"অমর-আকবর-অ্যান্থনি" ছবিতে অমিতাভ বচ্চনের চরিত্রের নাম ছিল অ্যান্থনি গঞ্জালভেজ, শুধু তাই নয় অমিতাভের লিপে গানও ছিল 'মাই নেম ইজ অ্যান্থনি গঞ্জালভেজ'। এই অ্যান্থনি কোন কবির কল্পনা নয়। হিন্দি ছবির এক বিখ্যাত বেহালাবাদক-তথা-অ্যারেঞ্জারের নাম ছিল অ্যান্থনি গঞ্জালভেজ। সুরকার-জুটি লক্ষ্মীকান্ত-পেয়ারেলালের পেয়ারেলাল বেহালা শিখেছিলেন এই অ্যান্থনির কাছে। শোনা যায় রাহুল দেব বর্মনও কিছুদিন অ্যান্থনির ছাত্র ছিলেন। "মাই নেম ইজ অ্যান্থনি গঞ্জালভেজ" গানটি পেয়ারেলালের গুরুদক্ষিণা বলা যেতে পারে। ... ...
কাকভোরে এক ঝটকায় বলাইয়ের ঘুম ভেঙে গেল। কী যেন একটা স্বপ্ন দেখছিল সে। প্রতি রাতে নিয়মত বলাই স্বপ্ন দেখে। কোনোদিন শিশুর। কোনোদিন মরা মায়ের সঙ্গে ছোটোবেলার স্মৃতির স্বপ্নিল ভার্সান। কখনও সখনও প্রথম প্রেমিকা রুগ্ন কিশোরী লক্ষ্মীর। আজ সে কী দেখছিল মনে করার জন্য প্রথাগতভাবে ফের চোখ বুজে রইল কিছুক্ষণ। বিলীয়মান স্বপ্নের রেশ জোনাকির মতো দপ দপ জ্বলে জ্বলে ধরা দিল ধীরে ধীরে। ... ...
কার্যত সিংহের সাহস সঞ্চয় করে লিখছি, মানে অনেক জড়তা কাটিয়ে ঠিক করলাম শেষমেশ, কথাগুলো লেখাই যায়। বিরোধে, চ্যুতিতে, এবং বিসংবাদে রাজনীতির তো বস্তুত কোনও ক্ষতি হয় না, উত্তরপক্ষের অবস্থিতি পূর্বপক্ষকেই আরও জোরালো করে তোলে। বিষয়: হালফিল, ভারত, আন্দোলন। ... ...
বালি (হাওড়া জেলার বালি নয় তাবলে) আমার খুব প্রিয় জায়গা, অনেকবার গেছি। আর এখন তো ভারত থেকেও বালি যাওয়া খুব সহজ হয়ে গ্যাছে এবং অনেকেই যাচ্ছেন এই অপূর্ব জয়গায়।যাঁরা বালি গ্যাছেন বা এর সম্পর্কে খোঁজ খবর রাখেন তাঁরা নিশ্চয়ই জানেন যে হাতের কাজের, তা সে কাঠের, আঁকা, পটের, কাঁচের, গহনা (বিশেষ করে রূপো) যাই হোক না কেন, বালি দ্বীপ সে সবের জন্য খুবই বিখ্যাত। বালি দ্বীপের উবুদ নামক জায়গাটা আবার এমন সব শিল্পীদের গ্রাম। ... ...
উঠে দাঁড়ালেন যেমন দাঁড়ান ইরফান হাবিব শ্রদ্ধাভাজনেষু আপনার ছবিটা দেখছিলাম। কেরলের রাজ্যপাল, আদার ব্যাপারী তো, নামও মনে থাকে না ছাই, বলতে উঠে যথারীতি কী সব ভুংচাং দিচ্ছেন, আর পাশে আপনি। দাঁড়িয়ে। ঋজু, সটান, স্পর্ধিত। তার পর গোটা দেশ জুড়ে কী হইচই, রাজ্যপাল টুইট করলেন, আপনি না-কি ওঁকে মারধোর করতে গিয়েছিলেন। তাই, ইরফান হাবিব? সালাম রইল। আপনার ইতিহাস-ভাবনা, বোঝেনই তো একুশ শতকের মেট্রো সিটির ছেলেছোকরাদের ব্যাপার, ব্যাকডেটেড হিসেবে গণ্য করা হয় ইদানীং ক্লাসঘরে। ... ...
বয়স পঁচাত্তর। রাষ্ট্রপতি পুরষ্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক। উত্তরপ্রদেশে অনেক মানুষ এক ডাকে চেনে। আন্তর্জাতিক খ্যাতিও আছে। সেই তিনিই থানা থেকে বেরিয়ে এলেন কাঁপতে কাঁপতে, মুখ দু হাতে ঢেকে, যেন তাকে নিতে আসা আত্মীয়স্বজন দেখতে না পায় কান্না রক্ত অপমান মাখামাখি সর্বস্ব হারানো মানুষটির লাঞ্ছিত মুখমণ্ডল। তাদের কাছেই তো ফোন গিয়েছিল ছাড়াতে আসবার সময় যেন মৌলানার জামাকাপড় বাড়ি থেকে নিয়ে আসা হয়। তাহলে যে পোশাকে শিক্ষককে পুলিশ নিয়ে গিয়েছিল সেগুলো কোথায় ! বন্ধুরা, যারা আমাকে নতুন বছরের শুভ ... ...
ট্রান্সজন্ডার কমিউনিটি মোদী আমলে পাশ করা বিল নিয়ে এমনিতেই মহা খাপ্পা হয়ে আছে। কারণ নালসা জাজমেন্ট যা একজন রূপান্তরকামীর নিজের শরীর সম্বন্ধে শেষ কথা বলার অধিকার রূপান্তরকামীকেই দেয়, তার বিরুদ্ধে কথা বলে এই বিল, যাকে দ্রুত পাশ ক'রে আইনে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এক তো বিল পাশ করার সময় এই কমিউনিটির মানুষজনকে ডাকা হয়নি, এক্ট হবার পর জানা গেল তাদের জেন্ডার কী সেটা ঠিক করে দেবে নাকি সরকারি স্ক্রিনিং কমিটি। পিংকি প্রামাণিকের কেসটা আমরা কি ভুলে গেছি ? তার হেনস্থা, পুলিশ হেফাজতে তার 'অন্যরকম' শরীরের ... ...
পশ্চাতে রাখিছ যারে, আজ পশ্চাতে লাগিছে– এমন একটা লাইন জোগান দিয়েছিল বটে চন্দ্রবিন্দুর আদ্যিকালের কী-গান। কথাটা এই দেশের পক্ষে এই মুহূর্তে চমৎকার মানানসই। দ্বিতীয় দফার গেরুয়ারাজ্যে বিজেপি এ বার বপু বাজিয়ে নেমে পড়েছে ময়দানে। প্রথমে কাশ্মীর দিয়ে শুরু, এনআরসির উনিশ লাখে গুরু, রামমন্দিরে মহাগুরুর পরেও চমক ঈষৎ বাকি ছিল, বিধাতা বর্ষশেষের জন্য মুচকি হেসে অন্তিম তাসটি সংরক্ষিত রেখেছিলেন: ক্যাব। কিন্তু কে না জানে, বছর এত তাড়াতাড়ি ফুরোয় না। ক্লোজারের কাছাকাছি গিয়েও গল্প অপ্রত্যাশিত বাঁক নেয়, ... ...
তেরা দাড়ি উখার লুঙ্গা, বেইমান, হারামখোর ! রক্তচক্ষু পুলিশ চিৎকার করছিল ওমরের সামনে। লখনৌতে ক্যা এনার্সি বিরোধী আন্দোলন কাভার করতে আসা হিন্দু কাগজের সাংবাদিক ওমার রশিদ। তার অপরাধ তার সঙ্গে ক্যামেরা ছিল, স্থানীয় এক্টিভিস্ট সঙ্গী ছিল, কাশ্মীরি চেহারা ছিল। যোগীরাজ্যে এর সবগুলিই নেগেটিভ পয়েন্টস। ফলে যা হবার তাই হয়। দ্রোহকালের ইতিহাস লেখা হয় কি শুধু যূথবদ্ধতা আর সমূহ-কথায় ? ব্যক্তির অভিজ্ঞতা, চেনা ছকের বাইরে গিয়ে বিশাল হয়ে ওঠা, এইসবও ইতিহাসের উপাদান হয়ে ওঠে এইরকম দেখা ... ...
দেশের মধ্যে আসামে এনার্সি হয়েছে। বারো লক্ষ মানুষ রাষ্ট্রহীন । তাদের ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো শুরু হয়েছে নারীপুরুষ বাছাই না করেই। গতকালের টেলিগ্রাফ লিখেছে এই ক' মাসেই ডিটেনশন ক্যাম্পে মৃতের সঙখ্যা ছাব্বিশ ছাড়িয়ে গেছে। সারা দেশে লাগু হলে এ সংখ্যা কতো হবে সহজেই অনুমান করা যায়। কিন্তু যেটা দূরে বসে অনুমান করা কষ্ট সেটা হলো এনার্সির চাপে মেয়েদের অপরিসীম দুর্দশা। লোক আদালতের বিচারক হিসেবে ঘন ঘন কলকাতা কর্পোরেশনে যেতে হয়। ... ...
লাল রঙের বড় বাড়িটার সামনে দিয়ে গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকবার হেঁটে গেছে রাজিয়া। কখনো একা। কখনো ওর দলের সঙ্গে। কিন্তু কখনও ভেতরে ঢোকার সাহস হয় নি। বাড়িটার সামনে দুদিকে দুটো রোয়াক। তাতে অলস দুপুরে রিকশাওয়ালারা গামছা ঘুরিয়ে হাওয়া খেতে খেতে বিশ্রাম নেয়, অন্য সময়ে কুন্ডলী পাকিয়ে ঘুমোয় রাস্তার নেড়িগুলো। দুটো রোয়াকের মাঝখানে একটা সবুজ রঙের কারুকাজ করা কাঠের দরজা। এত ভারী যে ছোটবেলায় রাজিয়ার ওগুলোকে লোহার বলে মনে হত। সেই বিরাট দরজাটা ডান পাশে আটকানো একটা শ্বেতপাথরের নামফলক। তার ওপর কালো দিয়ে প্যাঁচ ... ...
বন্ধুরা, রাগ করবেন না, এমন উত্তাল সময়ে ঠাট্টা করছি ভেবে। যথেষ্ট চিন্তার মধ্যেও, টেনশনের মধ্যেও, চিরকাল ঠাট্টা করতে করতেই বড়ো হয়েছি। তাই এই দুঃসময়ে এই পোস্ট দেখে মনে হবে ঠাট্টা। কিন্তু পড়ুন, যদি ধৈর্যে কুলোয়। ব্যাপারটা হলো– অনেকদিন অর্থমন্ত্রকের সংবাদ পাচ্ছি না। নানা বিশিষ্ট জনের লেখা, ট্যুইট ইত্যাদি পড়ে জানতে পারা যাচ্ছে, তিনি, অর্থাৎ এই ভারতীয় অর্থনীতি, এখন নাকি আই সিএইউ তে। ফলে দুশ্চিন্তা ব্যাপারটা বেড়ে গেলো। ফলে কেসটা ঠাট্টা নয়। আমরা এক সময়ে অর্থমন্ত্রক বলতে একটা জটিল ব্যাপার বুঝতাম ... ...
শীত ভাল করে পড়তে না পড়তেই মেলার সীজন শুরু হয়ে গেছে। গুরু এবারে ওমনিপ্রেজেন্ট – গাদাগুচ্ছের মেলাতে অংশ নেবার মনস্থ করেছে। একেবারে সূচনাপর্বেই সোনারপুর মেলা – বোতীনবাবুর দৌলতে তার কথা এখন এখানে অনেকেই জানেন। তো সেই সোনারপুর বইমেলাকেই পদধূলি দিয়ে ধন্য করব এরম একটা সুদুদ্দেশে শনিবার সন্ধ্যেবেলা বেরিয়েছিলাম। মারিয়া আগেই হাত তুলে রেখেছিল, তাই মারিয়ার সাথে গড়িয়ার মোড়ে দেখা করাই সমীচিন মনে করলাম। মারিয়া কামস টু গড়িয়া, সেথা হতে সোনারপুর অটো করিয়া, এই হল গে পেলান। ... ...
রামলাল রাস্তা পার হইতে যাইবেন, কিছু গেরুয়া ফেট্টি বাঁধা চ্যাংড়া যুবক মোড়ে বসিয়া তাস পিটাইতেছিল— অকস্মাৎ একজন তাহার পানে তাকাইল। রামলাল সতর্ক হইলেন। হাত মুষ্টিবদ্ধ করিলেন, তুলিয়া, ক্ষীণকন্ঠে বলিলেন, 'জ্যায় শ্রীরাম।'পূর্বে ভুল হইত। অকস্মাৎ কেহ না কেহ পথের এক মোড় হইতে অন্য মোড়ে অব্যর্থ ডাকিত, 'কে যায়?' সম্বিৎ ফিরিয়া রামলাল উচ্চারণ করিতেন, 'জয় শ্রীরাম।' দুর্বল শরীর, প্রখর গ্রীষ্মেও একটি গেরুয়া উত্তরীয় সর্বদা গলায় জড়াইয়া রাখিতেন। উহা একটি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা কবচ। প্রখর গ্রীষ্মের হাল্কা ... ...
পৃথিবীতে ছোট বড় মিলিয়ে ২০০র' কাছাকাছি দেশ, তার প্রায় প্রতিটিতেই বাঙালীর পদধূলি পড়েছে। তবে নিউজিল্যাণ্ড নামে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে একটি দ্বীপমালা আছে, সে দেশের সঙ্গে ভারতীয়দের তথা বাঙালীদের আশ্চর্য ও বিশেষ সব সম্পর্ক, অনেকে জানেন নিশ্চয়ই। সে সব সম্পর্কের সূত্রপাত আজ প্রায় দুশো বছরেরও বেশী, ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর আমলে। উনবিংশ শতকের গোড়ার দিক থেকে, যখন ভারতের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ারও যোগাযোগ স্থাপিত হয়নি, তখন থেকেই ব্রিটিশ জাহাজের লস্কর হয়ে চট্টগ্রামের বাঙালী নাবিকরা নিউজিল্যাণ্ডে ... ...
মহামহিম মোদী নিঃসন্দেহে ইতিহাসে নাম তুলে ফেলেছেন। আজ থেকে পাঁচশো বছর পরে, ইশকুল-বইয়ে নিশ্চয়ই লেখা হবে, ভারতবর্ষে এমন একজন মহাসম্রাট এসেছিলেন, যিনি কাশ্মীরে টিভি সম্প্রচার বন্ধ করে কাশ্মীরিদের উদ্দেশে টিভিতে ভাষণ দিতেন। যিনি উত্তর-পূর্ব ভারতে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতবাসীকে টুইট করতেন। যিনি বাংলায় দশ কোটি লোককে রাষ্ট্রহীন করার কল বানিয়ে, তারপর তাদেরই রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি নষ্ট না করার উপদেশ দিতেন। ... ...
এই ঘোর অন্ধকার সময়ে আরেকবার ফিরে দেখি ১৯৪৭ এর রক্তমাখা দিনগুলোকে। সেই দিনগুলো পার করে যাঁরা বেঁচে আছেন এখনও তাঁদেরই একজনের গল্প রইল আজকে। পড়ুন, জানুন, নিজের দিকে তাকান... ‘আমাদের হিন্দু ভাইয়েরা হিন্দুস্তানে জন্মায়, বড় হয়, সারাজীবন কাটিয়ে যখন মারা যায় তখন তাদের দাহ করে সেই ছাই গঙ্গানদীর পুণ্যপ্রবাহে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। তারা বয়ে চলে গঙ্গার স্রোতধারায়, যদিও গঙ্গার জল শেষপর্যন্ত গিয়ে মেশে সাগরে, সে জল তখন আর শুধু হিন্দুস্তানের নয়। আমরা মুসলমানরা এদেশে জন্মাই, বড় হই ... ...
ব্রিটিশরা যখন ভারত ছেড়ে চলে যাবে এই ব্যাপারটা নিশ্চিত হয়ে গেল, তখন দুটো প্রধান সমস্যা এসে দাঁড়ালো আমাদের স্বাধীনতার সামনে। একটি অবশ্যই দেশ ভাগ সংক্রান্ত। বহু আলাপ-আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক, বহু রক্তাক্ত হিংসা দাঙ্গার পর্ব পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত দেখা গেল দেশভাগ হচ্ছেই। অবিভক্ত ভারত - ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে ভাগ হয়ে যাচ্ছে। দ্বিতীয় যে সমস্যাটি দেখা গেল সেটি হলো দেশীয় রাজ্যগুলির ভবিষ্যৎ কি হবে সেটা ... ...
একুশে পদকপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অজয় রায় (৮৪) আর নেই। সোমবার ( ৯ ডিসেম্বর) দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। অধ্যাপক অজয় দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত নানা অসুখে ভুগছিলেন। ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তার ছেলে মুক্তমনা ব্লগার-বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায়কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় জঙ্গিরা কুপিয়ে খুন করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত অভিজিতের স্ত্রী, আরেক মুক্তমনা ব্লগার বন্যা আহমেদও জঙ্গি হামলায় আহত হন। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এই ব্লগ ... ...
পূর্ণেন্দু পত্রী মশাই মার্জনা করবেন - তোকে আমরা কী দিইনি নরেন? আগুন জ্বালিয়ে হোলি খেলবি বলে আমরা তোকে দিয়েছি এক ট্রেন ভর্তি করসেবক। দেদার মুসলমান মারবি বলে তুলে দিয়েছি পুরো গুজরাট। তোর রাজধর্ম পালন করতে ইচ্ছে করে বলে পাঠিয়ে দিয়েছি স্বয়ং আদবানীজীকে, কড়ি নিন্দার সাথে আশীর্বাণী পাঞ্চ করিয়ে খাইয়েছি তোকে। সমস্ত বিরোধী দল, বিরোধী জাতকে বলেছি সরে যাও, নরেন এখন ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার খেলা খেলবে। তোকে আমরা কী দিইনি নরেন? মঞ্চে আদবাণী, মুরলী মনোহরদের সাইড করে ... ...