এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 132.164.22.30 | ০৩ জুন ২০১৫ ১২:০৫680154
  • লাস্ট লাইনটা আরেকটু পরিষ্কার করে দি।

    ফারাবিদের চিনতে হবেনা মানে ফারাবির থাকবেনা, সেটা নয়। এর মানে ফারাবিরা বুঝবে যে কাউকে মেরে ফেললে জেল বা ফাঁসি হবে (আইনানুযায়ী), সেই ভয়টা তাদের থাকবে। তারা "নাস্তিকতা" বা "ধর্মের অবমাননা" বা অন্য কোন ইস্যুতে প্রোটেস্ট নিশ্চয়ই করবে, আন্দোলনও করবে, বাংলাদেশের সোসাইটি সেসব প্রোটেস্ট ইত্যাদি নিয়ে নিজের মতো করে মত দেবে বা প্রোটেস্টে অংশগ্রহন করবে। কিন্তু নিজের ইচ্ছেমতো, আগাম ঘোষনা করে কাউকে খুন করবার সাহস পাবে না। পরপর হুমকি দিয়ে যাবেনা।
  • কুম্ভকর্ণ | 24.139.190.82 | ০৩ জুন ২০১৫ ১২:০৬680155
  • বামপন্থীদের উচিত এক্সক্লুসিভলি বামপন্থীদের উপকার করা। দক্ষিণপন্থীরা এত উপকার হজম করতে পারবেনা।
  • h | 213.132.214.156 | ০৩ জুন ২০১৫ ১২:০৯680156
  • এর চেয়ে গোল প্রস্তাব হয় না। এ মানে আমার চেয়েও গোল। কোথায় ডিসি ---তিনটে কারণ দেই?

    সরকার এখন আওয়ামী লিগের। আপনি বলছেন সরকার আইনের সপক্ষে জনমত গড়বে। কিন্তু মনে করুন সরকার থাকতো বি এন পি র। তখন তারা আইনের সপক্ষে কিন্তু ভারতের বিপক্ষে জনমত গড়ে তুলতো।

    দ্বিতীয়তঃ এবার জনমত গড়ার কাজ সরকার করলে সরকার কে থিয়োরাইজ বা আইডিয়োলোজিকাল ডিবেটে অংশগ্রহণ করতে হবে, সেটা যে কোনো মুহুর্তে বিট অ্যারাউন্ড বুশ হয়ে যাওয়ার চান্স।

    তৃতীয়তঃ এইটা সবচেয়ে মজার। মাইরি। জনমত জনতা তৈরী করলো এবং সরকারের পক্ষে বা আইনের সপক্ষে সেটা গেল না, তখন ভারত কে বাইরে থেকে সাহায্য করতেই হবে। তো এইটার ই বিভিন্ন প্রচলিত পদ্ধতি আমি বলছিলাম।
  • dc | 132.164.22.30 | ০৩ জুন ২০১৫ ১২:১০680157
  • আকা যে দুটো পয়েন্ট লিখেছেন তার সাথে তো একমতই! কেন একমত তাও লিখলাম। এর থেকে বেশী ক্লিয়ার আর কি হয়! ঃ-)

    আইন একেক জায়গায় একেকরকম তো বটেই! বাংলাদেশে যা আইন আছে সেটাই কার্য্যকর করার কথা বলছি। বাংলাদেশের আইনে নিশ্চয়ই এরকম প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে খুন করার কথা বলা নেই, তো তার জন্য যা শাস্তি সেটা এনশিওর করতে পারার কথা বলছি।
  • dc | 132.164.22.30 | ০৩ জুন ২০১৫ ১২:১৫680158
  • এই রে, সরকারের জনমত গড়ার ওপর পুরো জোরটা এসে পড়েছে।

    আমি ঠিক ডিবেট, পুস্তিকা, এসবের মাধ্যমে জনমত গড়ার কথা বলিনি। আমি বলতে চেয়েছি পুলিশ যদি ধারাবাহিক নিজের কাজ করে যায় সেটাও আইনের শাসনের স্বপক্ষে একরকম জনমত গড়ে তোলে, মানে মানুষের অন্তত এরকম ধারনা হয় যে খুনখারাপি করে সহজে পার পেয়ে যাবনা।

    "কিন্তু মনে করুন সরকার থাকতো বি এন পি র। তখন তারা আইনের সপক্ষে কিন্তু ভারতের বিপক্ষে জনমত গড়ে তুলতো।"

    তাতে তো অসুবিধে নেই! পক্ষে বিপক্ষে যেরকম জনমতই হোক না কেন, একটা দেশে মোটামুটি পুলিশ কাজ করলেই হলো। এবার বাংলাদেশে কিরকম জনমত গড়ে তোলা হচ্ছে সেসব তো ভারত সরকারের মাথাব্যথা। তার জন্য তো অন্তত ব্লগ লিখে কাউকে খুব হতে হবেনা।
  • h | 213.99.211.132 | ০৩ জুন ২০১৫ ১২:৩৪680159
  • তাইলে এমনিতে কোনো সমিস্যে নেই। মানে ধরুণ বাংলাদেশের ব্লগার কে বাংলাদেশের জনমতের একাংশ দ্বারা সমর্থিত জামাতি-বামাতি খুন করে ফেললে, এমনিতে আমাদের কিসু করার ও নেই, বলার নেই, যা কিছু সব ই সার্বভৌম বাংলাদেশের পুলিশের। খোদ আমেরিকায় লোকে ব্ল্যাক টিনএজার দের খুন করে পার পেয়ে যাছে , তবে সেটা সার্বভৌম ভাবে তাদের। তাদের পাঁটা, দে কাট থ্রু লেজ অর মাথা, কমপ্লিটলি দেয়ার মাথা ব্যাথা।
  • শাক্যজিৎ | 116.51.243.145 | ০৩ জুন ২০১৫ ১২:৩৮680160
  • দেখুন সর্ব কালে সর্ব দেশে আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে প্রথম রেজিস্টান্স এসেছে ধর্মের হাত ধরে। সেই রেজিস্টান্সকে ক্রাশ করলেও তার রেশ থেকে গেছে বহুদিন এবং অন্যান্য রেজিস্টান্স তার হাত ধরে উঠে এসেছে। ইউরোপে ডুয়াল রেভলিউশনের পরে (ফরাসী বিপ্লব+শিল্প বিপ্লব) ফ্রান্স এব্বং অন্য কয়েকটি দেশে অন্যতম উপকৃত হয়েছিল কৃষক সমাজ আগ্রারিয়ান রিফর্মের ফলে কিন্তু তার পরে তারাই সর্বপ্রথম নব্য বুর্জোয়ার বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল যীশুর নামে বা জারের নামে (রাশিয়ায়) বা সম্রাটের নামে। তার একটা বড় কারণ ছিল যে পুঁজীবাদী রিফর্মের ফলে উপকৃত হবার পরেও তারা প্রেফার করেছিল সামন্ত সমাজের মানবিক সম্পর্ক (তার ঘর ভাংলে জমীদার বাধ্য থাকত নতুন ঘর তৈরী করে দিতে, খরার সময় সে শস্তায় বীজ কিনতে এনটাইটলড ছিল ইত্যাদি ইত্যাদি)। তাকে সেই রেজিস্টান্সের শক্তি যুগিয়েছিল ক্রিশ্চিয়ানিটি। ভারতে তীতুমীর বলুন বা সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহ, প্রান্তিক কৃষক সমাজকে ইন্সটিগেট করে এসেছে ধর্মের বিভিন্ন সেক্ট। যে জিনিসটা আমাদের সেকুলার লিবারালরা কখনো বুঝবেন না যে কলোনীতে জাতীয়তাবাদ বলুন সেকুলারিজম সেগুলোকেও ধর্মের বা মৌলবাদের সাথে ওপেন ডায়লগ চালিয়ে যেতে হবে নিজের জায়গা ঠেলেঠুলে করে নেবার জন্যে, কারণ এই কন্সেপ্টগুলো সর্বপ্রথম যে শ্রেণির কাছে পৌঁছেছে তারা ঐতিহাসিকভাবে তাদের আলোকপ্রাপ্তির মাধ্যমে কলোনিয়াল প্রভুর সেবাদাস হয়েই থেকেছে, এবং সেই কারণে প্রতিরোধী সেক্টগুলো, নিম্নবর্গ, ক্ষুদ্র কৃষক এরা সর্বদাই সন্দেহের চোখে দেখে এসেছে এই শ্রেণীকে। সেকুলারিজমের আইডিয়া দিয়ে তাই রেজিস্টান্স বোঝা দুষ্কর। প্রাথমিক রেজিস্টান্স সর্বদা অতীতচারী হয়, কেন হয় তা নিয়ে সমালোচনা করার অধিকার আমাদের নেই। লেনিন যেমন বলেছিলেন "নো রেভলিউশন ইস পার্ফেক্ট", আয়ারল্যান্ডে জেমস কনেলীরা যখন সমাজতন্ত্রের সাথে ক্যাথলিসিজমের মিশেল ঘটাচ্ছিলেন বলে কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনালের চক্ষুশূল হয়েছিলেন তখন জেমস কনোলিদের পক্ষে দাঁড়িয়ে লেনিনীই কথাগুলো বলেছিলেন, আর সেই সাথে এটাও বাস্তব যে স্বাধীনতা সংগ্রাম এত ব্যাপকভাবে ইউরোপের আর অন্য কোন দেশে হয়নি আয়ারল্যান্ড বাদে, কারণ ধর্ম ঐক্যবদ্ধ করেছিল।

    তো, যদি রেজিস্টান্স করতে হয় তো ধর্ম বাদ দিয়ে এগনো চাপের, তাহলে সেতা এলিট ইন্তেলেকচুয়ালদের আর্মচেয়ার রেজিস্টান্স হয়েই থাকবে। সেই রেজিস্টান্স লোকায়ত হিন্দু-ধর্মের হাত ধরে আসুক, বা মতুয়াদের হাত ধরে, বা জামাতের হাত ধরে। যে কোন ফর্মে আসলেই তা স্বাগত। খাগড়াগড়ে বোম ফাটলেও স্বাগত । ভুলভাল হোক, চলতি সিস্টেমকে ডিস্টেবিলাইজ করার থেকে ভাল আর কিছু হয় না
  • dc | 132.164.22.30 | ০৩ জুন ২০১৫ ১২:৪৭680161
  • h এনিওয়ে, আমরা এখানে আমাদের মতামত লিখছি মাত্র, আমরা তো আর ঘটনা ইনফ্লুয়েন্স করার জায়গায় নেই (যা আপনিও লিখেছেন), কাজেই "তাদের পাঁটা, দে কাট থ্রু লেজ অর মাথা, কমপ্লিটলি দেয়ার মাথা ব্যাথা" - এ এক্কেবারে সত্যি। আমরা নিজের নিজের মত এখানে লিখছি, এটুকই। মানে আমার মত হলো বাংলাদেশের সরকারকে আইনের শাসন (বাংলাদেশের আইনের) প্রতিষ্ঠা করতে আরো উদ্যোগী হতে হবে, এবার সত্যিকারের সেটাই হবে কি হবেনা তা তো আর আমার মতের ওপর নির্ভর করেনা।

    শাক্য আমি চলতি সিস্টেমকে ডিস্টেবিলাইজ করাতে খুব একটা আগ্রহী নই। কাজেই...
  • h | 213.99.211.19 | ০৩ জুন ২০১৫ ১২:৫৩680162
  • ডিসি, এগ্রিড। এটা সত্যি।
  • h | 213.99.211.19 | ০৩ জুন ২০১৫ ১২:৫৫680164
  • সত্যি কিসু লেখার ই কোনো মানে হয় না। কারণ আমরা কেউ কিসুই ইনফ্লুয়েন্স করার জায়গায় নেই। যে কোনো কিছু র ই পক্ষে বা বিপক্ষে। শুধু সোশাল নেটওয়ার্কে এত লোকে লেখে কেন এটা ক্লিয়ার না।
  • aka | 74.134.236.13 | ০৩ জুন ২০১৫ ১২:৫৮680165
  • হোয়াই ইজ ইট সো শাক্য? চলতি সিস্টেমকে ডিস্টেবিলাইজ করলে ভালো কেন?

    আর ব্যাঙের মাথা (আমাদের ব্যাঙ না) এই আলবাল হানু যা লিখছে তার সাথে আমার বক্তব্যের কোনই সম্পর্ক নেই।

    পোষ্কার ছাতে আসুন - অভিজিত রায় যে কিনা খুন হয়েছে আর ফারাবী যে নাকি খুন কর্সে বা তাদের ধামা ধরা যারা খুন করেছে, বারবার হুমকি দিয়ে, তারা নাকি ব্যাটম্যান আর জোকার। ডিফেন্ড ইট হানু।
  • dc | 132.164.22.30 | ০৩ জুন ২০১৫ ১২:৫৯680166
  • শুধু সোশাল নেটওয়ার্কে এত লোকে লেখে কেন এটা ক্লিয়ার না।

    বাষ্প বেরোয়? :p
  • kumbhakarNa | 24.139.190.82 | ০৩ জুন ২০১৫ ১৩:০৪680167
  • এত লেখে কারণ ঘুমের কৌশল রপ্ত করেনি।
  • h | 213.132.214.156 | ০৩ জুন ২০১৫ ১৩:০৫680168
  • এই নতুন ধরনের আলবালের সঙ্গে আবার আমার কোনো সম্পর্ক নেই। কে ব্যাটমান আর কে জোকার আমি কিসুই জানি না ঃ-))))
  • aka | 74.134.236.13 | ০৩ জুন ২০১৫ ১৩:০৭680169
  • তাইলে আর কেন মইধ্যে থাকা বাপু। এইসব আলবাল শাক্য লিখছে, বিশ্বাস না হয় শাইক্যের জিগাও গুরু।
  • PM | 116.78.109.1 | ০৩ জুন ২০১৫ ১৩:০৯680170
  • "ভুলভাল হোক, চলতি সিস্টেমকে ডিস্টেবিলাইজ করার থেকে ভাল আর কিছু হয় না"--

    কাল্লোলদা শাক্য-কে নেমোন্ত করে লুরুতে তুন্ডাই কাবাব খাওঅবেন , আমি নিশ্চিত। এতোদিনে গুরুতে কাল্লোলদার এক নৈরাজ্যবাদী দুসর হলো ঃ)
  • শাক্যজিৎ | 23.17.125.9 | ০৩ জুন ২০১৫ ১৩:৫৮680171
  • হ্যাঁ যুক্তি আর অযুক্তি হল ব্যাটম্যান আর জোকার। মৌলবাদ আর নাস্তিকতা এক-ই কয়েনের এপিঠ ওপিঠ। এককে বাদ দিয়ে অন্যজন অসম্পূর্ণ। এটা লিখেছিলাম।

    আর চলতি সিস্টেম ইনহিউম্যান, তাই ডিস্টেবিলাইজ করা ভাল। :)
  • শাক্যজিৎ | 23.17.125.9 | ০৩ জুন ২০১৫ ১৪:০২680172
  • আর প্রথমত আমি ব্যান্গ্গালোরেই থাকি, আর দ্বিতীয়ত কল্লোলদার সাথে আমার মতামত একদম-ই মিলবে না। আমি ব্রডলি যে সেন্ট্রাল পলিসি ও অ্যাজেন্ডাগুলো নেওয়া হয় সেই বেসিসে বামফ্রন্ট তথা সিপিএম সমর্থকঃ)অ্যানার্কিস্ট একেবারেই না। কল্লোলদার মতামতের একেবারে উলটো মেরুতে :)
  • amit | 24.202.184.178 | ০৩ জুন ২০১৫ ১৪:০৮680173
  • ও আচ্ছা, তাহলে আইসিস, বোকা হারামি যে মেয়েদের সেক্স স্লেভ বানাচ্ছে, অন্য জাতের বাচ্চাদের গুলি করে মারছে, সেসব আসলে ইনহিউম্যান সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে এদের মানবিক প্রতিবাদ -? ইনহিউম্যান সাম্রাজ্যবাদের স্টেবল, জগদ্দল পাথরকে একটু জাস্ট ডিস্টেবিলাইজ করা, এ আর এমন কি। বড় ভালো লাগলো জেনে। কত কি যে জানার আছে।
  • 0 | ০৩ জুন ২০১৫ ১৪:৩৫680175
  • এথিস্ট ব্লগারদের লেখা ধর্মনিরপেক্ষ ভাবে সব ধর্মেরই ঐশ্বরিক বিশ্বাসকাঠামো, ধর্মজীবী যাজকতন্ত্র ও পুরনো অমানবিক কুপ্রথার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে মানুষকে মুক্ত চিন্তার পথ দেখানোর চেষ্টা করে। কোনো ধর্মের ওপরেই তাদের কোনো বিশেষ নজর নেই। অন্তত লেখা পড়ে তাই মনে হয়।
    কোনো ধর্মের শাস্ত্রবিধানে নিরীশ্বরতা বা নাস্তিকতা শাস্তিযোগ্য অপরাধ মানা হলে তখন কাজটা স্বাভাবিক কঠিন, ঝুঁকিপূর্ণ, আর তাই প্রয়াসটাও বেশী চোখে পড়ে - এটুকুই।

    কে কিভাবে সেই লেখাকে ব্যবহার করতে পারে, মানে, কোনো ধর্মের মৌলবাদীরা, সাম্রাজ্যবাদীরা, নিওকন্‌রা তাদের নিজেদের প্রচারের স্বার্থে ব্যবহার করবে কিনা, কিংবা, কোনো ধর্মের মৌলবাদীরা লেখার বেশী বিতর্কনীয়তায় ক্ষেপে গিয়ে তাদের মারবে কিনা, সেটা ভেবে দেখাও নিশ্চ'ই দরকার।
    কিন্তু ধর্মোন্মাদ মৌলবাদী সন্ত্রাসের সাথে কোনো তাত্বিক/রাজনৈতিক সম্পর্ক রাখা নয়।
  • dc | 132.164.94.89 | ০৩ জুন ২০১৫ ১৫:০০680176
  • বামফ্রন্ট তথা সিপিএম যদি জামাত, আইসিস, বোকা হারামির মতো মৌলবাদীদের সমর্থন করতো তো লোকে কি পরিমান দুয়ো দিতো তাই ভাবছি :d ভারতের দুটো না তিনটে রাজ্যে যেটুকু অস্তিত্ব আছে তাও মুছে যেত।
  • তাতিন | 125.118.162.107 | ০৩ জুন ২০১৫ ১৫:০১680177
  • চলতি সিস্টেমকে ডিস্টেবিলাইজ করলে ভালো কেন?

    ... আমি চলতি সিস্টেম নিয়ে বেজায় রকম অখুশি (কেন অখুশি, সেই কারণ ধরুন ব্যক্তিগত) এবং আমি এও দেখছি যে এই সিস্টেম এত জাড্যময় যে এর মধ্যে দাঁড়িয়ে এর বাইরের কিছুকে ভাবার অবসর টুকু পাবো না। ওলা থেকে উবার আর আইফোন সিক্স থেকে আইফোন সেভেনের দিকেই শুধু এগিয়ে যাবো।
    সেক্ষেত্রে, আমি মনে করি।, কেউ যদি এই গতিজাড্যকে সামান্য একটু থতমত করে দ্যায়, উল্টোদিকে কী করব বা এর বাইরে অন্যকিছু কীভাবে হতে পারে সেইটা ভাবার সুযোগ, সময়, অবসর পাবো।

    সেইজন্য, মাওয়িস্ট থেকে জামাত, যে এখানে গন্ডগোল পাকাবে তাকে সমর্থন।
  • তাতিন | 125.118.162.107 | ০৩ জুন ২০১৫ ১৫:০৬680178
  • শাক্য, দুটো পয়েন্ট আরও আসা উচিত।
    ধর্মের মধ্যে (যেকোনও ধর্মের মধ্যে) আবশ্যিক ভাবে দুটো এলিমেন্ট আছেঃ
    ১) আত্মনিয়ন্ত্রন- কী খাবো, কী খাবো না, কী পরব কীপরব না, কার সঙ্গে শোব, কার সঙ্গে শোব না এই সমস্থ বিধিনিষেধ। একভাবে দেখলে আমরা কতটা ভোগ করব বা কনজিউম করব, তার ওপর একটা মাত্রা টেনে দ্যায় ধর্ম।
    ২) গোষ্ঠী-ফিলিং- আবশ্যিক ভাবে ধর্ম একটা কমিউনিটি ছাড়া চলেনা। কমিউনিজম-এর পরাজয়ের পর গোষ্ঠীচেতনাকে ব্যক্তিচেতনার ওপর রাখছে একমাত্র ধর্মগুলোই। বাজার 'আমি আমার মতো' কে প্রোমোট করছে।

    আমার কাছে এই দুটো প্রতিরোধের উপাদান।
  • dc | 132.164.94.89 | ০৩ জুন ২০১৫ ১৫:১২680179
  • আমি আবার চলতি সিস্টেম নিয়ে তেমন অখুশী না, তাই এটা ইমপ্রুভ করতে চাই শুধু, ডিস্টেবিলাইজ করতে চাইনা। ভাগ্যিস আমার দেশে মাওবাদী বা মৌলবাদীরা এখনও এমন জায়গায় পৌঁছায়নি যে সিস্টেমটা ডিস্টেবিলাইজ করতে পারবে!
  • শাক্যজিৎ | 23.17.125.9 | ০৩ জুন ২০১৫ ১৫:১৩680180
  • আত্মনিয়ন্ত্রণ আমার কাছে প্রতিরোধের উপাদান না। ধর্মকে অপছন্দ করার একটা বড় কারণ আমার কাছে ওটা :)

    আর পছন্দ করার বড় কারণ সেকেন্ড পয়েন্টটা। কমিউনিটি ফিলিং। সেটা আবার সবথেকে বেশি মুসলিম ধর্মে দেখা যায়।

    এই গোষ্ঠীচেতনা অবশ্য হিন্দু ধর্মের প্রতিরোধে নিম্নবর্গের ধর্মচেতনায় উঠে এসেছে। সে গুরুচাঁদ-হরিচাঁদ হোক বা রামঠাকুর, বা বাবা লোকনাথ। কৌমচেতনার চরম দেখা যায় সেখানে। প্রাতিষ্ঠানিক মেইনস্ট্রীম হিন্দু ধর্ম এতই রিগ্রেসিভ যে সেটুকুও রাখেনি
  • তাতিন | 125.118.162.107 | ০৩ জুন ২০১৫ ১৫:১৮680181
  • আমি এই দুটো পয়েন্ট মনে করি- অসাম্য আসলে ভোগের অসাম্য। এবং মানুষের ভোগের ওপর লিমিট না বসালে সাম্য কেন, সবার খেতে পরতে পারার বন্দোবস্ত হবে না। আর তার থেকেও বড় কথা, পৃথিবীটা প্রাণযোগ্য থাকবে না।
    সেক্ষেত্রে আত্মনিয়ন্ত্রণ একটা খুব বড়ো দরকার মনে করি। তাছাড়া আত্মনিয়ন্ত্রণের রাজনৈতিক দিকও আছে, সেগুলো কল্লোলদা বেটার বলতে পারবেনা :)
  • tatin | 125.118.162.107 | ০৩ জুন ২০১৫ ১৫:২২680182
  • 'বেটার বলতে পারবেন।' হবে
  • 0 | ০৩ জুন ২০১৫ ১৫:৪৩680183
  • নিরীহের ওপর সহিংস সন্ত্রাস কখনোই অপ্রেশন্‌/ইন্‌যাস্টিস্‌ প্রতিরোধের পথ নয়। মৌলবাদী/ভাষাজাতিক/আর্থিক সাম্রাজ্যবাদী রাজনীতির পথ।
  • ranjan roy | 192.69.154.221 | ০৩ জুন ২০১৫ ১৬:০৬680184
  • আমার দু'পয়সাঃ
    ১) জনমত ও সরকারঃ
    কোন দেশে কোন যুগেই কি 'জনমত' একটা হোমোজিনিয়াস এনটিটি? কে বলল ব্লগার খুন নিয়ে ব্যাপক জনমত সমর্থন করছে? প্রতিবাদ হয় নি কি?
    আসলে সরকার নিজের দায়িত্ব পালন করছে না, তাই প্রতিবাদী কন্ঠস্বর একটা সময়ের পর গুটিয়ে গেছে। সরকার 'রাজধর্ম' পালন করে নি।করলে??
    এই অর্থেই জনমত কে প্রভাবিত ( তৈরি নয়) করার দায়/দোষ সরকারের।
    এই বঙ্গেও যখন দেখা যাচ্ছে যে শাসক দলের সমর্থন পুষ্ট হলে পুলিশ ধরবে না, বা ধরলে সহজে জামিন পাবে-- তখন প্রতিবাদী খুন নিয়মিত হচ্ছে। ওদের সাহস বাড়ছে। এখন এমন অবস্থা যে হাইকোর্ট কড়কে দিচ্ছে বিরোধী নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সুরক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে।
    ২) স্মৃতিশাস্ত্র;
    অর্থাৎ প্রাচীন হিন্দু কোড অফ কনডাক্ট। সমস্ত সংহিতা গ্রন্থগুলো-- যেমন মনুসংহিতা, পরাশর সংহিতা, যাজ্ঞবল্ক্য সংহিতা, নারদ সংহিতা ইত্যাদি। এতে সমস্ত সামাজিক বিধিনিষেধ, রাজা ও প্রজার, ব্রাহ্মণ ও শূদ্রের, নারী ও পুরুষের আচরাণবিধিও বর্ণিত আছে। এগুলোকে সাধারণতঃ ধর্মশাস্ত্র বলা হয়। কেননা ভারতীয় পরম্পরায় ধর্ম মানে রিলিজিয়ন নয়, বরং আচারণবিধি।
    ধর্ম= যঃ ধারয়তি সঃ, ইতি= যা ধরে রাখে ( সমাজকে)।
    আমার টীকাঃ বেঁধেও রাখে!!
    ৩) তাতিনের 'ধর্মভিত্তিক কৌমচেতনা'= প্রতিরোধের হাতিয়ার প্রসঙ্গেঃ
    চাইলেও সময়ের উল্টোদিকে হাঁটা যায় না।
    ইতিহাসের বিশেষ কালখন্ডে ওটি প্রতিবাদের হাতিয়ার ছিল, কোন সন্দেহ নেই। চৈতন্যদেবের ধর্ম আন্দোলন বা বিবেকানন্দ বা বংকিমের বন্দেমাতরম উদাহরণ।
    কিন্তু কোন জিনিস বা তার চরিত্র অজর অমর নয়। ধর্মও দিনে দিনে তার প্রতিবাদী চরিত্র হারিয়েছে, তার নেগেটিভ দিকটাই মুখ্য হয়ে উঠেছে। তাই বিবেকানন্দের রাষ্ট্রবাদ আজ আর এস এস এর হিন্দু রাষ্ট্রবাদের ভালো মেটিরিয়েল।
    বরং ব্যক্তিবাদী ( পড়ুন পুঁজিবাদী) ভোগচেতনা আজকের ভারতবর্ষে সামন্ততান্ত্রিক ঐতিহ্য/ কুসংস্কার/খপ পঞ্চায়েত সংস্কৃতিকে অস্থির করতে পারে।
    ধার্মিক গোষ্ঠীচেতনাকে ভিত্তি করলে সেটি বর্তমানে অনিবার্য ভাবে খপ পঞ্চায়েত সংস্কৃতিতে অবসিত হবে।
  • তাতিন | 125.118.162.107 | ০৩ জুন ২০১৫ ১৬:১২680187
  • খাপ পঞ্চায়েত সংস্কৃতি বলতে কী বলছেন?
    এবং ব্যক্তিবাদী ভোগচেতনা তাকে অস্থির করতে পারে মানে?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন