এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • শিশু টক(৩)

    raatri
    অন্যান্য | ২৬ ডিসেম্বর ২০০৯ | ৩৯২৭৭ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kumu | 132.160.159.184 | ১০ ডিসেম্বর ২০১২ ১৩:৫৯440655
  • বাঃ,বাঃ ওদের নাম কী?আমি ওদের মেঘ আর বৃষ্টি বলে ডাকব?
  • 4z | 109.227.143.99 | ১০ ডিসেম্বর ২০১২ ১৬:৫০440656
  • কুমুদি, আরিয়ান আর ওশিন। তোমার যে নামে ইচ্ছা ডাকতে পারো। এটা আবার জিজ্ঞেস করতে হয় :)
  • kc | 204.126.37.78 | ১০ ডিসেম্বর ২০১২ ১৭:৪৫440657
  • কেন কেন? ওদের এরকম নাম হবে কেন? গুরুথেকে ওদের নাম দেওয়া হল আইসিএস আর জেলিবীন। ওদের বাবামায়ের নাম হোক ডোনাট আর ফ্রয়ো। ফ্রয়োরই আসল নাম ফোজ্জি।
  • 4z | 109.227.143.99 | ১০ ডিসেম্বর ২০১২ ১৯:৪৯440658
  • কেসিদা, :) অ্যাক্সেপ্টেড
  • সিকি | 24.97.125.183 | ১০ ডিসেম্বর ২০১২ ২০:৩৭440659
  • আই সেকেন্ড।
  • Ishan | 60.82.180.165 | ১০ জানুয়ারি ২০১৩ ০৯:৫২440660
  • ছেলে কইল, বাবান তুমি কি লেখক?
    আমি বললাম, তা একরকম বটে।
    ছেলে বলল, আমিও তো লিখি।
    আমি বললাম, লেখক হতে গেলে শুধু এবিসিডি জানলেই হবেনা। লেখা অন্য ব্যাপার।
    ছেলে বলল, সেটা কি করে করতে হবে বাবান?
    আমি বললাম, লেখার একটা পদ্ধতি আছে। প্রথমে ইনট্রোডাকশান। তারপরে বিষয়ে ঢুকতে হবে। তারপরে ফিনিশিং।
    ছেলে বলল, জানি তো।
    আমি বললাম তাহলে কি জানিস বল।
    ছেলে বলল আসল ব্যাপারটা হল প্রথম লাইনটা খুব ইন্টারেস্টিং লিখতে হবে।
    আমি তো শুনে হাঁ। এ তো লেখালিখির বেসিক ব্যাপারই বুঝে গেছে। গুরুতে প্রচুর টাইপিয়েও লোককে যা বোঝাতে পারিনি। উৎসাহ পেয়ে বললাম, প্রথম লাইনটা কেন ইন্টারেস্টিং লিখতে হবে বল তো?
    ছেলে ততোধিক উৎসাহ পেয়ে বলল। নিউইয়র্কের একজন এডিটার বছরে কতগুলো লেখা পায় জানো? অ্যাভারেজ এইট্টি থাউজ্যান্ড (যে নাম্বারটা বলেছিল সেটা ভুলে গেছি, তবে এরকমই কিছু একটা হবে)।
    আমি বললাম তাতে কি?
    ছেলে বলল, প্রথম লাইনটা ভালো না হলে কি আর পড়বে? তুমি হলে কি করতে বাবান?
  • প্পন | 190.215.48.46 | ১০ জানুয়ারি ২০১৩ ১০:০৮440661
  • অবসেশে সেই কোশ্নটা এসেই গেল। অন্ধ হলে কী আর প্রলয় বন্ধ থাকে! -

    "মা, আমি তো তোমার পেটের মধ্যে ছিলাম, তারপরে কী করে বেরিয়ে এলাম? আমি তখন বেবি ছিলাম, আমি কি তখন হাঁটতে পারতাম?"

    (প্রথম বাক্যটা স্কুলে শিখে এসেছেন।)
  • dukhe | 212.54.74.119 | ১০ জানুয়ারি ২০১৩ ১০:২৬440662
  • বড় শিশুর নাচের ইস্কুলের অনুষ্ঠান। রবীন্দ্রসদন, ৬ই জানুয়ারি। দিদি নাচবে আর বোনুমান যাবে না - তাও কি হয়? দর্শকাসনে সদলে হাজির সবাই।
    পরপর নাচ চলছে। একদম ছোটরা, একটু বড়রা, কথ্থক-নাচিয়েরা ইত্যাদি একে একে। একসময় ঘোষণা হল - এবার মায়েদের নাচ।
    উৎসাহে ফেটে পড়লেন বোনুমান - মা মা, তুমিও ওখানে নাচ শিখতে পারবে গো। তাহলে ওজনটা একটু কমবে।
  • ব্যাং | 132.167.83.188 | ২৪ জানুয়ারি ২০১৩ ১৩:৪৫440663
  • এটা অদিতির গল্প।

    অদিতির একটা ছোট্ট বোন আছে, তার নাম মাহিতি। সে বড্ড লক্ষ্মী মেয়ে। দিদির সাথে একটুও ঝগড়া করে না। দিদি যা বলে, তাই শোনে, দিদি তাকে যেমন সাজায়, তেমনি সাজে। দিদি তাকে রেসে হেরে যেতে বললে সে হেরে গিয়ে দিদিকে জিতিয়ে দেয়। অদিতির স্কুলটাও খুব ভালো। টিচাররা বকে না অদিতিকে। অদিতি নাচ শিখতে যায়, সেখানেও সবাই অদিতির কথা শোনে। আর অদিতি-মাহিতিও তাদের বাবা-মায়ের কথা শোনে, তাই ওদের বাবা-মাও ওদের বকে না। অদিতির মাঝে মাঝে একটু দুঃখমতন হয়, সবকিছুই খুব ভালো তার চারপাশে, কিন্তু কোথায় যেন কী একটা নেই!

    এমনসময়ে অদিতির জীবনে কোত্থেকে যেন এসে জুটল এক আন্টি। অদিতির মায়ের বন্ধু। প্রথমে আন্টিটাকে ঠিকমতন বোঝে নি অদিতি। আন্টিটা প্রথমদিন যখন অদিতিদের বাড়িতে এল অদিতির মাকে একটা পেনড্রাইভ দিতে, তখন অদিতির ভালো ই লেগেছিল আন্টিটাকে। অদিতি তাই আন্টিটাকে নাচ দেখালো। অদিতির পুতুলগুলো এনে দেখাল, মাহিতির সাথে রেস করে ফার্স্ট হয়ে দেখালো। আন্টিটা খুব হেসে হেসে "ভেরি নাইস", "ওয়াও" এসব বলল। অদিতির ভালো ই লেগে গেল আন্টিটাকে। মাহিতিকে জিজ্ঞেস করল, মাহিতিও বলল যে মাহিতিরও ভালো লেগেছে আন্টিটাকে।

    অদিতি কখনো কখনো মায়ের সঙ্গে মায়ের কাজের জায়গায় আসে, মায়ের মিটিংয়েও যায়, আন্টিটার সঙ্গে দেখা হলেই অদিতির ইচ্ছে করে আন্টিটার সাথে গল্প করতে। অদিতি এটা-ওটা বলে, আন্টিটা শোনে, আরো কথা জানতে চায়। তখনো তো আর অদিতি জানে না যে আন্টিটা কেন এসব জিজ্ঞেস করছে। দিওয়ালির আগের দিন আন্টিটা একটা কাজে অদিতিদের বাড়ি এসেছিল । কাজ মানে অদিতির মাকে দুশো টাকা দিয়ে সমানে বলছিল "তুমি প্লিজ টাকাটা নাও", আর অদিতির মা কিছুতেই টাকাটা নিচ্ছিল না, বলছিল "টাকাটা তুমিই পে কর আর আমিই পে করি একই ব্যপার"। আন্টিটা কিছুতেই শুনছিল না, অদিতির মাকে জোর করছিল টাকাটা নিতে, বলছিল "নিতেই হবে"। পনেরো মিনিট ধরে আন্টিটা অদিতির মায়ের সাথে ঝগড়া করল টাকাটা দেওয়ার জন্য। আর অদিতির মা-ও তেমনই। পনেরো মিনিট ধরে টাকাটা নিতে "না না" করে গেল। অদিতি পুরোটা দেখছিল সোফার মাথায় বসে। সোফার মাথায় মানে আন্টিটার ঘাড়ের কাছে , সোফায় হেলান দেওয়ার জায়গাটায় চড়ে বসে। (বলেছি না, অদিতির আন্টিটাকে খুব ভালো লাগত।) পনেরো মিনিট ধরে এটা দেখার পর অদিতি ওর মাকে বলে ফেলেছিল "মা, টাকাটা নিয়ে নাও প্লিজ। পরে এই টাকাটা দিয়ে আমাকে কিছু কিনে দিতে পারবে।" এটা বলা কী এমন দোষের কথা অদিতি জানে না। কিন্তু বলা মাত্রই আন্টিটা হ্যা হ্যা করে হেসে গড়াতে লাগল। কিছুতেই আর হাসি থামছে না। আর অদিতির মা চটেমটে অদিতিকেই একটু বকুনিমতন দিয়ে বলল "এমন কোন জিনিসটা আছে এই বিশ্বব্রহ্মান্ডে, যেটা তোমার নেই? কিনে দিতে হবে?" তা এতেও অদিতি কিছু মনে করে নি। আন্টিটাকেও খারাপ লাগে নি। শুধু একটু অবাক হয়েছিল।

    তার কয়েকদিন পরে অদিতি নাচের ক্লাস থেকে সোজা চলে গেছে মায়ের কাজের জায়গায়। আন্টিটার সাথেও দেখা হয়ে গেছে। আর আন্টিটাও দেখে ফেলেছে অদিতির হাতে ধরা ঝিনুকের মালা পরা লিটল মারমেড কী-রিং। ওমা, অম্নি আন্টিটা বলে কী "দেখি দেখি, ওমা এটা কী সুন্দর! কোত্থেকে পেলি এটা? প্লিজ এটা আমাকে দিয়ে দে।" অদিতি তো হাঁ। এরকম করে অন্যের জিনিস চাইতে আছে নাকি!! আর সবচেয়ে আশ্চর্য্যের কথা, অদিতির মা, যে কিনা সারাক্ষণ অদিতি আর মাহিতিকে পাখিপড়া করে - অন্যের জিনিসের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকবে না, অন্যের জিনিস চাইবে না, শুধু নিজেরটুকু নিয়েই খুশি থাকবে; সেই মাও পাশে দাঁড়িয়ে একটু একটু হাসছে, কিন্তু আন্টিটাকে কিচ্ছুটি বলছে না, এরকম নির্লজ্জের মতন অন্যের জিনিস চাওয়ার জন্য!! অদিতি যত আন্টিটাকে বলে , "আমার কাছে আর নেই, একটাই আছে।" আন্টিটা কিছুতেই শোনে না। বলে "আমাকে দিতেই হবে।" শুধু বলেই থামছে না, একদম কাড়াকাড়ি লাগিয়ে দিচ্ছে। অদিতি তখন তাড়তাড়ি করে বলে, "আচ্ছা , আমি ভবানী স্টোরস থেকে আরেকটা এরকম কী-রিং তোমার জন্য কিনে আনব।"
    "কী করে কিনবি! এত ভালো কী-রিংয়ের নিশ্চয়ই অনেক দাম হবে!"
    "আমার কাছে একশোকুড়িটাকা জমানো আছে তো আমার বারবি পার্সে, ঠিক কিনে আনব, এখন এটা ছেড়ে দাও।"

    এইটা বলে যে কী ভুলই করেছিল অদিতি! আবার তারপরে একদিন আন্টিটার সাথে দেখা, অম্নি বলে "কই আমার কী-রিং? তুই যে বলেছিলি কিনে দিবি! "
    অদিতি যত বলে "এখন ওটা দোকানে আর নেই, এলেই আমি এনে দেব"
    আন্টিটা এত দুষ্টু , বলে কিনা "যদ্দিন না দোকানে আসছে, তদ্দিন আমাকে তোরটা ইউজ করতে দে"!!
    অদিতি তখন লাগিয়েছে এক ছুট। আর যে মা কিনা আগে একদমই বকত না, সেই মা-ও সবার সামনে অদিতিকে বকে দিয়েছে। কিন্তু আন্টিটাকে তবুও কিছু বলল না।

    তারও কয়েকদিন পরে অদিতির মা অদিতি আর মাহিতিকে স্কুল বাস থেকে নামিয়ে একটা জায়্গায় নিয়ে গেছে। ওরা সেখানে গিয়ে দেখে একটা গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। মা বলল যে গাড়িটায় করে আরেকটা জায়গায় যেতে হবে। অদিতি গাড়িতে উঠে দেখে, গাড়িতে বসে আছে সেই আন্টিটা আর আন্টিটার ছেলে আর আরো একটা নতুন আন্টি।। আর অদিতিকে দেখা মাত্রই সমানে বলছে "তুই আমাকে তোর কী-রিংটা দিলি না! প্রমিস করলি, তাও দিলি না। কেন সব ভালো ভালো জিনিস তোর একারই থাকবে, কেন আমার থাকবে না? কেন আমি দোকানে গিয়ে কোনো ভালো জিনিস খুঁজে পাব না! আমাকে তোর এই প্রজাপতি ক্লিপটা দে না প্লিজ? কী-রিং দিবি না তো অন্তত ক্লিপটা তো দে!" অদিতি ভাবে, এতো বড় মুশকিল। অদিতির যা দেখে, তাইই চায়। কিন্তু তবু এই অসভ্যতার জন্য আন্টিটাকে কেউ কিচ্ছু বলছে না। সবাই হাসছে। আন্টিটার ছেলেটাও হাসছিল।

    সেই জায়গাটায় পৌঁছে অদিতির মা আর আন্টিদুটো তো মিটিংয়ের ঢুকে গেল, আর অদিতি, মাহিতি আর আন্টিটার ছেলেটাকে বলল ঐ জায়্গাটা ঘুরে ঘুরে দেখতে, ওখানকার প্লেগ্রাউন্ডটা দেখতে। আন্টিটার ছেলেটা ভালৈ ছিল। আন্টিটার মত ঝগড়া করে না, কিছু চায়ও না। শুধু অদিতির কথা শুনে হাসছিল হি হি করে। আর অদিতি-মাহিতিকে রাস্তায় দৌড়াতে মানা করছিল।

    তারপরে আবার একদিন অদিতি ওর মায়ের মিটিংয়ে গেছে, সেদিন মাহিতি ছিল না। অদিতির শরীর খারাপ ছিল বলে অদিতির মা মিটিংয়ের ঘরেই একটা চেয়ারে বসিয়ে রেখেছিল অদিতিকে। আন্টিটা যেই না দেখেছে অদিতিকে অম্নি নিজের চেয়ার ছেড়ে এসে অদিতির পাশে বসেছে। অদিতি সমানে জ্বালিয়ে যাচ্ছে। "আজ তোর কী-রিংটা নেবই নেব। ও আমাকে দেখে ওটা লুকিয়ে রাখলি তোর ব্যাগে। ঠিক আছে তোর কানের এই ডলফিন দুলগুলো আমার খুব পছন্দ, ওগুলৈ তাহলে আমায় দিয়ে দে।" মিটিংয়ে সবাই যা বলছে , একটা কথাও শুনছে না, শুধু অদিতিকে জ্বালিয়ে খাওয়াই কাজ! এমন সময়ে আন্টিটার ছেলেটাও স্কুল থেকে পরীক্ষা দিয়ে ফিরে সোজা মিটিংয়ের ঘরটায় চলে এসেছে। সেই দেখে আন্টিটা নিজের ছেলেকে বলেছে, "এখানে তোমার কী কাজ, তুমি পাশের ঘরে বসে চেস খেলো, ঐ রুমে আমরা একটা চেস বোর্ড রেখেছি।" ছেলেটা সেই কথা শুনে অম্নি পাশের ঘরে চলে গেছে। অদিতি দেখে এই আন্টিটার পাশে বসে জ্বালাতন হওয়ার থেকে আন্টিটা ছেলেটার কাছে গিয়ে গল্প করা ঢের ভালো। অম্নি অদিতিও অদিতির মাকে বলেছে, "আমি কি ঋভুর সাথে খেলতে পারি, ঐ রুমে গিয়ে?" অদিতির মা-ও বলেছে, "ঠিক আছে।"

    অদিতি পাশের ঘরে গিয়ে দেখে, ছেলেটা এক মনে চেসের বোর্ড সাজাচ্ছে। অদিতিকে বলল, "খেলবে? জানো খেলতে? আমি শিখিয়ে দেব?"
    অদিতি তো ভাবতেই পারছে না ঐ আন্টিটার ছেলে হয়েও অদিতির কোনো জিনিস চাইছে না, বরং অদিতিকে নতুন বোর্ড গেম শিখিয়ে দিতে চাইছে! অদিতি তখন অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করেছে "তুমি কি সত্যিই ঐ আন্টিটার ছেলে? কই তুমি তো একটু আর্গু করছো না আমার সাথে! আর তোমার মা! সে সর্ব্বক্ষণ আমাকে বিরক্ত করে, আমার জিনিস চায়। একটা অ্যাডাল্ট হয়ে একটা ছোট মেয়ের জিনিস চায়! জানো? তুমি একটু তোমার মায়ের সাথে কথা বলতে পারো? তোমার মাকে বোঝাতে পারো, আমার সাথে এত ঝগড়া না করতে? আমি আর পারছি না। প্লিজ, একটু নিজের মা-কে বোঝাও।" ছেলেটা একা একাই চেস খেলতে খেলতে একটু একটু হাসছিল, আর বলেছিল "ওকে। বলব।"

    তারপর যেই না মিটিংটা শেষ হয়েছে, ওদের মা-রা বেরিয়ে এসেছে। ছেলেটা নিজের মাকে গিয়ে বলল "জানো তো, অদিতি তোমার নামে কমপ্লেইন করছিল, বলছিল তুমি ওর জিনিস চাও, ওর সঙ্গে আর্গু কর। এটা কীরকম অদ্ভুত ব্যাপার। পেরেন্ট্সরা তাদের ছেলেমেয়েদের নামে এসব কমপ্লেইন পায়। আর আমি আমার মায়ের নামে পাচ্ছি! মা, তুমি একটা এত ছোট মেয়ের সাথে ঝগড়া কর!" অদিতি পাশে দাঁড়িয়ে শুনল সবটা। তারপর নিজের মা-কে বলল, "আন্টিটাকে বলো, নিজের ছেলের মত ভালো হতে, দেখে শিখতে।" সেই শুনে আন্টিটা আবার হেসে হেসে গড়াতে লাগল। অদিতির মা-ও।
  • শ্রী সদা | 132.176.98.243 | ২৪ জানুয়ারি ২০১৩ ১৪:০৫440665
  • দারুন!
  • kumu | 132.160.159.184 | ২৪ জানুয়ারি ২০১৩ ১৪:২০440666
  • ঋভুর ব্যাক্তিত্ব দেখে অভিভূত হয়ে গেলাম,আট্টু বড় হলেই মেয়েরা পটাপট ওর প্রেমে পড়বে।
  • jhumjhumi | 127.194.246.202 | ২৪ জানুয়ারি ২০১৩ ১৮:০৭440667
  • ব্যাঙদি, আমার মেয়ে এতক্ষণ আমার সাথে তোমার লেখাটা পড়ছিল, শেষে হেসে গড়িয়ে পড়্ল।
    কুমুদির মন্তব্য পড়েও! ঃ-)
  • ব্যাং | 132.178.198.79 | ২৪ জানুয়ারি ২০১৩ ১৯:৪৩440668
  • ঝুমঝুমি ঃ-)

    কুমুদি, ব্যক্তিত্ব না ছাই! যত বড় হচ্ছে, তাকে তত যেন ঝাঁকে ঝাঁকে লজ্জারা এসে চেপে ধরছে। আজকাল নিজের বন্ধু ছাড়া আর কারুর সাথে কথা বলতে গেলেও জিভ জড়িয়ে যায়। শুধু বিয়েবাড়িতে যখন নিতকনেকে নিয়ে প্রবল হ্যাহ্যাহিহি করছিল লোকজন, তখন ঋভুবাবু জোর করে বেদম স্মার্ট হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু শেষ অব্দি স্মার্টনেসটি রক্ষা করতে পারেন নি। যখন ভালোমানুষ নিতকনেটিকে সব বরযাত্রীদের ফুল দেওয়ার গুরুদায়িত্ব দিয়ে, চেষ্টা করা হচ্ছিল আমাদের নিতবরটির হাতেও ফুল দেওয়ানোর, নিতবর তখন বড়দের আসল মতলবটি বুঝতে পেরে রাগেক্ষোভে ফুল নিতে অস্বীকার করেন। কিন্তু তবুও নিতকনেটি জোর করে তার হাতে ফুল গুঁজে দেওয়ায় নিতবর মেজাজ হারিয়ে সেই ফুল ফেলে দেন। সেই অসভ্যতা দেখে নিতবরের মা লজ্জায়-অপমানে ছেলেকে অভিশাপ দিয়ে বসেন, "দেখবি একদিন মেয়েরা আর তোর দিকে ফিরেও তাকবে না। আজ এত বড় অসভ্যতাটা করলি তো!" নিতবর কান্না কান্না গলায় বলেন, "হ্যাঁ আমি ফুলটা নিতাম, আর তোমরা ফটো তুলে ফেসবুকে পোস্ট করে দিতে তো! তারপর কি আর আমি বাঁচতে পারতাম!"
  • কৃশানু | 213.147.88.10 | ২৪ জানুয়ারি ২০১৩ ২১:৫১440669
  • ওফ - এক সে বড়কর এক!!
  • | 233.229.222.76 | ২৪ জানুয়ারি ২০১৩ ২২:৪৬440670
  • পোতিভা পোতিভা। ব্যাঙের ছেলে যাকে বলে টোটাল ঃ))
  • jhumjhumi | 127.194.253.236 | ২৫ জানুয়ারি ২০১৩ ১৩:৩১440671
  • কাল মেয়ে স্কুল থেকে ফিরে বল্লো, 'জানো মা, শিঞ্জিনি আজ কি করছিলো? রুঙ্গসিতাকে জড়িয়ে ধরে বলছিল আমরা এখন প্রেম করছি, কেউ ডিস্টার্ব করিস না। এসব কি ঠিক? বাজে মেয়ে' । আমি আর কি বলবো, হাঁ হয়েতাকিয়ে আছি!!
  • | 214.130.244.200 | ২৫ জানুয়ারি ২০১৩ ১৩:৩৫440672
  • ঃ)))
  • Du | 127.194.198.160 | ২৭ জানুয়ারি ২০১৩ ১০:৩০440674
  • কুমুদির সাথে একমত ঃ)) । তবে ফেসবুকে তেনার ছবি পোস্ট করা অচিরেই আমাকে বন্ধ করতে হবে।
  • Blank | 69.93.241.69 | ২৭ জানুয়ারি ২০১৩ ১৩:৩৯440676
  • ব্যাংদির গপ্পটা দারুন। আর ঋভু খুব ভাল ছেলে। ওনেক ড্রাগনের ডিম জমিয়েছে
  • Abhyu | 85.137.8.90 | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ০২:১৪440677
  • আমার ভাইপো
  • raatri | 24.96.11.42 | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ০২:২৮440678
  • টুংকাইবাবুর আপাততঃ ছুটি।রেজাল্ট বেরোনো অবধি,তারপর আবার নতুন ক্লাস শুরু হওয়া অবধি দিদিভাই আর দিদান বাড়ি ঘুরে বেড়ানো।নয়তো মা আপিস যাবে কি করে!!মা-বাবার মন খারাপ!!বোকা মাটা বলে কি না-টুংকাই ক্লাস ফোর হলে তুই একা একাই থেকে যাবি বাড়িতে।আর এ বাড়ি ও বাড়ি করতে হবে না,ঠিকাছে??গম্ভীর উত্তর আসে-এখনো তো ফোর হতে অনেক দেরী।এখন থেকে এই আলোচনাটা করে কি লাভ?
  • kk | 78.47.250.76 | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ০৪:১৯440679
  • টুংকাই খুব ঠিক কথা বলেছে। এইরকম অ্যাটিটিউডটাই সব্বার হওয়া উচিত।
  • raatri | 24.96.134.42 | ০৭ মার্চ ২০১৩ ২৩:৪৬440680
  • স্থানঃকলিকাতাস্থ এক গৃহস্থবাটী
    কালঃরাত্রি সাড়ে দশ ঘটিকা
    পাত্র-পাত্রীঃশ্রীমান টুংকাই ও তাহার মাতা-পিতা

    টুংকাই-এর পিতা শয্যায় অর্ধশায়িত অবস্থায় আধুনিক মানবসন্তানদিগের সর্বাধিক প্রিয় যন্ত্রসখাকে সম্মুখে রাখিয়া দেশে-বিদেশে সমান আদৃত,অতি জনপ্রিয় এক বৈদ্যুতিন-সাময়িকী পাঠে রত।মধ্যে মধ্যে তাহার ওষ্ঠে হাসি দেখা যাইতেছে,কখনো বা মুখমন্ডলে ভ্রূকুটি।পার্শ্বে শ্রীমান- কী যে করিতেছেন বা ভাবিতেছেন,তাহা তিনিই জানেন।অবশ্য,যাহারা উহাকে জানেন তাহারা সহজেই অনুমান করিতে পারেন যে,বেন টেন নামক কাল্পনিক কিশোরই অধুনা শ্রীমানের মন ও মস্তিস্ক ব্যাপিয়া বিরাজ করিতেছে।
    রঙ্গমঞ্চে মাতার প্রবেশ ও পিতার উদ্দেশ্যে নাতিদীর্ঘ প্রশ্ন-'বাড়বো?'
    তত্ক্ষণাৎ শ্রীমানের কল্পলোক হইতে অবতরণ ও উত্তর-'নাঃ!আর বাড়তে হবে না।এই রকমই থাকো।'
  • sosen | 111.63.164.22 | ০৭ মার্চ ২০১৩ ২৩:৪৮440682
  • হা: হা: হা:
  • ব্যাং | 132.178.207.136 | ০৭ মার্চ ২০১৩ ২৩:৪৮440681
  • ঃ-))
  • | 24.96.178.40 | ০৭ মার্চ ২০১৩ ২৩:৪৯440683
  • :-))))
  • কৃশানু | 213.147.88.10 | ০৭ মার্চ ২০১৩ ২৩:৫০440685
  • ওরে:!!!
  • Blank | 69.93.244.154 | ০৭ মার্চ ২০১৩ ২৩:৫০440684
  • :-D :-D
  • pi | 78.48.231.217 | ০৭ মার্চ ২০১৩ ২৩:৫২440687
  • বঢ়িয়া !
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন