এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • কূটনীতিক ও কাজের মেয়ে

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ | ৭৬২৮ বার পঠিত
  • ---১।---
    দেবযানী খোবরাগাড়ের কেস নিয়ে কিঞ্চিৎ খোঁড়াখুঁড়ি হবার পরে, দেখা যাচ্ছে, যে, আমেরিকায় দেশ থেকে গৃহসহায়িকা নিয়ে যাওয়া ভারতীয় কূটনীতিকদের জন্য নতুন কিছু না। বরং এটা অভ্যাসেরই অংশ। বছর বছর ধরে এই নিয়ে মামলা মোকদ্দমাও হয়ে চলেছে। পরপর তিন বছরে এই নিয়ে মার্কিন আদালতে তিনটি মামলা দেখতে পাচ্ছিঃ

    ২০১১ সালে নিউ ইয়র্কের ভারতীয় কনসাল জেনারাল প্রভু দয়ালের বিরুদ্ধে তাঁর প্রাক্তন গৃহকর্মী একটি মামলা করেন। অভিযোগ ছিল জোর করে এক বছর ধরে কাজ করানোর।

    ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতীয় গৃহসহায়িকা শান্তি গুরুং নিউ-ইয়র্কের প্রাক্তন প্রেস এবং কালচার কাউন্সেলর নীনা মালহোত্রার বিরুদ্ধে একটি মামলা জেতেন। কোর্ট মালহোত্রাকে ১.৫ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দেবার আদেশ দেয়। ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল কিনা, বা দিলেও কে দিয়েছিল, উদ্ধার করতে পারিনি, কেউ খুঁজে বার করলে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরোতে পারে।

    এই দ্বিতীয় ঘটনাটি নিয়ে বেশ হইচই হবার পর ভারতীয় প্রশাসন "সতর্ক" হয়। সম্ভবতঃ যার ফলশ্রুতিতে ২০১৩ সালের এই বহু-আলোচিত কেসটিকে "কড়া"ভাবে নাড়াচাড়া করা শুরু হয়। যাতে আদতে হিতে বিপরীত হয়েছে।

    ---২।---
    কী হয়েছিল নিউ-ইয়র্কের উচ্চপদস্থ কূটনীতিক দেবযানী ও তাঁর গৃহসহায়িকা রিচার্ডের মধ্যে? কোনো সমালোচনায় না গিয়ে শুধু ঘটনাবলী তুলে দেওয়া যাক।

    নভেম্বর ২০১২-- রিচার্ড নিউ-ইয়র্কে দেবযানীর কাছে কাজ করতে শুরু করেন।

    মার্চ ২০১৩-- দেবযানী দিল্লী হাইকোর্টে রিচার্ডের বিরুদ্ধে মামলা করেন, যে, রিচার্ড বাড়ির বাইরে কাজ করতে চান, কিন্তু তাঁর ভিসা ও পাসপোর্টের জন্য সেটা সম্ভব নয় (যদিও এটা নিয়ে দিল্লী হাইকোর্টে মামলা করার কি দরকার ছিল বুঝতে পারিনি। ঝামেলা হলে কাজ থেকে ছাড়িয়ে দিলেই চলত)।

    জুন ২৩-- রিচার্ড বাড়ি থেকে বাজার করতে গিয়ে আর ফেরেন না। দেবযানী কনসাল জেনারালকে খবর দেন।

    জুলাই ৮-- রিচার্ডকে নিউ-ইয়র্কের এক ইমিগ্রেশন অ্যাটর্নির কাছে দেখা যায়। ভারতীয় কনসুলেটের অফিসাররা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। রিচার্ড, খবর অনুযায়ী, তাঁর মজুরি দাবী করেন, এবং একটি সাধারণ ভারতীয় পাসপোর্ট চান।

    এর মধ্যে ভারতবর্ষে রিচার্ডের স্বামী এবং সন্তানকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। রিচার্ড তাদের সঙ্গে কথা বলেন, এবং অ্যাটর্নির অফিস ছেড়ে যেতে অস্বীকার করেন।

    সেদিন বিকেলে আমেরিকান পুলিশ রিচার্ডকে নিয়ে যায়। সেই দিনই, ভারতীয় সরকার রিচার্ডের পাসপোর্ট বাতিল করে, এবং রিচার্ডের আমেরিকায় থাকা "অবৈধ" হয়ে যায়। ভারতীয় দূতাবাস রিচার্ডকে ভারতবর্ষে ফেরত দেবার জন্য অনুরোধ জানায় আমেরিকান স্বরাষ্ট্র দপ্তরকে।

    সেপ্টেম্বর ২০১৩-- দিল্লীর একটি কোর্ট ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৮৭, ৪২০ এবং ১২০বি ধারায় রিচার্ডের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। অভিযোগ ছিল প্রতারণা, এবং চক্রান্তের। রিচার্ড যদি ভারতে ফেরেন, তাহলে তিনি গ্রেপ্তার হবেন।
    ওদিকে দিল্লী হাইকোর্ট রিচার্ডের স্বামীকেও একটি নোটিস দেয়। তার শুনানি আগামী ফেব্রুয়ারিতে।

    রিচার্ড ভারতে ফেরার বদলে আমেরিকাতেই থেকে যান। নিউ-ইয়র্কের পুলিশ দেবযানীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে, এবং তারপর দেবযানীর গ্রেপ্তারি ও জামিন। তাঁর বিরুদ্ধে অনেকগুলো অভিযোগের মধ্যে একটি হল, তাঁর গৃহসহায়িকাকে মাসে ৪৫০০ ডলার মাইনে দেওয়া হবে বলে জানালেও, আসলে তিনি দিতেন অনেক কম অঙ্কের মাইনে। যেটা মিথ্যা হবার এই মূহুর্তে কোনো কারণ দেখা যাচ্ছেনা। কারণ, একজন ভারতীয় সরকারি কর্মচারির যা মাইনে, তাতে গৃহপরিচারিকাকে এই টাকা দেওয়া অসম্ভব। অতএব, মিথ্যা তথ্য দেবার অভিযোগ, সম্ভবত ভুল নয়।

    ---৩।---
    পরিস্থিতি জটিল। একদিকে, ভারতীয় সার্বভৌমত্ব। কূটনীতিক যাই করে থাকুন না কেন, সেটা আদপেই আমেরিকার বিবেচ্য কিনা সে নিয়েই সন্দেহ হয়। কূটনৈতিক রক্ষাকবচ জিনিসটা তাহলে আছে কি করতে? সেটা কি শুধু অন্য দেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, আর আমেরিকা হলে সাতখুন মাপ? একেবারেই না। ভারতে যে প্রতিবাদগুলি উঠছে, সেগুলো একদম যথাযথ। আন্তর্জাতিক নিয়মাবলী যদি কিছু থেকে থাকে সেটা সকলের জন্যই পালনীয়। আমেরিকাকে আন্তর্জাতিক বড়দার দায়িত্ব কেউ দিয়ে দেয়নি, যে, সব শিষ্টতাকে হেলায় সরিয়ে রেখে যার-তার কান মলে দিতে পারে। আমেরিকার বিচার-ব্যবস্থা যে সমস্ত প্রশ্নচিহ্নের ঊর্ধ্বে তাও নয়। দেবযানী যদি অন্যায় করেও থাকেন, সেটা শুধুই কম মাইনে দেওয়া এবং চুক্তিভঙ্গ। সেটার জন্য আর্থিক জরিমানা হতে পারে, কিন্তু হিউম্যান ট্রাফিকিং এর সঙ্গে এক করে দেখার কোনো কারণ নেই। সেটা আমেরিকার প্রথা হতে পারে, কিন্তু কূটনীতিকরা হিউম্যান ট্রাফিকিং এর সঙ্গে যুক্ত, এটা ভেবে নেবার কোনো কারণ আছে কি? থাকলেও সেটা সংশ্লিষ্ট সরকারকে জানানোটাই কি প্রথা নয়?

    অন্য একটি কথাও হাওয়ায় উড়ছে। এই সেই ইমিগ্রেশন আইনজীবি, যিনি একজন ফরাসী রাজনীতিককে কদিন আগেই "ধর্ষণ"এর দায়ে ফাঁসিয়েছিলেন। ফাঁসিয়েছিলেনই বলা ভাল, কারণ, ধর্ষণ প্রমাণ হয়নি, যদিও রাজনীতিকের কেরিয়ার খতম হয়ে গেছে। নিজের উচ্চাকাঙ্খার জন্য হাই-প্রোফাইল ডাইনী শিকার শুরু হয়েছে কি? ভারতের মতো আমেরিকাতেও?

    সবই সম্ভব। কিন্তু একই সঙ্গে, আরও কিছু প্রশ্ন জ্বলজ্বল করে চোখের সামনে মূর্তিমান অস্বস্তির মতো ঝুলে থাকছে। ভারতীয় কূটনীতিকরা কি ভারত থেকে সস্তায় পরিচারিকা নিয়ে যাওয়া অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন? ভারতীয় সরকার এবং বিদেশে তার প্রতিনিধিরা কি ন্যূনতম মজুরির নীতির আদৌ কোনো ধার ধারেন না? "কাজের লোক"এর আবার অধিকার কি, এইটাই কি উচ্চবর্ণের ভারতীয়ত্বের প্রথা? এবং তদুপরি, ভারতবর্ষে দাঁড়িয়ে রিচার্ডের সুবিচার পাবার আদৌ কি কোনো আশা ছিল? ভারতীয় বিচার-ব্যবস্থা তো তাঁকে ইতিমধ্যেই অপরাধী ঠাউরে ফেলেছে। জারি হয়ে গেছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, দেশে ফিরলেই হাজতে ঢোকার সুবন্দোবস্তো। গৃহসহায়িকা যা-ই করে থাকুন, সেটা খুব বেশি হলে কাজের চুক্তিভঙ্গ। বা বিনা নোটিসে কাজ ছেড়ে চলে যাওয়া। তার জন্য খুব বেশি হলে কিছু অর্থদন্ড বরাদ্দ হতে পারে, কিন্তু রাষ্ট্র, সৈন্য সামন্ত নিয়ে সপরিবারে হাজতে ঢোকানোর চেষ্টা করবে? বিদেশে থাকা অবস্থায় পাসপোর্ট বাতিল করে দেবে নিজের নাগরিকের? চটকলের শ্রমিকদের যে টাকা মেরে দেওয়া হয়, টিপছাপ দিইয়ে প্রেমচন্দের কাহিনীর ঠিকাদার যেভাবে পয়সা মারতেন শ্রমিকদের, তার সঙ্গে এর তো কোনো তফাত নেই। এ তো পুরোনো জমিদারদের রাজত্বের মতো। যেখানে মতো নিজের প্রভাব খাটিয়ে দুষ্ট প্রজার ভিটে-মাটি-চাটি করে দেবেন জমিদারবাবু।

    সব মিলিয়ে এ এক ম্যাজিক রিয়েল পরিস্থিতি। একদিকে গৃহসহায়িকারা ভারতে "কাজের লোক"। দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক। শাইনিং নারীদের যে উত্থান ঘটছে ভারত জুড়ে, সেই উত্থানের তলানি। তাঁদের "অধিকার" নিয়ে সোচ্চার হবার বিশেষ কেউ নেই। ভারতবর্ষের নাগরিক বহুতলগুলি আমাদের চোখে দেখা। বাস করে দেখা। সেখানে ঠিকে "কাজের মেয়ে"রা প্রান্তিক। আর সর্বক্ষণের কাজের মেয়েদের মানবিক অধিকার প্রতিমূহুর্তে ভুলুন্ঠিত হয়। তাঁদের চব্বিশ ঘন্টা বন্দী থাকতে হয় অন্যের ফ্ল্যাটবাড়িতে, রাত্তিরে ঘুমটুকু সেখানেই, কিংবা আরেকটি খুপরিতে, যার নাম "সার্ভেন্টস কোয়ার্টার"। প্রতিটি "আধুনিক" বহুতলে সার্ভেন্টস কোয়ার্টার্সের উপস্থিতি এক বহুল বিজ্ঞাপিত বাস্তব। তাঁদের ছুটি নেই, চাকরির সুরক্ষা নেই, এমনকি নিজের শরীরের উপরও নিজের অধিকার নেই, ব্রহ্মচর্য বাধ্যমামূলক, পাশের দোকানদারের সঙ্গে এক ঘরে দেখা গেলেই যেকোনো মূহুর্তে চাকরি নট। অফিসগামী আধুনিক কেরিয়ারমনস্ক এক নারীপ্রজন্মের প্রয়োজনে এবং অঙ্গুলীহেলনে বেড়ে উঠছেন এই সর্বক্ষণের কাজের মেয়েদের গোষ্ঠী। যারা নিজ কর্মক্ষেত্রে সমানাধিকারের পক্ষে সোচ্চার, তাঁরা নিজেরা যখন নিয়োগকারী হচ্ছেন, তখন মেয়েদের শরীরের অধিকারের আর কোনো মূল্য থাকছেনা।

    এগুলো দেশে চোখে পড়েনা। কারণ, দেশে এ সবই "স্বাভাবিক"। শরীরের অধিকার মূল্যহীন। ন্যূনতম মজুরি আই-ওয়াশ। আর আয়রনি এই, যে, বিদেশে যে ক্ষমতাবানরা এই জমিদারির অভ্যাসকে বয়ে নিয়ে যান, তাঁরা চোখে পড়ে যান। কারণ একটি পটভূমিকায় যা স্বাভাবিক, অন্যত্র তা খুবই দৃষ্টিকটু। কালোর উপর কালো চোখে পড়েনা, কিন্তু সাদা ব্যাকড্রপে একটা দাগও জ্বলজ্বল করে। তখন সবই কমিক মনে নয়। এ এক বৃহৎ রসিকতা, যে, কনসুলেটের "মহিলা" বিভাগের ভারপ্রাপ্ত একজন মহিলার হাতেই "কাজের মেয়ে"র মজুরি চৌপাট হবার অভিযোগ আসে। সেই অভিযোগ বিচার পর্যন্ত পৌঁছনোর আগেই "কাজের মেয়ে"র গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়ে যায়। দেশে হলে এসব চোখে পড়তনা। কারণ এতদূর গড়াতইনা। দেশে এই "মেয়ে"রা "মেয়ে" নন। এই কর্মচারীরা কর্মচারী নন। এঁরা বৃত্তের বাইরে। প্রান্তিক। এঁদের অধিকারের স্বপক্ষে একটি মোমবাতিও জ্বলেনা কোথাও।

    এত গেল একদিক। অন্যদিকটিও যাদুবাস্তবতার চূড়ান্ত। "অবৈধ অনুপ্রবেশকারী"দের "সুবিচার" কে দিচ্ছে? না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মেক্সিকান অভিবাসীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার নিয়ে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। এবং কিভাবে দিচ্ছে? নিজের গন্ডী টপকে।যে গন্ডী সে এতকাল টপকে এসেছে ইরাকে, আফগানিস্থানে, গুয়ান্তানামো বে তে। যে গন্ডী টপকানো দাদাগিরির বিরুদ্ধে আমরা এতদিন সোচ্চার হয়েছি। নানা জায়গায়।

    সব মিলিয়ে কেস কেরোসিন বললে নেহাৎই কম বলা হয়। খুবই হুড়ুম-ধাড়ুম করে এই লেখা লিখে ফেললাম। গুছিয়ে লেখা একেবারেই হয়নি, হবার কথাও না, এটিকে পরপর কয়েকটি কথা বলে যাওয়া হিসেবেই ভাবুন, কারণ, আমি, ব্যক্তিগতভাবে, এখানে অবস্থান নিতে পারছিনা।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ | ৭৬২৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • UN | 131.241.218.132 (*) | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৭:১৭46283
  • The Vienna Convention on Diplomatic Relations of 1961 is an international treaty that defines a framework for diplomatic relations between independent countries , the treaty was adopted on 18 April 1961, by the United Nations Conference on Diplomatic Intercourse and Immunities. As of June 2013, it has been ratified by 189 states including India and the US
  • SSR | 134.149.124.127 (*) | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ ১১:০২46284
  • অ্যাজ ইউজুয়াল সৈকত বন্দ্যো'র ব্যালান্সড লেখা, অনবদ্য । সত্যি, "শাইনিং নারীদের যে উত্থান ঘটছে ভারত জুড়ে সেই উত্থানের তলানি"। নিজে সেইসব বহুতলে বাস করেও যে এমনি লিখছেন, বা নিরাসক্ত হয়ে লেখেন এটার জন্যেই আরও ভাল লাগে।
    এক কথায় শর্ট অ্যান্ড সুইট বক্তব্য উইথ ডিটেলস।
    সৈকত, তুসি "গুরু" হো!
  • smaug | 125.112.74.130 (*) | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ ১১:০৫46285
  • ফেবু-তে আউটলুকের লিংকটা দিয়েছিলুম। আমার এক বন্ধু কমেন্ট করেছে যেটা ভালো লাগলো -

    Is this unexpected from a country that carries the legacy of Manu-Samhita? Many Indians still believe that protecting dignity of those in power is far more important than protecting petty matters such as the right to minimum wages. According to Manu-Samhita, "Punishments for crimes and misdemeanors were lightest when applied to offenders of the Brahmin caste, and increased in severity for the guilty members of the warrior, farmer, and serf caste respectively. The dignity of the Brahmin caste was greatly exaggerated, while the Sudra caste was despised." Only the context has changed, the basic attitude is intact! (This is not to say that US law enforcement agencies could not, or should not, have handled the arrest in a more humane manner). Reference: http://oaks.nvg.org/pv6bk4.html
  • সে | 203.108.233.65 (*) | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ ১১:৪৬46286
  • "কাজের মেয়ে" ("কাজের লোক" নয় কিন্তু) সঙ্গে করে বিদেশে বসবাস শুধু ডিপ্লোম্যাট নয় অনেক ধনীজনের দীর্ঘকালের প্র্যাকটিস।

    কয়েকটা ঘটনা কনফার্ম করলাম-
    ১। প্রায় ২০ বছর আগে এক উচ্চশিক্ষিত আইটি গাই সস্ত্রীক সশিশু ফ্লাইটে "কাজের মেয়ে" নিয়ে ইকনমি ক্লাসে রাশিয়া চলেছেন। পাশের সহযাত্রীকে জানিয়েছেন - দেশ থেকে "কাজের মেয়ে" নিয়ে যাওয়াই ভালো, ওদেশে এরকম সুবিধা মেলে না। শুধু ভাড়ার টাকাটাই যা গুনতে হয়। ওরাও "বাইরে" কাজ করতে পেরে খুব খুশি হয়। এই পরিবার দিল্লীর খুব পশ্‌ এরিয়ার বাসিন্দা এবং বেশ ধনী।
    ২। প্রায় ১৫ বছর আগে বেইরুটে ভারতীয় দূতাবাসের উচ্চপদস্থ কর্মচারী (তবে খুব বেশি উঁচু পদ নয়), যিনি বাঙালী তিনিও "কাজের মেয়ে" রেখেছিলেন মাস ছয়েকের জন্যে। মেয়েটি মধ্যপ্রাচ্যে হিউম্যান ট্র্যাফিকিং এর ফাঁদে পড়ে এসেছিলো। পাঞ্জাবের মেয়ে। টানা তিন বছর সেক্স ওয়ার্কারের কাজ করবার পরে মেয়েটিকে যখন কোনো সংস্থা "মুক্ত" করে, তার স্বামী (পাঞ্জাবে থাকে সে) মেয়েটিকে "ফিরিয়ে নিতে" চায় নি। তাই দূতাবাসের কর্মীমহাশয়ের আসন্নপ্রসবা স্ত্রী ও পুত্রের সেবার জন্যে মেয়েটিকে রাখা হয়। ছমাস পরে মেয়েটিকে পাঁচশো ডলার (অ্যামেরিকান ডলার) হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়, কারণ ঐ ভদ্রলোকের তখন অন্যত্র ট্রান্সফার হয়ে যায়। ভদ্রলোকের স্ত্রী আমাকে নিজে এই গল্প শুনিয়েছিলেন।
    ৩। ৫০ বা আরো বেশি বছর আগে লন্ডনে ও ওয়ারশ তে ভারতীয় দূতাবাসের ডিপ্লোম্যাটরাও দেশ থেকে "কাজের মেয়ে" নিয়ে গেছেন।
    ৪। প্রায় ৯০ বছর আগে স্যার জগদীশ চন্দ বসুও দেশ থেকে রাঁধুনি (মেয়ে নয় কিশোর) নিয়ে বিলেত গিয়েছিলেন। তফাৎ হচ্ছে এই যে, তাকে খেতে পরতে তো দিতেনই সঙ্গে লেখাপড়াও শিখিয়েছিলেন। ফলতঃ সে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় বসে - যদিও পাশ করতে পারে নি। এই রাঁধুনি জাতে মেথর ছিলো। তখন ভিসা/পাসপোর্ট লাগতো না, মিনিমাম ওয়েজ, ওয়ার্ক পার্মিটের প্রচলন ও হয় নি।
  • de | 69.185.236.54 (*) | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ ১১:৫৭46287
  • ভদ্রমহিলা কাজের লোকের সঙ্গে যা করেছেন সেটা অন্যায় হলে আইন অনুযায়ী যা শাস্তি হবার তা হোক। তা নিয়ে কিছু বলার নেই। কিন্তু অভিযুক্ত হলে বা ইভন অপরাধী হলেও স্ট্রিপ সার্চিং (পাবলিকলি)বা ক্যাভিটি সার্চিং মানবাধিকার উল্লঙ্ঘনের সামিল। হিউম্যান রাইটস নিয়ে যে দেশের নাগরিকরা, রাজনীতিকরা, ডিপ্লোম্যাটরা হামেশাই বড় বড় বাণী দিয়ে থাকেন, তাদের নিজেরই দেশে এই অন্যায় দিনের পর দিন ধরে চলে আসছে - প্রদীপের তলায় এভাবেই অন্ধকার থাকে!

    গুরুর আম্রিগাবাসী প্রতিবাদীরা এ দেশের নানা ইস্যুতে এতো কষ্ট করে দূর থেকে আন্দোলন করে থাকেন - এই ব্যাপারটা নিয়ে ওই দেশেই প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে তোলা যায় না?
  • সে | 203.108.233.65 (*) | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ ১২:৩৪46288
  • de এর লাস্ট প্যারাকে ক টুদি পাওয়ার ১০০ দিলাম।
  • smaug | 125.112.74.130 (*) | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ ১২:৩৬46289
  • এইটাতে একমত। এইটা সাধারণ মানবাধিকারের প্রশ্ন। যে কোনো লোকের ক্ষেত্রেই সমানভাবে প্রযোজ্য। এক্ষেত্রে কূটনীতিক বলে আলাদা করে দেখতে যাবো কেন? এইটা তো তাঁর কূটনৈতিক অ্যাফেয়ার্সের বাইরে ব্যক্তিগত ঝামেলা।
  • নেতাই | 131.241.98.225 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ০১:০০46339
  • কাজের লোকেদের দাবিয়ে রাখার সমস্যা একটা সমস্যা বটে। তবে তাদের মুখ থেকে শুনতে বিরক্তি লাগে যারা বছরের পর বছর ধরে লোকের পায়ে বেড়ি পরিয়ে রাখতো। এখানকার আমেরিকান এমব্যাসিতে কাজের লোকের হিসেব নিলেই বোঝা যাবে।
  • দেব | 111.210.46.154 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ০১:০০46338
  • হুমম।

    নিউ ইয়র্কের পুলিশ বোধহয় জানবার প্রয়োজনই বোধ করেনি দেবযানীর পরিচয়। কালো চামড়া, নির্ঘাত এসেছে দুটো পয়সা রোজগারের ধান্দায়, লাগা স্ট্রিপ সার্চ। জানলে এরকম আনাড়ী ভুল করত না। এই গেল এক।

    মার্কেটে হিন্দি-মার্কিনী ভাই ভাইএর একটা মিষ্টি বাতাবরণের মধ্যে ভারতে পাছায় অজান্তে (আমার মতে) লাথিটা লাগার পরে ভারত পাল্টা কিছু প্রতীকি (আর কিই বা ছেঁড়ার ক্ষমতা আছে?) 'জবাব' দিয়েছে। অর্ণব গোস্বামীকে ধন্যবাদ, ভারতের সন্মান উনি ছাড়া টিকত না বোধহয় এ যাত্রা!

    কিন্তু এই গোলেমালে একটা মোক্ষম থাপ্পর খেল ভারত। সেটা হচ্ছে আমেরিকার সঙ্গীতাকে অ্যাসাইলাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত। শেষ পর্যন্ত হবে, না কি ভারত সরকার কলকাঠি নেড়ে আটকাবে, জানা নেই, তবে আগামী ক'দিনের জন্য দু'দেশের মিডিয়া সার্কাসের কিছু খোরাকের জোগান হল।

    আমেরিকার কাগজপত্রে কিছু হৃদয় মোচড়ানো লেখাপত্তর বেরোবে। স্লেভ লেবার (স্লেভ শব্দটা খুব খায় ওখানকার পাবলিক), দি ডার্ক সাইড অব দি ডিপ্লোম্যাটিক ওয়ার্ল্ড, স্টোরি অফ অ্যান ইন্ডিয়ান গার্ল (ভেউ), ফ্রম দা ল্যান্ড অফ অপ্রেসন টু দা ল্যান্ড অফ ফ্রিডম ইত্যাদি।

    এদিকে এমনিতেই সবাই প্রবল দেশভক্ত। সম্প্রতি টুইটারে পোষ্ট - "আমেরিকা যদি সঙ্গীতাকে অ্যাসাইলাম দেয় তাহলে ভারতের উচিত এডওয়ার্ড স্নোডেনকে ভিসা দেওয়া"। উফফ। পাগলা! (হিন্দু)ধর্মবোধ কিছু চেগেছে মাইরি। আমেরিকা নিজে এত শয়তানী করছে সারা বিশ্বে, সঙ্গীতাকে ভিসা দেওয়া একটা ন্যাকামো। অবশ্যই। আমেরিকার অনেক অন্যায় + ভারতের আরো একটা অন্যায় = ওয়েল, জাস্ট অনেক অন্যায়। এত হুপলার কি দরকার?
  • নেতাই | 131.241.98.225 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ০১:০৩46341
  • *প্রথম প্যারায়
  • নেতাই | 131.241.98.225 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ০১:০৩46340
  • দেববাবু, আপনার প্যারাটায় ভুল তথ্য রয়েছে। নিউ ইয়র্কের পুলিশ ভালোই জানতো দেবযানী কে। টিপিকাল আমেরিকান অ্যারোগেন্স।
  • নেতাই | 131.241.98.225 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ০১:০৫46342
  • ভারত তো থাপ্পড় খেয়েইছে। ভারতের থাপ্পড় খাওয়ায় আনন্দিতদের লিস্টিটা দেখলে অবাক হয়ে যাই। আমেরিকা এরম অনেক কেই কষে থাপ্পড় দিয়ে থাকে।
  • Arpan | 190.215.79.11 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ০১:১৪46343
  • নেতাই, সব ঘেঁটে ঘ করছে। ইন্ডিয়াতে মিনিমাম ওয়েজের কানুন থাকলে একই অভিযোগে মার্কিন কূটনীতিবিদদেরও ভারতে আটক করা যেত।

    শিবুদাকে ক দিলাম।
  • khilli | 131.241.218.132 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ০১:১৯46344
  • " ভারতীয়রা ঝি চাকর ছাড়া সংসার ভাবতে পারেন নাকি? নিজের কাজ নিজে?!" generalization ঠিক না । আমি IT তে কাজ করি , ওদেশে থাকাকালীন রান্না , বাসন মাজা,কাপড় কাচা , কার্পেট থেকে কমোড সব পোস্কার করতাম , আমার জানা অজস্র জনতা করে ।
  • smaug | 125.112.74.130 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ০১:২২46345
  • আমিও তাই দেখেছি, তবে এরা তো ক্ষমতাবান লোক নয়।

    নেতাই আমেরিকান অ্যারোগ্যান্স দেখছে, আমার চোখে আবার দেবযানী ম্যাডামের অ্যারোগ্যান্স বেশি চোখে পড়ছে। বা ক্ষমতার অপপ্রয়োগ।
  • সে | 203.108.233.65 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ০১:২৪46346
  • আমার অনুমান।
    কাজের মেয়েটি মোটা টাকা রোজগারের উদ্দেশ্যেই এই চাকরি নিয়েছিলেন। উদ্দেশ্য সফল হয় নি। ওদেশে পৌঁছে বাইরের লোকজনদের সঙ্গে মেলামেশা করে নিজের অধিকার সম্পর্কে অবগত হন। ধরে নিচ্ছি তিনি উচ্চশিক্ষিত না হলেও চালাক চতুর। কোনোভাবে হিতৈষী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাদের সাহায্যেই এখন কোথাও রয়েছেন ও কেস লড়ছেন। সম্ভবতঃ সেই হিতৈষী সংস্থার সাহায্যেই স্বামী ও সন্তানদের অ্যামেরিকায় নিয়ে আসতে পেরেছেন।
    পুরোটাই অনুমান।
  • সে | 203.108.233.65 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ০১:২৭46347
  • ভারতীয়রা ভারতবর্ষে কাজের লোক ছাড়া ভাবতে পারে না। বিদেশে বাধ্য হয়ে করতে হয় কারণ সেখানে কাজের লোক অ্যাফোর্ড করার জন্যে প্রচুর আয় থাকা দরকার। দেশের স্বভাব বিদেশে বয়ে নিয়ে যান ডিপ্লোম্যাটেরা কারণ তাঁদের জন্যে সে ব্যবস্থা করা থাকে।
  • 4z | 152.176.84.188 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ০১:২৮46348
  • কাজের লোক!! এদেশে!! কে রাখে রে ভাই?? অ্যাফোর্ডই তো করতে পারব না। অন্তত আমার চেনাশোনা কাউকে তো রাখতে দেখিনি।
  • Arpan | 190.215.79.11 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ০১:৩৩46349
  • আর ইন্ডিয়া থাপ্পড় খাওয়ায় কেউ (অন্তত এই পাতায়) আনন্দিত হয়েছে বলে চোখে পড়েনি। আনন্দিত হওয়ার একটাই কারণ ভারত সরকারের এক রাজপুরুষ এই ইস্যুতে থাপ্পড় খেয়েছেন। আজ যদি রাম-শ্যাম-যদু-মধু এইভাবে ভিসা "ফ্রড' করে ধরা পড়ত এবং তাদের স্ট্রিপ সার্চিং হত, ভারত সরকারের একটি যৌনকেশও কি ছিঁড়ত? টোগোতে মার্চেন্ট শিপের যে ক্যাপ্টেন বিনা অপরাধে আটক রইলেন, তাঁর এগারো মাসের ছেলে দেশে মারা গেল - তার জন্য কি ছেঁড়া গেছিল!

    আর দ্বিতীয় কথা, যে দেশে যাচ্ছি সেই দেশের ল অব দ্য ল্যান্ড মানতে হয়। সেটা একজন আইএফেস অফিসার না জানলে সেটা ভারত সরকারেরই ব্যর্থতা। আর সেটা মানতে না চাইলে তাকে বলে অ্যারোগেন্স।
  • S | 118.28.80.109 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ০২:০৪46351
  • CNN এর খবর -
    http://www.cnn.com/video/data/2.0/video/bestoftv/2013/12/17/exp-erin-sot-candiotti-indian-diplomat-arrested.cnn.html
    স্ট্রিপ সার্চ এখানে সাদা কালো নির্বিশেষে সবাইকে করা হয়, লকাআপে ঢোকানোর আগে।
    আমেরিকার বয়ান হচ্ছে দেবযানীর যা পোস্ট ছিল গতকাল পর্যন্ত, তাতে ডিপ্লোম্যাটিক ইমিউনিটি শুধুমাত্র অফিসিয়াল কাজের জন্য পাওয়া যায়।পার্সোনাল কাজের জন্য নয়।এখন আইনি লড়াই চলবে।তবে সেক্রেটারি জন কেরি বোধ্হয় ক্ষমা চেয়েছেন এর মধ্যেই।
  • দেব | 111.217.248.155 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ০২:০৬46352
  • যাই হোক, কংগ্রেস ভোটের আগে আর ছড়াবেনা বলে রিয়্যাক্ট করল। আর এটা মনে হয় শুধু এই একটা ব্যাপারের জন্য নয়। অনেকদিন ধরে খুচখাচ ঝামেলা চলছিল। মানবাধিকার-টাধিকার কিছু না, আইনের টেকনিক্যাল ব্যাপার বাদ দিলে মূলত একে অন্যের কূটনৈতিক প্যান্ট খোলাখুলির লড়াই। এতে আমেরিকা আমাদের সাথে নাও পারতে পারে। কারণ আমরা প্যান্ট খুলে রেখেই মাঠে নেমেছি।
  • π | 118.22.237.132 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ০২:৪২46353
  • http://www.firstpost.com/india/devyani-khobragade-row-why-isnt-india-upset-about-the-maids-plight-1296319.html

    টোগো নিয়েও বলেছে দেখে ভাল লাগল।
    Thosuands of Indians are languishing in foreign jails with or without a fair trial; an Indian sailor is unable to see his child’s body because he is wrongfully confined in a distant land of Togo; and India takes years to bring its nationals from Sri Lankan prisons even after the island nation agrees to hand them over. But the republic of India was never as outraged as it is now when a middle level foreign service official is booked in the US for allegedly violating its laws...
  • π | 118.22.237.132 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ০২:৪৩46354
  • এই অংশটাও থাক।

    But strangely, in a country where exploitation and abuse of domestic workers are “horrific” as noted by the Human Rights Watch, we readily bought Devyani’s version. When the empirical evidence for possible abuse is so strongly weighed in favour of the maid (A HRW 2011 study listed India among the top five counties in Asia where domestic workers face “horrific abuses”) we were too ready to slam her because it was a case of the rights of a “servant” versus India’s national pride. Or the words of a faceless ‘servant” versus an upper class officer. Even government of India’s own Task Force on domestic workers have made it abundantly clear that “many domestic workers remain overworked, underpaid and unprotected. Many are maltreated, exploited, ill-treated and suffer violence and many are sexually abused.” With such a background, our instinct should have been to sympathise with the maid under normal circumstances. But we went with a much more powerful and privileged Devyani, who had the luxury of American and British scholarships besides a medical degree and IFS, a family of bureaucrats and a plum posting in New York, which was overnight changed to India’s permanent mission at the UN to claim diplomatic immunity.

    If Preet Barara, the US attorney for the southern district of New York - whose trophy scalps include an Indian icon such as Rajat Gupta, the Sri Lankan billionaire Rajaratnam, Wall Street renegades and a bunch of influential Russians - has indeed indulged in a conspiracy to disparage India, our government should expose it with evidence. If the case goes into prosecution in January, perhaps we will be able to hear the details of the other side, if not, we will have to be content with the Indian version. Going by the past (e.g. Rajaratnam and Rajat Gupta), his cases are pretty solid. It’s not surprising that India’s defence strategy on the issue is to claim immunity and not to legally fight the case. One hopes it works because after all we don’t want a fellow Indian citizen in distress, that too while representing our country overseas. But, slamming and badmouthing Sangeeta is not done because we haven’t heard her story. Perhaps Preet Bharara has. By slamming her, we are betraying our notorious (documented) bias and proclivity to abuse and ill-treat domestic workers. It’s astonishing that India brought the story of a rich and influential woman against a poor and marginalised compatriot. Of course, there were some lone voices such as that of Lord Meghnath Desai.
  • সে | 203.108.233.65 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৩:৩৩46355
  • বড্ড সত্যি। এইজন্যেই আমরা সহ্য করতে পারি না।
  • | 24.97.88.208 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৩:৪১46356
  • "But, slamming and badmouthing Sangeeta is not done because we haven’t heard her story. Perhaps Preet Bharara has. By slamming her, we are betraying our notorious (documented) bias and proclivity to abuse and ill-treat domestic workers. It’s astonishing that India brought the story of a rich and influential woman against a poor and marginalised compatriot. Of course, there were some lone voices such as that of Lord Meghnath Desai."

    ক ক ক
  • 4z | 152.176.84.188 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৪:২২46357
  • গায়ে লাগলেও সত্যি
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন