এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বন্দুক - ডিডিদার অনুরোধে

    Hukomukho
    অন্যান্য | ২০ মার্চ ২০১০ | ১৫৯৭০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Hukomukho | 76.111.94.232 | ০৬ মে ২০১০ ০০:০৭443274
  • একটু পাতা ঊল্টে দেখবেন প্লিজ ? বোর এবং ক্যালিবারের ফান্ডা আগেই আলোচনা করেছি ।
  • Lama | 203.99.212.54 | ০৬ মে ২০১০ ১১:০১443275
  • হুকোদা একখান বোকা প্রশ্ন ছিল- ছোটবেলায় এন সি সিতে পয়েন্ট টু টু রাইফেল চালাতে দিত। পাড়ার দাদা স্থানীয় দু একজনের মুখে শুনেছি ওতে নাকি পাখি ছাড়া কিছু মরে না।এটা কি সত্যি?

    যতই ছোট বোর, বা হালকা হোক, after all রাইফেল । বনবন করে ঘুরতে ঘুরতে গুলি বেরোবে এবং যে গতিতে বেরোবে, মানুষ মারার ক্ষমতা তার থাকার কথা (যদি ফান্ডাটা ঠিকঠাক বুঝে থাকি)। মানছি হাতি মারা যাবে না।

    তবে কলেজে পড়ার সময় এন সি সিতে থ্রি নট থ্রি, কখনো সখনো শটগান (ব্যাংকের দারোয়ানদের কাছে যেটা থাকে), কারবাইন (কালো বেঁটে মত, ফুটো ফুটো) আর রিভলভার (স্মিথ অ্যান্ড উইলসনের তৈরি, বহু পুরনো কাঠের বাঁট- কি সুন্দর তেল তেল গন্ধ) চালাতে দিত- থ্রি নট থ্রির মারণক্ষমতা সম্পর্কে পুরো পেত্যয় আছে।
  • Hukomukho | 198.184.5.252 | ০৬ মে ২০১০ ২১:১৯443276
  • লামাভাই , প্রশ্নটা একদমই বোকা বোকা নয় বরং সেই পাড়ার দাদাদের কথা শুনে তাদেরকে বোকা** বলে গাল পারতে ইচ্ছা করছে, তারা যদি .22 Air Rifle আর .22LR এর তফাৎ না বোঝেন তাহলে তাদের এই নিয়ে কোন মন্তব্য না করাই উচিত। আর যদি বুঝেই মন্তব্য করেন তাহলে তাদের জেনে রাখা ভাল যে .22 দিয়ে মানুষ তো কোন ছাড় আস্ত লেপার্ডকে এক গুলিতে ঠান্ডা করে দেওয়া যায়। আমার বাবা CZ Brno .22 Rifle দিয়ে লেপার্ড শিকার করে বেড়াতেন,ঘাটশিলাতে মারা এরকম একটি লেপার্ডের সাইজ প্রায় ছোটখাট বাছুরের মতন ছিল, যাকে তেড়ে আসা অবস্থায় .22 Eley Cartridge এক গুলিতে থামিয়ে দিয়েছিল, ব্রেন্‌শ্‌ট অবশ্যই। চিতাবাঘ , লেপার্ড এগুলো ডেঞ্জারাস গেম হিসাবে ধরা হয় আর নিজের এবং নিজের রাইফেলের উপরে অগাধ আস্থা থাকলে .22 দিয়েও কোন অসুবিধা হওয়া উচিৎ নয়। আরও শুনবেন ? জেসিকা লাল মার্ডার কেস মনে আছে ? মার্ডার ওয়েপন হল .22 ক্যালিবারের পিস্তল।
    জ্যোতিবাবুর ঘুম ভাঙ্গানোর অপরাধে সল্টলেকে শিয়াল মারতে কলকাতা পুলিশের একটা দল গিয়েছিল, তারাও ব্যবহার করেছিল .22 ক্যালিবারের রাইফেল। ৩০ বা চল্লিশের দশকে বহু সিক্রেট পুলিশ .22 ক্যালিবারের পিস্তল ব্যবহার করত , কম আওয়াজ, এবং এফেক্টিভ। বহু দীর্ঘদেহী জার্মান অফিসারকে হেলায় শুইয়ে দিয়েছে এই .22 এ তো গেল পাতি .22LR আর Hi Power Savage বলে একটি কার্টিজ আসতো সে তো কালান্তক যম। প্রায় 3500 feet/sec মাজল ভেলোসিটিতে বেরোনো এই বুলেট এক মাইল দুরে দাঁড়ানো লোককে হাসতে হাসতে ফেলে দেবে, সে গুলির আওয়াজ অবধি শুনতে পাবে না। অবশ্যই দক্ষ স্নাইপারের হাতে। তবে সব ক্ষেত্রেই একটা কথা, গুলি কোথায় মারা হল তার উপরে সে মরবে না বাঁচবে সেটা নির্ভর করবে, আর সেই হিসাবে .450/500 ডাবল এক্সপ্রেস দিয়ে লোকের পায়ে গুলি করলেও সে দিব্বি বেঁচে থাকবে।

    আর লামা ভাই একটা ছোট্ট কারেকশান করে দিই ,ওটা স্মিথ And ওয়েসন হবে উইলসন নয়, কলকাতা পুলিশ এখনো ব্যবহার করে। ভায়া তুমি And কি করে বাংলায় নামালে শিখিয়ে দিও । আমি ayaanD লিখলে অয়ান্ড হয়ে যাচ্ছে।
  • kd | 74.72.161.90 | ০৬ মে ২০১০ ২১:৪১443277
  • জোড়া ছোট a টা সিঙ্গল বড় A হ'লেই সমিস্যে খতম।

    ডি: বন্দুকের টইতে লিখচি, 'খতম' 'তটম' দিয়ে বাক্য রচনা না করলে চলে?
  • Hukomukho | 198.184.5.252 | ০৬ মে ২০১০ ২২:১৫443278
  • কেডিদা, টেস্টিং অ্যান্ড থ্যাংকু :))
  • de | 59.163.30.2 | ০৭ মে ২০১০ ১২:৫৭443279
  • অ-সা-ধা-র-ণ! কির'ম গা ছম্‌ছম কচ্চে! আরো লিখুন হুঁকোদাদা।
  • dd | 122.167.122.251 | ০৭ মে ২০১০ ২৩:২৭443280
  • অ-সা-ধা-র-অ-ন-ন-ন।
    ভিলকুল। য্যামনটি এক্সপেক্টেড আর ক্ষি।

    আর আপুনের ল্যাখ্যার ইস্টাইলটি ও দিব্ব্যি ঝরঝরে। সেটা উবরি। বা: বা: বা:।

    আরো ল্যাখেন, হুঁকো স্যার।
  • Hukomukho | 198.184.5.252 | ০৮ মে ২০১০ ০০:৪৫443281
  • ডিডিদা , ওসব ফাঁকিবাজি চলবে না, আপনার লেখা কোথায় গেল ? ২য় বিশ্বযুদ্ধের লেখাগুলো আমি ভুলিনি কিন্তু , কাজেই ওসব ছাড়ুন আমার সাথে পথে নামুন, লামা কেমন সোনা ছেলের মতো বারুদের টই খুলেছে, আর আপনি এদিকে খালি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ।
  • dd | 122.167.31.6 | ০৮ মে ২০১০ ০১:১১443282
  • না:, ফালাই নাই।
    সোনামুখ করে লম্বা লম্বা পোবোনধো লিখে যাচ্ছি, লিখেই যাচ্ছি।

    কিন্তু ছাবায় কে?

    ওসোব নিয়া ভাইবেন্না,হুঁকো স্যার, আপুনে লিখখ্যা যান। মনো মতোন।
  • Du | 65.124.26.7 | ১৩ মে ২০১০ ২১:৪৭443284
  • আমিও বন্দুকের ওপর একটা কথা শুনলাম। কেউ যদি রিভলভার তাক করে আপনার একদম সামনে এসে, ঐ রিভলভ করার পার্টটা চেপে ধরে ফেলুন সাইড থেকে। ওটা না ঘোরানো গেলে রিভলভার আর ফায়ার করে না। আর খটাখট বন্দুকটা (৯ এমেম না কি যেন) ওটার খটাখট করাটা আটকে দিতে হয়।

    এই বিশেষ অজ্ঞের মতামত দিয়ে আমি পলাইলাম। হুঁকো কারেকশন করে দেবেন। বন্দুকের থেকে বাঁচার টিপসটাও জানা ভালো, কাজে যে লাগবেনা ভরসা কি?

  • aka | 168.26.215.13 | ১৩ মে ২০১০ ২২:৪৮443285
  • দুদিও যেমন, যে বন্দুকবাজকে অত কাছে এসে গুলি চালাতে হয় তার থেকে বাঁচার সহজ উপায় হল বেশ কয়েক পায়ের দূরত্ব মেইনটেইন করা। রোজ জিমে গেলেই চলবে। :))
  • Hukomukho | 76.111.94.232 | ১৩ মে ২০১০ ২৩:৫৪443286
  • Du বাঁচার টিপস আমি দিতে পারি তবে তা হাতে কলমে করে দেখানই ভালো। বন্দুকের সম্পূর্ণ ফাংশনিং জানা থাকলে তাকে জ্যাম করে দেওয়া যায় যদি সেই সুযোগ থাকে অবশ্য। আপনি যা লিখেছেন তা পুরোটা সত্যি নয়। রিভলভার অলরেডি ককড থাকলে তা রিভলভ না করেও ফায়ার করবে। পিস্তলের ক্ষেত্রেও স্লাইড পরে পেছনে আসে , আগে ফায়ার হয়, কাজেই আপনি যখন স্লাইড আটকাবেন তখ্‌ন গুলি অলরেডি ছুটে গেছে , গুলি গায়ে না লাগলে স্লাইড আটকে পরের গুলি চেম্বারে লোড করা আটকানো যেতে পারে তবে তা অনেক পরের কথা। এভাবে কাগজ কলমে ফান্ডা দেওয়ার থেকে ডেমো দেওয়া অনেক বেটার। তবে মনে রাখবেন বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে এইসব অস্ত্রর চেয়ে সিঙ্গল সটার বা পাইপগানের মুখোমুখি হওয়ার চান্স বেশী, বেশীর ভাগ সময়ে হ্যামারটাকে (যা গুলির উপরে পড়ে তার পারকশান ক্যাপটাকে ফাটায়) হাত দিয়ে চেপে ধরলে , যাতে সে আর উপরে উঠে নিচে পড়ার সুযোগ না পায়, বা অলরেডি উঠে থাকলে তাকে হঠাৎ করে নিচে নামতে না দেওয়া , তাহলেই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কেল্লা ফতে হয়ে যাবে।
  • Du | 65.124.26.7 | ১৪ মে ২০১০ ০০:১৭443287
  • থ্যাংকু, হুঁকো
  • Hukomukho | 76.111.94.232 | ১৪ মে ২০১০ ০০:১৮443288
  • আরেকটা কারেকশান, হ্যামারলেস মডেলে এই টিপ্স খাটবে না, তবে সে জিনিষ পাড়ার ছিঁচকেদের হাতে দেখার সম্ভাবনা অনেক কম। সাথে পিপার স্প্রে রাখার চেষ্টা করুন , কাজে দেবে, স্টান গান আমাদের দেশে বোধহয় বে আইনী, নাহলে তাই রেকমেন্ড করতুম , কিছু না হলে বাড়িতে পাওয়ারফুল এয়ার রাইফেল কিনে রাখুন, সম্ভব হলে বিদেশী জার্মান মেক , ওতে লাইসেন্স লাগে না , সম্পুর্ণ আইনি, এবং খুব একটা হেলাফেলার জিনিষ নয়। ভালো কথা যারা বিদেশে আছেন তারা ফেরার সময়ে নিজের সাথে এয়ার রাইফেল /পিস্তল নিয়ে ফিরতে পারেন, এটি সম্পুর্ণ বৈধ এবং ডিউটি ফ্রি। কাস্টমসের রুল এবং অন্যান্য বৈধ কাগজ নেটে পাওয়া যায়, নাহলে আমাকে বলবেন আমি পাঠিয়ে দেব। এবং আমাদের দেশে এয়ার রাইফেল রাখতে (দেশী ও বিদেশী ) লাইন্সেসের দরকার পড়ে না।
  • Nina | 64.56.33.254 | ১৪ মে ২০১০ ০১:১৩443289
  • বকুনি খাব জানি তবু দু কে একটা কথা না জানিয়ে পারছিনা--মানে ঐ যে আকা বল্লেন রোজ জিমে গেলেই চলবে---
    এখানে কলকাতা থেকে 'অমুকদা' (নামটা বলবনা নামি লোক) সদ্য এসেছেন। বনেদি বাড়ীর ছেলে , ভাল ইনজিনীয়র, ভাল চাকরী, সঙ্গে আছে শেখর, সে ও সদ্য এসেছে, সবে পাশ করে --অমুকদা ও শেখর যাচ্ছে ফিলাডেল্ফিয়ায় অ্যাপার্টমেন্ট দেখতে--জায়গাটা একটু কালোদের, অন্ধকার হয়ে আসছে--
    অমুকদা বল্লেন শেখর সাবধানে চোখ কান খোলা রেখে হাঁটবি--কোনও সন্দেহ হলেই জোরে এঁকে বেঁকে ছুটবি"
    শেখর তাজ্জব--বলে এঁকেবেঁকে কেন অমুকদা?
    অমুকদা রাগে ফেটে পড়ে--
    গর্দভ কালোরা হাতে বন্দুক রাখে, যদি গুলি চালায় তো গুলি তো সোজা আসবে নাকি?
  • Du | 65.124.26.7 | ১৪ মে ২০১০ ০২:০০443290
  • আরে না না নীনাদি, আমি এত ডেসপারেট না বেঁচে থাকার জন্য :)
  • Lama | 203.99.212.54 | ১৪ মে ২০১০ ১১:৪০443291
  • হুকোদা, শক্তিশালী এয়ার রাইফেল যেটা বললেন সেটা কলকাতায় পাওয়া যায়? পাওয়া গেলে কোথায়? কেনার পদ্ধতি কি? দাম কত?
  • Hukomukho | 198.184.5.252 | ০৪ জুন ২০১০ ২০:২০443292
  • সরি ভায়া, কিছুদিন বেপাত্তা ছিলাম, কলকাতায় পাওয়া চাপ আছে , সরাসরি বাইরে থেকে আনাতে পারলেই ভালো । ডায়না, RWS বা Weihrauch বা Air Arms এগুলো বেশ শক্তিশালী তবে ৫০০ থেকে ৬০০ ডলার মতন দাম , কলকাতায় পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। আমি একজন কে চিনি তিনি ব্র্যান্ড নিউ ডায়না বেচেন আনুমানিক ৩০০০০ থেকে ৪০০০০ টাকা মতন দাম ছিল পাঁচ বছর আগে। এখন হয়তো আরো বেশি হবে। কলকাতায় ধর্মতলায় বন্দুকের দোকানে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন ওদের কাছে অনেক সময় সেকেন্ড হ্যান্ড ডায়না আসে তবে রিডিকুলাস প্রাইস ডিমান্ড করে। আর অভিঞ্‌গ কাউকে নিয়ে যাওয়াই ভালো নাহলে ঠকার সম্ভাবনা ষোলো আনা। নাহলে আপনি দেশি মানে ইন্ডিয়ান ব্র্যান্ড নিতে পারেন বেস্ট হচ্ছে IHP বা ন্যাশনাল বলে একটা কম্পানি , দাম পড়বে ৩৫০০ টাকার আশে পাশে। কেনার পদ্ধতি সোজা সাপটা, যাবেন , পছন্দ করবেন, দরাদরি করে দাম দেবেন, বন্দুক নিয়ে বেরিয়ে আসবেন। No License , No Paperwork , nothing হ্যাঁ ক্যাশমেমো অতি অবশ্যই নেবেন। আর এই পদ্ধতি সুধুমাত্র এয়ার রাইফেলের জন্য। ফায়ার আর্মসের গল্প অকল্পনীয় কঠিন ও দুরহ।
  • Bollram ji | 117.254.247.190 | ০৫ জুন ২০১০ ০১:২১443293
  • হুঁকোদা,

    আমাদের মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চিরকালই বলে আসছেন হিংসা ছাড়লেই বিদ্রোহীদের সঙ্গে উনি কথা বলতে রাজি... বন্দুক না ছাড়লেও হবে। একথা তো গতকালও বলেছেন স্বামী অগ্নিবেশ আর উনি দুজনে মিলে। কাজেই আপনি আপনার এই বন্দুকের টইটাকে আবার চাঙ্গা করে তোলার এবং হাওয়া-বন্দুক কেনার হুজুগ তোলার সময়টা মোক্ষম বেছেছেন। আমার অবশ্য হিংসা ও বন্দুক দুটৈ অপছন্দ।

    আমার বয়স যখন বছর গোটা দশেক, তখন আমার বাবা আমায় একটা AirPistol দিয়ে বসেছিলেন মূলত: কাক তাড়াতে। ঠাকুমার দূয়া বড়ি কেবল কাকে নিয়ে যেত কিনা!! বাবা ঠাকুমার হাতের বড়ির ঝোলের বেজায় ভক্ত ছিলেন। বন্দুকটা পুরোপুরি দিশি - নাম CanonLP-15..নেহাতই পাতি এয়ারপিস্তল, আপনার তালিকায় তার নাম ওঠার কৌলীন্য নেই। সেটার গুলিটা বাঁ দিকে বেঁকে যেত নল থেকে বেরোনোর পর থেকেই। আমি অবশ্য তাতেই হাত পাকিয়ে ফেলেছিলাম বেশ। বৌবাজারে রাস্তার এপারে (মহাকরনের ফুটপাথে) আমার বাড়ি, কিন্তু আমি দিব্যি ঐ বন্দুক দিয়ে বৌবাজারের রাস্তা পার করে উল্টোদিকের সদানন্দবাবুর বাড়ির বারান্দার আলসেতে রাখা স্টীলের গ্লাস ফেলে দিতাম। বাবার ভয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে ফেলতাম বলে এবং বৌবাজারের ব্যাস্ত রাস্তার আওয়াজে আমার বন্দুকের শব্দ চাপা পড়ে যেত বলে ওরা বুঝতে পারতেন না যে বাচ্চাটার দুধের গেলাস বারান্দায় রেখে ঘরে গেলেই সেটা কেবল পড়ে পড়ে যায় কেন। শুধু পড়ে যাওয়াই নয়, গেলাসটাতে নিশ্চয় টোলও পড়ে যাচ্ছিল আমার গুলির ধাক্কায়। গেলাসটাকে বাঁচাতেই হোক বা ভূতের ভয়েই হোক কিছুদিন পর থেকে সদানন্দবাবুরা বারান্দর আলসেতে গেলাস রাখা একেবারে বন্ধই করে দিলেন।

    আমিও গেলাসের মত চকচকে বড়সড় টার্গেটের অভাবে জড় পদার্থ থেকে জীবের দিকে দৃষ্টি ফেরালাম, আসলে তখন বেজায় ছোট তো, জীবের ওপর প্রেম করার বয়স তো সেটা নয়। কিন্তু তারপর যা ঘটল তাতে আমার নিজের এবং বন্দুকের প্রতি আমার ভারী বিতৃষ্ণা জন্মাল।

    গেলাস গেলে পরে আমি আমার বাড়ির টিকটিকিগুলোকে টার্গেট করা শুরু করলাম। অচিরেই ঐ বাঁ দিকে টাল খাওয়া বন্দুক দিয়েই আমি ছাদে বসা (কিম্বা দাঁড়নো) টিকটিকি গুলোকে একেবারে আপনার ভাষায় 'ব্রেনশট' করে দিতে শুরু করলাম। এমনই শট যে ব্যাটারা দেওয়াল থেকে পড়তেও পেত না.. ঝুলে ঝুলেই শেষ। এতেও কিন্তু আমার অনুতাপ জাগে নি.. বললাম না .. বেজায় ছোট তো!!
    আমাদের বাড়ির ছাত কিন্তু প্রায় ১৮ ফুট উঁচু - ২৫০ বছরের পুরোন বৃটিশ বাড়ি কিনা।

    এবার বলি এহেন সাফল্যের পরেও আমার বন্দুক (ও হিংসায়) বিতৃষ্ণা জাগল কেন..
    কয়েকমাস টিকটিকি নিধনের পর পুরো ৪৭এর পল্লীর সমস্ত টিকটিকি বেজায় ভয় পেয়ে গেল এবং আমাকে দেখতে পেলেই দুদ্দাড়িয়ে পালাতে লাগল। আমি প্রথমে বুঝতে পারি নি.. ভেবেছিলাম শুধু আমার বাড়ির টিকটিকিদের ক্ষেত্রেই ব্যাপারটা ঘটেছে.. কিন্তু দু দিনেই আসল বেপারটা বুঝতে পারলাম যখন দেখলাম সদানন্দবাবুদের বাড়ির বা ড: পাকড়াসীর বাড়ির টিকটিকিগুলো পর্যন্ত আমাকে দেখলেই পালাচ্ছে আমি ওনাদের বাড়ি গেলেই। আমি তো আগেই বলেছি আমার বাড়ির উল্টোদিকের ফুটপাথে সদানন্দবাবুদের বাড়ী, ড. পাকড়াসীদের বাড়িও একেবারে বৌবাজারের মোড়ের মাথাতেই.. সামনে বিরাট কালো সাইনবোর্ড টাঙ্গানো ছিল বাবলিদার বাবা টাটবাবুর হাতে লেখা, আপনাদের কারো কারো মনে থাকতে পারে। এই সব পাড়াশুদ্ধু সব টিকটিকির ভয় পেয়ে যাওয়া আমার ছোট্ট মনের ওপর বিশাল ছাপ ফেলল....... আমি সেই বয়েসেই ভালই বুঝতাম যে ঐটুকু প্রাণীর কট্টুকু ব্রেন, তারা কিনা আমাকে ঘাতক অপরাধী বলে চিহ্নিত করে ফেলেছে !! এটা বুঝেই আমি নিদারুন অনুশোচনার মধ্য দিয়ে অস্ত্রত্যাগ করলাম। ভগবান যা করেন তা মঙ্গলের জন্যই করেন। কারন, আমার এই বন্দুকবাজির খবর যেভাবে টিকটিকি মহলে চাউর হয়ে গিয়েছিল সেটা টিকটিকিদের হেড আপিসে পৌঁছাতেও বেশী সময় লাগত না। আমার বাড়ি আর মহাকরনের মাঝখানেই তো পড়ে সেটা.... একই ফুটপাথে।

    বাবা আর না থাকলেও এয়ার পিস্তলটা দিব্যি চকচকে রয়ে গেছে … কারন ব্যবহার না করলেও যত্ন করি ওটার নিয়মিত। আজ চালসে পড়া চোখে তিমিমাছ এলেও বোধ হয় 'ব্রেনশট' করতে পারব না। কিন্তু তাও আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে এই অশান্ত বাংলায় আরো ৩০ বছর বাস যখন করতেই হবে তখন একটা WeihrauchHW45 আনিয়ে নিই না কেন। বন্ধু বান্ধব তো সব সময়েই দেশবিদেশে যাতায়াত করছে। জিনিসটা ঠিক হবে কিনা একটু দ করে জানাবেন। দামটা অবশ্য খুবই বেশী.. (কিন্তু, প্রানের চেয়ে তো বেশী নয়)।

    যখন আমি রীতিমত কলেজে পড়ি তখন আমার মামাতো ভাই আমার বন্দুকটা বাগাবার চেষ্টা করেছিল.. ও আমার চেয়ে মোটে বছর দুয়েকের ছোট। কিন্তু আসামে জন্ম এবং সেখানেই বড় হয়েছে বলে অসম্ভব বন্দুকপ্রেমী। আমার মতে ওখানকার ঐ জেনারেশনের সবাই তাই। ও একদিন লালবাজারের একটা দোকানে একটা এয়ার রাইফেল দেখে এসে গল্প করেছিল যে সেটা নাকি এয়ারে নয় CO2 তে চলে। এবং তার আওয়াজ নাকি ভারী মিষ্টি .. চুইইইইঁম করে একটা শব্দ হয় শুধু। আর, বারে বারে নল ভেঙ্গে হাওয়া ঢোকানোরও ঝামেলা নেই .. পটাপট গুলি চালাও। একটা CO2 র সিলিন্ডার এ ২০০০ বার চালানো যায়। আপনার বলা নামগুলো গুগলাতে গিয়ে বেশ কিছু লিঙ্ক পেলাম যেগুলো নামী কোম্পানীর বন্দুকের এয়ারগান ভার্সান – কিন্তু ঐ CO2 তে চলা। এগুলো সম্ভবত: আসল চালানোর আগে হাত মক্সো করার জন্য... তাই না ?? এ বিষয়ে একটু আলোকপাত করবেন ? এগুলোর MuzzleVelocity তো বেশ বেশীই দেখছি। আর শেষ প্রশ্ন-- এই CO2 চালিত গান গুলো আনাতে গেলে কি ডিউটি লাগবে, না ডিউটি ফ্রি?
  • dd | 122.166.130.234 | ১২ জুন ২০১০ ০০:১৩443295
  • হেঁইও।
    তুল্লাম।

    বাপ্রে বাপ, এই হুঁকোস্যার যে ক্ষি অলস, ক্ষী অলস, ক্ষী: অলস, সে আর ক্ষি কইবো ?
  • Hukomukho | 198.184.5.252 | ১২ জুন ২০১০ ০১:৫৭443296
  • বলরাম বাবু , প্রথমে একটা কথা পরিষ্কার করে রাখা ভালো আমি কাউকে বন্দুক কেনার জন্য মাথার দিব্যি দিয়ে রাখি নি। আর আমার বন্দুকের ডিলারশিপ ও নেই যে বন্দুক বিক্রি হলে আমি দু পয়সা কমিশন পাবো । কাজেই আপনার বন্দুকের প্রতি এত ঘৃণা জন্মে থাকলে সেই পথে আর নতুন করে আর নাই বা হাঁটলেন।

    বন্দুকপ্রেমী মানেই হিংস্র আর বন্দুক ছাড়া সবাই নিরীহ এটা আমার মনে হয় না আর আমি হিংসা আর আত্মরক্ষা কে আলাদা করে ভাবতেই ভালবাসি। ডিফেন্সে আমাদের একটা কথা শেখানো হত, যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকাই শান্তি বজায় রাখার শ্রেষ্ঠ উপায়। আমি মনে করি সেটা খুব একটা ভুল নয়।

    একটা কথা না বলে পারছি না , অস্ত্র ধারণের আগে তাকে তার যোগ্য করে তুলতে হয়। আপনার অপরিণামদর্শী আচরণের দায় আপনার নিজেরই বা শুনতে খারাপ লাগলেও আপনার বাবার। যিনি আপনাকে ছোটবেলায় এয়ার পিস্তল কিনে দিয়েছিলেন কিন্তু তা কিভাবে ব্যবহার হচ্ছে তা আর খোঁজ নেন নি। আমার মনে হয় এয়ার পিস্তলের জায়গায় আপনাকে গুলতি কিনে দিলে চিত্রটা খুব একটা বদলাত না। শুধু তখন দোষের দায়টা আপনি নিজের ঘাড় থেকে নামিয়ে গুলতির ঘাড়ে ফেলতেন এই যা। বা ধরা যাক আপনাকে গাড়ি কিনে দেওয়া হল আর আপনি গাড়ি চালাবার কোন নিয়ম কানুন না মেনে ( বন্দুকের ক্ষেত্রে যেমন কোন সেফটি রুলই মানেন নি) লোকজন চাপা দিয়ে দিলেন এবং পরে প্রচুর অনুশোচনা করে সব দোষ গাড়ির ঘাড়ে দিয়ে বললেন গাড়ি ভারি খারাপ জিনিষ, আমার নিজের ও গাড়ির প্রতি ভারি বিতৃষ্ণা জন্মেছে। আচ্ছা ভালো কথা একটা ভালো মার্সিডিজ গাড়ি কত পড়বে বলতে পারেন ?

    যাক গে পোস্ট অযথা দীর্ঘ করে লাভ নেই আপনার মনে হওয়া বা প্রতিবেশীর বাড়ি গুলি ছোড়া আমি আটকাতে পারব না, তাই যা জানতে চেয়েছেন তা বলে দিচ্ছি। এয়ার পিস্তল দিয়ে মানুষ মরবে না বড়জোর কিছু চোট পাবে, লাঠি দিয়ে মারলে চোট আরো বেশী পাবে। HW45 অন্যতম বেস্ট পিস্তল কিন্তু আত্মরক্ষার জন্য নয় জেনারেল প্লিংকিং এবং টারগেট প্র্যাক্টিসের জন্য। প্লেনে এলে .177 Cal এর জন্য কোন অসুবিধা হওয়া উচিত নয়। রাইফেল ক্লাবের মেম্বার না হলে অনেক সময় ৩০% ডিউটি দিতে হয় কিন্তু আইন অনুযায়ী আপনি আনতে পারেন .177 cal only. Co2 ভার্সন ও আসল ফায়ার আর্মসে অনেক তফাৎ তবে হাত মকসো করার জন্য আপনার অকুলীন Canon এও কাজ চলে যাবে । ওদের মালিক কে বলবেন (ভারি ভদ্র অমায়িক ও অহিংস্র লোক বলেই চিনি) ওদের LG 65 মডেলটা দিতে , ওদের কোম্পানিও কলকাতার আর আপনার নাগালের মধ্যেই। Co2 গান আনতে নিয়ম আলাদা নয় একি নিয়ম শুধু কলকাতায় সেটা কি করে রিফিল করবেন সেটা ভালো করে দেখে নিন। আর এয়ার লাইন্সে আপনাকে বা আপনার বন্ধুকে Co2 filled Cylinder নিয়ে নাও উঠতে দিতে পারে কারণ সেটা লো এয়ার প্রেসারে বা হাই অল্টিচিউডে বার্স্ট করতে পারে।
  • Bollram ji | 117.254.247.172 | ১২ জুন ২০১০ ১৩:১৭443297
  • আসলে ব্যাপার কি জানেন। অজ্ঞতা.... আমার বাবাও অতটা ভাবেন নি, জানলে, মানুষ তবেই ভাবে। বাবা বন্দুকটা দেবার পর (কাক ছাড়া) কোন প্রানীর ওপর চালাতে নিষেধ করেছিলেন, আর বলেছিলেন চালাবার সময় টার্গেটের পেছনে কি আছে সেটার দিকে লক্ষ্য রাখতে.. যাতে ফসকানো গুলিতে অন্য কিছুর ক্ষতি না হয়। এই উপদেশগুলো তো আমি মেনেই চলতাম মোটামুটি। শুধু একবার প্রাননাশের পাশবিক আনন্দের স্বাদ পাওয়ার পর .. মাস দুয়েক প্রথম উপদেশটা আমি লঙ্ঘন করি। কাকেদের আবশ্য ঐ LP-15 এ বড় কোন ক্ষতি হত না। যদিও বন্দুকটা আমাকে কিনে দেওয়ায় কাকের সমস্যাটার সমাধান হয়েছিল। বাবার সেটাই মূল উদ্দেশ্য ছিল। আর আমিও বড় কোন অঘটন ঘটাই নি যে বাবার এদিকে দৃষ্টি পড়বে। নিদেনপক্ষে আপনার ঐ বাঙ্গালী ছানাটির মত মাঝারী মাপের কোন দুর্ঘটনা ঘটালেও বা কথা ছিল। আমাদের এই বৌ বাজারে মানুষের প্রানেরই বা কি দাম যে মনুষ্যেতর টিকটিকির প্রান নিয়ে কেউ মাথা ঘামাবে। জানতে পারলে অবশ্য বাবা বা মা ঘামাতেন কিন্তু তাঁরা জানতে পারেন নি। বুঝতেই পারছেন .. কাজটা যে গড়িত হচ্ছে সেটা সম্বন্ধে আমার ঐ বয়সেই টনটনে জ্ঞান ছিল। আমার শিকারদের ঘাড়ে পা দিয়ে ছবি তুলিয়ে দেওয়ালে তো টাঙ্গিয়ে রাখি নি কোনদিন।

    আমার অতীতের কৃতকর্ম নিয়ে আমি যে বেজায় অনুতপ্ত সে তো আপনাদের বোঝা উচিত। নয়তো আমি কি এতদিন অস্ত্র সংবরন করে থাকতে পারতাম ? অবশ্য টিকটিকিদের কাছে আমার যেমন একটা সন্ত্রাসবাদী ভাবমূর্তি ছিল, আমার পাড়ার বেড়ালদের মধ্যে কিন্তু তা ছিল না। বিশেষত: পাড়ার পুষিদের কাছে আমার বেশ একটা রবিনহুড ইমেজই ছিল। আমাদের বাড়ীর পুষিটা ছিল এক্কেবারে সততার প্রতীক... ভাজা মাছটি কোনদিন উল্টে খেত না। তার ছানাদের, পাড়ার হুলোদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ঐ টিকটিকির ঘটনার পরেও একাধিকবার আমার বন্দুক গর্জে উঠেছে। আমার পুষির বহু সন্তানই আজ বৌবাজারের মাছের বাজারে রাজত্ব করে চলেছে । আমার ঐ বন্দুকের নলই তাদের শক্তির উত্‌স। হুলোদের দমন করতে আমি আর সীসের গুলি ব্যবহার করি নি। বন্দুকের নলে মুড়ি ভরে তাই ব্যবহার করতাম। রবার বুলেটের ভারতীয় সংস্করণ বলতে পারেন। তখন আমি ঘোর গান্ধীবাদী... একেবারে Gandhianwithair-gun.

    আর …. আপনি যা বলেছেন তা সত্যি... মানে ঐ মার্সিডিজের ব্যাপারটা.. লেখার সময় আমার নিজেরই ঐ পরস্পরবিরোধীতা খেয়ালে এসেছে । কিন্তু একেই বোধহয় ইংরাজীতে বলে love-haterelationship. আমার দেখা যাচ্ছে বন্দুকের সঙ্গে ঐ সম্পর্কই রয়েছে। তবে স্বীকার করছি …HW45 যে একেবারে মর্সিডিজের সঙ্গে তুলনীয় তা বুঝি নি। গুগলানোর শুরুতেই একেবারে ওটা বেরোল কিনা।

    তবে টার্গেট প্‌র্‌যকটিসের আমার খুব একটা দরকার নেই .. অন্তত অত দাম দিয়ে। এমনকি মানুষকে বড় ধরনের আঘাত করারও নয়। অবশ্য সে দরকার হলেও হতে পারে কখনও দৈবাত। আমি শুরু থেকেই আপনাদের এই লেখার মূল ভাবনার সঙ্গে একমত। এই লেখায় কখনও সখনও কত গুলিতে কত মানুষ মরে এমন কথা উঠলেও মূল ভাবটি কিন্তু জ্ঞানার্জন বা আত্মরক্ষা, অথবা দুটৈ। বন্দুক যে কত কাজে কতভাবে লাগতে পারে তা তো বলে শেষ করা যায় না। প্রায় কলমের মতই জিনিষটা সর্বোপযোগী। প্রানরক্ষা যে সবসময় কাউকে আঘাত করেই করতে হবে তা নয়। আমি উদাহরন দিচ্ছি শুনুন … কিছুদিন আগে যখন স্টীফেন হাউসে অগ্মিকান্ড ঘটল। তখন আপনারা দেখে থাকবেন ছাদে ওঠার সিঁড়ির মুখে ..প্রায় আঠেরোজন কলে পড়া ইঁদুরের মত মারা যান। কারন ছাদের দরজার কোলাপসিবল গেট টা তালাবন্ধ ছিল। সিনেমায় প্রায়ই দেখা যায় যে মহিলাদের হাতব্যাগে আত্মরক্ষার জন্য ক্ষুদে ক্ষুদে বন্দুক থাকে। ঐদিন যারা আটকে পড়েছিলেন তাদের কারো কাছে যদি নিদেনপক্ষে ওরকম একটা বন্দুকও থাকত তাহলে তারা তালাটা না ভাঙ্গুক, তালা লাগানোর Welding করা জায়গাটা ভেঙ্গে ছাদ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারতেন। পরের কথা পরে দেখা যেত। কিন্তু তাঁরা তাও পারেন নি। ঐ সময় তো আর অন্য কিছু খুঁজে আনার সময় ছিল না। হুঁকোদার কথামত Secondlineofdefense থাকার মতই বিপদে আপদে কিছুটা Firepower থাকাটাও প্রয়োজন। স্টীফেন হাউসের খবর পড়ে আমার ঠিক এই কথাই মনে হয়েছিল.. তখনও আমি হুঁকোদার এই টইটা পড়ি নি। তাই আইনসম্মত একটা Powerful কিছু থাকা আর তার ব্যবহারের মোটামুটি সতর্কতাগুলো জানা সত্যি প্রয়োজন।
    আমি ভেবেছিলাম .. হাওয়াবন্দুক নিয়ে একটু খুঁচিয়ে দিলে হয়তো হুঁকোদা দারুন কিছু মনিমুক্তো বের করবেন। যেমনটি আপনমনে আগুনেবন্দুক নিয়ে বের করে চলেছেন। তা - আমার ছোটবেলার দুষ্টুমির কথা শুনে কেবল আমাকেই বকতে লাগলেন … ঠিক যতটুকু জানতে চাইলাম .. তার চে একটা শব্দ বেশী নেইকো।

  • Lama | 203.99.212.53 | ০১ জুলাই ২০১০ ১৭:২৫443298
  • ঢিচক্যাঁও
  • dd | 124.247.203.12 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৫:৫২443299
  • অনেকদিন পর হুঁকোবাবুর গন্ধো পেয়ে ঠেলে তুল্লাম। খুব পছন্দের টই আমার, কিন্তু ল্যাখার জন্য কাবুলিওয়ালার মতন ওৎ পেতে থাকতে হয়।
  • Lama | 203.99.212.53 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৬:৩৭443300
  • ডিডিদা এটা কাজের কাজ কল্লেন।

    ঢিচক্যাঁও!
    ঢিচক্যাঁও!! ঢিচক্যাঁও!!!
  • Samik | 121.242.177.19 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৮:০৪443301
  • লামা, আর গুলি ছুঁড়ো না। ও ব্যাটা অ্যাক্কেবারে মরে গ্যাছে।
  • aka | 168.26.215.13 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৮:০৯443303
  • ও মানে ওরা বলো, তিন গোলি তিন আদমি।
  • Arya | 125.16.82.195 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১০ ১৮:০৯443302
  • লামা কিন্তু বালামুরুগনের গল্পটা শেষ করলো না, খুব অন্যায়, কেউ কিছু বলছেও না।
  • Hukomukho | 198.184.5.252 | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১০ ২০:২৮443304
  • ঠিক জানতুম ডিডিদা আর লামা তক্কে তক্কে থাকবে , আর সুযোগ পেলেই খপ করে চেপে ধরবে । আরে একা একা কি আর আলোচনা চালানো যায় ? কেউ কিস্যু বলে না বিশেষ করে ডিডিদা, বলি সব কিছু চেপে রাখলে হবে ? কথা ছিল আপনিও কিছু কিছু মাল মশলা দেবেন সে সব কোথায় গেল শুনি ??

    লামা ভাই ওত গুলি খরচা করো না। MHA সাধারন মানুষের আইনত: অস্ত্র রাখার ও আত্মরক্ষা করার অধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্য অলরেডি নতুন বিল পেশ করেছে আপাতত আমি ও আমার সঙ্গী সাথীরা তার ই বাওয়াল দিচ্ছি পার্লামেন্টে। তাই কিছু কাগজপত্র রেডি করতে হচ্ছে ভায়া আর তাতেই ব্যস্ত আছি। পারলে এবারের ইন্ডিয়া টুডেটা পড়ো Gunning for Guns আমাদের কাজ কর্মের কিছুটা জানতে পারবে ওখান থেকে। হাত একটু খালি হলেই ঝুলি খুলে বসব :))
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন