এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বাঘ কুমীর ও পরিবেশ

    Ishan
    অন্যান্য | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ | ৮৮১২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ishan | 12.163.39.254 | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:৩৫425637
  • এই বিষয়টা নিয়ে জ্ঞান চাই।

    ধরা যাক সুন্দবরবন থেকে সব বাঘ এবং কুমীরকে ফুটিয়ে দেওয়া হল। তাতে লাভ কি হবে জানি। এলাকার লোকজন হাঁফ ছেড়ে বাঁচবে।

    কিন্তু ক্ষতিটা কি হবে? সর্বত্রই শুনি পরিবেশের অপূরণীয় ক্ষতি হবে। কিন্তু কি ক্ষতি হবে শুনতে পাইনা। এট্টু ফান্ডা দ্যান।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:৩৯425724
  • একটা ক্ষতি মনে পড়েছে। হরিন প্রচুর বেড়ে যাবে। তারা লোকালয়ে এসে সব ফসল খেয়ে যাবে। সেটা খুব বড়ো কিছু না। বছরে কিছু হরিন মেরে ফেললেই হল।

    আর কিছু?
  • rimi | 168.26.215.135 | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:৪৩425735
  • বাঘের দাঁত ও দুধ পাওয়া যাবে না।
  • d | 117.195.42.3 | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:৪৫425746
  • বাঘ বাঁচানো দরকার খাদ্যশৃঙ্খলের জন্য।
  • Du | 65.124.26.7 | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:৪৭425768
  • বাঘ থাকবে না - এইটাই পরিবেশের ক্ষতি। পরিবেশ তো আর মানুষ নয়।
  • Blank | 59.93.207.127 | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:৪৭425757
  • খুব বড় কোনো ক্ষতি হবে কিনা এ নিয়ে বেশ তর্ক আছে। ইকো সিস্টেমে চাপ, হ্যানা ত্যান এসব তো ছোটোবেলার বইতেই আমরা পড়ি। সবাই জানি।
    কিন্তু প্রতি বছর বহু প্রজাতি এম্নি করে হারিয়ে যাচ্ছে। কোনো প্রজাতি টিকবে কি টিকবে না সেটা তার ক্ষমতার ওপর নির্ভর করা উচিৎ। এ ভাবেই লক্ষ বছর ধরে পৃথিবী চলছে। ভবিষ্যতেও চলবে। বাঘ যদি বুদ্ধিমান না হয় তো আজ না হোক এমনি লুপ্ত হবে। ইকো সিস্টেম নিজের মতন টাল খেতে খেতে ব্যালেন্স খাবে, টিকে যাবেই।
    হয়তো আরো হাজার বছরে মানুষ ও মরে যাবে ...
  • rimi | 168.26.215.135 | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:৫২425779
  • দুদি একেবারে ঠিক বলেছ :-)))

    বাঘ, কুমীর ইত্যাদি না থাকলে ছাগল হরিণ ইত্যাদি গাছ খেকো প্রাণীরা নির্বিচারে ঘাস, পাতা, গাছপালা খেয়ে সাফ করে দেবে। দূষণ তো বাড়বেই।
  • Blank | 59.93.207.127 | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:৫৩425790
  • দম দি
    ভারত থেকে অন্তত ৫০ বছর আগে চিতা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। শেষ চিতার ছানা মরেছে নিজামের গুলিতে, চল্লিশের দশকে (একটু ভুল ও বলতে পারি)। তো তাতে খাদ্য শৃঙ্খলের কিস্যু যায় আসে নি।
    শুধু ভারত থেকে নিশ্চিহ্ন হওয়া প্রানীর সংখ্যাই প্রচুর (যারা মানুষের শিকারে নিশ্চিহ্ন),
    যেমন গুলবশির বা গোলাপী হাঁস। শুনেছি শ খানেক বছর আগে কোলকাতার বাজারে বিক্রি হতো খাবার জন্য (রঙ্গন দা হয়তো খেয়েছে)।
    ধরা যাক ছোট গন্ডার, সুন্দর বনে মিলতো। সিকিমে পাওয়া যেতো।
    অথবা পাহাড়ী হরিন সৌ।
    বা পাহাড়ি ছোট প্যঁচা গুলো। নর্থ বেঙ্গলে পাওয়া যেতো।
    এছারা লোকে বলে আগে বাংলাতেও সিংহ পাওয়া যেতো। বহু যুগ হলো যায় না। তো বিশেষ কিছু হয় নি। খালি প্রজাতি গুলো হারিয়ে গেছে। তো পরিবেশ নিজের মতন ঠিক চলবে, তবে ঐ আর কি, কোনো কিছু হারিয়ে যাওয় বড্ড খারাপ।
  • Blank | 59.93.207.127 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:০৭425801
  • সৌ পাওয়া যেতো সিকিমে।
    *গুলাবশির
  • lcm | 128.48.7.102 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:২৯425638
  • যাক! এবার মনে হচ্ছে পরিবেশটা সেফ হবে। জলে কুমীর, ডাঙায় বাঘ - নেই।
    কিন্তু, যারা বাঘে গরুতে একঘাটে জল খাওয়ানোর প্লান করছিলেন তারা একটু মুশকিলে পড়বেন।
  • rimi | 168.26.215.135 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:৩৪425649
  • গুলাবশির নাকি তিব্বতের হিমালয়ে এখনো পাওয়া যায়, কিছুদিন আগেই এক অর্নিথোলজির বইএ পড়লাম।
  • Blank | 59.93.207.127 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:৩৮425660
  • তিব্বতের কোথাও নাকি অনেকে সৌ দেখেছে। ভারতের গহীন অরন্যে সত্তরের দশকেও নাকি লোকে চিতা দেখেছে।
    এমনি অনেক রটে। এখনো অফিসিয়ালি কেউ কিছু পেয়েছে বলে জানি না। তবে আমার ডেটা বছর ছয়েকের পুরনো। সেই কলেজের সময়কার।
  • Blank | 59.93.207.127 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:৪০425671
  • The Pink-headed Duck (Rhodonessa caryophyllacea) is (or was) a large diving duck that was once found in parts of the Gangetic plains of India, Bangladesh and in the riverine swamps of Myanmar but feared extinct since the 1950s. Numerous searches have failed to provide any proof of continued existence. It has been suggested that it may exist in the inaccessible swamp regions of northern Myanmar and some sight reports from that region have led to its status being declared as "critically endangered" rather than extinct. The genus placement has been disputed and while some have suggested that it is closer to the pochards, others have placed it in a separate genus of its own.

  • Blank | 59.93.207.127 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:৪৫425682
  • সুন্দর বন তো এম্নিতেই সেদিনের জঙ্গল। এক কালে ওখানে তো শহর গঞ্জ ছিলো। অবশ্যি সেসব রাঙাদা দেখেনি।
  • lcm | 128.48.7.102 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:৫৫425693
  • বাঘ/কুমীরের সঙ্গে, বড় লাল পিঁপড়েও (জামরুল/নারকেল... গাছে থাকে) ফুটিয়ে দাও।
  • Blank | 59.93.207.127 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ০১:০৩425704
  • দাও দাও দাও
    প্রেমের জোয়ারে, ভাসাবে দোহারে ... etc
  • rimi | 168.26.215.135 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ০১:০৯425715
  • গোলাপি মাথার হাঁসের গপ্প:

    কোনো এক বইতে গল্প পড়েছিলাম, অ্যাগনেস নামের এক বাচ্চা মেয়ে চমৎকার পাখির ডাক নকল করতে পারত, এমনই যে তার ডাক শুনে সত্যিকারের পাখিরা ছুটে আসত। এদিকে তার মা প্রফেসর পেরেগ্রিন ছিলেন নামকরা অর্নিথোলজিস্ট। মা আর মেয়ে আমেরিকা থেকে পাড়ি দেয় সুদূর হিমালয়ে (যতদূর মনে পড়ছে) গোলাপী মাথার হাঁসের খোঁজে। ওদের প্ল্যান, অ্যাগনেস গোলাপী হাঁসের ডাক নকল করে ডাকবে, আর সেই ডাক শুনে সেই হাঁসেরা ছুটে আসবে। এদিকে এক দুষ্টু ভিলেইন ট্যাক্সিডার্মিস্ট তাদের পিছু নেয়। উদ্দেশ্য, গোলাপী হাঁস দেখতে পেলেই গুলি করে নামাবে।

    পাহাড়ে পাহাড়ে পাখির খোঁজে কেটে যয় অনেকদিন। পৃথিবীতে কেউ কোনোদিন এই গুলাবশিরের ডাক শোনে নি। অ্যাগনেস বা প্রফেসর পেরেগ্রিন কেউই জানে না সেই ডাক কেমন। অ্যাগনেস বিভিন্ন রকম ডাক ডেকে চেষ্টা চালিয়ে যায়। অনেকরকম পাখি এসে জড়ো ও হয়, কিন্তু গুলাবশির আসে না। দুষ্টু লোকটি কিন্তু রোজই লুকিয়ে মা আর মেয়ের পিছু নেয়। একদিন অ্যাগনেসের সঙ্গে মুখোমুখি দেখা হয়ে যায় দুষ্টু লোকের। তারপরে কি করে যেন তাদের মারামারি বাধে, ঠিক মনে পড়ছে না। অ্যাগনেস বিভিন্ন রকম ভাবে চিৎকার করতে থাকে। হঠাৎ করে এক রকম চিৎকারের সঙ্গে সঙ্গে উড়ে আসে গোলাপী মাথার হাঁস। তারা দুষ্টু লোককে ঠুকরে দিয়েই উড়ে চলে যায়।

    প্রফেসর পেরেগ্রিন আর অ্যাগনেস ফিরে আসে খালি হাতে, কিন্তু ভরা মনে। তারা এখন জানে গোলাপী হাঁস কেমন করে ডাকে।

    অবশ্যই বানানো গল্প, কিন্তু ছবিগুলো চমৎকার ছিল।
  • Blank | 59.93.207.127 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ০১:১৬425722
  • কার মায়ের নাম ছিলো অ্যাগনেস? অলিভার টুইস্ট !
  • khik | 168.26.215.135 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ০১:৩১425723
  • কোন অ্যাগনেস মা না হয়েও মা হয়েছিলেন? মাদার টেরিজা!
  • kumir | 131.151.102.250 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ০১:৩৫425725
  • আমায় নিয়ে কি আলোচনা হচ্চে শুনি?
  • Blank | 59.93.207.127 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ০১:৩৬425726
  • ঠিক
  • vikram | 86.43.82.35 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৫:১৫425727
  • ঈশেন, সুন্দরবন থেকে বাঘ ও কুমির মেরে ফেললে সত্যি ই পরিবেশের লং বা শর্ট টার্মে ক্ষতি হবে না। কিছু কিছ্‌হু প্রজাতি আর থাকবে না এরম হতে পারে। কিন্তু নানান জায়গায় সেগুলো অলরেডি নেই। যে কারনে মেনলি লোকে ঘাঁটায় না তার কারণ হলো পরিবেশে হাত দিলে জেনারালি কয়েক বছর পরে নানান ঝামেলা দেখাঅ যায় যেগুলো আগে ভাবা যায় নি। যেহেতু ঐ এলাকায় পশুপ্রাণীর বৈচিত্র্য খুব বেশি এবং কি হইতে কি হইবে সেই নিয়ে খুব বেশি আইডিয়া নেই এবং এরকম বৈচিত্র্যপূর্ণ খুব অধিক জায়গা নেই তাই লোকে ঘাঁটায় না।

    একটা লেভেলে বনবিবির পুজোর সাথে এর কোনও তফাত নেই। আরেক দিক থেকে দেখলে, মানুষ না প্রকৃতি, কাকে তো প্রায়োরিটুই দেবে তার ওপর বেস করে এই ডিসিশানগুলো নেওয়া হয়। আর কিছু না।

    মানুষ যেখানে বাস করে সেখানে এমবি্‌নতেই জীব কমে যায়।

    কারওর এ বিষয় প্রকৃত ট্রেনিং থাকলে একটু লিখুন না!

    বিক্রম
  • Blank | 170.153.65.102 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ১১:৩৬425728
  • প্রকৃত প্রকৃতি ট্রেনিং
  • kallol | 220.226.209.2 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৬:৩০425729
  • একটা চিনের গল্পো শুনেছিলাম। সত্যি-মিথ্যে জানি না। তবে যৌক্তিক মনে হয়েছিলো।
    মাওএর আমলে হঠাৎ কোন এক কৃষি বিশেষজ্ঞ ভেবে বার করেন, প্রতি বছর চড়াই পাখীতে যতো ফসল খেয়ে ফেলে তার পরিমান বিপুল। এতো রাষ্ট্রের ক্ষতি=সর্বহারার ক্ষতি=সমাজতন্ত্রের ক্ষতি=বিশ্ববিপ্লবের ক্ষতি। অতএব চড়াই মারো। এমন কি চড়াই খাওয়াও শুরু হলো। বছরখানেক বাদে, দেখা গেলো ফসলে প্রচন্ড পোকা ধরছে। চড়াই শুধু ফসলই খেতো না, পোকাও খেতো। চড়াই মারা বন্ধ করা হলো রাষ্ট্রের ক্ষতি=সর্বহারার ক্ষতি=সমাজতন্ত্রের ক্ষতি=বিশ্ববিপ্লবের ক্ষতি আটকাতে।
  • Boo | 203.189.230.2 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ২২:১০425730
  • #২৪৫৩;#২৪৮২;#২৫০৯;#২৪৮২;#২৫০৭;#২৪৮২;, #২৪৬০;#২৪৯৭;#২৪৩৪; #২৪৫৮;#২৫০৯;#২৪৭৯;#২৪৯৪;#২৪৩৪; #২৪৪৭;#২৪৮০; '#২৪৬৯;#২৫০৯;#২৪৮০;#২৪৯৫; #২৪৬৫;#২৪৬৩;#২৪৯৪;#২৪৮০;#২৫০৯;#২৪৮৮; #২৪৩৭;#২৪৭৭; #২৪৫৮;#২৪৯৪;#২৫২৭;#২৪৭২;#২৪৯৪;' #২৪৭৬;#২৪৩৯;#২৪৬৩;#২৪৯৪;#২৪৬৮;#২৫০৩; #২৪৪৭;#২৪৩৯; #২৪৫৮;#২৫২৪;#২৪৯৭;#২৪৩৯; #২৪৫৪;#২৪৬৮;#২৪৭৮;#২৫০৩;#২৪৮০; #২৪৫৩;#২৫০৯;#২৪৭৯;#২৪৯৪;#২৪৭৮;#২৫০৯;#২৪৭৪;#২৫০৩;#২৪৭২;#২৫০৩;#২৪৮০; #২৪৫৩;#২৪৬৯;#২৪৯৪; #২৪৭৪;#২৫২৪;#২৫০৩;#২৪৫৯;#২৪৯৫;#২৪০৪; #২৫৩৫;#২৫৪৩;#২৫৩৯;#২৫৪২; #২৪৮৮;#২৪৯৪;#২৪৮২;#২৫০৩; #২৪৮২;#২৫০৩;#২৪৫৪;#২৪৯৫;#২৪৫৩;#২৪৯৪;#২৪৮০; #২৪৭৬;#২৫২৭;#২৪৮৮; #২৪৫৯;#২৪৯৫;#২৪৮২; #২৪৫৯;#২৫২৭;, '#২৪৫৮;#২৫২৪;#২৪৯৭;#২৪৩৯; #২৪৭২;#২৪৯৫;#২৪৭১;#২৪৭২;' '#২৪৫৫;#২৫০৯;#২৪৮০;#২৫০৩;#২৪৬৩; #২৪৮২;#২৪৯৫;#২৪৭৪; #২৪৭৫;#২৪৮০;#২৫০৭;#২৫২৭;#২৪৯৪;#২৪৮০;#২৫০৯;#২৪৬৫;' #২৪৪৭;#২৪৮০; #২৪৭২;#২৪৯৪;#২৪৭৮;#২৫০৩; #২৪৭২;#২৪৯৫;#২৪৮০;#২৫০৯;#২৪৭৬;#২৪৯৫;#২৪৫৮;#২৪৯৪;#২৪৮০;#২৫০৩; #২৪৫৫;#২৪৯৪;#২৪৫৯; #২৪৫৩;#২৫০৩;#২৪৬৩;#২৫০৩; #২৪৫৩;#২৪৯৪;#২৪৭৮;#২৪৯৪;#২৪৮০;#২৪৫৪;#২৪৯৪;#২৪৭২;#২৪৯৪; #২৪৭৬;#২৪৯৪;#২৪৭২;#২৪৯৪;#২৪৭২;#২৫০৭; #২৪৩৮;#২৪৮০; #২৪৫৮;#২৪৯৫;#২৪৬৮;#২৫০৯;#২৪৬৮;#২৪৯৪;#২৪৫৩;#২৪৮০;#২৫০৯;#২৪৮৭;#২৪৫৩; #২৪৫১; #২৪৮০;#২৫০৭;#২৪৭৮;#২৪৮৯;#২৪৮০;#২৫০৯;#২৪৮৭;#২৪৫৩; #২৪৭৬;#২৪৮০;#২৫০৯;#২৪৬৭;#২৪৭২;#২৪৯৪; #২৪৩৮;#২৪৫৯;#২৫০৩; #২৪৫১;#২৪৬৮;#২৫০৩;
  • Boo | 203.189.230.2 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ২২:১২425731
  • @কল্লোল, জুং চ্যাং এর 'থ্রি ডটার্স অভ চায়না' বইটাতে এই চড়ুই খতমের ক্যাম্পেনের কথা পড়েছি। ১৯৫৮ সালে লেখিকার বয়স ছিল ছয়, 'চড়ুই নিধন' 'গ্রেট লিপ ফরোয়ার্ড' এর নামে নির্বিচারে গাছ কেটে কামারখানা বানানো আর চিত্তাকর্ষক ও রোমহর্ষক বর্ণনা আছে ওতে
  • ranjan roy | 115.184.106.107 | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ২২:২৮425732
  • আচ্ছা, মিউনিসিপ্যলিটির থেকে বেওয়ারিশ কুকুর তুলে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলা হয়, সব রাজ্যে; বঙ্গে-৩৬গড়ে , সর্বত্র।
    এর যৌক্তিকতা নিয়ে কেউ কিছু বলবেন?
  • Boo | 203.189.230.2 | ১০ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:৪৬425733
  • কুকুর মারা হলো গিয়ে 'culling'। সাংঘাতিক বেড়ে যাওয়া প্রাণীর সংখ্যারাশ, প্রজাতিনাশ বা বাস্তু-ধ্বংস ভিন্ন জিনিস।
  • Ishan | 173.26.17.106 | ১০ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৮:১৪425734
  • হ্যাঁ, যেটা শুরুতে পষ্টো করে লিখিনি সেটা এখন লিখি।

    জীববৈচিত্র সংরক্ষণে আমার কোনো আপত্তি নেই। পরিবেশ নিয়ে চিন্তাতেও আমার কোনো আপত্তি নেই। কিছু কিছু ক্ষেত্রে চিন্তাটা খুব জরুরিও বটে। যেমন ধরুন, উন্নয়নের মডেল নির্ধারণের ক্ষেত্রে। বড়ো বড়ো বাঁধ বানাবো কি বানাবোনা, তার জন্য লোককে উচ্ছেদ করব না করবনা, এগুলো পরিবেশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত। কিন্তু দেখুন, পরিবেশের চেয়েও বড়ো হয়ে এখানে চিন্তাটা হচ্ছে মানুষকে নিয়ে। পরিবেশ ধ্বংস করে আদপেই মানুষের কিছু উপকার কিছু হচ্ছে কিনা, নাকি অপকার হচ্ছে, সেটাই এখানে মুখ্য প্রশ্ন।

    কিন্তু এর বাইরেও কিছু বস্তু আছে, যেগুলো ঠিক মানুষের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত নয়। যেমন ধরুন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ। ধরুন, বাঘ সংরক্ষণ। এই জীবটি পৃথিবী থেকে এমনিতেই নিকেশ হয়ে যেতে বসেছে, অনায়াসেই প্রেডিক্ট করা যায়, যে, চিরতরে উধাও হয়ে গেলেও মানুষের তেমন ক্ষতিবৃদ্ধি কিছু নেই (কুমীরের ক্ষেত্রে এতটা নিশ্চিত নই, চিনের চড়াই পাখির মতো হলেও হতে পারে)।

    তা, এর মানে এই নয় যে, মানুষের কাজে লাগবেনা বলে এদের নিকেশ করে ফেল। বাঘ একটি প্রজাতি হিসেবেই জীববৈচিত্রের পক্ষে মূল্যবান, এবং সংরক্ষণ করা উচিত, আমি ব্যক্তিগতভাবে সেটাই মনে করি। এটা একটা শুভচিন্তা, এবং তাতে কোনো গোলমাল নেই। কিন্তু গোলমালটা অন্য জায়গায়। গোলমালটা বাধে যখন মানুষের বাঁচার সঙ্গে বন্য প্রজাতি সংরক্ষণ একদম মুখোমুখি সংঘর্ষে দাঁড়িয়ে যায়, মানুষের স্বার্থ আর বন্য প্রাণী বাঁচানোর স্বার্থ একদম উল্টো হয়ে যায়।

    এর উদাহরণ ধরুন, সুন্দরবন। সেখানে লোকে লিটারালি বাঘের সঙ্গে যুদ্ধ করে বাঁচে। হামেশাই বাঘে বা কুমীরে টেনে নিয়ে যায় লোককে। সুন্দরবনে এমন গ্রাম আছে যার নাম বিধবা গ্রাম। কারণ প্রায় সকলের স্বামীকেই বাঘে খেয়েছে। এই লোকগুলিকে ভালো করে বাঁচতে দেওয়াটা আগে দরকার, না বাঘ বাঁচানোটা আগে দরকার, সেটাই হল প্রশ্ন।
  • Ishan | 173.26.17.106 | ১০ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৮:২১425736
  • আমি এই আরামের ঘরে বসে, মাঝে মাঝে সুন্দরবনের লোকেদের অবস্থাটা ভাবার চেষ্টা করি। ধরুন, এই রোজ খাচ্ছি দাচ্ছি, পেটের জন্য আপিস যাচ্ছি। কিন্তু সবসময়েই জানের ভয়। বাড়ি থেকে বেরোলেই বাঘে ধরতে পারে। আপিসের সামনে কুমীর টেনে নিয়ে যেতে পারে। টিভিতে মাঝে মাঝেই দেখায় সাবওয়েতে খেতে গিয়ে দুটি লোক বাঘের খাদ্য হয়ে গেছে। ইত্যাদি।

    মনুষ্য বসবাসের যেকোনো "সভ্য' জায়গায় এরকম বাঘের উপদ্রব থাকলে, যেকোনো জায়গায়, কোনো ব্যতিক্রম ছাড়াই বাঘ গুলিকে হয় নিকেশ করা হত, কিংবা ধরে চিড়িয়াখানায় পাঠানো হত। বস্তুত এইভাবেই তৈরি হয়েছে বিশ্বের অনেক বড়ো বড়ো শহর। কলকাতাও মনে হয় ব্যতিক্রম না।

    সুন্দরবন কেন এর ব্যতিক্রম হবে? বাঘের খাদ্য কেন হবে লোকে?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন