এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • সিভি রামনের পরে-কোন বিজ্ঞানে কোন নোবেল নেই ভারতে

    bip
    অন্যান্য | ০৭ অক্টোবর ২০১৬ | ১৯০১৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • PT | 340123.110.234523.4 | ১১ অক্টোবর ২০১৮ ১৩:৪০721169
  • "চাগ্রীর বেশীর ভাগ তো সেই গড ফাদার ধরেই হবে"
    এটাও অনেকাংশেই ভ্রান্ত ধারণা। এ জাতীয় অতিসরলীকরণ না করাই মঙ্গল।
  • sm | 2345.110.125612.185 | ১১ অক্টোবর ২০১৮ ১৪:১৮721170
  • খুব ভাল স্টুডেন্টরা সাধারণত দেশেই থেকে যায়।উদ্যমী স্টুডেন্টরা বিদেশে যায় পোস্ট গ্র্যা ড করতে।এদের মধ্যে কিছু খুবই ভাল স্টুডেন্ট থাকে, বেশির ভাগ ই মধ্যম মানের।
    কিন্তু কথা হচ্ছে, মানুষের ট্যালেন্ট অপরিসীম।
    বিদেশে (আই মিন আমেরিকা ও ইউরোপে)এই ট্যালেন্ট এর নার্চার ভাল মত করা হয়।
    এটাই এদের সিস্টেম। পয়সা বড় কথা নয়। নতুবা আরব কান্ট্রি গুলো বিজ্ঞানে সেরা উৎকর্ষের
    স্থান হতো।

    চিকিৎসা ও ফার্মা ইন্ডাস্ট্রি তে মোটামুটি প্রভুত উন্নতি হয়েছে।
    কিন্তু,মূল বিজ্ঞানে ভারত অনেক পিছিয়ে।
    পার্থক্যটা দেশে ও বিদেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার মতন।
  • Tim | 89900.228.90056.67 | ১১ অক্টোবর ২০১৮ ২২:২১721172
  • বাহ আলোচনা অনেকদূর এগিয়ে গেছে। এই ভালো কম ভালো খুব ভালো স্টুডেন্ট সম্পর্কে আমার প্রশ্ন হলো, এই শ্রেণীবিভাগের ভিত্তি কি? পরীক্ষার নম্বর? অ্যাডমিশন টেস্টের স্কোর? না অন্য কিছু। তর্কটা শুরু হয়েছিলো মৌলিক গবেষণায় অবদান নিয়ে।সেটা তো ছাত্রাবস্থায় বোঝা সম্ভব না, বড়োজোর সম্ভাবনা বোঝা যায়। তাহলে এই খুব ভালো বা সবথেকে ভালো ইত্যাদি তকমা লইয়া আমি কী করিব? পিটিদা, দে দি, কুমুদি, পাই বা আরো যাঁরা দেশের অ্যাকাডেমিয়া সম্পর্কে জানেন, লিখুন। এলিট প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তির ক্রাইটেরিয়া কী? তর্কের খাতিরে ধরেও যদি নিই যে "সবথেকে ভালো"রা ওখানে ভর্তি হয়, তাহলেও প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে "সবথেকে ভালো" কিকরে বোঝা গেল? এবং তার সাথে পাথ ব্রেকিং গবেষণার কতটা সম্পর্ক?

    আরো প্রশ্ন আছে, কিন্তু আপাতত এইটাই ক্লিয়ার হোক।
  • অর্জুন অভিষেক | 342323.223.784512.234 | ১১ অক্টোবর ২০১৮ ২২:৩০721173
  • দারুণ প্রশ্ন @Tim
  • sm | 2345.110.015612.168 | ১১ অক্টোবর ২০১৮ ২২:৪১721174
  • সব থেকে ভাল, মানে যে পরীক্ষায় ভালো স্কোর করে।অথবা এডমিশনের পরীক্ষায় ভালো করে। ভালো রেজাল্ট করা মানেই ভালো বিজ্ঞানী হবে, এমনটা নয়।কিন্তু ভালো ইনস্টিটিউট এ ভর্তি হতে গেলে এটাই দরকার।
    আবার ভালো ইনস্টিটিউটএ না ভর্তি হলে, ভাল রিসার্চ ও সম্ভব নয়।
    আই এস আই হক , আই আই এস আর হোক বা আই আই টি হোক, ভর্তির জন্য ভালো রেজাল্ট তো মাস্ট।
    ঠিক যেমন, আমেরিকার প্রিমিয়ার ইনস্টিটিউট গুলোয় পেতে গেলে জি আর ই বা সমতুল পরীক্ষায় ভালো ফল করতে হয়।
  • Tim | 89900.228.90056.67 | ১১ অক্টোবর ২০১৮ ২২:৫৬721175
  • আমেরিকায় ভালো ইন্সটিটিউটগুলোতে পিএইচডি করতে গেলে জি আর ই স্কোর লাগে। পোস্ট ডক বা স্টাফ সাইন্টিস্ট হতে গেলে লাগেনা। ফ্যাকাল্টি অ্যাপ্লিকেশনেও লাগেনা। বস্তুত আম্রিকায় ডিগ্রি করে ফেলার পরে নম্বর সবথেকে কম কাজে লাগে। আরো একটা জিনিস হয়না। আম্রিকার সায়েন্স অ্যাকাডেমিয়া একেবারেই জাজমেন্টাল না। আমাদের ইউনি হলো প্রথম সারির (ফিজিক্স কেমিস্ট্রি দুটোতেই একেবারে প্রথমদিকে)। তো এখানে কেউ এসব নিয়ে কেয়ার করেনা যে কোথায় ব্যাচেলর্স ডিগ্রি করেছে, কত নম্বর পেয়েছিলো ইত্যাদি। কী করতে পারে এটা নিয়েই এদের মাথাব্যথা, কারণটাও একেবারেই জৈবিক, সেই কাজকর্ম দিয়ে ইন্স্টিটিউশন গায়েগতরে বাড়বে। একেবারেই বলছিনা যে আম্রিকার অ্যাকাডেমিয়া স্বর্গরাজ্য, কিন্তু এই প্রাপ্য বুঝে নেওয়ার পদ্ধতিতে তাও খানিকটা কাজ হয়।
  • Tim | 89900.228.90056.67 | ১১ অক্টোবর ২০১৮ ২৩:১০721176
  • উদাহরণ দিই। গতমাসে নতুন একজন প্রফেসর যোগ দিলেন। কেমিস্ট্রির। তাঁর সাথে আমরা সব দেখা কর্তে গেলুম, লাঞ্চের সময়। ভদ্রমহিলা খুবই ইন্টারেস্টিং। কমিউনিটি কলেজ থেকে জঘন্য রেজাল্ট করে ব্যাচেলর্স করেন। তারপর সব ছেড়ে দিয়ে মেক্সিকো গিয়ে কয়েকমাস কপর্দকশূন্য জীবনযাপন করেন। ওয়েট্রেসের কাজ করতেন মাঝে মাঝে। তারপর মনে হয় এবারে একটু পড়ি। গ্র্যাডস্কুলে যান (এম আই টি), পিএইচডি করেন, এবং আবার ব্রেক নেন। নিয়ে যান দার এস সালাম। সেখান একটা বাইক কিনে সারা দেশ চষেন তিন মাস ধরে। ফিরে এসে পোস্ট ডকে যোগ দেন। কয়েক বছর পরে ফ্যাকাল্টি হলেন। আমাদের দেশে হলে উনি এই সুযোগটাই পেতেন না। পশ্চিমের অ্যাকাডেমিয়া এইরকম খেয়ালি মানুষে ভর্তি, যাঁরা কনভেনশনের ধার ধারেন না। তাতে যে তফাৎ তৈরী হয় সেটা তো দেখতেই পাই। আমাদের রিসার্চ গ্রুপে আম্রিকার বিভিন্ন র‌্যাঙ্কের স্কুলের লোক আছে স্রেফ সায়েন্টিস্ট লেভেলেই। অন্য দেশের পিএইচডিও আছে। রিক্রুটমেন্টের সময় ইউনিফাইং ফ্যাক্টর একটাই, এর দ্বারা পিআই এর কাজ হবে কিনা। এবং এর সাথে বাকি গ্রুপের ফিলোসফি মেলে কিনা। ব্যস।
  • sm | 2345.110.015612.168 | ১১ অক্টোবর ২০১৮ ২৩:২২721177
  • শুনুন তবে । আইনস্টাইন পরীক্ষায় ফার্স্ট হতেন না। এমন কি কলেজে পারফর্মেন্স আহামরি কিছু ছিল না। কিন্তু অঙ্কে মাথা সাফ ছিল।
    সত্যেন বোস আবার পরীক্ষায় প্রথম হতেন।
    পরীক্ষার মার্কস নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে, আমেরিকায় তো ওয়াক ইন ইন্টারভিউ নিয়ে পোস্ট গ্র্যাড বা পি হেইচ ডি স্টুডেন্ট নিতে পারে। এতো জি আর স্কোর নিয়ে মাপামাপি করে কেন?
    পরীক্ষার ফল একটা বেসিক মাপ কাঠি। কিন্তু ভালো ট্যালেন্ট খুঁজতে গেলে স্পটার লাগবে।
    তাকে আবার নার্চার করতে হবে।উল্টো দিকে ওই স্টুডেন্ট কে পরিশ্রমী হতে হবে। কেনা জানে বিনা পরিশ্রমে মেসি হওয়া যায় না।
  • sm | 2345.110.015612.168 | ১১ অক্টোবর ২০১৮ ২৩:২৯721179
  • আমাদের দেশে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করা স্টুডেন্ট কে বাদ দিয়ে, বাইক চালককে সুযোগ দিলে ক্ষমতার অপব্যবহার হবে। নেপটিস্ম এর স্বর্গ রাজ্য হয়ে উঠবে।(এমনিতেও অনেক টা তাইই বটে)!
    ওই লাক্সারি আমাদের দেশ এফোর্ড করতে পারবে না।
    মিচিও কাকু বলেছে, আমেরিকার উন্নতির ব্রহ্মাস্ত্র হলো, হেইচ ওয়ান বি ভিসা!
  • sm | 2345.110.015612.168 | ১১ অক্টোবর ২০১৮ ২৩:৩৬721181
  • sm | 2345.110.015612.168 | ১১ অক্টোবর ২০১৮ ২৩:৩৮721182
  • প্রথমটা বাদ দিতে পারেন।হ্যাঁ, দ্বিতীয় লিঙ্ক টা দেখুন। ৪মিনিটের ক্লিপ। ঠকবেন না, গ্রান্টি))
  • sswarnendu | 2367.202.128912.199 | ১১ অক্টোবর ২০১৮ ২৩:৪৩721183
  • এই "ভালো ট্যালেন্ট খুঁজতে গেলে স্পটার লাগবে।" দেখে একটা কথা লিখতে ইচ্ছে হল। আমার ধারণা আমাদের দেশে এই elusive ট্যালেন্ট নিয়ে অদ্ভুত অবসেশনটা নিজেই এই দুরবস্থার একটা কারণ। ট্যালেন্ট বোঝাই বা কি করে যাবে? আর ভাবনা চিন্তাটাও খানিকটা এই লাইনে... যে ট্যালেন্ট থাকলে নানান প্রতিকূলতাতেও তাঁরা বেশ সাইন করবে, ফলত কেউ পারছে না মানে ট্যালেন্টের অভাব, আর গোটা দেশেই খুব বেশী লোক পারছে না মানে আমাদের দেশে ট্যালেন্ট পড়ে থাকছে না, সব বিদেশ চলে যাচ্ছে। অথচ একই রকম মানের ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে কেউ দেশে রয়ে গেল আর একজন বিদেশ চলে গেল পিএইচডির জন্যে, দুজনের পিএইচডি শেষে খুব ব্যতিক্রম ক্ষেত্র ছাড়া বিদেশের পিএইচডিটি প্রায় সব কিছুতে সিগ্নিফিক্যান্টলি বেটার হয়ে যায় ওই তিন-চারটে বছরে। খেয়াল করবেন একই মানের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বলেছি। বিদেশে নেহাত মাঝারি মানের ছাত্রছাত্রী অনেকই আসে, আবার অনেক ভাল ছাত্রছাত্রী দেশে থেকেও যায়, সেরকম দুজনের মধ্যে তুলনায় অবশ্যই যেটা বললাম সেইটা খাটবে না এবং খাটেও না, তবে সেসব ক্ষেত্রেও স্কিলের তফাত কমে আসতে দেখেছি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই।

    নিউটন বার্নোলিদের যুগে কি হত জানি না, আজকে অন্তত রিসার্চ পারফর্ম্যান্সে ট্যালেন্ট বলতে যা বলা হয় তার অনেএএএএকটা একটা এনভায়রনমেন্ট, একটা সিস্টেমের ফসল। দেশে ভাল ট্রেনিং, এক্সপোজার ও অ্যাম্বিশাস সহকর্মী, গাইড ইত্যাদি, এসবের এতই অভাব, যে ট্যালেন্ট আছে কি নেই সেসব প্রশ্ন অবান্তর। আর দেশে পরীক্ষা ইত্যাদি বেসিক মাপকাঠি আদৌ নয়, এমনকি কোন মাপকাঠি নয় তাওও নয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কন্সিস্টেন্টলি ভুল মাপকাঠি, যেটা কোন মাপকাঠি নয় হওয়ার থেকে অনেকটা খারাপ।
  • Tim | 89900.228.90056.67 | ১১ অক্টোবর ২০১৮ ২৩:৪৭721184
  • হ্যাঁ ট্যালেন্ট চেনা ও খুঁজে আনা হলো লাক্সারি। এতে যে সময় ধৈর্য্য ও পরিশ্রম লাগে সেটা সবাই দিতে পারেন না। সম্ভবত সিস্টেমই দিতে দেয়না। তো, এই লাক্সারি যেসব দেশ অ্যাফোর্ড করতে পারেনা তারা ফুটবল বিশ্বকাপ থেকে নোবেল প্রাইজ সবেতেই ভুগবে। এ নিয়ে আশ্চর্য হওয়ারও কিছু নেই।
  • Tim | 89900.228.90056.67 | ১১ অক্টোবর ২০১৮ ২৩:৪৮721185
  • স্বর্ণেন্দুকে বড়ো করে ক দিলাম।
  • Tim | 89900.228.90056.67 | ১১ অক্টোবর ২০১৮ ২৩:৫৯721186
  • "আমাদের দেশে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করা স্টুডেন্ট কে বাদ দিয়ে, বাইক চালককে সুযোগ দিলে ক্ষমতার অপব্যবহার হবে। "

    আপনার মনে হয় ধারণা হলো বাইকচালকের থেকে যোগ্যতর কাউকে বাদ দিয়ে তাকে সুযোগ দেওয়া হয়েছিলো। এই জায়্গাটা, এইটাই ভুল। বাইকচালকের পোটেন্শিয়াল ঠিকঠাক স্পট করা গেছে, একেবারেই ঠিকঠাক সিলেকশন হয়ে থাকতে পারে, এই গ্রে এরিয়াটা --- এটা নম্বরভিত্তিক সংস্কৃতি মানতে দেয়না।
  • sswarnendu | 2367.202.128912.199 | ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০০:০৫721187
  • দেশের ভাল ইন্সটিটুউটে ভাল রেজাল্ট করা স্টুডেন্টের জায়গায় ( জায়গায় কেন লিখেছেন বুঝলাম না যদিও ) 'বাইকচালক' সিলেকশনের যে কটা কেস জানি ( এমনিই খুব অল্প ) সেইগুলো তো ভাল সিদ্ধান্তই হতে দেখেছি প্রায় সবকটা...দুএকটাই টার্ন আউট করে নি ( যেটা বড় বেশী ঘনিষ্টভাবে জানে সেইটার কথা বাদ রেখেই বললাম)।
  • sm | 2345.110.015612.168 | ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০০:১১721188
  • আপনিই বরং বলুন দেশে কিভাবে ভালো রিসার্চ ট্রেনী সিলেক্ট করা সম্ভব?
    দুই, আমেরিকা তে কি রিসার্চ প্রজেক্ট তৈয়ারী হয়, মৌলিক গবেষণার উৎকর্ষ বাড়াতে না মূলত বানিজ্যিক লাভের জন্য?
    আমার তো মনে হয় বাজার এক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক।
    আমরা ওপর থেকে হয় তো অতটা বুঝে উঠতে পারি না।
  • PT | 340123.110.234523.24 | ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০০:১৮721190
  • "If you give pea-nuts you get monkeys"
    মাইনের কথা বলছি না। বলছি গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় ইন্ফ্রাস্ট্রাকচারের কথা।
    উদাঃ প্রেসিডেন্সি নিয়ে যারা লাফাচ্ছে তারা ভাল করেই জানে আজকের প্রেসিডেন্সিতে কিছু যে হচ্ছে না তার প্রধানতম কারণ হল গবেষণা করার মত ন্যূনতম ইন্প্ফ্রাস্টারাকচারই নেই সেখানে। একটি জৈব রসায়নের গবেষনাগার চালু করতে হলে প্রেসিডেন্সির কম করে ১০ থেকে ১৫ কোটি টাকা এক্ষুণি যোগাড় করা দরকার। সেটায় শুধুমাত্র একটা জৈব রসায়নের গাধার কাজ করা যাবে। এই ইফ্রাস্ট্রাকচার জিইয়ে রাখতে পারলে বছর দশেক পরে উন্নততর কাজ করার জন্যে নতুন রক্ত আসবে। এবার তাহলে মোটামুটি ধারণা করার চেষ্টা করা যেতে পারে যে সব ধরণের রসায়ন, পদার্থবিদ্যা আর জীববিজ্ঞানে ভদ্রস্থ গবেষণা করতে গেলে কত টাকার প্রয়োজন।
    শুধু বুদ্ধি দিয়ে অথবা কাগজ-কলমে অঙ্ক কষে বিজ্ঞানচর্চা করে একটা পি সি রায়, একটা সি ভি রমন, একটা সত্যেন বোস, বা একটা জগদীশ বোসে হওয়ার দিন বহুদিন হল গত হয়েছে।

    "On 17 November 2013, at a press conference following the announcement of his Bharat Ratna, he called the Indian politicians "idiots" that caused a national outrage. He said, "Why the hell have these idiots [politicians] given so little to us despite what we have done. For the money that the government has given us we [scientists] have done much more." In his defence Rao insisted that he merely talked about the "idiotic" way the politicians ignore investments for research funding in science."
  • sm | 2345.110.015612.168 | ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০০:২৯721191
  • রাও ,যথা যথ কথা বলেছেন।

    আমেরিকার উন্নতির পিছনেও বিজ্ঞান ও নিত্য নতুন ইনোভেশন এর অবদান অনস্বীকার্য
    আমাদের দেশে সরকার,পড়াশোনার দাম না দিলে,জ্ঞানী গুণী লোকের সম্মান না দিলে, রিসার্চে প্রচুর ইনভেস্ট না করলে;বিপদ আছে।
    চীন এসে কান মুলে দিয়ে যাবে।
    এদেশে খালি ফিল্ম স্টার ও শিল্প পতি কে নিয়ে টানা টানি।
    নয় তো, রতন টাটা, আমির খান কি বললো আর কি করলো, তাতে কেউ পাত্তা দেয়!
  • sswarnendu | 2367.202.128912.199 | ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০০:৩০721192
  • প্রথমে দ্বিতীয়টার উত্তর দি বরং ( যদিও আমেরিকার কথা আমি খুব ভাল জানি এমন না, সাধারণভাবে পশ্চিমের দেশগুলো হিসেবে বলতে পারি ) ... "আমেরিকা তে কি রিসার্চ প্রজেক্ট তৈয়ারী হয়, মৌলিক গবেষণার উৎকর্ষ বাড়াতে না মূলত বানিজ্যিক লাভের জন্য? --- অনেকদূর অবধি কিছু যায় আসে না তাতে। কারণ যেগুলোকে বাণিজ্যিক লাভের জন্যে বলছেন সেগুলোও অ্যাম্বিশাস প্রজেক্ট, তাতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ যথেষ্ট বেশী। তুলনায় দেশে মোক্ষ হচ্ছে পাবলিকেশনের সংখ্যা ( বিদেশেও নয় তা নয়, কিন্তু পাবলিকেশনের মানের নিম্নসীমাটা অনেকটা উঁচু তারে বাঁধা ), চ্যালেঞ্জিং কাজ করতে উৎসাহ বেশী লোকের নেই, কারণ তাতে সময় বেশী যাবে, সময় দিয়েও না হলে তো প্রশ্নই নেই, হলেও সেই একই সময়ে অনেক জোলো কাজ করেও কেউ সংখ্যায় বেশী পাবলিশ করলে আপনি পিছিয়ে পড়লেন ইত্যাদি...

    কঠিন জিনিস চেষ্টা করব এটা আগে তো ভাববেন, তারপর তো পারা বা না পারার প্রশ্ন। সেইটা না ভাবাটাই সাধারণভাবে দস্তুর।

    প্রথমটার উত্তর জানা নেই আমার। তবে কে কত নম্বর পেয়েছে না দেখে কে কিভাবে ভাবছে দেখলে খানিকটা ভাল হয়, তাও খুব নয়, কারণ কিভাবে ভাবতে হয় সেটাও শেখার বিষয়, তার জন্যেও এক্সপোজার লাগে। আমাদের স্কুল-কলেজ লেভেলে পড়াশোনার মূল এম্ফ্যাসিস কেরানি টাইপ, তাতে কেউ কি ভাবে ভাবতে হয় শিখে যাবে আশা করাও ভুল।
  • sm | 2345.110.015612.168 | ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০০:৩১721193
  • পুরো ফাজিলে ভরে গেছে দেশ টা।
    যেখানেই যাও, খালি হ্যা হ্যা আর হ্যা হ্যা।
  • sm | 2345.110.015612.168 | ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০০:৩২721194
  • স্বর্নেন্দুর লাস্ট পোস্ট টা ভালো লাগলো।
  • Tim | 89900.228.90056.67 | ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০০:৩৩721195
  • আম্রিকার বহু প্রোজেক্ট (NSF, NIH) বাণিজ্যিক লাভের জন্য তৈরী হয়না বলেই জানি। ফান্ডামেন্টাল সায়েন্সের জন্য টাকা আছে তো। বাণিজ্যিক লাভের প্রোজেক্টও নিশ্চই আছে, থাকাই তো উচিত, কিন্তু এরকম না যে প্রোজেক্ট ডেলিভারেব্‌ল হিসেবে বাণিজ্যিক লাভ না দেখালে টাকা পাওয়া যায়না।
  • sm | 2345.110.015612.168 | ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০০:৩৬721196
  • টাকা পাওয়া যাবে না, এমন তো নয়। কারণ ভীষণ ধনী দেশ। তদুপরি উৎকর্ষে সেরা হবার আকাঙ্খাও আছে।মিলিয়ে মিশিয়ে, গবেষণা করার পক্ষে চমৎকার দেশ।
  • Tim | 89900.228.90056.67 | ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০০:৪১721197
  • ভারতকে অন্য অনেক দেশ বেশ ধনী দেশই বলে। আমার এক মিশরীয় সহপাঠী একবার ভারত গরিব দেশ বলায় প্রবল প্রতিবাদ করে বলেছিলো ইয়ার্কি হচ্ছে? আমি জানি ভারতের অ্যানুয়াল বাজেট কেমন। ঃ-))
  • sm | 2345.110.015612.168 | ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০০:৪৭721198
  • ওই মিশরবাসী, ভারতের জন সংখ্যাটা জানে না।))
    যাই হোক, ভারত গরীব দেশ নয়, এটা সত্যি কথা। যতোটা গরীব প্রজেক্ট করা হয়, ততোটা তো নয় ই।তবে সে এক অন্য বিতর্ক।
  • Tim | 89900.228.90056.67 | ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০০:৪৮721199
  • এই লিংকটা থাক। আম্রিকায় প্রচুর ফান্ডামেন্টাল সায়েন্সের প্রোজেক্টে পয়সা দেউ অফিস অফ নেভাল রিসার্চ, এয়ার ফোর্স অফিস অফ সাইন্টিফিক রিসার্চ ইত্যাদি। আমি শেষ ন'বছর এইসব গ্র্যান্টেই কাজ করছি, এবং বেসিক সায়েন্সের কাজ, কোন অন্য লাভক্ষতি নাই।

    এবার লিংকটা দেখুন, ভারতের থেকে কম বরাদ্দ করা দেশগুলোও দেখুন। এই এত টাকা কোথায় যায়?
    https://www.businessinsider.com/highest-military-budgets-countries-2018-5#10-south-korea-6
  • Tim | 89900.228.90056.67 | ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০০:৪৯721201
  • হ্যাঁ জনসংখ্যা একটা ফ্যাক্টর তো বটেই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত প্রতিক্রিয়া দিন