে দিন।
  • robu | 122.79.38.228 | ০৫ জানুয়ারি ২০১৫ ০৯:২৭667212
  • মালাগা - লন্কা
    তন্নি - জল (তামিলে)
    তার থেকে মুলাগাটানি স্যুপ।
  • ন্যাড়া | 172.233.205.42 | ০৫ জানুয়ারি ২০১৫ ০৯:৩০667223
  • না, না -

    http://en.wikipedia.org/wiki/Balti_%28food%29

    তপনবাবুর লেখাটা অনেকটা মুজতবা আলীর সেই "ও বেটি, কত্তারে আরও সালন দে" ধরণের ছিল।
  • Arpan | 125.118.59.227 | ০৫ জানুয়ারি ২০১৫ ০৯:৩৮667234
  • আরে বালতিস্তানের কথা তো ওখানেও আছে।
  • d | 144.159.168.72 | ০৫ জানুয়ারি ২০১৫ ১০:২৫667239
  • হুঁ ন্যাড়াদার বলা লেখাটা আমিও পড়েছি। রোমন্থন'এ কি? না বোধহয়, অন্য কোথায়ও।
  • dd | 132.172.22.0 | ০৫ জানুয়ারি ২০১৫ ১০:৩২667241
  • ধ্যাড়।
    আমি কবের থেকে ভেবে এসেছি মুলোগাটানী একটি আদোতে বাংলা স্যুপ। মুলোকে ঘেঁটে তৈরী হয় (মুলো ঘাটানী)। সায়েবেদের ম্লেচ্ছো উচ্চারণে অমনটা খটমটে শুনায়।

    আমার মুলোবোধ একেবারে নেগেটিভ জিরো - তাই কোনোদিন ট্রাই করি নি। এবার তাইলে কত্তে পারি।
  • সিকি | 131.241.127.1 | ০৫ জানুয়ারি ২০১৫ ১০:৩৪667242
  • বালতিস্তান তো পাকিস্তানের সেই অঞ্চল - লাদাখ ঘেঁষে। তুর্তুক গ্রামের লোকেরা তো বালতিস্তানি।
  • b | 135.20.82.164 | ০৫ জানুয়ারি ২০১৫ ১০:৪৫667243
  • রোমন্থনের শেষ দিকে কয়েকটা চটি লেখা ছিলো। সেখানে এই বালতি কুইজিনের উদ্ভবের কথা আছে।
  • ন্যাড়া | 172.233.205.42 | ০৫ জানুয়ারি ২০১৫ ১১:৪১667244
  • লেখাটা অরিজিনালি দেশ পত্রিকায় বেরিয়েছিল। নব্বই দশকের মাঝামাঝি কি শেষাশেষি। আমি ওখানেই পড়েছি। আমার রোমন্থন কপির শেষে কিছু নাই।

    আমার ধুসর পদার্থের অবস্থা বিবেচনা করে এর কোনটাই খুব জোর দিয়ে বলা নয়।
  • কুমু | 11.39.26.112 | ০৫ জানুয়ারি ২০১৫ ১২:৩৬667245
  • একটি বাহ শো না ছাড়া কিছু চাওয়া র ছিল না।এখন ঘর ছেড়ে বাইরে বেরনো র স্বাধীনতা চাই।

    ভাবা জায়?
  • Ekak | 24.99.101.9 | ০৫ জানুয়ারি ২০১৫ ১২:৪৩667246
  • ভাবা যায়। এখনো অনেক ছেলের কাছেই রান্না একটা অড জব । বিশেষ করে যাদের কাজের সূত্রে বাড়ির বাইরে থাকতে হয়না । ব্যতিক্রম আছেন কিন্তু জল গড়িয়েও না খাওয়া ছেলের সংখ্যা কম না ।
  • robu | 122.79.38.228 | ০৫ জানুয়ারি ২০১৫ ১২:৪৫667247
  • আমার রোমন্থন কপির শেষে আছে। আবার বাঙ্গাল্নামাতেও অল্প ডিটেইল আছে।
  • Ruchira | 109.67.23.127 | ০৫ জানুয়ারি ২০১৫ ১২:৪৬667248
  • অতি গা জ্বালানে লেখা - আর লেখার style ঠিক যেন স্কুলের এসে

    তপন রায়চৌধুরীর লেখাটায় শিলেটের লোকেদের বালতি করে পরিবেশন নিয়ে কিছু ছিল মনে হচ্ছে।
  • Abhyu | 223.174.98.16 | ০৫ জানুয়ারি ২০১৫ ১২:৫১667250
  • আইইই রুচিরাদি যে! কেমন আছো?
  • Abhyu | 223.174.98.16 | ০৫ জানুয়ারি ২০১৫ ১২:৫১667249
  • দুখেদা আজকাল আর আসে না, নইলে এই অবিমৃষ্যমন্তব্যকারীদের দেখিয়ে দিত, হ্যাঁ
  • lcm | 118.91.116.131 | ০৫ জানুয়ারি ২০১৫ ১২:৫৫667252
  • রান্না তো ছেলেদেরও একচেটিয়া। সেই কবে থেকে দেখে আসছি - বিয়েবাড়ি, অন্নপ্রাশন থেকে শুরু করে পাঁচতারা রেঁস্তোরার রান্না, এমনকি রাস্তার ধারে এগরোল থেকে ঘুগনিও ছেলেরা রাঁধে। চমৎকার রাঁধে। দেশে-বিদেশে সর্বত্র।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন