এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • শিশু টক(৩)

    raatri
    অন্যান্য | ২৬ ডিসেম্বর ২০০৯ | ৩৯২৩৬ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • d | 115.117.228.165 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৮:৪৯440222
  • সবগুলো পুচকুর জন্যই :))))))))
    ইশ! অনেকদিন বাদে এই টইটা বাড়ছে।
  • I | 219.64.71.188 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২১:৪৫440223
  • বড় চীজের ভগবদভক্তি
    -------------------------

    বড় চীজ খুব তদগতপ্রাণ ভগবদভক্ত। ঈশ্বরে একনিষ্ঠ বিশ্বাস। তাই নিয়ে ছোট চীজের সঙ্গে প্রায়ই তর্ক বাঁধে। ছোট চীজ যেন কেমন। আপ্তবাক্য মানতে চায় না। একদিন বড় চীজ, ছোট চীজ আর মাম্মাম মিলে গাড়ি করে বন্ধুর বাড়ি নেমন্ত খেতে যাচ্ছিল বন্ধুর জন্মদিনে। গাড়ি নিউ ব্যারাকপুর পেরোতে না পেরোতেই মুষলধারে বৃষ্টি। বড় চীজের সে কী আনন্দ ! ঠাকুর এইসব করছে, বুঝলে ! সগর্বে সে ঘোষণা করে।
    ছোট চীজ বলে-উঁহু, ঠাকুর নয়। ঠাকুর বলে কিছু হয় না।
    বড়- তাহলে বৃষ্টি কোত্থেকে হয়? আর লাইটনিং?
    ছোট-মেঘ থেকে হয় বৃষ্টি, আবার কী ! মেঘ থেকে। (লাইটনিং বোঝাতে সে অবশ্য কিঞ্চিৎ কাবু হয়, সে ফিজিক্সে ভালো না এবং বড় চীজ প্যারাডাইম শিফ্‌ট পছন্দ করে না।)
    বড়-মেঘ কে বানালো?
    ছোট-জল থেকে হয় মেঘ, সেটা তো তুমি জানো ই।
    বড়-আচ্ছা, আমরা কী করে এলাম তবে? বলো !
    এই প্রশ্নের উত্তর দিতে ছোট চীজ বেশ ফাঁপরে পড়ে; সে বলে-ইভোলিউশন, বুঝলি টুংকাই ! একদিন তোকে ছবি এঁকে সব বোঝাবো।
    সংশয়মুক্ত বড় চীজ সেসব ম্লেচ্ছ শব্দ উড়িয়ে দিয়ে বলে-ঠাকুররা আছে! ওরা তো ক্লাউডের মধ্যে থাকে। খু-উব ম্যাজিক জানে। নিজেদের ম্যাজিক করে লুকিয়ে রাখে। তাই তুমি ওদের দেখতে পাও না। একদিন যখন ক্লাশে বসেছিলাম আর বৃষ্টি নেমেছিল, তখন আমি আর আমার বন্ধু ঠাকুরকে বললাম, ঠাকুর, বৃষ্টিটাকে বাড়িয়ে দাও। অমনি ঠাকুর বৃষ্টি বাড়িয়ে দিল।

    এমন অকাট্য প্রমাণের পর ছোট চীজ আর কথা বাড়ায় না।
  • Tim | 198.82.20.98 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২২:০০440224
  • সবকটা টকই বড়ো সুস্বাদু। :)

    ইন্দোদার শেষ গপ্পটা না বলে দিলে শিব্রামবাবুর লেখা বলে ভাববে সবাই। আরো হোক!
  • I | 219.64.71.188 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২২:২১440225
  • বড় চীজের শিল্পানুরাগ-১
    ----------------------

    বড় চীজ বেশ শিল্পানুরাগী। বসে এবং দাঁড়িয়ে আঁকায় পারদর্শী। আঁকার নানান উপবিভাগের মধ্যে বড় চীজ র‌্যাপিড ড্রয়িংয়ে স্পেশালাইজ করেছেন। র‌্যাপিড ড্রইংয়ের মধ্যে আবার মনস্টারের পোর্ট্রেট তাঁর সুপারস্পেশালাইজেশন। মুখ থেকে বাক্যি খসার আগে তাঁর মনস্টার আঁকা শেষ।

    এইসব দেখেশুনে, কিঞ্চিৎ হীনম্মন্যতায় বা, ছোট চীজও আজকাল দ্রুত- অঙ্কনবিদ্যায় মন দিয়েছেন। প্রসঙ্গত:, মাঝে মাঝে এমনও হয় যে বড় চীজ ছোট চীজকে ছবি আঁকতে আমন্ত্রণ করেন। ছোটর আঁকার হাত কদ্দুর খুলল, সেইটা দেখে নেওয়ার ইচ্ছেই হবে। কিন্তু আঁকার ব্যাপারে মাস্টারমশাই এমনই লোভী, যে বেশীক্ষণ সংযম রাখা কঠিন হয়ে যায়। ছোট চীজ হয়তো সবে একটা টান দিল, বুনো মোষ কী বালিহাঁস কিছু একটা হবে, বড় চীজ অমনি-দেখি! দেখি! আমি করি ! বলে খাতা টেনে নিয়ে আঁকতে শুরু করে দেন।

    তো যাই হোক, ছোট চীজ একদিন সুযোগ পেয়ে, তক্কে তক্কে ছিলই-একটানে বড় চীজকে এঁকে ফেলে। দুহাত ছড়িয়ে উবু হয়ে বসে আছে। বড় চীজ সঙ্গে সঙ্গে খাতা কেড়ে নিয়ে দুটো গোল্লা গোল্লা ড্যাবডেবে চোখ ও ধারালো দন্তপংক্তিসমণ্বিত একখানি পটলাকৃতি মুখবিবর এঁকে ফ্যালে। এবার টুংকাইকে মনস্টার করে দিলাম-বলে সে ভাবে বিভোর হাসে ও মনস্টার-সিরিজের বাকি ছবি শেষ করায় মন দেয়।বিড়াল এঁকে বলে-এটা একটা ক্যাট-মনস্টার। পেটফোলা ইঁদুর এঁকে বলে-এর পেটটা চটকে -চেপে চ্যাপ্টা করে দাও।
    ছোট চীজ ঘেন্নায় নাক কুঁচকে বলে-অ্যাঁ ম্যাঁ! কেন? ইঁদুরের গায়ে কি গন্ধ! তারপর নাড়িভুঁড়ি, লোমটোম-
    বড় -বোকা ! এটা একটা মনস্টার -ইঁদুর! চেপ্টে না দিলে তোমাকেই কামড়াবে।
    অত:পর পরের পাতায় সে আঁকে একটি গোল্লা। বলে-""এটা কী বলো? এটা হল সুর্যিমামা। এর গা দিয়ে''-ইঁকড়িমিকড়ি দাগ টানতে টানতে সে বলে-""এই সব রে বেড়িয়েছে''। মুহূর্তমধ্যে অবশ্য সেই সূর্যিমামাই হয়ে যায় ডাঁটিযুক্ত ফুটন্ত একটি ফুল, গোল্লাটি তার বীজমন্ডলী। ডাঁটির পাশে আরেকটা প্যারালাল দাগ টানলে সেটাই আবার হয়ে যাবে পত্রপুষ্পসুশোভিত আস্ত এক গাছ। দুয়েক সেকেন্ডেই এ বিশ্বের সেই গাছকে টেবল ফ্যান বানিয়ে দিয়ে(পায়ের কাছে শেকড়ের বদলে ছোট ছোট গোল্লা, তারা সব ফ্যানের বাটন) তৃপ্তির নিশ্বা:স ফেলে শিল্পী বলেন-এবার একটা মুগুর নি-য়ে, ধাঁই ধমা-ধমা-আ করে ফ্যানটাকে পিটিয়ে ভেঙে ফেলো।

    গোল্লাচোখ ছোট চীজ সেই দ্রুতপরিবর্তমান চিত্রকর্মশালার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে শুধু একটা কথাই বলতে পারে-কেন?

    -আ:, বুঝতে পারলে না? ওটা একতা ফ্যান-মনস্টার, মনস্টারটাই ঐ ফ্যানের মধ্যে ঢুকেছে।
  • pi | 128.231.22.87 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২২:৪৯440227
  • *সব
  • pi | 128.231.22.87 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২২:৪৯440226
  • সন টক ই কী প্রচণ্ড মিষ্টি রে বাবা ! :)
  • pi | 128.231.22.87 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২৩:১৭440228
  • সারাদিন ধরে বকবক করে চলা এই সব কুচোকাচাদের বানানো গপ্পের অনেক কিছুই নিশ্চয় পশু পাখি নিয়ে। পশু পাখিরাও যে আফটার অল মানুষের ই মত, তা আর ওদের চেয়ে ভাল কে জানে! আর সিনিয়র জুনিয়র চীজদের জয়েন্ট ভেঞ্চারেও তো এমনি কত গপ্পো নামে।
    তা, সেই সবরকম গপ্পোগাছা বাংলায় লিখে [email protected] এ পাঠিয়ে দেওয়া যাবে ? একটু ঝটপট। এক দুই দিনের মধ্যে । সঙ্গে ওদের আঁকা কিছু ছবি টবিও যদি থাকে... আরো ই ভালো !
  • a x | 143.111.22.23 | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২৩:৪৭440229
  • দারুন!
  • G | 136.142.168.156 | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০০:৩৮440230
  • জ্জিও:!!
  • rimi | 168.26.215.135 | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০০:৫০440232
  • আরে কি আশ্চর্য্য!!!! বড় চীজের ভাগবদ্ভক্তির গপ্পটা যে হুবহু এখানেও ঘটেছে!! এক্কেবারে ডিট্টো, লাইন বাই লাইন, ওয়ার্ড বাই ওয়ার্ড... হাঁ হয়ে গেলাম মিল দেখে।

    এই কথোপকথনের শেষের দিকে ললিপপ জোর গলায় ঘোষণা করে, "আমাকে ভগবান ছাড়া আর কেউ বানায় নি। ভগবানই বানিয়ে ম্যাজিক করে মাম্মির টামির মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছে।" আমরাও জোরগলায় ঘোষণা করলাম যে মোটেও ভগবান নয়, আমরা দুজনে মিলে তোকে বানিয়েছি।

    এরপরে দোকানে গিয়ে সে স্বভাব অনুযায়ী ভয়ংকর বাঁদরামো শুরু করে দেয়। তার বাবা তাকে প্রচন্ড ধমক দিয়ে বলে, "একটু ভালো হতে পারিস না? সবসময় এত অসভ্যতা কেন?"
    সে একটুও ভয় না পেয়ে বলে দেয়, "তোরা যেমন বানিয়েছিস, আমি তো তেমনি হয়েছি। এরকম বানালি কেন?"
  • Shuchismita | 71.201.25.54 | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৬:১৫440233
  • ফাটাফাটি :)))
  • Nina | 68.36.163.248 | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১০ ০৬:৩৮440234
  • দারুণ, সবকটা পিসই একেবরে দুর্দান্ত। সত্যি ই তো যেমন বানিয়েছিস তেমনি হয়েছি--হা হা হা হা ---চীজ-ফ্যাক্টরির প্রডাক্টগুলো ও বড় সুস্বাদু--পাই ঠিক বলেছে, একসঙ্গে একজায়্‌গায় করে পড়তে দারুণ লাগবে। :-)))))
  • I | 14.96.190.81 | ০৩ অক্টোবর ২০১০ ২০:১২440235
  • প্রচেত গুপ্ত'র একটা বই আছে। ছোট্ট এক মেঘবালিকা-কে নিয়ে ছবিতে গল্প। তাই দেখে আমিও একটা মেঘ আঁকতে বসেছিলাম। টুংকাই দেখতে পেয়ে ছুটে এসে বলল-দেখি ! দেখি ! বলে একটান মেরে খাতা নিয়ে ধা !
    মিনিট পাঁচেক পরে খাতা হাতে নিয়ে এসে বলল-এই দেখো পাপালু, আমি ছবিটা কমপ্লিত (এখনো মাঝেমধ্যে ট'য়ে ত'য়ে ব্যথা আছে) করে নিয়ে এসেছি।
    দেখে বল্লাম-এ কি রে ! এই বাড়িটা উড়ছে কেন?
    সে ম্লান হেসে দু:খীর মত বলল-ভালো আঁকতে পারি না তো, তাই। বাড়িটা মাটিতে বসে নি।

    আহা! মন খারাপ লাগলো।

    ---

    সঙ্গীতাকে সেই কথা বলছিলাম রাত্তিরে। কেমন দু:খীর মত বলল কথাটা।
    সঙ্গীতা বলল-দু:খী ? ছবিটা নিয়ে গিয়ে দাদাভাইকে দেখিয়েছিল। দাদাভাই বলেছে-বা:, কী সুন্দর !
    তাই শুনে ছেলে মুখ ভেংচিয়ে বলেছে-সুন্দ্যর ?দেখতে পাচ্ছো না বাড়িতা আকাশে উড়ছে? এইটা ঠিক হয়েছে ? সুন্দ্যর !! যা দেখে স-ব সুন্দ্যর !
  • rimi | 24.42.203.194 | ০৪ অক্টোবর ২০১০ ০৭:১৪440236
  • ইন্দোদাদা বড় চীজের শিল্পানুরাগ-২ কবে লিখবে?
  • rimi | 24.42.203.194 | ০৭ অক্টোবর ২০১০ ০৮:২৫440237
  • খুব জমজমাট খেলা চলছিল সন্ধ্যেবেলা। সোফাটাকে চাট্টাহুচি নদীর ড্যাম বানিয়ে ললিপপ তাতে "সুপার সার্ফিং" আর কায়াকিং করছিল, অর্থাৎ সোফার মাথায় উঠে ধুপ করে মেঝেতে লাফিয়ে পড়ছিল। আর তার সঙ্গে নানারকম বিচিত্র শব্দ, কাল্পনিক বন্ধুদের সঙ্গে অনেক রকম কথা ইত্যাদি চলছিল। আর আমি ছিলাম রান্নায় ব্যস্ত। হঠাৎ শুনি সে জোরে জোরে কারুর সঙ্গে খুব ঝগড়া করছে। যেটুকু কানে এলো তা এরকম:
    "But I am ten. I can do it."
    "No, you can't!"
    (খুব চেঁচিয়ে)
    "Yes I can, but she cannot. She is just 3 but I am ten."
    "No, you are three year old. And you cannot do that."
    "If you ever say it again, I will move out of this house and live alone."
    "Well, I will go with you too."
    "No you won't.."
    "yes I will"

    ইত্যাদি।
    জানতে চাইলাম, কার সঙ্গে সে এত ঝগড়া করছে।
    "আমার বাবার সঙ্গে।"
    "অ্যাঁ!!!!!!!!!" আমি থ। কিন্তু সামলে নিয়ে গম্ভীর হয়ে বললাম, "নিজের বাবার সঙ্গে এভাবে কথা বলতে হয়? এই শিখছো?"
    "কিন্তু মামি, ও তো আমার প্রিটেন্ড বাবা।"
    "হলেও প্রিটেন্ড বাবা, তাই বলে বাবার সঙ্গে ঝগড়া করবে?" স্বাভাবিকভাবেই, আমার বাঙালী মানসিকতা বিশাল ধাক্কা খেয়েছে। ভাগ্যিস নিজের বাবা বাড়ি নেই, সে গেছে ক্লাসে, সাড়ে এগারোটার আগে ফিরবে না।
    "বাট মামি, হি স্টার্টেড ইট।"
    "কি স্টার্ট করেছে?"
    "আমি ড্যাম থেকে কায়াক ছাড়াই লাফিয়ে পড়ছিলাম, ও বারণ করছে। কিন্তু মামি, আমি সেটা পারি, আমি টেন ইয়ার ওল্ড, অনেক বড়।"
    "টেন ইয়ার ওল্ড মানে বড়ো? "
    "অবশ্যই। আমার যে ডটার আছে, সেই থ্রি ইয়ার ওল্ড, সে পারবে না। কিন্তু আমার বাবা বলছে যে আমি থ্রি ইয়ার ওলড। ও মিথ্যে কথা বলছে। আমি যদি টেন ইয়ার ওল্ড হই, কি করে তাহলে আমি আবার থ্রি ইয়ার ওল্ড হবো? আমি কি লেমফ্লেশ প্ল্যানেটের অ্যালিয়েন?" (লেমফ্লেশ প্ল্যানেটের অ্যালিয়েনরা বড় থেকে ছোটো হয় ক্রমশ, ওরই বানানো, সে আবার অন্য এক গপ্প)
    "তাই বলে তুমি এভাবে কথা বলবে? কেন বলছ তুমি মুভ আউট করবে? বাবার সঙ্গে তুমি এভাবে কথা বলবে?"
    "হ্যাঁ, কারণ ও তো স্টার্ট করেছে। ও যদি আবার আমাকে ড্যাম থেকে লাফাতে বারণ করে, আমি হোটেলে মুভ করে যাবো আর একা থাকবো।"

    আমি খুব শকড এরকম কথাবার্তায়। এভাবে তো ও আমাদের সঙ্গে মোটেই কথা বলে না। তাহলে এরকম খেলছে কেন? ভালো করে বোঝার জন্যে আমি রাগ সামলিয়ে আরো প্রশ্ন করতে লাগলাম।
    "কিন্তু লালিপপ, বাবা তোমাকে বারণ করে, যাতে তোমার ব্যথা না লাগে বা বিপদ না হয়। তুমি তো জানো সেটা। তবে কেন এরকম খেলছো? বাবা কি অকারণে বারণ করে?"
    খানিক ভেবেচিন্তে সে বলল,"না, আমার নিজের বাবা তা করে না। কিন্তু আসলে ও আমার স্টেপ ড্যাড, সেই জন্যেই ও এরকম বাজে বিহেভার করছে আমার সঙ্গে।"
    "অ্যাঁ!!!" আমি আরো শকড।
    "সত্যিই মামি। আমি তার সঙ্গে থাকবো না বলছি, কিন্তু সে বলছে সে আমার সঙ্গেই মুভ করবে হোটেলে। ভীষণ বাজে বিহেভার!! স্টেপড্যাডরা তো এরকমই করে।"
    " তুই কি করে জানলি সব স্টেপড্যাডরা এরকম করে?"
    "আমি নিউজে পড়েছি।"
    "!!!!!!????"

    আর না ঘাঁটিয়ে আমি চটপট খেতে দিয়ে দিলাম। বাপ রে!!! কি দিনকাল...
  • Paramita | 198.95.226.224 | ০৭ অক্টোবর ২০১০ ১০:২৩440238
  • :)কি দারুন ইম্যাজিনেশন ছোট সাম্পানের। ছোটোই আছে ওরা কিন্তু তাও কোথায় যেন বড় হয়ে যাচ্ছে।

    এই লাইনেই : আমি মেঘকে বকুনি দিলেই বা "জলের গ্লাসটা সিংকে রেখে আয় তো" ইত্যাদি বললেই শুনতে হয়, "ইউ আর বিভেভিং লাইক সিন্ডারেলা'স স্টেপমম"। ভালো স্টেপমমদের গল্প শোনালেও কিছু হয় না, সবই ডিজনিসায়েবের খেল। তার ওপর এখানে প্রথম পনেরোই অগাস্ট কাটানো আফটার এফেক্ট হিসেবে এখন যোগ হয়েছে - যেখানে সেখানে ইউ কের ফ্ল্যাগ দেখলেই "গো অ্যাওয়ে ব্রিটিশ"। সকালে CWGএ টিভিতে তাদের পদক জিততে দেখে কি রাগ!
  • I | 14.96.95.116 | ১৭ অক্টোবর ২০১০ ১৪:০৭440239
  • অসুর-উদ্ধার পালা
    -------------------
    (সম্প্রতি চিলির খনি-শ্রমিকেরা বাইরে এসে আলো-হাওয়া-বাতাস পেয়ে বেঁচেছেন। এবার অসুর-উদ্ধার পালা।)

    পাপালু : দেখেছিস, মহিষাসুরটাকে কিরকম করে মেরেছে!
    টুংকাই: কোথায়, অসুরকে মারেনি তো ! মহিষকে তো মারল। ত্রিশুলটা মহিষের গায়ে ঢুকিয়ে দিয়েছে। অসুর তো মহিষের মধ্যে থেকে বেরিয়ে এসেছে।
    পাপালু : হ্যাঁ, হ্যাঁ, মহিষের পেট থেকে।
    টুংকাই: না, গলা থেকে। মহিষ মরে গেছে। অসুর মরে নি। হাঁপাচ্ছে। মহিষের পেতে ছিল তো এতদিন! খুব হাঁপাচ্ছে। সারা গায়ে ঘাম।
  • Lama | 203.99.212.53 | ১৮ অক্টোবর ২০১০ ১৩:৪৩440240
  • তুষ্টু: বাবা, আমাকে মশা কামড়ে দিয়েছে।
    বাবা: মশাকে বকে দেব।
    তুষ্টু: না, বকবে না। ওরা আমাকে ভেবেছিল ছোট্ট মশা। তাই আদর করতে গিয়েছিল।

    *****************************************

    তুষ্টু: বাবা, আমি একটু লিপস্টিক মেখে সাজব?
    বাবা: তোমার ইচ্ছে হলে মাখতে পারো, কিন্তু জেনে রাখো লিপস্টিক মাখলে বাচ্চাদের মোটেই ভাল দেখায় না।
    তুষ্টু: বাচ্চাদের ভালো না লাগতে পারে, কিন্তু জেনে রাখো লিপস্টিক মাখার ইচ্ছে আমার হচ্ছেই।
  • Samik | 122.162.75.50 | ১৮ অক্টোবর ২০১০ ১৩:৫৭440241
  • সাঁঝের মা-ও অনেক সময়ে এমন স্টেপ-মাদারলি অ্যাটিট্যুড দেখায়। সাঁঝকে দিয়ে যারপরনাই খাটায়, জলের বোতল এনে দিতে বলে, টিভির রিমোট এনে দিতে বলে, নিজের জুতো মোজা নিজেকে পরতে বলে ...

    আর ব্রিটিশদের ওপরেও সে হাড়চটা। ঐ পনেরোই আগস্টের পর থেকে, আর তার সাথে সদ্য যোগ হয়েছে সেলুলার জেল ভ্রমণ। ব্রিটিশ দেখলেই সে এমন ঘুঁষি মারবে যে ব্রিটিশটা পালাবার পথ পাবে না।

    সাথে আরেক মুশকিল। রাস্তায় ঘাটে সাদা চামড়া দেখতে পেলেই স্থানকাল পাত্র ভুলে "মা ঐ দ্যাখো একটা ব্রিটিশ যাচ্ছে'। মায়ের আক্কেল গুড়ুম!
  • Arpan | 204.138.240.254 | ১৮ অক্টোবর ২০১০ ১৪:২২440243
  • মেয়ের স্মৃতিশক্তি এমনিতে খুব প্রখর। কী করে? না, আগে যা কিছু হয়ে গেছে, ভূত, অতীতের যেকোন ঘটনা, সব নাকি সকালে হয়েছে।

    ষষ্ঠীর দিন বাবার গাড়িটায় একটা মোটরসাইকেল এসে ঢুঁসো মেরে পালিয়ে গেছে। নবমীর দিনে সপরিবারে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছি হঠাৎ দেখা গেল সে পেছনের সিটের জানলার পাশে বসে আছে। আড়াআড়ি ভাবে।

    - কী ব্যপার? অমন করে বসে আছো কেন? ঠিক করে বসো।

    - আমি তো দেখছি।

    - কী দেখছো?

    - ওই দুষ্টু বাইকটাকে দেখছি। সকালে পামের গামটাকে মেরেছিল। এখন দেখতে পেলে বকে দেবো।
  • rimi | 24.42.203.194 | ১৯ অক্টোবর ২০১০ ০০:০৯440244
  • সাম্পানের আছে দুই বন্ধু জন আর বব, সাম্পানকে যা কিছু করতে বারণ করা হয়, জন আর বব ঠিক তাই করে। যেমন, হ্যাম বার্গার খাওয়া।
    "ওরা হ্যাম বার্গার খেয়েই চলে, খেয়েই চলে।"
    "বারণ করলেই তো পারিস?"
    "আমি রোজ ভুলে যাই তো।"
    "কেন ভুলে যাস?"
    "বুড়ো হয়ে যাচ্ছি নিশ্চরই।" (এটা আমিই বলি ওকে, কিছু মনে না থাকলেই বলি, বুড়ো হচ্ছি তাই স্মৃতিশক্তি কমে যাচ্ছে।"
    "এখনি বুড়ো?"
    "হ্যাঁ, আসলে আমি একটা ফল খেয়েছি, যেটা খেলে খুব তাড়াতাড়ি বুড়ো হয়ে যায়।"
    "ধুর!! ফল খেলে ঠিক উল্টোটা হয়। বয়স বাড়ে না তত তাড়াতাড়ি।"
    "এটা আর্থের ফল নয় মামি, এটা অন্য প্ল্যানেটে পাওয়া যায়, এটার নাম সোসল। দেখতে গ্রেপসের মতন, কিন্তু রেড।"
    "খেতে কেমন?"
    "একেবারে তিতো। কিন্তু ভেজে নিলে মিষ্টি হয়ে যায়।"
    "খেলি কেন এই ফল? এখন কি হবে?"
    "কি হবে? যখন আমার বিগ কিড হবার উচিত, তখনি আমি বুড়ো হয়ে যাবো। যখন আমার সিক্স হবার উচিত..."
    "তখন তুই সিক্সটি হবি?"
    "না, আমি হবো সিক্স নাইন্টি ওয়ান ইয়ার ওল্ড।"

  • Shuchismita | 12.34.246.72 | ১৯ অক্টোবর ২০১০ ২০:৫২440245
  • এই শিশুটি ভারি কল্পনাপ্রবণ। এর সাথে ভাব করার আমার ভারি ইচ্ছে :-)
  • Arpan | 204.138.240.254 | ২১ অক্টোবর ২০১০ ১৭:৪৮440246
  • কাল অফিস থেকে ফিরে হাতের কাছে আর কিছু না পেয়ে একটা রং-জ্বলা টিশার্ট পরেছিলাম।

    কন্যেটি এসে সব দেখেশুনে মাকে রিপোর্ট দিল - "মা মা, বাবা জামা উল্টো করে পরেছে'!
  • aka | 168.26.215.13 | ২১ অক্টোবর ২০১০ ১৭:৫৮440247
  • :)
  • Samik | 121.242.177.19 | ২২ অক্টোবর ২০১০ ১৩:৪৭440248
  • দোষের মধ্যে কেবল একটু ভাবপ্রবণ হয়ে গিয়ে আজ সকালে গাইছিলাম, যদি কাগজে লেখো নাম কাগজ ছিঁড়ে যাবে, পাথরে লেখো নাম পাথর গলে যাবে ... ইত্যাদি।

    মেয়ে প্রথমে খুব হক্‌চকিয়ে গিয়ে গানের মাঝখানে "পেপারে নাম লিখলে পেপার ছিঁড়ে যায়?' আমি উত্তর না দিয়ে গানটা কন্টিনিউ করতে লাগলাম। প্রথম অন্তরাটুকু শুনে মেয়ে মা-কে গিয়ে রিপোর্ট করল, "মা-মা, বাবা না ঐ স্টোন-পেপার-সিজার খেলার গান গাইছে।'
  • intellidiot | 117.194.67.147 | ২২ অক্টোবর ২০১০ ১৮:২৫440249
  • এটা সাঁঝ একঘর দিয়েছে :-)
  • pi | 72.83.101.163 | ২২ অক্টোবর ২০১০ ১৯:০৭440250
  • :)
    :)
    :)
  • Arpan | 122.252.231.10 | ০৩ নভেম্বর ২০১০ ২২:২২440251
  • দীপাবলি আসছে। শিশুটির মনে গত বছরের বাজি পোড়ানোর স্মৃতি অমলিন। এই বছর এখনো বাজি কেনার বিশেষ উচ্চবাচ্য নেই দেখে সে ঈষৎ চিন্তিত। ঘুরেফিরে সে তাই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে - "বাবা, বাবা, আই ডু বাজি ফাট। ওকে?'
  • nyara | 122.167.249.219 | ০৩ নভেম্বর ২০১০ ২৩:১৫440252
  • :))

    এটা খাসা।
  • de | 134.105.166.235 | ০৪ নভেম্বর ২০১০ ০০:২০440254
  • :))))))
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন