এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • রিটেল সেক্টরে বড় কোম্পনিগুলোকে ঢুকতে দেওয়া ঠিক?

    Riju
    অন্যান্য | ২৩ এপ্রিল ২০০৭ | ১১১৫৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dri | 75.3.201.43 | ০৯ মে ২০০৮ ১২:০৪385567
  • ওক্কে এবার পেলাম।
  • LCM | 71.132.137.192 | ০৯ মে ২০০৮ ১২:১০385568
  • গ্রাম থেকে যারা শহরে আসেন (যাদের কথা দ্রি বলেছে), তারা একেবারে নিরুপায় হয়েই শহরে আসেন। "খাসা আছি, কিন্তু আরো খাসা থাকতে চলো শহরে যাই' - এই ভেবে কিন্তু তারা এসে শহরের রেল লাইনের ধারে ওঠেন না, যদিও শ্যামলের পোস্টিং পড়লে এরকম ধারনা হতে পারে। কিন্তু আমার মনে হয় শ্যামল প্রথম থেকে উন্নততর গ্রামের কথাই বলতে চেয়েছে। কিন্তু এমনভাবে বলছে, মনে হচ্ছে যেন সব গ্রামের লোককে পাঁজা কোলে করে এনে ফ্ল্যাট বাড়িতে ঢুকিয়ে দাও। সেই ফ্ল্যাট বাড়ি যে তারা কি করে কিনবেন সে সব বলছেন না।

    শান্তনু,
    গৃহ যোজনার গল্পটা কিছুটা জানি (একজন কে জানতাম)। সে যা সব শর্ত... যাকগে। নইলে ভাব না, দমদম ক্যান্টনমেন্ট ছাড়িয়ে দূর্গানগরের দিকে যেতে বনগাঁ লাইনের ধারে ঝুপড়ির থেকে কেউ অন্য কোথাও যেতে রাজি হবে না কেন।
  • Arijit | 128.240.229.66 | ০৯ মে ২০০৮ ১৩:৩১385569
  • উন্নততর গ্রামে আপত্তি নাই, এমনকি মাইগ্রেশনেও নাই। আপত্তি হল "৩৮০০০ গ্রামের মধ্যে ৫০০০ থাকলেই চলবে' টাইপে - বাকি ৩৩০০০ গ্রাম আর তার লোকগুলো কোথায় যাবে, কিভাবে যাবে, এর সাথে অ্যাসোসিয়েটেড রিলোকেশন কস্ট কত, শহরে বাসস্থান আর ইনফ্রাস্ট্রাকচার তৈরীর খরচ কত - এই হিসেবগুলো নেই। থাকলেও ওভারসিমপ্লিফায়েড। বিটুইন দ্য লাইন পড়লে অনেক ক্ষেত্রে মনে হতেই পারে যে কার্পেট বম্বিং করে গ্রামগুলো আর লোকগুলো উড়িয়ে দাও, পপুলেশনও কমে যাবে...

    সবচেয়ে বড় আপত্তি এই "হয়ে যাবে' গোছের দাবিগুলোতে - অনেকটা ওই "ভবিষ্যৎদ্রষ্টা' টাইপ।

    আমার অনেকগুলো কোশ্চেন ছিলো - মূলত: আর্বানাইজেশনের বাদবাকি অ্যাসপেক্টগুলো নিয়ে - পরিবেশ, ইনফ্রাস্ট্রাকচার, রিলোকেশন কস্ট, কর্পোরেটাইজেশন - সেগুলো শ্যামল এড়িয়ে গেছেন।
  • Arijit | 128.240.229.66 | ০৯ মে ২০০৮ ১৩:৩২385570
  • আর পিলিজ - এট্টু tinyurl ব্যাভার করো এই গামা গামা লিংকগুলো দিতে হলে। নইলে বহুত ঘেঁটে যায়।
  • shyamal | 72.24.214.21 | ১০ মে ২০০৮ ০৬:০২385571
  • এল সি এম,

    ১) আমি বলতে চেয়েছি অল্প স্কিলের মানুষের যোগান বেশী তাই আয়, বেশী স্কিলের মানুষের চেয়ে কম। ড্রাইভারের আয় ডাক্তারের চেয়ে কম। কিন্তু একই স্কিলে অনেক ক্ষেত্রে কর্মির সংখ্যা বাড়ছে। আমাদের পুরোনো পাড়ায় প্রায় সবাই গাড়ি কিনেছে যেটা কুড়ি বছর আগেও অকল্পনীয় ছিল। কাজেই লো স্কিল হলেও ড্রাইভারের ডিম্যান্ড বাড়ছে। তাই তাদের মাইনে বাড়ছে। কিন্তু কাজের মেয়েদের মাইনে সে ভাবে বাড়ছে না। কারণ তাদের স্কিল ড্রাইভারের চেয়ে অনেক কম। আর সময়ের সাথে সাথে তাদের চাহিদা সেরকম বাড়েনি। ড্রাইভারের ক্ষেত্রে entry barrier বেশী কারণ গাড়ি চালানো শেখা এবং পারদর্শী হওয়ার জন্য অনেক সময়েই পয়সা লাগে। আর রেফারেন্স লাগে। না হলে মানুষ ড্রাইভারের হাতে গাড়ি ছেড়ে দিতে পারেনা। একই ভাবে মেকানিক, ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বারের চাহিদা আর আয় বাড়ছে। এবছর বাদ দিলে চাল,গম,শাক,সব্জির দাম স্টেডি। কাজেই চাষে আয় সেরকম বাড়ছেনা।
    ২) শিক্ষা বাড়বে কি করে? যে শহরে আসবে তার হয়তো শিক্ষা বাড়বেনা, কিন্তু তার ছেলেমেয়ের শিক্ষার চান্স অনেক বেড়ে যাবে। এক কাজের মাসি নিরক্ষর বলে ছেলেমেয়ের জন্য তিনশো টাকা দিয়ে টিউটর রেখেছে , শুনেছি। তারাও জানে শিক্ষার সঙ্গে আয়ের ডিরেক্ট প্রোপর্শনালিটির কথা। আর কৃষি শ্রমিক যদি শহরে এসে রাজমিস্ত্রির জোগানদারও হয়, তার আয় বেড়ে যাবে আর বারোমাস কাজ থাকবে।

    তা সঙ্কেÄও আরো লোক শহরে এসে থাকছেনা কেন? তার কারণ বেশীর ভাগ মানুষ রিস্ক-অ্যাভার্স। "ফরচুন ফেভারস দা ব্রেভ'।
  • shyamal | 72.24.214.21 | ১০ মে ২০০৮ ০৭:০৯385572
  • এই লিঙ্কটা দিলাম।
    http://economictimes.indiatimes.com/articleshow/msid-2964777,prtpage-1.cms

    এতে বলছে, এই মুহুর্তে ভারতে পাঁচ থেকে দশ লাখ দামের ফ্ল্যাটের চাহিদা আড়াই কোটি।
    আমাদের রিয়েল এস্টেট বাজার এখনও ম্যাচিওর করেনি। অল্প প্লেয়ার, তারা এখনও বেশীদামের ফ্ল্যাট বানাচ্ছে কারণ তাতে মার্জিন বেশী। আরেকটা বড় কারণ। বেশীর ভাগ রাজ্য সরকারের স্টুপিড আইন আছে ল্যান্ড সিলিং। কাজেই বিল্ডারদের পক্ষে দশ হাজার ফ্ল্যাটের কমপ্লেক্স করা সম্ভব নয়। অথচ কম দাম হলে যেহেতু মার্জিন কম হবে, ভলিউম ছাড়া ব্যবসা চালানো সম্ভব নয়।
    সরকার যদি এইসব আইন তুলে দেয় তবে প্রচুর মধ্য/নিম্নমধ্যবিত্ত যে ফ্ল্যাট কিনতে পারবেন তাই নয়, প্রচুর গরীব মানুষ কাজ পাবে।
  • Sudipta | 125.16.6.216 | ১০ মে ২০০৮ ১৩:২৮385573
  • শ্যামলবাবু, কিছু প্রশ্ন; আপনার এল সি এম কে দেওয়া উত্তরটি কিছুটা অসম্পূর্ণ বলে মনে হল। প্রথম পয়েন্ট সম্পর্কে বলি, আপনি বলেছেন গাড়ি আছে এমন লোকের সংখ্যা বাড়ছে তাই ড্রাইভারের কর্মসংস্থান বাড়ছে; কথা হল, সাধারণ মধ্যবিত্ত যারা গাড়ি কেনেন তাদের কজন নিজে গাড়ি না চালিয়ে ড্রাইভার রাখেন? আর যত গাড়ি কেনা হচ্ছে আর যতজন ড্রাইভার চাকরি পাচ্ছে তার অনুপাত কত? সমানুপাতিক হচ্ছে কি? মনে তো হয় না। এবার আপনি যদি বলেন, আর-ও এরকম ড্রাইভার-এর কাজ শিখে অনেক লোক গ্রাম থেকে উন্নতির আশায় শহরে চলে এল, তাহলে সেই অনুপাতের হাল ঠিক কিরকম দাঁড়াবে; যথেষ্ট উচ্চবিত্ত লোকজন ছাড়া ভারতের গাড়ি আছে এমন জনসংখ্যার কতজন ড্রাইভার সোফার ইত্যাদি নিয়োগ করেন? আর যোগান বাড়লে ইনডিভিজ্যুয়াল আয় কমতে বাধ্য; সব মালিক-ই চায় কম পয়সায় কাজ করাতে, আর প্রতিযোগিতার বাজারে সবাই সেরা দাম (সবচেয়ে কম দাম) খোঁজে; তাই সমান স্কিল সেট-এ দাঁড়ানো চারজন ড্রাইভার হাতে থাকলে যে সবচেয়ে কম নেবে তাকেই বেছে নেওয়া হবে; এবার সেই পরিমাণ যদি এভারেজ -এর থেকে কম হয়, তাহলে আয় আর বাড়লো কই, উন্নতি বা হল কই? যারা মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজতে শহরে আসবে, তারা কি তখন তাহলে কম টাকায় চাকরি করবে না বলে আন্দোলন করবে? আর করলেও কদিন, যোগান আপনার বলা হারে যদি বাড়তে থাকে, ওসব জিনিস বেশীদিন ধোপে টিকবে না;

    এবার দ্বিতীয় পয়েন্টে আপনি বলছেন, কৃষি শ্রমিক শহরে এসে রাজমিস্ত্রীর যোগানদার হোক উন্নতির জন্য, তাহলে কৃষি কি উঠে যাবে বলতে চান? সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ১০০ কোটি জনতার কৃত্রিম খাদ্য উৎপাদনের মত জায়গায় ভারত এখনো পৌঁছেছে কি? গ্রামোন্নয়নের মাধ্যমে কৃষিকে-ও উন্নত করতে গেলে, আধুনিক প্রযুক্তিতে খামার বাড়ি বা সমবায় তৈরী করতে হলে সেখানেই সেই ধরণের প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষাব্যবস্থা চালু করতে হবে; আপনি বার বার বলছেন গ্রামের লোক শহরে এসে অল্প আয়ের কৃষি ছেড়ে বেশী আয়ের রাজমিস্ত্রী হবে, কিন্তু তাদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে আরো বেশী কৃষি উৎপাদনের উপযুক্ত করে তোলা হবে না কেন? সঠিক ভাবে চাষ করার জন্যেও শিক্ষা কিন্তু বিশেষ প্রয়োজন; কৃষিবিজ্ঞান বিষয়টি এমনি তৈরী হয় নি। সব লোক যদি রাজমিস্ত্রী কাজের মাসী আর ড্রাইভার হয় (এর চেয়ে উন্নততর কোনো প্রফেশন-এর উল্লেখ আপনার লেখায় ঐ গ্রামের লোক গুলির জন্যে জোটে নি!) তাহলে খাদ্যের যোগান আসবে কোথা থেকে? যেখানে কৃষি প্রযুক্তি ভারতে এখনো সেভাবে উন্নত নয় এবং অনেক টাই কায়িক শ্রমের উপর আজ ও নির্ভরশীল!

    আরো একটি প্রশ্ন। আপনার কি মনে হয় ভারতের নিম্নবিত্ত শ্রেণীর পাঁচ থেকে দশ লাখ খরচ করে ফ্ল্যাট কেনাটা কোনো ব্যাপার নয়? সেক্ষেত্রে ভারতের নিম্নবিত্ত সমাজ-এর আয়, জীবন যাত্রার স্ট্যাটাস সম্পর্কে কিছু জানার ইচ্ছে রইল;

    সোমনাথবাবু,
    অন্যের কথা-য় যুক্তি সন্ধান না করে নিজের ধারণা নির্ভুল ভেবে নিয়ে ইনফাইনাইট লুপ-এ পাক খেয়ে চলাকে আপনি অন্ধভাবে সমর্থন অবশ্য-ই করতে পারেন, আমার আটকানোর অধিকার নেই; কিন্তু সেক্ষেত্রে খিল্লি করার অধিকার-ও আমার থাকবে (যদি-ও ঠিক সেটা আমি করি নি); কনসিস্টেন্সি থাকা ভালো, কিন্তু অন্যের কথা যদি যুক্তিপূর্ণ হয় তবে নিজের মতামত কে ঝালিয়ে নিয়ে একটু ইন্‌কনসিস্টেন্ট হলেও ক্ষতি হয় না; জানেন তো, রবীন্দ্রনাথ কে একবার প্রশ্ন করা হয়েছিল, ওনার মতে ওনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দোষ কি, উত্তর ছিল ইনকন্সিসটেন্সি; আর সবচেয়ে বড় গুণ, ঐ ইনকনসিস্টেন্সি; :-)
    সর্বোপরি ভারতীয় সংবিধান self-expression প্রকাশের স্বাধীনতা আপামর জনসাধারণ কে দিয়েছেন।
    ভালো থাকবেন।
  • santanu | 82.112.6.2 | ১০ মে ২০০৮ ১৪:০৪385574
  • লিংক টা ছিল ৫-১০ লাখের ফ্ল্যাটের কিন্তু গরীবদের জন্য শ্যমলবাবু দুলাখের কম দামের ফ্ল্যাটের কথা বলেছিলেন 09 May 2008 -- 09:02 AM এর পোস্ট এ।
    আমার মনে হয় উনি বেসিকালি 350 sq ft Studio Apartment এর কথা ভাবছিলেন।
  • Blank | 59.93.207.37 | ১০ মে ২০০৮ ১৪:০৯385575
  • খিল্লি বড় ভাল জিনিস। কিন্তু অবাক হওয়া আরো ভাল।
  • Sudipta | 122.169.132.136 | ১০ মে ২০০৮ ১৪:২৩385391
  • বেশ যদি দু লাখ-ও হয়, তাহলেও মনে হয় যদি (আবার-ও বলছি যদি) কোনো নিম্নবিত্ত লোক দু লাখ টাকা জমিয়ে নিতে পারে, তার পক্ষে কোনটা বেশী উৎসাহজনক হবে? একটি ছোটোখাটো ব্যবসায় নেমে নিজে আর-ও বেশী উপার্জন করতে চাওয়া নাকি কুলি মজুর-এর কাজ করে দু লাখ-এর ফ্ল্যাট-এ থাকা? বাসস্থান কিন্তু খাদ্য বস্ত্রের পর আসে। যারা গ্রাম থেকে শহরে আসছে দায়ে পড়ে (শ্যামলবাবু যাই বলুন, আজ-ও জন্মের ভিটে মাটি চট করে দায়ে না পড়লে কেউ ছাড়ে না), তারা নিশ্চই আগে বাঁচতে আসছে পরে জীবন যাত্রার মান বাড়াতে আসছে, অতএব, দু লাখ টাকায় তারা খেয়ে পরে রোগের ভালো চিকিৎসা করে বাঁচুক, নাহয় ভাড়া করা ঘরেই, পরে ফ্ল্যাট কিনবে; আর পাঁচ থেকে দশ লাখ!! নাহ, এখনও ভাবনায় আসছে না। তার চেয়ে সত্যি-ই অবাক হওয়া ভালো!!
  • santanu | 82.112.6.2 | ১০ মে ২০০৮ ১৫:১০385392
  • শ্যমলবাবু ২ লাখ জমাতে বলেন নি, ঐ পোস্টে বলেছিলেন ৩০ বছরের মেয়াদে লোন নেবার কথা।

    মনে হচ্ছে EMI হবে ১৫০০ টাকা মতো আর ইন্টারেস্ট ফ্রী লোন হলে, ৫৫০ মতো।
  • santanu | 82.112.6.2 | ১০ মে ২০০৮ ১৬:০০385393
  • এবার আমার গল্পের গরু -

    শহরের উপকন্ঠে থাকা এই পরিবারের বৌ টি শহরের ৩ বাড়িতে ঠিকে কাজের মাসীর কাজ করবে, তাতে ৩ x ৫০০ = ১৫০০ টাকা, EMI হয়ে গেল। বিকেল বেলা গা ধুয়ে পাড়ার সর্বশিক্ষা অভিযানে পড়তে গেল।

    ৩ টি বাচ্ছা (এর বেশী হলে গল্পের গরু গাছে উঠবেনা) সরকারী স্কুলে লিখাপড়া করল আর Midday Meal পেল।

    বর টি Driver বা রাজমিস্ত্রি বা রিক্সা চালক বা দারোয়ান হয়ে মাসে ৩০০০ টাকা ঘরে আনল, তাতে সংসার চলল।

    আর দেশে যদি জমি জায়গা থাকতো, তা বেচে (তাদের কে, যারা দেশে চাষবাস করতে চায়) টাকাটা BankFixed। তোফা জীবন।

    আমিতো বিপ্লব এনে ফেলিলাম।
  • Somnath | 59.93.204.242 | ১০ মে ২০০৮ ১৮:৪৬385394
  • সুদীপ্ত,
    শ্যামলবাবুকে করা প্রশ্নগুলোর উত্তর উনিই দেবেন। আমি কিছু ছোটো অবজার্ভেশন জানিয়ে যাই।

    ১) ড্রাইভার : শুধু গাড়ি কিনছে এমন লোকের বাড়িতেই নয়, ড্রাইভারেদের অন্নসংস্থানের একটি বড় বাজার এই মুহুর্তে কলকাতা, সল্টলেক রাজারহাট চত্বরে অন্তত: হয়েছে। বিভিন্ন অফিসের গাড়িতে কর্মচারীদের বাড়ি দিয়ে আসা আর বাড়ি থেকে নিয়ে আসা। অফিস যাত্রীদের ছোটো ছোটো দলের জন্যে পুল কার চালানো। বিভিন্ন স্পেসিফিক ডেস্টিনেশনে গাড়ি চালানো। যেমন হলদিরামের মুখে প্রচুর সুমো দাঁড়িয়ে থাকে অফিস টাইমে এস ডি এফ প্রভৃতি জায়গায় যাওয়ার জন্যে। অফিস থেকে বেড়িয়েও প্রচুর গাড়ি পাওয়া যায় এক নম্বরে, বা রাসবিহারী, এক্সাইড, পার্ক সার্কাস ফেরার জন্যে। এর মধ্যে শুধু কোম্পানীর ড্রাইভারেরা যেমন আছে, তেমনি একটা বড় সংখ্যক লোক শুধু ট্রান্সপোর্টের জন্যে গাড়ি ভাড়ায় খাটাচ্ছে, যাদের কাছে ড্রাইভারেদের কাজ রয়েছে। এই মডেলটা যেকোনো নতুন শহরের ক্ষেত্রে চলতেই পারে।

    ২) "কৃষি কি উঠে যাবে বলতে চান?" এই সব প্রশ্ন, প্রায় গোটা দ্বিতীয় পয়েন্টটা শ্যামলবাবুর আগের পোস্ট না পড়েই করা বলে বোঝা যাচ্ছে। আপনি ওঁর বক্তব্য বা যুক্তি কিছুই মন দিয়ে পড়েননি। নতুবা বোঝেননি।

    তৃতীয় প্রশ্নটা তো আরো ভাট। শান্তনুদাই বুঝিয়ে দিয়েছে।

    আমাকে বলা পুরো প্রথম প্যারাটাই আমি ঘুরিয়ে দিলাম। পুরোটাই আবার কপি পেস্ট করে আপনাকে লিখে দিলাম। নিজেকে লক্ষ্য করে ঐ লাইনগুলো আবার পড়ে নিন। :-)
    বিপক্ষের বক্তব্য বা যুক্তি আগে অন্তত বোঝার চেষ্টা করুন। কাউন্টার তো তার পরের কথা। অন্ধভাবে সমর্থন ইত্যাদি ফালতু কথার কোনো জবাব দেবার তাগিদ বোধ করলাম না। সরি।

    আমি একটা দাবি রেখেছিলাম। দাবিয়ে রাখতে তো চাই নাই। কেউ না মানলে নাই মানতে পারে। সংবিধান, সেল্ফ এক্সপ্রেশন ইত্যাদি হাবিজাবি বকার কোনো মানে পেলাম না।

    ভালো আমি এমনিতেই থাকবো। ডানপন্থী অর্থনীতির গল্প গরু গাছ বা সেসবের বিরুদ্ধে বামপন্থী মিটিং মিছিল ইঁট-পাটকেল নিরপেক্ষভাবেই।

    আর ইয়ে স্যর, আপনি যদি ভুতোকে দাদা বলা সেই সুদীপ্ত হয়ে থাকেন তো বাবু টাবু ইত্যাদি কাটিয়ে দিতেই পারেন ;-)
  • Somnath | 59.94.2.232 | ১০ মে ২০০৮ ১৮:৫২385395
  • আই পির দেওয়া বিশাল লিংকটা টিনি ইউ আর এল করে পাতাটাকে সামলে দিতে কি ঈশেনের সম্পাদকীয় ক্ষমতার অবাঞ্ছিত প্রয়োগের দমনমূলক দিকটির কথা মনে পড়ে যাচ্ছে?? বেফালতু তিরিশবার হরাইজন্টাল স্ক্রল করতে হচ্ছে। :-(
  • Arpan | 123.237.219.103 | ১০ মে ২০০৮ ১৯:২৯385396
  • তাহলে কৃষিতে লাভ কমছে আর বিকল্প কাজের খোঁজে মাইগ্রেশন বাড়ছে শহরগুলিতে এই নিয়ে কারো কোন বক্তব্য নেই। সবাই একমত?
  • ranjan roy | 122.168.71.6 | ১০ মে ২০০৮ ২১:১৪385397
  • আমি কিন্তু শ্যামলবাবুর মডেলের বামপন্থী ক্রিটিক খাড়া না করে লিবারেল ওয়েলফেয়ার অর্থনীতির কাঠামোয় একটা ক্রিটিক দাঁড় করানোর চেষ্টা করছি। তবে ""প্যারেটো অপ্টিমালিটি'' র প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় কন্ডিশন এইসব টেকনিক্যাল লিংগো একদম ব্যবহার করবো না।
    আমার বিশ্বাস কোন মডেলই স্বয়ং সম্পূর্ণ হয় না। সবচেয়ে ভালো অ্যানালিটিক্যাল মডেলও চারপায়ের জায়গায় তিনপায়ে খাড়া হয়। আর আমিতো------, হরিদাস পাল।
    আমি দুটো জায়গা থেকে বক্তব্য রাখবো।
    এক, শ্যামলবাবুর মডেলের কিছু assumption নিয়ে, মানে সেগুলি এমপিরিক্যালি কতটা ভ্যালিড, তাই নিয়ে।
    দুই, বাস্তবে কতটুকু কি হচ্ছে, অর্থাৎ, আইডিয়াল কন্ডিশন বা যা হওয়া উচিৎ তা'ছাড়া আসলে বাজার এবং সরকার কি করছে।
    শুরুতেই বলে রাখি আমি শ্যামলের নিজের বক্তব্য রাখায় পরিশ্রম এবং নিষ্ঠা দেখে প্রভাবিত, কারণ এ'দুটো গুণ আমার মধ্যে নেই। হয়তো এটাকেই সোমনাথ কন্সিস্টেন্সি বলেছেন। কিন্তু ওনার বক্তব্যে প্রভাবিত নই। তাই এই ক্রিটিক। -------------------------------

    সর্বপ্রথম শ্যামলের পাইকারি হারে বামপন্থীদের প্রগতিবিরোধী, ""লাডাইট'', স্থিতাবস্থার পক্ষপাতী বালা রেটোরিকগুলোকে ইগনোর করছি। যেহেতু এগুলো বলা বর্তমান ডিস্কোর্সে অদরকারী এবং অপ্রাসংগিক।
    কারণ, প্রথম দুটো সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিজ্ঞান ও টেকনোলজি এবং সামাজিক মূল্যবোধে পিছিয়ে পড়া নিজেদের দেশকে এমন দ্রুত এগিয়ে দিয়েছিলো যে ক্লাসিক্যাল পুঁজিবাদি ইউরোপ ও ভ্যাবাচাকা খেয়ে গেছিলো।
    খেয়াল করুন চাঁদে প্রথম যে মানুষ নেমেছিলো সে একটি বামপন্থী সরকারের প্রতিনিধি।

    এবার শ্যামলের মডেল। বেশ সহজ-সরল লিনিয়ার বিকাশের মডেল।
    ১) শহর এবং শহুরে জীবন হচ্ছে কাঙ্ক্ষিত আল্টিমেট।
    ২) কিন্তু, ভারত নামক দেশে অধিকাংশ লোক গ্রামে থাকে। তাই ভারত পিছিয়ে থাকা দেশ।
    ৩) তাই বিকাশের স্ট্র্যাটেজি হওয়া উচিৎ কি করে অধিকাংশ লোককে গ্রামথেকে এনে শহরে ফেলা যায়।
    কারণ, শহরে আছে উন্নত রোজগার এবং ফলে উন্নত আয় পাবার সম্ভাবনা। গ্রামে নেই।
    ৪)শ্যামলের প্রস্তাবিত সমাধান হল গাঁয়ে শিক্ষার বিস্তার করে সবাইকে রোজগারের মাধ্যমে শহরবাসী করা।
    এই স্ট্র্যাটেজির সফলপ্রয়োগের ব্যাপারে কিছু প্রেমিস আছে। তার কিছু প্রচ্ছন্ন, কিছু উনি স্পষ্ট করে বলেছেন।
    অ) পুঁজিবিনিয়োগ, আয় নির্ধারণ এসব নিয়ে সরকারের নাক না গলালেই ভালো(প্রচ্ছন্ন)।
    আ) বাজার প্রায় সর্বশক্তিমান ভগবান। বাজারের শক্তিকে খোলা খেলতে দিলে সাপ্লাই-ডিমান্ডের দাঁড়িপাল্লা সব ঠিক করে দেবে।(বলেছেন)।
    ই) এর ফলে খাদ্যবস্তু বা কৃষিজাত পণ্যের দাম বাড়বে, কিন্তু তাতে কৃষকের কোন ক্ষতি হবে না। (বলেছেন)।
    উ) কারণ, ""পাই''য়ের সাইজ তো বড় হচ্ছে। তাই যথেষ্ট। ভারতের পার ক্যাপিটা আয় ক্ল ব্যাপক বেড়েছে। ( বলেছেন)।
    ঊ) এই মডেলের gestation period দশ বছর। (বলেছেন)।
    ঋ) ইন্‌ফ্‌রাস্ট্রাকচারে ব্যাপক গ্রামাঞ্চলে খরচ করার চাইতে কন্সে®¾ট্রটেড ওয়েতে শহরে খরচ করলে মোট খরচা কম হবে। কাজেই--।

    আমি ভারতীয় পরম্পরায় পূর্বপক্ষ (শ্যামল) এর কেসটা রি-স্টেট করলাম:)))।
    যাতে চেক হয়ে যায় আমি ওনার বক্তব্য ঠিক বুঝেছি কি না। ভুল হলে আপনারা শুধরে দেবেন।
    একটা কথা।
    শ্যামলের স্ট্রেংথ হল প্রচুর information and data ওনার হাতের কাছে, বিশেষত: ম্যাক্রো লেভেলে।
    আর উইকনেস হল গ্রামীণ জীবনের সঙ্গে ওনার পরিচয় নেহাৎই impressionistic,( উনি নিজেই বলেছেন)।
    আর আমার স্ট্রেংথ হল গ্রমীণ ব্যাংকের
    চাকরিসূত্রে আমি অত্যন্ত পিছিয়েপড়া গ্রাম ও আদিবাসী জীবনের সাথে ৩০ বছর যুক্ত রয়েছি, প্রায় ১৫ বছর গ্রামেই রয়েছি। আর গ্রামবিকাসের সরকারি নীতির কন্সেপ্ট এবং প্রয়োগ --তার সঙ্গে ভালো ভাবে পরিচিত।
    একই ভাবে আমার উইকনেস হল পিছিয়ে থাকা এলাকায় থাকার ফলে আপ-টু- ডেট ডাটা ও ইনফর্মেশনের আভাব।
    তাই আমি যাই বলি না কেন তার সত্যি-মিথ্যে আপনারা যাচাই করে এই ডিস্কোর্সকে সমৃদ্ধ করবেন।

  • Suvajit | 58.164.31.20 | ১০ মে ২০০৮ ২২:১৩385398
  • রঞ্জনদা তাপ্পর ? বাস্তবে কি হচ্ছে সেই বক্তব্য কোথায় ?
  • Arpan | 123.237.219.103 | ১০ মে ২০০৮ ২২:২৪385399
  • রঞ্জনদা, চাঁদে প্রথম যে মানুষ নেমেছিল সে বামপন্থী সরকারের প্রতিনিধি!! এটা নিশ্চয়ই টাইপো।
  • shyamal | 72.24.214.21 | ১০ মে ২০০৮ ২২:২৯385400
  • সুদিপ্ত,

    দেখি আরেকটু পরিষ্কার করে বলতে পারি কিনা।
    ১) কাজের মেয়ের কাজ সেরকম বাড়ছেনা যেরকম বাড়ছে ড্রাইভারের চাকরি। তার কারণ হল, তিরিশ বা পঞ্চাশ বছর আগেও মধ্যবিত্ত কাজের মেয়ে রাখত, আজও রাখে।কাজেই সেখানে গ্রোথ অল্প। কিন্তু ছয় বছর আগেও মধ্যবিত্ত যা গাড়ি কিনত এখন তার বহুগুন কেনে।
    কেন মধ্যবিত্ত ড্রাইভার রাখবেন? প্রথমত: কলকাতায় গাড়ি চালানো অত্যন্ত কঠিন। আর লিঞ্চিং আজও হয়। আপনি যদি বাই চান্স কোন লোকের গায়ে ধাক্কা দেন, ক্ষিপ্ত জনতা আপনাকে মেরে ফেলতে পারে। এ ব্যাপারে আইন শৃঙ্খলা জিরো। এই ভয়ে অনেকে ড্রাইভার রাখে।
    দুই, কলকাতায় পার্কিং স্পেস অত্যন্ত কম। আপনি গড়িয়াহাট ব্রীজের নিচে পার্ক করেছেন? ড্রাইভার থাকলে সুবিধা যে সে গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে আর কোন স্পট খালি হলে ঢুকিয়ে দেবে।
    আপনি বামপন্থী কিনা জানিনা, কিন্তু আপনি বামপন্থীদের ক্লাসিক ভুল করেছেন। তাঁরা মনে করেন পাইটা একই সাইজের থাকবে। কিন্তু পাইটা যে বড় হচ্ছে। ড্রাইভারের চাহিদা যে ভাবে বাড়ছে , যোগান সে ভাবে নয়। কেন নয় তা আগের পোস্টে বলেছি। তাই এদের আয় বাড়ছে। পনের বছর আগে আই টির ক্ষেত্রেও লোকে একই কথা বলেছিল। যে যোগানের সাথে সাথে আই টির মাইনে কমবে। হয়েছে উল্টো।
    ২) ব্যাঙ্ক, ইন্সিওরেন্স কম্পিউটার ব্যবহার করে কেন? হাতেও তো যোগ বিয়োগ করা যায়। তবে কি সুন্দর কোটি কোটি লোক চাকরি পাবেন আর ক্লাশ থ্রিতে শেখা যোগ বিয়োগ করতে পারবেন। হয়না কারণ উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য এরা কম্পিউটার ব্যবহার করে। চাষেও সেটা দরকার। হাল বলদ তুলে দিয়ে ট্র্যাক্টর, হারভেস্টর ইত্যাদি এলে উৎপাদনশীলতা বহুগুণ বাড়বে আর লোক লাগবে অনেক কম। ভারতে মোট কর্মীর ৬০% চাষে নিযুক্ত। আমেরিকায় মোট কর্মীর ০.৬%। জার্মানীতে ২.৮%। ব্রিটেনে ১.৪%। উগান্ডায় ৮২%। বাংলাদেশে ৬৩%। ইথিওপিয়ায় ৮০%। এবারে আপনি ঠিক করুন ভারত কোন দেশ হওয়ার চেষ্টা করবে।
    ভারত কেন কায়িক শ্রমের ওপর নির্ভরশীল। রাজনীতি। কৃষি আজও সেক্রেড কাউ। সেজন্য রাজনীতিকরা ঠিক পথে যেতে রাজি নন। নয়তো তাঁরা কর্পোরেট আর কনট্র্যাক্ট ফার্মিংএর বিরোধীতা করতেন না।

    সোমনাথ খুব আহত হয়েছেন লোকে আমাকে ব্যঙ্গ করছেন বলে। আপনার বুঝতে হবে এনারা কেন করছেন। প্রায় দশ বছর আগে আমার অফিসে এক সাইকোলজিস্ট সেমিনার দিয়েছিলেন চেঞ্জ নিয়ে। আমেরিকায় এত পরিবর্তন হচ্ছে, তার সঙ্গে অনেক মানুষ মানিয়ে নিতে পারছে না। সেজন্য এই সেমিনার। ১৯৯১ থেকে ভারতে বিরাট পরিবর্তন এসেছে। যাঁরা আগের অবস্থার সঙ্গে মানিয়ে দিব্বি চলছিলেন, তাঁদের সবচেয়ে অসুবিধা হচ্ছে। পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের মনে এই ফেজ্‌গুলো আসে :
    শক, ডিনায়াল, ভয়, রাগ, ডিপ্রেশন, আন্ডারস্ট্যান্ডিং, অ্যাকসেপ্টেন্স, মুভিং অন। যাঁরা আমাকে ব্যঙ্গ করছেন তাদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। তাঁরা ২,৩,৪ ফেজে রয়েছেন। আপনার বুঝতে হবে সোভিয়েত দেশ ভেঙ্গে যাওয়ায় আর চীন ধনতান্ত্রিক হয়ে যাওয়ায় এনাদের পৃথিবীটা চোখের সামনে ভেপোরাইজ করে গেছে। এনাদের বাক স্বাধীনতায় বাধা দেওয়া অনুচিত বলে মনে করি।
  • shyamal | 72.24.214.21 | ১০ মে ২০০৮ ২২:৫৩385402
  • রঞ্জনবাবুর পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম। তাহলে একজন যিনি নিজের চোখে গ্রাম দেখেছেন, তাঁর ভিউটা জানতে পারব।
  • Binary | 70.64.50.55 | ১১ মে ২০০৮ ০০:৫৩385403
  • রঞ্জনদার, 'চাঁদের বামপন্থী প্রতিনিধি' এই টাইপোটা ইগনোর করলেও, আসলে উনি যেটা বলতে চেয়েছেন, 'ইউরি গগারিন'এর স্পেসওয়াক, সেটাও সোভিয়েত রাশিয়া-র প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সংশাপত্র, এটা বলা যায় কি ?

    আমার খুব অল্প বুদ্ধিতে মনে হচ্ছে, শ্যামলবাবু, যা সব বলছেন, শহর, বাড়ি, গ্রাম থেকে শহর মাইগ্রেশন, প্রচুর প্রচুর 'গাড়ীর ড্রাইভার'এর চাহিদা, এসবই সার্ভিস সেক্টার, দেশের মুল সম্পদ (খনিজ, ক্‌ষি, ম্যানুফ্যাচারিং) ব্‌দ্ধি নাহলে, শহরে এসেও সেই রেললাইনের বস্তি। আই.টি. লোকজন আর কজনই বা ড্রাইভার নিয়োগ করবে ? নাকি রানীগঞ্জের খনিঅঞ্চল ঠেলে ঠেলে শহরে নিয়ে আসতে হবে ?
  • LCM | 71.132.137.192 | ১১ মে ২০০৮ ০১:৩৩385404
  • না, শ্যামল ঠিক আছে। আসলে, ৬০ কোটি চাষী সবাই রাজমিস্ত্রি, ড্রাইভার বা মেইড সারভেন্ট-এর কাজ করতে ঢুকে পড়বে, আর সামান্য কিছু চাষী ট্রাকটর আর উন্নত প্রযুক্তি নিয়ে চাষ করবে - এটা শুনতে হেভি লাগলেও ভারতের মতন ডেভলপিং কাϾট্র-তে কেমন গোঁজামিল মনে হয়। কোটি কোটি মানুষের ঠিকঠাক বিকল্প জীবিকা নেই বলেই কি না কম আয়ের চাষবাস থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না মানুষ। আর, কটাই বা ড্রাইভারের চাকরি বা মেট্রোর মেইড সার্ভেন্ট... লার্জ স্কেলে এটা কোনো জব মার্কেটই নয় (যে কথা বাইনারি লিখেছে)। আমার মনে হয় শুধু রাজমিস্ত্রি বা ড্রাইভার বা মেইড-সার্ভেন্ট নয়, তুমি আরও জেনারেল কিছু বলতে চাইছ, কিন্তু হাতের কাছে উদাহারণ পাচ্ছ না বলে, কিরকম ভেগ শোনাচ্ছে...। কনস্ট্রাকশন জব মার্কেট একেটু ভাল, কিন্তু মানুষ চট করে আনরেগুলেটেড, ল-লেস লেবার মার্কেটে ঢুকতে চায় না। ২ বছর ঠিকাদারের হয়ে বাড়ি তৈরীর মজুরের কাজ করলে হয়ত ৩০০০০ টাকা সেভিংস হবে, কিন্তু দু বছরের পরে কোনো নিশ্চয়তা না থাকায় অনেকেই নিজেদের জমিজমা ছেড়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে না। শুধু তাই নয়, এই সব মজুরদের অনেক সময়ই স্রেফ মৌখিক চুক্তিতেই কাজে নেওয়া হয়। সুতরাং, যার কোনো আয় নেই সে যাবে, অন্যরা গুটিয়ে থাকবে।
    আর পরিবর্তন কেউ আটকাতে পারবে না।
    আর, শ্যামল, তুমি কিন্তু শুধু বিভিন্ন দেশের চাষবাসের সঙ্গে যুক্ত মানুষের % দিয়েছ। কিন্তু আমেরিকা/জার্মানি-তে শিক্ষিত/স্কিলড মানুষের % টা দিলে না। এসব দেশে যারা চাষী নয়, তারা কি সবাই ড্রাইভার, না মেইড সার্ভেন্ট ? চিনে-র ম্যানুফ্যকচারিং প্রোডাকশন শপ-এর যে বিশাল লেবার মার্কেট, তাতেই সবাই ঢুকেছে। আমরা ফটাফট ডেটা দিয়ে দিই আমাদের যুক্তি সাপোর্ট করবার জন্য, কিন্তু ডেটা থেকে শুধু সেই অংশটুকুই নেই যেটা দরকার, অনেক এশেনশিয়াল পার্ট ইগনোর করি।
  • Binary | 70.64.50.55 | ১১ মে ২০০৮ ০২:৪৪385405
  • আমার যেটা মনে হয় (ভুল-ও হতে পারে)

    ১) ব্যবহারিক প্রযুক্তির প্রচুর উন্নতি, যেটা জাপানে আছে
    ২) প্রাক্‌তিক সম্পদের উদ্ব্‌ত্ত, যেমন মধ্যপ্রাচ্য
    ৩) জনসংখ্যার চাপ কম
    ৪) হেভী ইঞ্জিনিয়ারিং এর ব্‌দ্ধি
    ৫) স্বাস্থ্য পরিসবার গ্যারন্টি
    ৬) সর্বিক শিক্ষার উন্নতি (হ্যাঁ মিডিওকার-ও চলবে)

    এইসবই, আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতির একদম প্রাথমিক সর্ত। ক্‌ষি নির্ভরতা কমাতে হলে এর বিকল্প আর কি ? সুধু গাদা গাদা বাড়ী বানলে চলবে ?

    ভারতের প্রেক্ষিতে শ্যামলবাবুর থিওরি, ডিজনীর রুপকথা। এক যদি না, টাটা, বিড়লা, লক্ষী মিত্তাল, মুকেশ আম্বানী হঠাৎ একদিন হর্ষবর্দ্ধন হয়ে তাদের কোষাগার থেকে পুরো ভারতে ২০০০ নতুন শহর বানিয়ে দেন (মানে শ্যামলবাবুর মতে ২০০০ শহরে সবাই থাকবে)।
  • Binary | 70.64.50.55 | ১১ মে ২০০৮ ০২:৫৬385406
  • আজকে ধরুন, মেক্সিকো আর আমেরিকার সীমা গায়েব হয়ে গেলো, আর মেক্সিকোর গরীব গুর্বো লোকেরা আমেরিকায় ৫০ সেন্ট বা ১ ডলার ঘন্টায় রাজমিস্ত্রী/গাড়ীর ডেরাইভারি সুরু করলো, তখন আমেরিকা পারবেতো, এখনকার মোত সামাজিক পরিষেবা দিতে, শ্যামলবাবু ? ভারতের অবস্থাট এরকম-ই নয় কি ?
  • shyamal | 72.24.214.21 | ১১ মে ২০০৮ ০৩:৪৯385407
  • বাইনারি, এল সি এম,

    আমি ড্রাইভারের উদাহরণ দিয়েছি মাত্র। ভারতে সার্ভিস সেক্টর ছাড়া গতি নেই। প্রাচীনকালে মনে করা হত যে দেশে প্রাকৃতিক সম্পদ বেশী তারা ভাল করবে। জাপান এসে দেখিয়ে দিল প্রাকৃতিক সম্পদ না থাকলেও মানব সম্পদ দিয়ে কি করে উন্নতি করা যায়। খনি, কৃষি, ম্যানুফ্যাকচারিং তো হবেই। কিন্তু এগুলো সব মেকানাইজ করা যায়। কাজেই লোক প্রায় লাগেইনা। তাই এগুলো করে দেশে প্রচুর প্রয়োজনীয় সম্পদ সৃষ্টি হবে কিন্তু সেগুলো কনজিউম করার মত চাকরি তৈরী হবেনা। চাকরীর জন্য চাই পরিষেবা যেখানে এখনও মানুষের দরকার।

    ভারতে মোট কর্মী ৫১ কোটি। সরকার যদি ঠিক ভাবে বাজেটের অর্থ ব্যয় করে তবে স্কুল শিক্ষকই লাগবে আরো এক কোটি। (এগুলো WAG) ডাক্তার, নার্স ও অন্য চিকিৎসা কর্মি লাগবে এক কোটি। সমাজ সেবী (সোশ্যাল ওয়ার্কার) অন্তত: পঞ্চাশ লাখ। ভারতে এই শ্রেনীর সরকারি কর্মি কজন আছেন জানিনা।আমার মনে হয় এঁদের খুব দরকার। এঁদের কাজ হবে অশিক্ষিত/অর্ধশিক্ষিত মানুষকে দেখান তাঁদের কি কি অপশন আছে। যেমন প:বঙ্গ সরকার বিনামূল্যে খাদ্য প্রক্রিয়াকরন অর্থাৎ আচার,জ্যাম,জেলি, পাঁপড়, কেচাপ, সস বানানোর ট্রেনিং দেন, হাতে কলমে শেখান এটা কজন গ্রাম বাসী জানেন? ভারতে গরীব মানুষ টাকায় যতটা গরীব তার চেয়েও বেশী তথ্যে এবং ডিশিসন মেকিংএ।
    ভারতে অজস্র শিশু অপুষ্টিতে ভোগে তার কারণ টাকা নয়। http://siteresources.worldbank.org/SOUTHASIAEXT/Resources/223546-1147272668285/undernourished_chapter_1.pdf এই আর্টিকলটা পড়ে আমি হতবাক হয়ে গেছি। সবচেয়ে গরীব ২০% এ শিশু অপুষ্টি ৫৯%। কিন্তু সবচেয়ে ধনী ২০% এ শিশু অপুষ্টি ৩৩%। গরীব ভারতীয় গরীব সাব-সাহারান আফ্রিকানের চেয়ে দ্বিগুণ আয় করে। কিন্তু অপুষ্টি অনেক বেশী। এঁরা তার কারণ হিসেবে বলেছেন :
    -- ভারতে মেয়েদের স্ট্যাটাস আর ডিসিশন-মেকিং পাওয়ার আফ্রিকানদের চেয়ে অনেক কম।
    -- সেজন্য গর্ভবতী অবস্থায় প্রয়োজনীয় পুষ্টি কম মেলে
    -- তার ফলে অনেক বেশী আন্ডার ওয়েট শিশু জন্মায়। শিশুরও পুষ্টি কম মেলে কারণ মায়েরা তার ব্যবস্থা করেন আর তাঁদের কথার মূল্য দেওয়া হয়না।
    -- ভারতে গ্রামে স্যানিটেশন আর হাইজিন আফ্রিকার চেয়ে পিছিয়ে

    সেজন্য সরকারের শিক্ষিত সমাজ সেবীরা যদি গরীব লোককে তথ্য দেন এবং বোঝান, মেন্টর হন তাতেই প্রচুর উন্নতি দেখা যাবে। যাই হোক, আমি মূল টপিক থেকে সরে গেছি।
    আরো কাজ চাই? ১১০ কোটি মানুষের কজনের পাকা বাড়ি/ফ্ল্যাট আছে? সেগুলো বানাতে বহু শ্রমিক, মিস্ত্রি, প্লাম্বার, রংএর মিস্ত্রি, কাঠের মিস্ত্রি, ইঞ্জিনিয়ার, প্ল্যানার লাগবে।
    রাস্তা ঘাট, ব্রীজ,বাজার,স্কুল,কলেজ,হাসপাতাল ইত্যাদি পরিকাঠামো বানাতে লোক লাগবে।

    জিনিষ বিক্রি করার, সারানোর অজস্র লোক লাগবে।

    ভারত নরসিংহ রাও, মনমোহন সিং, বাজপেয়ী, চিদাম্বরমের দৌলতে আজ টেক-অফ পয়েন্টে পৌঁছেছে। অর্থনীতিবিদরা বলেন গড় মাথা পিছু আয় ১০০০ ডলার (নমিনাল, পিপিপি নয়) হলে সে দেশ এই পয়েন্টে পৌঁছায়। ভারতের মাথা পিছু আয় আজ হাজার ডলারের সামান্য বেশী।

    লোকের আয় বাড়ছে। তারা বেশী জিনিষ কিনছে। বেশী লোক টিভি, ফ্রিজ, স্কুটার, আইসক্রিম, ফ্ল্যাট, সাবান, শ্যাম্পু, জামাকাপড় কিনছে। তার ফলে স্কিলড লোকের কাজ বাড়ছে এগুলো তৈরী, বিক্রি করা আর সারানোয়। তার ফলে আরো লোক মধ্যবিত্ত হচ্ছে। তার ফলে কনজাম্পশন আরো বাড়ছে। অর্থনীতিবিদরা এটাকে বলেন "ভার্চুয়াস সাইকল"।
    কিন্তু স্কিল আর শিক্ষা না দিতে পারলে গরীব লোক এর বাইরে থেকে যাবে।
  • Somnath | 59.93.240.223 | ১১ মে ২০০৮ ০৬:৫১385408
  • রঞ্জনদা,
    "কনসিস্টেন্সি" বলেছে অরিদা। আমি নই।

    শ্যমলবাবু,
    লোকে আপনকে ব্যঙ্গ করছে বলে আহত হই নি ঠিক। লোকে লজিক না দিয়ে, নিজেদের পোটেনশিয়াল খরচ না করে, আদর্শ কুঁড়েদের মত পাতি আওয়াজ দিয়েছে বলে বিরক্ত হয়েছি।

    প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করা তর্কের, ডিবেটের, একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কেউ দুটো সলিড যুক্তি দিয়ে শেষে আপনাকে খিল্লি করলে এই বিরক্তি টুকু হত না। আপনিও বামপন্থীদের আক্রমণ করেছেন। মেনে নিতে পারিনি বা রেগে গেছি, যেমন নর্মাল ডিবেটে লোকে যায়। কিন্তু আপনার এফর্টটুকু, রঞ্জনদা যেমন বললেন "পরিশ্রম, নিষ্ঠা", অস্বীকার করতে পারিনা। তাই বিরক্ত হতে পারিনি।

    আমাকে লেখা আপনার শেষ প্যারাতে আপনি আবারও সেটা করেছেন। বামপন্থীদের আক্রমণ। বিতর্কে অংশ নিচ্ছি না বলে এটা কাউন্টার করার দায় অন্য লোকের ওপর ছেড়ে দিলাম।

    একটাই বক্তব্য, আপনি কোনো কারণে অরিজিৎ-এর পয়েন্টগুলো এড়িয়ে গেছেন, যাচ্ছেন। ওঁর প্রশ্নগুলোর উত্তর দিচ্ছেন না।
  • Binary | 24.66.94.142 | ১১ মে ২০০৮ ১১:৫৯385409
  • শ্যমলবাবু,
    আপনি, নিজেই, অবচেতনে, আপনার প্রাথমিক যুক্তি থেকে সরে গেছেন, অন্তত একবার। আপনি উল্লেখ করেছেন ফুড প্রসেসিং এর কথা। এটাই আমার বলার ছিলো। সার্ভিস সেক্টার দুম করে সুরু হয় না, অন্তত ভারতীয় প্রেক্ষিতে তো নয়-ই। পাকা বাড়ী-ফ্ল্যাট তো অনেক দুরের। আমার অল্প বুদ্ধিতে যেটা মনে হয় সেটা বেবী স্টেপস। মাইনিং/হেভী ইঞ্জিনিয়ারীং/ম্যানুফ্যাকচারিং , তারপর অনুসারী শিল্প, তারপর সফ্‌ট ইন্ডাসট্রী যেমন কটন/ফুড প্রসেসিং/বায়োটেকনোলোজি তারপর স্মল স্কেল। এর মাঝে কোনো খানে সুরু হবে সার্ভিস। ১১০ কোটি লোকের হাতে পয়সা কোথাথেকে আসবে, যে তারা রাতারতি পাকাবাড়ি/ফ্ল্যাট কিনে নেবে ? 'শিক্ষিত সমাজসেবীরা' শহরে বসে গরীব লোকেদের সচেতন করবে ? আর উন্নততর বাসস্থান শহরে-ই কেন ?

    আরো কথা, আপনার কথামতো ১০০০ ডলারের কত অংশ ব্যক্তিগত মালিকানায়, আর কত অংশ ৬০ কোটি গরীব-গুর্বোদের, তার হিসাবটা একটু দেবেন ? যদি কোনো ব্যক্তিগত পুঁজি, বাড়ী-ফ্ল্যাট তৈরি-তে বিনিয়োগ করে, সেটা গরীব চাষিদের বা যারা রাজমিস্ত্রী/প্লাম্বার/কাঠের মিস্ত্রী তাদের মধ্যে বিলিয়ে দেবার জন্য নিশ্চই নয় ....। আমাদের বাড়ীর কাজের লোকের কত মাইনে ? বড়জোড়, ১০০০ টাকা গড়ে। আর সেই কাজের লোকের মালিকের আয় কমকরে ৩০০০০ টাকা। তো, সেই কাজের লোক, কোন হিসাবের ক্রয় ক্ষমতায়, শহরে পাকাবাড়ী কিনবে, আজকের দিনে, শয়ে শয়ে ....?
  • Binary | 24.66.94.142 | ১১ মে ২০০৮ ১২:২৮385410
  • ফ্রিজ,স্কুটার,টিভি,ডাভ সাবান শ্যাম্পু .... এসব কিনছে কারা ? এসব ক্রয় ক্ষমতার কত শতাংশ ? আপনি বলেছেন এসব তৈরী/সারানোর জন্য স্কিল্ড/আনস্কিল্ড লোক লাগবে ? তাই নাকি ? সেইজন্য কি ওয়ালমার্ট/রিলায়েন্স কে স্বাগতম ? ওয়ালমার্ট বেচবে গ্রামের কারখানয় তৈরী হওয়া শ্যাম্পু .... ডাভ ছাপ্পা মেরে ? নাকি বেচবে আমেরিকা/ইউরোপের বাজারের উদ্ব্‌ত্ত সাবস্ট্যান্ডার্ড মাল, যা আমেরিকানরা আর গিলছে না ? বাজার বাজারে-ই থাকবে, উচ্চ মধ্যবিত্ত উচ্চতর হবে।

    ক্‌ষি নির্ভরতা কাটানো দরকার, একশোবার, তাবলে ৬০ কোটি লোক দুম করে সার্ভিসে ঢুকে যাবে, সেই সার্ভিস কারা কারা কিনবে (মানে বাকি ৪০ কোটি, অলরেডি স্যাচুরেটেড শ্যামলবাবুর কথায়-ই), বা কোথাথেকে ফান্ড আসবে, কিছুতেই মাথায় আসছেনা ..... অরিজিৎ বারবার বলেছে এই কথাই।
  • dri | 75.3.201.43 | ১১ মে ২০০৮ ১২:৪১385411
  • হবে হবে। জ্যাম, জেলি, পাঁপড়, কেচাপ, প্লাম্বার, রং মিস্ত্রি, সাবান, শ্যাম্পু সব হবে। যদিও এন আর আইরা উন্নয়নের গল্পটা ফাস্ট ফরোয়ার্ড করে দেখতে ভালোবাসেন, সেই স্পীডে হবে না। কিন্তু হবে। এখনো তো হচ্ছে একটু একটু করে।

    কিন্তু প্রশ্ন হল সরকার এর মাঝে কি করবে। মানে কেউ যদি গ্রাম থেকে এসে শহরে ড্রাইভারী করতে চায় তাকে আটকাচ্ছে কে? যারা আসছে আসছে। যারা আসছেনা সেটা তাদের চয়েস। কিন্তু সরকার কেন ল্যান্ড সিলিং অ্যাক্ট উঠিয়ে দিয়ে প্রিডেটারি জমির অ্যাকিউমুলেশান এনকারেজ করবে? যেকোন ভাবে একগাদা মানুষকে ভিটেছাড়া করে দিলে কি শহরের লোকেরা হঠাৎ করে গাড়ি কেনা বাড়িয়ে দেবে যাতে করে ড্রাইভারের চাকরীটা তারা পায়? টু টেল দা ট্রুথ, ফ্রি মার্কেটের ওপর এত বিশ্বাস আমার নেই।

    সরকার আচার বানানো শেখাতে পারে ফ্রিতে। ওকে। যদিও স্লাইট একটু প্রশ্ন থেকে যায় আচারের কোম্পানী কেন তাদের এম্পপ্লয়ীদের এই সামান্য ট্রেনিংটুকু দেওয়ার খরচ বহন করতে পারবে না। কেন কোম্পানীদের খরচ সরকার সাবসিডাইজ করবে। কিন্তু অন্যদিকে গ্রামে ডেভালাপমেন্টের কথা উঠলেই, উ: সরকারের কি ভীষণ খরচ হয়ে যাছে।
  • Arpan | 123.237.219.103 | ১১ মে ২০০৮ ১৩:১৫385413
  • আচার বানানোর স্বনিযুক্তি প্রকল্প বা সমবায় প্রকল্প - যার জন্য সরকার থেকে ট্রেনিং ইত্যাদি দেয়। এর মধ্যে আচারের কোম্পানি আসছে কোত্থেকে?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই প্রতিক্রিয়া দিন