এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • রিটেল সেক্টরে বড় কোম্পনিগুলোকে ঢুকতে দেওয়া ঠিক?

    Riju
    অন্যান্য | ২৩ এপ্রিল ২০০৭ | ১১১৬৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Arijit | 128.240.233.197, 128.240.229.6 | ২৯ মে ২০০৭ ১৪:৪৭385501
  • হ্যাঁ, এই ডিসকাউন্টেড প্রাইস সুপারমার্কেটের একটা বড় অস্ত্র। এই টইয়ের একদম প্রথমদিকে কয়েকটা লিংক দিয়েছিলাম - এরকম খবর দিয়েই - টেসকোর ডিসকাউন্টেড প্রাইসের সাথে পাল্লা দিতে না পেরে Alnwick-এর লোকাল সমস্ত দোকান উঠে যাওয়ার মুখে। এটা সেই মোনোপলির গল্প - মাইক্রোসফট যেমন করে উইন্ডোজের মধ্যে IE বান্ডিল করে শুরু করেছিলো...গ্যাটের প্রথমদিকে কলেজ ক্যাম্পেন-ট্যাম্পেনে আমরা লিংক আর রেনল্ডসের পেনের উদাহরণ দিতাম।

    একটা কিনলে আরেকটা ফ্রী, দুটোর দামে তিনটে কর্নফ্লেক্স - লোকে এগুলোতেও আকৃষ্ট হয়।

    এবং কনভিনিয়েন্স তো আছেই - একটা ট্রলি নিয়ে তার মধ্যে চিকেন থেকে শুরু করে পিজা অবধি, বা জামাপ্যান্ট অবধি - সব কেনা হয়ে গেলো।

    এগুলো হল কেন লোকে সুপারমার্কেটে যায়, এবং কারা যায়।

    অ্যাকচুয়াল প্রোডিউসারদের কোন লাভ আছে কিনা - সেগুলোর জন্যে অনেক পড়াশোনার ব্যাপার আছে - কনট্র্যাক্ট ফার্মিং, ফেয়ারট্রেড ইত্যাদি - ব লিস্টি দিয়েছিলো। আমাদের আমূল ছিলো/আছে - কিন্তু তার পরে দ্বিতীয় আমূল হয়নি। কেন? সেটাও দেখার।
  • Arijit | 128.240.233.197, 128.240.229.6 | ২৯ মে ২০০৭ ১৪:৫৫385502
  • আরো যে উদাহরণটা দেবো ভেবেছিলাম - স্পোর্টসওয়ার্ল্ড, জেডি স্পোর্টস, জেজেবি স্পোর্টস - এদের মালিক মাইক অ্যাশলি (এত কিছু জানতুম না - এই ভদ্দরলোক গত হপ্তায় নিউক্যাসল ইউনাইটেডের ৪১% শেয়ার কিনে ফেলেছেন, এবং পুরো ক্লাবটাকে কেনার জন্যে ১৩৩ মিলিয়ন পাউন্ডের অফার দিয়েছেন - তখনই খবরে পড়লাম) - ভদ্রলোক টাইমস রিচ লিস্টে ২৫তম - ১.৭ বিলিয়ন পাউন্ডের মালিক। এর ব্যবসার ফাণ্ডা কি?

    স্পোর্টসওয়ার্ল্ডে প্রচণ্ড ভিড় - কারণ রীবক, নাইকি, ক্যারিমোরের প্রোডাক্ট এখানে অসম্ভব সস্তায় পাওয়া যায়। বড় কোম্পানির পপুলার প্রোডাক্ট বড়সড় ডিসকাউন্টেড প্রাইসে বেচার পাশে পাশে এই দোকানে এদের নিজেদের নট-সো-গুড (বা অতি রদ্দি) জিনিসও বিক্রি হয় - লোকে সেগুলোও কিনে ফেলে, আর সেখান থেকে লাভের বিরাট অংশ আসে।

    ওদিকে জেডি স্পোর্টস বা জেজেবি থেকেও লোকে কেনে - যারা স্পোর্টসওয়ার্ল্ডের ভিড় এড়িয়ে আরামসে খরিদারী করতে চায় - সেখানে অত ডিসকাউন্টেড দাম কিন্তু নয় - নর্মাল লাভ...

    স্ট্র্যাটেজিটা ভালোই...
  • Suvajit | 60.228.19.78 | ২৯ মে ২০০৭ ১৭:৫১385503
  • আমাদের দেশে একই স্ট্রাটেজিতে চলছে বিগ বাজার, প্যান্টালুন্স আর ওয়েস্টসাইড।
  • shyamal | 72.24.208.96 | ০৫ মে ২০০৮ ১০:০৮385504
  • রঞ্জনবাবু বলেছেন চুক্তি চাষে গ্রেইন তৈরী কমে যাবে। হবে ক্যাশ ক্রপ। তথ্য প্রচুরই আছে বিভিন্ন ওয়েব সাইটে। দুদিকেরই যুক্তি আছে। বাম পন্থীদের যুক্তি হল যে চাষী দামী ফসল ফলাতে আগ্রহী হবে বলে ধান,গম তৈরী কমে যাবে আর খাদ্যসংকট হবে। অথচ আমি ভাবতাম বামপন্থীরা চাষীর পক্ষে।
    আসলে বামপন্থীরা স্ট্যাটাস কুয়ো ধরে রাখতে ভালোবাসেন আর একই সঙ্গে এনারা লাডাইট (luddite)। এনাদের উচিৎ পেনসিলভেনিয়ার আমিশদের সঙ্গে বাস করা। এনারা সবরকম উন্নতি, আবিষ্কার আর পরিবর্তনের বিরুদ্ধে।

    প্রথমত: বাজার যদি খোলা থাকে তবে সে আপনিই অ্যাডজাস্ট করবে। চাল গম তৈরী যদি অলাভজনক হয় তবে তার চাষ কমে যাবে। তার ফলে সৃষ্টি হবে বেশী চাহিদার। তখন চালগমের দাম বেড়ে যাবে। তখন কিছু চাষী আবার চাল গম তৈরী করবে।
    তবে দেখা গেছে যে কোন দেশের উন্নতির সাথে সাথে গ্রেইন খাওয়া কমে যায় আর দুধ,মাছ,মাংস,ডিম,সব্জি ইত্যাদি খাওয়া বেড়ে যায়। আপনি যদি NSSO রিপোর্ট দেখেন তো দেখতে পাবেন যে ভারতে গ্রেইন কনজাম্পশন গত চল্লিশ বছরে কমেছে। আর ধনী পাঞ্জাবে লোকে গরীব উড়িষ্যার চেয়ে গ্রেইন কম খায়। কেউ কেউ এই তথ্য দেখিয়েই আবার বলেছেন, দেখেছ, বলেছিলামনা দেশে লোক আরো গরীব হচ্ছে! দেখেছ তো লোকের ভাত,রুটি আর তেমন জুটছে না !

    উন্নতির সঙ্গে অনেক সামগ্রীর দামে বিরাট পরিবর্তন আসবে। খুব সম্ভব দামের প্যাটার্ন উন্নত দেশকে ফলো করবে। তার ফলে আপনি আর দুটাকায় তিন আঁটি কলমী শাক পাবেন না। শাকশব্জির ডিম্যান্ডের সাথে সাথে দামও বাড়বে। তার ফলে আপনার অল্প ক্ষতি হবে কিন্তু শব্জি চাষীদের প্রচুর লাভ হবে।

    এটা ভাবার কারণ নেই যে চাল,গম,শাক শব্জির দাম বাড়লে গরীবের ক্ষতি হবে। কারণ পুরো পাইটা বড় হচ্ছে। ভাবতে পারেন ২০০২ সালে ভারতের জিডিপি যা ছিল, আজ তার দ্বিগুণ। কারুর আয় অন্য কারুর চেয়ে দ্রুত বাড়ছে। কিন্তু সবার আয় বাড়ছে।

    আমি আগেও বলেছি ভারতে গরীবী দূর করার একমাত্র উপায় হল গ্রামের লোককে স্কুল শিক্ষিত করা যাতে তারা গ্রাম ছেড়ে শহরে এসে বেশী আয় করতে পারে। একই সঙ্গে তাতে চাষের সঙ্গে যুক্ত লোকের সংখ্যা কমবে। মোট পঞ্চাশ কোটি কর্মক্ষম লোকের মধ্যে তিরিশ কোটি চাষের সঙ্গে যুক্ত। এটাকে পাঁচ কোটিতে নামিয়ে আনতে হবে।

  • LCM | 128.48.203.128 | ০৫ মে ২০০৮ ২৩:৩৬385505
  • শ্যামল,
    ঠিক আছে। কিন্তু রিটেইল-এ কর্পোরেট আসার সাথে উন্নতি, আবিষ্কার, পরিবর্তন ইত্যাদির সম্পর্ক !!
    পরিবর্তন ঠিক আছে, কিন্তু উন্নতি বা আবিষ্কার! কার যে কিসে উন্নতি আর অবনতি বলা কঠিন।
    রাশিয়ান মডেল এক সময় ছিল উন্নতির স্বপ্নের মডেল, এখন যেমন চীন। কে বলতে পারে ২০৫০ এ চীন-এর অবস্থা কেমন দাঁড়াবে।
    আর, পাঁচ কোটি লোক চাষ করবে, বাকি ৯৫ কোটি শহরে এসে ফ্ল্যাট বাড়ি/রাস্তাঘাট বানাবে, এ সবই তো আজকের ঘটনা। খাদ্য সংকট প্রবল হলে কাল আবার হয়ত সব সদলবলে গ্রামে ফিরে যাবে। শুধু শহরে মাইগ্রেট করা নয়, বরং গ্রামে আরো ভালো ইনফ্রাস্ট্রাকচার...। জীবনযাত্রার মান উন্নত করবার একমাত্র উপায় যদি হয় শহরে ছোটা তাহলে তো অনেক প্রশ্ন।
  • ip | 128.231.88.4 | ০৬ মে ২০০৮ ০৬:৪২385507
  • চাষের সাথে যুক্ত তিরিশ কোটি টাকে পাঁচ কোটি তে নামিয়ে আনতে হবে। তো বাকি পঁচিশ কোটিকে কি শহরে reliance retail store 'বেশি আয়' র চাকরি দেবে ?
  • shyamal | 72.24.214.21 | ০৭ মে ২০০৮ ০৭:৩০385508
  • কেন শহরে যেতে হবে গ্রাম থেকে? এনিয়ে আগেও লিখেছি। আমার মনে হয় যাঁরা এর বিরোধী তাঁরা অবচেতনে চান না তাঁদের শহরকে 'ছোটলোকেরা' এসে আরো নষ্ট করুক।
    গ্রামের অবস্থা খারাপ থেকে খারাপতর হচ্ছে। আমি অবশ্য স্বীকার করছি কোনদিন গ্রামে যাইনি। কিন্তু দুএকজন গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়েছে । ২০০২ থেকে ২০০৬ অবধি কলকাতায় ছিলাম। তার মধ্যে গোটা ছয় ড্রাইভার রেখেছি। (কোলকাতায় গাড়ি চালানোর মত পারদর্শী নই, বিশেষত: স্টিক শিফ্‌ট)। এত জন কেন? কেউ বেশীদিন থাকেনা। অন্যে বেশী টাকা দিয়ে নিয়ে যায়। এটা প্রমান করে যে স্কিল থাকলে দেশে গরীবদের আয়ও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।

    একজন ছিল মিলন। সোনারপুরের কাছে একটি গ্রামে তার বাড়ি। রোজ ট্রেনে আসত। তাকে জিগ্যেস করেছি, গ্রামে কাজ করনা কেন? সে বলেছে, তারা চার ভাই। বাবা মারা যাওয়ার পর এক ভাই বাবার জমি চাষ করে। অন্যরা অন্য কাজ শিখেছে। ঐটুকু জমি দিয়ে চারটে পরিবার চালানো অসম্ভব। তাই মিলন ড্রাইভারি শিখেছে। তার তিন মেয়ে। সত্যি মিথ্যে জানিনা, বলেছে বড় মেয়ে মাধ্যমিক পাশ করল। তার পরে নাকি ইন্ডিয়ান নেভিতে কি ছোটখাট চাকরি পেয়েছে। মিলন এখনও গ্রামে থাকে কিন্তু কলকাতায় চাকরী করে। যারা এত কাছে থাকেনা তারা মাইগ্রেট করে।
    আরেকজন ড্রাইভার ছিল কানাই। মেদিনীপুর থেকে এসেছে বৌ বাচ্চাকে দেশে রেখে। ভালই চালাত। তিন মাস কাজ করার পরেই বৌ বাচ্চাকে নিয়ে এল। একটা বস্তিতে ঘর ভাড়া নিল। মুখে না বললেও বুঝতাম যে গ্রামের চেয়ে অনেক ভাল আছে। প্রসেনজিতের ছবি হলে দেখবেই। আমার পরে আমাদের কমপ্লেক্সে আরেকজনের ড্রাইভারি করত। এক কাজের মেয়ের সঙ্গে ফ্লার্ট করার অপরাধে তার চাকরীটা যায়।
    এই অ্যানেকডোটাল এভিডেন্স দিলাম এই জন্য যে আমি নিজে দেখেছি লোকে গ্রাম থেকে আসছে উন্নতির জন্য। গ্রামে কাজ তৈরী হয়না। সব উন্নত দেশগুলোকে দেখুন। সর্বত্র গ্রাম থেকে শহরে এক্সোডাস হয়েছে। টেক্সাসে মোট জনসংখ্যার আশিভাগ থাকে চারটে শহরে। নেভাডায় ৯৫% দুটো শহরে -- লাস ভেগাস আর রেনো। ইউরোপেও চিত্রটা খুব আলাদা নয়। চীনে নানা সরকারি বাধা থাকা সত্বেও গ্রাম থেকে শহরে কোটি কোটি লোক যাচ্ছে।

    আমি এর আগে দেখিয়েছি যে প:বঙ্গের সব লোককে যদি শহুরে ফ্ল্যাটে রাখা যায় তবে মোট আট কোটিকে অ্যাকোমোডেট করা যাবে উ: চব্বিশ পরগনায়। তা সত্বেও ঐ জেলার পপুলেশন ডেনসিটি কোলকাতার চেয়ে কম হবে। বাকি সতেরটা ফাঁকা জেলায় যত ইচ্ছে চাষ করুন, শিল্প বানান।

    আসলে তো এটা হবেনা। হওয়া কাম্যও নয়। আমার বক্তব্য ছিল দেখানো যে প:বঙ্গের গোটা কুড়ি শহরে যদি অধিকাংশ গ্রামবাসী এসে থাকে তবে শহরগুলো কিছুটা বড় হবে কিন্তু গ্রাম প্রায় ফাঁকা হয়ে যাবে। তখন গ্রামের লোকের চাহিদা আর যোগানের মধ্যে সামঞ্জস্য আসবে। গ্রামে আয় বাড়বে।

    এখন গ্রামের লোক কেন স্বেচ্ছায় শহরে আসবে? যে জন্য আমি, আপনি বা আমাদের আত্মীয়, বন্ধুরা গ্রামে গিয়ে থাকতে রাজী নন। শহরে বেটার কাজের চান্স বেশী। বহু গ্রামে বিদ্যুৎ যায়নি অথচ শহরে বস্তিতেও বিদ্যুৎ আছে। স্কুল কাছে, বেটার হাসপাতাল কাছে, কেবল টিভি আছে, দোকান বাজারে গ্রামের চেয়ে অনেক চয়েস বেশি, লাইন দিতে হলেও কলের জল পাওয়া যায়। অনেক গ্রামে আজও পুকুরের একদিক থেকে খাবার জল তোলা হয় আর অন্য পাড়ে মানুষ মলত্যাগ করে। তার ফলে গ্রামের লোক পেটের রোগে অনেক বেশী ভোগে।

    এল সি এম বলেছেন গ্রামকে উন্নত করা নয় কেন? গ্রামে লোক ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। শহরে ফ্ল্যাট বাড়িতে অনেক ঘিঞ্জি। তার বিরাট সুবিধা আছে। গ্রামের এক হাজার লোককে ইনফ্রাস্ট্রাকচার --- অর্থাৎ বিদ্যুৎ, কেবল টিভি, জলের লাইন, ফোনের লাইন ইত্যাদি দিতে যা খরচ হবে শহরে তার অনেক কম। বিদ্যুতের তার, জলের পাইপ, ফোনের তার ইত্যাদির কথা বলছি।
    সারা ভারতে ছয় লাখ গ্রাম। খরচাটা চিন্তা করুন।
  • Blank | 203.99.212.224 | ০৭ মে ২০০৮ ১০:৫২385509
  • আমার কি খুব অবাক হওয়া উচিৎ?
  • Arijit | 128.240.229.65 | ০৭ মে ২০০৮ ১৩:১৪385511
  • আমি তো হই না। তবে কনসিস্টেন্সিটা লা-জবাব।
  • Sudipta | 125.16.6.217 | ০৭ মে ২০০৮ ১৫:৫৯385512
  • হা:হা:হা: অজ্জিতদা, জিও ;-)
  • Somnath | 59.160.220.131 | ০৭ মে ২০০৮ ১৭:১২385513
  • এই শ্যমলবাবুকে , আমি লক্ষ্য করে দেখলাম, যুক্তিতে কেউ কাটতে পারেন না। সবই চার ছয় হয়ে মাঠের বাইরে। শুধু নানাভাবে হ্যাটা দেওয়ার চেষ্টা।

    আমি দাবি রাখলাম, এই সব বক্তব্যের, যদি অ্যাকাডেমিক কাউন্টার কেউ না করতে পারেন, অনুগ্রহ করে নিজেদের ছোট করার জন্যে ফাঁপা খিল্লি করবেন না।

    দক্ষিণপন্থী থিয়োরেটিকাল ডিসকোর্সকে প্রবল বামপন্থী আওয়াজ দেওয়ায় কোনো বাহাদুরি চোখে পড়ছে না। কাউন্টার করুন?
  • Arijit | 128.240.229.65 | ০৭ মে ২০০৮ ১৭:৫৪385514
  • যুক্তি কাটার জন্যে অনেক অ্যাকাডেমিক তথ্য/পেপার "পরিবেশন' করা হয়েছে, আগের লেখা খুঁজলে র বা বোধির অনেক পোস্ট পাবি। কিন্তু সেগুলো কোনো কাজে আসে না। কাজেই আর অবাক হই না। সেদিন রঙ্গন তো বলেই দিয়েছে - ধর্মগুরু কাকে বলে।
  • LCM | 71.132.137.192 | ০৮ মে ২০০৮ ০৭:৪৯385515
  • শ্যামল-এর ছোটলোক এর ব্যাপারটাতে কনি্‌ফউস্‌ড হলাম। ছোটলোক এর অর্থ যদি ন্যারো-মাইন্ডেডনেস হয়, তাহলে তো ঘটনাটা উল্টো, এরা তো শহরে বেশী পরিমানে থাকেন বলে শোনা যায়!

    কথাটা হল, উন্নততর জীবনযাত্রার মান বলতে কি বোঝায়? কেবল টিভি, শপিং মল, ফান্ডু সেল ফোন - এটা একটা ডেফিনিশন। অন্তত কিছু মানুষের কাছে।

    গ্রামে কিছু বেসিক জিনিস চাই - মোটামুটি একটা ভাল যোগাযোগ ব্যবস্থা, ডাক্তার/চিকিৎসা, পানীয় জল, স্কুল, ল্রাইবেরী - এই সব। প্যান্টালুন, আইনক্স, মেইনল্যান্ড-চায়না না থাকলেও চলবে। মনে রাখতে হবে, শহরের সামান্য অংশই কিন্তু এই উপকরণ গুলো এনজয় করতে পারেন।

    শহর অনেক ক্ষেত্রেই দিতে পারে না দূষণমুক্ত পরিবেশ, প্রাণ ভরে নি:শ্বাস নেবার মতন একটু বিশুদ্ধ বাতাস, ১০ জনের পরিবারের জন্য ৪০০ স্কোয়ার ফুটের বেশী থাকার জায়গা, বাচ্চাদের ছুটে বেড়াবার সামান্য পরিসর।

    সুতরাং, এই 'ভালভাবে' বেঁচে থাকা ব্যাপারটাকে এত সহজে বোধহয় ডিফাইন করা যায় না।

  • shyamal | 72.24.214.21 | ০৮ মে ২০০৮ ০৯:৩৪385516
  • এল সি এম,

    গ্রামে কেন শুধু কিছু বেসিক জিনিষ চাই? কারা ঠিক করবে কি চাই? আমি তুমি না গ্রামের লোক? আমি বলিনি গ্রামের লোকে চায় শপিং মল বা মেইনল্যান্ড চায়না। আর শহর বলতে আমি শুধু কলকাতা বলিনি। বলেছি গোটা কুড়ি শহর।
    মুশকিল হল সেই নেহরুর আমল থেকে মধ্যবিত্ত ইন্টেলিজেনশিয়া আর রাজনীতিকরা ঠিক করেছেন গ্রামের লোক কি চায়। তাই প্রশান্ত মহলানবিশের হাত ধরে এসেছে নেহরুর নানা নীতি যা প্রধানত: আমাদের শহুরে মধ্যবিত্তদের সুবিধা করেছে।
    গ্রামের লোক কি চায় তা বাজারের হাতে ছেড়ে দাওনা। সেটা সবচেয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি। বেশি লোক যা চায়না সেটা আপনিই উবে যাবে। ভোর ছটায় যদি গড়িয়া, বাঘা যতিন, যাদবপুর, ঢাকুরিয়া স্টেশনে দাঁড়াও দেখবে লক্ষ লক্ষ মেয়ে পুরুষ গ্রাম থেকে শহরে আসছে। তারা কেউ কেউ রাত তিনটেয় বেরিয়ে দু মাইল হেঁটে ট্রেন ধরে এসেছে। তারা কি শখ করে গ্রামে থাকছে? শহরে সস্তা থাকার জায়গা নেই বলে। শহরের আশে পাশে যদি বস্তি করারও অনুমতি মেলে তবে এরা বেঁচে যায়। কিন্তু তখন বুদ্ধিজীবিরা শহর নষ্ট হচ্ছে বলে চ্যাঁচাবেন।
    এই ক্যানিং, লক্ষ্মীকান্তপুর থেকে যারা আসে তারা বরং ভাল অবস্থায় আছে। বাঁকুড়া, বীরভূমে গরীবের অবস্থা আরো খারাপ। কারণ কাছাকাছি বড় শহর নেই।
    গ্রামের লোক কাজ চায়। সত্যিকারের কাজ। কেইন্সের মাটি খুঁড়ে আবার ভরাট করার কাজ নয়। আর কাজ আছে শহরে। প্লেন অ্যান্ড সিম্পল। কারণ শহরের লোকের কাজ করানোর মত পয়সা আছে যা গ্রামে নেই। গ্রামে তুমি ডাক্তার দেবে? এম বি বি এস পাশ করে তারা গ্রামে যাবে ? তাদের জোর করে পাঠানো -- যেটা সরকার কিছুটা করে -- সেটা হল অ-বাজার সুলভ নীতি। গ্রামে হাসপাতালের দরকার নেই? প্রতি গ্রামে হাসপাতাল দেবে না গ্রামের লোক পাঁচ মাইল দূরের হাসপাতালে যেতে বাধ্য হবে? স্কুল ? ভাল শিক্ষক গ্রামে যাবে? বেশীর ভাগ গ্রামের স্কুলে টিচার দিনের পর দিন যায়না। কারণ সরকার তো মাইনে দেবেই।
    যোগাযোগ ব্যবস্থা? প্রত্যেক গ্রামে রাস্তা করা সস্তা না কুড়িটা শহরকে বাড়িয়ে রাস্তা করা?
    কেবল টিভি আর সেল ফোন কিন্তু নিম্নবিত্তের আওতায় এসে গেছে। অনেক বস্তিতে ঘরে ঘরে টিভি আছে আর (হয়তো বেআইনী) কেবল টানা। প্রায় সব ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার, কাঠের মিস্তিরি সেল ফোন রাখে তাদের ব্যবসার খাতিরে। আমাদের পাড়ার ফলওয়ালা বলেছে, ফোন করে দেবেন, বাড়িতে ফল পাঠিয়ে দেব। বাজারে আলুওয়ালার সেল ফোন আছে।

    আমার মনে হয় আগে বেঁচে থাকা তারপরে আসে দূষণ, খেলার মাঠ এইসবের চিন্তা।

  • LCM | 71.132.137.192 | ০৮ মে ২০০৮ ১০:১২385517
  • শ্যামল,
    কিন্তু এর একটা অন্য দিকও আছে।
    আসলে, শহরের কিছু মানুষ চায় গ্রামের লোক আসুক, শস্তায় লেবার পাওয়া যায়, শনি-রবি ছুটি দিতে হয় না, মেডিক্যাল ইন্সিওরেন্স দিতে হয় না...
    শহরে মানুষ সবরকমের ডিসপ্যারিটি তাড়িয়ে তাড়িয়ে এন্‌জয় করতে চায়, নিজের গাড়ী নিজে না চালিয়ে, নিজের বাসন নিজে না মেজে, নিজের জামা নিজে না কেচে - ভাবে গরীব চাষীকে কাজ দিলাম, একটা আত্মশ্লাঘা। আর, শহরে
    ভাল শিক্ষক, ভাল ডাক্তার, ভাল নার্সিং হোম কাদের জন্য, কারা যেতে পারে, আর কর্পোরেশনের স্কুল, সরকারী হাসপাতাল কাদের জন্য সেটাও নিশ্চয়ই অজানা নয়।

    শুধু বেঁচে থাকবার ব্যবস্থা (ন্যুনতম ইনফ্রাস্ট্রাকচার থাকলে) গ্রামে থাকলে শহরের নিম্নবিত্ত জীবনযাত্রায় কে আসতে চায়!

    তোমার শেষ লাইনটা দেখ, স্রেফ বেঁচে থাকতে শহরে আসে মানুষ, উন্নততর জীবনযাত্রার লোভে নয়। সেল ফোনের লোভেও নয়।

  • Riju | 121.240.210.2 | ০৮ মে ২০০৮ ১০:৪৩385518
  • শ্যামল্‌দাকে পুঁজিবাদী দিক থেকেই জবাব দি। বিশ্বযুদ্ধ উত্তর ম্যারিকায় শুধু ইন্‌ফ্‌রাস্ট্রাকচার তৈরির জন্যে কোটি কোটি ডলার খচ্চা করা হয়েছিলো।তার ফল আজকের ফ্রি ওয়ে , গ্রামে গ্রামে বিদ্যুত জল স্কুল স্বাস্থ্য পরিষেবা। আজকের চীনে যাবেন দেখবেন দেশটা জুড়ে ইন্‌ফ্‌রাস্ট্রাকচার তৈরির সিমিলার কর্মযোগ্য চলছে। আমাদের দেশেও যেদিন গ্রামে গ্রামে হাইওয়ে,বিদ্যুত,জল,স্কুল,হাসপাতাল পৌঁছে যাবে সেদিন আর শিল্পের জন্যে জমির চিন্তা করতে হবে না; গ্রাম হবে শহরের ই এক্সটেন্ডেড ভার্সন।কর্মি রা গাড়ী চালিয়ে কাজ করতে যাবে,তাদের গ্রামে থাকতে বাধ্য করার ন্দরকার নেই। আমার মনে পড়ে I80 ধরে বে এরিয়া থেকে স্যাক্রামেন্টো আসতে ১-১।৫ ঘ লাগতো । ভারতের ব্যাপারেও একটু ফিউচারিস্টিক হন না,জানেন কি কোলকাতা থেকে বর্ধমান NH2 দিয়ে যেতে এখন কতক্ষণ লাগে ? ১।৩০ ঘন্টা,পুরো ফ্রি ওয়ের মত !
    ইন্‌ফ্‌রা তে সাধে কি এত ইনভেস্টমেন্ট হচ্ছে

    এবার টেক্সাসে কেন শহরে ৮০% লোক থাকে। গাড়ী কোম্পানি গুলো যেই পলিসি নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করল পাবলিক ট্রানে্‌স্‌পার্ট কে পঙ্গু করে দেওয়া হল , ফলে আজকের ম্যারিকায় যাদের গাড়ী নেই তারা বড় শহরের আনাচে কানাচে ঘেটো বানিয়ে থাকতে বাধ্য।পর্যাপ্ত বাস ট্রেন দিন ওদের ওরাও গ্রামে গিয়ে থাকবেঋ
  • Blank | 203.99.212.224 | ০৮ মে ২০০৮ ১১:০৪385519
  • আট কোটি লোককে গোটা কুড়ি শহরে রেখে, তার পরে বাকি দেদার যে ফাঁকা গড়ের মাঠ পাওয়া যাবে, সেখানে শিল্প আর কৃষি হবে।
    কিন্তু সেগুলো করবে কে? লোকেরা তো সব শহরে থাকবে। তাহলে ১০ মাইল দুরের জমিতে ট্রাক্টর চালাতে যাবে কে?
  • dri | 75.3.201.43 | ০৮ মে ২০০৮ ১১:৫০385520
  • এইটে মূলত সোমনাথকে লেখা।

    শ্যামলবাবুর ভাবধারা খুব ক্লাসিকাল দক্ষিণপন্থী। এবং তাতে খিল্লির কিছু নেই। গুরুতে এই পন্থার মানুষ কম হলেও দুনিয়ার বহু মানুষই এরকম ভাবেন। কিন্তু প্রতি কথায় কিটকিট করে ঝগড়া (বা ভদ্রভাবে প্রতিবাদ) করছিনা মানেই সব কথা মেনে নিচ্ছি এমনটা ভেবো না। কিটকিট করে ঝগড়ার অনেক স্পেসই আছে।

    শ্যামলবাবুর ওয়ার্ল্ডভিউয়ের সাথে আমরা মোটামুটি পরিচিত। পোস্ট ধরে ধরে আর মনে নেই। আমার ভিউজ এর থেকে অ্যাতোই আলাদা যে কোত্থেকে শুরু করব ভেবে উঠতে পারছি না। ধরা যাক এই ভিউটা। যে সব ফ্রি মার্কেটের হাতে ছেড়ে দাও। ল্যান্ড সিলিং উঠিয়ে দাও। বড়লোকরা সব গ্রামের জমি কিনে নিক। মার্কেট ঠিক ডিসপ্লেস্‌ড গ্রামের লোকদের রক্ষা করবে। কি করে? না অমনি শহরে থাকার ডিম্যান্ড বাড়বে। শহরে লো-কস্ট হাউসিং বানানো শুরু হয়ে যাবে। সেই কনস্ট্রাকশানের কাজে গ্রামের সব ডিসপ্লেস্‌ড মানুষ কাজ পেয়ে যাবে।

    এই আর্বান ঢপটি আমি খাচ্ছিনা। তুমি খেলেও খেতে পারো। সেটা তোমার মর্জি। এই যাদুবাস্তবতায় ভরসা করতে গেলে ফ্রি মার্কেটে অচলা ভক্তি চাই, যেটা আমার নেই। সব গ্রামের লোক ডিসপ্লেস্‌ড হবার পর যদি দেখা যায়, ১০% লোককেও কাজ দেওয়া যাচ্ছেনা, তখন ঠেলা কে সামলাবে? গ্রামের সব লোকের কথা ছাড়ো। এই যে ছুটকো ছাটকা শিল্পায়ন হচ্ছে, তাতে যেটুকু লোক ডিসপ্লেস্‌ড হচ্ছে, যা গ্রামের মোট জনসংখ্যার তুলনায় নগণ্য, তাদের সবাইকে কি ফ্রি মার্কেট অ্যাকোমডেট করতে পেরেছে সুষ্ঠুভাবে? হ্যাঁ, একথা ঠিকই, গ্রামের প্রচুর মানুষ শহরের স্বপ্ন দেখেন। একথাও ঠিক, প্রতিদিন কোলকাতায় গ্রাম থেকে প্রচুর মানুষ আসেন। কিন্তু সেটাও গ্রামের মোট পপুলেশানের একটা ছোট্ট ফ্র্যাকশান। ঐটুকুই পারে কোলকাতা শহর পারে অ্যাকোমডেট করতে। ওর বেশী পারে না। পারলে আরো আসত। তাই গ্রামের সব মানুষকে কোলকাতা পাঠিয়ে দিলে সবাই মিলে ময়দানে পার্টি করবে এমনটা নয়। আর গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দিলে সবাই শহরে এসে বাড়ি বানাবে আর সেই বাড়িতে থাকবে? কনস্ট্রাকশান ওয়ার্কারদের ব্যাঙ্ক লোন দেবে বাড়ি কেনার জন্য? ব্যাঙ্কের মাথায় কি ক্যাড়া ঢুকেছে? আমেরিকাতে এটা কাজ করে তার মূল কারণ, এদেশে ৯৫% লোক ঘন্টায় ৮ ডলারের বেশী রোজগার করে। ভারতে এত লোকের মর্টগেজ দেবার ক্ষমতা আছে? নাকি গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দিলে তাদের রাতারাতি সে ক্ষমতা হবে?

    অন্য আরেকটা ভিউ ধর এবার। পরীক্ষায় যারা ভালো করতে পারেনি সমাজের এবং সরকারের তাদের প্রতি কোন দায়বদ্ধতা নেই। এটাও খুব চেনা রাইটিস্ট ভিউ। টু ব্যাড ইউ নো (কাঁধ ঝাঁকাইয়া)। তুমি পারোনি, ফোটো। তো আমি এই ভিউ সাবস্ক্রাইব করিনা। আমি মনে করি, সরকারের সাকসেস বা ফেলিওর নির্ভর করছে কতজন নাগরিককে সে কাজ দিতে পারবে। আমেরিকা ধনতান্ত্রিক দেশ হয়েও এই প্যারামিটারে প্রায় সমাজতান্ত্রিক দেশের মত সফল। তাই একজন এম এ পড়তে চেয়েও কোয়ালিফাই করতে পারল না যখন, সরকারেরও দায় থাকে। হয়ত উচ্চশিক্ষার যত ডিম্যান্ড সেই অনুপাতে কলেজ নেই। ছাত্র ফেল করলে শিক্ষকেরও দায় থাকে। আজকের ওয়ার্ল্ড অর্ডারে যে বেশী বুদ্ধিমান সেই বেশী পাবে এটা প্রায় স্বত:সিদ্ধের আকার ধারণ করেছে। এই অ্যাক্সিয়মের সাথে আমি একমত নই। ইতিহাসের টাইমলাইনে বেশ কিছু বছর পিছিয়ে গেলে আমরা দেখব যে এক সময় গায়ের জোরের এইরকম একটা পোজিশান ছিল। আমার গায়ের জোর বেশী, আমি তোমার থেকে ছিনিয়ে নিতে পারি। তুমি পারোনা, টু ব্যাড। তুমি হলে দুধুভাতু। আজকের দিনে এই ধারণায় আমরা আর বিশ্বাস করিনা। গায়ের জোর ফলাতে গেলে আজ সরকারি ডিসিপ্লিনারি পাওয়ার এসে ইন্টারভিন করবে। মেধাভিত্তিক ডিসক্রিমিনেশানও প্রশ্নের ঊর্ধে নয়।
  • Arpan | 202.91.136.71 | ০৮ মে ২০০৮ ১২:২০385522
  • ধুর ধুর, এঁরা কেউ বাংলার গ্রামগঞ্জ থেকে কতজন রোজগারের আশায় দিল্লি-হরিয়ানা বা অন্যত্র পাড়ি জমাচ্ছেন কেউ তার কথা উল্লেখই করছেন না। কারণ কারোরই এই নিয়ে সম্যক ধারণা নেই। আমারো নেই। কিন্তু কথা হল বছরে ১০০ দিনের কাজের যে প্রকল্প সেই প্রকল্প প:বঙ্গে বিশবাঁও জলের তলায়।

    আনন্দবাজারে লাস্ট কয়েকটা সপ্তাহ জুড়ে এই নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। পড়ে দেখতে পারেন। মেধার বহির্গমন নিয়ে এত হইচই লেখালেখি হয়। শ্রমের বহির্গমন নিয়ে হয় না কিছুই।

    এই যখন অবস্থা তখন দূষণমুক্ত পরিবেশ, পানীয় জল, স্কুল, লাইব্রেরি এইসব নান্দনিক জিনিসের গল্প করা বিশুদ্ধ ঢপবাজি। তাই বলে ফ্রি মার্কেট এসে সব রোগ ম্যাজিকের মত সারিয়ে দেবে এইটা চোখ বুঝে ভাবতে বেশ ভাল। চোখ খুললে অবশ্য অন্য কথা।
  • LCM | 71.132.137.192 | ০৮ মে ২০০৮ ১২:২৮385523
  • যা তেরি, এত সব স্বপ্নের গ্রামের কথা বললাম, সব ঢপবাজি বলল!
    আমার তো চোখ বুজে একটি গ্রাম যাতে মোটামুটি একটা ব্যবস্থা আছে ভাবতে ভাল লাগে (সিনেমায় যেমন দেখায়, বা আমেরিকায় যেরকম গ্রাম, একটা স্কুল, একটা ব্যাংক, একটা লাইব্রেরি, একটাই ভাল রাস্তা গ্রামের মধ্যে দিয়ে গেছে...)। এরকম একটা গ্রামে রিটায়ার করে ... যাকগে...
  • Arijit | 128.240.229.7 | ০৮ মে ২০০৮ ১৩:৩৩385524
  • আরেকটা কথা আছে। শহর (ধরা যাক কলকাতা) এই চাপ নিতে সমর্থ কিনা। কলকাতার রাস্তার টোটাল পরিমাণ বাড়ানো সম্ভব নয়, এটা যে কেউ জানে। ফ্লাই-ওভার হলে যেটুকু বাড়ে। শুধু কলকাতা নয়, লণ্ডনেও একই সমস্যা আছে। কনজেশন চার্জের গল্পটা সকলেই জানে। তো এত ফ্ল্যাট - বলা ভালো ফ্ল্যাটের আকারে বস্তি - কলকাতা আর আশেপাশে তৈরী করলে কলকাতার ইনফ্রাস্ট্রাকচার যে জায়গায় পৌঁছবে তাতে শ্যামলই হয়তো অভিযোগ করবেন। এবং তাতে খরচ অনেক বেশি - সেটা শ্যামল দেখেননি। দ্রিয়ের পোস্ট পশ্য।

    চীনে গুচ্ছ গুচ্ছ লোক শহরে এসে কাজ করে - কিভাবে সেটা কেউ দেখেছেন? এরা দূরদূরান্তের গ্রাম থেকে আসে, হপ্তায় ছয়দিন শহরে থেকে কাজ করে, একদিন বাড়ি গেলেও যেতে পারে। এদের পরিবার গ্রামে থাকে - একই রকম ভাবে। এদের লাইফটা কি খুব সুখের? শহরে সেল ফোন হাতে পেলেও? নাকি যারা শহরে থাকি তারা একটু বেশি "কাজের লোক' বা "ড্রাইভার' চাই বলে এই সিস্টেমটাকে তোল্লাই দিচ্ছি?

    ইনফ্রাস্ট্রাকচারটা জরুরী - গ্রামেও, শহরেও। এখানে দেখেছি প্রত্যন্ত গ্রামেও কিভাবে ইনফ্রাস্ট্রাকচার তৈরী করা হয়। শ্যামলের এই পয়েন্টটা গোটা আউটলুকটাকে এক্কেরে কাপড় খুলে দাঁড় করায় - যে প্রতিটা গ্রামে ইনফ্রাস্ট্রাকচার তৈরীর খরচ বেশি, তাই সেটা না করে সকলকে শহরের বস্তিতে ভরে রাখো - অর্থাৎ গ্রামে ইলেক্ট্রিসিটি/হাসপাতালের দরকার নেই - ওই আট কোটি না কতজন যারা গ্রামে থাকবে তারা হ্যারিকেন নিয়েই থাকুক।
  • Arijit | 128.240.229.68 | ০৮ মে ২০০৮ ১৩:৩৮385525
  • অ্যাকচুয়ালি এগুলো সবই পুরনো কথা। ওমনাথ দিব্যি উস্কে দিয়ে ভেগে গেলো। সাধে কি কেউ একজন, কে বলা যাবে না, ওমনাথকে ক্যালাবে বলেছে...
  • Arpan | 202.91.136.71 | ০৮ মে ২০০৮ ১৪:১৫385526
  • কিন্তু তা তো হল। ডিস্কোর্সের বদলে পাল্টা ক্রিটিক লেখা তো হল। কিন্তু তাতেও শ্যামলবাবুর লেখা কয়েকটা কথা পাল্টায় না।

    কী করিতে হইবে এইটা নিয়ে শ্যামলবাবুর সাথে অনেকেরই দ্বিমত আছে। কিন্তু কী হইতেছে সেইনিয়ে দুই-একটা পয়েন্ট একটু নাড়াচাড়া করা যাক।

    কী হইতেছে পর্যায়ে শ্যামলবাবুর অবজার্ভেশন মূলত দুইটি।

    ১) কৃষিজমির উপর অত্যধিক চাপ। নানা কারণে প্রথাগত কৃষি আর লাভদায়ক জীবিকা নয়। একই সাথে কৃষিজমির উপর নির্ভর করে বড় পরিবারের সবাই খেয়েপড়ে বাঁচতে পারছে না।

    (এই নানা কারণ কী কী সেই নিয়ে একটু আলোচনা হোক আগে। উভয় তরফে। তাতে ক্রিটিক খাড়া করার সময় সুবিধা হয় :))

    ২) বিকল্প জীবিকার সন্ধানে গ্রাম ছেড়ে মাস এক্সোডস। বিশেষত উপার্জনক্ষম পুরুষেরা অন্যান্য রাজ্যে চলে যাচ্ছেন কাজের খোঁজে। বছরের দশ মাস পরিবারকে ছেড়ে বাইরে থাকেন। এদের একটা অংশ কলকাতাতেও আসছেন।

    তো, আগে এই দুটো পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা হোক। যারা যারা দ্বিমত পোষণ করেন তারা নিজেদের যুক্তি সাজিয়ে নিয়ে হাত তুলুন।

    (কী হইতেছে এই নিয়ে শ্যামলবাবুর আরো কিছু বক্তব্য ছিল কী যেটা মিস করে গেলাম?)
  • Arijit | 128.240.229.67 | ০৮ মে ২০০৮ ১৪:২৩385527
  • (২) নংটা আজকের গপ্পো নয় - শতাব্দীপ্রাচীন।
  • Arpan | 202.91.136.71 | ০৮ মে ২০০৮ ১৪:২৯385528
  • ২ নং টা ১ নং থেকে আসে। কৃষি লাভজনক নয় -> বিকল্প জীবিকার সন্ধান - > অন্যত্র মাইগ্রেট করা।
  • Arijit | 128.240.229.67 | ০৮ মে ২০০৮ ১৪:৪৫385529
  • বা অন্য প্রবলেম থেকেও - আয়ারল্যাণ্ডে আলুর পোকা লাগলো বলেই না শিল্পবিপ্লব হল।
  • santanu | 82.112.6.2 | ০৮ মে ২০০৮ ১৫:৩৮385530
  • কিন্তু শ্যমলবাবুর লেখায়, শহর (ধরা যাক কলকাতা) ছিল না। ছিল ২০ টা শহর গড়ে তোলার কথা। হয়ে উঠুক না সিঙ্গুর এই এমন একটা শহর।
  • S | 125.21.189.194 | ০৮ মে ২০০৮ ১৫:৪৭385531
  • নাহ্‌। খুঁজে পেলাম না। শ্যামলের গল্পে শহর গড়ে তোলার কথা নেই। শহরের সংখ্যা স্ট্যাটিক, কেবল শহরের ভেতরে আশেপাশে রাস্তা গড়ে তোলার কথা বলেছেন শ্যামল, যেটা মোটামুটি অসম্ভব কলকাতার মত শহরে। শ্যামলের মতে শহর শহর থাকবে, গ্রাম গ্রাম। সম্ভবত মফস্‌সল মফস্‌সলই থাকবে। কেবল গ্রাম থেকে গুচ্ছ গুচ্ছ লোক এসে শহরের প্রান্তে বস্তি বানিয়ে থাকবে যাতে তাদের রাত তিনটেয় উঠে লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল আর ধরতে না হয়। তখন থ্রি বিএইচকের বড়লোক বৌদির বাড়িতে সকাল সাতটাতেও বাসন মাজলে চলত, এখন শহরের পাশে এসে যাবার ফলে বৌদির হুকুম, সকাল ছটাতে আসতে হবে, নইলে বাবলুর স্কুলের দেরি হয়ে যাচ্ছে, দাদার অফিস যাবার তাড়া। আগে রেলের টিকিটবাবুকে মাসে পঞ্চাশ একশো গুঁজে দিলে মাসভর ফ্রি ট্রিপ ছিল, এখন হুকিং করে ফ্রি বিদ্যুৎ। সরকার এমন কিছু গরীবদরদী নয় যে বস্তিতে বস্তিতে ইলেকট্রিক পোল খাটিয়ে লিগাল বিদ্যুৎ সরবরাহের মহান দায়িত্ব কাঁধে নেবেন।
  • Arijit | 128.240.229.67 | ০৮ মে ২০০৮ ১৫:৫০385533
  • এবং গ্রামগুলোতে যে অল্প কিছু লোক থাকবে তাদের বিদ্যুত না হলেও চলে যাবে। খরচ বাঁচবে।

    ধুস্‌স্‌স্‌স্‌স্‌স্‌স্‌স।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন