এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বন্দুক - ডিডিদার অনুরোধে

    Hukomukho
    অন্যান্য | ২০ মার্চ ২০১০ | ১৫৯৭৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Hukomukho | 183.3.44.106 | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৯:০৮443194
  • *Preliminary Try Out
  • সিংগল k | 212.142.112.58 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:১৮443195
  • যা বলেছেন হুঁকোবাবু, আমার মনে হয় প্রতিটি শ্যুটারেরই একেবারে নিজস্ব একটি করে সেফটি ফ্ল্যাগের গল্প আছে। :)
    আপনাদের ক্লাব চাদ্দিকে এই পোস্টার সাঁটিয়ে রেখেছে। কার বুকের পাটা আছে অমান্য করে।


    এই দেখুন আমাদের ছোট্ট আয়ুষ তার ক্লাব-এলিট নিয়ে বসে রয়েছে। তার ব্যারেলে আমাদের সবেধন কুমিরছানা ক্যাপাপীর ফ্ল্যাগদুটির একটি গোঁজা।


    আর এই হল আয়ুষের রাইফেলের ব্রীচের ছবি -

    খুবই ভজঘট ব্যাপার।

    আচ্ছা, আপনাদের তো অমন বিখ্যাত ক্লাব। অত রাজা-রাজড়া, জমিদার, সেপাই, মন্ত্রী সান্ত্রী তার মেম্বার। অথচ ক্লাবে ঢোকার রাস্তাটা একটু ঠিক করা যায় না? একটু বৃষ্টি হলেই তো বেশ নারকীয় পরিবেশ হয়ে থাকে। ওটা বোধহয় সরকারী জমি নয়, রাজবাড়ির জায়গা, তাই সরকার হাত দেয় না, তাই না?
    কিন্তু আমাদের সরকার যখন বিষমদের জন্য কম্পেনসেশন আর ইমামদের জন্য ভাতা দিতে পারে তখন নর্থ ক্যালকাটা রাইফেল ক্লাবের সামনের রাস্তাও, যারই প্রপার্টি হোক, একটু সারিয়ে সুরিয়ে ভদ্রস্থ করে দিতে পারবে বলেই আমার বিশ্বাস। ( ডিস্ক্লেমার: আমি ইসলাম ও মদ্যপান বিরোধী নই, সরকার বিরোধীও নই। তামাম বিশ্বের ইমাম, মদ্যপ ও দিদিদের প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন আছে।)
    স্টেট চ্যাম্পিয়নশিপের রেঞ্জে ঢোকার রাস্তার হাল -



    ছবিগুলো যখন টেলিফোন দিয়ে তুলছি, তখন আমার পেছনে এক গ্যারেজকর্মী আরেক গ্যারেজকর্মীকে বলল - এইবারে দেখবি রাস্তা ঠিক হবে।
    আমি চমকে পেছনে ঘুরে ওদের জিজ্ঞেস করলাম - হঠাত আপনাদের এরকম মনে হল কেন?? এত রাজা গজা এখান দিয়ে প্রতি সপ্তাহে আসে যায়, রাস্তা ঠিক হয় না, আর আমি কে? যে আমার ফোনে তোলা ছবিতে রাস্তা ঠিক হবে!! খবরের কাগজে ছাপলেও বা কথা ছিল।
    ওরা কিন্তু ঠাট্টা করছিল না, বেশ সিরিয়াস মুখে বলল যে - যারা আসে তারা তো কেউ রাস্তাটার ছবি তোলে না বাবু, আপনি যখন তুলছেন, এইবারে নিশ্চয় কিছু হবে।
    বাবু সেজে আমি শুধু বিষন্ন হাসলাম। কিন্তু মনে মনে বল্লাম ফুলচন্দন পড়ুক ওদের মুখে, সত্যি যেন রাস্তাটা ভাল হয়, অন্তত প্যান্টে কাদা না লাগিয়ে হেঁটে হেঁটে ঢোকার মত ভদ্রস্থ হয়। যেন আমার ছবিতেই হয়। দেরী না হয়....

    কুহেলীদি যে স্পেনে গেছেন খেলতে সে তো বোধহয় কালই লিখেছি।
    দীপেনবাবুকে সামান্যক্ষনের জন্য ফাঁকা পেয়ে বেশ খানিক গল্প করা গেল। উনি বললেন ওনার শরীর খারাপ বলে ওঁকে হাল্কা কাজ দেওয়া হয়েছে বলে নাকি ওটুকু সময় পাচ্ছেন। ওনার এই কথাটি আমার ঠিক হজম হল না। কারন ওনাকে তো সর্বত্র ছুটে বেড়াতে দেখলাম। বিশ্বাস না হয় নিজের চোখে দেখে নিন -

    পিস্তল রেঞ্জে উনি।

    পীপ সাইট এয়ার রাইফেল রেঞ্জে উনি।

    ওপেন সাইট এয়ার রাইফেল রেঞ্জেও উনি। অসুস্থ শরীরে এরকম ছোটাছুটি করে বেড়ান যদি হাল্কা কাজ হয়....

    আজ আমাকেও হাল্কা কাজ দেওয়া হয়েছিল। ফলে আমি এদিক ওদিক ঘুরে দু চাট্টি ছবি তুলতে পেরেছি। এই নিন সেগুলো -

    পয়েন্ট টুুটু কম্পিটিশন চলছে।


    পয়েন্ট টুটুর দর্শকমন্ডলী।


    পীপ সাইট টেন মিটার এয়ার রাইফেল কম্পিটিশন চলছে।


    টেন মিটার এয়ার রাইফেলের দর্শকমন্ডলী।


    টেন মিটার এয়ার রাইফেল পীপ সাইটে জয়দীপবাবুর ছেলে আড্রিয়ান শ্যুট করছে।

    এই রইল ২০১২ সালের স্টেট চ্যাম্পিয়নশিপের দুটি ফাইলচিত্র----


    জয়দীপবাবু দু বছর আগের ছোট্ট আড্রিয়ানকে কোচ করছেন। পেছনে দাঁড়িয়ে মিঃ ঢাল। সেটাই বোধহয় আড্রিয়ানের প্রথম স্টেট খেলা।
    আড্রিয়ানও দেখতে দেখতে বড় হয়ে গেল।


    হুঁকোবাবুর পিস্তলের রেঞ্জ।


    কম্পিটিশনের জন্য তৈরী।


    পিস্তল শ্যুটিং চলছে।


    পিস্তলের রেঞ্জে স্কোরিং চলছে।



    দশ মিটার ওপেন সাইট এয়ার রাইফেলে শ্যুটিং চলছে।


    সন্দীপদা (সন্দীপ রায়) দশ মিটার এয়ার পিস্তলে শ্যুট করছেন।


    রেঞ্জ ডিরেক্টর কৌশিক গাঙ্গুলী কিসে যেন মগ্ন।


    পঙ্কজবাবু দেবাঙ্গনাদিকে তৈরি করাচ্ছেন।

    সবকিছু বেশ ঘড়ির কাঁটার মত চলছিল। কিন্তু বাদ সাধল নতুন বসানো মোটোরাইজড পুলি। এই পুলিগুলো এসি রেঞ্জের জন্য আদর্শ। নিদেনপক্ষে ইন্ডোর রেঞ্জ। মুস্কিলটা হল হুঁকোবাবুদের সব রেঞ্জেরই ছাদের মাঝখানের অংশ খোলা থাকায়। মাঝখানে দুপুর একটা নাগাদ ঝেঁপে বৃষ্টি নামল। ব্যাস সুতলিতে জল লেগে সবকটা পুলি গন্ডগোল করতে লাগল। কোনটা আটকে গেল, কোনটার সুতো খুলে গেল, কোনটা বা কাজ করলেও স্লিপ করতে লাগল। ফলে কার্ড টেনে আনতে বা পাঠাতে বেশী সময় লাগতে লাগল। এই সমস্যাটা ছাড়া আর সেরকম কিছু মেজর ছন্দপতন হয় নি। হুঁকোবাবুদের ক্লাব এবছরের স্টেট চ্যাম্পিয়নশিপ মোটামুটি সুষ্ঠূভাবেই উতরে দিল।


    এই হল নতুন বসান পুলিগুলোর একটা। দড়ি খুলে পড়ে রয়েছে।


    একসঙ্গে একাধিক পুলি বসে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন শিশিরবাবু, মেকানিকের সঙ্গে আলোচনারত।

    যাই বলুন, প্রাগৈতিহাসিক হাতল ঘোরানো পুলির কোন বিকল্প নেই।
  • সায়ন | 132.167.71.223 | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৩:৪২443196
  • সিংগল K, খুব ইন্টারেস্টিং রিপোর্ট। কাউকেই চিনিনা, তাও আগবাড়িয়ে মন্তব্য করে গেলাম। আরও লিখুন।

    এখানে Play Arena নামক একটা ফেসিলিটিতে টেন মিটার এয়ার রাইফল রেঞ্জ আছে। তবে জায়গাটা লুরু তো, তাই খচ্চায় পোষায় না :-/



    হুকোমুখো, বি-ই-গ ফ্যান আপনার লেখার। এই সুযোগে জানিয়ে যাই।
  • সিংগল k | 212.142.112.58 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:১৯443197
  • আর লিখব কি!
    খ্যালা সেস।

    এই কি সে প্লে অ্যারেনা??
    http://www.playarena.in/target-practice.php
    প্লে অ্যারেনা কর্নাটক স্টেট রাইফেল অ্যাসোসিয়েশনের অ্যাফিলিয়েটেড নয়। তার ওপর খরচ ভয়ঙ্কর বেশী। প্লে অ্যারেনা কোন রাইফেল ক্লাব নয়। প্রচুর পয়সা ও সময় থাকলে মজা করতে যেতে পারেন শুধু।

    একটা কথা বলব সায়ন্দা, প্লে অ্যারেনা হয়ত আপনার বাড়ির কাছে, কিন্তু স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়ার জেএনআর শুটিং রেঞ্জ আপনার বাড়ি থেকে কত দূরে? একটু কষ্ট করে সেখানে যেতে পারবেন না? সেখানে কিন্তু সস্তাই হবার কথা। সস্তা এবং অথেন্টিক। একবার শুরু করলে স্রেফ দশ মিটার এয়ার রাইফেলেই আটকে থাকবেন না আশাকরি। জেএনআরে পঞ্ঝাশ মিটার রাইফেল রেঞ্জ, এমনকি শটগানে ট্র্যাপ শুটিং রেঞ্জ পর্যন্ত আছে। একটু সিরিয়াস শ্যুটিং করলে তো ওখানেই করা ভাল।
    এই রইল KSRA র ওয়েবসাইট -
    http://www.ksra.in/html/contactus.htm

    কর্নাটক স্টেট রাইফেল অ্যাসোসিয়েশনের CRTC সিভিলিয়ান রাইফেল ট্রেনিং কোর্স সম্পর্কে অনেক ভাল কথা শুনেছি। সেটাও করতে পারেন। তবে সেটা শর্ট টার্ম কোর্স, মূলতঃ যাঁরা লাইসেন্স চান, তাঁদের জন্য। কন্টিনিউ করতে চাইলে, বা হুঁকোবাবুর লেভেলে পৌঁছাতে চাইলে ওদের কম্পিটিশন ট্রেনিং নিতে পারেন।
    ওদের সিআরটি কোর্স সম্পর্কে দু কথা পাবেন এখানে -
    http://indiansforguns.com/viewtopic.php?f=13&t=19175

    এ ছাড়াও আপনার ঘরের কাছের অন্য লোকাল রাইফেল ক্লাব সম্পর্কে জানতে ইন্ডিয়ানস ফর গানস বা অন্য কোন ফোরাম খুঁজতে পারেন। ওদের চমতকার সব রাইফেল ক্লাবের লিস্ট আর বন্দুকের দোকানের লিস্ট আছে। আমার মতে প্রথমে CRTC করুন, তারপর যদি ভাল লেগে যায়, তবে কন্টিনিউ করুন। হুঁকোবাবু এসে কি বলেন দেখুন। এ বিষয়ে ওনার উপদেশ শিরোধার্য্য।

    প্লে অ্যারেনার ছবি দেখে ভাল লাগল। তবে ওটা ঠিক ব্যাকরনসম্মত ফায়ারিং রেঞ্জ বলে মনে হল না। ছোটবেলা থেকে শিখে এসেছি যে - আদর্শ ফায়ারিং রেঞ্জের দুপাশের দেওয়াল ছাদ এমনকি মেঝে তৈরী হবে এমন মেটিরিয়াল দিয়ে যা শব্দকে এবং গুলিকে শুষে নিতে পারে। অর্থাত আলো ছাড়া কোন কিছু রিফ্লেক্ট করবে না। ( আলোও যত কম রিফ্লেক্ট করে তত ভাল) । ভারতের সেরা রেঞ্জ কার্নি সিং ও ওই ব্যাকরন মেনেই তৈরী। বিদেশের আধুনিক রেঞ্জের কথা বলতে পারব না। হুঁকোবাবু বলতে পারবেন। হয়ত সেখানে প্লে অ্যারেনার মত কাঁচে ঘেরা রেঞ্জ তৈরী হয়। দেখে দৃষ্টিনন্দন লাগলেও আমার কেন যেন বেশ বিপদজনক মনে হল পাশের ওই কাঁচের দেওয়ালটা।
    অবশ্য ব্রেক ব্যারেল এয়ার রাইফেলে সবচেয়ে বেশী অ্যাক্সিডেন্টাল ডিসচার্জ হয় ওপরের দিকে, অর্থাত গুলি গিয়ে লাগে ছাদে। ভাল ইন্ডোর রেঞ্জের ছাদ কখনো টিন বা অ্যাসবেস্টসের হওয়া উচিত নয়। যদিও আমাদের বেশীভাগ ক্লাবেরই আউটডোর রেঞ্জে শ্যুটারস্ শেড টা পাতলা টিনের বা অ্যাসবেসটসের। কাছে গেলে দেখতে পাবেন সেটা ফুটো ফুটো। অজস্র অ্যাক্সিডেন্টাল ডিসচার্জের সাক্ষী। বর্ষাকালে গায়ে জল পড়ে। পাতলা টিন যদি না হত, তবে গুলি লেগে ফুটো না হয়ে বিপদজনক রিকোলেট ছিটকে আসত।
  • Hukomukho | 183.3.44.106 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১১:৫২443199
  • থ্যাংকু রবাহুতো , লিংকটা শেয়ার করার জন্য। খবরটা পড়ে বেশ অদ্ভুত একটা অনুভতি হল। কিছুটা আনন্দ আর কিছুটা নস্টালজিয়া মেশান। মাঝে মাঝে ভাবি সত্যি কত আনন্দ, আশা, নিরাশা,অপমান আর হতাশার সাক্ষী এই পুরোনো ক্লাব্টা।

    বহু বছর আগে, এখানেই কোন এক দুপুরে, সবার অলক্ষ্যে চেকোস্লোভিয়ান ব্রোনোর নল চিবুকে ঠেকিয়ে ট্রিগার টেনেছিল, প্রেমে প্রত্যাখাত এক যুবক। তার সমস্ত পাওয়া, না পাওয়ার যন্ত্রনার হিসেবকে শেষবারের মতন সঙ্গী করে, চিবুক ফুঁড়ে চলে গিয়েছিল লাপুয়া বুলেট, সে শ্যুটার হতে পারেনি।

    আবার কোন এক সামান্য বাস ড্রাইভারের কিশোরী মেয়ে একদিন রাইফেল হাতে ঝলসে ওঠে, এশিয়ান এয়ার গান চ্যাম্পিয়্নশিপের সোনায়। তার বাবার দারিদ্র্য, অপমান, গ্লানি মুছিয়ে সেই মেয়েটি আজ ভারতীয় টিমের সদস্যা।

    কৌশল্যা ও সেই রকমই এক্জন, ওকে প্রথম দেখি , ইন্ট্রা-ক্লাব টুর্ণামেন্টে, সেদিন খুব ভালো পার্ফম করতে পারেনি ও। ২০১২ সালের আসানশোলের রাজ্য মিটে আমার আগের ডিটেলে ৩ নম্বর লেনে ছিল ও। তখন ডান হাতে পিস্তল ধরে ছুঁড়্ত, সেবারেও খুব আহামরি ফল করেনি। তবে এই দুবছরে ও যেভাবে নিজেকে তৈরী করেছে তার জন্য কোন প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। অবশ্যই কুহেলীদির অবদান অনস্বীকার্য কিন্তু মোটে দুবছরের মধ্যে গ্রিপ,হোল্ডিং,স্টান্স আমূল বদলে, রাজ্য মিটে ব্রোন্জ পদক, আশাতীত সাফল্য বই কি।

    আসলে কি জানেন 'কোনি'রা সবসময়েই আছে, 'ক্ষীতদা' রাও , এদের শুধু চিনে নিতে হয়, আর বাকিটা সময়ের অপেক্ষা ঃ)

    ফাইট কোনি ফাইট।

    কৌশল্যার জন্যে আমার অনেক শুভেচ্ছা রইল।
  • সে | 203.108.233.65 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৭:১১443200
  • ফোটোগুলো ভালো লাগল।
  • পম্পি | 69.162.187.35 | ০৩ জুন ২০১৫ ১৭:০৪443201
  • এই টই টা আর চলছে না???? খুব ভালো লাগছিলো পড়তে আর জানতে। হুঁকো বাবু লিখছেন না আর? :(
  • সিংগল k | 212.142.123.67 | ০৪ জুন ২০১৫ ০১:৫১443202
  • হুঁকোবাবু কোন চুলোয় গিয়ে বসে আছেন, তো টই চলবে কেমনি করে!

    গেল রোব্বারের আগের রোব্বার কি কান্ডটাই না হয়ে গেল জানেন? জামাইষষ্ঠীর কথা বলছি না। সে তো বছর বছরই হয়। আসচে বছরও আবার হবে। জামাইষষ্টী চট করে থামার জিনিষ নয়কো ।

    কি হল তা জানেন না তো ?

    তবে ঐতিহাসিকতাময়তার স্বার্থে বলেই যাই...

    ভারতবর্ষের সেরা জেলা হুগলী জেলা। সেই হুগলী জেলার সদর শহর শ্রীরামপুরে জামাইষষ্ঠীর দিন কি কান্ডটাই না হল নিজের চোখে দেখুন -


    পড়ে মনে হবে বটে যে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরনায় (ঐ ২ লক্ষ্) এই নবনির্মিত শুটিং রেঞ্জ.. ইত্যাদি। কিন্তু ব্যাপারটা অত্তো সোজা না। দু লাখ টাকায় কি হয় মশাই আজকাল? বাংলা খেয়ে মরলে কম্পেনসেশনও তো তার চেয়ে বেশী। সেখানে এই নবনির্মিত রেঞ্জের চিত্র দেখুন-


    দেখে কি মনে হয় এটা দুলাখ টাকায় বানানো যায়?

    তবে অনুপ্রেরনা ইজ্ অনুপ্রেরনা, টাকা দিয়ে অনুপ্রেরনা মাপার দলে আমি নেই। তাই ওপরের অংশটুকু পড়ে ধরে নেবেন না যেন ঐতিহাসিকতাময়তার দোহাই দিয়ে স্রেফ সমালোচনা করতে বসেছি। দুলাখ টাকায় আর কিছু হোক না হোক রাধাবল্লোবী আর ছোলার ডালটা হেব্বী হয়েছিল। সেক্রেটারী জয়দীপদা (শুটার জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়) ভারী রাধাবল্লভী ভক্ত লোক।

    ভেবেছিলেন জামাইষষ্ঠীর দিন দারোদঘাটন ফেললে লোক হবে না, একাই বিলকুল রাধাবল্লভী সাঁটাতে পারবেন। কিন্তু সে গুড়ে বালি মশাই। শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে আমরা জামাই অজামাই নির্বিশেষে সপরিবারে সবান্ধবে সেদিন ঐ ক্লাবে হাজিরা দিয়েছিলুম।


    আর অনুষ্ঠান বলতে পুরো চাঁদের হাট -




    ওহো রাধাবল্লোবীর কথা বলতে বলতে তো আসল জিনিস পঞ্চাশ মিটারের ফায়ারিং রেঞ্জটার কথাই বলা হয় নি। ওটাই তো আসল, ওটাই লক্ষ্য, রাধাবল্লভীটা উপলক্ষ। এই নিন সেটার চিত্র -

    ভাববেন না যেন ইতিপূর্বে শ্রীরাম্পুর রাইফেল ক্লাবে বা হুগলী জেলায় কোন পঞ্চাশ মিটার রাইফেল রেঞ্জ ছিল না। আসলে এটা একশ মিটার ফায়ারিং রেঞ্জ ছিল, কে জানে কার অনুপ্রেরনায় ওঁরা এটাকে কেটে কুটে পঞ্চাশ মিটারে নামিয়ে আনলেন। এরপর হয়ত কমিয়ে কমিয়ে পঁচিশ এবং আরো পরে দশ মিটারের ফায়ারিং রেঞ্জ বানিয়েও আবার দুবার শিলান্যাস হবে।
    আমার অত ভেবে কি কাজ। কাগোজের রিপোটারদের যেখানে কোনো গরজ নেইকো! আমি প্রতিবার চাট্টি লুচি ডিমের ডালনা পেলেই খুশী। হোক গে এক মিটারের রেঞ্জ বানিয়ে দশবার দারোদ্ঘাটোন।

    জয়দীপদারা দূরদর্শী লোক, চৌত্রিশ বছর পরের শ্যুটিং রেঞ্জের দৈর্ঘ্য অঙ্ক কষে বার করেই হয়তো, আগে ভাগে চত্বরের এক কোনে কিলাঊঈ টাইপের এই কুটীরটা বানিয়ে রেখে দিয়েছেন। শ্যুটিং এর নাম করে বাড়ি থেকে পালিয়ে এটাতে ওনারা মূলতঃ ক্যারাম পেটান।

    খুবই গুপ্ত খবর ফাঁস করে দিলাম। কাউক্কে বলবেন না যেন কথাটা।

    তবে যতই হাসিঠাট্টা করি না কেন, অনুপ্রেরনা দীর্ঘজীবী হোক | | |
  • Lama | 160.129.64.48 | ০৪ জুন ২০১৫ ০৯:০৩443204
  • আমাদের শিবপুর বি ঈ কলেজ আমার দেখা একমাত্র কলেজ যার ক্যাম্পাসের ভেতরে অফিসিয়ালি একটা শুটিং রেঞ্জ আছে। তার অবস্থা অবশ্য খুব খারাপ। অনেকদিন ব্যবহার হয় না, জঙ্গল হয়ে গেছে
  • | 213.132.214.155 | ০৪ জুন ২০১৫ ১০:০২443205
  • বহু দিন পরে এই টই টা আবার পড়ালাম। k র লেখা খুব ভালো লাগলো।
  • সিংগল k | 126.203.128.1 | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ১২:২০443206
  • হুগ্লি জেলার সুখ্যাতি করলেই দেখেচি বোতীন্দার সেই লেখা ভাল লাগে। নইলে ওই রিপোর্টে তো আর ভাল লাগার কিছু ছিল না। (অবশ্যই রাধাবল্লভীটা ছাড়া)

    কিন্তু আসল কথা হল হুঁকোদা কই??
    ও হুঁকোদা, এ বছরের স্টেট চ্যাম্পিয়নশিপ যে এসে গেল। আপনাদের কেলাবেই হচ্ছে। থাকছেন তো?

    আমি কিন্তু থাকছি না। :(
    ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হচ্ছে নর্থ ক্যালকাটা রাইফেল ক্লাবের রেঞ্জে। আমাকে কালকেই শ্রী সেন্নাই যেতে হবে। কবে যে ফিরব জানিনা। তাই থাকতে পারব না হয়ত।

    এবারের থাকা কিন্তু খুব দরকার ছিল। কেন জানেন?
    লিয়েন্ডার পেস মিক্সড ডবলসে পরপর তিনটে গ্রান্ড স্লাম জিতেছে বলে চাদ্দিকে লোক বলছে লিয়েন্ডার নাকি বুড়ো হাড়ে ভেল্কি দেখিয়েছে। কোন মানে হয়! লিয়েন্ডার যে আমার থেকে বেশ ক বছরের ছোট। কথাটা শুনছি আর মুষড়ে পড়ছি। লোকে বলে কি! পঁয়তাল্লিশ পঞ্চাশ বছরের মধ্যে খেলা ছেড়ে বনবাস নিতে হবে নাকি? সত্যি কি বুড়ো হয়ে গেলাম নাকি। বাচ্চারা লিয়েন্ডারের হাতে হারছে সে কি লিয়েন্ডারের দোষ? ভালবেসে খেললে মানুষ জিতবে না? যত বুড়োই হোক ভালবেসে খেললে এক আধটা ম্যাচে জিতবেই জিতবে। এ তো আর কেরিয়ার বানানোর জন্য চাপে পড়ে ব্যাজার মুখে খেলা নয়।
    এই চারিদিকে বুড়ো -বুড়ো শোনার গ্লানি দূর করতে এবারে হুঁকোদাদের সঙ্গে মাঠে নেবে পড়া আমার পক্ষে খুব জরুরী ছিল। কিন্তু চ্যাম্পিয়নশিপের সময়ে আমি হয়ত শ্রী সেন্নাইয়ে। ফোঁত্ ..

    আশি বছর বয়সের মেজর এ কে দেব হলেন ওয়েস্ট বেঙ্গল রাইফেল এসেশিয়েশনের চীফ কোচ। ওনাকে পেছনে রেখে টার্গেটের সামনে দাঁড়িয়ে পড়লে নিজেকে একেবারে আট বছরের বাচ্চা মনে হয়। বিলকুল ভুলে যাই নিজের আসল বয়স আর রুপুলী চুলগুলোর কথা।

    আমি থাকছি না যখন, তখন নিশ্চয়ই হুঁকোদা এবারের চ্যাম্পিয়নশিপে থাকছেন। হুঁকোদা প্রকৃতই এই খেলাটাকে ভালবাসেন, তাঁর পক্ষে কি পর পর দু বছর না যোগ দিয়ে থাকা সম্ভব? মনে তো হয় না। কোন জিনিষ ভালবেসে করলে সেটা কিছুতেই পিছু ছাড়ে না। জীবনের সমস্ত প্রতিকূলতা সত্বেও।



    হুঁঁকোদাকেও এবার আমরা ফেরত চাই...
    শ্রী সেন্নাই থেকে ফিরতে পারলে হুঁকোদার জন্য সইয়ের খাতা হাতে বেলগাছিয়ার অলি গলিতে ঘুরঘুর করব।
    :)
  • সিংগল k | 76.249.84.72 | ২৪ জানুয়ারি ২০১৬ ২২:১১443207
  • আজ সকালে NAGRI মানে National Association for Gun Rights India থেকে একটা মেল পেলাম। মেলটা এখানে টুকে দিচ্ছি -Important information regarding Arms Rules 2015

    Dear Friends,

    We are writing to solicit your support in ensuring that the upcoming the ARMS RULES 2015 do not lead to increased harassment and hardship for all citizens.

    The reasons for seeking amendments to these rules are many:-

    a) These rules will make acquiring licences next to impossible as well as owning/ storing/ carrying/ using licensed arms irrationally restrictive, thus significantly increase the harassment of law-abiding citizens.

    b) Air-guns, paintball markers, blank-firing guns, replicas and even Diwali toy guns are to be now be treated as firearms, subject to the full force of the law - including the need for arms licences and the same penalties as those for owning illegal firearms.

    c) Even little children who own and play with airguns or cracker guns will now become criminals under law if these rules get notified, as possessing these will require an Arms Licence, just like any other firearm, subject to the same limits and penal provisions.

    d) Furthermore there are to be increased hassles for all license holders at the time of arms license renewal.

    We are now at a crucial stage and need all the help we can get, otherwise these new (draconian) rules may become a reality within a matter of weeks.

    To this end, those of you who are willing to help us should please get in touch with us at the earliest. In terms of specifics what we require is assistance from:-

    1. Those of you who many be able to reach one/ more Member of Parliament/ MLA or any other law-makers
    2. Those of you who are in the Media/ Press
    3. Those of you who are Lawyers
    4. Those of you who may be working in the Central Government
    5. Those of you who are connected to the firearms/ replicas/ airgun manufacturing industry

    We cannot emphasise enough how critical it is for us to find ways to have these rules amended before they become law.

    All of us have experienced, to some extent or the other, the vagaries of the arms licensing process in our country and the attendant harassment & humiliation.

    While these new rules claim to work towards simplification, they will only serve to make the process even murkier, subjective and far worse than it already is - defeating the entire intent with which citizens had demanded a review of these laws!

    Please do come forward ASAP if you can help. Also, please share this information with other concerned citizens.

    You can contact us at: [email protected]

    Warm regards,
    --
    Team NAGRI
    National Association for Gun Rights India

    এঁনাদের বক্তব্য তো চিঠিটাতেই পরিস্কার। যে খসড়া আইন নিয়ে এই চিঠির সূত্রপাত, সেটা পাবেন এখানে-
    http://mha.nic.in/sites/upload_files/mha/files/DraftArmsRule2015_300415_0.pdf

    আমি এখন তামিলনারুতে। ফলে এক্ষুনি ফোন খুঁটে খুঁটে লিখতে পারছি না। হুঁকোবাবু বা আর কেউ যদি এ বিষয়টি নিয়ে একটু বিস্তারিত লেখেন তো খুবই ভাল হয়।
  • সিংগল k | 212.142.118.183 | ২০ জুলাই ২০১৬ ০০:৩৩443208
  • SDB আর্টেমিস বানিয়েছে।
    বলি ও হুঁকোদা, দেখেছেন নাকি?? আপনি একেবারে টুঁ শব্দটি করেন না। আমি ঠিক বুঝতে পারি না আমার কিছু বলা উচিত হবে, কি হবে না।
    যাহোক এত সুন্দর হয়েছে আর্টেমিস টা, যে কী বলব! আপনাকে একবার না বলে পারলাম না। হয়ত বিদেশে বসে আছেন খোঁজই রাখেন নি এখনো। কে জানে বাপু!

    ওরা দুদিন আগে ইউটিউবে এই ভিডিওদুটি পোস্ট করেছে। দেখেছেন কি? নাহলে দেখে নিন-


    ভয়েসওভারটা হচ্ছে সোমনাথবাবুর। বছর দেড়েক ধরে এই বন্দুকটা গড়ে তুলতে ওনার অবদান কিছু কম না।

    এবং


    .177 দিশি ভাল বন্দুক থাকলেও .22 এয়ার রাইফেলে ক্যানন LG65 প্রায় অপ্রতিদ্বন্দ্বী ছিল। তবে সেটা আউট অব দ্য বক্স নয়। কেনার পর নতুন বন্দুকটা টুকরো টুকরো করে প্রভূত টিউনিং এর পরই ক্যাননের LG65 আকাঙ্খিত ফল দিত। কম সে কম ওদের ঐ চামড়ার পিস্টন সীলটা পাল্টে একটা সিন্থেটিক পিস্টন সীল তো লাগাতেই হত। অলিম্পিকের দেবুবাবুরা ওদের যে কোন বন্দুক বানিয়ে নলের মধ্যে একগাদা সস্তা গ্রীজ পুরে সেটাকে স্টোর করেন। কখনও প্রথম গুলিটা চালাবার আগে অন্তত ব্যারেলটা পরিস্কার করে নেবার কথা বলে দেন না। ফলে অনেককে দেখেছি ওই গ্রীজমাখা অবস্থায় দুমদাম গুলি চালিয়ে রাইফেলিংটা চটচটে গ্রীজের আস্তরনে ঢেকে ফেলতে। সে এক বিতিকিশ্রী অবস্থা। ফ্যাক্টারী টিউনড .22 এয়ার রাইফেল ভারতে প্রায় কেউই দিত না। প্রিসিহোল ক্লেম করলেও যা দিত, তা আমার কোনদিন মনঃপূত হয় নি। SDB কিন্তু সে তুলনায় সত্যিই ভাল জিনিস দিচ্ছে। ওই ভিডিওর গ্রুপিং দেখলেই বুঝতে পারবেন। একেবারে আউট অব দ্য বক্স ওই গ্রুপিং না পেলেও একটু ব্রেক ইন করে যাবার পর ঐরকম চমত্কার গ্রুপিং পাবেন। যদি না পান তবে হাতের কাছে তো ফ্যাক্টরী রইলই - গিয়ে ক্যাঁক্ করে চেপে ধরলেই হল।
  • সিংগল k | 212.142.118.183 | ২০ জুলাই ২০১৬ ০০:৩৪443209
  • সরি ...



  • Hukomukho | 108.228.215.87 | ২২ জুলাই ২০১৬ ০৮:০০443210
  • হুমম , মন্দ হয়নি ঃ) কিন্তু অ্যাকুরেসি টেস্ট ,অফ হ্যান্ডে কেন ? বাসুদা তো এটা জানে।

    আমি সত্যিই খবর টা জানতাম না। ভালো উদ্যোগ নিসন্দেহে। গ্রুপিংটা বেশ ভালো লেগেছে এটা বলতে পারি। পরে হাতে নিয়ে নেড়ে চেড়ে দেখলে আর একটু ভালো বোঝা যাবে।

    কেলো দাদা, এবারে স্টেট কবে আর কোথায় হচ্ছে কিছু জানেন ? সেপ্টেম্বরের দিকে দেশে থাকার চান্স আছে , একটু চেষ্টা করে দেখতাম তাহলে।
  • সিংগল k | 212.142.118.183 | ২২ জুলাই ২০১৬ ১৭:২০443211
  • হুঁকোদা,
    এবারের স্টেট চ্যাম্পিয়ানশিপ কবে আর কোথায় হবে তার এখনও নোটিস সরকারীভাবে জারী হয় নি। তবে অসমর্থিত সূত্রে আমি যা শুনেছি তাতে এবার চ্যাম্পিয়নশিপ আসানসোলে হবে এবং ৩১শে আগস্ট থেকে শুরু হবে।
    আপনি যোগ দিতে পারলে তো বড়ই ভাল হয়, কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের কথা হল এবার আমিই যোগ দিতে পারব না। ঐ সময় নাগাদ আমার ফেরার কথা, কিন্তু ওয়েদার খারাপ থাকলে ফিরতে না পারার প্রভূত চান্স আছে, আর ফিরতে পারলেও সঙ্গে সঙ্গে আসানসোলে যাওয়া সম্ভব হবে না। আপনাদের ক্লাবে হলে নামটা অন্তত দিয়ে রাখতাম।
    তবে সেপ্টেম্বরে আপনি এখানে থাকলে কোন একটা রবিবার আপনি তো ক্লাবে যাবেন নিশ্চয়ই, গেলে আমি সেদিন আপনার ক্লাবে গিয়ে দেখা করব। আপনার সঙ্গে খুব গোপন একটা কথা আলোচনা করার আছে। ;)
  • সিংগল k | 212.142.118.183 | ২২ জুলাই ২০১৬ ১৭:৩২443212
  • বাসুজী, মানে সোমনাথবাবু জানেন না এমন কিছু আছে নাকি? ;)
    ওনার মত এয়ারগান পাগলা লোক আমি খুব কম দেখেছি। তবে ভারী ভালো মানুষ। কত লোকের যে এয়ার রাইফেল উনি মেজেঘষে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন তার ইয়ত্তা নেই। কখনো বিনিময়ে কোন কিছুর আশা করেন নি। আমি নিজেই ওনার কাছে কতভাবে যে ঋণী।:)
    লেম্যাান ব্রাদার্স শুয়ে পড়ার সময় একদিন দুপুরে হঠাত করে উনি আমার বাড়ি এসে হাজির। ঘন্টা দুয়েক এয়ার রাইফেল নিয়ে তুমুল আড্ডা দেবার পর মুখ শুকনো করে বললেন - 'আজ আমার চাকরীটা চলে গেছে জানেন! কাল থেকে কি হবে জানিনা।' শুনে আমি তো হাঁ, আমার সমস্ত উত্সাহ দপ করে নিভে গেল। আমি তো ওনার জন্য কিছুই করতে পারব না। ভারী চিন্তায় পড়ে গেলাম। অথচ মানুষটা এত গুণী। সেদিন আর আড্ডা তেমন জমল না। পরেরদিনই আরেকজায়গায় ইন্টারভিউ দিলেন এবং তার পরের দিনই সেই চাকরীটা পেয়ে গেলেন। ফলে পরের উইক থেকে আবার আড্ডা জমে ক্ষীর। ওরকম পাগলাটে মানুষের এসব জাগতিক লেনদেন থাকা উচিতই না।
    আপনি কি জানেন হুঁকোদা, উনি এতকাল ধরে ভারতেবর্ষের বন্দুকের প্রায় সমস্ত ফোরামের সম্মানিত মেম্বার হলেও নিজে কোন রাইফেল ক্লাবের মেম্বার ছিলেন না। শেষে আমি বছর তিনেক/চারেক আগে একরকম জোর করেই ওনাকে শ্রীরামপুর রাইফেল ক্লাবের লাইফ মেম্বার হতে বাধ্য করি।ওনার মেম্বারশিপের টাকাটা আমি দিয়ে দেব বলেছিলাম। বলতে গেলে সেই ভয়েই উনি লাইফ মেম্বার হতে রাজী হয়ে যান। :) আমার মতে ওনার মত লোককে যে কোন ক্লাবই অনারারী মেম্বার হিসেবে পেলে সেটা সেই ক্লাবেরই সম্মান। কিন্তু মুস্কিল হল কথাটা আমি ছাড়া আর কেউ বুঝল না। ;(

    অ্যাকুরেসি টেস্ট অফ হ্যান্ডে কেন সেটা একটা প্রশ্ন বটে। কিন্তু SDB র ওরা যখন এমন একটা ঝাঁ চকচকে ক্রোনোমিটার কিনতে পেরেছেন তখন ওদের একটা গান ভাইসও আছে ধরে নিতে হবে। :) তা সত্বেও টেস্টের সময় বন্দুকটাকে ভাইসে না লাগিয়ে হাতে নিয়ে শুট করার কি কারন সেটা SDBর মালিকপক্ষই জানেন। তবে আমার মনে হয় ভিডিওটা খুব সিরিয়াসলি বানানো হয় নি। মানে সিরিয়াস অডিয়েন্সের কথা মাথায় রেখে বানানো হয় নি। তাই অ্যাকুরেসি টেস্ট একেবারে কপিবুক স্টাইলে করে সেটার ভিডিও তোলা হয় নি। আমি অফ দ্য হ্যান্ড কেন সেটা না জিজ্ঞেস করে সোমনাথবাবুকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে. প্রথম প্রোমো ভিডিওটার শেষে যে রং বেরংএর আর্টেমিসগুলো দেখানো হয়েছে সেগুলো তো সব স্কোপ লাগানো। তা আর্টেমিস ওরকম স্কোপ লাগানো অবস্থায় বাজারে আসছে নাকি? এলে তার দামই বা কি হচ্ছে? উনি শুনে হেসে বললেন 'দূর! ও তো টেলরড ভিডিও, ওরকম রংয়ের কোন আর্টেমিস তৈরিই হয় নি, স্কোপও থাকছে না। স্কোপ রেলটা থাকছে শুধু।'
    কাজেই বুঝতেই পারছেন … হেঁ হেঁ… গ্রুপিংটাও টেলরড হলে আমি অবাক হব না। ;)

    আর ঐ আর্টেমিস এর যা চেহারা করেছে তাতে ওটা প্যারিস হিল্টন হাতে নিলে মানায়। অথচ ভিডিওটা দেখুন – দেখে আপনরাই বলুন ওই আর্টেরী বের করা হাতে ওটা মানাচ্ছে কি?
    কিন্তু বাঙ্গালী উদ্যোগপতিদের নিয়ে কি আর বলবেন, SDB এতকালের পুরোনো কোম্পানী, এতদিনে তার মালিকদের তো আর্নল্ড সোয়াজেনেগারের মত হাতরে গুলি হয়ে যাবার কথা। অথচ SDB র ছোটশরিকের হাতে ধপধপে সাদা পরমহংসের মত আর্টেমিসটা কেমন লাগছে সেটা আপনারাই দেখে বিচার করুন।

    তবে যাই বলুন, আমি এই শিরা বের করা হাড় জিরজিরে বাঙ্গালী উদ্যোগপতিদের পক্ষেই গলা ফাটাব। কারন তাঁরা নিজে সোয়াজেনেগার না হয়ে তাঁদের লাভ আমাদের মত সব টিংটিঙে বন্দুকপ্রেমীদের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছেন। আজকালকার যা বাজার, তাতে ঐ আর্টেমিস এর দাম ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা রাখলেও দিল্লী বোম্বে তে হটকেকের মত বিকোত। কিন্তু ওটার দাম রাখবে শুনছি ৭৫০০+। নেটেও দেখলাম একজন অনলাইন বিক্রেতা ১০K+ দাম হেঁকে রেখেছে। কলকাতা থেকে ডাইরেক্ট শিপিং না করলে ক্রেতার বাড়ি পৌঁছতে ৭৫০০+ এর দাম হরে দরে ১০০০০+ এ গিয়ে পৌঁছবেই। ফলে আর্টেমিস সফল হলেও মনে হচ্ছে SDB হাতের গুলি ওইরকম লিকলিকেই রয়ে যাবে। কুর্নিশ রইল ওনাদের, যাঁরা নিজেদের সফল ব্যাবসার সাফল্যে সন্তুষ্ট না থেকে আর্টেমিসের মত নতুন নতুন অজানা পথে পা বাড়াচ্ছেন। সর্বভারতীয় এয়ার রাইফেলের মানচিত্রে কলকাতা চিরকালই সমীহ আদায় করে এসেছে, এই বিশ্বায়নের যুগেও বাঙ্গালী লিকপিকে উদ্যোগপতিরা সেই পতাকা বেশ শক্ত করেই উঁচু করে রাখবেন এই আশা রাখি।

    আমার বক্তব্য ঠিক হয়ে থাকলে হুঁকোদার মুখ থেকেও এবিষয়ে দুটি চারটি লাইন শোনার আশা রাখি….
  • সিংগল k | 212.142.118.183 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২১:১৭443213
  • SDB তাঁদের নতুন জেনারেশনের সবকটা বন্দুকই বের করে ফেললেন।
    ওঁরা একটা মোটামুটি পাতে দেবার মত লিফলেটও বের করেছেন। সেটা কোনো বন্দুকের ফোরামেই আমি এখনো দেখতে পাই নি। SDB কতৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে আমি সেটি গুরুচন্ডা৯ র এই বন্দুক বিষয়ক টইতে পোস্ট করে দিলাম-





    কলকাতার বিখ্যাত বন্দুকপ্রেমী শ্রী সোমনাথ বাসু মহাশয় এই লিফলেটখানি দিয়ে বাধিত করেছেন।
  • সিংগল k | 212.142.118.183 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২১:৫৭443215
  • ব্যক্তিগতভাবে আমার আর্টেমিসটা দারুন ভাল লেগেছে।
    প্রিসিহোলের সিন্থেটিক স্টকের চেয়ে ভাল কোয়ালিটির কাঠের স্টক শতগুনে ভাল। ছবিতে/বিজ্ঞাপনে প্রিসিহোলের বন্দুক দেখতে যতই সুন্দর লাগুক, রিয়েল ওয়ার্লডে এসডিবির এই বন্দুকগুলো চেহারায় প্রিসিহোলের যে কোন রাইফেলকে গুনে গুনে দশ গোল দেবে। একিউরেসী লেভেল অবশ্য আমার মতে প্রিসিহোলের সিলেক্টেড কিছু মডেলে বেশী। একিউরেসী গ্রাউন্ডে এসডিবির সবকটাই প্রায় সমান পারদর্শী, এবং এর একুরেসী ক্যাননের LG 35 বা LG 65 এর সমতুল্য।

    সোমনাথবাবুর পাঠানো ওনার নিজের রাইফেলের কিছু ছবি আমার কাছে আছে সেগুলোও শেয়ার করতে পারি -

    রাইফেলে লাগানো বুশনেলের স্কোপটি কিন্তু ব্যক্তিগত সম্পত্তি। ওটি রাইফেলের সঙ্গে বিক্রি হয় না।




    এবং SDB জেনেক্স -

    SDB র ওরা এই প্রথম কোনো এয়ার রাইফেলে ট্রিগার এডজাস্টমেন্ট স্ক্রু রেখেছেন। সেটাও আবার রিয়ার ক্যাপের বাইরে ফুটো করা। ফলে বন্দুকটির অ্যাকশনটি না খুলেই বাইরে থেকে ছোট মুখ স্ক্রু ড্রাইভারের সাহায্যে ট্রিগার ওয়েট কন্ট্রোল করা যাচ্ছে। ক্যাননের বন্দুকে এই ট্রিগার অ্যাডজাস্টমেন্ট স্ক্রু থাকলেও সেটা রিয়ার ক্যাপ না খুললে অ্যাকসেস করা যায় না। ফলে স্ক্রু ঘুরিয়ে ট্রিগারের টেনশন কতটা হল সেটা বুঝতে বারে বারে পুরো বন্দুক খুলে এবং জোড়া দিয়ে বুঝতে হত। SDB র এই নিউ জেনারেশন বন্দুকগুলো সে দিক থেকে নতুনত্বের দাবী রাখে।


    পেতলের সোনালী রংয়ের ট্রীগার ব্লেড দেখতে অপূর্ব সুন্দর। ব্যবহার করতে করতে আঙ্গুল ঘষে ঘষে স্মুদ হয়ে গেলে যা দেখাবে না !!


    কাঠের বাটে চেকারিং টা লেসার এনগ্রেভড। খুবই সূক্ষ এবং নিঁখুত ফিনিশিং।


    এখানে দেখুন, ট্রিগার অ্যাডজাস্টমেন্ট স্ক্রু রাখলেও ওরা একটা সাবধানবানীও দিয়ে রেখেছেন যাতে কেউ আনাড়ীর মত স্ক্রু ঘুরিয়ে ট্রিগার একেবারে হাল্কা না করে ফেলে। কারন SDBর কোনো বন্দুকেই সেফটি ক্যাচ নেই। ট্রীগার খুব হালকা করে ফেললে বন্দুকের নড়াচড়াতেই অ্যাক্সিডেন্টাল ডিসচার্জ হতে পারে।
  • ট্যারান টুলা | 127.194.237.219 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২৩:০০443216
  • কেলোদা আর হুঁকোবাবুর ক্লাবগুলো কোথায়? সাউথ কলকাতা রাইফেল ক্লাব নামে একটা দেখলাম রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে।
  • সিংগল k | 212.142.118.183 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২৩:২৬443217
  • হুঁকোবাবুর ক্লাব হল এলিট নর্থ ক্যালকাটা রাইফেল ক্লাব। আর আমি বেওয়ারিশ। শ্রীরাম্পুরে একটা নামমাত্র লাইফ মেম্বারশিপ নেওয়া আছে। আপনি গেলে রবিবার করে নর্থ ক্যালকাটা বা শ্রীরাম্পুরে যেতে পারেন। হাওড়া ময়দানেও হাওড়া রাইফেল ক্লাব আছে, সেখানে গেলে সেরকম বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহার নাও পেতে পারেন। বরং অচেনা লোক হিসেবে একটু জেরার মুখেই পড়তে পারেন।
    সবচে দরাজ ব্যবহার বোধহয় শ্রীরাম্পুরেরই, গট গট করে আপিসে ঢুকে নিজের উদ্দেশ্য জানালেই দেখবেন কেউ না কেউ হাসিমুখে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছে।
    নর্থ ক্যালকাটাতেও যদি আগেভাগে জানিয়ে যান তবে কাউকে না কাউকে বলে রাখতে পারি। গেলে রবিবার করে সকাল দশটা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত সময়ই হল প্রশস্ত।
    সাউথ ক্যালকাটা এবং বড়বাজার রাইফেল ক্লাব প্রায় নন একজিস্ট্যান্ট, কাগুজে ক্লাব। সাউথ ক্যালকাটা ক্লাব কলকাতা পুলিশের ফায়ারিং রেঞ্জ ব্যবহার করে। মাঝে মাঝেই পুলিশের নিজের দরকার থাকলে ওদের হটিয়ে দেয়।
    আমাদের সেন্ট্রাল ক্যালকাটা রাইফেল ক্লাব ছিল কাশিমবাজার রাজবাড়ীর জমিতে। রাজাবাজার ট্রামডিপোর পাশে ইএসআই হসপিটাল ঘেঁষে। এখন সেটা উঠে গিয়ে আইডিয়াল হাইটস নামে রেসিডেন্সিয়াল ফ্ল্যাটবাড়ি গজিয়ে গেছে।
  • | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৯:৪১443218
  • শ্রীরামপুর -- হুঁ হুঁ বাবা হুগলী জেলা। বললে হবে!?
  • de | 192.57.111.77 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১৪:৫৪443219
  • অনেকদিন বাদে এই টইটা ফিরে পড়লাম - ক্ষী ভালো!

    কেলোদাদা লা জবাব!
  • anag | 208.182.52.26 | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১০:১৮443220
  • কেলোবাবু, আপনার ফোনের সন্ধান চাই , একটু কথা বলতাম।
  • avi | 57.15.5.113 | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১২:৩৪443221
  • আম্মো রাইফেল কিনতে চাই। ১০ মিটার ফাঁকা জায়গা আছে, স্ট্রেস বাস্টিং ব্যাপারটা বড্ডো মনে ধরেছে।
  • anag | 208.182.52.26 | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১৫:২০443222
  • টই থেকে টুকে রাখ্লাম, হারিয়ে যেতে পারে (কপিরাইটঃ কেলোবাবু)ঃ

    ==========================

    গোদামত তৈরী করা জিনিসই যদি দিতে হয় তো একটি চমত্কার এয়ার পিস্তল বা রাইফেল দিন না। শ্যুটিং করলে মনঃসংযোগও বাড়বে, মেকানিক্স এর প্রতি ইন্টারেস্ট থাকলে জিনিসটাকে খুলেখালে ফাইন টিউনিং ও করতে পারবে। ভাল রাইফেল ফাইনটিউনিং এর মজাই আলাদা। হুঁকোবাবু যে বাসুদা বাসুদা করেন সেই সোমনাথবাবু (বসু) হলেন টিউনিং পাগলা লোক। সে ভারী নেশার মত। শ্যুটিং এ শুধু ছেলে না, সঙ্গে মা বাবাও হুকড হয়ে যেতে পারেন। শুটিং কিন্তু দারুন স্ট্রেসবাস্টার। ধরুন কারো ওপর দারুন খেপে গেছেন, তো তার মুখটি মনে করে দমাদ্দম টার্গেট উড়িয়ে দেবেন। দেখবেন রাগ এক্কেবারে পড়ে যাবে, পরে তার সঙ্গে সামনাসামনি দেখা হলে শুধু ফিক্ ফিক্ করে হাসি পাবে।
    শুটিং প্র্যাকটিসের জন্য দরকার মোটামুটি ১০ মিটার লম্বা একফালি সরু জায়গা, যার মধ্যে কোন মানুষ বা প্রাণী ফট্ করে ঢুকে পড়বে না। রেকারিং খরচ বলতে শুধু গুলির খরচ, গুলিপ্রতি একটাকা মত ধরুন। মেনটেইনেন্স এর খরচ শূন্য বা বড়জোর তিরিশ টাকার এক পাউচ লিথিয়াম গ্রীজ প্রতি বছর।
    ক্যাপিটাল টি দার টেলিস্কোপের আইডিয়াও দারুন লাগল, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ এবং মনের প্রসার বাড়ানোর মত আইডিয়া, কিন্তু মুস্কিল হল শহরের পলিউশনে কতটা কার্যকরী হবে সেটা। আর আমাদের ওয়েদারে তো লেন্স মেনটেন করা একটা বড় সমস্যা। একবার মালটা বসে গেলে আর হবি চালিয়ে যাওয়ার উতসাহ চলে যেতে পারে। ভাল পিস্তল বা রাইফেল হলে কিন্তু বংশানুক্রমে চলবে। হাত যদি ভায়োলিনের মত ভাল হয় তবে সিরিয়াস স্পোর্টসেও নামিয়ে দিতে পারেন।
    পিস্তল হলে -
    http://www.aimco.co.in/index.php?id_product=28&controller=product
    আর রাইফেল হলে -
    http://www.aimco.co.in/index.php?id_product=62&controller=product
    সাজেস্ট করব।
    রাইফেল যদি দিতে চান অথচ প্রিসিহোলের দাম বাজেটের বাইরে হয়, তো ক্যানন বা এসডিবিও দিতে পারেন (এদের ওয়েবসাইট নেই)। প্রিসিহোল নিলে সিরিয়াস শ্যুটিং ও করতে পারবে। এসডিবির জন্য এখানে দেখতে পারেন ( কলকাতায় হাতে হাতে কিনলে এর থেকে হাজার দুয়েক কমে পাবেন)-
    http://www.kovibazaar.com/
    যাই দিন সেটা ।১৭৭ ক্যালিবারের দেবেন। লাইসেন্স লাগবে না। গত বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকে ।২২ ক্যালিবার এয়াররাইফেলেও ফায়ারআর্মস লাইসেন্স লাগছে। তখন তা নিয়ে পোতিবাদ করতে বললুম, পাইদিদি তো কানই দিলেন না।

    বাড়ি থেকে যদি নিতান্তই দেখেন তো প্রিসিহোলের নিজস্ব সাইটটাও দেখতে ভুলবেন না। ওরা তিন চার দিন আগে ওদের প্রথম পিসিপি রাইফেলের ঘোষনা করেছে। ওটা ভারতে তৈরি প্রথম 'প্রি চার্জড নিউম্যাটিক' রাইফেল। দামটা বড্ড বেশী (৩৫) নয়তো আমার নেওয়ার ইচ্ছা ছিল।
    ওদের তৈরী বন্দুকের প্রথম ০০২৬ নং বন্দুকটার আমি মালিক। প্রথম ২৪ টা ওরা নিজেদের নিজেদের মধ্যেই ডিস্ট্রিবিউট করেছিল। (#বন্দুকগরিমা)
    http://preciholesports.com/
    বিদেশী পিসিপি বন্দুকের কাছে অবশ্য ৩৫ হাজার মোটে দামী নয় বরং খুব সস্তাই।

    এয়ার রাইফেলের দাম খুবই কম। ম্যানুফ্যাকচারের হাত থেকে বেরোনোর পর যত দূরে যেতে থাকে তত দাম বাড়ে। জিনিসটা ভারী তো।
    বেলুন ফাটানোর স্মুদ বোর এয়ার্গান দেড় দু হাজার থেকে শুরু হয়। রাইফেল হলেই দামটা এক লাফে বেড়ে চার হাজারের কাছাকাছি চলে যায়।
    আর ভাল বলতে যেগুলো টাইম টেস্টেড ভাল, যেমন ক্যাননের ৩৫ বা ইন্ডিয়ার হিউম পাইপের ন্যাশন্যাল ২৫ বা ন্যাশন্যাল ৩৫ সাত সাড়ে সাতের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। এসডিবির ও ঐ দাম।
    ক্যানন বা ঈর দাম মোটামুটি একদর, কিন্তু এসডিবি দরদাম করা চলে। প্রিসিহোলের কোয়ালিটি এবং একিউরেসি অনেক ভাল কিন্তু দাম ডবল, মানে প্রায় চোদ্দো।
    সম্প্রতি প্রিসিহোল এদের সঙ্গে কম্পিট করার জন্য ঐ রেঞ্জে স্পার্টান বলে একটা রাইফেল বের করেছে।

    আর প্রিসিহোলের পিসিপি ভারতের ঠিক প্রথম পিসিপি নয়, আবেগের চোটে ভুল বলে ফেলেছিলাম। ইন্ডিয়ান হিউম পাইপের পিসিপি ৩০ বছর ধরেই আছে, কিন্তু তার সমস্ত পার্টস ভারতে তৈরি নয়। এছাড়া একটি নন সিরিয়াস পিসিপি এরিয়ান নামে একটি কোম্পানী বেচছিল। সেটা একেবারেই খেলনা। কিন্তু পিসিপি তো বটে। এ ছাড়াও খুচখাচ আরো থাকতে পারে, হুঁকোবাবু ভাল বলতে পারতেন।
    ভারতের প্রথম ১০০% ভারতীয় সিরিয়াস শ্যুটিং এর উপযোগী পিসিপি প্রিসিহোলেরটাই।

    ঐটাই তো আমাদের দেশের মুস্কিল।
    জেহাদের নামে কি বিপ্লবের নামে ডাক দিন, পাড়াগাঁয়েও বিশটা জেহাদী কি মাওবাদী জুটে যাবে, ভারত মাতা কি জয় বলে হুংকার দিন, ত্রিশটা আরেসেস হাপপ্যান্টুল পরে মার্চ করতে শুরু করবে।
    কিন্তু শান্ত সভ্য শিক্ষিত সুশীল বিদ্বজ্জনে মিলে শ্যুটিং এর গ্রুপ বানালে ১০০ পুলিশ রে রে করে এনকোয়্যারী শুরু করে দেবে।

    হতাশ হবেন না, গুরুর গুরুপ না হলেও বেশ কিছু অনলাইন ফোরাম তো আছে, তাদের হাবভাব চেক করে নিয়েও যদি মনের মিল হয় তবে একটা ভাল নাইট্রো পিস্টন রাইফেল বা পিস্তল কিনেই ফেলতে পারেন। (বাই দ্য ওয়ে, পিস্তলের দাম হাজার পাঁচেক টাকা পড়বে)।

    দেদি তো বোমবাইয়ের লোক। প্রিসিহোলের কারখানাই বোমবাইতে।
    চাইলে এম সালেহ্ র দোকান থেকে বেছেবুছে কিনুন।ওদের ফোন নং ০২২২৩৪২৭১৭৬

    তবে জুনিয়রদের কারুর হাতে তুলে দেবার আগে ভাল করে গান সেফটি রুল সম্পর্কে পাখিপড়া করিয়ে নেবেন। সন্তান দায়িত্বশীল স্থিতধী পরোপকারী গোলগাল সাঁতারু টাইপের হলেই দেবেন। নয়তো এককদা টি দা টাইপের হলে তার হাতে এয়াররাইফেল তুলে দেবার আগে ১০ বার ভাববেন। মনে রাখবেন বন্দুকের নলই কিন্তু শক্তির উত্স। রেস্পনসিবিলিটি বিহীন পাওয়ার কি জিনিস আমরা পোচ্ছিমবঙ্গবাসী ও আমাদের আমেরিকাবাসী ভ্রাতা ও ভগিনীগণ হাড়ে হাড়ে বুঝছি।

    আরে আপনার পায়রা আপনি ল্যাজেই কাটুন মুড়োতেই কাটুন আমার কি!!
    কিন্তু মুস্কিল হল ভারত সরকার এক - ইঁদুর আর দুই- কাক ছাড়া অন্য যে কোন প্রাণী মারা আইনতঃ নিষিদ্ধ করেছেন। মারা বা মারা ইচ্ছা বা ইতিহাস প্রকাশ করা আপনার জেলযাত্রার সহায়ক হতে পারে।

    বিধিসম্মত সতর্কীকরন করলুম আরকি!

    (কাক আমার হেবী লাগে, অমন সুন্দর কুচকুচে বুদ্ধিমান কোন প্রাণীকে কেন যে কেউ মারতে যাবে সেটা আমার বোধগম্য হয় না)

    একটু শিখিয়ে পড়িয়ে নেবেন আরকি। বেস্ট হয় কেনার আগে কোন ক্লাবে এক রবিবার সারাদিন কাটানো। কেউ না কেউ বেসিক ক্লীয়ার করে দেবে। তারপরে রেস্পন্সিবিলিটি ভরোসা।

    মনে রাখতে বলবেন - এটা কিন্তু খেলনা নয়, ১০০% আসল। সৈন্যরাও এটা দিয়েই শেখা শুরু করে শেষে অ্যান্টি এয়ারক্রাফট গান চালায়। ওরও ভাল লাগলে যতদূর খুশী যেতে পারে। ভাল না লাগলেও জিনিসটা অ্যাসেট হয়ে থাকবে। যে কোন সময় নতুনের মত রিফার্বিশ করে নেওয়া সম্ভব।

    হ্যাঁ দেদি সবই ।১৭৭ ক্যালিবারের। ঐ প্রিসিহোল কোম্পানী গতবছর সেপ্টেম্বরে সরকার ।২২ বোরের বা ২০জুলের ওপরের এয়ার রাইফেলকে ফায়ারআর্মের সমতুল্য ঘোষনা করার পর বিনা প্রতিবাদে ।২২ ক্যালিবার বানানো বন্ধ করে দেয় ও আপামর বন্দুকপ্রেমীর নিন্দা কুড়োয়।

    মেট্রো সিনামার পাশের দোকানটারই অনলাইন ভার্সনের লিঙ্ক দিয়েছি আপনাকে সকালবেলায় প্রথম পোস্টে। ওটার নাম জে বিশ্বাস এন্ড কোং। ওর মালিক জয় বিশ্বাস আমাদর বয়সী লোক, এই চুয়াল্লিশ পঁয়তাল্লিশ হবে। বিকেলের দিকে রোজ দোকানে পাবেন। যে এইমকো র লিঙ্ক দিয়েছি সেটা ওনারই অনলাইন ভার্সন। এইমকো হল ভারতের সবচে পুরোনো আর সবচে সুনামসম্পন্ন অনলাইন বন্দুকের দোকান। ওদের অনলাইনে যা স্টক দেখবেন মেট্রোর পাশে গেলে অবশ্যই সেটা পাবেন। দাম সামান্য কমও হতে পারে। প্যাকিং এর খরচ নেই বলে।

    এসডিবি মানে সুশান্ত দাস এন্ড ব্রাদার্সের মাল জয়বাবুরা রাখছেন না। কোন একটা ব্যবসায়িক সমস্যা চলছে ওঁদের মধ্যে। সেটা মিটে গেলেই ভাল, কারন এসডিবি যেমন দুর্দান্ত বন্দুক বানায়, জয়বাবু সেরকম দুর্দান্ত বেচেন। একে অন্যের পরিপূরক। ওদের দোকানে এসডিবি পাওয়া না যাওয়া টা দু পক্ষেরই ক্ষতি। জয়বাবু অনলাইনে নিজে খুবই অ্যাকটিভ, কিন্তু গুরু বোধহয় পড়েন না। পড়লে আমার আবেদন নিশ্চয়ই ওনার কাছে পৌঁছোতো।

    আমার মতে আজও ভারতের শ্রেষ্ঠ এয়ার রাইফেল হচ্ছে ক্যাননের ৬৫ মডেলটি। কিন্তু ওটি ।২২ ক্যালিবার হওয়ায় কিনতে গেলে আপনাকে ফায়ারআর্মস এর লাইসেন্সের জন্যও এপ্লাই করতে হবে। ক্যাননের বন্দুক কলকাতায় ওরা নিজেরা ছাড়া আর কেউ রাখে না। ওদের নিজের দোকান হচ্ছে - লালবাজারের ডানদিকে রবীন্দ্র সরনীতে অলিম্পিক স্পোর্টস। সেখানে একটিও বন্দুক থাকে না। সেটা একটা হ্যাভেলস এর ইলেকট্রনিক ইক্যুইপমেন্টের দোকান। কিন্তু সেখানে ঢুকে বললে ওঁরা এনে দেবেন। হয় সেদিন, বা পরেরদিন। দেবুদার ফোন নং টি এখনই পাচ্ছি না। যে কোনো ফোরামে পাবেন। ওঁরা ভারতের সবচেয়ে সম্মানিত এয়ার রাইফেল প্রস্তুতকারক। বন্দুকপ্রেমীরা এক ডাকে ওঁদের চেনে।

    দেদি , কোনো এয়ার রাইফেল কিনতেই এখনো কোনো দোকানে কোনো কাগজপত্র দেখতে চায় না। প্রিসিহোলের কোনটা কিনতেই কোনো অসুবিধা নেই। ওরা প্রোহিবিটেড/রেস্ট্রিকটেড বোরের কোন বন্দুক তৈরিই করেন না। ওরা বোম্বের বলেই বললাম - অনলাইন কিনবেন কেন! দোকানে গিয়ে বেছে দরদাম করে কিনুন।

    বেলুন ফাটানোর বন্দুক আর এয়ার রাইফেলের তফাত বুঝতে হুঁকোবাবুর বন্দুকের টইটির প্রথম দিকটি পড়ুন।
    বেলুন ফাটানোর বন্দুক হল এয়ার গান। গান হয় স্মুদ বোর, তার ব্যারেলে রাইফলিং করা থাকে না। আর এয়ার বা অন্য যে কোন রাইফেল মাত্রেরই ব্যারেলে রাইফেলিং করা থাকে তাই তাকে রাইফেল নামে অভিহিত করা হয়।
    দারোয়ানের শটগান স্মুদবোর, প্যারামিলিটারীর ইনস্যাস রাইফেলড্ বোর।

    ক্যাপিটাল টি দার উচ্ছাসের চোটে আমার খুব ছোটবেলার একটা কথা মনে পড়ে গেল।
    পাড়ার দুর্গাপুজোয়, বুঝলেন, সেই আশির দশকে, মহা হট্টোগোলের বাপ্পি লাহিড়ী চালু হল। মিঠুন চক্কোত্তির নাচ আর বাপ্পীদার সুর। সত্তরের দশকে সলিল আর আরডি তবু সহ্য করা যেত। কিন্তু বাপ্পী অসহ্য। ঠাকুমার ঘরের ঠিক বাইরে রাস্তার ল্যাম্পপোস্টে দুর্গাপুজোর চোঙ্গা মাইক বাঁধত। তখন রাতের কোন রেস্ট্রিকশন ছিল না। সারা দিন রাত উন্মাদের মত চীত্কার চলত। ঠাকুমার জন্ম ১৯০২ সালে, কাজেই বুঝতে পারছেন।
    তখন আমি এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে আমার ক্যানন ৬৫ টি হাতে তুলে নিই এবং স্টেট খেলে পাওয়া মেডেলটা কপালে ঠেকিয়ে নিপুন কারিকুরিতে ল্যাম্পপোস্টটা ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখে শুধুমাত্র চোঙ্গার একটি তার কেটে দিই।
    অত্যন্ত তত্পরতার সঙ্গে পূজারীরা দশ মিনিটের মধ্যে তার রিপেয়ার করে ফিরে যায়। কিন্তু তার আধ ঘন্টা পরে আবার একই জিনিসের পুনরাবৃত্তি, এবং আবার এবং আবার। ওরা হাঁ করে ওপর দিকে তাকিয়ে থাকলেও ওদের পক্ষে রহস্যভেদ করা সম্ভব হত না। কারন ওই হট্টগোলের মধ্যে সামান্য ঠুং শব্দ ধরতে পারার মত কান (বা চোখ কিছুই ওদের ছিল না)। আমার অস্ত্রভান্ডার আমি কোনদিনই জনসমক্ষে প্রকাশ করি না। তাই কেউ জানতও না, এখনো জানে না। সপ্তমীর পর থেকে ঠাকুমার ঘরের সামনের মাইকটা বিসর্জন পর্যন্ত নীরবই ছিল।
    আমার ঠাকুমা ১৯৯৪ সালে বিরানব্বুই বছর বয়সে রাত্রে ঘুমের মধ্যে শান্তিতে চোখ বুজেছিলেন। স্বর্নকন্ঠী কিশোরকুমার তার ঢের আগে চোখ বোজেন।

    ওহো, সরি সরি, আপনারা বেজায় ভুল করছেন। আমার কোন কৃতিত্ব নেই।
    ক্যাননের ৬৫ বা ৩৫ মারাত্মকরকম একিউরেট। যা দেখতে পাবেন, হাত একটু স্টেডি হলে তা কাটতেও পারবেন। কিচ্ছু ইস্টউড হতে হবে না।
    প্রিসিহোল আসার পর তো এই একিউরেসী চরমে পৌঁছছে। লোকে বলে বলে মোমবাতির সলতে উড়িয়ে দিচ্ছে ২০ মিটার দূর থেকে।

    ==========================
  • সিংগল k | 212.142.118.183 | ২০ মার্চ ২০১৭ ০১:০১443224
  • দাঁ আর নেই দেদি, ওঁরা দঁ হয়ে গেছেন বহুকাল। লিংকটার জন্য ধন্যবাদ।
    দঁ দের নিজস্ব এয়ার রাইফেলের গুলির নাম হল নারসিং এন্ডেভর। মানে নরসিংহর এন্ডেভর আরকি।


    এই হল নরসিংহর এন্ডেভার।

    তা, এই নরসিং এন্ডেভরের .22 গুলিটি আমার ক্যানন LG65 এ সবচেয়ে ভাল চলে। ভাল চলে বলতে পাওয়ার আর একিউরেসী সবচে ভাল দেয়>
    এদিকে গুলির চেহারা দেখলে মোটে ভক্তি জাগে না, যেমন বিশ্রী ফিনিশিং তেম্নি এক একটা গুলির ওজন এক এক কিসিমের। তা সত্বেও যে কি করে এত সুন্দর কনসিসটেন্ট একুরেসী দেয় কে জানে। গুলিটা নলে বসে ভাল, একটুও বোধহয় হাওয়া লীক করে না, তাই এত ভাল একুরেসী দেয়। লোকে ব্যারেলের মুখে মুখ লাগিয়ে চুষে দেখে যে ব্রীচে গুলিটা বসেছে কেমন। যদি ঠিক ফিট না করে তবে চুষলে হাওয়া লিক করবে। হাওয়া লীক করছে মানে পাওয়ার কম দেবে, আর যেদিকে হাওয়া লীক করছে সেদিকে গুলিটা বেরোবার সময় ঘুরে যাবে, ফলে একিউরেসী ঠিক থাকবে না। ক্যানন LG65 এ এই চুষে দেখাটা একটু কঠিন, কারন ব্যারেলের মুখে ফ্যাক্টারী সেটিং করা একটা মাজল্ ব্রেক লাগানো থাকে, চুষতে গেলে মাজল্ ব্রেকের ফুটো দিয়ে হাওয়া বেরিয়ে যায়। মাজল ব্রেকটা খুলে চুষে দেখা যায় বটে, কিন্তু আমি নিজে কোনদিন LG65 এ নরসিং এন্ডেভার ভরে, মাজল্ ব্রেক খুলে চুষে দেখি নি। ইন ফ্যাক্ট ঐ লেড মাখানো ব্যারেল কোনটাই আমি মুখ লাগিয়ে শুষে দেখার পক্ষপাতী নই। তাই নারসিং এন্ডেভার যে কেন ক্যাননে এত ভাল চলে সেটা আমি ঠিক বলতে পারলাম না।


    এই হল দুটি নারসিং এন্ডেভরের রাউন্ড হেড পিলেটের চিত্র। বাঁ দিকের গুলিটির বেসটা দেখুন, কেমন এবড়ো খেবড়ো, খাওয়া মতো, এই গুলি ভাল চলার কোন কারন আমি আপাতদৃষ্টিতে খুঁজে পাই না। চলার কোন কারনই নেই। কিন্তু ভাল যে চলে, সেটা চালিয়ে দেখলেই বোঝা যায়।

    এই গুলি কেন যে ভাল চলে সেটা আপনারা হুঁকোবাবুকে জিজ্ঞেস করে দেখুন বা সোমনাথবাবুকেও জিজ্ঞেস করতে পারেন। সোমনাথ বাবু ভয়ঙ্করভাবে শোষনবাদী, বন্দুক পেলেই গুলি পুরে চুষে দেখে নেন কেমন বসছে। অবশ্য ওনার ফান্ডাও সেরকম, কোন বন্দুকে কোন গুলি কেমন বসে তার চলন্ত এনসাইক্লোপিডিয়া একটা। হুঁকোদা যেমন হুঁকোদা নাম সুকুমারের থেকে নিয়েছেন, সোমনাথবাবুকেও তেমনি সুকুমারের কাঠবুড়ো নামে ডাকা যেতে পারে,
    কোন্‌ গুলি পোষ মানে, কোন্‌ গুলি শান্ত,
    কোন্‌ গুলি টিম্‌টিমে, কোন্‌টা বা জ্যান্ত । ...... এসব ওনার মুখস্ত।
  • সিংগল k | 212.142.118.183 | ২০ মার্চ ২০১৭ ০১:২৫443226
  • কিন্তু সোমনাথবাবু দিন দিন এসডিবির এজেন্ট হয়ে উঠছেন। এই পরশু দিন এসডিবি, ইউটিউবে দেখি একটা ভিডিও আপলোড করেছে, যেটা সোমনাথ বাবুর প্রেসেন্ট করা।

    যা বলেছেন সেগুলো সত্যি কথা বটে, কিন্তু ভিডিওটিতে ঐ জেনেক্সের যে একিউরেসী দেখানো হয়েছে, আসলে তার থেকে ঢের ভাল একিউরেসী পাওয়া যায়। কেন যে ওঁরা এরকম বিশ্রী গ্রুপিং সমেত ভিডিও আপলোড করলেন সেটা জানি না। অফ্ হ্যান্ডেই এর থেকে ভাল গ্রুপিং সম্ভব, আর এটা তো বেঞ্চ রেস্টে রেখে মারা বলে মনে হল।
    যাহোক, এসডিবি কতৃপক্ষকে আরো দুটি কথা মনে করিয়ে দিতে চাই-
    এক) ভোঁদাফোনের মত টেলিফোন বেচতে গিয়ে বুলডগের বিক্কিরি বাড়িয়ে দেবেন না দয়া করে। শুরুতে যে বন্দুকের ছবিগুলো দিয়েছেন, সেগুলোর ওপর কামানের মত বড় বড় স্কোপ লাগানোর কি অর্থ? বন্দুকগুলোতে তো সুন্দর সলিড লোহার ফোরসাইট আর ব্যাকসাইট লাগানো আছে। আইএইচ পি র মত পেলাসটিকের ফোরসাইট ব্যাকসাইট নয় তো। খামোকা স্কোপের বিক্রি বাড়িয়ে আপনাদের কি লাভ?
    আর,
    দুই) সোমনাথবাবু তবু ঠিক আছেন, সঙ্গে ওরকম মিনমিনে গলার স্বরওলা ওটা কাকে জুটিয়ে এনেছেন? ওরকম কাউকে আনবেন না। একটু বলিয়ে কইয়ে কাউকে দিয়ে ভিডিও বানান। ......এই যেমন ধরুন তাপোস পাল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন