এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | 670112.220.896712.153 (*) | ২৬ মে ২০১৯ ০৫:২৬48401
  • *দক্কার কখন বললাম রে বাবা!
  • dc | 232312.174.9007812.77 (*) | ২৬ মে ২০১৯ ০৫:৪৭48402
  • চেয়ারের আমি চেয়ারের তুমি চেয়ার দিয়ে যায় চেনা।
  • S | 458912.167.34.76 (*) | ২৬ মে ২০১৯ ০৬:০৪48413
  • কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে ২০১৬তে বাই-ইলেকশন হয়েছিলো।

    ২০১৬র থেকে ২০১৯এ মোট ১ লক্ষ ৮০ হাজার ভোট বেশি পড়েছে।
    তিনোর ভোট কমেছে ১ লক্ষ ১৫ হাজারেরও বেশি।
    এখানে নিশীথ প্রামানিক, এবারের বিজেপি প্রার্থী এবং প্রাক্তন তিনো বোধয়, তিনোদের ভোট কেটে নিয়ে গেছে।
    ২০১৬র বাই ইলেক্শনেই বামেদের ভোট কমে ৬.৫% হয়ে গেছিলো।
    এবারে বামেদের ভোট কমেছে ৪০,০০০।
    অর্থাৎ এখানে বিজেপির যে সাড়ে তিন লক্ষ ভোট বেড়েছে, সেটা অন্য জায়্গা থেকে এসেছে।

    ফলে দেখা যাচ্ছে যে ২০১৪র পরে ২০১৬তেই বামেদের ভোট অনেকটা কমে গেছিলো, আমরা জানতে পারিনি।
  • T | 342323.191.2323.153 (*) | ২৬ মে ২০১৯ ০৬:০৫48403
  • উফফ, আপনারা অ্যামন করছেন যেন দুহাজার চোদ্দর পর পশ্চিমবঙ্গে এই নতুন একটি নির্বাচন হ'ল। আরে এর মাঝে দুহাজার ষোলো গ্যাচে, পঞ্চায়েত ভোট গ্যাছে। সিপিয়েমের ভোট প্রতিদিন কমেছে। আজ একধারসে রাতারাতি বাইশ পার্সেন্ট উধাও হয়ে যায় নি। বিশেষতঃ পঞ্চায়েত ভোটের তথ্য দেখলেই পরিস্কার হবে।

    মাননীয়া ক্ষমতায় এসেই সাঙ্গোপাঙ্গদের দিয়ে বিরোধী শূন্য করারা তাগিদে রুরাল এরিয়া থেকে সিপিয়েমকে মেরে ধরে তাড়িয়েছেন, আর শহরাঞ্চলে অধিকাংশই ক্ষমতার লোভে মুলো পার্টিতে নাম লিখিয়েছে। এরপর মধ্যম ও সর্বোচ্চ স্তরের বাম নেতৃত্বও আর এই ভ্যাকুয়াম সরাতে পারেননি। সেটা তাদের অদূরদর্শীতা এবং অপদার্থতা। এইসময় রুরাল ইয়ুথ মমতার সঙ্গে গ্যাছে যার মধ্যে একটা সিগনিফিকেন্ট অংশ হচ্ছে মুসলিম। পঞ্চায়েত ভোটে এই লুম্পেনদের সাফল্যের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে বাকি কাজ সমাধা করার জন্য।

    এই খানে মাঠে নেমেছে বিজেপি আরেসেস। এই উপরের কারণটার জন্য সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মীয় সুড়সুড়ি। হিন্দু সংহতিকে একসময় মাননীয়া ব্যবহার করেছেন, এখন বিজেপি ছিনিয়ে নিয়েছে। নীচু তলায় মারাত্মক লেভেলের পোলারাইজেশন হয়েছে কিছু বিচ্ছিন্ন পকেট বাদ্দিয়ে। এটা একেবারে নিদের মতন রপিস্কার।

    এই কান্ড যখন চলছিল তখন মানিকবাবু য্যামন বলেছেন সিপিয়েম রাজ্য নেতৃত্ব বোধহয় বোঝেননি অথবা আমল দেননি। কারণ প্রচুর জায়গা থেকে এই ঘটনার ফিড কিন্তু গেছে। অথবা আমল দিলেও কিছু করার ছিল না। মাননীয়াও হয় খ্যাল করেননি অথবা ওঁর ফিডব্যাক মেকানিজমেই সর্ষের মধ্যে ভূত ছিল। এসবের নিট ফল আজ দেখা যাচ্ছে।

    তো, এই 'অর্গানাইজড' ভাবে বাম ভোট রামে গ্যাছে এই থিয়োরীর ত্রুটি হচ্ছে এটাই যে ধ্যেত বাম ভোট আদপেই কিশু ছিলই না তো তার কী অর্গানাইজেশন। বিচ্ছিন্ন কিছু ক্ষেত্র ছাড়া এটা কোনোভাবেই অর্গানাইজড কিছু না। রাদার স্বাভাবিক প্রসেস। যেখানে ঘরছাড়া পার্টি কর্মীরা তৃণমূল নেই দেখে ফিরছেন সেখানে এইসব রটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই হচ্ছে ব্যাপার। এইবার কে কার প্যাঁচা, বাদুড় বা শজারু এইসব এখন বিচার করা ভারি শক্ত কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। হায় খোদা।
  • S | 458912.167.34.76 (*) | ২৬ মে ২০১৯ ০৬:১৭48414
  • আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র, এখন বাবুল সুপ্রিয়র সীট নামে পরিচিত।

    ২০০৯ সালে বাম প্রার্থী বংশগোপাল চৌধুরী পান ৪৮% ভোট। তিনো পেয়েছিলো ৪০%। বিজেপি মোটে সাড়ে পাঁচ।

    ২০১৪তে বাবুল সুপ্রিয় পায় ৩৬.৭৫% ভোট। তিনো ৩০.৬%। বংশগোপাল চৌধুরী ২২.৪%। মজার ব্যাপার হলো এই পাঁচ বছরে (২০০৯-২০১৪) ভোটার বেড়েছে আড়াই লক্ষ। কিন্তু তিনোদের ভোট কমেছিলো প্রায় সাড়ে ১২ হাজার। বামেদেরও ভোট কমেছিলো ১ লক্ষ ৮০ হাজার। বিজেপির ভোট ৩ লক্ষ ৬০ হাজার বেড়েছিলো।

    এবারের ইলেক্শনে প্রায় ৮০,০০০ ভোট বেশি পড়েছে। বামেদের ভোট কমেছে প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার। কঙ্গের ভোট কমেছে ২৭,০০০। তিনোর ভোট বেড়েছে ৮৬,০০০। বিজেপির ভোট বেড়েছে প্রায় ২ লক্ষ ১৫ হাজার।

    মানে হিসাবটা অতো সহজ নয়। ভোটাররা এমনিতেই এই সীটে বিজেপিতে শিফট করছিলো। স্বাভাবিক নিয়মেই।
  • dc | 232312.174.9007812.77 (*) | ২৬ মে ২০১৯ ০৬:২৮48404
  • এনিওয়ে, ব্যাখ্যা যাই হোক না কেন, মোটামুটি যা হলো তাতে মনে হয় পবতে সিপিএম মুছে গেল।
  • dc | 232312.174.9007812.77 (*) | ২৬ মে ২০১৯ ০৬:২৯48405
  • তবে তামিল নাড়ুতে এবার বামেরা চারটে সিট পেয়েছে জোট করে। টিএন এ বোধায় বাঙালি বাড়ছে :p
  • S | 458912.167.34.76 (*) | ২৬ মে ২০১৯ ০৬:৩৬48415
  • আরেকটা সীট আলিপুরদুয়ার।

    এখানে কিন্তু ২০০৯ সালেও বিজেপি প্রায় ২ লক্ষ ভোট পেয়েছিলো। তিনোরা ২ লক্ষ ৭২ হাজার (তখন কঙ্গের সাথে)। আর বাম ৩ লক্ষ ৮৫ হাজার।

    ২০১৪র ইলেকশনে ৪ লক্ষ ভোট বেশি পড়েছিলো। তিনো+কঙ্গ ভোট পেয়েছিলো ৪ লক্ষ ৮০ হাজার। বিজেপি পেয়েছিলো ৩ লক্ষ ৩৫ হাজার। বামেদের ভোট ৪৫,০০০ কমে গেছিলো। মানে বামেদের ভোট সামান্য কমলেও নতুন ভোটের পুরোটাই তিনো, কঙ্গ, আর বিজেপি ভাগ করে নিয়েছিলো।

    এবারের ভোটে মোটে ৫০,০০০ ভোট বেশি পড়েছে। এই ভোটার টার্নাউট নিয়েই অনেক প্রশ্ন আছে। যাইহোক, বিজেপির ভোট বেড়েছে ৪ লক্ষ। তিনোর ভোট বেড়েছে ১ লক্ষ ৪০ হাজার। কঙ্গের ভোট কমেছে ৯০ হাজার। বামেদের ভোট কমেছে ২ লক্ষ ৯০ হাজার মতন।

    এখানেও হিসবটা মিলছে না। এখানেও মনে হচ্ছে ভোট বিভিন্ন দিকে গেছে। মনে রাখবেন এখানে বিজেপি চিরকালই শক্তিশালী ছিলো এবং ক্রমশ বাড়ছিলো।
  • S | 458912.167.34.76 (*) | ২৬ মে ২০১৯ ০৬:৪৩48416
  • ঝাড়্গ্রাম লোকসভা কেন্দ্র।

    ২০০৯ থেকে ২০১৪ তে মোট ভোটার বেড়েছে দেড় লক্ষ। অথচ তিনোদের ভোট কমেছে ৬০,০০০। বামেদের কমেছে আড়াই লক্ষ। কঙ্গের কমেছে ২০,০০০। বিজেপির বেড়েছে ৫ লক্ষ। মানে বামেদের ভোট তো বিজেপিতে গেছেই, সবদিক দিয়েই গেছে ইনক্লুডিঙ্গ নতুন ভোটের সিংহভাগ।
  • S | 458912.167.34.76 (*) | ২৬ মে ২০১৯ ০৬:৪৭48417
  • পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্র্রর রেজাল্ট আরো ইন্টারেস্টিঙ্গ।

    ভোটার বেড়েছে দেড় লক্ষ। বিজেপির ভোট বেড়েছে ৫ লক্ষ ৮০ হাজার। তিনোর ভোট তেমন না কমলেও কঙ্গের ভোট কমেছে ১ লক্ষ ৭০ হাজার। বামেদের ভোট কমেছে প্রায় আড়াই লক্ষ মতন।

    মানে নতুন ভোটের পুরোটাই পড়েছে বিজেপির বাক্সে? ইভিএম নিয়ে এবার আমারো প্রশ্ন উঠছে।
  • S | 458912.167.34.76 (*) | ২৬ মে ২০১৯ ০৬:৫৮48418
  • বনগাঁ।

    ২০০৯ সালের তুলনায় ২০১৪ সালে ২ লক্ষ ভোট বেশি পড়ে। বিজেপির ভোটও বাড়ে ২ লক্ষ। বাম+কঙ্গ+তিনো মিলে মোট ভোট কিন্তু বদলায়নি।

    ২০১৫র বাই ইলেক্শনে ভোট কম পড়েছিলো সমান্য। বিজেপির ভোট বাড়ে সত্তর হাজার। বামেদের ভোট কমেছিলো ৭৫,০০০। তিনোর ১০,০০০ আর কঙ্গের ১৫,০০০ ভোট কমেছিলো।

    এবারে ভোটার বেড়েছে ১ লক্ষ ৩০,০০০। তিনোর ভোট বেড়েছে ৩৬,০০০। বামেদের ভোট কমেছে ২,৩৮,০০০। আর বিজেপির ভোট বেড়েছে ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার।
  • S | 458912.167.34.76 (*) | ২৬ মে ২০১৯ ০৭:০৫48419
  • বাঁকুড়া কেন্দ্র। আগেরবার মুনমুন সেন জিতেছিলেন, এবারে সব্রত মুখার্জী হেরেছেন।

    ২০১৪ তে তিনো আর কঙ্গ মিলে যে ভোটটা পেয়েছিলো, এবারেও তিনোরা সেই একই ভোট প্রায় পেয়েছে। বাম্দের ভোট কমেছে প্রায় ২,৮৫,০০০। অথ্চ বিজেপির ভোট বেড়েছে ৪,২৫,০০০। তার মানে নতুন ভোটের প্রায় পুরোটাই বিজেপিতে গেছে। এই চিত্র কিন্তু বহু কেন্দ্রেই দেখা যাচ্ছে।
  • T | 342323.191.2323.153 (*) | ২৬ মে ২০১৯ ০৭:২৯48420
  • হ্যাঁ এইটাই বলছি যে লেফটের ভোটের স্টেডি ডিক্লাইন চলছে আর এই নতুন ভোটার দেখেছে তিনোর জমানা। ফলে দুয়ে দুয়ে চার হয়েচে।
  • S | 458912.167.34.76 (*) | ২৬ মে ২০১৯ ০৭:৫২48421
  • নতুন ভোটাররা যেমন দিদির জমানা দেখে তিনোর বিরুদ্ধে বিজেপিতে ভোট দিচ্ছে। তেমনি অনেক পুরোনো ভোটার যারা বামেদের ভালো জম্না দেখেছেন এবং ট্র্যাডিশনালি বামেদেরই ভোট দিতেন, তারা ক্রমশ ভোটার লিস্ট থেকে সড়ে যাচ্ছেন।
  • S | 458912.167.34.76 (*) | ২৬ মে ২০১৯ ০৯:০০48422
  • মোটামুটি যা বুঝতে পারছি তা হলোঃ

    ১) বাম ভোট রামে গেছে কিছু। কিন্তু সেটা অনেকদিন ধরেই যাচ্ছিলো। ২০০৯এর তুলনায় ২০১৪তে গেছে। ২০১৪র পরে এটা আরো তাড়াতাড়ি হয়েছে। কুচবিহারের ২০১৬র বাই-ইলেকশন দ্রষ্টব্য। অর্থাৎ এই পরিবর্তন বিগত কয়েকমাসের ফল নয়।

    ২) নতুন ভোটারের একটা বিশাল অংশ বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। এরা বামেদের চেনেনা, জানেনা, তিনোর বিরুদ্ধে ভোট দিতে চায়। ফলে বিজেপি এদের কাছে একমাত্র অপশান।

    ৩) ২০০৯এর তুলনায় ২০১৪তে যত ভোটার বেড়েছিলো, বেশ কিছু সীটে সেই তুলনায় এবারে অনেক কম ভোটার বেড়েছে। নতুন ভোটারের সংখ্যা যদি সমান পরিমাণে বেড়ে থাকে, তাহলে পুরোনো প্রচুর ভোটার ভোট দেয়নি এবারে।

    ৪) এই পুরোনো ভোটারদের বেশিরভাগই বাম ভোটার। তাঁরা হতাশ হয়ে বা ভয় পেয়ে আর বুথমুখো হননি।

    ৫) এছাড়া কিছু বাম ভোটারদের ন্যাচারাল পার্জিং হয়েছে।
  • Ishan | 780112.214.67.153 (*) | ২৬ মে ২০১৯ ০৯:০৬48423
  • একটা লেখা বানানো হোক। ইন্টারেস্টিং লাগছে। একমত অবশ্য নাও হতে পারি, কারণ সংখ্যা টংখ্যাগুলো এখনও দেখিনি। কিন্তু তাতে কিছু যায় আসেনা। বিশ্লেষণটা দরকার।
  • pi | 2345.110.9004512.129 (*) | ২৬ মে ২০১৯ ০৯:৪০48406
  • ডাঃ সিদ্ধার্থ গুপ্তর পোস্টটা রইল,

    তৃণমূলের আপেক্ষিক পরাজয় ও বি জে পি র উত্থানের কারণ সম্পর্কে মমতা যে কথাগুলো বললেন
    1, সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ
    2, নির্বাচন কমিশন সাহা সমস্ত প্রতিষ্ঠানের নির্লজ্জ পক্ষপাত
    3, বি জে পি র অপরিসীম ধন দৌলত এবং অকাতরে বেআইনি অর্থব্যয়
    4,ই ভি এম এর সম্ভাব্য জুয়া চুরি
    5, সি পি এই এম এর বি জে পি ( মার্ক্সবাদী ) তে পরিণত হওয়া ও কমরেড রাম লাল সেলাম ধ্বনি।
    আমার মতে প্রত্যেকটি সঠিক ।।।

    কিন্তু বাংলার মানুষ আর যা যা শুনতে চেয়েছিল তাঁর কাছে এবং যা তিনি উল্লেখ করেন নি

    1, পঞ্চায়েতে 30% মানুষকে ভোট দিতে না দেওয়া ।
    2, সি পি এম এর আবর্জনা ও অত্যাচারী দূর্ণীতিগ্রস্ত দের পার্টিতে গ্রহণ ও উচ্চপদ দান ।
    3, রাজ্যকে বিরোধী শুন্য করার স্বপ্ন ও নীতি।
    4, পার্টি র সর্বস্তরে বিপুল দুর্নীতি । ঘুষ নেন এবং নিয়েছেন এমন নেতাদের প্রার্থী করা।
    5, পার্টি র সর্বোচ্চ স্তর থেকে সর্বনিম্ন স্তর অবধি চূড়ান্ত ঔদ্ধত্য ।
    6, কলেজে এডমিশন , প্রাইমারি শিক্ষক , এস এস সি তে বেচাকেনার বাজার খুলে দেওয়া । সাধারণ ঘরের ছেলেমেয়েদের সরকারি কাজ পাওয়ার সব পথ রুদ্ধ করা ।
    7, প্রতিশ্রুত রাজনৈতিক বন্দিমুক্তি ভুলে গিয়ে , ইউ এ পি এ নির্বিচারে প্রয়োগ । জঙ্গলমহলে কেন্দ্রিয়াবাহিনী মোতায়েন রাখা ।
    8, গোর্খা ও অন্যান্য জনগোষ্ঠীর জাতিসত্ত্বার আকাংখা কে দমন করা।
    9, পচনশীল বুদ্ধিজীবীদের ও স্তবাকদের দ্বারা পরিবৃত থাকা ।
    10, ভাইপো ।

    এসব দোষ এর অনেকগুলিতেই গণভিত্তি সত্বেও সি পি এই এম এর পতন হয়েছিল ।

    মাত্র দু বছর সংশোধনের জন্য বড় কম সময় ।
  • Amit | 340123.0.34.2 (*) | ২৬ মে ২০১৯ ০৯:৫৫48424
  • ভিয়াবলে অল্টারনেটিভ ন্যারেটিভ না দিতে পারলে এটাই হবে। কিছু করার নেই, ভালো বা খারাপ যাই লাগুক। সংখ্যাগুরু সাম্প্রদায়িকতা সবসময় রিস্কি, কিন্তু তিনোদের বুক বাজিয়ে মুসলিম সাম্প্রদায়িকতা কে প্রশয় দেওয়া দেখে যারা সাধারণ ভাবে সেক্যুলার, শান্ত শিষ্ট লোকজন তারাও খেপে উঠেছেন। এখন যে ফেবু বা হোয়াটস্যাপ এ তে গুচ্ছ গুচ্ছ প্রভাকটিভ মেসেজ ঘুরে বেড়ায়, সেগুলো সব সাধারণ লোকজন শেয়ার করেন, দু চার বছর আগেও তারা হয়তো করতেন না। শুধু আরএসএস কে দোষ দিয়ে তো লাভ নেই, ধর্মান্ধতা নিয়ে বাকি রাজনৈতিক দল গুলোর অনেকটাই একপেশে মনোভাব একটা মেজর, নির্বিবাদী বোরো ডেমোগ্রাফি কে আস্তে আস্তে উল্টোদিকে ঠেলে দিয়েছে । এখন এগুলো বলতে গেলেই অপ্রিয় লাগে অনেকের , কিন্তু এটাই হচ্ছে , নিজের স্কুল কলেজের, পাড়ার, হাউসিং এর গ্রুপ-এই দেখতে পাই। সেক্যুলারিজম নিয়ে কথা বলতে গেলেই প্রচুর গালাগালি শুনতে হয়েছে গত ১-২ বছরে, এবং যে প্রশ্ন গুলো এসেছে সেগুলো র আদৌ কোনো কনভিনসিং উত্তর দেওয়া যায়নি। মেজর পলিটিকাল পার্টি গুলোর কথাই বলা হচ্ছে, ইনক্লুডিং তিনুমূল, কারণ তেতো লাগলেও বাম দল গুলোর ওভারঅল ইন্ডিয়া প্রেসেন্স বহুদিন ধরেই শুন্যের কাছে।

    তিন তালাক নিয়ে যখন বিরোধিতা করা হয়েছে, বহু পার্টি সেটাকে মুসলিম সমাজের রাইটস হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেছে। ঘ্যান ঘ্যান করে একটা কথাই বারবার বলা হয়েছে শিক্ষা বাড়লে এই প্রথা কমে আসবে, স্ট্যাটিসটিক্স দিয়ে দেখানোর চেষ্টা হয়েছে এই প্রথা বেশি চলে না, ইত্যাদি ইত্যাদি। রাহুল গান্ধী বরং একটা ইন্টারভিউ তে বলেছিলেন তিন তালাকের প্রথা ব্যান করা নিয়ে ওনার কোনো আপত্তি নেই, মুসলিম মহিলা দের বিরুদ্ধে এই প্রথা অত্যন্ত অপমানকর। ওনার আপত্তি শুধু হাসব্যান্ড এর এগেইনস্ট এ ক্রিমিনাল চার্জ র। কিন্তু চিৎকারের ভিড়ে ওনার গলা আদৌ শোনা যায়নি । বাকিদের কথা যত কম বলা যায় ততই ভালো। জাস্ট মোদী বিরোধিতা ছাড়া এই ইস্যুতে তাদের কাছে কিচ্ছু ছিল না।

    কিন্তু ২১স্ট সেঞ্চুরি তে এ রকম একটা মধ্যযগীয় প্রথা কেন চলতে দেওয়া হবে যতদিন না তথাকথিত শিক্ষা বাড়ে , তার পক্ষে কোনো লজিক তারা কেও দিতে পারে নি। যখন বিরোধিতা শুধু বিরোধিতা করার জন্যই করা হয়, তখন বিজেপি কেন তার সুযোগ নেবে না। তারাও তাদের কাজ করেছে।

    NRC নিয়েও তাই। বিরোধী দল সব চেঁচিয়ে যাচ্ছে বাকি জায়গায়, কিন্তু আসামে মেজর পার্টি গুলো সব এটার সাপোর্ট এ, অগপ তো আরো এগিয়ে আনতে চাইছে কাট অফ ইয়ার। অনুপ্রবেশ একটা সমস্যা নিশ্চয়, যখন বিরোধীরা সেটার বিরুদ্ধে একটা পরিষ্কার স্ট্যান্ড নিতে পারছে না, স্পষ্ট করতে পারছে না , অনুপ্রবেশ, আগের হোক বা ভবিষ্যতের, সেটার পক্ষে বা বিপক্ষে তাদের বক্তব্য কি, তখন বিজেপি তার সুযোগ নেবেই। শুধু আরএসএস র সাথে আইসিস এর তুলনা করে ভয় দেখতে গেলে উল্টো ফল হইতে বাধ্য।

    এবারে যাদবপুরে বিজেপি বিকাশ বাবুর এগেইনস্ট এ সমানে প্রচার করে গেছে ওনার গরু খাওয়া নিয়ে। শুধু গরু খাওয়া নয়, সেখানে মুসলিম সম্প্রদায় কে পক্ষে রাখতে শুধু গরু খাওয়া হয়েছিল , কিন্তু শুয়োর খাওয়া হয়নি, এটাও প্রচার হয়েছে। এবার তার পক্ষে লিবারেল রা হাজার যুক্তি নিয়ে আসুন না, যে শুয়োর কে মোদী সরকার ব্যান করেনি ইত্যাদি, এটাই বাস্তব যে সমস্তু ইসলামিক দেশে পর্ক নিষিদ্ধ। সেখানে যখন শুধু গরু খাওয়া দেখিয়ে মোদির বিরুদ্ধে বিপ্লব দেখানো হয়, অন্য অনেকেই সেটাকে মুসলিম দের তোষণ হিসেবে ধরতেই পারেন। কারোর কোনো দায়বদ্ধতা নেই কোনো বিশেষ রাজনৈতিক মতবাদের কাছে লজিক জাস্টিফাই করে ভোট দেওয়ার। বিকাশ বাবুরা যদি গরু শুয়োর সব একসাথে রাখতেন বা খেতেন, অন্তত বেশ কিছু লোকের কাছে এই মেসেজ পৌঁছনো যেত যে কোনো পার্টিকুলার ধর্মকে তোষণ করা হচ্ছে না। সেই সুযোগ দেওয়াই হয়নি , হয়তো ইচ্ছে করেই।

    বাম বা বাকি বিরোধী দলগুলোর বেশির ভাগ পলিটিকাল বিষয় নিয়ে একটা স্পষ্ট অবস্থান না থাকা , ভাসা ভাসা, সুবিধাবাদী অবস্থান এটাই লোকের কাছে দেখিয়েছে যে মোদী ম্যান অফ অ্যাকশন, কাজ করে দেখাতে পারে , আদতে যতই ভাট হোক না কেন। আর উল্টোদিকে বিরোধীরা জাস্ট অন্ধ মোদী বিরোধী, কারোর কোনো স্ট্যান্ড নেই। শুধু মোদী বা বিজেপিকে গালাগাল দিয়ে এই সমস্যা মিটবে না।

    সব শেষে মমতার সংখ্যা লঘু তোষণ। এটা নিয়ে সত্যি কিছু বলে আর লাভ নেই, বহুবার বলা হয়েছে। কিছু লুম্পেন এলিমেন্ট কে মাথায় চড়িয়ে উনি লার্জ মুসলিম সমাজের যে পরিমান ক্ষতি টা করে গেলেন, সেটা ইতিহাসই বলবে। ওনার দিন শেষ হয়ে আসছে, বেশি বলে আর লাভ ও নেই।

    আন্টি রোমিও স্কোয়াড নিয়েও একই কথা। আমি নিজে কোনো ধর্মে বিশ্বাস করি না, যে যে ধর্মে ইচ্ছে বিয়ে করুক। কিন্তু আজকে কোনো মুসলিম ছেলে হিন্দু মেয়ে কে বিয়ে করা নিয়ে যে উদারতা লিবেড়ালরা দেখান, একটা হিন্দু ছেলে মুসলিম মেয়ে বিয়ে করতে গেলে কি সেই উদারতা থাকে ? ইসলামিক সমাজ কি খুব সহজে মেনে নেয় সেটা ? তালি এক হাতে বাজে না। ইন্টোলরেন্স দু দিক থেকেই রয়েছে। আমার নিজের কলেজের বন্ধু, হায়দেরাবাদ এ চাকরি করতে গিয়ে একটি মুসলিম মেয়ের সাথে ঘনিষ্টতা হয়। তাকে বেশ কিছু লোকাল গুন্ডা পিটিয়ে হসপিটাল এ পাঠিয়েছিল। পুলিশ আঙ্গুল ও নাড়ায় নি। কোনো মতে প্রাণে বেঁচে সে বেঙ্গালুরু চলে যায়। এই একটা ঘটনা দিয়ে জাস্টিফাই করছি না। ৯০-স এ যখন "বোম্বে" মুভি রিলিজ হয়, তখন বহু মুসলিম সংঘটন বাস, ট্রাম পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলো হিন্দু ছেলের সাথে মুসলিম মেয়ের বিয়ে দেখানোয়। আরো অনেক আছে, কিন্তু এক কথা বার বার লিখে লাভ ণেই।

    আর এই সিপিএম র ভোট বিজেপিতে চলে গেলো , এই হাহুতাশ শুরু হয়েছে ২৩র্ড মে থেকে। মায়াপাতায় সিপিএম সমর্থিক দের আর বিজেপির ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, যারা যাকে ভোট দিয়েছেন , তারা নিজের অবস্থান থেকে জেনে বুঝে ভোট দিয়েছেন। যখন গত আট বছরে তাদের ঘর পুড়েছে, তখন পার্টি বা আদর্শ বা ভবিষ্যতের বিজেপির ভয় তাদের সেই ঘর পোড়া থেকে আটকানি। মায়াপাতায় দু লাইন হা হুতাশ পড়ে তারা সেই ভোট পাল্টাবেন না। আবার তারা সেটাই করবেন যেটা তারা যখন যেটা ভালো বুঝবেন। এবার তাদেরকে ধমকে দূরে সরাতে চাইলে সরান। কার কি এসে যাবে। এমনিতেও ইন্ডিয়াতে বাম আন্দোলন টিমটিম করে জ্বলছে, কদিন পরেই হয়তো নিভে যাবে। এখনই একটা সাধারণ গ্রুপ এ সেক্যুলারিজম বা কমুউনিসম নিয়ে কথা বলতে গেলে গালাগালি শুনতে হয়, কদিন পড়ে হয়তো আর বলার অবকাশ বা দরকার ই থাকবে না।
  • S | 458912.167.34.76 (*) | ২৬ মে ২০১৯ ১০:০৬48425
  • হ্যাঁ সংখ্যাগুলো মাইনুইটলি দেখা খুব জরুরী। কিন্তু একটা উদাহরণ দিই।

    ধরা যাক কোন কেন্দ্রে ২০০৯ থেকে ২০১৪ তে ভোটার টার্নাউট বেড়েছিলো ২ লক্ষ। এই ২ লক্ষ কোথা থেকে এসেছিলো? ধরে নিইঃ ৩ লক্ষ নতুন ভোটার - ৫০ হাজার ন্যাচারাল পার্জিং - ৫০ হাজার ভোট দেননি (যারা আগেরবার ভোট দিয়েছিলেন)।

    এইবারে সেই একই সীটে ভোটার বেড়েছে ৫০ হাজার। নতুন ভোটার আর ন্যাচারাল পার্জিং এর সংখ্যা গুলো একই থাকাই স্বাভাবিক। জন্ম ও মৃত্যুর হার দুটই একই হারে কমেছে ধরে নিলেও বৃহত্তর পপুলেশন বেসের লাগালে কাছাকাছিই থাকা উচিত।

    তাহলে এবারের এই ৫০ হাজার ভোটার বাড়ার পেছনে কারণ হলো ৩ লক্ষ নতুন ভোটার - ৫০ হাজার ন্যাচারাল পার্জিং - ২ লক্ষ ভোট দেননি (যারা আগেরবার ভোট দিয়েছিলেন)।
  • S | 458912.167.34.76 (*) | ২৬ মে ২০১৯ ১০:১১48426
  • পবের ভোটার সংখ্যা ২০০৯ থেকে ২০১৪ তে বেড়েছিলো ৮৯ লক্ষ (২০.৯%)। সেটা ২০১৪র তুলনায় ২০১৯এ বেড়েছে ৫৫ লক্ষ (১০.৭%)।

    যেসব সীটে এবারে বিজেপি জিতেছে সেখানে টার্নাউট ২০০৯ থেকে ২০১৪তে বেড়েছিলো ৪১ লক্ষ (২২.৯%), আর ২০১৪ থেকে ২০১৯এ বেড়েছে ২৫ লক্ষ (১১.৩%)।
  • পিনাকী | 0189.254.455612.105 (*) | ২৬ মে ২০১৯ ১১:৪৯48407
  • এই বিষয়ে লিখতে গেলে খুবই কনফিউজড লাগছে বলে কিছুই লিখছি না। সবমিলিয়ে মনে হচ্ছে না তৃণমূলের দিক থেকে কোনো সংশোধনের সদিচ্ছা বা সম্ভবনা আছে বলে। অন্যদিকে সিপিএমও কেমন ডিনায়াল মোডে আছে। আমি তো আর রাজ্যে নেই যে সাধারণ লোকজনের ডায়রেক্ট মতামত পাবো, কাজেই যা ধারণা সবই এই ফেসবুকে ইতিউতি উঁকিঝুঁকি মেরে। তাতে দেখেশুনে মনে হচ্ছে সিপিএমের সমর্থকদের মনে এমন একটা আশা কাজ করছে যে তৃণমূল দুর্বল হয়ে গেলেই এই সমর্থকরা, যাঁরা বিজেপির দিকে ঝুঁকলেন, তাঁরা ফিরে আসবেন। এই আশাবাদটার আমি অন্তত কোনো ভিত্তি দেখতে পাচ্ছি না। আমার ধারণা ভুল হলেই খুশি হব।

    আমার মনে হয়না নেতৃত্বের দিক থেকে বিজেপিকে জেতানো বা সেটিং করার কোনো ইচ্ছে ছিল। কিন্তু স্থানীয়ভাবে সমর্থকরা (এবং হয়ত কিছু স্থানীয় নেতাও) সিম্পলি দলীয় নেতৃত্বের কথা শোনার প্রয়োজন মনে করেননি। এটা নেতৃত্বের ওপর একটা গভীর অনাস্থার সূচক। এবং এরকম অনাস্থা থাকলে তৃণমূল দুর্বল হয়ে গেলেও পরিস্থিতি খুব বদলাবে বলে মনে হয় না। কাজেই আমার মতে দুশ্চিন্তার ভালমত কারণ রয়েছে। ডিনায়াল দিয়ে এই সমস্যা সমাধান হবে না।

    মুশকিল হল দল হিসেবে ওনারা এই পরিস্থিতিতে কী করতে পারেন, সেটাও আমি জানিনা। বাইরে থেকে 'লড়তে হবে', 'পথে নামতে হবে' - এসব বলে দেওয়া সহজ। কিন্তু স্থানীয় টেররের মুখে দাঁড়িয়ে আসল কাজটা করা অত সহজ নয়। আমার কেবল একটাই জিনিস মনে হয়। বিশ্বাসের স্তরে একবার যদি এই ব্যাপারটা গেঁড়ে বসে যে ২০২১শে (বা তার আগেই) বিজেপি আসবেই, এবং এলে সিপিএমের লাভ হবে, তাহলে লড়াই-টড়াই-এর বুলি আউড়ে খুব একটা লাভ হবে না। একটা অনিবার্যতার দিকে যাত্রা হবে শুধু। ২০২১শে ওনারা যেহেতু কোনোভাবেই জিতবেননা, ফলে ওনারা যাই করুন, সেটা হয় তৃণমূলের পক্ষে যাবে নয়তো বিজেপির পক্ষে যাবে। ওনারা যদি ২০২১-এর বিধানসভায় নিজেদের ভোট আর একটু হলেও সংহত করতে পারেন, তাহলে হয়তো ভোট কাটাকুটির হিসেবে তৃণমূলকে ক্ষমতা ধরে রাখতে পরোক্ষভাবে সাহায্য করে ফেলবেন। আর যদি স্থানীয়স্তরের সাপোর্ট বেস বল্গাহীনভাবে বিজেপির দিকে ঝুঁকে পড়ে, স্থানীয়ভাবে বিজেপির সাথে সমঝোতা করে নেয়, তাহলে সেটা বিজেপিকে জেতাতে সাহায্য করবে। দুটোর কোনোটাই একটা বামদলের পক্ষে কাঙ্খিত আউটকাম হতে পারে না। কিন্তু প্র্যাকটিকালি এই দুটোর মধ্যে কোনো একটা হবে। সিপিএমের নেতৃত্ব নিশ্চয়ই এটা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করে একটা অবস্থানে পৌঁছোবেন।
  • !! | 670112.193.011223.188 (*) | ২৭ মে ২০১৯ ০১:৪৭48428
  • প্যান্টের ভাঁজ থেকে লুকন চাড্ডিত্ব বেরুচ্ছে সব
  • T | 342323.191.01.161 (*) | ২৭ মে ২০১৯ ০২:২৩48429
  • এইসবের সঙ্গে ধরতে হবে যে ৫০,০০০ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলেছিল বিজেপি (আজকের টেলিগ্রাফ) যারা প্রতিদিন ডেডিকেটেড ভাবে ফেক নিউজ ভিডিও ফেকুপ্রোপাগান্ডা নোংরামো ছড়িয়ে গেছে।
  • dd | 670112.51.2323.193 (*) | ২৭ মে ২০১৯ ০২:৩৬48430
  • বিজেপি গোজেতান জিতলো। যেরকম এগজিট পোলে প্রেডিক্ট করেছিলো, সে রকমই।

    একটু ভালো অ্যানালিসিস পড়তে ইচ্ছে হয়। Amit এবংS 'র সাম্প্রতিক পোস্টগুলো পড়তে ভালো লাগছে। নাহলে তো সেই ফেসবুকের খেউর পার্টী মতন ছাড়া কিছু হয় না।

    আরেকটা কথা, এই যে অ্যাতো লোকে বিজেপিকে ভোট দিলো, তারা কি সবাই উগ্র সাম্প্রদায়িক, ধর্মান্ধ,হিন্দু, গো সেবক? আর যারা অ্যাতোদিন সিপিএমকে ভোট দিয়ে এসেছে এবং অল্প কয়েকজন যারা এখনো দিচ্ছে, তারা সবাই নিরপেক্ষ, সাম্য নীতির আদর্শে অটল, উদার এবং মার্কসবাদী আদর্শে দীক্ষিত ও অগ্নিশুদ্ধ ?

    ভোটারদের অ্যাতোটা তোল্লাই দেবার দরকার নেই। ঐ অ্যানেকডোটই বলি, চেনা জানার মধ্যে বহু ইয়ং ছেলে পুলে (আমার মেয়র বন্ধুরা) মোদীর সাপোটার - কিন্তু কোনো মব লিংচিংএর নয়। গরুর জন্য তো নয়ই। মোদীকে তাদের সাপোর্ট অন্যান্য অনেক কারনে। প্রতিটি প্রদেশেই বোধহয় প্রায়োরিটি আলাদা।
  • dc | 127812.49.670123.188 (*) | ২৭ মে ২০১৯ ০২:৪১48432
  • ডিডিদা, এই মব লিঞ্চিং এর ঘটনাগুলো তুললে কিন্তু কিছু বিজেপি সাপোর্টার অস্বস্তিতে পড়ে যায়, পাশ কাটিয়ে যেতে চায়। মানে আমি সামান্য কয়েকজনের সাথে কথা বলেছি, তাদের কথা বলছি।
  • lcm | 900900.0.0189.158 (*) | ২৭ মে ২০১৯ ০২:৪১48431
  • শুধু প্রদেশই নয়, প্রতিটি মানুষের প্রায়োরিটি আলাদা। একই ফ্যামিলির লোক্জন বিভিন্ন পার্টিকে ভোট দেয় এমনও আছে।
  • dc | 127812.49.670123.188 (*) | ২৭ মে ২০১৯ ০২:৪৪48433
  • আমার এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয় গত দুতিন বছর হলো বিজেপি সাপোর্টার হয়ে গেছে। সে আমাকে হোয়াতে নিয়ম করে মেমে, জোকস ইত্যাদি পাঠায়। আমার থেকে বয়সে বড়ো, মা-বাবার জেনারেশান। তাকে কয়েকবার মব লিঞ্চিং , দলিত আর মুসলিমদের সেকেন্ড কাস সিটিজেন বানানো ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্ন করেছি। সেরকম কোন উত্তর পাইনি, বেশীর ভাগ সময়েই ওরম হয় টাইপের উত্তর পেয়েছি।
  • PT | 340123.110.234523.6 (*) | ২৭ মে ২০১৯ ০২:৫৯48434
  • "দেবের গ্রামে সিপিএম পার্টি অফিস ফিরিয়ে দিল তৃণমূলই"
    https://www.anandabazar.com/state/general-election-results-2019-tmc-returns-keshpur-party-office-which-once-belonged-to-cpm-1.997622

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যজুড়ে এইসব ঘটলে লোকসভার ভোটের ফলাফল হয়ত অন্যরকম হত!!।
    কিন্তু এটা কি আগামী বিধান্সভার ভোটে নতুন কোন সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিচ্ছে?
  • Amit | 340123.0.34.2 (*) | ২৭ মে ২০১৯ ০৩:২২48435
  • সমস্যা হলো লিনচিং নিয়ে প্রশ্নে অস্বস্তি তে পড়লেও তার কোনো দায় নেই ভোট দেওয়ার সময় সেটাকে উত্তর দেওয়ার। সে যাকে, সেই মুহূর্তে ভালো মনে করছে বাকি দের তুলনায়, সে তাকেই ভোট দিতে পারে।

    এখন সেটা টাকা খেয়ে হতে পারে, ধর্মান্ধতা থেকে হতে পারে, মুসলিম বিদ্বেষ থেকে হতে পারে, জাস্ট কোনো প্রার্থীকে সে পছন্দ করে, কোনো পার্টি নেতাকে পছন্দ করে, সেটা থেকে হতে পারে, যা খুশি ভাবা যায়। প্রত্যেকটা লোক তার নিজের মতো করে ভেবে ভোট দিতে পারে এবং কাওকে কোনো জাস্টিফিকেশন দিতে সে বাধ্য নয়। এটা বাস্তব।

    কাওকে ভালো না লাগলেও বেশির ভাগ লোকজন কাওকে একটা ভোট দিয়ে ফেলেন , কারণ নোটা সবার কাছে পছন্দের অপসন নয়।

    যারা অন্ধ ভক্ত, তাদের নিয়ে আলোচনায় লাভ নেই। তারা নিজের লজিক খুঁজে নেবে ঠিক। জঙ্গি রাও যেমন নিজের কাছে নিজে জাস্টিফায়েড থাকে ব্যোম মারার আগে, তেমনি যারা দাঙ্গা করতে যায়, তারাও। বিবেক বলে যে জিনিসটা, খুব কম জনকেই হয়তো পরে ভোগায়।

    আমার চিন্তা হলো সাইলেন্ট মেজরিটি অফ পপুলেশন, যারা হয়তো ডেমোগ্রাফির ৩০-৪০-% এবং যাদের ভোট অনেকাংশে ঠিক করে দেয় কে সরকারে আসবে, যারা কোনো বিশেষ মতবাদে বিশ্বাসী নন, তারা কেন সরে যাচ্ছেন বাম বা সেক্যুলার রাজনীতি থেকে। গত কয়েক বছরে সেটা একটা মেজর চেঞ্জ দেখেছি নিজের চেনা শোনা দের মধ্যে। কলেজ পড়া বন্ধু যারা বাম রাজনীতি করতো , বা পাড়ার লোক যারা বহুকাল সিপিএম কে ভোট দিয়ে আসছেন (মানে ২০০৬ থেকে আমি বাইরে, এখন কাকে দেন জানি না ) , তাদের সাথে যখন কথা হয় হোয়াটস্যাপ গ্রুপ এ, পরিষ্কার রাইট উইং শিফট নজরে আসে। এরা নিতান্ত ছাপোষা মধ্যবিত্ত লোকজন, নিশ্চয় মুসলিম দেখলেই মেরে ফেলার কথা ভাবেন না, গরু খেলেই পিটিয়ে মারার কথা ভাবেন না, আমি ব্যক্তিগত ভাবে কয়েকজন কে জানি যারা অন্য ধর্মে বিয়ে করেছেন, সুতরাং তারা অন্ধ ধর্ম ভক্ত ও নন।

    তাহলে এই রাইট উইং শিফট র কারণ কি ? বেশ অনেক কে ব্যক্তি গত ভাবে জিগেশ করে দেখেছি এরা অনেকেই বিজেপি কেও পছন্দ করেন না। কিন্তু এরাও মোদী ভক্ত। এদের কাছে মোদী একটা ম্যান অফ অ্যাকশন, যে কাজ করে দেখতে পারে , ঠিক হোক বা ভুল হোক। তারা ভুল সহ্য করতেও রাকি আছেন, যখন জিগেশ করেছি ডিমনির সময় দিনের পর দিন লাইন দাঁড়ানোর কষ্ট, শেষে কোনো কালো টাকা বেরোলো না, তাদের উত্তর এসেছে "কিন্তু মোদী চেষ্টা করেছিল, সব চেষ্টা কি ঠিক হয়" ? কিন্তু ওকে সুযোগ দেওয়াটা জরুরি। কংগ্রেস ৭০ বছর পেয়ে কিছু করতে পারে নি , মোদী তাহলে ১০-১৫ বছর কেন পাবে না ? এর উওরে ঠিক কি বলা যায় ?

    তার সঙ্গে মোদির পাকিস্তান কে মুহ তোর জবাব দেওয়ার নাটক, তিন তালাক আইন, সেগুলোর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বিরোধী দের টাল বাহানা আর ছড়ানো- সব কিছু মিলিয়ে এমন একটা প্যাকেজ তৈরি হয়ে যাচ্ছে, যে তার সঙ্গে লড়তে গেলে অনেকটা মিসাইল এর সাথে ঢিল ছোড়ার লড়াই এর মতো হয়ে যাচ্ছে।

    সব ন্যারেটিভ এর শেষ থাকে। মোদী র ও থাকবে এক দিন। কিন্তু এদের প্যাকেজিং যে স্ট্যান্ডার্ড এর, অন্য কাওকে, হয়তো যোগী আদিত্যনাথ র মতো আরো এক্সট্রিম কাওকে অথবা দেবেন্দ্র ফাদনাভিস এর মতো সফ্ট কাওকে প্রেসেন্টবলে ব্র্যান্ড বানিয়ে সামনে হাজির করবে। এরা মাস ইন্ডাস্ট্রিয়াল লেভেল এ লড়ছে, বাকি রা কটেজ ইন্ডাস্ট্রি লেভেল এ।

    তাই লড়তে গেলে এই সাইলেন্ট মেজরিটি টার রাইট উইং শিফট টাই আটকাতে হবে আগে। আর সেটা করতে গেলে একটা প্রপার অল্টারনেটিভ ন্যারেটিভ ও দিতে হবে। লোকে শুধু ভয় পেয়ে ভোট দেয় না আজকাল। এটাও দেখতে চায় যারা মোদির ভয় দেখাচ্ছে, তাদের নিজের কাছে কি আছে যে লোকে তাদের কে ভোট দেবে সরকার চালানোর জন্য।
  • | 2345.108.455623.173 (*) | ২৭ মে ২০১৯ ০৩:২৩48436
  • এই টেলিগ্রাফের রিপোর্ট কাল বেরিয়েছিল। এই ফেক নিউজ আর হেট মেসেজের সুনামী হোয়াটস্যাপের মাধ্যমে।
    সুস্থবুদ্ধির মানুষকে এর কাউন্টারের উপায় ভেবে বের করতে হবে। এত ব্ল্যাকমানির সাপ্লাই এই মুহূর্তে অন্য কোন দলের নেই। সেক্ষেত্রে আউট অব দ্য বজস কিছু ভাবতে হবে।

    জামাত কিন্তু আর এস এসের মতই বাংলাদেশের প্রতিটি লোকের কাছে আগে পৌঁছেছিল নিহেদের ফেক প্রোপাগান্ডা আর অ্যান্টি ইন্ডিয়া অ্যান্টি হিন্দু হেট মেসেজ নিয়ে। সেই জামাতকে এখনো পুরো উপড়ানো যায় নি বরং হাসিনা মৌলবাদীদের সাথে কিছু ক্ষেত্রে আপোশ করে আরো ঘ্যাঁট পাকিয়েছেন।

    ভারত তো এখন সরাসরিই উগ্র ঘৃণার রাস্তায় হাঁটছে। কালকেই কতগুলো খবর এল গরুর দোহাই দিয়ে মারবার।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন