এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • শিশু টক(৩)

    raatri
    অন্যান্য | ২৬ ডিসেম্বর ২০০৯ | ৩৯১৬৮ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • byaang | 122.172.4.64 | ০৮ ডিসেম্বর ২০১০ ০৭:৫০440288
  • এটাকেও ঠিক শিশুটক বলা যায় কিনা, জানি না।
    স্কুলে টার্মিনাল পরীক্ষা চলছে, এদিকে তিনি পরশু থেকেই জিদ নিয়েছিলেন যে মঙ্গলবার পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে তিনি স্টেডিয়ামে যাবেন ইন্ডিয়া-নিউজিল্যান্ড ওয়ানডে দেখতে। বলাই বাহুল্য, অভিভাবকেরা রাজি হন নি এমন প্রস্তাবে। স্টেডিয়ামে না যেতে পারার দু:খে তিনি কাল সারাদিন ধরে টিভিতে ম্যাচ দেখেছেন আজকের পরীক্ষার জন্য একবারও বই না খুলে। সন্ধ্যেবেলায় অভিভাবকেরা ধৈর্য্য হারিয়ে টিভি বন্ধ করে দেন, তিনি চোখের জলে ভাসতে ভাসতে ক্ষোভে-দু:খে ফুঁসে ওঠেন - ""নিজেদের দু:খগুলো দু:খ, আর অন্যদের দু:খগুলো কিছুই না, তাই না!! তাই অন্যদের দু:খ দিতে এত ভালো লাগে তোমাদের!! ''
  • hu | 71.201.25.54 | ০৮ ডিসেম্বর ২০১০ ০৭:৫৩440289
  • ঠিক ঠিক ঠিক :-))
  • aka | 24.42.203.194 | ০৮ ডিসেম্বর ২০১০ ০৯:৫০440290
  • ঠিক ঠিক এটা শিশু নির্যাতনের খুব বর্ডার লাইন কেস। :)
  • I | 14.96.140.63 | ০৮ ডিসেম্বর ২০১০ ১৯:৩২440291
  • না: ! বর্ডার পেরিয়ে গেছে। সীমা অতিক্রান্ত।
  • Paramita | 122.167.251.200 | ০৯ ডিসেম্বর ২০১০ ০০:০৯440292
  • সত্যি, ওরা যে কেন বাবা-মাদের দু:খ বোঝে না। ধরো, এই সকালবেলা ঠিক সাড়ে ছটায় অ্যালার্ম শুনেই যদি তড়াক্‌ করে উঠে পড়ে দাঁত মাজতে চলে যেত! তারপর নিজেই ইউনিফর্ম বের করে, চুল আঁচড়ে, অ্যাডের বাচ্চার মত "মা, ভীষণ খিদে, শিগগির খাবার দাও" বলে ডিম, মাখন লাগানো পাঁউরুটি আর ফল খেয়ে জুতো পরে(কালিটাও উইকেন্ডে নিজেই লাগিয়েছে) টাটা করে চলে যেত বাসট্যান্ডে। কি ভালোই না হোতো। ফিরলে চান করে এক গ্লাস ধুধ খেয়েই পার্কে ছুট। সাতচল্লিশ মিনিটের জন্য। ফিরে কোনদিন আবৃত্তি, কোনদিন নাচ, কোনদিন ক্যারাটে প্র্যাকটিস। তারপর হাসি হাসি মুখে সুন্দর হাতেরলেখায় শিরদাঁড়া টানটান করে হোমওয়ার্ক। ঠিক সাড়ে সাতটায় বই গুছিয়ে রাখা। তিনটে রুটি, অনেকটা তরকারি আর নিজে মাছ বেছে খাওয়া।

    এরপর একটু টিভি ব্রেক পেতেই পারে। তবে, নট মোর দ্যান ফিফটিন মিনিটস। ড: স্পক লিখে যান নি। তারপর মিষ্টি আলো জ্বালিয়ে বই পড়তে পড়তে ঘুমোনো।

    কেন যে ওরা এমন না হয়ে উল্টোটা হয় সবসময়! বায়না করে, কাঁদে, লাফায়। সময় সম্পক্কে কোন জ্ঞানগম্যি নেই।
  • Nina | 64.56.33.254 | ০৯ ডিসেম্বর ২০১০ ০০:১৭440293
  • সেকিইই, পারমিতা, মেঘের যে আমরা শুনেছি বড়ই গুছিয়ে সব কিচু করা--ছিলিলিয়াল খাওয়া থেকে শুরু করে সব!
  • byaang | 122.172.6.79 | ০৯ ডিসেম্বর ২০১০ ০৮:০১440294
  • পামিতার লেখায় অ্যাডের বাচ্চাদের কথা দেখে মনে পড়লো - অন্য এক অ্যাডের কথা। এক ডাক্তার মা এসে খুব আহ্লাদ করে বলেন ""আমার বাচ্চাদেরই দেখুন, খাওয়া নিয়ে বড্ড নকরাঝগ্‌ড়া করে, তাই ওদের দিই পেডিয়াসিওর''। তারপরেই দেখায় দুটি ফুটফুটে বাচ্চা সোনামুখ করে ইয়াব্বড় গ্লাসে করে সাদা তরল (পেডিয়াসিওর) খাচ্ছে। আমার আজ অব্দি মাথায় ঢোকে নি, যে বাচ্চারা অন্য সব খাবার খেতে আপত্তি করে, তারা কীভাবে হাসিমুখে ঐ সাদা তরলটি গলা দিয়ে নামায়! রুটি-আলুভাজার থেকে কি পিডিয়াসিওর খেতে ভালো?

    আর পামিতার এই পোস্টটা নিয়ে আমার পোচ্চুর বক্তব্য আছে, বাবা-মাদের দু:খু নিয়ে যদি কোনো টই থেকে থাকে, সেখানে লিখবো।
  • byaang | 122.172.6.79 | ০৯ ডিসেম্বর ২০১০ ০৮:২২440295
  • অন্য টইয়ের অপেক্ষা না করে, এখানেই তাড়াতাড়ি লিখে দিয়ে চলে যাই।
    আমার পিসেমশাই একবার, বেশি না, মাত্র আধ ঘন্টা আমার ছেলের বন্ধুদের মাদের (তাদের মধ্যে আমিও ছিলাম) কথোপকথন শুনেছিলেন। তারপর আমাকে বলেছিলেন, ""যা বুঝলাম তোমরা যা চাও, তা হল, তোমাদের সন্তানরা পাঁচ বছর বয়সেই গড়গড়িয়ে ক্যালকুলাস করে ফেলবে, মডার্ন ফিজিক্স ঠোঁটস্থ থাকবে, সমস্ত প্রাণীর অ্যান্যাটমির অতি ছোটখাটো ডিটেলসও চোখ বন্ধ করলেই দেখতে পাবে, পার্লামেন্টারি ইংরাজি লিখবে। সমস্ত ইঞ্জিনীয়ারিং আর মেডিকাল কলেজগুলো তোমাদের চিঠি দিয়ে নিশ্চিন্ত করে রাখবে যে আপনাদের সন্তানরা এত প্রতিভাবান তাই তাদের জন্য আমরা বারো বছর আগে থেকেই সিট ব্লক করে রাখছি। পাঁচ বছর বয়সেই ওদের হাইট হবে ছয় ফুট, গায়ে এক রত্তিও চর্বি থাকবে না। এই এত কিছু একসঙ্গে ঘটলে, তবে হয়তো তোমরা দুশ্চিন্তামুক্ত হতে পারবে। তোমাদের যখন এতই প্রত্যাশা, তাহলে ইউকেজির পরীক্ষায় প্রাইজ পাবে কি পাবে না, তাই নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে, ওরা নোবেল প্রাইজ পাবে কিনা, সেই নিয়ে ভাবো না! ''
  • m | 14.96.1.197 | ০৯ ডিসেম্বর ২০১০ ১১:০২440296
  • মামা, এই আলুর খোসাগুলো আমি খুলে দিচ্ছি ঠিকাছে,
    দাও বেশি দেরি যেন না হয়।
    (মিনিট কুড়ি বাদে ঘরের মধ্যে শুনি, হাত চালাও জলদি, জলদি)
    জিনিসপত্রের সঙ্গে কথাবার্তা এ বয়সে স্বাভাবিক।

    ঘন্টা খানেক বাদে উল্লসিত স্বর ভেসে আসে, হয়ে গেছে এ এ এ, আজকের রোজগেরে গিন্নি শ্রীমতি উজান রায় বন্দ্যোপাধ্যায় জিতে গেলেন দুহাজার টাকার গিফ্‌ট কুপন।
  • byaang | 122.172.6.79 | ০৯ ডিসেম্বর ২০১০ ১১:০৬440298
  • ওরে বাবা, হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে গেল!! শ্রীমতি উজান রায় বন্দ্যোপাধ্যায়টা একঘর! :-)))
  • Bratin | 122.248.183.1 | ০৯ ডিসেম্বর ২০১০ ১১:২৩440299
  • এই টা just যাতা :-))
  • aka | 24.42.203.194 | ০৯ ডিসেম্বর ২০১০ ১১:৩০440300
  • :))))

    :DDDDD
  • de | 203.197.30.2 | ০৯ ডিসেম্বর ২০১০ ১১:৪০440301
  • সবগুলোই অপূর্ব! পারমিতার দু:খটা আমারো কমন -- ব্যাঙের পিসেমশাইয়ের বলার মতো অতো কিছু মোটেও চাই না -- শুধু সময় সম্বন্ধে যদি আরেকটু ইয়ে হতো তাইলে ----
  • Tim | 173.163.204.9 | ০৯ ডিসেম্বর ২০১০ ১২:১১440302
  • :-)))))
  • byaang | 122.172.25.181 | ১০ ডিসেম্বর ২০১০ ০৮:৫০440303
  • কাল রাত্তিরে তাঁকে খেতে দিয়ে, নিজে কম্পিউটারে গানের ওপারে দেখতে বসলাম। গানের ওপারে শেষ হয়ে গেল, কিন্তু তাঁর খাওয়া শেষ হয় নি, দেখি তিনি খেতে খেতে কোনো একটা খেলার চ্যানেল চালিয়ে দেখছেন বসার ঘরের টিভিতে। আমিও খুব একটা মাথা না ঘামিয়ে (আকা-ইন্দো শিশুনির্যাতন ইত্যাদি বলায় একটু "আহারে দেখুক একটু টিভি' ধরণের মায়ামায়া লাগছিলো)। আমি তারপর নিজের কাজ করতে বসে গেছি, "তাড়াতড়ি খাওয়াটা শেষ কর' বলে ছোট্ট একটু তাড়া দিয়ে। রাত দশটা নাগদ টনক নড়লো,আরে, এখনো খেলার আওয়াজ পাচ্ছি ওঘর থেকে! গিয়ে দেখি তখনো ভাতের থালা টেবিলের উপর আর চোখদুটো টিভির দিকে সাঁটা, ভাতের পরিমাণ কমেনি একটুও। রেগেমেগে তাড়া দিতে গিয়েই শুনি "মহম্মদ কাইফ আউট' বলে প্রবল চিৎকার। মাথাটা বোঁ করে ঘুরে গেল, মহম্মদ কাইফ এখনো খেলে নাকি? ইন্ডিয়া টিমে? নাকি আইপিএলের কোনো ম্যাচ দেখাচ্ছে? ওনাকে জিজ্ঞেস করলাম "হ্যাঁ রে, মহম্মদ কাইফ কি আবার ইন্ডিয়া টিমে ঢুকেছে?' তিনি গম্ভীরভাবে বললেন, "এটা টুথাউজ্যান্ডথ্রীর ম্যাচ'। মাথাটায় রক্ত চড়ে গেল, বললাম "কাল স্কুল নেই, পরীক্ষা নেই, যেতে হবে না। এরপরে সকালে ঘুম ভাঙ্গবে? এইভাবে পুরনো ম্যাচ দেখছিস সময় নষ্ট করে! নিজের জন্মের সময়ের ম্যাচ দেখছিস!! ' তিনিও দ্বিগুণ জোরে চেঁচিয়ে বললেন, ""অত দেরিতে আমি জন্মালাম কেন? সব ভালো ভালো ম্যাচগুলো মিস হয়ে গেছে, দেখবো না সেগুলো? তুমি পারো নি, আরো তাড়াতাড়ি আমাকে নিয়ে আসতে? তোমার জন্য সব মিস হয়ে গেল আমার''।
    কী আর বলবো, মনে পড়লো প্রায় তিরিশ বছর আগে, এক রাত্তিরে আমিও এরকম ভাতের থালা নিয়ে বসেছিলাম, টিভিতে একটা কোনো ম্যাচ চলছে, হঠাৎ দেখি বাবা নাচছে, গোরাকাকু নাচছে, শুভেন্দুকাকু নাচছে, মায়ের মুখটাও ঝলমল করছে। টিভির দিকে তাকিয়ে দেখি, দুটো ক্রিকেটার উইকেটগুলো নিয়ে দৌড় লাগালো, কিন্তু তারা পালানোর আগেই মাঠে অনেকগুলো লোক ঢুকে নাচতে আরম্ভ করলো। একটু বাদে কপিলদেব জ্বলজ্বলে চোখমুখে ওয়ার্ল্ডকাপটা তুলে ধরলো। আমি তখন থ্রীতে পড়ি। আর আমার ইনি এখন টুতে।
  • d | 14.96.51.2 | ১০ ডিসেম্বর ২০১০ ০৮:৫২440304
  • রোজগেরে গিন্নি ...... :)))))))
  • Arpan | 122.252.231.10 | ১০ ডিসেম্বর ২০১০ ০৮:৫৯440305
  • খবরের কাগজের পেজ থ্রি দেখে ওনার মন্তব্য - "মা, মা, এরা সব লজ্জা পরে আছে'।
  • byaang | 122.172.25.181 | ১০ ডিসেম্বর ২০১০ ০৯:০১440306
  • :-)) একদম ঠিক বলেছে।
  • raatri | 14.96.168.171 | ১০ ডিসেম্বর ২০১০ ০৯:৩৯440307
  • বিকেলে ফিরে দেখি ছেলের চোখের কাছে এই এত্তোটা কাটা,অল্প রক্তও বেরিয়েছে মনে হচ্ছে।তিনি জানালেন যে তার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু,'পুঁচকি' অরিত্র কান্ডটি ঘটিয়েছে।-'আমি ওকে কিচ্ছু বলিনি মাম্মাম।ও তো পুঁচকি।কিচ্ছু বোঝে না।ও আমাকে কোলে শুইয়ে আদর করতে গেছিলো।লাস্টে কাট্টি করে দিলো।'-'সে আবার কি!!ঐ ব্যথা দিলো,ঐ কাট্টি করে দিলো?'-'হ্যাঁ'।পরে কিন্তু কথাবার্তায় জানা গেল 'আমি শুধু বলেছি একটু তো বকতেই হয় অরিত্র,বাচ্চারা দুষ্টু করলে একটু বকতেই হয়।তোকে যদি একটা টাইগার এতো বড়ো বড়ো নখ দিয়ে চেপে ধরে তুই ব্যাথা পাবি না??'বাবাকে বলার সময় আবার 'ও এতো ছোটো না আমার ওকে হাম্পা দিতে ইচ্ছা করে,মাঝে মাঝে হাতে হাম্পা দিই তো।'(এই ছেলে কিন্তু আমাদের কাউকে কোনদিন আদর করেও না,আদর করতেও দেয় না প্রায় জন্ম থেকেই,খুবই অশান্তি তাই নিয়ে,আমরাও বাড়িতে বাচ্চা থাকবে আর হাত গুটিয়ে বসে থাকবো,এতে রাজি হই না।আদর করলেই বিরাট ঝামেলা,মান-অভিমান...বন্ধুদের বেলায় শুধু...)
  • Arpan | 122.252.231.10 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১০ ০০:০০440309
  • দুপুরে আজ বাড়িতে খেতে এসেছিলাম। খেয়েটেয়ে বেরোচ্ছি, তিনি স্কুল থেকে ফিরলেন। আমাকে দেখে বললেন 'আবার অফিস? এখন দুটো অফিস?'
  • Ishan | 14.96.210.67 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১০ ২৩:৩৩440310
  • ছেলের সঙ্গে ওয়ার্ড গেম হচ্ছিল। ডাব্লিউ দিয়ে শুরু শব্দ। স্টক ফুরিয়ে আসার পরে গম্ভীর মুখে বলল "উইকিলিকস'।

    -- সেটা কি?

    -- সেটা একটা সাইট।

    -- তুই জানলি কিকরে?

    -- তুমি গুরুচন্ডালি পড়ছিলে, আমি দেখছিলাম।

    ঘোর কলি।
  • raatri | 59.93.240.83 | ০৩ জানুয়ারি ২০১১ ০০:৩৯440311
  • লোভে পড়ে কিছু চাইনীজ খেলনা কেনা হয়েছিল।দেখলে লোভ হয়,কিন্তু বাড়িতে আনলেই কিছুক্ষণের মধ্যেই শেষ-(সে অবশ্য যে কোন খেলনাই)।টুংকাই ও তার মা মোটামুটি ঠিক করে ফেলেছিল আর চাইনীজ নয়।মেলায় গিয়ে আবার টুংকাই-এর চোখ আটকায় চাইনীজ খেলনায়।কিছুতেই লোভ সম্বরণ করা গেল না।ইন্দো-চিনি মিলে মিশে কেনাকাটা হল।হজমী গুলির শিশিও।বাড়ি এসে দেখা গেল চাইনীজের পয়সা যথারীতি জলে।

    মা বলল-'আমাদের মাম্মা এই শিশি করে হজমী আনত,জানিস তো?আমরা খুব ভালোবাসতাম।আমাদের স্কুলের গেটে আরেক রকম বড় বড় হজমী পাওয়া যেত।কিন্তু ওটা আমরা খেতাম না।'

    টুংকাই-'কেন?? ঐ হজমী গুলো চাইনীজ ছিল?'
  • raatri | 59.93.240.83 | ০৩ জানুয়ারি ২০১১ ০০:৪৩440312
  • মামুর পুত্তুর যা পন্ডিত না!!তার সামনে গেলে নিজেদের কেমন যেন কিছুই জানি না,কিছুই জানি না মনে হয়।
  • RATssss | 76.95.31.21 | ০৩ জানুয়ারি ২০১১ ১৩:১৮440313
  • ছানার মা বাজার করবে, তাই বাপের কর্তব্য ছানাকে শান্ত রাখা। দোকানের mannequin এর সামনে নিয়ে চোখ নাক চিনিয়ে ভালই চলছিল। এবার ছানার বুলি ফুটছে। বাবা পুরোনো অভ্যাসে এক চুলছাড়া mannequin এর সামনে নিয়ে যাওয়া মাত্র
    "তোক (চোখ) নাক, মুক (মুখ), এম্মা দাআআ... বাবা, তুল নেই'
    বাপের তো ফুর্তি, কি শিক্ষাই না দিতাছি মত করে ত্যানারে জানাইলেন।

    তা দোকান থেকে বাইরে এসে বাপের আপিসের বড়বাবুর সঙ্গে দেখা। তারও মাথাটা কামানো। ছানা পরম উৎসাহে সোজা তার টাকে আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে
    "এম্মা... বাবা, মাম্মা, তুল নেই'

    বড়বাবু বড় উৎসাহে জিগাইলেন what did he said?
    আমি কিন্তু কিন্তু করছি দেখে ত্যানার উত্তর He found you Different

    হয় প্রোমোশন নয় চাকরিটা গেল এবারে

  • Arpan | 112.133.206.2 | ০৭ জানুয়ারি ২০১১ ২০:০৩440314
  • স্কুল থেকে মেয়ে নতুন গান শিখে এসেছে - "উইশ্যালুলাকাম সানডে'। শুনিয়ে শুনিয়ে বাড়ির সবার কানের পোকা নড়িয়ে দিল।

    সানডে এলে বাঁচি!
  • Nina | 64.56.33.254 | ০৭ জানুয়ারি ২০১১ ২০:৫৬440315
  • স্কুল থেকে , কলকাতায়, গান শিখে এসেছে আমার বোনের ছেলে, ছবছর বয়স। রোজই এসে শোনায় কি গান শিখল , সেদিন আর কিছুতেই গায় না।।যত বলি বলে না, আজকে একটা পচা গান শিখিয়েছে---অনেক সাধ্যসাধনার পার সে বল্ল:
    আজকে "হাগুর" গান শিখিয়েছে তো!!
    সব্বোনাশ! সেকি রে, তার মার তো চোখ কপালে, বল্ল
    কই গা তো শুনি কি হাগুর গান

    ছেলে শুরু কল্ল:
    আয়রে আয়, বাঁধন ছেড়ে আয়--
    (তারপর খুব লজ্জা লজ্জা মুখ, চোখ নীচে করে)
    বর্গীরা সব হাগে----

    :-))))
  • Lama | 117.194.236.129 | ০৯ জানুয়ারি ২০১১ ১৩:৫৫440316
  • তুষ্টু: বাবা, বলো তো ওটা কার ছবি?

    তুষ্টুর বাপ: কার?

    তুষ্টু: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সব রবীন্দ্রসংগীতগুলো ও লেখে।

    তুষ্টুর বাপ: "ও' নয়। "উনি'। :"লেখে' নয়, "লিখেছেন'।

    সোহাগ: ঙ্গি ঙ্গি ঙ্গি

    তুষ্টু: বোন কাঁদছেন। উনি কি পটি করেছেন?
  • kd | 59.93.194.202 | ০৯ জানুয়ারি ২০১১ ১৪:৪৭440317
  • এই করেই বড়রা ছোটোদের 'ক্লাস ডিস্ক্রিমিনেশন' শেখায়।
  • Nina | 68.84.239.41 | ০৯ জানুয়ারি ২০১১ ২৩:৩৬440318
  • :-)))
  • siki | 155.136.80.174 | ১১ জানুয়ারি ২০১১ ১৭:৪৬440321
  • তুলে দিলাম।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন