এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • রিটেল সেক্টরে বড় কোম্পনিগুলোকে ঢুকতে দেওয়া ঠিক?

    Riju
    অন্যান্য | ২৩ এপ্রিল ২০০৭ | ১১১৬১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dri | 75.3.201.43 | ১১ মে ২০০৮ ১৩:২৭385414
  • সরি। সমবায় প্রকল্পটা কি আমি মিস করলাম? শ্যামলবাবুর আউটলুক আমি যদ্দুর বুঝেছি আমার তো মনে হয়না উনি সমবায়ের খুব একটা বড় ফ্যান। আমি যতটুকু বুঝেছি উনি মিন করছেন আসন্ন ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশনের জন্য ওয়ার্কফোর্সকে প্রিপেয়ার করার কথা বলছেন। ভুল বুঝলাম?
  • LCM | 71.132.137.192 | ১১ মে ২০০৮ ১৩:৪৫385415
  • যাক। শ্যামল সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রির কথা বলেছে। সব চাষী হয়ে গেল ড্রাইভার/মেইড-সারভেন্ট/রাজমিস্ত্রি, আর সাথে সাথে দুর হল গরিবী - এটার থেকে সার্ভিস সেক্টর ব্যাপারটা শুনতে বেটার, কম কনফিউসিং :-)

    কিন্তু শ্যামল ঠিক পরিষ্কার করে বলল না।
    কিসের সার্ভিস? ৬০ কোটি চাষী কাকে কি সার্ভ করবে? টিভি, ফ্রিজ, ফ্ল্যাট, শ্যাম্পু সার্ভ করবে? আমার মনে হয়, শ্যামল স্কিল্ড ওয়ার্ক ফোর্স ফর কনসুমার গুড ম্যানুফ্যাকচারিং, মার্কেটিং, আফটার সেলস সাপোর্ট, মেইন্টেন্যন্স - এই সবের কথা কথা বলছে। কিন্তু এটাতো ঠিক সার্ভিস নয়, এতো ম্যানুফ্যাকচারিং, সেল্‌স এসেট্রা। সুতরাং, 'সার্ভিস' শব্দটা কনফিউশনের সুযোগ রেখে গেল :-)

    শ্যামল-এর পোস্টে যে কথা আলোচনা করছে তা বোধহয় নলেজ ইকনমি। এগ্রিকালচারাল ইকনমি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকনমির যুগ পেরিয়ে এখন হল নলেজ ইকনমির যুগ।
    গুগুলে পাওয়া স্টিগলিজ এর ডকু থেকে -
    The industrial revolution laid the foundation of the transformation of the economy from agriculture to industry; with it, not only did living standards rise, but also the location of life changed, from rural communities to metropolitan megalopolises.
    The scientific revolution of the past century has resulted in the systematization of change itself...
    Knowledge and information is being produced today like cars and steel were produced a hundred years ago.
    In what ways are the laws that govern the new Economies differ from that of the old?
    To be sure, we still face the economics of scarcity.
    But just as the importance of land in production changed dramatically as the economy moved from agriculture to industry, so too does the movement to a knowledge economy necessitates a rethinking of economic fundamentals... ... ...

    http://www.worldbank.org/html/extdr/extme/knowledge-economy.pdf
    এই ফোরামে অনেকেই আছেন এ বিষয়ে এক্সপার্ট, আরো আলোকপাত করতে পারবেন।

    আমার মনে হয়, শ্যামল বোধহয় একটা স্টেপ জাম্প করবার কথা বলছে (যেটার উল্লেখ দ্রি করেছে, ঐ ফাস্ট ফরোয়ার্ড...)। এগ্রিকালচারাল ইকনমি থেকে সোজা নলেজ ইকনমি-তে। কিন্তু তার সোজা রাস্তা শ্যামল বাতলাতে পারে নি (যা কি না অনেক দেশই করতে চায়) :-)

  • ranjan roy | 122.168.86.235 | ১১ মে ২০০৮ ১৪:০২385416
  • অর্পণ,
    না, ওটা টাইপো নয়। খেয়াল করুন, আমি বলেছি -চাঁদে প্রথম পা রাখা মানুষটি "" একটি'' বামপন্থী সরকারের প্রতিনিধি। আমার কাছে ট্র্যাডিশনাল ক্ষমতার স্ট্রাকচার এর বিবাদী কোন অল্টারনেটিভ বিকাশ বা ক্ষমতার রাজনীতি- সবই বামপন্থা। আর মার্ক্সিস্টরা এই বড় সেটটার একটি সাব- সেট মাত্র। তৎকালীন সমাজতান্ত্রিক রাশিয়া অবশ্যই একটি বামপন্থী মতাদর্শের সরকার। আর সামগ্রিক ভাবে বামপন্থার সাকসেস/ফেলিওর দুটৈতো মাপা হয় সমাজতান্ত্রিক রাশিয়া/চীনের আজকের অবস্থা দিয়ে, যেমন আগের পোস্টে শ্যামল করেছেন।আশা করি আমরা বিকাশের মডেলের ক্রিটিক দাঁড় করাতে গিয়ে
    মাত্র বুদ্ধবাবুকে ফোকাস করছি না,:)))।

    এবারের আমরা বিশ্বায়নের যুগে শ্যামলবাবুর মডেলটিকে ওনার লজিক extend করে সারা দুনিয়ার ম্যাক্রো মডেল হিসেবে প্রোজেক্ট করে দেখি কি হয়।
    ১) আম্রিকা-ইউরোপ বিকাশের আল্টিমেট। এ'নিয়ে কোন সন্দেহ নেই,- আয়-রোজগারের সুযোগ, জীবনযাত্রার মান ইত্যাদি।
    ২) সেই কারণে ভারতশুদ্ধু গোটা তৃতীয় বিশ্ব অবিকসিত।
    ৩) বিকাশের স্ট্র্যাটেজি হবে সবাই মিলে ইউরোপ-আম্রিকায় মাইগ্রেট করে যাওয়া। কোন সমস্যা নেই, ওখানে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যার চাপ আমাদের থেকে অনেক কম।
    ৪) বেশকিছু ভারতীয় ওখানে ট্যাক্সি চালিয়ে এবং রেস্টুরেন্ট খুলে দিব্বি করে খাচ্ছেন। ব্রিক রোড, বার্মিংহ্যাম ইত্যাদি। নিউ জার্সিতে টিচার ও নিচ্ছে।
    ৫)কিন্তু এϾট্র পাওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো হবে ওদের দেশের দরকার মত শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করা। (পড়ুন-আই টি, প্রিমিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বিভিন্ন ডিসিপ্লিনে পি এইচ ডি ইত্যাদি)।
    কেউ এটা ব্যক্তিগত ভাবে নেবেন না। এই সুতোয় অনেকেই এই মডেল অনুসরণ করে আজ জীবিকা অর্জন করছেন। এর মধ্যে আমার এক ভাইও আছে, যে কোলকাতায় কোন কলেজে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনে সক্রিয় ছিলো।
    এখন প্রশ্ন হলো-এই মডেলটি কি ভুল?
    আমি বলবো-- না, ভুল নয়। তবে শুধু ব্যক্তি স্তরে,অর্থাৎ ব্যক্তিকে ইউনিট ধরে মাইক্রো লেভেলে। আর যদি material progress কেই বিকাশের একমাত্র মাপকাঠি ধরায় কারো value system এ কোন সমস্যা না হয়।
    কিন্তু বিকাশের মডেল বাস্তবে এত লিনিয়ার নয়। কারণ, যা একজন ব্যক্তির পক্ষে ভালো, তাই তার পরিবারের পক্ষে ভালো, তাই তার গোটা সম্প্রদায়, সমাজ বা দেশের জন্যে ভালো --এটা মস্তবড় ফ্যালাসি।
    কেইনস্‌ সায়েব তাঁর বিখ্যাত উপপাদ্য-"" A private virtue is a public vice''তে এটা অনেক আগেই স্থাপিত করে গিয়েছেন।
    সঞ্চয় ব্যক্তির জন্যে বড় গুণ। কিন্তু সমষ্টির জন্যে একেবারে খারাপ। সাবাই মিলে সঞ্চয় করতে থাকলে বাজারে কোন খরিদ্দার থকবে না। এফেক্টিভ ডিমান্ড ধুণ্যে পৌঁছবে, অর্থনীতিটাই যাবে ধ্বসে।
    আমার মনে হয় শ্যামলবাবুর মডেল এই মাইক্রো-ম্যাক্রো লেভেলের লিনিয়ার আন্ত:সম্পর্‌ক্‌ধরে নিয়ে অতিসরলীকরণের দোষে ভুগছে।
    নিজের ব্যক্তি জীবনে ও চারপাশে সফলতার যে মডেলটি উনি দেখেছেন সেটা কে সম্ভবত:, with all good intent and purpose, সমগ্র দেশে একমাত্রিক ভাবে ইম্পোজ করেছেন। বিজলি চলে গেলো। আসলে এর পরের কথাটা লিখছি।
  • Arpan | 123.237.219.103 | ১১ মে ২০০৮ ১৪:৩৯385417
  • দ্রি:

    না, ঠিকই বুঝেছেন, আই গেস। :)

    শ্যামলবাবুর বক্তব্য থেকে যেটুকু বুঝেছি (এবং অবশ্যই যা হতে দেখছি) সেটা হল ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশনের জন্য দুই ধরণের ওয়ার্কফোর্সের দরকার। এক হল, যারা মোটামুটি স্কিলড এবং বয়স পঁচিশ বা তিরিশের কম, তাদেরকে কোম্পানিগুলি ধরে ধরে আরো স্পেসিফিক ট্রেনিং দিয়ে নেবে। যেমন দেখেছি সিঙ্গুর কেসটায়। কাগজে পড়া, সেইখানে এক বা একাধিক স্ক্রিনিং নিয়ে ক্যান্ডিডেটদের চুজ করা হল আর ফার্দার ট্রেনিং-এর জন্য ওয়ার্কশপ ইত্যাদির ব্যবস্থা কোং করল। কুমীরছানার মত সেইটাকে দেখিয়ে নিরুপমবাবু টাটার সামাজিক দায়বদ্ধতা, ক্যাপিটালিস্ট ফিলা¾থ্রপি ইত্যাদি বিষয়ে আমাদের শিক্ষিত করলেন। এবং বলা হল, যারা এদের মধ্যে এলেন না, তাদের হতাশ হবার কিছু নেই। কারণ টাটার হাত ধরেই আসবে প্রচুর অনুসারী শিল্প, দরকার হবে ব্যাঙের ছাতার মত অসংখ্য চায়ের দোকান বা মধ্যবিত্তদের জন্য তৈরি হবে সারি সারি বাড়ি, সেইখানে প্রয়োজন হবে নিরাপত্তাকর্মীর। এরা পড়লেন দ্বিতীয় শ্রেণীতে।

    তো, ঘটনা হল এই যারা জমি হারিয়ে ডিসপ্লেসড হলেন তাদের একটি ক্ষুদ্র অংশের ডাইরেক্ট এমপ্লয়মেন্ট হল এবং বাকি অংশ বাজারের স্বাভাবিক নিয়মেই কাজ পেয়ে যাবেন। গ্রামে জমি হারালে গ্রামেই বিকল্প জীবিকার বন্দোবস্ত হয়েই যাবে, না হলে তাদেরকে চলে আসতে হবে নগরে অথবা নগর ধীরে ধীরে গ্রাস করে নেবে তাদের (বেদিক ভিলেজ)। সরকারের এই বিষয়ে বিশেষ কিছু করার নাই। দুইটি জিনিস ছাড়া, সমবায় প্রকল্পের জন্য জ্যাম-জেলি তৈরির ট্রেনিং দেওয়া এবং শহরের খুব কাছে দেড় কোটি টাকা একর জমি হাপ-প্রাইজে (বেস্ট গেস) ইনফি-উইপ্রোর হাতে তুলে দেওয়া।

    ঘটনা হল, শহরে প্রচুর বিকল্প জীবিকার প্রয়োজন হচ্ছে। যেমন শপিং মল বা স্পেন্সার্সের আউটলেটে মোটামুটি কথা বলতে পারা এবং গ্রসারি শপিং মেশিন অপারেট করতে জানা লোক। অথবা প্রচুর লোক এখন হোটেল ইন্ডাস্ট্রিতে ছোটখাটো চাকরি পাচ্ছেন। (বেঙ্গালুরুতে এই দুই প্রফেশনেই বাঙালি ছেলেদের দেখেছি, একজন মেদিনীপুর ও অন্যজন বোধহয় হাওড়া বা মুর্শিদাবাদ)। আমি যার কাছে এখানে ফিরে ড্রাইভিংয়ের ট্রেনিং নিলাম সে কাছাকাছি কোন একটা গ্রাম থেকে এসেছে, বেঙ্গালুরুতে এসে হিন্দি মোটামুটি বলতে শিখে নিয়েছে এবং সোম থেকে শনি সকাল ছটা থেকে সন্ধ্যে ছটা দম ফেলার ফুরসত পায় না।

    এইসব নিয়ে শ্যামলবাবুর অবজার্ভেশনের সাথে আমার বা সোমনাথের অবজার্ভেশন মিলে যায়। (ধ্রু: অ: দের ডিসকাউন্ট দিলাম কারণ তাদের ইদানীং আখো দেখা এক্সপেরিয়েন্স জেনেরালি একটু কমের দিকে)। এই ট্রেন্ডটা মোটামুটি আরো বেশ কিছু বছর চলবে। এই নিয়েও সন্দেহ নাই। যতদিন পর্যন্ত স্যাচুরেশন বা ভালোরকম অর্থনৈতিক মন্দা না আসে। যেইটা আমার নিজের হজম হয়নি বা হয়না সেইটা শ্যামলবাবুর মডেলটা এইখান থেকে বহুদূর পর্যন্ত লিনিয়ারলি একস্ট্রাপোলেট করে দেওয়া, কোন চড়াই উৎরাই ব্যতিরেকেই। এবং রিটেল ব্যবসার ভালমন্দ থেকে শুরু করে প:বঙ্গে রাজনৈতিক মসনদে গণেশ উল্টাইতে গেলে কী করিতে হইবে সবকিছুই এই অতি-দক্ষিণপন্থী রেটোরিকটি ঝাড়েন। :)

    একটি বিনীত সনির্বন্ধ অনুরোধ রইল, এই টইতে, রিটেল, ক¾ট্রাক্ট ফার্মিং ইত্যাদি নিয়ে আরেকটু কাঁটাছেঁড়া হোক। উভয় পক্ষের কাছেই। ভবিষ্যৎ দেখা না হয় আরেকটু পরেই হবে। :)
  • Arpan | 123.237.219.103 | ১১ মে ২০০৮ ১৪:৪২385418
  • রঞ্জনদা, হেবি মুস্কিল তো! চাঁদে প্রথম পা কে রাখেন? কোন মানুষটি? নীল বাহুবলীন্দ্র কি সমাজতান্ত্রিক দেশের প্রতিনিধি? :))
  • kallol | 122.167.89.125 | ১১ মে ২০০৮ ১৪:৪৭385419
  • অমার মনে হচ্ছে রঞ্জন বোধহয় মহাকাশে প্রথম মানুষ বলতে চেয়েছে - য়ুরি গ্যাগারিন।
  • Somnath | 59.93.203.87 | ১১ মে ২০০৮ ১৯:০১385420
  • মনে হয় শ্যামালবাবুর মডেলের রাজনৈতিক অবস্থানের বিরোধিতা করতে গিয়ে বক্তব্যের প্রতি একটু কম মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। এটা রাজনৈতিক কর্মীদের ক্ষেত্রে করলে চলে, অর্থনীতির লোকেরা বক্তব্যের দিক থেকে আরেকটু মনোযোগ আশা করেন মলে মনে হয়।

    উত্তেজনায় কিছু হাইপারবোল হয়ে যাচ্ছে। যথা,
    ১) প্রথমেই বাইনারির "১১০ কোটি লোকের হাতে পয়সা কোত্থেকে আসবে যে তারা রাতারাতি পাকা ফ্ল্যাটবাড়ি কিনে নেবে।"

    আগের লেখালেখি কিচ্ছু মন দিয়ে না পড়লে, উদয়নদা, এই কথাটা লেখা যায়।
    ১১০ কোটি লোক কোত্থেকে এল? কথা হচ্ছে চাষে নিযুক্ত লোকেদের (শ্যামলবাবু বলেন ৬০%, কেউ ক¾ট্রাডিক্ট করেননি) কিছু লোক বাদে বকিরা শহরতলিতে মাইগ্রেট করবে ধীরে ধীরে (উনি বলেন কমপক্ষে দশ বছর ধরে)। তাইলে শহরে আসছেন ম্যাক্স ৫০-৬০ কোটি।
    দুমদাম বাড়ি কেনার কথা আসছে কেন? যেখানে বলা হচ্ছে ৩০ বছরের জন্যে লোন লেওয়ার কথা?
    "শিক্ষিত সমাজসেবীরা শহরে বসে গরীব লোক সচেতন করবে?" এই লাইনটা লেখার কি মানে? সরকারী সোস্যাল ওয়ার্কার ধরনে দেশব্যপী ৫০ লাখ ম্যান পাওয়ার রিকোয়ারমেন্টের একটি পোস্ট প্রোপোজ করা হচ্ছে ৩৫ টা রাজ্য, ইউনিয়ন টেরিটরির জন্যে। গড়ে প্রতি রাজ্যে প্রায় দেড় লাখ লোক। প্রায় প্রতি ২০০জনের জন্যে এক জন লোক। একি মেন্টর নাকি? ফিগার অ্যাবসার্ড মনে হলে বলুন। অলরেডি এইরকম সরকারী জনপ্রতিনিধি আছে কিনা জানান। না থাকলে আর না থাকাটা অপ্রয়োজনীয় মনে না হলে সেটা বলুন। যেমন আমার এখনই মনে হচ্ছে সরকারী ব্যাঙ্কের লোন সেকশনের লোকেরা মোটামুটি এইসব কাজই করেন। সরকারী নীতি বা ট্রেনিং, ব্যবসা প্রচেষ্টার প্রতি পাবলিক কনশাসনেস বাড়ানো। সেসব দিকে না গিয়ে এই স্ট্রে কমেন্ট, যাকে আমি ব্যঙ্গোক্তি ছাড়া কোনো মর্যাদা দিতে পারছি না, এটা কেন?
    তারপর তিন নম্বর প্রশ্ন কি? না, "উন্নততর বাসস্থান শহরেই কেন?" গুছিয়ে বলা হচ্ছে শহর নয়, শহরতলী। ইংরেজী করেও লেখা হল, সাবার্ব। তা সেখানে হবে না তো কোথায় হবে? থাকার সমস্যাটা কোথায়? গ্রামে মাল্টিস্টোরেড বিল্ডিং বানিয়ে লোক পুরে রাখা হবে, যেখানে অন্তত থাকার জায়গার অভাবের কোনো সমস্যা কেউ ঐতিহাসিকভাবেও তোলেননি? বলা হচ্ছে গ্রাম থেকে লোক শহরতলীতে মাইগ্রেট করলে অনেক লোক কম জায়গায় থাকার জন্যে কম কার্পেট এরিয়ার ফ্ল্যাট যুক্ত বড় বড় কনস্ট্রাকশন বানাবার কথা। (উনি বলেন দশ হাজার ফ্ল্যাটের কমপ্লেক্সের কথা। নিম্নমধ্যবিত্তদের জন্যে এত বড় হাউসিং কমপ্লেক্সের আইডিয়া কোন দেশ বা রাজ্যের রেফারেন্সে সেটা অথচ কেউ জানতে চাইলেন না?) আপনিই বলুন, এত কথা হয়ে যাওয়ার পর আপনার তিন নম্বর প্রশ্নটা এই আলোচনায় যায়?

    সেকেণ্ড প্যারার ফর্মুলেশনটা ভালো। শ্যামলবাবু জবাব দিন। কিন্তু ওটা শেষ করলেন আবার সেই ফ্ল্যাট কেনা দিয়ে!!

    দ্রি ও লিখলেন "সরকার আচার বানানো শেখাতে পারে ফ্রিতে"!! তারপর সেই বক্তব্যকে কাউন্টার করলেন। অথচ শ্যামলবাবু লিখেছিলেন, প:ব: সরকার যে অলরেডি ফ্রিতে এই খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের ট্রেনিং দেন এটা বেশি লোক জানে না। তাদের জানানোর জন্যে সরকারী সোস্যাল ওয়ার্কারের পোস্ট বা পোস্টটির প্রতি মনোযোগ বাড়ানোর কথা হচ্ছিল। আমি অন্তত লেখাটা থেকে ইন্ড্রাস্ট্রিয়ালাইজেশনের ওয়ার্কফোর্স প্রিপারেশনের গন্ধ পাইনি। সরকারের নিজস্ব স্বনিযুক্তি স্কিমের ইমপ্লিমেন্টেশন বা গণসচেতনতা বাড়ানোয় ব্যর্থতার কথাই মনে হল।

  • Somnath | 59.93.210.84 | ১১ মে ২০০৮ ১৯:৫১385421
  • আমার কথা বলি, অবজার্ভেশন। শহরে কাজ করে দিনে একশ টাকার কম রোজগার সাধারণত: কারুর হয় না। রাজমিস্ত্রী ১৫০, যোগানদার ১১০, ইলেকট্রিক, ঢালাই, মার্বেলমিস্ত্রী, ইঁটভাঙা, মাটিকাটা, ছেনির কাজ (সান্তারাস),ইত্যাদি সব মোটামুটি এই রেঞ্জে। গোটা দিনের জন্যে ড্রাইভার ভাড়া নিলে মোটামুটি ২৫০-৩০০ নেয় বোধয়। সঠিক বলতে পারি না। রিক্সা ভ্যান চালিয়ে ভ্যানের মালিককে কিছু টাকা দিতে হলে হয়তো কম পড়বে। ট্যাক্সি/অটো চালনো ইত্যাদি আর একটু বেশি। তো, শান্তনুদার হিসেব খুব বাজে দাঁড়াচ্ছে না। বাচ্চা দুই বা এক হলে অনেক বেটার লাইফ। সকলে যারা বনগাঁ, লক্ষ্মীকান্তপুর ইত্যাদি জায়গা থেকে এই লেভেলের কাজ করতে শহরে আসেন, মুটে মজুরি করতে আসেন, লোনের ডাউনপেমেন্টের ফাণ্ডাটা তুলে দিলে ছোটো ঘরে লোন নিয়ে শহরের উপকণ্ঠে থাকতে তারা রাজি হতেই পারেন। জানিনা। বরং কয়েকটা এরকম বড় কমপ্লেক্সের মধ্যে স্কুল, হাসপাতাল, খেলার মাঠ, পুকুর ইত্যাদি দিয়ে দু-তিনটে গ্রাম কনসে®¾ট্রট করে আনা যায়। আরো এগিয়ে, সমবায়ের মত ভাবি, যেমন রেলওয়ে কোঅপারেটিভ ডি এল এফ বিল্ডিং-এর গায়ে হাউসিং কমপ্লেক্স বানিয়েছে। যারা ফুটপাথে বা রেললাইনের ধারে ঝুপরি করে আছেন তাদেরকে, আরো ছোটো ঘর, তাদের বর্তমান অকুপাইড স্পেসের চেয়ে বেটার, এই স্কীমে দেওয়া সম্ভব। ডাউনপেমেন্ট ছাড়া, আর দীর্ঘমেয়াদি লোনে। এগুলো এমনকি সরকারি আবাসন ও হতে পারে। আমি হাওড়াতে রেল কোয়ার্টারগুলো দেখেছি। কিচ্ছু বেটার নয়। সরকার তো এমনিতেই রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা শুরু করেইছে। চাপ হল ইমপ্লিমেন্টেশন। লোকে অন্যকে বেচে দেবে, ভাড়া দেবে, ই এম আই দেবে না। ইত্যাদি। হিন্দি নায়ক সিনেমায় এইরকম একখান কনসেপ্ট ছিল।

    সবচেয়ে ভালো যদি কাজটা কোঅপারেটিভ মোডে হয়।
    ১ ধরা যাক সবার খাওয়া দাওয়া একসথে হল। রাতে। আমাদের হস্টেলে যেমন হত। পারহেড খাই খরচ অনেক কমে যাবে। ফ্ল্যাটে রান্নাঘর লাগবে না।
    ২ সবার ই এম আই ইত্যাদি কালেক্ট করে ব্যাঙ্কে জমা দেবে কোঅপারেটিভ (কেস টু কেস বেসিসে কারো অসুবিধে দেখে টেম্পোরারি তাদের সাহায্য করা ইমপ্লাইড)।
    ৩ ইস্কুল, নাইটস্কুল, হাসপাতাল সিকিউরিটি পরিবেশ ঠিক ঠাক চলছে, অসুবিধে হচ্ছে না এসব দেখে ও সমস্যা হলে সলভ করা
    ৪ আইন কানুনের মধ্যে ঢুকে যাওয়া যেমন বার্থ সর্টিফিকেট, ডেথ সার্টিফিকেট, ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, সিকিউরিটি।
    মোটমাট নিম্নবিত্ত গোটা কমিউনিটিটা মেন্টর করা, হাতের কাজ , কুটির শিল্প ইত্যাদি প্রোমোট ও মার্কেট করা, মদ খেয়ে বৌ পেটানো গোছের অ্যানার্কি নিয়ন্ত্রণ, আরো ভাবলে আরো, গর্ভধারিনী বা কালপুরুষ উপন্যস গুলো যেখানে শেষ হচ্ছে তেমন কোনো সমবায় প্রচেষ্টার মধ্যে দিয়ে, অন্তত কয়েক বছর যতদিন না এই নিম্নবিত্তরা মধ্যবিত্ত হয়ে উঠে অন্যত্র বেটার থাকার জায়গা নিয়ে চলে যাচ্ছে।

    এইসব জাস্ট এক্সট্রাপোলেট করে বল্লাম। শ্যামলবাবুর মডেলের প্রতি সমর্থন জানাবার জন্যে নয়। ব্রেন স্ট্রমিং। কাউন্টার করুন।
  • r | 70.52.148.19 | ১১ মে ২০০৮ ২০:০৭385422
  • যে আলোচনায় কাউন্টার আর্গুমেন্ট তোলা হয় তাকে ব্রেন স্টর্মিং বলে না।
  • omnath | 59.93.216.134 | ১১ মে ২০০৮ ২০:৪৫385424
  • কি জ্বালা, আমারে নয়, শ্যামলবাবুরে কাউন্টার করুন। আমি তো কয়েই দিলুম ভাট বকছি। :-)
  • shyamal | 67.60.254.15 | ১১ মে ২০০৮ ২১:৫৬385425
  • সোমনাথ,

    আমি কোন ষড়যন্ত্র করে অরিজিতের পোস্টের উত্তর দেইনি তা নয়। ভাবলাম অরিজিত কয়েকটা লিংক পোস্ট করেছে, সেগুলো পড়ে উত্তর দেব। সেগুলো দেখি বিশাল আর্টিকল । পড়া হয়নি, হবেওনা। যদি অরিজিত সংক্ষেপে বলে ভাল হয়।
  • S | 122.162.85.173 | ১১ মে ২০০৮ ২২:৩০385426
  • ইয়ে ... তিরিশ বছরের টেনিওরে হোম লোন কোন ব্যাঙ্ক দেয়? জানতে পারলে আমার খুব অর্থনৈতিক সুরাহা হত।
  • Binary | 70.64.50.55 | ১১ মে ২০০৮ ২২:৩৩385427
  • সোমনাথ,

    প্রথমে বলি, পয়সার ব্যাপরটা, ১১০ কোটি , হ্যাঁ সেটা ৬০ কোটি হবে, একচ্যুআলি আমি ৬০ কোটি বলতে চেয়েছিলাম। এখন লোনের কথাটায় আসি, বলাবহুল্য, লোনের ব্যাপারটা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আমার, পুরো স্কিমটা অবাস্তব লেগেছে, টাকার উৎসে, সেটা যারা কিনবেন, তাদের লোন দিলেও। আমর মনে হয়, মিনিমাম ৪ লক্ষ টাকা লোন প্রয়োজন, জন প্রতি, এর কমে ন্যুনতম ইনফ্রাস্ট্রাকচার হয় না। তাহলে ৬০ কোটিকে, দিতে, লোন লাগবে আড়াই কোটি। টাউনসিপ, রাস্তা, স্যানিটেসন, ইলেকট্রিফিকেসন, হাসপাতাল ইত্যাদি তৈরি করতে লাগবে আরো, ২০ কোটি, প্রতিটি নতুন শহরে। ২০০০ নতুন শহর হলে, ৪০০০০ কোটির হিসাব। এই টাকার ধাক্কাটা কে নেবে ? ৩০ বছরের লোনে, শহর বানানোর খরচ ইনক্লুড করলে, তামাদি হওয়ার সমুহ সম্ভাবনা। মানে, এই পুরো টাকাটা, হাই রিস্ক, কে ইনভেস্ট করবে ? কোন বেসরকারী পুঁজি এই টাকা ইনভেস্ট করবে ? কলকাতায় এতো এতো রিয়েল এস্টেট বিস্নেস হচ্ছে, নিম্নবিত্যদের হাউসিং কোথায় ? রাজমিস্ত্রী, ইলেকট্রেসিয়ান, মজুর, এদের মজুরি (২৫০/৩০০ টাকা রোজ) কে দেবে ? সেই টাকাটা জেনারেট হবে কোথাথেকে ? যে মজুরির কথা তুমি বলেছো, সেটা আজ লোকে পায়, ইনভেস্টকরে উচ্চ মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত, চাকুরিজিবী। তখন কে দেবে ?

    (আরো)

  • Binary | 70.64.50.55 | ১১ মে ২০০৮ ২২:৪১385428
  • যাত্তেরি, আমিতো ইউরি গ্যগ্যারিনের কথা আগেই বললাম ....
  • Binary | 70.64.50.55 | ১১ মে ২০০৮ ২৩:১৯385429
  • সমাজসেবী-র ব্যাপারে তোমার মতগুলো ঠিকই আছে।তবে আমি বলতে চেয়েছিলাম, এখানেও, পয়সা আসবে কোথাথেকে ? যারা মেন্টরিং করবেন, তাদের মাইনে দেবে কে বা কোন ফান্ড? নাকি, এটা ফ্রি সার্ভিস ? আমার যতদুর জানা আছে, বর্তমানে প্রচুর এনজিও একই কাজ করে, আর ফান্ড আসে বিদেশ থেকে। প্রতি ২০০ জনে ১ জন মেন্টর লাগলে, তার বিপুল খরচ কে বহন করবে ?

    আমার বেবীস্টেপ ইন্ডাস্ট্রিয়ালইজেসন, সম্বন্ধে, বলার একটাই উদ্দেশ্য, ফান্ড জেনারেসন। শ্যামলবাবু জাপানের কথা বলেছেন, সেটা অমিই বলেছিলাম। জাপান কি উন্নত হয়েছে, সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রি দিয়ে ?

    সার্ভিস মুখ্য, যখন, সেটা, দেশের সম্পদ ব্‌দ্ধি করে, যেমন আইটি।
  • ranjan roy | 122.168.78.165 | ১২ মে ২০০৮ ০০:২৩385430
  • অর্পণ,
    সরি, যা তা স্লিপ। বলতে চেয়েছি-- প্রথম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ,প্রথম মহাকাশে মানুষ,- অর্থাৎ স্পুৎনিক,গাগারিন ইত্যাদি।
    তেমনি চীনের লপ নর এ প্রথম পারমাণবিক বিস্ফোরণ ১৯৬৪তে। চীনবিপ্লবের ১৫ বছরের মাথায়। এর পরেও যদি বামপন্থীরা পরিবর্তনের, নতুন কিছুর বিরোধী বলাহয়, লাডাইট বলাহয় তাহলে এগুলো রেটোরিক, আমি ইগনোর করলাম।
    আর হ্যাঁ, ভারতে কোনো ব্যাংক বিশবছরের বেশি পিরিয়ডের জন্যে হাউসিং লোন দেয় না। তাও বিশেষ ক্ষেত্রে, সাধারণত: দশ থেকে পনেরো বছর। আমি সবচেয়ে লিব্যারাল HDFC,ICICI এদেরটাও ধরে বলছি।
    কিন্তু সব রাম-শ্যাম-যদু-মধুকে নয়। অন্তত: ১৫% মার্জিন লাগাতে হবে। তারপর যতটা লোন চাই আর তিন বছরের নেট টেক-হোম আয় দুটোর মধ্যে যেটা কম, তা দেবে।
    এখন আয়ের Documentary proof চাই। যেমন স্যালারি স্লিপ বা ইন্‌কাম ট্যাক্স রিটার্ন( SARAL -১৬)। প্যান কার্ড ও ব্যাংক পাসবুক।
    যে বিশাল গ্রাসরুট লেভেল ওয়ার্ক ফোর্সকে শ্যামল গাঁ থেকে ঠিকে কাজের জন্যে (ড্রাইভার, রাজমিস্ত্রি, কার্পেন্টার ইত্যাদি) শহরে মাইগ্রেট করাতে বলছেন তাদের মধ্যে কত শতাংশ এই ডকুমেন্ট গুলো জোগাড় করে ব্যাংকের মাপকাঠিতে হাউসিং লোনের জন্যে এলিজিবল হবে?
    এখানেই শেষ নয়। তিনলাখ টাকা হাউসিং লোন নিতে গেলে বাৎসরিক টেক- হোম আয় অন্তত: একলাখ হতে হবে, মানে মাসে ৮৩৩৩ টাকা হতে হবে। ঐভাবে দেড় থেকে দুলাখ টাকা হোমলোন নিতে গেলে মাসে ৪১৬৭ টাকা থেকে ৫৫৫৬ টাকা হতে হবে। আর মাসে EMI হবে ওপরের তিনটে কেসে ক্রমশ: ৩০০০, ১৫০০ ও ২০০০ টাকা। এটা ২০ বছরের জন্যে হিসেব ধরে বলছি। ১৫ বা দশ বছর হলে তো কথাই নেই।
    ফলে এই ক্যাটিগরির লোকেদের জন্যে হোম লোন? পাইপ ড্রীম। ব্যাংকের জার্গনে neither technically feasible, nor economically viable
    বাকি পার্ট টা নিয়ে , গ্রামের কথা নিয়ে কাল লিখবো।কন্সেপ্ট লেভেল, এম্পিরিক্যাল এভিডেন্স -দুটো নিয়েই।
    খালি একটা কথা বলি, আগের লেখা পোস্টের সুতো টেনে।
    যেমন কিউবা দ্বীপে গ্রানাদা জাহাজ থেকে হাতে গোণা ক'জন সাথি নিয়ে চে' নামলেন আর মনকাদা দুর্গ আক্রমণ করলেন-- এটা ভালো থ্রিলার, পলিটিক্যাল থ্রিলর হতে পারে, কিন্তু ভারত নামক বিশাল উপমহাদেশের বিপ্লবের ব্লু-প্রিন্ট হতে পারে না। তেমনি সিঙ্গাপুর, হংকং এর আর্থিক সমৃদ্ধির ফরম্যাট বা বৃটেন, অস্ট্রেলিয়ার মত শিল্পোন্নত দেশের ফূডগ্রেন আমদানি করার মডেল বাজারের সর্বশক্তিমান্‌ক্ষমতায় নির্ভর করে কপি করা যাবে না। আজকের খবরেই পড়লাম যে বেশকটি উন্নত দেশ ভারতের কাছে SOS পাঠিয়েছে ফুডগ্রেনের আমদানি করতে বাধ্য বলে। আমরা কিএইদিন দেখতে চাই? বুশ নিরুপায় হয়ে কেমন গাল পাড়ছে দেখুন!
  • Blank | 59.93.242.152 | ১২ মে ২০০৮ ০১:২৩385431
  • আমাকে কেউ একটু হিসেব গুলো বোঝাও। ভারতে ১০০ কোটি মানুষ। তার থেকে এক কোটি (১%) গেলো উন্নত কৃষিতে।
    http://www.reuters.com/article/latestCrisis/idUSDEL218894
    এই খানে পড়লুম ৭৭ কোটি লোকের দৈনিক আয় ২০ টাকার মতন। তো ১ কোটি কৃষি তে গেলে পরে রইলো ৭৬ কোটি। এই ৭৬ কোটি মানুষ কে শহরে মাইগ্রেট করাতে গেলে ২৩ কোটি লোককে ইনভেস্ট করতে হবে।
    প্রতি মানুষ পিছু ৩ টে কাজের লোক !!
  • Somnath | 59.93.247.216 | ১২ মে ২০০৮ ০৩:৪৪385432
  • আমি যা বুঝলাম, ব্ল্যাংকিকে আগে বলা হয়েছে, আট কোটির মধ্যে এক কোটি গ্রামে থাক। তাইলে ১১০ কোটির মধ্যে মোটামুটি ১৫ কোটি গ্রামে থাকছে। (আমাদের কথায় নয়, এটা হবে বাজার অর্থনীতি নির্ধারিত সংখ্যা) তাইলে শহরে মাইগ্রেট করবে ১১০-১৫-৪৫ (৪০ % অফ টোটাল, যারা চাষের সাথে যুক্ত নয়)= ৫০ কোটি।

    পরিবার ধরলে মোটামুটি ১০ কোটি পরিবারের লোন লাগবে। ধরাই যায় প্রকল্পিত ২ লাখের ছোট্ট ফ্ল্যাটে ৫ জনের বেশি থাকা চাপ।। ২ লক্ষ করে হলে মোট কুড়ি লক্ষ কোটি। এটা দশ বছর ধরে দেওয়া হবে। মানে বছরে ২ লক্ষ কোটি টাকা শুধু লোন দেওয়া হবে। ধরা যাক সেই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে হোম লোন ৩০ বছরের জন্যে দেওয়ার নিয়ম চালু হবে, ইন্টারেস্ট রেট বর্তমান হোম লোনের ক্ষেত্রে একটু কমই হবে এই আর্থিক স্ট্যাটাসের লোকেদের জন্যে। তবু প্রতি বছর ২ লক্ষ কোটি টাকা শুধু লোন দেওয়া হবে। তারপর আছে নতুন সাবার্বের ইনফ্রস্ট্রাকচারের খরচ, যেমন বাইনরি বললেন।

    শ্যামলবাবু কনফার্ম করতে পারবেন গোনাগুনতিতে কিছু ভুল রয়ে গেল কিনা।

    এই পোস্টটা করার দরকার ছিল না। কিন্তু ব্ল্যাংকির হিসেব গোলানোর অপ্রার্থিব ক্ষমতার জন্যে করতে হল। শহুরে মাইগ্রেশনের ৫০ কোটির মধ্যে ৫ কোটি পুরোপুরি ডিপেন্ডেন্ট (শিশু, বৃদ্ধ, অথর্ব, হাউস ওয়াইফ) ধরলে ৪৫ কোটি শহুরে লোক ৪৫ কোটি মাইগ্রেশনের জন্যে ইনভেস্ট করবে। ইত্যাদি।

    ঘুমোতে গেলাম। :-(
  • shyamal | 67.60.254.15 | ১২ মে ২০০৮ ০৩:৫০385433
  • রঞ্জনবাবু,

    আপনি আমার পোস্ট ভাল করে পড়েননি। আমার ৯ মে, ৯:০২ এর পোস্টে বলেছি ২ লাখের ফ্ল্যাট বানাতে হবে নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের জন্য, নিম্নবিত্তের জন্য নয়। ৫ থেকে ১০ লাখের ফ্ল্যাটের চাহিদা যদি আড়াইকোটি হয় তবে ২ লাখের ফ্ল্যাট নিশ্চয় ৩ কোটি। আমি এও বলেছি যে এই বিপুল সংখ্যক ফ্ল্যাট বানানোর জন্য প্রচুর নিম্নবিত্তের(গরীবের) কাজ হবে। তারা ফ্ল্যাটে থাকবে বলিনি।
    ভারতে ২০০৪-০৫এ মোট ২০ কোটি পরিবার বা হাউসহোল্ডের মধ্যে ১৪ কোটি গ্রামে আর ৬ কোটি শহরে। এর মধ্যে গ্রামে ৩ কোটি আর শহরে আড়াই কোটি পরিবারের আয় ছিল বছরে ১ লাখ টাকার ওপরে। যে হারে আয় বাড়ছে ২০০৭-০৮ এ মোট সংখ্যাটা বেড়ে যদি ৭ কোটি হয় আমি আশ্চর্য হবনা। এই ৭ কোটির মধ্যে কজনের বাড়ি/ফ্ল্যাট আছে? বাকীদের সুযোগ থাকলে এখনই কিনবেন।
    http://www.ncaer.org/Downloads/RecentReleases/Max-NCAER-Book.pdf

    আপনার কথা ঠিক। অধিকাংশ ব্যাংক ২০ বছরের বেশি লোন দেয়না। ICICI Bank দেখলাম ২৫ বছরের দিচ্ছে।

    কারা নিম্নমধ্যবিত্ত। যেমন পাঁচ বছর ধরে পড়াচ্ছেন এমন স্কুল শিক্ষকের আয় মাসে দশ হাজার। টিউশনি না ধরেই। সদ্য বেরোনো পে কমিশনের ফলে অবশ্য এটা অনেকটা বেড়ে যাবে। এটা উদাহরণ। এই আয়ের রেঞ্জে আরো প্রফেশন আছে যেগুলো আমি জানিনা।

    আপনার ২:০২ এর পোস্টটা কিন্তু আপনার তুলনায় frivolous হয়ে গেল। আমি মোটেই আমার চারপাশ দেখে সেটাকে extrapolate করিনি।
  • shyamal | 67.60.254.15 | ১২ মে ২০০৮ ০৫:২২385435
  • এবার বাইনারিকে,

    আপনার থিওরী যে আগে খনি/হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং/ম্যানুফ্যাকচারিং, পরে পরিষেবা --- এটা মনে হয় আদ্যিকালের সোভিয়েত মডেল যেটা নেহরু শুরু করেছিলেন। পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা। ওটা ক®¾ট্রাল ফ্রীক সরকারের প্ল্যান যাতে উপকৃত হয়েছি আমরা মধ্যবিত্তরা, গরীবের লাভ হয়নি। এখন বাজার ঠিক করে কি চাই। মানুষ যা কিনবে, তাই তৈরী হবে ; সেটা পরিষেবা হতে পারে, ফ্ল্যাট হতে পারে, স্টীল হতে পারে।
    দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর আমি রঞ্জনবাবুকে লেখা আগের পোস্টে দিয়েছি। নিম্নমধ্যবিত্ত ফ্ল্যাট কিনবেন আর গরীব লোক সেগুলো বানানোর কাজ পাবে। তারা আজ বস্তিতে থাকবে। দশ বছর পরে খুব সম্ভব তাদের এই ফ্ল্যাট কেনা সম্ভব হবে। ততদিনে আজকের নিম্নমধ্যবিত্তের আয় বাড়ার ফলে তিনি আরো বড় ফ্ল্যাটে যাবেন।
    এই যে শহরতলীতে রাস্তা, স্কুল, বাজার, কলেজ, হাসপাতাল -- সোজা কথায় পরিকাঠামো তৈরী হবে , তার টাকা কে দেবে? তার জন্য শহর মিউনিসিপাল বন্ড ছাড়বে। সারা পৃথিবীতে এভাবে পরিকাঠামো তৈরী হয়।
    আমার ভুল হতে পারে কিন্তু শুনেছি এতে কোন খরচ নেই। ধরুন, আজ বর্ধমান ২ বিলিয়ন ডলারের মিউনি বন্ড ছাড়ল কুড়ি বছরের। ট্যাক্স থেকে তার সুদ শোধ করল। ক্যাপিটাল দিলনা। কুড়ি বছর পরে ৮ বিলিয়নের মিউনি বন্ড ছাড়ল আর তার থেকে ২ বিলিয়নের আগের ক্যাপিটাল শোধ করল।
  • shyamal | 67.60.254.15 | ১২ মে ২০০৮ ০৬:৫৪385436
  • ব্ল্যাঙ্ক,
    আপনার দেওয়া লিঙ্কটা পড়লাম। আপনি বলেছেন, ৭৭ কোটি লোকের দৈনিক আয় ২০ টাকার মত অথচ ভারতে মোট কর্মি ৫১ কোটি। তাতে আমার সন্দেহ হওয়ায় দেখলাম রয়টার প্রায় মিথ্যা বলেছেন। তাঁরা বলেছেন, ৭৭ কোটি লোক lives on Rs 20 or less per day। এতে সবারই মনে হতে পারে এদের আয় ২০ টাকার কম। আসলে সরকার মাপে ব্যয়, আয় নয়। অর্থাৎ এরা যেই তথ্য নিয়েছেন তাতে বলছে ৭৭ কোটি লোকের দৈনিক মাথাপিছু খরচ ২০ টাকা বা তার কম। অর্থাৎ পরিবারপিছু খরচ মাসে ৩০০০ টাকার কম।
    এবারে আমি এদের সোর্সে গেলাম। NCEUS সরকারি সংস্থা। দেখলাম তাঁরাও মিথ্যেবাদি এবং NSSOর তথ্য নিয়ে নিজের মত বানিয়ে লিখেছেন। এদের চাকরী যাওয়া উচিৎ।
    আমার কাছে NSSO62nd round এর ফাইলটা ছিল। সেটা খুললাম। 2005-06 এর ডেটা। একটু গুণ ভাগ করলাম। তার আউটপুট হল এই :
    ভারতে ৭২৫ মিলিয়ন লোক গ্রামে আর ৩০৫ মিলিয়ন শহরে থাকে।
    গ্রামের ৬০% বা ৪৩৫ মিলিয়ন লোকের ব্যয় ২০ টাকার কম অর্থাৎ এদের মাসিক পারিবারিক ব্যয় ৩০০০ টাকার কম।
    শহরের ২১% বা ৬৬ মিলিয়ন লোকের ব্যয় ২০ টাকার কম।
    মোট ৫০১ মিলিয়ন বা ৫০ কোটি লোকের ব্যয় ২০ টাকার কম আর এর মধ্যে ৮৭% গ্রামের। আপনি পড়েছেন ৭৭ কোটি। ব্যয় হল আয় - সেভিংস।
    মাথাপিছু আয়ের তথ্য পেলাম NCAER থেকে।
    গ্রামে শহরে
    ১৮% ৩২২৬ ১৮% ৫৪২৪
    ১৯% ৫১৯৩ ১৯% ৯৫৬৬
    ২১% ৭২৭০ ২০% ১৪৪৪৩
    ২১% ১০৮১৭ ২০% ২১৭০৯
    ২২% ২৪৬১৮ ২৩% ৪৮৫১৭
    এগুলো বার্ষিক মাথাপিছু আয়। পাঁচ দিয়ে গুণ করলে বার্ষিক পারিবারিক আয়।

  • ranjan roy | 122.168.70.212 | ১২ মে ২০০৮ ০৭:৩৫385437
  • গত ১১মে,২০০৮এ ""র‌্যাচেল'স ডেমোক্র্যাসি অ্যান্ড হেল্‌থ নিউজ'' এ পিটার মন্টেগু'র একটি প্রবন্ধ বেরিয়েছে ওয়ার্ল্ড ফূড ক্রাইসিস নিয়ে। তাতে দেখছি গত কয়েক বছরে গোটা বিশ্বে খাদ্যদ্রব্যের দাম প্রায় ৮৩% বেড়েছে। ফলে গত বসন্তে ফূড রায়ট হয়েছে হাইতি, মেক্সিকো ইন্দোনেশিয়া থেকে ইটালি পর্য্যন্ত গোটা দশেক দেশে।
    এর অনেকগুলো কারণের মধ্যে হলো আমেরিকায় স্পোর্‌ট্‌স কার এর জ্বালানিএ হিসেবে ইথানল এর যোগান মেটাতে গিয়ে গম এর জায়গায় ভর্তুকিযুক্ত কর্ন এর চাশ করা।
    অস্ট্রেলিয়ার মত এই কিছুদিন আগে অব্দি চাল-রপ্তানী করা দেশও নতুন পলিসিতে আগের মত উৎপাদন করতে পারছে না। গমের অবস্থাও তথৈবচ।
    তৃতীয় বিশ্বের খাদ্যংকটের একটি বড় কারণ হিসেবে বলা হয়েছে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক-আই এম এফ পূর্বশর্ত রাখছে ওদের কায়দামত স্ট্রাকচারাল চেঞ্জ করতে হবে।
    যেমন ফূড বাফার স্টক না করে গ্লোবাল মার্কেটে রপ্তানীর জন্যে উন্মুক্ত রাখতে হবে । ফলে প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে আমেরিকার সাবসিডাইজ্‌ড কৃষিপণ্যের সংগে। তাতে অনেক ছোট কৃষক সর্বস্বান্ত হয়েছে।
    এই নীতির ফলে হাইতির মত রাইস প্রোডাকশানে স্বয়ংনির্ভর ও রপ্তানীকরনেওয়ালা দেশও আজ রাইস আমদানী করতে বাধ্য হচ্ছে।

    আবার ইরাক যুদ্ধের ফলে তেলের সাপ্লাই কমায় আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম চড়চড় করে বাড়ছে। তাতে ভারত-ভিয়েতনাম শুদ্ধুবেশ কয়টি দেশে খাদ্যদ্রব্যের ট্রান্সপোর্টিং কস্ট বাড়ছে। আবার তেলের দাম ফার্টিলাইজারের কস্ট ও বাড়াচ্ছে ফলে কৃষিপণ্যের উৎপাদন ব্যয় ও বাড়ছে।
    ওপরের প্রবন্ধটিতে কথাগুলো উদ্ধৃত করলাম এই জন্যে যে শ্যামল যেমন বাজারের ""অদৃশ্যহাত'' এর ওপর "" মেলাবেন, তিনি মেলাবেন'' বলে ভরসা করে আছেন তা' বাস্তবে ঘটে না তা' দেখাতে।
    থিওরির স্তরে ১৯৩০এর বিশ্ববাজারে মন্দার পর মার্কেটের invisible hand এর মিথ উপে গিয়েছিলো। কেইনস্‌ দেখিয়েছিলেন কেন রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ দরকার যার থেকে ওয়েলফেয়ার ইকনমির অবধারণা। আশির দশকে আবর পুরনো নিও ক্লাসিক্যাল অর্থনীতি উঁচুগলায় কথা বলছে, কিন্তু বেশ কষ্ট করে।
    কারণ, পারফেক্ট কম্পিটিশন একটি বিশুদ্ধ ভার্চুয়াল কনসেপ্ট, বড়জোর একটি আবশ্যক অ্যানালিটিক্যাল টুল। বাস্তবে নেই।
    বাস্তবে আছে মনোপলিস্টিক কমপিটিশন, অলিগোপলি, কার্টেল।
    শ্যামল আগে একটি পোস্টে দেখিয়েছেন কেমন করে একটি সেকটর থেকে ক্যাপিটাল/লেবার অন্য সেকটরে চলে গিয়ে আগের সেক্টরের উৎপাদনের যোগান কমাবে, ফলে এর দাম বাড়বে। আবার এতে বিনিয়োগ বাড়বে, ফলে উৎপাদন বাড়বে। অত: মাভৈ:।
    কিন্তু আবার রাইডার রেখেছেন যে যদি না কিছু উৎপাদক কার্টেল করে প্রাইস স্থির রাখে। আবার বলছেন "" তবে সেটা হবে বে-আইনী।''
    এদের আতকানোর আইনটা বানিয়েছে কে?
    বাস্তবিক বাজার মাইক্রো-ইকনমিকে্‌স্‌বর টেক্‌স্‌ট্‌বুকের পাতা নয়। কার্টেলটাই রিয়াল।
    উদাহরণ সিমেন্টের দাম।যখন বাড়লো বলা হল কয়লার দাম বেড়েছে তাই। সরকার কয়লার দাম কমালেন, কিন্তু সিমেন্টের দাম কমলো না। কারণ কার্টেলটাই আইন।
    আর লেসেজ ফেয়র!
    সত্যিই যদি মার্কেট ফ্রি হত, সব প্লেয়ার ফাউল না করে নিয়ম মেনে খেলতো ( যা শ্যামলের মডেলটি feasible হওয়ার আবশ্যক শর্ত) তাহলে আম্রিকা WTO নিয়ে এত গলাবাজির পর কৃষিপণ্যে এত সাবসিডি কি করে দিতো? ইউরোপীয় দেশগুলো তাই করছে আর ভারতকে বলা হচ্ছে কৃষককে সাবসিডি দেয়া কমাতে থাক।
    এছাড়াও আরেকটি কারণে বিনিয়োগ ক্যাশক্রপ থেকে খাদ্যান্ন উৎপাদনে ফিরে না আসতেও পারে।
    ধরলাম অধিকাংশ কৃষক লাভ বেশি দেখে খাদ্যান্ন ছেড়ে ক্যাশ ক্রপে গেল।খাদ্যান্ন উৎপাদন কমলো, বাজারে তার যোগান কমলো ফলে দাম বাড়লো আর আবার বেশ কিছু চাষী ধান-গম ফলাতে লাগলো। কি ভালো! তাই না?
    না, ব্যাপারটা এত সরল নয়।
    এতসবের পরেও যদি ক্যাশ ক্রপের ""মার্জিনাল এফিসিয়েন্সি অফ ক্যাপিটাল'' ধান-গমের থেকে বেশি থাকে তাহলে বিনিয়োগ খাদ্যান্ন উৎপাদনে ফিরবে না। গোদা বাংলায় যদি ক্যাশ ক্রপে সীমান্ত পুঁজির বিনিয়োগ থেকে সম্ভাবিত লাভ খাদান্নে বিনিয়োগের থেকে বেশি থাকে তাহলে বিনিয়োগ ফিরবে না।
    আর বাস্তবে তাই হচ্ছে।
    তাই ফুড প্রোডাক্‌শনে বিনিয়োগ বাড়ছে না। রায়ট হচ্ছে, আত্মহত্যা বাড়ছে।
    আবার বলছি শ্যামলবাবুর মডেলের বেসিক প্রিমাইজগুলো অতি সরলীকৃত। পারফেক্ট কম্পিটিশন, ফ্যাক্টর প্রাইস সাম্য, লেভেল প্লেয়ার্স, নো পলিসি ইন্টার্ভেনশন, -এমনি একটা বায়বীয় অবস্থা। কিন্তু আসলি দুনিয়াতে অনেকগুলি ক্রস-কারেন্ট। একটা এফেক্ট এর পেছনে মাল্টিপ্লিসিটি অফ কজ। এক ব্রহ্মই(পড়ুন মার্কেট) নিয়ন্তা ন'ন।
    আর সর্বোপরি মাইক্রো অ্যানালিটিক্যাল মডেলকে ম্যাক্রো লেভেলে ইম্পোজ করা।

    ডি: শ্যামল, প্লিজ কিছু মনে করবেন না। একটু খোঁচাখুঁচি তো করবোঅই।
    নইলে আলুনি লাগবে যে! আমি আপনাকে পছন্দ করি এই জন্যে যে এই সাইটে বেশিরভাগ লোক বামপন্থী দৃষ্টিকোণ থেকে লেখেন জেনেও আপনি স্বচ্ছন্দে এদের মধ্যে আছেন। এবং নিষ্ঠার সংগে নিজের মত রাখছেন। কিন্তু, একটা কমপ্লেন! "" ভগবানের গল্প'' লেখা বন্‌দ্‌ধ করলেন্ব কেন? আমার ও আরও অনেকের ব্যাপক লাগছিলো। প্লীজ, শুরু করুন।
  • shyamal | 67.60.254.15 | ১২ মে ২০০৮ ০৮:৩৯385438
  • রঞ্জনবাবু,

    আমারও এই অর্থনৈতিক কচকচি আর ভাল লাগছেনা। আপনার বা কারো কিউএর অপেক্ষা করছিলাম। একটা নতুন টই শুরু করব কাল । কেন "ভগবানের মৃত্যু' লেখা বন্ধ করলাম বুঝতে পারবেন। আগে থেকেই ওয়ার্নিং দিয়ে রাখছি, এটা হবে অতিশয় কর্নি আর সেন্টিমেন্টাল আর নন-আঁতেল। কাজেই সেই ধরনের নিম্নশ্রেনীর লেখা পড়িতে না চাহিলে শীঘ্র অন্য টইএ যান।
  • pi | 69.251.184.3 | ১২ মে ২০০৮ ১১:২৭385439
  • কৃষি ক্রমশ অলাভজনক হয়ে উঠছে , তার জন্য কি মাইগ্রেশান ই ইনেভিটবল হতে হবে ?
    বিশেষত এই খাদ্য সন্‌কট এর পরিপ্রেক্ষিতে, কৃষিকে লাভজনক করে তোলার বিকল্প পদ্ধতি গুলো র উপর আরো ভাবনা চিন্তা কি বেশি প্রয়োজনীয় নয় ?
    সাস্টেনেবল ফর্মিং, ড্রাইলন্ড ফর্মিং এগুলিতে জোর দিয়ে বেশ কিছু সাজেশন দেওয়া হয়েছে এখানে।
    কৃষকদের আয় বাড়ানো নিয়েও।
    http://tinyurl.com/6fdzqq
  • LCM | 71.132.137.192 | ১২ মে ২০০৮ ১২:০২385440
  • রঞ্জনবাবু একটা জিনিস ঠিক ধরেছেন। পার্সোন্যাল অবসার্ভেশন-কে এক্সট্রাপোলেট করে জেনারেল কমেন্ট।

    এই যেমন,
    - আমাদের শহরে ড্রাইভারের ডিমান্ড হয়েছে ইদানীং। গ্রামের লোকেরা তো ড্রাইভারি শিখতে পারে, ভাল আয়,... ইত্যাদি, ইত্যাদি।
    - আমার বস-এর আমেরিকার গ্রামের বাড়ি দেখেছি, ব্যস, তার থেকে সারা আমেরিকার গ্রাম বসবাস যোগ্য নয় বলে এক পিস জেনারেল ইনফারেন্স টানা হল।
    ...
    এ রকম অনেক উদাহারণ। কিন্তু, ফোরামের আলোচনার এটাই মজা :-)

    এই যেমন, শ্যামল বলে দিল যে রয়টার্স ঢপ দিচ্ছে, চাকরি যাওয়া উচিত। কিন্তু, অন্য একটি সংস্থার সংগ্রহিত ডেটার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন করল না :-)

    অবশ্য এরকম না করলে তর্ক চালিয়ে যাওয়া মুশকিল :-)
  • dri | 75.3.201.43 | ১২ মে ২০০৮ ১২:৪০385441
  • ঝগড়ার আঁচ কি একটু কমে আসছে?

    মাইগ্রেশান হবেই। নিজের স্পীডে। নিজের ডাইনামিক্সে। আমরা প্রত্যেকেই নিজের মত করে জ্যোতিষি জ্যোতিষি খেলতে পারি। প্রেডিকশান দিতে পারি এখন থেকে দশ, কুড়ি, তিরিশ বছর পরে কি হবে। ব্যাঙ্গালোরে ড্রাইভার বাড়ছে। প্রচুর জীবিকার সুযোগ বাড়ছে। উইথ ডিউ রেসপেক্ট টু দা ওয়ার্ড 'প্রচুর', এটা চোখ বুজে বলে দেওয়া যায় সংখ্যাটা দশ কোটিতে পৌঁছতে এখন ঢের দেরি আছে। যেদিন দশ কোটিতম পরিবার ফ্ল্যাটের চাবি হাতে পাবে সেদিন বিশ্বাস করব কনস্ট্রাকশান বুম একটি বুম বটে।

    টিল দেন আমাদের ঠিক করতে হবে সরকারের পলিসি কি হওয়া উচিত। এমন কি কোন ম্যাজিক জানা আছে সরকারের যা করলে চাষীরা সব লাঙল ফেলে ড্রাইভিং স্কুলের দিকে ছুটবে? ল্যাংটো করে মার্কেট খুলে দেওয়া? গরীব মানুষের সোশাল প্রোটেকশান তুলে দেওয়া? ল্যান্ড সিলিং তুলে দেওয়া? জমি থেকে ঘাড় ধাক্কা মেরে ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশান? আগামী বছরগুলোতে লেফট আর রাইট নির্ধারিত হবে এই প্রশ্নের উত্তরে।

    যৌথ খামার এক্ষুনি হচ্ছেনা। সেটা যেকোন প্র্যাকটিকাল লেফটিস্ট বোঝে। কিছু রোম্যান্টিকের কথা আলাদা।
  • dri | 75.3.201.43 | ১২ মে ২০০৮ ১২:৪৫385442
  • তবে এই বন্ড দিয়ে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইনান্স করার আইডিয়াটা আমার বেশ ভালো লাগলো। বন্ড ব্যাপারটা ভালো বুঝিনা। কিন্তু বর্ধমান মিউনিসিপ্যালিটির বন্ড না করে গ্রামের অল্প অল্প বন্ড ছাড়লে কেমন হবে? বন্ড কেনাবেচার মার্কেটটা একদম বুঝিনা। জাস্ট বুঝতে চাইছি, লোকে কেন বর্ধমানের বন্ড কিনতে চাইবে কিন্তু রাঙাবেলিয়ার বন্ড কিনবেনা।
  • S | 125.21.189.194 | ১২ মে ২০০৮ ১২:৫১385443
  • এক মিনিট, এক মিনিট, দুইখান কথা আছে।

    ১) আইসিআইসিআই ২৫ বছরের টেনিওরে হোম লোন দিচ্ছে, শ্যামল, আমাকে এই মর্মে কোনও লিঙ্ক পাঠাতে পারবেন? আমি যতদূর জানি ২০ বছরের ওপরে ভারতে কাউকে হোম লোন দেওয়া হয় না। যদি আইসিআইসিআই ২৫ বছরে দেয় তো আমি আমার হোম লোনটা আইসিআইসিআইতে কনভার্ট করাব। লিঙ্কটা পঠাবেন প্লিজ।

    ২) পাঁচ বছর চাকরি করছেন একজন শিক্ষকের আয় যদি দশহাজার টাকা হয় ... এই পর্যন্ত আপনি মোটামুটি ঠিক, টেনেমুনে ধরছি বারো হাজার টাকা। কিন্তু ষষ্ঠ পে কমিশন যদি অক্ষরে অক্ষরে মেনে চালু করা হয়, তা হলে তাঁর মাইনে বাড়বে খুব বেশি হলে দুই থেকে আড়াই হাজার। মানে বারো থেকে চোদ্দ সাড়ে চোদ্দ। তাতে কি তাঁর খুব উপকার হবে বলে মনে করছেন?

    যদি আমার এই গোঁজামিল হিসেব আপনার মনে না ধরে, পাতা উল্টে ভাটিয়ালির পুরনো পাতা পড়ুন। ষষ্ঠ পে কমিশন কীভাবে সরকারসৃষ্ট একটি অপমানজনক বৃহৎ ঢপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, আলোচনা করেছি কয়েক দিন আগেই।
  • Arijit | 128.240.229.65 | ১২ মে ২০০৮ ১৩:০৯385444
  • সমবায়ের বড় ফ্যান আমিও - আমূলের মতন কিছু। কিন্তু আমূলের সাথে ওয়ালমার্ট বা রিলায়েন্সের বড় তফাতটা তো ওখানেই।

    যাই হোক - পুরো পড়ে ফের লিখবো।
  • Arijit | 128.240.229.65 | ১২ মে ২০০৮ ১৩:৩৪385446
  • হ্যাঁ - যেটা বলার (নতুন কিছু নয়) - মাইগ্রেশন হবেই, চিরকাল হয়েছে, কাজেই সেটা নিয়েও কিছু নয় - আসল হল ওই "ফাস্ট ফরোয়ার্ড', মাইরি এই কথাটা মনে পড়ছিলো না:-) শ্যামল বহুত সহজে কি হবে ফোরকাস্ট করেদিতে পারেন।

    আমার কোশ্চেনগুলো পয়েন্ট বাই পয়েন্ট এই রকম -

    (১) ওয়ালমার্ট বা টেসকো নিয়ে বিভিন্ন দেশে অনেক ইস্যু আছে - যেগুলো শুরুতে এই টইয়ে তোলা হচ্ছিলো। একটা উদাহরণ আমি দিয়েছি একদম প্রথমদিকে। ব্ল্যাংকি দুটো পেপার দিয়েছে ওয়ালমার্ট নিয়ে। এই ইস্যুগুলো নিয়ে শ্যামলের বক্তব্য কি?

    (২) র‌্যাম্পান্ট আর্বানাইজেশনের একটা বড় ইমপ্যাক্ট আছে পরিবেশের ওপর - প্রচুর গাড়ি, প্রচুর লোক - সেখান থেকে চেন হিসেবে বেশি ধুলো, ধোঁয়া, সিও২ ইত্যাদি। সেটা নিয়েই বা কি মত?

    (৩) এগজিস্টিং শহরের পরিকাঠামো - যেমন ধরুন লণ্ডন - লণ্ডন আর এই আর্বানাইজেশনের ধকল নিতে পারে না, কেউ লণ্ডন গেলে বুঝবেন। চাপ কমানোর জন্যে বাধ্য হয়ে কনজেশন চার্জিং-এর মতন বিতর্কিত পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে - এমন পদক্ষেপ যে কেন লিভিংস্টোন হেরেই গেলেন। তো এই সব শহরগুলো, যেখানে রাস্তার দৈর্ঘ্য আর বাড়া সম্ভব নয়, বা চওড়া করাও সম্ভব নয়, যেখানে জল-গ্যাস-ইলেক্ট্রিসিটির ওপর অলরেডি প্রভুত চাপ, সেখানে মাইগ্রেশনের জন্যে এক্সট্রা চাপ এলে কি হবে?

    (৪) ধরা যাক নতুন শহর তৈরী হল, তো তার কস্ট কে দেবে? সেটা তৈরী করতে যা খরচ, সেই একই খরচে গ্রামের পরিকাঠামো ভালো হয় না কি?

    (৫) আমূল সম্পর্কে শ্যামলের কি মত? ভুলে যাবেন না, আমূল কিন্তু রিলায়েন্স বা ওয়ালমার্ট নয়, বেসিক তফাত আছে।

    আমি ইকনমিক তর্কে যেতে পারি না, কারণ অংক বুঝি না। এগুলো আমার কাছে প্র্যাক্টিক্যাল প্রশ্ন। বাজারের হাতে কাছা খুলে দেওয়া নিয়ে দু চার কথা ছিলো, সেগুলো একটু পরে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন