এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • আকাশের অর্ধেক = অর্ধেক আকাশ

    রৌহিন লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২১ মার্চ ২০১৫ | ৪৩১৯ বার পঠিত
  • সমকামিতা - একটি প্রাকৃতিক / জন্মগত শারিরীক অবস্থা নাকি অভ্যাসগত / আরোপিত? ব্যক্তির পছন্দ-অপছন্দের ওপর কিছু কি নির্ভর করে নাকি তার কোন জায়্গাই নেই? সমকামিতা কি নৈতিক না অনৈতিক? উচিৎ না অনুচিৎ? গ্রহনযোগ্য না বর্জনীয়?
    অসংখ্য প্রশ্ন - যার উত্তর নিয়ে কাঁটাছেড়া চলছে৷ চলুক৷ আমরা এখানে এই প্রশ্নগুলির বাইরে বেরিয়ে কিছু বিষয় আলোচনা করতে চাই৷ করতে চাই কারণ সুপ্রীম কোর্ট সম্প্রতি (2013) জানিয়েছেন যে এই সংক্রান্ত আইনটি (দফা 377) বহাল এবং অপরিবর্তিত থাকছে আপাততঃ কারণ দিললী হাইকোর্টের এই আইন পরিবর্তন সংক্রান্ত যে রায়টি বহাল ছিল 2008 থেকে তা যথেষ্ট আইনী ভীতের ওপর দাঁড়িয়ে নেই - কিন্তু এ নিয়ে আলাপ আলোচনা চলতে পারে - আইন পরিবর্তন করতে হলে তা গণতান্ত্রিক দেশে জনমত তৈরীর মাধ্যমে আইনসভায় হওয়াটাই বাঞ্ছনীয়৷
    প্রথমে আসা যাক সমকামিতার উৎস সংক্রান্ত প্রশ্নে৷ অনেকের ধারণা এটি জিনগত - যদিও তার সপক্ষে যথেষ্ট বৈজ্ঞানিক প্রমান এখনো অপ্রতুল৷ এখন কথা হল এটা জিনগত অথবা জন্মগত কোন শারিরীক অবস্থা যদি হয়ে থাকে তবে বাদবাকি প্রশ্নগুলি এমনিতেই অবান্তর হয়ে যায় - নৈতিকতা, ঔচিত্য, গ্রহনযোগ্যতা প্রভৃতির প্রশ্নই ওঠে না৷ কিন্তু যেহেতু এই জন্মগত ব্যপারটা প্রমানিত নয়, তাই এই সব প্রশ্নগুলি বারবার সামনে এসে পড়ে৷
    অতএব প্রথমে ধরে নেওয়া যাক সমকামিতা কোন জন্মগত বা জিনগত অবস্থা নয়৷ তাহলে পড়ে থাকে নির্বাচনের প্রশ্ন - অর্থাৎ তথাকথিত নৈতিকতার প্রশ্ন৷ প্রশ্নটা হল যেহেতু অধিকাংশ পুরুষ বা নারী যৌনাচারের জন্য তার বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গী বা সঙ্গিনী বেছে নেন, তবে কি এটাই প্রাকৃতিক নির্বাচন (Natural Selection)? কেউ যদি তা না করে নিজ লিঙ্গের মানুষের প্রতি আকর্ষণ বোধ করেন তা কি প্রকৃতির বিরুদ্ধতা? প্রায় সব ধর্মই এই অভ্যাসের বিরোধী - কিন্তু বিজ্ঞানও কি তাই? ডারউইনিজমের "টিকে থাকার যুদ্ধ" (Struggle for existence) এবং "যোগ্যতমের উদবর্তন" (Survival of the fittest) ও কি সমকামের বিরুদ্ধে কথা বলে? পাশাপাশি এটা কি তাহলে শুধুমাত্র কিছু অনৈতিক অভ্যাস বা উশৃঙ্খল জীবন যাপনের ফল - যা কিছু তথাকথিত "এলিটিস্ট" এর মদতে ফুলে ফেঁপে উঠেছে?
    অর্থাৎ প্রশ্নটি দ্বিমুখী - বৈজ্ঞানিক এবং নৈতিক৷ প্রথমে বৈজ্ঞানিক দিকটি নিয়ে কথা বলব (এখানে মনে রাখা দরকার এটা বিজ্ঞানের সেমিনার নয় - আর আমরা সম্ভাবনার 50 শতাংশ - সমকামিতা জন্মগত, এই সম্ভাবনাটাকে আগেই সরিয়ে রেখে আলোচনায় ঢুকছি)৷ যৌন পক্ষপাত যদি নির্বাচিত বিষয় (Choice) হয়ে থাকে তবে প্রকৃতিতে সংখ্যাগুরু মানুষ / প্রাণী বিপরীত লিঙ্গের প্রতি পক্ষপাত পোষণ করে৷ কারণ সেই যৌনাচার তাকে বংশবিস্তারে সহায়তা করে এবং তদ্বারা তা টিকে থাকার যুদ্ধের হাতিয়ার হিসাবে ক্রিয়া করে৷ এই তত্ত্বের ওপর দাঁড়িয়ে সমকামী যৌনাচরণকে ডারউইনিজমের বিরোধী আখ্যা দেওয়া হয়৷ কিন্তু এখানে ভেবে দেখার বিষয়টি হল, বংশবৃদ্ধি টিকে থাকার যুদ্ধের অন্যতম হাতিয়ার হলেও একমাত্র পথ নয় কারণ টিকে থাকার যুদ্ধটি শুধুমাত্র বংশবিস্তারের ওপর নির্ভর করে না - আরও একাধিক জটিলতর বিষয় থেকে যায়৷ এই মুহুর্তে যেমন জাতি হিসাবে মানুষের টিকে থাকার যুদ্ধে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ তার জনবিস্ফোরণ - বিপুল জনসংখ্যা যা প্রতিনিয়ত পৃথিবীর স্বাভাবিক বাস্তুতন্ত্রকে ধ্বংস করছে৷ অরণ্য কমছে, নদী-নালা দূষিত হচ্ছে, বাস্তুতন্ত্রের পক্ষে প্রয়োজনীয় বহু প্রজাতি ক্রমশঃ বিলুপ্ত হচ্ছে বা সেদিকে এগোচ্ছে৷ চাহিদা ও জোগানের বৈষম্য বাড়তে বাড়তে স্বাভাবিক সীমা ছাড়িয়ে গেছে অনেকদিন - WHO এর সমীক্ষানুযায়ী পৃথিবীর জনসংখ্যা এই মুহুর্তে তার স্বাভাবিক ধারণক্ষমতার থেকে প্রায় 7 গুণ বেশী - এবং এই বৃদ্ধির হারও ক্রমে বেড়েই চলেছে - এক্সপোনেনশিয়াল হারে৷ তাই টিকে থাকার যুদ্ধে বংশবিস্তারের বাইরেও কিছু জরুরী ক্ষেত্র থেকে যায়৷ সমকামিতা তাই হয়তো প্রকৃতির একটি স্বাভাবিক নির্বাচন (Natural Selection) - যাকে জোর করে আটকে রাখা হয়তো ডারউইনিজমের বিরুদ্ধেই যাচ্ছে শেষ পর্যন্ত৷ যদিও এটি কোন প্রমানিত বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব নয় - যুক্তিনির্ভর অনুমান মাত্র৷ টিকে থাকার যুদ্ধে না জিতলে কিন্তু যোগ্যতমের উদবর্তন সম্ভব নয়৷
    এবার নৈতিকতা এবং ঔচিত্যের প্রশ্ন৷ এখানেও শুরুতেই ধরে নিচ্ছি সমকানিতা জন্মগত বা জিনগত নয় - স্বনির্বাচিত যৌন পক্ষপাত - কারণ অন্যথায় এই আলোচনার কোন অর্থই নেই৷ এই পক্ষপাত নীতিসম্মত কি না তার উত্তর পেতে হলে প্রথমে নীতি (Principle) বিষয়টিকে সংজ্ঞায়িত করা প্রয়োজন৷ নীতি হল আমরা কোন বিষয়কে কিভাবে এপ্রোচ করব তার একটি ন্যুনতম কিন্তু পূর্বনির্ধারিত নির্দেশিকা৷ যেহেতু অতি বিশেষ পরিস্থিতি ছাড়া সেই নির্দেশিকা পূর্বনির্ধারিত হলেও পরিবর্তনশীল নয় তাই তার ন্যুনতম হওয়াটা জরুরী - অর্থাৎ নীতি হবে মেদহীন, সূক্ষ্ম, যুক্তিযুক্ত৷ নীতি মূলতঃ তিন রকমের হয়ে থাকে - ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয়৷ স্বাভাবিক সংজ্ঞানুযায়ী নীতি ব্যক্তিগত হওয়াই উচিৎ কারণ প্রতিটি মানুষ এক পৃথক ব্যক্তিসত্ত্বা তাই যে কোন বিষয়ে তার এপ্রোচও পৃথক হতেই পারে৷ তবু মানুষ যেহেতু বৃহত্তর সমাজেরও অঙ্গ, তাই সামাজিক স্বার্থেও কিছু নীতি মেনে চলতে হয়৷ এক্ষেতে নীতি প্রণয়নের সময় মাথায় রাখা হয় যে আমার ব্যক্তিগত নির্বাচন বৃহত্তর সমাজের কোন ক্ষতিসাধন করছে কি না - করলে তা সামাজিক নীতি হিসাবে বর্জনীয় হবে৷ উদাহরণ - প্রকাশ্য স্থানে মূত্রত্যাগ করা - আমি ব্যক্তিগতভাবে তাকে অনৈতিক না-ও ভাবতে পারি, কিন্তু যেহেতু আমি সেটা করলে তার ফলাফলটা অন্য পাঁচজনকেও প্রভাবিত করে, যারা সেটাকে অনৈতিক বা নিদেনপক্ষে অস্বাস্থ্যকর ভাবতেই পারেন, তাই সেটি সামাজিক নীতি হিসাবে বর্জনীয়৷ রাষ্ট্রীয় নীতিও অনেকটা একই ভাবে নির্ধারিত হয়ে থাকে (রাষ্ট্রীয় নীতি একটি বৃহত্তর আলোচনার ক্ষেত্র - তাকে এর মধ্যে আনা হল না মেদবৃদ্ধির ভয়ে)৷ সমস্যাটা হল এদের কারো সীমানা নির্দিষ্ট করা নেই - এবং নীতি যদিও প্রধানত এবং সংজ্ঞাগত ভাবে ব্যক্তিগতই হওয়া উচিৎ, কিন্তু যেহেতু কোন সাধারণ ব্যক্তির তুলনায় সমাজ এবং রাষ্ট্র অধিক ক্ষমতাশালী, তাই তাদের স্বাভাবিক প্রবণতাই হল ব্যক্তিগত নীতিকে প্রায় সমস্ত সম্ভাব্য ক্ষেত্রে গ্রাস করার৷ সমকামিতা প্রসঙ্গে সমাজ বা রাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গী বিচার করার সময়ে এই প্রবণতার কথা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে৷
    ঠিক যে কারণ দেখিয়ে আমরা প্রকাশ্যে মূত্রত্যাগকে বর্জনীয় সামাজিক নীতি হিসাবে দেখিয়েছি, সমকামিতার বিরুদ্ধে সমাজ (এবং রাষ্ট্রও) সেই একই যুক্তি দেখিয়ে থাকেন - যে তা অন্যের ভাবাবেগকে আঘাত করে এবং সামাজিক দূষণ তৈরি করে৷ এখানে প্রশ্ন - দুটো কি চরিত্রগতভাবে এক? আমি রাস্তায় মূত্রত্যাগ করে চলে গেলেও আমার মূত্র এবং তার দুর্গন্ধ রাস্তাতেই থেকে যায় - বাহ্যিকভাবে, বস্তুগতভাবে (Physically) - তার ফলটাও থেকে যায়৷ অন্য কারো স্বীকার বা অস্বীকার করার ওপর তার অস্তিত্ব নির্ভর করে না, কারণ জীবানু ও দুর্গন্ধের অস্তিত্ব শুধুমাত্র মানসিক নয়৷ কিন্তু এমন কি প্রকাশ্য রাস্তায় যদি দুজন পুরুষ বা দুজন নারী বা দুজন উভলিঙ্গ পরস্পরকে চুম্বন করে চলে যায় (বা এমনকি যৌনক্রিয়া করে গেলেও) তা ভালো না খারপ, স্বস্তিকর না অস্বস্তিকর তা বিচার করবে কেবল আমার মন - ব্যক্তি মানুষের মন, কোন ব্স্তুগত প্রমাণ (Physical Evidence) নয়৷ এবং এহ বাহ্য, এক্ষেত্রে আমরা যে ধরে নিলাম এই যৌনক্রিয়াটি প্রকাশ্যে সঙ্ঘটিত হল, তা একটি অতি বিরল সম্ভাবনা৷ সমকামী মানুষ বিষমকামীদের মতই (বরং বাস্তবতার বিচারে আরো বেশী করেই) তাদের যৌনাচরণ নিভৃতে ব্যক্তিগত পরিসরে করাই পছন্দ করেন - তাই এর "সামাজিক অভিঘাত"টি মূলতঃ মানসিক - বস্তুতঃ তা সমাজ ও রাষ্ট্রের অতি-সক্রিয়তার একটি অভিজ্ঞান৷ সমকামিতা, বিষমকামিতার মতই একটি ব্যক্তিগত বিষয় যা সম্পূর্ণতঃ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্বাচন ও নৈতিকতার ওপর নির্ভরশীল, তাই নীতিগতভাবে এবং বৈজ্ঞানিকভাবে সমকামিতা কোনরকমেই সমাজ ও রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণের বিষয় নয়৷
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২১ মার্চ ২০১৫ | ৪৩১৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • একক | 24.96.35.211 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৪:০৫68436
  • আরেকটা আনাড়ি প্রশ্ন করে যাই ।
    সব মানুষ মানুষ কেন ? মানে রিট্রিভার-পয়েন্টার এগুলো নাহয় সিলেক্টিভ বৃড কিন্তু তার আগেও সব কুকুর একই কুকুর ছিল তা নয় । তাহলে সব মানুষ মানুষ কেন ?

    প্রশ্নটা করার আরেকটা কারণ ওই ঈশান যেমন জিগালো .......হটাত করে সাদা এথিনিসিতির লোকের গ্রুপে একটা কালো পয়দা তো হচ্ছেনা ।তারমানে কী মানুষের একটা এক্সট্রা লেয়ার আছে যেটা আমরা হিসেবে না ধরে সবাইকে মানুষ ভাবি ?
  • একক | 24.96.35.211 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৪:১৪68437
  • মানে সোজা কথায় মানুষের ক্ষেত্রে যাকে রেস বলি সেটাকে কী আলাদা ব্রিদ বলা যায় ? এটুকু জানলেই চলবে ।
  • Ishan | 183.17.193.253 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৪:১৫68438
  • মানে আমার প্রশ্নটা খুব সোজা এবং বেসিক। পঞ্চাশ হাজার বা পঞ্চাশ কোটি সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও(কটা সম্ভাবনা আছে আমি জানিনা) দুই খাঁটি ইউরোপিয়ানের বাচ্চা অতি অবশ্যই সাদা হয়। দুই পিগমির বাচ্চা অবশ্যই বেঁটে হয়। কিন্তু দুই বিষমকামীর বাচ্চা কেন বিষমকামী হয়না?

    এইটা ম্যাক্রো স্কেলে প্রশ্নটা করলে এরকম দাঁড়াবে। একটা জনজাতি থেকে (ধরা যাক জার্মান) কালোত্বের প্রবণতা ৫০০০০ বছরে হাওয়া হয়ে গেল। লম্বাত্বের প্রবণতা পিগমিদের থেকে হাওয়া হয়ে গেল। কিন্তু সমকামের প্রবণতা কেন হাওয়া হয়ে গেলনা?

    তবে এককের কুকুর সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরটা ডারউইন সায়েব দিয়ে গেছেন। একদা সব কুকুরই কুকুর ছিল। হিউম্যান এবং ন্যাচারল, নানা প্রকারের সিলেকশনের ফলে বেচারাদের আজকের এই নানা জাতি নানা ভাষা নানা পরিধান। বিশদ বিবরণের জন্য অরিজিন অফ স্পিসিসের প্রথম ও দ্বিতীয় চ্যাটার দ্রষ্টব্য। :-)
  • Ekak | 24.96.35.211 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৪:২৫68439
  • এট্টু এট্টু পড়েছি বস । ওগুলো বিশ্বাসযোগ্য লাগেনি :( সেটা আমার কমতি হতেই পারে ।
    হাউন্ড জাতীয় কুকুরেরা মানুষের সঙ্গে ঘুরে রদেন্ট শিকার করত বলে তারা ম্যাস্তিফ বা ওয়াটার স্পানিয়েল(যার থেকে গোল্ডেন রিত্রীভার এসছে) জলে নেবে হাঁস কুড়িয়ে আনতো বলে তারা ওয়াটার স্পেনিয়েল "হয়ে উঠেছে" এগুলো একদম ব্যাক ক্যালকুলেট করে মেলানো মনে হয় ।
    কেন এরকম নয় যে , রদেন্ট শিকারী বৃদের মাটি শুঁকে বেড়ানো হাউন্ড কে মানুষ পুষেই ছিল ইঁদুর-ভোন্দর ধরে খাবে বলে । ওয়েটল্যান্ড এ কুকুর রা পাখি শিকার করে তো কম জলে ।নিজে দেখেছি। সেটাই আদিম মানুষ চুস করেনি তার কী মানে ।

    আমি একদম মডার্ন ওয়ার্ল্ড সিলেক্টিভ ব্রিডিং এর আগের পর্যায় বলছি। যে কারনে দ্যাশহাউন্ড বা রিত্রীভার এদের ধরিনি ।
  • Ishan | 183.17.193.253 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৪:২৭68440
  • আমার বিদ্যে ওখানেই শেষ। আর জানিনা। :-)

    তবে আমার সন্দেহ হচ্ছে, একক একটা বিদঘুটে বাজে থিয়োরি নামানোর চেষ্টা করছে। :-)
  • একক | 24.96.35.211 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৪:২৯68441
  • হ্যা, "ন্যাচেরাল সিলেকশন" হতেই পারে । সেক্ষেত্রে "তারা একই ছিল" হলেও সবস্পিসিস তৈরী হয়েছে। ওয়াটার স্পানিয়েল এবং হাউনদ এর বৈজ্ঞানিক নাম এক না।

    এই সব মানুষ ই হোমো স্যাপিয়েন্স স্যাপিয়েন্স এটা ভয়ঙ্কর কনফিউসিং :(
  • একক | 24.96.35.211 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৪:৩১68442
  • না না ,আগের পোস্ট এ লিখিনি । নতুন কিছু না ,মানুষের সবস্পিসিস মেন্টেন করা হয়না এটা বায়োলজিকাল ডিসিশন না পলিটিকাল সেইটা বোঝার চেষ্টা কচ্চিলুম :P
  • Ishan | 183.17.193.253 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৪:৩৪68443
  • আমি সবসময় পলিটিকাল এর পক্ষে। মাই চয়েস। :-)
  • Atoz | 161.141.84.175 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৪:৪৮68446
  • অক্ষ, বড়ো এস আর ভাগীকে অনেক থ্যাংকস।
    এইবারে অর্ফ্যান জিন ব্যাপারটা একটু বলুন। ভবঘুরে জিনও কি আছে? অথবা স্পাই জিন?
  • pi | 116.218.8.179 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৫:০২68444
  • বাকি তর্কে ঢোকার এখন সময় নেই। কিন্তু একটা জিনিস চোখে পড়লো। বলা হয়েছে, সিংগল মিউটেশন ডেট্রিমেন্টাল হবার চান্স কম। কিন্তু এরকম উদাঃ তো বেশ কিছু আছে। সিকল সেল অ্যানিমিয়া, বেশ কিছু কালার ব্লাইণ্ডেডনেস, সিস্টিক ফাইব্রোসিস।
    ক্যান্সারের জন্য BRCA1 , BRCA2 বললাম না, কারণ এক্ষেত্রে মিউটেশন থাকলে ক্যান্সার হবেই বলা যায়না।

    আর ছোটোখাটো অর্গ্যানিজমে তো এসবের ভুরি ভুরি উদাঃ। একটা হক্স জিনে মিউটেশন হলে মাছির মাথা থেকে পা বেরিয়ে যেতে পারে।

    সিকল সেল বাদে অন্য হিমোগ্লোবিনোপ্যাথির ( অস্বাভাবিক হিমোগ্লোবিন) ও অনেক গুলোই তাই।
    তবে আশার কথা এটাই বেশিরভাগ সময়ে একটা কপিতে মিউটেশন দিয়ে ডেট্রিমেন্টাল হয়না, রিসেসিভ ট্রেইট থাকে, ডিসিস না।

    আর ডেট্রিমেন্টালের উল্টোদিকে, সারভাইভালের সুবিধাও অনেক সময়ই সিংগল মিউটেশন দিয়ে হয়। ম্যালেরিয়াল প্যারাসাইটের অনেক ড্রাগ রেসিস্ট্যান্স ই একটি জিনে একটি মিউটেশন দিয়ে সম্ভব। মশার ডিডিটি, পাইরিথ্রয়েড রেসিস্ট্যান্স।
  • pi | 192.66.8.224 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৮:৪২68445
  • একট জিনিস ক্লিয়ার করে দি, পরে এর থেকে অন্য মানে হতে পারে। সারভাইভালের সুবিধা বলতে কোনো একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে, যেমন কোন ড্রাগ বা ডিডিটি - এগুলোর প্রেশার পড়াকালীন পরিস্থিতিতে এই মিউটেশনগুলোর সুবিধার কথা বলেছি। এমনিতে, কোন প্রেশার না থাকলে এসব বেশিরভাগ মিউট্যান্টের ফিটনেস ওয়াইল্ড টাইপের থেকে কম হয়।
  • anirban | 146.152.15.186 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৯:০২68447
  • সিঙ্গল মিউটেশন ডেট্রিমেন্টাল হওয়ার চান্স কম - এইটা নিয়ে কোনো পেপার পাওয়া যাবে? রিভিউ পেপার হলে ভালো হয়। লিংক দিলেই হবে - আমি ডিপ থেকে ডাউনলোড করে নেব।
  • a x | 138.249.1.202 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৯:১০68448
  • আহা অর্ফ্যান মানে যা, তাই। অনাথ। বাপ মা নাই। তো সাধারণত ভাবা হয়, আমাদের জিন গুলো বাবা-মা'র জিন একটু আধটু ঘষে মেজে তৈরি। বাবা - মা মানে ডিরেক্টলি বাবা-মা না। বিবর্তনে বাবা-মা। তাই আমরা লিনিয়েজ ধরে জিনের ভাই বোন (জিনের ভাষায় হোমোলোগ) দেখতে পাই। কিন্তু জিনোম প্রোজেক্টগুলো করতে গিয়ে দেখা গেল বহু জিন পাওয়া যাচ্ছে, যাদের এইরকম কোনো হোমোলোগ ট্রেস করা যাচ্ছেনা। এই অর্ফ্যান জিনগুলো নিয়ে প্রচুর কাজ হচ্ছে এখন এবং জীবের বিবর্তনে এদের ভূমিকা দেখা হচ্ছে।
  • Atoz | 161.141.84.175 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০৯:৫৪68449
  • খুবই ইন্টারেস্টিং।
    এটা কি সরল জীবেও দেখা যায়? ধরুন একদম মাত্র কয়েকশো কোষী জীব? কিন্তু যৌনজনন হয়। এদের অর্ফ্যান জিন থাকে? নাকি আমাদের মতন জটিল জীবে থাকে শুধু? বা প্রশ্নটা রিফ্রেজ করি, যত জটিল জীব তত বেশী (বা কম) অর্ফ্যান জিন?
  • riddhi | 117.217.133.50 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ১০:১৩68450
  • "কিন্তু দুই বিষমকামীর বাচ্চা কেন বিষমকামী হয়না?" দুটো প্রচন্ড বেঁটে বাবা মার মারাত্মক লম্বা ছেলে দেখেছি।
  • Atoz | 161.141.84.175 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ১০:১৮68451
  • হয়তো তার ঠাকুদ্দা বা ঠাকুমা বা দাদু বা দিদিমা বা ঠাকুদ্দার বাবা অথবা তার বাবা বা দিদিমার মা বা দিদিমা বা ঠাকুমার মা বা বাবা বা এরকম বংশের লাইনে কেউ কেউ লম্বা ছিল।
  • riddhi | 117.217.133.50 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ১০:৪০68452
  • ^ এক্স্যাক্টলি। তাই লম্বার ব্যাপারটা যাস্ট বাবা মার ট্রেটের ফলাফল, সেটার থেকে আরেকটু জটিল, মানা যাই। হ্যাঁ , যাস্ট সিঙ্গল জিনের জন্য এই সামান্য জটিলতা হতে পারে। এবার বেশ কম্প্লেক্স জেনেটিক ট্রেট হলে, একটা বিশেষ ফেনোটাইপ মাইনরিটি হলেও টিকে থাকতে পারেই । তার ওপর এপিজেনেটিক্সের খেলা আছে।
  • Ishan | 74.134.163.9 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ১১:০৬68453
  • দুর্বাবা কতবার একই কথা কইব। দুই খাঁটি জার্মানের বাচ্চা কখনও কালো রঙের দেখেছেন? তার ঠাকুদ্দার ঠাকুদ্দার ঠাকুদ্দার ঠাকুদ্দার.... ঠাকুদ্দা কোনো কালে নিশ্চয়ই কালো বা বাদামী রঙের ছিল। একই কথা পিগমিদের প্রসঙ্গেও। তাদের ঠাকুদ্দার ঠাকুদ্দার.... ঠাকুদ্দা কোনো কালে নিশ্চয়ই অতটা বেঁটে ছিলনা। কিন্তু তার পরেও মোটামুটি ১০০% নিশ্চয়তা নিয়ে বলা যায় দুই পিগমির বাচ্চা লম্বা হবেনা।

    অথচ দুই বেঁটে ভারতীয় বাপ-মার বাচ্চা লম্বা হলেও হতে পারে। কারো হয়তো তিন প্রজন্ম আগে কেউ লম্বা ছিল, সেটা ফুটে বেরোয়।

    তার মানে কোনো একটা স্তরে প্রচ্ছন্ন প্রবণতাগুলো কার্যকরীভাবেই হাওয়া হয়ে যায়। হয়তো ৩৫ প্রজন্ম(বা ৪১ বা ১৭ বা ৭) ধরে যারা বেঁটে তাদের বাচ্চাদের আর বেঁটে হবার প্রবণতা অবশিষ্ট থাকেনা। ৩ (বা ৫ বা ৭) প্রজন্ম পরে সেই প্রবণতাটা প্রচ্ছন্ন থাকে কিন্তু উবে যায়না।

    এবার প্রশ্ন হল, গত ২০০০ (বা ১৫০০ বা ৩০০০) প্রজন্মে জার্মানদের কালো হবার প্রবণতা যেভাবে হাওয়া হয়ে গেল, সমকামিত্ব সেভাবে কেন হাওয়া হলনা? সমকামিত্ব এখনও ফুটে ফুটে বেরোয়, এবং সেটা জেনেটিক, কথাটার বললে তার দুটো মানে থাকতে পারেঃ

    ১। এখনও খাঁটি জার্মানদের মধ্যে মাঝে মাঝেই কালো বাচ্চা জন্মায়।
    ২। সমকামিত্ব খুব স্পেশাল একটা ব্যাপার। গায়ের রঙ যেভাবে নির্বাচিত হয়েছে, সমকামিত্ব তার ঊর্ধ্বে। তার জন্য অন্যরকম বিশেষ কিছু ব্যবস্থা আছে।

    অথবা,

    ৩। সমকামিত্ব জেনেটিকালি আসে কথাটা ঠিক নয়।

    এই তিনটের বাইরে অন্য কোনো অপশন থাকলে বলবেন। না থাকলে এই তিনটের মধ্যে কোনো একটা বেছে নিতে হবে (এর প্রথমটা অ্যাবসার্ড সে তো দেখাই যাচ্ছে, অতএব হাতে রইল প্র্যাকটিকালি দুটো)
  • sswarnendu | 198.154.74.31 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ১২:০৯68402
  • a x,
    আপনিই বায়োলজি পড়ার কথা তুললেন তাই বললুম... এখানে অনেকেই জানে আপনি বায়োলজিস্ট, তাই আপনি
    "হয়ত জীবনে বায়োলজি পড়িইনি।" এসব লিখে যা করতে চাইছিলেন সেইটা সরাসরি বলে দিলাম বলে গায়ে লাগলো?

    একক,
    যে কোন হাইলি ইভল্ভড স্পিসিস এর অ্যাডাপ্টিভ ট্রেইটগুলো নিয়ার অপ্টিমাল ... মানে যে পরিবেশ এর সাথে কো-ইভল্ভ করেছে বা যে পরিবেশের সাথে অ্যাডাপ্ট করতে সিলেক্টেড হয়েছে যেভাবেই বলুন না কেন, মোদ্দা ব্যাপারটা হল পরিবেশের বেশ খানিকটা রদবদল না হলে সেগুলো প্রায় অপ্টিমাল...

    মিউটেশন র‍্যান্ডম, তাই সেগুলো অ্যাভারেজ এর অ্যাবাউট এ অসিলেশন ... এবার এলিমেন্টারি স্ট্যাটিস্টিকস আপনাকে বলে দেবে, এই অসিলেশন যত ছোট তত বেশী প্রোবাবল, বড় জাম্প কম প্রোবাবল...
    যেহেতু বড় জাম্প ক্রমশ কম প্রোবাবল আর যেকোনো হাইলি ইভল্ভড স্পিসিস ইভল্যুশন এ তাদের জেনেটিক কম্বিনেশনের স্টেবিলিটির জন্যও সিলেক্টেড, তাই তাদের স্টেবিলিটি বেসিন ও বড়...মানে প্রাণীটা জন্মাবে অথচ বেশিদিন বেঁচে থাকতে পারবে না এতটা ( বোল্ড এ ) ক্যাটাস্ট্রফিক মিউটেশনের চান্স খুবই কম।
    আবার যেহেতু স্পিসিস অ্যাভারেজগুলো অপ্টিমাল, তাই ডেভিএশন ডিসঅ্যাডভান্তেজিয়াস হওয়ার চান্স বহু বেশী, যদি না পরিবেশে বড়সড় রদবদল ঘটে ( a x এর উদা তেও এটা দেখতে পাবেন। একই অ্যান্টিবায়োটিক চার্জ না করে গেলে ওই মিউট্যান্ট ব্যাক্টিরিয়ারা আদৌ সিলেক্টেড হয়ে স্পিসিস অ্যাভারেজ টা পালটাবে না )

    এইবার সামান্য, একটা প্রাণীতে প্রায় ইমপারসেপ্টেবল অসুবিধাও গোটা পপুলেশন এ যতগুলো প্রাণীর ওই জিনটি আছে তাই দিয়ে মালতিপ্লায়েড হয়ে এবং ইভল্যুশনারি টাইম এ কয়েক প্রজন্ম গড়িয়ে গেলে বেশ সিরিয়াস ব্যাপার... ( এটা দেখার কোন শর্ট কাট নেই, অসুবিধেটাকে রিপ্রোডাক্টিভ সাকসেস এর প্রোবাবিলিটিতে একটা ভীষণ ছোট সংখ্যার তফাত এ ট্রান্সলেট করুন... তারপর খাতা পেন হাতে অঙ্কটা কষে ফেলুন যে ওই অসুবিধাজনক ট্রেইট টা উবে যেতে কটা জেনারেশন লাগবে... এক্স্যাক্ট ০ চাইলে হবে না, সে অন্য সমস্যার জন্য... ধরুন দেখতে চান কত নম্বর জেনারেশন এ ওই ট্রেইটার ফ্রিকোয়েন্সি ১/ ( সেই জেনারেশনের পপুলেশন ) হল... অঙ্কটা না করতে চাইলে R.A. Fischer এর পাথব্রেকিং বইটা পড়ে দেখুন )

    এইবার একটা সিঙ্গল স্টেপ মিউটেশনে একটা অপ্টিমাল ছেড়ে আর একটা অপ্টিমাল এ গিয়ে পড়া প্র্যাকটিকালি অসম্ভব... crocodile এর মিউট্যান্ট ছানা alligator বা gharial বেরয় না, সামান্য ' খুঁত ' ওয়ালা crocodile ই বেরতে পারে...
    মানুষ আর শিম্পাঞ্জির কমন পুর্বপুরুষদের থেকে একটা মিউট্যান্ট মানুষের বাচ্চা বা শিম্পাঞ্জির বাচ্চা বেরয়নি... কমন পুর্বপুরুষদের একটা পপুলেশন কোনভাবে এমন পরিবেশে পড়ে যেখানে তাদের ট্রেইটগুলো আর অপ্টিমাল নয়, শিম্পাঞ্জির টা অপ্টিমাল... আবার কমন পুর্বপুরুষদের আর একটা পপুলেশন কোনভাবে এমন পরিবেশে পড়ে যেখানে তাদের ট্রেইটগুলো আর অপ্টিমাল নয়, মানুষেরটা অপ্টিমাল... এবার দুটো পপুলেশনই আউট অফ ইক্যুলিব্রিয়াম... এইবার, এই পরিস্থিতিতে এবং কেবলমাত্র এই পরিস্থিতিতেই ওই কথাটা আর খাটে না, এখন আর ডেভিএশন ডিসঅ্যাডভান্তেজিয়াস হওয়ার চান্স বহু বেশী নয়, বরং প্রায় ৫০-৫০, যেগুলো পরিবর্তিত অপ্টিমালের দিকে সেগুলো অ্যাডভান্তেজিয়াস, অন্যগুলো ডিসঅ্যাডভান্তেজিয়াস । Natural selection এর slow but steady, decisive 'hand' কাজ করে চলবে... স্পিসিস অ্যাভারেজ respective optimal এর দিকে এগতে থাকবে প্রতিটা প্রজন্ম থেকে পরেরটায়... respective optimal reach করলে... নতুন স্পিসিস এল দুটো...

    এগুলো elementary Darwinian theory, সামান্য উৎসাহ থাকলে যে কেউই, এমনকি আমার মত বায়োলজিতে নিরক্ষর লোক ও বুঝতে পারে...
  • riddhi | 114.179.35.242 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ১২:৪১68403
  • তর্ক টা কি কি নিয়ে কেউ একটা হাল্কা সামারি দিয়ে দেবে?
  • a x | 60.171.26.111 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ১২:৫৫68404
  • একক, এগুলো এইভাবে একলাইনে বোঝাতে হচ্ছে বলে মনে হয় ভুল বোঝা বাড়ছে। আর এগুলো একস্ট্রীমলি কমপ্লেক্স, কোনো একটা দিক দিয়ে দেখলে পুরো উত্তর কখনই পাওয়া যাবেনা।

    আপনার উত্তর এইভাবে দিচ্ছি। জিন এক্স্টিংক্ট বলতে কি বোঝানো যায় ঠিক জানিনা। কিন্তু এইভাবে ভাবা যায় - জিন তো বেসিকালি ঐ ATGC দিয়ে তৈরি। এইবার অ্যাক্রস স্পিসিস যদি দেখা যায়, এমন জিন পাওয়া যাবে যা ইস্ট থেকে মানুষে আছে। হয়ত পুরো একদম এক না (একে বলা যেতে পারে, পুরো কন্সার্ভড না)। জিনের মধ্যে কিছু অংশ আবার একদম এক সিকোয়েন্স এরকমও হতে পারে (কন্সার্ভড সিকোয়েন্স) - যেটা দিয়ে মোটামুটি ভাবে বলা যায় ঐ পারটিকুলার সিকোয়েন্স দিয়ে যে অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং তার থেকে যে প্রোটিন ফোল্ডিং হবে, সেটি দরকারি, তাই সেটার কনসার্ভেশন দেখা যাচ্ছে। আবার এমন জিন পাওয়া যাবে, যেগুলো পয়েন্ট মিউটেশন হয়েছে, একটা সিঙ্গল অ্যামাইনো অ্যাসিড বদলেছে, এবং তাতে পুরো জিনটার কাজই বদলে গেছে।

    এবার এই প্রতিটি নিউক্লিওটাইডে মিউটেশন রেট কত হতে পারে, তার একটা এস্টিমেট বিভিন্ন লোকে বিভিন্ন ভাবে করেছে, ডিলিটেরিয়াস মিউটেশনের রেটও বার করেছে। এবার এর থেকে এরকম কোনো প্রোব্যাবিলিস্টিক মডেল করা যায় কিনা, বা অলরেডি কেউ করে ফেলেছে কিনা আমি জানিনা।
  • a x | 60.171.26.111 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ১২:৫৯68405
  • স্বর্ণেন্দু, আমার কোনো কিছুই গায়ে লাগেনি। মানে আপনি তো আগে থেকেই রিডিক্যুল করার উদ্দেশ্যে অনেক কিছু বলছেন। সে ঠিক আছে। অর্কুটে এসব দেখেছি অনেক।

    আমি ঠিক কি আপনি ভুল এইসব ব্যপারে আমি নেই। বিষয়ে ইন্টেরেস্ট বেশি আমার।
  • a x | 60.171.26.111 (*) | ০৪ এপ্রিল ২০১৫ ০১:২৯68456
  • রেশিয়াল ডিফারেন্স তো সাবস্পিসিস লেভেলেই। এটা রিসেসিভ/ডমিনান্ট বলে না। জিওগ্রাফিকাল আইসোলেশন, সিলেকশন সুইপ, জেনেটিক ড্রিফট, পরিবেশের প্রভাব (ও তার ফলে সিলেকশন) ইত্যাদি দিয়ে আলাদা করে জনগোষ্ঠি ইভলভ করেছে, সে সবাই আফ্রিকা থেকে আদিতে আসলেও। কিন্তু এই রেসগুলো নিজেদের ভেতরে সব এক এমন না, যেমন জার্মানরা সবাই সোনালী চুল, নীল চোখ না। পিগমিদের সবার শরীরের রোমের ঘনত্ব এক না। তেমনি পিগমি বা জার্মান দুজনেরই অনেক মিলও আছে। কি থাকছে আর কি যাচ্ছে তা দিয়ে ওরকম রিসেসিভ, ডমিন্যান্ট বলা যায়না। বা উল্টোটাও না। আর এগুলো ওরকম মেন্ডেলিয়ান জেনেটিক্স দিয়ে ব্যাখ্যা করার মত ঠিক না। মানে একটা ফেনোটাইপের জন্য একজোড়া অ্যালিল এরকম না। যখন জেনেটিক ক্লাস্টারিং করে দেখা হয়, তখন ডিস্টিন্ক্ট পপুলেশন গুলোর মধ্যে জিওগ্রাফিকাল আইসোলেশনই দেখা যায়।। ঠিক বোঝাতে পারলম না হয়ত। ধরা যাক ১০০০ টা স্যাম্পল নেওয়া হয়েছে, এবার প্রতিটি স্যাম্পেলের কিছু জিন নিয়ে ক্লাস্টারিং অ্যানালিসিস করলে দেখা যাবে, যদিও শুরুতে কিছুই না জেনে, বা নন-বায়াসড ভাবেই দেখা হয়েছিল, তাও এই সব ট্রেটগুলো ভৌগোলিক সেপারেশন অনুযায়ী ক্লাস্টারিং করচে। তো এটা তো বিবর্তনেরই পার্ট। কিছু ট্রেট, পরিবেশ, খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি বুঝে সিলেকেটেড হচ্ছে, কিছু হচ্ছেনা। এবং আল্টিমেটলি সত্যিই এখনও কেউ নিশ্চিত ভাবে জানেনা, কেন ঠিক এরকমই হচ্ছে। যদিও ঐ ইউভি প্রোটেকশনে মেলানিন দরকার বলে কালো রং আর ভিটামিন ডি বানাবে বলে সাদা রং এইসব থিওরি আছে, কিন্তু এগুলো সেরকম ফুলপ্রুফ না। অন্যদিকে কেন চিনেদের চোখে ওরকম এপিক্যান্থিক ফোল্ড এর কোনো জেনেটিক বেসিস এখনও পাওয়া গেছে বলে আমার জানা নেই। আদার দ্যান এগেইন ঐ জিওগ্রাফিকাল এবং পরিবেশগত ভিন্নতার সাথে সংযোগ থাকা। কাজেই ঈশানের দুটো উদাহরণই রেশিয়াল ফিচারের দিকে ইন্ডিকেট করছে। সেক্সুয়ালিটি বা সেক্সুয়াল প্রেফারেন্সের এরকম কোনো ক্লাস্টারিং করা হয়েছে কিনা জানিনা।
  • a x | 60.171.26.111 (*) | ০৪ এপ্রিল ২০১৫ ০১:৩৪68457
  • আরেকটা কথা বলা প্রয়োজন, আমি ওপরে রেশিয়াল ও রেস এই কথাগুলো বলেছি, কিন্তু বায়োলজিতে এগুলো খুব সাবধানতার সাথেই উচ্চারিত হয়। শুধু পলিটিকাল কারণে না, রেসের এক্সিস্টেন্স অনেক বিজ্ঞানীও মানেন।
  • a x | 60.171.26.111 (*) | ০৪ এপ্রিল ২০১৫ ০১:৩৮68458
  • এককের এক্সপেরিমেন্টটা আমি অন্যরকম ভাবে করব। খাঁটি কিছু জার্মান নিয়ে এসে ট্রপিকাল এরিয়া তে ছেড়ে দেব।বেশ কয়ক প্রজন্ম (হাজার খানেক) চড়ে খাক - দেখা যাক এবার গায়ের রং কী হয়।
  • Abhyu | 85.137.13.237 (*) | ০৪ এপ্রিল ২০১৫ ০২:০৬68459
  • আমি যদি অক্ষদার মতো অতো শিওর হতাম যে হাজারের বেশি বছর বাঁচব, বিভীষণ কি অশ্বত্থামার মত, তা হবে আমিও ঐ রকম এক্সপেরিমেন্ট করতাম। আর ডাঙায় চলা তিমি তো আছে এখনো, আস্তানায় আস্তানা।
  • Atoz | 161.141.84.175 (*) | ০৪ এপ্রিল ২০১৫ ০২:১৪68460
  • আরে রে রে ব্যাপার গুরুচরণ কেস!
    অক্ষ তো অর্ফ্যান জিনের কথা কইলেন, শুনে আমি ভালোমানুষটির মতন শুদ্ধ জ্ঞানসঞ্চয়ের উদ্দেশ্যে ডকু খুঁজে দেখতে শুরু করেছি!
    ওরে ম্মা!!!!! দেখি পিল পিল পিল পিল করে বিশাল অ্যান্টি-ডারউইনিজমের স্কুল বার হয়েছে, কত যে ডকু!
    ঐসব অর্ফ্যান জিন দেখেই ব্যাটারা লাফাতে লাফাতে একশা। সবই নাকি নিউ ক্রিয়েশন!
    ঃ-)
  • Atoz | 161.141.84.175 (*) | ০৪ এপ্রিল ২০১৫ ০২:১৭68461
  • অভ্যু, ঐ এক্সপেরিমেন্ট অন্য জীব নিয়ে করা সম্ভব। ধরো, ঐ প্রাণী দশদিনে অ্যাডাল্ট হয়ে ইন্টুবিন্টু করে ছেলেপিলে পয়্দা করে কুড়িদিনে মরে যায়। তাহলে এক বছরের মধ্যেই কিন্তু বেশ অনেকগুলো জেনারেশন স্টাডি করা যাবে।
  • a x | 60.171.26.111 (*) | ০৪ এপ্রিল ২০১৫ ০২:১৮68462
  • অভ্যু ঃ-))))

    ওরে বাবা আতস, ইন্টার্নেট হল ক্রিয়েশনিস্ট, অ্যান্টি-ভ্যাক্সদের আড়ত!
  • Bhagidaar | 216.208.217.6 (*) | ০৪ এপ্রিল ২০১৫ ০২:২২68463
  • ব্যাকটেরিয়া দিয়ে কল্লেই হয়! কুড়ি মিনিট জেনেরেশন টাইম!

    তবে বায়-বিজ্ঞানী সমাজের মতে তো রেস আদৌ জেনেটিক্স দ্বারা নির্ধারিত নয়!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন