এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • শিশু টক(৩)

    raatri
    অন্যান্য | ২৬ ডিসেম্বর ২০০৯ | ৩৯২৩৭ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • byaang | 122.172.63.246 | ০৪ আগস্ট ২০১০ ২০:৫৩440188
  • :-))) "আমি টো ওকে রান্না করে খেয়ে নিটে চাই' পড়ে খুব হাসলাম।
  • Tim | 173.163.204.9 | ০৪ আগস্ট ২০১০ ২১:০৩440189
  • :-))
  • aka | 168.26.215.13 | ০৪ আগস্ট ২০১০ ২১:৩০440190
  • এই তো দলে পেয়েছি। গুড। :))
  • rimi | 168.26.215.135 | ০৪ আগস্ট ২০১০ ২১:৪০440191
  • :-)))))) মুরগী দেখলে রান্না করে খেতে চায় এমন তিনজনকে জানি - টেনিদা, আকা আর গুঞ্জা। :-))
  • pinaki | 67.210.179.5 | ১৩ আগস্ট ২০১০ ১১:৫৬440192
  • মেয়ে 'সহজ পাঠ' বলছে।

    বনে থাকে বাঘ।
    গাছে থাকে পাখি।
    জলে থাকে মাছ।
    ডালে আছে ফল।
    পাখি ফল খায়।
    পাখা মেলে ওড়ে।
    বাঘ আছে আমবনে।
    গায়ে চাকা চাকা দাগ।
    দেখো যেন কামড়ে না দেয়।

    মায়ের মনে সন্দেহ। লাস্ট লাইনটা যেন অচেনা ঠেকল। মেয়েকে প্রশ্ন করায় মেয়ের সটান উত্তর - "ওটা রবীন্দ্রনাথদাদু লিখবে ভেবেছিল। কিন্তু ভুলে গেছে। তাই আমিই বলে দিলাম।"
  • Raj | 202.79.203.59 | ১৩ আগস্ট ২০১০ ১২:০৯440193
  • পিনাকি :-)))))))

  • de | 59.163.30.2 | ১৩ আগস্ট ২০১০ ১৫:০৫440194
  • মুরগী আর বাঘ দুটোই--
    :))))))))))
  • Ishan | 122.173.182.234 | ২৮ আগস্ট ২০১০ ১৭:১৯440195
  • টিনটিনের গোটা ছয়েক জ্ঞানার্জনের বই আছে। একটা গ্রহনক্ষত্র বিষয়ক। একটা ভূগোল বিষয়ক। একটা ইতিহাস ইত্যাদি। সেইসব পড়ে আর নানাবিধ ফান্ডা বিতরণ করে। আমাকে শুনে অবাআক হয়ে যেতে হয়। তারপর বলে, আগে কি জানতে? আমি বলি না, জানতামই না।

    তা আজকে অগ্নেয়গিরি বিষয়ক ফান্ডা হচ্ছিল। জাভাতে নাকি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ভলক্যানো আছে। একসঙ্গে অগ্নুৎপাত হলে কি হবে জানো? আমি বললাম, সব লোককে পালাতে হবে।

    -- কিকরে পালাবে?
    --উড়ে যাবে।
    --এয়ারপোর্ট তো ডুবে যাবে।
    -- লাভায়?
    -- জলে। জাভার পাশেই সমুদ্র। তুমি জানতেই না?

    আমি যথারীতি জানতাম না। অতএব পরবর্তী ফান্ডা। ওটা প্লেনল্যান্ড। ওখানে চাষও হয়।

    -- কি চাষ হয়? আমার পরবর্তী প্রশ্ন। টিনটিন একটু ভেবেচিন্তে বলল, কি চাষ মানে? কোন ক্রপ? আমি সেটা জানিনা।

    বাবা তুমি জানোনা, এরকম জিনিসও আছে? টিনটিন খুব গম্ভীর ভাবে বলল আছে তো।

    -- কি?

    -- বিগ ব্যাঙের আগে কি হয়েছিল জানিনা। সেটা কেউই জানতে পারেনা।

    শুনে আমি হাঁ। -- বিগ ব্যাং? সেটা কোত্থেকে জানলি? উত্তরে যথারীতি -- তুমি জানতেই না?

    আমি শুনে টুনে শিশুটকে পোস্ট করতে লেগে গেলাম। কোত্থেকে জানল টা এর পরে ইনভেস্টিগেট করতে হবে। :)
  • Samik | 122.162.75.67 | ২৮ আগস্ট ২০১০ ২৩:৫৩440196
  • :-)

    ভূতো কদিন আগে রিমঝিম গিরে সাবন গানটা টিভিতে দেখে তালঢ্যাঙা একটা লোককে চিনে রেখেছিল। আজ আবার মিলি সিনেমার ম্যায়নে কহা ফুলোঁ সে গানটায় সেই লোকটাকে দেখে খুব উত্তেজিত, বাবা দ্যাখো, ঐ লোকটাই সেদিন রিমঝিম সাবন গানটা গাইছিল!!!
  • aka | 24.42.203.194 | ২৯ আগস্ট ২০১০ ০৮:২১440198
  • :)))))


    ----

    কিছুদিন আগে মহাভারতের গল্প শুরু করেছি। তা দেবব্রত ভীষ্ম অবধি হয়েছে। আজ আবার তাঁর মহাভারতের গল্প শোনার সাধ হয়েছে। জিগ্যেস করলাম দেবব্রতর নাম কি হয়েছিল? অনেক ভেবে বলল ধ্বংস?

    এটা শুনে যা হওয়া উচিত আর কি? আমি প্রচণ্ড হেসেছি। সাম্পান কিঞ্চিত অপ্রস্তুত হয়ে জিগ্যেস করল তাহলে কি? আমি বলেছি ভীষ্ম। সাম্পান বলল 'প্রায়'। সেটা শুনে আমি আরও হেসেছি। এবারে সে সিরিয়াস, বললে 'অত হাসিস না তাহলে তোকে টিভি চ্যানেলে রেখে দেবে'। এটার পেছনেও একটা ইতিহাস আছে। আমি একবার বলেছিলাম সাম্পানের নামে একটা এন্টারটেইনমেন্ট চ্যানেল খোলা যেতে পারে যেমন ডিডি'স চ্যানেল। বোঝো!!!


    -------

    কিছুদিন আগে রাতে প্রচূর দাম্পত্য কলহ হয়েছে। তা সাম্পান সবই শুনেছে। পরের দিন সকালে ব্রেকফাস্ট খেতে খেতে বললে - 'তোরা কিন্তু টর্নেডোর দিন ঝগড়া ঝগড়ি করিস না'। আমি জিগ্যেস করলাম কেন? বললে - 'না তাহলে সাউণ্ড পলিউশন বেশি হবে'। এরপর থেকে আমাদের ঝগড়াঝগড়ি কিছুদিন কম আছে।
  • rimi | 24.42.203.194 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১০:০৮440199
  • কি কুক্ষণেই যে শেখাতে গেছিলাম "অল ওয়ার্ক অ্যান্ড নো প্লে মেক্স জ্যাক এ ডাল বয়"!!
    স্কুলে আজকাল পড়ার সময় বেড়ে গেছে, আগের মতন তিনঘন্টা স্কুলের দুঘন্টাই খেলা আর হয় না। তাই রোজই স্কুল থেকে ফিরে নালিশ, "শুধু পড়া আর পড়া, স্কুলে গেলে আমি সারাজীবন ডাল হয়ে থাকব!" :-(

    আজকে আবার বিকেলেও খেলতে নিয়ে যাবার সুযোগ হয় নি, বাজারে যেতে হয়েছিল। ওয়ালমার্টে গিয়ে দু:খে ভেঙে পড়ল, "কবে যে আমি নিজের ইচ্ছামতন রুল বানাতে পারব?"
    "তুমি যখন বড় হবে, তখন পারবে। তার আগে পর্যন্ত আমাদের কথা শুনতে হবে।"
    "আমার তো বড় হতে আরো দুশো বছর সময় লাগবে, তাহলে আমি আরো দুশো বছর ডাল হয়ে থাকব!!" বলেই ভ্যাঁ করে কান্না জুড়ে দিল। এই দুশো বছরের হিসাব কোত্থেকে এল জানা নেই!
  • Shuchismita | 71.201.25.54 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৭:২৬440200
  • :)))

    আর আকাদা, তোমরা ছেলের কাছেও হ্যাটা খাচ্ছো!! :D :D
  • Abhyu | 97.81.77.236 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২৩:১৭440201
  • তুলে দিলাম। সাম্পান, টিনটিন, তুষ্টু, আরো সব কুচোগুলো কি করছে?
  • raatri | 219.64.187.172 | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৭:১৪440202
  • টুংকাইবাবুর ঠোঁটের চামড়া শুকনো হয়েছে।উনি সেটা ছিঁড়বেন।কিন্তু এত ছোট চামড়া যে তাল মত ধরতে পারছেন না।পিছলে পিছলে যাচ্ছে।বললেন-উফ!এই চামড়াটা হয়েছে জেরী আর আমি টম।এটাকে ধরতে গেলেই পালিয়ে যাচ্ছে।
  • raatri | 219.64.187.172 | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৭:৩৩440203
  • টুংকাইএর নিন্নি মানে মাসির কাজই হল ওকে দেখলেই নানা বায়না জুড়ে দেওয়া-আমাকে এখানে নিলি না,সেখানে নিলি না ইত্যাদি মূলত।সে আসার আগে থেকেই টুংকাই বলতে থাকে-এই রে আসছে,আমাকে পাগল করে দেবে।কিন্তু এত ভালবাসে নিন্নিকে,যে তার বায়নার উত্তরে খুব কষে উত্তর দেয় না( আমাদের বেলায় কিন্তু কোন ছাড় নেই)।একটু কাঁচুমাচু হয়ে বলে-তোমায় তো ওরা নেমন্তো করে নি।কিন্তু নিন্নি যখন বলে-তোর নিন্নিকে নেমন্তো করেনি তো তুইও না গেলে পারতিস,তখন আর উত্তর খুঁজে পায় না।কিন্তু কতদিন আর সইবে,দেখা হলেই বায়না,দেখা হলেই বায়না!!একদিন যথারীতি নিন্নি বায়না করছে,টুংকাই গম্ভীর গলায় তর্জনী বাগিয়ে বলল-শোন,তোমাকে মাঝে মাঝে নিয়ে যাওয়া হবে,মাঝে মাঝে নিয়ে যাওয়া হবে না।সব জায়গায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।এই কথাটা যেন আর কোনদিন না শুনি।আর আমি কোথাও যাই না।আমার মাম্মাম নিয়ে যায়।বলে আবার নিজের কাজে লেগে পড়ল।

    সেদিন ওর ক্লাসের এক বন্ধুর মা ফোন করেছে।তার বাচ্চাও খুব দুষ্টু।ক্লাসের লেখা সব লিখে আনে না।আমরা কথা বলছি,টুংকাই কে জানতে চাইল।বন্ধুর নাম শুনে বলল-আমি ওর সাথে কথা বলব।আমাদের কথা হয়ে গেলে ওকে দিলাম।ধরেই বলল-এই তুই টেন অন জিরো পাস কেন রে??গুড বয় হতে পারিস না??
  • Abhyu | 97.81.77.236 | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৮:১২440204
  • :)
  • rimi | 24.42.203.194 | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৮:৪৮440205
  • রাত্রি, :-)))))))

    সত্যি, ইস্কুলের গল্প রোজই শুনি, কিন্তু লেখার সময় আর পাই না। সেদিন, স্কুল থেকে ফিরেই সাম্পান মহা উত্তেজিত, উইলের সঙ্গে তার বিশাল ঝগড়া হয়ে গেছে। উইল বলেছে উইলের বিগ ব্রাদার ভেস্ট দিয়ে দেওয়ালে ফুটো করতে পারে। সাম্পান বলেছে সেটা হতেই পারে না, কেননা ভেস্ট তো আর ছুঁচোলো নয়! তাতে উইল রেগে গিয়ে বলেছে "লায়ার লায়ার প্যান্টস অন ফায়ার"!! সাম্পান তখন বলেছে, ঠিক আছে, ভেস্ট স্কুলে নিয়ে এসে দেওয়াল ফুটো করে দেখাও। কিন্তু উইল আরো এককাঠি উপরে, বলেছে, সাম্পানকেই ভেস্ট নিয়ে আসতে হবে, সাম্পানের ভেস্ট দিয়েই সে দেওয়াল ফুটো করবে!!! বাড়ি এসে সাম্পান তাই ভেস্টের খোঁজ করছিল স্কুলে নিয়ে যাবে বলে... বলা বাহুল্য সেটা ওকে করতে দেওয়া হয় নি। অতএব এই ঝগড়ার নিষ্পত্তি হয় নি।
  • aka | 24.42.203.194 | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৬:৪৫440206
  • কাল সকালে উঠে যদি দেখেন আকাশে দুটো সূর্য তাহলে অবাক হবেন না। আসলে ফ্লোরিডায় আর্থ কোয়েক হয়ে প্রবল 'বুম' শব্দে ফ্লোরিডা পৃথিবী থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছে। এই বিশাল বিস্ফোরণের ফলে নতুন একটা গ্যালাক্সিই তৈরি হয়েছে যার নাম 'এলোমেলো গ্যালাক্সি'। আকাশে যে নতুন 'সান'টি দেখা যাচ্ছে সেটি আসলে 'এলোমেলো গ্যালাক্সির'। 'প্রপার্টি অফ হিউম্যান সোশাইটি' রক্ষা করার জন্য সাম্পান গিয়েছিল কিন্তু কিছুই করতে পারে নি। শুধু জানিয়েছে 'ফ্লোরিডা ডাজ নট এক্সিস্টস এনিমোর'। এই নাটকে সারাদিন কান ঝালাপালা, এর সাথে 'এলোমেলো গ্যালাক্সির' একটা গানও আছে। সুর সম্পূর্ণ দেওয়া হলে সেটাও তুলে দেব। আপাতত তাতে দুটোই শব্দ 'এলোমেলো' আর 'গ্যালাক্সি', বিভিন্ন সুরে সারা দিন ধরে এই গানই শুনছি। এখন তাড়াতাড়ি ঘুমোলে একট মন, প্রাণ ও কান জুড়োয়। ও বলতে ভুলে গিয়েছি, প্লুটো এখন এই নতুন 'এলোমেলো গ্যালাক্সি'র পার্ট।
  • de | 59.163.30.2 | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১০:৫৮440207
  • :))))--- অনেকদিন পর কুচোগুলোর কথা পড়লাম, খুব ভাল্লাগলো!
  • I | 115.117.212.77 | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২৩:৪৩440210
  • বাড়িতে আপাতত: কমপক্ষে একখানা আস্ত কোম্পানী রানিং। তার নাম চীজ কোম্পানি। চীজ কোম্পানি'র ডিরেক্টর হলেন উজানবাবু, তাঁর নাম বড় চীজ। কোম্পানি'র দ্বিতীয় ও সর্বশেষ কর্তা, ছোটকর্তা ইন্দ্রনীলবাবু; তিনি ছোট চীজ। ব্যাস, কোম্পানিতে আর কোনো কর্তাব্যক্তি, কেষ্টবিষ্টু, কেরাণী-আইটিওলা-চাকর-খানসামা-ডাকপিওন-হোমিভাবা-ক্কেউ নেই। তেমন দরকারও নেই, কোম্পানির ব্যবসাপত্তর-কাজকম্মও তেমন নেই কিনা ! আপাতত: তাইরে-নাইরে-না ও বগল বাজিয়ে গান গাওয়া ছাড়া আর তেমন বড় প্রজেক্ট হাতে নেওয়া হয় নি। ছোটখাটো কাজ বলতে একসঙ্গে বসে ছবি আঁকা ও মাঝরাতের কিছু আগে বড়চীজের ফরমায়েশমত ছোট চীজের গল্প পড়ে শোনানো।
    তো, গল্পের একটা গাছ আছে-তার নাম বুড়ো আংলা। তারি একেক ডাল ধরে একেক রাতে ছোট চীজকে ঝুলতে হয়, সেসব অবশ্য বড়বাবুর ফরমায়েশমত। এক রাতে হয়তো বড়বাবু বললেন, -চীজ (উনি আমায় এই নামেই ডাকেন, এইটেই আমার পেট নেম, আকা'র যেমন লায়ন), ঐ কাকের গল্পটা বলো। অর্থাৎ ডোমকাক,পাতিকাক সমূহের সঙ্গে হিরিদয়ের লড়াই। কিম্বা কোনো রাতে বেড়ালের গল্প(বেড়ালের সঙ্গে লড়াই), কখনো শেয়ালের গল্প(শেয়ালের সঙ্গে লড়াই) ইত্যাদি। লড়াইটি কমন।

    এহেন লড়াইখ্যাপা ডিরেক্টরের হাতে পড়ে ছোট চীজের আর ভোগান্তির অন্ত নেই। :-(
  • rimi | 168.26.215.135 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০০:০০440211
  • আরে: কি কান্ড!!! মনে হচ্ছে প্রায় নিজের বাড়ির গপ্প শুনছি.. ছোটো চিজের দু:খে চোক্ষে জল এলো :-)))))))))))
  • I | 115.117.212.77 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০০:১১440212
  • চীজ কোম্পানি'র এমনতরো নাম কেন? সেটা বলা খুব মুশকিল। নামায়ণবিশারদ ঐতিহাসিকরা অনুমান করেন,টম অ্যান্ড জেরি দেখে পছন্দ হওয়াতেই সম্ভবত: উজানবাবু একদা ইন্দ্রনীলবাবুকে চীজ বলে ডাকতে শুরু করেন। কিন্তু ইন্দ্রনীলবাবু কী অমন গর্ত-গর্ত? অমন ফোলা-ফোলা? অমনি শিরা -ওঠা? এইসব সাত-পাঁচ ভেবে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তিনিও উল্টে উজানবাবুকে চীজ ডেকে বসেন। তখন আপসে নিষ্পত্তি হয় যে ইন্দ্রনীলবাবু হবেন ছোট চীজ, উজানবাবু বড় (মীমাংসাসূত্র উজানবাবু'র)। জোর যার , মুলুক তার, তাই ইন্দ্রনীলবাবুও অগত্যা এই ব্যবস্থা কিছু নিয়মমাফিক দর কষাকষি'র পরে মেনে নেন। এরপর দু-দুজন চীজ বাড়িতে থেকেও অমন পড়ে-পড়ে নষ্ট হবে, এই ভেবে ছোট চীজ ইন্দ্রবাবু চীজ কোম্পানি'র সূচনা করেন। বড় চীজ পদাধিকারবলে কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর হন।

    চীজ কোম্পানি'র যাবতীয় অ্যাক্টিভিটিজ সাধারণত: উইকএন্ডেই হয়ে থাকে, (অথবা পূজো কিম্বা শীতের ছুটি ইত্যাদিতে) কেননা এই সেই সময় , যখন বঙ্গে বর্গী, রামে ভক্তগণ,মলে যুবাযুবী ও কোম্পানি'র সোদপুরের বাড়িতে বড় চীজের আগমন হয়। বাদবাকি গোটা হপ্তা বড় ও ছোট চীজ নানান হাবিজাবি কাজ করে কাটিয়ে দ্যান; কোম্পানি শীতঘুমে ঘুমায়িত হতে থাকে।
  • Shuchismita | 12.34.246.72 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০০:৫৫440213
  • আহ! এইটে হল বেস্ট টই :)))
  • rimi | 168.26.215.135 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০০:৫৭440214
  • আহা অ্যামোন একখানি চিজ কোম্পানীকে দর্শন না করলেই নয় দেখছি!
    কোনো এক শীতের দুপুরে হানা দেবো সোদপুরে :-)
  • Arpan | 122.252.231.10 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০১:০৫440215
  • কন্যা আনকোরা নতুন একবাক্স রঙ পেন্সিল পেয়েছেন, পাঠিয়েছেন তার সল্লেকের নমস্কার দাদু। দাদুর এহেন বিচিত্র নামের উৎস হল একটি ফোনালাপ। তিনি যখন বেঙ্গালুরুতে এসেছিলেন তখন প্রায়ই মোবাইল থেকে ফোন করে পাশের বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠ দাদা, যিনি কিনা বৈকালিক আড্ডার সঙ্গীও বটে, তাঁর খবরাখবর নিতেন। কন্যা গভীর পর্যবেক্ষণের সাথে লক্ষ করেছিলেন যে ফোন করেই তার দাদু শুরুতেই কাকে যেন নমস্কার বলেন।

    * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * *

    তা যে গল্প হচ্ছিল। রঙ পেন্সিল দিয়ে আঁকার বইতে ডলি কুকুরের (আসলে ডলার, রিচি রিচ দাদার সাথে সাথে ঘোরে) মুখ-কান-নাক সব ব্রাউন কালার হল। তিনটে পাও। চার নম্বর পা টা একটু আড়ালে ছিল তাই ওটা সাদা থেকে গেছিল। ধরিয়ে দিতেই এতটুকু অপ্রতিভ না হয়ে বললেন না ভারি দুষ্টু কুকুর তো, এক জায়গায় স্থির হয়ে বসে না, তাই দেখো না বাদ পড়ে গেছে। বাবা বলার চেষ্টা করল একবার যে একটা পা সাদা থাকায় ভালোই দেখাচ্ছে। অমনি সপাটে উত্তর এল (রঙ পেন্সিলের বাক্স দেখিয়ে) এইখানে কি হোয়াইট কালারের পেন্সিল দিয়েছে? তালে কী করে পা হোয়াইট হয়!

    * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * *

    স্কুল থেকে ফিরে -

    কন্যা: মা, আজকে কণিষ্কাশ্রী ক্লাসে হাউ করছিল (বলে একখানি হাই তুলে দেখায়)

    মা: তাই? আর ম্যাম কী বলল?

    কন্যা: ম্যামও তাই দেখে হাউ করল।
  • I | 115.117.219.208 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৭:৩২440216
  • অপ্পন, :-))

    রিমিদিদি, বেলকাম বেলকাম !!!
  • Paramita | 122.167.170.92 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৮:০৫440217
  • গুঞ্জার হা হা হি হি:

    ১। দিদি বাংলা গান শিখতে যায়, গুঞ্জারও যাওয়া চাই। মার কোলে বসে থাকে গুঞ্জা। সেদিন ক্লাসের ফাঁকে মাকে উঠে যেতে হয়েছিল, ফিরে শুনতে পেল বড় দিদি গম্ভীরভাবে বোনকে বলছে "গুঞ্জা সবাইকে সব ইনফরমেশন দিতে নেই"। পরে মা জিগেস করলো, গুঞ্জা কি বলছিল রে? মেঘ জানালো, গুঞ্জা বলেছে, "আমার বাবা আমেরিকা গেছে। আমার জন্য দরজা, জানলা, পর্দা, লাইট, ফ্যান নিয়ে আসবে বলেছে"। পরেরদিন আবার শুনি বলছে, দুপুরে কি খেয়েছে, কতক্ষণ ঘুমিয়েছে, যে জামাটা পরে এসেছে সেটা নতুন জামা এবং টুটুলমাসি দিয়েছে ইত্যাদি। মেঘ প্রচন্ড এমবারাসড। "গুঞ্জা আবার ইনফরমেশন দিচ্ছো!"। শেষে মুখ খুলতে গেলেই গানের অন্য দিদিরা আওয়াজ দিচ্ছে "গুঞ্জা গুঞ্জা ইনফরমেশন দিস না।" তাতে অবশ্য গুঞ্জার কিছু এসে যায় না।

    ২। আজ সকালে স্কুলে বেরোবার মুখে সবাইকে বারচারেক করে "বাই" বলার পরেও দাঁড়িয়ে আছে। "যাও বেরোও" "যাচ্ছো না কেন" "দেরী হয়ে যাবে কিন্তু" এইরকম শোনার পর বললো "দিদাকে আগে বল দুর্গা দুর্গা করতে।"

    ৩। গুঞ্জা তোমার মাম্মার নাম কি?
    - পারমিতা দাস।
    - দাদুর নাম?
    - অনুন কান্তি ডাস।
    - দিদার নাম? অনিতা।
    - অনিতা কি? লাস্ট নেম বল।
    - অনিতা বচ্চন।

    ৪। দিদির নামে কমপ্লেন - "দিদি ইজ নট গুডজবিং, বাবা!"
  • de | 203.197.30.2 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১০:৫৫440218
  • :)))))) কি ভালো, কি ভালো!
  • rimi | 168.26.215.135 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৮:৩৩440219
  • হা হা হা হা হি হিহিহি :-))) কি মিত্তি সব গল্প!

    তবে পুঁচকেরা "কনিষ্কাশ্রী" নাম হ্যান্ডেল করে কি ভাবে ভেবে আমারও হাউ উঠছে!
  • Arpan | 216.52.215.232 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৮:৩৮440221
  • :-)

    তার একপিস ফ্রেন্ড আছে স্কুলে। নরেন্দ্র।

    মা শুনে বলল, নরিন্দর? মাথায় ছোট টুপি পরে আসে?

    - না-আ-আ। নরিন্দর না। নরেন্দ্র। তুমি নরেন্দ্র বলতে পারো না?

    সেদিন ছিল বাবার খ্যাক খ্যাক করে হাসার দিন!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন