এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বুড়োদের কতা

    hutum
    অন্যান্য | ১১ জুন ২০০৭ | ৯৮৩৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • r | 61.95.167.91 | ০৯ জুলাই ২০০৭ ১২:০৫390147
  • দীপ্তেনদা, লিখতাসি। একটু কাজেকম্মে ব্যস্ত। :-)
  • r | 61.95.167.91 | ১০ জুলাই ২০০৭ ১২:২৮390148
  • বিবেকানন্দের বৃটিশবিরোধিতার সব থেকে উল্লেখযোগ্য নিদর্শন মেরি হেলকে লেখা এই চিঠিটি। চিঠিটি লেখা হয় ১৮৯৯ সালের ৩০শে অক্টোবর রিজলি ম্যানর থেকে।

    MY DEAR OPTIMIST,

    I received your letter and am thankful that something has come to force optimistic laissez faire into action. Your questions have tapped the very source of pessimism, however. British rule in modern India has only one redeeming feature, though unconscious; it has brought India out once more on the stage of the world; it has forced upon it the contact of the outside world. If it had been done with an eye to the good of the people concerned, as circumstances favoured Japan with, the results could have been more wonderful for India. No good can be done when the main idea is blood-sucking. On the whole the old regime was better for the people, as it did not take away everything they had, and there was some justice, some liberty.

    A few hundred, modernised, half-educated, and denationalised men are all the show of modern English India ? nothing else. The Hindus were 600 million in number according to Ferishta, the Mohammedan historian, in the 12th century ? now less than 200 million.

    In spite of the centuries of anarchy that reigned during the struggles of the English to conquer, the terrible massacre the English perpetrated in 1857 and 1858, and the still more terrible famines that have become the inevitable consequence of British rule (there never is a famine in a native state) and that take off millions, there has been a good increase of population, but not yet what it was when the country was entirely independent ? that is, before the Mohammedan rule. Indian labour and produce can support five times as many people as there are now in India with comfort, if the whole thing is not taken off from them.

    This is the state of things ? even education will no more be permitted to spread; freedom of the press stopped already, (of course we have been disarmed long ago), the bit of self-government granted to them for some years is being quickly taken off. We are watching what next! For writing a few words of innocent criticism, men are being hurried to transportation for life, others imprisoned without any trial; and nobody knows when his head will be off.

    There has been a reign of terror in India for some years. English soldiers are killing our men and outraging our women ? only to be sent home with passage and pension at our expense. We are in a terrible gloom ? where is the Lord? Mary, you can afford to be optimistic, can I? Suppose you simply publish this letter ? the law just passed in India will allow the English Government in India to drag me from here to India and kill me without trial. And I know all your Christian governments will only rejoice, because we are heathens. Shall I also go to sleep and become optimistic? Nero was the greatest optimistic person! They don't think it worth while to write these terrible things as news items even! If necessary, the news agent of Reuter gives the exactly opposite news fabricated to order! Heathen-murdering is only a legitimate pastime for the Christians! Your missionaries go to preach God and dare not speak a word of truth for fear of the English, who will kick them out the next day.

    All property and lands granted by the previous governments for supporting education have been swallowed up, and the present Government spends even less than Russia in education. And what education?

    The least show of originality is throttled. Mary, it is hopeless with us, unless there really is a God who is the father of all, who is not afraid of the strong to protect the weak, and who is not bribed by wealth. Is there such a God? Time will show.

    Well, I think I am coming to Chicago in a few weeks and talk of things fully! Don't quote your authority.

    With all love, ever your brother,

    VIVEKANANDA.

    PS. As for religious sects ? the Brahmo Samaj, the Arya Samaj, and other sects have been useless mixtures; they were only voices of apology to our English masters to allow us to live! We have started a new India ? a growth ? waiting to see what comes. We believe in new ideas only when the nation wants them, and what will be true for us. The test of truth for this Brahmo Samaj is "what our masters approve"; with us, what the Indian reasoning and experience approves. The struggle has begun ? not between the Brahmo Samaj and us, for they are gone already, but a harder, deeper, and more terrible one.


  • dd | 202.122.20.242 | ১০ জুলাই ২০০৭ ১৯:৫৯390149
  • ঠিক কথা। রংগন

    অমন আরেকটা চিঠি - ঐ মিস হেলকেই (১৭ জুন ০০) -অনুবাদে শোনো।

    " তুমি যদি মনে করে থাকো যে হিন্দুরা (জগদীশ চন্দ্র) বসুকে পরিত্যাগ করেচে,তা হলে সম্পুর্ন ভুল করেছো। ইংরেজ শাসকগন তাকে পরিত্যাগ করতে চায়। ভারতীয়দের মধ্যে ঐ ধরনের উন্নতি তারা কোনোমতেই চায় না। "

    তবে পার্সোনাল চিঠিগুলিতে ইংরাজের প্রসংশাও যথেষ্ট আছে। এবং কোনো রচনাতেই স্বাধীনতা নিয়ে কোনো কথা নেই (অন্তত: আমার চোখে পড়ে নি)।

    আর আরেকটা কথা - তুমি যে চিঠিটার কথা উল্লেখ করলে তাতে ইংরেজ আর খ্রীষ্টান আর ওদিকে ভারত ও হিন্দু - সব তালগোল পাকিয়ে গেছে। মনে হয় বিবেকানন্দের চোখে ইংরাজ রাজতন্ত্র আর খ্রীষ্টান শাসক সমার্থক ছিলো। মনে হয় তার বিশ্বাস ছিলো এটি হিন্দুদের উপর খ্রীষ্টান সাম্যাজ্যবাদ।
  • r | 61.95.167.91 | ১১ জুলাই ২০০৭ ১১:৫৮390150
  • মিশনারিদের প্রচার এবং জাতীয়তাবাদ নিয়ে দুই একটি কথা বলার ছিল। :-)

    দীপ্তেনদা ঠিক বলেছেন যে পাশ্চাত্য, খ্রিষ্টীয় মিশনারি সভ্যতা এবং বৃটিশ শাসন- এই তিন ক্যাটেগরি বিবেকানন্দ বহুক্ষেত্রে সমার্থকভাবে ধরে নিয়েছেন। আবার বহু ক্ষেত্রে ধরেনও নি। ধরা যাক "প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য" বইটি যেখানে বিবেকানন্দ প্রত্যেক পাশ্চাত্য সভ্যতা এবং সেই পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিস্তৃত বিশ্লেষণ করছেন। সেখানে কিন্তু ইংরেজ, জার্মান এবং ফরাসীরা পাশ্চাত্যের অংশ হলেও নিজস্ব বৈশিষ্ট্য নিয়ে দেখা দিচ্ছে। সেখানে বিবেকানন্দ ফরাসী সভ্যতা এবং প্যারিস শহরের গুণবর্ণনায় আপ্লুত। তাঁর মতে ইউরোপীয় সভ্যতার উৎকর্ষের চূড়ান্ত পর্যায় দেখতে হলে প্যারিসে যেতে হয়। প্যারিসের ইন্দ্রিয়াসক্তিও এই সন্ন্যাসীর প্রশংসার বিষয়। সাধে কি বাঙালী আঁতেলরা ফরাসী দেখে মুচ্ছো যায়! :-)

    কিন্তু যখন সেই রেফারেন্স ফ্রেমে ভারত এসে পড়েছে তখন বৃটিশ শাসন হল পাশ্চাত্যের প্রতিভূ। সেখানেও বিবেকানন্দ পাশ্চাত্য নিয়ে কি বলছেন তা নির্ভর করছে কার কাছে বলছেন তার উপরে। পাবলিক ফোরামে বিবেকানন্দ পাশ্চাত্য ও প্রাচ্যের তুলনামূলক আলোচনায় পাশ্চাত্যকে হেয় করছেন। আবার তিনিই ভারতীয় শিষ্যদের কাছে চিঠিপত্রে পাশ্চাত্যের গুণবর্ণনায় মুখর হয়ে উঠছেন। এই ধরনের ইনকনসিস্টেন্সি খুব একটা অপ্রত্যাশিত নয়, কারণ স্বেচ্ছায় বিবেকানন্দ প্রচারকের ভূমিকা নিয়েছেন, বিশ্লেষকের নয়। ঠিক একইভাবে বৃটিশ শাসনের প্রতিভূ হয়ে উঠছে মিশনারিরা, যাঁর একটা সুনির্দিষ্ট ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট রয়েছে।

    সিপাহী বিদ্রোহের কিছুদিন আগে পর্যন্ত বৃটিশরা পারতপক্ষে ভারতীয়দের সামাজিক ও ধর্মীয় জীবনে হস্তক্ষেপ করতে চাইত না। তাঁদের মূল আধিপত্যের জায়গা ছিল অর্থনীতি ও রাজনীতি। কিন্তু সিপাহী বিদ্রোহের পর থেকে সচেতনভাবে ব্রিটিশ শাসন "অশিক্ষিত ও অসংস্কৃত ভারতীয়দের" "আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক উন্নতির" ভার তুলে নিল। জেম্‌স্‌ মিল ছিলেন এই সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক সাম্রাজ্যবাদের একজন মৌলিক চিন্তানায়ক। তখন কলকাতার রাস্তার মোড়ে মোড়ে মিশনারিরা হিন্দুধর্মের নামে কুৎসা ছড়িয়ে ধর্মান্তরের চেষ্টা চালাত। মুসলমান ধর্মও এই কুৎসার হাত থেকে রক্ষা পায় নি, কিন্তু হিন্দুপ্রধান ভারতে মূল টার্গেট ছিল হিন্দুধর্ম। সেই সময়ে হিন্দুধর্মের অবস্থাও অতীব সঙ্গীন। মহেন্দ্রনাথ দত্ত বলছেন সে সময়ের বাঙালী উপনিষদ, বেদান্ত, এমন কি চৈতন্যচরিতামৃত পড়ত না, এবং এই সব বই পাওয়াও যেত না। নরেন দত্তও এর বাইরে নন। তাঁর প্রাথমিক দর্শনশিক্ষা হয়েছিল মিল, বেন্থাম, হিউম পড়ে। এদিকে মিশনারিদের এই কুৎসাও তাঁরা সহ্য করতে পারতেন না। মোটের উপর নব্যশিক্ষিত হিন্দু যুবকেরা আজকের ভাষায় "অস্তিত্বের সংকটে" ভুগতেন। এর পালটা হিসেবে তাঁরা জাতিসত্তা গঠনের বৌদ্ধিক চিন্তাভাবনা শুরু করলেন। উল্লেখযোগ্য বঙ্কিমচন্দ্রের সাথে রেভারেন্ড হেস্টি এবং কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তেজিত তর্ক। কাজেই জাতীয়তাবাদ গড়ে ওঠার এই প্রারম্ভিক মূহুর্তে বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদ ও মিশনারি প্রচার সমার্থক। রেফারেন্স ফ্রেমই হল ভারতীয়দের সামাজিক ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে বৃটিশদের অনভিপ্রেত হস্তক্ষেপ। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতার দাবী বিংশ শতাব্দীর গল্প।

    হিন্দুধর্ম এবং ভারতের গল্প পরে করছি।
  • Ishan | 130.36.62.141 | ১১ জুলাই ২০০৭ ২০:৩৩390151
  • একটা কথা বলার আছে। সাজেশন।

    গপ্পোটা এনজয় করছি। কিন্তু "বিবেকানন্দ কি জাতীয়তাবাদী ছিলেন?' এই জাতীয় প্রশ্নের দিকে না গিয়ে, জাতীয়য়তাবাদ বস্তুটা ঠিক কি ফর্মে গড়ে উঠল, বিবেকানন্দ কি ভাবে তার ইন্টারপ্রিটেশন করলেন, এই জিনিসগুলোকে ধরলে জিনিসটা ব্যাপক ইন্টারেস্টিং হবে।

    অর্থাৎ, মূল প্রশ্নটা হল ভারতীয় জাতীয়বাদ বস্তুটা কি, এবং কিভাবে গড়ে উঠল।
  • Abhyu | 97.81.75.25 | ১১ জুলাই ২০০৭ ২১:৫২390152
  • আরো একটা সাজেশন। একটা নতুন খুলে এই টইএর কিছু লেখা তাতে পাঠিয়ে দেওয়া যায়? অবশ্য লেখা মুভ করা না গেলে নতুন টই না খোলাই ভালো।
  • r | 61.95.167.91 | ১২ জুলাই ২০০৭ ১২:০৯390153
  • ঈশেনের সাজেশন মানতে গেলে অভ্যুর কথা মেনে নতুন সুতো খুলতে হবে। সে হবে খন। আপাতত: হিন্দুধর্ম ও ভারতের পুরোনো গপ্পে ফেরা যাক। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মত এই ক্ষেত্রেও বিবেকানন্দের লেখাপত্র বেশ জটিল এবং অনেক সময় ইনকন্সিস্টেন্ট। তাও যে কথাবার্তা বেরিয়ে আসে তা হল: একদিকে ইসলাম নিয়ে বিবেকানন্দ প্রশংসায় মুখর এবং অন্যদিকে বিবেকানন্দ মনে করেন ভারতবর্ষীয় মননের মূল স্রোত হল হিন্দুধর্ম। আজকের সেকুলার বহুত্ববাদের গল্প বিবেকানন্দতে পাওয়া যাবে না কারণ হিন্দু-মুসলিম রাজনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে তখনও এতটা বিপাকে পড়তে হয় নি। কিন্তু এই হিন্দুধর্ম কোন হিন্দুধর্ম? তার মূল বনেদ হল বেদান্ত যার বৌদ্ধিক অভ্যাস হিন্দুসমাজ থেকে তখন প্রায় অবলুপ্তপ্রায়। বিবেকানন্দের মতে ভারতের ইতিহাসের সব থেকে গৌরবোঙ্কÄল অধ্যায় হল বৌদ্ধযুগ ও মুঘলযুগ। অন্যদিকে হিন্দুরাজাদের রাজত্ব নিয়ে বিবেকানন্দ ব্যঙ্গবিদ্রুপে প্রখর। ভারতের নতুন সমাজ হিন্দুর মস্তিষ্ক ও ইসলামের দেহ নিয়ে গড়ে উঠবে এই বিখ্যাত উক্তির সাথে সবাই পরিচিত। তাঁর থেকে আরও উল্লেখযোগ্য হল বিবেকান্দ যখন খৃষ্টীয় এবং ইসলামী সভ্যতার তুলনামূলক আলোচনা করছেন। তাঁর মতে উভয় সভ্যতাই আগ্রাসী, কিন্তু যেখানে ইসলাম আগ্রাসনের পরে সেখানকার জনগণের মঙ্গলসাধনে রত হয়েছে, সেইখানে খৃষ্টীয় সভ্যতার আগ্রাসনের মধ্যে মঙ্গলজনক কিছুই দেখা যায় না। এখান থেকেই বিবেকানন্দ সোজা চলে যান প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের গল্পে এবং ইসলাম হয়ে দাঁড়ায় প্রাচ্যের সদ্‌গুণের প্রতিভূ। সুযোগ পেলে সেই লেখাটা তুলে দেব। ইসলামকে শ্রদ্ধার একটা ঐতিহাসিক প্রেক্ষিতও রয়েছে। বিবেকানন্দের বাবা ছিলেন সেইযুগের রীতি অনুসারে আরবী ও ফারসীতে সুপন্ডিত। শোনা যায় কোরান নিয়েও তাঁর পড়াশুনো ছিল। পড়ন্ত নবাবী সভ্যতার সাথে এই সব বাঙালী চাকুরীজীবী পরিবারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। এ ছাড়াও তখন বহিরাগত আগ্রাসনের মুখ হল বৃটিশ সরকার। ইসলামী সাম্রাজ্যের একে ভগ্নপ্রায় দশা, তার উপর দীর্ঘদিনের লেনদেনের মধ্যে দিয়ে সম্পর্কও অনেক সহজ হয়ে উঠেছে, বিশেষত: লিবেরল নাগরিক সমাজে। ইসলামী জাতীয়তাবাদ তখনও ভবিষ্যতের গর্ভে। মুসলিম মধ্যবিত্তসমাজ সেইভাবে গড়ে ওঠে নি। অতএব বিবেকানন্দের হিসেবে একদিকে হিন্দু, বৌদ্ধ ও ইসলাম এবং অন্যদিকে খৃষ্টীয় মিশনারি। তবে এক্ষেত্রে একটা কথা বলে নেওয়া ভালো। বিবেকানন্দ এবং তাঁর সম্প্রদায় খৃষ্টধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। আলমবাজার মঠে সন্ন্যাসযাপনের সময় তাঁদের পড়ার মূল খোরাক ছিল বাইবেল। বেলুড় মঠে বড়দিন পালন করা হত। তাঁর বহু লেখায় খৃষ্টভক্তির সরাসরি উল্লেখ রয়েছে। তিনি খৃষ্টধর্ম এবং খৃষ্টীয় সভ্যতাকে আলাদা করে নিয়েছিলেন এবং যাবতীয় তীব্র বাক্যবানের টার্গেট ছিল খৃষ্টীয় সভ্যতা। আরও একটি টার্গেট ছিল- প্রচলিত হিন্দুধর্ম। বৌদ্ধধর্ম এবং বুদ্ধ নিয়ে বিবেকানন্দ সবসময়ই আবেগাপ্লুত, ইসলামের সমালোচনাও ক্কচিৎ কদাচিৎ। তাঁর গুরু রামকৃষ্ণের কাছে এই তুলনামূলক ধর্মের দুনিয়া ছিল আরও অন্যরকম। বিবেকানন্দ যেখানে হিন্দুধর্ম (বিবেকানন্দের হিন্দুধর্ম)- বৌদ্ধ- ইসলাম- খৃষ্টের কথা বলছেন, সেখানে রামকৃষ্ণের কাছে দুনিয়াটা হল শাক্ত-বৈষ্ণব-বেদান্তিক-কর্তাভজা-ইসলাম-খৃষ্ট। যদিও রামকৃষ্ণের ইসলাম ও খৃষ্টীয় পথে সাধনার কথা শোনা যায়, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই দুই ধর্মমতের সাথে তাঁর পরিচয় ছিল যৎসামান্য। কিন্তু যাবতীয় শ্রদ্ধার পরেও বিবেকানন্দ যে ভারতবর্ষের কথা বারবার উচ্চারণ করেন তা হিন্দু ভারতবর্ষ।
  • shyamal | 24.117.80.201 | ১২ জুলাই ২০০৭ ১২:৪৮390154
  • ইসলাম সম্বন্ধে বিবেকানন্দের খুব উচ্চ ধারণা ছিলনা। সেটা ঠিক কি ভুল তা তর্কের বিষয়। জ্ঞানযোগে বলেছেন , There has not been a religion which has clung to dualism more intensely than that founded by the Prophet of Arabia and there has not been a religion which has shed more blood and been more cruel to others. In the Koran there is the doctrine that a man who does not believe its teachings should be killed --- it is merciful to kill him! And the surest way to get to heaven, where there are beautiful houris and all sorts of sense enjoyments, is to kill these unbelievers. Think of the bloodshed there has been in consequence of such beliefs!
    ( lecture in London, 1896 : Practical Vendanta)


  • `' | 10.153.103.97, 10.150.50.89, 10.150.50.89 | ১২ জুলাই ২০০৭ ১৩:৫৫390155
  • কর্তাভজা মানে কী?
  • r | 125.18.17.16 | ১২ জুলাই ২০০৭ ১৪:৩৪389955
  • বিক্ষিপ্ত উক্তিতে কিছুই প্রমাণ হয় না। এই বিক্ষিপ্ত উক্তি ব্যবহারের উল্লেখযোগ্য নিদর্শন হল একদিকে আর এস এস এবং অন্যদিকে সহমত দুইদলই যখন কিছু বিক্ষিপ্ত কোটেশন দিয়ে বিবেকানন্দকে নিজেদের দলে টানার চেষ্টা করে। বিবেকানন্দ হিন্দুত্ব বা বহুত্ববাদ- কিছুরই প্রবক্তা ছিলেন না। একটি নির্দিষ্ট সময়ের সামাজিক ও ধর্মীয় প্রেক্ষাপটের ফল হলেন বিবেকানন্দ এবং অন্যান্য ব্যক্তিত্ব। এই ধরনের বিক্ষিপ্ত উক্তি ব্যবহারের ফল কি হতে পারে তার একটি উদাহরণই যথেষ্ঠ। ধরা যাক বিবেকানন্দের এই কথা: "I see in my mind?s eye the future perfect India rising out of this chaos and strife, glorious and invincible, with Vedanta brain and Islam body." মৌলানা ওয়াহিদুদ্দিন খান এর ব্যাখ্যা করছেন: "To put it quite plainly, this would mean having a Hindu president and a Muslim prime minister for our great democratic system." বিবেকানন্দ এবং ইসলাম নিয়ে যদি একটু সিরিয়াসলি পড়াশুনার ইচ্ছা থাকে তাহলে দুটি বই পড়তে বলি- অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ছাপা তপন রায়চৌধুরীর Europe Reconsidered এবং অমিয় পি সেনের লেখা HINDU REVIVALISM IN BENGAL 1872-1905: Some Essays in Interpretation। নইলে পুরোটাই অন্ধের হস্তীদর্শন হয়ে যাবে।
  • r | 61.95.167.91 | ১২ জুলাই ২০০৭ ১৪:৪৮389956
  • বাংলাপিডিয়া থেকে টুকে দিলাম:

    Kartabhaja a minor, but for some time quite influential, cult originating from vaisnavism and sufism in the eighteenth century. The original guru of the Kartabhaja cult was awul chand (c 1694-1770 AD). It is not clear whether he was a Muslim or Hindu. His name 'Awul' (a branch of baul sufism) suggests that he was a Muslim. But he himself never made it clear whether he was a Muslim or Hindu.

    Awul's early life is obscure. According to legend, in the village of Ula in 24-Parganas, a new-born baby was found in a pan field, belonging to a man named Mahadev Barui. Mahadev Barui took the child home and raised it. When the boy grew up, he left home and became a wandering mendicant, coming to be known as Awul Chand.

    Awul called the supreme being Karta (not Isvar or Khuda). Music was his main form of worship. He called upon his followers to worship Karta. Accordingly, the sect was called Kartabhaja. The great majority of the followers of Awul Chand were Hindu, and they venerated him as an incarnation of Sri chaitanya. The sect does not recognise any differences between religions or the sexes

    The Kartabhaja sect became popular in Kolkata, 24-Parganas, sundarbans and sylhet. Joynarayan Ghoshal of Bhukailash (Kolkata)-a banian, a lyricist and a nouveau riche zamindar-was a follower of the Kartabhaja sect. So were the great Kaviyals of the time such as Andiram, Kanai Ghosh, Krishna Das, Nidhiram Ghosh, Panch Kari (Panchurui Das), and Manuhar Das.

    The cult flourished in the late eighteenth and early nineteenth centuries. However, in the early twentieth century its following declined under the impact of the Hindu and Muslim reformist movements. [Sirajul Islam]

  • shyamal | 24.117.80.201 | ১২ জুলাই ২০০৭ ১৬:২২389957
  • আমি স্বয়ং বিবেকানন্দের লেখা থেকে তুলে দিয়েছি। উনি কি বলেছেন সেটা জলের মত পরিষ্কার। তার জন্য অন্য লোকের বই কেন যে পড়তে যাব তা জানিনা। বিবেকানন্দের একটা লেখা দিয়েছি। কিন্তু আরো বহু জায়গায় তিনি ইসলামের সমালোচনা করেছেন। সেটা বোঝার জন্য রকেট সায়েন্টিস্ট হওয়ার দরকার নেই।
  • r | 61.95.167.91 | ১২ জুলাই ২০০৭ ১৬:৩৩389958
  • পড়ার দরকার কারণ সেই সময়টাকে বুঝতে হয়। যেটাকে পন্ডিতেরা কনটেক্সট বলেন। নইলে সবই মুক্ত বাজারের শ্রেষ্ঠত্বের মত আপ্তবাক্য হয়ে যায়। নইলে ইংরিজিতে লেখা সহজ ইতিহাসের বই রকেট সায়েন্স মনে হয়।
  • `' | 10.153.103.97, 10.150.50.89, 10.150.50.89 | ১২ জুলাই ২০০৭ ১৬:৫৮389959
  • কন্টেক্সট বোঝা দরকার। সেই সময় কে বুঝতে গেলে জানা দরকার ল্যাজা মুড়ো, দুটো ই। খাঁটি কথা, না হলে চটজলদি সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাওয়া হয় ভুল করে।

    কিন্তু আমার প্রশ্ন অন্য জায়গায়, বিবেকানন্দ বা আর কেউ এরকম পরস্পরবিরোধী মন্তব্য একেক জায়গায় করেন কেন? কোনো সাংগঠনিক ধাপ্পাবাজির মতো কি ব্যাপারটা? যদি ইসলামে ত্রুটি আছে বলে মনে করেন তো সেই ধর্মকেই আবার ভারতের দেহ বানাতে আগ্রহটা কি আসলে দ্বিজাতিদ্বেষপূর্ণ ভারতের মুখে সাময়িক চুশিকাঠি পোরার জন্য? দেহে যদি এতো পুঁজ রক্ত, তা মাথায় ছড়াতে কতক্ষন? নাকি, সত্যও স্থান কাল নির্ভর জাতীয় বক্তব্য এটা?
  • r | 61.95.167.91 | ১২ জুলাই ২০০৭ ১৭:০৫389960
  • কিন্তু বিবেকানন্দের ভারতবর্ষ হিন্দু ভারতবর্ষ। তার অন্যতম কারণ বিবেকানন্দের লক্ষ্য হল সমাজ এবং সংস্কৃতি, এবং তাঁর মতে এই সমাজের মৌলিক দিক হল আধ্যাত্মিকতা যা সম্পূর্ণভাবে হিন্দু আধ্যাত্মিকতা। সমাজের বাহ্যিক সংগঠনের দিক থেকে বিবেকানন্দ ইসলাম বা পাশ্চাত্যের অনুরাগী। তাই বিবেকানন্দ বারবার "ভারতবর্ষের আত্মার" কথা বলবেন এবং তাঁর মতে এই আত্মা সম্পূর্ণত: হিন্দু আত্মা। সেই সময়ের নিরিখে বিবেকানন্দের দুটি প্রায়োরিটি- এক, পাশ্চাত্যের কাছে প্রাচ্যের গৌরবকে তুলে ধরা এবং দুই, নিজের দেশে নতুন সমাজের গঠন। প্রথম কাজের ক্ষেত্রে তাঁর সহায়ক হিন্দু শাস্ত্র বিশেষত: সেইসময়ের ওরিয়েন্টালিস্ট পন্ডিতদের বাড়বাড়ন্তের পরিপ্রেক্ষিতে। সেই সময়ে প্রায় কোনো বাঙালী হিন্দু বুদ্ধিজীবী মুসলমান সমাজের হালচাল ভাবনাচিন্তার সাথে পরিচিত নন। সেযুগের কলকাতার সেন্সাসে দেখা যাবে মুসলিম জনসংখ্যার প্রায় পুরোটাই মধ্য কলকাতার বস্তিবাসী যাঁদের সাথে হিন্দু মধ্যবিত্তদের সামাজিক সংযোগ ন্যূনতম। হিন্দু মধ্যবিত্তদের কাছে মুসলিম সমাজের একমাত্র আর্শি হল ভাষা, সাহিত্য এবং ইতিহাস, যাঁর প্রতি একধরনের মিশ্র অনুভূতি দেখা যায়। এই প্রত্যক্ষ সংযোগ প্রায় কোনোদিনই ঘটে নি, আজকের দিনেও না। কাজেই হিন্দু মধ্যবিত্তের সমাজচেতনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল নিজেদের সমাজ এবং বিবেকানন্দ তাঁর ব্যতিক্রম নন। এবং এই নবলব্ধ চেতনাকে বিবেকানন্দ পাশ্চাত্যে বিক্রি করবেন। বিক্রি করবেন কথাটা বিবেকানন্দের নিজের ব্যবহৃত, যেখানে তিনি স্পষ্টই বলছেন, আমি ওদের স্পিরিচুয়ালিটি বিক্রি করব, আর ওরা আমাকে পয়সা দেবে। দুই নম্বর ছিল হিন্দু সমাজ সংগঠনের চিন্তা। যেখানে বিবেকানন্দের কাছে প্রায়োরিটি হল দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং জাতপাতের বিরুদ্ধে লড়াই। হিন্দু-মুসলিম ভ্রাতৃত্ব কোনো ভাবনাতেই আসে নি এবং সেই সময়ে হেজিমনির ধারণাও বাজারে আসে নি। কাজেই হিন্দু ভারতবর্ষের মধ্যে পোলিটিকাল ইনকারেক্টনেস ছিল না। এর পরে বঙ্গভঙ্গের সময় যখন রবীন্দ্রনাথ মুসলমান গাড়োয়ানদের রাখী পরাতে যাচ্ছেন তখন অবনীন্দ্রনাথ ভয় পাচ্ছেন এই বুঝি গোলমাল বাঁধে। এতটাই ছিল শ্রেণী এবং ধর্মের দূরত্ব। তবে এই সাময়িক ভাইচারাও যে লোকদেখানো স্টান্ট, তা নিয়ে রবীন্দ্রনাথ নিজেই "লোকহিতে" বিস্তারিতভাবে লিখেছেন। এইধরনের সামাজিক পরিস্থিতিতে বিবেকানন্দ ভারতবর্ষ এবং হিন্দুধর্মের কথা সমার্থকভাবে উচ্চারণ করছেন। ভূদেব মুখোপাধ্যায়, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়দের ভারতবর্ষও হিন্দু ভারতবর্ষ। ঠাকুর পরিবার ব্যতিক্রম নন কারণ জাতীয়তাবাদের প্রতীকী নাটক হিসেবে তাঁরা পদ্মিনী এবং আলাউদ্দিন খিলজির নাটক মঞ্চস্থ করছেন। বিদ্যাসাগর ধর্ম, দর্শন এবং আধ্যাত্মিকতা নিয়ে প্রায় নির্লিপ্ত। খৃষ্টীয় মিশনারিদের বিরুদ্ধতায় দেবেন্দ্রনাথ এবং রাধাকান্ত দেব হিন্দুসমাজের রক্ষার্থে সভা গঠন করছেন। এই গল্পের মধ্যে ইসলাম প্রায় অনুক্ত। যদিও কলকাতার প্রথম রাজনৈতিক হত্যা করেছিল ওয়াহাবী মতাবলম্বী এক মুসলমান। দ্বিতীয় রাজনৈতিক হত্যা আন্দামানে লর্ড মেয়োর হত্যা। সেও একজন মুসলিম ঘাতক। মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের সমাজ সাথে সাথে বিবৃতি দিয়ে এই হত্যাকান্ড থেকে নিজেদের পৃথক করে। এই ক্ষেত্রে সে যুগের হিন্দু এবং মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের আলাদা করা শক্ত।
  • r | 61.95.167.91 | ১২ জুলাই ২০০৭ ১৭:২৬389961
  • এই পরস্পরবিরোধিতা উনিশ শতকের প্রায় প্রত্যেক বিখ্যাত ব্যক্তিত্বের মধ্যে। রামমোহন সতীদাহ রদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন এবং নিকি বাইজিকে বায়না দিয়ে আমোদ আহ্লাদ করেন। দ্বারকানাথ রামমোহনের সমাজসংস্কারে কাঁধ মেলান এবং তাঁর মালিকানার বাড়িতে বেশ্যাখানা চলে। বিদ্যাসাগর স্ত্রীশিক্ষার কাজে নিজের সারা জীবন ব্যয় করেন এবং সাধারণ রঙ্গমঞ্চে গণিকাদের অভিনয়ে ক্ষুব্ধ হন। রাধাকান্ত দেব সতীপ্রথার পক্ষেও আন্দোলন করেন আবার স্ত্রীশিক্ষার প্রচলনেও অগ্রণী হন। এরকম উদাহরণ আরও অজস্র। কারণ উনিশ শতক বাঙালী বুদ্ধিজীবীর আত্মপরিচয়ের শতক। তাঁরা খুব মৌলিক কতগুলো প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন নিজেদের জীবন ও অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে- আমরা কারা এবং কেন? এই ভাঙাগড়ার সময়ে কেউ কোনো রেডিমেড উত্তর দিচ্ছে না। নিজেদের ক্রমাগত সেই উত্তর খুঁজতে হচ্ছে। এবং এই খোঁজার প্রক্রিয়ার মধ্যে পরস্পরবিরোধিতা আসাটাই স্বাভাবিক। নিজেরাই প্রশ্ন করছেন, উত্তর দিচ্ছেন, এবং পরমূহুর্তে অন্য কোনো দ্বন্দ্বের মুখোমুখি হয়ে আগের উত্তরকে নাকচ করে নতুন প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছেন। আইডেন্টিটি গঠনের সময় এইটাই স্বাভাবিক দ্বান্দ্বিক প্রক্রিয়া। বলা যায় এই সময় হল বাঙালীজাতির টিন এজ। একদিকে সে যেমন তারুণ্যে ভরপুর, আবার অন্যদিকে সে সংশয়ে দীর্ণ। বিবেকানন্দ পুরোপুরি উনিশ শতকের ফসল কারণ তিনি মারা যাচ্ছেন ১৯০২ সাল। নিজের পরস্পরবিরোধিতাগুলোকে গুছিয়ে অগ্রসরণের কোনো সুযোগই পান নি যা রবীন্দ্রনাথ পেয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথের দীর্ঘায়ুর জন্য রবীন্দ্রনাথের পরস্পরবিরোধিতা অতটা চোখে পড়ে না, কিন্তু রবীন্দ্রনাথও একইরকম ভাঙাগড়ার মধ্য দিয়ে গেছেন।

    এ ছড়া পরস্পরবিরোধিতার কিছু কারণ, বিশেষত: বিবেকানন্দের ক্ষেত্রে, ব্যক্তিগত জীবনের সাথে সংশ্লিষ্ট। তবে সেটা এই সুতোর ক্ষেত্রে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।
  • Arijit | 128.240.233.197 | ১২ জুলাই ২০০৭ ১৮:০৫389962
  • সতীদাহ রদের বিরুদ্ধে না পক্ষে?

    পেয়েছি, পেয়েছি, এই পেত্থম;-)
  • `' | 10.153.103.97, 10.150.50.89, 10.150.50.89 | ১২ জুলাই ২০০৭ ১৮:১৫389963
  • উমম,

    ঠিক দুটো জিনিস এক বলে মনে হলো না। রামমোহন বিদ্যাসাগর এর ক্ষেত্রে পশ্চিমের মাপকাঠিতে অনুপ্রাণিত হয়ে এখানকার মাটিতে তার প্রয়োগ করার চেষ্টা, সেটা তো আসলে নিজের সাথে লড়াই ও, ঠিক যেমন আপনি বলছেন, একটা পথ খোঁজার চেষ্টা। কিন্তু বিবেকানন্দের ক্ষেত্রে তো এখনো প্রয়োগের প্রসঙ্গ আসেনি, আমি বলছিলাম বিশ্ল্রেষনের কথা, সেটা তো আবেগহীন ভাবে অবজেকটিভলি করার কথা, সেখানেও কি ওনার একিরকম পথ খোঁজার প্রয়োজন পড়ে? কে জানে..... যাকগে, আপনি লিখুন, সবসময়ের মতো ই দারুন হচ্ছে।
  • Arpan | 193.134.170.35 | ১২ জুলাই ২০০৭ ১৮:২১389964
  • রঙ্গন, যে সময় মার্ক্স সুদূর ইউরোপে বসে সিপাহী বিদ্রোহের ঘটনায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন, সেই সময় কলকাতার বুদ্ধিজীবীরা এই বিষয়ে সম্পূর্ণ নিস্পৃহ ছিলেন। ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের সময় কলকেতার বাবুসমাজ মোটের উপর আতঙ্কিত ছিলেন এই বুঝি কোম্পানীর রাজত্বের পতন ঘটে। কারণটা খুব পরিষ্কার যে কারণে আজকের দিনে এলিট ইণ্ডিয়ানরা মায়াবতীদের ক্ষমতায় আসতে দেখলে বিচলিত হয়। এও পড়েছিলাম তাঁরাই সুবিধাবাদীর মত প্যান্টের মধ্যে ধুতি পরে আসতেন যদি সিপাহীরা হঠাৎ করে কলকাতা আক্রমণ করে বসে তাহলে ভেক পাল্টে ফেলতে সময় লাগবে না। এই নিয়ে বিশদে লিখবে একটু? সমাজের মাথাদের কোন প্রতিক্রিয়া ডকুমেন্টেড রয়েছে কোথাও?
  • dd | 202.122.20.242 | ১২ জুলাই ২০০৭ ২১:২৭389966
  • ,, (দাদা,অংক কি কঠিন,নামটা লিখতেই পাল্লাম না)

    ইসলাম নিয়ে (বা হিন্দুত্ব নিয়ে বা ইংরাজ নিয়ে) বিবেকানন্দের উক্তিগুলি পরষ্পর বিরোধী হবে কেন? কিছু খারাপ (সেগুলির সমালোচনা করেছেন) কিছু ভালো (সেগুলিকে অনুসরনের উপদেশ দিয়েছেন)।

    আগাপাশতলা সাদা নইলে কালো - এমন কোনো পোলরাইজেশনের ব্যাপার নেই।
  • `'/ imran | 10.153.103.97, 10.150.50.89, 10.150.50.89 | ১৩ জুলাই ২০০৭ ১০:১৬389967
  • dd, ,, নয়। একটা ` আর একটা '। খুব সহজ :)) তবে সুবিধার্থে নিজের নামটাই লিখছি।

    যাঁরা পথপ্রদর্শক, বিরাট সংখ্যক জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেন, যাঁরা যাবার আগে অনেক অনুগামী তৈরী করে যান, তাঁদের আরো সতর্ক হয়ে কথা বলা উচিত বলে মনে করি। না হলে, যে যার মত করে এক একটা অংশ তুলে নিয়ে ব্যাখ্যা করতে শুরু করে। যেকোনো মত, ধর্মে এই ঘটনা লক্ষ্য করা যায়। বুদ্ধ পইপই করে বলার পরও সেই তাঁর নামে ভজন-কীর্তন চলছে।

    সাদা কালো ছাই খয়েরি একই অঙ্গে এত রূপ। কিন্তু অবস্থা বিশেষে একজনকে শুধু সাদা অংশ দেখাবো, আরেকজনকে কালো, এর মধ্যে যেনতেনপ্রকারেণ নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি তেজস্বি ভাষনে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা নেই কী? নিজের মনে বিড়বিড় করে গেলে যে যা খুশি বকুক কোনো আপত্তি নেই, কিন্তু ওঠো জাগো বলে হাঁকা হাঁকি করবেন অথচ অর্ধেক তথ্য ডিসপ্লে করবেন সেটাকে ছলনাই মনে হয়।
  • r | 61.95.167.91 | ১৩ জুলাই ২০০৭ ১১:৫৫389969
  • ইমরান,

    এক নম্বর, কনটেক্সটের আরও একটা মাত্রা আছে যেটা কালকে লেখা হয় নি, সেটা হল টেক্সচুয়াল কনটেক্সট, অর্থাৎ যে কোনো একটা উক্তিকে একটা প্রবন্ধ থেকে বিচ্ছিন্নভাবে উঠিয়ে নিয়ে কিছু প্রমাণের চেষ্টা। কাল আবার বিবেকানন্দের লেখা পড়তে গিয়ে বুঝলাম শ্যামলবাবুর বিবেকানন্দপাঠ ওনার মাইকেল মুরদর্শনের মত। সময় পেলে সেই প্রবন্ধগুলোর অংশবিশেষ তুলে দেব। একটা উদাহরণই যথেষ্ট। বিশ্বের প্রাচীন ধর্মগুরুদের নিয়ে বিবেকানন্দের বক্তৃতা। সেখানে একটি অনুচ্ছেদের মাঝখানে ইসলামীয় সাম্রাজ্যগঠন, রক্তপাত, বিধর্মীদের উপর অত্যাচার ইত্যাদি বর্ণনা করা হচ্ছে। এবং বর্ণনার শেষে বলা হচ্ছে এই হল ইসলামধর্ম। এইটুকু পড়লে হিন্দুত্ববাদীরা আহ্লাদিত হবেন, এবং সেকুলারবাদীরা হাঁই হাঁই করে উঠবেন। কিন্তু সেই অনুচ্ছেদ শুরু হচ্ছে এই ভাবে- পৃথিবীতে কোনো ধর্মের মধ্যেই খারাপ কিছু নেই। ধর্মকে খারাপ করেছে রাজনীতি। এবং অনুচ্ছেদ শেষ হচ্ছে এইভাবে- এত রক্তপাতের মধ্যেও যখনই ইসলামধর্মে কোনো মহান দার্শনিক জন্মগ্রহণ করেছেন তখনই তিনি মানবধর্মের মূল সত্যের দিকে অনুগামীদের অবহিত করেছেন। কোটেবল কোটস দিয়ে কাউকে বুঝতে চাওয়ার এই হল বিপদ।

    দুই নম্বর, আবেগহীন বিশ্লেষণ। আবেগ ছাড়া বিবেকানন্দের কোনো অস্তিত্ব নেই। কাজেই আবেগহীন বিবেকানন্দ হল সোনার পাথরবাটি। বিশ্লেষণ বিবেকানন্দ করেছেন ঠিকই, কিন্তু সেটা একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের প্রচারের পরিপ্রেক্ষিতে। কাজেই অ্যাকাডেমিক নৈর্ব্যক্তিক কাটাছেঁড়া বিবেকানন্দের কর্মসূচীর অংশ ছিল না এবং সেটাই স্বাভাবিক। একমাত্র দুটি বইতে বিবেকানন্দের সেকুলার নৈর্ব্যক্তিক বিশ্লেষণের কিছুটা ছাপ দেখা যায়- পরিব্রাজক এবং প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য। রামমোহন, বিদ্যাসাগর এবং বিবেকানন্দের লড়াইয়ের জায়গাটা মূলত: এক- পাশ্চাত্যের বিপুল অভিঘাতের প্রেক্ষিতে আত্মপরিচয়ের সন্ধান এবং সমাজের পুনর্গঠন। সেটা এক একজন এক একভাবে করছেন।

    তিন নম্বর, যাঁরা অনুগামী তৈরি করে যাচ্ছেন তাঁরা সতর্কতার সাথে কথাবার্তা বললে তাঁরা ভালো কূটনৈতিক হতে পারতেন, কিন্তু সময়ের বুকে ছাপ ফেলতে পারতেন না। তাঁদের কথাবার্তা লেখাপত্র ব্যাখ্যার দায় পরবর্তী প্রজন্মের, তাঁদের নয়। যে রবীন্দ্রনাথ অভ্যাসের জড়ত্বের বিরুদ্ধে সারাজীবন লেখালেখি করলেন, মৃত্যুর পর তাঁর সাধের শান্তিনিকেতন হয়ে উঠল রবীন্দ্রকাল্ট তৈরির অচলায়তন। দায় রবীন্দ্রনাথের না রবীন্দ্রানুগামীদের? যে চৈতন্যের ধর্মপ্রচারের মূল জায়গা ছিল জাতপাতের ভেদাভেদ দূর করা, পরবর্তী গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্ম হয়ে উঠল ব্রাহ্মণ্যবাদী রিচুয়ালের আখড়া। দায় কি চৈতন্যের? ওসামা বিন লাদেন এবং তাঁর অনুগামীদের দায় কি মহম্মদের? এত মাপামাপি করে চললে তো বেচারা ঋত্বিক এবং শক্তির মাল টানাকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হয়।

    অর্পণ,

    এই প্রসঙ্গ নিয়ে ২০০৭ সালে বাঙালী বুদ্ধিজীবীরা প্রবন্ধের বান বইয়ে দিচ্ছেন। :-) এ নিয়ে ডকুমেন্টেশন উনিশ শতকের যে কোনো বইতে পাওয়া যায়। ইজি রেফারেন্সের জন্য শ্রীপান্থের "কলকাতা" দেখতে পার।
  • shyamal | 24.117.80.201 | ১৩ জুলাই ২০০৭ ১৫:০৭389970
  • আমি সরাসরি বিবেকানন্দের লেখা থেকে তুলে দিয়েছি। সেটাকে মিথ্যে বলার কোন উপায় নেই। কিন্তু যাঁরা বিশেষ মতাদর্শে বিশ্বাসী, তাঁরা উটপাখির মত বালিতে মুখ গুঁজে থাকবেন কিন্তু সত্যিটা দেখবেন না। তাঁদের বিবেকানন্দকে ইসলামবিরোধী বলতে বাধে কারণ পলিটিকালি ইনকারেক্ট। সেজন্য তাঁরা নানারকম স্পিন দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এর মধ্যে dd ঠিক বলেছেন। বিবেকানন্দ ইসলামের ভালো দিক দেখেছেন আবার খারাপ দিক ও দেখেছেন। যাঁরা বলবেন ইসলামের কোন খারাপ দিক নেই তাঁরা মিথ্যে বলছেন। আমি ওসামার কথা বলছি না। কোরানের বিশেষ অংশের কথা বলছি।
  • r | 61.95.167.91 | ১৩ জুলাই ২০০৭ ১৫:৩৩389971
  • এই উক্তিটি যে প্রবন্ধ থেকে নেওয়া, সেই প্রবন্ধতেই আছে: For instance, the Mohammedan religion allows Mohammedans to kill all who are not of their religion. It is clearly stated in the Koran, "Kill the infidels if they do not become Mohammedans." They must be put to fire and sword.

    ব্যাস, হইয়া গেল গা! এইবার সম্পূর্ণ অনুচ্ছেদ তুলে দেওয়া যাক:To include these minds, therefore, religion must become broad enough. Everything it claims must be judged from the standpoint of reason. Why religions should claim that they are not bound to abide by the standpoint of reason, no one knows. If one does not take the standard of reason, there cannot be any true judgment, even in the case of religions. One religion may ordain something very hideous. For instance, the Mohammedan religion allows Mohammedans to kill all who are not of their religion. It is clearly stated in the Koran, "Kill the infidels if they do not become Mohammedans." They must be put to fire and sword. Now if we tell a Mohammedan that this is wrong, he will naturally ask, "How do you know that? How do you know it is not good? My book says it is." If you say your book is older, there will come the Buddhist, and say, my book is much older still. Then will come the Hindu, and say, my books are the oldest of all. Therefore referring to books will not do. Where is the standard by which you can compare? You will say, look at the Sermon on the Mount, and the Mohammedan will reply, look at the Ethics of the Koran. The Mohammedan will say, who is the arbiter as to which is the better of the two? Neither the New Testament nor the Koran can be the arbiter in a quarrel between them. There must be some independent authority, and that cannot be any book, but something which is universal; and what is more universal than reason? It has been said that reason is not strong enough; it does not always help us to get at the Truth; many times it makes mistakes, and, therefore, the conclusion is that we must believe in the authority of a church! That was said to me by a Roman Catholic, but I could not see the logic of it. On the other hand I should say, if reason be so weak, a body of priests would be weaker, and I am not going to accept their verdict, but I will abide by my reason, because with all its weakness there is some chance of my getting at truth through it; while, by the other means, there is no such hope at all.

    এনার সাথে কথা কইয়া কোনো লাভ নাই। ;-)
  • r | 61.95.167.91 | ১৩ জুলাই ২০০৭ ১৫:৫৪389972
  • এই একটা গুগলি। নাকি ফ্লিপার? ;-))

    প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য থেকে:

    What is the meaning of the "Progress of Civilisation" which the Europeans boast so much about? The meaning of it is the successful accomplishment of the desired object by the justification of wrong means, i.e. by making the end justify the means. It makes acts of theft, falsehood, and hanging appear proper under certain circumstances; it vindicates Stanley's whipping of the hungry Mohammedan guards who accompanied him, for stealing a few mouthfuls of bread; it guides and justifies the well-known European ethics which says, "Get out from this place, I want to come in and possess it", the truth of which is borne out by the evidence of history, that where-ever the Europeans have gone, there has followed the extinction of the aboriginal races. In London, this "progress of civilisation" regards unfaithfulness in conjugal life, and, in Paris, the running away of a man, leaving his wife and children helpless and committing suicide as a mistake and not a crime.

    Now compare the first three centuries of the quick spread of the civilisation of Islam with the corresponding period of Christianity. Christianity, during its first three centuries, was not even successful ill making itself known to the world; and since the day when the sword of Constantine made a place for it in his kingdom, what support has Christianity ever lent to the spread of civilisation, either spiritual or secular? What reward did the Christian religion offer to that European Pandit who sought to prove for the first time that the Earth is a revolving planet? What scientist has ever been hailed with approval and enthusiasm by the Christian Church? Can the literature of the Christian flock consistently meet the requirements of legal jurisprudence, civil or criminal, or of arts and trade policies? Even now the "Church" does not sanction the diffusion of profane literature. Is it possible, still, for a man who has penetrated deep into modern learning and science to be an absolutely sincere Christian? In the New Testament there is no covert or overt praise of any arts and sciences. But there is scarcely any science or branch of art that is not sanctioned and held up for encouragement, directly or indirectly, in the Koran, or in the many passages of the Hadis, the traditional sayings of Mohammed. The greatest thinkers of Europe ? Voltaire, Darwin, Büchner, Flammarion, Victor Hugo, anti a host of others like them ? are in the present times denounced by Christianity and are victims of the vituperative tongues of its orthodox community. On the other hand, Islam regards such people to be believers in the existence of God, but only wanting in faith in the Prophet. Let there be a searching investigation into the respective merits of the two religions as regards their helpfulness, or the throwing of obstacles in the path of progress, and it will be seen that wherever Islam has gone, there it has preserved the aboriginal inhabitants ? there those races still exist, their language and their nationality abide even to the present day.

    Where can Christianity show such an achievement? Where are, today, the Arabs of Spain, and the aboriginal races of America? What treatment are the Christians according to the European Jews? With the single exception of charitable organisations no other line of work in Europe is in harmony with the teachings of the Gospel. Whatever heights of progress Europe has attained, every one of them has been gained by its revolt against Christianity ? by its rising against the gospel. If Christianity had its old paramount sway in Europe today, it would have lighted the fire of the Inquisition against such modern scientists as Pasteur and Koch, and burnt Darwin and others of his school at the stake. In modern Europe Christianity and civilisation are two different things. Civilisation has now girded up her loins to destroy her old enemy, Christianity, to overthrow the clergy, and to wring educational and charitable institutions from their hands. But for the ignorance-ridden rustic masses, Christianity would never have been able for a moment to support its present despised existence, and would have been pulled out by its roots; for the urban poor are, even now, enemies of the Christian Church! Now compare this with Islam. In the Mohammedan countries, all the ordinances are firmly established upon the Islamic religion, and its own preachers are greatly venerated by all the officials of the State, and teachers of other religions also are respected.

  • shyamal | 24.117.80.201 | ১৩ জুলাই ২০০৭ ১৬:০০389973
  • প্রথমত: দুটো একই প্রবন্ধ নয়। দুটো ই লেকচার। লন্ডনে পরপর দুদিন দেওয়া। আমি দ্বিতীয়টার থেকে কোট করেছি, আপনি প্রথমটার থেকে।
    এবার বলি যাঁরা যে কোন ধর্মে গোঁড়া বিশ্বাসি তারা কি বিবেকানন্দের এই কথা মানতে পারবেন? তাঁরা বলুন তাঁদের ধর্মে অনেক ভুল রয়েছে , সে হিন্দু বা ইসলাম বা খ্রীস্ট ধর্মই হোক না কেন। রএর উধৃতি অনুযায়ী বিবেকানন্দ ধর্মের ওপরে উঠে যুক্তিকে প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলেছেন। সেটাকে কি উড়িয়ে দেওয়া যায়। আমার মতে, কোরান, বাইবেল বা হিন্দু পুরাণের V2.0 লেখা উচিত। যেখানে তৎকালীন গারবেজকে বাদ দেওয়া হবে। শুধু যুক্তি সঙ্গত অংশগুলি থাকবে।
    কিন্তু মুশকিল হল বহু তথাকথিত শিক্ষিত লোক এই বইগুলোকে ধ্রুব সত্য বলে বিশ্বাস করেন।
  • Du | 67.111.229.98 | ১৩ জুলাই ২০০৭ ২০:০৪389974
  • রঙ্গন , এই 'রিজন' একটা দারুন কথা। এটা পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। একথা চিরকালই মনে হয়েছে , যে মানুষের মনে এমন কিছু আছে যেটা চিরদিনই বলে দেয় কি ঠিক। তারপরে সেটাকে আমরা রাখি বা কাটি নানা উদ্দেশ্যে সে আলাদা ব্যাপার।
  • ranjan roy | 122.168.68.178 | ১৩ জুলাই ২০০৭ ২১:৩৫389975
  • r,
    আমার মনে হয় (with due respect to Shyamal and Du) আমরা প্রসঙ্গ থেকে সরে যাচ্ছি। তুমি সুন্দর ভাবে চেষ্টা করছিলে একটা সময়, আসলে একটা সংক্রমণ কালকে তার রূপ-রস-গন্ধে বর্ণে তুলে ধরতে। সেই সময়ের যুগপুরুষদের চিন্তার বিবর্তনকে বুঝতে।
    সেই সূত্রেই বিবেকানন্দের ইসলাম-ক্রিশ্চান-হিন্দু ধর্ম নিয়ে কথাগুলো উঠে এসেছে। কিন্তু আলোচনাটা ঘুরে গেল বিবেকানন্দ কোন ধর্মকে কতটা সার্টিফিকেট দিয়েছেন এবং সেগুলো কতটা যুক্তিগ্রাহ্য বা পলিটিক্যালি কারেক্ট সেদিকে।
    শ্যামল,
    আপনি একটু ভুল করছেন বামপন্থী চিন্তা ভাবনা হলেই ইসলামকে প্রগতিশীল বলতে হবে বা বিবেকানন্দের মুখ দিয়ে কিছু বিচ্ছিন্ন কোটেশন দিয়ে বলিয়ে জিতে গেছি ভাব করতে হবে তা' নয়।
    ইসলাম একটি ধর্মমত। অন্য যেকোন মতের মতন এতেও উদারপন্থী ও গোঁড়া আছে। অন্য ধর্মমতের মতই এটা না- ভালো -না -মন্দ। তা' বিবেকানন্দ সার্টিফিকেট দিন বা নাই দিন। সহমত আর rss এর কথা বলে r তাই বলতে চেয়েছেন। অন্য ধর্মমতের মতই এরও মূল্যায়ন হবে কোন নির্দিষ্ট ঐতিহাসিক
    সময়ে কোন নির্দিষ্ট মানবসমাজের বিকাশ বা গতিপথে সেই ধর্ম আন্দোলন কি ভূমিকা পালন করেছে তার নিরিখে।
    r খানিকটা তাই করতে চেষ্টা করছেন। কোন ধর্মমতকে খাটো বা
    বৃহৎ করতে নয়।
    DD ,
    আলাদা করে কিছু অংশ খারাপ বা ভালো বল্লেই বরং সাদা-কালো বিচার হবে। দরকার সমগ্রতাকে দেখা। সত্যের ধূসর রং কে দেখা।
    শ্যামল,
    আপনার সোজা-সাপটা কথা। খোদ বিবেকানন্দের মুখের কথাই যথেষ্ট। আবার একটা মানে বই পড়তে হবে কেন? যখন text পড়েই বুঝতে পারছি!
    textual পাঠ তো বোঝার প্রথম চরণ মাত্র। সমাজ-সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে না বুঝলে তো আসল মানেটাই বেরুবে না। reading betwwen the lines?
    ধরুন, "" মা রাগিয়া বলে, চল তোরে দিয়ে আসি সাগরের জলে!"
    এখানে ঐ "রাগিয়া বলে" টুকু বাদ দিলে পরিণতি হবে- "" শুধুই মুখের বাক্য শুনেছ দেবতা! শোন নাই জননীর অন্তরের কথা?""
  • dd | 202.122.20.242 | ১৩ জুলাই ২০০৭ ২২:০১389977
  • r
    পোচোন্ডো ভালো লিখছো। য্যামন লিখে থকো....
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন