এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বুড়োদের কতা

    hutum
    অন্যান্য | ১১ জুন ২০০৭ | ৯৮৩৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • saa | 10.37.253.2 | ২৯ জুন ২০০৭ ১৫:০৪390114
  • এইটে আমার ও প্রশ্ন, মনে হয় সবটাই পোস্ট বিবেকানন্দ ফেনোমেনন। ঠাকুর রামকৃষ্ণ কে ছাপিয়ে সব কিছু ছাপিয়ে দেখা যায় শুধু বিবেকানন্দকে ! বিবেকানন্দের উঙ্কÄল উপস্থিতিই আজকের রামকৃষ্ণ মিশন! তাতে সেই কামারপুকুর বা দক্ষিনেশ্বরের গদা চাটুজ্যে কোথায়? বা তাঁর সেই সরল ভক্তিরস ই বা কই?
    আজকের রামকৃষ্ণ মিশনে কি সবটাই পোস্ট বিবেকানন্দ ফেনোমেনন নয়?
    রঙ্গন কি বলেন?
  • dd | 122.167.235.247 | ২৯ জুন ২০০৭ ১৬:২৯390115
  • হ্যাঁ। মনে পরেছে।
    শরৎ মহারাজের ল্যাখা - সারদা মায়ের কথা। খুব মর্মস্পর্শী।

    আদৌ প্রচারধর্মী নয়।
  • Abhyu | 128.192.7.51 | ২৯ জুন ২০০৭ ২১:৩২390116
  • আর একটা বই আছে। শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণলীলাপ্রসঙ্গ (সারদানন্দের লেখা)। অথেন্টিক বলা হয় রামকৃষ্ণ মিশনের তরফ থেকে। রোমা রোলারও একটা বই আছে, সেটা পড়লেও মনে হয় যে সব কিছুই পোস্ট-বিবেকানন্দ নয় - তৎকালীন ব্রাহ্মসমাজে ভদ্রলোকের প্রভাব স্পষ্ট।
  • dd | 202.122.20.242 | ২৯ জুন ২০০৭ ২২:৪৮390117
  • " বাহ্য সভ্যতা আবশ্যক, শুধু তাহাই নহে ; প্রয়োজনের অতিরিক্ত বস্তুর ব্যবহারও আবশ্যক , যাহাতে গরীব লোকের জন্য নুতন নুতন কাজের সৃষ্টি হয় ".......... এ কথা কয়েছিলেন বিবেকানন্দ। ইন্টারেস্টিং ? না ?

    খেয়াল করুন, আমাদের শ্যামলও এই কথাই কইছেন।
  • dd | 202.122.20.242 | ২৯ জুন ২০০৭ ২৩:০৬390118
  • কি কোরবো বলুন ?

    সেই পুরোনো বেদ উপনিষদের থ্রেডটা খুঁজেই পেলাম না। অশ্বমেধের অশ্বর সাথে রাজ মহিষীর সম্পর্ক নিয়ে ওমনাথ আমায় জিগিয়েছিলো , তখন রেফারেন্সটা মনে পরে নি। এখনো খ্যাল করতে পারছি না। কিন্তু বিবেকানন্দের এই লেখাটা সার্কামস্ট্যানসিয়াল এভিডেন্স হিসেবে চলে যায় ।

    " বৈদিক অশ্বমেধ যজ্ঞের ব্যাপার স্মরন করো - " তদনন্তর মহিষীং অশ্ব-সন্নিধৌ পাতয়েৎ" ইত্যাদি। আর হোতা পোতা ব্রহ্মা উদ্‌গাতা প্রভৃতিরা বেডোল মাতাল হয়ে কেলেংকারি করতো। বাবা, জানকী বনে গিয়েছিলেন, রাম একা অশ্বমেধ করলেন - শুনে হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেম বাবা ! "
  • Abhyu | 97.81.75.25 | ০১ জুলাই ২০০৭ ১০:২৯390119
  • হুতুম গেলেন কই?
  • r | 61.95.167.91 | ০২ জুলাই ২০০৭ ১৪:১৪390120
  • রামকৃষ্ণ মানে তিনজন রামকৃষ্ণ আছেন। একজন হলেন রামকৃষ্ণ মিশনের রামকৃষ্ণ যাঁকে স্বামী বিবেকানন্দের তীব্র জাতীয়তাবাদ, সমাজ ও ইতিহাসভাবনার শরিক হতে হয়েছে। এখনও রামকৃষ্ণ মিশনে যে পূজাপাঠের প্রচলন আছে বিবেকানন্দ তারও তীব্র বিরোধী ছিলেন। স্বামী রামকৃষ্ণানন্দকে এই পূজাপাঠ নিয়ে তিনি কঠোরভাষায় আক্রমণ করেন। সারদামণি তাঁর প্রভাব না খাটালে রিচুয়ালের দিক থেকে রামকৃষ্ণ মিশন কোথায় দাঁড়াত তা বলা মুশকিল। রামকৃষ্ণ মিশনের প্রভাব যে জায়গায় যতটুকু এই রামকৃষ্ণের প্রভাবও সেই জায়গায় ততটুকু। অর্থাৎ, শিষ্যদের হাত ধরে তাঁকে গৃহস্থঘরে ঢুকতে হয়েছে। দুই নম্বর রামকৃষ্ণ হলেন গিরিশ ঘোষ এবং পাবলিক থিয়েটারের রামকৃষ্ণ। গিরিশবাবুর প্রচুর নাটকে এই আত্মভোলা বালকসুলভ পাগলে চরিত্রের দেখা পাওয়া যায় যিনি বস্তুত: রামকৃষ্ণের থিয়েটারি প্রোটোটাইপ। উত্তর কলকাতার পাবলিক থিয়েটার যতদিন রম্‌রম্‌ করে চলেছে এই রামকৃষ্ণ কিন্তু সেই হাত ধরে অনেক মধ্যবিত্ত গৃহস্থের ঘরে ঢুকে পড়েছেন। সন্দীপন বা সঞ্জীব চাটুজ্জেরা যেভাবে উত্তর কলকাতার ঘরানার ছবি এঁকেছেন সেই ঘরানার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেন পাবলিক থিয়েটারের রামকৃষ্ণ। তিন নম্বর রামকৃষ্ণ হলেন মধ্যবিত্ত কেরানীদের তৈরি করা ছোটো ছোটো রামকৃষ্ণ সমিতির রামকৃষ্ণ। এদের ইতিহাস নিয়ে কখনও খুব একটা কাজ হয় নি। যদিও রামকৃষ্ণের মূল কর্মস্থল হল বরানগর থেকে বাগবাজার, এই ধরনের ছোটো সমিতি কিন্তু তখন পূর্ববঙ্গেও তৈরি হয়েছে।

    এ গেল রামকৃষ্ণের ছড়িয়ে পড়ার কথা। কিন্তু প্রভাব? রামকৃষ্ণ পরধর্মসহিষ্ণুতার কথা বলেছেন হিন্দুধর্মের কাঠামোর মধ্যে থেকেই। কিন্তু তিনি পুনরুত্থানবাদী নন। পুনরুত্থানবাদীদের নেতা শশধর তর্কচূড়ামণিকে রামকৃষ্ণ এবং বিবেকানন্দ দুজনেই সহ্য করতে পারতেন না। রামকৃষ্ণের মত সহিষ্ণু ব্যক্তির সহ্য করতে না পারাটা বেশ বড়ো ব্যাপার। আর এক দল পুনরুত্থানবাদী থিয়োসফিস্টদের বিবেকানন্দ সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু রামকৃষ্ণের এই নির্জলা ভক্তির ভাব একমাত্র ধর্মীয় ক্ষেত্র ছাড়া অন্য কোনো ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারত না। যেটা রামকৃষ্ণ সফলভাবে করেছিলেন তা হল ব্রাহ্ম আন্দোলনের একটা অংশকে ক্রমাগত হিন্দুত্বের দিকে টেনে আনা, আর একটা অংশকে ক্রমাগত সেকুলার জায়গাতে ঠেলে দেওয়া। প্রথম অংশের প্রতিনিধি কেশব সেন এঅং দ্বিতীয় অংশের প্রতিনিধি রবীন্দ্রনাথ। তবে ব্রাহ্মসমাজের মধ্যে সবসময়ই এই প্রবণতা ছিল। ব্রাহ্মসমাজের মূল উদ্দেশ্যই ছিল হিন্দুসমাজের সংস্কার, কোনো বৈপ্লবিক স্বপ্ন নিয়ে তাঁরা আন্দোলন করেন নি। তার সাথে যোগ হয়েছিল শুষ্ক তাঙ্কিÄক তর্কের আড়ালে নানারকমের দলভেদ। এই টানাপোড়েনে ধ্বস্ত যুবকেরা রামকৃষ্ণের সহজ সরল সমন্বয়বাদী কথাবার্তায় একধরনের শান্তির আশ্রয় খুঁজে পেয়েছিলেন। রামকৃষ্ণ মারা যাচ্ছেন ১৮৮৮ সালে। তখন সমাজ ও ধর্মের থেকে মুখ ফিরিয়ে বাঙালী রাজনৈতিক জাতীয়তাবাদের ভিত্তি গড়তে শুরু করেছে। বিবেকানন্দ থেকে রবীন্দ্রনাথ- প্রত্যেকেই নিজের নিজের ঢঙে এই সন্ধানে রত। ১৯০২ সালে বিবেকান্দ মারা যাবেন। ততদিনে তিনি বাংলার বিপ্লবীদের উদ্দীপনার উৎস হতে শুরু করেছেন। ১৯০৫ সালে রবীন্দ্রনাথ সর্বতোভাবে রাজনৈতিক আন্দোলনের সাথে যুক্ত। রাজনীতির ক্ষেত্রেও যে মাতৃমূর্তির উদ্ভব হচ্ছেন, তিনি বীরভাবের জননী। বঙ্কিমচন্দ্রের দুর্গা, বিবেকানন্দ ও অরবিন্দের মৃত্যুরূপা কালী তখন হিন্দু যুবকদের উপাস্য। এই ডামাডোলের বাজারে রামকৃষ্ণের শান্ত ভবতারিণী মূর্তির কোনো জায়গা নেই।
  • r | 61.95.167.91 | ০২ জুলাই ২০০৭ ১৫:২৫390121
  • হিন্দুত্ব কথাটা ভুল, হিন্দুধর্ম হবে। রামকৃষ্ণের ভাষায় যদিও সেইভাবে হিন্দুধর্ম বলে আলাদা কিছুরও অস্তিত্ব নেই। হিন্দুত্ব আরও অনেক পরের ব্যাপার।
  • r | 61.95.167.91 | ০২ জুলাই ২০০৭ ১৭:২৩390122
  • গ্রামেগঞ্জে শ্রমজীবীদের উপর রামকৃষ্ণের প্রভাব তখন একেবারেই ছিল না। আমাদের সব কথাবার্তাই ঘুরপাক খাচ্ছে নতুন গড়ে ওঠা মধ্যবিত্ত ভদ্রলোক সমাজের আশেপাশে। তখন গরীবদের নিয়ে ভাবেটাই বা কে? এক আধটা প্রক্ষিপ্ত উদাহরণ দেখা যায় মাত্র। রাধানাথ শিকদার কুলিদের উপরে অত্যাচার নিয়ে সরব হচ্ছেন। বা আরও পরে দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায় আসামের চা বাগানের উপর অত্যাচারের অসম্ভব নৈর্ব্যক্তিক রিপোর্টাজ লিখছেন। এ ছাড়া মধ্যবিত্ত সমাজ তখন নিজেদের কাছাকোঁচা সামলাতেই ব্যস্ত। কেশব সেন মিস কার্পেন্টারের অনুপ্রেরণায় প্রথম শ্রমজীবীদের ইস্কুল তৈরি করলেন যাতে মধ্যাহ্নে এদের সহজ কথায় ভূগোল, অঙ্ক, ইতিহাস ইত্যাদি শেখানো হবে। আয়রনি হল সেই স্কুলেরই সকালের সেকশন ছিল মধ্যবিত্ত ভদ্রলোকদের ছেলেপুলেদের জন্য বরাদ্দ যেখানে তাদের কাঠের কাজ, লোহার কাজ শেখানো হচ্ছে যাতে "ওরা" মধ্যবিত্তদের ঠকাতে না পারে এবং এই সব কাজের জন্য মধ্যবিত্ত বাড়ির ছেলেরা স্বনির্ভর হয়ে ওঠে। স্বাভাবিকভাবেই এই ইস্কুল বেশিদিন চলে নি। বিদ্যাসাগর সাঁওতালদের নিয়ে থাকতেন ঠিকই কিন্তু বিদ্যাসাগরের পুরো স্কীমে গরীবদের জন্য আলাদা করে কিছু করার পরিকল্পনা ছিল। মূলত: ব্যক্তিগত দান এবং শিক্ষাবিস্তারের পথই ছিল বিদ্যাসাগরের পথ। গরীব শ্রমজীবীদের দুরবস্থা নিয়ে বিবেকানন্দই প্রথম সোচ্চার হলেন, কারণ বিবেকানন্দ পায়ে হেঁটে ভারতবর্ষ ঘুরে বেরিয়েছেন। তাঁর পরিব্রাজকপর্বের আগে বিবেকানন্দও অন্যান্য ভদ্রলোকের মত মধ্যবিত্ত সমাজের আধ্যাত্মিকতা এবং ধর্মপ্রসঙ্গ নিয়েই বেশি ব্যস্ত। পায়ে হেঁটে ভারতবর্ষকে দেখা একটা আই ওপেনারের মত ছিল। রবীন্দ্রনাথ তখনও শিলাইদহের জমিদার। তখনি হয় তো গ্রামীণ সমাজের উন্নতির কথা ভাবছেন, কিন্তু বিবেকানন্দের মত অত র‌্যাডিকাল এবং সোচ্চারভাবে নয়। নিম্নবিত্তদের কাছে মধ্যবিত্ত আর একভাবে পৌঁছাচ্ছে- ত্রাণকার্যের মাধ্যমে, বিশেষত: কলকাতায় পরপর দুবার প্লেগের সময় একদিকে নিবেদিতা-স্বামী শ্রদ্ধানন্দ এবং অন্যদিকে ঠাকুরবাড়ির যুবকেরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ত্রাণকার্যে অংশগ্রহণ করছেন। কিন্তু এ সবের মধ্যে রামকৃষ্ণের প্যাসিভ ভক্তির কোনো ছাপ পাওয়া যাচ্ছে না।
  • dd | 202.122.20.242 | ০২ জুলাই ২০০৭ ২০:৩৮390124
  • অ রংগন , বিবেকানন্দর "তীব্র জাতীয়তাবাদ" বলতে কি বুঝালে ? উন্নততর হিন্দু ধর্ম? স্বাদেশিকতা? সমাজ চেতনা ? না কি ?
  • ruchira | 75.24.194.40 | ০৩ জুলাই ২০০৭ ০৫:২৪390125
  • ওপরের লেখায় চোখে পড়ল রামকৃষ্ণের মৃত্যু সাল ১৮৮৮, ওটা হবে ১৮৮৬
  • shyamal | 24.117.80.201 | ০৩ জুলাই ২০০৭ ০৬:১৮390126
  • বিবেকানন্দকে অনেকে জাতীয়তাবাদী বা সমাজ সংস্কারক বলে থাকেন। কিন্তু আমার ওনার লেখার যৎসামান্য পড়ে মনে হয়েছে উনি আধ্যাত্মিকতার ওপর সবচেয়ে জোর দিয়েছেন। উনি ছোট জাতের মানুষের কাছ থেকে তামাক খেয়েছেন মনে হয় সমাজ সংস্কারের জন্য নয় যতটা সবার ভেতরে একই ভগবান -- এই বিশ্বাস থেকে।
  • r | 61.95.167.91 | ০৩ জুলাই ২০০৭ ১৭:০৭390127
  • তীব্র জাতীয়তাবাদ মানে বীররসে পূর্ণ পুরুষালি জাতীয় চেতনা। যেখানে অন্তর্মুখী সমাজ সংগঠনের থেকে অনেক বেশি জোর পায় বহির্মুখী শ্রেষ্ঠত্বের প্রকাশ। এই জাতীয়তাবাদ পরবর্তীকালে বাংলার বিপ্লবীরা এবং আরও পরে সুভাষচন্দ্র গ্রহণ করবেন। জাতীয়তাবাদের এই মডেলের থেকে একদম আলাদা রবীন্দ্রনাথ বা গান্ধীর জাতীয়াতাবাদের মডেল। বিবেকানন্দ এবং রবীন্দ্রনাথ দুজনেই চান পাশ্চাত্যের প্রযুক্তি ও শিল্পের মাধ্যমে ভারতের অর্থনৈতিক মুক্তি যা গান্ধীভাবনার থেকে একেবারে আলাদা। আবার গান্ধী এবং রবীন্দ্রনাথ দুজনেই অহিংস পথে বিশ্বাসী যেখানে বিবেকানন্দ মৃত্যুপূজার আহ্বান করছেন। গান্ধী এবং বিবেকানন্দ দুজনেই ভাবেন ইংরাজ চলে গেলে ভারত আপনা আপনি নিজের বুঝ নিজেই বুঝে নেবে, কিন্তু রবীন্দ্রনাথ বারবার আমাদের জাতীয় সমাজ ও রাজনীতির অন্তর্বীক্ষণের কথা বলেন। বিবেকানন্দের একটি চিঠিতে জাতীয় কংগ্রেসের কাজকর্ম সম্পর্কে খুব মজার ভাবনা পাওয়া যায়। সেখানে বিবেকানন্দ বলছেন যে এই কেঁদেককিয়ে ভিক্ষে করে কোনো লাভ নেই, কংগ্রেসের উচিত আমেরিকান স্বাধীনতাযোদ্ধাদের মত ঘোষণা করা যে আজ থেকে ভারতবর্ষ স্বাধীন। এখান থেকে বিবেকানন্দের যুদ্ধং দেহি জাতীয়তাবাদের আভাস পাওয়া যায়। এই চিন্তাধারায় যা আছে:
    ১) ক্ষত্রিয় উগ্রতা, যে কোনো রকম "ন্যাকামি" পরিত্যাজ্য
    ২) দারিদ্র্যকে মূল সামাজিক সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা
    ৩) হিন্দুসমাজের জাতপাতের বিরুদ্ধে জেহাদ
    ৪) আধ্যাত্মিকতাকে ভারতের প্রধান বৈশিষ্ট্য হিসেবে ধরে নেওয়া
    ৫) উন্নততর আধ্যাত্মিকতা দিয়ে প্রতীচ্যবিজয়ের স্বপ্ন
    কাজেই বিবেকানন্দের আধ্যাত্মিকতা এবং জাতীয়তাবাদ একে অন্যের সাথে সম্পৃক্ত। ব্যক্তিগত আধ্যাত্মিকতার একটা জায়গা সবসময়ি আছে কারণ সেই পথ ধরেই রামকৃষ্ণের কাছে যাওয়া। কিন্তু এই ব্যক্তিগত আধ্যাত্মিকতা এবং সমাজ-রাজনীতির দোলাচল বিবেকানন্দের প্রতিটি কথাবার্তায়। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এই পরস্পরবিরোধিতার জায়গা থেকে তিনি বেরোতে পারেন নি। ব্যক্তিগত আধ্যাত্মিকতার পাশাপাশি বিবেকানন্দ পাশ্চাত্য ঔপনিবেশিক শক্তি এবং মিশনারীদের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য সামাজিক আধ্যাত্মিকতাকে বারবার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন। যে বিবেকানন্দ একদিকে নিজের চিঠিপত্রে তৎকালীন হিন্দুসমাজ, তার রীতিনীতিপ্রথাপ্রচলনের বিরুদ্ধে রুদ্রমূর্তি ধারন করছেন, সেই বিবেকানন্দই পাশ্চাত্যসমাজের সামনে অজুহাতের অযোগ্যের জন্য অজুহাত খাড়া করছেন। যেনতেনপ্রকারেণ আমাদের সব কিছুকে আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করা চাই- এই হল বিবেকানন্দের জাতীয়তাবাদ যা মূলত: রক্ষণমূলক। এই জাঁতাকলের থেকে রবীন্দ্রনাথ বেরিয়ে আসবেন এবং জাতীয় চরিত্র নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বের থেকে আমাদের অনেকটাই মুক্ত করবেন।
  • dd | 202.122.20.242 | ০৩ জুলাই ২০০৭ ২০:৩০390128
  • একটা পরাধীন দেশের জাতীয়তাবাদী অথচ স্বাধীনতর কোনো কথা নেই, ব্রিটীশদের বিরুদ্ধে কোনো কথা নেই - এ কেমন জাতীয়তাবাদ ?

    না, প্রচলিত অর্থে জাতীয়তাবাদী বল্লে বিবেকানন্দ জাতীয়তাবাদী ছিলেন না। হিন্দু রিফর্মার - ইয়েস। সমাজ সংস্কারক ইয়েস। আর তাঁর ভাষাটা উগ্র সেটাও মানি। আর কিছু না।
  • I | 172.216.0.185 | ০৩ জুলাই ২০০৭ ২৩:৪৬390129
  • ডিডি,
    টিকটিকি বললো,ঠিক ঠিক।
  • রঞ্জন (dear ) | 203.145.188.131 | ০৪ জুলাই ২০০৭ ০১:০৫390130
  • চিন্তাশীল ও পরিপার্শ্ব-সচেতন বাঙালি বরাবরই বীরপূজা বা তেজস্বী নায়ক চরিত্রের অনুগমনে অভ্যস্ত। সেক্ষেত্রে, বিবেকানন্দের যুক্তিপুর্ণ মুক্ত অথচ আবেগতাড়িত উদাত্ত আহ্বান, "উত্তিষ্ঠিত জাগ্রত:'...তাঁর কর্মযোগের মন্ত্র--- এগুলিই তৎকালীন তরুণ / যুব সমাজকে উদ্বুদ্ধ করেছিল। ঠিক তার পরবর্তী প্রজন্ম তাঁরই প্রভাবে একটা "আদর্শ'কে পাথেয় করে জীবনের উদ্দেশ্য খুজে পেয়েছিল। এই সময় আমরা যে ক'জন দেশপ্রেমিক, "জাতীয়তাবাদী' তথা ইংরাজ-শাসক-বিরোধী তরুণ / যুবাকে দেখি এদের মননে এবং কর্ম-ভাবনায় বিবেকানন্দের প্রভাব স্পষ্টতই অপরিসীম।

    রংগন দা'র সঙ্গে এজন্যই সহমত। আপনারা যাদের সত্যিকারের জাতীয়তাবাদী (ইংরাজ-সরকার বিরোধী) বলছেন, তাঁরা কেন এই লোকটির কাছ থেকে এত অনুপ্রেরণা পেলেন। কারণ একটাই--- বিবেকানন্দই তরুণ সমাজের মনের মধ্যে সচেতনভাবে প্রশ্ন ঢুকিয়ে দিলেন.... আমরা কারা ? আমাদের উৎপত্তি কি/ কোথায় ? আমরা কোন "জাতি' ? আমরা কি দুর্বল? আমরা কি স্বাধীন? নই কেন? আমরা কেন দুর্বল ? আমরা কি বহুজাতি ! কেন এই জাতিভেদ ! নাকি আমরা একটাই জাতি--- শাসিত ও শোষিত ?.....ইত্যাদি। এবং এর উত্তরও তাঁর লেখায় ও বক্তব্যে ছিল।

    এহেন পুরুষকার চরিত্রকে জাতীয়তা না ভেবে/বলে পারছি না।..... একটা কথা এপ্রসঙ্গে মনে পড়ছে,--- যত মত তত পথ!এটা ঠিক তথাকথিত রাজবিরোধী পথে তিনি হাটেন নি। সম্ভবত, তিনি যুদ্ধে যাওয়ার আগে সেনা প্রশিক্ষণ কেই প্রাধান্য দিয়েছিলেন!
  • dear | 203.145.188.131 | ০৪ জুলাই ২০০৭ ০১:০৯390131
  • শেষের আগের লাইনে ৪ র্থ শব্দটি ""জাতীয়তাবাদী'' হবে।
  • r | 61.95.167.91 | ০৪ জুলাই ২০০৭ ১১:৪৮390132
  • এইটা দীপ্তেনদা একদম ভুলদিকে গেলেন। রামকৃষ্ণ আর রাজযোগ বাদে বিবেকানন্দ যদি আর কিছু নিয়ে কথা বলে থাকেন তা হল সুতীব্র ব্রিটিশবিরোধিতা। সেই ব্রিটিশবিরোধিতা এতটাই তীব্র মাঝে মাঝে তা অসহিষ্ণু অভদ্রতার পর্যায়ে উঠেছে। প্রতীচ্যভ্রমণের আগে বিবেকানন্দ ভারতের যাবতীয় দুর্দশার মূলে ব্রিটিশদের চিহ্নিত করেন এবং পাশ্চাত্য থেকে ন্যূনতম কিছু গ্রহণের বিরোধী ছিলেন। পাশ্চাত্যে ঘুরে আসার পরে বরঞ্চ বিবেকানন্দ প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মিলনের কথা বলছেন। এই মূহুর্তে আমি সেই ভূরি ভূরি লেখা উদ্ধৃত করতে পারছি না। কিন্তু দুটি বইয়ের নাম করছি যেখানে উনিশ শতকের জাতীয়তাবাদে বিবেকানন্দের ভূমিকার কথা বিস্তৃতভাবে আলোচিত। দুটি বইয়ের লেখক কেউই বিবেকানন্দভক্ত নন, এবং একজন ঘোর মার্ক্সবাদী, দ্বিতীয়জন বামপন্থী জাতীয়তাবাদী লিবারেল। প্রথম বইটি সুমিত সরকারের "রামকৃষ্ণ, কলিযুগ ও ভক্তি", যার মূল প্রতিপাদ্য রামকৃষ্ণ ও উনিশ শতকের মধ্যবিত্ত কেরানী সমাজ। কিন্তু বইয়ের শেষভাগে সুমিতবাবু রামকৃষ্ণের ভক্তিপরম্পরার বিপ্রতীপে বিবেকানন্দের জাতীয়তাবাদের বিস্তৃত আলোচনা করছেন, এইটা দেখাতে যে রামকৃষ্ণের ভাবধারা বিবেকানন্দের হাতে পড়ে একদম উল্টো মোড় নিচ্ছে। দ্বিতীয় বইটি, তপন রায়চৌধুরীর "ইউরোপ পুনর্দর্শন"। বইটির মূল বিষয় উনিশ শতকে ভারতীয় জাতীয়তাবাদ যেভাবে গড়ে উঠছে এবং সেই পরিপ্রেক্ষিতে তিনজন বাঙালী প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের বিশ্লেষণে সেই জাতীয়তাবাদকে কিভাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। এই তিন বাঙালী হলেন- ভূদেব মুখোপাধ্যায়, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও স্বামী বিবেকানন্দ। বিবেকানন্দের জাতীয়তাবাদী ভাবনার সুফল ও কুফল নিয়ে বহু বিতর্ক আছে, কিন্তু বিবেকানন্দ জাতীয়তাবাদী ছিলেন না এ কথা প্রায় কোনোধারার ঐতিহাসিক স্বীকার করবেন না। সেই তীব্র জাতীয়তাবাদের কন্টিনিউইটি দেখা যায় নিবেদিতার রাজনৈতিক কর্মকান্ডে, যা রবীন্দ্রনাথ কিছুতেই মেনে নিতে পারেন নি এবং যা নিয়ে রবীন্দ্রনাথ এবং নিবেদিতার মতান্তর ও মনান্তরের সূচনা। রবীন্দ্রনাথ এও মনে করতেন যে বিবেকানন্দের পাল্লায় পড়ে নিবেদিতার এই উগ্র জাতীয়তাবাদ।
  • S | 61.95.167.91 | ০৪ জুলাই ২০০৭ ১১:৫৯390133
  • মৌতাতটা পুরো জলে গেল। হায়, কোতায় সেই ধুস্তুরী মায়া, কোতায় সেই দুগ্গো-টুনটুনি ...
  • r | 61.95.167.91 | ০৪ জুলাই ২০০৭ ১৪:১৬390135
  • এতটাই যখন লিখলাম তখন আরও একটু লিখি। :-)

    প্রচলিত জাতীয়তাবাদ মানে কি? রাজনৈতিক স্বাধীনতার জন্য রাজনৈতিক আন্দোলন? পুরো উনিশ শতকে এই ধরনের রাজনৈতিক আন্দোলনের কোনো প্রচলন ছিল না। যা হয়েছে তা হল ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর বিদ্রোহ, যথা সাঁওতাল বিদ্রোহ, ওয়াহাবী বিদ্রোহ, নীল বিদ্রোহ এবং সর্বোপরি সিপাহী বিদ্রোহ। কিন্তু যেহেতু জাতিসত্তাকে নির্ণীত না করতে পারলে রাজনৈতিক জাতীয়তাবাদ গড়ে ওঠে না, তাই এই সব বিদ্রোহে ভারতীয় জাতিসত্তার রাজনৈতিক স্বাধীনতার কোনো গল্পই ছিল না। ব্রিটিশ ইন্ডিয়া অ্যাসোসিয়েশন এবং তার উত্তরসূরী ১৮৮৫ সালে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসের মধ্যে দিয়ে রাজনৈতিক স্বাধীনতা আন্দোলনের অঙ্কুরোদ্‌গম হচ্ছে মাত্র। কিন্তু প্রচলিত অর্থেও জাতীয়তাবাদের এ হল একটি দিক। কিন্তু রাজনৈতিক জাতীয়তাবাদের চালিকা হিসেবে কাজ করে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদ। উনিশ শতকে বাঙালী বুদ্ধিজীবীরা প্রথম ভারতীয় জাতিসত্তার সংজ্ঞায়ন এবং পৃথকীকরণের কাজ শুরু করেছেন এবং সেই কাজে তাঁদের রেফারেন্স ফ্রেম হল পাশ্চাত্য সভ্যতা। এই সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদের উত্তরাধিকারকে কর্নারস্টোন ধরে বিংশ শতাব্দীর রাজনৈতিক জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের শুরু। উনিশ শতকের লোকেরা প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য নিয়ে যত চাপ খাচ্ছেন, বিংশ শতাব্দীতে এসে এই আত্মপরিচয়ের প্রশ্ন গৌণ হয়ে যাচ্ছে। বিবেকানন্দ ইংলন্ডের পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসির সমালোচনা করছেন, কারণ তাঁর মনে হচ্ছে শক্তিশালীদের প্রভুত্ববিস্তারের আর একটা উপায়। বিংশ শতাব্দীর রাজনৈতিক স্বাধীনতা আন্দোলনে পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসি নিয়ে কোনো মৌলিক প্রশ্ন তোলা হচ্ছে না। কারণ ততদিনে ভারতীয় আত্মপরিচয়ের একটা মডেল আত্তীকৃত হয়ে গেছে, যে মডেলের মূল উদ্‌গাতা উনিশ শতকের জাতীয়তাবাদী চিন্তাবিদ্‌রা। যে কারণে বাংলার বিপ্লবী আন্দোলন এবং সুভাষচন্দ্রের রোল মডেল হলেন বিবেকানন্দ এবং আনন্দমঠের সন্ন্যাসী দল। জাতীয়তাবাদের এই ধারা রবীন্দ্রনাথ বা গান্ধীর জাতীয়তাবাদের থেকে একদম অন্যধাঁচের। উল্লেখ্য এই বিপ্লবী আন্দোলনের একটা বড়ো অংশ আরো পরে কমিউনিস্ট আন্দোলনের সূচনা করছেন। বিবেকানন্দের ছোটো ভাই ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত যাঁর প্রধান শরিকদের অন্যতম।
  • shyamal | 24.117.80.201 | ০৪ জুলাই ২০০৭ ১৫:৫৭390136
  • বিপ্লবী আন্দোলনের কথাই যখন উঠেছে তখন রবীন্দ্রনাথের ঘরে বাইরে আর চার অধ্যায় নিয়ে একটু আলোচনা হোক। রবীন্দ্রনাথের রাজনৈতিক চিন্তাধারা ছিল অনেক গভীর। সেজন্য তিনি এই বিপ্লবী আন্দোলনের বিপক্ষে কথা বলেছেন। বোঝা যায় কতটা দূরদর্শী ছিলেন ভদ্রলোক। অনেক সময়ে animal farm এর কথা মনে পড়িয়ে দেয়।
  • dd | 202.122.20.242 | ০৪ জুলাই ২০০৭ ১৮:৪১390137
  • রংগন
    তুমি জাতীয়তাবাদ নিয়ে যা লিখলে সেটা মানলাম। ঠিকই তো, তখন ভারতীয় বোধটই দানা বাঁধে নি।

    তবে বিবেকানন্দের "সুতীব্র বৃটীশবিদ্বেষ" ইত্যাদি কোথায় পেলে ? আমি তো ওনার সমগ্র রচনাবলী পড়েছি। স্মরনে আসছে না কোথাও,কোথাও একটিও বৃটীশ বিরোধী শব্দ। তাইলে কি এতই মিস করে গেছি? অবাক কল্লে।

    লিখেছো যখন তখন সুত্রও তোমার জানা। রেফারেন্স দাও তো, আবার ঘেঁটে দেখি। কিন্তু বিবেকানন্দের রচনাবলী ছাড়া আর কোনো কিতাবের রেফারেন্স দিও না।
  • Abhyu | 97.81.75.25 | ০৪ জুলাই ২০০৭ ২৩:৩২390138
  • dd,

    হাতের কাছে রচনাবলী নেই - তাই অন্য একটা বই থেকে টুকছি ..."স্বামীজীর ইংরেজী গ্রন্থাবলীর অষ্টম খণ্ডে "হিন্দুগণ ও খ্রীষ্টানগণ" নামে মুদ্রিত হইয়াছে...

    "যদি গোটা ভারত উঠিয়া দাঁড়ায় এবং ভারত মহাসাগরের নীচে যত কাদা আছে সব তুলিয়া লইয়া পাশ্চাত্য দেশগুলির দিকে ছুঁড়িয়া মারে, তাহা হইলেও আপনারা আমাদের বিরুদ্ধে যাহা করিতেছেন, তাহার অতি সামান্য প্রতিশোধও হইবে না।'

    আরো কোথাও মনে হচ্ছে পড়েছিলাম যে অন্তত: পাশ্চাত্যে স্বামীজী ব্রিটিশদের উপরে বেশ খড়্‌গহস্ত ছিলেন। কোনো একটা বক্ততা দেওয়ার সময় উনি একজনকে জাস্ট কাঁদিয়ে ছাড়েন তাঁর স্বজাতির দুষ্ক্রিতির কথা বলে।
  • S | 122.162.83.166 | ০৪ জুলাই ২০০৭ ২৩:৪০390139
  • সত্যাসত্য জানি না।

    থার্ড ক্লাসে ট্রেনে যাচ্ছিলেন লরেনবাবু। তখন তিনি পুরোদস্তুর সন্নিসি হয়ে গেছেন। এক ইংরেজ চেকার এল। কোণে বসা এক বাঙালির কাছে টিকিট দেখতে চাইল, 'টুমহারা টিকিট কাঁহা হ্যায়' বলে।

    লরেনবাবু গর্জে উঠলেন, 'হিন্দি বলতে শেখো নি, নালায়েক? ভদ্রলোককে 'তুম' নয়, বলো 'আপ'।

    ব্রিটিশ চেকার আমতা আমতা করে নিজ ল্যাঙ্গুয়েজে ফিরলেন, 'sorry, I was just asking this man ...'

    লরেনবাবু আবার ধেপে দিলেন, 'you don't even know your own language. 'This man' নয়, বলো 'This gentleman'।
  • `' | 10.153.103.97, 10.150.50.89, 10.150.50.89 | ০৫ জুলাই ২০০৭ ১৬:১৯390140
  • এটা অসাধারন চলছে। কিন্তু দুগ্গা-টুনটুনি ব্যাপারটা একটু কিলিয়ার করে দিয়ে আবার লেগে পড়লে হতো না?
  • `' | 10.153.103.97, 10.150.50.89, 10.150.50.89 | ০৫ জুলাই ২০০৭ ১৬:৩৩390141
  • এইমাত্র খালের ওপার থেকে আরো একজন ছ্যারিটেবল মানুষকে আমাদের সাথে পেলাম।:)
  • `' | 10.153.103.97, 10.150.50.89, 10.150.50.89 | ০৫ জুলাই ২০০৭ ১৬:৩৪390142
  • ধুউউস, ছরি। :(
  • dd | 202.122.20.242 | ০৫ জুলাই ২০০৭ ২০:৩০390143
  • অভ্যু
    হিন্দুগন ও খ্রীষ্টানগন নামের প্রবন্ধে ভারত (=হিন্দু) ও পাশ্চাত্য(=খ্রীষ্টান)যা বলা হয়েছে সেটা আদৌ ব্রিটীশ বিরোধিতা নয়।

    তবে এ ব্যাপারে রংগনের উপরে কথা নেই। সেই সময়ে ভারতচেতনাই তো শৈশবে , ব্রিটীশ বিরোধিতার আইডিয়া দানা বাঁধতে আরো সময় লাগবে।

    S

    গল্পটা মনে হয় ঠিক নয়, কেন না সে সময়ে রেলগাড়ীর টিকিট চেকার খাস ইংরাজ ভাবতে কষ্ট হয়। টেনেটুনে অ্যাঙ্গলো ইন্ডিয়ান হতে পারে।

    তবে এই তেজস্বিতা সে সময়কার লোকেদের মধ্যে সুলভ ছিলো। বিদ্যেসাগর হেকে শুরু করে স্যার আশুতোষ - সাহসে কেউ কমতি নয়। যদিও এদের একজনও ব্রিটীশ রাজ শক্তির বিরোধী ছিলেন না (বরম সমর্থক ছিলেন) কিন্তু সাহসেও আত্মপ্রত্যয়ের কমতি ছিলো না।

    এ থীমের উপর ভয়ানক ভালো বই পড়ো - ওঁরা আর এরা, দীপেন্দু চক্রবর্ত্তির, অনুষ্টুপের।
  • ranjan roy | 122.168.68.178 | ০৭ জুলাই ২০০৭ ২১:২৫390144
  • DD
    অশ্বমেধ-রাজ্‌পুরোহিত-মিসিং লিন্‌ক
    ---------------------------------
    কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক ধর্মতঙ্কেÄর প্রয়াত অধ্যাপক ড: নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের লেখা " Social Basis of some AncienT Rituals of Upanishhad" বা এমনি কোন নামের বইটিতে (সম্ভবত: ১৯৭৬ সালে প্রকাশিত) এ নিয়ে
    বিস্তৃত আলোচনা আছে।
    ঘরের কোন কোনায় পড়ে আছে- আলসেমি লাগছে।
    যদ্দুর মনে আছে অশ্বমেধ, পুত্রেষ্টি সবকটা যজ্ঞই fertility rites এর variation এমনি কিছু বলা আছে। তাতে সমস্ত বেদের যে আলাদা ঋষি, অর্থাৎ, হোতা, উদ্‌গাতা বা অধর্যু- এরা যজ্ঞ সমাপনে অন্য মহিষীদের সঙ্গে রমণ করবেন আর প্রধান পুরোহিত রাজমহিষীর সঙ্গে।
    অশ্বমেধে নিহত ঘোড়াটির লিঙ্গ-চর্বি এগুলো মহিষীদের গায়ে মাখিয়ে দেয়া হয়। এবং ঘোড়ার সঙ্গে রমণের প্যান্টোমাইম করতে হয়। তিরিশ বছর আগে পড়া, ডিটেলে ভুল হতে পারে, কিন্তু সারমর্ম এই। বিবেকানন্দের বিতৃষ্ণার কারণ স্পষ্ট।
  • dd | 202.122.20.242 | ০৭ জুলাই ২০০৭ ২২:১৫390146
  • থ্যাংক ইউ রঞ্জন
    অশ্বমেধ যজ্ঞের ঘোড়া ও রাজমহিষীর কথা অনেক অনেক প্রবন্ধে ও রচনায় এসেছে। বেদ অভ্রান্ত ও ঈশ্বরের বানী - এ কথা যারা বলেন তাঁদের পক্ষে যথেষ্ট এমবেরাসিং। অথচ এটার রেফারেন্স আর খুঁজে পাচ্ছিলাম না।

    বইটা খুঁজে পেলে একটু টুকে দেবেন ?

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ প্রতিক্রিয়া দিন