এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  সিনেমা

  • এসভিএফ: বাংলা সিনেমার পরিত্রাতা 

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | সিনেমা | ২৯ জুলাই ২০২৪ | ৮৪৯ বার পঠিত
  • অনেকেই এসভিএফকে বাংলা সিনেমার পরিত্রাতা ভাবেন। চারদিকে বিপুল-বিস্তৃত বলিউডি জালের মধ্যে, ছুটকো-ছাটকা যা বাংলা সিনেমা হয়, করে তো ওই এসভিএফই। সে ঠিকই, কিন্তু ছুটকো-ছাটকাই হয় ব্যাপারটা, তার কারণ, এসভিএফ আসলে বলিউডেরই দালাল। আলঙ্কারিক না, একদম আক্ষরিক অর্থে। কেন? জানার জন্য অন্য কোথাও যাবার দরকার নেই, খোদ এসভিএফের সাইটে গেলেই দেখবেন, এসভিএফের পুরোনো কারবার আসলে পরিবেশনা, অর্থাৎ ডিসট্রিবিউশনের ( লেখার নিচে ক্লিক করে সূত্র-টুত্র দেখে নিতে পারেন)। সেটা ৯৫ সাল থেকে চলছে। রেড চিলি থেকে আম্বানির ভায়াকম পর্যন্ত সবার সঙ্গে তাদের গাঁটছড়া। সাইটের বক্তব্য অনুযায়ীই পূর্বভারতের সবচেয়ে বড় পরিবেশক এসভিএফ। তাদের বলিউডি পরিবেশনার তালিকা খুবই লম্বা। ধরুন, কাশ্মীর ফাইলসের পরিবেশনা ছিল এসভিএফএর। সাইটে নেই, কিন্তু অন্য একটা সূত্র থেকে পড়া গেল, জওয়ান এর পূর্বভারতের পরিবেশনাও এসভিএফের। কমিশনের ভিত্তিতে। সব বলিউডি ব্লকবাস্টারের সময়ই যা হয়, একটা লম্বা সময় ধরে বাংলা সিনেমাকে সম্পূর্ণ সরিয়ে দিয়ে মাল্টিপ্লেক্সের সমস্ত পর্দা জুড়ে স্রেফ হিন্দি ব্লকবাস্টারই দেখানো হয়। এটা একটা চালু পদ্ধতি, কিন্তু এই দুটো সিনেমা আলাদা করে উল্লেখ করলাম, কারণ, এই দুটোর সময় হইচই হয়েছিল। বাংলা ছবির পরিচালকরা যখন কান্নাকাটি করছিলেন, তাঁদের সিনেমা চলা সত্ত্বেও প্রায় জোর করেই মাল্টিপ্লেক্স থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে, তখন লাভের গুড়ের একটা অংশ কে পকেটে পুরছিলেন? অবশ্যই পরিবেশক। পরিচালকরা কেউ জানতেননা তা নয়, কিন্তু নাম করার সাহস দেখাতে পারেননি, কারণ এই পরিবেশকই আবার বাংলা সিনেমার পরিত্রাতা। বুদ্ধিমান দর্শকদের কথা তো ছেড়েই দিলাম। তাঁরা বলিউডি সিনেমার লাভের গুড়ের হিসেব করেই মোক্ষ লাভ করছিলেন। খবরের কাগজের রিভিউয়ারদেরও নিন্দেমন্দ করার সাহস হয়নি। পরিবেশকের কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট জাতীয় নৈতিক জিনিস নিয়ে সেই  বাজারে কে মাথা ঘামাবে। 

    এখানেই শেষ হলে ভালো হত। কিন্তু এখানেই শেষ না। যাঁরা ভারতবর্ষে সিনেমা হল থেকে মাল্টিপ্লেক্সে যাত্রার গপ্পোটা জানেন, তাঁরা জানেন, যে, পুরোটাই করা হয়েছিল বড় ব্যবসায়ীদের মুখ চেয়ে। ওর সঙ্গে সিনেমাশিল্পের কোনো সম্পর্ক নেই। সেটা আলাদা প্রসঙ্গ, এখানে যেটা প্রাসঙ্গিক, সেটা হল, মাল্টিপ্লেক্স যুগে, অন্তত ভরতবর্ষে পর্দায় সিনেমা দেখানো হয় একটা নির্দিষ্ট সফটওয়্যার ( এবং হার্ড ওয়্যার, ক্লাউড ইত্যাদি) ব্যবস্থা দিয়ে, যার নাম কিউব (নেটে Qube দিয়ে সার্চ করে দেখতে পারেন বিশদ বিবরণের জন্য)। পূর্বভারতে এই ব্যবস্থাটার একচেটিয়া এসভিএফএর হাতে, সেই ২০০৭ সাল থেকে (আবারও এটাও এসভিএফের সাইটে পাবেন, লিংক নিচে  আছে)। অর্থাৎ, কী সিনেমা দেখানো হবে, তার জন্য কত কড়ি গুণতে হবে, পূর্বভারতে তার ডিজিটাল নিয়ন্ত্রণ পুরোটাই এসভিএফএর হাতে। একচেটিয়া। বহুদিন ধরেই শোনা যায়, বাংলা সিনেমা দেখানোর জন্য প্রযোজককে হিন্দির চেয়ে বেশি পয়সা দিতে হয়। এটা অভিযোগই। এই বৈষম্যের বিশদ আমার কাছে নেই, কিন্তু অভিযোগটা শোনা যায়। এখানে কথাটা হল, বলিউডি ব্লকবাস্টারের পরিবেশনা একটা কোম্পানির হাতে। তারা সেটার জন্য অন্য সিনেমাকে সরিয়েও দেয়। অগ্রাধিকার দেয় বলিউডি সিনেমাকে। এবং প্রযোজকের দক্ষিণাও তারাই ঠিক করে। এই একচেটিয়াটা ঠিক কি বাংলা সিনেমার পরিত্রাতার মতো শোনাচ্ছে? না শোনালে, দোষ আপনার, অবশ্যই। এসভিএফ ধোওয়া তুলসিপাতা।  

    নৈবিদ্যের উপরে সন্দেশের মতো আছে, খোদ মাল্টিপ্লেক্সের মালিকানা। এসভিএফের সাইট অনুযায়ী বাংলায় ২২ টা মাল্টিপ্লেক্সের মালিকানাই এসভিএফএর হাতে। হিসেবটা সম্ভবত একটু পুরোনো, আরও কটা বেশি হলে আশ্চর্যের কিছু নেই। সংখ্যাটা অবশ্য বড় কথা না। যাদের হাতে পরিবেশনা, ডিজিটাল ব্যবস্থার একচেটিয়া, এবং অনেকগুলো মাল্টিপ্লেক্সের মালিকানা, এবং যাদের আদি ব্যবসাটাই হল বলিউডি ছবির পরিবেশনা, তারা এই একচেটিয়াকে কোন কোন ছবির প্রচার এবং প্রসারে ব্যবহার করবে বুঝতে গেলে জ্যোতিষী হবার দরকার পড়েনা। এবং ঘটনাচক্রে এরাই বাংলা ছবির পরিত্রাতা। 

    হ্যাঁ, সাইটেও লেখা আছে, এছাড়াও এরা কনটেন্টও বানিয়ে থাকে। সেগুলো কেমন হয়, সেটা সাইটে খুঁজে লাভ নেই। এ নিয়ে আমাদের সম্যক ধারণা আছে। না খারাপ-ভালো নিয়ে কথা হচ্ছেনা, সব জিনিস ভালো কেউই করেনা পৃথিবীতে, কিন্তু এদের বাংলা সিনেমার যাত্রাটাই, খুঁটিয়ে দেখলে দেখবেন, মূলত ফিলারের মতো। পুরোটাই ওই মাল্টিপ্লেক্সের চলনে চলে। অর্থাৎ, লোকে অন্য ভাষার জিনিসপত্র দেখে যদি বাংলা সিনেমা দেখতেই চায়, সেখানে দুটো যা-খুশি বাংলা কনটেন্ট গুঁজে দেওয়া যাক, ব্যবসা যখন হচ্ছে, ওইটাই বা বাকি থাকে কেন। ফলে তৈরি হচ্ছে অখাদ্য থেকে অখাদ্যতর সিনেমা। তৈরি হচ্ছে একটা ঘোঁট, যেখানে কোনো প্রশ্ন নেই, এবং সবচেয়ে বিপজ্জনক হল, ওইগুলোকেই বাংলা সিনেমার পরাকাষ্ঠা বলে চালানো হবে।

    তথ্যটথ্য হয়েছে। এবার ব্যক্তিগত গপ্পো বলেই শেষ করা যাক। হইচইয়ে আমি শেষ সিনেমা, খুব সম্ভবত, দেখেছিলাম, কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন। তাতে বেশ কটা গান ছিল। আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছিল "কেনিয়ার জঙ্গলে বিপদের তাঁবু / অপরাজিতের নাম আজও কাকাবাবু"। সত্যি, এটাই লিরিক ছিল। সিনেমায় অনেক দৃশ্যও ছিল(না হলে সিনেমা হবে কীকরে)। আমার সবচেয়ে ভাল লেগেছিল যেটা, সেটা হল,  কেনিয়ার জঙ্গলে সন্তুকে সাপে কামড়াল। সঙ্গে সঙ্গে সন্তু মাথা ঘুরে উল্টে পড়ে প্রায়। এত বিষ। কাকাবাবু ঝাঁপ দিয়ে পড়ে রক্ত চুষে থুথু করে ফেলতে লাগলেন। একটু পরে দেখা গেল, সন্তু, কাকাবাবু দুজনেই হাল্কা করে কেলিয়ে পড়েছেন, কিন্তু মোটের উপর সুস্থ। কীকরে হল? কাকাবাবু বললেন “বিষ টা আমরা শেয়ার করে নিয়েছি।”

    এইটা দেখার পর আমি হইচই দেখা বন্ধ করে দিই। চোখে দেখা যায়না, এরকম জিনিস, এই একটা না, ওঁরা ক্রমাগত বানিয়ে চলছিলেন। বললে বিশ্বাস করবেননা, এর চেয়েও খারাপ সিনেমা ছিল। কিন্তু সবকিছুরই তো একটা ব্রাহ্মমুহূর্ত থাকে। একদিন সকালে রবীন্দ্রনাথ যেরকম সদর স্ট্রিটে দিব্যদৃষ্টিতে নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ দেখে ফেলেছিলেন। আমারও ওইরকমই ওইটাই ছিল সেই দিন। 

    তো যাহোক, আজকে অনেকদিন পর এই লিখছি, কারণ, আবার হইচই। কাগজ খুলে দেখি পরিচালক-শিল্পীরা সব্বাই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন ফেডারেশনের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে। সে খুবই সাধু ব্যাপার। বাড়ি বানানোই হোক আর সিনেমা, কোনো সিন্ডিকেটের একচেটিয়া কোনো কাজের কথা না। একটা সময় জিনিসটার একটা মানে ছিল, এখন আর নেই। 

    কিন্তু কথা হল, সিন্ডিকেট কি একটা, না একচেটিয়া একটা? হল উঠে গিয়ে সব মাল্টিপ্লেক্স হয়ে গেল, তাতে কাদের একচেটিয়া, বা গাঁটছড়া? সিনেমার ডিসট্রিবিউশনে কাদের একচেটিয়া? কয়েকটা ব্যানারের বাইরে, প্রায়ই শুনি, অন্য সিনেমাগুলো হল পায়না, কাদের একচেটিয়ার কারণে? দিনের পর দিন মাল্টিপ্লেক্সের সমস্ত পর্দা দখল করে থাকে বলিউডি সিনেমারা, কোন একচেটিয়া এর লাভের গুড় খায়? অন্য কোনো ঘরানার বাংলা সিনেমা যে বাজারে চলতেই পারেনা, সেটা কোন সিন্ডিকেটের কারণে? 

    এই সবকটা প্রশ্নের উত্তরই একদিকেই যায়। সেই মালিকগোষ্ঠী, যাঁদের পরিচালকের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হচ্ছে, একদম ঠিক হচ্ছে। কিন্তু যে সিন্ডিকেট বলিউডি সিনেমার ডিসট্রিবিউশনকে বাংলার উপরে রাখে, যে সিন্ডিকেট একটা কোটারি বানিয়ে তার বাইরে আর কোনো সিনেমাকে উঠতে দেয়না, যে সিন্ডিকেট একটা ধামাধরা গোষ্ঠী বানিয়ে কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন জাতীয় বস্তু বানিয়ে সেটাকেই বঙ্গসংস্কৃতির মোক্ষ বলে চালায় এবং দর্শকদের  দেখতে বাধ্য করে, তাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভটা কখন হবে? 

    উত্তরটা হল, হবেনা। সকাল বিকেল "বাংলা সিনেমার পাশে দাঁড়ান" বলেন যাঁরা, তাঁরা এটা জানেননা এমন না। বিলক্ষণ জানেন। তাও হবেনা। কারণ, এই হইচই হচ্ছে, নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত ওই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গেছে বলে। বাকি একচেটিয়াগুলো ওই মালিকগোষ্ঠীর পক্ষে। বাজারে যে কটি সৎ শিল্পী এখনও টিকে আছেন, তাঁদের জন্য খারাপও লাগে।  জেনেবুঝেও কিছু বলতে পারবেননা, কারণ, সবাই তো দুমদাম এই আমার মতো য খুশি বলে ফেলতে পারেনা, কেরিয়ারের ব্যাপার-ট্যাপার আছে। সব বুঝেশুনে চলতে হয়। তাতে পরিচিতি, খ্যাতি এইসব হয়। সঙ্গে কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন  দেখে আহাবাহাও বলতে হয়। আত্মত্যাগটা কম কী? 

    সূত্রঃ 
    ১। পরিবেশক এসভিএফঃ https://svf.in/distribution/
    ২। জওয়ানের পরিবেশনাঃ https://www.bollywoodhungama.com/amp/news/bollywood/revealed-complete-list-distributors-releasing-shah-rukh-khan-starrer-jawan-india/
    ৩। ডিজিটাল ডিসট্রিবিউশনঃ https://svf.in/digital/
    ৪। মাল্টিপ্লেক্সঃ https://svf.in/cinemas/
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২৯ জুলাই ২০২৪ | ৮৪৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • X | 49.207.208.137 | ২৯ জুলাই ২০২৪ ০৭:৩৮535493
  • 'কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন" দেখেই সৈকত বাবু আর কখনো SVF মুখী হন নি। "এর থেকেও খারাপ সিনেমা হয়", এই সিদ্ধান্তে গ্যাঁট হয়েছেন। তাই আর ওদিকে যান না। তা বেশ।

    অমিতাভ চৌধুরীর বহু পুরাতনী ছ্ড়া মনে পড়ে।

    "হাঁড়ীর মধ্যে অনেক ভাত
    তার একটি টিপিয়াই
    কোনটি সিআইএর চর
    বুঝতে পারেন সি পি আই"
  • NRO | 165.124.84.35 | ২৯ জুলাই ২০২৪ ০৭:৫১535494
  • Federation and SVF are two brother
    One is a dirty crook, what is the other?
  • মজন্তালী | 2401:4900:1f39:1a95:5590:5300:78b7:e560 | ২৯ জুলাই ২০২৪ ১০:০৮535499
  • সৈকত
    কেঁচে গন্ডুষ করেছে। মোদ্দা কথা হোল। পশ্চিমবংগের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নতি না হলে সমস্ত বানিজ্যিক পরিবেশে এই ঘটনা ঘটবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন