রবীন্দ্রনাথ এবং তাঁর বউদির সঙ্গে প্রেম আর নেতাজী ফিরে আসবেন, বেঁচে আছেন, বিয়ে করেছেন কিনা, এই দুটো বিষয় নিয়ে যত অখাদ্য বই লেখা হোক না কেন, পাবলিশারতো জুটে যাবেই, বিক্রি বাট্টাও কম হয় না। সেটা অনেকে বুঝেছেন, বুঝেছেন অনুজ ধর ও। কাজেই নেতাজী নিয়ে প্রায় একই গাল গল্প ছাপিয়েই যাচ্ছেন। একবার বাংলা তে, একটু পালটে নিয়ে সেটাই আবার ইংরিজি তে। তো ওনার ‘নেতাজী ফিরেছিলেন’ আর CONUNDRUM বই দুটো পড়ে এই লেখা। একটা পুরো দস্তুর জোচ্চর হামবাগ নিম্ন স্তরের ফেরেব্বাজ কে ... ...
কথামুখ — প্রথমেই স্বীকার করে নেওয়া ভালো, আমার ইতিহাসের প্রথাগত পাঠ মাধ্যমিক অবধি। তবুও অ্যাকাডেমিক পরিসরের বাইরে নিছকই কৌতূহল থেকে গান্ধী বিষয়ক লেখাপত্তর পড়তে গিয়ে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এই অবিসংবাদী নেতাটি সম্পর্কে যে ধারণা লাভ করেছি আমি, তা আর পাঁচজনের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাওয়ার ইচ্ছে থেকেই এই দুরূহ কাজে হাত দেওয়া। মূল লেখা শুরু করার আগে কিছু প্রাথমিক কথা বলে নিতে চাই। প্রথমত, পড়ার ছন্দ ও গতি অব্যাহত রাখতে লেখার ফাঁকে ফাঁকে কেবলমাত্র গান্ধীর নিজের লেখাপত্র ছাড়া অন্য রেফারেন্স ... ...
শহরে হেমন্ত আসে না। আসতে আসতে দু'দুটো ঢাউস জোড়া ব্রিজের মুখে সে কর্পুরের মতো উবে যায়। বিকেল নাগাদ একটা অজানা ঠাণ্ডা গন্ধ ছড়ায়। কারোর হঠাৎ মন কেমন করে। প্রয়োজনীয় কথার ফাঁকে ফাঁকে অকারণ ক্ষণবিরতি। এক মুহূর্তের কিছু বা বিস্মরণ। কোথাও কি যাবার ছিল? কেউ আসবে? কী জানি। পথচলতি লোকজন অকস্মাৎ একেকবার চোখ তুলে অকারণ আকাশ দেখে নেয়। কী দেখল কেন দেখল, জিজ্ঞেস করলে বলতে পারবে না। ... ...
গরু বাগদির মর্মরহস্য - মাঝে কেবল একটি একক বাঁশের সাঁকো। তার দোসর আরেকটি ধরার বাঁশ লম্বালম্বি। সাঁকোর নিচে অতিদূর জ্বরের মতো পাতলা একটি খাল নিজের গায়ে কচুরিপানার চাদর জড়িয়ে রুগ্ন বহুকাল। খালটি জলনিকাশির। ঘোর বর্ষায় ফুলে ফেঁপে ওঠে পচা লাশের মতো। যেহেতু এই খালে চার চারটি রাইস মিলের ধানসেদ্ধ জল পড়ে, তাই লোকমুখে নাম পচুয়াখাল। খালটি মাতলায় গিয়ে পড়েছে। গরু বাগদির কথা কেউ কখনও শোনে না। অথচ সে বোবা, এমন নয়। অপ্রয়োজনীয় কথা বলে না। ... ...
অযোধ্যার নবাবির পত্তন করেছিলেন প্রথম সাদত আলি। পারস্যের লোক। দিল্লির মুঘল বাদশা তাঁকে অযোধ্যার নাজিম করে দেন। সেই নাজিমই লক্ষ্ণৌর কাছে ফয়জাবাদের রাজধানী স্থাপন করে অযোধ্যার নবাবি শুরু করেছিলেন। তৃতীয় নবাব সুজা-উদ-দৌলার আমলে রাজধানী চলে আসে লক্ষ্ণৌতে। সেই থেকে অযোধ্যা আর লক্ষ্ণৌ সমার্থক হয়ে ওঠে। তদ্দিনে দিল্লির অস্তগামী ছায়া পড়েছে লক্ষ্ণৌতে। লক্ষ্ণৌ তখন হিন্দুস্তানী সংস্কৃতির শুধু ধারক-বাহকই নয়, তার অগ্রডোমও বটে। ... ...
'আচ্ছা, সারা দেশে মোট কতজন ক্যান্ডিডেট এই পরীক্ষাটা দেয়?', লোকটা সিগারেটে একটা টান দিয়ে প্রশ্ন করলো।-'জানা নেই। তবে লাখ দশেক তো হবেই।', আমি বললাম।- 'বাব্বা! এতজন! সিট কতো ?'-'বলতে পারব না। ভাল কলেজ পেতে গেলে মেরিট লিস্টে যথেষ্ট ওপরে নাম থাকতে হবে।'-' তার মানে একটা লম্বা মেরিট লিস্ট হবে নিশ্চয়। তা, সবাই সবার নাম দেখতে পাবে ?'এই প্রশ্নে একটু অবাক হলাম। একটু বিরক্তিও বোধ হলো। ... ...
আমি যখন কলকাতার সওদাগরি অফিসে কাজ করতাম , তখন আমার একজন সহকর্মী ছিলেন। তিনি পাঁচ গ্রেডের কর্মী ছিলেন। এই পাঁচ গ্রেডের একটা বিশেষ তাৎপর্য আছে। পাঁচগ্রেড হলো অফিসার গ্রেড তাই কোনো ওভার টাইম নেই। এদিকে চার গ্রেড পর্যন্ত চুটিয়ে ওভারটাইম। তাই ওজনে কম হয়েও চার গ্রেডের কর্মীরা পাঁচ গ্রেডের থেকে অনেক বেশি মাস মাইনে পেতেন । তো আমার বয়জেষ্ঠ সেই সহকর্মী মনের দুঃখে গান গাইতেন "জন্ম পাঁচে মৃত্যু পাঁচে, ভাবনা কিরে ভাই , ওভারটাইম নাই , সাড়ে চারটে বেজে গেলে বাড়ি চলে যাই" ... ...
এমন হয়, প্রায়শই হয়। কথাবার্তায় উঠে আসে কোনও কোনও নাম। আমাদের লেখকের ক্ষেত্রেও তাই হলো। লেখক ও তার বন্ধু হাসানুজ্জামান ইনু সেইদিন রাত আটটা ন’টার দিকে জিন্দাবাজারে হাঁটছিলেন। তারা বাদাম খাচ্ছিলেন এবং বলছিলেন যে রিকাবিবাজার যাবেন, ও সেখানে গুড়ের চা খাবেন। তখন শীতের সময়। চারিদিকে পড়েছে শীত। মানুষজন গরম কাপড় পরে বের হয়েছেন। অনেকে ব্যস্তভাবে হাঁটছেন, অনেকে দাঁড়িয়ে ভাপা পিঠা খাচ্ছেন। ব্যস্ত রাতের পূণ্যভূমি। এমন অবস্থায় আমাদের লেখক ও তার বন্ধু হাঁটতে হাঁটতে বললেন ... ...
তোমার বাড়ি মেঘের কাছে, তোমার গ্রামে বরফ আজো?আজ, সীমান্তবর্তী শহর, শুধুই বেয়নেটে সাজো।সারাটা দিন বুটের টহল, সারাটা দিন বন্দী ঘরে।সমস্ত রাত দুয়ারগুলি অবিরত ভাঙলো ঝড়ে। ... ...
[আজ বের্টোল্ট ব্রেশট-এর মৃত্যুদিন। ভারতীয় চলচ্চিত্রে যিনি সার্থকভাবে প্রয়োগ করেছিলেন ব্রেশটিয় আঙ্গিক, সেই মৃণাল সেনকে নিয়ে একটি সামান্য লেখা।] ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে কীভাবে যেন পরিচালক ত্রয়ী সত্যজিৎ-ঋত্বিক-মৃণাল এক বিন্দুতে এসে মিলিত হন। ১৯৫৫-তে মুক্তি পাচ্ছে ‘পথের পাঁচালী’; একই বছরে মৃণাল করছেন তাঁর প্রথম ছবি ‘রাতভোর’; আর ভারতীয় সিনেমার প্রকৃত পথপ্রদর্শক হিসাবে যাঁর সম্মানিত হওয়ার কথা সেই ঋত্বিকের ১৯৫২ সালে তৈরি ‘নাগরিক’-এ অভিনয় করছেন গীতা সোম যিনি পরের বছরে ঘরনি হবেন মৃণালের। ... ...
পড়লাম সিজনস অব বিট্রেয়াল গুরুচন্ডা৯'র বই দময়ন্তীর সিজনস অব বিট্রেয়াল। বইটার সঙ্গে যেন তীব্র সমানুভবে জড়িয়ে গেলাম। প্রাককথনে প্রথম বাক্যেই লেখক বলেছেন বাঙাল বাড়ির দ্বিতীয় প্রজন্মের মেয়ে হিসেবে পার্টিশন শব্দটির সঙ্গে পরিচিতি জন্মাবধি। দেশভাগ কেতাবি শব্দ আর বাটোয়ারা কথাটা জানলাম যথেষ্ট বড় হয়ে। আমারও ঠিক একই অভিজ্ঞতা। নিজের বাসভূমি, যাবতীয় অস্থাবর এবং ভূসম্পত্তির সঙ্গে পরিচয় এবং সম্মান সব হারিয়ে যারা কুটোর মতো ভাসতে ভাসতে পিতৃপুরুষের দেশ ছেড়ে অন্য ভূমিতে জীবন বাজি রেখে ... ...
তোমার সুরের ধারা ঝরে যেথায়...আসলে যে কোনও শিল্প উপভোগ করতে পারার একটা বিজ্ঞান আছে। কারণ যাবতীয় পারফর্মিং আর্টের প্রাসাদ পদার্থবিদ্যার সশক্ত স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে থাকে। পদার্থবিদ্যার শর্তগুলি পূরণ হলেই তবে মনন ও অনুভূতির পর্যায় শুরু হয়। যেমন কণ্ঠ বা যন্ত্র যদি সঠিক কম্পাংকে না বাজে বা রঙের দুনিয়ায় পরস্পর পরিপূর্ত বর্ণিকাবিভঙ্গ বিষয়ে যদি আঁকিয়ের ধারণা না থাকে, তবে তো প্রথম বেড়াটিই পেরোনো যাবেনা। যে সব শিল্পীদের সিদ্ধিলাভ হয়ে গেছে, তাঁদের শিল্প পরিবেশন, পদার্থবিদ্যা কেন, মননেরও প্রাথমিক ... ...
দিলীপ ঘোষ। যখন স্কুলের গণ্ডি ছাড়াচ্ছি, সন্তোষ রাণা তখন বেশ শিহরণ জাগানাে নাম। গত ষাটের দশকের শেষার্ধ। সংবাদপত্র, সাময়িক পত্রিকা, রেডিও জুড়ে নকশালবাড়ির আন্দোলনের নানা নাম ছড়িয়ে পড়ছে আমাদের মধ্যে। বুঝি না বুঝি, পকেটে রেড বুক নিয়ে ঘােরাঘুরি ফ্যাশন হয়ে দাঁড়াচ্ছে সমবয়সীদের। কলকাতার বেশিরভাগ কলেজের বার্ষিক পত্রিকার মলাটে হালকা থেকে গাঢ় লাল লেনিন, স্টালিন, মাও সে তুং, হাে চি মিন, কারাের না কারাের ছবি শােভা পাবেই, চে গুয়েভারার ডায়েরি অনুবাদ করছেন সুভাষ মুখােপাধ্যায়, ... ...
(টিপ্পনি : দক্ষিণের কথ্যভাষার অনেক শব্দ রয়েছে। না বুঝতে পারলে বলে দেব।) দক্ষিণের কড়চা - এখানে মেঘ ও ভূমি সঙ্গমরত ক্রীড়াময়। এখন ভূমি অনাবৃত মহিষের মতো সহস্রবাসনা, জলধারাস্নানে। সামাদভেড়ির এই ভাগে চিরহরিৎ বৃক্ষরাজি নুনের দিকে চুপিসারে এগিয়ে এসেছে যেন অ্যাডভেঞ্চারের লোভে। দুঃখের দিকে শরীর যখন এগোয় দ্বিধাদ্বন্দ্বে, দীর্ণ কে বা হতে চায় পত্রহীনে, অপুষ্পক আঁধারে! জারুল, আম, মুচকুন্দ গাব নারকেল গাছগাছালির কুঞ্জে তাই এইক্ষণে বৃষ্টি সর্বাত্মক ঝেঁপে এসেছে। ... ...
পুরোনো কথার আবাদ বড্ড জড়িয়ে রাখে। যেন রাহুর প্রেমে - অবিরাম শুধু আমি ছাড়া আর কিছু না রহিবে মনে। মনে তো কতো কিছুই আছে। সময় এবং আরো কত অনিবার্যকে কাটাতে সেইসব মনে থাকা লেখার শুরু খামখেয়ালে, তাও পাঁচ বছর হতে চললো। মাঝে ছেড়ে দেওয়ার পর কিছু ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ ঝাঁকিয়ে তুললো ফর্টিসিক্সের স্মৃতি, ভাবলাম লিখে ফেলা যাক। তারই কিছু ঝাড়পোঁছ করে এখানে। ঝাড়পোঁছ হলো একটু, কিন্তু গোছানো গেলনা, গল্পের আঁকাবাঁকা রেখা গতিও সোজা হলো না। তা হোক, স্মৃতির খেয়ার আজগুবি চাল। ~হরিগঙ্গা বসাক রোড ... ...
ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের সূর্য অস্ত যায় ১৯৪৭ এ। মূল ভারত ভূখন্ড ভেঙে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি আলাদা রাষ্ট্র গঠিত হয়। কিন্তু ভুখন্ডের ভাগবাঁটোয়ারা সংক্রান্ত আলোচনচক্র ওতটাও সরল ছিল না। মূল দুই ভূখণ্ড ছাড়াও তখন আরও ৫৬২ টি করদরাজ্য ছিল। এগুলোতে রাজতন্ত্র কায়েম ছিল। ব্রিটিশ শাসককে কর দিয়ে স্বায়ত্বশাসন উপভোগ করত তারা। এই স্বায়তশাসিত ভুখন্ড গুলি ভারতের সঙ্গে যুক্ত হবে, না পাকিস্তানের সঙ্গে সেটা নিয়ে দীর্ঘ বাদানুবাদের পালা চলে। সমস্যা সমাধানের জন্য তৎকালীন গভর্নর জেনারেল লর্ড মাউন্টবেটেন ... ...
ব্যক্তি আক্রমণ আর রেটোরিকাল ডিভাইস দুটো ভিন্ন জিনিস। এই দুটোর মধ্যে সম্পর্ক আছে, অনেক সময় রেটোরিকাল ডিভাইস দিয়ে ব্যক্তি আক্রমণ করা হয়। তারপরও বলব এই দুটো বিষয় আলাদা, দুটো ভিন্ন ভিন্ন শাখায় এগুলো নিয়ে স্টাডি করা হয়। ব্যক্তি আক্রমণ আমি এখানে আলোচনা করব লজিক বা যুক্তিবিদ্যার দিক থেকে, যুক্তিবিদ্যাই ব্যক্তি আক্রমণকে যৌক্তিক ফরমেটে সাজিয়ে একে বিশ্লেষণ করেছে। যুক্তি বিদ্যায় যে লজিকাল ফ্যালাসি বা কুযুক্তি বা হেত্বাভাসকে এড হোমিনেম বলা হয় তাকেই আমি বাংলায় ব্যক্তি আক্রমণ বুঝি। কেন আমি ... ...
মা যেদিন বেঘোরে মরে গেল তার পরদিনই আমি গোটা শহর এন্তার চষে বেড়াতে শুরু করলাম। যেন সেই দুই বেণী ঝুলছে কাঁধে, আগের মতো টই টই রাণী বলে প্যাক দিলে এখুনি রেগে যাব, ঝাঁকুনি দিয়ে চেঁচিয়ে উঠব, তোমার কী !তখন আমার ব্যবহার খারাপ ছিল খুব, বাবার ওপর প্রচন্ড রাগ। একটুতেই চেঁচাতাম আবার মেজাজ ভালো হলে উঠোনের বিরাট কুয়োর মধ্যে মুখ ঢুকিয়ে গাইতাম, আমি পথভোলা এক পথিক এসেছি। বর্ষাকালে কালো জল উঠে আসতো ওপরে,হাতে ছুঁয়ে ফেলা যাবে যেন,কেমন গা ছমছম করতো অতো নিস্তরঙ্গ বোবা জলের দিক ... ...
সল্ট লেকে পূর্ত ভবনের পাশের রাস্তাটায় এমনিতেই আলো খুব কম। রাস্তাটাও খুব ছোট। তার মধ্যেই ব্যানার হাতে একটা মিছিল ভরাট আওয়াজে এ মোড় থেকে ও মোড় যাচ্ছে - আমাদের ন্যায্য দাবী মানতে হবে, প্রতিহিংসার ট্রান্সফার মানছি না, মানব না। এই শহরের উপকন্ঠে অভিনীত হয়ে যাচ্ছে প্রতিহিংসা এবং প্রতিরোধের এক কাহিনী, কিন্তু আমরা নাগরিকেরা আশ্চর্যভাবে কিছু না জেনেই সপ্তাহান্তে হস্তশিল্পমেলায় দৌড়চ্ছি, অথবা মাল্টিপ্লেক্সে। রোদ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে অনশনরত প্রাথমিক শিক্ষকদের পাশে তেমনভাবে দাঁড়ায় ... ...
দুনিয়া বৈষম্যে ভরা – অনেক সময়েই বোঝা যায় না কি কারণে একটা জিনিস অন্যের থেকে বেশী ফুটেজ খেয়ে চলে যায়! এই দেখুন না, ভিয়েতনামের এককালীন চেয়ারম্যান হো চি মিন-কে নিয়ে পাবলিক যেভাবে হৈ চৈ করে, ভিয়েতনামের খাবার নিয়ে কেউ সে রকম উতুপতু করে না! এটা কি ভিয়েতনামের খাবার প্রতি একপ্রকারের অবমাননা নয়? কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দেবার মত আবার যখন দেখা যায় প্রতিবেশী থাইল্যান্ডের কুজিনের নাম হো চি ... ...