এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বিবেকি কন্ঠ ও মার্কিন সরকারের বদমাইশি

    shyamal
    অন্যান্য | ২৯ জুন ২০০৮ | ২৬৪৮৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • shyamal | 64.47.121.98 | ০৩ জুলাই ২০০৮ ১৯:১৩400382
  • উমেশ,
    আপনার ব্যাথা লেগেছে যে প্রতিরক্ষা খাতে মাথাপিছু ২০০ ডলার (৮৪০০ টাকা) বছরে খরচ হয়। এই টাকাটা উন্নয়নের কাজে লাগালে ভাল হত। আমারও এদেশে আসার পর প্রথম প্রথম মনে হত। কিন্তু এরা স্বার্থপরের মত গরীব দেশকে টাকা দেয়না । (অবশ্য এর মধ্যেও ব্যাপার আছে; এরা বলে টাকা দিলে গরীব দেশের সরকারের মধ্যবিত্ত সব খেয়ে নেয়) মোট প্রতিরক্ষার প্রায় অর্ধেক আমেরিকার।
    কিন্তু এটাই মানুষের স্বভাব। আমাদের দেশে যাঁরা মাসে এক লাখ পান, তাদের কজন মাসে ১০ হাজার আশেপাশের গরীবদের দেন? দিলেও তো যা থাকে ট্যাক্স দিয়ে, তাতে দিব্বি চলে যায়।
    কাজেই গরীব দেশকে নিজের শক্তিতে বড়লোক হতে হবে ভিক্ষা না চেয়ে।
  • r | 125.18.17.16 | ০৩ জুলাই ২০০৮ ১৯:২৫400383
  • আগে শ্যামলবাবু বলেছিলেন ব্যক্তি/পরিবারের সাথে রাষ্ট্রকে গুলাইবেন না। এখন আবার রাষ্ট্রের কথা বলতে গিয়ে ব্যক্তির কথা বলছেন। কি কনফিউশন মাইরি! :-))
  • shyamal | 64.47.121.98 | ০৩ জুলাই ২০০৮ ১৯:৩৪400384
  • ঋজুর মতটার সঙ্গে একমত নই। ইন্দিরা গান্ধীর মনে কি ছিল জানিনা, কিন্তু আমার ধারণা তিনি জেনুইনলি বাংলাদেশীদের কষ্টের কথা ভেবেছিলেন। তা ছাড়া প: বঙ্গের অবস্থা খুব খারাপ রেফিউজির চাপে। ২৫ মার্চ ১৯৭১, খান সেনারা বাংলাদেশে নামে। দুদিনের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবিদের কোতল করে। সামারে ইন্দিরা আমেরিকা যান আর নিক্সনের কাছে প্লীড করেন কিছু করার জন্য। নিক্সন পাত্তা দেননা। পরে জানা যায়, সে সময়ে নিক্সন পাকিস্তানকে চটাতে চাননি কারণ তিনি চীনের সঙ্গে একটা চ্যানেল খোলার চেষ্টা করছিলেন । যাতে আমেরিকা, চীনের কমন শত্রু সোভিয়েতের বিরুদ্ধে একটা আঁতাত গড়া যায়। পুরো ব্যাপারটা অরগ্যানাইজ করে পাকিস্তান। এটার নাম ছিল পিংপং ডিপ্লোম্যাসি। ১৯৭২ এ নিক্সন চীনে যান।

    বাধ্য হয়ে ইন্দিরা মস্কো যান। তার পরে ২০ বছরের চুক্তি সবারই জানা। ইন্দিরা ভোটে জেতার জন্য যুদ্ধে নেমেছিলেন এটা ফার ফেচড। কি কি ঘটনার ফলে বাংলাদেশ হল আগে বলেছি। ইন্দিরার এতে কোন হাত ছিলনা।

    অন্যদিকে ৯/১১ এর পরে বুশ কেন ইরাক আক্রমণ করলেন বলা মুশকিল। সবাই জানত সাদ্দাম আল কায়েদার শত্রু। কাজেই সাদ্দাম এর পেছনে আছে এটা অবিশ্বাস্য। তেল? তাহলে আগে করল না কেন? ইরাকে যা খরচ হচ্ছে প্রতি বছর, তার তুলনায় অনেক কম তেল আছে। বুশ ২০০০ এর ভোটের আগে পরিষ্কার ডিবেটে বলেছিল নেশন বিল্ডিংএ সে বিশ্বাস করেনা। এটা রিপাবলিকান ভাবধারার মূল কথা। তাহলে কেন ইরাক আক্রমণ করল? বাবা বুশকে সাদ্দাম মারার প্ল্যান করেছিল, এটা হতে পারে।
  • arjo | 168.26.215.54 | ০৩ জুলাই ২০০৮ ২০:০১400385
  • শ্যামলবাবু এই প্রশ্নটা আগেও করেছি। একটা গণতান্ত্রিক দেশে বাবাকে মারতে চেয়েছিল বলে ছেলে অন্য একটা দেশ আক্রমণ করল এটা হতে পারে নাকি? এ আগেকার দিনে জমিদারদের মধ্যে হত। এক্সপ্লেইন না করা গেলে করবেন না। কিন্তু বাবাকে মারতে গিয়েছিল বলে ছেলে একটা দেশ আক্রমণ করে ফেল্লে এটা হজম হয় না।
  • shyamal | 64.47.121.98 | ০৩ জুলাই ২০০৮ ২০:১২400386
  • এটা ভাল কি খারাপ, উচিৎ কি অনুচিৎ এর মধ্যে যাচ্ছিনা। আমি মোটিভ খুঁজতে গিয়ে দেখছি এটা হতে পারে। আগেই বলেছি ইরাকে যা মোট তেল আছে তার তুলনায় অনেক বেশী খরচ হয়েছে এই যুদ্ধে। আর কি কারণ হতে পারে? হাতে পাওয়ার থাকলে অনেকে অনেক কিছু করে। কেউ অন্য দেশ আক্রমণ করে। কেউ সুন্দরী মেয়ে ধরে এনে রেপ করে মেরে ফেলে। করে যাকে বলে উইথ ইম্পিউনিটি।
  • Suvajit | 124.187.137.2 | ০৩ জুলাই ২০০৮ ২০:২২400387
  • শ্যামলবাবুকে সবাই চেপে ধরেছে, তাই শ্যামলবাবুর সমর্থনে দুচার কথা।
    ন্যাড়াস্যার হস্টেজ ক্রাইসিসের ব্যাপারে বল্লেন শ্যামলবাবু গুপি করছেন, ১৯৫৩'র ক্যুর কথা বলা উচিৎ ছিলো।
    ঠিক কথা। কিন্তু ক্যু টাই বা হলো কেন?
    মোসাদ্দেক প্রধানমন্ত্রী হবার পর ব্রিটিশ পেট্রোলিয়ামের সঙ্গে ইরান সরকারের যে আলোচনা চলছিলো, তা একদম জোর করে ভেঙে দিয়ে, ওদের ক¾ট্রাক্ট বাতিল করে, ওদের মেশিনারি পাইপলাইন সব কিছুর দখল নিয়ে পাতি দেশ থেকে ফুটিয়ে দিলেন। ব্রিটিশ পেট্রোলিয়ামও অগত্যা নিজেদের টেকনিশিয়ানদের ইরান থেকে সরিয়ে নিল, আর ইরানের তেল ব্রিটেনে বেচা যাবে না ফতেয়া দিল আর ইউ এনে নালিশ করলো। এদিকে ইরানের কাছে তেল উৎপাদনের বিদ্যা নেই। ফলে ইরানের ইকনমি বিশাল ধাক্কা খেল। ১৯৫২-তে মোসাদ্দেক গলতা করে ইলেকশন জিতলো, রিসাইন করে আবার অ্যান্টি ব্রিটেন প্রচারে প্রবল জনসমর্থনে ফিরে এলো, স্পেশাল এমার্জেন্সি পাওয়ার নিয়ে, রাজাকে (মহম্মদ রেজা শা) বিভিন্নভাবে বাঁশ দিয়ে, শিয়াদের ক্ষেপিয়ে, আর দেশের অর্থনীতি আরও দুর্বল করে দিলো। এর সঙ্গে অবশ্য ল্যান্ড রিফর্ম টিফর্ম কিছু করেছিলো।
    এবার ব্রিটেন ইউ এসের কাছে সাহায্য চাইলো। ইউ এস এতদিন ইরানকে ভালই এইড দিতো। এব্যাপারে তারা মধ্যস্ততাও করার চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু যখন দেখলো মোসাদ্দেক আর তুদেহ পার্টি উত্তোরোত্তর রাশিয়ার সংগে মাখামাখি করছে, ব্রিটেনকে জাতীয় শত্রু ঘোষানা করেছে তখন স্ট্রাটেজিকালি মোসাদ্দেককে সরানো জরুরী হয়ে পড়লো।
    তাই অপারেশন অ্যাজ্যাক্স।
    সুতরাং এটা পাতি নির্বাচিত সরকারকে গায়ের জোরে হঠানোর মতো সাদাকালো ব্যাপার নয়।

    আর উমেশের উত্তরে: সে ১২০০ বিলিয়ন ডলার প্রতিরক্ষা খাতেই খরচ করুক বা অন্য খাতে, আল্টিমেটলি তো এই টাকা কেউ না কেউ আয় করছে। অন্য খাতে খরচ করলেও সেই অর্ধেক মানুষের সারা বছরের আয় হত।

    ইশানের হেবো মস্তানের উদাহরনেও অনেক তথ্য ইচ্ছাকৃত গোপন রাখা হয়েছে। বলা হয়নি যে হেবোর প্রচুর পয়সা, বাড়ীঘর ঝকঝকে তকতকে, বাড়ীর লোকজন ভদ্র, হেবোর সংগে তাদের দারুন সম্পর্ক। পাড়ায় বেরোলে লোকজন ডেকে বলে হেবোবাবু কেমন আছেন। আর প্যালারামের একতলা বাড়ী, একগাদা চ্যান্ডামান্ডা সারাদিন ঘুরঘুর করছে, ঘরদোর নোংরা, সারাদিন ঝাগরাঝাঁটি চলছে, আবার দুটো ছেলে হেবোর বাড়ীতে কাজও করে। এছাড়া এককালে হেবোর বড় শত্রু ছিলো পল্টা, সে বাড়ীর লোকের হাতে মার খেয়ে ঠ্যাং ভেঙে খোঁড়া পল্টা হয়ে এখন হোবোর বেস্ট ফ্রেন্ড।
    তো এমন অবস্থায় প্যালারাম হেবো কিছু গুন্ডামি করছে দেখলে কি করবে ?
  • arjo | 168.26.215.54 | ০৩ জুলাই ২০০৮ ২০:২৫400389
  • আমিও ভালো খারাপ উচিত অনুচিত সেই কথা বলছি না। বলছি কোনো গণতান্ত্রিক দেশে শুধু প্রেসিডেন্টের হাতে এত ক্ষমতা অসম্ভব। আমার বক্তব্য এটাই যে আপনি যেটাকে ব্যক্তিগত মোটিভ বলছেন আমি সেটাকেই বলছি ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট। বুশ বোঝাতে সক্ষম হয়েছিল যে ইরাক যুদ্ধ ন্যাশনাল ইন্টারেস্টের পক্ষে ভালো। পার্সোনাল মেস বললে ব্যপারটা অনেক লঘু হয়ে যায়। বুশ কে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে রাষ্ট্র হাত ধুয়ে ফেলতে পারে। এক, আন্তর্জাতিক স্তরে বলা যায় ওটা তো ঐ বুশ কেলানেটা ঝুলিয়েছে, দুই, ইন্টারনালি যখন দেখছে যুদ্ধ কোনই কাজে এল না তখন বলবে আরে এতো বুশ মাথামোটা বা গাঁটামো। আসলে আপনি প্রথমে যা বলেছেন সেটাই সত্যি এবং অনেক বিশ্বাসযোগ্য, আমেরিকার একটা কমন নীতি আছে। বুশ বোঝাতে সক্ষম হয়েছিল যে ইরাক যুদ্ধ ন্যাশনাল ইন্টারেস্টের জন্য ভালো। এটা অনেক বিশ্বাসযোগ্য।
  • umesh | 62.254.196.200 | ০৩ জুলাই ২০০৮ ২০:২৫400388
  • শ্যামলদা, আমি তো ভাবতাম আমেরিকা গণতান্ত্রিক দেশ। কিন্তু আপনার যুক্তি শুনে মনে হচ্ছে বুশ একজন ডিক্টেটর আর ওর নিজের ইচ্ছা হলে যাকে ইচ্ছা আক্রমণ করতে পারে।
    এটা হজম হলো না।
  • rimi | 168.26.191.117 | ০৩ জুলাই ২০০৮ ২০:৪৬400390
  • হুম্‌ম্‌ম, আম্রিগা তথা বুশের যুদ্ধের খরচ ইত্যাদির এস্টিমেটে পচ্চুর ভুল ছিল। অংক টংকে কাঁচা হলে যা হয় আর কি!!

    অথবা বুশ ভেবেছে আমি তো কামিয়ে নি, ২০০৮-এ এম্নিতেই চলে যেতে হবে, আমি চলে যাবার পরে মহাপ্রলয় আসলে আমার তাতে কাঁচকলা। আর যা শোনা যায়, বুশ সহ বেশ কিছু লোক মন্দ কামায় নি, বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ার টেয়ার ছিল, যুদ্ধের বাজারে যেমন হয় আর কি।

    ডি: এগুলো আমার অরিজিনাল মতামত নহে, সবই এদিক ওদিক থেকে ধার করা। আমি আদার ব্যপারী, জাহাজের খবর কোত্থিকা পাবো?
  • shyamal | 64.47.121.98 | ০৩ জুলাই ২০০৮ ২০:৫৮400392
  • উমেশ,
    আমেরিকা গণতান্ত্রিক দেশ। বুশ যা করেছে আমি ডিটেল জানিনা, তবে মনে হয়না আমেরিকার আইনের বাইরে গিয়ে কিছু করেছে। এসব করেও তো বুশ ২০০৪ ভোটে জিতেছে। জালি করে জেতেনি যেটা ২০০০ এ করেছিল। এদেশের ভোটারের ৫২-৫৪% কে টুপি পরাতে সক্ষম হয়েছে। কাজেই গণতান্ত্রিক। আর পৃথিবীব্যাপি গণতন্ত্র যে নেই সেটা তো আগেই বলেছি।

    আর্য,
    বুশ আমেরিকানদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছিল যে ইরাক আক্রমণ করলে জিহাদিস্টদের থ্রেট কমে যাবে। পুরো ঢপ, কিন্তু লোক খেয়েছিল। কি করা যাবে? এটা ঠিকই যে ৯/১১ এর পর পাল্টা আক্রমণ দরকার ছিল অন্য দেশকে সাবধান করার জন্য। যাতে অন্য দেশ নিজে না করলেও টেরোরিস্টদের শেল্টার দেওয়ার কথ স্বপ্নেও না ভাবে। কিন্তু তার জন্য আফগানিস্তান আক্রমণ যথেষ্ট ছিল। তাতে সারা বিশ্বের সমর্থন ছিল। আজও আছে।

  • nyara | 64.105.168.210 | ০৩ জুলাই ২০০৮ ২১:৪০400393
  • শুভজিত, অপারেশন অ্যাকাক্স ডিটেলে বলে ভাল করেছ। বেসিকালি যা হয়েছিল তা হল ইরান অয়েল ইন্ডাস্ট্রি ন্যাশনালাইজ করে ব্রিটেনের তেল কোম্পানিগুলোকে মানে মানে কেটে পড়তে বলে। এখন সেটা ভাল কি খারাপ সে তো ইরানের ব্যাপার। সভরেনিটির তো নইলে কোন মানেই থাকে না।

    ধর উল্টোদিকে বলি, ইন্দিরা গান্ধী যখন ব্যাংক ন্যাশনালাইজ করল সত্তরের গোড়ায়, কিম্বা জনতা সরকার যখন বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিকে দিশি করতে কোককে ফুটিয়ে দিল - তখন ওই প্রিটেক্সটে কি ভারতের সরকার বাইরে থেকে ফেলে দেওয়া তুমি সমর্থন করবে?

    এসব বললে অনেক গল্প বেরোবে। যেমন ধর অ্যামেরিক নিয়মিত অন্য দেশের বিরোধীপক্ষ থেকে শুরু করে আর্মড রেবেলদের মেটিরিয়াল ও পলিটিকাল সাহায্য করে। উল্টোটা হলে কি হত ভাব। তুমি বা শ্যামলবাবু নিশ্চয়ই 'স্কুল অফ অ্যামেরিকাজ'-এর নাম শুনেছ ও কার্যকলাপ জান। যদি না জান, নেটে ঘেঁটে দেখতে পার।

    আমি এই আলোচনায় খুব সিরিয়াসলি ঢুকতে চাইনা। কারণ কিসু হয়না। সাত জার্মান, শ্যামল একা, তবুও শ্যামল লড়ে। এবং ভালত্ব স্কেলে অ্যামেরিকাকে ৭ দেন। ব্যক্তিগত ব্যাপার, কি আর করা যাবে। হি ইজ এনটাইটলড টু হিজ ওপিনিয়ন। মনে করার কোন কারণ নেই এটাই সত্য। এর উল্টোদিকটাও দেখছি। অ্যামেরিকা মানে নরকের কীট। বাকিরা - বিশেষত চীন, সোভিয়েত - সব ধোয়া তুলসীপাতা। তারা যতই দোষ করুক উদ্বাহু হয়ে 'আয় ভাই গান গাই আয় ভাই হুলো' বলা। নেশন স্টেট কন্সেপ্ট যতদিন থাকবে, খেয়োখেয়ি, খামচাখামচি, ইডিওলজিকাল ঝাড়পিট সব থাকবে। আমাদের উত্তেজিত আলোচনা হবে, চায়ের সঙ্গে পাকোড়া হবে। তারপর যে দেশে গেলে আমার সন্তান দুধেভাতে থাকবে, সে দেশের ভিসার লাইনে দাঁড়ানোও থাকবে। কাজেই ...
  • h | 220.225.2.203 | ০৩ জুলাই ২০০৮ ২২:৪৩400394
  • ব্রিটেন, ইউ এস এ ,ফ্রান্স, জার্মানী, বেলজিয়াম ইত্যাদি দের স্ট্র্যাটেজিক কারণে বহু লোক কেই সরে যেতে হয়েছে, নিজের দেশ থেকে, পৃথিবী থেকে। হয়েছে ও হচ্ছে। তো এই জাতীয় স্ট্র্যাটেজিক কারণ টাকে গণতন্ত্র ন্যায় ও শান্তির প্রসারের বলে বেচাটা আর এই স্ট্র্যাটেজি কেই যথেষ্ট লেজিটিমেট হিসেবে ধরে নেওয়াটা বেশ ঢপের।

    কলোনিয়াল ইন্টারেস্ট এবং ইউ এস এর স্ট্র্যাটেজিক ইন্টারেস্ট পৃথিবীর কত দেশের সার্বভৌমঙ্কÄ নিয়ে ছেলে খেলা ও ঢ্যামনামো করেছে ভাবা যায় না।
  • h | 220.225.84.122 | ০৩ জুলাই ২০০৮ ২২:৪৪400395
  • ন্যাড়া তুমি বলা বন্ধ করলেও কিসু হবে না। অতএব কয়ে যাও।
  • shyamal | 64.47.121.98 | ০৩ জুলাই ২০০৮ ২৩:০০400396
  • সেতো চীন, সোভিয়েতের জন্যেও বহু কোটি লোককে পৃথিবী ছাড়তে হয়েছে স্টালিনের পার্জ আর সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময়ে।

    আজ পশ্চিম ইউরোপ আর আমেরিকার ভাল দোস্তি। চীন, রাশিয়ারও এদের সঙ্গে বন্ধুত্ব কম নয়। যদিও অনেক খুচরো ডিফারেন্স আছে। এই যে বড় টিমটা হয়েছে, আমার মনে হয় ভারতের তাতে অ্যাক্টিভলি যোগ দেওয়া উচিৎ নিজের স্বার্থে। এর বিরোধী টীম ইরান, কিছু আরব লোক, শাভেজ, কাস্ত্রো, নর্থ কোরিয়া। ফেডারার বনাম মহেশ ভুপতি।

    ভারতের স্ট্র্যাটেজিক ইন্টারেস্ট বলে ফেডারারের টীমে যোগ দাও। আরেকটা মিল আছে। এরা সবাই মুক্ত অর্থনীতির স্বপক্ষে। যদিও আন্তর্জাতিক ট্রেডে অনেক অমিল আছে সেগুলো আস্তে আস্তে রিজলভড হবে।
  • cam | 131.95.121.107 | ০৩ জুলাই ২০০৮ ২৩:৩৭400397
  • ভাগ্যিস!
    নইলে যে কি হোতো!
    বল মা তারা দাঁড়াই কোথা ...
  • arjo | 168.26.215.54 | ০৩ জুলাই ২০০৮ ২৩:৪০400398
  • কোন থিওরি ভালো কোন থিওরি মন্দ তা বিচারের জন্য বড় বড় থিওরিস্টরা আছেন। সাধারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দু একটি পয়েন

    ১। আমেরিকার বিদেশ নীতি খারাপ সবাই জানে। চমস্কি এবং আরও অনেকে অনেক দিন ধরে চেঁচামিচি করে আসছেন। কেন না একটা বড় অভিযোগ অস্ত্র বেচে, যুদ্ধ একটা শিল্প। কোনো সন্দেহ নেই। মনে রাখবেন অস্ত্র ডান বাম সব দেশই বেচেছে। ভারতের অধিকাংশ অস্ত্র রাশিয়ার থেকে কেনা। (বেশি দামে, ভেঙেও যায়)। বেশ ভালো বিদেশ নীতি ঐ স্ক্যান্ডানেভিয়ান দেশগুলো ছাড়া আর কারুর আছে কি? কেউ বল্লে ভালো হয়। জানি না খুব বেশি।

    ২। কিন্তু এই যে এত কিছু খারাপ তা কিন্তু খুল্লাম খুল্লা বলতে পারেন। চমস্কি কে কোন আততায়ী গুলো করে মেরে ফেলে নি, তাঁর টেনিওর আটকে যায় নি। আপনি সবার সামনে বড় গলায় বলতে পারেন ওবামাকে ভোট দেবেন, না হিলারী ক্লিণ্টনকে, কেউ আপনাকে বিবস্ত্র করে আবীর মাখাবে না। অর্থাৎ গণতন্ত্র, ফ্রিডম অফ স্পিচ অনেক বেশি অনেক অনেক বেশি। আমার তো মনে হয় আমার নিজের পাড়ার থেকে এখানে আমি অনেক বেশি সুরক্ষিত। আমার পাড়ায় প্রথমে দেখা হয় আমি সিপিএম কিনা। কিন্তু এখানে বাদামী বলে আমার প্রায়োরিটি কমে যায় না।

    ৩। হয়ত অন্য অনেক দেশে এরকম ফ্রিডম অফ স্পিচ আছে। কিন্তু সেখানে অন্য অসুবিধা। আমেরিকার সব থেকে বড় সম্পদ হল উন্নত চিকিৎসা এবং শিক্ষা অর্থাৎ রিসার্চের পিছনে এই বিরাট ইনভেস্টমেন্ট। আর কোনো দেশে নেই। তাই চিকিৎসা এবং টেকনোলজি তে আমেরিকা সবাইকে টেক্কা দিয়ে আসছে এবং দিতে থাকবে। আমি চাইব আমার ছেলে আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা পাক। কারণ এই মুহুর্তে কোনো অল্টারনেটিভ নেই। অদূর ভবিষ্যতে কোনো আশাও নেই।

    খারাপ কি নেই, অনেক কিছু আছে কিন্তু আছে তার বিরোধীতাও। তাই সিস্টেমটা আমার মনে হয় অনেক রোবাস্ট বা টেঁকসই, বিশেষত হাতের কাছে অন্যান্য কোনো সিস্টেম না থাকায় সাধারণ লোক হিসেবে খুব একটা চয়েস নেই।
  • ranjan roy | 122.168.68.252 | ০৪ জুলাই ২০০৮ ০০:০৬400399
  • শ্যামল,

    আপনি বারবার কন্ডেলিজা রাইসকে কোট করছেন--- আমেরিকার ঔদ্ধত্যের প্রতিমান হিসেবে নয়, রিয়েলিজমের বেঞ্চমার্ক হিসেবে? আশ্চর্য!
    পারমাণবিক নি:শক্তিকরণ প্রশ্নে কয়েকবছর আগে এই রাইস মহিলা দিল্লিতে এসে ভারতকে কড়কে গেছিলেন, ভুলে গেলেন?
    আর পাকিস্তানে কি আসমা জাহঙ্গীর এর মত ভদ্রমহিলা নেই?
    সাধারণ লোকের কথা বলছেন?
    গতবছর গানের ( টি ভি চ্যানেলে) কম্পিটিশনে পাকিস্তানের থেকে আসা অরমান ও অন্য দুটো ছেলের বক্তব্য শুনেছিলেন?
    যেমন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ভারত তো দূরের কথা, সমগ্র হিন্দুদেরও রিপ্রেজেন্ট করে না, তেমনি পাকিস্তানেও সবাইকে এক রঙে আঁকলে ভুল হবে।
  • shyamal | 64.47.121.98 | ০৪ জুলাই ২০০৮ ০০:২৬400400
  • আমি বেশ কয়েক বছর ধরে ডন আর দি নিউজ এই দুটো পাকিস্তানী পত্রিকার ওয়েব এডিশন পড়ি। তাতে কিছুটা আইডিয়া হয়েছে।
    ১) দুই জাতি তত্ব : পাকিস্তানে সবাই বিশ্বাস করে। আপনি কি মনে করেন, এযুগে (মানে ১৯৪০ এও) এটা ঠিক তত্ব? জিন্না মুসলমানদের জন্য হোমল্যান্ড বানাতে চেয়েছিল। সেটা কি ঠিক? আজ তাহলে পাকিস্তান, ভারতে কেন প্রায় সমসংখ্যক মুসলিম?
    ২) অনেক লিবারাল পাকিস্তানি আবার বলে , জিন্না বলেছিল, পাকিস্তান হবার পর মুসলিম মুসলিম থাকবেনা, হিন্দু হিন্দু থাকবেনা, সবাই হবে পাকিস্তানী। তবে পাকিস্তান বানানোর যুক্তি কি? আর সব শিখ, হিন্দুকে ঝেঁটিয়ে তাড়ানো হয়েছে।
    ৩) পাকিস্তানের প্রায় সব মানুষ মনে করে মিলিটারীর বেশি শক্তি থাকা দরকার। আর প্রায় সবাই মনে করে পুরো কাশ্মির পাকিস্তানের প্রাপ্য। অনেকে জুনাগড়, হায়দ্রাবাদের কথাও মনে পড়িয়ে দেয়।
    ৪) অনেক বুদ্ধিজীবি লেখেন যে দুই দেশের মিলিটারিতে পয়সা না ঢেলে উন্নতি করা উচিৎ। ভারতের মেইনস্ট্রীম মিডিয়া একথা প্রায় বলেইনা। কারণ, পাকিস্তান হেরে গেছে। মিলিটারি কমালে ভারতের চেয়ে পকিস্তানের অনেক বেশি লাভ।

    আমেরিকা সোভিয়েতকে যা করেছিল, ভারত পাকিস্তানকে ঠিক তাই করছে। ডিফেন্সের খরচা বাড়িয়ে যাও। বিপক্ষ তোমার সঙ্গে পাল্লা দেবে। ফলে তার দেশের অবস্থা খারাপ হবে। ভেতরে রিসেন্টমেন্ট হবে। একদিন দেশটা ভেঙ্গে যাবে। আমেরিকা জানতনা এটা হবেই। কিন্তু স্ট্র্যাটেজির অঙ্গ ছিল। দিনের শেষে, সোভিয়েত ভেঙ্গেছে নিজের ক¾ট্রাডিকশনে। কিন্তু আর্মস রেস সেটাকে দ্রুত করেছে।
    ঠিক সেরকম পুঁচকে পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে আর্মস রেস করছে। ভারতের অর্থনীতি পাকিস্তানের চেয়ে অনেক বড়। ভারত মুলত: ডিফেন্স বাড়াচ্ছে চীনের কথা ভেবে। কিন্তু আমার মনে হয় ভারতের ট্যাসিট দীর্ঘ কালীন স্ট্র্যাটেজি হল, পাকিস্তান নয়, সিন্ধু, প: পাঞ্জাব, বালুচিস্তান এরকম ছোট ছোট দেশগুলোর সঙ্গে নিগোশিয়েট করা। পাকিস্তান যদি ভাঙ্গে, নিজের ক¾ট্রাডিকশনেই ভাঙ্গবে।
  • ranjan roy | 122.168.68.252 | ০৪ জুলাই ২০০৮ ০০:৫৬400401
  • শ্যামল,
    আপনার আগের পোস্টে আপনি বলেছেন যে সেতো স্তালিনের পার্জ আর চীনের সাংস্কৃতিক বিপ্লবেও কয়েক কোটি লোক মরেছে !
    অর্থাৎ, এই নিয়ে আমেরিকা- ইউরোপকে আলা দা করে আঙুল তুলে বলার কি আছে?

    আছে।
    প্রথম, যদি আপনার কথা সত্যি বলে মেনেও নেই তবু বলবো আপনার উদাহরণের দুটো ঘটনায় যা ঘটেছে সেটা ক্রমশ: রাশিয়া ও চীনের নাগরিকদের ভুগতে হয়েছে। বাইরের কোনো দেশে নয়, স্তালিনের পার্জে ভারত বা আমেরিকায় কোন নরমেধ হয় নি।
    কিন্তু আমেরিকার গুন্ডামিতে, অন্যদেশের মধ্যে ওয়েল-অর্কেস্ট্রেটেড "" সন্ত্রাসবাদী'' কার্যকলাপে আমেরিকার লোক মরেনি। মরেছে ল্যাটিন আমেরিকায়, এশিয়ায় , আফ্রিকায় নিরীহ লোকজন, যাদের সংগে আমেরিকার সরকারের কোন প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিলনা।
    এইটা ফান্ডামেন্টাল ডিফারেন্স।
    আপনি নিজের বাড়িতে জানলা দিয়ে বাইরে থুতু ফেলার সঙ্গে কারো রাস্তা থেকে জানলা দিয়ে বাড়ির ভেতরে থুতু ফেলাকে এক করে দেখবেন কি? যদিও দুটৈ খারাপ কাজ।
    দুই, "কয়েক কোটি লোক'' মরেছে, এটা কোথায় পেলেন? জানালে বাধিত হব। নিজের ধারণা পাল্টে নেব।
    যেমন স্তালিনের পার্জ সম্বন্ধিত কিছু স্ট্যান্ডার্ড লেখা --ধরুন ডয়েটশার, মেদভেদেভ, মস্কো ট্রায়াল, চিল্ড্রেন অফ আরবাত স্কোয়র, হোপ এগেন্‌স্‌ট হোপ, কোয়েৎসার, রিচার্ড রাইটদের লেখা বা পরবর্ত্তীকালে সোলঝনিৎসিন পড়ে কোথাও আমার মনে হয় নি, সংখ্যাটা কোটি বা তার কাছাকাছি হবে। ১৯২৯- থেকে ১৯৩৯ অব্দি রাশিয়ার জনসংখ্যা কত ছিলো, কমে কত হল, কেউ জানাতে পারবেন কি?
    এবার চীনের সাংস্কৃতিক বিপ্লব। বামপন্থীদের কথা ছাড়ুন।
    বৃটিশ অর্থনীতিবিদ, জোয়ান রবিন্সন, অধ্যাপক জোসেফ নীডহ্যাম, আমেরিকান উইলিয়াম হিন্টন বা অন্য কারো লেখা পড়ে মনে হয় নি-- ঐ সময় চীনে ব্যাপক সরকার সমর্থিত গণহত্যা হয়েছে।
    বাড়াবাড়ি বা ভূল নীতির ফলে উৎপাদন ও শিক্ষা ব্যবস্থায় নৈরাজ্য এসেছিলো, বুদ্ধিজীবিরা নিগৃহিত, অপমানিত হয়েছিলেন। কিন্তু সাংস্কৃতিক বিপ্লবে কোটি জনতার মৃত্যু?
    একলাখ লোকও মরেছে কি? না, ঘুম চোখে পরশুরামের জায়গায় কার্ত্তবীর্য্যার্জ্জুন ,বাইশ বার নি:ক্ষত্রিয় করাকে আঠেরোবার লেখার মতন ভুল এবার করছিনে।:))))
    সত্যিই এরকম কোথাও কিছু পাইনি। শ্যামল যদি আমার ভুল ধরিয়ে দেন-- বাধিত হব।
  • nyara | 64.105.168.210 | ০৪ জুলাই ২০০৮ ০১:১৪400403
  • রঞ্জনদার দ্বিতীয় পয়েন্ট নিয়ে বক্তব্য নেই।

    কিন্তু প্রথম পয়েন্টের মানে কি? নিজের দেশের লোক মারলে পাপ কম, বাইরের দেশের লোক মারলে পাপ বেশি? 'আমার পাঁঠা, রাখব না কাটব আমার ব্যাপার"? হতভম্ব হতে শুরু করেছি।
  • cam | 131.95.121.107 | ০৪ জুলাই ২০০৮ ০১:২৯400404
  • রঞ্জন, একুশবার।
  • aja | 207.47.98.129 | ০৪ জুলাই ২০০৮ ০১:৩২400405
  • বেশী পাপের তো দরকার নেই, সমান হলেও চলবে। মানে আমেরিকাকে স্তালিনের রাশিয়া আর মাওয়ের চীনের মত একই দরের হিউম্যান রাইট ভায়োলেটর বললেই হবে।
  • cam | 131.95.121.107 | ০৪ জুলাই ২০০৮ ০১:৩৫400406
  • পাপে পাপে জোড় মিলিয়ে সব কেটে গেলো,বাকী রইলো গোলামচোর! সেই অবস্থা নাকি? :-))
  • aja | 207.47.98.129 | ০৪ জুলাই ২০০৮ ০১:৩৬400408
  • এবারে ইন্টারন্যাশনাল ফোরামের কথা বলি। যেহেতু আম্রিকার মারামারি মোস্টলি অন্য দেশের লোক মেরে হয়, অন্য রাষ্ট্রগুলোর নাগরিকদের কাছে আম্রিকা চীন বা রাশিয়ার চেয়ে বিপজ্জনক (বা ঘৃণ্য, হোয়াটএভার)। এই বোধহয় রঞ্জন-বাবুর কথা।
  • arjo | 168.26.215.54 | ০৪ জুলাই ২০০৮ ০১:৩৬400407
  • আরও একটা ব্যপার আছে। বাম দেশগুলোতে কি ঘটছে জানার কোনো উপায়ই নাই। তাই কোটি না লাখ না হাজার সে ভগাই জানে। সেদিন হিউম্যান ডেভলপমেন্ট ইন্ডেক্সের কথা কেউ বলছিলেন না। এই থ্রেডেই মনে হয়। সমস্ত দেশের পাবেন, কিন্তু চীনের নেই, কেন? তিব্বতে দরজা, জানলা বন্ধ করে কেলিয়ে পাট করে দিল। জানা নেই কত লোক মারা গেছে। কোনোদিন জানা যাবে না। কেন? রাশিয়া ভেঙে পড়ার আগে অবধি জানতাম না অমন খারাপ অবস্থা। চীনের কারখানায় মানবাধিকার নিয়েও এখন প্রশ্ন উঠছে। অথচ খুব কিছু জানা যায় না। এই জানা না যাওয়াটা খুব খারাপ। স্টালিনের আমলে যে ছাতার মাথা কি হয়েছে আর না হয়েছে জানা খুব শক্ত। এইটা জানা আছে তথ্য চাপা হয়েছে। তাই কোনোটাই বিশ্বাসযোগ্য নয়।
  • cam | 131.95.121.107 | ০৪ জুলাই ২০০৮ ০১:৪০400409
  • ঢুকে পড়লে তখন কে কার? সাবাড় করতে কেউ ছেড়ে কথা কইবে? আম্রিগা মারলেও মারা গেলো, চীন মারলেও মারা গেলো,অন্য কেউ মারলেও মারা গেলো। নিজের দেশের লোক মারলেও মারা গেলো, দূরের অপর লোক মারলেও মারা গেলো।
    মরা লোকের কাছে তফাৎ কি? তার কাছে শুধুই হত্যাকারী!
  • aja | 207.47.98.129 | ০৪ জুলাই ২০০৮ ০১:৪৯400410
  • তথ্য-গোপনের ব্যাপার মার্কিনিরাও করে থাকে। যেমন মার্কিনি অর্থনৈতিক ডাটা কতটা বিশ্বাসযোগ্য তা নিয়ে সন্দেহ আছে। বস্তুত: রেগনের আমল থেকে কোন ইন্ডেক্স সরকারকে অসুবিধায় ফেলতে পারে দেখলেই সেটার অ্যালগোরিদম বদলে দেওয়া পুরোদমে চালু হয়ে গেছে।

    আর মানুষ মারার ডাটা কবে আম্রিকা ঠিকমত দিয়েছে। ইরাকে কত ইরাকি মরেছে সে নিয়ে তো আম্রিকা কিছুই বলে না। বেসরকারী হিসেবে সংখ্যাটা অনেক।
  • cam | 131.95.121.107 | ০৪ জুলাই ২০০৮ ০১:৫৯400411
  • দুদ্দুর! এইসব তথ্য কেউ ঠিক দেয় নাকি?
    একপক্ষ কমিয়ে দেখায় আরেকপক্ষ বাড়িয়ে দেখায়। আর এইসব নিয়ে মস্ত মস্ত গবেষণা টবেষণা যারা করে তারা আবার করে আরেকরকম, তাদের ও তো ফান্ডের চিন্তা!

    কিন্তু এইসবের বাইরে স্বজন হারানো মানুষের কাছে ব্যাপারটা একেবারেই অন্যরকম।

  • shyamal | 64.47.121.98 | ০৪ জুলাই ২০০৮ ০২:০২400412
  • রঞ্জনদা,

    এটা দেখুন। http://users.erols.com/mwhite28/warstat1.htm
    এখানে বিভিন্ন গবেষকের এস্টিমেট দেওয়া হয়েছে। কেউই গুনে দেখেনি। স্ট্যালিনের পার্জের ক্ষেত্রে যারা কম সংখ্যা বলছে তারা বলছে ৬ বা ৮ বা ৯ মিলিয়ন। একজন আবার বলেছেন, ১৯২১ - ৫৩ র মধ্যে মাত্র ৬৪৩০০০ কে গুলি করা হয়েছিল। আবার কেউ কেউ অনেক বেশী বলেছে। যেমন সোলঝেনিৎসিন বলেছেন ৬০ মিলিয়ন। বেশীর ভাগ লোক মনে করেন ১৫-২০ মিলিয়ন।

    সেরকম চীনেও কত হয়েছিল বলা মুশকিল। গড় এস্টিমেট হল কারচারাল বিপ্লব : ১ মিলিয়ন। গ্রেট লীপ ফরওয়ার্ড: ৩০ মিলিয়ন। আমি কিন্তু বলিনি এদের সবাইকে সরকার মেরেছিল ডিরেক্টলি।

    GLF এর সময়ে সরকারের নির্দেশে সব কিছু চলে। সরকার শিল্পে বহু লোক লাগায়। চাষে কাজ করার মত লোক কমে যায়। সরকারের নীতি ঠিক এটা দেখানোর জন্য সব রাজ্যের ছোট নেতারা বলেন প্রচুর ফসল হয়েছে। আসলে সেটা ভুল। গ্রামাঞ্চলে কোটি কোটি লোক দুর্ভিক্ষে মরে। এই দুর্ভিক্ষ পুরো মাওয়ের সরকারের গড়া। চীন খাদ্য আমদানীও করেনি। ভুল নীতির ফলে আর প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসল কম হয়েছে। সেই জায়গায়, ১৯৪৭ এর পরে ভারতে একটাও দুর্ভিক্ষ হয়নি যেখানে ইংরেজ আমলে প্রচুর হয়েছে।

    আমি তথ্য দিলাম। একে ভুল প্রমাণ করার ওনাস কিন্তু আপনার ওপর।
  • ranjan roy | 122.168.68.252 | ০৪ জুলাই ২০০৮ ০২:০৭400414
  • না ন্যাড়াবাবু,
    আমার বক্তব্য তা নয়। আমি ফিরতে চাইছিলাম সেইখানে যা এই সূতোর উৎস, মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি। অর্থাৎ পিন্টারের নোবেল-বক্তৃতার ঐ প্যারাটা যেখানে উনি বলছেন যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পূর্ব-ইউরোপ ও সোভিয়েত ইউনিয়নে মানাবাধিকারের হনন, বিরোধী কন্ঠস্বরকে দমিত করা --এগুলো ওয়েল- ডকুমেন্টেড।
    কিন্তু, সোভিয়েত জুজুদেখার ফলে একই সময়কালে আমেরিকার গুন্ডামি বা অপরাধগুলো হয় এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে, অথবা ওপর-ওপর দেখা হয়েছে, ডকুমেন্টেড হয়নি।
    উনি বলছেন যে ঐ সময়থেকে মার্কিন বিদেশনীতিকে অনুধাবন না করলে আজকের দাদাগিরিকে বোঝা যাবেনা।
    কিন্তু শ্যামলের সুইপিং জেনরালাইজেশন ঠিক ঐ কাজটাই করছে।
    একবার বলছে-- আমেরিকা হটাৎ করে কিছু করে না।আবার ইরাক আক্রমণকে বুশের ব্যক্তিগত মোটিভের মধ্যে খুঁজে বেড়াচ্ছে।
    কিন্তু, আপনার বক্তব্য নিয়ে বলি।
    আমরা কথায় কথায় বলি বটে----একটাকা চুরি করলেও চুরি, আবার হাজারটাকা চুরি করলেও চুরি। খুন একটাই কর, আর দশটাই কর--- দুটৈ খুন, সমান ঘৃণিত।
    কিন্তু সত্যিই কি এক আর হাজার তুল্যমূল্য? না, আইনে সাজা দেবার সময়েও না। নৈতিক স্তরেও না।
    তেমনি রাশিয়ায় পার্জ,চীনে সাংস্কৃতিক বিপ্লব বা ভারতে শিখবিরোধী দাঙ্গা,----এই সব ঘটনায় সম্বদ্ধ দেশের জনতা ওদেরই সরকারের ভুল নীতির খেসারত দিয়েছে। যা স্বাভাবিক। আমি কতটা ট্যাক্স দেব বা দেব না--- নির্ভর করবে আমার সরকার কি নীতিতে চলছে, তার ওপর। আমি তার জন্যে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দায়ী। কারণ হয় আমি ঐ সরকরকে ক্ষমতায় আনার জন্যে কারক তঙ্কÄ,( ভোট দিয়ে বা সমর্থন দিয়ে)।অথবা আমিভুল নীতির সমালোচনা করিনি, বা প্রতিবাদী আন্দোলন গড়ে তুলিনি।
    তা আমি ভুগবো না তো কে ভুগবে?
    কিন্তু অমি আমেরিকায় থাকি না। ওদের সরকরের গঠনের সময় পক্ষে-বিপক্ষে ভোট দিইনি, প্রশ্নই ওঠে না। বিরোধ বা প্রতিবাদী আন্দোলন গড়া আউট অফ কোশ্চেন!
    তাহলে ঐ সরকারের নীতির মাশুল আমি দেব কেন? ওর আক্রামক পলিসির জন্যে আমাকে জান খোয়াতে হবে কেন? আমি যদি ছোট পরিবার না রাখি, বছরের পর বছর সন্তান-সংখ্যা বেড়েই চলে, তাহলে ( যদি আমার আয়ের স্তর অপরিবর্তিত থাকে) আমি ভুগবো নাতো কি পাড়ার মুদি ভুগবে?
    একই ভাবে যদি আমার বদলে পাড়ার হরুমুদি প্রতিবছর সন্তান বাড়িয়ে যায় তো আর্থিক ও অন্যান্য চাপে হরু থাকবে কি আমি থাকবো?
    পিন্টারের বক্তব্যের মূলসুর এটাই। আমেরিকার দুনিয়া জুড়ে দাদাগিরি নেশন-রাষ্ট্রের দীর্ঘকালীন লক্ষ্যের সংগে সংগতিপূর্ন নয়।
    আবার বলি-- যে কোন হত্যাই খারাপ। সেটাই যদি ব্যক্তির জায়গায় রাষ্ট্র করে আরও খারাপ,কারণ ম্যাগনিচ্যুড বিশাল হয়েযায়।
    নিজের দেশের লোকের ওপর খারাপ, কিন্তু অন্যদেশের লোকের ওপর করলে আরো খারাপ।।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে প্রতিক্রিয়া দিন