এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • তাহলে আমরা কী করব? 

    Tirtho Dasgupta লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৮ আগস্ট ২০২৪ | ২৯৪ বার পঠিত
  • ‘রাতের দখল নাও’ রাজনৈতিক না অরাজনৈতিক? পিকনিক না আন্দোলন? তৃণমূলের স্বেচ্ছাচারিতা ও লাগামহীন অপশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মানেই বিজেপির সুবিধা। এই দূ্র্ভাগ্যজনক ঘটনা টা কে গুজব ছাড়িয়ে ব্যাকডোরে সরকার পতনের চেষ্টা চালাচ্ছে সাম্প্রদায়িক শক্তি। বোকা জনগণ তা না বুঝে ধেই ধেই করে নাচছে। এমন প্রচুর বাণী বর্ষিত হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে অহরহ।

    আচ্ছা তাহলে ম্যাঙ্গো পাবলিক যাবে কোনদিকে? একটা নির্মম, নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে যদি তাকে সারাক্ষণ দাবার ছক কষতে হয় কী হলে কার সুবিধা, কোনটায় কে তাদের ব্যবহার করছে, তাহলে তারা করবে টা কী? What is to be done?

    তাদের কাছে আছে তো একটা ভোটের ব্যবস্থা। আজ কে যা ঘটল তার জন্য তাহলে পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে প্রতিবাদ জানানোর জন্য। তারপর সেখানেও তো অনেক গোলমাল। কখন ও তাদের ভোট পড়বে না ঠিক ঠাক। কখনও দেখবে যাকে ভোট দিয়ে জয়ী করল সে উল্টো পার্টিতে চলে গেল। যে সব বিধায়ক বা সাংসদ কে পাঠালো প্রতিকারের কথা বলতে তারা তারা বিধানসভা বা সংসদে গেলই না দিনের পর দিন।

    তাহলে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোর উপর ভরসা করবেই বা কি ভাবে? আপনারা অনেকে বলবেন দল না থাকলে, নেতৃত্ব না থাকলে, আন্দোলোন নৈরাজ্যে পরিণত হয়। স্বার্থান্বেষী চক্র ঐ আন্দোলনের স্থান দখল করে নেবে। তো পাবলিক কে ভরসা দেবার মত কেউ তো আসেনি। কেন বারবার পাবলিক এই দলপন্থী রাজনীতি থেকে মুখ ঘোড়াচ্ছে সেটা আপনারা ভাবুন যারা বলছেন এগুলো ভুল।আপনারা নেতৃত্ব দিতে পারছেন না, ভরসা যোগাতে পারছেন না, তাই পাবলিক আপনাদের পুছছে না। তার ফল হয়ত খারাপ হবে কিন্তু সেটা ভেবে সবাই নিশ্চেষ্ট হয়ে বসে থাকবে। তারা করবেটা কী রে বাবা !

    মুশকিল হল সঠিক লাইন কী সেটা নিয়ে আপনারা নিজেরাও পরিষ্কার নন। কিছুদিন আগে বাংলাদেশে ও একই ধরনের প্রতিক্রিয়ায় বামেদের একদল বললেন এগুলো সাম্প্রদায়িক শক্তির কারসাজি, এখন তাদের অনেকে কলকাতার ঘটনায় বলছেন তৃণমূলের পতন চাই। আবার একদল বাম তৃণমূলকে এর পরেও সমর্থন করছেন যাতে বিজেপি না আসে এই ভয়ে।

    এই লেসার ইভিল, বিগার ইভিলের চক্কড়ে আসল ইস্যুটাই ঘুরে যাচ্ছে যে মেডিকাল কলেজে একজন চিকিৎসকের এমন মৃত্যু, মহিলাদের কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা ও তারপরের অব্যবস্থা কত বড় রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও সামাজিক ব্যাধির প্রতিফল এবং নির্ভয়া কান্ডের পর ও তার কোনো বিরাম নেই।

    আর বিজেপির যেসব কেন্দ্রীয় মাতব্বড়, আইটি সেল ও এরাজ্যের ফড়েরা এই নিয়ে পশ্চিমবংগাল ও মুমতাজ বেগমের দুরাবস্থা নিয়ে সর্ব ভারতীয় রাজনীতি ও মিডিয়া কাঁপাচ্ছে তাদের উদ্দেশ্যে বলি আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে কিন্তু এটা ভারতের মুখে চুনকাম করেই প্রচার চলছে। কলকাতা ভারতের বাইরে নয়। এ লজ্জার ভাগীদার আপনারা ও। সূতরাং দাঁত কেলাবেন না। আর অবস্থার সুযোগ নেবেন না। পাবলিক সব লক্ষ্য রাখে। যতটা বোকা ভাবেন ততটা নয় সেটা এবার অযোধ্যায় টের পেয়েছেন।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অরিত্র | 103.77.139.33 | ১৮ আগস্ট ২০২৪ ০১:০০536521
  • পাবলিকের ডাইলেমাটা ভালই বর্ণনা করেছেন। এই বিজেপির জুজুটা প্রায় ব্ল্যাকমেইলিংয়ের পর্যায় চলে গেছে। তৃণমূল জানে আমাদের ইন্সিকিওরিটিটা এবং সেটাকে একটা স্থায়ী বন্দোবস্ত ধরে নিয়ে যা খুশি করার লাইসেন্স পেয়ে গেছে মনে করছে। যেকোনো সমালোচনায় তৃণবলয় থেকে নির্লজ্জের মত এই জুজুটা খেলা হয়, সমালোচনা পাত্তা দেওয়ারও আর প্রয়োজন মনে করে না। তো সবকিছুরই এক্সপায়ারি থাকে, এটারও আয়ু শেষ।
     
    তাছাড়া বিজেপির সাম্প্রদায়িকতার ফ্যাসিসিমের বিরুদ্ধে আসল লড়াই করেছে বাংলার মানুষের চেতনা, অন্তত তার যতটুকু অবশিষ্ট আছে তাই দিয়েই, সেই বাবরি থেকেই। তৃণমূল কিছু অবশ্য প্রয়োজনীয় কিছু নয়, বরং তার শাসন যত দীর্ঘায়ু হবে ততই বিজেপি আরএসএস বাংলায় আরও গেঁড়ে বসবে। অপশাসনে অসভ্যতায় তৃণমূল শাসক হিসেবে বামফ্রন্টকে অনেকদিন ছাড়িয়ে গেছে, গুণে দেখলে ১৩ কিন্তু ফিলস্ লাইক ৪৩ অবস্থা! আমি তো কোনোদিন তৃণমূলের সমর্থক ছিলাম না, কিন্তু একুশে ভোট দিয়েছিলাম এদের। কখনও মনে হয়নি ভুল করেছি, কিন্তু এখন সব দেখে মনে হয় ঠিকও কিছু করে উঠতে পারিনি। আমার ভোট অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছিল।
  • Tirtho Dasgupta | ১৮ আগস্ট ২০২৪ ০২:১৯536523
  • ঠিক বলেছেন । এই ব্ল্যাকমেইলিং এর এক্সপায়ারি ডেট এসে গেছে । বিজেপি আসলে মানুষ দেখে নেবে । কিন্তু  এরা দিন দিন পশ্চিমবঙ্গ কে আরো গর্তে ফেলে দিচ্ছে । ভাবছে আমরা যাই করব কেউ কিছু করতে পারবেনা । ভোটের হিসেব সব ঠিক করা আছে । অনেক তৃণমূল সমর্থক ও এখন বিরক্ত হয়ে গেছে । 
  • . | ১৮ আগস্ট ২০২৪ ০৫:৫০536526
  • আগামি কয়েকটা সপ্তাহ খুব ক্রুশিয়াল...
    আন্দোলন যেন গতি না হারায়।
  • r2h | 208.127.71.80 | ১৮ আগস্ট ২০২৪ ০৬:১৯536527
  • বিজেপি যদ্দুর মনে পড়ে হাতরাসের অভিযুক্তদের সমর্থনে মিছিল টিছিল করেছিল, উন্নাওএর সময় তো আইটি সেল বিশাল ক্যাম্পেন করেছিল, মানুষ কিছুই দেখে টেখে নিতে পারেনি। তো, এইসব ইস্যুতে কেউ বিজেপিকে বিকল্প ভাবলে সেটা খুব গোলমেলে।

    তৃণমূল চোরেদের দল, গোড়া থেকেই, একেবারে তৈরি হওয়ার সময় থেকেই। 
    কিন্তু বিজেপি কোন অপশন হতে পারে না। বিজেপি এলে মানুষ দেখে নিতে পারবে না। পবতে চাকরি ইস্যুতে লোকজন কথা বলে, বড় বড় নেতা মন্ত্রীরা জেলে পচছে। ব্যাপম নিয়ে কিছুই হয়নি, ত্রিপুরায় চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের ধর্না পিটিয়ে তুলে দিয়েছে, কেউ আর টুঁ শব্দটিও করে না। এখন তো রাজ্য সরকারের স্কুলগুলিই তুলে দিচ্ছে। মণিপুর টনিপুর তো লোকে ভুলেই গেছে।

    কংগ্রেস বিকল্প হতে পারে, বাম বিকল্প হতে পারে।
    মুশকিল হল কং বা বাম সমর্থকদেরও প্রথম বদলি হিসেবে তাদের সমর্থিত দলের বদলে বিজেপির কথা মনে পড়ে।

    ফেসবুক টুকে দেখছি অনেকে আবার বাংলাদেশের সঙ্গে সমান্তরাল টানছেন। ভারতের একটা রাজ্যের ক্ষেত্রে তার মানে রাষ্ট্রপতি শাসন।
    আশা করি যাঁরা এমন ভাবছেন তাঁদের রাষ্ট্রপতি শাসন ব্যাপারটা ঠিক কেমন তা নিয়ে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা আছে।

    অবশ্যই, এই সচেতনতা, সক্রিয় প্রতিবাদ, বাম বা কং সমর্থিত এবং দলীয় পতাকাহীন ভিজিলান্স গুলি চালু থাকা খুব দরকার - সরকার ও মিডিয়া দুয়ের ওপরই। যে চাপটা তৈরি হয়েছে, সেটা থাকবে, এই আশা করি।
    আর পরের ভোটের আগে যদি বাম ও কং নিজেদের আরেকটু শক্তিশালী করে তুলতে পারে।
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:3ebe:c950:5764:ffb4 | ১৮ আগস্ট ২০২৪ ০৭:২৭536529
  • এই আন্দোলনের পিঠে যে উঠতে পারবে সেই ক্ষমতায় আসবে। সেটা হতে পারে বামেরা, হতে পারে সব ধরনের বাম মিলিয়ে মিশিয়ে, হতে পারে বাম কংগ্রেস। বিজেপি হবার চান্স কম। উন্নাও হাথরস ইত্যাদি বহু গন্ধ তাদের গায়ে।
     
    আর একটা সম্ভাবনা আছে। আপ বা বাংলাদেশের মত কোন একটা মিলিজুলি অরাজনৈতিক জোট। সেটা হলে খুশি হব কিনা জানিনা।
  • r2h | 208.127.71.80 | ১৮ আগস্ট ২০২৪ ০৭:৪৫536530
  • হ্যাঁ, বাম, কং, আপ ধরনের কিছু (খুবই আনলাইকলি, এবং না হওয়াই মঙ্গল) এরকম কোন দলের আসা উচিত, এমনিতেও তিনটে টার্ম হয়ে যাচ্ছে, এমনকি এত চোর না হলেও কোন দলের একটানা এতদিন ক্ষমতায় থাকা উচিত না।

    বিজেপি সব থেকে বড় বিপদ ও গ্রেটেস্ট ইভিল - এই বিষয়ে সবকটা দল মতৈক্যে না পৌঁছলে মনে হয় না ভালো কিছু হবে - কারন বিজেপি শুধু একটা রাজনৈতিক দল না; ঠিক যেমন ঐ ন্যাশনালিস্ট সোশ্যালিস্ট জার্মান ওয়ার্কার্স পার্টি শুধুই একটা রাজনৈতিক দল ছিল না। কেন্দ্রের ক্ষেত্রে ইন্ডিয়া সমঝোতা একটা সদর্থক পদক্ষেপ, কার্যকরীও হয়েছে বলা যেতে পারে। রাজ্য রাজনীতিতে কী হয় সেটা দেখার।
     
  • সৃষ্টিছাড়া | 117.209.115.15 | ১৮ আগস্ট ২০২৪ ১১:২১536543
  • নিজেরাই নিজেদের কবর দেবেন, ২০১১ অম্বল চেখে যা করেছিলেন, আর জিলিপি বানাতে বোদে 
  • অরিত্র | 103.77.139.33 | ১৮ আগস্ট ২০২৪ ১১:৩৭536545
  • শক্তিশালী বলতে যদি আসন সংখ্যা বোঝায় সেটায় দল কী করবে! ভোট তো মানুষকেই দিতে হবে বিমান বসু গিয়ে দিয়ে আসবে না, ভালোও দেখায় না। যদি শক্তিশালী বলতে আন্দোলন সংগঠন বোঝায় তাহলে কর্পোরেট অসমর্থিত দল হিসেবে বাম দলগুলো মোটের ওপর চেষ্টা করেছে যথেষ্ট, অন্তত সিপিএম। কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গে করেনি, বিশেষ করে তাদের সর্বভারতীয় নেতৃত্ব সাহায্য করা দূরে থাক নিজেদের লোক অধীরের পাশে দাঁড়ানোর বদলে তারা মমতাকে ফেবার করেছে। রাহুল নয় কিন্তু সোনিয়া ও তার লবির মমতার প্রতি ক্ষমাশীল সমর্থন থাকে। আর অন্যান্য বাম দলগুলো কী করে, শুধু বকবক করেই কাটিয়ে দেয়। আইএসএফ সাবোত্যাজ করলো, ওটা সিপিএমের মস্ত বোকামি ছিল।
     
    আমি এই লোকসভা ভোটের পরে বলেছিলাম পশ্চিমবঙ্গ বাম কংগ্রেসকে কোনো সিট না দিয়ে ভুল করলো, তৃণ ও বিজেপির থেকে দুটো তিনটে করে কেটে অন্তত পাঁচ থেকে সাতটা সিট বাম কংগ্রেসকে দেওয়া উচিত ছিল। আর বেশিরভাগ সিটে বাম কংগ্রেসকে দ্বিতীয় জায়গায় রাখা উচিত ছিল। কিন্তু তৃণমূল বড় জয় পাওয়ায় সবাই কী খুশি, বিপদটা দেখলো না। গণতন্ত্র সাধারণ মানুষের দায়িত্ব থাকে, সব কিছু চামচে করে খাওয়ানো যায় না।
  • অরিত্র | 103.77.139.33 | ১৮ আগস্ট ২০২৪ ১১:৫৭536549
  • পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে ছাঁটতে গেলে, তৃণমূলকে বোঝাতে হবে যে ওদের বিজেপি কার্ড খেলার দিন শেষ, ওটা অচল পয়সা। তৃণমূল সব জেনে শুনেই বিজেপিকে বাড়িয়েছে নেতা কর্মী সাপ্লাই করে, জায়গা ছেড়ে, একটা জুজু তৈরি করেছে সেফটি হিসেবে। সাধারণ রাজনীতির খেলা, অস্বাভাবিক কিছু না। চাপ খেলে তৃণমূল সেই বিজেপিকে ছাড় দেওয়া বন্ধ করবে, ওটাকে ভাঙবে। দক্ষিণ বঙ্গে তৃণমূল তাড়া খেলে ছেড়ে রাখা উত্তরবঙ্গ দখলের জন্য ঝাপাবে। তাহলেই বিজেপি কমবে। সরকারে ক্ষমতাহীন বামেরা কর্পোরেট ব্যাকড বিজেপিকে একা ভাঙতে পারবে না। 
  • r2h | 208.127.71.8 | ১৮ আগস্ট ২০২৪ ১২:০০536550
  • ওহো, ভোট পাওয়ার জন্য, জনসমর্থন পাওয়ার জন্য দল, নেতৃত্ব, কর্মীদের কিছু করার থাকে না বুঝি? এইটা আবার আমার একদমই জানা ছিল নাঃ)
  • r2h | 208.127.71.8 | ১৮ আগস্ট ২০২৪ ১২:১০536551
  • তৃণমূল বিজেপিকে জেনেবুঝে বাড়িয়েছে- এটা অনেকে বলেন।
    সিপিআইএমের সমর্থকরা তো বিজেমূলও বলেন। আবার সিপিআইএমের বড় নেতারা বিজেমূল তত্ত্ব খারিজ করেছেন একাধিকবার। মানিক সরকার তো সরাসরি তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে বিজেপি বিরোধীতায় গুরুত্ব দেওয়া উচিত এমনটা স্পষ্ট করে বলেছেন।
    তৃণমূল বামবিরোধীতায় সর্বশক্তি দিয়েছে, তার ওপর স্থিতাবস্থাবিরোধী আবেগ ছিল। বিরোধীপক্ষের সেই শূন্যস্থান ছিলই। এছাড়া সারা ভারতেই বিজেপির যা জয়যাত্রা, তা দেখে বাংলায় বিজেপিকে ঠেকিয়ে রাখা বিষয়ে আমি তৃণমূলকে বাহবাই দেবো।
    ত্রিপুরায় তো বাম থেকে বিজেপি হল।
    যদিও কলকাতাকেন্দ্রিক অনেক বাম সমর্থককে বলতে শুনেছি বিজেপি তো সব তৃণমূলের প্রাক্তন সুতরাং ওটা তৃণমূল ইচ্ছে করে করেছে, তবে ঐ বিষয়ে আমি ত্রিপুরার বাম নেতাদের বক্তব্য ও মতামতকে বেশি গুরুত্ব দিই যা এই মতামতের সঙ্গে মেলে না।

    অবশ্য নেতাদের তৃণমূল আর বিজেপিতে আসা যাওয়া একেবারে আগলহীন।
  • অরিত্র | 103.77.139.33 | ১৮ আগস্ট ২০২৪ ১২:১৪536552
  • বলেছি তো "আন্দোলন সংগঠন"। সিপিএম করে নি? এবারে লোকসভা ভোটে প্রচার করেনি? এরাই তো মিছিল করলে ব্রিগেড করলে লোকে টিটকিরি দিয়েছে যে মিছিলে লোক টানতে পারে, ভোট পায় না। ভোটটা দল কী করে করে দেবে? গণতন্ত্রে মানুষই ক্ষমতা দেয় কেড়ে নেয়। সেটা সত্যি নয়? সাতাত্তরে শুনেছি বাম নেতারা জেলে ছিল, প্রচারই করতে পারে নি, তাহলে কে জেতালো? 
  • বাম | 2a05:b0c7:6388::1 | ১৮ আগস্ট ২০২৪ ১২:৩৪536555
  • উন্নাও হাথরাস মনে আছে, বানতলা ধানতলা মনে নেই।
    ভুলে যাওয়ার বিরুদ্ধে মনে রাখার লড়াই।
  • অরিত্র | 103.77.139.33 | ১৮ আগস্ট ২০২৪ ১২:৪৯536557
  • বিজেপিকে তৃণমূল আটকায় নি, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আটকেছে, তৃণমূলকে একটা ভেহিকেল হিসেবে ব্যবহার করে। সিপিএম থাকলে তাকে দিয়েই করত, কংগ্রেস থাকলে তাকে দিয়ে। ত্রিপুরা পারে নি, পশ্চিমবঙ্গ এই ক্ষেত্রে পরিণত বোধ দেখিয়েছে। তৃণমূল বিজেপিকে আটকেছে কীভাবে? সীমাহীন দুর্নীতি, লুটতরাজের অপশাসন কায়েম করে না মুসলমান দের অনুষ্ঠানে সভায় মাথায় কাপড় দিয়ে একটা দৃশ্য তৈরি করে আবার পরবর্তী কালে জগন্নাথ মন্দির, গঙ্গা আরতি বা রাম নবমী ঘটা করে পালন করে পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু মুসলমান পরিচিতি রাজনীতির ভিত তৈরি করে আর আরএসএস এর কেন্দ্র সংখ্যা তিনশ থেকে তিন হাজারের ওপর ছাড়িয়ে যেতে দিয়ে? নয় তাই তো।
     
    রাজ্য সিপিএম তৃণমূল বিরোধিতায় জোর দিয়ে ভুল করে নি, সেটা তাদের দায়িত্ব বিরোধী হিসেবে। সর্বভারতীয় সিপিএম সেটা কখনই করেনি। বিজেপি সবচেয়ে বড় সমস্যা হলেও একমাত্র সমস্যা নয়, তাই শুধু বিজেপির ওপর বিরোধিতা রাখলে বিরোধী দায়িত্ব পালন করা হতো না, রাজ্যের মানুষের রাজ্য সরকারের ওপর ক্ষোভ বিক্ষোভের সঙ্গে ন্যায়বিচার হত না। আর সেই জায়গাটা পুরোটাই বিজেপিকে ছেড়ে দেওয়া হতো। মানিক সরকার পশ্চিমবঙ্গের বাস্তবতা বোঝেন নি আমার মনে হয়।
     
    তৃণমূল যখন বাম সরকারের বিরোধী ছিল তখন তাদের এই দোটানার মধ্যে পড়তে হয় নি এবং সেখানে তৃণমূল বিজেপির সঙ্গে জোট করতে দ্বিধা করে নি, বারবার। সিপিএমকে এই বিষয় প্রশংসা করতে হয়, যদিও এটা সিপিএম বিরোধী কেউ করলে ভালো দেখাতো, যে চরম দুরবস্থার মধ্যেও সিপিএম ও সহযোগী বামদল গুলো কোনো সাম্প্রদায়িক বা পরিচিতির রাজনীতি করে নি। চরম অপ্রিয় হয়ে পড়ার আশঙ্কা নিয়েও নীতি আঁকড়ে থেকেছে, দরকারে রাস্তায় গরুর মাংস খাওয়ার মতন ঝুঁকিপূর্ণ কিন্তু তীব্র ধর্ম বিরোধী রাজনীতি করেছে (যদিও ওটা করে লাভ হয়তো কিছু হয় নি, মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চলতে হয় যেটা নিতে পারবে না সেটায় জোর করা হয়তো ভালো না), খেসারত দিয়েছে। এগুলো তাদের প্রতি এই বিশ্বাস ভিত্তি তৈরি করে যে সাম্প্রদায়িকতা মৌলবাদ ও পরিচিতি রাজনীতির বিষয়ে তারা বিশ্বস্ত শক্তি।
  • অরিত্র | 103.77.139.33 | ১৮ আগস্ট ২০২৪ ১২:৫১536558
  • সব মনে আছে, বানতলা ধানতলার হিসেব হয়েছে, উন্নাও হাথরস মণিপুর বা কামদুনি হাসখালী পার্কস্ট্রিট আরজিকর হিসেব বাকি আছে, নিতে হবে, সেটাই বলা হচ্ছে।
  • অরিত্র | 103.77.139.33 | ১৮ আগস্ট ২০২৪ ১২:৫৪536559
  • ধর্ম বিরোধী ধর্মরাজনীতি বিরোধী।
  • hmm | 2a03:4000:6:614:d803:40ff:fec3:832a | ১৮ আগস্ট ২০২৪ ১৫:২৯536571
  • গোরুবিকাশের বিফ্লোভ হিন্দু ভোটারদের ভাজপার দিকে সফলভাবে ঠেলে দিয়েছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন