এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | 2345.108.455623.173 (*) | ২৭ মে ২০১৯ ০৩:২৮48437
  • আর নতুন চাকরি প্রায় তৈরী হচ্ছেই না, চাকরি হু হু করে কমছে
    এ অবস্থায় আইটি সেলের ৩০০০/- টাকার চাকরিও অনেকের কাছে খড়কুটো।
  • dc | 127812.49.670123.188 (*) | ২৭ মে ২০১৯ ০৩:৩৫48438
  • সে তো গোটা ইউরোপ জুড়ে ম্যাসিভ ফার রাইট ডিসইনফর্মেশান ক্যাম্পেন খুঁজে বার করেছে ফেসবুকে। এই ধরনের ফেক প্রোপাগান্ডা নেটওয়ার্ক প্রায় প্রতিটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিটা নেটওয়ার্ক ফেবু আর হোয়া বেসড।
  • Amit | 340123.0.34.2 (*) | ২৭ মে ২০১৯ ০৩:৩৬48439
  • ওফফ , সকাল থেকে দু প্যারা হাবি জাবি লিখে ফেলে বেশ একটা দারুন বুদ্ধিজিবি, বুদ্ধিজিবি ফিলিং আসছে মাইরি। কালকে থেকে দাড়িটা আর কামাবো না, আর হ্যা, লাল চা খেতে হবে। দুধ চা বন্ধ।
  • dc | 127812.49.670123.188 (*) | ২৭ মে ২০১৯ ০৩:৩৮48440
  • "তাহলে এই রাইট উইং শিফট র কারণ কি ? বেশ অনেক কে ব্যক্তি গত ভাবে জিগেশ করে দেখেছি এরা অনেকেই বিজেপি কেও পছন্দ করেন না। কিন্তু এরাও মোদী ভক্ত। এদের কাছে মোদী একটা ম্যান অফ অ্যাকশন, যে কাজ করে দেখতে পারে , ঠিক হোক বা ভুল হোক।"

    এটা আমারও একটা কমন এক্সপেরিয়েন্স। অনেককেই জিগ্যেস করেছি, উত্তর পেয়েছি মোদি তো তাও কাজ করে, ঠিক হোক বা ভুল লোক, উল্টোদিকে কে আছে? আর রাহুল গান্ধী এমন লেভেলের আনপপুলার যে ভাবা যায়না। অ্যাক্চুয়ালি মোদির ভীষন লাক ভালো যে প্রধান প্রতিপক্ষ এরকম একজন নন-লিডার।
  • ? | 340112.124.452312.150 (*) | ২৭ মে ২০১৯ ০৪:১৯48441
  • আরে পদী পিসির এখনও আড়ি পাতার অভ্যাস যায়নি দেখ্ছি
  • aranya | 236712.115.4545.102 (*) | ২৭ মে ২০১৯ ০৪:৪৩48445
  • এই যে আরএসএস-এর 'প্রচন্ড কষ্ট করে নিরলস কাজ' , এ শুধুই হিন্দুত্বের জন্য? হিন্দুত্ব সত্যিই এত বড় একটা আদর্শ!
  • dd | 670112.51.90012.39 (*) | ২৭ মে ২০১৯ ০৫:২১48446
  • Michael Burleigh লিখেছেন The Third Reich : A new history।

    এটা social ইতিহাস। নাত্সী পার্টী কী করে বড় হলো আর জর্মানীতে জাঁকিয়ে বসলো- সেই কহানী।

    ইহুদী বিদ্বেষ ছাড়াও তারা নানান রকমের social work করতো। স্কুল কলেজ এইসব। যারা ইহুদী বিদ্বেষে অংশগ্রহন করতোনা তাদেরকেও নেওয়া হতো এইসব চ্যারিটি ওয়ার্কে।

    সোসালিস্ট আর কমুনিস্টরা এসব করতেন না। তাদের জনসংযোগ ছিলো খুবই উপর উপর। নাঁসী পার্টীর সংঘটনের ধারে কাছেও থাকতো না।

    এক্ষণে ভারতবর্ষে যা হচ্ছে মনে হয় একেবারে হুবহু একই মডেল।
  • PM | 018912.210.012323.15 (*) | ২৭ মে ২০১৯ ০৬:০৩48447
  • "বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি মুখ থুবড়ে পড়তেই এই শাখা সংগঠনগুলো কাজ শুরু করে দেয়। এরা নীরবে কাজ করে। কোন হৈচৈ না করেই। আমি তার কিছু নমুনা দেখেছি। " তারপর ৩ মাসের মধ্যে এমন কাজ করলো যে ভোটার রা পাগলের মতো ভোট দিয়ে দিলো।

    Kঅল্লোল্দার পলিটিকাল অ্যানালিসিস আছে কল্লোলদাতেই ঃ)
  • PM | 018912.210.012323.15 (*) | ২৭ মে ২০১৯ ০৬:১৩48448
  • মমতা মিথ্যে বলেন এর প্রমান একমাত্র কল্লোলদাই চাইতে পারেন। সুজ্জি পঃ দিকে ওঠে এরকম দাবি কেউ করলে প্রমান দিতে হয়
  • রঞ্জন | 238912.69.011212.210 (*) | ২৭ মে ২০১৯ ০৬:১৫48442
  • অমিতের বিশ্লেষণ ভাল লাগল। আমি দিল্লি, গুরগাঁও, ভোপাল, ছত্তিশগড়ের কিছু লোকজনের সংগে ( বর্তমান প্রজন্ম সমেত ) কথা বলে এরকম ফিলারই পেয়েছি।
    ম্যান অফ অ্যাকশন! ভুল করলেও। এম এল এ/ এম পি নিয়ে তিক্ত মন্তব্য--মোদীকে নিয়ে নয় ।
    এবার প্রায় সমান সংখ্যক মহিলা ভোট দিয়েছেন। আমার ধারণা অনেক মুসলিম মহিলা তিন তালাক প্রশ্নে মোদীকে দিয়েছেন।'
    এবার ৫০% ভোটারের বয়েস ১৮ থেকে ২৭ এর মধ্যে। অনেকেই এখনও চাকরির লাইনে দাঁড়ায় নি । ভরসা রাখিছে মুদ্রা যোজনায়। ম্যান অফ অ্যাকশনে ।
    রাহুল ছড়িয়েছে সুপ্রীম কোর্ট মেনে নিয়েছে চৌকিদার চোর হ্যায় বলে এবং পরে মাপ চেয়ে নিজেকে মিথ্যুক প্রমাণিত করে ।দেশপ্রেমের পাকিস্তান/মুসলিম ব্যাশিং মোদী-ন্যারেটিভের পালটা কোন ন্যারেটিভ কেউ দেয় নি ।
  • একক | 340112.124.566712.203 (*) | ২৭ মে ২০১৯ ০৬:২১48449
  • শাখার কাজ বহু আগে থেকে শুরু হয়েছে। মিশনের সঙ্গে ফিল্ড ওয়ার্ক করার দৌলতে শাখার লোকদের সঙ্গে ব্যাটে বলে হয়েছে আগেও । ডিরেক্টলি আরএসএস বলে তো চলেনা । বিভিন্ন নাম আছে । আর এদের কাজ , যাঁরা জানেন তাঁরা জানেন , কোনো ভোট জেতা হারার ওপর ডিপেন্ড করেনা । নিজেদের মতো সোশ্যাল ওয়ার্ক -জনসংযোগ করে যায় । রাজনৈতিক উদ্দেশ্য যেখানে যোগ হয় সেখানে শাখার সংখ্যা ও সংগঠন বেশি , এইটুকুই ।

    এটা , শুধুআরএসেস বলে নয় , সমস্ত বড় ধর্মীয় সংগঠনই এভাবে চলে ।
  • lcm | 900900.0.0189.158 (*) | ২৭ মে ২০১৯ ০৭:৪২48450
  • বলছে,
    ---
    RSS (estd. 1925) is the world's largest voluntary organisation.
    Membership: 50-60 lakhs (2016)
    Branch: 56,859 shakhas (2016)
    ----
    Bharatiya Mazdoor Sangh (estd. 1955) is the largest Trade union in India.
    Membership: 1.1 crore (2010)
    ----
  • Amit | 340123.0.34.2 (*) | ২৭ মে ২০১৯ ০৮:৫৩48451
  • কল্লোল দার কথাটা সত্যি। আমার স্যাম্পল ডাটাবেস খুবই ছোট, সব চেনাশোনা শহুরে মানুষ। এটা দিয়ে কিছু প্রমান হয়না। জাস্ট আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চেয়েছি।

    তবে মোবাইল পেনিট্রেশন এখন গ্রামেও খুব বেশি, তাই ফেবু হোয়াটস্যাপ এ ফেক নিউস সার্কুলেশন মনে হয় গ্রামেও ছড়িয়ে গেছে। ফিজিক্যাল মিটিং মিছিলের কনসেপ্ট আস্তে আস্তে চেঞ্জ হবেই, হয়তো হয়ে গেছে। যে দেশে থাকি, সেখানে রাস্তায় কোনো মিটিং হতে দেখিনি, দু একটা টাউনহল হয়, যেখানে সাধারণ লোকজন এসে ক্যান্ডিডেট দের নানা রকম প্রশ্ন করে, মাঝে সাঝে ডিম্, কলাও ছোড়ে দু একটাকে। আর পিম ক্যান্ডিডেট দের মধ্যে ডাইরেক্ট টিভি ডিবেট হয়, US -স্টাইল এ। মেন্ ক্যাম্পেন টা কিন্তু ফেবু, টুইটার এই হয়।

    এটা বিজেপি তাড়াতাড়ি শিখে নিয়েছে। বাকিদের শিখতে হবেই , নাহলে জাস্ট পাল্লা টানা যাবে না। বাস, ট্রেন এ করে লোকে এনে মিটিং করে লোকবল দেখানোর দিন চলে যাচ্ছে। তার থেকে দশ গুণ লোকের কাছে ২ মিনিটে পৌঁছে যাওয়া যায় একটা হোয়াটস্যাপ মেসেজ করে। আর ফেক মেসেজ লোকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করছে, কোনো ভেরিফিকেশন এর দরকারই নেই।
  • কল্লোল | 232312.163.89.33 (*) | ২৭ মে ২০১৯ ১১:১৭48443
  • অমিতের বিশ্লেষন খুব ভালো। কিন্তু তা শুধু শহরের ভোটের প্রেক্ষিতে সত্য।
    অনেকেই লিখেছেন স্যোশাঅল্মিডিয়ার প্রচার ইঃ ইঃ। অল্পবয়সীয়ের মধ্যে মোদীর জনপ্রিয়তা। কিন্তু রাজস্থা, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ে গ্রামের লোক ঢেলে বিজেপিতে ভোট দিলো কেন? এরা তো কিছুকাল আগেই কংকে জিতিয়েছে।
    আবার দঃ ভারতে আঞ্চলিক দলগুলোর জয়জয়কার।
    কেন?
    গ্রামের দিকে আরএসএসের নানা শাখা সংগথনের কাজ নিয়ে কেউ খুব বেশী কথা বলছে না। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি মুখ থুবড়ে পড়তেই এই শাখা সংগঠনগুলো কাজ শুরু করে দেয়। এরা নীরবে কাজ করে। কোন হৈচৈ না করেই। আমি তার কিছু নমুনা দেখেছি। http://www.guruchandali.com/blog/2016/03/18/1458278290893.html?author=kallol.dasgupta.5
    একইভাবে ত্রিপুরা দখল করেছে বিজেপি।
    এদের মোকাবিলা করা অন্য দলগুলোর পক্ষে অসম্ভব। এদের প্রচন্ড কষ্ট করে নিরলস কাজ শুধু৩০এর দশকে কমিউনিস্ট পার্টির সাথে তুলনীয়। বা আমার সাথে হাজার মতপর্থক্য থাকলেও আজকের মাওবাদীদের সাথে তুলনীয়।
    দঃ ভারতে আঞ্চলিক ইস্যু খুব প্রবল। উড়িষ্যা, তমিলনাডু, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রতে তো বটেই। কর্ণাটকে আঞ্চলিক ইস্যু ততো প্রবল নয়। কেরালায় বোধহয় মুসলমান-খ্রীস্টান ভোট কাজ করেছে।
    পবতে তিনো বিরোধী ভোট বেশীরভাগই পেয়েছে বিজেপি। তিনো বিরোধী মানুষ মনে করেছেন কং বা বাম তিনোদের মোকাবিলায় ব্যর্থ।
    ফলে আঞ্চলিক ইস্যু খুঁজে না পেলে তিনোর ভরাডুবি আসন্ন।
    তিনোকে বাংলা-বাঙ্গালী নিয়ে লড়তে হবে। বিদ্যাসাগর কিছুটা রাস্তা দেখিয়েছেন।
  • r2h | 2390012.8.455623.10 (*) | ২৭ মে ২০১৯ ১১:২২48444
  • হ্যাঁ, আরএসএসের স্কুল, গ্রামে গ্রামে, বাড়ি বাড়ি যাওয়া - এটা একটা বিশাল নেটওয়ার্ক, দীর্ঘদিন ধরে চলছে।
  • S | 458912.167.34.76 (*) | ২৭ মে ২০১৯ ১২:৫৫48427
  • এবারে পবর বার্থ রেট আর ডেথ রেট নিয়েও একটু আলোচনা হোক।

    ১৯৯০তে বার্থ রেট ছিলো ২৮.২ আর ১৯৯৬তে ছিলো ২২.৮। অর্থাৎ গড় বার্থ রেট ২৫.৫। এরাই নতুন ভোটার হিসাবে ২০১৪ তে যোগ দেবে (২০০৯ তে ভোট দিতে পারেনি)। এই সময়ে পবের গড় জনসংখ্যা ছিলো ৭ কোটির আশে পাশে। ফলে নতুন ভোটার যোগ হওয়ার কথা (কিছু দুর্ভাগ্যজনক ফ্যাক্টর ইগনোর করে) বছরে প্রায় সাড়ে ১৭ থেকে ১৮ লক্ষ মতন। পাঁচ বছরে ৯০ লক্ষ মতন।

    ২০০১ এ বার্থ রেট ছিল ২০.৫। মানে ১৯৯৬-২০০১ এর গড় ২১.৬। ধরা যেতে পারে যে এইসময় গড় জনসংখ্যা ছিলো সাড় ৭ কোটির একটু বেশি। ফলে ৫ বছরে মোট ভোটার যোগ দেওয়া উচিৎ প্রায় ৮৫ লক্ষ। এরাই ২০১৯এ নতুন ভোটার হিসবে যোগ দেবে ইলেকটোরাল রোলে।

    তার মানে এই দুই গ্যাপে (২০০৯-২০১৪, ২০১৪-২০১৮) নতুন ভোটারের সংখ্যার মধ্যে তেমন পার্থক্য থাকা উচিৎ না। এক যদি না ইমিগ্রেশনে কিছু আকাশ পাতাল বদল হয়ে গিয়ে থাকে।

    ২০১৪ তে পবে ক্রুড ডেথ রেট ছিলো ৬.১। তখন পপুলেশন ছিল ৯ কোটি ৩৭ লক্ষ। একটা প্রজেকশান দেখছি যে ডেথ রেট এর পরে বাড়ার কথা। এবং পপুলেশন ২০১৮তে বেড়ে হয়েছে ৯ কোটি ৬০ লক্ষ। এর ফলে কিছু বেশি ভোটার পার্জ হওয়া উচিত। কিন্তু ২০১৫র সরকারি রিপোর্ট বলছে যে ডেথ রেট কমে ৫.৯ হয়েছে। এই ট্রেন্ড যদি থাকে তাহলে ভোটার পার্জ হওয়ার সংখ্যা একই থাকা উচিত ২০১৪র ইলেকশন আর ২০১৯এর ইলেকশনের মধ্যে।

    সামারি করলে যা দাঁড়ায় তা হলো একই সংখ্যক নতুন ভোটার আর পার্জড ভোটার থাকা উচিত ২০১৪ আর ২০১৯ এর ইলেকশনে। অথচ ভোটার কম বেড়েছে এইবারে।
  • এলেবেলে | 2345.110.670123.57 (*) | ২৮ মে ২০১৯ ০১:৫৯48466
  • @সৈকত, না আমি কখনই মনে করিনি যে আপনি আমাকে নিয়ে ঠাট্টা করেছিলেন বা আপনি বাম সমর্থক। অতটা ইমম্যাচিওর আমি নই। বরং এর উত্তরে আমি যখন 'সিপিএমের ২৭% ভোট দেওয়ার ব্যাপারটা যদি আলিমুদ্দিন থেকে কন্ট্রোলড না হয়ে থাকে তবে এতে সবাই এত অবাক হচ্ছেন কেন জানি না' লিখেছিলাম, আপনি যে আর সে নিয়ে কথা বাড়াননি সেটাও নজর করেছি। প্রসঙ্গত, গুরুতে 'সৈকত' নাম্নী লোকেরা যথেষ্ট পোলাইট ও রসিক বলেই আমি জানি। হ্যাঁ, 'তালেবড়' লিখেছিলেন কিন্তু ওই বাক্যে প্রয়োগ করতে গিয়ে একটু এদিক-ওদিক হয়ে গেছে আর কি।

    পিটিকেও লিখেছিলাম, "পিটি, পোলারাইজেশন হবে অথচ 'প্রতিশোধস্পৃহা' থাকবে না? 'মুসলমান তোষণ' মাথায় এমন ঢুকে গেছে, সিন্ডিকেট এমন থাবা বসিয়েছে যে সবাই হেস্তনেস্ত চেয়েছেন। ঘোর তিনোরাও চাপা ছিল, বাইরে ভাব দেখিয়েছে তিনোর। দেওয়াল লিখেছে, খেটেছে কিন্তু বিক্ষুব্ধ হিন্দু তিনো ভোট দিয়েছে পদ্মে।" যদিও এর উত্তর উনি দেননি। দিতেই হবে সে দায় যদিও ওঁর নেই।

    @dc, আমি বিন্দাসই থাকি। ২০১৭তে লিখেছিলাম, 'এ টই কারও পৈতৃক জমিদারি নয়। এখানে গুরুরা খেলবে, চণ্ডালরাও। তাদের ঘামের গন্ধে আপনাদের গা গোলালে তাদের বয়ে গেছে সে নিয়ে ভাবতে।' কাজেই এ জিনিস নতুন নয়। আমি আজকাল ইগনোর করি এবং এই কারণেই এই টইতে লিখছি অন্য টই ছেড়ে দিয়েছি বলে। এতে একটা উটকো ঝামেলা হয়, কিছু মানুষ হুট করে অন্য নিকে ঢুকে এমন দুমদাম মন্তব্য করে উধাও হয়ে যান যে তখন আর সেই থ্রেডে লিখতে ইচ্ছে করে না। খুব সম্প্রতি এই কারণে আমি আরেকটা ভালো টই থেকে নিজেকে সরিয়ে নিই।
  • PT | 340123.110.234523.7 (*) | ২৮ মে ২০১৯ ০২:১৪48467
  • "দেওয়াল লিখেছে, খেটেছে কিন্তু বিক্ষুব্ধ হিন্দু তিনো ভোট দিয়েছে পদ্মে।"

    বেশ কিছুদিন আগে লিখেছিলাম-কোন টইতে মনে নেই। আপনার আগে না পরে তাও মনে নেই। মালদহের এক কলেজে গিয়ে পরিচয় হয় এক তিনো কর্মীর সঙ্গে যার দাদা স্থানীয় তিনো কাউন্সিলার। সন্ধ্যে বেলায় জল খেতে খেতে ছেলেটি জানাল যে তারা নিজের দলের "মুসলিম তোষণে" বীতশ্রদ্ধ। কি করে রাতে বাংলাদেশে গরু পাচার হয় লোড্শেডিং করে BSF-এর সহায়তায় সে সবও বলল।

    আমি সেজন্যেই লিখেছিলাম যে সিপিএমের ভোট তিনোতে আর তিনোর ভোট বিজেপিতে যাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে।
  • dc | 127812.49.7890012.21 (*) | ২৮ মে ২০১৯ ০২:২৪48468
  • " ঘোর তিনোরাও চাপা ছিল, বাইরে ভাব দেখিয়েছে তিনোর। দেওয়াল লিখেছে, খেটেছে কিন্তু বিক্ষুব্ধ হিন্দু তিনো ভোট দিয়েছে পদ্মে"

    এলেবেলে, এরকম তো হয়ে থাকতেই পারে। মানে সব ইলেকশানেই কিছু এদলের ভোটার ওদলে ভোট দেয়, কিছু বিক্ষুব্ধ থাকে নানান কারনে, তারা অন্য দলে ভোট দেয়। সেরকম ক্রস ভোটিং এবারও অবশ্যই হয়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখুন, একজন দুজন তিনো পেয়ে যাবেন যারা সিপিএমকে ভোট দিয়েছে আর ভাইস ভার্সা, একজন দুজন বিজেপি পেয়ে যাবেন যারা তিনোকে ভোট দিয়েছে আর ভাইস ভার্সা, ইত্যাদি। তবে এবার বাম দলের ভোট কমলো ২৩% আর বিজেপির ভোট বাড়লো ২৩%, এ ভারি মজার ব্যপার। এরকমভাবে বাম সমর্থকেরা বিজেপিকে এন ব্লক ভোট ট্রান্সফার করবে, এরকমটা খুব একটা ভাবা যায়নি।
  • saikat | 90045.37.89.183 (*) | ২৮ মে ২০১৯ ০২:২৮48469
  • যাক, বাঁচালেন। @এলেবেলে।
  • | 2345.110.785612.185 (*) | ২৮ মে ২০১৯ ০৩:২১48453
  • যেরকম ভাবে অ্যড্রেস করলে ধর্মীয় মেরুকরণ বাড়বে আশা করি সেটা থেকে অন্তত দু একজন বিরত থাকবেন।

    যে প্রজন্মের সরাসরি পার্টিশনের এক্সপেরিয়েন্স রয়েছে তাঁদের কে দিয়ে যা করানো যায়নি, বরঞ্চ রিফিউজি রিহ‍্যাবিলিটেশনের পক্ষে আন্দোলন করানো গেছে, আর যাঁরা সোশাল নেটওয়ার্ক গরম করতে ফেক নিউজ ব‍্যবহার করেন তাঁদের গপ্পকে মানুষ সত্য বলে মেনেছেন। সফল কে পূর্ণাঙ্গ সঠিক বলে ভাবার কোন কারণ নেই। আর সাঙ্ঘাতিক বিমর্ষ হয়ে হাত পা গুটিয়ে বসার ও কারণ নেই, ফাইনাল সলিউশন দেবার চেষ্টা ফ‍্যাসিস্ট মাত্রেই করবে,রেজিস্টান্স সেরকম ই হবে। আসামে আর ত্রিপুরায় এক ই মেসেজ দেবার ক্ষমতা নেই বিজেপির, বদলে বলতে হয়েছে, রূপা গাঙ্গুলি বলেন গোয়া তে তো গোমাংস ভক্ষন বিজেপি বন্ধ করেননি, এখানে সেই প্রচার ওঁদের করতে হবে, রক্ষনশীল দের ফ্রন্ট ওঁরা সাফল্যের সঙ্গে বানিয়ে ছেন আপাতত , সেটাকে নানা ভাবে মানুষ রেজিস্ট করবে। এসব বুক চাপড়ানি অনেক দেখা গেছে ইতিহাসে।
  • সৈকত | 340112.99.675612.98 (*) | ২৮ মে ২০১৯ ০৩:২৮48454
  • ঈশান লিখেছেঃ
    "আমি জানিনা, এই ন্যারেটিভের মোকাবিলা দেশভাগের পাপকে ধামাচাপা দিয়ে কীকরে করা যায়।"

    এইটা কীভাবে হবে ? কংগ্রেস বলবে যে হ্যাঁ, দেশভাগের জন্য তারা দায়ী ? কিন্তু বিজেপির বক্তব্য তো কংগ্রেসকে দায়ী করা নয়, কারণ বিজেপির পূর্বপুরুষরাও তো দেশভাগকে সমর্থন করেছিল। বিজেপির বক্তব্য তো দেশভাগ ভুল, এটা নয়, এটাই যে দেশভাগটা আরও ভাল করে করা উচিত ছিল। মুসলমানদের এদেশে থাকাই উচিত ছিল না, কারণ ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ হয়ে, এই দেশটা হিন্দুদেরই।
  • S | 458912.167.34.76 (*) | ২৮ মে ২০১৯ ০৪:৫০48455
  • "পশ্চিমবঙ্গ হিন্দুদের জায়গা, কারণ দেশভাগের সময়, হিন্দুস্তান-পাকিস্তান, এদিকটা হিন্দুদের, ওদিকটা মুসলমানদের, এইরকমই করেই ভাগ হয়েছিল। শুনতে বেশ ঠিকঠাকই লাগল, কারণ এইটুকু উনি বানিয়ে বলেননি।"

    না বানিয়ে বলেছেন।

    ঠিক হয়েছিলোঃ ওদিকটা মুসলমানদের, এদিকটা সবার।
  • রঞ্জন | 232312.162.128912.141 (*) | ২৮ মে ২০১৯ ০৫:১৬48456
  • হিন্দি বলয়ের প্রচারঃ
    দুটো প্রদেশ ভাগাভাগি হল--পাঞ্জাব এবং বাংলা। পাঞ্জাবে কার্যতঃ পপুলেশন এক্সচেঙজ হল ( মন্টোর টোবা টেক সিং সিন্ড্রোম), বংগে হয় নি । তাই বংগে কম্যুনাল দাংগা হয় , পাঞ্জাবে হয় না । ঃ(((
    আমি বলি ঃ আমরা-ওরা ভাগ করলেই দাংগা হবে। পাঞ্জাবে হিন্দু-শিখ দাংগা, জাঠ-পাঞ্জাবি দাংগা? মহারাষ্ট্রে মারাঠি ও উত্তর ভারত? আসামে বংগাল-খেদা?
    বিজেপি বুদ্ধিমানের কাজ করলে আপাততঃ এখানে বীফ নঈয়ে ঝামেলা করবে না । কিন্তু মুসলিম ব্যাশিং এবং বাংলাদেশে-যাও শুরু হতে পারে ।
    টেক্সটবুক নিয়ে কিছু কাজ হবে।
    মেঘনাদবধ কাব্য, রবীন্দ্রনাথের পৌত্তলিকতা বিরোধী কবিতা, ঔরংজেব নিয়ে কবিতা বাদ যাবে, ডি এল রায়, বংকিমএর সীতারাম/আনন্দমঠের অংশ গুরুত্ব পাবে। শিবাজী উৎসব/ জ্বল জ্বল চিতা দ্বিগুণ দ্বিগুণ --অনেক বেশি স্পেস পাবে।
    তিতুমীর/ওয়াহাবি বিদ্রোহ বাদ যাবে, শ্যামাপ্রসাদ/ সাভারকর বড় করে পাঠ্য হবে।
    হিটলার/মুসোলিনির সময় দেশের আর্থিক বিকাশ হয়েছিল --পড়ানো হবে।
  • এলেবেলে | 230123.142.67900.224 (*) | ২৮ মে ২০১৯ ০৭:২০48457
  • এই ক'দিন কিছুই লিখিনি, শুধু পড়েছি। তাহলে কী ঠিক হল?

    ১. বাম ভোট বলে কিছু হয় না, ভোটাররা বামেদের গৃহভৃত্য নন।
    ২. আগে তাঁরা মার্ক্সের বাবার নামে কাঁচিতে (গ্রামে তাই বলে) ভোট দেননি, যেমন দেননি এবার ডিমনি-জিএসটি-এনআরসি খায় না মাথায় দেয় সেসব জেনে।
    ৩. ব্যাপক হারে বাম ভোট রামের বাক্সে পড়েছে এবং সেটা এতই স্পষ্ট যে সে ছ্যাঁদা ঢাকার চেষ্টা ক্রমশ হাস্যকর হয়ে উঠছে। কৃষ্ণনগরের শান্তনু ঝা স্পষ্ট বলেছেন, "শত্রুর শত্রু আমার মিত্র এই ভাবনাও বাম ভোটারদের একটা বড় অংশকে প্রভাবিত করেছে।" যত দিন যাবে তত শান্তনু ঝা-দের সংখ্যাটা বাড়বে। নদীয়ার কৃষ্ণনগরে ২০১৪র ৩০% ভোট নেমেছে ৯%এ, পাশের রানাঘাটে ২৯% ভোট নেমেছে ৭%এ। সারা বাংলায় বাম ১০ শতাংশ বা তার বেশি ভোট পেয়েছে রায়গঞ্জ, মুর্শিদাবাদ, বর্ধ্মান-দুর্গাপুর, বর্ধমান পূর্ব, শ্রীরামপুর, কলকাতা দক্ষিণ, দমদম, ব্যারাকপুর এবং যাদবপুর। শেষ কেন্দ্রটিতে বিকাশবাবু ২১% ভোট পেয়ে জামানত বাঁচিয়েছেন এবং বাকিরা মার্ক্সের ভোগে।

    যেটা অবাক লেগেছে সেটা হচ্ছে পিটির মতো ভদ্র মানুষও কপিরাইটের তোয়াক্কা না করে লিখেছেন - আমি তো তাই থিয়োরি দিচ্ছিলাম যে সিপিএমের বেশ কিছু ভোট (বিশেষতঃ মুসলিমদের ভোট) তিনোরা পেয়েছে আর তিনোদের নিজেদের ভোট বিজেপিতে গিয়েছে। কিন্তু সরল মনে দেখে মনে হচ্ছে যে সিপিএমের সব ভোট বিজেপিতে গিয়েছে। এরকমটি না হলে এই বাজারে তিনোদের ভোট শেয়ার বাড়ার কথা নয়। সেটা কেউ শুনতেই চাইছে না।

    এ থিওরি তিনি কবে দিয়েছিলেন জানি না তবে 02 May 2019 -- 09:16 PM যখন লিখেছিলাম "ভোট পুরো পোলারাইজড, তিনো বিরোধী হিন্দুভোট বিজেপিতে, তিনো বিরোধী মুসলমান ভোট সিপিএমে" তার হপ্তাখানেক বাদে তিনি এই লিংকটি দেন!

    প্রচুর মানুষ যাঁরা রিকশওয়ালা, অটো ড্রাইভার, বাসের কনডাক্টর, অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মচারী, নির্মাণকর্মী, পার্শ্বশিক্ষক, সরকারি কর্মচারি তাঁরা ঢেলে ভোট দিয়েছেন বিজেপিতে । এই ভোট একদা বাম হয়ে তিনো ঘুরে এখন বিজেপিতে থিতু।

    দারুণ লেগেছে এসেম-এর পার্থ চ্যাটার্জিকে 'মোটা পার্থ' বলায় আপত্তি জানানোর ব্যাপারটা! যিনি অন্যকে 'ছোঁক ছোঁক', 'ইস্ত্রি করা চেহারা', 'তল্পিবাহক' ইত্যাদি না বলে বাক্যি শেষ করতে পারেন না সেই তিনিই কিনা ...! তৃণমূল হইয়াও বুদ্ধিজীবী (মধ্যপদলোপী কর্মধারয়, পান নট ইনটেন্ডেড) হচ্ছেন এ বাজারে অক্সিমোরনের শ্রেষ্ঠ উদাহরণ।

    তিনটে লিংক রাখলাম এখানে, আগ্রহীরা পড়তে পারেন।
    https://scroll.in/article/922292/communalism-vanishing-communists-and-whatsapp-why-the-bjp-s-star-is-rising-fast-in-bengal?fbclid=IwAR1JqWhOJ96ALxG3Opmospt6lyC-p8NE3XrEoX8NCZ-nS6V7IhCyMhqifWQ

    https://4numberplatform.com/?p=13317&fbclid=IwAR3Cp0H67yaesNn-Q2Jxu2-S2QTG_oImPFm15jqLNV9YWKNfKtbyfPIXJ_o

    http://www.epaper.eisamay.com/Details.aspx?id=48779&boxid=37610

    বিধিসম্মত সতর্কীকরণ : এসব কতা আগেও কেউ কেউ বলে থাকতে পারেন। কাজেই আমিই বললাম প্রথমে জাতীয় কোনও ক্লেম করচি না। হীরাভ টইয়ের অনন্ত সাবানফেনার ছেলেমানুষিতে দেড়শো খোকা কী কাণ্ড করেন তা ভুলেও উঁকি দিয়ে দেকি না এবং ভাটিয়ালিতেও কে কী বলচেন তা সবসময় খ্যাল করা হয়নাকো। তবুও যারা তুশ্চু করতে অভ্যস্ত তারা একশোবার করবেন কারণ এ জগতে ওই একটি কাজ ছাড়া তারা আর কিচুই পারেন্নাকো।
  • এলেবেলে | 230123.142.67900.224 (*) | ২৮ মে ২০১৯ ০৭:৩১48458
  • 23 May 2016 -- 02:59 PM 'তৃণমূলের জয়ের পেছনে বিজেপি : তত্ত্বর সারবত্তা' টইতে লিখেছিলাম --- দেবব্রতবাবু, এই টই খোলা হয়েছে বোধ হয় এটা ধরে নিয়ে যে সিপিয়েম চাঁদ বা মঙ্গল গ্রহের থেকে নেমে আসা একটা পার্টি। এদের ধান্দাবাজিকে সার্থক করতে এরা ৭৭ এ জনসঙ্ঘের গলা জড়িয়ে ধরতে কুণ্ঠিত হয়নি। তারপর জ্যোতিবাবু ও বাজপেয়ীর হাত ধরাধরি, বুদ্ধ-আদবানীর প্রেমপিরিতি সবই হয়েছে একই নিয়ম মেনে। এবারে পবতে ছকটা ছিল – বাম-কং এর মিলিত ভোট + বিজেপিতে ছিটকে চলে যাওয়া ৭-৮ % ভোট নিজেদের বাক্সে ফিরে আসার তুমুল দূরাশা + বাম বিরোধী ভোট কাটাকাটির অঙ্ক যাতে তিনোরা বাম বিরোধী পুরো ভোট একা না পায়। সে হিসেবে বিজেপি সিপিয়েমেরও লক্ষীপ্যাঁচা ছিল। ভোট মেটার পর হোয়্যাটসাপে যখন জোটের মন্ত্রীসভা তৈরি হয়ে গেছিল তখন খেঁচো কমরেডরা বিজেপির দু-চারটে এম এল এ কে বিভিন্ন কমিটিতে স্থান দেওয়ার কথাও বলেছিল বুক ফুলিয়ে। আপনি তাদেরকে রাজার পার্ট দিতে চাইছেন ?

    জরুরি অবস্থার কং এখন গণতান্ত্রিক আর কেরালায় মুসলিম লিগের সাথে হাত মেলানো সিপিয়েম এখন ধর্মনিরপেক্ষ !

    সিপিএম বাদ দিয়ে ছোট বামপন্থী দলদের ইয়েতে দম নেই বিজেপিকে রোখার। পরগাছারা যদি গাছই না পায় তো আর বাঁচবে কী করে?
    তিনো বিজেপিকে ঠেকানোর দায় নেবে কেন? ওরাতো তিনোর লক্ষীপ্যাঁচা। যেমন কং-তিনোর মধ্যে লড়াই বাঁধিয়ে সিপিয়েম জিতেছে এতদিন তিনোও তাই করবে। তথাগত রায় তো আর এমনি এমনি মমতাকে ‘সিপিয়েমের মেধাবী ছাত্রী’ বলেননি।
    বাকী রইল কং। তাদেরই বা কী ঠ্যাকা? ঠিক কোন দিক দিয়ে দুটো দল দুটো মেরুর? মুকেশ আম্বানির সাথে দুটো দলের পিরিতের মাত্রায় কিছু তারতম্য চোখে পড়ে আপনার? আপনাদের?

    ফলে এ রাজ্যে বিজেপি বাড়বে এবং হুড়মুড় করে। আসানসোল উত্তর, কুলটি, বসিরহাট দক্ষিণ, জোড়াসাঁকো, নয়াগ্রাম এবং কালচিনিতে ওরা দ্বিতীয় স্থানে। ৬৬ টা সিটে ২০-৩০ হাজার ভোট, ১৬ টায় ৩০-৪০ হাজার আর ৬টায় প্রায় ৫০ হাজার ভোট পেয়ে ওরা ছেড়ে দেবে ভাবছেন?
    তাই ওরে আমাদের সোনার বাংলায় বিজেপি এসে গেল রে বলে হাহাকার করে কিস্যু লাভ নেই ।

    কেউ কিছুই পড়েন না!!! দেওয়াল লিখন কিন্তু তখনই স্পষ্ট ছিল।
  • এলেবেলে | 230123.142.67900.224 (*) | ২৮ মে ২০১৯ ০৮:১৪48459
  • শিবরাম চক্রবর্তীর 'মস্কো বনাম পণ্ডিচেরী'-র প্রচ্ছদ। এখনও কত প্রাসঙ্গিক! শুধু দেখতে হবে নীচ থেকে ওপরের দিকে। কালো প্যাঁচানো দাগগুলো, বলা বাহুল্য, আমার অপকীর্তি।

  • PT | 340123.110.234523.5 (*) | ২৮ মে ২০১৯ ০৮:৪৪48460
  • "পিটির মতো ভদ্র মানুষও কপিরাইটের তোয়াক্কা না করে লিখেছেন "

    আলোচনাটাকে এই এঙ্গেলে নিয়ে যাওয়ার কোন মানে হয়না। আমি লিং দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধহস্ত। কাজেই, এলেবেলে আপনি যদি আমার আগেই কিছু বলে থাকেন তাহলে পন্ডিতমশায়ের মুকুটটি আপনারই প্রাপ্য। এখানে যা মনে হয় তাই লিখি-কোন গবেষণাপত্র ছাপানোর যায়্গা তো এটা নয়। তাহলে আগে লিটারেচার সার্ভে করে নিতাম।

    তবে কিনা তাপসী মালিকের ইনসাফের কথা উঠলে সিপিএমকে কাটা-ছেঁড়া করা পন্ডিতেরা হীরণ্ময় নীরবতা পালন করে। তাখন তাদের রাজনৈতিক সততা ও অবস্থান নিয়ে মনে প্রশ্ন জাগে বৈকি। আর লেখকের সততা নিয়ে সন্দেহ থাকলে খুব ভালো লেখাও জঞ্জালতুল্য মনে হয়।

    অন্যদিকে অনেকেই নিজে নিজে ভাবতে জানে। গুরু না পড়েই। তাতে এমন হতেও পারে যে কারো কারো ভাবনা কোন পন্ডিতের সাথে মিলে যেতে পারে। এই চিঠিটা যেমনঃ

    ------------------------
    সম্পত্তি নয়

    অদ্ভুত একটি বাক্যবন্ধ তৈরি হয়েছে— ‘বামের ভোট রামে গিয়েছে।’ মানে, সিপিএমের ভোট গিয়েছে বিজেপিতে। জনসাধারণের প্রতি কতটা অশ্রদ্ধা থাকলে এমন কথা বলা যায়? জনগণের ভোট কি কেউ কিনে রেখেছে? জনগণ কি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জমিদারির খাস প্রজা যে, তারা একটি নির্দিষ্ট দলকে সর্বদা ভোট দিয়ে যাবে? ১৯৭৭, ২০০৯, ২০১১ সালে রাজ্যে যে বড় ধরনের পরিবর্তন হয়েছিল, তার ফলে যে-দলগুলি রাজনৈতিক ক্ষমতা পেয়েছিল, তারা কি তখন নতুন এক দল ভোটার সৃষ্টি করে ক্ষমতায় এসেছিল? সময়ে সময়ে মানুষের মনোভাবের পরিবর্তন হয় বলেই রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হয়। রাজনৈতিক নেতা বা কর্মীরা কোনও দলের সম্পত্তি বলে বিবেচিত হোন তাতে আপত্তি নেই, কিন্তু সাধারণ মানুষকে সম্পত্তি বা ভোটব্যাঙ্ক ভাববেন না।

    প্রিয়ব্রত মুখোপাধ্যায়

    নিকুঞ্জপুর, বাঁকুড়া
    -------------------------
    (আজকের সম্পাদক সমীপেষু, আবাপ)
  • এলেবেলে | 230123.142.67900.224 (*) | ২৮ মে ২০১৯ ০৯:১২48461
  • পিটি, আপনি অন্তত জানেন যে আমি আপনার প্রজ্ঞাকে শ্রদ্ধা করি। সে কথা লিখিতভাবেই আছে গুরুর পাতায়। আলোচনাটা আমি আদৌ এই অ্যাঙ্গেল থেকে দেখছি না, পণ্ডিতমশাই-এর মুকুট পেতেও কদাচ আগ্রহী নই। আলোচনাটাকে এই জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলেন অন্য এক বাম সমর্থক যাঁর বাচনভঙ্গী ওই 'বিধিসম্মত সতর্কীকরণ'-এ খানিক দেওয়া আছে। কাজেই কে আগে বললেন আর কে পরে সে নিয়ে কথা অর্থহীন। কিন্তু কথাগুলো একই থাকছে যদিও ২৩ তারিখের আগে কথাগুলো এমন ছিল না, বরং 'সৈকত' নাম্নী কেউ ৭% ভোট বামেরা পাওয়ায় তাদের সমর্থকদের 'ক্যালিবার' নিয়ে যথেষ্ট ঠাট্টাই করেছিলেন। এইভাবে ব্লক ভোটিং তারপরেও কেউ কেউ মেনে নিতে পারেননি। এবং এলেবেলে লিংক দিলে তার পাল্টা লিংক এসেছে 'লেবেলেএ' নিকে। আমিও এখানে মাঝে মাঝে উড়ে এসে জুড়ে বসি, এর বেশি কিছু নয়। তবে এই বসাবসিটা অনেকে ভালোভাবে নেন না, তার প্রভূত প্রমাণ আমার কাছে মজুত আছে। শেষে বলি, যদি কোনও ভাবে আপনাকে আঘাত দিয়ে থাকি তবে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।
  • S | 458912.167.34.76 (*) | ২৮ মে ২০১৯ ০৯:২৬48462
  • আমি এই টইতেই এই ভোট বদল নিয়ে কিছু লিখেছি। বেশ সংখ্যা টংখ্যা দিয়েই বিশ্লেষণ করেছি। তা সে কারোর খুবেকটা পছন্দ হওয়ার কথা নয়। কারণ লোকে ঐ অর্ণব আর সঙ্গে সুমন টাইপের আলোচনায় এতো বেশি স্বচ্ছন্দ্য যে তথ্য দিয়ে নিজে থেকে কিছু বোঝার থেকে নিজের দলের দিকে ঝোল টানা লিন্ক দিয়ে চেঁচানোকেই আজকাল বিতর্ক ভাবতে শিখে গেছে।

    এটা ঘটনা যে বামেদের আগের ইলেকশনে যারা ভোট দিয়েছিলেন, এবারে তাদের বেশ কিছু অংশ রামে ভোট দিয়েছেন। কিন্তু সেই ট্রেন্ড অনেক আগে থেকেই ঘটছিলো। আগেরবার যখন বামেদের ভোট কমলো আর বিজেপির ভোট বাড়লো, তখন কিন্তু তিনোপন্থীরা কোনও আপত্তি করেনি (বামেদের খিল্লি করা ছাড়া) কারণ বিরোধী ভোট ভাগ হওয়ার নিজেদের সুবিধে হচ্ছিলো। এইবারে সেই একই ট্রেন্ডে নিজেদের ঝামেলা হয়েছে। তিনোরা যদি মনে করে যে উনারা প্রচুর কারচুপির পরও ৪০-৪৫% ভোট পাবে, আর তিনো বিরোধী ভোট ভাগের দায়িত্ব বাকি দলগুলো নিয়ে উনাদেরকে সব সীটে জিতিয়ে দেবে, তাইলে উঁটপাখি।

    এছাড়া ম্যাসিভ চেন্জ ইন ডেমোগ্রাফিক্সও একটা কারণ। এবং সেইটাই সবথেকে বড় চিন্তার। ৬০-৭০ দশকের কঙ্গ জমানার ভয়াবহতা যারা দেখেছেন এবং বাম জমানার প্রথমদিকের কাজকম্ম যারা দেখেছেন, ভোটের বুথে তাদের সংখ্যা কমছে। তার বদলে তিনোদের কুশাসন যারা দেখেছে, বামেদের শক্তিহীন অবস্থায় যারা দেখেছে, আর মোদিবন্দনা যাদের মোবাইলে ক্রমাগত এসে চলেছে তারাই ভবিষ্যতে ভোটার সংখ্যার একটা বড় অংশ হতে চলেছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে প্রতিক্রিয়া দিন