এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • মর্যাদার সাথে উন্নয়ন- অমিত ভাদুড়ি

    r
    বইপত্তর | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ | ৫০৬১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • sibu | 207.47.98.129 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ০৩:২৮406542
  • শ্রমিক শোষণ দুপক্ষেরই একমাত্র উপায়। দুজনেই তাই করে থাকে।
  • sibu | 207.47.98.129 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ০৩:২৯406543
  • ও হ্যাঁ, টয়োটার দাম কম নয়, বেশী।
  • arjo | 168.26.215.13 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ০৩:৪৪406544
  • টয়োটা এবং জিএম দুইই শ্রমিক শোষণ করে থাকে? তা ভালো করুক।

    তাহলে দেখা গেল উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর একমাত্র উপায় হল শ্রমিক শোষণ। তা সেতো উন্মুক্ত এবং বদ্ধ দুই অর্থনীতিতেই সমান। একটায় বেশি একটায় একটু কম, তাই কি?
  • sibu | 207.47.98.129 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ০৩:৪৭406545
  • না:, প্রোডাকটিভিটি বাড়ানোর একমাত্র উপায় শ্রমিক শোষণ নয়। প্রফিট প্রতিযোগীদের থেকে বেশী করার (প্রায়) একমাত্র উপায় শ্রমিক শোষন। সে সব রকম ক্যাপিটালিজমেই। তবে বদ্ধ হলে শোষণ একটু কঠিন করা, মুক্ত হলে সহজ।
  • arjo | 168.26.215.13 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ০৩:৫৭406546
  • সে তো শ্রমের মূল্যও কম। শোষণের মাপ/শ্রমের মূল্য কোথায় অপ্টিমাইজ হবে এই নিয়ে কোনো থিওরী আছে নাকি?

    আর বদ্ধ ইকনমিতে শোষণ কম হয় এরকম কথা কি করে বোঝা গেল?
  • sibu | 207.47.98.129 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ০৪:০১406547
  • আছে। মার্ক্স সাহেব ক্যাপিটাল লিখেছিলেন।

    বদ্ধ অর্থনীতিতে শ্রমিকের দর-কষাকষির ক্ষমতা বেশী, তাই শোষণ তুলনায় কম।
  • arjo | 168.26.215.13 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ০৪:০৫406548
  • কেমন করে?

    এই যে উন্মুক্ত অর্থনীতির সফটওয়ারের লোকজন দেখি একখান থেকে অন্যখানে হু হা জাম্প করছে।
  • sibu | 207.47.98.129 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ০৪:০৭406549
  • দু-চারদিন করছিল। এখন কম করছে। কদিন বাদে একেবারেই করবে না।

    ওভারঅল সফটওয়্যারের মাইনে এখনই কমছে।
  • arjo | 168.26.215.13 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ০৪:১৭406550
  • প্রায় আঠারো বছর ধরে করেছে। সেটা কি দু চারদিন। আর বদ্ধ ইকনমিতে শ্রমিকের দর কষাকষির ক্ষমতা কেমন করে বেশি সেটাই তো জানতে চাইছি। বুঝতে পারছি না। আফটার অল লেম্যান।
  • sibu | 207.47.98.129 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ০৪:২২406552
  • আঠারো বছর অনেক নয় সত্যি। এই দেকো না, আম্রিকার অ্যাসেট ইনফ্লেশন আঠারোর বেশীদিন ধরেই চলছে।

    বদ্ধ অর্থনীতিতে লেবার ল লেজিসলেট করা যায়, মিনিমাম ওয়েজ অনেক সহজে লেজিসলেট করা যায়। মোটের ওপর ওয়েজ ইজ ডিটার্মাইনড বাই পলিটিকস। সেই পলিটিক্যাল ক®¾ট্রাল বদ্ধ অর্থনীতিতে অনেক বেশী।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ০৪:৪৭406553
  • পাল্টা বক্তব্য তো আছে।

    ক্লোজড ইকনমিতে উৎপাদনশীলতা বাড়লে কিছু লোকের কাজ যাবে ঠিকই। কিন্তু একদল লোকের হাতে অধিক পয়সা আসবে। কারণ, পয়সা তো আর উবে যাবেনা। ফলে বাজার সংকুচিত হবেনা। কারণ, যাদের হাতে বেশি পয়সা, তাদের খরচা করার জায়গা চাই। তারা নতুন পরিষেবা কিনতে চাইবে। উদ্বৃত্ত মুনাফা তখন পরিষেবা সেক্টরে বিনিয়োগ করা হবে। সেখানে আরও লোকের চাকরি হবে। বাজার আরও বাড়বে। আরও মুনাফা হবে ইত্যাদি।

    পুরোটা চক্রাকারে চললে, বাজার মোটেও সঙ্কুচিত হবেনা। শুধু পুরোনো পণ্যের বদলে নতুন পরিষেবা আসবে। কেবলই দৃশ্যের জন্ম হবে। :)

    এইটার উদাহরণ খুঁজে পাওয়া চাপ। কারণ ক্লোজড ইকনমিতে এই এক্সপেরিমেন্টটা কোথাও হয়নি। পুরো থিয়োরিটার সঙ্গেই আমদানি-রপ্তানির একটা গপ্পো জড়িয়ে আছে। তবুও, কাছাকাছি উদাহরণ হিসেবে ভারতীয় আইটির কেসটা ধরা যেতে পারে। কম্পিউটার গুচ্ছ চাকরি খেয়েছে। কিন্তু জব জেনারেট করেছে বেশ কিছু। তার চেয়েও বড়ো কথা পরিষেবা ক্ষেত্রে নতুন চাহিদার জন্ম দিয়েছে। ইত্যাদি। অবশ্যই , এটা ক্লোজড ইকনমিতে নয়, এর পিছনে রপ্তানির একটা বড়ো ভূমিকা আছে। সে আর কি করা যাবে। এর চেয়ে ভালো উদাহরণ আর পাওয়া যাবে না। :)
  • sibu | 207.47.98.129 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ০৫:০৫406554
  • মামুর সাথে একমত হতে পারলুম না। বদ্ধ অর্থনীতি হলেই সাপ্লাই ডিম্যান্ড সাইড পলিসির তফাৎ উবে যায় না। সাপ্লাই সাইড পলিসি বদ্ধ অর্থনীতিতেও ক্ষতিকর। মূল তফাৎ হল বদ্ধ ইকনমিতে পলিটিক্স অর্থনীতিকে বেটার ক®¾ট্রাল করতে পারে। মুক্ত অর্থনীতিতে কর্পোরেশনগুলো সুপার ন্যাশনাল/পলিটিক্যাল এনটিটি হয়ে যায় বলে তাদের ক®¾ট্রাল করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। যদি বিশ্ব জুড়ে ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট হয় তো ব্যাপারটা অন্য রকম হবে। তখন আমি খোলা অর্থনীতির পক্ষেই কথা বলব।
  • arjo | 24.42.203.194 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ০৫:১২406555
  • আঠারো বছরের বাড়াটা যদি বেশি না হয়। তাহলে এই ইকনমির ঝাড়ে কমাসের কমাটা বেশি বলে ধরে নেওয়ার কারণ কি?

    তাহলে বদ্ধ ইকনমিতে শ্রমিকের দর কষাকষির ক্ষমতা নয়, সরকারের হাতে লেজিসলেটিভ পাওয়ার বাড়বে। মিনিমাম ওয়েজই শুধু একমাত্র শোষণ নয়। যার ঘন্টা প্রতি ১০ টাকা পাওয়ার কথা সে যদি ঘন্টা প্রতি ৭ টাকা পায় তাহলে তাও শোষণ। সরকার সেটা রুখবে কি করে?

    দর কষাকষির কথায় ফিরে গেলে, সফটওয়ার কোম্পানীগুলোতে ডোমেস্টিক প্রোজেক্টে কাজ করা কর্মী আর বিদেশী প্রোজেক্টে কাজ করা কর্মী অনেক সময়েই একই সুযোগ সুবিধা পেত না। দর কষাকষির ক্ষমতা অনেক বেশি ছিল বিদেশী প্রোজেক্টে কাজ করা কর্মীর।

    শ্রমিক হিসেবে আমি অপেক্ষাকৃত কম শোষণ, কম মাইনে না এক্টু বেশি শোষণ বেশি মাইনে চাইব সেটা জানা গেল কি করে? যখন দেখা গেছে বদ্ধ এবং খোলা দুরকম ইকনমিতেই শোষণ হবেই।
  • sibu | 207.47.98.129 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ০৫:১৭406556
  • আগামী আঠেরো বছর দেখো ইয়ার। আর আঠেরো তো ঠিক নয়। আট কি দশ বলাই ঠিক।

    সরকার শ্রমিকের কাছে অনেক বেশী দায়বদ্ধ, কর্পোরেশনের তুলনায়।

    খোলা অর্থনীতিতে শোষণ অনেক বেশী, কেন না কর্পোরেশনদের ক®¾ট্রাল করার কেউ নেই। বল্লুম যে, ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট হলে আমার মুক্ত অর্থনীতিতে আপত্তি নেই।
  • arjo | 24.42.203.194 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ০৫:৩৬406557
  • আবার ফিরে যাই, আমার যাবতীয় প্রশ্ন ছিল এই বইটির কয়েকটি প্রতিপাদ্য নিয়ে। সাপ্লাই সাইড ইকনমি ভালো না ডিমান্ড সাইড নাকি ভগবান। এই নিয়ে অমৃতলাল সুলভ ভবিষ্যতবাণী করার উদ্দেশ্য একেবারেই নেই। কারণ এক, আমি অমৃতলাল নই, দুই নস্ত্রাদামুসও নই, তিন, এম্পিরিকাল স্টাডি বলে ইকনমিক প্রেডিকশান গুলো ওয়েদার প্রেডিকশানের থেকেও খারাপ, চার, এটা বইটি নিয়ে আলোচনার সুতো।

    তা আমার প্রশ্ন ছিল উন্মুক্ত অর্থনীতি => হাই প্রোডাক্টিভিটি => শ্রমিক শোষণ, তাই বদ্ধ ইকনমিতে ফিরে চলুন। মানে বদ্ধ ইকনমি /=> হাই প্রোডাক্টিভিটি /=> শ্রমিক শোষণ। সেটা কেমন করে তখনো বুঝতে পারি নি এখনও না। সিবুদার কথাবার্তা থেকে যা বোঝা গেল শোষণ দুয়েই হবে। একটু কম একটু বেশি। তাহলে শ্রমিক হিসেবে কোনটা আমি বেছে নেব কম মাইনে, কম শোষণ নাকি বেশি মাইনে বেশি শোষণ, তার উত্তর এত সহজ নাকি।

    বাকী যে প্রশ্ন ছিল মুনাফা বাড়লে তা ইকনমিতেই ফিরে আসে। কোনো লগ্নীকারীই টাকা ঘরে রেখে দিতে চায় না। এটাই ক্যাপিটালিস্ট ইকনমির মূল কথা। নইলে লগ্নীকারী সেই টাকা সেভ করলে তাকে লিকেজ বলে। তাই প্রোডাক্টিভিটি বাড়লে মুনাফা বাড়বে এবং সেই মুনাফার কিয়দংশ ইকনমিতেই ফিরে আসবে। এবারে গ্লোবাল ইকনমিতে সমস্যা হল সেই ইনভেস্টমেন্ট একই দেশে ফিরে নাও যেতে পারে। এর সাথে ডিমান্ড সাইড বা সাপ্লাই সাইডের সম্পর্ক বুঝি নাই।

    ক্লোজড ইকনমিতে যে এসব হবে না, কেন তা এখনো বুঝি নাই।
  • sibu | 207.47.98.129 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ০৫:৪২406558
  • ঠিক আছে, এত বুঝে কি হবে? চলো ঘরে যাই। এমন তো আর না, অমিত ভাদুড়ী না বুঝলে তোমার পেটের ভাত জুটছে না।
  • sibu | 207.47.98.129 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ০৫:৫৩406559
  • ও হ্যাঁ, তোমার শেষ পোস্টের সব কথাগুলো নিয়েই আলোচনা হয়েছে। যে কোনো কারনেই হোক, তোমার সে সব কথা বোঝার আগ্রহ নেই। শ্যামলেরও তাই।

    তোমার মোদ্দা কথা হল তোমার মতের সাথে যা মেলে না তাই বাজে। যেমন এম্পিরিকাল স্টাডি হল প্রেডিকশান (কোত্থেকে ঐ কথাটা তুমি পেলে সে ভাগাই জানে) এবং বাজে ব্যাপার। কেন বাজে? তোমার সাথে মতে মেলে না বলে?

    মুক্ত ইকনমিতে ওয়েজের ডাউনওয়ার্ড স্পাইরাল নিয়ে আমি অনেকগুলো কথা বলেছি। তুমি সে সব কথা না শুনে বার বার একই রেকর্ড বাজিয়ে যাচ্ছ।

    মুনাফা হলেই সেটা ইনভেস্টেড হবে তার কুন মানে নাই, স্পেকুলেশনও হতে পারে। গত দশ-পনেরো বছরে এ দেশে তাই হয়েছে। আর মুনাফা বাড়লেই সেটা এমপ্লয়মেন্ট বাড়াবে তারও কোন মানে নাই। তুমি নিজেই বলেছ সেটা অংকের উপর নির্ভর করবে। কিন্তু অংক তুমি দেখবে না, কেন না সেটা এম্পিরিকাল স্টাডি/ ওয়েদার প্রেডিকশন/ বাজে ব্যাপার।

    আমার ধারনা তুমি অনেস্টলি ব্যাপারটা বুঝতে চাইছ না। যাস্ট তোমার ইকনমিক কুসংস্কার কনফার্ম করতে চাইছ।
  • arjo | 24.42.203.194 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ০৬:৪১406560
  • না সিবুদা একেবারেই নয়। আমি একবারও বলি নাই সাপ্লাই সাইড ভালো, না ডিমান্ড সাইড। ইনফ্যাক্ট এই থ্রেড তারজন্য নয়। ইকনমির ""সারবত্তা"" বোঝানোর গুরুভার তুমি নিজেই নিয়েছ। মানে গ্লোবাল ইকনমি, ফ্রি ইকনমি ইত্যাদি খুব খারাপ সেটা বোঝানোর দায় নিয়েছ - তোমার পলিটিকাল, ইকনমিক থিওরীর বায়াস। তাই যেকোনো নির্দোষ প্রশ্নমালাতেও তোমার অসুবিধা হচ্ছে। ভাবছ লোকে বুঝি ফ্রি মার্কেট চেয়ে বসল, মিথ্যে বলে বসল।

    আমি নিজে ফ্রি মার্কেটে করে খাই। সরকারী চাকরী একেবারেই করতে চাই না, বাধ্য হলে তাও করব। ফ্রি মার্কেট এবং নন ফ্রি মার্কেট ইকনমির মধ্যে যে খেতে দেবে সেই ভালো।

    মূল বক্তব্য হল অমিত বাবু বইটিতে বেশ কিছু বক্তব্য ওপেন এন্ডেন্ড রেখেছেন। তা আমাদের মতন লেম্যানকে চিন্তা করানোর জন্যও হতে পারে, খানিক বিতর্ক উস্কে দেবার জন্যও হতে পারে, বইটিকে জনপ্রিয় করার জন্যও হতে পারে। জানা নেই। এই থ্রেডে আমার উদ্দেশ্য একেবারেই অ্যাকাডেমিক, পলিটিকাল নয়। সেটা আমার প্রথম পোস্টেই খুব ক্লিয়ার। নইলে অমিত ভাদুড়ীর তঙ্কÄকে চ্যালেঞ্জ করার মতন সাহস আমার নেই। কিন্তু এসব বলার পরেও কিছু কিছু প্রশ্ন উঠবেই কারণ বইটির উদ্দেশ্যই তাই। সেই প্রশ্ন গুলোর টু দা পয়েন্ট অ্যাকাডেমিক আলোচনাই আমার উদ্দেশ্য।

    যেমন ভারতে কোনো জিনিষ তৈরী হয়ে আমেরিকায় বিক্রি হলে প্রোডাক্টিভিটি বেশি করতে হবে কেন। দাম কমাতে? সে তো ১:৪৯ রেশিওতে এমনিই কমে গেল। এবারে এটা অ্যাকাডেমিক প্রশ্ন তোমার অন্যরকম মনে হতেই পারে।

    আর শ্যামলবাবু এবং এখনকার অন্যান্যদের মধ্যে দুটো মেজর পার্থক্য

    ১। শ্যামলবাবু এখানে সংখ্যালঘু।
    ২। শ্যামলবাবু হাজার প্ররোচনা সঙ্কেÄও কোনোদিন শালীনতার সীমানা ছাড়ান নি। অবশ্যই শিক্ষনীয়।
  • arjo | 24.42.203.194 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ০৬:৫৯406561
  • এই শেষ দুটো লাইন ভাটে যেত। সরি সিবুদা। এই লাইনগুলো গত কয়েকদিন চলা কিছু ভাটের পরিপ্রেক্ষিতে বলা। এই থ্রেডের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই।
  • sibu | 71.106.244.161 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ০৯:২৮406563
  • কিন্তু তুমি অ্যাকাডেমিক আলোচনা তো করছ না। আমি এই কথাটা দুটো কারনে বলছি।

    ১। তুমি কিছু কিছু কথা বার বার বলা সঙ্কেÄও ইগনোর করছ। যেমন তথাকথিত মুক্ত ইকনমিতে ওয়েজের ডাউনওয়ার্ড স্পাইরাল সৃষ্টি হবে। এই কথাটা তুমি বারবার ইগনোর করে যাচ্ছ। অথচ গ্লোবালাইজেশনের বিপক্ষে এটা একটা ইম্পর্ট্যান্ট যুক্তি।

    ২। এম্পিরিকাল এভিডেন্স/স্টাডি ইগনোর করতে চাওয়াটা অ্যাকাডেমিক অ্যাটিচুডের পরিচায়ক নয়।

    আমার একটা ইকনমিক পলিটিকাল মতামত আছে। সেটা লুকোনোর কোন দরকার আমি কখনো বোধ করিনি। কিন্তু অ্যাকাডেমিক হবার জন্য মতামত না থাকাটা জরুরী নয়।
  • Ishan | 12.217.30.133 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ০৯:২৯406564
  • এক নং। আমি সাপ্লাই সাইড ইকনমিক্সের সমর্থক নই। ঐটা অন্যপক্ষের কি বক্তব্য, সেটা নথিভুক্ত করতে বলা মাত্র।

    দুই নং। গ্লোবালাইজড দুনিয়ায় সব উৎপাদন সবচেয়ে কম মজুরির দেশে চলে যাবে -- এইটা ঠিক বুঝলামনা। সবচেয়ে কম মজুরির দেশে সব কাজ চলে গেলে, মজুরির হার এমনিতেই বাড়বে। বাড়তে বাড়তে দুনিয়ার সব দেশে মজুরির হার সমান হয়ে যাবে। লং রানে। এইরকমটাই হবার কথা নয় কি?

    তিন নং। অমিত ভাদুড়ির বইটা আমার একেবারেই পছন্দ হয় নাই। একেবারেই নেহেরুভিয়ান অর্থনীতিতে প্রত্যাবর্তনের কথা বলা আছে। সে বড়ো বাজে জিনিস। একটা টেলিফোনের লাইন নিতে দুবছর লাগে। ধদ্ধড়ে অ্যাম্বাসাডার কিনতে পনেরোশো লোকের পিছনে লাইন দিতে হত। এখন খুব ভালো আছি তা না, কিন্তু ঐ অতীতে ফেরতও যেতে চাইনা।

    চার নং। এইটাই আসল পয়েন। আসলে গ্লোবালাইজড দুনিয়ায় কি হবে, অমিত ভাদুড়িও জানেননা, আমিও জানিনা। আর চাট্টি সোসাল সায়েন্সের মতই ইকনমিস্টরাও মূলত: ঘটে যাবার পরে জিনিসের ব্যাখ্যা দিয়ে নোবেল টোবেল পান। ভবিষ্যতে কি হবে বলতে পারলে তো ল্যাটা কবেই চুকে যেত।

  • sibu | 71.106.244.161 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ০৯:৪৭406565
  • মামুকে:

    ১। ভুল বুঝেছি, দু:খিত।

    ২অ। সবচেয়ে কম মজুরীর দেশ কোন একটা নির্দিষ্ট দেশ নয়। আজকে সেই দেশ ভারত, কাল ভিয়েতনাম, পরশু মাদাগাস্কার। তাই সব চাকরি গিয়ে হুরহুর করে মজুরী অনেক বাড়িয়ে দিল কোন দেশে, এমন হবে না, আর এমন কথা আমি বলি নাই।

    ২আ। সব দেশে মজুরী লং রানে সমান হবে। কিন্তু সেই মজুরী খুব কম কিছু হবে, কিন্তু বাড়তে বাড়তে না - কমতে কমতে। সম্ভবত: মার্ক্স কথিত সেই শ্রমের পুনরুৎপাদনের ব্যয়ের কাছাকাছি কিছু হবে। তেমন হলে বিশ্বের মোট চাহিদা খুব কমে যাবে এবং বর্তমান আর্থিক সংকট বা তার চেয়ে খারাপ কিছু দেখা দেবে।

    ৩। নেহেরুভিয়ান ইকনমির বদলে যে শাইনিং ইন্ডিয়া আমরা দেখেছি সেটা একটা বাবল ইকনমির থার্ড ওয়ার্ল্ড ভার্সন। আর দু-পাঁচ বছর না দেখে ভাল মন্দের ব্যাপারে মতামত দেওয়া ঠিক হবে না। ডি: নেহেরুভিয়ান ইকনমির সমর্থক নই, তবে বাম দিক থেকে।

    ৪। কিছু কিছু ইকনমিস্টের প্রেডিকশনের রেকর্ড খুব মন্দ নয়। যেমন গ্রীনস্প্যানিয় পলিসি যে ভয়ানক বাবল বানাচ্ছে, আর তার ফলে আম্রিকার অর্থনীতির যে ভয়ানক বাঁশ আসছে, সেটা গত দশ-পনেরো বছর ধরেই অনেক ইকনমিস্ট (যাদের মধ্যে ক্রূগম্যান, স্টিগলিটজ দুজনেই আছেন) বলে আসছেন। কাজেই এই পয়েন্টটার সাথে একমত হতে পারলাম না।
  • Ishan | 12.217.30.133 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ০৯:৫৪406566
  • অন্যগুলো নিয়ে কিছু বলার নেই। শুধু ২ আ। এই বিষয়ে অন্যপক্ষের বক্তব্য হল, বিশ্বের চাহিদা বিশেষ কমবেনা। মানে মোট রপ্তানি বাণিজ্যের কেকটা একই থাকবে। যার সিংহভাগই আমেরিকার চাহিদা মেটাতে। এবং আমেরিকান অর্থনীতি এতই পোক্ত, যে, যাই হোকনা কেন, আমেরিকার মোট আমদানি একই থাকবে। মানে বাংলা কথা হল, আমেরিকা ডলার ছাপিয়ে স্পেন্ডিং এমন একটা জায়গায় রাখবে, যাতে চাহিদা না কমে।

    তো, তাই যদি হয়, তাহলে কি হবে?
  • arjo | 24.42.203.194 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ০৯:৫৬406567
  • সিবুদা, দ্যাট্‌স দা পয়েন্ট অমিতবাবু ওয়েজের ডাউনওয়ার্ড স্পাইরালের কথা বলেননি। আর তাই আমি ওটা নিয়ে এই মুহুর্তে চিন্তিত নই। আমার খুব ন্যারো স্কোপ - আমার গোটা তিনেক প্রশ্ন - তার বাইরের উত্তর তো চাই না। আমি গ্লোবালাইজেশন ভালো না খারাপ তার কোনো কনক্লুশন ও টানতে চাইছি না। শুধু তিনটে প্রশ্ন করেছি এবং তারই উত্তর এক্সপেক্ট করি।

    এম্পিরিকাল স্টাডি ইজ রিলায়েবল উইথ এ ডিগ্রী অফ ফ্রিডম। তো, যাই হোক আমি এম্পিরিকাল কোনো স্টাডিকে তো ইগনোর করি নি, করার ইচ্ছেও নেই। আগামী আঠারো বছরে কি হবে সেই ইকনমিক প্রেডিকশনের কথা বলছিলাম।

    বারবার একটাই কথা বলছি এই থ্রেডে ঐ বইতে যা আছে, যা নেই, যা থাকতে পারত তাই নিয়ে আলোচনা করতে এসেছি। এবারে বইটির বিষয়বস্তু এমন যে সেই আলোচনা আসবেই, বিতর্কও হোক, কিন্তু একটু প্রিম্যাচিওর হয়ে গেল এই যা।
  • sibu | 71.106.244.161 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ১০:০১406568
  • ২আ নিয়ে অন্যপক্ষের বক্তব্যে খুব গন্ডগোল আছে। চাকরি সব আম্রিকা থেকে অন্য দেশে চলে যাবে আর আম্রিকা ডলার ছাপিয়ে অন্য দেশ থেকে সব জিনিষ কিনে নেবে!! কিনে নিয়ে কি করবে? পুড়িয়ে ফেলবে না যাদের চাকরি নেই তাদের বেকার ভাতা দেবে?

    যথেচ্ছ ডলার ছাপানো মানে দুরন্ত মুদ্রাস্ফীতি। সেটি সামাল দেওয়া যাবে কি করে?
  • sibu | 71.106.244.161 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ১০:০৭406569
  • আর্য্যকে:

    তুমি যদি অমিতবাবুর বইটিকে অসম্পূর্ণ প্রমান করতে চাও তো কোন কথারই দরকার নেই। এত বড় বিষয়কে একটি (চটি) বইতে কোন ভাবেই পুরোপুরি বোঝানো করা যায় না। আমার ধারনা ছিল তুমি ওনার মূল ধারনার বিরোধিতা করছ।
  • arjo | 24.42.203.194 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ১০:১০406571
  • না তাও তো করছি না। পড়ছি এবং প্রশ্ন করছি। এখনো পড়া শেষ হয় নি। বেশ কিছু বাকী আছে। পড়া হলে বলব। আর বইটার বেশিটাই সমস্যার সমাধান। সমস্যা নয়।
  • Ishan | 12.217.30.133 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ১০:১০406570
  • যাব্বাবা আমেরিকা কেন কিনবে? আমেরিকা ডলার চাপিয়ে বাজারে ছড়াবে। আর পাবলিক সেই ডলার দিয়ে নৈনিতালের নতুন আলু, কি দার্জিলিং এর চা কিনে খাবে।

    আর মুদ্রাস্ফীতি হল তো কি প্রবলেম? চাহিদা বাড়লে ইন্ডাস্ট্রি বাড়বে। নতুন নতুন পরিষেবা সেক্টর আবিষ্কৃত হবে। সেখানে আমেরিকান লোকই লাগবে। শর্ট টার্মে মজুরি আবার বাড়বে।

    আর তেমন ঝামেলা হলে, আমেরিকান কোম্পানিগুলোকে কিছু জব আমেরিকায় রাখতে বাধ্য করা হবে। লং রানে। যাতে আমেরিকান ওয়েজ বিশ্বের চেয়ে উঁচু র্টে থাকে। ফর দা সেক অফ দা গ্লোবাল ইকনমি।
  • sibu | 71.106.244.161 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ১০:১৮406572
  • আম্রিকা কি কায়দায় ঐ ডলার বাজারে ছড়াবে? মানে না কিনে।

    মুদ্রাস্ফীতি হবার একটা বড় সমস্যা হল প্রফিট আপনা আপনি কমে যাবে। বছরে ২০০% ইনফ্লেশন হলে সেটা ভীষণ ডিস্টেবিলাইজিং হবে। ঐ রকম হাইপারিনফ্লেশনে কি হয় তার গপ্পো জিমি কার্টারের রাজত্বে যারা চাকরী করতেন তাদের কাছে শুনে নেবেন।

    তেমন ঝামেলা হলে আইন করে কর্পোরেশনগুলোকে কিছু ক্ষতি স্বীকার করতে বাধ্য করা হবে। সে হলে তাকে কি আর গ্লোবালাইজড মুক্ত অর্থনীতি বলা যাবে? আর কত চাকরী আম্রিকায় রাখলে ডিম্যান্ড বজায় রাখা যাবে? এখন কি তত চাকরি আম্রিকায় আছে?
  • sibu | 71.106.244.161 | ০৪ মার্চ ২০০৯ ১০:১৯406574
  • বেশ তো, বই পড়া শেষ হোক, তখন আলোচনা করা যাবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে প্রতিক্রিয়া দিন