এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • অনুকুল চা্ড্ডি শীর্ষেন্দু ও তার ভাব বিগলিত ক্যালানো কথামালা

    বিশ্লেষন করুন
    অন্যান্য | ২৮ আগস্ট ২০১৬ | ১৪২৯৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Atoz | 161.141.85.8 | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০৬:১২718568
  • ভাগীরাজ, আহা, এতদিন পড়ো নি বলে কী হয়েছে? এবারে পড়ে নিলেই তো পারো। ঃ-)
  • bhagidaar | 106.2.247.250 | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০৬:৪৭718569
  • নাঃ, আমার আর ধৈর্য্য নেই।।
  • কান্তি | 113.57.238.179 | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০৭:০০718570
  • একটু খুঁজলেই ' বইএর হাট' এ পেয়ে যাবেন। ডাউন লোড কোরে নিন।
  • ranjan roy | 192.69.167.171 | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০৭:০৯718571
  • কিন্তু T,
    প্রশ্ন তো শীর্ষেন্দুর লেখা নিয়ে, ব্যক্তি শীর্ষেন্দুর জীবন ও ধর্মবিশ্বাস নিয়ে নয়।
    কাজেই আপনার উল্লিখিত বই থেকে অ-ভক্তরা নির্মল আনন্দ পেতেই পারেন, তাতে লেখক শীর্ষেন্দুর অনুকুল ঠাকুর প্রচারের কি এলো গেল?
    sch এবং a এটাই বারবার বলছেন। বরং এতোজ কিছু উদাহরণ দিয়েছেন।
    ঘুণপোকা, মানবজমিন, যাও পাখি, পার্থিব এ কারো চোখে পড়েছে?
  • ranjan roy | 192.69.167.171 | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০৭:১৫718572
  • আর ধর্মব্যবসায়ী বাবাদের নিয়ে একটা আলাদা টই খোলা যেতেই পারে।
    মহেশ যোগী, সত্য সাঁইবাবা, রামদেব, নির্মল বাবা, কৃপালু মহারাজ, সুধাংশু মহারাজ, মা প্রাচী, আরেকজন মা যিনি বাবরি মসজিদ ভাঙার সময় উত্তেজক হিংস্র ভাষণ দিয়ে খ্যাতিমান হয়েছিলেন।

    শীর্ষেন্দুর সাহিত্যে ওঁর নিজস্ব ধর্মবিশ্বাসের ও রেট্রোগ্রেড ধ্যানধারণার প্রচার নিয়ে কথা হোক।
  • | 183.24.110.20 | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০৭:২৫718573
  • গুরুদের মধ্যে এখন দৌড়ে শ্রী শ্রী রভিশংকর সবচে এগিয়ে আছেন। শিষ্যা/শিষ্যর সংখ্যা আকাশ ছুঁইছুঁই। মাঝে মাঝেই নানা রিসর্টে আর্ট অফ লিভিং এর ক্লাশ হয়। আবাসিক আর চাঁদাও বেশ মোটা।
    আমেরিকাতেও ভারতীয়দের্মধ্যে আঅলি বেশ জাঁকিয়ে বসেছে। তবে এই গুরুর ভক্তকুলের সকলেই মিনিমাম উচ্চবিত্ত। কোলকাতাতেও ভক্তসংখ্যা কম না।

    ঝাড়খন্ডে, দেওঘর সংলগ্ন এলাকায় এবং দূরেও রাঃস্বাঃ র হাসপাতাল খুবই জনপ্রিয়। কঠিন কিছু হলে লোকজন রোগী নিয়ে ওখানেই যায়।এইটা গুরুদেবের একটা ভালো কাজ তাতে সন্দেহ নাইঃ)
  • Atoz | 161.141.85.8 | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০৭:২৮718574
  • ঐ বোস মশাই এর ঘাড়ে মিত্র মহিলা কে তুলে দেওয়া মানব্জমিনেই সম্ভবতঃ। যাও পাখি তে তো শুরু থেকেই ঐ ফল্গুধারা নিয়েই এগিয়েছে। শেষে তো জাতে কাটে মিলে মেয়েটা ছেলেটা বে থা করে সুখেশান্তিতে--- । পার্থিব তে তো জোড়া জোড়া উদা, সব কটা জোড়াই তো জাতেকাটে মিলিয়ে পেরেম করে বে থা করলো সব। দূরবীণেও তাই, একেবারে সব জাতগোত্রগাঁই মিলিয়ে মিলিয়ে মেট্রিক্স কষে কষে বে থা। ঐ ব্যাটা ধ্রুব বৌকে কিছু অন্যরকম অভ্যাস ধরাতে চাইছিল এক্সপেরিমেন্টের জন্য, কিন্তু কেঁচে গেছিল। কারণ ভদ্রমহিলা নাকি ছিলেন ওয়ান ম্যান ওম্যান। ইত্যাদি প্রভৃতি বহু মনুবাদী ব্যাপার একেবারে উলের মতন ডিজাইনের ভিতরে ফিট করা ভদ্রলোকের লেখায় লেখায়।

    সম্ভবত উনি লেখেন এই কারণেই। একটা বিশাল রেডি-মর্কেট আছে বইগুলোর, সৎসঙ্গ ভক্তগণ। ওরকম কাহিনি না হলে ওঁরা কিনবেন ক্যানো? তবে ভদ্রলোক বুদ্ধিমান লেখক, খুব মুনশীয়ানার সঙ্গে সাটল কায়্দায় লেখেন, অন্য নন- ভক্তরাও পড়েন, ভালোবাসেনও অনেকে।
  • Atoz | 161.141.85.8 | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০৭:৩৪718575
  • যারা উদাহরণ খুঁজছেন, তাঁদের বলি, ওঁর প্রাইম টাইমে লেখা(একেবারে শুরুতে না, যখন বেশ জনপ্রিয়তা হয়েছে তখনকারগুলো) এক একটা করে বড়ো বড়ো বড়োদের উপন্যাস ধরুন, পড়ে নিজেরাই দেখুন। পরের মুখে ঝাল খাবেন ক্যানো শুধু শুধু?
    ঃ-)
  • avi | 37.63.187.108 | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০৭:৩৬718576
  • পারাপার পড়েছিলাম সেভেন এইটে। প্রেম, ক্যান্সার আর জমিদারী প্রথার লোপ তিনটে নিয়েই খুব দুঃখ হয়েছিল। আর সারারাত জেগে থেকে কী সুবিধা হয় বোঝার চেষ্টা করতাম। লোকজনের দিকে অপলক তাকিয়ে থেকে তাদের ভড়কে দেওয়া যায়, এ জেনেও খুব আনন্দিত হয়েছিলাম মনে আছে। ওটাতেই ছিল, মানুষ চেষ্টা করলে জন্মমুহূর্ত মনে করতে পারে। কদিন বেশ চেষ্টা করেছিলাম। বাকি পার্থব, ঘুণপোকা অনেক পরে পড়েছি, কলেজে আমার এক শীর্ষেন্দুভক্ত বান্ধবীর পাল্লায়। বিরক্তি ততদিনে বিস্ময়ের জায়গা নিয়েছে।
  • | 183.24.110.20 | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০৭:৪২718578
  • শীর্ষেন্দু অসম্ভব মায়াবি এবং শক্তিশালী লেখক।
  • Atoz | 161.141.85.8 | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০৭:৪৩718579
  • এই এইইইইইই, মর্কেট না মর্কেট না, মার্কেট। ঃ-)
  • ঈশান | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০৭:৪৭718580
  • শীর্ষেন্দুর লেখার হাতটি সোনা দিয়ে বাঁধানো। ও জিনিস অন্য লোকে চেষ্টা করলে মেনলি প্যান্টুলের রঙ বদলে যাওয়া ছাড়া আর কিছু ফল হবেনা। ও মাল লিখতে হলে অন্য জগতে থাকতে হয়। সন্দীপন এক জগতে থাকতেন, শীর্ষেন্দু আরেক জগতে। তিনি সিরিয়াসলি ভূতে বিশ্বাস করেন, নইলে ছোটোদের ওই অসামান্য উপন্যাসগুলো লিখতে পারতেন না। ও জিনিস বিশ্বাস ছাড়া বানিয়ে লেখা যায়না। ঈশ্বরে বলাবাহুল্য বিশ্বাস করেন। সামাজিক নানারকম স্টিরিওটাইপিং এর ভিতর ঢুকে বসে আছেন। নইলে বহেরু আর তার মেয়ের মতো চরিত্র লেখা যায়না। এর তুলনায় রাঃস্বাঃ নেহাৎই কম হইল। ওইটুকু একসেন্ট্রিসিটি না থাকলে শিল্প হয়না। তবে মাঝেমাঝে স্টিরিওটাইপিংগুলো চোখে স্পষ্ট করে দেখা যায়। কোনো কোনো জায়গায়। সেই জায়গা গুলো লেখকের ব্যক্তিগত ইচ্ছাপূরণ মনে হয় (বলাবাহুল্য সে ইচ্ছাপূরণে বহু ক্ষেত্রেই একমত হবার প্রশ্নই আসেনা)। এটুকু ছাড়া শীর্ষেন্দু জাস্ট খুঁতহীন। ফিকশন কিভাবে পাকিয়ে তুলতে হয়, পেকে উঠছে সেটা টের পেতে না দিয়ে, কলাকৌশলগুলো একদম রেখে ঢেকে পায়ের কাছে বসে শেখার মতো। অবশ্য এই শঙ্কর হইতে স্মরণজিতের বাংলা বাজারে কেউই তেমন শিখতে আগ্রহী বলে মনে হয়না। :-)

    পুঃ শীর্ষেন্দুর শেষ লেখা(ফিকশন) পড়েছি বছর দশেক আগে হবে। তার পরের লেখা পড়িনি। এমনকি এই টই যা দিয়ে শুরু সেটাও না।
  • Ekak | 53.224.129.42 | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০৭:৪৯718581
  • কী মুশকিল , ফিকশন রিডার রা এমনিতেই একটু গোপীকান্ত গোঁসাই হন , তাঁরা এসব বোস-মিত্র বিচার করে পড়বেন ক্যানো ? এক্ষুনি এসে বলবেন উনি কী কোথাও লিখেছেন যে পাল্টি ঘর ছাড়া দেওয়া যাবেনা ? আপনার মনে গোলমাল তাই মূল গল্প ছেড়ে এসব খুঁজে বেড়াচ্ছেন । এট্টু অপেক্ষা করে যান :):)
  • Ekak | 53.224.129.42 | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০৭:৫০718582
  • আগের পোস্ট আটজ কে ।
  • T | 165.69.191.255 | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০৭:৫৩718584
  • রঞ্জনদা, এখানে 'প্রশ্ন' আবার কি?
    ঘটনা হচ্ছে এই যে, শীর্ষেন্দু বাংলা ভাষায় লেখেন। এইবার একদল বলছে যে, ফিকশনের চরিত্ররা আসলেই মুখোশ। সেই মুখোশের আড়ালে উনি নিজের বিশ্বাস চারিয়ে দিতে চাইছেন। তো, আমার বক্তব্য হ'ল, সেই যখন তাগ কচ্চেন তো, উনি নিজের জবানীতে যা লিখেছেন তাকেই তো ধরা যায়। নয়তো দিনের শেষে শীর্ষেন্দু যদি সটান বলে দেন যে ওসব তো হ'ল কাল্পনিক চরিত্র, বাস্তব রিপ্রেজেন্টেশন সমাজে আছে, তাই তুলে ধরেছেন। তো কি বলবেন তখন। আদালতে এই ফিকশন মারফত ডিডাকশনটি বড়ই সারকামস্ট্যানশিয়াল। আপনি বলবেন, সব লেখাতেই একই কেস কি করে থাকে, তো উনি বলবেন প্রথম লেখার সময় যা অবস্থা ছিল, তা থেকে কিস্যু পালটায় নি।

    এ বাদে, ক্যানো এ ওকে বিয়ে করল না, ক্যানো কিছু গোত্র মিলিয়ে বিয়ে থা প্রেম পিরিত হ'ল, এইসব অবান্তর।

    আরেকটা ব্যাপার দেখুন,

    আপনি বলছেন, ওঁর নিজের ধর্মবিশ্বাস নিয়ে লেখা বই অ-ভক্তরা পড়ে খিল্লি করবে, তো কি এলো গ্যালো?
    ঠিক সেইরকমই ওঁর লেখার মধ্যে যারা নিজেদের দাবী খুঁজে পাবে না, তারা খিল্লি করবে, তো কি এলো গ্যালো।
  • Atoz | 161.141.85.8 | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০৭:৫৩718583
  • হুঁ, জানি হে একক। এসব কথা তো আজ হচ্ছে না নতুন, এর আগে দশ বারো বার এসব নিয়ে কথাবার্তা হয়ে গ্যাছে। ঃ-)
  • Atoz | 161.141.85.8 | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০৭:৫৫718585
  • এখন এনারা কেনারাম গোঁসাইয়ের মতন আকাশ থেকে ধুপ ধুপ করে পড়ে বলছেন, "কঁই কঁই, কোঁথায়? কোঁথায় কোঁয়েছেন? মঁনুবাঁদী? কোঁথায়?"
    ঃ-)
  • a | 55.250.247.146 | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০৭:৫৭718586
  • একে অনুকূল তায় চাড্ডি সঙ্গে বিগলিত ক্যালানে কথামালার উত্তরাধিকার শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, এটাই ছিল টইয়ের শীর্ষক। তা এরকম বিশেষণ(বিশ্লেষণ আছে কী!) উড়ে এলে, নড়ে বসতে হয়।
    বেশ, প্রাথমিকভাবে ধরে নেওয়া যাক, শীর্ষেন্দুর সঙ্গে কারুর ব্যক্তিগত বিরোধ নেই তাহলে শুধুশুধু বলবেই বা কেন কেউ এইরকম কথা।

    সাধারণতঃ এই অনুকূল অনুগামী বা চাড্ডি নামাঙ্কিত মানুষজনের মধ্যে আর একটি সহজলভ্য জিনিস পাওয়া যায়, নারীকে "মেয়েছেলে" হিসেবে দেখানোর প্রবনতা। সুমহান ভারতীয় সংস্কৃতির ধ্বজা তুলে আঁতুড় থেকে রান্নাঘর অবধি আটকে রাখার প্রবনতা। স্ব-অধীনে থেকে স্ব-ইচ্ছা আচারের বিরোধীতা করা অথবা করলে "খারাপ মেয়েছেলে" বলে দাগিয়ে দেওয়াতো আছেই।

    শুরুতে ধরেই নিয়েছি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় একজন চাড্ডি সুতরাং তার উপন্যাসে নারীকে স্বভাবতই এভাবেই আঁকা হবে। দেখা যাক-

    উপন্যাস- ফেরিঘাট

    এই উপন্যাসের নট-নটী, অমিয় ও হাসি।
    হাসি কীরকম মেয়ে? কীভাবে পাঠকের সঙ্গে হাসির আলাপ করিয়ে দেন লেখক। শিলচরে থাকত হাসি। রঙ চাপা হলেও বড়ো সুশ্রী ছিল সে।
    এখানে প্রথম একটু ভ্রূ কুঞ্চিত হয়, গায়ের রঙ জানানো কি জরুরী ছিল খুব, কিন্তু পরক্ষনেই মন বলে হয়ত উপেক্ষা করাই যেত কিন্তু দৌনন্দিন জীবনে পহলে দর্শনধারী ভাবনায় গায়ের রঙটা এসেই যায়, অনেকেই আনে। বেশ এবার তাহলে আর একটু এগোন যাক।
    হাসির জীবনে অমিয় কোথাও ছিল না। যৌবনকালে একশো ছেলে ভালোবেসেছে হাসিকে।
    সবাই হাসিকে ভালোবাসে, কিন্তু হাসি কলকাতাকে। কলকাতার স্বপ্নে বিভোর থাকত। প্রথম কলকাতায় পা রেখে হাসি কীভাবে অনুভব করেছিল কলকাতাকে?
    " গর্জমান এক কামুক পুরুষ যার শিরা-উপশিরায় প্রাণস্রোত, যার আদরে অবহেলায় সর্বক্ষণ জীবন বয়ে যাচ্ছে। সেই প্রথম পুরুষটির আদরে লজ্জায় চোখ বুঝেছিল হাসি"

    কলকাতায় আসার আগেই হাসির পাটীপত্র হয়ে গিয়েছিল, সেকথা আমরা জানি, পাত্রপক্ষ কালাশৌচ মানেনি। এই যে না-মানা এর একটাই কারণ হাসিকে তাদের এত পছন্দ হয়েছিল। সামান্য কিন্তু এই ঘটনাটি খুব সহজে যা মনে করায় তাহ'ল নিয়ম(আচার) মানুষই বানায় কিন্তু আচার সবক্ষেত্রে বিচার হয়ে ওঠেনা। মন সায় দেয়না। সে বিরোধীতা করে। এখানেও তাই হয়েছে।

    যাকগে হাসি'ত এল কলকাতায়। অমিয়র সঙ্গে আলাপ হলো। অমিয়কে সে পাত্তা দিতনা বরং অমিয় হাঁ করে দেখত হাসিকে।
    অথচ কলকাতা-শুধুমাত্র কলকাতার জন্য থেকে গেল হাসি। কয়েকটা কাগজপত্রে সই করে বিয়ে, বাড়িতে চিঠি লিখে জানানো তারপর ঢাকুরিয়ার ফ্ল্যাট।

    শুরু হ'ল দাম্পত্য।
    "শরীরে শরীরে কথা হত ঠিকই। অমিয়র প্রথমদিকের ভালোবাসা ছিল তীব্র, শরীরময়, আক্রমণাত্মক। হাসি সেই খেলায় আগ্রহভরে অংশ নিয়েছে। কিন্তু সে কতটুকু সময়ের ভালোবাসা? শরীর জুড়ালেই তা ফুরায়। তারপর আর আগ্রহ থাকে না অচেনা পুরুষটির প্রতি।"

    তাহলে হাসি কি কাউকে ভালোবাসত না? বাসতো। দাম্পত্যের(সমাজ স্বীকৃত সম্পর্কের) বাইরে সমান্তরাল সম্পর্ক ছিল , তার। সে ভালোবেসেছিল কলকাতাকে। বিশাল কলকাতার কতটুকু প্রতিদ্বন্দ্বী অমিয়? অমিয়কে হাসি ভালোবাসেনি কিন্তু তার কৃতজ্ঞতা ছিল অমিয়র প্রতি, কারণ অমিয় কলকাতায় হাসিকে আশ্রয় দিয়েছে।

    পুরো উপন্যাস জুড়ে হাসি এক উদাস স্বাধীন অহঙ্কারী নারী। আর অমিয় থেকে বিয়ের পাত্রটি(যার সঙ্গে পাটীপত্র হয়ে গিয়েছিল)হাসির প্রেমে ডুবে আছে। কেন ডুবে থাকত?
    "আসলে এমনকিছু মেয়ে থাকে, যাদের সামলানো যায়না"- শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, হয়ত বা সেই কারণেই।

    গোটা উপন্যাস জুড়ে বিষাদ নদী বয়, প্রতিটি চরিত্র নিজের নিজের জায়গায় দাঁড়িয়ে জীবনের মানে খুঁজতে থাকে।

    আমিয় একটা স্বপ্নের মানে খুঁজতে থাকে, ওই যে-
    এক অচেনা রহস্যময় স্টিমারঘাট। যেখানে ধূ ধূ বালিয়াড়িতে চাঁদের আলো পড়ে। পড়ে থাকে সাপের খোলস, উঁচু থেকে দেখা যায়-গড়ানো বালিয়াড়ির্র শেষে জেটি, তরপর অনন্ত নিঃশব্দ জলরাশি-অথৈ। সেই স্রোতের ওপর আবহমান কাল ধরে ঝুঁকে আছে কালো আকাশ। ওইখানে সকলের দেখা হবে।"

    স্বপ্ন। ইচ্ছাপূরণ, কিন্তু ইচ্ছা কী সবসময় পূর্ণ হয়, অতৃপ্তি আর অসম্পূর্নতাও তো সত্য, মৃত্যুরই মতনই...
    তাই হয়ত অন্বেষণ।

    শীর্ষেন্দুর উপন্যাসে হাসি(ফেরিঘাট),নীলা(কীট), তৃষা(মানবজমিন)রা আছে। মণিদীপা বিলুও আছে।

    জানিনা একজন চাড্ডি ক্যালানে কথামালা লেখকের পক্ষে এরকম লেখা সম্ভব কীনা!

    একজন সাহিত্যিক এতদিন ধরে লিখছেন, তার কিছু ভাল হবে কিছু বা জঘন্য(জঘন্য বললে আবার ঠিকমতন নিন্দা হলোনা, বেশ বালের লেখা)হবে, খুবই স্বাভাবিক কিন্তু সবকিছু ভাল করে না পড়েই, চরিত্রগুলো আলোর নীচে ফেলে তাদের আর্থ সামাজিক অবস্থান ভালোভাবে বিশ্লেষণ না করেই চটকদার বিশেষণ প্রয়োগ কোথাও একটা ভুল বার্তা দেয়।
    ওই যে সেই সিংহের ডাক। মেঘগর্জনের মতো। মাটিতে লেজ আছড়ানোর শব্দ।
  • T | 165.69.191.255 | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০৭:৫৮718587
  • দশবারোবার হয়েছে কিনা তা অবশ্য মনে পড়ছে না, তবে একবার সিমিলার কিছু বক্তব্য চালাচালি হয়েছিল, যার শেষটাও মনে পড়ছে :)
  • Atoz | 161.141.85.8 | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০৮:০৭718589
  • আমার আজকের মতন টাইম শেষ। আপনারা আলোচনা করুন।
    শুভেচ্ছা।
    ঃ-)
  • Robu | 11.39.37.247 | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০৮:২০718590
  • a বাবু আর ইশেন্দার লেখা ভাল লাগল।
    "পারাপার পড়েছিলাম সেভেন এইটে। প্রেম, ক্যান্সার আর জমিদারী প্রথার লোপ তিনটে নিয়েই খুব দুঃখ হয়েছিল।" - অভির সাথে কী মিল!
  • T | 165.69.191.255 | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০৮:২৭718591
  • ঈশানদার লেখাটা ভালো লাগল।

    এদিকে শীর্ষেন্দুর উপন্যাস কিস্যু পড়ি নাই, পড়েছি মূলতঃ অদ্ভুতুড়ে সিরিজ, কারণ মোটাসোটা বই দেখলে গায়ে জ্বর আসে, যেকারণে বিশ্বসাহিত্য অচেনাই রয়ে গেল আর কি। তো সিংহকে যেমন তার পায়ের ছাপ দেখেই বুঝতে হবে, শীর্ষেন্দুর ছোটোদের জন্য লেখাগুলোও সেরকম। তবে প্রথম দিকের কিছু গল্প ছাড়া বাকি সবই প্রায় রিপিটেশন। সে যাই হোক, ওই গল্পগুলোতে ভদ্রলোকের লেখার মধ্যে একধরণের মিতব্যয়ীতা (বানানটা কি ঠিক হচ্ছে?) খুঁজে পাই, প্রচন্ড সংযম, যেটা খুব সম্ভবতঃ ব্যক্তিগত ধর্মাচরণ ও বিশ্বাসের ফল। শিকড় ছাড়া তো আর লেখা হয় না।
  • অভি | 37.63.185.97 | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০৮:২৮718592
  • হ্যাঁ, এই ফেরিঘাটের কথাই বলব ভাবছিলাম। এটাকে আমি দুভাবে দেখেছিলাম। প্রথমে হাসির এক বিশাল ব্যক্তিত্ব, যার সামনে অমিয় হীনমন্যতায় পড়ে। কলকাতার প্রেমে পড়া হাসি। অমিয় আরো বেশি করে অবলম্বন করে তার ফেরিঘাটকে। কিন্তু শুধু ফেরিঘাটেই তো শেয না। অমিয় দেখতে পায় সিংহের লেজ আছড়ানো। দূরে প্রসাদপ্রাত্যাশী সিংহীদের অগ্রাহ্য করে দাঁড়ানো সিংহ। গল্প শেষ হয় যখন হাসি ফেরিঘাটের অন্তর্লীন অর্থ বুঝতে উন্মুখ, আর অমিয়ের স্বপ্নে শুধুই সিংহের গর্জন।
  • অভি | 37.63.185.97 | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০৮:৩০718593
  • মিতব্যয়িতা।
    রোবুদা, :-)))
  • T | 165.69.191.255 | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০৮:৩৩718594
  • হ্যাঁ এইটে ঠিক।
  • Robu | 11.39.37.247 | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০৮:৫১718595
  • আবার পারাপারেই রয়েছে - পুরনো জমিদারপুত্রকে কলকাতায় বাপের বয়সী মানুষ পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করছে।
    বলা হচ্ছে বর্ণহিন্দু না বসত করলে পাড়া হয় না ইঃ ইঃ
    এবার এসব চরিত্রের কথা। লেখক এড়িয়ে যেতেই পারেন। কিন্তু আমরা লেখককেও তো চিনি।
    স্মৃতি থেকে লিখলাম ওপরে, ভুল হতে পারে। তবে পারশেপশন এরকমই ছিল। আবার একই সাথে এটাও বলব, বিরক্তির উদ্রেক করলেও সাহিত্যমূল্য অস্বীকার করা যায় না।
  • আরে ধুর | 119.163.234.9 | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০৯:৪৪718596
  • শীর্ষেন্দু ডিভোর্সেই অবিশ্বাসী তো । পালটি ঘর হলেও উনি নির্ঘাত ঘর ভেঙে আবার বিয়ে দিতেন না । তা ওনার পাঁঠা -
  • Ekak | 53.224.129.42 | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ০৯:৫৫718597
  • কিন্তু আমার একটা বেসিক প্রশ্ন আছে । ঈশেন লিখলেন শীর্ষেন্দু অসাধারণ ইত্যদি । কিন্তু কারো লেখা অসাধারণ হলে পাঠক এতো জাত-বেজাত খোঁজে কিকরে ? মানে ধরা আপনি জাপানীজ ক্লাসিকাল মুভি দেখছেন বা জ্যপানীস গোর । আপনি কী তারমধ্যে ফিউডালিজম খুঁজবেন ? এদিকে জাপানের গোটা কালচারাল স্ট্রাকচারটাই দেড়েমুশে ফিউডাল । তো ? দর্শক -পাঠক জানেন যে , যে অন্ধকার ঘরের মধ্যে উনি ঢুকেছেন সেখানে ভূতেরা থাকে -আঁচড়ে দেয় - মানুষ সন্দেহ করে । একজন আর্টিস্ট যখন এই ঘরটা বানাতে ব্যর্থ হন তখনি কিন্তু উনি এই লিখলেন কেন -ওই লিখলেন কেন এসব দিকে চোখ যায় কারণ পাঠক আর মজা পাচ্ছেনা তাই রিয়ালিটি খুঁজছে ।

    আমার পড়তে গিয়ে মনে হয়েছে শীর্ষেন্দু নিজের ফর্মুলাতে নিজেই বন্দী হয়ে পাঠক এর ওপর কন্ট্রোল হারিয়েছেন । সে ন্যাচারালি এবার ঘরে কেন ছাদ ফুটো , ইলেকট্রিক বিল কেন ভরা হয়নি এসব একগুষ্টি অভিযোগ নিয়ে হাজির । সত্যি মুন্সিয়ানা থাকলে এটা হয়না ।
  • Ekak | 53.224.129.42 | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ১০:০০718598
  • একই কথা নবারুণ নিয়েও মনে হয় যখন লোকে নারী প্রসঙ্গ তোলে । যেকোনো আর্টের দুটো টার্গেট গ্রূপ । স্পেশাল ইন্টারেস্ট গ্রূপ যেখানে পলিটিকাল -কালচারাল-জেন্ডার হাবি জাবি নানারকম নামধাতু । আর হলো এস্থেটিকল কম্পিটেন্সি গ্রূপ । সেকেন্ড টাকে আলাদা করে দেখা যায়না কিন্তু ওটা দুর্বল হলেই বিপরীত ধর্মী ইন্টারেস্ট গ্রূপের মারামারি প্রকট হয়ে পরে । দুজনের ক্ষেত্রেই স্পেশাল ইন্টারেস্ট গ্রূপ এনাদের মাথায় রেখেছে । এবার যত দিন যাচ্ছে বিপরীত ইন্টারেস্ট গ্রূপ চেঁচামেচি করছে -করবে কারণ উহাদের কুনো ইনসেনটিভ নাই । এস্থেটিকের জায়গাটা হয় দুর্বল । নইলে মদের পাঠপদ্ধতি এমন যে সেই জায়গাটা অনাবিষ্কৃত থেকে যাচ্ছে ।

    ন্যান , বেনিফিট অফ ডাউট দেওয়া রইলো । পিপিং গ্রহ থেকে এসে শীর্ষেন্দু পাঠকদের দেখছি ভেবে :)
  • বোঝো | 119.236.90.209 | ৩০ আগস্ট ২০১৬ ১০:০১718600
  • সবার তো সব পোষায় না রে বাপ । কারো তসলিমা ভাল লাগে, কারো নবারুণ । সত্যজিৎ কি জাপানি ছবি সবার ভাল লাগবে এমন কোন মাথার দিব্বি নাই । সব পাঠক নয় সমান।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল প্রতিক্রিয়া দিন