এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বিবেকি কন্ঠ ও মার্কিন সরকারের বদমাইশি

    shyamal
    অন্যান্য | ২৯ জুন ২০০৮ | ২৬৪৭৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aja | 207.47.98.129 | ০৪ জুলাই ২০০৮ ০২:১৮400415
  • খুন একটা আর হাজারটা আইনের চোখে এক নয়ই তো। সেই মঁসিয়ে ভের্দুর কথাটা মনে পরে গেল - Wars, conflict, it's all business. One murder makes a villain. Millions a hero. Numbers sanctify.
  • nyara | 64.105.168.210 | ০৪ জুলাই ২০০৮ ০২:২৫400416
  • কত লোক মরেছে, সে নিয়ে আমি কিছু বলিনি। তার কারণ আমি জানিনা কোন ফিগার বিশ্বাস করা যায়। কিন্তু যত লোকই হোক, এর স্কেলটা অসম্ভব বড়। ঠিক কথা যে এক টাকা চুরি আর হাজার টাকাতে তফাত আছে। কিন্তু এক লাখ টাকা চুরি আর এক লাখ পঞ্চাশে বোধহয় তত তফাত নেই। মানে সেই ল অফ ডিমিনিশিং রিটার্নের মতন ল অফ ডিমিনিশিং পাপ। কার্ভ স্যাচুরেশন পয়েন্টে চলে গেছে। তাই কে কত লক্ষ লোক মারল সেই চুলচেরা বিচারকে আমর খানিকটা 'তৈলাধার পাত্র না পাত্রাধার তৈল' বিচার মনে হয়।

    অন্য পয়েন্টটা ওয়েল টেকেন। যে আমার কর্মফল আমায় ভুগতে হবে। কিন্তু সত্যি বলুন তো যাদের কথা হচ্ছে, এরা কি ঠিক গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত? ভোটার হিসেবে কর্মই করতে দিল না কিন্তু কর্মফল ভোগাবে, এ কেমন কথা?

    মোদ্দা কথা হচ্ছে সব বড় ব্যাটা বদমায়েস। ইতিহাসের ক্যামেরায় ফুটো কত বড় করছেন তার ওপর নির্ভর করবে, কাকে বদমায়েসিতে কত নম্ব দেবেন। গেল ২০-৩০ বছরে অ্যামেরিকা হ্যান্ডস ডাউন জিতবে। তার আগের কিছু বছর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। তবে সব মিলিয়ে দেখতে গেলে বদমায়েসিতে আমার এখনও অল টাইম উইনার গ্রেট ব্রিটেন। ওদের এখনও কোন জবাব নেই।
  • shyamal | 64.47.121.98 | ০৪ জুলাই ২০০৮ ০২:৩২400417
  • আমরা মার্কিনি শক্তি, দেশে দেশে বন্ধুত্ব, শত্রুতা ইত্যাদি নিয়ে কথা বলছি , এমন সময়ে ইকনমিস্ট লিখছে কি ভাবে বিভিন্ন শক্তির ইনফ্লুয়েন্স বদলাচ্ছে।
    http://tinyurl.com/58op4w

    এরেই কয় সেরেনডিপিটি।

  • shyamal | 64.47.121.98 | ০৪ জুলাই ২০০৮ ০২:৩৬400418
  • রঞ্জন দা এই রাত আড়াইটায়ও জেগে! আপনারও কি 4th of July এর ছুটি?
  • ranjan roy | 122.168.68.252 | ০৪ জুলাই ২০০৮ ০৩:০১400419
  • শ্যমলকে ধন্যবাদ। আমার পক্ষে বিলাসপুরে বসে( একটা ভাল লাইব্রেরিও নেই।যেটা ছিল সেটা বন্ধ হয়ে গেছে।)
    মন দিয়ে লিংক প্‌ড়লাম, প্রচুর বিপরীত তথ্যের থেকে একটা আন্দাজতো পাওয়া গেল।
    তবে আমার বক্তব্য এককথায় বলে দিয়েছেন--- অজো। আগের পোস্টে আমি বিস্তারিত বলেছি।
    arjo কে বলি--- আপনি ঠিক বলেছেন।আমিও যতদূর জেনেছি, অমেরিকা বা কানাডায় নাগরিক অধিকার বা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ভারতের তুলনায় অনেক বেশি।
    ভারতে সামন্তবাদী মানসিকতা এত বেশি যে নির্বচিত রাষ্ট্রনেতাদের ও সিনেস্টারদের প্রায় ভগবানের মত পূজোকরা হয়।
    কিন্তু সেই আমেরিকাই যখন অন্য দেশে হস্তক্ষেপ করে তখন আর স্ট্যাচু অফ লিবার্টি চোখে পড়ে না।
    এতে আশ্চর্য্যের কিছু নেই। কলোনিয়াল বৃটেন নিজের দেশে গণ্‌তন্ত্র চালাত, কিন্তু ভারতে, মালয়ে বা অন্যান্য দেশে?
    এইটাই হ্যারল্ড পিন্টারের কনসার্ন, এটাই আমার বুলবুলভাজার প্রতিপাদ্য ছিলো। অর্থাৎ, যা ajo বলেছেন। আমেরিকার যত নষ্টামী অন্যদেশে। নিজের দেশে গুয়াতানামো বে'র মত বিনা বিচারে, বিনা আইনি অধিকার দিয়ে এত লোককে তিন বছর আটকে রাখতে পারতো কি?
  • ranjan roy | 122.168.68.252 | ০৪ জুলাই ২০০৮ ০৩:১৩400420
  • ইস্‌, শ্যামল!
    আমাকে সকাল আটটায় ট্রেন ধরতে হবে। ঝোঁকের মাথায় খেয়াল ছিল না।
    আমি খেয়ালই করিনি যে আপনারা অন্য গোলার্ধে, আপনাদের এখন দিন, সম্ভবত: অফিসে বসে।
    এখন একই যুক্তিতে, এই বোকামির জন্যে আমি ভুগবো ন তো কে ভুগবে? কিন্তু শুভরাত্রি।
    তবে ন্যাড়াবাবুকে বলি--- আসলে লাখে- মিলিয়নে পৌঁছে গেলে সব সমান, আপনার সঙ্গে আমি একমত।
    কিন্তু কথাটা ঐ নিজের দেশে, আর অন্যের বাড়িতে---- আমার মতে একেবারে ফান্ডামেন্টাল ডিফারেন্স। আর সব গুলি ভোট নিয়ে হয় নি। কিন্তু কোন না কোন ভাবে, কিছুদিনের জন্যে হলেও জনসমর্থন ছিল। তার প্রকাশ ছিল।
  • S | 202.140.54.29 | ০৪ জুলাই ২০০৮ ১৩:০৩400421
  • এ তো আগেও বলা হয়েছে। আমেরিকা ব্যক্তিস্বাধীনতায় বা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী। এত বেশি বিশ্বাসী, যে তা রক্ষা করার জন্য যদি অন্য দেশের গণতন্ত্রকে গলা টিপে মারতে হয় বা অন্য দেশের ব্যক্তিস্বাধীনতাকে ধর্ষণ করতে হয়, আমেরিকা তাইই করবে। করেও।
  • arjo | 24.214.28.245 | ০৪ জুলাই ২০০৮ ১৮:০৭400422
  • শমীক, রঞ্জন দা,

    আমার কথাটা এক্সপ্লেইন করি। আমি বলেছি আমেরিকা খুব খারাপ, মানে খুব খারাপ, অন্য দেশকে গলা টিপে মারে, ধর্ষন করে ইত্যাদি ইত্যাদি। সেটা জানা, অস্বীকার তো করি নি। বরং স্ট্রেস দিয়েছি তার বিরোধীতা আমেরিকায় বসেই করা যায় এই বাক্যের ওপর। আমি চোখের সামনে আর যা যা উদাহরণ দেখেছি সেখানে এসবই হয়, কমবেশি, কিন্তু কথা বলা যায় না। এই যে বিরোধীতাকে গলা টিপে হত্যা না করা সেটা আমার অনেক রোবাস্ট মনে হয়েছে। এই যে গুরুর পাতায় আমেরিকায় বসে আমেরিকার নিন্দে মন্দ করছি, তা কিন্তু আমার নিজের পাড়ায় সম্ভব নয়। মানুষ হিসেবে এই কথা বলার ক্ষমতা আমাকে একটা এম্পাওয়ার্মেন্ট দেয়। এবং বিরোধীতা একটা সিস্টেমকেই আরও সেল্ফ ইভলভিং করে তোলে। যে সিস্টেমে এই বিরোধীতার জায়গাই নাই তার ওপর বিশ্বাস আমার কমছে, ক্রমশ কমছে। আপনাদের নাই কমতে পারে।
  • h | 125.18.104.1 | ০৪ জুলাই ২০০৮ ১৯:২০400423
  • শুধু আমেরিকা নয়, পশ্চিমের বহু দেশের মিডিয়া , বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থা এগুলোর উপরে আমার প্রচুর শ্রদ্ধা আছে। দ্বিতীয়টার নাম করলাম, কারণ ডিসেন্ট আকাদেমিয়া থেকে আসে বলে একটা ট্র্যাডিশন রয়েছে।

    যদিও একটু খুঁটিয়ে দেখলে পিকচার টা একটু আলাদা।

    ভারতের মিডিয়া আর বিশেষত: প: বঙ্গের মিডিয়ার উপরে আমার সিরিয়াসলি শ্রদ্ধা কমে গেছে। কারণ একটা অদ্ভুত এজেন্ডা ধরে রিপোর্টিং। এবং সেন্সেশনালিজম এর দিকে নজর।

    কিন্তু দুটোতেই কেস হল, খুঁটিয়ে দেখলে অনেক স্টোরি বেরোয়।

    আর ইভলভ তো অনেক জায়্‌গাতেই হয়, সেই ওভোলুশন কোন পদের হয় সেইটা নিয়ে তো ভাবতে হবে।
  • arjo | 24.214.28.245 | ০৪ জুলাই ২০০৮ ২১:১২400425
  • হনু, প:বঙ্গের কথাই যদি বলেন মিডিয়া নয়, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা রয়েছে। একটা গল্প শোনেন (আরও অনেক জায়গায় বলে থাকতে পারি, কিন্তু আবারও বললাম)।

    আমি সদ্য চাকরিতে ঢুকেছি, রাত ৯ টা নাগাদ বাড়ি ঢুকছি। বাড়ির সামনে দেখি কয়েকটি ছেলে আর একটি ছেলেকে উদোম কেলাচ্ছে। আমি অবাক, কাকু আমাকে দেখে ডাকলেন। কাকুর ব্যবসা আছে, যাকে কেলানো হচ্ছিল, সে কাকুর কাছে কাজ করত। আমি দেখলাম কাকুর মুখ কালো, মাথা নীচু। খানিকবাদে তারা ছেলেটিকে নিয়ে চলে গেল ভজরামের মাঠে (গুম মাঠ টাইপ)। কাকু ফোং করলেন পার্টির একজনকে। উনি বললেন ঠিক আছে বলে দিচ্ছি। তিনি বলে দিলেন আমি এবং আরও কয়েকজন গিয়ে ছেলেটিকে নিয়ে এলাম। অপরাধ কি ছিল না, একটা লরি ব্যাক করছিলে, সেই সময় এক "দাদা" সাইকেল করে আসছিল এবং ছেলেটি যাতে অ্যাকসিডেন্ট না হয় তার জন্য বাধা দিয়েছিল। তাতে "দাদা" পড়ে যান। রাত রঙীন হবার পরে একটু কেলাতে শখ হয়েছিল। তা সে হতেই পারে, এখানেও হয়, অন্যান্য সব জায়গায় হয়। আসল ঘটনা হল আপনি কিন্তু পুলিশের কাছে যেতে পারবেন না। যেতে হবে পার্টির কাছে। কারণ কে কাকে কেলাবে সে ঠিক করে পার্টি।

    একটু মফ:স্বলে বা গ্রামে যদি দেখেন তাহলে প:বঙ্গে বাম মানে হল সামন্ততন্ত্র, জমিদারপ্রথার আর এক রূপ। আরও কোটি কোটি উদাহরণ আছে। মিডিয়া নয় যে অবিশ্বাস করব, নিজের চোখে দেখা। ওপরের ঘটনায় আমি, আমার কাকু কিচ্ছু বলতে পারি নি। কারণ আমরা পার্টি করি না। পুলিশকে ডাকতে পারি নি কারণ পুলিশ আমাদের কথা শুনবে না।

    আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় গুলো যাস্ট মিলিয়নস অফ মাইল এহেড। শুধু ডিসেন্ট অ্যাকাডেমিয়া থেকে আসে বলে একটা ট্র্যাডিশন আছে তাই নয়। রিসার্চের ট্র্যাডিশন এমনি তৈরি হয় না, প্রোমোট করতে হয়। এখানে রিসার্চ প্রোমোট করা হয়। আই আই টি যেখানে সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করে এম আই টি তৈরি করে রিসার্চার। আর সব থেকে বড় কথা রিসার্চ করলে আপনাকে সেই বস্তা পচা সিম্পল লিভিং হাই থিংকিং এ বিশ্বাস করতে হবে না।
  • dd | 122.167.23.123 | ০৪ জুলাই ২০০৮ ২৩:০২400426
  • এই টইতে ছি পিএম আসে কোত্থেকে ? যাগ্গে, এলো তো শুনেই নিন।

    এগুলো সব লোকাল ব্যাপার।
    কসবায় ছিলাম। পার্টি মানে সি পিএম সেখানে পুরো মাফিয়া। পেশাদার গুন্ডাদের হাতে। মস্তান নয়, পেশাদার গুন্ডা।

    তার আগে ছিলাম গাংগুলিবাগানে। সেখানে সি পিএমের ছিলো আদর্শ সংঘটন। নিয়ন্ত্রনে ছিলো দুর্দন্ত ভালো লোকেরা।

    এ সবই নিজের চোখে দেখা। তর্ক চলে না। প্রমান ও নয়।

    বাংগালুরে কোনো চাঁদা নেই। একটা সাবল্টার্ন রাউডি কালচার আছে কিন্তু তেরো বছরেও কিছু টের পাই নি। আমার প্রথম কোং এখানে পঞ্চাশ কোটি (১৩ বছর আগে) টাকার প্রজেক্ট করে। কোনো রকম দাদগিরি ট্যাক্স ছাড়াই। পুণে থেকে আসা ক¾ট্রাক্টর অবাক। বল্লে এমন জিনিস ভাবতেই পারি না মহারাষ্ট্রে। এম এল এ,এম পি, কাউন্সেলর, লোকাল দাদা - কেউ এসে আটানা পয়সাও চায় নি।

    ইস্‌স। দেখুন। কোথাকার টই কোথায় গড়ায়।
  • ranjan roy | 122.168.31.188 | ০৪ জুলাই ২০০৮ ২৩:০৮400427
  • arjo,
    কোথাও আপনার আমার মধ্যে কমিউনিকেশন গ্যাপ আছে।
    মানে, আপনি যে বল্লেন-- ঐ সিস্টেমের প্রতি আপনাদের বিশ্বাস নাও কমতে পারে।
    কোন সিস্টেম? ভারত? বঙ্গ? বামফ্রন্ট?
    আমেরিকার বিদেশনীতির সমালোচনা করেছি বলে আপনি কি ধরে নিয়েছেন যে আমি necessarily বাম সরকার, রাশিয়া বা চায়নাতে সুপিরিয়র গণতন্ত্র আছে বলে মনে করি?
    না ভাই, তেমনটি নয়। একটু স্পষ্ট করে বলি।
    আমার কাছে দুটো আলাদা ইস্যু।
    এক, আমি মনে করি গণতন্ত্রের মজবুত ভিতের কষ্টিপাথর হল---কোন সিস্টেম কতটা বিরোধ সহ্য করতে পারে, বা কোন সিস্টেম বিরোধী কন্ঠস্বরকে কতটা স্পেস দেয়। আমরা কাছে অসহিষ্ণুতা হল ইন্টার্নাল উইকনেসের লক্ষণ।
    সেই মাপদন্ডে অবশ্যই আমেরিকার বা ইউরোপের গণতন্ত্র রুশ-চীন বা ভারত বা বর্তমান বঙ্গদেশের থেকে উন্নত। কেন উন্নত তার ঐতিহাসিক কারণ আছে, সে নিয়ে এখানে আর ফেনালাম না।
    চীন ও ভারতের কংগ্রেস- বিজেপি- বামদল গুলোর পার্টিতে আন্তরিক গণতন্ত্র এর স্তর দেখুন, পাঋতি সাংগঠনিক নির্বাচনের ধারাবাহিকতা দেখুন, বিরোধী মতকে আলোচনার জন্যে কতটা সার্কুলেট করে দেখুন--- তাহলেইএকটা সামন্ততান্ত্রিক ধাঁচা ফুটে ওঠে। এর আমাদের সমাজেরই প্রোডাক্ট।আর আমাদের সমাজের আবহাওয়ায় সামন্ততান্ত্রিক গন্ধ বেশ গাঢ় হয়ে ভেসে বেড়ায়।
    অবশ্যি মুরের মত ফিল্ম আমেরিকায় দেখানো হয়, ভরতে পরজানিয়া বা আনন্দ পটবর্ধনের ফিল্ম, ভোপাল গ্যাসকান্ডের ওপর তপন দত্ত ও সুহাসিনী মূলের তৈরি ডকু দেখাতে দেয়া হয় না।
    দুই,
    এসব সত্তেও আমি আমেরিকার বিদেশনীতির গুস্টির-তুস্টি করতে চাই নিম্ন কারণে: ওর ক্ষতি করার ক্ষমতা অনেক বেশি। ধ্বংসাত্মক পোটেনি্‌শয়াল হাই।
    চীন-ভারত-বামদলের আধপাকা দুর্বল গণতন্ত্রের ক্ষতিকর এফেক্ট তাদের নিজ নিজ দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ।
    কিন্তু আমেরিকার আগ্রাসী পররাষ্ট্রনীতিঅন্যের দেশে ব্যাপক ধ্বংসের জন্যে দায়ী।
    আমেরিকর আভ্যন্তরীন গণতন্ত্র আর অন্যের দেশে অটোক্রাটিক হামলাদারি নীতি যেন দুই মুখোস--- একেবারে ড: জেকিল এন্ড মি: হাইড। এইজন্যেই অনেক বেশি বিভ্রান্তিকর, অনেক বেশি ক্ষতিকর। অন্যের পাকাধানে মই দেয়ার ট্র্যাক রেকর্ডামেরিকার মত কারো নয়।
    arjo,
    আমেরিকার আভ্যন্তরীণ গণতান্ত্র ও কোয়ালিটি রিসার্চে বিনিয়োগ নিয়ে আপনার অবজার্ভেসনের সংগে আমার কোন মতানৈক্য নেই। যার জন্য আপনি আপনার ছেলেকে ওখানে পড়ানোর কোন বিকল্প পান নি।
    আমি আপনার ঐ ব্যপারে সবকথা মেনে নিয়েও আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই যে মূল বুলবুলভাজার লেখাটার কনটেন্ট ও এই টইয়ের ফোকাস হল আমেরিকার বিদেশনীতি সত্যিই কতখানি দুষ্টু, এ নয় কি আমেরিকার আভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র কতটা মজবুত।
    তিন,
    আঅপনি বলতেই পারেন -- ধেত্তেরি রঞ্জনদা, বলছিতো, ঐ দুষ্টু বিদেশনীতির সমালোচনার জায়গাও তো
    আমেরিকার গণতন্ত্রে রয়েছে, কাজেই অটো ভ্যাকসিন হিসেবে আমেরিকান সিস্টেমের efficacy'র ওপর ভরসা রাখুন।
    কিন্তু, আমার বক্তব্য হল --- ঐ ভরসা যথেষ্ট নয়। আগ্রাসী নীতির বিরোধিতা করতে হবে আগ্রাসন বিন্দুতেই।
    ভিয়েৎনাম--নিকারাগুয়া-- ইরাক-পাকিস্তন আদিতে আগ্রাসনের সম্ভাবনা দেখলে ঐ খানে প্রতিরোধ সংগঠিত করতে হবে। আমেরিকার মধ্যে প্রতিবাদ মিছিল-- সেনেটে বিতর্ক তোলা , আমেরিকান জনমতকে প্রভাবিত করা , এগুলো সেকন্ডারি ফ্রন্ট।

  • shyamal | 67.60.254.15 | ০৫ জুলাই ২০০৮ ০০:৩২400428
  • এই ২০০৮ সালে আমেরিকা সবচেয়ে শক্তিশালী, সোভিয়েত উড়ে গেছে । এটা রিয়ালিটি। আমার ব্যক্তিগত মত, এতে ভাল হয়েছে। যেসব দেশ আমেরিকা বা রাশিয়ার ভিক্ষান্নে চলছিল, তারা বুঝেছে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। আমেরিকার বিরুদ্ধে রাশিয়াকে লাগিয়ে নিজের ফায়দা তুলব, এদিন চলে গেছে।
    আমার এও মত যে আমেরিকার ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বেশ ভাল। তুলনায় ব্রিটেন ভারতের ও বহু দেশের প্রচুর ক্ষতি করেছে। তাহলে ঈশানের কথা মত এখন ভারতের ব্রিটেনকে ক্যালানো উচিৎ। আগামী পঞ্চাশ বছরে আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ভাল ছাড়া খারাপ হবার লক্ষন দেখছিনা। এতে ভারতের ভাল।
    এবারে আসে নীতির কথা। ভারতের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করলেও ইরাক, কিউবা, উ: কোরিয়ার সঙ্গে তো ভাল ব্যবহার করেনি। প্রথমত: এরা কেউ ধোয়া তুলসীপাতা নয়। যদি হয়ও, বহু অন্যায় হয়। আমরা সেটা বাধা দেব না নিজের চরকায় তেল দেব। আমরা দ্বিতীয়টাই করি।
    আপিসে, কারখানায় গিয়ে বলি আমাদের ৮ ঘন্টার বেশি কাজ করালে ওভারটাইম দিতে হবে। কিন্তু বাড়ির কাজের মেয়েকে তার চেয়ে অনেক বেশি কাজ করাই। বলি সবাইকে ন্যুনতম মজুরী দেওয়া উচিৎ। কাজের মেয়েকে দেইনা। বলি সবাই সমান। কিন্তু কাজের মেয়ের আট বছরের ছেলে পল্টু একদিন সোফায় বসেছিল বলে ভীষণ রেগে যাই। দেখেছ, ছোটলোকের আস্পর্ধা।

    এগুলোর সবই পরিবর্তিত হবে। সব দেশ আরো ভদ্র হবে। পল্টুর নাতি সোফায় বসলে আমার নাতি ক্ষেপে যাবেনা। সময় লাগবে। হয়তো একশো দেড়শো বছর।
  • arjo | 24.214.28.245 | ০৫ জুলাই ২০০৮ ০০:৪৫400429
  • দীপ্তেন দা, না না সিপিএম আসে না। তবে এসেই যখন গেছে, এখন পার্টির ফোরফ্রন্টে গুন্ডা। দমদম কি শ্যামনগর সব জায়গায় একই ব্যপার। আরও আছে পার্টি বিল্ড করতে বাড়ির ঝগড়া মেটায় পার্টি। ফ্ল্যাট বিক্রি হলে তার মেজর শেয়ার যায় বড় বড় নেতাদের কাছে। এটা কি আলিমুর্দ্দিন থেকে অর্ডার আসে। না, একেবারেই নয়, মানে মনে করি না। কিন্তু আগাছায় ভরে গেছে। পার্টির নামে ব্যবসা চলে, সাধারণ মানুষ তার ভুক্তভূগী হয়।

    রঞ্জন দা, আমেরিকায় যুদ্ধ বিরোধী আন্দোলন হয়ত। তবে আমিও বলে নি যে আমেরিকার বিদেশনীতি খুব খারাপ। কিন্তু ঐ যে আমেরিকা মানেই খারাপ সেটাও ঠিক নয়। সেই জায়গাতেই আপত্তি। ব্যস আর বিশেষ কিছু নয়।
  • shyamal | 67.60.254.15 | ০৫ জুলাই ২০০৮ ০১:০৮400430
  • আলিমুদ্দিন থেকে অর্ডার আসেনা জোর করে বলা যায়না। বুদ্ধদেব, অসীম এরা ভদ্রলোক হলেও অনেক মন্ত্রী প্রাক্তন গুন্ডা আর বর্তমান গুন্ডানেতা। বিহারের সঙ্গে কোন ফারাক নেই। গুজবে শোনা যায়, কোলকাতার প্রত্যেক লিগ্যাল ও জালি অটো ওয়ালা কোন এক মন্ত্রীর পকেটে প্রতিদিন এক টাকা দেয়।

    আমাদের বাড়িতে যে কাজ করত, তার মেয়ে জামাইয়ের ঝগড়া মেটাতে পার্টি আপিসে গিয়েছিল। এটাকে লিগ্যালাইজ করার জন্য সিপিএম সালিশি ল আনতে চেষ্টা করেছিল। দেশে তিনটে পিলার আছে। এক্সিকিউটিভ, লেজিস্লেতিভ আর জুডিসিয়াল। সিপিএমের চেষ্টা ছিল সব এক করে দেওয়ার। সংবিধানবিরোধী।
  • kd | 59.93.174.43 | ০৫ জুলাই ২০০৮ ১১:১০400431
  • শ্যামল, ভারতে (বা ব্রিটেনে) কি সত্যিই তিনটে পিলার? legislatorরাই executive departmentsএর head না? মানে সেক্রেটারীর বস তো মন্ত্রী? আর পশ্চিমবঙ্গে তো judicial branchএর কোন ক্ষমতা আছে বলে মনে হয় না - হাইকোর্ট কত অর্ডার দেয় আর সরকার একান দিয়ে শুনে ওকান দিয়ে বার করে দেয় (কিছু কিছু অবিস্যি মানতেও দেখেছি), আর তাতে কোর্ট কিসুই করতে পারে না। (কিছুদিন আগেই পড়লুম, কোর্ট এক থানার অফিসারকে কোর্টে আসতে বারবার অর্দার করাতেও তিনি ignore করছেন এবং সেজন্যে কোন punitive actionও নেওয়া হছে না)।

    ডি: অবিস্যি আমি কট্টুকুই বা জানি?
  • Ishan | 12.240.14.60 | ০৫ জুলাই ২০০৮ ১১:২২400432
  • শ্যামল আমার নামে যাতা লিখছেন। :)

    ভারতের কক্ষনো ব্রিটেনকে ক্যালানো উচিত না। যুদ্ধফুদ্ধের আমি ঘোর বিরোধী। তবে টাইট দেবার চান্স পেলে একশবার দেওয়া উচিত। কলোনির ইতিহাস ভুলে যাবার কোনো মানে নেই। আপনি ইংরিজি করে একে হয়তো নেগোশিয়েশন বলবেন।

    আর পাকিস্তান বদ ভারত ভালো, এর পক্ষে আপনার যুক্তিটা ঠিক মানা গেলনা। বাংলাদেশ প্রশ্নে ভারত পাকিস্তানকে কাঠি করছিল। জবাবে পাকিস্তান গাম্বাটের মতো আক্রমন করে বসল। এতে করে ভারত ভালো আর পাকিস্তান খারাপ হয়ে গেল?
  • dri | 75.3.201.164 | ০৫ জুলাই ২০০৮ ১৩:৫১400433
  • এই ইন্ডিপেন্ডেন্স ডে'র দিন আম্রিকার নিন্দে করব না। কিন্তু অনেস্টলি, কে কে মনে করেন ইরাক তেলের বদলে শালগম এক্সপোর্ট করলেও আম্রিকা ইরাককে আক্রমণ করত? হাত তুলুন।
  • h | 59.145.136.1 | ০৫ জুলাই ২০০৮ ১৫:০১400434
  • আর্জো,
    এই টই টা গুরুর অন্যান্য আলোচনার মতই ব্যক্তিগত এক্সপিরিয়েন্সের দিকে চলে গেল। এটা একটু বোরিং। কারণ আমার প্রচুর ব্যক্তিগত এক্সপিরিয়েন্স ছিল যেটার থেকে আমি বাম ফ্রন্টের সমর্থক হয়ে উঠেছিলাম।

    তোমার সঙ্গে আমার অথেন্টিসিটির প্রতিযোগিতা করার ইচ্ছা নাই, তাই গল্প বলে সময় নষ্ট করছি না। আমি অভিজ্ঞতা কে আদৌ কম মূল্য দি ই না। শুধু এটুকু মনে করাতে চাই যে অভিজ্ঞতা তো নানা রকম হয় হতে পারে। এবং আমি এমন কিছু অনন্য যৌবনের দূত ছিলাম না যে আমার অভিজ্ঞতা অন্যান্য প্রচুর লোকজনের থেকে আলাদা ছিল।

    আর এই প্রসঙ্গে একটাই কথা। কাগজের, ইনটেলেকচুয়ালদের, বাংলা ইলেকট্রোনিক মিডিয়ার বিন্দুমাত্র ক্রেডিবিলিটি আমার কাছে নেই। এরা মোটামুটি সিসু বিসু ( কার্টসি বৈজয়ন্ত) তে বিভক্ত হয়ে যেটা প্রথমে জলাঞ্জলি দিয়েছেন সেটা হল অবজেক্টিভিটি। তবে বিদেশী, ইংরেজি ভাষার মিডিয়া যে অসংখ্য গুল মারে না বা, স্রেফ প্রেজেন্টেশন এর খেলা খেলে ন্যারেটিভ এর পোলিটিকাল লাইন তৈরি করে না তা তো নয়। তা যদি না হত , তাইলে আল জাজিরা র ক্রেডিবিলিটি হঠাৎ ইরাক যুদ্ধ বা ইজরায়েল আভ্যন্তরীন পলিটিক্স এর টানাপোড়েনের আমল থেকে হঠাৎ বেড়ে যেত না।

    এসব ছাড়ো। আমি একটু অন্য কথা বলতে চেয়েছিলাম। আমি বলতে চেয়েছিলাম যে জেনেরালি আমাদের দেশে পবলিক স্ফিয়ার বলে যেটা আছে সেটার নেচার টা পশ্চিমের পাবলিক স্ফীয়ার যেটা আছে তার থেকে আলাদা। এবং এই পার্থক্যের কারণেই অনেকেই যারা পাড়ায় বাম পন্থী দল গুলোকে খিস্তি করেন, তারা অনেকেই বিদেশে এসে নানা বিষয়ে এমন কথা বলেন যে গুলোর সঙ্গে বাম দৃষ্টিভঙ্গীর একটা মিল পাওয়া যায়। অবশ্যই কন্টেক্সটের পার্থক্যটা ধরে। তো যাই হোক, সে বক্তব্য টা বোঝাতে পারি নি।

    তবে আই আই টি নিয়ে তোমার হতাশার কারণ টা বুঝতে পারছি, ইন ফ্যাকট সমর্থন ও করছি। কিন্তু কেস হল আমি নিজে আকাডেমিকালি এত ফালে্‌তা মাল যে প্রিমিআর আকাডেমিক ইনস্টিটিউশন আমি ঠিক কখনো পড়িনি। ঠিক বলতে পারবো না কেস টা খায় না মাথায় দেয় বা তার সঙ্গে সিপিএমের কি সম্পর্ক।

    বিদেশে ভালো স্কুল কলেজে ভালো লেখাপড়া হয়, লোকে গবেষণা তে মন দেয় এতো তোমার মত আমিও দেখি। কেন, তার বিশ্লেষণ করার যোগ্যতা আমার নেই।
  • shyamal | 67.60.254.15 | ০৫ জুলাই ২০০৮ ১৮:৩৬400436
  • আর্য,

    কিছুটা অপ্রাসঙ্গিক হলেও বলব, আই আই টি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বানাচ্ছে তো ক্ষতি কি? আমার ব্যক্তিগত ধারণা হল যে প্রতিটা দেশের নিজের আর্থিক অবস্থা অনুযায়ী প্রায়োরিটি আছে। বেসিক রিসার্চ ভারতের প্রায়োরিটির মধ্যে ছিলনা, আজও নেই। বেসরকারী ভাবে হলে আমার আপত্তি নেই। কোন কোম্পানী কি ভাবে তার পয়সা খরচ করবে, নিজের ব্যাপার। কিন্তু সরকারের ট্যাক্সের টাকায় বেসিক রিসার্চ করা উচিৎ নয়, ছিলনা। সেই টাকা প্রাথমিক শিক্ষায় ঢাললে কাজে দেবে।
    আমার ধারণা, ভারতকে আমেরিকা হওয়ার আগে থাইল্যান্ড তার পরে দ: কোরিয়া হতে হবে। এরা সবাই ভারতের চেয়ে অনেক উন্নত। এসব দেশে কতটুকু বেসিক রিসার্চ হয়?
    ভারতের যা সাকসেস স্টোরি, যেমন স্যাটেলাইট তৈরী ও লঞ্চ, সেটা অ্যাপলায়েড রিসার্চ।
    আজকে আই আই টি বানিয়ে লাভ আছে। কিন্তু যখন পাঁচটা আই আই টি হয়েছে, তখন কি দরকার ছিল? সাধারণ মানুষের টাকায় পড়ে তারা বিদেশ চলে যেত। এন আর আই হয়ে বাড়িতে টাকা পাঠানোর জন্য নিশ্চয় এগুলো তৈরী হয়নি।
    আমার মনে হয়, স্বাধীনতার পরে, একটা ছোট মধ্যবিত্ত শ্রেনী ছিল। কিন্তু আমলা, মন্ত্রী প্রায় সবাই এই শ্রেনীর থেকে। কাজেই নিজের স্বার্থ দেখার জন্য এঁরা আই আই টি , স্টীল প্ল্যান্ট ইত্যাদিতে সাধারণ মানুষের টাকা ঢালিয়েছেন। যাতে এই মধ্যবিত্ত শ্রেনীর ভাল ছেলেরা চাকরী পায়।
  • omnath | 59.93.247.95 | ০৫ জুলাই ২০০৮ ২২:৫১400438
  • শ্যামলবাবুর শেষের ছোট্ট দুলাইনের প্যারাটা আসলে একটা বিশাল প্রবন্ধ। প্র: বৈ: চ: সময় পেলে এ বিসয়ে কিছু মিছু বলবেন।
  • arjo | 24.214.28.245 | ০৫ জুলাই ২০০৮ ২৩:৩২400439
  • হনু,

    না না আমি যে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলেছি তার সাথে এই থ্রেডের খুব একটা সম্পর্ক নেই। আপনার ৪ ই জুলাই ৭:২০ র পোস্টে আপনি বলেছেন প:বঙ্গের মিডিয়ার সেন্সেনালিজমের দিকে নজর, একটা অ্যাজেন্ডা ধরে রিপোর্টিং। এটা আপনার ব্যক্তিগত এক্সপিরিয়েন্স। তাই আমি আমার ব্যক্তিগত এক্সপিরিয়েন্স শেয়ার করলাম কারণ অনেক সময় এই সেন্সেনাল খবর গুলোকে আমি রিলেট করতে পারি। যেমন ধরুন কদিন আগে একটা খবর ছিল সিপিএম কে ভোট না দেবার জন্য বিবস্ত্র করে আবীর মাখানো হয়েছে। এই খবরটাকে আমি খুব রিলেট করতে পারি। এটাকে আমার একটুও অবিশ্বাস্য মনে হয় না। যাক এর সাথে মূল বিতর্কের খুব একটা যোগ নেই।

    ১। মূলত বিতর্কটা আমেরিকার বিদেশনীতি নিয়ে। এমনকি ডান বা বাম অর্থনীতি নিয়েও নয়। সেক্ষেত্রে আমার বক্তব্য একটাই সেটা হল আমি সেটার বিরোধীতা করি এবং আমেরিকা সেটা আমাকে করতে দেয়। সেটা এক ধরণের এম্পাওয়ার্মেন্ট। বিদেশ নীতির ক্ষেত্রে রাশিয়া, চীন, ভারত, ব্রিটেন কেউই প্রশ্নাতীত নয়। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমাদের কথা বলার ক্ষমতাই নেই। আমেরিকার শত ভুলের মধ্যে এটা একটা পজিটিভ।

    ২। আইআইটি তে রিসার্চ হয় না তার সাথেও সিপিএমএর খুব একটা সম্পর্ক নেই। কিন্তু ঐ আমি এতই ফালতো মাল (আপনার থেকে ধার নিলাম, রেগে যাবেন না প্লিজ :-))। যে সব একসাথে জুড়ে লিখেছি। আমার লেখার দোষ। যা বলতে চেয়েছি তা হল ডান ও বামের এই যে বিতর্ক আদি অনন্তকাল ধরে চলেছে তা বোঝার মতন থিওরেটিকাল পড়াশুনো আমার নাই। আমার সাবজেক্টও নয়। আমি সাধারণ লোকের জায়গা থেকে অবজার্ভ করতে পারি। সেই অবজার্ভেশন হল একটা সিস্টেম ভেঙে পড়েছে, শিক্ষা, চিকিৎসা ও মানব উন্নয়নের ক্ষেত্রে খুব কিছু কϾট্রবিউশন না রেখেই। অন্যদিকে অন্য একটা সিস্টেম একদিকে যেমন প্রচন্ড হারামি গিরি করে আফগানিস্তান আক্রমণ করছে, ইরাক আক্রমণ করছে, অস্ত্র বেচছে তেমনি অন্যদিকে শিক্ষা ও চিকিৎসায় প্রবল উন্নতি করছে যার ডাইরেক্ট বা ইনডাইরেক্ট এফেক্ট আমাদের সবার কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। এটাও এই সিস্টেমের এক ধরণের এমপাওয়ারমেন্ট।

    শ্যামল,

    রিসার্চ আমার মতে এগিয়ে যাওয়ার জন্য নিতান্ত জরুরী, যদি না আপনি "দাও ফিরে সে অরণ্যে' বিশ্বাসী হন। ভারতকে উন্নয়ণের স্টেজে প্রথমে দ:কোরিয়া হতে হবে, না থাইল্যান্ড তার সাথে রিসার্চের প্রয়োজনীয়তার কি খুব একটা সম্পর্ক আছে? রিসার্চ কিন্তু কোনো শর্টটার্ম গোলের জন্য নয়। এই নিয়ে আলোচনা চলতেই পারে। তবে এখানে কি?
  • ranjan roy | 122.168.31.188 | ০৬ জুলাই ২০০৮ ০০:১৫400440
  • arjo,
    আমি আপনার শেষ পোস্টটা পড়ে জাস্ট এক কথায় আমার বক্তব্য শেষ করছি।
    ঐ পোস্টে আপনার ৯০% বক্তব্যের সঙ্গে আমি একমত, এমনকি শ্যামলকে বলা থিওরিটিক্যাল বা বেসিক রিসার্চের আবশ্যকতা এবং তার লং টার্ম পার্স্পেকটিভ নিয়েও।
    আপনি আর আমি দুটো বিষয়েই সহমত।
    এক, আমেরিকার বিদেশনীতি খুব খারাপ। এ,ব্যপারে শ্যামলের সো কলড প্র্যাক্টিক্যাল উইজডম বা রিয়ালিটি শো এর লজিকে আমেরিকার বিদেশনীতির এক ধরণের জাস্টিফিকেশন দাঁড় করানোর সংগে আপনার ও আমার সম্মতি নেই।
    দুই, ঐ ব্যাপারে আমেরিকায় দাঁড়িয়ে আমেরিকান নীতির সমালোচনা করা যায় এবং এটা ততীয় বিশ্বের অন্য দেশে এমনকি কথিত সমাজতান্ত্রিক দেশেও সম্ভব নয়।

    এইসব বলার পর খালি একটি কথা অ্যাড করতে চাই।
    আমেরিকায় দাঁড়িয়ে ওর ইরাকনীতির( বা নিকারা গুয়া-ভিয়েৎনাম-কোরিয়া-ইরান-ভারত নীতির)সমালোচনা করতে পেরে আমাদের বেশ তৃপ্তি হতে পারে, গনতন্ত্রের বিকাশ দেখে মনটা ভাল হয়ে যেতে পারে--- কিন্তু তাতে আমেরিকার বিদেশনীতির প্রণেতাদের কিস্যু আসে যায় না।
    কারণ ঐ কথা গুলো আমেরিকা ইরাকে দাঁড়িয়ে, বা নিকারা গুয়ায় দাঁড়িয়ে, বা ইরাণে দাঁড়িয়ে বলতে দেবে না। সেখানে অন্য মূর্তি ধরবে।
    অবশ্যই আমাদের বংগ, শিবসেনা, গুজরাট, বা তিয়েন আন মেন, বা সিংগুর অনুভবের পর ওটা বেশ pleasant surprise লাগতে পারে।
    ব্যস, এইটুকুই।
  • santanu | 217.196.19.45 | ০৬ জুলাই ২০০৮ ০০:২৯400441
  • সে কি, কলকাতায় মাঝেমাঝেই যে মিছিল বার হয়, আমেরিকার বিপক্ষে!!! কেউ তো কিছু বলে না, আমেরিকা তো নয়ই।

    Ranjan দা এমনি বললাম কিছু সিরিয়াসলি নেবেন না।
  • shyamal | 67.60.254.15 | ০৬ জুলাই ২০০৮ ০১:০৪400442
  • সোমনাথ,

    প্র: বৈ: চ: টা কে ? ওনার বলার আশায় রইলাম।

  • Ishan | 12.240.14.60 | ০৬ জুলাই ২০০৮ ০১:০৮400443
  • এইটা নিয়ে একটা হেবি জোক আছে (পিজে নহে)।

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ। বার্লিনে এক রুশ আর আমেরিকান সৈন্যের মধ্যে তর্ক হচ্ছে। কোন দেশ ভালো। বিস্তর ঝগড়াঝাঁটির পর আমেরিকান সৈন্য ব্রহ্মাস্ত্র ছারল। "আমি ইচ্ছে করলেই হোয়াইট হাউসের সামনে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলতে পারি, রুজভেল্ট একটা গাধা। তুই পারবি?'

    রাশিয়ান সৈন্য জবাব দিল "কেন পারবনা? আমিও ইচ্ছে করলেই ক্রেমলিনের সামনে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলতে পারি রুজভেল্ট একটা গাধা। কেউ কিচ্ছু বলবেনা'।

    এটা বোধহয় বিবেকানন্দ মুকুজ্যের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসে পড়েছিলাম। ডিডিদা, প্লিজ কনফার্ম।
  • shyamal | 67.60.254.15 | ০৬ জুলাই ২০০৮ ১৮:১১400444
  • প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যান্টনী কিন্তু খুব রেগে গেছেন। বলেছেন, সেই ১৯৪৭ থেকে বিদেশ নীতি কংগ্রেস ঠিক করে এসেছে। আজকে বাম দলরা যেন তাঁদের বিদেশ নীতি "শেখাতে" না আসে। মুলায়েম বাবু আপনি এ কি করলেন!
  • ranjan roy | 122.168.14.159 | ০৭ জুলাই ২০০৮ ২১:২০400445
  • বা: শান্তনু, কিছু মনে করবো কেন? very aptly said.
    এর রেসপন্সে আমার মাথায় যে জোকটা এসেছিলো সেটা ইশান বলে দিয়েছে।
    নিগলিতার্থ,
    যেদিন বঙ্গের প্রশাসন মার্কিন সরকারের ইন্টারেস্টের রাখওয়ালা হয়ে দাঁড়াবে সেদিন কোলকাতার বুকে কেউ মার্কিনবিরোধী মিছিল বের করে তো দেখুক, নিঘ্‌ঘাৎ ঠ্যাঙানি খাবে।
    (ইশানের lingoতে উত্তাল ক্যালানি:))))।
    বিশ্বাস হচ্ছে না? সিপিএম বন্ধুরা রে-রে করে উঠলেন বলে!
    ১৯৫৯এর কি ৬০ এর কথা বলছি। অবিভক্ত কমুনিস্ট পার্টির দৈনিক স্বাধীনতার রবিবাসরীয়তে গল্প বেরিয়েছিলো কিভাবে টাটানগরের টাউনশিপে একশ্রেণীর মেয়েরা পয়সা ও গ্ল্যামারের খাতিরে কলগার্ল হচ্ছে। এও ছিল এগুলো এই টাটার দল দ্বিতীয় বিশ্ব -যুদ্ধোত্তর পশ্চিম জার্মানী থেকে আমদানী করেছে--- "" ব্রথেল খুলে এন্টারটেনমেন্ট দেয়া''।
    ( মনে আছে এইজন্যে যে আমি তখন ফাইভে পড়ি। ছোটকাকাকে ব্রথেল এবং এন্টারটেনমেন্ট শব্দগুলোর মানে জিগানোয় আমার কান ধরে ভাল করে পেঁচিয়ে দিয়েছিলো।)
    তাতে ছিলো নায়ক ইউনিয়ন অর্গানইজ করতে গিয়ে বাঁশ খেলো, তারপর স্ট্রাইক করাতে গেলে কারখানার গেট বন্ধ করে কংগ্রেস সরকারের পুলিস ও গুন্ডারা মিলে কি ভাবে নায়ককে পিটিয়ে মারলো।
    আর তার নববিবাহিতা বধূ ভাতের থালা নিয়ে প্রতীক্ষায়।
    ফ্রীজ, ডিজলভড্‌।
    এইবার সিংগুরের টাটার কারখানা নিয়ে যা হলো ওপরের গপ্পোটার সংগে মেলান, দেখবেন অতটা কষ্টকল্পিত নাও মনে হতে পারে।
  • Suvajit | 124.179.106.169 | ০৮ জুলাই ২০০৮ ১৭:৪৪400447
  • তবে যাই বলুন, আমি মনে করি ভারতবর্ষেও মত প্রকাশ করার স্বাধীনতা কিছু কম নেই। এত লোক, এত মত, এত বিভিন্ন ইন্টারেস্ট, সবাই তো কোনো না কোনো রকম ভাবে নিজেদের মতামত প্রকাশ করছে। যেখানে সেখানে সরকার বা বিরোধী দুজনেরই কাছা খুলে সমালোচনা করছে। শুধু তাই নয়, যেটা মার্কিনদেশে কখনই হয় না, সেই মত বা বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে গিয়ে চাক্কা জ্যাম করে দিচ্ছে, পুলিশকে পিটোচ্ছে, জনগনকে, বিরুদ্ধ মতবাদীকেও পিটোচ্ছে। বাকস্বাধীনতার এমন সোচ্চার নিদর্শন অন্য কোন দেশ দেখাতে পারবে কি।

    এই টইটাকে ওপরে তোলাও এই পোস্টের একটি উদ্দেশ্য ছিলো :-)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন