এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

  • বিজ্ঞান-মনস্কতার অ-আ-ক-খ # দুই

    Ashoke Mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | ১৩৯০২ বার পঠিত
  • [গ] বিজ্ঞানমনস্কতা বলতে কী বোঝায়

    এপর্যন্ত পড়ে কেউ কেউ প্রশ্ন করতে পারেন, বিজ্ঞান-মনস্কতার কথা বলতে বসে আমি স্রেফ ভূগোল আর ইতিহাস নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম কেন? বিজ্ঞান নিয়ে এখন অবধি একটাও কথা তো পাড়িনি। বিজ্ঞান বাদ দিয়ে বিজ্ঞান-বোধ হয় নাকি? বিজ্ঞান মানে বিশেষ জ্ঞান যা পরীক্ষা পর্যবেক্ষণ ও সিদ্ধান্তের উপর প্রতিষ্ঠিত—এই সব কথা তো বলছি না। বিজ্ঞান মানে সব কিছুকে যুক্তি তর্ক করে বিচার বিশ্লেষণ করে তবে গ্রহণ করতে হবে—সেই সব পুরনো কাসুন্দির কথা তুলছি না তো? ধান ভানতে বসে শিবের গীত গাইছি কেন?

    সেই কথাই এবার বলব। তারও কারণ আছে।

    বিজ্ঞান-মনস্কতা মানে নিছক বিজ্ঞানের বিষয়বস্তু সম্পর্কে সচেতনতা নয়, প্রযুক্তির ব্যবহারে দক্ষতা বা সপ্রতিভতা নয়। বিজ্ঞান-মনস্কতা মানে হল বৈজ্ঞানিক মনোবৃত্তি, যুক্তিশীল মননচর্চা, বৈচারিক চিন্তাকৌশল। ব্যাপারটা এমন নয় যে শুধু বিজ্ঞানের ছাত্রদেরই বিজ্ঞান-মনস্ক হওয়া প্রয়োজন, অন্য বিষয়ের ছাত্রদের বিজ্ঞান-বোধ না থাকলেও চলবে। বিজ্ঞানের কোনো বিষয় নিয়ে পড়ি বা না পড়ি, শিক্ষকতা গবেষণা করি বা না করি, সবাইকেই সব কিছু বৈজ্ঞানিক মনোবৃত্তির আধারে বোঝার চেষ্টা করতে হবে। বিজ্ঞান আর বৈজ্ঞানিক মানসিকতা পরস্পর সম্পর্কিত হলেও দুটো ঠিক এক জিনিস নয়। একটা হলেই আর একটা হয় না। আপনা আপনি হয় না। একজন বিজ্ঞান নিয়ে পড়ে, গবেষণা করে, চর্চা করে, ছাত্র পড়ায়—কিন্তু হাতের আঙুল ভর্তি আংটি; একটা হয়ত মঙ্গলকে ভয় দেখাচ্ছে, আর একটা হয়ত আবার ভাইরাস ব্যাকটিরিয়াদের শাসন করার কাজে ব্যস্ত, তৃতীয়টার উদ্দেশ্য কোনো জটিল মামলা জেতা, ইত্যাদি—এমন তো আকছারই দেখা যায়। যারা এইরকম আংটি পরে, ধাতুরত্ন ধারণ করে, তার পক্ষে তারা আবার কত বৈজ্ঞানিক যুক্তি দেয়! বস্তুর উপর বস্তুর কি ক্রিয়া নেই? জীবাণুদের সম্পর্কে রসায়ন-শাস্ত্র রাসায়নিক অস্ত্র ধারণ করতে বলছে না? কিংবা, সব শেষে একখানা মোক্ষম প্রশ্ন, “বিজ্ঞান কি সব জানে?” আর অন্যরা জানুন বা না জানুন, বিজ্ঞানের লোকেরা তো জানেই—যে বিজ্ঞান এখনও সব জানে না, আর কখনও সব জানবে বলে মনে করে না। সুতরাং . . .

    এমন অনেককেই দেখা যায়, যারা ভগবান মানে না কিন্তু যাদের ভূতের ভয় আছে। কিংবা তাদের হয়ত ভূত-প্রেতে ঘোর অবিশ্বাস, অথচ ছেলেমেয়ের কোনো সময় কঠিন অসুখ-বিসুখ হলে মা কালীর থানে বা রাস্তার মোড়ের শনিঠাকুরের বেদীতে দু টাকার বাতাসা মানত করে রাখে। আবার এমনও বহু লোক আছে, যাদের পড়াশুনো কলা বিভাগে, কিন্তু খাদ্যাখাদ্য বিচারে রান্নার উপকরণে ছেলেমেয়ের পোশাক বা স্বাস্থ্যের প্রশ্নে তারা অত্যন্ত যুক্তিশীল এবং বিজ্ঞান-মনস্ক।

    ধরুন, বিজ্ঞাপনে দেখাচ্ছে, কমপ্ল্যান খেলে একটি ছেলে বা মেয়ে দ্বিগুণ তাড়াতাড়ি বেড়ে উঠবে, লম্বা হবে। বহু লোক বিশ্বাস করছে। তারা বেশিরভাগ লক্ষই করছে না, যে স্কেল দিয়ে বৃদ্ধিটা দেখানো হচ্ছে, তাতে চার ফুট পর্যন্ত উচ্চতার মাপটা ফুটে দেখিয়ে বৃদ্ধির পরিমাপ দেখানো হচ্ছে সেন্টিমিটারে। কেন? এরকম স্কেল বাজারে হয় নাকি? কারোর উচ্চতা আপনি কি বলবেন চার ফুট পাঁচ সেন্টিমিটার? তার মানে বিজ্ঞাপনটায় গোলমাল আছে। বা কোনো গূঢ় মতলব আছে। কজন সাধারণ মানুষ এটা খেয়াল করেছে? এই ধরনের একটা সাধারণ চালাকি বোঝার জন্য কি বিজ্ঞান পড়ার বিশেষ দরকার আছে? রাষ্ট্রবিজ্ঞান বা অ্যাকাউন্টেন্সিতে অনার্স নিয়ে পড়লে এটা বোঝা যাবে না? বরং বাস্তবে আমরা দেখছি, বিজ্ঞানের ছাত্ররাও এটা ধরতে পারছে না। তাদেরও একটা বিরাট অংশ এই সব বিজ্ঞাপনী চালাকিতে ভিরমি খেয়ে যাচ্ছে। এবং লম্বা হওয়ার জন্য রোজ রোজ কমপ্ল্যান খাচ্ছে। অথবা তীক্ষ্ণবুদ্ধি পাওয়ার জন্য শক্তি সঞ্চয় করার জন্য অন্য কিছু খাচ্ছে। এই প্রশ্নটা তারা করছে না, স্বাস্থ্যবান হওয়া বা লম্বা হওয়ার যে জৈবিক প্রক্রিয়া, এই ধরনের কৌটোবন্দি খাদ্য বা পানীয় তার উপরে কীভাবে প্রভাব ফেলে। অথবা আদৌ ফেলতে পারে কিনা।

    রাজশেখর বসু তাঁর একটি বৈজ্ঞানিক মনোভাব সংক্রান্ত প্রবন্ধে দেখিয়েছিলেন, বিজ্ঞাপনে কীভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করে ঠকানো হয়। কোনো একটি মাথার তেলের কোম্পানি তাদের বিজ্ঞাপনে লিখেছিল, “ইহাতে পারদ নাই।” যেন, অন্য সব প্রস্তুতকারকের তেলে ভেজাল হিসাবে পারদ থাকার কথা। আজ বেঁচে থাকলে তিনি দেখতে পেতেন, সেই সাবেকি কায়দাটা আজও মরেনি। আজ আবার কোনো এক তেল উৎপাদকের হয়ে একজন বিখ্যাত ফিল্মি নায়ক বলছেন, তাঁদের বিজ্ঞাপিত তেলে নাকি অ্যামোনিয়া নেই। এই রকম অসংখ্য বিজ্ঞাপনী চালাকি ধরতে না পারার পেছনেও আছে বিজ্ঞানমনস্কতার অভাব।

    [ঘ]
    এবার কয়েকটা কাজের কথা পাড়া যাক।

    বিজ্ঞান-মনস্কতার প্রধান প্রধান লক্ষণগুলি কী কী?

    অবিশ্বাস, ভয়, কৌতূহল, সংশয়, প্রশ্ন, . . . ।

    সে কি? কী বলছেন মশাই? এসব তো নেতিবাচক লক্ষণ।

    ঠিক তাই। বিজ্ঞান-মনস্কদের যে লোকে নাস্তিক বলে জানেন নিশ্চয়ই। সেটা এই কারণেই বলে। সব ব্যাপারেই শুরুতে তারা খালি বলে—না, না, না, নাস্তি, নাস্তি, নাস্তি, . . .। এতে বিশ্বাস করতে পারছি না, ওটা বলতে ভয় পাচ্ছি পাছে ভুল প্রমাণ হয়ে যায়, অমুক তত্ত্বটায় ঘোরতর সন্দেহ আছে ঠিক হবে কিনা, . . ., ইত্যাদি। আর কেবলই বলেন, জানি না, খানিকটা জানা গেছে, অনেক কিছু এখনও জানায় বাকি আছে, অল্প অল্প করে জানা যাচ্ছে, এই রকম আর কি। সহজে কোনো প্রস্তাবে কিছুতেই হ্যাঁ বলতে পারেন না বিজ্ঞান জগতের লোকেরা। একেবারে বলেন না তা নয়, তবে না-এর তুলনায় হ্যাঁ-এর সংখ্যা খুব কম। মাইকেল ফ্যারাডে এক সময় একটা গড় হিসাবে বলেছিলেন, বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের দশটা প্রস্তাবের নটাতেই নাকি ওনারা না বলে দেন। একটাতে অতি কষ্টে হ্যাঁ বলেন। সায় দেবার ব্যাপারে বড্ড কিপটে। বিজ্ঞানীদের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যান। দেখবেন, প্রতিটি ব্যাপারে খালি প্রশ্ন, প্রশ্নের পর প্রশ্ন। কী ভয়ানক সন্দেহবাতিক ভাবা যায় না। কারোর সঙ্গে কারোর ঝগড়াঝাঁটি আছে, ব্যাপারটা এমন নয় কিন্তু। হয়ত বাইরে গলায় গলায় ভাব। কিন্তু বিজ্ঞানের সমস্যা এলে, পরীক্ষার ফলাফলের কথা উঠলে অমনি তক্কাতক্কি শুরু হয়ে যায়। তাঁদের শুধু ভীষণ ভয়, পাছে কিছু একটা ভ্রান্ত তত্ত্ব সম্মেলনে গৃহীত হয়ে যায়।

    তুলনায় একটা ধর্মের জলসায় গিয়ে দেখুন। কোনো একজন বড় ধার্মিক সাধুর বচনামৃত পাঠ করুন। বারবার কী দেখতে পাবেন? বিশ্বাস, নির্ভাবনা, নিঃসন্দেহ, নিস্তর্ক, মেনে নেবার আগ্রহ, . . . । যেমন এদেশে তেমনই ওদের দেশে। আমাদের পূর্বপুরুষরা যখন বলতেন, “বিশ্বাসে মিলায় কৃষ্ণ তর্কে বহুদূর”, লাতিনে ওরা বলত “Credo ut intelligam” (বিশ্বাস করলে তবেই আমি বুঝতে পারব)। এগুলো সবই হচ্ছে ইতিবাচক লক্ষণ। সব কিছুতেই হ্যাঁ বলবার ঝোঁক বা ইচ্ছা। এই জন্যই ধর্মে বিশ্বাসীদের লোকে আস্তিক বলে। তারা সব কিছু সহজে মেনে নেয়, বিশ্বাস করে, তাদের কোনো ব্যাপারেই খুব একটা সন্দেহ হয় না, প্রশ্নও জাগে না। তাদের মনে কোনো কিছুই গভীরে গিয়ে জানার খুব একটা ইচ্ছা নেই। ধর্মগুরুরা আবার মানা করেও দেন। যেমন, রামকৃষ্ণ রূপক ছলে বলে দিয়েছিলেন, “বাগানে আম খেতে এয়েছ খেয়ে যাও; বাগানে কটা গাছ, গাছে কটা করে আম—এত খোঁজে তোমার দরকার কী?”

    শিবদুর্গার তিনটি ছেলে মেয়ে স্বাভাবিক, কিন্তু গণেশের বেলায় হাতির মুন্ডু। তা-ই কোটি কোটি লোক দু তিন হাজার বছর ধরে মেনে এসেছে। সন্দেহ করেনি, প্রশ্নও তোলেনি। গণেশের একটা মাথা থাকা দরকার, আছে। তা হাতির না কিসের, অত খোঁজে দরকার কী বাপু আমাদের?

    আচ্ছা, সে না হয় পুরা কালের কথা। কিন্তু এই সেদিন যে পাথরমূর্তি গণেশের শুঁড় দিয়ে দুধ পানের গল্প দেশময় ছড়িয়ে গেল, শুধু সাধারণ পিকলু-ন্যাবলা-পাচি নয়, বহু ডক্টরেট, অফিসার, ম্যানেজার, আইনজ্ঞ তথা ভিআইপি যে গ্লাশে দুধ আর হাতে চামচ নিয়ে রাস্তায় লম্বা লাইনে আম আদমিদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে পড়লেন, সারা দেশে কম বেশি বাহাত্তর লক্ষ লিটার দুধ মাটিতে খেল, তার পেছনেও তো সেই আদি অকৃত্রিম বিশ্বাস। প্রশ্ন বা সন্দেহ নেই। মেনে নেবার কী অসীম আগ্রহ। প্রত্যকেরই বক্তব্য, গনেশের ধাতব বা পাথরের মূর্তি দুধ যদি না-ই খাবে, এত এত লোকে তাহলে ছুটে এল কেন? সকলেই কি বোকা?

    বিজ্ঞান-মনস্কতা এই অন্ধ বিশ্বাসকেই বদলাতে চায়। আগেভাগেই বিশ্বাস না করে, প্রথমে প্রশ্ন কর, নানা দিক থেকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বুঝবার চেষ্টা কর, সমস্ত সন্দেহ মোচন হলে তবে মানবে। তথ্য যুক্তি প্রমাণ ও প্রয়োগ—এই হল বিজ্ঞান তথা বিজ্ঞান-মনস্কতার প্রধান চারটে স্তম্ভ। নানাভাবে পর্যবেক্ষণ করে বাস্তব তথ্য যোগাড় কর, তার মধ্যে তুলনা করে হিসাবনিকাশ করে মাপজোক করে যুক্তি দিয়ে সাজিয়ে মূল পরিঘটনাটিকে দেখার চেষ্টা কর। হাতে কলমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রমাণ করা যায় কিনা দেখ। যে সিদ্ধান্ত বেরিয়ে আসছে তাকে কোন জায়গায় কীভাবে প্রয়োগ করা যায় দেখ, অর্থাৎ, তাকে কাজে লাগানো যায় কিনা দেখ। তারপর সেই সিদ্ধান্তকে গ্রহণ কর।

    আমার অবশ্য মাঝে মাঝে মনে হয়, আস্তিক নাস্তিক শব্দ-জোড়ার অন্য রকম অর্থও থাকা সম্ভব। যে বিচারের ধারায় যুক্তিবুদ্ধি স্বভাবগতভাবে অস্তমিত হয়ে যায় তাই হল আস্তিক দর্শন। পক্ষান্তরে, যে ধরনের চিন্তাধারার মধ্যে যুক্তিতর্ক প্রমাণ ও প্রয়োগের বুদ্ধি আবশ্যিকভাবে ন্যস্ত রয়েছে, তাকে বলা হয় নাস্তিক দর্শন। এইভাবে ভাবলেই বা ক্ষতি কী?

    [ঙ]
    এই পার্থক্যটা ঠিকমতো বোঝার দরকার আছে। কেন না, অনেক সময়ই কিছু লোককে বলতে শুনি, ধর্মের সাথে বিজ্ঞানের নাকি কোনো বিরোধ নেই। বিরোধ নাকি দুই তরফেরই কট্টরপন্থীদের মধ্যে। সত্যিকারের ধর্মের সারকথা যে মেনে চলে সে নাকি সত্য জানতে কখনও আপত্তি করে না, বরং জানতেই চায়। সত্যিকারের বড় বিজ্ঞানীদেরও নাকি ধর্মের প্রতি কোনো অসহিষ্ণুতা নেই, তাঁরা নাকি ধর্মকে বুঝতে চান, অনেকে নিজেরাই ধর্মপ্রাণ হয়ে থাকেন। ইত্যাদি।

    এই বক্তব্যে আমার দ্বিবিধ আপত্তি আছে। আপত্তিটা ব্যক্তিগত বিশ্বাসের জায়গায় গিয়ে নয়। যাঁরা ব্যক্তিগতভাবে ধর্মে বিশ্বাস করেন কিন্তু বিজ্ঞানের কাজটা বিজ্ঞানের নিয়মেই করেন, তাঁদের এই বিশ্বাস-আচরণের দ্বিভাজন (dichotomy) নিয়েই আমার আপত্তি। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী বিজ্ঞান চর্চা করা যায় না বলেই তাঁদের জোড়াতালি দিতে হয়। অক্ষয় কুমার দত্তের ফরমুলা অনুযায়ী বলতে পারি, জ্বর হলে আপনি মা কালীর নাম করতে পারেন, প্যারাসিটামল খেতে পারেন, আবার মা কালীর নাম নিতে নিতে প্যারাসিটামল খেতে পারেন। জ্বর কমার হলে ওই ওষুধেই কমবে। মা কালীর নামের মাহাত্ম্যে নয়। বীজগণিতের সমীকরণের আকারে লিখলে কালীনামের ফলাফল শেষ অবধি শূন্যই হবে।

    হ্যাঁ, এর মধ্যে ফরাসি যুক্তিবাদী দার্শনিক ভোলতেয়ারের সেই বিখ্যাত রসিকতারও ছাপ আছে। কে একজন তাঁকে বলেছিল, “আচ্ছা মশাই, মন্ত্র দিয়ে কি কাউকে মেরে ফেলা যায়?”

    “যায়, অবশ্যই যায়। তবে সঙ্গে আর একটা জিনিসও লাগবে।”

    “আর কী লাগবে?”

    “তেমন কিছু নয়, উপযুক্ত পরিমাণে কিছুটা সেঁকো বিষ। তাহলে মন্ত্রের কাজ ভালো হবে।”

    বিজ্ঞানের সাথে যে কোনো প্রকারের অন্ধ বিশ্বাসের একমাত্র এরকম “সেঁকো বিষ যুক্ত” সমন্বয়ই করা যায়। ধর্মের ক্ষেত্রেও এটা সত্য।

    সুতরাং, কোনো বড় বিজ্ঞানী হয়ত বলতে পারেন, অনেক কিছু জানার পরেও আমাদের এত জানতে বাকি যে জগতের রহস্য যেন আরও নিগূঢ় হয়ে উঠছে। জগতের এই শৃঙ্খলা, এত জটিলতা—এসবের ব্যাখ্যা হয় না একজন সুপারপাওয়ারের কথা ধরে না নিলে। তখনও আমাদের প্রশ্ন থেকেই যাবে, ধরে নিলেই কি সমস্ত রহস্যের ব্যাখ্যা হয়? সকলেই জানেন, হয় না। একটি বাস্তব পরিঘটনার পেছনে আর একটি কোনো আরও মৌলিক ও বাস্তব পরিঘটনাকে খুঁজে পেলে দ্বিতীয়টার সাহায্যে প্রথমটার ব্যাখ্যা হয়। মেঘ কীভাবে উৎপন্ন হয় জানলে বৃষ্টির একটা ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। অন্যত্র সেই জ্ঞানের প্রয়োগ ঘটানো সম্ভব হয়। কিন্তু ভগবান আমাদের বৃষ্টি দেন বললে নতুন কী জানা যায়? বৃষ্টি সম্পর্কে আমাদের এক দানাও জ্ঞান বাড়ে না। সেই জানা কাজেও লাগে না। যা জানি না, ঐশী শক্তি ঘটাচ্ছেন ধরে নিলেও তা অজানা এবং অধরাই থাকে। আবার অক্ষয় কুমারের ফরমুলায় বলতে হবে, জ্ঞানের জগতে একজন সুপারপাওয়ার আছে ধরে নেবার ফলও সেই শূন্যই। তবে আর তা ধরে নিয়ে কাম কী? অর্থাৎ, প্রশ্নটা ঝগড়ার নয়, ফলাফলের।

    জ্ঞানের সাথে জ্ঞানের সমন্বয় হয়। জ্ঞানের সাথে অজ্ঞতার কোনো সমন্বয় হয় কি? হয় না বলেই বিজ্ঞানের সাথে ধর্মের সমন্বয় সম্ভব নয়। যুক্তিবাদের সাথে কুসংস্কারের সমন্বয় সম্ভব হয় না। একটা চাইলে আর একটাকে ছাড়তে হবেই। ধর্ম হিন্দুকে বলে, গোমাংস ভক্ষণ করিও না, উহাতে মহাপাপ; ধর্ম মুসলমানকে বলে, কদাচ ভুলিও না, শুয়রের মাংস ভয়ানক হারাম। আর খাদ্য সংক্রান্ত বিজ্ঞান থেকে জানা যায়, রক্তচাপ হৃদরোগ ইউরিক অ্যাসিড ইত্যাদির সমস্যা না থাকলে বাল্য কৈশোর যৌবনে এই দুই (এবং আরও নানা) প্রকারের মাংস খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে শুধু ভালো নয়, অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। অশিক্ষিত ধর্মান্ধ গোঁড়া হিন্দু-মুসলমানের কথা ছেড়ে দিন, শিক্ষিত উদার মনস্ক কতজন এই দুইয়ের মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে আগ্রহী হবেন? বা আদৌ হয়ে থাকেন? এইভাবে দেখলে বোঝা যাবে, জীবনের সর্বক্ষেত্রেই বিজ্ঞান মনস্ক হতে চাইলে ধর্মমনস্কতাকে ছাড়িয়ে আসতে হবে। তা না হলে যেটা হবে সেটা আরও হাস্যকর। ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি তাঁদের শিক্ষার মালমশলা কাজে লাগিয়ে সেই ধর্মান্ধতার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেওয়া শুরু করবেন। অশৌচ পালনের সাথে ব্যাক্টিরিয়া নিধন, দাড়ি রাখলে গালে মশার কামড়ের হাত থেকে অব্যাহতি, ইত্যাদি . . . ।

    উল্টোটা তাঁরা কেউ করবেন না। কোনো বিজ্ঞানশিক্ষিত ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিই কখনও বলবেন না, অন্তত এযাবত আমি কাউকে বলতে শুনিনি, “আমাদের ঈশ্বর ভক্তির সঙ্গে আমরা কে কী খাই তার কোনোই সম্পর্ক নেই। ঈশ্বর মুরগিও দিয়েছেন, কলাও দিয়েছেন; গরুও দিয়েছেন, লেটুস পাতাও তৈরি করেছেন; ফুলকপিও বানিয়েছেন, শুয়রও পয়দা করেছেন। যিনি আল্লাহ তিনিই ভগবান তিনিই তো গড। নামে ভিন্ন হলেও আসলে তো এক। তা না হলে দুনিয়ায় অনেক ভগবানের অস্তিত্ব স্বীকার করে নিতে হত; সেটা সমস্ত ধর্মের পক্ষেই অস্বস্তিকর হয়ে যেত। সবই যখন সেই তাঁরই সৃষ্টি, তাঁর একটা জিনিস খেলে ভালো আর অন্য একটা খেলে দোষ হবে কেন? বিশেষ করে যখন এক ধর্মের নিষিদ্ধ খাদ্যগুলো অন্য ধর্মের ঈশ্বর বিশ্বাসীরা খেয়েদেয়ে দিব্যি হাজার হাজার বছর ধরে হজমও করেছে, টিকেও রয়েছে?” এইভাবে তাঁদের কেউ বলতে পারলে, ঈশ্বরব্যঞ্জনার কথাটা সত্য না হলেও একটা সমন্বয়ের আভাস অন্তত পাওয়া যেত। সেটুকুও আজ অবধি পাইনি।

    আরও একটা জলজ্যান্ত উদাহরণ দিই। ভারতে প্রতিবছর সাগরমেলায় বা প্রতি চার বছর অন্তর কুম্ভমেলায় লক্ষ লক্ষ লোক জড়ো হয়ে যে পবিত্র গঙ্গাস্নান করে তাতে সংশ্লিষ্ট জায়গায় ব্যাপক পরিবেশ দুষণ হয়। এই অসংখ্য মানুষের ফেলে যাওয়া বর্জ্য থেকে নদী সমুদ্র ও মেলার চারপাশের জল মাটি বায়ুর দীর্ঘমেয়াদি অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যায়। অনেক সময় ব্যাপক দুর্ঘটনাটা ঘটে, বিপুল ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি হয়। আরবে যারা হজ করতে যায় তাদের ক্ষেত্রেও এই একই কথা প্রযোজ্য। আজ পর্যন্ত কোনো একজন ধর্মপ্রাণ শিক্ষিত চিন্তাশীল মানুষকে বলতে শুনেছেন কি কেউ, “না, এরকম জমায়েত ভালো নয়। ব্যক্তি স্বাস্থ্য এবং পরিবেশের স্বাস্থ্য—কোনোটার পক্ষেই ভালো নয়”? কেউ কি বলেছেন, “ভগবান বল, আল্লাহ বল তিনি সর্বত্র বিরাজমান; তাঁকে খুঁজতে বা পেতে এত ক্লেশ স্বীকার করে কোনো একটা বিশেষ জায়গাতেই বা যেতে হবে কেন? তুমি যেখানে আছ, সেখানেও তিনি আছেন। সেখানেই তাঁর পূজাপাঠ আরাধনা সেজদা কর”? আমার জানা নেই।

    যদি ধর্মে বিশ্বাসী একজনও কেউ সাহস করে এসব কথা বলতে পারতেন, তাহলে বুঝতাম, সমন্বয়ের সামান্য হলেও সম্ভাবনা আছে। কিন্তু না। ধর্মে বিশ্বাসী কেউই তা বলতে পারেন না। পারেন না কেন না, তাঁরাও জানেন, শুধু একজন আপনভোলা ঈশ্বর নিয়ে ধর্ম হয় না। বাকি সমস্ত আচার বিচার প্রথা প্রকরণ গরু শুয়র টিকি দাড়ি আলতা সিঁদুর বোরখা মিলিয়েই ধর্ম। হিন্দুদের ক্ষেত্রে জাতপাত ছোঁয়াছুঁয়ি বজায় রেখেই ধর্ম। অন্তত বৃহত্তর জনসমষ্টির জন্য ধর্ম মানে তাই।

    এই অবস্থায় বিজ্ঞানের সাথে ধর্মের সমন্বয় ঘটানোর চেষ্টা করার একটাই মানে। তা হল, ধর্মবিশ্বাসীরা তাঁদের বিশ্বাস ও আচরণ থেকে এক চুলও নড়বেন না; বিজ্ঞান অনুরাগী যুক্তিবাদীদেরই তাঁদের জায়গা থেকে সরে আসতে হবে। মেনে নিতে হবে, হ্যাঁ, ধর্মে কিছু কিছু সত্য থাকলে থাকতেও পারে। ঈশ্বর বিশ্বাস থাকলে বিজ্ঞানের তো আর তেমন কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। অতএব আপাতত না হয় এরকম একটি প্রতিপাদ্যকে মেনে নেওয়াই যাক। আমার মনে হয়, বিজ্ঞানমনস্কতার তরফে এরকম ছাড় দেবার কোনো প্রয়োজন সপ্তদশ শতকে দকার্তের সময়ে থাকলেও আজ আর নেই। আমাদের পক্ষ থেকে এই সত্যটা স্পষ্ট উচ্চারণে বলতে পারা উচিৎ।

    [চ]
    পরিশেষে এ-ও দেখা দরকার, মানুষের জ্ঞান কোন রাস্তাতে বাড়ছে। যতদিন মানুষ শুধু ধর্মে গুরুতে মান্যগ্রন্থে বিশ্বাস করেছে ততদিন তার জ্ঞানের বিকাশ কতটা হয়েছে, আর যবে থেকে মানুষ জিজ্ঞাসার পথে, সংশয়ের পথে জানতে শুরু করেছে তখন থেকে তার জ্ঞানের বৃদ্ধি ও বিকাশের হার কী। এই তুলনায় গেলেই বোঝা যাবে কোনটা সত্যিকারের জানার পথ, আর কোন পথে হাঁটলে বিহারের ঘটনায় গিয়ে পৌঁছতে হবে। শুধু পদার্থবিজ্ঞান রসায়ন গণিত জ্যামিতি জীববিদ্যা ভূতত্ত্ব নৃতত্ত্ব ইত্যাদি নয়, ইতিহাস ভূগোল পুরাতত্ত্ব ভাষাতত্ত্ব অর্থনীতি—সব ক্ষেত্রে প্রশ্ন করে করে উত্তর খুঁজতে খুঁজতে, একের পর এক সন্দেহ নিরসন করতে করতে, মানুষ জানছে। মানুষের জ্ঞান সমৃদ্ধতর হচ্ছে। এই পথ ছেড়ে দেওয়ার মানে হল এযাবত যা জেনেছেন তাকে একটা গুদামঘরে ঢুকিয়ে দরজায় তালা মেরে চলে আসা।

    আমাদের দেশের ছাত্রদেরও তাই প্রশ্ন করতে শেখাতে হবে। শুধু বিজ্ঞানের বিষয় নয়, ইতিহাস ভূগোলও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে শেখাতে হবে। সূর্য চন্দ্রকেও চেনাতে হবে। দিক চেনাতে হবে। ছোটবেলা থেকেই যেন দিকভ্রষ্ট হয়ে না যায়। ইতিহাসের শিক্ষককেও ক্লাশে সংশ্লিষ্ট ভূগোলের মানচিত্র নিয়ে ঢুকতে হবে। শিক্ষার মধ্যে আরও অনেক কিছু করতে হবে, করা যায়। বিজ্ঞান শিক্ষার ক্ষেত্রেই শুধু নয়, শিক্ষার সমস্ত প্রকোষ্ঠেই বিজ্ঞানকে নিয়ে যেতে হবে। জীবনের সর্বক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক মনোবৃত্তিকে নিয়ে যেতে হবে। বিজ্ঞান-মনস্কতা বৃদ্ধির আর কোনো শর্টকাট রাস্তা নেই।

    পুনশ্চ: এই প্রবন্ধে কোনো ধর্মবিশ্বাসীর ব্যক্তিগত বিশ্বাসে আঘাত দেবার কোনো অভিপ্রায় ছিল না। তথাপি যদি কেউ আহত বোধ করেন তার জন্য আমি আমার অসহায়তা প্রকাশ করে রাখছি। বিহারের ঘটনাটি জানার পর ক্ষত বিক্ষত হৃদয়ে বিজ্ঞানমনস্কতার পক্ষ থেকে উপরোক্ত কথাগুলি উচ্চারণ না করে আমিও পারছিলাম না।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | ১৩৯০২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রৌহিন | 233.223.134.209 (*) | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৮:০২51844
  • দারুণ। এটা আগেরটার চেয়েও বেশী তীক্ষ্ণ লাগলও।
    "জ্ঞানের সাথে জ্ঞানের সমন্বয় হয়। জ্ঞানের সাথে অজ্ঞতার কোনো সমন্বয় হয় কি? হয় না বলেই বিজ্ঞানের সাথে ধর্মের সমন্বয় সম্ভব নয়। যুক্তিবাদের সাথে কুসংস্কারের সমন্বয় সম্ভব হয় না। একটা চাইলে আর একটাকে ছাড়তে হবেই।" - কান্ট এগ্রী মোর। আসলে প্রায় গোটা লেখাটার সঙ্গেই - কান্ট এগ্রী মোর।
  • amit | 213.220.94.135 (*) | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১০:২৪51845
  • অসাধারণ লেখা। শেয়ার করলাম ফেবুতে।
  • dc | 132.164.227.140 (*) | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:০৯51847
  • দুটো লেখাই পড়তে খুব ভাল্লেগেছে, তবে দ্বিতীয় ভাগটা আরো জরুরি মনে হলো। বিশেষ করে পৃথিবী জুড়ে সিউডোসায়েন্স যখন অদ্ভুতভাবে বাড়ছে।

    "বিজ্ঞান-মনস্কতা মানে হল বৈজ্ঞানিক মনোবৃত্তি, যুক্তিশীল মননচর্চা, বৈচারিক চিন্তাকৌশল"

    এটা বোধায় পুরো লেখার মূল কথা। যুক্তিশীল মননচর্চা, সবকিছুকে প্রশ্ন করা।
  • ধর্মপ্রাণ | 56.166.188.244 (*) | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:১৬51848
  • গুড়গুড়ে কৃষ্ণব্যাল ভট্টাচার্য—মহাপন্ডিত বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের খবর তাঁর নখ-দর্পণে। শরীরটি অস্থিচর্মসার; বন্ধুরা বলে তপস্যার দাপটে, শত্রুরা বলে অন্নাভাবে! আবার দুষ্টেরা বলে, বছরে দেড়কুড়ি ছেলে হ'লে ঐ রকমই চেহারাই হ'য়ে থাকে। যাই হোক্, কৃষ্ণব্যাল মহাশয় না জানেন এমন জিনিসটিই নাই, বিশেষ টিকি হ'তে আরম্ভ ক'রে নবদ্বার পর্যন্ত বিদ্যুৎপ্রবাহ ও চৌম্বকশক্তির গতাগতিবিষয়ে তিনি সর্বাজ্ঞ। আর এ রহস্যজ্ঞান থাকার দরুন দুর্গাপূজার বেশ্যাদ্বার-মৃত্তিকা হ'তে মায় কাদা, পুনর্বিবাহ, দশ বৎসরের কুমারীর গর্ভাধান পর্যন্ত সমস্ত বিষযের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা করতে তিনি অদ্বিতীয়। আমার প্রমাণ-প্রয়োগ-সে তো বালকেও বুঝতে পারে, তিনি এমনি সোজা ক'রে দিয়েছেন। বলি, ভারতবর্ষ ছাড়া অন্যত্র ধর্ম হয় না, ভারতের মধ্যে ব্রাহ্মণ ছাড়া ধর্ম বুঝবার আর কেউ অধিকারীই নয়, ব্রাহ্মণের মধ্যে আবার কৃষ্ণব্যালগুষ্টি ছাড়া বাকী সব কিছুই নয়, আবার কৃষ্ণব্যালদের মধ্যে গুড়গুড়ে!!! অতএব গুড়গুড়ে কৃষ্ণব্যাল যা বলেন' তাহাই স্বতঃপ্রমাণ। মেলা লেখাপড়ার চর্চা হচ্ছে, লোকগুলো একটু চমচমে হয়ে উঠেছে, সকল জিনিস বুঝতে চায়, চাকতে চায়, তাই কৃষ্ণব্যাল মহাশয় সকলকে আশ্বাস দিচ্ছেন যে, মাভৈঃ, যে-সকল মুস্কিল মনের মধ্যে উপস্থিত হচ্ছে, আমি তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা করছি, তোমরা যেমন ছিলে তেমনি থাক। নাকে সরষের তেল দিয়ে খুব ঘুমোও। কেবল আমার বিদায়ের কথাটি ভুলো না। লোকেরা বললে—বাঁচলুম, কি বিপদই এসেছিল বাপু! উঠে বসতে হবে, চলতে ফিরতে হবে, কি আপদ!! 'বেঁচে থাক্ কৃষ্ণব্যাল' ব'লে আবার পাসে ফিরে শুলো। হাজার বছরের অভ্যাস কি ছোটে? শরীর করতে দেব কেন? হাজারো বৎসরের মনের গাঁট কি কাটে! তাই না কৃষ্ণব্যালদের আদর!
  • Carl Sagan | 173.172.150.189 (*) | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৫:১৩51849
  • An atheist has to know a lot more than I know. An atheist is someone who knows there is no God.
  • dc | 132.164.227.140 (*) | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৫:২০51850
  • কোটটায় বোধায় খানিক ভুল আছে। এই ডিসকাশনটা দেখতে পারেনঃ

    https://en.wikiquote.org/wiki/Talk:Carl_Sagan

    An atheist is someone who is certain that God does not exist, someone who has compelling evidence against the existence of God. I know of no such compelling evidence.

    তাছাড়াও কার্ল সাগানের নানান লেখা বা ইন্টারভ্হিউ পড়লে/দেখলে যদ্দুর মনে হয় ওই লাস্ট লাইনটায় উনি বিশেষ এমফ্যাসিস দিতে চেয়েছেন। কনট্যাক্ট গলটায় থেইজম আর এথেইজম নিয়ে অনেকটা ডিবেট আছে, যাতে মনে হয় উনি এটাই বলতে চেয়েছেন যে ওপেন মাইন্ড আর র‌্যাশনাল মাইন্ড এই দুটোই খুব জরুরি।
  • ভুল ? সত্যি ? | 56.165.230.5 (*) | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৫:৫১51851
  • Every so often I get an e-mail out of the blue about two sentences in a story published in The Post in 1996. I quoted Carl Sagan: “An atheist has to know a lot more than I know. An atheist is someone who knows there is no God.”

    Astronomer Carl Sagan prepares for television series ‘Cosmos’ in 1981. He co-wrote the PBS series with his wife, Ann Duryan.

    People who contact me want to know where the quote came from. Answer: He said it to me in an interview. (I might even have it on tape somewhere in the bottom of a file box). He said identical, or similar things, many times. You can find such material in his voluminous papers now archived at the Library of Congress.

    https://www.washingtonpost.com/news/achenblog/wp/2014/07/10/carl-sagan-denied-being-an-atheist-so-what-did-he-believe-part-1/
  • dc | 132.164.227.140 (*) | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৬:০৬51852
  • ওয়াশিংটন পোস্টের এই কোটটা আমার খুব প্রিয় কারন এটা সাগানের জীবনদর্শনের একটা ইমপর্ট্যান্ট দিকঃ “I am not an atheist. An atheist is someone who has compelling evidence that there is no ... God. I am not that wise, but neither do I consider there to be anything approaching adequate evidence for such a god. Why are you in such a hurry to make up your mind? Why not simply wait until there is compelling evidence?” (ডট ডট পোর্শানটুকু আমি ডিলিট করেছি)। আর এটা নিয়ে আমার একটা ভালো স্মৃতি আছে। ছোটবেলা থেকেই সাগান আমার প্রিয় ক্যারেক্টার ছিলেন, ব্রোকাস ব্রেন থেকে কনট্যাক্ট লেখাগুলো, আর ওনার কসমস টিভি সিরিজের জন্য। তো একটা ইন্টারভিউতে আমার হিরো কে প্রশ্ন করেছিল, আমি সাগানের নাম নিয়েছিলাম। আর তার পর বোর্ডে একজন দেখি আমার সাথে কসমস সিরিজটা, পায়োনিয়ার এর মেসেজটা আর এই অ্যাথেইজম ইত্যাদি নিয়ে ভাটাতে শুরু করলেন। তো এটা বলা যায় যে লেখকের "বিজ্ঞানমনস্কতা"র উপদেশ আমার জীবনে প্র্যাক্টিকালি কাজে দিয়েছে।
  • রৌহিন | 113.42.126.157 (*) | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৭:০৬51857
  • না অবশ্যই এক নয়। রিলিজিয়ন বলতে এখানে প্রতিষ্ঠিত ধর্মের কথা বলা হচ্ছে। আদিবাসীদের লোকায়ত ধর্মচর্চা কোন প্রতিষ্ঠান নয় - তা রাজনৈতিক বলে বলীয়ানও নয়। নিতান্তই তাদের নিজস্ব সংস্কৃতির অঙ্গ। আদিবাসীদের এই সব লৌকিক ঈশ্বর অনেক সময়েই সেই অর্থে অতিলৌকিক কোন কনসেপ্টও নয় - তারা মূলতঃ প্রকৃতিকে পূজা করেন। টেকনিকালি সেটাকে "রিলিজিয়ন" বলবেন কি না তাতে কিছু যায় আসে না - প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম আর এই ধর্মাচরণ এক কখনোই নয়।
    আর সেই ধর্মের কারণে তারা উন্নয়নের বিরুদ্ধে, এটাও ভুল সত্য। আসল কথা হল, উন্নয়নই তাদের বিরুদ্ধে। তাদের ভিটেমাটি উৎখাত না করলে, অরণ্যচারী থেকে সস্তা শ্রমিকে রূপান্তরিত না করতে পারলে উন্নয়নের রথ থমকে যাবে। ওরা যেটা করছেন, সেটা নিজেকে বাঁচানোর এক অসহায় চেষ্টা মাত্র। প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের শয়তানীর সাথে তার কোন তুলনাই চলে না।
  • Ranjan Roy | 132.162.116.133 (*) | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৭:৪৫51858
  • হাতের কাছে কথামৃত নেই, যতদূর মনে পড়ছে ঠাকুর বহুবার বলেছেন-- বিচার করবে না। কলিতে মুক্তির পথ নারদীয় ভক্তি। আমার বিচার আচার সব ভুলিয়ে দে মা!
    আম খাওয়ার উদাহরণ উনি বহুবার বিভিন্ন প্রসঙ্গে দিয়েছেন বলেই মনে হয়।
    নেতি নেতি করে বিচার করতে গেলে পেঁয়াজের খোসা ছাড়ানোর দশা হবে। নুনের পুতুল সাগর মাপতে নেমেছিল ইত্যাদি। বিশ্বাসের জোরের পক্ষে উনি বেশি বলেছেন।
    অবশ্যই গুরুকে বিশ্বাস করার আগে ভাল করে বাজিয়ে নিতে বলেছেন। কিন্তু সর্বদা জ্ঞানমার্গের থেকে ভক্তিমার্গের উপর জোর দিয়েছেন।
  • Dilip | 172.251.167.74 (*) | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:৩১51853
  • The author is correct about making no compromise with religion. Religion is a roadblock to development. Look at Niyamgiri. Some uneducated tribal people blocking development for their stupid religious beliefs. We science-minded people must protest against this. Need a Stalin to buldoze all religious activities.
  • রৌহিন | 113.214.138.26 (*) | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:৫৬51854
  • ওপরে একটা অসম্ভব ভুল উদাহরণ দিলেন। নিয়মগিরির প্রতিবাদ মোটেই সেই অর্থে "ধর্মীয়" নয় - যতটা তাদের লোকায়ত আচার ভিত্তিক। প্রকৃতির পক্ষে এবং মেকি উন্নয়নের বিরুদ্ধে। ধর্মীয় নয় বলেই তাকে পায়ের তলায় পিষে গুঁড়িয়ে উন্নয়নের চাকা গড়াতে রাষ্ট্রযন্ত্র একটুও দ্বিধা করে না। কারণ ওই উন্নয়নও তো ঈশ্বরের মতই - অপৌরুষেয় টাইপ - যাকে প্রশ্ন করা চলে না।
  • sch | 113.51.148.61 (*) | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১০:৪৬51855
  • রামকৃষ্ণের যে উদ্ধৃতিটি তোলা হয়েছে লেখাতে তার কন্টেক্সটটা এই রকম ছিল

    "বৈষ্ণব । ম’শয়, আবার জন্ম কি হয় ?
    শ্রীরামকৃষ্ণ । গীতায় আছে, মৃত্যুসময় যে যা চিন্ত করে দেহত্যাগ করবে, তার সেই ভাব লয়ে জন্মগ্রহণ করতে হয় । হরিণকে চিন্তা করে ভরত রাজার হরিণ-জন্ম হয়েছিল ।
    বৈষ্ণব । এটী যে হয়, কেউ চোখে দেখে বলে ত বিশ্বাস হয়।
    শ্রীরামকৃষ্ণ । তা জানি না বাপু । আমি নিজের ব্যামে। সারাতে পারছি না—আবার মলে কি হয় !
    “তুমি যা বলছে। এ সব হানবুদ্ধির কথা । ঈশ্বরে কিসে ভক্তি হয়, এই চেষ্টা করে । ভক্তিলাভের জম্বাই মানুক্ৰ হক্সে জন্মেছ । বাগানে আম খেতে এসেছ, কত হাজার ডাল, কত লক্ষ পাতা, এ সব খপরে কাজ কি ? জন্মজন্মান্তরের খপর !"

    এখান থেকে কি করে ইন্টেরপড়িটেশান হল যে রামকৃষ্ণ বারণ করেছিলেন অনুসন্ধিৎসু না হতে সেটা বুঝলাম না -বরং উল্টোটাই পড়ে এসেছি যে রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দকে বারবার বলেছেন গুরুকে পরীক্ষা করে নিতে। অন্ধ ভাবে বিশ্বাস না করতে। সে যা হোক এই কোটেশান তুলে ধর্মগুরুররা অন্ধ ভাবে বশ্বাস করতে বলেছেন এরকম ব্যাখ্যা কি করে দেওয়া গেল বুঝলাম না

    "ভারতে প্রতিবছর সাগরমেলায় বা প্রতি চার বছর অন্তর কুম্ভমেলায় লক্ষ লক্ষ লোক জড়ো হয়ে যে পবিত্র গঙ্গাস্নান করে তাতে সংশ্লিষ্ট জায়গায় ব্যাপক পরিবেশ দুষণ হয়। এই অসংখ্য মানুষের ফেলে যাওয়া বর্জ্য থেকে নদী সমুদ্র ও মেলার চারপাশের জল মাটি বায়ুর দীর্ঘমেয়াদি অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যায়। অনেক সময় ব্যাপক দুর্ঘটনাটা ঘটে, বিপুল ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি হয়।"

    লেখক নিশ্চয় কুম্ভ মেলায় গেছেন । সাগরেও। এই মেলাগুলোর সোস্যাল এবং ইকনমিক্যাল দৃষ্টিকোণগুলো নিশ্চয়ই ভালোভাবে জানেন। তাহলে এটাও নিশ্চয়ই জানেন ওঈ সাগর মেলা নামক বস্তুটি না হলে গঙ্গাসাগরে যে সব মানুষ আছেন তারা না খেতে পেয়ে মারা যেতেন। ওই এক দেড় মাসে যে উপার্জনটুকু হয় ওটাই তাদের সারা বছরের ভরসা ।

    আর কুম্ভ তো একটা এমন সোস্যাল ফেনমেনন যেটা গ্লোবাল ইন্টারেস্টের কারণ হয়েছে।
    ২০১৩ র কুম্ভ মেলা নিয়ে অনুসন্ধান করতে এসেছিলেন হার্ভার্দের একটি দল - তাদের বিষয় ছিল " Kumbh Mela: Mapping the Ephemeral Megacity"। প্রায় দু বছর ধরে তাদের গবেষণা চলছে কুম্ভর নানা দিক নিয়ে। সাম্প্রতিক কালে একটা আলোচনা চক্রে কিছু কথা বলেছেন তারা। তার মধ্যে এই কথাটা কুম্ভ সম্বন্ধে খুব মূল্যবান
    "The panelists agreed that the festival served a crucial pedagogical tool, as it brought together disciplines that do not always work together. “All of the boundaries collapsed, and people began to speak to each other,”"
    http://southasiainstitute.harvard.edu/kumbh-mela/post/studying-the-kumbh-mela-from-many-perspectives/

    কুম্ভের দূষণের মাত্রা কমানোর জন্যে নতুন নতুন চেষ্টা চলছে। বেশ কিছু টেম্পরারি টয়লেট টেকনোলজি দেভেলপমেন্ট হয়েছে গত কয়েকটা কুম্ভে - মেলা পরবর্তী মেলা প্রাঙ্গণ পরিষ্কার করার উদ্যোগ আরো বাড়ছে। দুষণের মোকাবিলা করতে হবে বিজ্ঞানের হাতিয়ার দিয়ে। আর কুম্ভে প্রতিবার বিশাল সংখ্যক লোক মারা যায় না - সাগরে তো নয়ই। একটা বড়ো উৎসবে কয়েক লাখ লোক জড়ো হলে কিছু অনভিপ্রেত দুরঘটনা ঘটবেই । সে তো যুব ভারতীতে বড়ো খেলা হলে প্রতিবার টেম্পো উল্টে ট্রাক উল্টে কিছু লোক মারা যান। তা বলে খেলা বন্ধ করে দিতে হবে? নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করতে হবে, harvardএর লিঙ্কটা পড়লে বোঝা যাবে কি ভাবে টেকনলজিকে ইউজ করা হচ্ছে বেটার সার্ভিসের জন্য।

    ভারতবর্ষের অর্থনিতি আবং সমাজ ব্যবস্থায় এই বিসাল মেলাগুলোর একটা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা আছে। সেটা কাজে লাগিয়ে কুসংস্কারের উচ্ছেদ করা সম্ভব। সেটা হল সদর্থক পদক্ষেপ - কিন্তু মেলা থেকে দূষণ হইয় - কাজেই মেলা বন্ধ কর - এতা খুব নেগেটভ মানসিকতা।
  • Dilip | 15.255.80.27 (*) | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:৩৮51856
  • @Rouhin, I don't get your point. Tribals worship niyam raja, their god there. Do you mean that is not religion? So worshipping god is not religion for you?
  • সুকি | 129.160.188.161 (*) | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:০১51846
  • ভালো লেগেছে লেখা। এটা আমার প্রিয় বিষয়গুলির মধ্যে একটা। অনেকদিন ধরে এই নিয়ে লেখার ইচ্ছে - প্রচুর রেফারেন্স যোগাড় করেছিলাম বা আছে। শুরুও করেছিলাম লিখতে কিন্তু প্রবল হতাশার কবলে পড়ে লেখা আর শেষ করা হয় না। খালি মনে হয় কি হবে লিখে? আপনি যেমন উদাহরণ দিলেন সেই সব অন্ধবিশ্বাস জাতীয় ব্যাপারগুলিও দেখি সো-কলড বিজ্ঞানের লোকেরাও দিনের পর দিনে মেনে চলছে - এদের অনেকের দেখি হাই-ফাই ডিগ্রী।

    আপনি সময় নিয়ে সুন্দর বাংলায় লিখেছেন বলে আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।
  • sch | 132.160.114.140 (*) | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:১৫51864
  • শুধু যদি টুরিজম এর দিক থেকে দেখেনও

    "In a Forecast Paper on `Maha Kumbh Mela 2013- Possible Revenue Generation Resources for Uttar Pradesh’ brought out by ASSOCHAM, it has been projected that the Maha Kumbh event alone will generate additional employment opportunities for over 6 lakhs workforce in sectors such as airlines & airports, hotels, tour operators, flyover besides medical & eco-tourism. The unorganised sectors activities would also gain the best out of Maha-Kumbh event as its boom will accrue it the maximum economic gains.

    The estimates of the Paper further reveal that during Maha Kumbh alone, about 1 million international foreign tourists are expected to visit India for site seeing which include religious, eco-tourism. In Maha Kumbh"

    "Apart from Allahabad, other nearby States like Rajasthan (Jaipur, Jabalpur, Udaipur, Bhilwara, Kota etc), Uttarkhand (Nainital, Musoorie, Aulli, Dehradun, Haridwar, Ranikhet, Almora), U.P. (Agra, Lucknow) Punjab (Amrtisar, Chandigarh, Ludhaiana), Himachal Pradesh (Shimla, Kufri, Manali, Panchkula) will also be the major beneficiaries States in revenue generation where large number of foreign tourists are expected to explore tগেছি।ourists destinations”, said Mr. Rawat.""

    source: http://assocham.org/newsdetail.php?id=3853

    কোনো দেশের সরকার ঈশ্বর বিরোধী ঘোর কমিউনিস্ট বা বদ্ধ উন্মাদ হলেও মনে হয় এরকম একটা রেভিনিউ আর্নিং উৎসব বন্ধ করবার চিন্তাও করবেন না। তাছাড়া ওই হার্ভার্ডের স্টাডিতেও বারবার উঠে এসেছে কালচারালাল এক্সচেঞ্জের কথা। সোস্যাল সায়েন্সও কিন্তু একটা বিজ্ঞান।

    ব্যক্তিগতভাবে আমি এলাহাবাদে মহাকুম্ভ ২০১৩ তে কয়েকদিনের জন্য গেছি, তীর্থযাত্রী হিসেবে না, sanitation এবং solid waste এর সিস্তেম দেখতে। একাধিক নতুন ধরণের পাবলিক টয়লেট সিস্টেম এই মেলায় পরীক্ষা করা হয়েছিল, সবটা সফল না হলেও কিছু উন্নতি হয়েছে আগের থেকে। আর সব থেকে বড়োব্যাপার শৌচালয়ের সাথে অনেকের প্রথম পরিচয় ঘটে এখানে এসে। সরকারের যে total sanitে ation campaign বা এখনকার স্বচ্ছ ভারত অভিযান - তার প্রকৃত সাফল্য বেশ খারাপ। েই মেলাগুলো একটা বিশাল সুযোগ অনেক মানুষকে একসাথে স্যানিটেশানের গুরুত্ব বোঝানোর।

    ব্রিগেডে রাজনৈতিক দলের সভা হলেও পলিউশান হয় - তার জন্যে দরকার জন চেতনা বাড়ানো - ভালো ইনফ্রাশট্রাকচার তৈরী করা। সেটাই বৈজ্ঞানিক মানসিকতা। তার মানে সমস্ত পাবলিক গ্যাদারিং বন্ধ করে দেওয়া না।
  • sch | 132.160.114.140 (*) | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৪০51865
  • কোনো হাফ পাগল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব গঙ্গাসাগরকে ট্যুরিজম স্পট হিসেবে চিন্তা করেছিলেন এবং করে চলেছেন। মূড়িগঙ্গার ওপর গাড়ি চলাচলের ব্রীজ না হলে কোনো ট্যুরিজম সম্ভব না। ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের সহায়তায় integrated coastal zone management program -এর পার্ট হিসেবে সাগর দ্বীপের গঙ্গা সাগর অংশটি আছে। এই সূত্রে একটি প্রফেসানাল সংস্থা (তারা সারা পৃথিবীতে নানা জায়গায় ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট করেন) অনুস্নধান করে সরকারকে তাদের রিপোর্ট জানিয়েছেন প্রচুর ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইম্প্রুভমেন্ট না হলে এবং মূড়িগঙ্গার ওপর সেতু না হলে এখানে কোনো টুরিজম সম্ভব না। এবং কপিল মুনির মন্দির ছাড়া আলাদা কোনো ট্যুরিজম আট্রাকশান গড়ে তোলা বেশ কঠিন। ওই মন্দির কেন্দ্রিক ট্রুরিজমই হওয়া সহজ

    এখন আগামী দশ বছরে মুড়িগঙ্গার ওপর ব্রিজ হওর সম্ভাবনা নেই - আর সরকারও এতই আগ্রহী ত্যুরিজম গড়ে তুলতে যে ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের সহায়তায় ওখানে যে state of the art history museum হওয়ার কথা ছিল সেটাকে কোল্ড স্টোরেজে পাঠিয়ে। সরকারের সেক্রেটারি নিজেই দাত খিচিয়ে বললেন - দুর মশাই - কটা লোক অখানে যাবে। এসব করে লাভ নেই। গঙ্গা সাগরের সময় দূষণ কমানোর চেষ্টা চলছে। মেলার সময় ওই অঞ্চলটি open defecation free অঞ্চলে পরিনোত করার চেষ্টা হচ্ছে - এবং সবই বিজ্ঞান বা টেকনোলজিকে হাতিয়ার করে।
    মেলা বন্ধ করে দিলে ওই দ্বীপের অর্থনীতি ধ্বংস হতে অল্প সময় লাগবে।
  • কিন্তু | 56.166.188.224 (*) | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:০৫51866
  • রামকৃষ্ণের উপদেশ তো প্র্যাকটিশনারদের জন্য । যারা শুধু তর্কে নয়, করে দেখতে আগ্রহী । কেউ সূর্য দেখতে চাইলে তাকে ঘরের বাইরে গিয়ে আকাশের দিকে দেখতে হবে । বসে বসে বইয়ে সূর্য এত দূরে আছে, তার স্ট্রাকচার এমন, তার উত্তরায়ণ দক্ষিণায়ন মুখস্থ করে গেলে তো সূর্য দেখা যাবে না । অশোকবাবুরই প্রথম পর্বের লেখায় প্রায় এরকম একটা উদাহরণ ছিল । এখন একে গভীরে গিয়ে জানার ইচ্ছার অভাব বলবেন না হাতেকলমে জানা বলবেন ঠিক করুন ।
  • রৌহিন | 113.42.126.157 (*) | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:৩৬51867
  • দিলীপবাবু অবাক আপনার লাগতেই পারে - একটা জায়গায় আটকে গেছেন। এক এক করে বলি -
    ১। "আদিবাসিদের ধর্ম ধর্ম নয় - এতা আদিবাসিদের বলে দেখবেন কখনু " - এটা আপনাকেই বলিনি তো আদিবাসীদের বলতে যাব কেন। যেটা বলেছি, আরো একবার বলছি - আদিবাসীদের ধর্ম আর প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম এক নয়। দুটো কথার পার্থক্য না বুঝে থাকলে আরো পাঁচ ছ-বার পড়ে ফেলুন।
    ২। "আপনি কি শিব পুজার বিপক্ষে কিন্তু নিয়ম্রাজা পুজার পক্ষে ?" - হ্যাঁ। এটা একদম ঠিক বুঝেছেন। কারণটা বুঝতে হলে এক নম্বরের অর্থ আগে অনুধাবন করতে হবে।
    ৩। "আদিবাসিদের ঝারফুক, ওঝা ডাকা - এসব সমরথন করেন ?" - আমি বা আপনি সমর্থন করি বা না করি তাতে কী এসে যায়? তাদের জীবন যাত্রায় এক ফোঁটাও সাহায্য না করতে পারলে তার ভাল মন্দ নিয়ে বলবার কোন অধিকার আছে আমাদের? "সভ্য" বলে? বাল ছেঁড়া গেছে ওই সভ্যতার।
    ৪। "লেখক মনে হয় আপনার সংগে একমত হবেন না । উনি মনে করেন এখানে আপসের জায়গা নেই আর জেটা আমার মতে ঠিকি ।" - এটা লেখকের মুখ থেকেই শুনবো। আমার সঙ্গে তিনি বা তাঁর সঙ্গে আমি সব প্রশ্নে একমত না-ই হতে পারি - তাতে অসুবিধা কোথায়? প্রো এবং কন আলোচনা হবার জন্যই তো এই লেখার অবতারনা।
    যাই হোক ভুল বানানগুলো বড্ড চোখে লাগছে। হয়তো ফোন থেকে বা সাইটের সফটওয়ারে লেখার অসুবিধের কারণে হচ্ছে - সেরকম কিছু হলে এখানে নির্দ্বিধায় জানাতে পারেন - অনেকেই সাহায্য করবেন খুশী মনে।
  • Ekak | 53.224.129.63 (*) | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৪:১৮51868
  • রৌহিন যেটা বলছেন ওটা একটা রাজনীতি । প্রান্তিকের ধর্ম আর প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক হলো হাই প্রায়োরিটি ইভিল । ও নিয়ে দিস্তে দিস্তে আছে , পড়েছি ।

    কিন্তু ওই দিয়ে আদৌ কোনোভাবেই প্রমান হয়না যে নিয়ম রাজার পুজো একটা একট হিসেবে আনসায়েন্টিফিক নয় । বা কোনো এক দেবতা পাহাড়ে আছেন বলে পাহাড় ভাঙা যাবেনা এটা সায়েন্টিফিক দাবি । এসব কিছুই প্রমান হয়না । ওগুলোও অন্ধ বিশ্বাস । ওগুলোও বিগেন বিরোধী । এস সিম্পল এস দ্যাট ।

    বিজ্ঞান ব্যাপারটাই এরকম । সুবিধেও করে । ঝামেলাতেও ফ্যালে । রাজনীতির মতো তাকে টুইস্ট করে ব্যবহার করা যায়না ।
  • Dilip | 188.17.170.201 (*) | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৪:২৪51859
  • রউহিনবাবু, আপনার যুক্তি সুনে আমার অবাক লাগছে । আদিবাসিদের ধর্ম ধর্ম নয় - এতা আদিবাসিদের বলে দেখবেন কখনু । আপনি কি শিব পুজার বিপক্ষে কিন্তু নিয়ম্রাজা পুজার পক্ষে ? আদিবাসিদের ঝারফুক, ওঝা ডাকা - এসব সমরথন করেন ? লেখক মনে হয় আপনার সংগে একমত হবেন না । উনি মনে করেন এখানে আপসের জায়গা নেই আর জেটা আমার মতে ঠিকি ।
  • বিচার | 99.163.237.45 (*) | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৪:৪১51860
  • “বিচার করতে করতে আমি-টামি আর কিছুই থাকে না। পেঁয়াজের প্রথমে লাল খোসা তুমি ছাড়ালে, তারপর সাদা পুরু খোসা। এইরূপ বরাবর ছাড়াতে ছাড়াতে ভিতরে কিছু খুঁজে পাওয়া যায় না।

    “যেখানে নিজের আমি খুঁজে পাওয়া যায় না -- আর খুঁজেই বা কে? -- সেখানে ব্রহ্মের স্বরূপ বোধে বোধ কিরূপ হয়, কে বলবে!

    “একটা লুনের পুতুল সমুদ্র মাপতে গিছিল। সমুদ্রে যাই নেমেছে অমনি গলে মিশে গেল। তখন খবর কে দিবেক?

    “পূর্ণ জ্ঞানের লক্ষণ -- পূর্ণ জ্ঞান হলে মানুষ চুপ হয়ে যায়। তখন ‘আমি’রূপ লুনের পুতুল সচ্চিদানন্দরূপ সাগরে গলে এক হয়ে যায়, আর একটুও ভেদবুদ্ধি থাকে না।

    “বিচার করা যতক্ষণ না শেষ হয়, লোকে ফড়ফড় করে তর্ক করে। শেষ হলে চুপ হয়ে যায়। কলসী পূর্ণ হলে, কলসীর জল পুকুরের জল এক হলে আর শব্দ থাকে না। যতক্ষণ না কলসী পূর্ণ হয় ততক্ষণ শব্দ।
  • Dilip | 119.163.234.8 (*) | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৫:২৭51869
  • রৌহিনবাবু, আমি বাংলায় লেখা শুরু করেছি, এখনও ভালো অভ্যাস হয়নি তাই ভুল হয়ে যাচ্চে । চেষ্টা করছি ঠিক করার ।
    ১। আপনি আদিবাসিদের ধর্মকে আলাদা করছেন এটা বুঝেছি । কিন্তু কেন করছেন সেটা বুঝিনি । কম লোক মানে বলে ? শিবরামের একটা গল্প আছে দেখবেন দেবতার জন্ম । পাথরের টুকরো কে লোকে দেবতা বানিয়ে দিল । যদি ভাবেন ত দেখবেন শিবলিঙ্গ বা শালগ্রামু তাই । সেটাকেও কেউ প্রক্রিতি পুজা বলতে পারেন । কিন্তু কম লোক পুজা করলেই সেটা বিজ্ঞানসম্মত হয়ে যায় না । এটা একক বাবুও দেখলাম লিখলেন ।
    ২। এটা একই ব্যপার । আপনি কালিপুজায় পশুবলি সমর্থন না করে নিয়মরাজার পুজায় একই জিনিস সমর্থন করলে আমার কিছু বলার নেই ।
    ৩। এটা মনে হল সত্যজিত রায়ের আগন্তুক সিনেমার প্রভাব । কিন্তু আদিবাসিদের সব ভাল, যেমন আছে তেমনই থাক; এরকম ভাবার চেয়ে ওদেরকে আধুনিক সুযোগ সুবিধের ব্যবস্থা করে দেওয়া কি ভাল না ? তাদের এলাকায় উন্নয়ন আটকে দিলে তা কি সম্ভব ?
    ৪। এটা ঠিকই বলেছেন । লেখক যা বলার নিজেই বলবেন । একমত হওয়া না হওয়া যার যার ব্যাপার ।
  • sm | 53.251.91.253 (*) | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৫:৫৭51870
  • দিলীপ বাবু ধন্যবাদ; বাংলায় লিখছেন বলে।
    আদিবাসীদের সব কিছু ভালো এমন না। কিন্তু তারা সরল।যা করে, অন্তর থেকে করে। যাকে পুজো করে (সে গাছ,পাথর) যাই হোক। সেটাই তাদের ঈশ্বর। যে রিচুয়ালস ফলো করে;সেটাই তাদের ধর্ম। প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের সঙ্গে বেশি তফাৎ নাই- যেটুকু পার্থক্য তা হলো প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের পড়তে পড়তে অনেক বদমায়েশি মিশে রয়েছে।
    আর উন্নয়ন! উন্নয়ন মানে তো মালিকের পকেট ভরা আর আদিবাসী দের পুরো ইকোসিস্টেম টাকে ভোগে পাঠানোর চক্রান্ত।
  • Debabrata Chakrabarty | 59.32.16.234 (*) | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৬:৫৩51871
  • " বিজ্ঞান ব্যাপারটাই এরকম । সুবিধেও করে । ঝামেলাতেও ফ্যালে । রাজনীতির মতো তাকে টুইস্ট করে ব্যবহার করা যায়না ।" ইকি বললেন একক? বিজ্ঞানকেই তো সবথেকে বেশী টুইস্ট করে ব্যবহার করা যায়। মার্কস বাদ বিজ্ঞান সম্মত তাই বাকি সব বাতিল । এই মানসিক চিকিৎসার কথাই ধরুন বিজ্ঞানকে টুইস্ট করে এতবড় জালিয়াতি ইহজগতে হয়নি। তার পর সেই সারভাইবাল অফ দা ফিটেস্ট সেই ডারউইনের বুলডগ এবং হিটলার থেকে আমেরিকার ইউজেনিক্স ? সেতো বিজ্ঞান কে টুইস্ট করেই । কে যেন একজন লিখেছিলেন " science should be separated from the state in the same way that religion and state are separated in a modern secular society"
  • Ekak | 53.224.129.63 (*) | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:৪৩51872
  • আপনি যদি মার্ক্স্ বাদ কে "বিজ্ঞান সম্মত " বলেন তবে বাকি আলোচনাটাও সেইরকম বিজ্ঞানসম্মত , এই আর কী :):):)
  • dc | 132.164.211.232 (*) | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:১৫51861
  • খুব ইন্টারেস্টিং একটা ইন্টারভিউ। আশা করি লাইগো ইন্ডিয়া প্রোজেক্ট সফল হবে।

    http://thewire.in/64909/souradeep-ligo-gravitational-waves/
  • amit | 213.0.3.2 (*) | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:৩৮51873
  • এই তো।।চমৎকার!!! আলোচনা ঘুরে ফিরে সেই গরুর রচনার বাধা গতে এসে গেছে। এবার যথারীতি বিজ্ঞান ছেড়ে সব কিছুর পেছনে সাম্রাজ্যবাদীদের চক্রান্ত, ধনতান্ত্রিকতার লোভ, সামজতান্ত্রিকতার অসারত্ব, সেখান থেকে সিঙ্গুর ঘুরে "হিরাভ"- সব শুরু হয়ে যাবে।
  • ashoke mukhopadhyay | 69.97.221.25 (*) | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:৪০51862
  • To sch: [১] রামকৃষ্ণ যে যুক্তির পদ্ধতিকে অপছন্দ করতেন, কথামৃতে তার অজস্র মনিমুক্তো ছড়িয়ে আছে। হিন্দু দর্শনের পরিভাষায় তাঁর ছিল ভক্তিমার্গ। শিষ্যদেরও তিনি সেই উপদেশই দিয়েছিলেন। সেই উপদেশগুলির মধ্যে আমার এইটি খুবই প্রিয়, অত্যন্ত সরল ভাষায় তাঁর নিজের চিন্তাধারা তুলে ধরার জন্য। তাই এই উদ্ধৃতি ব্যবহার করেছি।
    [২] গঙ্গাসাগর এবং কুম্ভ মেলায় যে অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থাকে, এবং মেলা ভাঙার পর যে স্থানীয় সাগরতীর ও নদীর তীর বেশ কিছুদিন পর্যন্ত ব্যাপকভাবে দুষিত অবস্থায় থাকে, এ আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতা। কোনো বই পড়ে জানা নয়। কারণটা বোঝাও খুব কঠিন নয়। মক্কার হজেও যে একই অবস্থা হয়, এটা অবশ্য খানিকটা পুথিগত জ্ঞান, খানিকটা অনুমান। আর দুর্ঘটনা ঘন ঘন ঘটে না বলেই আমরা তাকে দুর্ঘটনা বলি। ঘটার সম্ভাবনা আছে কিনা, এটাই আসল কথা।
    [৩] মেলার সঙ্গে স্থানীয় জনসাধারণের যে রোজগারের সম্বন্ধ, সেটা ঐতিহাসিকভাবেই লুপ্ত হতে চলেছে। আগে আরও অনেক বেশি সংখ্যক স্থানীয়ভাবে মেলা হত (রথের মেলা, রাশের মেলা, পৌষ মেলা, ইত্যাদি), সেগুলি একে একে উঠে গেছে, বা যাওয়ার পথে। মানুষ রোজগারের বিকল্প খুঁজে নিয়েছে। এক্ষেত্রেও নেবে। এই জায়গাগুলিকে ভ্রমণ স্থান হিসাবে উন্নীত করলেই হবে। গঙ্গাসাগর তো হয়েই আছে।
  • sm | 233.223.157.71 (*) | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:০৩51863
  • মেলাটা আবার কি ক্ষেতি করলো? কুম্ভ, গঙ্গা সাগর তো লাইফ টাইম এক্সপিরিয়েন্স। একবার গেলে তো মন প্রাণ তরতাজা হয়ে যায়।
    দূষণের জন্য যতটুকু ক্ষতি হয়; তার থেকে বহুগুন লাভ হয় বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের। অন্তত মানসিক উত্তরণের দিক থেকে।
    রথের মেলা, রাসের মেলা উঠে যাওয়ায়; আমরা মানসিক দিক থেকে একটু দৈন্য হয়ে পড়েছি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই প্রতিক্রিয়া দিন