এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • আকাশের অর্ধেক = অর্ধেক আকাশ

    রৌহিন লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২১ মার্চ ২০১৫ | ৪৩২২ বার পঠিত
  • সমকামিতা - একটি প্রাকৃতিক / জন্মগত শারিরীক অবস্থা নাকি অভ্যাসগত / আরোপিত? ব্যক্তির পছন্দ-অপছন্দের ওপর কিছু কি নির্ভর করে নাকি তার কোন জায়্গাই নেই? সমকামিতা কি নৈতিক না অনৈতিক? উচিৎ না অনুচিৎ? গ্রহনযোগ্য না বর্জনীয়?
    অসংখ্য প্রশ্ন - যার উত্তর নিয়ে কাঁটাছেড়া চলছে৷ চলুক৷ আমরা এখানে এই প্রশ্নগুলির বাইরে বেরিয়ে কিছু বিষয় আলোচনা করতে চাই৷ করতে চাই কারণ সুপ্রীম কোর্ট সম্প্রতি (2013) জানিয়েছেন যে এই সংক্রান্ত আইনটি (দফা 377) বহাল এবং অপরিবর্তিত থাকছে আপাততঃ কারণ দিললী হাইকোর্টের এই আইন পরিবর্তন সংক্রান্ত যে রায়টি বহাল ছিল 2008 থেকে তা যথেষ্ট আইনী ভীতের ওপর দাঁড়িয়ে নেই - কিন্তু এ নিয়ে আলাপ আলোচনা চলতে পারে - আইন পরিবর্তন করতে হলে তা গণতান্ত্রিক দেশে জনমত তৈরীর মাধ্যমে আইনসভায় হওয়াটাই বাঞ্ছনীয়৷
    প্রথমে আসা যাক সমকামিতার উৎস সংক্রান্ত প্রশ্নে৷ অনেকের ধারণা এটি জিনগত - যদিও তার সপক্ষে যথেষ্ট বৈজ্ঞানিক প্রমান এখনো অপ্রতুল৷ এখন কথা হল এটা জিনগত অথবা জন্মগত কোন শারিরীক অবস্থা যদি হয়ে থাকে তবে বাদবাকি প্রশ্নগুলি এমনিতেই অবান্তর হয়ে যায় - নৈতিকতা, ঔচিত্য, গ্রহনযোগ্যতা প্রভৃতির প্রশ্নই ওঠে না৷ কিন্তু যেহেতু এই জন্মগত ব্যপারটা প্রমানিত নয়, তাই এই সব প্রশ্নগুলি বারবার সামনে এসে পড়ে৷
    অতএব প্রথমে ধরে নেওয়া যাক সমকামিতা কোন জন্মগত বা জিনগত অবস্থা নয়৷ তাহলে পড়ে থাকে নির্বাচনের প্রশ্ন - অর্থাৎ তথাকথিত নৈতিকতার প্রশ্ন৷ প্রশ্নটা হল যেহেতু অধিকাংশ পুরুষ বা নারী যৌনাচারের জন্য তার বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গী বা সঙ্গিনী বেছে নেন, তবে কি এটাই প্রাকৃতিক নির্বাচন (Natural Selection)? কেউ যদি তা না করে নিজ লিঙ্গের মানুষের প্রতি আকর্ষণ বোধ করেন তা কি প্রকৃতির বিরুদ্ধতা? প্রায় সব ধর্মই এই অভ্যাসের বিরোধী - কিন্তু বিজ্ঞানও কি তাই? ডারউইনিজমের "টিকে থাকার যুদ্ধ" (Struggle for existence) এবং "যোগ্যতমের উদবর্তন" (Survival of the fittest) ও কি সমকামের বিরুদ্ধে কথা বলে? পাশাপাশি এটা কি তাহলে শুধুমাত্র কিছু অনৈতিক অভ্যাস বা উশৃঙ্খল জীবন যাপনের ফল - যা কিছু তথাকথিত "এলিটিস্ট" এর মদতে ফুলে ফেঁপে উঠেছে?
    অর্থাৎ প্রশ্নটি দ্বিমুখী - বৈজ্ঞানিক এবং নৈতিক৷ প্রথমে বৈজ্ঞানিক দিকটি নিয়ে কথা বলব (এখানে মনে রাখা দরকার এটা বিজ্ঞানের সেমিনার নয় - আর আমরা সম্ভাবনার 50 শতাংশ - সমকামিতা জন্মগত, এই সম্ভাবনাটাকে আগেই সরিয়ে রেখে আলোচনায় ঢুকছি)৷ যৌন পক্ষপাত যদি নির্বাচিত বিষয় (Choice) হয়ে থাকে তবে প্রকৃতিতে সংখ্যাগুরু মানুষ / প্রাণী বিপরীত লিঙ্গের প্রতি পক্ষপাত পোষণ করে৷ কারণ সেই যৌনাচার তাকে বংশবিস্তারে সহায়তা করে এবং তদ্বারা তা টিকে থাকার যুদ্ধের হাতিয়ার হিসাবে ক্রিয়া করে৷ এই তত্ত্বের ওপর দাঁড়িয়ে সমকামী যৌনাচরণকে ডারউইনিজমের বিরোধী আখ্যা দেওয়া হয়৷ কিন্তু এখানে ভেবে দেখার বিষয়টি হল, বংশবৃদ্ধি টিকে থাকার যুদ্ধের অন্যতম হাতিয়ার হলেও একমাত্র পথ নয় কারণ টিকে থাকার যুদ্ধটি শুধুমাত্র বংশবিস্তারের ওপর নির্ভর করে না - আরও একাধিক জটিলতর বিষয় থেকে যায়৷ এই মুহুর্তে যেমন জাতি হিসাবে মানুষের টিকে থাকার যুদ্ধে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ তার জনবিস্ফোরণ - বিপুল জনসংখ্যা যা প্রতিনিয়ত পৃথিবীর স্বাভাবিক বাস্তুতন্ত্রকে ধ্বংস করছে৷ অরণ্য কমছে, নদী-নালা দূষিত হচ্ছে, বাস্তুতন্ত্রের পক্ষে প্রয়োজনীয় বহু প্রজাতি ক্রমশঃ বিলুপ্ত হচ্ছে বা সেদিকে এগোচ্ছে৷ চাহিদা ও জোগানের বৈষম্য বাড়তে বাড়তে স্বাভাবিক সীমা ছাড়িয়ে গেছে অনেকদিন - WHO এর সমীক্ষানুযায়ী পৃথিবীর জনসংখ্যা এই মুহুর্তে তার স্বাভাবিক ধারণক্ষমতার থেকে প্রায় 7 গুণ বেশী - এবং এই বৃদ্ধির হারও ক্রমে বেড়েই চলেছে - এক্সপোনেনশিয়াল হারে৷ তাই টিকে থাকার যুদ্ধে বংশবিস্তারের বাইরেও কিছু জরুরী ক্ষেত্র থেকে যায়৷ সমকামিতা তাই হয়তো প্রকৃতির একটি স্বাভাবিক নির্বাচন (Natural Selection) - যাকে জোর করে আটকে রাখা হয়তো ডারউইনিজমের বিরুদ্ধেই যাচ্ছে শেষ পর্যন্ত৷ যদিও এটি কোন প্রমানিত বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব নয় - যুক্তিনির্ভর অনুমান মাত্র৷ টিকে থাকার যুদ্ধে না জিতলে কিন্তু যোগ্যতমের উদবর্তন সম্ভব নয়৷
    এবার নৈতিকতা এবং ঔচিত্যের প্রশ্ন৷ এখানেও শুরুতেই ধরে নিচ্ছি সমকানিতা জন্মগত বা জিনগত নয় - স্বনির্বাচিত যৌন পক্ষপাত - কারণ অন্যথায় এই আলোচনার কোন অর্থই নেই৷ এই পক্ষপাত নীতিসম্মত কি না তার উত্তর পেতে হলে প্রথমে নীতি (Principle) বিষয়টিকে সংজ্ঞায়িত করা প্রয়োজন৷ নীতি হল আমরা কোন বিষয়কে কিভাবে এপ্রোচ করব তার একটি ন্যুনতম কিন্তু পূর্বনির্ধারিত নির্দেশিকা৷ যেহেতু অতি বিশেষ পরিস্থিতি ছাড়া সেই নির্দেশিকা পূর্বনির্ধারিত হলেও পরিবর্তনশীল নয় তাই তার ন্যুনতম হওয়াটা জরুরী - অর্থাৎ নীতি হবে মেদহীন, সূক্ষ্ম, যুক্তিযুক্ত৷ নীতি মূলতঃ তিন রকমের হয়ে থাকে - ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয়৷ স্বাভাবিক সংজ্ঞানুযায়ী নীতি ব্যক্তিগত হওয়াই উচিৎ কারণ প্রতিটি মানুষ এক পৃথক ব্যক্তিসত্ত্বা তাই যে কোন বিষয়ে তার এপ্রোচও পৃথক হতেই পারে৷ তবু মানুষ যেহেতু বৃহত্তর সমাজেরও অঙ্গ, তাই সামাজিক স্বার্থেও কিছু নীতি মেনে চলতে হয়৷ এক্ষেতে নীতি প্রণয়নের সময় মাথায় রাখা হয় যে আমার ব্যক্তিগত নির্বাচন বৃহত্তর সমাজের কোন ক্ষতিসাধন করছে কি না - করলে তা সামাজিক নীতি হিসাবে বর্জনীয় হবে৷ উদাহরণ - প্রকাশ্য স্থানে মূত্রত্যাগ করা - আমি ব্যক্তিগতভাবে তাকে অনৈতিক না-ও ভাবতে পারি, কিন্তু যেহেতু আমি সেটা করলে তার ফলাফলটা অন্য পাঁচজনকেও প্রভাবিত করে, যারা সেটাকে অনৈতিক বা নিদেনপক্ষে অস্বাস্থ্যকর ভাবতেই পারেন, তাই সেটি সামাজিক নীতি হিসাবে বর্জনীয়৷ রাষ্ট্রীয় নীতিও অনেকটা একই ভাবে নির্ধারিত হয়ে থাকে (রাষ্ট্রীয় নীতি একটি বৃহত্তর আলোচনার ক্ষেত্র - তাকে এর মধ্যে আনা হল না মেদবৃদ্ধির ভয়ে)৷ সমস্যাটা হল এদের কারো সীমানা নির্দিষ্ট করা নেই - এবং নীতি যদিও প্রধানত এবং সংজ্ঞাগত ভাবে ব্যক্তিগতই হওয়া উচিৎ, কিন্তু যেহেতু কোন সাধারণ ব্যক্তির তুলনায় সমাজ এবং রাষ্ট্র অধিক ক্ষমতাশালী, তাই তাদের স্বাভাবিক প্রবণতাই হল ব্যক্তিগত নীতিকে প্রায় সমস্ত সম্ভাব্য ক্ষেত্রে গ্রাস করার৷ সমকামিতা প্রসঙ্গে সমাজ বা রাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গী বিচার করার সময়ে এই প্রবণতার কথা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে৷
    ঠিক যে কারণ দেখিয়ে আমরা প্রকাশ্যে মূত্রত্যাগকে বর্জনীয় সামাজিক নীতি হিসাবে দেখিয়েছি, সমকামিতার বিরুদ্ধে সমাজ (এবং রাষ্ট্রও) সেই একই যুক্তি দেখিয়ে থাকেন - যে তা অন্যের ভাবাবেগকে আঘাত করে এবং সামাজিক দূষণ তৈরি করে৷ এখানে প্রশ্ন - দুটো কি চরিত্রগতভাবে এক? আমি রাস্তায় মূত্রত্যাগ করে চলে গেলেও আমার মূত্র এবং তার দুর্গন্ধ রাস্তাতেই থেকে যায় - বাহ্যিকভাবে, বস্তুগতভাবে (Physically) - তার ফলটাও থেকে যায়৷ অন্য কারো স্বীকার বা অস্বীকার করার ওপর তার অস্তিত্ব নির্ভর করে না, কারণ জীবানু ও দুর্গন্ধের অস্তিত্ব শুধুমাত্র মানসিক নয়৷ কিন্তু এমন কি প্রকাশ্য রাস্তায় যদি দুজন পুরুষ বা দুজন নারী বা দুজন উভলিঙ্গ পরস্পরকে চুম্বন করে চলে যায় (বা এমনকি যৌনক্রিয়া করে গেলেও) তা ভালো না খারপ, স্বস্তিকর না অস্বস্তিকর তা বিচার করবে কেবল আমার মন - ব্যক্তি মানুষের মন, কোন ব্স্তুগত প্রমাণ (Physical Evidence) নয়৷ এবং এহ বাহ্য, এক্ষেত্রে আমরা যে ধরে নিলাম এই যৌনক্রিয়াটি প্রকাশ্যে সঙ্ঘটিত হল, তা একটি অতি বিরল সম্ভাবনা৷ সমকামী মানুষ বিষমকামীদের মতই (বরং বাস্তবতার বিচারে আরো বেশী করেই) তাদের যৌনাচরণ নিভৃতে ব্যক্তিগত পরিসরে করাই পছন্দ করেন - তাই এর "সামাজিক অভিঘাত"টি মূলতঃ মানসিক - বস্তুতঃ তা সমাজ ও রাষ্ট্রের অতি-সক্রিয়তার একটি অভিজ্ঞান৷ সমকামিতা, বিষমকামিতার মতই একটি ব্যক্তিগত বিষয় যা সম্পূর্ণতঃ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্বাচন ও নৈতিকতার ওপর নির্ভরশীল, তাই নীতিগতভাবে এবং বৈজ্ঞানিকভাবে সমকামিতা কোনরকমেই সমাজ ও রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণের বিষয় নয়৷
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২১ মার্চ ২০১৫ | ৪৩২২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • a x | 60.171.26.111 (*) | ০৪ এপ্রিল ২০১৫ ০২:২৩68464
  • 7:04এ অনেক বিজ্ঞানীও মানেননা লিখতে চেয়েছি।
  • Atoz | 161.141.84.175 (*) | ০৪ এপ্রিল ২০১৫ ০২:২৮68465
  • তবে অর্ফ্যান জিনগুলো ইন্টারেস্টিং ব্যাপার। এক ডকুতে বল্লো প্রত্যেক স্পিসিসে নাকি ১৫% থেকে ৩০% অর্ফ্যান জিন। নাকি বেশ ভালো অ্যাচিভ্মেন্টওয়ালা এরা।
    তাই ?
    মুশকিল হচ্ছে কোন ডকু নেবো আর কোনটা ইগ্নোর করবো সেটাই তো বুঝতে পারছি না। আলিবাবা চল্লিশ চোরের সেই মর্জিনার কেস হয়ে গেছে। সব বাড়িতেই চিহ্ন দিয়ে রেখেছে। ঃ-)
  • a x | 60.171.26.111 (*) | ০৪ এপ্রিল ২০১৫ ০২:৩৪68466
  • এটা ইটসেল্ফ একটা টপিক, বিতর্কিত ও বেশ চর্চিত। সোমনাথ জুৎসির একটা চটি বই আছে - "biology as politics বলে, সীগালের পাব্লিকেশন। উৎসাহীরা পড়ে দেখতে পারেন। যখন এই ইন্টারসেকশন গুলো তৈরি হয়, তখন একে অপরকে দুটো আলাদা শাখা কীভাবে প্রভাবিত করে, সেটা হাইলি ইন্টেরেস্টিং।
    ক্রেইগ ভেন্টারের মতো বিজ্ঞানীরাও মনে করে রেস একটি সামাজিক নির্মাণ।
  • Ishan | 183.17.193.253 (*) | ০৪ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:০০68467
  • বায়োলজিকাল রেসে একটা পলিটিকাল প্রবলেম আছে। ওই একক যেমন বলেছে নানা জাতের কুকুর থাকলে নানা জাতের মানুষ আছে এটা ধরে নিতে হবে। তাতে নানা সমস্যা তৈরি হবে। যেমন ধরুন অলিম্পিকে সর্বসাধারণের জন্য দৌড় টা করা যাবেনা। কারণ ডোবারম্যানরা স্প্যানিয়েলের চেয়ে বায়োলজিকালিই জোরে দৌড়বে। ব্যাখ্যা করলাম না, মোটের উপর 'সবার উপর মানুষ সত্য' কেসটা ঝাড় হবে। বেশিদূর গেলে ইউজেনিক্সের বাড়বাড়ন্তও হতে পারে।

    এইটা খুব বড়ো সমস্যা। কিন্তু সেটা বাদ দিলেও রেস তৈরিতেও আমাদের সমস্যা মিটছেনা। শুধু একটা লেয়ার তৈরি হল। অর্থাৎ, রেস বলতে আমরা বুঝছি বৈশিষ্ট্যের এমন একটা স্তর যেখানে কিছু প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য হাওয়া হয়ে যায়। সত্যিই হাওয়া হল কিনা জানা নেই, কিন্তু প্র্যাক্টিকাল পারপাসে হাওয়া হল আর কি। আর রেস যদি না তৈরি হয় তো তাদের ফিরে আসার একটা চান্স আছে। এই জন্যই দুটো বেঁটে লোকের লম্বা বাচ্চা হয়, কিন্তু দুই জার্মানের কালো বাচ্চা হয়না, কারণ জারাম্নরা একটা জাতি, বেঁটে লোকেরা নয়।

    কিন্তু তার পরেও বেসিক কোচ্চেনটা থেকেই গেল। জাতি নামক লেয়ারটা, যদি থাকে, তাহলে সেটা সিলেকশন প্রেশারেই তৈরি হয়েছে। সেই একই সিলেকশন প্রেশারে সমকামীরা হাওয়া হলনা কেন? এক্ষেত্রে জাতি তৈরি হতনা ঠিকই, কিন্তু জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সব মানুষের যেমন লোম ঝরে গেছে, সেরকমই দুনিয়া থেকে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সমকাম ঝরে যাবার কথা। সেটা হলনা কেন?
  • sosen | 212.142.113.107 (*) | ০৪ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:৫০68468
  • অক্ষদার ০৬ঃ৫৯ কমেন্টের সাথে আর একটা লাইন জুড়ে দিই যে এক সেট জিন, যা একধরনের গুণাবলীর স্পেক্ট্রাম তৈরি করার জন্য দায়ী হতে পারে, তাদের জিওগ্রাফিকাল ডিস্ট্রিবিউশন, প্যাটার্ন অফ ইভলিউশন, নেচার অফ ইভলিউশন, কোনো ভাবেই আরেক সেট জিনের ঐ ঐ ঐ এর সঙ্গে একান্ত একরকম(আইডেন্টিক্যাল) নয়। সুতরাং বিবর্তনের চালু থিওরিগুলোতে অবজার্ভেশনকে বাঁধতে চাওয়া এই মুহূর্তে বোকামি। আর জিন থেকে আরেকটু এগিয়ে ভাবতে হবে, কারণ জিন /ডিএন এ ইনফরমেশনের বাহক হলেও কি গুণাবলী দেখা যাবে তার চরম নিয়ন্ত্রক নয়। ভাবতে হবে ঐ জিন আদৌ নিজেকে প্রকাশ করে কিনা। করলে কি অবস্থায় করে, জীবের মাইক্রোএনভায়রনমেন্ট তার উপর কতটা প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন আফ্রো দম্পতির শিশুও জন্মকালে তুলনামূলক হাল্কা রং-এর হয়, আবার জাতি নির্বিশেষে, মেয়েদের রং হাল্কা হয়।
    জার্মান শিশু কেন কুচকুচে কালো রঙের হয় না? তার কারণ তার ত্বকে মেলানিন কম তৈরি হয়। এবার ঈশান এবং এককের প্রশ্ন যেটা, যে কালো রং তৈরির জন্য দায়ী যে সকল জেনেটিক ভ্যারিয়ান্ট সেগুলো কি এখনো ইউরোপিয়ান ডিসেন্টে আছে, না লুপ্ত হয়ে গেছে? যেটুকু কোরিলেশন এখনো টানা হয়েছে, তাতে বলা হয় আফ্রিকা থেকে মাইগ্রেট করার পর লাইট স্কিন ভ্যারিয়ান্টগুলি খুব কম সময়ে পজিটিভলি সিলেক্টেড হয়েছে, অর্থাত সিলেকশন সুইপ হয়েছে। ফোটোপ্রোটেকশনের সঙ্গে মেলানিন কন্টেন্টের পজিটিভ সম্পর্ক দেখানো হয়, (ফুলপ্রুফ নয়) কিন্তু যেমন দেখা যায়, চিম্পরা লাইট স্কিনড, কিন্তু লোম আছে, তাতে পিগমেন্ট আছে, ফোটোপ্রোটেকশন দ্যায়। মানুষ লোম হারিয়ে চামড়ায় পিগমেন্ট নিয়ে এলো, গরমে ওভারহিটিং কমলো, সোয়েট গ্ল্যান্ড তৈরি হোলো। এসব ট্রপিক্যালে হচ্ছে। মনে রাখতে হবে এইসময় পরীক্ষামূলক ভাবে বিভিন্ন মিউট্যান্ট তৈরি হচ্ছে, তার সবগুলো এখন আর পাওয়া যাবে না।এবার মানুষের একটা অংশ হাঁটা বাজালো উত্তরে । ওখানে আবার ঠান্ডা বাড়লো। পোশাক আশাকের প্রচলন হতে শুরু করলো। সম্ভবত ইউ ভি প্রোটেকশনের প্রয়োজন-ও কমলো, ফলে লেস এনার্জি এক্সপেনসিভ মিউট্যান্ট পাথওয়ে গুলো বেশি গুরুত্ব পেলো, ওয়েদার চেঞ্জের কারণে একটা সিলেক্টিভ সুইপ হলো, অর্থাৎ অদরকারী মিউটেশনগুলোকে সরিয়ে রাখা হলো বা তারা রিভার্টেড হলো। এইখানেই ঈশান সম্ভবত বলতে চাইছে যে কালো হওয়ার প্রবণতা হারিয় গেলো। কিন্তু মনে রাখতে হবে আমি যে খন্ডচিত্র আঁকলাম তার পুরোটাই গেসিং গেম। অঙ্ক, বায়োকেমিস্ট্রি , মলিক্যুলার বায়ো আর লজিক। ডেফিনিটিভ কোনো প্রমাণ হাতে নেই-প্রথমত। দ্বিতীয়ত, এই এক একটা গুণের সঙ্গে জড়িত জিনগুলো আরো গুণের সঙ্গেও জড়িত থাকতে পারে, সেইজন্য তাদের সিলেকশন প্রেসার এক একটা আইসোলেটেড জিওগ্রাফিক্যাল ফ্যাক্টর দিয়ে গোণা যায় না। সুতরাং, এমনকি, গায়ের রঙের মতো সোজাসাপটা বস্তুও আদপে সোজাসাপ্টা ডমিন্যান্ট বা রিসেসিভ নয়। যৌন পরিচয় তো আরো অনেক গোলমেলে ব্যাপার। ওয়ান লাইনার দিয়ে তার বিবর্তন বোঝার মতো জায়গায় এখনো আমরা পৌঁছাইনি। গেসিং গেমটা খেলা যেতে পারে। তবে সেটা বায়াসড থাকবে।
  • দ্রি | 15.79.68.161 (*) | ০৪ এপ্রিল ২০১৫ ০৫:৫৭68469
  • এই টইতে ইনফর্মেশান এক্সপ্লোশান হয়ে যাচ্ছে। এবার এই ইনফর্মেশানগুলো একটু আসতে আসতে চিবুতে হবে।

    আপনারা বলছেন, গায়ের রংএর মত একটা সাধারণ জিনিষও একটা জিন দিয়ে নির্ধারিত নয়। এটা ইন্টারেস্টিং।

    কোন কোন ট্রেটগুলো একটা জিন দিয়ে নির্ধারিত তার একটা পার্শিয়াল লিস্ট দিন। তাহলে বুঝতে সুবিধে হবে। এই জিনগুলো কি আইডেন্টিফায়েড হয়ে গেছে? যেমন চোখের মনির রং কি একটা জিন দিয়ে নির্ধারিত?

    এমন কি কোন ট্রেট জানা আছে যেটা একটা না হলেও একটা ছোট সংখ্যক (যেমন দুই, কি তিন, কি পাঁচ) জিনদ্বারা নিয়্ন্ত্রিত, এবং জিনগুলো আইডেন্টিফায়েড হয়েছে?
  • sosen | 212.142.113.107 (*) | ০৪ এপ্রিল ২০১৫ ০৬:১০68470
  • দ্রি, Comment from pi on 03 April 2015 10:32:47 দেখুন।
  • দ্রি | 186.126.252.12 (*) | ০৪ এপ্রিল ২০১৫ ০৬:২৪68471
  • আচ্ছা, এইটা।

    "সিকল সেল অ্যানিমিয়া, বেশ কিছু কালার ব্লাইণ্ডেডনেস, সিস্টিক ফাইব্রোসিস।"

    যদি মানুষের মধ্যে রেস্ট্রিক্ট করি।

    মাত্র একটা জিনের মধ্যে কিছু একটা গন্ডোগোল হলে এই অসুখগুলো হবে।

    আর দুটো বা তিনটে জিন মিলিয়ে কোন একটা ট্রেট ডিটার্মিন্‌ড হয় এরকম কিছু জানা আছে?
  • দ্রি | 101.109.247.173 (*) | ০৪ এপ্রিল ২০১৫ ০৬:৫৪68472
  • আরো কিছু বেসিক প্রশ্ন আমার আছে মিউটেশান সংক্রান্ত।

    যে জিনের সেটটা মানুষের শরীরে থাকে, সেটা তো প্রত্যেকটা সেলেই থাকে, তাই না? এবং প্রত্যেকটা সেলে জিনের সেটটা তো সেম, রাইট?

    কিন্তু মিউটেশান যখন হয়, তখন একটা জিন বদলে যায়। কিন্তু সেটা নিশ্চয়ই সব সেলে একই সাথে হয় না? তার মানে, মিউটেশান হওয়ার পর সব সেলে আর একই জিনের সেট থাকল না?

    তাহলে প্রশ্ন হল কোন সেলে কোন জিন মিউটেট করলে কী হয়।

    এবং বাচ্চার কাছে নিশ্চয়ই এগ আর স্পার্মের জিনগুলোই গিয়ে পৌঁছয়? অন্য সেলের নয়। সুতরাং এটা কি বলা যেতে পারে, একজন মানুষের জীবনে অন্য যাই সেলে যাই মিউটেশান হোক না কেন, একমাত্র এগ এবং স্পার্মে মিউটেশান হলেই সেইটা অফস্প্রিং এ গিয়ে পৌঁছবে?
  • Bhagidaar | 218.107.71.70 (*) | ০৪ এপ্রিল ২০১৫ ০৭:১৪68473
  • সব জিন সব সেলে এক্সপ্রেস হয়না। আমার হাতের সেলে ইন্সুলিন জিনে কোনো মিউতেশান হলে কিছু এসে যাবেনা। ওরম মিউটেশান ডিএনএ রেপ্লিকেশন এর সময় আকচার হয়। কোনো অসুবিধে হয়না। বেশি ঝামেলা হলে সেলটা সুইসাইদ করে।

    আর হ্যা, জেনেটিক অসুখ দুরকম: হেরিটেবল আর নন-হেরিটেবল। হেরিটেবল হলো যা সেক্স-লিংকড, অর্থাত এক্স অর ওয়াই ক্রমসম লিন্ক্দ।
  • pi | 24.139.221.129 (*) | ০৪ এপ্রিল ২০১৫ ০৮:১৭68474
  • 'ফোটোপ্রোটেকশনের সঙ্গে মেলানিন কন্টেন্টের পজিটিভ সম্পর্ক দেখানো হয়, (ফুলপ্রুফ নয়) কিন্তু যেমন দেখা যায়, চিম্পরা লাইট স্কিনড, কিন্তু লোম আছে, তাতে পিগমেন্ট আছে, ফোটোপ্রোটেকশন দ্যায়। মানুষ লোম হারিয়ে চামড়ায় পিগমেন্ট নিয়ে এলো, গরমে ওভারহিটিং কমলো, সোয়েট গ্ল্যান্ড তৈরি হোলো। এসব ট্রপিক্যালে হচ্ছে। মনে রাখতে হবে এইসময় পরীক্ষামূলক ভাবে বিভিন্ন মিউট্যান্ট তৈরি হচ্ছে, তার সবগুলো এখন আর পাওয়া যাবে না।এবার মানুষের একটা অংশ হাঁটা বাজালো উত্তরে । ওখানে আবার ঠান্ডা বাড়লো। পোশাক আশাকের প্রচলন হতে শুরু করলো। সম্ভবত ইউ ভি প্রোটেকশনের প্রয়োজন-ও কমলো, ফলে লেস এনার্জি এক্সপেনসিভ মিউট্যান্ট পাথওয়ে গুলো বেশি গুরুত্ব পেলো'

    --

    মেলানিন ফোটোপ্রোটেকশন দেয়, সেটার আর উত্তরে দরকার নেই, তাই লাইট স্কিন, এটা কি ঠিক ? আর লাইট স্কিন 'লেস এনার্জি এক্সপেনসিভ মিউট্যান্ট' থেকে হয় সেটাও বা কোথা থেকে জানা গেল ?

    আমি তো অন্য কিছু জানতাম। মানে, মেলানিনের গল্প যেটুকু জানা গেছে, সেটাও আরো অনেক জটিল।
    মোটামুটি চালু থিয়োরি হল, বা বলা ভাল ছিল, উত্তরে গেলে ইউ ভি কমে যাওয়ার কারণে ভিটামিন ডি সিন্থেসিস কমে যায়। এদিকে সেটার দরকার। তাই ফোটোপ্রোটেকশনের দরকার কমানোর জন্য নয়, ভিটামিন ডি যাতে আরো বেশি তৈরি হয়, সেই জন্য যাতে আরো বেশি ইউ ভি ব্যবহার করা যায়, সেই জন্য লাইট স্কিনের মিউটেশন সিলেকশন স্যুইপ হয়েছিল।

    কিন্তু এই থিয়োরির কিছু সমস্যা দেখা দিয়েচে। এটা অনুযায়ী যে সময় থেকে রং হাল্কা হওয়ার কথা, তার অনেক পরে হয়েছে। কিছুদিন আগে ইউরোপে এমন মানুষের অস্তিত্ব উদ্ধার হয়েছে যার চোখ নীল, রং কালো ! ৭০০০ বছর আগে।

    তো, এখন এও মনে করা হয়, যদ্দিন ইওরোপে লোকজন শিকার ক'রে মাংস বেশি খেত, ভিটামিন ডি অনেকটা ডায়েট থেকে আসতো, কৃষিকাজ শুরু করার পর খাদ্যে ভিটমিন ডি অনেক কমে যায়, তাই তার প্রয়োজনীয়তা অনেক বেড়ে যায়, সেজন্য ইউভি কে ব্যবহার করার প্রয়োজনও বেড়ে যায়, অতএব লাইট স্কিন।
    ইন্যুইটদের অমন লাইট স্কিন না হবার কারণ হিসেবেও বলা হয়, তাদের খাদ্যাভ্যাস। ডায়েট থেকেই অনেক ভিটামিন ডি পেয়ে যায় বলে ইউভি দিয়ে ভিঃ ডি তৈরি করার আলাদা কোন চাপ নাই।

    এদিকে এই মেলানিন ও ইউভি থিয়োরিরও সমস্যা আছে। মেলানিন বেশি হলেই তাদের ভিটামিন ডি কম বা অস্টিওপোরেসিস বেশি সেটাও সবসময় বলা যায়না।

    এখন ফিল্যাগ্রিন নামে একটা প্রোটিনের গল্পও এসেছে। সেটা বেরিয়ার প্রোটিন হিসেবে কাজ করে, ভিটামিন ডি সিন্থেসিস এ সাহায্য করে, লাইট স্কিনের সাথে সাথে। কিন্তু সেটা আবার ইউরোপে খুব বেশি জনের নেই।

    সব মিলিয়ে এটা ভালোই ধাঁধা। মানে, কেন আদৌ এটা সিলেক্টেড হল। মামুর প্রশ্নে তো গেলামইনা।
  • sosen | 212.142.113.107 (*) | ০৪ এপ্রিল ২০১৫ ০৮:২৬68475
  • কোনো থিওরিই এক্ষেত্রে প্রমাণিত নয় বলেই জানি -হোয়েন, হোয়াই এন্ড হাউ। এবং সেইজন্যই বললাম যে জিওগ্রাফিক্যাল ডিস্ট্রিবিউশনের সঙ্গে কোরিলেশন একটা গেসওয়ার্ক। তবে মামুর প্রশ্নের উত্তরটা নিশ্চয় পাই দিতে পারবে।
  • baki chromosome | 222.73.197.225 (*) | ০৪ এপ্রিল ২০১৫ ০৮:৩০68476
  • শুধু এক্স আর ওয়াই? তাহলেই শুধু হেরিটেবল? বাকি আমরা কি বানের জলে ভেসে এসেছি ?
  • Atoz | 161.141.84.175 (*) | ০৪ এপ্রিল ২০১৫ ০৮:৪৫68484
  • ইয়ে মানে, আমার একটা প্রশ্ন আছে।
    মানুষের এক একটা জেনারেশনের টাইমস্প্যান গড়ে ধরলাম ২৫ বছর, জন্ম থেকে যৌবন পৌঁছে বংশরক্ষা করতে এই সময় লাগে।
    এইবারে একটা বড়ো টাইম স্প্যান নিলাম, ২ মিলিয়ন বছর আগে নানা হোমো গণের প্রাণী এসেছে, সেফ সাইডে থাকার জন্য ধরুন ৫ মিলিয়ন বছর নিলাম। এইবার এই এত বছরে তাহলে ২ লক্ষ জেনারেশন। তাতে নতুন স্পিসিস দেখছি। এই আমরা, হোমো স্যাপিয়েন্স(আরো নানা সব ছিল হোমো হ্যাবিলিস হোমো ইরেক্টাস ইত্যাদি, সেসব তো জানেনই)।
    এইবার ধরুন এর ইকুইভ্যালেন্ট কোনো পরীক্ষা আমি করতে চাই, কিন্তু এমন কোনো স্পিসিস নিয়ে যাদের জেনেরেশন টাইম স্প্যান কম, ধরুন এক ঘন্টা। এখন ২ লক্ষ জেনারেশন তাহলে এই প্রায় বছর ২২ কি ২৩ লাগছে।
    এইরকম এক্সপেরিমেন্ট করে বিবর্তনের মাধ্যমে নতুন স্পিসিস তৈরী হচ্ছে এটা কি দেখানো সম্ভব? এরকম কোনো এক্সপেরিমেন্ট কি হয়েছে বা প্ল্যান আছে?
  • pi | 24.139.221.129 (*) | ০৪ এপ্রিল ২০১৫ ০৮:৫২68477
  • আমি কি নিশ্চয় করে দিতে পারবো তা দেখি তুমি নিশ্চিত করে জানো ! ঃ)
    যাগ্গে ঐ ফোটোপ্রোটেকশনের আর দরকার নেই বলে মেলানিন কম, এই থিয়োরিটা সেভাবে কোথাও দেখিনি। ইভলিউশনরি প্রেশার ঐ ভিটামিন ডি র অভাবের জন্য আর তার সাথে অন্যান্য থিয়োরি দেখেছি, তাই বললাম। আর কোনোটাই ফুলপ্রুফ নয় সেটাই তো বলতে চাইলাম মনে হয়।
  • দ্রি | 87.247.181.165 (*) | ০৪ এপ্রিল ২০১৫ ০৮:৫৭68478
  • হ্যাঁ, এই থিওরীগুলো শুনেই মনে হচ্ছে বিভিন্ন রকম গেস দ্যাট মেক্‌স সেন্স। কিন্তু প্রমাণ তো সোজা কথা নয়।

    আচ্ছা, এই কালো মানুষ নীল চোখ, এই সম্বন্ধে জানতে চাই। এটা একটা হার্ড এভিডেন্স। ৭০০০ বছর আগের মানুষের গায়ের রং, চোখের রং কীকরে জানা গেল এটা জানতে ইন্টারেস্টেড। লিংক, রেফারেন্স দিলেই হবে, মোটামুটি অথেন্টিক।
  • pi | 24.139.221.129 (*) | ০৪ এপ্রিল ২০১৫ ০৮:৫৯68479
  • 'হেরিটেবল হল সেক্স-লিংকড, অর্থাত এক্স অর ওয়াই ক্রমসম লিন্ক্দ ' মানে ? যেকোন ক্রোমোজোমের মিউটেশনই তো হেরিটেবল হতে পারে, যদি জার্মলাইনে হয় !

    দ্রি, হ্যাঁ, জার্মলাইনে মিউটেশন হলে হেরিটেবল হয়, সোমাটিক সেলে হলে হয় না।
  • Bhagidaar | 218.107.71.70 (*) | ০৪ এপ্রিল ২০১৫ ০৯:১৭68481
  • ইয়েস ইয়েস এই মিস-স্পোক। দুটো কনসেপ্ট গুলিয়েছি।
  • দ্রি | 79.162.139.9 (*) | ০৪ এপ্রিল ২০১৫ ০৯:২০68482
  • ও আচ্ছা। এরা হাড় পেয়েছে, সেটা অ্যানালাইজ করে বলছে ওর গায়ের রং কালো ছিল।

    The La Braña individual carries ancestral alleles in several skin pigmentation genes, suggesting that the light skin of modern Europeans was not yet ubiquitous in Mesolithic times.

    আমি বোকার মত ভেবেছিলাম, অত পুরোনো মানুষ ফ্রোজেন অবস্থায় বুঝি কোথাও একটা প্রিজার্ভ্‌ড ছিল।

    আচ্ছা, তাহলে এর থেকে কি বলা যায়, স্কিন পিগ্‌মেন্টেশান জিনগুলো গবেষকদের জানা, উইথ কনফিডেন্স? তা না হলে জাস্ট হাড় দেখে কি করে তাঁরা বলে দিচ্ছেন লোকটির গায়ের রং কালো ছিল?

    চোখের রংএর কেসটা এই পেপারে কি আছে?
  • একক | 24.99.181.128 (*) | ০৪ এপ্রিল ২০১৫ ১২:১৭68454
  • আমারও জার্মান বাচ্চার ধাঁধা কাটছে না :/

    ওপরের যুক্তিগুলো পড়ে যা বুঝলুম তা এইরকম যে প্রতিটা স্পিসিস ডেফিনিশন-এ এলাইন-নন এলাইন ধরেই স্কোপ বানানো হচ্ছে ।অর্থাত পিগমি দের মধ্যে হটাত লম্বা ছানা হলে বা জার্মানের হটাত কালো বাচ্চা হলে তাকে জায়গান্তিস্ম বা হাইপারমেলানো কিছু একটা অস্বাভাবিকতা বলে ডিফাইন করে দেওয়া হবা । কারণ সেটা সেই স্পিসিস বা সাবস্পিসিস এর সহায়ক বৈশিষ্ট নয় ।

    এটা বলছি ধরে নিয়ে যে কোনো ট্রেইট ১০০% এক্স্তিন্ক্ত হয়ে যায়না । সাপোর্ট কমে আসে বলে ফুটে ওঠে না । এটা পরীক্ষা করতে গেলে একপাল জার্মান পাকড়াও করে লিটারমেট দের মধ্যে সেক্স করিয়ে করিয়ে দেকতে হবা হারিয়ে যাওয়া বৈশিষ্ট পুনরায় কনভার্জ কচ্ছে কিনা ।

    আর নইলে ১০০% এক্স্তিন্ক্ত হয় ,কিভাবে হয় তার কিছু লজিক থাকবে । নইলে জার্মানদের কেল্টে বাচ্চা কোটি তে একটাও তো হবা ,নাকী ?
  • Atoz | 161.141.85.1 (*) | ০৪ এপ্রিল ২০১৫ ১২:৪১68455
  • বা ধরুন ডাঙায় চলা তিমি। বলা হয় এককালে এরা ডাঙায় ছিলো, কালক্রমে বিবর্তিত হয়ে জলে চলে গেছে। ঐ পুরানো ডাঙায় চলার ট্রেট যদি সুপ্ত থাকে, কিছু কিছু তিমিছানা(ধরুন কয়েক কোটিতে দুই একটা ) তাইলে তো ডাঙায় থাকতে চাইবে। কিন্তু তাতো হয় না! ঃ-)
  • Atoz | 161.141.84.175 (*) | ০৬ এপ্রিল ২০১৫ ০৪:৪২68485
  • তাহলে নতুন নতুন স্পিসিস তৈরী হচ্ছে কি হচ্ছে না?
    আরে বায়োলজিস্টরা একটু আলো দেখান না!
  • Bhagidaar | 216.208.217.6 (*) | ০৬ এপ্রিল ২০১৫ ০৮:০৮68486
  • এইটা বাজারে পেলাম। পড়ে দেখিনি কিন্তু কিছু প্রশ্নের উত্তর, বা উত্তর কিভবে খোঁজা হচ্ছে সে সম্পক্কে কিছু ইনফো থাকতে পারে।

    http://www.iflscience.com/health-and-medicine/white-skin-and-lactose-tolerance-recent-adaptations
  • দ্রি | 105.211.81.104 (*) | ০৭ এপ্রিল ২০১৫ ০৫:৪৪68487
  • ভাগীদার দেওয়া আর্টিক্‌লে পেলাম,

    The oldest pale versions of the SLC24A5 and SLC45A2 genes that Mathieson found were at Motala in southern Sweden 7,700 years ago. The gene associated with blue eyes and blond hair was found in bodies from the same site.

    তাহলে SLC24A5 আর SLC45A2 এই জিনদ্বয়ই কি রূপের চাবিকাঠি? সত্যি? এক জিনেই ফর্সা হয়ে যেতাম? 'ইইকটুর জইন্য রীইই'। এরা তো বলছে নীল চোখ, পাকা চুল এসবের জন্যও জিন বাঁধা আছে?

    ল্যাক্টোজ টলারেন্সের জন্যও জিন আছে মনে হল?
  • দ্রি | 181.25.193.235 (*) | ০৭ এপ্রিল ২০১৫ ০৫:৫৩68488
  • আরেকটা ব্যাপার,

    The 1000 Genomes Project is searching for such examples by comparing the genomes of modern individuals from specific regions in Europe with 83 samples taken from seven ancient European cultures.

    পাঁচ হাজার, সাত হাজার বছর আগের হাড় থেকে বিজ্ঞানীরা জিন অ্যানালাইজ করছেন এটা বেশ অবাক কান্ড। হাড়ের কন্ডিশান খুব ভালো বলতে হবে। সেদিন পড়ছিলাম ঐ আল্পসে ক্র্যাশ করা এয়ারবাসের যাত্রীদেশ দেশের অংশ খোঁজার কাজ চলছে। সেসবের ডিএনে অ্যানালিসিস হবে আইডেন্টিফিকেশানের জন্য। কিন্তুব ৯ই এপ্রিলের পর আর এটা করে লাভ নেই। কারণ তারপর আর ওগুলো অ্যানালিসিসের যোগ্য থাকবে না।
  • একক | 24.99.151.191 (*) | ০৭ এপ্রিল ২০১৫ ০৬:০২68489
  • ল্যাকটস টলারেন্স নিয়েই একটা প্রশ্ন আছে । দুধের যে প্রোটিন থেকে এই ইন্তলারেনস তার রাসায়নিক গঠন কী ওভার দ্য পিরিয়ড পাল্টায় নি ?

    মানে দুটো প্যারামিটার কেই উল্টে পাল্টে একটার সাপেক্ষে আরেকটা চেক করে বুঝতে চাইছি ।
    একচুয়ালি প্রশ্নটা শুধু ইন্তলারেনস না , এলার্জি নিয়েও বলা যায় । এলার্জি কী একধরনের ল্যাক অফ জেনেটিক এদাপ্তেষণ ? কিছু ক্ষেত্রে যেমন জানি ,ব্রকলি তে তেতো স্বাদ পাওয়া জেনেটিক ট্রেইট ।তবে সেটা এলার্জি না ।এদাপ্তেষণ গ্যাপ নিশ্চই ।
  • pi | 24.139.221.129 (*) | ০৭ এপ্রিল ২০১৫ ০৬:০৫68490
  • দ্রি, এখানে দেখুন, এই নিয়ে অনেক কথা হয়েছিল।
    http://www.guruchandali.com/guruchandali.Controller?portletId=8&porletPage=2&contentType=content&uri=content1382410839232&contentPageNum=5#.VSQbwdyUcqQ

    ওদিকে এক্সক্লুসিভ ফর্সা রংএর পিছনে ন্যাচারাল সিলেঅকশনের সাথে সাতেহ সেক্সুয়াল সিলেকশনের থিয়োরিও দেখলাম। এই ফর্সা রংএর মেয়েরা অনেক বেশি আকর্ষণীয়া, এরকম একটা ধারণা তৈরি ও প্রচার প্রসার হতে হতে ফর্সা মেয়েদেরই বেশি প্রেফার করা হত, সেখান থেকে ঐ ফস্সা ফস্সা বাচ্ছা জন্মানো। ভারতবর্ষে কালো ছেলের মা ঠাকুমাদের ফস্স্সা বৌ এনে যেমন বংশ ফস্সা করার প্রকল্প থাকতো।

    আর জিনের দিন দিয়ে দেখলেও একটা জিনই সব , এমনটা বোধহয় নয়।
  • একক | 24.99.151.191 (*) | ০৭ এপ্রিল ২০১৫ ০৬:০৬68491
  • দ্রী
    হাড় দিয়ে নাও হতে পারে বধায় । কারণ হাগু নিয়েও প্যালিয়েন্তলোজিস্ট রা প্রচুর কাজ করছেন ।হাড়ের চে বেশি তথ্য পাওয়া যায় ।স্যাম্পল বলতে শুকনো বিষ্ঠা হতে পারে ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় প্রতিক্রিয়া দিন