এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে আরো দু-চার কথা

    Dipankar
    অন্যান্য | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | ১২৮০৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Dipankar | 11.39.39.150 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:০৯722668
  • তখন সদ্য কলেজ থেকে বেড়িয়ে চাকরি তে ঢুকেছি। স্বভাবতই একমাত্র মাস গেলে টাকা পাওয়ার দিন টা ছাড়া বাকি দিন গুলো একেবারেই মন বসে না অফিসের কাজকারবারে। কলেজের চার বছর কেটেছে হোস্টেলে। যে কোন মানুষের সব চাইতে স্বাধীন সুতরাং সব চাইতে সুন্দর কটা বছর। এর পর কি আর ৯ টা -সাড়ে পাঁচ টার বন্দী জীবন ভাল লাগে? সকাল থেকে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বসে থাকি। কাঁটা সাড়ে পাঁচটা ছুঁতে না ছুঁতে দে ছুট। কলেজে যে পড়াটা করতে হয়েছিল কোনদিন সেটাকে ভালবাসতে পারিনি। তালেগোলে সেই খরা বাজারেও ক্যাম্পাসের চাকরিটা লেগে গেছিল কি রকম ভাবে একটা। কলেজে পড়ার সময় এক বন্ধুকে বলেছিলাম, " আমি চাকরি করব NEFA র জঙ্গলে পাহাড়ে। ওসব কলকাতার বাবু চাকরি আমার পোষাবে না। " কিন্তু মানুষ ভাবে এক, আর হয় এক। আমার যে বন্ধুদের কলকাতায় বাড়ি, শহর ছাড়তে চায়নি কোনদিন, তারা চাকরি করতে বাইরে চলে গেল। আর আমি, মফস্বলের ছেলে, কলকাতাকে পছন্দই হয়না, বাঁধা পড়ে গেলাম কলকাতার সাথে। একেবারে সেই হেমাঙ্গ বিশ্বাসের 'হবিগঞ্জের জালালি কবুতর'এর মত ডানা ভাঙা দশা নিয়ে।

    তা সেই সদ্য ডানাভাঙা দশায় মনে মনে ঠিক করে রেখেছিলাম চাকরিটা করবো পঁয়তাল্লিশ বছর বয়স অবধি। ততদিনে যা টাকাকড়ি জমানোর জমিয়ে নেব। তারপর বাকি জীবন নেফা থেকে লাদাখ ঘুরে বেড়াবো। শুনে সবাই হাসতো। আমি জেদ করে বলতাম, "দেখবে, ঠিক একদিন -"। বলা বাহুল্য, আমার হিসেবটাই পুরো ভুল ছিল। আমাদের দেশে চল্লিশ-পঁয়তাল্লিশের আগে ইঞ্জিনিয়ারিং এর চাকরিতে ঠিক ভাবে সেট হওয়াই যায়না, টাকা জমানো তো দূরের ব্যাপার। তাও আবার আরো কিছু ব্যাপার আছে। ধরা যাক একজন ইঞ্জিনিয়ার চল্লিশ নাগাদ একটা বেশ মনের মত কিছু পেল। কিন্তু দুবছর যেতে না যেতে শুরু হয়ে গেল মন্দা। আজকাল তো আবার সব কিছুর মত মন্দাও আন্তর্জাতিক ব্যাপার। কাজ নেই, কাজ নেই। কম্পানির পর কম্পানি তাদের ইউনিট বন্ধ করে দিচ্ছে। অফিসে অফিসে ফিসফিস, লিস্ট তৈরি হচ্ছে। ছাঁটাইয়ের লিস্ট। এতদিন যারা এসব ছাঁটাইয়ের কথা কাগজে পড়েছিল, কারখানা বন্ধ, শ্রমিক ছাঁটাই ইত্যাদী, আজ সেই ছাঁটাইয়ের হাতছানি একেবারে নিজের কর্মক্ষেত্রে। প্রতিদিন মানসিক চাপ নিয়ে অফিস যাওয়াআসা, এই বুঝি আমায় ডেকে পাঠালো! এইসব লিস্ট তৈরির পর্ব ভারি চমৎকার। আপনি যাদের সাথে সেই বাইশ বছর বয়স থেকে কাজ করেছেন, ওঠাবসা-খাওয়াদাওয়া-পিকনিক-বেড়াতে যাওয়া সব কিছুতে যারা জড়িয়ে আপনার জীবনে, হয়তো আপনাকেই তাদের ছাঁটাইয়ের লিস্ট করতে হবে। কি ভীষণ মানসিক চাপ! আপনাকেই তাদেরকে বুঝিয়ে বলতে হবে যে আগামীকাল থেকে তাদের আর আসবার দরকার নেই। বিনিময়ে? না, বিনিময়ে কম্পানি আপনাকে রাজা করে রাখবে না। হয়তো আরো কয়েক বছর আপনি মাসমাইনে পাবেন। বা হয়তো সহৃদয় ম্যানেজমেন্ট আপনাকে আপনার শহর থেকে দুহাজার কিলোমিটার দূরে তাদের নতুন অফিসে আপনাকে পোস্টিং অফার করবে। আপনি নিরূপায়। এই বয়সে এসে নতুন চাকরি খুঁজে নেওয়া প্রায় অসম্ভব। আপনার ছেলের সামনে উচ্চমাধ্যমিক, মেয়ে ছোট হলেও তারও মাধ্যমিক সামনেই, হয়তো আপনার স্ত্রী কর্মরত কোন স্কুলে বা আপনারই মত কোথাও। কি করবেন আপনি? ব্লাডপ্রেশার বাড়ছে, সুগার ধরব ধরব করছে। ফ্ল্যাটের ইন্সটলমেন্ট বাকি আরো দশ বছর। গাড়িটাও পাল্টেছেন একবছর হলো, এবং লোন নিয়েই। ব্যাংক-পোস্টাফিস-শেয়ারবাজার সব মিলেও আপনার দেনাশোধ হবে না। এবং তার সাথে মানসিক যন্ত্রণা। যাদেরকে আপনি পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে চাকরি থেকে ছাঁটাইয়ের ব্যাবস্থা করেছেন, তাদের কিভাবে চলছে? তাদেরও তো ফ্ল্যাটের লোন ছিল, ছেলেমেয়ের পড়াশুনা?

    কি ভাবছেন? আজ্ঞে হ্যাঁ। এটাই এখন কোর সেক্টর ইঞ্জিনিয়ারিং এর অবস্থা আমাদের রাজ্যে। আঠেরো বছর বয়সে যে কিশোর বা কিশোরী জয়েন্ট এন্ট্রান্সের রেজাল্ট দেখে ছাদ ছোঁয়া লাফ মেরেছিল, রাস্তা দিয়ে দিকবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে ছুঁটেছিল বাড়িতে জানানোর জন্যে, তাদের বেশিরভাগই আজ এই অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এরা কেউ সেই সময় সরকারী চাকরির দিকে ফিরেও তাকায়নি, কারণ তারা অকর্মন্যতার জীবন, তোষামোদের জীবন চায়নি। আজ যখন বিরোধী দলের বন্ধের দিনেও অফিসে সরকার-স্পনসর্ড পিকনিকে যোগ দেওয়ার জন্যে সরকারী চাকুরেরা পুজোতে বাড়তি একদিন এবং ফলতঃ টানা এগারোদিন ছুটি পায়, তখন তারা ভাবতে বসে জীবনের সব হিসেব এমন গরমিল হয়ে গেলো কি করে।

    যাকগে। এসব ভেবে আর লাভ নেই। টাটা থেকে ছেড়ে স্টীল এক্সপ্রেস রাখা মাইনস স্টেশনে দাঁড়িয়েছিল। সকালের মোলায়েম পরিবেশে মন টা দিব্যি ভাল ছিল। রাখা থেকে গালুডির পথে দেখছিলাম সুবর্ণরেখার দুধারে সবুজ বন আর সাদা কাশফুলের ঝাড়। জলের ওপর সকালের সূর্যের আলো পড়ে বয়ে যাওয়া গলানো সোনার মতই লাগছে। উঁচুনীচু বনভূমি পেরিয়ে সবুজ পাহাড়ের গায়ে মেঘ জড়িয়ে। সে সব দেখতে দেখতে যে মনে কীভাবে এসব আজেবাজে চিন্তা এল, কে জানে!
  • bip | 183.67.3.44 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:৩২722748
  • অসাধারন লেখা। আমেরিকাতেও সিচুয়েশন এক। বয়স চল্লিশের পরে ইঞ্জিনিয়ারিং চাকরিতে বেতন বাড়ে না। এবং ইঞ্জিনিয়াররা এক্সপেন্ডিবল। কমোডিটির মতন।

    ইঞ্জিনিয়ারিং পেশা হিসাবে নেওয়া খুব রিস্কি এবং আনসার্টেন লাইফে। এই পেশাতে রিওয়ার্ড আসে যদি কেউ নিজের ইঞ্জিনিয়ারিং আইডিয়া বা স্কিল থেকে ব্যবসা শুরু করতে পারে। অন্য কোম্পানীতে ইঞ্জিনিয়ারিং এর চাকরি করলে দুটো দিকে সতর্ক থাকতে হয়

    (১) সেই কাজে নিজের ইঞ্জিনিয়ারিং স্কিল ক্রমাগত বাড়ছে কি না
    (২) সেই ইঞ্জিনিয়ারিং স্কিলটার মার্কেট ডিমান্ড কেমন ?

    ১ ও ২ এর ব্যপারে সতর্ক না থাকলে ভরাডুবি আসন্ন। শুধু আপনি না। আমার অনেক আত্মীয় বন্ধু এই পরিস্থিতির শিকার। তাদেরকে কাউন্সেলিং করছি।
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৩:৫৫722759
  • এ জিনিস আমিও দেখেছি দীপঙ্করবাবু। আমার অনেক বন্ধু/কোলিগদের বলতে শুনেছি চল্লিশ পঁয়তাল্লিশ বছর অবধি যতটা পারি কামিয়ে নেব রাতদিন এক করে, তারপরে আর কাজ করব না, নিজের মত করে জীবনটা বাঁচব। একজনও পারে নি। চল্লিশের আশেপাশে এসে গেলেই তারা আপার লিমিটটা বাড়িয়ে পঁয়তাল্লিশ টু পঞ্চাশ করে দেয়। নিজেকেই ভুলিয়ে ভালিয়ে বোঝায় যে অ্যাতোগুলো লোন রিপেমেন্ট আছে, ছেলেমে মানুষ করা বিয়ে দেওয়ার খরচ, তারপরে নিজেই জীবনের গোল সেট করে আরো খরচসাপেক্ষ কিছুতে। সাহস পায় না চাকরি ছাড়তে। নানান অজুহাতে নিজেকে বোঝায় এবং বোঝাতেই থাকে। আমার এক কোলিগকে লাস্ট পনেরো ষোলো বছর এরকম করতে দেখছি। তার অবশ্য ব্যবসা। এখন তার ছেষট্টি বছর বয়স, তবু সে তার ফিনানশিয়াল টার্গেট কিছুতেই অ্যাচিভ করতে পেরে উঠলো না। কিছু বললে লাজুক হাসে।
  • নেতাই | 52.99.164.59 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৪:১৩722770
  • এটা তো আমারো হচ্ছে। আগে চল্লিশ টার্গেট ছিল। এখনিই বাড়িয়ে ৪২ করেছি। মনে হচ্ছে পরে ৪৫ ও হতে পারে। তারপর নদীর ধারে বসে মাছ ধরবো আর বাগান। টমাটো লংকা ধনেপাতা চাষ করবো।
  • Ekak | 53.224.129.46 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৪:৪২722781
  • এসব একমাত্র ডাক্তার আর উকিল দের পক্ষে সম্ভব । বেশি খেটে বেশি রোজগার করে নিতে পারে । বাকিরা বেশি খাটলেও সিলিঙে আটকে যাবে রোজগার বাড়বে না । ব্যবসায়ীরাও বেশি এক্সপ্যান্ড করতে পারে কিন্তু সেই সঙ্গে লায়াবিলিটি ও বাড়ে । কাজেই তাদের পক্ষেও সম্ভব না । একমাত্র ডাক্তার দের দেখেছি , একটা বয়েসের পর ছাগল পুষে টমেটো চাষ করে মাছ ধরে কাটাতে । আর সঙ্গে টুকটাক সেবামূলক প্র্যাকটিস । না করলেও যায় আসেনা ।

    ভবিষ্যৎ এ টেকনিক্যাল কনসালট্যান্টরা হয়তো পারবে । এখনো সেই বাজার তৈরী হয়নি ।
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৫:৪২722792
  • নেতাই ও এককের পোস্ট বুঝতে পেরেছি, কিন্তু আমি সম্ভবত নিজের অবজারভেশনটা বোঝাতে পারিনি। উকিল কি ডাক্তার জানিনা, এই ভবিষ্যতের জন্য স্বপ্নকে পোস্টপোন করার কথা যাদেরকে বলতে শুনেছি দেখেছি তারা সেটা কোনোদিনই পারেনি। টাকা কোনোদিনই পর্যাপ্ত হয় না। কোটি কোটি টাকা হয়ে গেলেও। তার ওপর যৌবন ও স্বাস্থ্য সময়ের সঙ্গে ভেঙে পড়ে। গাঁটে ব্যথা, ডায়াবিটিস, হার্টের ব্যামো, ব্লাড প্রেশার, কিডনি, হাঁপানি, চশমার পাওয়ার, হিস্টেরেক্টমি, এনলার্জড প্রোস্টেট, ইত্যাদি ঝামেলার কিছু কিছু গেঁড়ে বসে। শরীরের জোর কমে যায়। মনের জোরও। এইসব।
  • Ekak | 53.224.129.46 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৫:৫৫722803
  • হ্যা , আপনার কথাও বুঝেছি । সিকিউরিটি আর স্বপ্ন একসঙ্গে ম্যাচ করানো খুব কঠিন ব্যাপার । খুব কঠিন ।

    আর যত দিন যাচ্ছে এই ফারাকটা বাড়ছে । 25 বছর বয়েস অবধি পড়াশোনা করে তারপর চাকরি খুঁজছে লোকে । অবসসই বড়ো চাকরি পাচ্ছে তারা কিন্তু ঐযে শরীর -স্বপ্ন -সিকিউরিটি এই ট্রায়াঙ্গল ম্যাচ করেনা !

    এরচে যদি এমন হতো যে উচ্চশিক্ষা করতে গেলেই চাকরির অভিজ্ঞতা মাস্ট তাহলে হয়তো একটু স্লট বই স্লট ভেঙে যেত জীবন টা । মাধ্যমিক দিয়েই একটা যেমন তেমন চাকরি প্লাস বিয়ে থা । বছর তিনেক পরে আবার উচ্চমাধ্যমিক । এইভাবে মাস্টার্স হতে হতে চাকরিতেও ফিট প্লাস এন্ডি গেন্দির দিকটা সারা হয়ে গ্যালো । কিন্তু এরকম সম্ভব না :|
  • নেতাই | 52.99.164.59 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৬:০৯722814
  • আমি সবার কথাই বুঝতে পেরেছি। আমার কথাও।
  • dc | 132.174.114.159 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৬:৩০722825
  • ধুর এই চল্লিশের পরে রিটায়ার করব টাইপের স্বপ্ন একেবারে মিনিংলেস। চল্লিশ বছরে তো ভরপুর ফ্যামিলির রেসপন্সিবিলিটি এসে পড়ে! ছেলে বা মেয়েকে বড়ো করা তো আছেই, তাছাড়া আছে ফিউচার প্ল্যানিং। ছেলে-মেয়ের পড়াশুনোর জন্য অন্তত তিরিশ লাখ, নিজেদের জন্য পঞ্চাশ লাখ, এমার্জেন্সি মেডিকাল ইত্যাদির জন্য লাখ দশেক। চল্লিশ পেরলেই জীবন আপনার হাতে এক কোটির বিল ধরিয়ে দেবে, যা আপনাকে পরের দশ থেকে পনেরো বছরে জমাতে হবে। এই অবস্থায় রিটায়ারমেন্ট!
  • কুমড়পটাশ | 198.155.168.109 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৬:৩৩722669
  • স্বপ্ন অনেকেই দ্যাখে। তাকে সফল করতে পারার সাহস এবং উদ্যম খুব কম জনেরই থাকে।
    সিকিওরিটি টার্মটা এক্ষেত্রে ভেগ লাগছে। কীসের সিকিওরিটি? ফিনানশিয়াল? সেটা তো নিজেই টার্গেট সরিয়ে সরিয়ে নিজের চোখে ধুলো দিয়ে দিয়ে বদলানো হয়। সম্পর্কের সিকিওরিটিও হয় না। আয়ুরও কোনো সিকিওরিটি নেই। ভাবলেন ৫৫ বছরে স্বপ্ন সাধন করব, তার আগে অবধি আরেকটু টাকা জমিয়ে নিই, আরেকটু দায়িত্বপালন করে নিই। একটা দায়িত্ব শেষ হতে না হতেই আরেকটা আসবে। মেয়ের বিয়ে দিয়ে ভাবলেন দায়িত্ব শেষ। বিয়ের পর দায়িত্ব আরো বেড়ে গেল হয়ত। নিজেরই হয়ত হুট করে এমন কিছু অসুখ করে বসল যে পঞ্চান্ন বছর বয়স কোনোদিন অ্যাচিভই করতে পারলেন না। স্বপ্ন যখন সেকেন্ড প্রায়োরিটি বনে যায়, তখন তাকে অ্যাচিভ করাটা আরেকটা স্বপ্ন।
  • spa | 71.95.147.180 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৬:৩৭722680
  • চাক রি 40 বা 50 তে ছাড়া সম্ভ ব। চা র টে জিনিস কর তে হবে।
    ১) Inflation , post tax return on investment, আর সত্যি কতো টাকা লাগ বে খর চে র জন্যে, সে ই অন্ক টা ঠিক কর তে হবে।
    ২) লোকে কি বল বে, তার তোয়াক্কা কর লে চল বে না।
    ৩) চাহিদা কমিয়ে ফেল তে হবে।
    ৪) সম য় কাটানোর কিছু ভাল উপায় আগে থেকে ভেবে রাখ তে হবে।

    তবে বাড়ি র সকলে চাহিদা কমিয়ে ফেল বে, সে প্রায় অসম্ভব।
  • Arpan | 203.108.73.47 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৬:৩৯722691
  • চল্লিশের মধ্যে এক কোটি? জমিয়ে ফেললেই রিটায়ার করা যাবে?

    আর এই যে আইসিআইসিআই প্রু না কাদের যেন রিটায়ারমেন্ট প্ল্যানার দেখাল রিটায়ার করার পরে (বছর কুড়িরও বেশি সময়) ছ কোটি মিনিমাম থাকতে হবে? মানে ষাট অব্দি চাকরি করব ধরে।
  • dc | 132.174.114.159 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৬:৪৫722702
  • এক কোটিটা মিনিমাম বলেছি, নানারকম লাইফ ইনসিওরেন্স, টার্ম ইনসিওরেন্স ইত্যাদি না ধরে :p

    আর spa যেগুলো বললেন তার মধ্যে চাহিদা কমানোটা সবথেকে অবাস্তব। চাহিদা এক জায়গায় ধরে রাখতে পারলেই অনেক, কমানো তো দুরের কথা।
  • dc | 132.174.114.159 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৬:৫০722713
  • এতে মনে পড়লো, গত তিনচারদিন ধরে একটা বেশ সফিস্টিকেটেড ফিশিং অ্যাটেম্পটের পাল্লয় পড়েছিলাম। ভাটে লিখছি।
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৬:৫৬722724
  • এত স্ট্রেসের মধ্যে যারা বাঁচছে ক্রমাগত এককোটি ছকোটি কি আরোবেশির টার্গেটের দিকে তাকিয়ে, তারা ষাট অবধি কজন বাঁচবে সেটাই সন্দেহজনক।
  • Ekak | 53.224.129.46 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৭:০৩722735
  • এই "স্ট্রেস " ব্যাপারটা অত সাদাকালো নয় । স্ট্রেস মানেই খারাপ এটা একশ্রেণীর ডাক্তারের প্রচার যখন রজার আর কোনো কারণ ধরতে পারেনা :):) স্ট্রেস হরমোনের ভালো দিকও আছে । মানুষের শরীর এবং মাথা তৈরীই হয়েছেঃ স্ট্রেস নেবার জন্যে । যে যুগে গুহাতে থাকতে হতো বা এক কথায় গ্রামের পর গ্রাম কলেরায় উজাড় হয়ে যেত তখন স্ট্রেস ছিলোনা ??

    এখন বরং ব্যাড স্ট্রেস কে গুড স্ট্রেসে কনভার্ট করার সুযোগ অনেক বেশি । "ওরেবাবা কত স্ট্রেস " এটা ভাবলে ক্ষতি হয় বেশি । সেইটা ক্ষতিকর । স্ট্রেস টা না ।
  • Ekak | 53.224.129.46 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৭:০৯722746
  • এই "পারসেপশন অফ স্ট্রেস " ব্যাপারটা ইম্পরট্যান্ট । একবার যদি মাথায় ঢুকে যায় যে আমার যা খারাপ হচ্ছে তা স্ট্রেসের কারণে হচ্ছে তাহলেই সব কাজ কে নেগেটিভ চোখে দেখতে শুরু করবো , স্ট্রেস আরও বাড়বে । এই ভুলভাল পার্সেপশনটা একশ্রেণীর ডাক্তাররা তৈরী করে । এন্টি অক্সিড্যান্ট এন্ড হেলথ রিজুভিনেটিং মার্কেটের একটা সেডি এরিয়া আছে সেটাকে প্রমোট করার জন্যে ।
  • dc | 132.174.114.159 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৭:১৬722747
  • এককের সাথে একমত। "ওরেবাবা কত স্ট্রেস" ভাবলেই আপনি গেলেন। সে অব্শ্য গব্বর অনেকদিন আগেই বলে গেছে।
  • Abhyu | 34.158.252.82 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৭:১৯722749
  • আমারই এক আত্মীয় বছর পঁয়তাল্লিশ বয়সে রিটায়ার করল। এখন বলছে চা খাবে আর গান শুনবে। অবশ্য ব্যাঙ্গালোরে বি--শা--ল চাকরি করত। স্বপ্নেও অতো মাইনে পাওয়া সহজ না। কিন্তু এরকম হয়, কদিন আগেই শান্তনুদা টইতে লিখলেন না?
  • Arpan | 203.108.73.47 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৭:২৫722750
  • ওই বি--শা--ল চাকরি করলে সম্ভব।
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৭:৩০722751
  • গুড স্ট্রেস ব্যাডস্ট্রেন নিয়ে বিবিধ অ্যাকাডেমিক আর্টিকল থাকে/আছে তা জেনেও বলছি, জীবন তো কম দেখলাম না। অ্যাকাডেমিক আর্টিকল না পড়েও সরাসরি জীবনকে দেখে যেটুকু জানতে পেরেছি তাতে চুড়ান্ত স্ট্রেস সবাই নিতে পারে না। পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে না পেরে সুইসাইড, চাকরির ইঁদুর দৌড়ে হেরে গিয়ে হতাশায় ভোগা পাবলিক আমাদের চারপাশে রয়েছে। কারোর স্ট্রেস রয়েছে বিবাহযোগ্য কালো কুৎসিত মেয়ের বিয়ের খরচের জন্য টাকা জোগাড় করবার, কারো স্ট্রেস সন্তানকে বিদেশে পড়াতে পাঠানোর, কারো স্ট্রেস তার বৌয়ের চিকিৎসার খরচ জোগানোর, অসুস্থ সন্তানের চিকিৎসা, ক্যানসারে ভোগা বাবার কষ্ট দিন কে দিন চোখের সামনে দেখা, ছেলে জয়েন্টে চান্স পায়নি বলে অন্য কেরিয়ার অপশনের খোঁজ, অফিসে অ্যানুয়াল পারফরমেন্স রেটিং, ছাঁটাই, ইনহেরিটেড প্রপার্টি নিয়ে ভায়ে ভায়ে বিবাদ মামলা, ইত্যাদি একাধিক স্ট্রেস থাকে মানুষের জীবনে। কোনটা ভালো কোনটা মন্দ জানিনা, তবে রয়েছে। স্ট্রেস নেবেন্না বললেও স্ট্রেসকে তাড়ানো অত সহজ নয়। ছোটোবেলা কয়েকজনকে নিরুদ্দেশ হয়ে যেতে দেখেছি পাড়ার মধ্যেই। আত্মহত্যা করেছে দুজন, তাদের ভিন্ন ভিন্ন কারণ ছিল স্ট্রেসের। ডাক্তারেরা এব্যাপারে ভুল বলবেই বা কেন? কোনো কন্সপিরেসি থিয়োরি আছে কি? সংসার করবার পর থেকে স্ট্রেস সাধারনত বাড়ে নানান কারণে। বউয়ের বাচ্চা হওয়া/ বা কিছু ক্ষেত্রে না হওয়া, বাচ্চাদের অসুখ বিসুখ, ইস্কুলে ভর্তি করা, তাদের পড়াশোনার ফল, অসুখ বিসুখ, প্রোমোটার, টেলিফোনের কানেকশান, অ্যাক্সিডেন্ট, নিকটজনের মৃত্যু, জীবনে স্ট্রেস থাকবেই। তাকে আরো বাড়িয়ে তোলাই যায়। তবে যারা এরকম বেশি বেশি করে করে, তারা স্ট্রেসজনিত সমস্যায় ভুগবে। সাইকোলজিক্যাল সমস্যাও তো হয়।
  • একক | 53.224.129.46 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৭:৪১722752
  • আইদার ব্যাপারটা থেকে ক্লিনিকাল ইনফারেন্স কে পুরো বিচ্ছিন্ন করে বলুন বহু মানুষ জীবনে চাহিদা ও সামর্থ্য ব্যালান্স করতে না পেরে ভেঙ্গে পড়ে । সেক্ষেত্রে কোনো ডাক্তার /একাডেমিক পেপার কিস্যু আসবেনা । দিব্য আলোচনা চলবে ।

    কিন্তু ডাক্তাররা স্ট্রেস খারাপ দাগিয়ে দিলে স্ট্রেস খারাপ এটা বল্লে তো পেপার ও আসবে , তাই না :) ইচ্ছেমত একদিক হয়না । স্ট্রেস নেই কেও বলেনি । স্ট্রেস থেকে আয়ু কমছে -শরীর খারাপ হচ্ছে এগুলো একদম ক্লিনিকাল দাবিদাওয়া । এগুলো অমন হাওয়ায় ভাসালে হবেনা ।

    বরং বিস্ময় রাখুন :)

    "
    এই তো সে দুপুরে
    বসে ওই উপরে খাচ্ছিল কাঁচকলা চটকে
    এর মাঝে হল কি? মামা তার মোলো কি? অথবা কি ঠ্যাং গেল মটকে? "

    দ্যাখেন , কবি বিস্ময় প্রকাশ করেছেন কারন জানা নেই আদৌ কো -রিলেশন টা কসেষণ কী না । তাই ওনাকে কেও পেপার দেখায় নি :) দুম করে কসেষণ দাবি করলেই পেপার আসতো !
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৭:৪৭722753
  • অত্যধিক স্ট্রেসের ফলে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে নিজের জীবন শেষ করে দেয় যারা, তাদের আয়ু আসবে কি হিসেবের মধ্যে?
    বা যাদের রক্তচাপ বাড়ছে, তাদের অত্যধিক স্ট্রেস থেকে কোনো ক্ষতি হয় না বলছেন?
    জানা রইল।
    নিশ্চয় নতুন অনেক কিছু আবিষ্কার হয়ে গেছে। আমার পড়া হয়ে ওঠেনি।
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৭:৪৮722754
  • ক্লিনিকাল ব্যাপারটাতো বাদ দেওয়া যাবে না।
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৭:৫১722755
  • স্ট্রেস থেকে এসকেপরুট খুঁজতে ড্রাগস নিচ্ছে কিছু লোক। তাদের আয়ুও মনে হয় হিসেবের বাইরে রাখব। তাইত?
  • dc | 132.174.114.159 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৭:৫৭722756
  • আমার তো মনে হয়ে অনেকে স্ট্রেস থেকে এসকেপ করার জন্য পরের পর টইও খুলে চলেছে, আর তাতে ডিনারের ফিরিস্তিও দিচ্ছে।
  • একক | 53.224.129.46 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৭:৫৮722757
  • সেক্ষেত্রে তো রিসেন্ট ফাইন্ডিং ও জানতে হবে । কারন ক্লিনিকাল ইনফারেন্স গুলো সবই গবেষণা থেকে আসছে যেটা আমি আপনি করছিনা । ডাক্তার ও করছেন না । ডাক্তাররা হলেন ইঞ্জিনিয়ারের মত । জাস্ট সায়েন্টিস্টরা যা বলে দেন সেগুলো ইমপ্লিমেন্ট করেন । নলেজ ব্যাকবোন ওনাদের এরিয়া নয় ।

    স্ট্রেস ক্ষতি করার ক্ষমতা রাখেনা তা নয় । যার ইমিউনিটি দুর্বল , সে ফিসিকাল হোক বা মেন্টাল ইমিউনিটি , তার ক্ষেত্রে স্ট্রেস এক্সিলারেত্তরের কাজ করে । পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করতে পারে । এবার এই মেন্টাল ইমিউনিটির জায়গাটা নিয়েই বর্তমানে কাজ হচ্ছে । যেখানে দেখা হচ্ছে "পারসেপশন অফ স্ট্রেস " এর ভূমিকা কী । মনে করুণ আমাদের আগের প্রজন্ম পাগলের মত ফিসিকাল পরিশ্রম করেছেন এবং সেটা এক্সেপ্টও করে নিয়েছেন । এবার এই প্রজন্মের কেও আতুপুতু করে বড় হয়েছে , একটু স্ট্রেসেই তার হাল খারাপ । এর মানে তার মেন্টাল ইমিউনিটি গড়ে ওঠেনি , ফিসিকালের সঙ্গে সঙ্গে । তাদের ক্ষেত্রে স্ট্রেস খুব ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায় । পারসেপশন পাল্টানো জরুরি । কিছু ডাক্তার এমন করে ভয় দেখান যে রোগী সবকিছুর পেছনেই "স্ট্রেস " খুঁজতে শুরু করে । এগুলো উপকারের চে অপকার করে বেশি । মানুষকে মেন্টালি ইমিউনড করা জরুরি । দরকারে কাউন্সেলিং করে বা অসুধ দিয়ে । বিদেশে এসব আছে । আমাদের দেশে শিক্ষা কম । বাচ্চাদের একটা বয়েসের পর রেগুলার সায়কায়াত্রিস্ট এর ভিসিট জরুরি । নরমাল ইয়ার্লি চেকআপের মত । সেটা কেও গুরুত্ব দেন না ।
  • একক | 53.224.129.46 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৮:০৪722758
  • স্ট্রেস থেকে বাঁচতে ড্রাগ নিচ্ছে কারন তার ইমিউনিটি গ্রো করেনি । স্পোর্টসম্যান যে কারণে ড্রাগ নেয় ওউ সেই কারণে নিচ্ছে । ভাবছে বেটার পারফর্ম করবে । বা হয়ত পুরোপুরি এস্কেপ করতে চাইছে । অনেক আগেই ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ শুরু করা উচিত ছিলো ।

    নরমাল ব্লাড সুগার চেকআপের মত , সাইকিয়াট্রিস্ট ভিসিট ও একটা পার্ট অফ মেন্টাল হাইজিন । ছোট থেকেই দরকার মত নিউত্রিসনাল বা সাইকোলজিকাল বা মেডিসিনাল বুস্ট দরকার । অশিক্ষিত দেশের লোকজন তাই এসব বল্লে ভাবে "আমি কী পাগল যে এমনি এমনি পাগলের ডাক্তার দেখাবো " :(:( এর চে বড় বাজে কথা কিছু হয়না ।
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৮:৩৩722760
  • ভারতবর্ষে কজন মানুষের রেগুলার হেলথ চেকাপ করাবার সামর্থ আছে? ফিজিক্যাল হেল্থ সবার আগে চেকাপ করানো হয় উচ্চমধ্যবিত্ত অ্যান্ড আপওয়ার্ড। তাও রোগের সম্ভাবনা দেখলে পরেই। মেন্টাল হেল্থ চেকাপের ইনফ্রাস্ট্রাকচার নেই। ক্রিটিকালি অসুস্থরাই অ্যাপয়েন্টমেন্টের ডেট পান না, পাবার পরেও চেম্বারে লম্বা লাইন এবং ডাক্তারবাবু পার পেশেন্ট ১৫ মিনিটো দিতে পারেননা। অত ডাক্তারই নেই দেশে। মোটামুটি ভাবে দুবেলা খেয়ে পরে আছে কজন মানুষ তার সংখ্যা হয়ত পরিসংখ্যানবিদেরা দিতে পারবেন। গরীব মানুষদের জীবনেও অনেক স্ট্রেস। সবাই বেশি স্ট্রেস নিতে পারে না। সবার মানসিক শক্তি সমান হয় না। ঠান্ডা ঘরে আরামের মধ্যে বসে আর্থিকভাবে নিরাপদ অবস্থানে বসে এসব আলোচনা মন্দ নয়, কিন্তু বাস্তবজীবন থেকে বহুদূরে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন