এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • সিভি রামনের পরে-কোন বিজ্ঞানে কোন নোবেল নেই ভারতে

    bip
    অন্যান্য | ০৭ অক্টোবর ২০১৬ | ১৮৯৫৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অর্জুন অভিষেক | 341212.21.6767.181 | ৩০ জুলাই ২০১৮ ০২:১১721136
  • @Atoz

    ডঃ লালী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলাপটা বেশ অভূতপূর্ব-ই। আমি পড়াশোনা সূত্রে পুনায় ছিলাম ১৯৯৯- ২০০৪। গ্র্যাজুয়েশন, মাস্টার্স। সেই সময়ে আমার খুব পরিচিত এক বাঙালী মহিলা আমাকে বলেছিলেন 'জানো তো, পুনায় এক বাঙালী লেখিকা এই বছর দেড়েক হল এসে আছেন। ওর বড় মেয়ে আমার বিশেষ পরিচিত। তোমাকে একদিন আলাপ করাতে নিয়ে যাব।'

    সেই পরিচয় হয়েছিল কবি-লেখিকা চিত্রিতা দেবীর সঙ্গে। আজীবন কলকাতায় কাটিয়ে বার্ধক্যজনিত অসুখে খুব অসুস্থ হয়ে পড়ায় চলে এসেছেন তার বড় মেয়ে শমিতা গুপ্তের কাছে। শমিতা গুপ্ত ইতিহাসবিদ। চিত্রিতা দেবী আমার কাছে ছিলেন একটা জীবন্ত মিউজিয়ামের মত। ওনারা ছিলেন সব রবীন্দ্রনাথের কোলে পিঠে বড় হওয়া মানুষ। যে সোফায় বসে গল্প করতাম সেই সোফার ডিজাইন কবি পুত্র রথীন্দ্রনাথের, সামনের দেওয়ালে ঝুলছে রবীন্দ্রনাথের আঁকা পেন্টিং। ওপরদিকে যামিনী রায়। তার অটোগ্রাফের খাতা দেখিয়েছিলেন সেখানে 'জর্জ বানার্ড শ থেকে আইনস্টাইন' সকলের সিগ্নেচর। সে যাই হোক তার বাড়ি আমি প্রায়ই যেতাম আর ইতিহাসে কবর খুঁড়তাম। উনিও স্মৃতির ঝাঁপি উজার করতেন। ওই সময় উনি 'দেশিকোত্তম' পেলেন। শান্তিনিকেতন পুনায় এল সম্মান অর্পণ করতে। অনুষ্ঠান আমার কলেজের অ্যাম্ফি থিয়েটরে হল।

    তো ডঃ লালী চট্টোপাধ্যায় এই চিত্রিতা দেবীর ছোট কন্যা। শীতের ছুটিতে মায়ের কাছে যখন বেড়াতে এলেন তখন আলাপ হয়েছিল আমার সঙ্গে। বলেছিলেন নকশাল আন্দোলনে উত্তাল শহর, সেই সময়ে প্রেসিডেন্সিতে তিনি পড়ছেন। তাদের ক্লাস চলাকালীন বাইরে প্রবল গণ্ডগোল চলছে, ক্লাস বন্ধ করতে হবে নকশাল ছাত্রদের দাবী। কিন্তু ফিজিক্সে অনার্সের ছাত্র- ছাত্রীরা কিছুতেই বন্ধ হতে দেবে না। এদিকে অধ্যাপক থরথর করে কাঁপছেন। বরাবরের লালী বেরিয়ে এসে ক্লাসের দরজা আটকালেন নিজে দাঁড়িয়ে। অধ্যাপককে বললেন 'আপনি ক্লাস নিন। আমি দরজায় গার্ড আছি। ওরা এলে আগে আমায় মারবে, বোমা পড়লে আমার পিঠে পড়বে।'

    ২০০১ সাল সেটা। আমেরিকায় ওর বই Muonic Rhapsody Other Encounters প্রকাশ পেল। বইটা তার প্রয়াত পিতা জয়দেব গুপ্ত ও ম্যা চিত্রিতা দেবীকে উৎসর্গ করেছিলেন। চিত্রিতা দেবী আমাকে বলেছিলেন 'এটা তুমি আমায় পড়ে শুনিও।' শুনিয়েওছিলাম কিছু। কিচ্ছু বুঝতে পারিনি।

    লালী চট্টোপাধ্যায় আমায় বলেছিলেন 'কলকাতায় সবসময়ে বলা হত, অঙ্কটা আগে না জানলে ফিজিক্স বুঝতে পারবেনা। আর এখন আমেরিকায় বলা হয়, জারা অঙ্ক জানেনা তাদের ফিজিক্স বোঝাতে হবে। সব অঙ্কের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে ফিজিক্স পড়তে আসে।'

    খুব ভাল নাচতেন কলেজ জীবনে। তার একটা নিজের করা কোরিঅগ্রাফি হল 'বার্থ অব অ্যান অ্যাটম'।

    রবিবাসরীয়তে বেরোনো ওই কাটিংয়ের জেরক্সটা বোধহয় আমার কাছে আছে।
  • অর্জুন অভিষেক | 341212.21.6767.181 | ৩০ জুলাই ২০১৮ ০২:২৮721137
  • @Atoz

    লালী চট্টোপাধ্যায়ের গবেষণা ও কাজ নিয়ে আমার পক্ষে বলাটা একদম অসম্ভব কারণ আমি বিজ্ঞানের কিছু বুঝিনা। তবে আপনার সঙ্গে কথা বলে মনে হচ্ছে ওর গবেষণা নিয়ে লেখালেখি করাটা সত্যিই দরকার।

    যাদবপুরে দীর্ঘদিন তাকে UGC Research Scientist করে রাখা হয়েছিল, ফ্যাকাল্টি পজিশন পাননি। ১৯৯৪ সালে উনি আমেরিকা চলে গেলেন। টেনেসী, ন্যাশভিলে অধ্যাপিকা ছিলেন।

    আমাকে বলেছিলেন দেশে কুড়ি বছরে যা কাজ করতে পারিনি, আমেরিকায় ৫-৬ বছরে আমি তার চাইতে বেশী কাজ করেছি।

    দুর্ভাগ্য ওর কাজ বুঝে ওঠা আমার সম্ভব হবেনা।
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ৩০ জুলাই ২০১৮ ২০:১৭721138
  • @ অর্জুন অভিষেক,
    অনেক ধন্যবাদ। সত্যিই ওঁর সম্পর্কে আরো লেখালিখি করা দরকার। শুধু গবেষণাই নয়, জীবনের অন্যান্য দিক নিয়েও। বাইরে বোম পড়ছে, সেই অবস্থায় দরজায় গার্ড হয়ে দাঁড়ানো তো সোজা কথা নয়।
  • de | 4512.139.9001212.175 | ১০ অক্টোবর ২০১৮ ১৫:১২721142
  • ডনেদের এই আলোচনায় দক্ষিণের সুবিখ্যাত ডনের নাম এলোনা? ডি এসটির কোন পোস্টই আর কোন অ্যাওয়ার্ডই ওনার অঙ্গুলিহেলন ছাড়া হয় না যে! নাকি কেমিস্ট্রির লোকজন ভয় পেলেন!
  • T | 238912.66.456712.165 | ১০ অক্টোবর ২০১৮ ১৫:১৮721143
  • :)) ইদানীং শুনছি লোকে নাকী একটু একটু করে ওঁর আঙুলকে কাটিয়ে দিচ্ছে। আইয়াইএসসির ডিরেক্টরের চেয়ারে সায়েন্স ব্যাতীত অন্য ডিপের লোক বসবে, এ নাকি উনি চাননি।
  • de | 90056.185.673423.55 | ১০ অক্টোবর ২০১৮ ১৫:৫৫721144
  • জে এন সি এস আর - একটা গোটা ইন্স্টি তৈরী হয়ে গেলো - শুধুই ওনার চেলাদের ফ্যাকাল্টি বানাতে - এরকম উদাঃ মহাবিশ্বে আর কোথাও নেই - কোথায় লাগে কোল্কেতার পেটরোগা ডনেরা!

    ডন একহি হ্যায় -
  • PT | 340123.110.234523.22 | ১০ অক্টোবর ২০১৮ ১৬:১০721146
  • ডন কিম্বা বৈঠক যাই হোন না কেন ৮৫ বছরেও বয়সেও দাপিয়ে বিজ্ঞানচর্চা চালিয়ে যাচ্ছেন আর মঞ্চে দাঁড়িয়ে দাপটের সঙ্গে যখন বক্তৃতা দেন তখন ২৫ বছরের তরুণ ছাত্ররাও তাঁর উৎসাহ দেখে লজ্জা পাবে।
  • de | 90056.185.673423.55 | ১০ অক্টোবর ২০১৮ ১৬:২৬721147
  • "৮৫ বছরেও বয়সেও দাপিয়ে বিজ্ঞানচর্চা চালিয়ে যাচ্ছেন আর মঞ্চে দাঁড়িয়ে দাপটের সঙ্গে যখন বক্তৃতা দেন তখন ২৫ বছরের তরুণ ছাত্ররাও তাঁর উৎসাহ দেখে লজ্জা পাবে" -- এই কোয়ালিটি আরো বহু বৈজ্ঞানিকের আছে - দেশী ও বিদেশী -
  • b | 562312.20.2389.164 | ১০ অক্টোবর ২০১৮ ১৭:৩৩721148
  • "বিজ্ঞান চর্চা"? না কি "এখান থেকে কোনো পেপার বেরুলে তার ফার্স্ট অথর কিন্তু আমি-ই হবো"-চর্চা?
  • b | 562312.20.2389.164 | ১০ অক্টোবর ২০১৮ ১৭:৫১721149
  • আমি ওনার এই দাপুটে বক্তৃতা একটা শুনেছিলাম। আই ওয়ার্ক্ড হিয়ার অ্যান্ড দেয়ার, অ্যান্ড ম্যানেজড টু পাবলিশ এ পেপার ফ্রম স্ক্র্যাচ, হুইচ বিকেম এ সাইটেশন ক্লাসিক।

    পিটির সাথে একমত। ২৫ বছরের তরুণ ছাত্ররাও লজ্জা পাবে।
  • PT | 340123.110.234523.19 | ১০ অক্টোবর ২০১৮ ১৭:৫২721150
  • দেশের কয়েকটা নাম শুনি.....

    "ফার্স্ট অথর কিন্তু আমি-ই হবো"
    এটা মাপকাঠি হলে CSIR-এর প্রায় সব ল্যাবোরটরি বন্ধ করে দিতে হয়। এক্জনের ১৬০০-র মত পেপার আছে আর নিজের PhD ছাত্রদের চিনতে পারেন না।
  • de | 4512.139.9001212.171 | ১০ অক্টোবর ২০১৮ ১৮:৪১721152
  • কেমিস্ট্রিতে দেশে যারা করে কম্মে খাচ্চে, প্রায় সবাইই ওনারই গোয়ালের - উনিই গড -
    ভগবানের সমালোচনা ভক্তেরা করে না -

    আর করলেও বিশাল প্যাঁচে পড়তে হতে পারে -

    আমিই আর বেশী বলবো না ঠিক্করলাম -

    তা গড নোবেল পাচ্চেন কবে?
  • PT | 340123.110.234523.19 | ১০ অক্টোবর ২০১৮ ১৯:১৪721153
  • প্রচুর লোক আছে যারা ঐ খাটাল থেকে বেরোয়নি আর খাটালের ধারে কাছে যাওয়ার চেষ্টাও করেনি। কিন্তু অল্পবয়েসী যারা নিজেরাই গিয়ে হাড়িকাঠে গলা দিচ্ছে তারা তো জেনে বুঝেই যাচ্ছে। কত উদ্গ্রীব অল্পবয়সী/মাঝবয়সী ধান্দাবাজদের দেখেছি প্রভুর সঙ্গে যুগ্মনামে পেপার করার জন্য ব্যাকুল!
    তারা কেন যায়? DST/DBT থেকে রিসার্চ গ্রান্ট আজকাল কারো সঙ্গে পরিচিতি না থাকলেও পাওয়া যায়।
  • b | 4512.139.6790012.6 | ১০ অক্টোবর ২০১৮ ১৯:২৮721154
  • গডের নোবেল নিয়ে কতা আছে।
    উনি একটা যৌগ আবিষ্কার করেছিলেন। মানে ধরুন বোরন হেক্সাক্লোরাইড (প্লেসহোল্ডার)। সেটা নিয়ে ওনার কম সে কম পাঁচ হাজারটা পেপার আছে, যথা বোরোন হেক্সাক্লোরাইডকে দুধে ফুটালে কি হয়, জলে ফুটালে কি হয়, ওর ওপরে হিসি করলে কি হয় ইত্যাদি ইত্যাদি।

    পাঁচ হাজার একতম পেপারটি কোন এক (বা দুই) জার্মান (না ফ্রেঞ্চ) সাহেবের লেখা, তিনি (তাঁরা) দেখিয়েছিলেন ওটি আদতে সুপার-কন্ডাক্ট। এর ফলে খুচুৎ করে নোবেল পেয়ে যান।

    তার পর থেকে গডের কাছে কেউ বোরোন হেক্সাক্লোরাইডের নাম করে না।

    (** শোনা গল্প)
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ১১ অক্টোবর ২০১৮ ০২:৪৫721155
  • এরেব্বাবা!
    এই প্রভুর গপ্পো তো আরও শুনতে ইচ্ছে করছে। ঃ-)
    এ যে সেই বিরিঞ্চি কেস ! চেকোস্লোভাকিয়ায় তপিস্যে করছিলেন, আলবার্ট নামে এক রোগামতন অসহায় বালক এসে খচাং করে তাঁর কাছে রিলেটিভিটি শিখে নিল। ঃ-)
  • PT | 340123.110.234523.8 | ১১ অক্টোবর ২০১৮ ১০:৪৮721157
  • কারণ যদি খুঁজতেই হয় তাহলে "বিজ্ঞানে কোন নোবেল নেই ভারতে"-এর আলোচনাটা এখান থেকে শুরু হওয়া উচিত।
  • de | 90056.185.673423.57 | ১১ অক্টোবর ২০১৮ ১১:০৮721158
  • সে তো একদম ঠিক কথা -

    রিসেন্টলি ডিএসটির একটা প্রোজেক্ট, ন্যানোসায়েন্সের, তার জন্য ২০০০ কোটির গ্রান্ট স্যাংশন প্রায় হয় হয়, সেই প্রোজেক্ট লেখার জন্য IISC আর IITB র কিছু বিগশটেদের ঘোরাঘুরির জন্যই ৬০ লাখ খরচ হয়েচে -

    এইভাবে ডিএইর বহু হাজার কোটি টাকার প্রোজেক্ট দিনের আলোর মুখ দেখে না --

    সেই টাকার কিয়দংশও যদি এখানে খরচ হোতো!

    এর আগে আপনি বল্লেন না ইয়ং জেনারেশন কেন ডনের সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ - ইয়াং জেনারেশনকে তো চাগ্রী পেতে হবে - আর চাগ্রীর বেশীর ভাগ তো সেই গড ফাদার ধরেই হবে, সেই গড ফাদারেরা তো সবাই ডনের রিক্রুট - এখনো ডন বক্তিমে দিতে উঠলে কোন কিছুতে প্রশ্ন চলে না - চেলারা সবাই পায়ে পায়ে ঘুর ঘুর করে, কে পাশে বসবে তার জন্য তো রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলে, কারণ সেই ছবি আবার বাঁধিয়ে ঘরে টানিয়েও রাখা হবে! কম তো দেখলাম না! ইয়ং জেনারেশনের বাপেরা এমন করলে ছেলেপুলেদের আর কি দোষ! সুস্থ গবেষক তৈরীতে আগের প্রজন্মের দায়িত্ব কম নয়, আগের প্রজন্ম এমন গেঁজিয়ে গেলে, পরের প্রজন্মের দায় আরো কমে!

    দেশে অসীমা চ্যাটার্জ্জীর কাজ নিয়ে একটা ভালো লেখা বেরিয়েছে - এখানে ওনাদের গুণগান শুনে মনে হোলো যে এনারা তবু তো নিজেরা কিছু ভালো ভালো কাজ করেছেন, বেশ কিছু ভালো ভালো স্টুডেন্টও তৈরী করেছেন।

    গুচ্ছের পাবলিকেশনেই তো আর গ্রেট সায়েন্টিস্ট তৈরী হয় না!
  • de | 90056.185.673423.57 | ১১ অক্টোবর ২০১৮ ১১:১১721159
  • বি - এইটে একদম সত্যি গপ্পো -
  • Tim | 89900.228.90056.67 | ১১ অক্টোবর ২০১৮ ১১:৪৬721160
  • হ্যাঁ দেশের অ্যাকাডেমিয়া নিয়ে কথা শুরু হলেই মহাভারত হয়। দে দি মোটামুটি সবই বলে দিয়েছে।

    বি ঃ-))
  • Tim | 89900.228.90056.67 | ১১ অক্টোবর ২০১৮ ১১:৫৫721161
  • সুস্থ গবেষক শুধু না, সুস্থ কোন কিছু তৈরী করার পরিবেশই কেমন যেন ফুরিয়ে গেছে মনে হয়।
    গুচ্ছের পাবলিকেশন নিয়ে দে দি কে ক। একটা গল্প বলি। গতমাসের কথা।
    আমাদের এখানে এক দেশোয়ালি সেকেন্ড ইয়ার গ্র্যাডস্টুডেন্টের সাথে কথা হচ্ছিলো সেদিন (বায়োকেমিস্ট্রি)। আইআইএসসি প্রোডাক্ট। বললো, খুব বাওয়াল চলছে চ্যাটে, কেন, না তার এক জুনিয়র (একই ইন্স্টিতে দেশে মাস্টার্স করছে) তাকে একটা পেপারে রাখতে চাইছে না। কারণ খুবই ছেঁদো, সে এই সিনিয়র ছেলেটিকে ছাড়া পাবলিশ করতে চায়। এর আগে তার এক না দুটি পেপারেই সিনিয়র দাদা কো-অথর, তাতে করে তার ভয় যে লোকে তার কনট্রিবিউশন বুঝবেনা। আমার শুনে বুঝতে কোনই অসুবিধে হলোনা যে পেপার আর সাইটেশন ম্যানিয়া কোথায় চলে গেছে।
  • S | 90067.146.9004512.46 | ১১ অক্টোবর ২০১৮ ১২:০৭721162
  • এইসব সমস্যা কিন্তু সব দেশেই।

    গডফাদার আর ডন সিন্ড্রোম তো রয়েইছে। কোনও পেপার কোন ইউনি থেকে এলো, তার অথার কে, টেনিওর রিকোয়ার্কেমেন্ট দেখে ....। আর সোশাল সায়েন্সে তো অনেক গন্ডগোল আছে। পরে দেখা হলে বলবো। আমার মনে হয় সেসব গন্ডগোল হার্ড সায়েন্সেও আছে, অন্য ভাবে।

    যে প্রজেক্টে গ্র্যান্ট স্যাংশান হয় আর যে প্রজেক্টে হয়্না, সেটা কি সবসময় মেরিট বেসিসে হয়? ঐ কয়েক হাজার পেপার লেখা হলে তার মধ্যে একটা ভালো হবেই।

    আমেরিকাতে প্রতি বছর যেকোনও ডিসিপ্লিনে মনে হয় গড়ে লাখের কাছাকাছি পেপার বেড়োয়। তাই বেশ কিছু ভালো পেপার বেড়োয়। ইন্ডিয়াতে সেই তুলনায় হাতে গোনা, তাই সংখ্যায় অনেক কম।

    তাছাড়া দেশের সবথেকে ভালো ছাত্ররা চলে যায় পস্চীমে। ফলে ওরা নিজেদের দেশের ক্রিম তো রাখেই, অন্য দেশের মাখনটাও পায়।
  • de | 90056.185.673423.57 | ১১ অক্টোবর ২০১৮ ১২:১৮721163
  • দেশের সবথেকে ভালো ছাত্ররা পশ্চিমে যায়, এটা ভুল ধারণা -

    আজকাল বিদেশে পিএইচ্ডি করতে জি আর ইর ও দরকার নেই - সারা বিশ্বে অজস্র ইন্স্টি আর ইউনি খুবই মাঝারি মানের ছাত্রদের নেয় -

    অনেক সময়েই যারা দেশের ইন্স্টি বা ইউনিতে সুযোগ পায় না এমন লোকজন বিদেশে পড়তে যায়, পি এইচ ডি করতে যায় -

    জি আর ই দিয়ে যারা যায় তাদের এই আলোচনার বাইরে রাখলাম -
  • S | 90067.146.9004512.46 | ১১ অক্টোবর ২০১৮ ১২:২৮721164
  • "দেশের সবথেকে ভালো ছাত্ররা পশ্চিমে যায়" আর "যারাই পস্চিমে যায় তারাই ভালো ছাত্র" এদুটোর মধ্যে পার্থক্য আছে। আমি প্রথমটা দাবী করেছি। আপনি যেটা বললেন তাতে প্রমাণ হয় যে অনেকেই বিদেশে পিএইচডি করছে/করেছে তারা ভালো স্টুডেন্ট নয়। কিন্তু তাতে এটা প্রমাণ হয়্না যে দেশের ভালো ছাত্ররা পস্চিমে যায়্না।

    আমি দেশের খুব ভালো ইস্কুলেও পড়েছি। বিদেশের খুব মাঝারি মানের ইস্কুলেও পড়েছি (জিম্যাট দিয়ে আরো অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে)। কোনও তুলনাই হয়্না। আমার ডিসিপ্লিনে বিদেশে যেসব প্রফেসারদের কাছে পড়েছি সেরকম একজনকেও পায়নি দেশেও সেরা ইস্কুলেও। অন্য ডিসিপ্লিনে অবশ্যি ছিলেন; ইকনমিক্স আর স্ট্যাটিস্টিক্সে - কিন্তু তাঁরাও সবাই বিদেশ থেকেই প্রশিক্ষিত।
  • pi | 7845.29.124512.160 | ১১ অক্টোবর ২০১৮ ১২:৩৪721165
  • সবথেকে ভাল ছাত্রদের মধ্যে বেশ কিছু দেশে থেকেও যায়। দেশের টপ ইন্স্টিটিউট্গুলোতে পাওয়ার জন্য ভালমতন প্রতিযোগিতা আছে। থিওরিটিকাল সায়েন্সে তো আরৈ।
  • S | 90067.146.9004512.46 | ১১ অক্টোবর ২০১৮ ১২:৫৩721166
  • এখানে আরেকটা ব্যাপার বলা দরকার। খারাপ লাগবে শুনতে, তবুও সত্যি কথা। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার এখন যা অবস্থা এবং চাকরীর যা অবস্থা (আরৈ), তাতে সায়েন্সের "বেশিরভাগ" ভালো ছাত্ররাই প্রফেশনাল স্টাডিজে চলে যায়। মুলতঃ ইন্জিনিয়ারিং, ডাক্তারি। মানে খুব কম ছেলেপিলে আছে যারা জয়েন্ট পেয়েও এগুলো পড়বেনা। এবারে এঁদের মধ্যে অনেক কম ছাত্ররা আবার মুল সায়েন্সের রিসার্চে ফিরে আসে। এমনকি যাঁরা প্রফেশনাল ডিসিপ্লিনের রিসার্চেও যায় (তারও ইন্সেন্টিভ ক্রমশই কমছে), তাঁদের অবদান কোনদিকে সে নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। এর ফলেই বোধয় বিগত কয়েক দশকে টেকনলজির এতো দ্রুত উন্নতি হয়েছে - কিন্তু বেশিরভাগই বানিজ্যিক ব্যবহারের জন্য।
  • S | 90067.146.9004512.46 | ১১ অক্টোবর ২০১৮ ১৩:০৮721168


  • উনি অবশ্য দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং ইনোভেশানে তার প্রভাব নিয়ে কিছু বলেননি এই ভিডিওতে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন