এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  স্মৃতিচারণ  স্মৃতিকথা

  • আলোর মানুষ ১ সৈয়দ হাসান ইমাম

    Eman Bhasha লেখকের গ্রাহক হোন
    স্মৃতিচারণ | স্মৃতিকথা | ২৮ জুলাই ২০২৪ | ১৩৮ বার পঠিত
  • কলকাতা কোনদিন হাসান ভাইকে ভুলতে পারবে না
    ইমানুল হক

    হাসান ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হওয়ার আগে থেকে তাঁর নামে চিনি। জন্মসূত্রে বর্ধমানের মানুষ। বর্ধমান শহর যে সব সু-সন্তানের জন্য গর্ব বোধ করে সৈয়দ হাসান ইমাম তাঁর অন্যতম। সৈয়দ হাসান ছিলেন বর্ধমানের দক্ষ ফুটবলার। খেলেছেন রাজ্য স্তরে। ১৯৫০-৫১ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার ইডেন গার্ডেনে খেলেছেন রাজ্য ক্রিকেট। গানের গলার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ায় ১৯৫১-র সর্বভারতীয় যুব উৎসবে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এক কথায় হাসান ভাই ছিলেন অল স্কোয়ার । রূপে গুণে মুগ্ধ করার মতো মানুষ। এসব শুনেছি বড়দের মুখে। হাসান ভাইয়ের মামার বাড়ি বর্ধমান। পরিবার খুবই সমৃদ্ধ এবং খ্যাতিমান। এই পরিবারেরর মানুষ আবুল কাশেম সাহেব রবীন্দ্রনাথের বাবা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর আর বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসুর বাবা ভগবানচন্দ্র বসুর সঙ্গে মিলে প্রতিষ্ঠা করেন বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল স্কুল। 
    হাসান ভাই লেখক বদরুদ্দিন উমর, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সৈয়দ মনসুর হবিবুল্লাহ, প্রখ্যাত পণ্ডিত সৈয়দ শাহেদুল্লাহ-র ঘনিষ্ঠ আত্মীয়।
     সৈয়দ হাসান ইমামকে প্রথম দেখি চলচ্চিত্রে। তারপর শুনি তিনি কলকাতায় বাস করছেন। আলাপ হল কলকাতা ময়দানে বঙ্গ সংস্কৃতি উৎসবে। ২০০২-এ আলোচনাসভার মঞ্চে। সেই দিন কল্যাণী নাট্য চর্চা কেন্দ্রের নাটক—‘নক্সী কাঁথার মাঠ’। একটু দেরিতেই শুরু হয় নাটক। আমার সেদিন সঙ্গীতকার দুই ভাই ময়ূখ-মৈনাকের বাড়িতে শুঁটকি খাওয়ার নিমন্ত্রণ। পশ্চিমবঙ্গে তখন ভাল শুঁটকি রান্নার মানুষ কম। কিন্তু যেতে পারছি না এক নাটকের গুণে। দুই হাসান ভাই আর লায়লাদি বসে আছেন। তাঁদের ধরে ১৭ জন দর্শক। উঠে গেলে আরও এক জন কমে যাবে। রাত সাড় ১১টা পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে বসে নাটক দেখলেন। কী করে  ফিরবেন সে ভাবনা না ভেবেই। এই নাটক হাসান ভাইয়ের ভাল লেগেছিল। ভাল লাগার মতই নাটক।
     বিশেষ করে এক অভিনেত্রীর গানের গলার কথা মনে গেঁথে আছে। 
    এখন আর অভিনয় করেন না। 
     কিন্তু পরে আবার দেখা হয় একই পরিচালকের ‘সোজনবাদিয়ার ঘাট’ দেখতে গিয়ে। সেদিন বিরক্ত হয়েছিলেন হাসান ভাই পরিচালক অভিনেতার ম্যানারিজমের বাড়াবাড়িতে। সে কথা গোপনও রাখেন নি। বহু জায়গায় একসঙ্গে বলতে গেছি। হাসানভাই এ দেশে যতদিন ছিলেন বহু সংগঠনের প্রেরণার  উৎস হয়েছিলেন এই শিল্পী দম্পত্তি। হাসান ভাই, লায়লা আপা। দুজনেই গুণী মানুষ। মুর্শিদাবাদের সালারে ভাষাশহিদ বরকতের গ্রামে বরকতের মূর্তি উদ্বোধন করেছেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সীর উপস্থিতিতে। গেছেন উত্তর ভারতে বাংলা ভাষা সংস্কৃতি আর নাটক নিয়ে বলতে। মুর্শিদাবাদে বাউল গানের আসরে গবেষক তাঁর অনিবার্য আমন্ত্রণ। নিবিড় সখ্য বাউল ও লোক সংস্কৃতি গবেষক ওধ্যাপক শক্তিনাথ ঝা-র সঙ্গে। বর্ধমান, মেদিনীপুর, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, রায়গঞ্জ, জলপাইগুড়ি  বহু জায়গায় গেছেন হাসান ভাই আর লায়লাদি। বক্তব্য পেশ করতে। কবিতা আর গান শোনানোর আব্দারও রাখতে হয়েছে । এস ওয়াজেদ আলির জন্মস্থান হগলির বড় তাজপুরের ওয়াজেদ আলি মেলার উদ্বোধন করেছেন হাসান ভাই। ভারতের বিশিষ্ট নাট্যকার, আততায়ীদের হাতে খুন হওয়া সফদার হাসমির মূর্তি উদ্বোধন করেছেন সোদপুরে। অনেক একুশের মিনার উদ্বোধনে ছিলেন হাসান ভাই আর লায়লাদি।
    আমাদের একটা সংগঠন আছে—ভাষা ও চেতনা সমিতি। মূলত বাংলা সংস্কৃতি ভারতীয় সার্বভৌমত্ব ইত্যাদি নিয়ে আন্দোলন লড়াই করে। ১৯৯৮এ জন্ম এই সংগঠনের। প্রাথমিকে ইংরেজি ফেরানোর বিরুদ্ধে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। সে লড়াইয়ে ছিলেন অশোক মিত্র, অরুণ মিত্র, অমিয় বাগচী, অমিতাভ চৌধুরী, সুচিত্রা মিত্র, কুমার রায়, সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়, আচার্য, মালিনী ভট্টাচার্য, মিহির ভট্টাচার্য, দেবেশ রায়, অমলেন্দু চক্রবর্তী, জ্যোতিপ্রকাশ চট্টোপাধ্যায়, অজিত পাণ্ডে, পীযূষকান্তি সরকার, আজিজুল হক, শুভেন্দু মাইতি, তপন মিত্র,  মৃণালিনী দাশগুপ্ত, জিয়াদ আলী, মাজহারুল ইসলাম, শিশির চক্রবর্তীসহ বাংলার বহু বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী। ১৯৯৯-এ  পশ্চিমবঙ্গে প্রথম সারারাত একুশে উদযাপনের সূচনা করে আমাদের সংগঠন। তার সভাপতি ছিলেন অন্নদাশংকর রায়। ১৯৯৯-এই প্রথম শুরু এই বাংলায় সারাদিন নববর্ষ উদযাপনের। পান্তাভাত শুঁটকি আর আমপোড়া শরবত দিয়ে।  সাম্প্রদায়িকতা আর মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে আমাদের সংগঠন।  ২০০২ খ্রিস্টাব্দে থেকেই হাসান ভাই আমাদের কাজের শরিক। ১৯৯৮ এ শুরু করেছিলাম আমরা। আমাদের রাজ্যের বুদ্ধিজীবীরা এ উদযাপনে আসেন। তারপর চলে যান। রাত ১২টায় মশাল মিছিল করে শহিদ ফুল দেওয়া আমাদের রীতি। হাসান ভাই লায়লা আপা এদেশে যতদিন থেকেছেন ততদিন প্রতিটি রাত থেকেছেন আমাদের সঙ্গে। প্রতিবার তাঁদের হাতে তুলে দিয়েছি মশাল। শহিদবেদিতে প্রথম পুষ্পপ্রদান করতেন এই দম্পতি। প্রথমবার আসার পর লায়লাদি জোগাড় করলেন ভারতে বসবাসরত বা পাঠরত বাংলাদেশি ছাত্রীদের। তাঁদের নিয়ে দু ঘন্টার নাচ গান আর কথার অনুষ্ঠান। আমাদের সঙ্গে বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের যে যোগাযোগ তিনি বা তাঁরা গড়ে দিয়ে গেছেন তাঁর সুফল পাচ্ছে আমাদের দেশ। কার পয়সার সমস্যা-টিউশনির দরকার।। হাসান ভাই বা লায়লা আপার ফোন তাঁদের জন্য। নিজেরা সাহায্য করার পর আমাদের অনুরোধ। গড়ে তোলেন প্রবাসী বাংলাদেশি শিল্পী সমিতি। তাঁদের উদ্যোগে বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীরা এদেশ এ রাজ্যকে যেমন চিনেছে তেমনি কিছু আর্থিক সুরাহাও হয়েছে কারও কারও। 
    আমরা এদেশে অনুষ্ঠান করি নিজেদের পয়সায়। সরকারি সাহায্য নিই না। কোন রাজনৈতিক দলের পৃষ্ঠপোষকতাতেও নয়। লায়লাদি প্রথমবার এসেই জোর করে দিয়ে গেলেন ৫০০টাকা। আমাদের চোখে জল এসে গিয়েছিল তাঁদের এ দানে।
    ইচ্ছে ছিল হাসান ভাইকে দিয়ে একটা নাটক প্রযোজনা করানোর। নানা কারণে তা হয়নি।
    কিন্তু বিরাট কাজ করে গেছেন হাসানদা। আমাদের অনুষ্ঠান হতো ১৯৯৮ থেকে রবীন্দ্র সদন চত্বরে। বুদ্ধ জমানায় সরকারি কিছু নীতির বিরোধিতা করায় আমাদের আর অনুমতি দেয় না বুদ্ধবাবুর মন্ত্রক। আমরা রাস্তার ধারে আকাদেমির সামনে অনুষ্ঠান করতে বাধ্য হই। সারা রাত চলে অনুষ্ঠান। ২০ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫ টা থেকে একুশের ভোর ৫ টা পর্যন্ত। মহিলাদের শৌচাগার ছিল না। লায়লাদি সহ শিল্পী অতিথি দর্শকদের যেতে হতো প্রায় পৌনে এক কিমি দূরে পি জি হাসপাতালের শৌচাগারে। এইভাবে চলে প্রায় ৭ - ৮ বছর। রাজ্যের তদানীন্তন পূর্ত মন্ত্রী ক্ষিতি গোস্বামী ছিলেন আমাদের শুভার্থী। হাসান ভাইয়ের ব্যক্তিগত বন্ধুও। হাসান ভাই আমাদের দাবির সঙ্গে সহমত জানিয়ে মঞ্চেই অনুরোধ জানালেন আকাদেমি অফ ফাইন আর্টসের সামনে একটা স্থায়ী ও পাকা মুক্ত মঞ্চ গড়ে দেওয়ার জন্য। ২০০৯এ গড়ে উঠল মঞ্চ। আজ সেখানে ছাতিমতলায় একুশ  আর নববর্ষ-র পাশাপাশি হয় হরেক সভা। প্রায় সব দল, সমিতি এখন এখানে সভা করে। লণ্ডনের হাইড পার্ক যেন হয়ে উঠেছে আকাদেমির সামনের ছাতিম তলা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের হোক কলরব হোক বা তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূলের জমায়েত –বাম অবাম সবাইকে আসতে হয় আকাদেমির সামনে ছাতিম তলায়। শুধু আর এস এস আর জামাত ছাড়া প্রায় সবার ঠিকানা এখন আকাদেমির সামনের ছাতিমতলা। আরেকটি বড় কাজ করেছেন আমাদের জন্য হাসান ভাই। আমরা নববর্ষে একটা শোভাযাত্রা করতাম সকালে। ২০০৮এ হাসান ভাই ঢাকা চারুকলা মহাবিদ্যালয়ের চার কৃতী ছাত্র-ছাত্রীকে আনার ব্যবস্থা করলেন। টুটুল ( এখন ঢাকা চারুকলা-র অধ্যাপক) মেহেদি, লীনা আর জিনা এলেন। হাসান ভাইয়ের জামাই এই কাজে সহায়তা করেন। 
    কলকাতার সরকারি চারু ও কারুকলার ছাত্র-ছাত্রী অধ্যাপক অধ্যাপিকাদের সাত দিনের কর্মশালার মাধ্যমে তাঁরা শিখিয়ে গেলেন মুখোশ তৈরি।  সে সব মুখোশ নিয়ে হয় বৈশাখী শোভাযাত্রা। আমরা শঙ্খ ঘোষকে বলি এই শোভাযাত্রার নামকরণর জন্য। ঢাকার নাম মঙ্গল শোভাযাত্রা। আমাদের প্রস্তাব ছিল বৈশাখী যাত্রা। শঙ্খ ঘোষ এই নামটাই রাখতে বলেন। 
    ২০০৮ এ তীব্র রোদের মধ্যে প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ বৈশাখী যাত্রায় হাঁটলেন শঙ্খ ঘোষ সৈয়দ হাসান ইমাম লায়লা হাসান। আমার মাও ছিলেন সেই বৈশাখী শোভাযাত্রায়। 
    এখন প্রতি বছর হয় পয়লা বৈশাখের সকালে বৈশাখী যাত্রা। ঢাকার তুলনায় কিছু না। কিন্তু আমরা তো স্বপন দেখি একদিন এ রাজ্যের প্রধান উৎসব হবে পয়লা বৈশাখ। আর আমাদের শ্লোগান ঈদ নয় দুর্গাপূজা নয়, বাঙালির জাতীয় উৎসব হোক পয়লা বৈশাখ।
    সেই পয়লা বৈশাখকে অন্য মাত্রা দিয়ে গেছেন হাসান ভাই আর লায়লাদি। দিয়ে গেছেন এক মঞ্চের ঠিকানা। ছাতিমতলা। রাণুচ্ছায়া মঞ্চ যার পোশাকি নাম। 
    লায়লা দিয়ে হাসানভাইদের তাই কলকাতা ভুলতে পারবে না কোনদিন।
     
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • স্মৃতিচারণ | ২৮ জুলাই ২০২৪ | ১৩৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ২৮ জুলাই ২০২৪ ০৮:১৬535458
  • "আমরা তো স্বপন দেখি একদিন এ রাজ্যের প্রধান উৎসব হবে পয়লা বৈশাখ। আর আমাদের শ্লোগান ঈদ নয় দুর্গাপূজা নয়, বাঙালির জাতীয় উৎসব হোক পয়লা বৈশাখ।"
    আশা করি একদিন এ স্বপ্ন সফল হবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন