এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • আকাশের অর্ধেক = অর্ধেক আকাশ

    রৌহিন লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২১ মার্চ ২০১৫ | ৪৩২০ বার পঠিত
  • সমকামিতা - একটি প্রাকৃতিক / জন্মগত শারিরীক অবস্থা নাকি অভ্যাসগত / আরোপিত? ব্যক্তির পছন্দ-অপছন্দের ওপর কিছু কি নির্ভর করে নাকি তার কোন জায়্গাই নেই? সমকামিতা কি নৈতিক না অনৈতিক? উচিৎ না অনুচিৎ? গ্রহনযোগ্য না বর্জনীয়?
    অসংখ্য প্রশ্ন - যার উত্তর নিয়ে কাঁটাছেড়া চলছে৷ চলুক৷ আমরা এখানে এই প্রশ্নগুলির বাইরে বেরিয়ে কিছু বিষয় আলোচনা করতে চাই৷ করতে চাই কারণ সুপ্রীম কোর্ট সম্প্রতি (2013) জানিয়েছেন যে এই সংক্রান্ত আইনটি (দফা 377) বহাল এবং অপরিবর্তিত থাকছে আপাততঃ কারণ দিললী হাইকোর্টের এই আইন পরিবর্তন সংক্রান্ত যে রায়টি বহাল ছিল 2008 থেকে তা যথেষ্ট আইনী ভীতের ওপর দাঁড়িয়ে নেই - কিন্তু এ নিয়ে আলাপ আলোচনা চলতে পারে - আইন পরিবর্তন করতে হলে তা গণতান্ত্রিক দেশে জনমত তৈরীর মাধ্যমে আইনসভায় হওয়াটাই বাঞ্ছনীয়৷
    প্রথমে আসা যাক সমকামিতার উৎস সংক্রান্ত প্রশ্নে৷ অনেকের ধারণা এটি জিনগত - যদিও তার সপক্ষে যথেষ্ট বৈজ্ঞানিক প্রমান এখনো অপ্রতুল৷ এখন কথা হল এটা জিনগত অথবা জন্মগত কোন শারিরীক অবস্থা যদি হয়ে থাকে তবে বাদবাকি প্রশ্নগুলি এমনিতেই অবান্তর হয়ে যায় - নৈতিকতা, ঔচিত্য, গ্রহনযোগ্যতা প্রভৃতির প্রশ্নই ওঠে না৷ কিন্তু যেহেতু এই জন্মগত ব্যপারটা প্রমানিত নয়, তাই এই সব প্রশ্নগুলি বারবার সামনে এসে পড়ে৷
    অতএব প্রথমে ধরে নেওয়া যাক সমকামিতা কোন জন্মগত বা জিনগত অবস্থা নয়৷ তাহলে পড়ে থাকে নির্বাচনের প্রশ্ন - অর্থাৎ তথাকথিত নৈতিকতার প্রশ্ন৷ প্রশ্নটা হল যেহেতু অধিকাংশ পুরুষ বা নারী যৌনাচারের জন্য তার বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গী বা সঙ্গিনী বেছে নেন, তবে কি এটাই প্রাকৃতিক নির্বাচন (Natural Selection)? কেউ যদি তা না করে নিজ লিঙ্গের মানুষের প্রতি আকর্ষণ বোধ করেন তা কি প্রকৃতির বিরুদ্ধতা? প্রায় সব ধর্মই এই অভ্যাসের বিরোধী - কিন্তু বিজ্ঞানও কি তাই? ডারউইনিজমের "টিকে থাকার যুদ্ধ" (Struggle for existence) এবং "যোগ্যতমের উদবর্তন" (Survival of the fittest) ও কি সমকামের বিরুদ্ধে কথা বলে? পাশাপাশি এটা কি তাহলে শুধুমাত্র কিছু অনৈতিক অভ্যাস বা উশৃঙ্খল জীবন যাপনের ফল - যা কিছু তথাকথিত "এলিটিস্ট" এর মদতে ফুলে ফেঁপে উঠেছে?
    অর্থাৎ প্রশ্নটি দ্বিমুখী - বৈজ্ঞানিক এবং নৈতিক৷ প্রথমে বৈজ্ঞানিক দিকটি নিয়ে কথা বলব (এখানে মনে রাখা দরকার এটা বিজ্ঞানের সেমিনার নয় - আর আমরা সম্ভাবনার 50 শতাংশ - সমকামিতা জন্মগত, এই সম্ভাবনাটাকে আগেই সরিয়ে রেখে আলোচনায় ঢুকছি)৷ যৌন পক্ষপাত যদি নির্বাচিত বিষয় (Choice) হয়ে থাকে তবে প্রকৃতিতে সংখ্যাগুরু মানুষ / প্রাণী বিপরীত লিঙ্গের প্রতি পক্ষপাত পোষণ করে৷ কারণ সেই যৌনাচার তাকে বংশবিস্তারে সহায়তা করে এবং তদ্বারা তা টিকে থাকার যুদ্ধের হাতিয়ার হিসাবে ক্রিয়া করে৷ এই তত্ত্বের ওপর দাঁড়িয়ে সমকামী যৌনাচরণকে ডারউইনিজমের বিরোধী আখ্যা দেওয়া হয়৷ কিন্তু এখানে ভেবে দেখার বিষয়টি হল, বংশবৃদ্ধি টিকে থাকার যুদ্ধের অন্যতম হাতিয়ার হলেও একমাত্র পথ নয় কারণ টিকে থাকার যুদ্ধটি শুধুমাত্র বংশবিস্তারের ওপর নির্ভর করে না - আরও একাধিক জটিলতর বিষয় থেকে যায়৷ এই মুহুর্তে যেমন জাতি হিসাবে মানুষের টিকে থাকার যুদ্ধে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ তার জনবিস্ফোরণ - বিপুল জনসংখ্যা যা প্রতিনিয়ত পৃথিবীর স্বাভাবিক বাস্তুতন্ত্রকে ধ্বংস করছে৷ অরণ্য কমছে, নদী-নালা দূষিত হচ্ছে, বাস্তুতন্ত্রের পক্ষে প্রয়োজনীয় বহু প্রজাতি ক্রমশঃ বিলুপ্ত হচ্ছে বা সেদিকে এগোচ্ছে৷ চাহিদা ও জোগানের বৈষম্য বাড়তে বাড়তে স্বাভাবিক সীমা ছাড়িয়ে গেছে অনেকদিন - WHO এর সমীক্ষানুযায়ী পৃথিবীর জনসংখ্যা এই মুহুর্তে তার স্বাভাবিক ধারণক্ষমতার থেকে প্রায় 7 গুণ বেশী - এবং এই বৃদ্ধির হারও ক্রমে বেড়েই চলেছে - এক্সপোনেনশিয়াল হারে৷ তাই টিকে থাকার যুদ্ধে বংশবিস্তারের বাইরেও কিছু জরুরী ক্ষেত্র থেকে যায়৷ সমকামিতা তাই হয়তো প্রকৃতির একটি স্বাভাবিক নির্বাচন (Natural Selection) - যাকে জোর করে আটকে রাখা হয়তো ডারউইনিজমের বিরুদ্ধেই যাচ্ছে শেষ পর্যন্ত৷ যদিও এটি কোন প্রমানিত বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব নয় - যুক্তিনির্ভর অনুমান মাত্র৷ টিকে থাকার যুদ্ধে না জিতলে কিন্তু যোগ্যতমের উদবর্তন সম্ভব নয়৷
    এবার নৈতিকতা এবং ঔচিত্যের প্রশ্ন৷ এখানেও শুরুতেই ধরে নিচ্ছি সমকানিতা জন্মগত বা জিনগত নয় - স্বনির্বাচিত যৌন পক্ষপাত - কারণ অন্যথায় এই আলোচনার কোন অর্থই নেই৷ এই পক্ষপাত নীতিসম্মত কি না তার উত্তর পেতে হলে প্রথমে নীতি (Principle) বিষয়টিকে সংজ্ঞায়িত করা প্রয়োজন৷ নীতি হল আমরা কোন বিষয়কে কিভাবে এপ্রোচ করব তার একটি ন্যুনতম কিন্তু পূর্বনির্ধারিত নির্দেশিকা৷ যেহেতু অতি বিশেষ পরিস্থিতি ছাড়া সেই নির্দেশিকা পূর্বনির্ধারিত হলেও পরিবর্তনশীল নয় তাই তার ন্যুনতম হওয়াটা জরুরী - অর্থাৎ নীতি হবে মেদহীন, সূক্ষ্ম, যুক্তিযুক্ত৷ নীতি মূলতঃ তিন রকমের হয়ে থাকে - ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয়৷ স্বাভাবিক সংজ্ঞানুযায়ী নীতি ব্যক্তিগত হওয়াই উচিৎ কারণ প্রতিটি মানুষ এক পৃথক ব্যক্তিসত্ত্বা তাই যে কোন বিষয়ে তার এপ্রোচও পৃথক হতেই পারে৷ তবু মানুষ যেহেতু বৃহত্তর সমাজেরও অঙ্গ, তাই সামাজিক স্বার্থেও কিছু নীতি মেনে চলতে হয়৷ এক্ষেতে নীতি প্রণয়নের সময় মাথায় রাখা হয় যে আমার ব্যক্তিগত নির্বাচন বৃহত্তর সমাজের কোন ক্ষতিসাধন করছে কি না - করলে তা সামাজিক নীতি হিসাবে বর্জনীয় হবে৷ উদাহরণ - প্রকাশ্য স্থানে মূত্রত্যাগ করা - আমি ব্যক্তিগতভাবে তাকে অনৈতিক না-ও ভাবতে পারি, কিন্তু যেহেতু আমি সেটা করলে তার ফলাফলটা অন্য পাঁচজনকেও প্রভাবিত করে, যারা সেটাকে অনৈতিক বা নিদেনপক্ষে অস্বাস্থ্যকর ভাবতেই পারেন, তাই সেটি সামাজিক নীতি হিসাবে বর্জনীয়৷ রাষ্ট্রীয় নীতিও অনেকটা একই ভাবে নির্ধারিত হয়ে থাকে (রাষ্ট্রীয় নীতি একটি বৃহত্তর আলোচনার ক্ষেত্র - তাকে এর মধ্যে আনা হল না মেদবৃদ্ধির ভয়ে)৷ সমস্যাটা হল এদের কারো সীমানা নির্দিষ্ট করা নেই - এবং নীতি যদিও প্রধানত এবং সংজ্ঞাগত ভাবে ব্যক্তিগতই হওয়া উচিৎ, কিন্তু যেহেতু কোন সাধারণ ব্যক্তির তুলনায় সমাজ এবং রাষ্ট্র অধিক ক্ষমতাশালী, তাই তাদের স্বাভাবিক প্রবণতাই হল ব্যক্তিগত নীতিকে প্রায় সমস্ত সম্ভাব্য ক্ষেত্রে গ্রাস করার৷ সমকামিতা প্রসঙ্গে সমাজ বা রাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গী বিচার করার সময়ে এই প্রবণতার কথা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে৷
    ঠিক যে কারণ দেখিয়ে আমরা প্রকাশ্যে মূত্রত্যাগকে বর্জনীয় সামাজিক নীতি হিসাবে দেখিয়েছি, সমকামিতার বিরুদ্ধে সমাজ (এবং রাষ্ট্রও) সেই একই যুক্তি দেখিয়ে থাকেন - যে তা অন্যের ভাবাবেগকে আঘাত করে এবং সামাজিক দূষণ তৈরি করে৷ এখানে প্রশ্ন - দুটো কি চরিত্রগতভাবে এক? আমি রাস্তায় মূত্রত্যাগ করে চলে গেলেও আমার মূত্র এবং তার দুর্গন্ধ রাস্তাতেই থেকে যায় - বাহ্যিকভাবে, বস্তুগতভাবে (Physically) - তার ফলটাও থেকে যায়৷ অন্য কারো স্বীকার বা অস্বীকার করার ওপর তার অস্তিত্ব নির্ভর করে না, কারণ জীবানু ও দুর্গন্ধের অস্তিত্ব শুধুমাত্র মানসিক নয়৷ কিন্তু এমন কি প্রকাশ্য রাস্তায় যদি দুজন পুরুষ বা দুজন নারী বা দুজন উভলিঙ্গ পরস্পরকে চুম্বন করে চলে যায় (বা এমনকি যৌনক্রিয়া করে গেলেও) তা ভালো না খারপ, স্বস্তিকর না অস্বস্তিকর তা বিচার করবে কেবল আমার মন - ব্যক্তি মানুষের মন, কোন ব্স্তুগত প্রমাণ (Physical Evidence) নয়৷ এবং এহ বাহ্য, এক্ষেত্রে আমরা যে ধরে নিলাম এই যৌনক্রিয়াটি প্রকাশ্যে সঙ্ঘটিত হল, তা একটি অতি বিরল সম্ভাবনা৷ সমকামী মানুষ বিষমকামীদের মতই (বরং বাস্তবতার বিচারে আরো বেশী করেই) তাদের যৌনাচরণ নিভৃতে ব্যক্তিগত পরিসরে করাই পছন্দ করেন - তাই এর "সামাজিক অভিঘাত"টি মূলতঃ মানসিক - বস্তুতঃ তা সমাজ ও রাষ্ট্রের অতি-সক্রিয়তার একটি অভিজ্ঞান৷ সমকামিতা, বিষমকামিতার মতই একটি ব্যক্তিগত বিষয় যা সম্পূর্ণতঃ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্বাচন ও নৈতিকতার ওপর নির্ভরশীল, তাই নীতিগতভাবে এবং বৈজ্ঞানিকভাবে সমকামিতা কোনরকমেই সমাজ ও রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণের বিষয় নয়৷
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২১ মার্চ ২০১৫ | ৪৩২০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • a x | 60.171.26.111 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০১:২১68406
  • দ্রি-র প্রশ্নগুলোর উত্তর দেবার চেষ্টা করছি। হ্যাঁ, আপনি সিবলিং সম্পর্কে যা বললেন, তা একদম ঠিক - এবং ঠিক এই স্টাডি করেই সেই গে জিনের আবিষ্কার নিয়ে চাঞ্চল্য হয়েছিল। ভাইএরা সমকামী এদের জিন দেখে। ভাইদের কেউ কেউ যমজ, সবাই না। এই স্টডি অরিজিনালি প্রয় ২৫ বছর আগে হয়েছিল, কিন্তু সেটা কেউ রিপ্রোডিউস করতে পারেনি। ২০১৪ নাগাদ, আবার X ক্রোমোজোমের ঐ জায়গাতে গে জিন জাতীয় কিছু থাকতে পারে ইন্ডিকেশন। এই স্টাডিটার প্রবলেম হল, বা বলা ভালো স্ট্যাটিস্টিকাল সিগনিফিকেন্স দেখাতে পারেনি, কিন্তু ট্রেন্ড এবং ঐ জিনের আশেপাশের জিন একই সাথে প্রবাহিত হচ্ছে, এই ট্রেন্ড দেখিয়েছিল। নতুন কিছু হয়ে থাকলে আমি জানিনা, কেউ ফলো করে থাকলে আমিও জানতে উৎসুক।

    এবার জিনের 'পেনিট্রেশান', 'ভেরিয়েব্‌ল এক্সপ্রেশান', এপিজেনেটিক্স এই টার্মগুলো। এমনিতে খুবই সোজা ব্যাপার -

    পেনিট্রেশন - একটা পপুলেশনে সব ইন্ডিভিজুয়াল একই জিনের একই ফেনোটিপিক ম্যানিফেস্টেশন দেখায় না। যেমন ধরুন ব্রেস্ট ক্যান্সারে brca1 - এই জিনের জন্য অনেকের ক্যান্সার হবে, কিন্তু ঐ জিন থাকলেই ক্যান্সার হবে এমন না। যার আছে, সে একটা "হাই রিস্ক" পপুলেশনে বিলং করে, কিন্তু "ডেফিনিট" পপুলেশনে না। এই একই পপুলেশনে, একজনের ম্যানিফেস্ট হচ্ছে, আরেকজনের হচ্ছেনা, এটা জিনের পেনেট্রেন্স।

    ভেরিয়েবল এক্স্প্রেশন অর্থাৎ, একই জিন, কিন্তু এক্স্প্রেশনে ভেরিয়েবিলিটি। ধরুন যে সমস্ত জেনেটিক বেস আছে এমন কন্ডিশন যেখানে একটা নির্দিষ্ট মিউটেশনই হয়েছে কিন্তু একটা নির্দিষ্ট লক্ষণের বদলে স্পেক্ট্রাম দেখা যায়।

    এপিজেনেটিক্স - এই যে নিউক্লিওটাইড দিয়ে তৈরি DNA, এটা সুতলি পাকানো থাকে, কনডেন্সড থাকে। যখন একটা জিন "এক্সপ্রেসড" হচ্ছে, সে RNA বানাচ্ছে - তারপরে প্রোটিন ইত্যাদি। কিন্তু এই DNA থেকে RNA হতে হলে, ঐ সুতলিটাকে খুলতে হয় - যাতে বানানোর সরঞ্জাম সব জায়গা মত পৌঁছতে পারে। কখনও এই সুতলি খুব টাইট করে পাকানো থাকে, কখনও আলগা। কাজেই জিন আছে, কিন্তু সুতলি টাইট না পাতলা তা দিয়ে তার এক্সপ্রেশন বদলানো যায়।

    বাকি একটু পরে লিখছি। কর্তব্য কলস।
  • a x | 60.171.26.111 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০১:৫১68407
  • এই এপিজেনেটিক্সের বিশাল ভূমিকা রয়েছে ভ্রূণের ডেভলপমেন্ট থেকে শুরু করে ক্যান্সার অবধি। ডেভেল্পমেন্টের সময় প্রতিটি কোষে এক জিন থাকা সত্ত্বেও কম্পার্টমেন্ট বুঝে কোথাও সেই জিন অন হচ্ছে, কোথাও অফ হচ্ছে। আমাদের লাইফস্টাইল, কি খাই সেসব দিয়েও এপিজেনেটিক মডিফিকেশন সম্ভব। কীভাবে হয়? তো এই সুতলিটাকে ধরুন পুঁতির মালা, মেন থ্রেডটা পুঁতির ভেতরে ঢোকার বদলে, একটার পর একটা পুঁতিকে পাক দিয়ে তৈরি। এই পুঁতিগুলোর নাম হিস্টোন। এই হিস্টন আর ডিএনএ, দুটোতেই বিভিন্ন কোভ্যালেন্ট মডিফিকেশন হতে পারে, কোথাও অ্যাএটাইলেশন, কোথাও ডি-অ্যাসেটাইলেশন, কোথাও মিথাইলেশন - এই মডিফিকেশনের জন্য চার্জ বদলে যাচ্ছে - যাতে কখনও টাইট, কখনও আলগা হচ্চে। এপিজেন্টিক্স ফ্লেক্সিবল, কিন্তু হেরিটেবলও।
  • sosen | 212.142.113.107 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০১:৫২68408
  • স্ট্যাটিস্টিক্স কিম্বা আর্টস দিয়ে বায়োলজি সিন্থেসিস করতে গেলে আর সবার এমনিতে সুবিধেই হয়---পাতি বায়োলজিস্ট ছাড়া। ঃ)
    বাই দ্য ওয়ে, আসেক্সুয়াল রিপ্রোডাকশনে সোমাটিক মিউটেশন বছরের পর বছর ধরে প্রবাহিত হয়, কাজেই জেনারেশন অ্যাডভান্সমেন্টকেই জীবনের একমাত্র পথ ভেবে নেবেননা। ওয়াইজম্যান কি ঝাম পাকিয়েছিলেন মাইরি!
  • Bhagidaar | 218.107.71.70 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০১:৫৩68410
  • সিঙ্গল স্টেপ মিউটেশান কি? পয়েন্ট মিউটেশান?
  • S | 81.191.70.175 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০১:৫৩68409
  • a x এর হয়ে একটু প্রক্সি দিয়ে যাই -
    একককে,
    দেখুন সোজা বাংলায় বলতে গেলে জিনের কাজ হচ্ছে প্রোটিন তৈরি করা। প্রতিটা প্রোটিনের নির্দিষ্ট অ্যামাইনো অ্যাসিড সিকোয়েন্স আছে। প্রোটিন প্রোডাকশনে গন্ডগোল হলেই সর্বনাশ। অস্তিত্ব নিয়ে টানাটানি পড়ে যাবে। এই ধরনের মিউটেশনকে 'বড়' মিউটেশন বলতে পারেন। জিনের কোডিং (কম্পিউটার নয়, অ্যামাইনো অ্যাসিড) রিজিয়নকে বলে exon আর নন-কোডিং রিজিয়নকে বলে intron। এখন মিউটেশন যদি ইন্ট্রন রিজিয়নে হয় তাহলে সেটা ডেট্রিমেন্টাল হয় না কারণ ইন্ট্রন কোনো প্রোটিন তৈরি করে না। এটাকে 'ছোটো' মিউটেশন হিসাবে ধরতে পারেন। এখন কমপ্লেক্স স্পিসিসের এই প্রোটিন প্রোডাক্শনের মাল্টিপল পাথ আছে। অথবা, একই প্রোটিনের সামান্য রদবদল করে একাধিক প্রোটিন তৈরির ব্যাবস্থা আছে। তাই সিঙ্গল মিউটেশন ডেট্রিমেন্টাল হবার চান্স কম, কারণ একটা মিউটেশন হয়ে কোনো প্রোটিন প্রোডাকশনে গড়বড় হলে অন্য কোনো পাথওয়ে সেটাকে কমপ্লিমেন্ট করতে পারে।a x যেটা বলতে চাইছেন। ব্যাপারটা অনেকটা শেয়ার মার্কেটের মতন। অনেক টাকা থাকলে কোনো বড় লস সামলে নেওয়া যাবে কিন্তু আমি সারা জীবনের স্বল্প পরিমাণ সঞ্চয় নিয়ে খেলতে নেমে লস খেলে সব শেষ। স্বর্ণেন্দুর স্টেটমেন্টা অ্যাকচুয়ালি উল্টে গেছে।
  • ভাগীদার | 218.107.71.70 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০১:৫৫68411
  • ইনট্রন এ মিউটেশন হলেও সমস্যা হতে পারে, যদি স্প্লাইস সাইট-এ হয়।
  • sosen | 212.142.113.107 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০২:০০68412
  • ইন্ট্রনে মিউটেশন ডেট্রিমেন্টাল হয় কি হয়না, নিশ্চিত নয়। ইন্ট্রনের সিকোয়েন্স চেঞ্জ জিনের এক্সপ্রেশন এবং ইভলিউশন রেগুলেট করে, দেখা যাচ্ছে। ইন্ট্রন আদৌ জাঙ্ক নয়, ইন্ট্রন বহুক্ষেত্রেই জিনের ডিজাইনার ঃ)
    আর অর্ফ্যান জিনেদের কথাও একটু মনে রাখুন। এরম সরল গোলগাল অঙ্ক কষা গেলে তো হয়েই যেত!
  • Atoz | 161.141.84.175 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০২:০৫68413
  • জিনেরাও অর্ফ্যান হয়? তারপরে কী হয়? কোনো ফস্টার প্যারেন্টের আশ্রয়ে থাকে?
  • Atoz | 161.141.84.175 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০২:০৬68414
  • স্প্লাইস সাইট কী?
  • a x | 60.171.26.111 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০২:০৭68415
  • অর্ফ্যান হয়, সিউডোও হয় ;-)
  • S | 81.191.70.175 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০২:০৮68416
  • হ্যাঁ, ব্যাপারটা অত সহজ নয়। কিন্তু ভাবলাম আগে 'ছোটো' আর 'বড়' মিউটেশন ক্লিয়ার হোক। এরপর আবার দুর্বোধ্য ভাষায় প্রোব্যাবিলিটি আর স্ট্যাটিস্টিক্স চলে আসবে এক্ষুনি, সাথে আর পাঁচটা বই আর দশ্টা পেপারের সাজেশন!
  • a x | 60.171.26.111 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০২:০৯68417
  • বড় মিউটেশন - গরুর ল্যাজ খসে যাওয়া। ছোট মিউটেশন - কালো বেড়ালের রং বদলে ছাই ছাই - এরকম?
  • Atoz | 161.141.84.175 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০২:১৩68419
  • না না এত এত পেপার ফেপার প্রোব্যাবিলিটি দেবেন্না।
    আস্তে আস্তে বুঝিয়ে দিন পাতি বাংলায়।

    ১। অর্ফ্যান জিন কী? তাদের ভূমিকা ও বিশেষত্ব কী? কী কাজেই বা তারা লাগে?

    ২। স্প্লাইস সাইট কী? তাদের ভূমিকা ও গুরুত্ব কী?
  • Bhagidaar | 218.107.71.70 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০২:১৩68418
  • এই যে এই হলো ছুট মিউটেশন

  • Atoz | 161.141.84.175 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০২:১৫68420
  • ভাগী, এ তো মিউটেশন নাও হতে পরে। হয়তো বাবা বেড়ালটা ফর্সা!!! ঃ-)
  • Bhagidaar | 218.107.71.70 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০২:১৯68422
  • এতজ,
    দুনম্বর প্রশ্নের উত্তর আগে দি। ওই যে ওপরে এস লিখলেন যে জিনের যে জায়গা কিরম প্রোটিন হবে তা নির্ণয় করে, তা হোল এক্সন । আর তার মাঝের অংশগুলো ইনট্রন। এবার ডিএনএ থেকে আর এন এ তৈরী হবার পর এই ইন্ত্রন গুলো বাদ দেওয়া হয়। সেটাকে বলা হয় স্প্লায়সিং। এটা ডিএনএ/আরএনএ-র সিকুএন্স দেপেন্দেন্ট। সিকুএন্স পাল্টে গেলে (মিউতেশান হলে) ঠিক ঠাক স্প্লায়সিং হবেনা।
  • a x | 60.171.26.111 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০২:১৯68421
  • স্প্লাইস মানে জোড়া। যখন RNA হয় তখন ইন্ট্রন, এক্সন পরপর থাকে, তারপর ঐ ইন্ট্রন গুলো বাদ হয়ে গেলে, এক্সনের মাঝে তো গ্যাপ হয়ে যাবে, তখন এক্সন গুলো জোড়া লাগে। সেই জোড়ার জায়গা- স্প্লাইস সাইট।
  • Ishan | 183.17.193.253 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০২:৫০68423
  • ওরে বাবা অনেক টার্মিনোলজি এসে গেছে। ভয় পাওয়ানোর মতো। কিন্তু মোদ্দা প্রশ্নটা, যেখান থেকে শুরু হয়েছিল, সেটা অ্যাড্রেসড হয়নি এখনও। সমকামিতা কিভাবে রিসেসিভ আইল দিয়ে চলা সম্ভব, সেইটা বুঝি নাই। মানে ধরুন মানুষ না হলেও ৫০০০০ বছর আছে। জন্মনিয়ন্ত্রণ কার্যকরীভাবে চালু হয়েছে তার মধ্যে বছর ৫০। ৫০০ বছর আগে গড় আয়ু ছিল ৩০ থেকে ৪০। তার আগে আরও কম। অন্তত ২০০০ টা প্রজন্ম গেছে এর মধ্যে। এরই মধ্যে স্থানভেদে মানুষের গায়ের রং, চুলের রং বদলেছে, গোটা ছয়েক নৃতত্ত্বিক গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন হল অ্যাদ্দিন ধরে রিসেসিভ আইল ধরে সমকামিতা টিকে থাকল কিকরে।

    মানে ধরুন, সাদাদের দুনিয়ায় তো রিসেসিভ আইল ধরে টিকে থাকা জিনের প্রভাবে কালো লোক দুম করে জন্মায়না। ওইসব প্রোটিন, অল্টারনেটিভ পাথওয়ে সব থাকার পরেও। তাহলে রিসেসিভ আইল ধরে সমকামিতা কিকরে টিকল? এক আধটা কেস তো নয়, প্রচুর সংখ্যায় তো এই প্রবণতাটা দেখা যাচ্ছে। কিভাবে?
  • S | 81.191.70.175 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০২:৫৩68424
  • গরুর লেজের ব্যাপারে বলতে পারব না, কিন্তু টিকটিকির লেজ খসে যেতে দেখেছি - এটাকে কি মিউটেশন বলা যাবে???
    এতজ,
    DNA থেকে প্রোটিন সিনথেসিসের দুটো স্টেপ আছে।প্রথমে DNA থেকে mese`Njaara RNA বা m-RNA তৈরি হয়। এই প্রসেসটাকে বলে ট্রান্সক্রিপশান। তারপর m-RNA থেকে প্রোটিন সিনথেসিস হয়, সেই প্রসেসকে বলে ট্রান্সলেশান। প্রথমটা হয় নিউক্লিয়াসে, দ্বিতীয়্টা সাইটোপ্লাজমে। ট্রান্সলেশনের জন্যে আর দুটো এসেন্শিয়াল কম্পোনেন্ট আছে, t-RNA আর রাইবোজোম। এখন ট্রান্সলেশনের জন্যে নেটিভ DNA স্ট্র্যান্ডটা কেটেছেঁটে অপ্রয়জনীয় অংশ বাদ দিয়ে ঠিকঠাক করতে হয়।তাকেই বলে স্প্লাইসিং। ভাগীদার আর a x অলরেডি বলে দিয়েছেন।
    একটা ভিডিও লিংক দিলাম। মোৎজার্টের কম্পোজিশন শুনতে শুনতে প্রোটিন সিনথেসিস দেখুন-

  • sosen | 212.142.113.107 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০২:৫৯68425
  • ঈশানের প্রশ্নের একটা উত্তর আছে। কিন্তু ঈশান সেটা পছন্দ করবে না। সেটা হলো" এখনো জানা নেই।" ঃ)
    বাকি সকল সিন্থেসিস কল্পনা বিলাস এবং লেখার পেরাকটিস।
  • a x | 60.171.26.111 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:০৬68426
  • আমি ঈশানের প্রশ্নটা বুঝলাম না। রিসেসিভ আইল (অ্যালিল ?) হলে সেটা আলটিমেটলি পপুলেশন থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়?
  • S | 81.191.70.175 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:০৯68427
  • এই গে জিন (যদি আদৌ থেকে থাকে) নিয়ে স্টাডি করার কিছু বাস্তব সমস্যা আছে। প্রথমত, কিছু এথিক্যাল সমস্যা আছে। স্টাডির পরে সেটা কোথায় পাবলিশ করা যাবে সেই নিয়ে চিন্তা আছে। বেশীরভাগ জার্নাল সমকামীতার মতন বিষয় এড়িয়ে যেতে চাইবে। রিভিউয়ার খুঁজে পাবার সমস্যা আছে। গে জিন স্টাডি করতে চাই বলে গ্র্যান্ট প্রোপোজাল লিখলে কতটা কি লেখা যাবে আর সেই প্রোপোজাল দেখে NIH টাকা দেবে কিনা সেই নিয়ে চিন্তা আছে। ট্যাক্স পেয়ার ডলার এই স্টাডিতে ব্যবহার করলে কেউ কেস করে দিতে পারে, সেই ভয় আছে।
  • a x | 60.171.26.111 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:১০68428
  • আর স্পিসিস চেঞ্জের কথাই বা আসছে কেন, সেটাও আমি অনেকক্ষণ ধরে বুঝছিনা। মিউটেশন হলে হয় স্পিসিস চেঞ্জ, নয় "খুঁত" এরকমই বা ধারণা হচ্ছে কেন?
  • riddhi | 117.217.133.50 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:১৪68429
  • ঈশান দা, এটার ক্কিন্তু অনেকরকম ভাবে উত্তর দেয়া যায়। যাস্ট একটা রিসেসিভ আইল এর খেলা, এটা অনেকেই মানে না। খুব কম্প্লেক্স জেনেটিক ট্রেট হলে, এই ট্রেটটা সাসটেন করতে পারে। আবার ইনডাইরেক্টলি রিপ্রোডাক্টিভ ফিটনেস বাড়াতেও পারে। এপিজিনেটিক মার্ক্স নিয়ে একটা ম্যথেমিট্কাল মডেল ও আছে। সোসেন দিয়েছিল এক বছর আগে।
    এখন এগুলো কিছুই 'প্রমাণ' নয়। প্রমাণ করা সম্ভব নয়, কিন্তু এ সব গুলৈ পসিবিলিটি । কিন্তু যেটা একেবারেই ইম্পাসিবল সেটা হল সানি। যেটা আমার মনে হচ্ছে, তুমি চোরাপথে নিয়ে আসার ধান্দা করছ, তাহলে প্রতিবাদ করতেই হবে!
  • Ishan | 183.17.193.253 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:২০68430
  • ১। রিসেসিভ অ্যালিল (বানান ভুল করেছিলাম) ধরে চলে সাদাদের কালোত্বের জিন হাপিশ হয়ে গেল (কোথাও নিশ্চয়ই সিলেকশন প্রেশারও ছিল)। সে এই ৫০০০০ বছরেই। কিন্তু ওই সময়কালেই সমকামিত্ব টিকে গেল। কিকরে? এর উত্তর চাইছি।

    ২। মিউটেশন মানে স্পিসিস বদল তো বলি নাই। আমি যদ্দূর জানি, মিউটেশন হল মাদার (চোথা অর্থে) থেকে কপি করার সময় চোথায় সামান্য "খুঁত।" এইটা কি ভুল জানি?
  • Ishan | 183.17.193.253 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:২২68431
  • উফ এইবার রিদ্ধি এসে গেছে। আর না। :-)
  • sosen | 212.142.113.107 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:২৬68432
  • ওরে বাবা কালোত্বের জিন হাপিশ হয় নাই--কি মুশকিল!
  • a x | 60.171.26.111 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:৩২68433
  • ওকে, বুঝেছি।

    খুঁত কথাটার মধ্যে ইনহেরেন্টলি কোথাও একটা অসুবিধে হচ্ছে এরকম মানে থাকে। কিন্তু এমন মিউটেশন তো সারক্ষণই হচ্ছে, যার অ্যাপারেন্ট কোনো এফেক্ট নেই, মানে ম্যানিফেস্টেশন আছে, কিন্তু কোনো অসুবিধে করছেনা, ভেরিয়েবিলিটি অ্যাড করছে - যেমন ঐ বেড়ালের কোট কালার, বা লোমের চরিত্র ইত্যাদি।
  • sosen | 212.142.113.107 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:৩৩68434
  • ১০০-র বেশি জিন স্কিন কালার গভর্ন করে। এর মধ্যে কিছু জিনে "সিলেক্টিভ সুইপ" আছে, যেগুলো ইওরোপিয়ান ডিসেন্টে দেখা যায়, সিঙ্গল মিউটেশন বেসড। কিন্তু ১০০ ইন্টু দ্য নাম্বার অফ ক্যাটালিটিক রিজিয়ন অ্যামিনো অ্যাসিডস ইন এনি জিন ইন্টু পসিবল পারমুটেশন্স- এতো বড়ো গায়ের রঙের জেনেটিক স্পেক্ট্রা রে বাপ। পরের রেগুলেশন গুলো তো ছেড়েই দিলাম!
  • Ishan | 183.17.193.253 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:৫৪68435
  • তাহলে তো আরও প্রশ্ন পেয়ে গেল। এত পার্মুটেশনই যদি থাকবে তো সব ব্যাটা জার্মান ফরসা হয় কেন?

    ডিঃ আমি জিন বললে খুব লুজলি বলছি ধরতে হবে। জিন নিয়ে আমি ঘন্টা জানি, তাই আমি ওটা আমি সাধারণত প্রবণতা অর্থে ব্যবহার করি। বেঠিক ইউসেজ, কিন্তু না করে পারিনা। :-)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন