এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • সমকামিতা : একটি সমীক্ষা

    pi
    অন্যান্য | ২৯ আগস্ট ২০০৯ | ৫০৬৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pi | 72.83.103.132 | ০৫ জুলাই ২০১১ ২০:১৫413710
  • লেখাগুলো তো বাস্তবের লোকজনের ই !
  • Tim | 198.82.21.128 | ০৫ জুলাই ২০১১ ২০:২০413711
  • ম্মুকে ""নির্মল আনন্দ"" পুরস্কার দেওয়া যায়না?
  • Mmu | 79.86.171.220 | ০৫ জুলাই ২০১১ ২০:৪৩413712
  • :)) :)) :))
  • pi | 72.83.103.132 | ০৫ জুলাই ২০১১ ২০:৪৬413713
  • ম্মু র কথা শুনে ঐ দুটি লাইন মনে পড়ে গেল,
    দ্বার বন্ধ করে দিয়ে ...
  • Mmu | 79.86.171.220 | ০৫ জুলাই ২০১১ ২০:৫৪413714
  • aka,
    বই খুলে পড়া আর পড়া এক নয়। আপনি বলতে পারেন- গাছ থেকে একটা "তাল' ধপ করে পড়ে, নাকি পড়ে ধপ করে?? :-))

    pi, লেখাগুলো যতই বাস্তবের লোকজনের হোক না কেন বাস্তব বাস্তবই । বইতে অনেক কিছু লেখা যায় কিন্তু বাস্তবের সাথে অনেক সময়ই মিল থাকে না। আমার প্রথম গুরুতে আসা যে টই দিয়ে শুরু তাতে আমি অনেক কথা লিখেছিলাম । কিন্তু কথা গুলো সত্যি লিখেছিলাম। লেখা অনেক কিছুই যায় কিন্তু বাস্তবের সাথে অনেক সময়ই কোন মিল থাকে না। যদি পুরোনো টই ফিরিয়ে নিয়ে আসা যায় তবে আনবেন এবং আমাকে প্রশ্ন করবেন।
  • pi | 72.83.103.132 | ০৫ জুলাই ২০১১ ২০:৫৯413715
  • ম্মু,মানসিক অসুখ বলা নিয়ে কী মনে হয়, খুলে আর কী লিখব জানিনা।
    যা মনে হয়েছিল, লিখেছিলাম বছর দেড়েক আগে।
    এখানে দিয়ে দিলাম। একটু বড় লেখা। ধৈর্য আর ইচ্ছা থাকলে পড়বেন।
    আর কিছু জিগাবেন না।
    আমার আর এনিয়ে কিছুই বলার নেই :)
    খালি এটুকু ছাড়া, যে, লেখাটির 'আপনি'র সাথে আপনাকে বোধহয় খাপে খাপ মানাবে! :)

  • siki | 122.162.75.91 | ০৫ জুলাই ২০১১ ২১:০১413716
  • পুরনো টই তো হারিয়ে যায় না! তারা দিব্যি আছে, বেঁচেবর্তে। ফিরিয়ে আনার কোনও সীনই নেই :)
  • pi | 72.83.103.132 | ০৫ জুলাই ২০১১ ২১:০২413717
  • অসুখ সারান:
    ---------

    থার্টি প্লাস পুত্র কিম্বা টোয়েন্টি সিক্স প্লাস কন্যার এযাব্‌ৎকাল তীব্র বিবাহবিমুখতার পিছনে অত্যধিক কেরিয়ারমনস্কতা থেকে শুরু করে কোষ্ঠীতে সাংসারিক বৈরাগ্যযোগ কি অন্য কোনো বিবাহিত পুরুষ বা নারীর সাথে সম্পর্ক স্থাপন,এই সব রকম সম্ভাবনাই তলিয়ে দেখতে গিয়ে আপনি যখন কুল কিনারা তল কিছুই পাচ্ছেননা, তখনই এল সেই বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি বা সেকেণ্ডারী মেসেঞ্জার কর্তৃক প্রবাহিত ইনফো,সে সমকামী। হ্যাঁ,ঠিকই শুনেছেন। আপনার সন্তান সমকামী।
    তিনশোসাতাত্তরোত্তর যুগের বাসিন্দা হয়ে এই সংবাদে আপনি অবশ্যই আকাশ থেকে পড়েননি। কিন্তু আকাশ আপনার মাথায় ভেঙে পড়েনি একথা ঠিক হলফ করে বলতে পারা যাচ্ছে না। স্যুট প্যান্ট পরিহিত পুত্রবধূর চিবুক স্পর্শান্তে কুলো ঘুরিয়ে বরণ করে নেবার করণ জোহরীয় সিনের কল্পনা আপনাকে বিন্দুমাত্র কমিক রিলিফ দেবেনা, সে কথা অবিশ্যি অবশ্য করেই বলা যায়।
    সেটা স্বাভাবিকও। কারণ, আর যাই হোক, সমকামিতা তো আর স্বাভাবিক নয়। আপনার স্বাভাবিক বুদ্ধি বিচার প্রয়োগ করেই আপনি জানেন, এটি আর পাঁচ জন স্বাভাবিক মানুষের থেকে আলাদা ব্যাপার। সমকামিতা অপরাধ কি অপরাধ না , তাই নিয়ে আইনি তরজার কচকচানি নাহয় এখন, এখানে বাদই থাক। কারণ, আইন যাই বলুক না ক্যানো, এটিকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে মনে করার মত রক্ষণশীল চিন্তাভাবনা আপনার মোটেও নেই। সমকামীদের ধরে ধরে ফাটকে চালান দেওয়া, এমনকি মৃত্যুদণ্ড অব্দি দেওয়ার মত মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে জিইয়ে রেখেছে যেসব ইসলামী ও আফ্রিকান দেশগুলি, আপনি তাদের অকুণ্ঠ কণ্ঠে নিন্দা করে থাকেন। কারণ আপনার স্বাভাবিক বিচার বুদ্ধিই আপনাকে বলেছে,অসুস্থতা অপরাধ হতে পারেনা।
    হ্যাঁ, অসুস্থতা। চারপাশের বাকি মানুষজনের থেকে আলাদা হওয়া অস্বাভাবিকতা নয় তো কি? আর, অস্বাভাবিকতা, অসুখ নয় তো কী? এবং, অসুখ বলেই সমকামিতা সেরেও যেতে পারে। সারানোর চেষ্টা করলে।
    অতএব, অসুখ সারান।
    কিন্তু,এই গোড়াতেই যে গেরো! সারাতে চাইলেই তো আর পাচ্ছেন না! চিকিৎসা কোথায়, কীভাবে হয়, বা,আদৌ হয় কিনা, সে তো এ শহরের হলুদ পাতা থেকে শুরু করে সীতানাথ বাঁড়ুজ্জের নোটবুক, কোথাঐ লেখা নেই। চাঁদসি কিম্বা লোধবাবুর পোস্টারে পোস্টারে আর হ্যানো ত্যানো ক্লিনিকের ছাতায় ছাতায় ছয়লাপ হয়ে ওঠা এই শহরে চুল পড়া থেকে চুলকানি ,সবেরই অব্যর্থ চিকিৎসার হাল হাকিক্‌ৎ হারগিজ পাবেন। কিন্তু গুপ্ত রোগের বিজ্ঞাপিত লিস্টিতে এই রোগ এখনো নাম তোলেনি। গিয়ে দেখুন, গোপনে মদ থেকে শুরু করে প্রেম ছাড়ানোর কাউন্সিলরদের নাম ঠিকানা ফোন নং ই মেইল আইডিও পাড়ার মোড়ের বটবৃক্ষের ঝুরির সাথে ঝুলছে। কিন্তু, দুটি মিনিট চোখটি বুঁজে একটি বার ভাবুন দিকিনি, চৌরাস্তার মোড়ে, পার্কে, দোকানে,'সমকামিতা সারান' , দেখেছেন কোনোখানে?
    না:।
    আরো চাপ,এ নিয়ে পাড়া-প্রতিবেশী কি কলিগদের থেকে সেভাবে পরামর্শ চাইবার ও উপায় নেই ,বিষয়টা, এমনই স্পর্শকাতর। চাইতে পারলেও লাভ নেই অবিশ্যি তেমন। পরামর্শ বলতে তো মিলবে ঐ আহা - উহু , সো স্যাড ,হাউ আনফরচুনেট ইত্যাদি ইত্যাদি শব্দযুগল কিম্বা দুই ড্রপ কুম্ভীরাশ্রুসিক্ত খিল্লির টোনাশ্রিত সহানুভূতি।
    সেই কারণেই যে যে উপায়ে এই সমস্ত জায়গায় চিকিৎসা করা হয়, তার একটা কম্প্রিহেন্সিভ লিস্টি বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে আপনাকে, এবং একটি সেল্ফ হেল্প গাইড, যাতে আপনি এই চিকিৎসার বন্দোবস্ত করে ফেলতে পারেন, যতটা সম্ভব নিজে নিজেই।
    এবার ,এক দু-পিস জনতা দেখবেন এরকম টু-পাইস জ্ঞান ঝেড়ে দিচ্ছে, 'এরকম তো হতেই পারে, ভাল মনে মেনে নিন, সমকামিতা অপরাধ তো নয়ই, কোনো অসুখও নয়, এমনকি কোনো অসুখের উপসর্গও নয়' ইত্যাদি সাত- সতেরো আট -ভাট। ঘেঁটে ঘ কেস।
    মিডিয়া কি নেট ফোরাম খুল্লেও একই কনফিউসিং কিস্‌সা। একদল মনোবিদ বলছেন, এটি চূড়ান্ত অস্বাভাবিকতা, মানসিক ব্যাধি, শারীরিক অক্ষমতা, তো কতিপয় বক্তব্য এমনিও আসছে, এটি অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা, বিষমকামিতার মতই। আসছে, , 'wearegay, wearelesbian, weareasnormalasyou' ,' loveneedsnocure' লেখা প্ল্যাকার্ডপত্তর হাতে ছেলেপুলেদের ছবি-ছাব্বা।
    তো, এ সবের মধ্যে আপনি তো পিওরলি এক পুওর কনফিউজড আত্মা।
    চিন্তা করবেন না, কনফিউশন কাটিয়ে পথ দেখানোর জন্যই তো গুরুকে লাগে। বিবিধ তঙ্কÄতালাশ করে ও পরমহংসের মত সেগুলি ফিল্টার করে আমরা একটি কম্প্রিহেন্সিভ টু ডু লিস্ট বানিয়ে দিচ্ছি, এ ধরণের সমস্যা ডিল করতে কী করিতে হইবে। এবং, বিভ্রান্ত যাতে না হন, তাই সংযোজিত হচ্ছে একটি নট টু ডু লিস্টিও: কী অ্যাভয়েড করবেন।
    কেবলমাত্র সমকামী সন্তান নয়, যেকোনো এক্সিস্টিং বা উড বি পিতা মাতাই এই লেখা পড়তে পারেন। কারণ সমকামিতা এমন একটি অসুখ, যা মাথা চাড়া দেবার আগে শৈশবেই চিহ্নিত ও নির্মূল করা সম্ভব। আর কেবল পিতা মাতারাই কেন, নিজেদের সমকামী হিসেবে চিহ্নিত করা সকল ব্যক্তির জন্যই এই লেখা অবশ্যপাঠ্য। এটি তাঁদের সেল্ফ হেল্প কিওর গাইড হিসেবে কাজ করবে।
    স্কেপটিক্যালদের কথায় জাস্ট কোনোরকম পাত্তা না দিয়ে পড়তে থাকুন আমাদের সাজেশন। প্যারাগ্রাফ ব্রেক কে বাদ।

  • pi | 72.83.103.132 | ০৫ জুলাই ২০১১ ২১:০৫413718
  • কী ট্রাই করবেন
    -----------

    ওষুধ:
    'সমকামিতা তো ডিপ্রেশনের মতই একটি মানসিক অসুখ বই অন্য কিছু না।’ বলছেন মনস্তত্ববিদ ড: পি ই। এই অসুখের পিছনে একটি শারীরবৃত্তীয় কারণ বিদ্যমান, যেটি খুঁজে পাওয়া গেলেই এই অসুখের ওষুধ বের করা সম্ভব। বেশ কিছু ধরণের ডিপ্রেশনের জন্য যেমন দায়ী ফ্যাক্টরটিকে শনাক্ত করা গেছে, টি টু নামে একটি রিসেপ্টর হল কালপ্রিট আর আর তাকে টার্গেট করে বেরিয়ে গেছে ডিপ্রেশনের ওষুধ। স্বাভাবিক বিষমকামী মানুষ আর সমকামী মানুষের মস্তিষ্কের একটি তুলনামূলক ইমেজিং করলেই অস্বাভাবিকতার সেই শারীরবৃত্তীয় কারণ গুলিকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হতে পারে, এরপরই গবেষণার লক্ষ্য হবে, ঐ ফ্যাক্টরগুলিকে বিষমকামী মানুষের মত স্বাভাবিক করে এরকম ওষুধ আবিষ্কার করা। তবে এটা অদূর ভবিষ্যতে সম্ভবপর বলেই মনে হয়।'
    অনেক ডাক্তারের মতে অবশ্য সেই স্পেসিফিক ওষুধ বের হওয়া অব্দি অপেক্ষা করারও বিশেষ প্রয়োজন নেই। সমকামিতা নিউরো এপিলেপ্টিক দশার থেকে খুব আলাদা কিছু কি? তাই সেমাপ, সেরেনেসের মত নিউরো এপিলেপ্টিক ওষুধ অনেকেই প্রেসক্রাইব করেন। কারুর কারুর মতে আবার বাজারে চালু যৌনতাবর্ধনকারী ওষুধপত্তরও চলতে পারে, সমকামিতা সারানোর জন্য।

    ক্লিনিক:
    যাক, অনেক খুঁজে ড: লোধের নেট ভার্শনকে পেয়ে গেছি আমরা। সাতচল্লিশ বছরের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ ড: দিলবাগ।
    http://www.drdilbagclinic.com/homosexuality.html
    এখানে টাক, অর্শ, ভগন্দর, দাদ, হাজা, চুলকানি, রোগা ও লম্বা হওয়ার চিকিৎসা থেকে শুরু করে নারী পুরুষের গোপন যৌন রোগ এবং সমকামিতা, সবেরই যত্ন সহকারে চিকিৎসা করা হয়। সমকামিতা ছাড়ানোয় সাফল্যের রেট তামাকু, মদ, গাঁজা ছাড়ানোর থেকে কম বা বেশি এব্যাপারে কোনো পরিসংখ্যান পাওয়া না গেলেও, যোগাযোগ করে দেখতে পারেন। দিলবাগসাহেব নেট স্যাভি ডাক্তার, ওনাকে দিয়ে লং ডিসট্যান্স চিকিৎসা করাতে অসুবিধা হবার কথা নয়।

    যোগাভ্যাস:
    ৩৭৭ ধারা সংক্রান্ত রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রীম কোর্টে চ্যালেঞ্জ ফাইল করে শ্রী রামদেব জানিয়েছেন,'সমকামিতা জন্মগত রোগ বই কিছু না। তাই আরও নানা এরকম রোগের মতই যোগে এই রোগ বিয়োগ সম্ভব। মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত লোকেরাই সমলিঙ্গের সাথে সম্পর্কে লিপ্ত হয়। এমন লোকেদের সংরক্ষণ দেওয়ার বদলে এদের জন্য পুনর্বাসন প্রকল্প খোলা উচিত।অঞ্জ বাবার রিহ্যাবিলিটেশন প্যাকেজে আছে যোগা ছাড়াও অনুলোম বিলোমাদি প্রাণায়াম ও অন্যান্য যৌগিক ক্রিয়া প্রক্রিয়া। এটি অসুখ কিনা এ ব্যাপারে নি:সন্দেহ হবার জন্য পাশ্চাত্য থেকে আমদানিকৃত এই অসুখ নিয়ে বাবা কনসাল্ট করেছেন এক স্প্যানিশ মনোবিদকেও।

    প্রার্থনা:
    আপনার ধর্ম আপনার কাছে। বিশ্বাস, অবিশ্বাসও। সে নিয়ে কোনো বক্তব্য নাই। দক্ষিণেশ্বর কালিবাড়ি গিয়ে মানত করা, কি সমকামিতা সারাতে পীরের দরগায় কোরানের ভার্সাবলী লিখিত কাগজকুচি মেশানো জল খাওয়ানোর যে রেওয়াজ আছে, না:, আমরা আপনাকে সেসব কিছু করার পরামর্শ দিচ্ছিনা। কিন্তু, হ্যাঁ, বলছি, সিরিয়াসলি বলছি,এক্সডাস ইন্টারন্যাশানালএর মত সংস্থা: (http://www.exodusinternational.org/local) ,যাঁরা ধর্মেও আছেন , চিকিৎসাশাস্ত্রেও আছেন, তাঁদের কর্মসূচীতে এই দুয়ের এক সুন্দর মেলবন্ধন দেখতে। ‘Ifyoukeptrepeatingyouhad“changed”–evenifyouhadnot–Godwouldeventuallygrantyouthemiracleofheterosexualityasarewardforyourfaith.'

    লক্ষ্যণীয়, সমকামিতা থেকে মুক্ত করো, এ প্রার্থনা এ নহে। বরং বারবার বলতে বলা হচ্ছে, আমি সুস্থ, আমি মুক্ত, আমি বিষমকামী। আর এখানেই এটা ধর্মের ঐশ্বরিক পরিধি ছাড়িয়ে ঢুকে পড়ছে থেরাপির আঙিনায়। গড অর নো গড, একথা তো অনস্বীকার্য যে, জাস্ট প্রার্থনারই একটা মেন্টাল হিলিং এফেক্ট রয়েছে। এই যে, বারবার একটা কথা মন্ত্রের মত উচ্চারণ করা, সেটির জন্য নি®জেকে মানসিক ভাবে প্রস্তুত করা, মনের জোর আনা মানসিক অসুখ সারাবার জন্য এই অভ্যাস জাস্ট ম্যাজিকের মত কাজ করতে পারে। না না,ব্ল্যাক ম্যাজিক না। পিওর সায়েন্স। চার্চে সমবেত মন্ত্রোচ্চারণের ধ্বনি প্রতিধ্বনির তরঙ্গের কম্পাঙ্কে রেসোনেট করে হয়তো টিউনড হয়ে গেল সেই এখনো অধরা ঞ্চগে জিনঞ্চএর সুইচটি। বলা তো যায় না। কখন কী ঘটে যায় কিচ্ছুই বলা যায়না।
    সমকামিতা ছাড়াতে এনারা দিয়েছেন বিবিধ অপশন। দেশে বসে নিকটবর্তী কোন এক্সোডাস মিনিস্ট্রির স্থানীয় শাখায় যাবার সুযোগ আপনার নেই ,কিন্তু আপনার মত লোকজনের মাথায় রেখেই ওনারা বন্দোবস্ত করেছেন,দূরাভাষালাপে পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে হোমোথেরাপেউটিক কাউন্সেলিংঅএর। দেশে, দেশে, শহরে, শহরে এরকম অনেক শিবিরের ওনারা আয়োজন করেছেন। এই কিছুদিন আগে হয়ে গেল ব্যাঙ্গালোরেও। ওনাদের মেইল গ্রুপের সদস্য হয়ে যান, নিউজলেটারের মাধ্যমে এগুলোর নিয়মিত খোঁজখবর পাবেন। যৌনতা চিকিৎসায় সাইকোথেরাপেউটিক টুল হিসেবে ঈশ্বরপ্রেমকে মোটেও আণ্ডারএস্টিমেট করবেন না। একে অবলম্বন করে কিছু এত এত মানুষ যৌনতাকে অবদমন করে আজীবন ব্রহ্মচর্য পালন করতে পারলেন,শুধু এই ইউরোপের কিছু পাদ্রী বা নিত্যানন্দর মত কজন ব্যতিক্রম বাদে , চৈতন্যদেব নিজেকে রাধা ভেবে বিনা সার্জারিতে সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশনই বদলে ফেলতে পারলেন, তো, সমলিঙ্গকামনা দূর করা যাবে না?

  • pi | 72.83.103.132 | ০৫ জুলাই ২০১১ ২১:০৭413553
  • বই:
    আমাদের বাছাই: পুরুষ সমকামিতা সারানোর জন্য জো ডালাস প্রণীত 'ডিসায়ারস ইন কনফ্লিক্ট' ও লেসবিয়ানত্ব কাটাতে অ্যানা পোলকের 'রেস্টোরিং সেক্সুয়াল আইডেন্টিটি'। দ্বিতীয় বইটিতে লেখিকা নিজে ছিলেন লেসবিয়ান। কীভাবে নিজে এই অসুখ সারিয়েছেন, রয়েছে সেই রেয়ার ও মূল্যবান অ্যাকাউ¿ট। দুটি বইয়েরই মূল্য ৬৭৬ টাকা।
    আর প্রিভেনশন কিওর হতে বেটার , সুবিদিত এই আপ্তবাক্য স্মরণে রেখে উঠতি বয়সের সন্তানের পিতামাতার জন্য এই একটি বই আমরা অবশ্যই রেকো করবো। নার্থ ( ন্যাশানল ইন্সটিটিউট ফর রিসার্চ অ্যাণ্ড থেরাপি অব হোমোসেক্সুয়ালিটি) এর নিকোলসি দম্পতি প্রণীত এই AParent’sGuidetoPreventingHomosexuality । শৈশব থেকে সঠিক ভাবে লালন পালন করলেও সুস্থ বিষমকামী প্রবণতার ব্যতিক্রম দেখা যেতেই পারে ,অধুনা প্রচারিত এই মিথটির মূলে কুঠারাঘাত করতে চেয়েছেন শ্রী ও শ্রীমতি নিকোলসি। তাঁদের ও নার্থের সাথে যুক্ত অন্যান্যদের দীর্ঘদিনের ক্লিনিক্যাল অভিজ্ঞতা ও পেশাদারী গবেষণার ভিত্তিতে তাঁরা অবশেষে সক্ষম হয়েছেন, সেই এক্স ফ্যাক্টরগুলি শনাক্ত করতে, একটি শিশুর মধ্যে নারী-পুরুষ সম্বন্ধে সুস্থ বিপরীত লিঙ্গাকর্ষণকারী প্রবণতা গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। উল্টো করে বললে, সমকামিতার মত অসুস্থ প্রবৃত্তির প্রতি শৈশব থেকেই বিরূপতা তৈরি করবে।
    এই সব কটি বইয়ের উপরই ফ্লিপকার্ট ২৩% ছাড় দিচ্ছে এবং পাচ্ছেন ফ্রি শিপিং। অতএব দেরি না করে সত্বর অর্ডার প্লেস করে দিন।

    কিছু বিশেষ পরামর্শ:
    ব্যারি লেভির মত খ্রীষ্টান গে থেরাপিস্ট দিয়েছেন কিছু টিপস, সমকামিতার উপসর্গ গুলিকে শৈশবেই চিহ্নিত করা জন্য,শিকড় গভীরে যাবার আগেই যাতে উপড়ে ফেলা সহজ হয়। আপনার সন্তান কি ঠিকঠাক বল ছুঁড়তে পারে না? বন্দুক দিয়ে গুলি করতে পারে না? নিশানায় তীরক্ষেপ করতে অপারগ? সেক্ষেত্রে আপনার সন্তানের মধ্যে সমকামিতা প্রবণতা লুক্কায়িত। সমকামিতা আর চোখ ও হাতের কো-অর্ডিনেশনের মধ্যে উচ্চমাত্রায় কো-রিলেশন আছে,তাঁর কাউন্সেলিংগত অভিজ্ঞতা থেকে জানাচ্ছেন লেভি। শুধু উপসর্গ উল্লেখমাত্র নয়,কো-রিলেশনাল স্টাডি থেকে লেভি খুঁজে পেয়েছেন এর পিছনে সম্ভাব্য কারণও। যেসব শিশু ছোটবেলায় একা থাকে,স্বাভাবিকভাবেই সে নিজে নিজে খেলা করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। আর নিজের খেলার জন্য নিজের যৌনাঙ্গের একটা স্বাভাবিক আকর্ষণ রয়েছে। কথাটায় দম আছে কিন্তু। লজিকের দম। নিজের লিঙ্গ আর সম লিঙ্গ ,বায়োফিজিক্যালি তফাত কই? তো, এতে একবার আনন্দ পেতে শুরু করলে আর তাতে অভ্যস্ত হতে শুরু করলে কৈশোরকালে সেটা সমলিঙ্গের আকর্ষণে পরিণত হবে, এতে আর আশ্চর্যের কি। এসবে নজরদারি চালু করুন। ইউরোপে হস্তমৈথুনের উপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে খামোখাই ডিসিপ্লিনারি হ্যানো ত্যানো তঙ্কেÄর বান ডাকলেন ফুকোর চ্যালারা, এই অ্যাসপেক্টটা কিন্তু ভেবেই দেখেননি।

    অ্যাভার্শন থেরাপি:
    একেবারেই বেঁকে যাওয়া কেস? সেক্ষেত্রে ওরিয়েন্টেশান স্ট্রেট করতে আপনাকেও একটু আঙুল যে বেঁকাতেই হবে। ক্যুবরিকের ক্লকওয়ার্ক ওরেঞ্জ মনে পড়ে? অ্যালেক্সের সেই চরম হিংসাত্মক মনোভাব সারানোর জন্য সেই অভিনব থেরাপি ? হিটলারী হিংসা দেখাতে দেখাতে উত্তাল বমন উদ্রেককারী ওষুধের প্রয়োগ? ব্যাপারটা ডিট্টো তাই। হিংসা হোক কি হোমোসেক্সুয়ালিটি, আদতে তো সেই এক ই মনোবৈকল্য। নগ্ন পুরুষের ছবি দেখানো হবে,আর তার সাথে সাথে ইলেকট্রিক শক কিংবা সেই ওষুধ পুরো একটা ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি দশা হয় আর আপনি বাঁচলে তবে পুরুষসংগীর নাম নেবো, এরকম একটা অবস্থা করে দেওয়া যায়, তো কেল্লা ফতে।
    অর্থাৎ এই সমলিঙ্গকামনার সঙ্গে অ্যাসোসিয়েট করে দিতে হবে অত্যন্ত অপ্রীতিকর একটি অনুভূতি।
    দেশে এখনো বহু জায়গাতেই এই শক থেরাপি চালু আছে, তবে এমন কিছু হাতিঘোড়া ব্যাপার এটা না,আপনি নিজেই বাড়িতে বসে এটি বানিয়ে নিতে পারেন। শস্তা ও সহজ। লাগবে একটি ১৫ সেমি স্কোয়ার ও ২ সেমি গভীরতাবিশিষ্ট একটি কাঠের বাক্স, ব্যাটারি, বাস। ক্লাস টেন ইলেভেনের ইলেকট্রনিক্সের চ্যাপ্টারটা একটু ঝালিয়ে নিয়ে সোজা এই সাইটটিতে চলে যান। http://www.boxturtlebulletin.com/2008/01/18/1301 । সার্কিট ডায়াগ্রাম সহ স্টেপ বাই বর্ণনা করা আছে, কিভাবে যন্ত্রটি বানাতে হবে। চাইলে পাতাটির প্রিন্ট আউট নিয়ে পাড়ার ইলেকট্রনিক্স গুডসের দোকানের ছোকরাটাকে দিয়েও বানিয়ে নিতে পারেন। এরপর শক কীভাবে দিতে হবে তার পদ্ধতির ডিটেল্‌স বর্ণনা ওখানেই পেয়ে যাবেন।

  • pi | 72.83.103.132 | ০৫ জুলাই ২০১১ ২১:০৯413554
  • রিপারেটিভ থেরাপি:
    নার্থ ( ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর রিসার্চ এন্ড থেরাপি ফর হোমোসেক্সুয়ালিটি),রিলিজিয়স টলারেন্স, এক্স-গে র মত প্রাক্তন গে-দের তৈরি সংস্থা বহুদিন ধরে সমকামিতা সারানো নিয়ে গবেষণা, কাউন্সিলিং করে আসছেন। অ্যাভার্শন না, অ্যাফার্মেটিভ থেরাপিতে উৎসাহ দিচ্ছেন নার্থের মনোবিজ্ঞানীরা। অর্থাৎ, বিষমকামিতাকে ভালো লাগানোর চেষ্টা। এর জন্য কোনো ডাক্তারের কাছেও যাবার তেমন দরকার নেয়। কিছু নমুনা দেওয়া হচ্ছে, এগুলো আপনি বাড়িতেই অভ্যাস করাতে পারেন। প্রয়োজনমত কিছু কিছু ব্যাপারে একটু দেশী টাচ আনতে হবে।

    পুরুষদের সমকামিতা ছাড়ানোর জন্য কিছু টিপস:

    ১। নিয়মিত খেলাধূলা করতে হবে। আউটডোর গেমস। আগ্রহ না থাকলেও কিছুটা জোর করেই শুরু করতে হবে।
    ২। আর্টমিউজিয়াম ভ্রমণ, অপেরা,সিম্ফনি শোনা দেখা গেছে,সমকামীরা এগুলোর প্রতি বিশেষভাবে আকৃষ্ট হন। তো, এধরণের সখী সখী অ্যাক্টিভিটি থেকে সচেতনভাবে বিরত থাকতে হবে। মানে, ছেলেপুলে ঐ নন্দন, অ্যাকাডেমি,রবীন্দ্রসদন এরিয়াতে যত কম যায়, ভালো।
    ৩। রোম্যাণ্টিক সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব, এরকম নারী ব্যতীত অন্যদের যতটা পারা যায় এড়িয়ে চলতে হবে। অর্থাৎ নারী সম্বন্ধে অন্যরকম কোনো সম্পর্কে ভাবনার অভ্যেস টা কাটানোর চেষ্টা করতে হবে। এক্ষেত্রে, মা হিসেবে আপনার কর্তব্য, ছেলের সাথে ইন্টারায়াকশন একদম কমিয়ে দেওয়া। মেয়েকেও দাদার সাথে মিশতে দেবেন না।
    ৪। বিষমকামী স্বাভাবিক পুরুষের সাথে মেলামেশা বাড়াতে হবে। তাদেরকে কাছ থেকে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে,তাদের হাঁটাচলা, কথা বলার ধরণ এবং অন্য পুরুষ ও নারীর সাথে তাঁদের আচরণ,এগুলোকে পদে পদে অনুসরণ ও অনুকরণ করতে হবে।
    ৫। চার্চে নিয়মিত যেতে হবে। 'মেন'স চার্চ গ্রুপ' এর মত সংস্থায় নাম লেখাতে হবে। আপনি এক্ষেত্রে আরেসেসের 'শাখা'র ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে পারেন।
    ৬। নারীদের সঙ্গে ফ্লার্ট করতে ও ডেটে যেতে উৎসাহ দিন।অএ ক্ষেত্রে আপনাকে আরো একটি ব্যাপারে সচেতনভাবে ছুঁৎমার্গ বর্জন করতেই হবে। পরে বিবাহ হোক কি না হোক, নারীর সাথে যেভাবে হোক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করাতে হবে। চিকিৎসার খাতিরে এটুকু মেনে নিতেই হবে বস। নগ্ন নারীর ছবি,মুভি,পর্নোগ্রাফি এগুলূ বাধ্যতামূলক ভাবে বেশি বেশি করে দেখাতে হবে। কিছু করার নেই,এটাও চিকিৎসার অঙ্গ।
    ৭। তবে, ঐ আর কি। এসবে কিছু করার সুযোগ সুবিধে না হলেও তেমন চিন্তা করবেন না। একটি সর্বরোগহর ট্রায়েড এণ্ড টেস্টেড এজ ওল্ড মোক্ষম দাওয়াই থাকতে। বিবাহ। একটা বিয়ে দিলে আর বাচ্চা কাচ্চা হলেই সব ঠিক হয়ে যায়। মাথার গণ্ডগোল থেকে সমকামিতা। বুদ্ধ বা চৈতন্যর মত কিছু মহাপুরুষ ব্যতিরেকে বাকি সবার জন্যই এটা কাজে দিয়েছে বলে শোনা যায়। আর রামকৃষ্ণদেবের বেলাতেও শোনা যায় একটু গণ্ডগোল হয়ে গেছিল। ঐ ওনার সমকামী সম্পর্ক নিয়ে জানি কিসব কিস্‌সা বাজারে চলে। তা চলুক, আর ঠিক হলেই বা কি। exceptionprovestherule এই আপ্তবাক্য এবং সিদ্ধিদাতাকে স্মরণ করে শুভ সিদ্ধান্তটি শীঘ্র শীঘ্র নিয়ে ফেলুন।

  • pi | 72.83.103.132 | ০৫ জুলাই ২০১১ ২১:১২413555
  • কী অ্যাভয়েড করবেন:
    এক বিশেষ শ্রেণীর জনতার ভাটকে। চিনে নিন এইসব লিবারেল হোমো কিম্বা হোমোপ্রেমী নব্য আঁতেলগণকে। লিবারেল লেবেল লাগানোর জন্য কমিউনিস্ট,ফেমিনিস্ট হলে এককালে চলত,আজকাল এসব ব্যাকডেটেড ব্যাপার স্যাপার। প্রগতিশীলতার শিলমোহর জোটানোর জন্য হিউম্যান রাইটস , উওম্যান রাইটজ নিয়ে মিছিল করা, প্রবন্ধ লেখা আর যথেষ্ট নয়। ম্যান উওম্যানের ঘণ্ট পাকানো গে লেসবিয়ানদের রাইটস নিয়ে কিছু না বললে আজকাল আঁতেল সমাজে কল্কে মেলা দায় ।
    চিনে নিন এনাদের।
    এনারা যত্র তত্র হোমোফোবিয়ার ভূত দর্শন করেন এবং যেন তেন প্রকারেণ অমাভিন্ন জগতের জনতাকে হোমোফোবিক ট্যাগ করে নিজেদের অত্যুচ্চকোটির লিবারেল প্রগতিশীল হনু মনে করার আত্মপ্রসাদে টইটম্বুর থাকেন। আরে,হোমোরা কি কোনো ভাটির মত চোখ, কুলোর মত কান, মুলোর মত নাক বিশিষ্ট কোনো গ্রহান্তরীয় আজব জীব যে তাদের আপনি ভয় পেতে যাবেন? ফোবিয়া টোবিয়া আবার কি, কিন্তু তাই বলে অস্বাভাবিকতাকে অসুস্থতা বলতে পারবেন না? আচ্ছা আবদার!
    এক বিশিষ্ট চিন্তাবিদ সঠিকভাবেই মন্তব্য করেছেন, এই সমকামিতার ট্রেণ্ড 'পাশ্চাত্যের অবুঝ হনুকরণ' ব্যতীত আর কিছু না। উদারতা দেখানোর নামে সমাজ আদতে উদ্ভ্রান্ত। আসলে আইডেণ্টইটি ক্রাইসিসে ভোগা পাব্লিক এরা সব। নিজেদেরকে অন্যরকম দেখানোর সেই অনাদি অনন্তকালের অতৃপ্ত বাসনায় অন্য কিছু না পেলে,অন্তত 'অন্য' যৌনতা নিয়ে যদি ভোকাল হওয়া যায়! হিডেন ইউএসপি টা অবিশ্যি হল, 'যৌনতা'। সেটা আছে যখন, তখন আম আদমির কাছেও পপুলার হয়ে যাবার একটা ফাউ চান্স থাকছে। মিডিয়ার একাংশ ও ঠিক এই ব্যাপারটাকেই এন্‌ক্‌য়াশ করে সেক্সের এই নতুন প্যাকেজটাকে ফ্যাশন ট্রেন্ড বলে চালানোর তালে আছে। এনাদের ভাটের কিছু নমুনা আর কেন তা পাত্তা দেবেন না,আপনার সুবিধার্থে রইলো সেই লিস্টিও।

  • pi | 72.83.103.132 | ০৫ জুলাই ২০১১ ২১:১৩413556
  • ভাট ১: সমকামিতা মানসিক অসুখ নয়
    সমকামিতা একটি মানসিক অসুখ, শোনামাত্র ঝাঁপিয়ে পড়বেন এনারা। আমেরিক্যান সাইকিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশন নাকি কবে সেই ১৯৭৩-এই এই মর্মে রায় দিয়ে দিয়েছেন আর লগে লগে আমাদের ভারতীয় সাইকিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশনও নাকি একই কথা বলেছেন,টেবিল চাপড়ে দেখিয়ে দেবেন সব তথ্য প্রমাণাদি। মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নাল থেকে খপাখপ কোট করে দেবেন:
    “In1998, theAmericanPsychiatricAssociationissuedastatementopposinganytreatmentwhichisbasedupontheassumptionthathomosexualityisamentaldisorderorthatapersonshouldchangetheirorientation, butdidnothaveaformalpositiononothertreatmentsthatattempttochangeaperson’ssexualorientation.In2000, theyaugmentedthatstatementbysayingthatasageneralprinciple, atherapistshouldnotdeterminethegoaloftreatment, butrecommendsthatethicalpractitionersrefrainfromattemptstochangeclients’sexualorientationuntilmoreresearchisavailable.“
    PositionStatementonTherapiesFocusedonAttemptstoChangeSexualOrientation (ReparativeorConversionTherapies), AmericanPsychiatricAssociation, May2000, http://www.psych.org/Departments/EDU/Library/APAOfficialDocumentsandRelated/PositionStatements/200001a.aspx
    তাহলে?
    আরে, যারা এসব বলে, তাদের পাল্টা প্রশ্ন করুন, ইগো সিন্টোনিক , ইগো ডিস্টোনিক সেক্সুয়ল ওরিয়েন্টেশনের তফাত বোঝেন তাঁরা? প্রথমটি, মানে, যেখানে রোগী তার সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন নিয়ে খুশি,WHOর মতে সেইটিকে না হয় মানসিক অসুখ বলা যাবে না , কিন্তু ইগো ডিস্টোনিক হলে, মানে, নিজের গে বা লেসবিয়ান দশা নিয়ে কেউ খুশি নন, সেক্ষেত্রে এটিকে অবশ্যই অসুখের তালিকায় ফেলা যাবে। এই নিন, আপনিও পাল্টা কোট করে দিন, ঘচাং ফু করুন প্রতিপক্ষকে।
    "TheWorldHealthOrganizationlistsegodystonicsexualorientationintheICD-10, asadisorderofsexualdevelopmentandorientation.TheWHOdiagnosiscoverswhengenderidentityorsexualorientationisclear, yetapatienthasanotherbehaviouralorpsychologicaldisorderwhichmakesthatpatientwanttochangeit”http://apps.who.int/classifications/apps/icd/icd10online/?gf60.htm+f661
    মনোবিদ ড: পি ই র মন্তব্য এ বিষয়ে বিশেষরূপে প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলছেন,'ইগো-ডিস্টোনিসিটি একটি ফ্রয়েডীয়ান টার্ম এবং নিজের সত্তার সাথে একধরণের দ্বান্দিক বৈষম্য থেকেই এই অবস্থার উৎপত্তি। ডিস্টোনিক রোগী বেশিরভাগ সময়ই খুবই মানসিক টানাপোড়েন ও চাপের মধ্যে থাকেন। একজন মনস্তাত্বিক চিকিৎসক হিসেবে আমি এই চাপের গুরুত্বকে অস্বীকার করতে পারি না। যে এই চাপটি ভোগ করছে, সেটি তার রোগ। চিকিৎসক হিসেবে আমার দায়িত্ব এটা নয়, যে তাকে বলবো, সমকামিতা স্বাভাবিক অবস্থা, এই নিয়ে কোনো চাপ নেবার দরকার নেই, বরং আমার কর্তব্য তার সেই চাপ দূর করার জন্য সমকামিতা দূর করা যায়, এরকম চিকিৎসা করা। রোগীকে সাহায্য করার জন্যই এটি করা দরকার।
    সমকামিতা মানসিক অসুখ। কি, এবার কনভিন্সড তো?

  • pi | 72.83.103.132 | ০৫ জুলাই ২০১১ ২১:১৪413557
  • ভাট ২ : মনোবিদরাই সমকামিতাকে অসুখ বানিয়েছেন
    তীঁটে তার্কিকের দল তবু মচকায় না। উল্টে রে রে করে তেড়ে আসে,বলে, পি ই র মত এই মনোবিদদের মনোভাবে গোড়াতেই গলদ আছে। আর মনোরোগের মূলেই নাকি মনোবিদদের এই মনোভাব! বুঝুন একবার। রোগী নিজে আসছে চিকিৎসা করাতে, তাও নাকি মনোবিদদের দোষ। কেন? না, এই যে, এই কথাটি, 'চিকিৎসক হিসেবে আমার দায়িত্ব এটা নয়, যে তাকে বলবো, সমকামিতা স্বাভাবিক অবস্থা, এই নিয়ে কোনো চাপ নেবার দরকার নেই', এটিই নাকি সব সমস্যার কারণ! এই ডিস্টোনিসিটির মূলে নাকি আসলি কালপ্রিট নাকি আমাদের সমাজ, যা ভাবতে শেখায় সমকামিতা আদৌ স্বাভাবিক নয়। যে, সমাজে সমকামিতার গ্রহণযোগ্যতা নেই। স্বীকার করলে পদে পদে হাস্যাস্পদ হতে হয়, লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়। তাই এর ফলে একজন সমকামী তাঁর সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন নিয়ে অস্বস্তিতে ভুগবেন, এই সমাজে সম্মানের সাথে বাঁচার জন্য পরিবর্তন চাইবেন, মনে করবেন এটা একটি অস্বাভাবিক ব্যাপার, অর্থাৎ তিনি মনে করবেন, তিনি অসুস্থ, তাতে আশ্চর্যের কি। তাই এই ইগো ডিস্টনিক সমকামিতা মানেই অসুখ, তা আদৌ না। চিকিৎসকের নাকি সবার আগে এটি জানিয়ে, বুঝিয়ে কনভিন্স করিয়ে দেওয়া দরকার,সমকামিতার মধ্যে ভুল কিছু নেই। কি দরকার এসব নিয়ে তক্কো করে? বুঝতেই তো পারছেন, সব পিওর ভাট, অত: বর্জনীয়।

  • pi | 72.83.103.132 | ০৫ জুলাই ২০১১ ২১:১৫413558
  • ভাট ৩ : সমকামিতা প্রাকৃতিক, বৈজ্ঞানিক, অতএব অসুখ নয়
    সমকামিতা সন্তান উৎপাদনে অক্ষম, অর্থাৎ বিবর্তনবাদের পরিপন্থী । অতএব অবৈজ্ঞানিক, প্রকৃতির বিরুদ্ধে ও অস্বাভাবিক। অর্থাৎ অসুখ। এই মোক্ষম, অকাট্য যুক্তিকেও ওনারা কাটতে আসেন, কি না, জীবজগতের সমকামিতার একহাজারি লিস্ট বানিয়ে। অন্যান্য সব প্রাণীর মধ্যেই আছে যখন,তখন প্রাকৃতিক না হয়ে আর যায় কোথায়। ধুর ! শেষমেশ কিনা হোমো জিরাফ আর পেঙ্গুইনের গপ্পো শুনে বিশ্বাস করতে হবে সমকামিতা অসুখ নয় ? ভাটেরও তো একটা লিমিট আছে মাইরি!
    ভাট ৪ : সমকামিতা প্রাকৃতিক না হলেও অসুখ নয়
    যদি স্বাভাবিক প্রবৃত্তি না-ও বা হয়, পরিবেশ থেকেও আসে, তো, তাতেই বা কী? দুজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী পরস্পরকে পার্টনার বেছে নিচ্ছেন। সে, স্বাভাবিক প্রবৃত্তির কারণেই হোক কি পরিবেশের। সেটাই বা ক্যানো গ্রাহ্য হবেনা? বলছেন আরেক দল। স্বাভাবিকতাই নাকি এক অস্বাভাবিক নির্মাণ। কুযুক্তি আর কারে কয় ! বুঝতেই পারছেন, উত্তরাধুনিক কচকচানিতে ঢুকে পড়ছেন এনারা। পোমো আর হোমো বাজ ওয়ার্ড হয়েছে এখন , আর, পোমোগণ এই হোমোদের মধ্যে এক হিদার্টো আনএক্সপ্লোরড প্রান্তিকতার সন্ধান পেয়েছেন এবং তত্বকথার ফুলকি ছোটাচ্ছেন। কী আর করা যাবে। শখ করে এসব কিন্তু দূর থেকে আঁচ পোহাতে পোহাতে এসব শখের মজদুরি করে বেশ বাহবাও কিন্তু পাওয়া যায়,আপনিও হয়ত করতেন, বলা যায় না, কিন্তু নিজের ঘরে আগুন লাগলে আগে তো সেটা নেভাবার ব্যবস্থা করতে হবে , নাকি ? অতএব এসব আপাতত চুপচাপ ও পাতি ইগনোর করুন।

  • pi | 72.83.103.132 | ০৫ জুলাই ২০১১ ২১:১৬413559
  • ভাট ৫ : রিপারেটিভ থেরাপি বেসবিহীন
    ঐ আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধান্ত পছন্দ না হওয়াতে কতজন ডাক্তার মিলে তৈরি করেছেন নার্থ,হাতে হাত মিলিয়ে এগিয়ে এসেছেন রিলিজিয়স টলারেন্সএর ধর্মীয় সোসাইটি, এক্স-গে র মত প্রাক্তন গে-দের তৈরি সংস্থা। ইগো সি¾ন্টিনিক হলেও, অর্থাৎ সমকামী মানুষ নিজের সমকামিতা নিয়ে খুশি থাকলেও এটি মানসিক অসুখ, মনে করেন নার্থের মত প্রচুর মনোবিদ, গবেষকরাই। কথাটায় দম আছে, ভেবে দেখুন না, কোনো পাগলে কি আর স্বীকার করে, সে পাগল?
    কিন্তু এসব ভুল প্রমাণ করার জন্য ও আবার কোটেশনের বান ডাকবে।
    Thelongstandingconsensusofthebehavioralandsocialsciencesandthehealthandmentalhealthprofessionsisthathomosexualityperseisanormalandpositivevariationofhumansexualorientation.Someindividualsandgroupshavepromotedtheideaofhomosexualityassymptomaticofdevelopmentaldefectsorspiritualandmoralfailingsandhavearguedthatsexualorientationchangeefforts, includingpsychotherapyandreligiousefforts, couldalterhomosexualfeelingsandbehaviors.Manyoftheseindividualsandgroupsappearedtobeembeddedwithinthelargercontextofconservativereligiouspoliticalmovementsthathavesupportedthestigmatizationofhomosexualityonpoliticalorreligiousgrounds
    AmericanPsychologicalAssociation:ResolutiononAppropriateAffirmativeResponsestoSexualOrientationDistressandChangeEfforts , 2009
    হ্যা:! রিসার্চের উপর ভরসা করে সব সিদ্ধান্ত নিতে গেলেই তো হয়েছে। গতপরশুর একটা রিসার্চ দেখালো সর্ষের তেল হার্টের জন্য হেমলকতুল্য তো আজ বলছে সরিষার ন্যায় পরাণসখা, হৃদয়-বান্ধব আর হয় ই না। তো, কোনদিন দেখবেন নাম্বার গেমের চক্করে এটি আবার অসুখ বলে পাস হয়ে গেছে। তদ্দিন কি ঐ তঙ্কÄ মেনে চিকিৎসা না করি®য়ে বসে হাত কামড়াবেন?
    আর, 'সব থেরাপি সবার জন্য কাজে না-ই লাগতে পারে, সেটাতে এটা তো প্রমাণিত হয়ে যায় না তা ভুল' এনারা নিজেরাই আগেভাগেই সেটা জানিয়ে রেখেছেন। এটা তো যে কোনো চিকিৎসা পদ্ধতিতেই হতে পারে। তাইলে?
    ভাট ৬ : নার্থ, এক্স-গে, এক্সোডাস এদের সারানোর ক্লেইম টেইম সব ভুয়ো
    এরা নাকি পুরো ভুয়ো, অনেক ব্যক্তিই হাজার হাজার ডলার খরচ করেও এই চিকিৎসায় সুফল তো পাওয়া যায়ই নি, উল্টে এই যৌনতা পরিবর্তন করার মানসিক চাপ নিতে না পেরে কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, এমনকি আত্মহত্যাও করেছেন বলে শোনা যায়। এদের ভুল ভ্রান্তি বিবিধ তথ্য নিয়েও আবার তৈরি করা হয়েছে রীতিমতন সব ওয়েবসাইট: http://www.truthwinsout.org/, http://www.exgaywatch.com/wp/, http://www.skeptictank.org/hs/exodus.htm#Section1
    এক্স-গে সংস্থার অন্যতম কর্ণধার ই এখন নাকি স্বীকার করেন, এই পদ্ধতি আদৌ কার্যকর ছিল না। তা মশায়, সেতো পুরানো কোম্পানীর উপর খারবশত: আপনিও কত কিছু বলে থাকেন, সব কি আর সত্যি নাকি! অতএব এসব নিয়ে, whysoserious?

  • pi | 72.83.103.132 | ০৫ জুলাই ২০১১ ২১:১৭413560
  • ভাট ৭ : সমকামিতা সারনোর ওষুধ আদৌ নেই
    সমকামিতা সারানোর নামে যেসব ওষুধপত্র চলে, তা নাকি সবই ঐ পেটের ব্যথায় ব্রুফেন দাগা। উদাহরণ স্বরূপ ব্যাঙ্গালোর মান্থলি আপডেটে বেরোনো রাধা থমাসের এই 'মাই স্টোরি অব গে ইন গার্ডেন সিটি',এই লেখাটি যদি না এসেছে !
    'আমার ডাক্তার বলেছিলেন, সবই মনের ব্যাপার। থেকে থেকেই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়তাম। এখন বুঝতে পারি, এটা আমার সমকামিতার থেকে মুক্তি পাবার চেষ্টার জন্য আসছিলো। কিন্তু আমার ডাক্তার তখন বল্লেন,এটা আসছে স্কিৎসোফ্রেনিয়া থেকে। আর সেটার মূলে আছে সমকামিতা, যার জন্য আমার হ্যালুসিনেশন হচ্ছে। আমাকে নিউরোএপিলেপ্সির ওষুধ ওরাপ আর সেরেনেস দিলেন। সে ওষুধ খাওয়ার দিনগুলো আজ ও আমার কাছে বিভীষিকা। প্রতিটা মুহূর্তে মনে হত নরকযন্ত্রণা ভোগ করছি। একদিন আর পারলাম না। ওরাপের বেশি ডোস খেয়ে নিলাম। মরতে চেয়েছিলাম। বাঁচিয়ে তোলা হল আমাকে, শুরু হল শক থেরাপি। আমার দু বছরের স্মৃতি, সব হারিয়ে গেল, কলেজ যাওয়া ছেড়ে দিতে হলো।
    ডাক্তার এবার নতুন ওষুধ শুরু করলেন, 'সেমাপ'। না:, সমকামিতা সারলো না। তখন ডাক্তারবাবু শুরু করলেন এপিলেপ্সির ওষুধ, সেটা নাকি আমার পুরুষত্ব বাড়াবে। বলেছিলেন, এবার আমি বিয়ে করতে পারবো .....'
    না: , এতেও আপনাদের ঘাবড়ে যাবার কিছু নেই। লাইফ পার্টনার হোক রক্তমুখী নীলা,কি ওষুধ,সবার তো সব কিছু সহ্য না-ও হতে পারে। ওষুধ খেলেন আর ম্যাজিকের মত সমকামিতা সেরে গেল সেটা না-ই হতে পারে,আর যেকোনো মনোরোগের ওষুধের মতই এরও প্রচুর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। এই ওষুধগুলো খুব স্পেসিফিক এমন দাবী তো কেউ করেনি, কিন্তু আবার কাজ করেও তো যেতে পারে। চান্স নিয়েই দেখুন না। আর শুধু ওষুধ দিয়ে কাজ না-ও হতে পারে বলেই তো আপনাকে দেওয়া হয়েছে অন্যান্য সাজেশনগুলি।

    ভাট ৮ : সমকামিতা সারানো সংক্রান্ত বইগুলি ঢপের
    যেসব বই কেনার সাজেশন দেওয়া হয়েছে, কিনতে গিয়ে দেখবেন, amazon.com এর সাইট ভরে রয়েছে এই ধরণের রিভিউতে।
    'ব্লার্বে বলা আছে, বইটি 'ক্লিনিক্যাল এক্সপেরিয়েন্স ও প্রফেশনাল রিসার্চের ভিত্তিতে লেখা।' অথচ আদৌ তা না, এটা লেখকের কোনোরকম ভিত্তিহীন নিজস্ব মতামত মাত্র, যা একটি গোষ্ঠীর বিশেষ প্রোপাগাণ্ডা, মনোচিকিৎসক ও গবেষকদের সাথে এই মত মেলে না।'
    এসব পড়ে মোটেও ঘাবড়ে যাবেন না। সব পাঠক সমালোচককে সন্তুষ্ট করতে সক্ষম হওয়া বই ঐ বুদ্ধের বলা কোনো মৃতুÉস্পর্শহীন বাড়ির সরষে দানার মতই বিরল! অতএব আমাদেরও নিজের সিদ্ধান্তের উপর ভরসা থাকুক।

  • Mmu | 79.86.171.220 | ০৫ জুলাই ২০১১ ২১:২২413561
  • pi, আপনা কে জানিয়ে রাখি আমি বা আমার পরিচিত কেউই উক্ত দুরারোগ্য ব্যধিটিতে আক্রান্ত নয়।
    সুযোগ পেলে, সেইরকম কাউকে পেলে অবশ্যই চিকিৎসা করাব। আর বলব pi জিন্দাবাদ,:-))
    আপনি তো ডা:, তা কি ব্যাপারে স্পেসালিস্ট ?
    সাইকো নাকি অন্য কিছু ??
  • Mmu | 79.86.171.220 | ০৫ জুলাই ২০১১ ২১:২৮413562
  • এত বড় লেখা পড়ার সময় নেই, ব্যাস্ত হয়ে পড়েছি। পরে নিশ্চই পড়ব ।
  • pi | 72.83.103.132 | ০৫ জুলাই ২০১১ ২১:৩১413564
  • ভাট ৯ : অ্যাভার্শান থেরাপি ফলপ্রসূ নয় ও বিপজ্জনক
    'নগ্ন পুরুষের ছবি দেখানোর সাথে সাথে একটি ওষুধ খাওয়ানো হল আমায়। বমি করে দিলাম নিজের উপরেই। বাহাত্তর ঘণ্টা আমি ঐ বমির মধ্যেই শুয়ে ছিলাম। আমার ডাক্তারের পায়ে পড়েছিলাম, বন্ধ করা হোক, যখন জানানো হল, চিকিৎসার পরের ধাপে আমার পেনিসে দেওয়া হবে ইলেকট্রিক শক। সেদিন তার পর আট ঘন্টা ধরে স্নান করেছিলাম, আর দু মাস বাদে মেনে নিয়েছিলাম, আমি গে।' কুড়ি বছর বাদে তাঁর সেই অভিজ্ঞতার কথা নিয়ে নাকি মুখ খুলেছেন মি: প্রাইস (http://news.bbc.co.uk/2/hi/uk_news/magazine/3258041.stm)
    কেউ নাকি আর কখনো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি, কেউ করেছেন আত্মহত্যাও। অ্যাভার্শান থেরাপি নিয়ে কানে আসবে এইসব প্রচুর নেগেটিভ কথাবার্তা। অন্য কান দিয়ে বের করে দেবেন।
    কেন?
    ক্যুবরিকের প্রোটাগনিস্ট কি নেটে টেস্টিমনি দেওয়া পাঁচটা পাবলিকের ক্ষতি হয়েছে বলেই সবার সাথে এমনি হবে, এমনটার গ্রান্টি কি? অপারেশনে মরার চান্স থাকে বলে দরকার পড়লে সেটা করান না, না কি?
    তো, এটাও তো তেমনি অসুখ। সারাবার জন্য যা করা দরকার, করতে হবে। এ নিয়ে হেজিয়ে লাভ আছে?
    আর, কী বলছেন? শক থেরাপিতে ভীষণ কষ্ট হয়? এই নিয়ে ড: সিপিবি র একটি মন্তব্য কোট করাই যথেষ্ট: 'সমকামি হলে পায়ু যৌনাচার করতেও শক থেরাপির থেকে কিছু কষ্ট হয় না। অতএব সমকামিতা সারাতে ওটুকু সহ্য করাই যায়।'
    ভাট ১০ : রামদেববাবা ভাট দিয়েছেন
    রামদেববাবাকে নাকি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন মহেন্দ্র গোহিল নামে এক রাজপরিবারের সন্তান (গে বলে নিজেকে জাহির করার পর যদিও রাজবাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়েছেন)। তাঁর বক্তব্য,তিনি দশ বছর ধরে নিয়মিত ভাবে ঐ সকল যোগাভ্যাস করার পরও যেমন গে তেমনিই থেকে গেছেন, বিন্দুমাত্র সোজা হননি। দেখুন,অবিশ্বাসী মন নিয়ে করলে ঠিকঠাক ফল হয় না,মনের অসুখের বেলা তো আরৈ না। মূল কথা হল, আস্থা। আস্থা হারাতে দেবেন না। আস্থা দেখতে থাকুন নিয়মিত। যোগবলের জাদুমন্ত্রে যিনি ক্যান্সার থেকে এই এইডস অব্দি সারিয়ে দিতে পারেন বলে দৃঢ়প্রত্যয়ী, তিনি এই সামান্য সমকামিতা সারাতে পারবেন না ?
    আমাদের এই গাইডটি সঙ্গে রাখুন, পড়ুন, পড়ান, কনফিডেন্সের সাথে সমকামিতা সারান। আমাদের তরফ থেকে রইলো আন্তরিক কামনা, সকল পাঠক পাঠিকার জন্য এক সুস্থ স্বাভাবিক অ-সমকামী সুন্দর জীবনের।

    এই লেখায় ব্যবহৃত কিছু মনোবিদের বক্তব্য অরভিন্দ নারায়ণ ও বিনয় চন্দ্র লিখিত 'It’snotmyjobtotellyouit’sokaytobegay‘ -Medicalisationofhomosexuality:aqueercritique' থেকে নেওয়া।

  • pi | 72.83.103.132 | ০৫ জুলাই ২০১১ ২১:৩৫413565
  • না না, আমি মনের ডাক্তার কেন হতে যাবো !
    তবে আপনার মনের কথাগুলো কেমন ঠিকঠাক বলে দিয়েছি না ? :)

  • Mmu | 79.86.171.220 | ০৬ জুলাই ২০১১ ০০:১৬413566
  • যা: বাবা pi , শেষ পর্যন্ত আমাকেই সমকামী বানিয়ে দিলেন নাকি ? হায় হায় এ দু:খ কোথায় রাখি ?
  • Mmu | 79.86.171.220 | ০৬ জুলাই ২০১১ ০০:২১413567
  • এই জন্য লোকে বলে ডাক্তারী নিয়ে ডাক্তারদের সাথে বেশী ওস্তাদি করতে নেই।
    পেট খারাপের চিকিৎসা করাতে গিয়ে শেষে হার্টের অপারেশন করিয়ে বাড়ী ফিরতে হবে ।
  • r2h | 198.175.62.19 | ০৬ জুলাই ২০১১ ০০:২২413568
  • পোড়া কপাল
  • aka | 168.26.215.13 | ০৬ জুলাই ২০১১ ০০:২৬413569
  • পোড়া হার্টই বেশি অ্যাপ্রোপ্রিয়েট হবে মনে হয়।
  • Mmu | 79.86.171.220 | ০৬ জুলাই ২০১১ ০০:২৮413570
  • pi, এই টই তে 09:22 PM এ আমার পোস্ট টা দেখুন । আপনি তখন লেখায় ব্যাস্ত ছিলেন তাই দেখতে পারেননি বোধ হয় ।
  • ranjan roy | 122.168.222.196 | ০৬ জুলাই ২০১১ ০০:৩০413571
  • ধ্যাত্‌তেরি! ম্মু কি যে করেন? পড়েন, ভাই পড়েন।
    পাই আপনারে সমকামী বানায় নাই, অগো লইয়া আপনার সুচিন্তাটা কইয়া দিসে।

    কি যে করি! রামদেববাবার যোগথেরাপি অথবা পাইদিদির শক্‌ থেরাপি, আমার উদ্ধার নাই।
  • Mmu | 79.86.171.220 | ০৬ জুলাই ২০১১ ০০:৩৪413572
  • pi, আপনি এখন না থাকলে কাল দেখবেন । যদিও আমি জানিনা pi আপনি দেশে না বিদেশে।
    যাই হোক মনের দু:খ মনে রেখেই আজ ঘুমিয়ে পড়তে হবে একটু পরে । কাল দেখা যাবে ।
  • Tim | 198.82.21.128 | ০৬ জুলাই ২০১১ ০০:৩৭413573
  • ভস্ম কি কোনো গালাগাল? নইলে একজনকে বলতাম।
  • Mmu | 79.86.171.220 | ০৬ জুলাই ২০১১ ০০:৩৮413575
  • ranjan দা আপনি আছেন, ওহ ভরসা পেলাম । aka, r2h এরা আমাকে বাচাবে না জানি । আপনি যখন আছেন তখন চালিয়ে যাওয়া যাবে, চিন্তা নেই আমার ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন