এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বুড়োদের কতা

    hutum
    অন্যান্য | ১১ জুন ২০০৭ | ৯৮১৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • PM | 115.87.201.25 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৩:০৬390011
  • হুতুম-কেও চাই। অসাধারন লিখছিলেন। হুতুম কোথায়????
  • saikat | 202.54.74.119 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৫:২৬390012
  • সুমিত সরকারের বইটিও ভাল।

    - কলিযুগে চাকুরী না করে উপায় নেই। ঘড়ি বাঁধা সেই চাকুরী বড়ই ক্লান্তিকর। ভগবানকে ডাকব তার উপায় কোথা? ঠাকুর বললেন, কিছুটির দরকার নেই, ভক্তি-ই সব। উটি থাকলেই সব হবে।

    - তারপরে লাটু মহারাজ । ইনিই তো ঠাকুরের দেহাতি "চাকর' ছিলেন, যে ছোটবেলায় গ্রাম থেকে এসে ঠাকুরের এক শিষ্যর বাড়ীতে থাকত। পরে ঠাকুরের কাছে এল। আর ঠাকুর মারা যাওয়ার পরে শিষ্যদের মধ্যে একমাত্র এই তো ঠাকুরকে নিয়ে বেলুড় মঠ-টঠ করা, এক্‌দম পছন্দ করেনি। এ সব থেকে দূরে চলে গেছিল।

    - আর তারপর ভগিনী নিবেদিতাকে (?) বিবেকানন্দ চিঠিতে যা লিখলেন। অত তেজ, অত কাজ, অত কথা বড় ভার হয়ে যাচ্ছে যেন। ইচ্ছে করে সব ছেড়েছুড়ে দিয়ে আগের মতো আনন্দে থাকবেন, কুকুর-বেড়াল সঙ্গী হবে, তাদের নিয়ে খেলা করবেন, আগে যেমন করতেন।
  • Kartuj | 125.20.3.146 | ২৬ অক্টোবর ২০১০ ১৩:২৭390013
  • ঊনিশ শতকের কথা এমন সরস প্রাঞ্জল ভাষায় মনোগ্রাহী করে লেখা, খুব ভালো লাগছিল। আরেট্টু কি পাওয়া যাবে না?

    আমি মুগ্‌ধ, চলে গেছো, ফিরে এসো ফিরে এসো র-দা ...
  • Samik | 122.162.75.205 | ২৪ নভেম্বর ২০১০ ০১:১৯390014
  • আশায় বাঁচে চাষা ...

    তুলে দিলাম।
  • Shibanshu | 59.93.52.175 | ২৪ নভেম্বর ২০১০ ১১:৪৪390015
  • আগ্রহীজন বিপিন বিহারী গুপ্তের 'পুরাতন প্রসঙ্গ' ও 'বিবিধ প্রসঙ্গ' একটু নেড়ে চেড়ে দেখতে পারেন।

    'রামকৃষ্ণ সাম্রাজ্য' শুনে মনে পড়লো বাবার কাছে শোনা একটি ঘটনা। তিনি যখন বেলুড়ে ছাত্র ছিলেন, সাংস্কৃতিক সমিতির কর্ণধার হিসেবে বিনয় সরকার মশায়কে ডেকে এনেছিলেন একটি অনুষ্ঠানে নিজের কথা বলতে। মহারাজরা মোটেই প্রসন্ন ছিলেন না এই বক্তা নির্বাচনে, তবে কোনও সক্রিয় প্রতিরোধ করেননি। বক্তৃতা প্রসঙ্গে সরকারমশায় শ্রোতামন্ডলীর সামনে বসে থাকা গৈরিকধারীদের দেখিয়ে ছাত্রদের বললেন এখানে স্বামীজি আর বাবাজি দুইই আছে। তোমাদের সাবধান হয়ে শুধু স্বামীজিদেরই বেছে নিতে হবে। মহারাজদের মধ্যে অতি প্রকট অস্বস্তি লক্ষ্য করে বাবাদের হস্টেলের ওয়ার্ডেন স্বামী তেজসানন্দ হঠাৎ দাঁড়িয়ে উঠে সতীর্থদের বললেন, ' পাগল, পাগল...!!!'

    রামকৃষ্ণ পরমহংসের দুর্ভাগ্য যে অতিনিবেদিত ভক্ত ব্যতিরেকে কোনও সমর্থ ব্যক্তি ভিন্ন পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর মূল্যায়ণ করতে এগিয়ে আসেননি। হতে পারে সেই মূল্যায়নেও তিনি সম্মানসহ উত্তীর্ণ হতেন। কিন্তু কেন কেউ এগিয়ে আসেননি, আমার একটু রহস্যবোধ হয়। হতে পারে নরেন্দ্র নাথ দত্ত নামের যে দুর্ভেদ্য দুর্গের আড়ালে রামকৃষ্ণের বাস, সেখানে অল্পপ্রাণ বাঙালি বুদ্ধিমান লোকেরা অভিযান করতে সাহস করেনি।
  • dukhe | 122.160.114.85 | ২৪ নভেম্বর ২০১০ ১৬:১৭390016
  • এট্টু কিলিয়ার করুন । স্বয়ং নরেন দত্তও অতিনিবেদিত ভক্ত হিসেবে রামকৃষ্ণের কাছে হাজির হননি । নিজের মত মূল্যায়ন করেই অতিনিবেদিত হয়েছেন ।
  • Baijayanta | 14.96.39.220 | ২৪ নভেম্বর ২০১০ ১৯:১৩390017
  • ভিন্নপরিসরে রামকৃষ্ণদেবের মূল্যায়ন একেবারেই হয় নি তাও নয়। সাম্প্রতিক বইয়ের মধ্যে মনে পড়ছে সুমিত সরকারের "কলিযুগ, চাকরি, ভক্তি:রামকৃষ্ণ ও তাঁর সময়"- ঊনবিংশ শতকের বাঙালী মধ্যবিত্ত সমাজের ইতিহাসের প্রেক্ষিতে রামকৃষ্ণদেবের পুনর্মূল্যায়ন। সাব-অল্টার্ন স্টাডিজের সপ্তম সংখ্যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের "A Religion of Urban Domesticity: Sri Ramakrishna and the Calcutta Middle Class" মূলত: কথামৃতের টেক্সটের খুঁটিনাটির বিশ্লেষণের মাধ্যমে রামকৃষ্ণদেবকে ফিরে দেখা। অবশ্য উল্লেখ্য অমিয়প্রসাদ সেনের "Three Essays on Sri Ramakrishna and His Times". মনে পড়ছে সুধীর কক্করের "The Analyst and The Mystic"- অতীন্দ্রিয়বাদের মনস্তঙ্কেÄর প্রেক্ষিতে রামকৃষ্ণের জীবন। ঠিক বিশ্লেষণ না হলেও আরও একটু পুরোনো সময়ে সজনীকান্ত ও ব্রজেন্দ্রনাথের ""সমসাময়িক দৃষ্টিতে শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস" উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক ডকুমেন্টেশন।
  • Shibanshu | 117.195.135.3 | ২৪ নভেম্বর ২০১০ ২৩:৫১390018
  • ধন্যবাদ বৈজয়ন্ত, সুমিত সরকার ও পার্থ চট্টোর লেখা দুটো এখনও আমার পড়া হয়নি। জোগাড় করতে হবে।
  • Shibanshu | 59.96.103.54 | ২৫ নভেম্বর ২০১০ ১২:০৭390019
  • দুখে,
    যদিও তিনি নরেন দত্ত, তবু তিনি সেই সময় ছিলেন জীবনের চূড়ান্ত ঐহিক-আত্মিক সংকটের মধ্যে দিয়ে পেরোতে থাকা একজন টিনএজার। আশ্রয় খুঁজছিলেন আকূল হয়ে। 'আপনি কি ভগবানকে দেখেছেন?' এই প্রশ্ন নিয়ে দেবেন্দ্রনাথ, কেশবচন্দ্র, আরও কারুর কাছে । তাঁদের 'হ্যাঁ' বলার আত্মবিশ্বাস ছিলোনা, যেটা ছিলো ঐ দক্ষিণেশ্বরের ব্রাহ্মণের। নরেন সংশয়ী ছিলেন, অধ্যাত্ম অবিশ্বাসী ছিলেন না। তাঁকে 'অনিবেদিত' বলাটা হয়তো সমীচীন হবেনা।
  • dukhe | 122.160.114.85 | ২৫ নভেম্বর ২০১০ ১৬:৫২390021
  • ওক্কে । আমি অতিনিবেদিত বলতে 'রামকৃষ্ণে অতিনিবেদিত' বুঝেছিলাম । আপনি বোধহয় বলছেন 'অধ্যাত্ম-জিজ্ঞাসু' ।
  • vikram | 143.239.7.3 | ২৬ নভেম্বর ২০১০ ১৪:৫৫390022
  • আধ্যাত্ম জিজ্ঞাসু
    ধাসু মাল ধাসু
    মুসু মুসু হাসি
    যেন কুসুমাসা
    আমি খাসামাসু
    ইউ মা লাই লাই

  • kd | 59.93.177.18 | ২৬ নভেম্বর ২০১০ ২৩:৫৬390023
  • এতো এতো হস্‌সউ, তাও একটাও হিসু, হাদু, পাদু নেই!!!

    যাক্‌, শেষ পর্যন্ত ভিকিটাও বড় হয়ে গেলো রে!
  • Abhyu | 97.81.103.39 | ০৫ এপ্রিল ২০১১ ০৭:০৯390025
  • তবে এটা ঠিকই যে বিবেকানন্দ ও রবীন্দ্রনাথের পারস্পরিক সম্পর্ক খানিকটা শীতল ছিল। কিন্তু শঙ্করীপ্রসাদ বসুর লেখা পড়লে একটা ধারণা হয় যে রবীন্দ্রনাথ একেবারেই বিবেকানন্দ গ্রুপকে দেখতে পারতেন না (কালী পূজা সংক্রান্ত ব্যাপারে)। ওদিকে বিবেকানন্দও যে ঠাকুর পরিবারকে ছেড়ে কথা বলেন নি সেটাও আমাদের জানা।
  • বলরাম হাড়ি | 223.210.236.146 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ২২:৫৬390026
  • কি লিখবো? রবীন্দ্রনাথ-বিবেকানন্দ? অনেক কিছু লেখার আছে, আবার নেইও। এই মূহুর্তে আমার থিওরি হল বিবেকানন্দ দীর্ঘজীবী হলে রবীন্দ্রনাথ ও বিবেকানন্দর একধরনের সিন্থেসিসের সম্ভাবনা ছিল। বিবেকানন্দ নিজের স্ববিরোধগুলোর মূল্যায়ন করে একটু থিতু হবার সময় পেতেন, রবীন্দ্রনাথও ব্রাহ্মদের প্রতি একদেশদর্শিতা থেকে কিছুটা মুক্ত হতেন। কিন্তু বিবেকানন্দ তো মরবেন বলে প্রায় কোমর বেঁধে নিজেকে তৈরি করলেন। অগত্যা!
  • de | 130.62.167.152 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ২৩:০৮390027
  • লিখুন না -- এই থিওরির সাপোর্টে লিখুন -- কাল্পনিক সিন্থেসিস অব আইডিয়াজ হলেই বা কেমন দাঁড়াতো -- তাই লিখুন!
  • Abhyu | 107.81.103.172 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ২৩:১২390028
  • লিখুন, যা মনে চায় লিখুন। যেভাবে শুরু করেছিলেন সেই লাইনেও লিখতে পারেন। মানে সেই সময়ের ছবি একটা আর তার সঙ্গে নিজের ভাবনা মিশিয়ে।
  • বলরাম হাড়ি | 223.210.236.146 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ২৩:৪৬390029
  • দেখুন দুজনেই তো দর্জিপাড়া সিমলেপাড়ার ছেলে। নরেন দত্ত সত্যি সত্যিই সেই ট্র্যাডিশন রক্ষা করত। এলাকার ছেলেপিলে জুটিয়ে বিভিন্ন রংতামাশা ও বাওয়ালির হিড়িকের নেতা ছিল নরেন। মধ্যবিত্ত বাড়ির বড়ো ছেলে, সে যুগের তুলনায় ভাইবোনের সংখ্যা কমই বলা চলে। বাবা বেশ অমিতব্যয়ী, খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে ঝোঁক, ধর্মের দিক থেকে লিবারাল। সবাই মিলে রায়পুরে বেড়াতে যাচ্ছে, ভাইরা নিজেদের মধ্যে খুনসুটি দুষ্টুমি করছে- যাকে বলে সুখী পরিবার। অন্যদিকে রবি জন্মাল রাজার মহলে। চাকরবাকরের কাছে মানুষ। মায়ের যদিও কখনও সখনও দেখা পায়, বাবা দূরের দেবতা। বাড়ি এলে সারা বাড়ি তটস্থ। বাবা হলেন সেযুগের এক নম্বর বিদ্বজ্জন, তায় আবার মিলিয়নেয়ার। নরেনকে দেখি বাবার সঙ্গে তর্কবিতর্ক করছে, রবির মনে হয় না আজীবন সেই সাহস জন্মেছিল। যেটুকু জানা যায় ছোটো রবি লাজুক, অন্তর্মুখী এক বালক, অন্যদিকে নরেন পাড়ার ছেলেদের সর্দার। একটা মিল ছিল- গানের ব্যাপারে। দুজনেই আজীবন গানকে আশ্রয় করে থেকেছেন। রবীন্দ্রনাথের ব্যাপার সবারই জানা। প্রাপ্তবয়স্ক বিবেকানন্দর কাছেও গান ছিল সাধনাস্বরূপ। তানপুরো বাঁধার সময়, পাখোয়াজের স্কেল মেলানোর সময় একটু এদিক ওদিক হলে প্রচণ্ড খেপে যেতেন। মিশন তৈরি করার পরে সন্ন্যাসীদের কোর্সে গানকে কম্পালসরি করে দিলেন। "সঙ্গীতকল্পতরুর" ভূমিকা পড়লে ভদ্রলোকের সাঙ্গীতিক বোধের কিছুটা ঠাহর পাওয়া যায়।

    তাই যৌবনে দুজনের যেটুকু যোগসূত্রের হদিশ পাওয়া গেল তা ঐ গানেরই সূত্রে।
  • Abhyu | 107.81.103.172 | ৩১ আগস্ট ২০১২ ২৩:৫৮390030
  • হ্যাঁ নরেন তো বেশ কিছু রবিবাবুর গান গেয়েওছিলেন। (অনেক দিন আগে মিশনের একটা ক্যাসেট পাওয়া যেত, বিবেকানন্দের গাওয়া রবীন্দ্রসঙ্গীত।) রবিবাবু সে গান শুনেও ছিলেন, অন্ততঃ সেই সময় বলে বইটাতে সেই রকম কিছু পড়েছিলাম বলে মনে পড়ছে।
  • বলরাম হাড়ি | 223.210.236.146 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০০:২৫390032
  • দুজনের ছেলেবেলার এই কন্ট্রাস্টটা বেশ টানে। নরেন মা-অন্ত প্রাণ, বড়ো বয়সেও দিদিমার কাছে গিয়ে ডাঁটাচচ্চড়ি (?) খাওয়ার বায়না করেন, কাকা-কাকিমারাও পাশে আছেন যারা পরে মামলায় মামলায় প্রাণ জেরবার করে দেবেন। রবীন্দ্রনাথ জম্‌জমাট অন্দরমহলেও প্রায় একা বাড়েন, মা-কে প্রায় পান নি, বাবার সাহচর্য পেয়েছেন কিন্তু সে অনেকটাই শ্রদ্ধা ও সম্ভ্রমমিশ্রিত। রবীন্দ্রনাথ সত্যিকারের সহচর ও সহচরী পেলেন জ্যোতিদাদা-নতুন বৌঠানের মধ্যে। রবি তার উপর ইস্কুল কালেজ ত্যাগ করেছিলেন। নরেন অন্যান্য মধ্যবিত্ত ছেলেদের মতো কেতাবী পড়াশুনো চালাচ্ছিলেন। কাজেই নরেনের এই সময়ে কখনই সহচরের অভাব হয় নি।

    যৌবনের একধরনের সর্বজনীনতা থাকে। যুগের ঝোঁকটাকে চিহ্নিত করে দেয়। কাজেই দুজনে কাছে এলেন গান ও ব্রাহ্মসমাজের দৌলতে। আমাদের বাপকাকারা যৌবনে বামপন্থী হতেন, তাদের বাপদাদারা কংগ্রেসি আর ওনাদের কালে প্রগতিশীল লোকজন সবাই ব্রাহ্ম হতেন। তবে রবি ব্রাহ্মদের ভিতরমহলের লোক, নরেন্দ্র কিছুটা বহিরাগত। বিয়েবাড়িতে রবি গান শেখাচ্ছেন, নরেন্দ্র গানের দলে রবির কাছে গান শিখছেন। আরও তফাৎ আছে। রবির ব্রাহ্মভাব আমাদের বামপন্থার মতো- পারিবারিক উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া। নরেন্দ্রর কাছে এটা ট্রায়াল এন্ড এররের একটা ধাপ।
  • বলরাম হাড়ি | 223.210.236.146 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০০:৩৯390033
  • এই ট্রায়াল এন্ড এরর কিসের জন্য? এখানেই আস্তে আস্তে দুজনের কক্ষপথ আলাদা হতে থাকে। রবি প্রথম থেকেই সাহিত্যিক হবার চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন। কেউ বিশেষ পাত্তা দিত না, বঙ্কিম কিছুটা প্যাট্রনাইজিং সুরে বা বা ছেলেটা বেড়ে লিখছে তো বলে কাটিয়ে দিচ্ছেন। উৎসাহ বলতে দাদা বৌদি ও অন্তরঙ্গ সামান্য ক`জন। কিন্তু ঠাকুরবাড়ির ছত্রছায়ায় থাকা রবির নিজস্ব আত্মপরিচয় নিয়ে যতটা ব্যাকুলতা, বৃহত্তর পরিচয় নিয়ে ততটা চ্যালেঞ্জ নেই। অথচ সাধারণ বাড়ির ছেলেপুলেরা প্রতিদিন রাস্তাঘাটে শুনছে পাদ্রীরা ভারতীয়্দের নিয়ম করে খিস্তিখাস্তা করে। বেদ উপনিষদ তো দূরস্থান, বাংলায় লেখাপড়া করাটাই একধরনের লজ্জাজনক ব্যাপার। কিছু শিক্ষিত বাঙালী ধর্মসংস্কারকে নিজেদের পরিচয়ের শস্ত্র হিসেবে বেছে নিলেন। ধর্ম ও ঈশ্বর নিয়ে মাতামাতি সেযুগে নিজের শিকড়ের কাছে ফিরে যাওয়ার অন্যতম উপায় ছিল। নরেন্দ্রর ট্রায়াল এন্ড এরর ছিল এই আত্মপরিচয়ের জিজ্ঞাসা।
  • বলরাম হাড়ি | 223.210.236.146 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০০:৫৫390034
  • রবীন্দ্রবাবুও এই তালাশ চালাচ্ছেন, তবে তা বাংলা ভাষার মধ্য দিয়ে। নরেন্দ্রবাবুর খোঁজ ধর্ম ও দর্শনে। কাজেই "আপনি ঈশ্বরকে দেখেছেন" সে যুগের ধর্মীয় স্টেটাস কো-র প্রতি একধরনের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া। যদি ভগবান নাই দেখে থাকো, তাহলে ভগবান নিয়ে এত বক্কাবাজি কেন? তার উপর নরেন্দ্রবাবু অসম্ভব তার্কিক। ব্রজেন শীলের মতো পণ্ডিত মানুষ হলেন সহপাঠী। প্রথম যৌবনে রবীন্দ্রবাবু যেমন পত্রিকার পাতায় পাতায় সাহিত্য নিয়ে জ্বালাময়ী লেখায় সব ফর্দাফাঁই করার চেষ্টা করছেন, নরেন্দ্রবাবুও ধর্ম নিয়ে জিজ্ঞাসা প্রতিজিজ্ঞাসায় নিজেকে ও অন্যদের বিব্রত করে তুলছেন। এমন সময়ে রঙ্গমঞ্চে ঢুকলেন অত্যন্ত সাদাসিধে রসিক গ্রাম্য ব্রাহ্মণটি। এর পরে কি হল কেন হল তার অনেকটাই স্পেকুলেশননির্ভর তবে রবীন্দ্রবাবু ও নরেন্দ্রবাবুর কক্ষপথ মোটামুটি পাকাপাকিভাবে আলাদা হয়ে গেল।
  • বলরাম হাড়ি | 223.210.236.146 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০১:১৭390035
  • ব্রাহ্মরা অত্যন্ত প্রগতিশীল যেমন ছিলেন তেমনি আবার বেশ ঝগড়ুটে এবং ক্ল্যানিশও ছিলেন। প্রগতিশীল বাঙালীদের কলহপ্রবণতা ও দলবাজির কিছুটা দায় হয়তো ব্রাহ্মদের উপরও বর্তায়। তখন একদিকে ব্রাহ্মরা ও অন্যদিকে রক্ষণশীল হিন্দু সমাজপতি- মেইনস্ট্রিম দল বলতে এই দুই। দুই দলের মধ্যে যদিও অবরেসবরে ভাবভালোবাসাও ছিল। সচেতনভাবে না হলেও রামকৃষ্ণ নিজের অজান্তেই একটা তৃতীয় সূত্রের প্রবর্তন করলেন। যথারীতি প্রচুর উইকেট পড়ল। প্রথম উইকেট ছিলেন কেশব সেন যাঁর সূত্রে রামকৃষ্ণ ব্রাহ্মদের প্রায় অন্দরমহলে ঢুকে পড়েন আর কি। নরেন্দ্রর মতো বহু পড়াশুনায় ভালো শিক্ষিত যুবক দক্ষিণেশ্বরে যেতে শুরু করল। দুই মেইনস্ট্রিম দলের কেউই এটা ভালো চোখে দেখে নি। কিন্তু কেন কেশব সেন বা নরেন্দ্রর মতো ধীমান মানুষ বা পরবর্তীকালে মহেন সরকার বা গিরিশ ঘোষের মতো প্রবল জাঁহাবাজ মানুষরা রামকৃষ্ণকে বিপুল শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় বরণ করলেন সেটা নিয়ে এই সময়ে স্রেফ স্পেকুলেশন করা যেতে পারে।
  • বলরাম হাড়ি | 223.210.236.146 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০১:৩১390036
  • ১১৮৪ সাল খুব গুরুত্বপূর্ণ। তিনজন মারা গেলেন যাঁর মধ্যে সেলিব্রিটি হলেন কেশব সেন। কিন্তু বাকি দুজনের মৃত্যু রবীন্দ্রনাথ ও নরেন্দ্রর কাছে অনেক বেশি ট্রমাটিক- রবীন্দ্রনাথের নতুন বৌঠান কাদম্বরী দেবী ও নরেন্দ্রর পিতা বিশ্বনাথ দত্ত। দুটি মৃত্যুই অত্যন্ত আকস্মিক, এবং একুশ বাইশ বছরের এই দুই যুবকের জীবনে গভীরতম ট্রমার সঙ্গে এই প্রথম সাক্ষাৎ।
  • বলরাম হাড়ি | 223.210.236.146 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০১:৩৪390037
  • *১৮৮৪
  • Abhyu | 138.192.7.51 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০১:৪৩390038
  • পড়ছি। লিখুন।
  • aranya | 78.38.243.161 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৭:৩৫390039
  • ভাল লাগছে।
  • siki | 96.98.43.85 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৫:১২390040
  • অপূর্ব। অপূর্ব।
  • dukhe | 127.194.248.191 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২০:৪১390041
  • কিন্তু এত স্পেকুলেশনের কী আছে? নরেন কেন রামকৃষ্ণের চেলা হলেন সে তো হাজারবার বলে গেছেন।
  • de | 130.62.170.186 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২৩:৩৪390043
  • ভারি সুখপাঠ্য অ্যানালিসিস! মন দিয়ে পড়ছি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন