এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • সিভি রামনের পরে-কোন বিজ্ঞানে কোন নোবেল নেই ভারতে

    bip
    অন্যান্য | ০৭ অক্টোবর ২০১৬ | ১৯০১৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • S | 2390012.156.561223.1 | ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০১:২৬721202
  • হ্যাঁ টিমের প্রশ্নটা ভালো। দুটো কথা বলেছে। এক, ভালো নম্বর মানেই ভালো স্টুডেন্ট কিনা? দুই, ভবিষ্যত কিকরে বোঝা যাবে?

    এক, পরীক্ষার নাম্বার দেখে অনেক সমস্যা আছে ভালো ছাত্র বোঝার ক্ষেত্রে। কিন্তু এটাই সবথেকে ভালো উপায় যা অ্যাকাডেমিয়া এখনো অবধি আবিষ্কার করেছে। নট পার্ফেক্ট, বাট মোস্ট রিলায়েবল সো ফার। ইস্কুল কলেজেই পরীক্ষা হয়, কোনও এক্স্টার্নাল বডি নাম্বার দেয়্না। যার উপরে নির্ভর করে আমরা ডিস্টিংশন, স্কলারশিপ, গোল্ড মেডাল, অনার রোল সব দিচ্ছি। অতেব তারাই যদি বলে যে আমাদের পরীক্ষার রেজাল্ট আমরাই মানি না, তাহলে তো মুশকিল। এখনো সেরকম কোনও ইস্কুল বলেছে বলে তো শুনিনি। যেটা বলে তা হলো এটাই একমাত্র ফ্যাক্টর নয়। তার অনেক কারণ আছেঃ পলিটিকাল এবং নেকামো।

    দুই, এটা কিছুটা আগের প্রশ্নেরও উত্তর। পরীক্ষায় ভালো করা ছাত্র মানে তার ঐ বিষয়ে উৎসাহ রয়েছে এবং বিষয়টা জানে, ইত্যাদি। অতেব সে এই বিষয়ে উচ্চশিক্ষায় ভালো করবে এটাই এক্সপেক্টেড। এছাড়া কোরিলেশন। জিআরই স্কোরের সঙ্গে গ্র্যাডস্কুলে কেউ ভালো করবে কিনা, তার কোরিলেশন আছে বলেই এটাকে ব্যবহার করা হয়। তবে জিআরই পরীক্ষাটা আমার বহুত ভুলভাল মনে হয়।

    আর এটা খুব ভুল ধারণা যে গ্র্যাড স্কুল অ্যাডমিশনে আগের ট্রান্সক্রিপ্ট দেখা হয়্না। ব্যতিক্রম থাকবেই। পিএইচডি প্লেসমেন্টে (জব মার্কেট বা পোস্ট ডকে) দেখা হয়্না জিপিএ। কারণ ততদিনে অন্য অনেক ইন্ডিকেটর এসে গেছে। রিসার্চের কোয়ালিটি। পাবলিকেশন। গাইড কে এবং তার লেটার। ডিটেইল ইন্টারভিউ (যেহেতু অ্যাপ্লিকেন্ট অনেক কম)। ইত্যাদি।
  • S | 2390012.156.561223.1 | ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০১:৩০721203
  • " দুজনের পিএইচডি শেষে খুব ব্যতিক্রম ক্ষেত্র ছাড়া বিদেশের পিএইচডিটি প্রায় সব কিছুতে সিগ্নিফিক্যান্টলি বেটার হয়ে যায় ওই তিন-চারটে বছরে।"

    স্বর্ণেন্দুর এই কথাটাই বলে দিচ্ছে যে বেশিরভাগ ভালো ছাত্ররা কেন বিদেশ চলে যায়।
  • Tim | 89900.228.90056.67 | ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০১:৪৩721204
  • সাবজেক্ট ভেদে বিভিন্ন হয় মনে হয়। আমি ফিজিক্স এবং অল্প ফিজিক্যাল কেমিস্ট্রি ঐ ঐ ডিপার্টমেন্টের সাথে সরাসরি জড়িত বলে জানি। বাকি কী হয় জানা নেই। ৯০'এর দশকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিজিক্সে ব্যাচেলার্স করেছে তাদের ইকুইভ্যালেন্ট জিপিএ যা হবে তাতে তাদের ভালো ছাত্র বলে বিদেশে বুঝতে পারা কঠিন। অমেরিকার ভালো ছাত্রছাত্রীরা আন্ডারগ্র্যাডেও বেশ ভালো নম্বর পায়। তাদের সঙ্গে তুলনায় তাহলে এরা কেউ সুযোগ পেতনা।

    আরেকটা কথা, বারবার বলতে ভুলে যাচ্ছি। একটা কারিকুলামে খারাপ করেছে কিন্তু আসলে ভালোই, এরকম অহরহ হয়। "বাইকচালকের" প্রসঙ্গ এই কারণেই আনা, যে উনি আসলেই ভালো ছাত্রী ছিলেন, কোন কারণে আন্ডারগ্র্যাডে সেটা কাজ করেনি। নম্বর ইত্যাদি নিয়ে আমার কোন সমস্যা নেই, যতক্ষণ না সেটা এলিমিনেশনের টুল হয়ে যায়। সিলেকশন আর এলিমিনেশনের মধ্যে তফাৎ আছে। অনেক সময় একটা কারিকুলামের কম নম্বরের জন্যই ছাত্রছাত্রীরা আমাদের দেশে ভর্তি পরীক্ষায় বসতে পারেনা, বা ফর্মই পায়্না। ওখানেই ফিল্টারটা সেট করা আছে।
  • S | 2390012.156.561223.1 | ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০১:৫৬721205
  • ঐ কারণে আমেরিকায় যে ইউনিতে কোনও ভারতীয়র পাওয়ার কথা তার থেকে অনেক নিচের ইস্কুলে লোকে যায়। স্টেমে এই সমস্যাটা অনেক কম। কারণ এই সাবজেক্টে আমেরিকানরা এমনিতেই একটু কম পার্টিসিপেট করছে। আর হায়ার এডুকেশনে আরো কম। তাছাড়া এই বিষয় গুলোতে অলরেডি ভারতীয় আর চীনারা ব্র্যান্ড বানিয়ে ফেলেছে। বেশিরভাগ ইস্কুলে অলরেডি দেশি প্রফ আর পিএইচডি স্টুডেন্ট আছে। তাছাড়া আইআইটির নাম আমেরিকায় ভালই চলছে। কিন্তু অন্য ডিসিপ্লিনে এখনো এই সমস্যা থেকেই গেছে।

    হ্যাঁ কারিকুলামে খারাপ করেছে কিন্তু আসলে ভালোই এটা হতেই পারে। কিন্তু সেখানে একটা ভালো ছাত্র উইথ ইম্পেকেবল রেকর্ডকে সরিয়ে দিয়ে আরেকটা মাঝারি রেজাল্টের ছাত্রকে অ্যাডমিশন দেওয়া একটু মুশকিল। আমেরিকায় অ্যাকাডেমিয়াটা এতো বড় যে অনেকটা বড় স্পেকট্রাম অব স্টুডেন্ট চান্স পায়। ভারতে সেটা সমস্যা।

    অর্থনীতির উন্নতি না হলে নোবেল আসবে না। ভারতের পার ক্যাপিটা ইনকাম দুগুন হলে অলিম্পিকের মেডেল থেকে ইনোভেশনের পরিমাণ সবই অনেক বেশি হতো।
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০২:০৫721206
  • কী চমৎকার নাম দিয়েছে ! "বাইকচালক" ! ঃ-)
  • S | 2390012.156.561223.1 | ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০২:২১721207
  • আর দেশে পেডাগজিকাল প্রচুর সমস্যা আছে।
  • lcm | 9006712.229.0112.212 | ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০২:২৭721208
  • GDP (real) per capita (2016 in USD) -
    India : 1709
    China : 8123
    USA : 57466
  • S | 90067.146.9004512.46 | ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:০৭721209
  • পিপিপিটা দিন।
  • lcm | 9006712.229.0112.212 | ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:১৩721210
  • GDP PPP per capita (2017 in USD from IMF)
    India : 7174
    China : 16624
    USA : 59495
  • lcm | 9006712.229.0112.212 | ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:২০721212
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উৎকর্ষ মাপার ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে তিনটি জিনিস বিচার্য ঃ
    ১) ভাল ছাত্র
    ২) ভাল শিক্ষক
    ৩) ভাল পরিকাঠামো

    ভাল ছাত্র ঃ পরিমাপযোগ্য সূচক হল প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর সমূহ।
  • lcm | 9006712.229.0112.212 | ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:২৭721213
  • বছর কয়েক আগে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি-তে আন্ডারগ্র্যাড অ্যাডমিশন ট্যুরে গিয়েছিলাম। তো সেখানে এক্জন পেরেন্ট জিগ্গেস করেছিল -- আপনাদের স্টুডেন্ট ভাছাই করার পদ্ধতিটা কী? আপনারা কি ভাবে বোঝেন যে সবথেকে সেরা স্টুডেন্টকে আপনারা বেছে নিচ্ছেন।

    তাতে উত্তরে ভদ্রলোক বলেছিলেন -- বুঝি না তো। আমরা সবসময় ভাবি যে যাদের নিতে পারলাম না তাদের মধ্যে কত প্রতিভা লুকিয়ে আছে কে জানে, এবং, তারা ভবিষ্যৎ-এ কত ভাল কাজ করবে নিশ্চয়ই। কিন্তু আমরা তাকে নিলাম না। আমরা সবসময় এই সংশয়ে থাকি।
  • sswarnendu | 2367.202.128912.199 | ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:৩০721214
  • lcm,

    জিডিপি বা টাকা, সাধারণ স্বাচ্ছল্য বড় কথা তো অবশ্যই, কিন্তু একমাত্র নয়। যদি হত তাহলে অন্তত থিওরেটিকাল অঙ্কে ভাল কাজ দেখা যেত খানিক, ( কারণ অঙ্ক এখনও তেমন টাকা পয়সা ছাড়াই দিব্যি করা যায় ) কিন্তু যাচ্ছে না। এই আগস্ট মাসে একজনের সাথে আড্ডা হচ্ছিল, ভদ্রলোকের বয়স ৭২, কিন্তু এখনও উৎসাহ আছে, প্রায় সমস্ত টক শুনতে আসতেন ডিপার্টমেন্টে, তাই প্রায়ই আড্ডা হত। কথা হচ্ছিল ভারতে অ্যানালিসিসের ট্র্যাডিশন নিয়ে, হরিশ চন্দ্রকে নিয়ে কথা শুরু হয়েছিল। যাঁরা জানেন না তাঁদের জন্যে বলি, হরিশ চন্দ্রর ফিল্ডস মেডাল না পাওয়া সত্যেন বোসের নোবেল না পাওয়ার মত, অর্থাৎ রেস্পেক্টিভ প্রাইজগুলোর লজ্জা। তারপর পরের জেনারেশন, নরসীমন, শেষাদ্রি, রামানান এদের কথা উঠল... অথচ এদের পরে এদের মানের অ্যানালিস্ট দেশে আর এল না। এর কারণ শুধু টাকা জিডিপি নয়, শক্ত জিনিস চেষ্টা করার অ্যাম্বিশনই এখন বিরল হয়ে যাচ্ছে। দেশে বেশিরভাগ স্কিল্ড রিসার্চার জানে যে তাঁরা যা করছেন সেগুলো এমন কিছু ডিফিকাল্ট কোয়েশ্চন নয়, এমন কিছু ইম্পর্ট্যান্ট বা এক্সাইটিং ও নয়, সে নিয়ে কথা উঠলে ঘনিষ্ঠ মহলে দুঃখও করেন হয়ত, তবুও সেইটাই করে চলেছেন কারণ সেগুলো সেফ বেট। বেশ ডিপ্রেসিং।
  • lcm | 9006712.229.0112.212 | ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:০০721216
  • স্বর্ণেন্দু,
    একদম ঠিক কথা। টাকা পয়সা অবশ্যই একমাত্র ফ্যাক্টর নয়, মানে ব্যক্তি লেভেলে। কিন্তু উচ্চশিক্ষা খাতে সরকারী বাজেটের কমিটমেন্ট একটা ফ্যাক্টর।
    আর, একটু ডিফিকাল্ট এরিয়াতে রিসার্চ নিয়ে আইনস্টাইনের এক মোক্ষম কমেন্ট আছে - "I have little patience with scientists who take a board of wood, look for its thinnest part and drill a great number of holes where drilling is easy."
  • S | 90067.146.9004512.46 | ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:০০721215
  • "অথচ এদের পরে এদের মানের অ্যানালিস্ট দেশে আর এল না।"
    এর সম্ভাব্য কারণঃ বিদেশ যাত্রার সুবিধা, ইন্জিনিয়ার হয়ে যাওয়ার হাতছানি, টেকনলজিতে কেরানিগিরি?
  • S | 90067.146.9004512.46 | ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:০৫721217
  • আইনস্টাইনের আরেকটা উক্তিঃ If I knew what I was doing, it wouldn't be called research.

    সমস্যা হলো ফল নাও আসতে পারে এরকম রিসার্চে টাকা ঢালার মতন সামর্থ্য বা ইচ্ছে কোনোটাই ভারত সরকার বা ভারতীয় কোম্পানিগুলোর নেই। আর আমাদেরও সেসব প্রজেক্টে কাজ করার ইচ্ছে বা ধৈর্য্য নেই।
  • sswarnendu | 2367.202.128912.199 | ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:১২721218
  • S,
    " বিদেশ যাত্রার সুবিধা, ইন্জিনিয়ার হয়ে যাওয়ার হাতছানি, টেকনলজিতে কেরানিগিরি? "

    তাই কি? জানি না। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ার হতে না যাওয়ার সংখ্যা তো বাড়ছে মনে হয়... নয়?

    lcm,
    আইনস্টাইনের উদ্ধৃতিটা লাগসই হয়েছে। সত্যিই সেইরকম লোকই ভর্তি হয়ে গেছে প্রায় দেশে, সেইটাই সমস্যা সবচেয়ে বড়।
  • sswarnendu | 2367.202.128912.199 | ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:১৬721219
  • S,
    রিসার্চ বলা চলে এমন কোনরকম কিছুতেই নেই ( স্পেস টেকনোলজি রিসার্চ ইত্যাদির কথা জানি না, সেগুলো বাদ রেখে বললাম)। বড় ফান্ডিং এর প্রোজেক্ট ও কোলাবোরশন না হলে জোগাড়ের কাজ বস্তুত, খুব ব্যতিক্রম ক্ষেত্রে বড়জোর ডেরিভেটিভ ওয়ার্ক জাতীয় কাজ।
  • S | 90067.146.9004512.46 | ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:২৬721220
  • "ইঞ্জিনিয়ার হতে না যাওয়ার সংখ্যা তো বাড়ছে মনে হয়"
    সেটা খুব রিসেন্ট ট্রেন্ড হতে পারে।

    হ্যাঁ ঐ ডেরিভেটিভ ওয়ার্ক জাতীয় কাজএই বেশি উৎসাহ। মৌলিক কাজকর্ম আর কোথায় হচ্ছে?
  • বাঙাল | 342323.176.011212.120 | ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০৬:০৭721221
  • বিভিন্ন দেশের জনসংখ্যার অনুপাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যার, প্রোফেসর, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর বা অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরের সংখ্যার অনুপাত পাওয়া যাবে?

    এই ধরণের আলোচনায়্মাথায় রাখা ভাল স্বাস্থ্য একটা সর্বাঙ্গীন ব্যাপার।
  • PT | 340123.110.234523.24 | ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০৭:৩৭721223
  • আপনেরা অনেক বড় বড় বিষয়ে কথা বলতিছেন।
    এদেশে DBT-র তৃতীয় বছরের টাকা কখনই আসে না। দ্বিতীয় বছরের টাকা আসাও বিরল ঘটনা। আর DST-র হালও বেজায় লর্বরে। আমি গোটা দশেক ই-মেল লিখে বসে আছি যদি DST দয়া করে তৃতীয় বছরের টাকাটা পাঠায়!!

    এক দ্বিতীয় শ্রেণীর অভিনেত্রীকে উচ্চশিক্ষামন্ত্রী পদে বসালে উচ্চশিক্ষার ব্যাপারে সরকারের পোকিত মনোভাব পোকাশিত হয়।

    এই খপরটি পড়ে দেখবেন। আমেরিকার মিলিটারি এবার টাকা ঢালবে জৈব অণুর খোঁজে।
    Accelerated Molecule Discovery (AMD) will increase the pace of discovery and optimisation of molecules, such as chemical warfare simulants and medicines, from years to mere months or weeks,.........
    https://www.chemistryworld.com/news/us-military-wants-ai-to-discover-new-molecules-for-it/3009620.article

    ভারতীয় synthetic organic chemist-দের বেশ কিছুদিন হল হাতে হ্যারিকেন ধরানো হয়েছে.......তার পরেরটি ঘটনাটি এবারে ঘটতে চলেছে।
  • amit | 340123.0.34.2 | ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০৭:৫৯721224
  • আমাদের উচ্চশিক্ষার দরকার কি ? সব কিছু তো মহাভারতে আছেই, ওগুলো একটু ইতিহাস ভেবে পড়ে নিলেই হবে খন। এমনকি ইন্টারনেট, এটম বোমা ইস্তক।

    ইয়ার্কি মারছি না, মাইরি বলছি, বিশ্বাস করুন। বিদেশে বসে একটা আড্ডায় কয়েক দিন আগে বেশ শিক্ষিত, মানে এখানে শিক্ষা ক্ষেত্রে যুক্ত আছেন, এমন কয়েকজনের আন্তরিক হাহুতাশ শুনলুম যে আমরা এখনো বিলিতী ইতিহাস নিয়ে পড়ে আছি আমাদের নিজেদের গর্বের রামায়ণ মহাভারত ভুলে গিয়ে।

    হে ধরণী, কবে তুমি দ্বিধা হবে ?
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০৮:১২721225
  • আরে বিদেশে আড্ডায় কী বলছেন, এই ভার্চুয়াল লিবেরালাড্ডাতেই প্রাচীন ভারতে আলোর গতি নিয়ে কত কান্ড হয়ে গেল।
    ঃ-)
  • S | 90067.146.9004512.46 | ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০৯:০৭721226
  • আমাকে একজন বলেছিলেন যে মোদি দেশের সর্বকালের সর্বসেরা প্রধানমন্ত্রী।
  • S | 90067.146.9004512.46 | ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০৯:১৯721227
  • এই রিপোর্টটা দেখুন।
    https://www.nsf.gov/statistics/2017/nsf17306/static/report/nsf17306.pdf

    আম্রিগায় ২০১৫ তে ৪০,০০০ জন সায়েন্স আর ইন্জিনিয়ারিংএ পিএইচডি করেছেন। অন্য ফিল্ডে আরো প্রায় ১৫,০০০ জন।
  • b | 562312.20.2389.164 | ১২ অক্টোবর ২০১৮ ০৯:৪৩721228
  • কিন্তু হরিশ চন্দ্রও তো বাইরেঅই কাজ করেছেন, মার্কিন সিটিজেনশিপ নিয়ে।
  • de | 90056.185.673423.55 | ১২ অক্টোবর ২০১৮ ১১:১১721229
  • গত প্রায় বছর সাত-আট ধরে আইআইটির এন্ট্রান্স এক্জাম ভারতীয় পড়াশোনার বারোটা বাজিয়ে চলেছে - ক্লাস ফাইভ-সিক্স থেকে লোকে এখন খালি আইআইটির প্রবলেম নিয়ে ঘষে, স্কুলে স্কুলে কোচিং ক্লাসের সঙ্গে টাই-আপ - স্কুলে যাবারও প্রয়োজন হয় না। বাবা -মায়েরা ইয়ারলি এক একটা সাবজেক্টে তিন-চার লাখ খরচা করে কোচিং ক্লাসের পরেও বাড়িতে টীচার রাখে -

    এক সাংঘাতিক অসুস্থ জেনারেশন তৈরী হচ্ছে - জীবনের মোক্ষ আইআইটির ভালো র‌্যাংক - বাকি সব শিক্ষার কোন মূল্য নেই।

    আমি খুব কাছে থেকে এই সর্বনাশ প্রত্যক্ষ করছি - আইআইটির দশ পনেরো হাজার স্টুডেন্টের জন্য গোটা দেশের সেকেন্ডারি আর হায়ার সেকেন্ডারি শিক্ষা ব্যবস্থাটা শেষ হয়ে যাচ্ছে -

    ডিপ্রেশনে ভোগা একটা অসুস্থ প্রজন্ম তৈরী হচ্চে, অবিলম্বে এই ক্রেজ বন্ধ না করা গেলে ভারতীয় পড়াশোনার সলিল-সমাধি রোখা অসম্ভব -

    এন্ট্রান্স একজাম গুলো নিয়ে অন্যভাবে ভাবনা চিন্তা দরকার - ওগুলো কোন অবস্থাতেই ট্যালেন্ট সিলেকশনের মাপকাঠি নয় -
  • de | 90056.185.673423.55 | ১২ অক্টোবর ২০১৮ ১১:১৭721230
  • দেশের কোং গুলো রিসার্চে গ্রান্ট দেয় না বল্লেই চলে - ইভন বিসেশী কোং গুলোর ইন্ডিয়ান ব্রান্চ যারা বিদেশে অনায়াসে বিভিন্ন সাবজেক্টে গ্রান্ট দিয়ে থাকে, তারা এদেশে সিমিলার ফিল্ডে গ্রান্ট দিতে অস্বীকার করে।
  • de | 90056.185.673423.55 | ১২ অক্টোবর ২০১৮ ১১:৩৪721231
  • দেশে রিসার্চে রিস্ক নেওয়া বড়ো মুশকিলের - পাবলিকেশনের নাম্বার এমনভাবে সবকিছুর মাপকাঠি হয়ে বসে আছে!

    ভালো সংখ্যায় পাবলিকেশন( বিগশটদের সঙ্গে হলে আরো ভালো) -->

    প্রোজেক্ট গ্রান্ট পাবার চান্স ভালো -->

    প্রোজেক্ট গ্রান্ট পেলে রিসার্চ চলবে -->

    প্রোজেক্টের ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেটে নাম্বার অব পাবলিকেশন দেখাতে হবে, যত সংখ্যা তত ভালো -->

    সংখ্যার পিছনে দৌড়তে গিয়ে কোয়ালিটি অব রিসার্চ খারাপ হওয়া, কনসোলিডেট করলে যে কাজগুলো একটা ভালো পেপার দিতে পারে, সেগুলোকেই ভেঙ্গে ভেঙ্গে ছোট ছোট কাজ করে সংখ্যা বাড়ানো -->

    এটাই তো ভিশাস সার্কল - এর থেকে বেরনো খুবই কঠিন -
  • sm | 7845.15.455623.177 | ১২ অক্টোবর ২০১৮ ১১:৪০721232
  • প্রতিযোগিতা আর কোচিং আছে বলেই ভারতীয় স্টুডেন্ট দের গ্রহণ যোগ্যতা সারা পৃথিবীতে বেশি।
    জয়েন্ট বা আই আই টি তে এতো শক্ত এন্ট্রান্স হয় যে ,কোচিং ছাড়া উতরানো অসম্ভব।
    এর জন্য স্টুডেন্ট দের প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়। সিলেবাস গুলে খেতে হয়। হাজার হাজার শক্ত অঙ্ক করতে হয়। এতে ব্রেনের শার্পনেস বাড়ে। নয়তো টিভি দেখা ফেসবুক আসক্ত এক অসুস্থ প্রজন্ম তৈরী হতো।
    এই পরিশ্রম, বিদেশের পরীক্ষা তেও কাজে লাগে। আই আই টি র ছেলেরাই, জি আর ই তে ভালো স্কোর করে।
    মেডিকেল এও তাই। প্রিমিয়ার ইনস্টিটিউট গুলোর স্টুডেন্টরা প্ল্যাব, ইউ এস এম এল ই তে ভালো ফল করে।
    আমার তো মনে হয়, জি আর ই বা মেডিকেল পরীক্ষা গুলোতেও স্টুডেন্ট দের ভালো মতন কোচিং নেওয়া উচিত।যাতে ফল ভালো হয়।
    এই ,আই আই এস আর, জাতীয়
    ইনস্টিটিউট গুলোর চাইতে বিদেশে ভালো ইনস্টিটিউট গুলোয় পোস্ট গ্র্যাড বা পি হেইচ ডি করা উচিত।
  • dc | 232312.164.340123.189 | ১২ অক্টোবর ২০১৮ ১১:৫১721235
  • "গত প্রায় বছর সাত-আট ধরে আইআইটির এন্ট্রান্স এক্জাম ভারতীয় পড়াশোনার বারোটা বাজিয়ে চলেছে"

    একদম একমত। চতুর্দিকে আইআইটির ক্রেজ যে কিভাবে ছড়াচ্ছে না দেখলে বিশ্বাস হয় না। আর এই হিটজি মিটজি যতো রাজ্যের কোচিং ক্লাস আছে, এরা এখন সরাসরি স্কুলের সাথে ব্যাব্স্থা করে নিচ্ছে যাতে স্কুল থেকেই ছাত্রছাত্রীদের এনকারেজ করা হয় এগুলোতে ভর্তি হতে। আমার মেয়ে আগের বছর ক্লাস সিক্সে পড়তো, তখন থেকেই আমাকে আর ওর মাকে ফিটজির থেকে ফোন করা শুরু হয়ে গেছে। ক্লাস ফাইভ সিক্স থেকে নাকি আইআইটির জন্য পড়া শুরু করতে হবে! উদ্ভট ব্যাপার!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে প্রতিক্রিয়া দিন