এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বাঘ কুমীর ও পরিবেশ

    Ishan
    অন্যান্য | ০৮ ডিসেম্বর ২০০৯ | ৮৮১১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ishan | 173.26.17.106 | ১০ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৮:৩১425737
  • তাহলে কি বাঘগুলোকে মেরে ফেলা উচিত? না:। মনে হয়না সেটা খুব ভদ্রজনোচিত কাজ। তবে কিছু একটা ব্যবস্থা করা উচিত। যেমন কোনো ভাবে ওদের একটা ছোটো জঙ্গলে আটকে রাখ। তার-ফারের ইয়া লম্বা বেড়া দিয়ে ঘিরে। বা অন্য কোনো উপায়ে। আমি জানিনা, তবে উপযুক্ত লোকরা ভাবলে কিছু একটা উপায় নির্ঘাত বেরোবে।

    পয়সা কে দেবে? এই পুরো জিনিসটা মাথায় এল কোপেনহাগেন প্রসঙ্গেই। টিভিতে প্রায়ই দেখি উন্নত দুনিয়ার লোকেরা, এনক্লুডিং আমরা, তৃতীয় বিশ্বকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের উপদেশ দিই। সাদা চামড়ার লোকেরা কেনিয়া গিয়ে সিংহদের মারতে বারণ করেন তাদের, যারা সিংহের সঙ্গে বল্লম নিয়ে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকে। সুন্দরবনে বাঘ বাঁচাতে পরামর্শ দেন। আমরা/তাঁরা কিন্তু নিজেদের বাসের জায়গায় বহু আগেই বাঘ সিংহকে নিকেশ করে দিয়েছি। এখন নিরাপদ দূরত্বে বসে জ্ঞানবিতরণের পালা। তা, বাঘ বাঁচানোর অতই দরকার হলে কোপেনহাগেন থেকে চাঁদা তুলে বাঘ বাঁচানোর খচ্চাটা জোগড় করা হোকনা। এই হল বক্তব্য।
  • a x | 76.247.246.200 | ১০ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৯:০৪425738
  • ঈশান, আমার ফেসবুকে কাবেরী বলে একজন আছে। ও আর ওর স্বামী বহুদিন ধরে ইকলোজিকাল কন্‌জার্ভেশন নিয়ে কাজ করে। মানে এই করেই খায়। তুমি কাবেরীদিকে জিজ্ঞেস করতে পার বাঘ বাঁচান কেন দরকার।

    আমি নিজে কিছুই জানিনা এই ব্যপারে কিন্তু সাধারণত, ফুড চেনে যত ওপরে কেউ থাকে, তার সংরক্ষণ তত দরকারী পরিবেশের জন্য। মানে এক বিশেষ প্রজাতির ঘাস বাঁচানো যত না দরকার তার চেয়ে সুন্দরবনের বাঘ বাঁচানো বেশি দরকার। আর কিভাবে হ্যাবিটাট মেন্টেন্ড হয়, তার কি কি প্রভাব পড়তে পারে সেগুলো এখনও সব জানা হয়নি।

    এবার তোমার পরের প্রশ্নটা ঠিক বায়োলজির না, রাজনৈতিক। বাঘের স্বাভাবিক বাসস্থান ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। পাড় ভেঙ্গে জায়গা কমে আসা ইত্যাদি। এগুলো অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ইস্যু।

    আর বনবিবির জন্যই বাঘ থাকবে কি থাকবেনা, সেটাই বা "আমরা" এসি ঘরে বসে ডিসাইড করব কি করে? কোনো জাতি/উপজাতি/সভ্যতার সংস্কৃতিতে যদি বাঘের একটা জায়গা থাকে, সেটাকে নাকচ কে করবে?
  • kallol | 220.226.209.2 | ১০ ডিসেম্বর ২০০৯ ১২:০১425739
  • পৃথিবী কি শুধুই মানুষের? বাঘ মানুষ মারলে, বাঘ মারতে হবে। কুমির মানুষ মারলে কুমির মারতে হবে। মানুষে, বাঘ বা কুমির মারলে তারা কখনই মানুষ মারতে যায় না। খিদে পেলে মারে, বাঘখেকো বা কুমিরখেকো মানুষ বলে মারে না।
    বাঘ সিংহ কুমির পাখী কি এই জন্যই মারা হতো যে এরা মানুষের ক্ষতি করে? মানুষ যবে থেকে তার বিনোদনের (নানা অর্থে) জন্য জীব-জন্তু মারা শুরু করেছে, তবে থেকেই এই সমস্যা। শিকারে বন্দুক ব্যবহার এটাকে বাড়িয়ে দিয়েছে হাজারগুণ।
    মানুষ যেমন এখন ক্যানসার আর এইডসের ভয় নিয়েও বাঁচে, গান গায়, ফিলিম বানায়, নোবেল পায়, তেমনি একদিন বাঘ-কুমিরের ভয় নিয়েও গান গাইতো, পালা লিখতো, প্যালা পেতো।

  • PT | 203.110.246.230 | ১০ ডিসেম্বর ২০০৯ ১২:৩০425740
  • সত্যি, নিরাপদ দুরত্বে বসে থাকা মানুষদের বাঘ আর কুমিরের জন্য কান্নাকাটি দেখে আমার হৃদয় প্রচন্ড ব্যাকুল হয়ে পড়েছে।
  • umesh | 86.2.246.37 | ১০ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৩:১০425741
  • আমি একটা ডকু তে দেখেছিলাম, মানুষ ধীরে ধীরে সুন্দরবনের এর এরিয়া তে বন কেটে বসতি বানাচ্ছে। তাহলে আর বাঘ কে দোষ দিচ্ছো কেন?
    বাঘ তো আর ক্যানিং এ এসে মানুষ তুলে নিয়ে যাচ্ছে না। বাঘ যেখান থেকে মানুষ মারছে সেটা একটা সময় সুন্দরবনের অংশ ছিলো।
    মানুষ নিজেদের অপরিমিত বাড়িয়ে যাচ্ছে আর বাঘদের থাকার জায়গা গুলো তে থাকতে চাইছে। তাহলে বাঘ বাবাজীবন কি করে?
  • lcm | 69.236.163.114 | ১০ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৩:১৬425742
  • শুধু বাঘ। আর, হাতি?
    http://www.newkerala.com/news/fullnews-7901.html
    দ্যাখো না, ১০ দিনে ৩ টে মানুষ মেরেছে। এবার ৩ দিনে ১১ টা হাতি না মারলে - জন্তু সমাজে মুখ দেখানো....
    কিন্তু, নিরাপদ দূরত্বে বসে মারতে হলে একটা রিমোট ক®¾ট্রাল ব্যালিস্টিক উইপেন চাই - wmd (উইপেন অফ্‌ মর‌্যাল ডেসট্রাকশন)- র মতন ফালতু কিছু নয়, বেশ শক্ত পোক্ত নিরাপ্‌দ জিনিস চাই।

  • . | 125.18.104.1 | ১০ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৩:৫৩425743
  • ঈশেনের প্রশ্নের একটা দার্শনিক উত্তর আছে। মানুষের বাঁচবার স্বার্থ সবার উপরে- এই ভাবনাকে অনেক পরিবেশবাদী অ্যা®¾থ্রাপোসেϾট্রজম নাম দিয়েছেন। তাঁরা বলেন মানুষের বাঁচার স্বার্থ ও পরিবেশ বাঁচাবার স্বার্থের মধ্যে যে আপাত সংঘাত- তা মানুষ নিজেই সৃষ্টি করেছে। এই ভাবনাকে যদি সমগ্র জীবজগৎকে বাঁচিয়ে রাখার ভাবনা দিয়ে প্রতিস্থাপিত করা যায়, তাহলে এই সংঘাতের ইস্যুটাই থাকে না। অয়নথ্রোপ্সেϾট্রজমের বিকল্প ভাবনার নাম দিয়েছেন বায়োসেϾট্রজম। আবার এদের বিরোধীরা এদের ইকোফ্যাসিস্ট বলে থাকেন। সত্যি কথা বলতে, নাৎসীরা পরিবেশ সংরক্ষণের ভাবনাচিন্তার ব্যাপারে পথিকৃৎ ছিলেন। এই তর্ক নিয়ে আমি বিশেষ কিছুই জানি না। কিন্তু সুন্দরবন নিয়ে সামান্য জানি। সেটা পরে বলছি।
  • lcm | 69.236.163.114 | ১০ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৪:০৫425744
  • ফুটকি কি সব ইজম্‌ লিখল, বলতে গেলে জিভ জড়িয়ে যাচ্ছে।
    ওদিকে, পাল পাল বিপ্লবের থ্রেডে গিজগিজ করছে ইজম্‌।
  • PT | 203.110.246.230 | ১০ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৫:৪৬425745
  • নগরায়ণই একমাত্র ভবিতব্য। ইহাই পরম সত্য। কাজেই বাঘ বা কুমির শেষ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল যদিনা তাদের তাড়াতাড়ি চিড়িয়াখানাতে পুরে দেওয়া যায়।

    With the urban population growing two and a half times faster than its rural counterpart, the level of urbanisation is projected
    to cross the 50 per cent mark in 2005. United Nations projections further show that by 2025, more than three- fifth of the world population will live in urban areas (U. N. 1993).
    http://www.iussp.org/Brazil2001/s80/S83_03_Bhagat.pdf

  • saikat | 202.54.74.119 | ১০ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৫:৫১425747
  • বাঘ বাঁচানোর জন্য কোপেনহেগেন থেকে টাকা না আসুক, অন্য অনেক কিছুর মত আম্রিকা কিন্তু ব্যবস্থা করে রেখেছে !!

    http://www.savethetigerfund.org/Content/NavigationMenu2/Learn/WhoWeAre/default.htm

    এটা মনে হয় সে দেশের কোন একটি সংস্থার প্রোগ্রাম।

    ভারতও দেখা যাচ্ছে ৬৮ বার গ্রান্ট পেয়েছে।
  • saikat | 202.54.74.119 | ১০ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৫:৫৮425748
  • এবং world bank-ও

    http://tinyurl.com/ylmpk8y
  • . | 198.96.180.245 | ১০ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৬:১৩425749
  • সুন্দরবনে জঙ্গল কেটে জমি বিতরণ ও উপনিবেশ স্থাপন শুরু হয় বৃটিশ আমলে। বহুযুগ আগে সুন্দরবনে বসবাস ছিল না, তা নয়। জটার দেউল বা নেতিধোপানির রহস্যময় ভগ্নাবশেষ অতীত জনবসতির সাক্ষ্য দেয়। কিন্তু সপ্তগ্রাম বা কর্ণসুবর্ণের আমলের কথা টেনে এনে লাভ নেই। সুন্দরবনের বর্তমান ইতিহাস বৃটিশ আমলে শুরু। জমি হাসিল করে বিভিন্ন জমিদারকে লাট বিলি করা হয়, এবং সেই লাটদাররা আবার সেখানে প্রজাদের এনে চাষআবাদ শুরু করেন। সে যুগে বাস্তুতন্ত্র বা পরিবেশ সংরক্ষণ নিয়ে এত রকম বায়নাক্কা ছিল না। অতএব একরের পর একর জমিতে জঙ্গল কেটে চাষআবাদ শুরু হয়। সাথে সাথে প্রচুর বন্য প্রাণী মারা পড়ে। গন্ডারের মত প্রাণী সুন্দরবন থেকে অবলুপ্ত হয়ে যায়।

    আদতে সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্র মানুষের বসবাসের উপযোগী নয়। যারাই সুন্দরবন নিয়ে বিস্তারিত কাজ করেছেন তারাই এই কথা বলেছেন। আইলার পরে অমিতাভ ঘোষ বা জয়া মিত্র- একই কথা বলেছেন। তার কারণ শুধু বাঘ বা কুমীর নয়। বাঘ বা কুমীরের আক্রমণে যত মানুষ মারা যায়, তার থেকে অনেক বেশি মরে ঝড়ে এবং বন্যায়। কারণ সুন্দরবন হল গাঙ্গেয় পশিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের ব্যাপকতর প্রাকৃতিক বিপর্যয় রোধ করার একটা বাফার জোন। কিন্তু মানুষ ঘরবসত বেঁধে ফেলেছে। অতএব উপায় কি?

    সুন্দরবনের মানুষের মূল জীবিকা কৃষি। কিন্তু প্রায় সব জমি একফসলী। নদীর জল লবণাক্ত। পাকাপোক্ত সেচব্যবস্থা নেই। কাজেই চাষবাস থেকে পেট চলে না। অতএব চিংড়ির মীন ধরতে হয়, কাঠ কাটতে হয় ও মধু সংগ্রহ করতে হয়। এটা মনে রাখা দরকার। সুন্দরবনের মানুষের জীবিকার জন্যই জঙ্গলটা থাকা দরকার। পর্যটন ব্যবসাও আয়ের একটা বড় সূত্র এবং আরও বড় সূত্র হতে পারে।

    বাঘ-কুমীরের আক্রমণে মানুষের প্রাণ যায় দুভাবে- এক, মধু বা কাঠসংগ্রহ করতে গিয়ে এবং দুই, বাঘ যখন গ্রামে চুপিসাড়ে ঢোকে। এই মারা যাওয়ার সংখ্যা আগে অনেক বেশি ছিল। ইদানীং কমেছে। কারণ- এক, কোর ফরেস্ট এরিয়াতে কোনো জনবসতি নেই, দুই, জঙ্গলের বিস্তীর্ণ এলাকায় ফেন্সিং বসানো হয়েছে, তিন, অনেকেই মানুষের মুখ আঁকা টুপির ছবি দেখেছেন। কিন্তু যতটা কমার দরকার ছিল তা কমে নি। তার একমাত্র কারণ জঙ্গলের আয়তন কমে মানুষের বসতির আয়তন বেড়ে যাওয়া। যার ফলে মানুষ আর বন্য প্রাণী মুখোমুখি সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে। সুন্দরবনের অলাভজনক কৃষির জন্য দাঅরিদ্র্য এত বেশি, বহু মানুষ পারমিট ছাড়া বেআইনীভাবে কাঠ ও মধুসংগ্রহ করতে যান। এটা বিপজ্জনক এবং বহু মৃত্যুর জন্য দায়ী। সমস্যা হল এইভাবে মারা গেলে কোনো ক্ষতিপূরণের অর্থও পাওয়া যায় না। এর সাথে আচে চোরাশিকারের সমস্যা যার ফলে বাঘের খাদ্য কমে যাচ্ছে। বিশেষত: হরিণের চোরাশিকার একটা বড় ব্যবসা। কিছু প্রাক্তন চোরাশিকারীর সাথে কথা বলেছি। তারা স্বীকার করেছেন যে বাঘের খাবারে টান পড়ায় বাঘ ক্রমাগত লোকালয়ে ঢুকে আসছে। এটা শুধু সুন্দরবনের সমস্যা নয়। ভারতের বেশির ভাগ সংরক্ষিত অরণ্যের সমস্যা। মুম্বাইতে সঞ্জয় গান্ধী অভয়ারণ্যে লেপার্ডের আক্রমণ এর একটা বড় উদাহরণ। কাজেই এই সংঘাতের দায়টা মানুষের এবং কারণটা অর্থনৈতিক। প্রশ্ন একটাই- মানুষের উপনিবেশ স্থাপন বন্ধ করা দরকার, নাকি বাঘ কুমীরকে চিড়িয়াখানায় পুরে সুন্দরবনকে গ্রাম বানানো দরকার?
  • . | 198.96.180.245 | ১০ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৬:২৭425750
  • এই সব বাঘ-কুমীর ইত্যাদি ম্যানগ্রোভ বাস্তুতন্ত্রের একটি বড় অংশ। বাঘ-কুমীর মারে বলে এদের সরিয়ে কিছু বেড়াল-কুকুর এনে ম্যানগ্রোভ অরণ্যে ছেড়ে দিলাম- এভাবে তো বাস্তুতন্ত্র তৈরি হয় না। অতএব বাঘ-কুমীর সরালে যা হতে পারে-

    ভঙ্গুর বাস্তুতন্ত্রের উপর একটা কৃত্রিম আঘাত করা হবে, যার অনেক কুফলই আমাদের অজানা এবং যার কুফলের আঘাত বাঘ-কুমীরের পেটে যাওয়া মানুষের থেকে অনেক বেশি ভয়াবহ হতে পারে। যারা এই ব্যাপারে গবেষণা করেছেন তারা বলতে পারেন।

    কিন্তু যা হবেই-

    ম্যানগ্রোভ জঙ্গল কেটে আরও নতুন জমি হাসিল করা শুরু হবে। মানুষের জমির খিদের তো কোনো শেষ নেই। ম্যানগ্রোভ জঙ্গল যা করে- এক, গঙ্গার জলের লবণাক্ততা নিয়ন্ত্রণ করে, দুই, ভূমির ক্ষয় রোধ করে, তিন, সাইক্লোন, সুনামি ইত্যাদির থেকে আরও অভ্যন্তরের জনবসতিকে রক্ষা করে। কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের অস্তিত্বের চাবিকাঠি হল এই ম্যানগ্রোভ অরণ্যের বাফার জোন। সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্য না থাকলে কলকাতা থাকবে না।

    আরও ছোটো-খাটো দিক আছে। বাঘ-কুমীর ছাড়া সুন্দরবনের পর্যটন আকর্ষণ তলানিতে পৌঁছবে। যার ফলে কিছু মানুষের জীবিকায় টান পড়বে। ডিফরেস্টেশনের অন্যান্য কুফল তো আছেই। বা বিভিন্ন লোকসংস্কৃতির দিক।
  • . | 198.96.180.245 | ১০ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৬:৫৩425751
  • অন্য আর একটা যুক্তি আছে। সেটা অ্যানিমাল রাইটস অ্যাক্টিভিস্টদের যুক্তি। এটা আমি বিশেষ জানি না। বিশদ জানতে হলে Peter Singer আর Tom Regan এডিটেড
    "Animal Rights and Human Obligations" বইটা দেখা যেতে পারে। বিশেষত: Peter Singer নৈতিকতার এই দিক নিয়ে প্রচুর লেখালেখি করেছেন।
  • . | 198.96.180.245 | ১০ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৭:২৮425752
  • তবে এটা ঠিকই যে স্থানীয় মানুষের জীবিকা ও উপার্জনের সাথে সংরক্ষণের যোগ না ঘটাতে পারলে সংরক্ষণের সাফল্যের কোনো আশা নেই। যেখানে সংরক্ষণ সফল হয়েছে সেখানে দুটি জিনিষ হয়েছে। এক, স্থানীয় মানুষের যোগদান। আফ্রিকার বহু সংরক্ষিত অরণ্য এইভাবে চোরাশিকারীদের পুনরবাসন দিয়ে বন্য জন্তু সংরক্ষণ সফলভাবে করা হয়েছে। দুই, স্থানীয় লোকসংস্কৃতির প্রভাব। বিষ্ণোইরা যার বড় উদাহরণ। কিন্তু এই রুটে সুন্দরবনের খুব একটা আশা নেই। আমরা শহুরে মানুষরা বনবিবি নিয়ে লাফাই ঠিকই। কিন্তু ওখানে বনবিবির পূজো করা হয় বাঘের উপর ভয় থেকে, কোনো ভক্তি থেকে নয়। বনবিবি নিজে বাঘ নন। বরং পুরো পালাটার যে ভিলেন সেই দক্ষিণরায় হলেন বাঘ। বনবিবি সেই দক্ষিণরায়কে শায়েস্তা করেন। ইন্টারেস্টিংলি বনবিবির অনুচর কালু মিঞা হলেন কুমীর।

    সুন্দরবনের মানুষ বাঘ মারে হয় পেটের তাড়নায় নয় ভয়ের তাড়নায়। অবসর বিনোদনের জন্য নয়। অতএব ঠান্ডা ঘর থেকে বাণী বিতরণে কাজ হবে না- ঠিকই। মোহিত রায়ের লেখায় একটা গল্প ছিল। একদল শহুরে পরিবেশবাদী গ্রামে গিয়ে বায়োডাইভার্সিটি নিয়ে অনেক বক্তিমে করছেন। কেন বায়োডাইভার্সিটি না থাকলে গ্রামের মানুষের বিপদ আসন্ন। সব চুপচাপ শোনার পরে গ্রামের স্কুলের একটি মেয়ে জিজ্ঞাসা করেছিল- আপনারা যে শহরে থাকেন সেখানে নিশ্চয় প্রচুর বায়োডাইভার্সিটি?
  • Blank | 170.153.65.102 | ১০ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৭:৫৯425753
  • রাঙাদার সাথে 'ক'
  • d | 117.195.38.74 | ১০ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৯:৫৪425754
  • ?যা: এইতুকু তো আম্মো জানি। আমি ভাবলাম রাঙা আরও লিখবে! কিন্তু রাঙা, বনবিবির কথা নাকি বাংলাদেশের দিকের সুন্দরবনে এখন আর শোনা যায় না। এদিকেরটায় কি শুনেছিস? বা বনবিবির পুজো দেখেছিস?

    ওপারেরটাই তো বৃহদংশ। এখনও কিছু জায়গা নাকি আছে যেখানে মানুষ প্রায় যায়ই না।

    আমার মনে হয় আসলে ওখানে যদি বাঘ কুমীর সব রেখে জমিয়ে পর্যটনের ব্যবস্থা করতে পারত তাহলে সেটাই ওখনকার লোকের জীবিকার উপায় হতে পারত। গভীর জঙ্গলের দিকে অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম রাখলে প্রচুর বিদেশী মুদ্রা আয় করতে পারা যাবে।
  • . | 115.117.223.183 | ১১ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৯:৪৫425755
  • আর কি লিখব? বেসিক ব্যাপারগুলো তো লিখেই দিলাম। বনবিবির পুজো হৈহৈ করে হয়। শুধু গভীর সুন্দরবন কেন। ধপধপিতে দক্ষিণরায়ের মন্দির আছে। দক্ষিণ বারাসত বাজারেই বনবিবির পুজো হয়। আমাদের এখান থেকে বড়জোর তিরিশ পয়ঁত্রিশ কিলোমিটার হবে।
  • . | 115.117.223.183 | ১১ ডিসেম্বর ২০০৯ ১০:৩২425756
  • গভীর জঙ্গলে অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম সম্ভব নয়। প্রথমত:, যেহেতু সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্র ভঙ্গুর, সামান্য এদিক ওদিক হলেই পরিবেশের বারোটা বেজে যাবে। দ্বিতীয়ত:, সুন্দরবন যেহেতু ম্যানগ্রোভ অধ্যুষিত ঘন অরণ্য, বাঘ দেখা খুব কঠিন। যে সব অরণ্যে তৃণভূমি আছে, যেমন আফ্রিকা, সেখানে এইধরনের পর্যটন অনেক লাভজনক। তৃতীয়ত:, জলবায়ু বিপজ্জনক এবং আনপ্রেডিক্টেবল। ঝুঁকির মাত্রা খুব বেশি। চতুর্থত:, সুন্দরবনের বাঘ জে কোনো বাঘের থেকে আলাদা। মাইলের পর মাইল সাঁতার কাটতে পারে। অনেক বেশি আক্রমণাত্মক। তা ছাড়া এই ধরনের হেরিটেজ বায়োস্ফিয়ারে কমার্শিয়াল কাজকর্ম নিষিদ্ধ করা হয়।
  • Ishan | 173.26.17.106 | ১১ ডিসেম্বর ২০০৯ ১১:০২425758
  • দুইখান পয়েন্ট বলার আছে।
    এক। খোদ কলকাতা শহরেও তিনশ বছর আগে বাঘের উপদ্রব ছিল। নিকেশ করে দেবার পর তেমন কিছু হয়নি।

    দুই। সুন্দরবন অরণ্য ঝড় আটকায় -- এটা খুব সম্ভবত জালি দাবী। মানে আমি ঠিক জানিনা, আন্দাজে বলছি। :) আমার যুক্তি হল এই, যে, সুন্দরবন জ্‌হ্‌ড় আটকালে বাংলাদেশে ঝড় কেন হয়? ওদিকেও তো সুন্দরবন আছে। অর্থাৎ সুন্দরবন যদি অতই শক্তিশালী, তবে, সে ঝড় শুধু পশ্চিমবঙ্গে আটকায় কেন? বৃহত্তম গণতন্ত্র বলে? :)

    পু: মোহিত রায়ের লেখাটা খুব ভালো লেগেছিল। তবে বিশ্ব উষ্ণায়ন বোধহয় একেবারে ঢপ না, যেমনটা উনি দাবী করেছেন (যদ্দুর মনে পড়ছে)।
  • . | 115.117.223.183 | ১১ ডিসেম্বর ২০০৯ ১১:৫০425759
  • এক, কি হয়েছে তা নিয়ে কোনো চর্চা হয় নি। এই যুক্তির লজিকাল এক্সটেনশন হল পৃথিবীর যাবতীয় জঙ্গল কেটে ফেললেও কোনো ক্ষতি নেই। সুন্দরবন ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বাস্তুতন্ত্রও এক নয়।

    দুই, সারা পৃথিবীতে প্রায় সব বিজ্ঞানী এটাই বলেন। ম্যানগ্রোভ নিয়ে। কোনো বিরুদ্ধমত দেখি নি। তাও দুটি কথা। এক, বাংলাদেশে সুন্দরবন অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। দুই, বাংলাদেশে প্র্রকৃতিক বিপর্যয়রোধের আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম খুব অনুন্নত। তিন, ম্যানগ্রোভের ঢাল না থাকলে ক্ষতি আরও ভয়ঙ্কর হত।
  • Blank | 203.99.212.54 | ১১ ডিসেম্বর ২০০৯ ১২:১৭425760
  • আমাজনের মতন রেন ফরেস্টে কি অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিসম হয়?
  • Blank | 203.99.212.54 | ১১ ডিসেম্বর ২০০৯ ১২:২১425761
  • বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে কনফ্যুশন দিন দিন বেড়ে চলেছে। উষ্ণায়নের ডেটা বেশ গড় বড়ে। বাড়ি গিয়ে এন্থু থাকলে লিখে দেবো।
  • dri | 117.194.230.66 | ১১ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:৩৮425763
  • 'বিশ্ব উষ্ণায়ণ বোধহয় একেবারে ঢপ না।' তবে কতটা ঢপ? ৪০%? ৬০%?
  • dukhe | 122.160.114.84 | ১৫ ডিসেম্বর ২০০৯ ১০:১০425764
  • বাঘ কুমীর ছাড়ান দেন - জাপানে অ্যাটম বোমা পড়লে আমাগো কি অসুবিধা ? আমেরিকা যদি প্রাণের ভয়ে বিভিন্ন জায়গায় বোমা ফেলে বেড়ায়, অসুবিধাটা কোথায় ? অ্যাবোরিজিনাল কি রেড ইণ্ডিয়ানরা ভ্যানিশ হয়ে গেলে কার কী ক্ষতিবৃদ্ধি হয় ? যত্ত সব পরিবেশ মৌলবাদ !
  • vikram | 86.45.161.254 | ১৫ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৪:০৯425765
  • হ্যাং অন। নানান জিনিস নিয়ে লোকে মাখাচ্ছে। উষ্ণায়ন ডেটা দিয়ে তৈরি করা কোনও গুপি নয়। এইটা একটা প্রমাণিত বৈজ্ঞানিক সত্য। মানো, নাই মানো, এইটা ঘটছে। কিছু কিছু লবি থেকে খালি কনস্পিরেসির আওয়াজ উঠছে।

    ঝড় আটকায় সুন্দরবন এইটা হয়তো খুব ভুল না। বাতাসের বেগ ইত্যাদি কিন্তু কিসে আটকাচ্ছে তার ওপর খুবই নির্ভরশীল। বেঁকে যাওয়া আর আটকানো দুটো আলদা জিনিস।
  • dukhe | 117.194.225.235 | ১৫ ডিসেম্বর ২০০৯ ২১:০৬425767
  • apollomoonlanding টাও hoax ছিল না ?
  • dri | 117.194.232.212 | ১৫ ডিসেম্বর ২০০৯ ২১:১৭425769
  • 'এইটা একটা প্রমাণিত বৈজ্ঞানিক সত্য।'

    অ্যান্ড দা প্রমাণ ইজ ...?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে প্রতিক্রিয়া দিন