এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • টুইঙ্কল টুইঙ্কল লিটল ম্যাগ

    Paramita
    বইপত্তর | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৬ | ১৪৯২৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Paramita | 64.105.168.210 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১১:৪৭671041
  • মৃত, নিবন্ত, টিমটিমে, দপদপে, জ্বলজ্বলে সেই সব লিটল ম্যাগ লেখা-পড়া-কেনা-মার্কেট করা-মার্কেট না করা-স্বপ্ন-স্বপ্নভঙ্গ ইত্যাদি যাবতীয় অভিজ্ঞতা এখানে থাক না।
  • r | 61.95.167.91 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১২:১৫671132
  • যারা কিছু বের করবে তারা পেত্থমেই বলে কেন: "ইহা একটি লিটিল ম্যাগ'? জীবনমুখী গান টাইপের ব্র্যান্ডিং! বা যেন বাংলা ব্যান্ড। এই কারণে যখন "দোহার" নিজেদের "বাংলা গানের দল" বলে এগিয়ে এল, বেশ ভালো লেগেছিল। "একটি পত্রিকা বের করছি" বলতে কি দোষ হয়?
  • Paramita | 64.105.168.210 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১২:২৫671143
  • "লিটল ম্যাগ"-এর কোন স্পেশাল নুয়্যান্স নেই তো। পত্রিকার জায়গায় লিটল ম্যাগ বললেই বা কি হয়। ভেতরের মালটা কি তাই কি আসল নয়?
  • r | 59.145.136.1 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১২:৩৭671154
  • পোচোন্ডো আছে। তাইলে তো আমরা একটি "পাঁচালী" বের কচ্চি বা "পন্নোমালা" বের কচ্চি- এইরমও বলা যায়। "লিটিল" শব্দটিতে ঘোর, ঘোর আপত্তি। কয়েকটা ভালো তথাকথিত লিটিল ম্যাগের কতা কই? কিন্তু এয়াঁরা কোনোদিন আমি লিটিল ম্যাগ বলে কোনো শ্লাঘাবোধ করেন নাই। "এক্ষণ' তাক থেকে নামিয়ে পড়েন। নির্মাল্য আচার্যি মারা যাওয়ার পর পত্রিকা বন্ধ হয়ে যায়। সুধীর চক্কোত্তি সম্পাদিত "ধ্রুবপদ"-এর বার্ষিক সংকলন পড়েন। এইগুলি ভীষন ভালো পত্রিকা। এবং বিক্কিরি হয় নিজেদের টার্গেট মার্কেটে। এই "লিটিল" শব্দটা এদের ক্ষেত্রে কি ভাবে প্রযোজ্য বুঝি না।
  • Paramita | 64.105.168.210 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১২:৪৯671165
  • সেইজন্যই তো বলছি ওটার কোন নুয়্যান্স থাকা উচিত নয়। স্পেকট্রাম জুড়ে লিটল ম্যাগের অস্তিত্ব, বললো না কেউ কেউ? স্পেকট্রাম জুড়ে জীবনমুখীর অস্তিত্ব। এক্ষণ, বিভাব, কোরক, অনুষ্টুপ, স্যাস লোকে সেভ করে তাকে রেখে দেয়। দেশ পত্রিকাকে জঞ্জালসম ধরে রিসাইকলড। সেই তো যথেষ্ট। টারমিনোলজি নিয়ে অতো ভেবে কি হবে?

    তবে ফুলকি লিটল ম্যাগের কথা জানতেও আমি পোচোন্ডো আগ্রহী।
  • Rana | 212.158.75.196 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৩:৩৭671176
  • প্রায় ৯৯% 'লিটিল' ম্যাগজিন-এর সাইজ স্টান্ডার্ড মাগাজিন-এর ১/২ (বা আরো কম)।
    সেজন্য নাম 'লিটিল' মাগাজিন !
  • Y | 195.110.70.55 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৪:২৫671187
  • এছাড়া পয়সা করার 'লিটল' ধান্দাবাজি এদের চালায় না বলেও হয়তো উল্টো করে 'লিটল' ম্যাগাজিন :-)
  • r | 59.145.136.1 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৪:৩১671198
  • অথবা "লিটিল লিটিল" পয়সা রোজগারের ধান্দা চালায় বলে..... :-))
  • Y | 195.110.70.55 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৫:১২671209
  • এইটি ঠিক খাটে না বোধহয়,এরা পয়সা নয়,চায় বেশী মানুষ এদের লেখা পড়ুক।
    পারমিতা কি বলে?
  • vikram | 134.226.1.136 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৭:২০671042
  • বিভাবে একবার ক্যাজ একটা লোকের লেখা পড়লাম - নাম শ্রীজাত - তো মালটার অন্য লেখা দু একটা পড়েছি তখন পড়ে মনে হয়েছে জয় গোস্বামীর নতুন পেন নেম ছিজাত। পরে লোকে ভুল ভাংগালো। তো সেই ছিজাতো লিখেছে - ট্যাক্সি তাকে নিয়ে যাচ্ছে অচেনা গলিতে, সে এই প্রথম এসেছে কোলকাতায়। পুরো কুকুরের মতো ভালো লাইন টা। আমি পড়ে ভাবলাম বা রে বা - খোকা তোমার হবে। তো খোকা উড়ন্ত সব জোকার লিখে প্রেজেন্টেশান পেলো, আর পেলো এক বোতল শিভাস রিগাল - অ্যালেজেডলি।

    মোট কথা বলতে চাইছি, বিভাব নতুন ও পুরনো দু রকম লেখকদের মিলিয়ে বহু কবিতা বের করে। এবং কবিতাগুলো অনেক গুলই ভালো ভালো বের হয়।

    কিন্তু মামুর কবিতা নিয়া কোনো আইস্য নাই। মামু খালি পোবোন্ধো কুমার। অত্যাচারী মামুর কালো হাত ভেংগে দ্যাও।

    বিক্রম
  • Y | 195.110.70.55 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৭:৫০671053
  • আমারও তাই মত।
    (টেবিলে পটাপট চাঁটি)
  • S | 59.92.130.152 | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৯:৪৫671064
  • ১। লিট্‌ল ম্যাগাজিনকে লিট্‌ল ম্যাগাজিন বলার অভ্যাসটা মূলত: বড় হাওয়ায় হাওয়ায় ভাসে, গুজবের মতো কানে কানে ছড়ায়। এই মুহূর্তে যদ্দুর মনে পড়ছে আর হাতের কাছে যা মালপত্তর আছে তাতে পষ্ট দ্যাখা যাচ্ছে চাঁপাডাঙ্গার স্কুলবালকদের প্রকাশিত 'নব কিশলয়' নামে একটি পত্রিকা ছাড়া সকলেই নিজেদের পত্রিকাকে দাবী করেছে 'সাহিত্য পত্রিকা' ব'লেই - বড়জোর সঙ্গে 'ত্রৈমাসিক', 'ষান্মাসিক', 'অনিয়মিত' গোছের কিছু বিশেষণ জুড়েছে।

    ২। লিট্‌ল ম্যাগাজিনকে এই তকমাটি দিলো কে ও কেন - প্রশ্নটি এ বাবদ বড় গুরুত্বপূর্ণ হ'য়ে ওঠে। কে দিলো - সে উত্তর ঈষৎ ধুসর। তবে কেনো দিলো তার একটা সহজ উত্তর হতে পারে। বিষয়গত, আঙ্গিকগত এবং আদর্শগতভাবে প্রচলিত 'ম্যাগাজিন' থেকে আলাদা ব'লে দাগিয়ে দেওয়ার জন্য একটি বিশেষণের প্রয়োজন হয়েছিলো আর প্রচলিত 'ম্যাগাজিন'গুলির তুলনায় বাজেট, আকার, লোকবল - সব কিছুতেই ছোটো হওয়ার ফলে 'লিট্‌ল'-এর থেকে আর কোনো সহজবোধ্য ও যথাযথ বিশেষন সে জমানার গুগল না-জানা লোকের মাথায় আসে নি।
  • S | 59.92.130.152 | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৯:৫৫671075
  • র,

    ব্র্যান্ডিঙ হ'লেই বা এত ভেউকান্না কিসের?? এই যে তুমি পাতায় পাতায় হাফ-গেরস্তের মত ভাষায় 'পোচোন্ডো পোতিবাদ' মারিয়ে বেরাও - এটাও তো তোমার ব্র্যান্ডিঙ - নাকি ?
  • S | 59.92.130.152 | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ২০:৩৮671086
  • এক্ষণ ধ্রুবপদ নিজেদের লিট্‌ল ম্যাগাজিন ব'লে শ্লাঘা বোধ করে না যেমন, তেমনি প্রায় কোনো লিট্‌ল ম্যাগাজিনই নিজেদের লিট্‌ল ম্যাগাজিন ব'লে শ্লাঘা বোধ করে না (চাঁপাডাঙ্গার 'নব কিশলয়' ছাড়া)। তুমি সেগুলো পড়ো নি - সেটা তোমার ব্যাথা। শ্লাঘা-টাঘা যা তোমার মনে হচ্ছে তা নেহাৎই আত্মপ্রক্ষেপ। যদি এসব খোকাপানা চলতি চমকের বাইরে যেতে পারো, দেখবে - এক্ষণ ধ্রুবপদ দু'জনেই প্রচলিত বড় পত্রিকার থেকে সযত্নে নিজেদের পরিচয়, বিষয়, মায় প্রচ্ছদধারণা পর্যন্ত আলাদা রাখতে উদুম আগ্রহী - বাকীদের মতই। এবং নিজেদের তারা লিট্‌ল ম্যাগাজিন ব'লে শ্লাঘা বোধ করছে না - বাকীদের মতই ।

    তাহলে এদিক দিয়ে এক্ষন ইত্যাদির সঙ্গে অন্যদের মিল দাঁড়ালো দ্যাখো ষোলো আনা। আর পার্থক্য হলো একটা - এক্ষন ইত্যাদি তুমি পছন্দ করো তাই তারা নিজেদের লিট্‌ল ম্যাগাজিন ব'লে শ্লাঘা বোধ করছে না ব'লে তুমি ধেইনৃত্য জুড়ে দাও। আর অন্যগুলি তুমি পছন্দ করো না বা পড়ো না ব'লে, সেগুলো নিজেদের লিট্‌ল ম্যাগাজিন ব'লে শ্লাঘা বোধ না করলেও তোমার নির্মিতির ফলে, তোমার মনে হয়, তারা তা করছে আর তুমি সেই ভেবে আমোদগেঁড়ে মধ্যবিত্ত বাঙ্গালীর মতো 'পোতিবাদ' করতে শুরু করে দাও।
  • S | 59.92.130.152 | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ২০:৪৬671097
  • পারমিতার 'ভেতরের মাল' বিষয়ক বক্তব্যটি বরং বেশ যুক্তিযুক্ত ঠেকছে ।
  • b | 220.226.17.125 | ০২ অক্টোবর ২০০৬ ০৯:৫১671108
  • খুব পুরোনো নয় এইরকম সব পত্রিকা ঘাঁটে্‌ত গিয়ে চোখে পড়ল 'বিজ্ঞাপণপর্ব - কার্তিক ১৪০৩'। সূচীপত্র চমকপ্রদ:

    ---জীবনানন্দ বিষয়ে অনেকে লিখেছেন।
    মৃনালকান্তি ভদ্র,মাতিয়ার রাফায়েল,উদয়ন ঘোষ,কালীকৃষ্ণ গুহ। এছাড়া 'মেয়ে মানুশ' গল্পটি ছাপ্প হয়েছে।

    --এছাড়া যঁদের প্রবন্ধ ছাপা হয়েছে, আখতরুজ্জামান ইলিয়াশ, অমিয়ভূষণ মজুমদর,রবিন ঘোশ।

    --বেশ কিছু অনুবাদ -

    fragrance of guava র খালিকুজ্জামান ইলিআস কৃত অনুবাদ। শিবাজি বন্দোপাধ্যায় করেছেন মার্কেজের নোবেল বক্তৃতার অনুবাদ, এছাড়া মৃনাল কন্তি ভদ্র অনুদিত একটি মার্কেজের গল্প।

    এছাড়া রবিন ঘোষের একটি গল্প।

    এই সূচীপত্র দেখে আমার মনে হচ্ছিল এ খানিকটা বিচিত্র ব্যাপার। মার্কেজের মত বিরাট মাপের সাহিত্যিক এর রচনা ও সাক্ষৎকার অনুবাদ একটা বিরাট কাজ সন্দেহ নেই, কিন্তু তউ প্রবন্ধ অংশটি ই বেশি স্পর্শ করে। মূল স্প্যানিশ থেকে যদি অনুবাদ না হয়, যাঁর কাজের ইংরেজি অনুবদ বেশ সহজ লভ্য, সে সব লেখা এই পত্রিকায় কেন কষ্ট করে খুঁজে পড়বো।

    প্রবন্ধ গুলি প্রত্যেকটাই অত্যন্ত যত্ন করে ছাপা, একটিও বানান ভুলা নাই, কয়েকটি প্রবন্ধ তো অসাধারণ।

    মনে হচ্ছিল এই সব নিয়ে ভাবার আছে।
  • Su | 59.93.255.43 | ০৬ অক্টোবর ২০০৬ ০০:৫৪671119
  • ইংরেজিতে একটি লিটিল ম্যাগাজিন বেরোয়। সম্পাদনা করেন অন্তরা দেবসেন ও প্রতীক কাঞ্জিলাল। পত্রিকার নাম, ironically, The Little Magazine। সেখানে চমস্কি থেকে অমর্ত্য সেন হয়ে ঋতুপর্ণ ঘোষেরা নিয়মিত লিখে থাকেন। অসাধারণ পত্রিকা। পারলে পড়বেন। নেট-এ কিচুটা পাওয়া যায়, পুরোটা নয়। লিংকটা দিয়ে দিলাম :

    http://www.littlemag.com/newwriting/index.html

    সু
  • tan | 131.95.121.127 | ০৬ অক্টোবর ২০০৬ ০২:০২671130
  • পরবাসের কথা কেন কেউ বলছেন না? সেখানে তো অনেক সাম্প্রতিক কাজ হচ্ছে,ভালো ভালো বাংলা লেখা বেশ ভালো ইংরেজিতে অনুবাদ হচ্ছে।
    সম্প্রতি দেখলাম "তপস্বী ও তরঙ্গিনী"র অনুবাদ।
  • Somnath | 59.160.220.131 | ১২ জুন ২০০৮ ১৫:৫০671131
  • ঘটনা হচ্ছে, আবার লিটিল ম্যাগ ইত্যাদি নিয়ে কথা বার্তা হচ্ছে, কিন্তু আগের এই আলোচনাগুলোর কোনো এফেক্ট ছাড়াই। রিলেটেড টইগুলোকে লিংক করার কোনো উপায় ভাবা উচিত। যেমন সচলায়তন বা সামহয়ারইন ব্লগ এ অন্যান্য লেখার লিংক থাকে ডানপাশের মার্জিনে।
  • tkn | 122.163.79.7 | ২৮ অক্টোবর ২০০৯ ১৭:০৮671133
  • বিক্রম ২০০৬-এ বিভাব নামে একটা পত্রিকার নাম লিখেছেন। সে বই কোথায় পাব?
  • r | 125.18.104.1 | ২৮ অক্টোবর ২০০৯ ১৭:১৩671134
  • পাতিরামে। দেজেও থাকতে পারে। সম্পাদক- সমরেন্দ্র সেনগুপ্ত।
  • agantuk | 128.48.203.91 | ২৮ অক্টোবর ২০০৯ ২২:১৯671135
  • বিভাব পত্রিকায় তো আজকাল সমরেন্দ্রর ছেলের নাম থাকে সম্পাদক হিশেবে, তবে ২০০৬ সালে হয়ত সমরেন্দ্রই ছিলেন। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এই যে ওদের বেশির ভাগ পুরোনো সংখ্যাই সোল্ড আউট হয়ে যায়, এমনকি ওদের নিজেদের ঘরেও আর পাওয়া যায় না। 'টুকরো কথা' সংখ্যা, 'ডিকে' সংখ্যা আমি এখনো খুঁজছি।
  • তাপস দাশ | ১৮ এপ্রিল ২০১৪ ১৬:৪২671136
  • আমি তাইলে এইখানে তালিকা দেওন শুরু করি । বিপদের ঝুঁকি নাই । বিরক্তির আশংকা কম ।

    কথা হল - কোন পত্রিকা আর কেন? কোন তো আমার যেগুলো ভালো হয়, যেগুলো কোনায় দাঁড়াবে না । কেন প্রশ্নটি বিপজ্জনক ও পরিহার্য । কিন্তু কিঞ্চিন্মাত্রায় হোয়াই উত্তর না দিলে বুঝি জাত-মান থাকবে না । না, না, আমার কথা বলছি না - পত্রিকাদের ।

    ফলে এটা বুলেট দিয়ে তালিকা করব না বলে ঠিক করলাম । কেন ভালো, বা কেন মনে পড়ছে সে নিয়ে দু - পাঁচ কথা বলতে থাকব । এবং সময়কালের লিনিয়ারিটি মেনটেইন করার দায়-দায়িত্ব এড়িয়ে যাব ।

    এই টইতেই উল্লেখ দেখলাম বিভাবের । বিভাবের একটা বিশেষ সংখ্যা বেরিয়েছিল নারীবাদ সংখ্যা । আমন্ত্রিত সম্পাদক ছিলেন মৈত্রেয়ী চট্টোপাধ্যায় । সে সংখ্যাটা জরুরি ।
    এখানে একটা কথা উল্লেখ দেওয়া প্রয়োজন । সময় ব্যাপারটাকে মাথায় রেখেই এই ভালোমন্দ বিচার । আজকের সাপেক্ষে হয়তো ওখানে প্রকাশিত লেখাগুলো তত জরুরি নয় । কিন্তু সে সময়ে সেটা অতি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়েছিল । বাংলায় তত্কালীন পত্রিকার সাপেক্ষে, আলোচনার সাপেক্ষে ।

    কেউ একবার মজা করে বলেছিলেন এক আড্ডায় - কলকাতার লিটল ম্যাগ ফ্যাশন ঠিক করে তপন । তপন হল গিয়ে তপনদা - গ্র্যান্ডের নিচে যে ছোট্ট বই দোকান - ফরেন পাবলিশার্স এজেন্সি - সেটা তখন তিনি চালাতেন । এখন বোধহয় বাবু চালায় । (হেহে, আমায় হোমটাস্ক দিয়েছেন, আমিও কড়ায় গন্ডায় উসুল করছি, পুরো স্মৃতিকথা ও স্মৃতিকাতরতা - আমিত্ব ভরা, পুলিশ না ডাকা অবধি চালাবই চালাব) । তো, আমাকে যিনি পাঠ দিছিলেন তিনি আরও জানিয়েছিলেন যে, তপনদা যদি ব্রেকষট আনে তো সেবার নাকি বেশ কয়েকটা পত্রিকা নাকি সে নিয়েই চর্চা চালাবে । কথাটা একদম উড়িয়ে দেওয়ার মত নয় কারণ ফরেনে জ্ঞানী মানুষদের খাতা চলত । মানে ফুল মুদি দোকান সিস্টেম । মনে রাখতে হবে সে সময়ে ওরকম বই দোকান একমাত্র ওখানেই ছিল ।

    আর দুটো পয়েন্ট । মূল বিষয় নিয়ে । এক - আমি যে সময়ের কথায় চলে যাব বা যাচ্ছি তখন, কোনো একটা নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে পত্রিকা করার ঝোঁক তৈরি হয়নি । ফলে ভালো লাগা কাগজ বহু সময়েই একটা বা দুটো লেখার জন্যেই ভালো লেগেছে । জরুরি লেগেছে । আর দু নম্বর - সেটা বোধহয় এখনো আছে, কোনো একটা বিষয়ে এক/দুই বা চার/পাঁচ জন ব্যক্তির মতামত অতি মূল্যবান মনে করে, তাঁদের দিয়েই সেই বিষয়ে লেখানো । যেমন ধরুন সার্ত্র বা একজিস্টেনশিয়ালিজম নিয়ে মৃণালকান্তি ভদ্র । ভাষাতত্ত্ব নিয়ে প্রলয় শুর । এরকম উদাহরণ অনেক আছে । সেগুলো বাড়াতে চাই না । কিন্তু প্রসঙ্গ তুলে রাখলাম । কারণ এখানে একই সঙ্গে যেমন নিজেদের কাগজকে ভালো করে করার আকাঙ্খা আছে, তেমনই আছে (হয়ত বা না-চেয়ে বা না-বুঝে) একধরনের প্রাতিষ্ঠানিকতা তৈরি ও তাতে উত্সাহদানের প্রবণতা ।

    ওহো - আমি যখন বলছি, তখন আমি যে পত্রিকাগুলোর সঙ্গে যুক্ত থেকেছি তাদের সব্বার কথা বলব - তার শুরুতে অপর । সব সংখ্যা বললে কিছু মনে করবেন? প্রথম সংখ্যায় আমরা বার্থের ডেথ অফ অথর অনুবাদ করেছিলাম । পত্রিকার দাম ছিল ৫ টাকা । লেটার প্রেসে ছাপা, কাঠের ব্লকে কভার । শিবাজী বাবু পরে অন্যদের মাধ্যমে তাঁর ধিক্কার পৌঁছে দিয়েছিলেন আমাদের কাছে, অথরের বাংলা আমরা লেখক করেছিলাম বলে । সন্দীপ দত্ত গোমরা মুখে বলেছিলেন, মানে ঘোষণা করেছিলেন, এ লেখার অনুবাদ আগেও হয়েছে ।
    দ্বিতীয় সংখ্যার অপরের দাম ছিল ৭ টাকা । সেখানে অনুরাগ দাস 'রলাঁ জন্মের পর' বলে একটি গদ্য জন্ম দিয়েছিল, যা আমার কাছে প্রথম কাব্য-প্রবন্ধ পড়ার শামিল ছিল । এখনও খোঁয়াড়ি কাটেনি পুরো । সেটা ৯৪ সাল । ওই সংখ্যাতেই সন্দীপন মজুমদার লিখেছিল 'সুমনের গান - একটি স্ট্রাকচারালিস্ট ভাষ্য' । এই দুটো লেখার জন্যেই পত্রিকাটা সবার কাছে থাকা দরকার । মানে উতসাহীদের কাছে ।

    ৩ নং সংখ্যার অপর রাখতে হবে তার কারণ ওই সংখ্যায় কৌশিক রায়চৌধুরীর লেখার বিপ্রতীপে আমার লেখা বেরোবে চতুর্থ সংখ্যার অপরে । যে লেখার নামেই আমি কৌশিককে একদম শেষ করে দিয়েছিলাম - 'জনৈক বহুত্বকামীর ব্যক্তিগত মুক্তিযুদ্ধের ইশতেহার' । উফ, কৌশিক যা ভয় পেয়েছিল না, যে সেই থেকে আমরা চরম বন্ধু হয়ে গিসলাম । ৪ নং সংখ্যার অপরে প্রদীপ ব্যানার্জীর, খুব ভালো লেখা ছিল - অর্থনীতি বিষয়ক । প্রদীপদা একদম একাডেমিকস এর লোক না-হওয়ার জন্যে, আর উচ্চাশা না থাকার জন্যে ওর বলা সম্পূর্ণ নতুন একটা কথা কথাও পৌঁছল না ।
    ওহো দেখেছেন, নিরহঙ্কার বলে ভুলেই গেছিলাম, অপরের দ্বিতীয় সংখ্যায় আমার একটা গল্প অবধি বেরিয়েছিল - কী যেন নাম, সেটা ইস্যু না, লেখাটি পড়বেন - নইলে জানবেন না যে কী মিস করছেন ।
    অপরের গদ্য সংখ্যা বিলুপ্ত হয়েছে বোধহয় । সেটা এক একজনের কাছে এক এক কারণে ইম্পর্টান্ট । মানে হবে । হতেই হবে । ওই সংখ্যায় দেবেশ রায়ের একটা ইন্টারভিউ ছিল । আমরা যারা ছিলাম ওই ইন্টারভিউটায়, তারা সবাই সেদিন শিখেছিলাম ।
    মাইরি, সোমনাথ বার তিনেক কুন্দেরার কথা বলেছে, দুবার শুনতে পাননি মনে হয়েছিল, তৃতীয়বার ঘুরে তাকিয়ে বলে- ' তখন থেকে -কুন্দেরা কুন্দেরা করছেন, কুন্দেরা কি খুব বড় লেখক?'
    আমরা কুন্দেরা ফ্যান - সোমনাথ ভদ্রলোকি মুখোশ রেখে বলে - না মানে ইউরোপে তো প্রায় একমাত্র - তার উত্তরে বললেন, 'ইউরোপ? ইউরোপ কিছুদিন লিখবে না উপন্যাস । ইংরেজরা ছবি আঁকতে জানে না, আঁকবে না । কেউ নেই বলে কুন্দেরা?'- গোটাটা স্মৃতি থেকে লিখলাম - কিন্তু এত স্পষ্ট যে ভুল হওয়ার শংকা প্রায় নেই ।

    (পরে লিখছি, ছাড়নেওয়ালা নেহি)
  • aranya | 154.160.226.53 | ১৯ এপ্রিল ২০১৪ ০০:০৯671137
  • তাপস, ভাল লাগছে।
  • তাপস দাশ | ১৯ এপ্রিল ২০১৪ ০১:৩৭671138
  • লয় না বাল ।
    - দেখেছেন তো ! আপনাদের হীনি দেওয়ার জন্যে সদা জাগরূক মন, আমি প্রবাল শূর লিখতে পলয় লিকেচি, তাই কারেকশন করলাম ।

    আর তৃতীয় সংখ্যার অপরে ত্রিদিব সেনগুপ্তর লেখা বেরিয়েছিল - 'মাল্যবান: একটি না-উপন্যাস' । সেটা আমার মতে খুব জরুরি লেখা, পলিটিক্যাল ইকনমির ইনভেসন জীবনানন্দ চর্চায় খুব কমই হয়েছে ।
    গদ্য সংখ্যার অপরে ত্রিদিব সেনগুপ্তর 'বুলা, তোমাকে' নামের উপন্যাস বেরিয়েছিল । সেটাও উল্লেখ্য ।

    মনে রাখতে হবে, হে গুরুগণ, এই অপর পত্রিকা আসলে নিজেকে তৈরি করে তুলছিল, এইসবের মাধ্যমে, বাংলা ভাষার প্রথম ইয়ে উপন্যাস 'খাণ্ডবদাহন' প্রকাশ করবে বলে । ক্রমে আরও ।

    অপর উঠে গেছে । মানে ঘোষণা করেই তুলে দেওয়া হয়েছে ।
    সব সংখ্যা যোগাড়ে রাখা উচিত । (মতামত ব্যক্তিগত)

    রাক্ষস । নিবন্ধীকৃত নাম রাক্ষস সংস্কৃতি । সম্ভবত দুটো সংখ্যা বেরিয়েছিল । রাহুল ভট্টাচার্যের সম্পাদনায় । রাহুল বিদেশ চলে যাওয়ায় পত্রিকা আর হয়নি । জানি না, এখান থেকে কোনো একজন আর মাথা তুলে বলবেন কিনা, আমিই রাহুল ! বললে বেশ হয় কিন্তু !

    রাক্ষসের প্রথম সংখ্যায় বেরিয়েছিল ত্রিদিব সেনগুপ্তের উপন্যাস 'নিরন্তর প্রব্রজ্যায়: দ্বিতীয় খসড়া' । বাংলায় প্রথম পোস্ট মডার্ন উপন্যাস বলে খ্যাত অন্তত ৪ - ৫ টা উপন্যাসের নাম মনে পড়ছে । এটাও তার মধ্যে একটা । গুরুর সাইটে উপন্যাসটা আছে বোধহয় । প্রথম কিম্বা দ্বিতীয় সংখ্যায় ছিল দুলালী নাগের বিজ্ঞাপনের মোটিফ নিয়ে বিশ্লেষণাত্মক প্রবন্ধ । খুব যত্ন নিয়ে করা কাজ । বিজ্ঞাপনগুলোর ছবিও ট্রেসিং করে ছাপা হয়েছিল ।

    রাক্ষসেই বেরিয়েছিল চন্দ্রিলের কবিতা । প্রথম । পরে চন্দ্রিল বড় হবে । সিনেমা করবে ও বড় চাকরি । তার চিত্রনাট্য ছাপা হবে অপরে । তোলা থাকবে গুরুর সাইটে । দ্বিতীয় রাক্ষসে একটা অনুবাদ বেরিয়েছিল - কার লেখা এক্ষুনি মনে পড়ছে না, স্বাতী ঘোষের অনুবাদ । বিষয় ছিল অ্যানরেক্সিয়া নারভোসার রাজনীতি নিয়ে । নারীবাদী কোন থেকে ।

    দ্বিতীয় সংখ্যার দাম মনে নেই । ১৫ টাকা বোধহয় । প্রথম সংখ্যার রাক্ষস বইমেলায় বিক্কিরি করা হচ্ছিল ১২ টাকায় গোটা উপন্যাস সঙ্গে কবিতা ও প্রবন্ধ ফ্রি - এইসব বলে ।

    (আরও আছে)
  • aranya | 78.38.243.218 | ১৯ এপ্রিল ২০১৪ ১০:২৯671139
  • 'বাংলা ভাষার প্রথম ইয়ে উপন্যাস 'খাণ্ডবদাহন' - ইয়ে এই 'ইয়ে উপন্যাস' শব্দবন্ধের দ্বারা কবি কি বলতে চাইছেন?
  • তাপস দাশ | ১৯ এপ্রিল ২০১৪ ১৫:৩৫671140
  • ইয়ে - মানে যাকে বলে ইয়ে । যাকে খোপে ফেলা যাবে না । অনেক পরে পন্ডিতি চর্চায় বেরোবে এর খোপ ওই হলেও হতে পারে, এবং সঙ্গে সঙ্গে সেটা যে কেন ওই খোপে পড়বে না, তা নিয়ে অন্য পণ্ডিতেরা তর্ক জুড়ে দেবেন, অন্য রেফারেন্স বই সহযোগে । আবার এরকমও হতে পারে, একই রেফারেন্স বই ব্যবহৃত হবে । মোটের উপর ইয়ে মানে এই ।

    রক্তকরবী । প্রদীপ ভট্টাচার্য সম্পাদিত । এখানে বিভিন্ন সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল অরূপ রতন বসুর উপন্যাস - হলোগ্রাম । রবি সেনের ও মধুময় পালের উপন্যাস । কলিম খানের প্রথম লেখাও বেরিয়েছিল রক্তকরবীর এক সংখ্যায় ।

    দেবাশিস বিশ্বাস সম্পাদিত বিষয়মুখ । আমার মতে বাংলার অন্যতম সেরা সম্পাদক দেবাশিসদা । মলয় রায়চৌধুরীর লেখা ছাড়াও এই পত্রিকায় বেরিয়েছে - কৃষ্ণগোপাল মল্লিকের ভ্রমণকাহিনী, মণীন্দ্র গুপ্তের অক্ষয় মালবেরি । বেরিয়েছে বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়ের প্রবন্ধ । আশ্চর্য মানুষদের আশ্চর্য লেখা বের করতে পারা ছিল বিষয়মুখের অনন্যসাধারণ বৈশিষ্ট্য । দেবাশিসদা এখন অন্য একটা পত্রিকা করে । বিষয়মুখ আর দেখি না । বিষয়মুখের সঙ্গে ওতপ্রোত যুক্ত ছিল বিকাশদা । মানে গণচৌধুরী । ওর কাছে আগ্রহীরা আরও ডিটেইল পাবেন ।

    নাইয়া - আগেও একবার উল্লেখ করেছি । অন্য কোনো জায়গায় । গৌতম ভদ্রের ইন্টারভিউ নিয়ে দুটো সংখ্যা বেরিয়েছিল । প্রথম সংখ্যার ইন্টারভিউ শেষ হচ্ছিল সম্ভবত এরকম একটা জায়গায় - আমি ঠিক আর আপনি ভুল এরকম জায়গা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে । এরকমও তো হতে পারে যে, আপনি আর আমি দুজনেই ভুল । (কোট না, যা মনে আছে - কারণ আমি যা লিখছি, তা সম্পূর্নভাবে স্মৃতি থেকে - কোনো কিছু নেই হাতের সামনে এই কী বোর্ড আর স্ক্রিন ছাড়া) । ওই সময়ে, মানে ধরুন নয়ের দশক তখনও মাঝ বয়স দেখেনি, সেরকম সময়ে আমার মত লোকজনের কাছে এই সব উক্তি খুব জরুরি হয়ে ওঠে ।

    বাংলাদেশের পত্রিকা খুব বেশি পড়ার সুযোগ ছিল না তখন । একটা পত্রিকার কথা মনে পড়ছে । তখন বাংলাদেশের বইয়ের এত চাকচিক্য ছিল না । বইমেলায় দু একটা খাপছাড়া স্টলে পাওয়া যেত । হাসান আজিজুল হক প্রথম ওরম একটা স্টল থেকে পাই । সেখানে থেকেই হাতে পেয়েছিলাম একটা পত্রিকা । নাম দেখেই চমকে যাই - খুন । খুব আভাঁগার্দ লেখার শৈলী । একটা লাইন আজও মনে আছে - একটা গদ্যের লাইন - 'বনলতা সেন কব্জির বদলে যোনিতে ঘড়ি পরতেন' ।

    সব্বাই অনুষ্টুপকে গাল দেয় । অনুষ্টুপ কিন্তু খুব সিরিয়াসলি সমর সেন সংখ্যা করেছিল । আমার যদ্দুর মনে পড়ে, বিশেষ সংখ্যা বের করার প্রচলন ম্যাগাজিনদের মধ্যে প্রথম অনুষ্টুপই করেছিল । ওখানে সুমন্ত মুখার্জির লেখা প্রবন্ধ, মহাশ্বেতা-স্বপ্নময়দের গল্প রেগুলার বেরোত । পরিবেশ আন্দোলন নিয়ে মোহিত রায়ের প্রচুর লেখা ওখানেই বেরয় । অনুষ্টুপের কথা বলতে শুরু করলাম একটা কথা মনে পড়ে যাওয়ায় । পরেশ চট্টোপাধ্যায়ের একটা প্রবন্ধ বেরিয়েছিল ওখানে । তার প্রতিপাদ্য বোধহয় ছিল, লেনিনের নেতৃত্বে নভেম্বর বিপ্লব আসলে গুটিকয় সমাজবিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে ক্যাওস তৈরির চেষ্টা । উরেঃ ত্তারা । বিপ্লবের চাঁদ ও তারা খসে খসে যায় । পরের সংখ্যার অনীকে তার বিরুদ্ধে রতন খাসনবীশ লিখলেন । ওই সময়ের গণপ্রতিক্রিয়া উপভোগ করার মত ছিল। যে জীবনেও এসবের মধ্যে নেই, সেও ঘৃণ্য পরেশ নিপাত যাক বলছিল ।

    খুব ছোট্ট পত্রিকা ছিল খোঁজ । মেয়েদের পত্রিকা - সংগঠনের ছাতাহীন - সম্ভবত প্রথম । গুটি ৬ ৭ সংখ্যা বেরিয়েছিল । কৃষ্ণা চট্টোপাধ্যায় সম্পাদনা করতেন সম্ভবত । মাঝে সাঝে পুরনো বইয়ের দোকানে একটা দুটো সংখ্যা দেখতে পেতাম। ক দিন আগে তারাতলায় প্যামস নামে যে ছোট কফি শপ আছে, যেখানে রিডিং মেটিরিয়াল রাখা থাকে, সেখানে গিয়ে দেখি, খোঁজের অনেকগুলো পুরনো সংখ্যা ।

    স্ব-উদ্যোগে মানবাধিকার সংক্রান্ত পত্রিকা ছিল দিলীপ রায়ের খোলা জানালা । দিলীপদা পিইউসিএল করত । এদিকে কলকাতায় ওদের প্রায় কোনো সংগঠন ছিল না । একদম নিজের উদ্যোগে, অন্য কিছু পিইউসিএল কর্মীর সমর্থনে পত্রিকার ৫ ৬ টা সংখ্যা বের করতে পেরেছিল ।

    প্রমা অনেকদিন আগে উঠে যায় । প্রমা পত্রিকাতেই সম্ভবত বেরিয়েছিল হারবার্ট । যা নিয়ে আর কথা বলার নেই ।

    বোবাযুদ্ধ । বা জারি বোবাযুদ্ধ । দীর্ঘদিনের কাগজ । যা কলকাতা থেকে বেরয় না । বিজ্ঞাপনপর্ব পত্রিকার সঙ্গে যখন সুবিমল মিশ্রের ছাড়াছাড়ি হল - তখন সুবিমল মিশ্র যাদের সম্পূর্ণ সঙ্গে পেয়েছিলেন । উদয়ন ঘোষ ও সুবিমল মিশরের লেখা ক্রমাগত ছাপিয়ে যাওয়া - পত্রিকা বিক্রির দিকে না তাকিয়ে, তাপস ঘোষ আর প্রচেত ঘোষের ধক দেখবার মত । আর একই সঙ্গে সিনেমা নিয়ে কাজ । এবারেও দেখলাম দেবেশের সঙ্গে কথোপকথন ।আর চিত্রনাট্যও । সিরিয়াসলি সিরিয়াস । এবং ফুল দমে প্রতিষ্ঠানকে খিস্তি ।

    (চলছে, চলবে)
  • এমেম | 127.194.248.199 | ১৯ এপ্রিল ২০১৪ ১৮:৫৫671141
  • পড়ছি, ভালো লাগছে। গতিময় লেখা তাপস।
  • sumeru | 127.194.1.139 | ১৯ এপ্রিল ২০১৪ ১৯:০১671142
  • পড়ে গেলাম। পরশু আবার দেখব, বিড়াল কত বাহির হৈল।
  • aka | 34.96.239.132 | ১৯ এপ্রিল ২০১৪ ১৯:৩০671144
  • যা বুঝলাম কাউকেই লিটল ম্যাগ বলা যায় না অথচ তাও কেউ কেউ লিটল ম্যাগ তকমা নেয়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন